এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • গোড়ায় গলদ

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০৫১ বার পঠিত
  • চাপাতিতন্ত্রের ভেতর


    বোধকরি মুক্তচিন্তক মাত্রই একমত হবেন যে, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নীচে মুক্তমনার সংগ্রামটি দীর্ঘতর ও অভিজিৎ রায়দের রক্তে পিচ্ছিল। বোধকরি, পথ বন্ধুর বলেই এ সংগ্রামে আমরা যারা নিজেদের মুক্তমনা বলে দাবি করি, যারা নিজেদের অভিজিৎ রায়ের লোক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি, তারা চাপাতিতন্ত্রের ভেতর জীবন বাজি রেখেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেতনার সংগ্রামটিকে এগিয়ে নিতে মরিয়া।



    এ হচ্ছে সেই কোপার্নিকাস-বুনোর উত্তরসূরিতার পথ ধরে চলে আসা অসির সঙ্গে মসির লড়াই। ইতিহাস বলছে, যুগে যুগে মসির কাছে অসি পরাজিত হয়েছে। এ জন্য মূল্য দিতে হয়েছে অনেকটাই, জীবন রক্ত ঘাম সময়—প্রতিক্রিয়াশীলরা এমনই সব অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রগতি, মুক্তচিন্তা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংগ্রামটিকে স্তব্ধ করা যায়নি। যেমন, গলা কেটেই রোধ করা যায়নি অভিজিতদের কণ্ঠস্বর, এক অভিজিতের মর্মান্তিক মৃত্যু বিশ্বজোড়া বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে আরো দ্রুত বিস্তৃত করেছে মুক্তমনার সংগ্রাম।…এক অভিজিতের শাররীক মৃত্যু লাখো কোটি চেতনার অভিজিতের জন্ম দিয়েছে।



    মদিনা সনদে দেশ চলবে?


    আমাদের সরকারের হর্তাকর্তারা তো বটেই, এমনকি সরকারি উজির-নাজির-চাটুকার-টকশো তালেবরবৃন্দ এতোদিন ব্লগার খুন হলে খুনীর বদলে নিহতর “অপরাধ” সনাক্তে বিস্তর সময় ব্যয় করেছেন। গণমাধ্যমে, এমনকি জাতীয় সংসদে হিতাপোদেশ দিয়েছেন, ধর্মকে আঘাত না করে লেখার। কিন্তু তখন জিহাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তারা টু-শব্দ করতে ভুলে গেছেন। এ-ও ভুলে গেছেন, আস্তিক হোক, আর নাস্তিক হোক, প্রতিটি হত্যাই ফৌজদারী অপরাধ, এসব অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই আমলে নিতে হবে, যথার্থই কাজ করতে হবে হত্যাকারী বিচারে।



    কিন্তু ভোটের অংক কষে হেফাজত ইসলামকে নিজ হেফাজতে নিতে মশগুল সরকার বাহাদুর তখন মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার পথে হেঁটেছিলেন। তাই শাহবাগ গণজাগরণের কাল থেকে গত চার বছরে কোনো ব্লগার-লেখক হত্যারই এখনো সুবিচার হয়নি।



    তাই তো অভিজিৎ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও তার স্ত্রী, সহব্লগার বন্যা আহমেদকে আক্ষেপ করে লিখতে হয়, এদেশের হত্যার বিচার চাইতে গেলে আকুতি জানাতে হয়।



    অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় এই লেখককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মুক্তমনা এখন বিপন্ন। অভিজিৎ হত্যার বিচারকে সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে খোদ প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে তাকে আশ্বাস্ত করলেও তিনি তার কথা রাখেননি।



    আর জঙ্গি হামলায় খুন হওয়া অভিজিতের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম তো আক্ষেপ করে বলেই ফেলেন সেই অকপট সত্য, তিনি 


    আদৌ পুত্র হত্যার বিচার চান না, কারণ এদেশে মুক্তমনা হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই।



    তোমারে বধিবে যে


    জিহাদীদের সিরিজ খুনের চাপাতির কোপ “নাস্তিক ব্লগার” এর পরিধি ছাড়িয়ে শিগগিরই বিদেশী, ভিন্ন ধর্মালম্বী, অধ্যাপক, হোমিও চিকিৎসক, সমকামী, এমনকি মসজিদের ইমাম, শিয়া ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে শেষমেষ সরকার কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু স্থানে অভিযানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। অভিযানে ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী-জঙ্গি। অবশ্য আমরা মুক্তমনারা আগেই সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলাম, ব্লগার খুন হচ্ছে জিহাদের সূচনা মাত্র; খেলাফত, তথা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার খোয়াবে মশগুল মুজাহিদরা শিগগিরই হত্যার পরিধি বিস্তৃত করবে। রাষ্ট্র দখল করাই যেহেতু তাদের লক্ষ্য, তাই তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর আঘাত হানবে শিগগিরই। আর সরকারি উদাসিনতায়, বলা ভালো, জিহাদীদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের হত্যাযজ্ঞ দেশজুড়ে ছড়াতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। …



    ঠিক এমনিভাবেই বিএনপি-জামাত সরকারের প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে সে সময় গড়ে ওঠা জঙ্গি নেতা বাংলাভাই সম্পর্কে জানতে চাইলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই-ইংশিল ভাই কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। ১৯৭১-এর ঘাতক, বিএনপি সরকারের মন্ত্রী, জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন আরো এক কাঠি এগিয়ে, সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই বলে নাকি কেউ নেই। সবই নাকি মিডিয়ার সৃষ্টি!  



    বিশ্বাসের ভাইরাস


    গোকূলে বেড়ে ওঠা জিহাদীরা এরই মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গুলশানে ও শোলাকিয়ায় দুটি বড় ধরণের হামলা চালিয়ে পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। দেশ-বিদেশের চাপে সরকারও বাধ্য হয়েছেন, আগের নমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসে “জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণা করার।



    এখানে লক্ষ্যনীয়, হলি আর্টিজানে একসঙ্গে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে জঙ্গিরা খুন না করে যদি কোনো ব্লগার সমাবেশে একই হত্যাযজ্ঞ চালাতো, তাহলে কী দেশে-বিদেশে একই প্রতিক্রিয়া হতো? সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এখন যেভাবে জঙ্গি বিরোধীতায় সোচ্চার, তখন কী তারা একইভাবে সোচ্চার হতেন?



    সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, জঙ্গি হামলার ঘটনায় যাদের বিচার করার কথা, তারাও এখন জঙ্গিদের বিচার চাইছে। আর ব্লগার খুনের জন্য প্রকাশ্যে ফতোয়া দেওয়ায় যে হেজাজতি শফি হুজুরকে বিচারের মুখোমুখি করা খুবই জরুরি, তিনিও দেখি সেদিন বিবৃতি দিয়ে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা অ-ইসলামিক বলে নতুন ফতোয়া দিয়েছেন!


    আরো লক্ষ্যনীয়, গুলশান থেকে শোলাকীয়ার হামলাকারীরা সকলেই ধনী ঘরের ছেলে, ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া, উচ্চ শিক্ষিত—এই তথ্য বেরিয়ে আসার পর উচ্চবিত্ত শ্রেণী নড়েচড়ে বসেছেন। এতোদিন “নাস্তিক ব্লগার খুন” মাদ্রাসার বিপথগামীতা ও দূরাগত বিষয় বলে তাদের কাছে মনে হলেও রাষ্ট্রের মূখ্য পরিচালক এই শ্রেণীটি এখন জঙ্গি সমস্যাকে স্বার্থগত কারণে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা বলে ভাবতে শুরু করেছেন। নিজ নিজ সন্তানের পথোভ্রষ্টতা নিয়ে তারাও শংকিত।  



    এরই ধারাবাহিতায় এখন কেঁচো খুড়তে সাপ ও পরে অ্যানাকোন্ডা বেরিয়ে আসছে।



    জিহাদ আমদানী হচ্ছে


    সম্প্রতি ড়্যাব যে ২৬২ জনের নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাদের অনেকেই জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তালিকার কয়েকজন নিহত জঙ্গির নাম তো আছেই, আছেন বৈমানিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরাও।


    খবরে প্রকাশ, আইন-শৃংখলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, তালিকায় রয়েছে একটি ঢাকার একটি চিকিৎসক পরিবারের নাম, যারা কিছুদিন আগে জিহাদে যোগ দিতে স্বপরিবারে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।



    যশোরের একজন কলেজ শিক্ষিকাও একাইভাবে পরিবারসহ চলে গেছেন সিরিয়ায়।



    চট্টগ্রামের আরেক প্রকৌশলী জিহাদ করতে জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় গেছেন বলে তার পরিবারকে জানিয়েছেন।



    খবরে আরো প্রকাশ, জিহাদীদের অনেকেই মালয়শিয়া ফেরৎ ও বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মালয়শিয়ায় দীর্ঘদিন আইএস ঘাঁটি গেড়ে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। আর নর্থসাউথে কয়েক বছর ধরে ছাত্র-শিক্ষকদের সহায়তায় জঙ্গিগ্রুপ হিজবুত তাহরীর খুলে বসেছে রিক্রুট সেন্টার।   



    প্রশ্ন হচ্ছে, গুলশান হামলায় না হয় “কাফের নাসারা” কতল করা হলো, কিন্তু শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে কেন জঙ্গিরা হামলা করতে গেল? কেন মুসলিম হয়ে মুসলিম ভাইদের ওপর আঘাত? কেন এই ফ্রেন্ডলি ফায়ার? এটি আর কিছুই নয়, জঙ্গিরা সহি ইসলাম কায়েম করতে চায়। আর ঈদের নামাজ সহি ইসলাম নয়। কারণ, বছর দুয়েক আগে আইএস ফতোয়া দিয়ে সিরিয়ায় ঈদের নামাজ নিষিদ্ধ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, নবীজী ঈদের নামাজ পড়তেন না, তাই ঈদের নামাজ পড়া হারাম!


    সহি ইসলাম চেয়েছে বলেই গুলশানে জঙ্গিরা হিজাবধারী বেশকয়েকজন দেশি-বিদেশি জিম্মীকে ছেড়ে দেয়েছ, যারা ঠিকঠাক মতো আয়াত বলতে পেরেছেন, সে সব বাঙালিদের মুক্তিও মিলিছে। হলি আর্টিজানের জিম্মী দশা থেকে মুক্ত কর্মচারিরাও এরকম ভাষ্য দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।



    আর গুলশান হামলার পর পরই আইএস, তথা সাইট ইন্টেলিজেন্ট জিহাদী পাঁচ জঙ্গির অস্ত্রসহ ছবি ও নামধাম প্রকাশ করেছে। দুদিন পর আরো তিন বাঙালি যুবকের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইএস, যেখানে গুলশান হামলার প্রশংসা করে বাংলা ও ইংরেজিতে যুবকেরা জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানাচ্ছে।


    আগেও ব্লগারসহ ভিন্নমতের জনদের খুন করার পর আইএস এসব হত্যার দায় স্বীকার করে টুইট করেছে। সরকার পক্ষ বলেছে, দেশে নাকি কোনো আইএস নেই, দেশিয় জঙ্গিরাই আইএস-এর নামে এসব টুইট করছে।



    আর এবার গুলশান অপরেশনের পর  হাতেনাতে প্রমান হলো, আইএস-ই পরিচালিত করছে এসব হত্যাযজ্ঞ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর এখন জঙ্গিরা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে, তাদের অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-পয়সা, আশ্রয়, প্রশিক্ষণ শিবির তো রয়েছেই, জঙ্গিরা এখন সুইসাইডাল মিশনে বেপরোয়া।…



    কাঁটায় কাঁটা নাশ?


    খবরে প্রকাশ, দেশের ২৩ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় না ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর ৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এই যখন মূলধারার শিক্ষা প্রাথমিকের প্রকৃত চিত্র, তখন মাদ্রাসা শিক্ষার বেহাল দশা সহজেই অনুমেয়।



    বলা ভালো, সরকারের কথিত জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি শুরু থেকে কার্যকর হলে সহজেই হয়তো এতো প্রাণনাশ এড়ানো যেতো। জঙ্গিরাও ভেতর থেকে দুর্বল হতো অনেকাংশে। কিন্তু দৃশ্যতই তা হয়নি, বিষবৃক্ষটিকে অবাধে বেড়ে উঠতে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।



    কিন্তু ইতিহাস বলছে, শুধু অস্ত্রে জিহাদী সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় না। বিশেষ করে জিহাদ যখন সুইসাইডাল হয়, তখন তো নয়ই। আফসোস, মগজ ধোলাই হওয়া জিহাদীরা যদি ভাবতে পারতেন, আইএস কাদের সৃষ্ট, এর অস্ত্র-অর্থের উৎস, নিরীহ মানুষ বধে ক্ষতি কার, লাভই বা কার, জিহাদীরা কাদের ক্রিড়ানক, তাহলে হয়তো পুরো কর্মযজ্ঞ কঠিন হতো, কিন্তু তা হওয়ার নয়, জঙ্গিদের ধর্মের নামে ভাবনার জগৎটিকে একপেশে করে তৈরি করা হয়েছে একেকটি মুজাহিদ কিলিং মেশিন। তাই শুধু বল প্রয়োগে ফ্যানাটিক ফারাবি থেকে শুরু করে নিবরাসদের দমন করা যাবে না। আর দু-একটি মাদ্রাসা বা পিস টিভি বন্ধই যথেষ্ট নয়।  



    আসলে প্রয়োজন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎসমুখ বন্ধ করা। জঙ্গিবাদের ছানাপোনা উর্বরভূমি মাদ্রাসা শিক্ষার আমূল সংস্কার চাই। দরকার ইংরেজি শিক্ষারও সংস্কার। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিকেই অভিন্ন অসাম্প্রদায়িক-বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতির ভেতরে পরিচালনা জরুরি। কাজটি কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। দেশপ্রেমিক সরকারের সদিচ্ছা, জনসচেতনা তো বটেই, পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষাও জরুরি।



    তবে রাস্তায় নামি চলো


    আমাদের কলেজে পড়ুয়া গিটারিস্ট ছেলে অদ্বিত অনন্ত সেদিন গুলশান হামলার পর একটি নতুন গানের খসড়া করেছে। তার শেষ কথাগুলো অনেকটা এরকমঃ



    “…যতো আলপনা সব আমরা আঁকবো


    যতো ভেজা রক্ত ধুয়ে ফেলি না হয়


    এখানে থাকবে না কোনো মগজ-ধোলাই


    পিছলে পড়বে না কোনো মেধাবী সন্তান


    চাপাতি থাকবে শুধু কসাইয়ের হাতে


    একজন নারী নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরবে রাত ১২টায়


    সবাই হয়ে উঠবো তরতাজা


    দুশ্চিন্তগ্রস্থ মানসিক রোগি নয়


    এখানে আমরা সবাই রাজা।



    এখনো নামবে না রাস্তায়?



    তবে পুরো পৃথিবী রক্তাক্ত গুলশান হতে


    আর বেশি দূর নেই


    এইতো কাছেই দেখা যাচ্ছে-


    সেদিন মৃত্যুর সাক্ষী শুধু আমি থাকবো।…”



    অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার আহ্বান, মুক্তমনাদের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। অধ্যাপক অজয় রায় যেমন বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিপক্ষে প্রগতিশীল-মুক্তচিন্তার মানুষদের সংগঠিত হয়ে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, ছাত্র, শিক্ষকসহ সব শ্রেণীপেশার মানুষের একত্রিত হওয়া চাই।



    বটম লাইনে- কলম চলবে।…


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | 233.176.46.143 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৬:৫০81662
  • কারা র‌্যাডিকাল হল রোবু ?
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.158 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৭:৪০81663
  • মাদ্রাসা শিক্ষা , অর্থাৎ স্বীকৃত মাদ্রাসা শিক্ষা ৯৯% বাকি বোর্ডের মতই , মাদ্রাসা , সিনিয়র মাদ্রাসা ,হাই মাদ্রসা ভাগ আছে , ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে ইসলামিক হিস্ট্রি , ফার্সি ইত্যাদি পড়ানো হয়ে থাকে -সেখানেও ফিজিক্স , কেমিস্ট্রি , ভূগোল ,ইংরাজি সবই বাকি বোর্ডের মতই পড়ানো হয়ে থাকে - পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৭০০ স্বীকৃত মাদ্রাসা আছে - তার মধ্যে শুধু ছেলেদের , ছেলে এবং মেয়ে , এবং কেবল মেয়েদের মাদ্রাসা বর্তমান , কিছু মাদ্রাসা তে হাতের কাজ শেখানো হয় , এবং পশ্চিমবঙ্গের মাত্র তিনটে -চারটে মাদ্রাসায় উর্দু শিক্ষার মাধ্যম বাকি জায়গায় বাঙলা এবং ইংরাজি মাধ্যমে পড়ানো হয় । মাদ্রাসায় প্রায় ৬-৭লক্ষ ছেলে মেয়ে পড়ে তার মধ্যে প্রায় ৫০০০০-৬০০০০ ছাত্র ছাত্রী হিন্দু , বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ৬০% মেয়ে এবং ৪০% ছেলে । মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করলে যে কোন কলেজে ভর্তি হওয়া যায় - CBSE,কেন্দ্রীয় বোর্ড , ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের মতই মাদ্রাসা বোর্ড সবখানে স্বীকৃত । এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে , স্থানীয় উদ্যোগে আবাসিক মাদ্রাসা আছে - সেখানে এই পাঠক্রম অনুসৃত হয়না সেখানে মূলত ইসলাম পড়ানো হয় বা থিওলজি স্কুল গোত্রের ।
  • রোবু | 233.29.204.178 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৭:৪৫81664
  • সারা দুনিয়াই। তোমার কথাটাই বলতে চাইছি।
    "দেখুন, ধর্ম সব সমস্যার মূল, তাকে উপড়ে না ফেললে উপায় নেই, তার জন্য ধর্মকে তেড়ে গাল দিতে হবে, ধার্মিক হলেই বলতে হবে তারাও দায়ী, মডারেট বলে কিছু হয়না, মুক্তমনাদের অনেকেরই স্ট্যাণ্ড এটা।" - এই স্ট্যান্ডটা র‍্যাডিকাল। এর বিপ্রতীপে, ধর্মকে ধ্বংস করছে, অতএব মুক্তমনাদের কোপানো জাস্টিফাইয়েব্ল - এই স্ট্যান্ডটা তো র‍্যাডিকাল বটেই।

    না, এখানে কোনও কথা কারুর সেপেসিফিক কোনও পোস্টকে টার্গেট করে বলছি না। চোখের সামনে দেখছি, সোশ্যাল নেটয়ারকিং আর ২৪ ঘন্টা নিউজ চ্যানেল আসার পর থেকে দুনিয়াটা আরও আরও র‍্যাডিক্যাল হয়ে গেল। সেটাই বলছি।
    আমার পারসেপশন ভুল হতে পারে।
  • π | 233.176.46.143 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৮:০১81665
  • না, সেটা ঠিকই।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.158 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৮:২০81666
  • "বিপ্লব রহমান বাবু - আমি খুব একটা শিষ্টতার ধার ধারিনা , বাকুনিন থেকে চমস্কি কেউই খুব একটা ধারেন না , আমার বিন্দুমাত্র পলিটিক্যাল কারেক্ট হবার দায়ও নেই - কালো কে কালো এবং সাদা কে সাদা বলবার প্রয়াস রাখি তাতে কারো গাত্রদাহ হলে আমি অপারগ । মুক্তমনা বলে যাঁদের আপনি দাবী করছেন তারা কি করবেন সেই নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথাও নেই তবে তারা কোন গোত্রের সেই প্রসঙ্গে আমি কেবল চমস্কি এবং বাকুনিন এর কিয়দংশ কোট করেছি। এখানে মার্ক্সবাদ এর উল্লেখও নেই ।

    আপনি বলছেন “ আপনি আবির্ভূত না হলে জঙ্গি আর মুক্তমনা যে "উভয় প্রতিক্রিয়াশীল" এই মহান আসমানী জ্ঞান থেকে বন্চিত হতাম।” তা যেনে নিন আমি যাকে কোট করেছি তার নাম বাকুনিন তিনি একজন খ্যাতনামা “মৌলবি “ছিলেন । তিনি এই ধরনের ‘মুক্তমনাদের বিষয়ে আজকে নয় আজথেকে ১৪২ বছর পূর্বে বলেছেন “ Those gentlemen are bourgeois from head to toe,incorrigible metaphysicians in their methods, habits,and the way of life , even when they call themselves positivists and fancy themselves materialists .”

    "দেখুন, ধর্ম সব সমস্যার মূল, তাকে উপড়ে না ফেললে উপায় নেই, তার জন্য ধর্মকে তেড়ে গাল দিতে হবে, ধার্মিক হলেই বলতে হবে তারাও দায়ী, মডারেট বলে কিছু হয়না, মুক্তমনাদের অনেকেরই স্ট্যাণ্ড এটা।" এই যদি স্ট্যান্ড হয় তবে আমি বাকুনিনের মতই বিশ্বাস করি Those gentlemen are bourgeois from head to toe, এবং প্রতিক্রিয়াশীল -আপনি কি সেই দলে ? যদি না হন তাহলে গায়ে লাগবার মত কিছু নেই ।
  • π | 233.176.46.143 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৮:২৬81667
  • লাস্ট প্যারাটা কি আমাকে বললেন ?

    আর আমি হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে একটা প্রশ্ন করেছিলাম দেবব্রতবাবু। আর সব মুক্তমনাই এরকম ভাবেন না, সেটাও বলেছিলাম। তো তাঁদের নিয়ে আপনি কী বলবেন ?
    বিটিডব্লু, আমার তো ধারণা বিপ্লব রহমানও এরকম ভাবেন না ঃ)
  • muktomona | 130.59.39.94 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩২81668
  • আবার আসিছে ফিরিয়া। নিরাপদ দূরত্বে বসে চিমটিকাটা বামাতি। ফারাবী গোত্রের দার্শনিক।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.158 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ০৮:৩৬81669
  • না আমি মনে করিনা সব মুক্তমনা এক গোত্রের , সেটা অবাস্তব তবে মুক্তমনা বলতে আমি একটি বিশেষ গ্রুপের কথা বলছি যারা মনে করেন " ধর্ম সব সমস্যার মূল, তাকে উপড়ে না ফেললে উপায় নেই, তার জন্য ধর্মকে তেড়ে গাল দিতে হবে, ধার্মিক হলেই বলতে হবে তারাও দায়ী, মডারেট বলে কিছু হয়না," এই বিশেষ গ্রুপ যাঁদের কাজ কেবল একটি বিশেষ ধর্মকে টার্গেট করে গালমন্দ পারা -তাঁদের আমি বাকুনিনের ভাষায় Those gentlemen are bourgeois from head to toe, এবং প্রতিক্রিয়াশীল বলে মনে করি । এনারা এক ধরনের মৌলবাদী এবং ধার্মিক , এনাদের ধর্ম "স্টেট রিলিজিওন " এখন বিপ্লব রহমান বাবু যদি সেই ধরনের মৌলবাদী না হন তাহলে গায়ে লাগার কথা নয় ।
  • ss | 53.243.207.145 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ১০:৪৫81670
  • "তবে মুক্তমনা বলতে আমি একটি বিশেষ গ্রুপের কথা বলছি যারা মনে করেন " ধর্ম সব সমস্যার মূল, তাকে উপড়ে না ফেললে উপায় নেই, তার জন্য ধর্মকে তেড়ে গাল দিতে হবে, ধার্মিক হলেই বলতে হবে তারাও দায়ী, মডারেট বলে কিছু হয়না," এই বিশেষ গ্রুপ যাঁদের কাজ কেবল একটি বিশেষ ধর্মকে টার্গেট করে গালমন্দ পারা -" - বিপ্লবের লেখায় এ রকম কিছু পেলাম না তো!

    অবশ্য বাকুনিন থেকে চমস্কি, ১৪২ পূর্ব সময় থেকে বর্তমান, কোন কোটই বিপ্লবের পোস্টে নেই। দেবুদা কত্তো জানেন!

    আরো লিখুন।
  • π | 24.139.209.3 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ১০:৫৮81672
  • আমিও সেটাই বলছি দেবব্রতবাবু। সব মুক্তমনারা যখন এরকম নন, তখন মুক্তমনাদের ব্ল্যাঙ্কেট এরকম অভিযোগ তুলে অভিযোগ করলে কিন্তু সবারই গায়ে লাগবে, যাঁরা এরকম নন, তাঁদেরই বরং বেশি করে লাগবে।
    এটা আপনি ক্ল্যারিফাই করে দিয়ে লিখলে, আপনার মতও কোন এক্সট্রীমে অতিসরলীকরণ লাগতো না।

    আর আপনি যে পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বলছেন, মজা হল বিপ্লব রহমানের বহু পোস্টেই তার বিরোধিতা করতে দেখেছি। এখন একটা পুরানো লেখা টইয়ে উঠে এসেছে, সেখানে বিপ্লব রহমানের কমেন্ট ফিরে পড়লাম। খেয়াল করে দেখলাম, বিপ্লব রহমান ও অনেক মুক্তমনাই এরকম মত পোষণ করেন, ঐ রামপাল নিয়ে আপনাকে যেরকম বলতে দেখেছি, তার সাথে বিশেষ দ্বিমত নেই বোধহয়। আবার যাঁদের আছে, তাঁরা এখানে বিপ্লব রহমানের সাথে সহমত। এতে বেশ মজা লাগল ঃ) । কিন্তু এটাই স্বাভাবিক হয়তো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মানুষের আলাদা মতামত থাকতে পারে, কোথাও ওভারল্যাপ হবে, কোথাও হবেনা। ওরকম একটা দুটো খোপে সবাইকে ফেলে দেবার মত, মুক্তমনা মানেই সাম্রাজ্যবাদ কি পুঁজিবাদের বিরোধিতা না করা বা তাদের দ্বারা পুষ্ট, এমন হবেনা। আবার এরকম লোকজনো থাকবেন। তাঁদের মধ্যে কোন সাবসেট ধর্ম নিয়ে চরম বিরোধিতা করবেন, কেউ ততটা করবেন না। এই সব রকমই থাকবে। কোন ইস্যু নিয়ে বিরোধিতা থাকলে, সেটা সেই পয়েন্টে এলেই ভাল মনে হয়, পুরো সেটকে স্টিরিওটাইপ না করে। তাতে খুব ঘাঁটা তর্ক হতে থাকে বলে মনে হয়।
  • Biplob Rahman | 129.30.35.239 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ১১:১০81679
  • দেবব্রত বাবুর মুক্তমনা, জঙ্গিবাদ, পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, প্রতিক্রিয়াশীল, স্যোশাল রেভ্যুলিউশন ইত্যাদি হেনতেন জ্ঞানবিদ্যার পর পশ্চিমা শিক্ষা" ও মাদ্রাসা শিক্ষার দেশনা বেশ লাগলো।

    বিশেষ করে আসমানি কিতাব নির্ভর মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে ওনার গদগদভাব দেখার মতো! এই মাদ্রাসাগুলো থেকে আমরা বছরে কতো ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, জজ, ব্যারিস্টার পাচ্ছি, তার কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে কী?

    এপারে মাদ্রাসা শিক্ষা অবশ্য আরো ভয়াবহ, খেলাফত-শরিয়ত-বেহেস্তি শিক্ষার বাইরে দেশ-সমাজ ও ইতিহাস বিচ্ছিন্ন।

    সরেজমিন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তারই টুকরো চিত্র।
    পড়ুন: http://www.desh.tv/news/2016-07-30/details/36373
  • cm | 127.247.99.2 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ১১:২০81673
  • যাক খুচরো ভুল বোঝাবুঝি মিটে যাওয়ার পরে দেবব্রতবাবু সোশাল রিভোলিউশন কিভাবে হবে তার সুলুকসন্ধান দেবেন বলে আশা রাখছি।
  • amit | 213.220.152.70 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ১১:৩৬81680
  • বিপ্লব বাবু, শুভেচ্ছ রইলো আপনাকে, যার সাথে তর্কে নেমেছেন, তার হস্তিদর্শন এর দক্ষতা অসাধারণ, অন্তত আগের বেশ কটা টইতে তার বেশ ভালো নমুনা পাওয়া গেছে। এর থেকে দেওয়ালে মাথা ঠুকলে হয়তো ভালো ফল পেতেন।

  • Biplob Rahman | 129.30.39.205 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৬ ১২:০৫81631
  • দেবব্রত বাবু,

    আপনার স্পর্ধা অনেক আগেই শিষ্টতার মাত্রা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশে মুক্তমনার সংগ্রাম হেনতেন হওয়া উচিৎ এইসব এজেন্ডা বেঁধে দেওয়ার আপনি কোন কুতুব হে? সত্যি বলছি, আপনি আবির্ভূত না হলে জঙ্গি আর মুক্তমনা যে "উভয় প্রতিক্রিয়াশীল" এই মহান আসমানী জ্ঞান থেকে বন্চিত হতাম।

    ও রকম দু-চার লাইনে শ্রেণী সংগ্রামের বুলি কপ্চালে সস্তা হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু তাতে যুক্তি-তর্ক-বিজ্ঞানের লড়াই, আর যে সাম্রাজ্যাবাদ বিরোধী শ্রেণী সংগ্রামের পথ যে অভিন্ন, সেই সহজ এজেন্ডা ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

    না জানলে জেনে নিন, মার্কসবাদ নিঃসন্দেহে একটি মহান জ্ঞান, কিন্তু তারচেয়েও বড় জ্ঞান হচ্ছে --কাণ্ডজ্ঞান। আর আপনি সেই জ্ঞানটি গুলে খেয়েছেন।

    তাই আপনার হস্তি দর্শনজনিত সমস্ত কু যুক্তির শুধু প্রতিবাদ নয়, তীব্র ধীক্কার জানাই।
  • Biplob Rahman | 129.30.32.237 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০১:১৮81681
  • আলোচনাটি সুসংহত করার জন্য পাইদি ও অরণ্যকে অনেক ধন্যবাদ।

    পরিস্থিতি সত্যিই খুব ক্লান্তিকর (হাই তোলার ইমো)।

    অমিত বাবুকে ক। (হা হা প গে) =))
  • dc | 132.164.217.16 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৩81682
  • "আর একটা জিনিস মনে হয় - মুক্তমনা, নিও অ্যাথিস্ট, কম্যুনিস্ট, সোশালিস্ট হ্যানা ত্যানা এই যে সব ট্যাগ - এগুলোর কি সত্যি কোন দরকার আছে?
    মানুষ শব্দ-টাই কি যথেষ্ট নয়?"

    খুব ভালো লাগলো।
  • Ekak | 53.224.129.60 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:০২81683
  • শ সাহেব তো একদিকের পিগ নিয়ে বলে ছেড়ে দিয়েছেন । কিন্তু আরেকদিকের ? সোশ্যাল স্ফিয়ারকে এতদিন ধরে দেখে ও চেখে যেটুকু বুঝেছি , ইউ মে চুস নট টু ফাইট উইথ পিগস , বাট স্টিল ইফ ইউ ফাইট ফর পিগস , ইউ আর গনা এন্ডআপ ফাইটিং উইথ পিগস ইভেঞ্চুয়ালি । কাজেই , চণ্ডাল সাবধান :)

    রাডিক্যালিজম আমার খুব প্রিয় সাবজেক্ট কারণ র্যাডিক্যালিজম ছাড়া ইনোভেশন হয়না । কিন্তু এর মধ্যে কিছু গোপন গল্প আছে যা না বুঝে ঝাঁপালে মুশকিল । পুঁজিবাদ কি টেরোরিজম বাড়িয়েছে ? একশোবার বাড়িয়েছে । তাহলে পুঁজিবাদ কি টেরোরিজম বাড়ায় ? নট , এক্সক্লুসিভলি । টেরোরিজম নিয়ে চেঁচানোর সময় আমরা যেটা ভুলে যাই তা হলো টেরোরিজম আসলে একটা মার্কেট মডেল যেখানে স্টেট্ এজেন্ডা আউটসোর্স হয় থ্রু মার্সেনারি বডি । তারা কখনো ক্যাশ এ পেইড ব্যাক হয় , কখনো তাদের শহীদ বেদি বসে । গল্পটা কিন্তু এক । রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সংঘর্ষের যে পাওয়ার ক্ল্যাশ তার মধ্যে থেকেই আধুনিক টেরোরিজম এর উৎপত্তি । সেটা বর্তমান ইতিহাস সারণী তে দাঁড়িয়ে দেখলে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ঠেকাতে গিয়ে আমেরিকার দ্বারা চুলকে দেওয়া টেরোরিজম । তার মানে এই নয় যে ও পুঁজিবাদী তাই টেরোরিজমকে মদত দিয়েছে । পুঁজিবাদের আগ্রাসনের সঙ্গে লড়তে গেলে একটি সোশালিস্ট রাষ্ট্রকেও সুযোগ বুঝে ওই পথে হাঁটতে হতো । আর এই এথেয়িস্ট দের লম্ফঝম্পের পেছনে আমেরিকার হাত আছে ? আছে তো !! ক্রিশ্চিয়ানিটিতে ইসলামের চেও বেশি মানুষ মারার কথা আছে । কিন্ত ওরা ওই গেম লেভেল টা পেরিয়ে গেছে এবার বাকিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে নাস্তিকতার মাধ্যম দিয়ে । বুর্জোয়িস লিবারাল রা আসলে কোলাবোরেটর ? ঠিক বলেছেন । এদের সবাই কাজে লাগায় কারণ এরা না থাকলে শ্রেণীগত স্বার্থের জায়গায় দাঁড়িয়ে কেও নিজের লোকাল কালেক্টিভের স্বার্থ কে সাবোটাজ করে বাইরে থেকে আসা ধারণাকে রাস্তা করে দেয়না । এটা যখন , সোভিএট্ নারী বিলি হতো তখন ও সত্যি আবার যখন পশ্চিমি নাস্তিকতার ধারণা শরিয়তি বিশ্বাসের ওপর চাপানো হয় তখনও সত্যি । কোনদিকে যাবেন ?

    ভাবুন , নিজেকে সমুদ্রগুপ্ত হিসেবে ভাবুন । বা ভাবুন , আপনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যখন ভারত স্বাধীন হবো হবো করছে । ভাবুন আপনি ব্রিটিশ ভাইসরয় । যেকোনোভাবে হোক আপনাকে একটা গোলমেলে বাফার খাড়া করে দিয়ে যেতে হবে এশিয়া আর সোভিএট্ এর ভূগোলের মাঝখানে । কী করতেন ? ঠিক যা করতেন , তাই করা হয়েছে । নিজেকে এন্টারপ্রেনিওর হিসেবে ভেবে দেখুন , রাষ্ট্রশক্তির ব্যবসায় নেবে টেরোরিস্ট মদত দেওয়া এবং তাদের কাজে লাগানো একটা টুল বই কিছু নয় । ওপরে উঠে আসুন । ড্যাব ড্যাব করে দেখুন । দেখতে পাবেন ।

    বা নিজেকে আত্তিলা দা হান ভাবতে পারেন । আধুনিক আত্তিলা । যার হাতে অলরেডি পাকিস্তান থেকে বেহাত হওয়া নিউক চলে এসেছে । দাস ব্যবসা করে অলরেডি আইসিস কারেন্সি কন্ট্রোলে এনে ফেলেছেন । শারিয়া মেন্টেন করতে পারলে মিনিমাম কস্ট এন্ড ওভারহেড এ শাসন চালিয়ে দেওয়া যাবে । কাজেই এবার কীভাবে সরাসরি ট্রেড এন্ড শেয়ার মার্কেটের বড়ো হনুদের সঙ্গে নিগোশিয়েট করে বড়ো একশন করা যায় তার তাল করছেন ।

    এসব ভাবতে ভাল্লাগছেনা ? আপনি ছাপোষা মধ্যবিত্ত ? একটু শান্তিতে সংসার -বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে থাকতে চান ?আপনি পুঁজিবাদী বা মাওবাদী বা আধুনিক আত্তিলা কোনোটাই না ?

    তাহলে বাল এসব অমুকবাদ -তমুকবাদের দালালি না করে কত কম রক্তক্ষয়ে কত বেশি শান্তি কেনা যায় সেটা ভাবুন । কার বিশ্বাস অন্ধ কার বিশ্বাস চক্ষুষ্মান সে ঠিক করে দেওয়ার ঠিকাদারি আপনাকে কেও দেয়নি । খুঁচিয়ে ঘা করবেন না । আবার অকারণ তেড়ে এলেও ছেড়ে দেবেন না । এপোলোজিস্ট এবং কনফিউসড হওয়া প্র্যাকটিস করুন । কনভিকশন থেকেই রাডিক্যালিজম আসে । কনভিকশন ত্যাগ করুন । ধর্ম নিয়ে একটু আধটু এপোলোজি চেয়ে নিলে যদি দুটো কল্লা কম কাটা পরে নাহয় নিলেন । আপনাদের ঠাকুমার ঠাকুমা ন বছরে গর্ভবতী হয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে, মুম্মাদকে খিস্তি না করে বরং দেখুন কীভাবে বোঝানো যায় যে বাপু তোমার তো মদিনার স্বর্ণমুদ্রার বস্তা নেই , বরং মেয়েটাকে একটু পড়াশোনা শেখাও ,উপার্জনশীল হয়ে বিয়ে করুক । ডায়ালগে যান । কোন ব্যাটা আগে পেদেছিল এই তর্ক করে পৃথিবীময় পাদাপাদি বন্ধ করুন । এরচে আনপ্রোডাক্টিভ বালামো আর কিছু হয়না ।
  • dc | 132.164.217.16 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:০৮81684
  • কিন্তু পাদা বন্ধ করা কি সম্ভব?
  • Ekak | 53.224.129.60 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:১১81685
  • খাদ্যাভ্যাস বদলালে কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব । পুরো বন্ধ কে চেয়েছে ।
  • cm | 127.247.98.218 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৩২81686
  • একক রিলেটিভাইজ করলেন কেন? এখানে বেশিরভাগই পরমে বিশ্বাসী।
  • Ekak | 53.224.129.60 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৮81687
  • পরমে বিশ্বাস তো চরমে গেলে এতো কান্না কেন ? :))
  • ss | 53.243.207.145 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৩81688
  • বিপ্লবের সুতো থেকে, এ তো ভয়াবহ ব্যাপার! দেবু দা, আপনি কোথায়?

    "কওমী শিক্ষার্থীরা জানেনা মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার ইতিহাস
    শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬ (১৯:৩২)

    মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার ইতিহাস জানে না কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা—জাতীয় সংগীত গায়না তারা, উত্তোলন হয় না জাতীয় পতাকা। আর জানে না অন্যান্য ইতিহাসও। ফলে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আলাদা থাকা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা হারাচ্ছেন উচ্চ শিক্ষার সুযোগ। এমন তথ্য দিয়েছেন গবেষক বিশ্লেষকেরা।

    এজন্য কয়েক লাখ নতুন প্রজন্ম প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও মত দিয়েছেন তারা। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একজন প্রকৃত মানুষ হতে যতটা শিক্ষার দরকার সে শিক্ষাই এখান থেকে শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকেন।

    ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৮৬৬ সালে ভারতের দেওবন্দ থেকে কওমী মাদ্রাসার যাত্রা শুরু। বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ এই তিন দেশেই মুসলিম সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় এই শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকারি হিসেবে কওমী মাদ্রাসার সংখ্যা তিন থেকে চার হাজার হলেও বেসরকারি সূত্রের তথ্যে এই সংখ্যা অন্তত ১৫ হাজার। দীর্ঘদিন ধরেই কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে।

    গবেষক, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদদের মতেও কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যথেষ্ট না।

    মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ইসলাম শিক্ষার বাইরে সাধারণ বিষয়ে তেমন কোনো ধারনা শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় না এসব মাদ্রাসায়।

    এদিকে, সম্প্রতি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ১ হাজার কওমী মাদ্রাসার ওপর গবেষণা চালায়।

    এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে জানানো হচ্ছে ভুল তথ্য আর শিখছে অন্য ইতিহাস।

    এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কওমী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট্ বলেন, কোনো কওমী মাদ্রাসা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শিক্ষা দেয় না বরং সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই সন্ত্রাসী বের হচ্ছে।

    কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে ২০১৩ সালে সরকার একটি কমিটি গঠন করে। সরকারের কাছে কয়েকটি সুপারিশ করে কমিটি। কমিটির কো-চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, হেফাজতের আন্দোলনের মুখে সে সুপারিশ স্থগিত হয়ে যায়।

    সম্প্রতি দেশের জঙ্গিদের সহিংস কর্মকাণ্ড মাদ্রাসা শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।"
  • pi | 233.231.46.78 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৪81689
  • এককের শেষ প্যারাটায় পুরো ক।
    আর এটা আমি মনে করি, কনভিকশন বললে তাই, যে ডায়লগে গেলে বা যাবার চেষ্টা করলে, শুরুতে অনেক হেঁচকি হোঁচট থাকলেও, অনেক কিছুই , না হলেও কিছু অন্তত হওয়া সম্ভব, যা আপাত ভাবে অসম্ভব মনে হয়। আর এটা একেবারে হাওয়ায় ভাসিয়ে বলছিনা, কিছুটা অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
  • ss | 53.243.207.145 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৭81690
  • ওদিকে জিহাদ বর্ডার পেরিয়েছে, বিডিনিউজের খবর:

    "নিখোঁজ তামিমসহ ৫ জন ভারতে বলে সন্দেহ

    নিউজ ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

    Published: 2016-07-30 13:52:00.0 BdST Updated: 2016-07-30 19:56:05.0 BdST
    গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর র‌্যাবের করা নিখোঁজ তালিকার তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ সন্দেহভাজন পাঁচজন ভারতে থাকতে পারেন বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশটির গোয়েন্দাদের জানানো হয়েছে।

    নয়াদিল্লি সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

    সূত্রের পরিচয় না দিয়ে ভারতের সংবাদপত্রটি লিখেছে, দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ছিল এই বিষয়ক আলোচনা।

    ঢাকার গুলশান এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পর জঙ্গিরা ভারতে ঢুকতে পারে আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের ভারতের রাজ্যগুলো ইতোমধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

    যে পাঁচজনকে নিয়ে ‘আলোচনা হয়েছে’, তারা কি বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছেন না কি অন্য দেশ হয়ে ভারতে গেছেন, তা স্পষ্ট নয় টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।

    এদের মধ্যে সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী একজন কানাডিয়ান বাংলাদেশি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাইফুল্লাহ ওজাকি জাপানি বাংলাদেশি। দেশ দুটি থেকে তারা নিখোঁজ।

    লক্ষ্মীপুরের এ টি এম তাজউদ্দিন অস্ট্রেলিয়া থেকে নিখোঁজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নজিবুল্লাহ আনসারী মালয়েশিয়া থেকে নিখোঁজ।

    ঢাকার বাসিন্দা নিখোঁজ জুন্নুন শিকদার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীর সঙ্গে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলার আসামি।

    গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে এই পাঁচজনের নামই ছিল।

    দ্বিতীয় তালিকায় থাকা শেজাদ রউফ অর্ক গত ২৬ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের নিহত হন। সেখানে নিহত অর্কসহ নয়জনই জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের দাবি।

    তামিম জেএমবির নেতা বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তবে আইএসের বিভিন্ন প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে তাকে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার প্রধান বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর আসছে।

    বলা হচ্ছে, কানাডার উইন্ডসরের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী তামিম ২০১৩ সাল থেকে নিখোঁজ।

    সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর ছেলে শফি আহমদ চৌধুরীর পুত্র তামিম।

    মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়। তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান। "

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1190563.bdnews
  • dc | 132.164.217.16 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৩:০০81691
  • ডায়ালগ ছাড়া তো অবশ্যই উপায় নেই। সেইজন্যই অরন্যদার কথাটা আরো ভালো লাগলো, কারন খোপে ভরে ফেল্লে ডায়ালগে যাওয়া যায় না।
  • avi | 113.217.234.38 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৩:৪৬81692
  • ভালো লাগছে। একক্কেক্ক। আর পাইদির্লাস্ট্পোস্টেক্ক।ঃ)
  • amit | 213.220.152.70 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৭:২৯81693
  • ডায়ালগ খুব ভালো কথা, কিন্তু কোন জায়গা তে দাঁড়িয়ে সেটা করা হবে ? আজকে আইসিস্ যে ইয়াজিদি মহিলাদের ধরে যৌনদাসী বানাচ্ছে, রাজি না হলে মাথা কাটছে, সেই মহিলাদের ডায়ালগ করার রাস্তা খোলা আছে কি ? যে মুক্তমনারা আজকে চাপাতির ঘায়ে মরছেন, যে দলিতরা গরুর চামড়া ছাড়ানোর নাম করে মার্ খাচ্ছে, তাদের ডায়ালগ করার রাস্তা খোলা আছে কি ? রাডিক্যালিজম যাদের পুরোপুরি ব্রেন ওয়াশ করে ফেলেছে, তাদের সাথে কি ভাবে, কি পথে কোন পন্থা নিয়ে ডায়লগ হবে ? যতক্ষণ তাদের হাতে ক্ষমতা, ততক্ষন তারা কেন আসতে যাবে ডায়লগ এ ? ততক্ষন তাদের ডায়ালগ একটাই, "মই ওয়ে অর হাইওয়ে"। যে জার্মানির সাথে 1938-39 এ ডায়ালগ এর চেষ্টা করা হয়েছিল যখন পোল্যান্ড ইনভেশন হলো, আর যে জার্মানির বা জাপানের সাথে 1945 এ ডায়লগ হলো, সেটার আকাশ পাতাল তফাৎ। যে ব্রিটিশ এম্পায়ার চীন কে আফিং যুদ্ধে হারিয়ে হংকং নিয়ে নিলো 200 বছর এর জন্য, সেটা যখন ফেরত দেওয়ার সময় এলো 1998 এ, সেই চীন আর সেই ব্রিটিশ এম্পায়ার এর ক্ষমতার আকাশ পাতাল তফাৎ, যদি আগের পটভূমি থাকতো, সোনা মুখ করে আজকে হংকং এ লাল পতাকা উড়তো না। নিজের পা শক্ত না করে ডায়ালগ এ গেলে তার ফল কি হবে সেটা নিয়ে কারো সন্দেহ আছে কি ?

    দুনিয়া তে ডিভানে জাস্টিস একটা মিথ। যে শক্তিশালী সেই জেতে, এবার শক্তির তারতম্য পাল্টায় সময়ের সাথে, সুতরাং লড়াই চলতেই থাকে, আজকে এ জেতে তো কালকে সে।

    ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম যদি শুধু ধর্মপালন হতো তাতে তো মুক্তমনাদের কোনো সমস্যা ছিল না, যে যার মতো পালন করুকনা, কিন্তু ধার্মিকরা সবাই চায় প্রভুত্ব বিস্তার করতে। তাই আমি গরু খেতে চাইলে আমাকে মার্ খেয়ে মরতে হতে পারে, আমি রমজান এর সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেলে পাকিস্তান বা সৌদিতে এ আমাকে পিটিয়ে মারা হতে পারে। মুক্তমনাদের আসল পয়েন্ট তা তো এইখানে, তোমার ধর্ম নিয়ে তুমি যেমন ইচ্ছে মারাও, আমাকে আমার মতো থাকতে দিতে এতো আপত্তি কেন ? আর সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলেই কোনো হরিদাস এসে বুর্জোয়া তত্ত্বের আমদানি করবেন।
  • Dhormer kol | 130.59.40.47 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৭:৫৩81694
  • Amit er post khub juktijukto. Nana ronger chaddigon sadharon loker individual rights recognise kore na. Jor jar muluk tar etai eder niti. Kichu antel abar eder justify korte nana ajgubi theory amdani kore.
  • π | 24.139.209.3 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৮:০৬81695
  • আবারো পয়েন্ট মিস করলেন।ধর্মকেই উচ্ছেদ করতে চাইলে সেটাও ধার্মিকদের প্রভুত্ব বিস্তার করা হচ্ছে মনে হতে পারে। এবার তাঁরা ধার্মিকদের অবশ্যই মারছেন না, তাই সেই তুলনাও হয়না, কিন্তু আটিচুড কোন এক ভাবে মাই ওয়ে অর হাইওয়েই।
    আর একেবারে চরমপন্থীদের সাথে ডায়লগের চেষ্টাতে নাহয় নাই গেলেন, কিন্তু মডারেটদের সাতেহ জান না। কিন্তু এতো দেখি, মডারেটের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়, মডারেট বলে কিছু হয়না, তুমি ধার্মিক মানেই ধর্মের নামে যা কিছু হচ্ছে, তার দায়ও তোমার, ধার্মিক মানেই মৌলবাদের বীজ পুঁতে রাখার জন্য জল, ছায়া না দাও, মাটিটুকু তো দিচ্ছ।
    আর হিন্দুত্ববাদীরা যখন বলে ইসলাম মানেই ভয়ঙ্কর, মুসলিম থেকে সাবধান, নাস্তিকদের ( বা, এখানে যাঁদের মুক্তমনা বলা হচ্ছে), তাঁদের কিছু অংশের কথাও তারই ইকো নয় কি ? তফাত হয়তো এটা, তাঁরা হিন্দুদের নিয়েও একই কথা বলতে পারেন বা বলেন হয়তো । কিন্তু কথা হল, অসহিষ্ণুতার কথা বললে, সেটা এক্ষেত্রেও আছে। ইসলামকে সমূলে উৎপাটন না করলে উপায় নেই বা সেটা করাই জীবনের লক্ষ্য বললে, মৌলবাদ কতটা কী দূর হবে জানিনা, ধর্মের সব আয়াত সুরা অর হোয়াটেভার, তা কোট ক'রে ক'রে তার রিগ্রেসিভ অংশগুলো তুলে ধরে, বা সেই লাইনে ব্যাখ্যা করে মৌলবাদের কতটা কী ছেঁড়া যাবে জানিনা, কিন্তু এটা জানি, এবং দেখেছি, যাঁরা নিজেদের মৌলবাদী মনে করেন না কিন্তু ধর্ম পালন করতে চান আর নিজেদের ধর্মকে শান্তির ধর্ম মনে করেই পালন করতে চান, নয় ঐ রিগ্রেসিভ আয়াত সুরা কোনোদিন পড়ে দেখেন নি বা বলেন এগুলোর অন্য ব্যাখ্যা আছে, এই লোকজগুলোর কাছে ধর্ম নিয়ে সমানে গাল পাড়লে, সমানে খুঁচিয়ে চললে, এদের সাথে ডয়লগে না গেলে আস্তে আস্তে এদেরকেও এলিয়েনেট করে দেওয়া হয়, শত্রু বানানো হয় এবং কোন না কোন ভাবে এঁরা ঐ মৌলবাদীদের সাথেই চলে যান। এটা বাস্তব সমস্যা। এই যতজনের ব্রেনওয়াশ মৌলবাদীরা করছে, তাদের সাথে ডায়লগ চালানোর দরকার ছিল মনে করি। আর সেই ডায়লগের রাস্তা 'মুক্তমনা'দের ঐ ধর্ম একটি বাল বিশেষ, তুমি ধার্মিক তো তুমিও একটু বাল বিশেষ, এই বলার পলিসিতে পুরোই বন্ধ হয়ে যায় শুধু না, মৌলবাদীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবার রাস্তাও খুলে যায় বলে মনে হয়।

    ডিঃ এর মানে এও নয় যে ধর্মের কোন সমালোচনা করা যাবেনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন