এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • গোড়ায় গলদ

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০২১ বার পঠিত
  • চাপাতিতন্ত্রের ভেতর


    বোধকরি মুক্তচিন্তক মাত্রই একমত হবেন যে, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নীচে মুক্তমনার সংগ্রামটি দীর্ঘতর ও অভিজিৎ রায়দের রক্তে পিচ্ছিল। বোধকরি, পথ বন্ধুর বলেই এ সংগ্রামে আমরা যারা নিজেদের মুক্তমনা বলে দাবি করি, যারা নিজেদের অভিজিৎ রায়ের লোক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি, তারা চাপাতিতন্ত্রের ভেতর জীবন বাজি রেখেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেতনার সংগ্রামটিকে এগিয়ে নিতে মরিয়া।



    এ হচ্ছে সেই কোপার্নিকাস-বুনোর উত্তরসূরিতার পথ ধরে চলে আসা অসির সঙ্গে মসির লড়াই। ইতিহাস বলছে, যুগে যুগে মসির কাছে অসি পরাজিত হয়েছে। এ জন্য মূল্য দিতে হয়েছে অনেকটাই, জীবন রক্ত ঘাম সময়—প্রতিক্রিয়াশীলরা এমনই সব অমূল্য সম্পদ কেড়ে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রগতি, মুক্তচিন্তা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংগ্রামটিকে স্তব্ধ করা যায়নি। যেমন, গলা কেটেই রোধ করা যায়নি অভিজিতদের কণ্ঠস্বর, এক অভিজিতের মর্মান্তিক মৃত্যু বিশ্বজোড়া বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে আরো দ্রুত বিস্তৃত করেছে মুক্তমনার সংগ্রাম।…এক অভিজিতের শাররীক মৃত্যু লাখো কোটি চেতনার অভিজিতের জন্ম দিয়েছে।



    মদিনা সনদে দেশ চলবে?


    আমাদের সরকারের হর্তাকর্তারা তো বটেই, এমনকি সরকারি উজির-নাজির-চাটুকার-টকশো তালেবরবৃন্দ এতোদিন ব্লগার খুন হলে খুনীর বদলে নিহতর “অপরাধ” সনাক্তে বিস্তর সময় ব্যয় করেছেন। গণমাধ্যমে, এমনকি জাতীয় সংসদে হিতাপোদেশ দিয়েছেন, ধর্মকে আঘাত না করে লেখার। কিন্তু তখন জিহাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তারা টু-শব্দ করতে ভুলে গেছেন। এ-ও ভুলে গেছেন, আস্তিক হোক, আর নাস্তিক হোক, প্রতিটি হত্যাই ফৌজদারী অপরাধ, এসব অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই আমলে নিতে হবে, যথার্থই কাজ করতে হবে হত্যাকারী বিচারে।



    কিন্তু ভোটের অংক কষে হেফাজত ইসলামকে নিজ হেফাজতে নিতে মশগুল সরকার বাহাদুর তখন মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার পথে হেঁটেছিলেন। তাই শাহবাগ গণজাগরণের কাল থেকে গত চার বছরে কোনো ব্লগার-লেখক হত্যারই এখনো সুবিচার হয়নি।



    তাই তো অভিজিৎ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও তার স্ত্রী, সহব্লগার বন্যা আহমেদকে আক্ষেপ করে লিখতে হয়, এদেশের হত্যার বিচার চাইতে গেলে আকুতি জানাতে হয়।



    অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় এই লেখককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মুক্তমনা এখন বিপন্ন। অভিজিৎ হত্যার বিচারকে সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে খোদ প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে তাকে আশ্বাস্ত করলেও তিনি তার কথা রাখেননি।



    আর জঙ্গি হামলায় খুন হওয়া অভিজিতের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম তো আক্ষেপ করে বলেই ফেলেন সেই অকপট সত্য, তিনি 


    আদৌ পুত্র হত্যার বিচার চান না, কারণ এদেশে মুক্তমনা হত্যার বিচার চেয়ে লাভ নেই।



    তোমারে বধিবে যে


    জিহাদীদের সিরিজ খুনের চাপাতির কোপ “নাস্তিক ব্লগার” এর পরিধি ছাড়িয়ে শিগগিরই বিদেশী, ভিন্ন ধর্মালম্বী, অধ্যাপক, হোমিও চিকিৎসক, সমকামী, এমনকি মসজিদের ইমাম, শিয়া ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে শেষমেষ সরকার কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু স্থানে অভিযানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। অভিযানে ধরা পড়ে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী-জঙ্গি। অবশ্য আমরা মুক্তমনারা আগেই সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলাম, ব্লগার খুন হচ্ছে জিহাদের সূচনা মাত্র; খেলাফত, তথা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার খোয়াবে মশগুল মুজাহিদরা শিগগিরই হত্যার পরিধি বিস্তৃত করবে। রাষ্ট্র দখল করাই যেহেতু তাদের লক্ষ্য, তাই তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর আঘাত হানবে শিগগিরই। আর সরকারি উদাসিনতায়, বলা ভালো, জিহাদীদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের হত্যাযজ্ঞ দেশজুড়ে ছড়াতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। …



    ঠিক এমনিভাবেই বিএনপি-জামাত সরকারের প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে সে সময় গড়ে ওঠা জঙ্গি নেতা বাংলাভাই সম্পর্কে জানতে চাইলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই-ইংশিল ভাই কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। ১৯৭১-এর ঘাতক, বিএনপি সরকারের মন্ত্রী, জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন আরো এক কাঠি এগিয়ে, সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলা ভাই বলে নাকি কেউ নেই। সবই নাকি মিডিয়ার সৃষ্টি!  



    বিশ্বাসের ভাইরাস


    গোকূলে বেড়ে ওঠা জিহাদীরা এরই মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গুলশানে ও শোলাকিয়ায় দুটি বড় ধরণের হামলা চালিয়ে পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। দেশ-বিদেশের চাপে সরকারও বাধ্য হয়েছেন, আগের নমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসে “জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স” নীতি ঘোষণা করার।



    এখানে লক্ষ্যনীয়, হলি আর্টিজানে একসঙ্গে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে জঙ্গিরা খুন না করে যদি কোনো ব্লগার সমাবেশে একই হত্যাযজ্ঞ চালাতো, তাহলে কী দেশে-বিদেশে একই প্রতিক্রিয়া হতো? সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এখন যেভাবে জঙ্গি বিরোধীতায় সোচ্চার, তখন কী তারা একইভাবে সোচ্চার হতেন?



    সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, জঙ্গি হামলার ঘটনায় যাদের বিচার করার কথা, তারাও এখন জঙ্গিদের বিচার চাইছে। আর ব্লগার খুনের জন্য প্রকাশ্যে ফতোয়া দেওয়ায় যে হেজাজতি শফি হুজুরকে বিচারের মুখোমুখি করা খুবই জরুরি, তিনিও দেখি সেদিন বিবৃতি দিয়ে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা অ-ইসলামিক বলে নতুন ফতোয়া দিয়েছেন!


    আরো লক্ষ্যনীয়, গুলশান থেকে শোলাকীয়ার হামলাকারীরা সকলেই ধনী ঘরের ছেলে, ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া, উচ্চ শিক্ষিত—এই তথ্য বেরিয়ে আসার পর উচ্চবিত্ত শ্রেণী নড়েচড়ে বসেছেন। এতোদিন “নাস্তিক ব্লগার খুন” মাদ্রাসার বিপথগামীতা ও দূরাগত বিষয় বলে তাদের কাছে মনে হলেও রাষ্ট্রের মূখ্য পরিচালক এই শ্রেণীটি এখন জঙ্গি সমস্যাকে স্বার্থগত কারণে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা বলে ভাবতে শুরু করেছেন। নিজ নিজ সন্তানের পথোভ্রষ্টতা নিয়ে তারাও শংকিত।  



    এরই ধারাবাহিতায় এখন কেঁচো খুড়তে সাপ ও পরে অ্যানাকোন্ডা বেরিয়ে আসছে।



    জিহাদ আমদানী হচ্ছে


    সম্প্রতি ড়্যাব যে ২৬২ জনের নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাদের অনেকেই জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তালিকার কয়েকজন নিহত জঙ্গির নাম তো আছেই, আছেন বৈমানিক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরাও।


    খবরে প্রকাশ, আইন-শৃংখলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, তালিকায় রয়েছে একটি ঢাকার একটি চিকিৎসক পরিবারের নাম, যারা কিছুদিন আগে জিহাদে যোগ দিতে স্বপরিবারে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।



    যশোরের একজন কলেজ শিক্ষিকাও একাইভাবে পরিবারসহ চলে গেছেন সিরিয়ায়।



    চট্টগ্রামের আরেক প্রকৌশলী জিহাদ করতে জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় গেছেন বলে তার পরিবারকে জানিয়েছেন।



    খবরে আরো প্রকাশ, জিহাদীদের অনেকেই মালয়শিয়া ফেরৎ ও বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মালয়শিয়ায় দীর্ঘদিন আইএস ঘাঁটি গেড়ে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে। আর নর্থসাউথে কয়েক বছর ধরে ছাত্র-শিক্ষকদের সহায়তায় জঙ্গিগ্রুপ হিজবুত তাহরীর খুলে বসেছে রিক্রুট সেন্টার।   



    প্রশ্ন হচ্ছে, গুলশান হামলায় না হয় “কাফের নাসারা” কতল করা হলো, কিন্তু শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে কেন জঙ্গিরা হামলা করতে গেল? কেন মুসলিম হয়ে মুসলিম ভাইদের ওপর আঘাত? কেন এই ফ্রেন্ডলি ফায়ার? এটি আর কিছুই নয়, জঙ্গিরা সহি ইসলাম কায়েম করতে চায়। আর ঈদের নামাজ সহি ইসলাম নয়। কারণ, বছর দুয়েক আগে আইএস ফতোয়া দিয়ে সিরিয়ায় ঈদের নামাজ নিষিদ্ধ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, নবীজী ঈদের নামাজ পড়তেন না, তাই ঈদের নামাজ পড়া হারাম!


    সহি ইসলাম চেয়েছে বলেই গুলশানে জঙ্গিরা হিজাবধারী বেশকয়েকজন দেশি-বিদেশি জিম্মীকে ছেড়ে দেয়েছ, যারা ঠিকঠাক মতো আয়াত বলতে পেরেছেন, সে সব বাঙালিদের মুক্তিও মিলিছে। হলি আর্টিজানের জিম্মী দশা থেকে মুক্ত কর্মচারিরাও এরকম ভাষ্য দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।



    আর গুলশান হামলার পর পরই আইএস, তথা সাইট ইন্টেলিজেন্ট জিহাদী পাঁচ জঙ্গির অস্ত্রসহ ছবি ও নামধাম প্রকাশ করেছে। দুদিন পর আরো তিন বাঙালি যুবকের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইএস, যেখানে গুলশান হামলার প্রশংসা করে বাংলা ও ইংরেজিতে যুবকেরা জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহ্বান জানাচ্ছে।


    আগেও ব্লগারসহ ভিন্নমতের জনদের খুন করার পর আইএস এসব হত্যার দায় স্বীকার করে টুইট করেছে। সরকার পক্ষ বলেছে, দেশে নাকি কোনো আইএস নেই, দেশিয় জঙ্গিরাই আইএস-এর নামে এসব টুইট করছে।



    আর এবার গুলশান অপরেশনের পর  হাতেনাতে প্রমান হলো, আইএস-ই পরিচালিত করছে এসব হত্যাযজ্ঞ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর এখন জঙ্গিরা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে, তাদের অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-পয়সা, আশ্রয়, প্রশিক্ষণ শিবির তো রয়েছেই, জঙ্গিরা এখন সুইসাইডাল মিশনে বেপরোয়া।…



    কাঁটায় কাঁটা নাশ?


    খবরে প্রকাশ, দেশের ২৩ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় না ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। আর ৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এই যখন মূলধারার শিক্ষা প্রাথমিকের প্রকৃত চিত্র, তখন মাদ্রাসা শিক্ষার বেহাল দশা সহজেই অনুমেয়।



    বলা ভালো, সরকারের কথিত জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি শুরু থেকে কার্যকর হলে সহজেই হয়তো এতো প্রাণনাশ এড়ানো যেতো। জঙ্গিরাও ভেতর থেকে দুর্বল হতো অনেকাংশে। কিন্তু দৃশ্যতই তা হয়নি, বিষবৃক্ষটিকে অবাধে বেড়ে উঠতে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।



    কিন্তু ইতিহাস বলছে, শুধু অস্ত্রে জিহাদী সন্ত্রাস বন্ধ করা যায় না। বিশেষ করে জিহাদ যখন সুইসাইডাল হয়, তখন তো নয়ই। আফসোস, মগজ ধোলাই হওয়া জিহাদীরা যদি ভাবতে পারতেন, আইএস কাদের সৃষ্ট, এর অস্ত্র-অর্থের উৎস, নিরীহ মানুষ বধে ক্ষতি কার, লাভই বা কার, জিহাদীরা কাদের ক্রিড়ানক, তাহলে হয়তো পুরো কর্মযজ্ঞ কঠিন হতো, কিন্তু তা হওয়ার নয়, জঙ্গিদের ধর্মের নামে ভাবনার জগৎটিকে একপেশে করে তৈরি করা হয়েছে একেকটি মুজাহিদ কিলিং মেশিন। তাই শুধু বল প্রয়োগে ফ্যানাটিক ফারাবি থেকে শুরু করে নিবরাসদের দমন করা যাবে না। আর দু-একটি মাদ্রাসা বা পিস টিভি বন্ধই যথেষ্ট নয়।  



    আসলে প্রয়োজন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উৎসমুখ বন্ধ করা। জঙ্গিবাদের ছানাপোনা উর্বরভূমি মাদ্রাসা শিক্ষার আমূল সংস্কার চাই। দরকার ইংরেজি শিক্ষারও সংস্কার। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটিকেই অভিন্ন অসাম্প্রদায়িক-বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতির ভেতরে পরিচালনা জরুরি। কাজটি কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। দেশপ্রেমিক সরকারের সদিচ্ছা, জনসচেতনা তো বটেই, পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষাও জরুরি।



    তবে রাস্তায় নামি চলো


    আমাদের কলেজে পড়ুয়া গিটারিস্ট ছেলে অদ্বিত অনন্ত সেদিন গুলশান হামলার পর একটি নতুন গানের খসড়া করেছে। তার শেষ কথাগুলো অনেকটা এরকমঃ



    “…যতো আলপনা সব আমরা আঁকবো


    যতো ভেজা রক্ত ধুয়ে ফেলি না হয়


    এখানে থাকবে না কোনো মগজ-ধোলাই


    পিছলে পড়বে না কোনো মেধাবী সন্তান


    চাপাতি থাকবে শুধু কসাইয়ের হাতে


    একজন নারী নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরবে রাত ১২টায়


    সবাই হয়ে উঠবো তরতাজা


    দুশ্চিন্তগ্রস্থ মানসিক রোগি নয়


    এখানে আমরা সবাই রাজা।



    এখনো নামবে না রাস্তায়?



    তবে পুরো পৃথিবী রক্তাক্ত গুলশান হতে


    আর বেশি দূর নেই


    এইতো কাছেই দেখা যাচ্ছে-


    সেদিন মৃত্যুর সাক্ষী শুধু আমি থাকবো।…”



    অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার আহ্বান, মুক্তমনাদের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়াটা জরুরি। অধ্যাপক অজয় রায় যেমন বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীর বিপক্ষে প্রগতিশীল-মুক্তচিন্তার মানুষদের সংগঠিত হয়ে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, ছাত্র, শিক্ষকসহ সব শ্রেণীপেশার মানুষের একত্রিত হওয়া চাই।



    বটম লাইনে- কলম চলবে।…


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৪ জুলাই ২০১৬ | ৭০২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:১৩81711
  • dc-কে ক। এটাই বলতে চেয়েছি। অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই নিতে হবে, ধর্মকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে, একটা জেনারেল আইনের শাসন বলে জিনিস আছে আমাদের দেশগুলোতে ( তার জন্য হয়তো ব্রিটিশ শাসন কে ধন্যবাদ )। সেইটা ঠিকঠাক আপ্পলি করা হলে হয়তো আজকে এতটা ঘুন ধরতো না। এতে এতো ডায়লগ, ভয়েস ইত্যাদি এনে ঘেটে ফেলার কোনো মানে দেখি না।

    পরে লিখছি।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৭81766
  • ঈশ্বর একটি ডানাওয়ালা বেগুনী রসগোল্লা। আছে যে, তার প্রমাণ নেই। নেই যে, তারও কোনো প্রমাণ নেই।
  • Ekak | 53.224.129.52 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৭81712
  • খী মুশকিল ! আমি তো সমস্ত আলাদা আলাদা মাইন্ডসেট এর জন্যেই আলাদা আলাদা রাস্তা লিখলুম । আপনারা কেমন লোক সেই বুঝে সেই পথে চলুন । সবাইকে ডায়ালগে যেতে হবে ক্যানো । শাখা তে যোগদান করতে হলে বলবেন হাতে কলমে কাজ করার ইচ্ছে থাকলে , যতটুকু পরিচিতি আছে সাহায্য করবো ।

    কিন্তু যাঁদের আরশোলা মারার দম নেই , বাচ্চার কপাল ফেটে গেলে চিন্তায় লো প্রেসার করে ফেলেন , তাঁরা ঘরে বসে বন্দুক লাও , কাইট্যা ফ্যালাও এসব করে কোনো ভ্যালু এড করছেন না । বরং সেই সময়টুকু চারপাশের লোকের সঙ্গে ডায়ালগে যেতে পারেন । এইটুকুই বলার ছিল :)

    জঙ্গী দের সঙ্গে ডায়ালগে যাওয়ার কোথাও আসছেঃ না , কারন তারা আপনার পাশের বাড়িতে থাকেনা । তাদের দায়িত্ব পুলিশ-মিলিটারি নিক । আপনি ছাপোষা লোক , নিজের প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাতচিত করুন , ট্রেনে -বাসে কথা বলুন । মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভার -অটোওয়ালাদের সঙ্গে বহুবার কথা হয়েছে । তাদের কারো মারমূখী ভাব । কারো অভিমানের সুর যে তাদের দোষী করা হচ্ছে । আমার আবার একগাল দাড়ি চেহারা মিলিয়ে অনেক মুসলিম ড্রাইভার মুসলিম ভাবেন । সেরকম না ভাবলেও কথা বলি , বোঝার বোঝানোর চেষ্টা করি যে ভাই তোমাকেও করে খেতে হবে , আমাকেও । ফালতু নিজের ধান্দা ছেড়ে হারামখোর পলিটিশিয়ান দের কথা কেন শুনবো । এটুকু কথা তো বলাই যায় একজন সহযাত্রীর সঙ্গে । কেও তেড়ে মারতে আসবে না ।
  • avi | 37.63.182.214 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৩২81713
  • বাহ, এটা একক বেড়ে বলেছেন তো। :-)))))
    শাখায় যোগদানটা টু গুড। হা হা। :))
  • Gechodada | 174.100.41.2 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৩৭81714
  • একক কে ক।
  • dc | 132.164.225.50 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪০81715
  • অভি, "পারস্পরিক শক্তির ভারসাম্যও ডায়ালগের একটা প্রাথমিক ভিত্তি" - অতি অবশ্যই। আমার ঘরে ডাকাত ঢুকলে বা কেউ আমাকে খুন করতে এলে আমি তার সাথে ডায়ালগে যাবনা, তাকে রেসিস্ট করবো বা পুলিশ ডাকবো। এখানে স্টেটের কিছুটা রোল আছে, ডায়ালগে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করার, ল এনফোর্স করার। স্টেট নিজেই যদি বলে যে কাউ ভিজিল্যান্টিসম কনস্টিটিউশানের মধ্যে আছে (আজকের টাইমসে আছে), বা স্টেট যদি "নাস্তিক" ব্লগার খুন হলে সহি ইসলাম ইত্যাদি কুযুক্তি খোঁজে তাহলে তো ডায়ালগের পরিবেশই তৈরি হয়না। স্টেটের দায়িত্বর উদাহরন হিসেবে আমার সালমান রুশদির কেস মনে পড়ে, যেখানে ব্রিটিশরা কিন্তু রুশদিকে প্রোটেকশান দিয়েছিল, রুশদি কেন ওরকম লিখেছেন বলে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেনি। স্টেটের প্রোটেকশান দেবার ব্যর্থতার উদাহরন তসলিমা নাসরিন, যাকে পব ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল কারন পব সরকার ওনাকে প্রোটেকশান দিতে চায়নি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার দায় অবশ্যই স্টেটের।

    আর এরকম অবস্থা যেখানে বাড়ছে, সর্বত্র জাতীয়তাবাদ উস্কানো হচ্ছে, আরেসেস আর জামাত নিজেদের অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করে চলেছে সেখানেও তো প্রতিবাদ আর ডায়ালগ ছাড়া উপায় নেই।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪২81716
  • হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা একক :-))

    আমি কব্বে সেই একবার বলেছিলাম সব্বাইর মিলিটারি ট্রেনিং আর ২-৩ বছরের সার্ভিস ম্যান্ডেতরী করে দেওয়া হোক, তাতে একজন যে নাকি পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিতে বলছিল --- কি খচে গেছিল।
  • dc | 132.164.225.50 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৪৯81717
  • নিজের প্রতিবেশীর সাথে কথা বলা, চারপাশের লোকজনের সাথে কথা বলা, এগুলো খুব দরকার। আর সেখানেও একেবারে বিশাল বড়ো ফান্ডা আনার দরকার নেই, কার্ল পপার কোট করে ফলসিবিলিটি বোঝানোরও দরকার নেই, পাতি কথাবার্তা চালিয়েও অনেক সময়ে নিজের দিকটা বোঝানো যায়। আমার সাথে অনেকবার হয়েছে, যে আমার এক সহকর্মী আমাকে একটা হোআটসঅ্যাপ মেসেজ দেখিয়েছে, তখন গুগল সার্চ করে তাকে দেখিয়েছি ওটা একটা আর্বান লেজেন্ড বা মেমে, আরেসেস সেটা নিজের স্বার্থে ব্যাবহার করছে, তখন সেই সহকর্মী বলেছে আরে তাইতো! তার মানে এও না যে বিরাট কিছু পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু অন্তত কথাবার্তা চালোনোর একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
  • Ekak | 53.224.129.52 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৬:০২81718
  • আমি ব্যক্তিগত ভাবে শাখা সংগঠন কে কখনোই ছোট করিনা । ওদের একটা এক্সট্রা জুডিশিয়াল গাইডলাইন আছে , একটা রাজনীতি আছে । কিন্তু কথা হলো ওসব হার্ডলাইনার যারা তাদের লাইফ রিস্ক ও আছে কিন্তু । ওরা সেটা মেনে নিয়েই নিজেদের মতো এক্টিভিজম করছে । আমার বক্তব্য যারা ঘোষিতভাবে কোনো রিস্ক নিচ্ছিনা অথচ এদিক ওদিক খুঁচিয়ে রাডিক্যালিজমের আগুন পোয়ানোর চেষ্টা করছি । এটা করে কোনো লাভ নেই ।

    বারবার ডায়ালগের কথা এলেই জঙ্গী দের কথা আসে । যেটা অর্থহীন । আইন -শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যারা নষ্ট করবে তাদের শাস্তি প্রাপ্য । তাদের সঙ্গে আবার ডায়ালগ কী । কিন্তু আপনি যদি বলেন , জঙ্গীদের আশ্রয় দিয়ে , পরোক্ষ মদত দিয়ে সাহায্য করছে কারা ? তারা সাধারণ মানুষ । সেক্ষেত্রে ডায়ালগ কাজ দেয় ।
  • dc | 132.164.225.50 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৬:১১81719
  • এককের সাথে একমত। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি শুধুমাত্র আমার মোটামুটি পরিচিত যে সার্কল সেটুকুর মধ্যে ডায়ালগে যাই। তাও চাকরিক্ষেত্রে মিনিমান অসুবিধে হতে পারে এরকম কোন ডায়ালগেও যাইনা। আমার বস যদি স্পেসিফিকালি বলে যে দেখেছো, এরা গোরুকেও খেয়ে ফেলছে, গোরু আমার মা, তো আমিও সাথে সাথে বলি হ্যাঁ তাই তো, আমার মাকে খেয়ে ফেলতে আসছে, কি করা যায় বলুন তো? তো এইসব বাঁচিয়ে যেটুকু ডায়ালগে যেতে পারি আর কি। আমার থেকে রিস্ক অ্যাপেটাইট যার আরেকটু বেশী তিনি আরেকটু বেশী ইনভলভড হবেন হয়তো।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৫০81720
  • না না সেক্ষেত্রে আমিও বোঝাতে যাবোনা । উল্টে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলতে পারি , স্যরি স্যার আমি জানতুম না এটা আপনার ফ্যামিলি ম্যাটার । এক সিনিয়র কনসালট্যান্ট এর সঙ্গে এরকম করেছিলুম আর কী। তবে এটাও বোধহয় ঠিককরিনি । এইসব করেই সর্বত্র খচ্চর রেপুটেশন হয়েছে । হুইচ ইস নট অলোয়েস প্রফিটেবল :|
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৮81767
  • বড়ো সাইজের রসগোল্লা বানিয়ে বেগুনী রঙ করে ডানা লাগিয়ে দিলেই হবে। ঃ-)
  • amit | 69.102.69.19 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২৯81721
  • ডায়লগ নিয়ে নিজের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। টাইম পাস্ আর কি।

    তখন মিডল ইস্ট এ চাকরি করি। জুরাসিক পার্ক-3 সদ্য রিলিজ হয়েছে। একটি এজিপ্টিয়ান সহকর্মী এর সাথে দেখতে গেলাম, বলে রাখি সেই সহকর্মীটি বেশ কবার আমাদের সাথে এক সাথে বসে মাল খেয়েছে (লুকিয়ে যদিও, ওখানে মুসলিম হয়ে মাল কিনলে বা খেলে, ধরা পড়লে কি হয়, আর নাইবা বললুম )।

    এবার সেই মুভি দেখে ঘরে এসে বিয়ার খেতে খেতে ডায়নোসর নিয়ে আলোচনা শুরু হলো, এবার সে বলে এ সমস্তই গল্প, হলিউড এর কারসাজি, সবাই জানে আল্লা তালাহ মানুষ বানিয়েছেন, আর আদম এর পাঁজর থেকে এভাকে বানিয়েছেন, তাই মেয়েরা পুরুষের সমান কখনোই নয় ইত্যাদি। আমি তাকে বললুম তাহলে ভাই যে এতো ফসিল পাওয়া গেছে, সেগুলো কোথা থেকে এলো ? ডারউইন এর তত্ত্ব সব 100-% প্রমান না হোক, সেই তত্ত্ব গুলো একটু ঠিক ঠাক ই লাগে, অন্তত কোনো ঈশ্বর এসে 7 দিন এ সব বানিয়ে দিলেন, তার থেকে। আর তোমার ভালো যদি নাও লাগে, তাহলেও বাকিদের পড়তে দিতে আপত্তি কোথায় ? লোকে দুটোই দেখুক, এবার বেছে নিক কোনটা ভালো লাগে।

    এবার তার মেজাজ চরমে, অভিযোগ শুরু হয়ে গেলো যে এই বিধর্মীরা এসে তাদের সাবেক ধর্মকে কি ভাবে অপবিত্র করে যাচ্ছে, আর আমেরিকান এডুকেশন কিভাবে সমস্ত দুনিয়াকে বারোটা বাজাচ্ছে (এদিকে সে নিজে আমেরিকান uni থেকে পাস করা)। তর্ক হতে হতে যা হয়, আমি বলে বলেছি এতো গোড়া মুসলিম হলে সে কেন আমাদের সাথে বসে মাল খায়, ব্যাস, আগুনে ঘি একেবারে। ঘোৎ ঘোৎ করে বেরিয়ে গেলো। পরে জানলাম আমার নাম HR এ অভিযোগ করেছে তার ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার জন্য। ও সব জায়গাতে যারা কাজ করেছেন, তারা ভালোই জানবেন জল কতদূর গড়াতে পারে এসব কেস এ।

    এবার তাকে কি বলবেন ? মডারেট ? আমরা তো তাই ভাবতুম তার আগের দিন অবধি। গোড়া ? তাহলে সাথে বসে মদ খেলো কেন ? এই ভাবে ক্লাসিফিকেশন করা খুব রিস্কি। আর একক যে আলোচনা করার কথা বললেন, সেগুলো ট্যাক্সিতেই ভালো হয়। ভাড়া মিটিয়ে মানে মানে কেটে পড়ো। সাধারণ লোক যদি এভাবে রিএক্ট করে একটা সাধারণ ব্যাপারে, একটা ছোট ব্যাপারে আলোচনা করলে ধর্ম রসাতলে যায়, তাহলে আলোচনা এগোবে কি ভাবে ?
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৫৭81722
  • অমিতের মত অভিজ্ঞতা আমারো আছে। এটাও টাইম পাস। এদেশে একটা ওষুদের কোম্পানীতে কাজ করতে যেতাম। আমাদের টিমে ছিলেন এক জার্মান নাগরিক যিনি আগে পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন। অ্যাসাইলাম সীকার হিসেবে জার্মানীতে এসেছিলেন ছোটোবেলায় সে গল্প আমাদের বলতেন। এটা বছর দশেক আগের ঘটনা। ভদ্রলোক তখন মধ্য চল্লিশ, পুরোপুরি সংসারী মানুষ, প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে জার্মানীতে ফিরতেন পরিবারের কাছে। একবার সপ্তাহের গোড়ায় ফিরে এলেন কিছু মিষ্টি নিয়ে। আমাদের অফিস ঘরের একটা টেবিলের ওপরে সাজিয়ে রাখলেন সকলের জন্য, যার খুশি সে তুলে তুলে খাবে। এখানকার স্থানীয় লোকেরা কৌতুহলভরে দূর থেরে দেখল, কিন্তু ছুঁলো না। এরা বেশ স্কেপটিক এসব ব্যাপারে। পেটের অসুখ হবার ভয় পায়। আমি সাগ্রহে খেয়েছি, লাড্ডু হালুয়া ইত্যাদি। বাকি মিষ্টি পড়েই রইল সারাদিন। উনি নিজেও মাঝেমাঝে খেলেন। আমি আরেকবার নিতে গেছি, তা উনি সেটা লক্ষ্য করে এগিয়ে এসে আমায় বললেন, আপনি এসব খাচ্ছেন, "ভেদ" এ কোনো বারণ নেই তো?
    হুট করে "ভেদ" ব্যাপারটা বুঝিনি, পরে বুঝলাম, বেদ। তখন ওনাকে বললাম, যে আমি বেদ জীবনে একলাইনও পড়িনি, জানিওনা দেখতে সে বইয়ের সাইজ কীরকম। এবং আমি এধরণের কোনো গোঁড়ামি মানি না। সেভাবে দেখতে গেলে হিন্দুও নই, তবে মাঝে সাঝে দরকার পড়লে ঠাকুরকে ডাকি।
    আমার উত্তরে ভদ্রলোক রেগে গেলেন, এবং এর পর থেকে ক্রমাগত আমাকে একা পেলে "ভেদ" রেফার করে করে খোঁচাতেন। আবার, জার্মান ফ্রেঞ্চ সুইস কোলিগদের সামনে পাকিস্তানে ওনার আহমেদি গোষ্ঠি কীভাবে অত্যাচারিত হয়েছিল সেসব প্রসঙ্গ টেনে আনতেন। এরপর থেকে আমি ঐ ভদ্রলোকের সঙ্গে একা কখনো থাকতে চাইতাম না, তা সে টী ব্রেক হোক কি লাঞ্চ। থার্ড পার্সন থাকলেই তুলনাহীন ভদ্র সভ্য ব্যবহার, আর কেউ না থাকলেই অকারণে ধর্ম তুলে তুলে অ্যাটাক করা। অদ্ভুত এক চরিত্র এই ভদ্রলোকের।
  • ashoke mukhopadhyay | 127.194.37.213 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৯:০৮81768
  • হঠাৎ-ই ঢুকে পড়লাম। মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে মনে হল, দু চার্ কথা বলা যেতেই পারে।

    ঈশ্বর একটা প্রস্তাবনা। যিনি বা যারা এই প্রস্তাব দেবেন, প্রথমে তাদেরই দায় এর সপক্ষে প্রমাণ হাজির করা। সেই প্রমাণ পেলে নিরীশ্বরবাদী বলতে পারেন, প্রমাণগুলো গ্রাহ্য না বাতিলিতব্য। এপর্যন্ত যে যা প্রমাণ বলে দেখিয়েছেন সেগুলো অগ্রাহ্য হয়ে গেছে। তার বাইরে "ঈশ্বর নেই" বলে আর প্রমাণ দিতে হবেই বা কেন, যাবোই বা কেন? আমি যদ্দুর বুঝি, বিজ্ঞানের ঈশ্বরের সাথে কোনো ঝগড়া নেই। কেউ যদি এমন প্রমাণ দেন, যা অপ্রমাণ করা যাচ্ছে না, বিজ্ঞানের তাতে এতটুকু রাগ বা অস্বস্তি হবে না। বিজ্ঞান খুশি মনে ঈশ্বরকে তখন তার তত্ত্ব কাঠামোয় ঢুকিয়ে নেবে। কিন্তু গায়ে পরে সে এরকম প্রমাণ খুঁজতে যাবে বলে মনে হয় না। ঐটুকু দেমাক তার আছে।

    আর একটা কথা। বিজ্ঞানের জন্য ঈশ্বরকে প্রমাণ করতে হলে তাকে necessary and sufficient condition বলে দেখতে হবে। কোনো কিছু সাব্যস্ত করতে গেলে ঈশ্বরকে কেন লাগবেই (necessary); আর ঈশ্বরকে পেলেই কিভাবে সব কাজ হয়ে যাবে (sufficient)--এইটা দেখাতে হবে। এই লাইনে ছাড়া অন্য প্রমাণ বিজ্ঞানে গ্রাহ্য করা সম্ভব হবে না।

    মূল লেখাটা খুব ভাল হয়েছে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ০৯:১৮81723
  • থুড়ি থুড়ি, আরেকটা ডায়ালগ গল্প না বলে পারছি না।
    আমীর বলে একজনকে চিনি। সে চল্লিশ বছর আগে ইরান থেকে এদেশে এসেছে। তখন তার বয়স বারো কি তের ছিল। নিয়মিত মদ খায় বললে ভুল হবে, আমীর একজন অ্যালকোহলিক প্রায়। সুইস গার্লফ্রেণ্ড আছে। প্রায় বিশ বছরের স্টেডি লিভ ইন রিলেশানশিপ। মডারেট বলেই তাকে জানতাম। তার ভায়েরাও এদেশে থাকে। মা আগে থাকতেন এখন দেশে ফিরে গেছেন মাঝেমধ্যে আসেন। আমীরের এক বন্ধু আমীরকে বলল যে তার দুই মেয়েই বড়ো হয়েছে, তারা টিন এজার এবং মেয়েদের কাছে তাদের বয়ফ্রেণ্ডরা মাঝেমাঝে এসে থাকে। এইটে শুনে আমীর ক্ষেপে গেল এবং বলল যে তার নিজের মেয়েরা এরকম করলে সে প্রথমে বয়ফ্রেণ্ডদুটোকে কেটে ফেলত তারপরে নিজের মেয়েদেরো কেটে ফেলত এবং তারপরে জেলে যেত। তখন তাকে বলা হল এরকম হিংস্র হচ্ছ কেন? তুমি নিজেও তো লীভ ইন রিলেশানে আছো এতবছর। আমীর ওসব যুক্তি শোনে না, তার বক্তব্য হচ্ছে যে কোনো মুসলমান নারী যদি লীভ ইন রিলেশানে যায় বা বিয়ের আগে সেক্স করে, তবে তাকে খুন করবার পুরো অধিকার আছে বাপ ভায়ের।
  • amit | 69.102.69.19 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৩১81724
  • যাই হোক, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে এটা বলতে চাইছিনা গোড়ামি শধু একটা ধর্মের মধ্যে আছে। সব কটা ধর্মের গোড়ামি সময় বিশেষে বেরিয়ে আসে। তাই বিপ্লব, যিনি এটা শুরু করেছিলেন, তাদের কে কেও যেচে মডারেটদের সাথে ডায়লগ এ যেতে উপদেশ দিলে বিরক্ত লাগে, যারা এতটা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ এ বসে, আর আমরা নিজেরা নিরাপদ দূরত্বে বসে আছি, আর তাদেরকে কি করতে হবে বলে দিচ্ছি, এটা স্বার্থপরতা মনে হয়।
  • amit | 69.102.69.19 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৩১81725
  • এখানেই ইতি টানলাম।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১০:৪১81726
  • আপনারা বোধ হয় সামহাও ডায়ালগে যাওয়া মানে মিন মিন করে মিনিময় করা ধরেছেন :) না ধরে থাকলে ভালো । কারণ ওরকম ডায়ালগ কখনো করিনি । হ্যা কিছু ক্ষেত্র রেগুলার ফেস করি যেমন সবুজ বা গেরুয়া চাড্ডি কেও একটা ছবি বা একটা লিংক শেয়ার করলো । সম্পূর্ণ ভুলভাল ইনফর্মেশন ভরা । তখন কথা না বাড়িয়ে একচুয়াল ইনফরমেশন দিয়ে কাটিয়ে দিলুম । এটা রেগুলারের অভ্যেস হয়ে গ্যাছে ।

    কিন্তু যারা গায়ে পরে ল্যাজ মাড়াতে আসে তাদের পরিণতি তো করুণ হবেই :) সেটাও ডায়ালগের অঙ্গ । তবে কী , কথা বলার একটা ধরণ থাকে । আমি খুব বিনয়ী তো ,দেখতেই পান গুরুতে :) দুম করে কাওকে আপনি যা বলছেন ভুল অমুক বিজ্ঞানী ঠিক বলেছেন এরকম বলিনা । আমার প্রাক্তন বস জার্মান, প্রায় ই কনভার্সেশনের সময় শয়তান টাইপ লোক বোঝাতে "হি ইস লাইক আ জ্যু " বলতেন । ভয়ঙ্কর জিউ হেটার । আমি একদিনই , একাধিকবার এরকম শোনার পর বলেছিলুম , স্যার আমাদের উচিত একটা ফ্রন্ট খুলে নিও নাজিদের ফান্ড করা । জিউ গুলো বড্ডো বেড়েছে । এটা, অন কল । এরপর আরও বার দুয়েক খুঁচিয়েছি উনি কোনো নিও নাজি ফান্ডে আগ্রহী কিনা । সিরিয়াসলি আর কখনো জিউ প্রসঙ্গ তোলেন নি ।

    "ডায়ালগ " মানে ঠিক "বোঝানো " না । ডায়ালগ মানে বেসিক্যালি একটা লোককে টার্গেট করা -ফোকাস করা -কোয়ার্নতাইন করা । এরকম করতে গিয়ে কী বিটার রিলেশন হয়না ? হয় । সেটা পার্ট অফ গেম । অনেকেই ভাবেন ডায়ালগ মানে বাবারে -বাছারে করে বোঝানো । কিন্তু তা নয় । একজন গরিব অটোওয়ালা তার প্রতিদিনের রুজি রোজগারের কাছে দায়বদ্ধ । তাকে সেই গ্রাউন্ড রিয়ালিটি টুকু দেখিয়ে দিলে সে নিজেই বোঝে যে এসব পার্টিবাজি করে লাভ নেই। আবার একটা ঢ্যামনা পয়সাওয়ালা চাকুরে বেসিক্যালি নিজে কোনোদিন কোনো র্যাডিক্যাল রাজনীতি করবেনা , জাস্ট গা গরম করছে । ওকে ওপেন র্যাডিক্যালিজম এর রাস্তা দেখানো শ্রেয় । কখনোই বোঝাতে যাবোনা কোনটা ঠিক ভুল । ওর টিকি বাঁধা আছে এস্ট্যাব্লিশমেন্ট এর সঙ্গে । ভুলেও ওপেনলি র্যাডিকাল হবে না । পুরকি দিলে পরের বার থেকে এড়িয়ে চলবে বরং ।

    কিছু জায়গায় কিল । কিছু জায়গায় কোয়ার্নতাইন। কিন্তু কোথাও কোনো শয়তানকে "বোঝানোর " দায় নেই । যে আঁইনফর্মড তাকে ইনফর্ম করা যায় । যে জেনেবুঝে ঢ্যামনামী করছে , তাকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে হয় । ডায়ালগ মানে রিভার্স ব্রেইন ওয়াশ নয় । অন্তত আমি তা মনে করিনা ।
  • avi | 113.24.86.212 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:০০81727
  • এককের ডায়ালগের সংজ্ঞায় এখানকার খিল্লি করাটাও পড়ে যাচ্ছে মোটামুটি। বিশেষ করে ওই নিও নাজি ফান্ডিংটা ব্যাপক। খিল্লি করা মানে তো কোয়ারান্টাইন করাও টু সাম এক্সটেন্ট। এই সংজ্ঞা স্বীকৃতি পাবে বলে মনে হয় না। :-))
  • ranjan roy | 192.69.2.15 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:১৩81728
  • একক কে বিরাট ক। ডিসি, অরণ্য পাইকেও।

    আমার দু'পহাঃ
    ১) অমিতের সঙ্গে এই দুটো পয়েন্টে সহমত--- এক, বিপ্লব রহমানের কী করা উচিত সেটা বলার অধিকারী আমরা নই। ওর কাজটা প্রায় হিটলারের জার্মানীতে কমিউনিস্ট লোকজনের কাজের মতই কঠিন।
    দুই, ডায়লগের জন্যে একটা মিনিমাম বেসিস লাগে।
    কিন্তু অরণ্য ও একক সেটা ভালভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন।
    ২) আমার কথাঃ
    যে যেখানে আছেন নিজের পরিস্থিতি ও ক্ষমতা বুঝে এবং যার সঙ্গে ডায়লগ তাকে বুঝে চালিয়ে যান। রিস্ক আছেই, নিজের হ্যান্ডল করার পরিস্থিতি বুঝে করবেন। এটা স্ট্র্যাটেজিক। এখানে আমরা বোধহয় সংঘ পরিবারের রণনীতি থেকে কিছু শিখতে পারি।
    ক) আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলুন। চড়া বাজার নিয়ে কথা বলুন। যত মত তত পথ নিয়ে কথা বলুন। আইনের শাসন নিয়ে কথা বলুন। গোহত্যা যদি কোন রাজ্যে নিষিদ্ধ হয় তবে সেই আইনভঙ্গকারীকে পুলিশের হাতে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু পেটানো? আরও বড় আইন ভাঙ্গা! মানুষের চেয়ে গোমাতার ইজ্জত ও প্রাণ বেশি দামি নয়-- এটা বলা দরকার।
    খ) মাদ্রাসা দু'রকম। দীনভী আর দুনিয়াভী।
    প্রথ্মটায় শুধু ধার্মিক শিক্ষা দেওয়ায় হয়, দ্বিতীয়টায় মেইনস্ট্রিমের মত, কিন্তু মাদ্রাসা বোর্ডের কোর্স।
    ওতে বিজ্ঞানের কোর্স ভালভাবে পড়ানো হয় না।
    বলতে চাইছি-- কোন হিন্দু বা ক্রিশ্চান মিশনের স্কুলে যা অংক ও বিজ্ঞান পড়ানো হয় তার থেকে এর মান নিম্ন।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:১৫81729
  • খিল্লি নয় । খিল্লি হচ্ছে ট্রিভিয়ালাইসেশন , ডাইগ্রেশন । আমি সেটা করিনা ।

    শ্রাদ্ধের কার্ড দেখেছেন ?

    দেখবেন লেখা থাকে "অমুক চন্দ্র তমুক এতো ঘটিকায় সজ্ঞানে সাধনোচিত ধামে গমন করিয়াছেন "

    এই লাইনটা আমার জীবনের মোটো । জগতে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল আমি জানিনে । কিন্তু উল্টোদিকের লোকটির সামনে ক্লিয়ারলি সবরকম ইনফরমেশন রাখা বা ইনফরমেশন জোগাড়ের রাস্তা দেখানো আমার প্রথম কর্তব্য । যাতে "সজ্ঞানে " ফেজ টা সে নিজেই এচিভ করতে পারে ।

    এরপর হচ্ছে , "সাধনোচিত ধামে " । অর্থাৎ যে সজ্ঞান লাভের পরেও ডাঙায় মাগুর মাছের মত লাফাচ্ছে মারো -কাটো করে তাকে তার সাধনার রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া । শাখার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া । কতজনকে আওয়ামী লীগ কমিউনিটি থেকে পাওয়া মুসলিম র্যাডিক্যাল লোকজনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছি । যে বাবা চড়ে খা । শারিয়া কায়েম কর । আম্রিগায় বসে ডায়ালগ দিসনে । এটা তো মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য তাই না ? আমি যদি বলি , অভি আমি চাইল্ড সাইকোলজি নিয়ে পেপার লিখছি আপনি কি আমাকে আপনার কোনো বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবেন না ? জাস্ট লাইক দ্যাট ।

    এবার তারা নিজের মত করে সাধনোচিত ধামে গমন করবে । এটা বন্ধুত্বসুলভ সিরিয়াস এফোর্ট । খিল্লি নয় । আমি নিজে হিটলার থেকে বুদ্ধ কাউকেও খারাপ চোখে দেখিনা । দে আর গ্রেট পিপল ইন দেয়ার ওয়ে। ওয়ানাবি দের একটিভ হতে উপদেশ দিই শুধু :)
  • ranjan roy | 192.69.2.15 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:১৭81730
  • আবার দেখুনঃ
    ৩৬গড়ে প্রায় ৪০০ মাদ্রাসা তার মধ্যে ৯৬টি শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দেয়। আর এছাড়া বেশির ভাগ মুসলিম ছাত্র সরকারী স্কুলে যায়। কেউ কেউ সরকারি স্কুলে মূল পড়াশুনো করে একটু ধার্মিক শিক্ষার জন্যে মাদ্রাসায় যায়। মুষ্টিমেয় কিছু মূল পড়াশুনো না করে শুধু ধার্মিক শিক্ষা নেয়।
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১১:৪৮81731
  • রঞ্জনদা, এই "শুধু ধার্মিক শিক্ষার" সিলেবাসটা ঠিক কি রকম? জানেন কিছু?
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১২:০৪81732
  • "আমার প্রাক্তন বস জার্মান, প্রায় ই কনভার্সেশনের সময় শয়তান টাইপ লোক বোঝাতে "হি ইস লাইক আ জ্যু " বলতেন । ভয়ঙ্কর জিউ হেটার । "

    এইরকম ব্যবহার কোনো জার্মান করতে পারে বিশ্বাস হয় না। আমি দীর্ঘ সময় জার্মানীতে কাটিয়েছি এখনও খুবই নিয়মিত ওদেশে কিল্তু যতবড় নিওনাৎসীই হোক না কেন এইরকম তুলনা তারা টানবে না। ১৯৪৫ এর পর শিক্ষাপদ্ধতিটাই পাল্টে গেছে। জাস্ট বিশ্বাস হলো না ঐ পার্টটুকু। সরি।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১২:১৪81734
  • সে নিজে নিওনাত্সি ফ্যাৎসি কিস্যু না । সুইস জার্মান । পদবি রোলহেডের । ইউরোপিয়ান ইনোভেশন এওয়ার্ড পাওয়া লোক । মেডিক্যাল ডিভাইস ফিল্ডের । এর বাইরে বলবো না । যদি টেক ফিল্ডের লোক হন বুঝে যাবেন । বিশ্বাস -অবিশ্বাস নিজের ওপর ।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১২:১৪81733
  • এই ধরণের মন্তব্য পানিশেবল অফেন্স এখানে। আরো কয়েকজনকে জিগ্যেস করলাম। ইয়ে বাৎ কুছ হজম নেহি হুয়ি। আপনি আরেকবার ফ্যাক্ট চেক করুণ। লোকটির জেল হতে পারে।
  • Ekak | 53.224.129.61 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১২:১৬81735
  • আমি আবার কী চেক করবো মশাই । অন্যের মুখে শুনে বলছি নাকি :) দুনিয়ায় সব চলে । না চললে নিও নাৎসি উত্থান ও ঘটতো না । ওদিকে ব্রেক্সিট ও হতোনা । হেট্রেড ছড়ানো লোক সবদিকে । তারা কোনো বোরো মিটিং এ ওপেনলি বলবে না । দ্যাটস অল ।
  • 0 | 213.163.241.109 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১২:২৬81736
  • দেবব্রত যে বাকুনিনের কোট'টা লিখেছেন, সেখানে দেওয়া "the abstract, doctrinaire propaganda of the so-called free-thinkers"-এর সাথে নিরীশ্বরতার মতো একটা খুব সাধারণ প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সত্যের তুলনা কোনভাবেই হয়না।
    এতে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রচারের ব্যাপারই নেই।
    বিজ্ঞানের প্রচার মানে অবিশ্বাসের প্রচার নয়, সত্যের প্রচার।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৬ ১২:৩০81697
  • একটা সোজা কথা কি জানেন ? ডায়লগ এর ধারণা শুনতে খুব ভালো, বেশ পলিটিক্যাললি কারেক্ট ও বটে, কিন্তু সেটা কি ভাবে করা হবে তার কোনো রূপরেখা আছে ? কি ভাবে ইডেন্টিফাই করা হবে করা কারা মডারেট আর কারা চরম? আর মডারেট দের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে যে কারোর থেকে খবর পেয়ে চরম চাপাতিপন্থীরা এসে হাত পাকাবে না, সেটার কোনো নিশ্চয়তা আছে ? এগুলো নিয়ে স্পেসিফিক লেখা হোক, জাস্ট রহেঁটোরিক নয়। কলকাতায় কফি হাউস এ আতলামি বকে হাততালি পাওয়া আর বাংলাদেশ এর মতো ইসলামিক দেশে বসে যারা ঝুঁকি নিয়ে এসব লেখার সাহস দেখছেন, তাদের কে জ্ঞান দেওয়া এক জিনিস নয়।

    পলিটিক্যালি কারেক্ট কথা বলতে ভালো লাগে , শুনতেও। কিন্তু সেটা কাজে করে দেখানো একটু চাপের। সেই চাপটা দেওয়ার জায়গাতে পৌঁছতে গেলেও একটা শক্ত পোজিশন এ এসে করতে হয়, নাহলে ফল কি হচ্ছে সবার দেখা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন