এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • হিন্দু বাঙালী আর মুসলমান বাঙালীর এনআরসি নবায়ন

    পার্থ প্রতিম মৈত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৯ জুলাই ২০১৮ | ২৭৪১ বার পঠিত
  • "...দেশ স্বাধীন হবার সময়ে আসামের মানচিত্রের অদল বদলের যেন ধুম পড়ে গেলো । প্রথমে শ্রীহট্ট পাকিস্তানে গেলো । তারপরে আসামের বেশির ভাগ পার্বত্য জেলা ভেঙ্গে ভেঙ্গে নতুন নতুন রাজ্য তৈরি হলো । যে প্রক্রিয়াটা আরম্ভ হয়েছিল তা সম্পূর্ণ হবে তখনই, যখন আসামের সাথে কৃত্রিম ভাবে জুড়ে থাকা বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা আলাদা হবে বা আলাদা করা হবে । অসমীয়া ভাষার একমাত্র মাতৃভূমি আসামে অসমীয়া ভাষার লজ্জাজনক ভাবে সংখ্যালঘু হওয়ার কারণ হলো বাংলাভাষী বরাক উপত্যকার আসামের সাথে সংযুক্তি । মূলতঃ সেই কারণেই আসামে অসমীয়া ভাষীদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম বলে প্রমাণিত হচ্ছে । বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা আসাম থেকে বেরিয়ে গেলে অসমীয়া ভাষা তার নিজভুমে সম্মান জনক প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করা যায় । উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য রাজ্য গুলি আর বরাক উপত্যকা কোনদিনই আসামের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না । এসব অঞ্চল বাধ্যতামূলক ভাবে আসামের সাথে ছিলো কিন্তু আসামের আত্মার সাথে তাদের যোগ কোনদিনই ছিলো না । এই অঞ্চল গুলি আসামের ভূগোলের অংশ হতে পারে কিন্তু ইতিহাসের নয় । বাংলাভাষী বরাক উপত্যকার ক্ষেত্রেও সেই একই কথা প্রযোজ্য। তাই যেমন অন্য পার্বত্য অঞ্চল গুলি আলাদা রাজ্য হয়ে আসাম থেকে বেরিয়ে গেছে সেরকমই বরাক উপত্যকাও আসামের থেকে বেরিয়ে গেলে সবারই মঙ্গল।"
    প্রবন্ধ- হোমেন বরগোঁহাই
    অনুবাদ- রাহুল বিশ্বদীপ ভট্টাচার্য

    পশ্চাদপট
    বহুযুগ থেকেই আসামের একঅংশের বুদ্ধিজীবী চায়নি শ্রীহট্ট আসামে থাক। ১৯৩৩ সালের ১৬ এপ্রিল আসাম অ্যাসোসিয়েশন-এর এক বিশেষ রাজনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, কুলধর চালিহার সভাপতিত্বে। সম্মেলনে শ্রীহট্টকে আসাম থেকে পৃথক করার দাবি করা হয়। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ জুলাইয়ের গণভোটে শ্রীহট্ট ভাগ হয়ে যায়। সেদিন স্থানীয় নয় বলে চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার ছিল না। তা না হলে হয়তো ভারতবর্ষের অন্য ইতিহাস লেখা হত, মানচিত্রও। করিমগঞ্জ মহকুমা শহরের তিন থানা, বেশ কিছু চা-বাগান, বর্তমান বরাক উপত্যকা ভারতে থেকে যায়।

    কিন্তু উল্লাসে ফেটে পড়েছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা। দেশভাগ ও সীমানা নির্ধারণের প্রাক মুহূর্তে আসাম জাতীয় মহাসভার প্রায় মুখপত্র, তখনকার একমাত্র ইংরেজি দৈনিক ‘আসাম ট্রিবিউন’ লিখল, "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিলেট পাকিস্তান চলে যাক"। সেই সঙ্গে মন্তব্য ছিল-“দ্য অ্যাসামিজ পাবলিক সিম টু ফিল রিলিভড অব আ বার্ডেন"। সীমানা ঘোষিত হওয়ার পর আহোম জাতীয় মহাসভার চার নেতা শিলং টাইমস পত্রিকায় এক বিবৃতি ছাপে। যাতে বলা হয়, “উইথ সিলেট জয়েনিং পাকিস্তান, আসাম হ্যাজ গ্রোন স্মলার ইন এরিয়া বাট অ্যাটেইন্ড গ্রেটার হোমোজেনিসিটি হইচ হ্যাজ প্রোমোটেড আসাম টু বি ফ্রি অ্যান্ড সোভরেইন"। এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু চাপ। নির্মিত হতে থাকে আজকের আসামের অস্থিরতার প্রেক্ষাপট। প্রাক স্বাধীনতাপর্বে আসামের মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ-এর ঘোষণা, “ আসাম শুধুমাত্র অসমিয়াদেরই”।

    আসামের সকল সাইন বোর্ডেই অসমিয়া ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক-এই দাবির ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালেই শুরু হয় আসামের জাতিদাঙ্গা। ১৯৫০ সালে দাবি ওঠে দেশভাগের পরবর্তী আসামে থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাড়াতে হবে। ভাষা দাঙ্গার নৃশংসতা চরমে পৌঁছোয় প্রায় গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাঙালী ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। আরও প্রায় ৯০০০০ আশ্রয় নেন বরাক উপত্যকায় ও সন্নিবর্তী এলাকায়। ১৯৬০ সালে ঘোষণা করা হল আসামের রাজ্যিক ভাষা হবে অসমিয়া এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালি অঞ্চল। বরাক উপত্যকায় তারই প্রতিবাদে গড়ে ওঠে ৬১-এর ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন।

    হিন্দু-বাঙালী এবং মুসলিম-বাঙালী
    ১৯৪৮ সালের ৪ মে অসম মন্ত্রিসভার উদ্যাগে নীচের নিম্নলিখিত সরকারী বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়:
    'পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চল থেকে প্রদেশে শরণার্থীদের প্রবাহের ফলে সৃষ্ট অবস্থা এবং শহরে ও গ্রামগুলিতে শান্তি, শৃংখলা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে যে অ-আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতেই জমি হস্তান্তর বা কোন সেটেলমেন্ট করা যাবে না। বর্তমান আপৎকালীন অবস্থায় যারা এই প্রদেশের আদিবাসী নয় সেইসব ব্যক্তিরাও অন্তর্ভূক্ত হবে, যারা অ-আদিবাসী বাসিন্দা কিন্তু এই প্রদেশেই ইতিমধ্যে নিজেদের জমি এবং ঘর তৈরী করেছে এবং আসামকে নিজস্ব ভূমি হিসাবে বিবেচনা করছে। (রাজস্ব বিভাগ সংখ্যা ১৯৫/৪৭/১৮৮ তারিখ ৪.৫.৪৮)।

    লব্ধ জমি, জীবিকা, এবং নিরাপত্তা হারানোর ভয়ে দলে দলে বাঙালী নিজেদেরকে অসমীয়া হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করে। ৫১ সালের আগুপিছুতে চর এলাকার ময়মনসিংহ মুসলিমরা নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করে সেন্সাসে। ১৯৩১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যায় অসমীয়া ভাষাভাষীদের সংখ্যা শতকরা মাত্র ৩১.৪ % ছিল। কিন্তু ১৯৫১ সালে প্রথম স্বাধীনতা-উত্তর আদমশুমারিতে দেখা যাচ্ছে যে অসমীয়া ভাষাভাষী মানুষদের সংখ্যা ১৯৭৩২৫০ থেকে বেড়ে ৪৯১৩২৯২৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বিশ বছরে প্রায় ১৫০% বৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে। এই অলৌকিক ঘটনা ঘটে কারণ ১৯৫১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী অভিবাসী বাঙালি মুসলমানরা তাদের মাতৃভাষা হিসাবে নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করেছিল।অসমীয়া ভাষা সংখ্যাগুরুর ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় আসামে।

    ১৯৬১ সালে বরাকউপত্যকার মুসলমানদের একটা অংশ ছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার হিন্দু অসমীয়াদের সঙ্গে। যার ফলশ্রুতিতে ঘটেছিল ১৯শে জুনের হাইলাকান্দি ফায়ারিং এবং ১১ জনের মৃত্যু।

    এনআরসি নবায়ন
    ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা গণনা হয়নি। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকে অসমীয়াভাষীর সংখ্যা শতাংশ হিসেবে কমতে শুরু করে। এই সময় থেকেই অলক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদীদের উত্থানপর্বের সূচনা। এবারে প্যরাডাইম শিফট হতে থাকে। আসুর বঙালখেদা সূক্ষ্ণভাবে রূপান্তরিত হতে থাকে মুসলিম খেদা অভিযানে। কেন? উত্তর লুকিয়ে আছে মাত্রই কিছুদিন আগে প্রকাশিত ধর্মভিত্তিক সেন্সাস রিপোর্টে। দেখা গেল আসামের মুসলমান হচ্ছে জনসংখ্যার ৩৪.২% যেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২৭%। হাইলাকান্দি, বরপেটা, নগাওঁ, ধুবরী, বঙ্গাইগাঁও, গোয়ালপাড়া, করিমগঞ্জ, দরং, মোরিগাঁও জেলায় মুসলমান সংখ্যাধিক্য। অতএব মূল কোপটা নেমে আসছে আসামের মুসলিমদের ওপর। অবশ্য বাঙ্গালী হিন্দু উদ্বাস্তুদের সমস্যা যে তাতে কিছুমাত্র লাঘব হলো তা কিন্তু নয়।

    কথাগুলি বলতে হলো এটা বোঝাতে যে আসামের সর্বাঙ্গীন উন্নতিতে হিন্দু-মুসলমান বাঙালীর একটা বিরাট অবদান রয়েছে। কিন্তু অসমীয়া রাজনীতিবিদেরা চিরকাল সাধারণ অসমীয়াকে বুঝিয়ে এসেছে বহিরাগতরাই আসামের দুর্গতির মূল কারণ। তাদের বিতাড়ন করতে পারলেই এই জমি, এই জলজঙ্গল, এই প্রাকৃতিক অকৃপন সম্পদ, ভাষা-ধর্ম সব কিছুতে আমাদের প্রভুত্ব চলবে। যে করে হোক আমাদের সংখ্যাগরিষ্ট প্রমান করতে পারলেই কেল্লা ফতে। আর তার জন্য প্রয়োজন এদেরকে যত বেশি সংখ্যায় বিতাড়ন। কিন্তু দেশভাগের পর উদ্বাস্তু স্রোত, একাত্তরে খানসেনার দাপটে আতংকিত হিন্দু মুসলিম শরণার্থী আর পরবর্তী সময়ে খেপে খেপে নিজস্ব ও সামাজিক- অর্থনৈতিক কারণে কখনও মুসলিম, কখনও হিন্দু অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে আসামে। আর আসামের রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিউরে শিউরে উঠেছে। শুধু সংখ্যালঘু হয়ে যাবার ভয়ে নয়, আসলে তাদের রাজনীতির মূল চালিকা শক্তিই হারিয়ে ফেলার ভয়ে। তাদের এই প্যারানোইয়া একের পর এর জাতিগোষ্ঠিকে বাধ্য করেছে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজস্ব প্রদেশ গঠন করতে। যারা পারে নি (যেমন বোডো বা ডিমাসা,কখনও কখনও বরাকভ্যালি) তাদের সঙ্গেও বিচ্ছিন্নতা বেড়েছে। কিন্তু আসামের একবগ্গা নেতৃত্ব এই ক্ষতিকে ক্ষতি বলে স্বীকার করতেই রাজী নয় তা ইতিহাসে বারবার প্রমাণিত। টানা আন্দোলনে এবং ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গায় আসামের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বিতাড়নকে মূলমন্ত্র করে রাজনীতি চালানোর খেসারত আসামকে দিয়েই যেতে হচ্ছে।

    এনআরসি এমনই এক বিতাড়ন প্রক্রিয়া। ১৯৮৩ সালে আইএমডিটি অ্যাক্ট চালু হবার পর গত বছর পর্যন্ত ডি ভোটার অর্থাৎ ডাউটফুল ভোটারের সংখ্যা ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১৯,৬৩২ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো গেছে মাত্র ২০১৭ জনকে। এতদিনের বিদেশী মিথ ভেঙ্গে যায় যায়। তা তো আর হতে দেওয়া যায় না। অতএব সুপ্রিম কোর্টে আইএমডিটি অ্যাক্ট বাতিল করানো হলো এবং তার জায়গায় এলো এনআরসি। পঞ্চাশ থেকে সত্তর লক্ষ বিদেশীর গল্প আবার চালু হলো। যে মানুষটি আইএমডিটি অ্যাক্ট (যার উত্তরাধিকার হলো আজকের এনআরসি নবায়ন প্রক্রিয়া) এর বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে আপীল করে আইনটি বাতিল করালেন, তিনি ছিলেন তৎকালীন এজেপি সরকারের এমপি সর্বানন্দ সোনোয়াল। কে এই সর্বানন্দ সোনোয়াল? এক কালের প্রবল পরাক্রমশালী বাঙালী বিদ্বেষী আসুর প্রেসিডেন্ট, অগপর শীর্ষনেতা এবং বঙালখেদা আন্দোলনের তাত্বিক স্থপতি হিসাবে "আসামের জাতীয় নায়ক"। কে এই সর্বানন্দ সোনোয়াল? বর্তমানে আসামের বিজেপি মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রী।

    আসাম একটি জটিল রাজ্য। তার অসংখ্য টানাপোড়েন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নবায়ন প্রক্রিয়ার পিছনেও রয়েছে আরও বহুবিধ কারণ। সব এখানে আলোচনা করাও সম্ভব নয়। দু একটি প্রসঙ্গ মাত্র উত্থাপন করা হলো এখানে।বাকীগুলি নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকবে আরও বহু দশক ধরে।দেশভাগের মতই এ ক্ষত শুকাতেও সময় লাগবে।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬
    এনআরসি-র সঙ্গে আরও দুটি শব্দ চালু হলো ওআই (অরিজিনাল ইনহ্যাবিট্যান্ট) এবং এনওআই (নন অরিজিনাল ইনহ্যাবিট্যান্ট)। অসমীয়া ভাষায় প্রথমটি খিলঞ্জীয়া, দ্বিতীয়টি বহিরাগত। এই খিলঞ্জীয়াদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ভাষা ধর্ম, মাটি, সম্পদ সব কিছুর সুরক্ষার জন্য এত আয়োজন। যত বেশি বিতাড়ন তত বেশি সুরক্ষিত হওয়া, এরকমটাই বোঝানো হয়েছে সাধারণ অসমীয়া মানুষকে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় একটি রিস্ক ফ্যাক্টরকে কিছুতেই বাতিল করা যাচ্ছেনা। তা হলো বাতিলের তালিকায় যদি হিন্দু বাঙালীর নাম বিপুল সংখ্যক হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কী হবে। হিন্দু হিন্দুকে বিতাড়ন করছে এটা ভারতের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ভুল বার্তার দ্যোতক। দ্বিতীয়ত বাঙালী হিন্দু বেশি বাতিল হলে বিজেপির ঘাঁটি এলাকা বরাকভ্যালিতে মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। অতএব ভাল করে না ভেবেই এবং সারা ভারতে ফায়দা তোলার লক্ষ্যে বিজেপি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ এনে হাজির করলো। বরাক ভ্যালিতে মুখরক্ষা হলো, সারা ভারতে মুখোজ্বল হলো, কিন্তু আসাম উত্তাল হয়ে উঠলো নতুন করে। এই বিলে মুসলিম বাদ দিয়ে বাকি সব ধর্মের মানুষ যারা ২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে আক্রান্ত এবং ভারতবর্ষে শরণার্থী, তাদের ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অসমীয়া নেতৃত্বের মূল উদ্দেশ্যই আবারও ব্যর্থ হবার উপক্রম।

    তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে মুসলমান বাদ দিয়ে অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব লাভের সম্ভাবনা উজ্বল। এনআরসি ভিত্তিবর্ষ অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পর্যন্ত প্রমাণপত্র থাকলে সবধর্মের মানুষের নামই পঞ্জীভুক্ত হবে। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত মুসলমান বাদ দিয়ে অন্য সব ধর্মের মানুষই নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছেন, অতএব নাগরিকত্ব পাবার অধিকারী। ফলে যা দাঁড়ালো ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা, মুসলিম ব্যতিরেকে অন্যসব ধর্মের মানুষই নাগরিক হবেন, এটা ধরেই নেওয়া হচ্ছে। ফলে এনআরসি নবায়নে শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যে কারা সঠিক ভারতীয় আর কারা অনুপ্রবেশকারী এটুকু ঠিক করলেই হতো। তবে কি এনআরসি আসলে মুসলিম নাগরিকপঞ্জীতে পর্যবসিত হতে চলেছে?

    ৩০শে জুলাই এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হচ্ছে। কেউ জানেনা কতজন বিদেশী হিসাবে চিহ্নিত হবে।কুড়ি লক্ষ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ যে কোনও সংখ্যা বাতাসে ভাসছে। কোন ধর্মের মানুষের সংখ্যা কত বেশি তার ওপর নির্ভর করবে আসামের রাজনৈতিক গতিপথ। হিন্দুর সংখ্যা বেশি হলে নাগরিকত্ব বিল দিয়ে পুলটিস মারবে বিজেপি। আর মুসলিম সংখ্যাধিক্য হলে ঐ বিলের আর প্রয়োজন থাকবে না। সেটিকে তাকে তুলে রাখা হবে। এখন আগামী বেশ কিছু ঘন্টা শুধু ফিঙ্গার ক্রস করে অপেক্ষার পালা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৯ জুলাই ২০১৮ | ২৭৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • pi | 7845.29.783423.35 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৮ ১০:০৭85376
  • কী যে হবে কাল! আর এই পথে এক এক করে কী যে হতে চলেছে!

    এমনি সমস্যার অন্ত নেই, মানুষ ধরে বেঁধে সমস্যা তৈরি করতেও পারে বটে!
  • রুখসানা কাজল | 7823.147.787812.124 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৩:২২85384
  • অশ্রুপাতের পথ ধরে রক্ত ঝরবে।
  • h | 2345.110.124512.166 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৪:১২85377
  • রায়ট , দাম্গায় প্ররোচনা , দাঙ্গাবাজদের হিরো হয়ে ওঠা , সব কিছু র পরেও স্টেট পলিসির ভিত্তি ই ডিসক্রিমিনেশন এই দুটো জিনিসের পার্থক্য আছে। আমার , এমন কি গুজারাট এর পরেও আশা ছিলো এদেশ কে সম্পূর্ন ফ্যাসিস্ট হওয়া থেকে দেশ ঘুরে দারাবে , আর বিশেষ আশা নেই
  • Du | 237812.58.121212.9 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৬85385
  • ভারতের রোহিঙ্গিয়া। সর্বানন্দ যে জাতীয় নায়ক এতদিনে বুঝলাম। কিছুদিন আগে দেখছিলাম লাচিত যেন বদন না হয়ে ওঠে, বুঝিনি কে এত বড় খেতাব পেয়ে গ্যাছে।
  • Du | 237812.58.121212.9 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫১85386
  • আরেকটা কথা কেউ বলছেনা জাস সলি না মেনে কি করে একটা নাগরিকত্ব জাজ হয়? সেটা অসাংবিধানিক নয়?
  • h | 2345.110.124512.166 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৮85378
  • খুব ভালো তথ্যপূর্ণ প্রবন্ধ।
  • PT | 340123.110.234523.16 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৫:১৯85379
  • যারা এই বিভৎস ও দৈত্যাকার ঘৃণার সঙ্গে সর্বভারতীয় স্তরে তাত্বিক লড়াইটা চালাতে পারত তাদেরকে পব-র বাঙালীরাই তুলনামূলকভাবে তুচ্ছ্তর কারণে উৎখাত করেছে আর ক্রমাগত হায়েনাদের হাত শক্ত করে চলেছে।
    এখন তবে আর কিসের কান্নাকাটি?
  • sm | 2345.110.125612.225 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৬:২৪85380
  • হায়েনা কারা?
  • রৌহিন | 670112.203.788912.75 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৭:১২85387
  • চল্লিশ লক্ষ মানুষ (সবাই বাঙালি নন সম্ভবতঃ - বিহারী, নেপালি, রাজবংশী, কোচ সবাই আছেন, কিন্তু তাতে মূল কথা চাপা পড়ে না) কোথায় যাবেন? পুশব্যাক হবে না, বাংলাদেশের সঙ্গে এরম।কোন চুক্তি নেই, থাকলেও বাংলাদেশ এত মানুষের ভার নিতে পারত না। এরা ভারতীয় নাগরিকও রইলেন না - এদের তাহলে ভবিষ্যৎ কি? এই চল্লিশ লক্ষের মধ্যে চল্লিশ হাজারও যদি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসবাদী দলে নাম লেখায়, কে তার দায় নেবে?
  • tattik | 568912.34.3434.2 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৭:৪২85381
  • মরিচঝাঁপি পার্টি।
  • দেব | 785612.41.9004512.214 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৮:১২85388
  • @মিঠুন

    "সুতরাং সিটিজেনশিপ বিল ২০১৬ বাস্তবায়িত না হলে, এই মানুষগুলোকে কোন আইনে নাগরিকত্ব দেবে?"

    পেছোনটা যাতে মারা না যায় সেই আইনে, আবার কি?

    ৪০ লাখ সংখ্যাটা কতদূর ঠিক কি ভুল ছেড়ে দিলাম। এটা প্রাথমিক খসড়া। আরেকপ্রস্থ রিভিউএর পরে কিছুটা কমবে। ধরে নিলাম ৩০ লাখে এসে দাঁড়ালো। ৩০ লাখ সংখ্যাটা কতটা বড় খেয়াল আছে? ১০ লাখও যদি হয় সেটাও। কি অপশন আছে এদের জন্য?

    ১। বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে? না। সম্ভব নয়।

    ২। বাংলাদেশকে বলা হবে ফেরত নিতে? বাংলাদেশ একটি দিগন্তবিস্তৃত মধ্যামাঙ্গুলি দেখিয়ে দেবে।

    ৩। জোর করে মেরে ধরে ঠেলে বাংলাদেশে ঢোকানো হবে? এইটা বোধহয় অনেকে ভেবে বসে আছে। এই প্রকল্পের সম্ভব অসম্ভব ছেড়ে দিলাম, বাংলাদেশে দেড় কোটি হিন্দু বাস করে। আমরা ৩০ লাখ এদিক থেকে পাম্প করবো, ওদিক থেকে ওরা ৫০ লাখ পাম্প করে পবতে ঢুকিয়ে দেবে। উদ্বাস্তু অ্যাখ্যান রাউন্ড ২.০। তারপর? বাংলাদেশে সেনা অভিযান?

    ৪। থাকতে দেওয়া হবে কিন্তু নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে? তাতে কি ঘন্টাটা হবে? তুমুল প্রতিবাদ তারপর উত্তাল দাঙ্গা, এই তো? আরেকখানা কাশ্মীর?

    বাবুরা প্যান্ডোরার বাক্স খুলে বসে আছে। আবাংএর দল।

    "১৯৭১ এর পর সংখ্যালঘু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়া নিয়ে একটা লজিক আছে, কিন্তু ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশি মুসলিম হলে কোন হিসাবে নাগরিকত্ব পাবে?"

    লজিকে কিছু ভুল নেই, লজিস্টিক্স নিয়ে সমস্যা। ঢুকে একবার গেলো তো হয়ে গেলো। আর কিসু করার নেই (ওপরে যে কারণগুলো লিখেছি)। ঐ বেড়ায় যেটুকু আটকায়।
  • মিঠুন | 670112.203.456712.220 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৮:৫২85382
  • মোটামুটি পড়লাম,এবার বলি- আইনত কেউ nrc এর বিরোধিতা করতে পারে না,কারন এটা সংবিধান স্বীকৃত।

    এবার, যদি ঠিকঠাক nrc হয়ে থাকে তবে ৪০ লাখ মানুষ বাদ পড়লে অবাক হব না, কারণ সবাই ১৯৭১ এর মে মাসের আগের বাসিন্দা নয়।
  • মিঠুন | 670112.203.456712.220 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৮:৫৩85383
  • সুতরাং সিটিজেনশিপ বিল ২০১৬ বাস্তবায়িত না হলে, এই মানুষগুলোকে কোন আইনে নাগরিকত্ব দেবে?

    ১৯৭১ এর পর সংখ্যালঘু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়া নিয়ে একটা লজিক আছে, কিন্তু ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশি মুসলিম হলে কোন হিসাবে নাগরিকত্ব পাবে?

    (১৯৭১ এর আগে কোন মুসলিমের নাগরিকত্ব না দিলে সেটা অন্যায়, সেটা সম্ভবত হয়নি,কিছুটা অফিসিয়াল কাজের এরর থাকতে পারে
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০৯:৪৩85389
  • সব দোষ ব্রিটিশ দের :) :) ।
    এতো ভাষা , এতো জাতি - সবাইকে জোর করে ধরে বেঁধে রেখে একটা সো called অখণ্ড দেশ বানানোর কোনো দরকার ছিলো না। তারা জাস্ট বিদেয় হলেই পারতো, তারপর আমরা সবাই মারামারি, কাটাকাটি করে গোটা পঞ্চাশ-ষাট দেশ বানিয়ে নিতুম। তারপর চারদিকে শুধু দেয়াল আর কাঁটাতার আর BSF, আর পায় কে। সব সমস্যার সমাধান।
  • h | 230123.142.34900.102 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০১:৩৩85391
  • আসামে র কেস এ এথনিসিটি ভিত্তিক গ্রুপ গুলোর নেতাদের সঙ্গে মুসলমানবিরোধী জাতীয়তাবাদী দের(বিজেপি এবঙ্গ কঙ্গ্রেস) এর মধ্যে এই বহুদিন ধরে বাড়তে থাকা আন্ডারস্ট্যান্ডিঙ্গ ভারতীয় ফ্যাসিজম কে ফাইনাল চেহারাটা দিল।
  • PT | 340123.110.234523.18 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০২:৩৯85393
  • মনে আছে মাসীমার মালপো খাওয়ানোর কথা? অথবা অনশন মঞ্চে কৃষক প্রেমে গদগদ রাজনাথ ও তথাগতর সমর্থন দেখাতে আসা? অথবা খর্গপুরে চাচার ভোট কেটে দিলীপ ঘোষকে জেতানোর ঘটনা? তারা আসিতেছে.....
  • h | 230123.142.34900.102 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৬85405
  • একটা ক্যাম্প নিয়ে অলরেডি খবর বেরিয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং স্ক্রোল এ , হর্শ মান্দার এর রিপোর্ট। আরো হবে হয়তো।

    পার্থ প্রতিম মৈত্র কে দুটো প্রশ্নঃ

    ক - একটা রিপোর্ট আজ বেরিয়েছে, মমতা কে কোট করে এন ডি টি ভিতে, ফকরুদ্দিন আহমেদ এর ফ্যামিলি , র নাম ওঠে নি। এটা কতদূর সত্য। এমনিতে ওনার পুরোনো কন্ট্রোভার্সি মনে আছে।

    খ - আরেকটা প্রশ্ন করেছেন আজ সুজন চক্রবর্তী বিধান সভাতে, প্রায় এক লাখ সিটিজেনের ভেটিং চেয়েছিল আসাম গভরমেন্ট, পশ্চিম বঙ্গ সরকারের কাছে, সেটার ব্যাপারে চক্রবর্তীর দাবী অনুযায়ী, ৫০০০ মাত্র রেসপন্স গেছে। এটা কতদূর সত্য কোন খবর আছে, বাংলা নিউজ যথারিতি কোন সোর্স দেয় নি , এটা কতদূর সত্য জানা আছে?
  • শক্তি | 670112.203.126712.154 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:১২85394
  • ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও সমস্যা নিয়ে সার্বিক বিশ্লেষণে লেখাটি অত্যন্ত মূল্যবান ।
  • b | 4512.139.6790012.6 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৪85406
  • দ্বিতীয় প্রশ্নের কিছু উত্তর আমি জানি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সম্ভবতঃ গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছে। আমার এক অসমীয়া বন্ধুর ভাইয়ের বৌ বাঙালী, আসানসোলে বাড়ি ও বসবাস। তা পরিবারের সবার নাম উঠেছে, ভাইয়ের বৌ বাদে।
  • রিভু | 450112.191.564523.191 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৪85395
  • “তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে মুসলমান বাদ দিয়ে অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব লাভের সম্ভাবনা উজ্বল। এনআরসি ভিত্তিবর্ষ অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পর্যন্ত প্রমাণপত্র থাকলে সবধর্মের মানুষের নামই পঞ্জীভুক্ত হবে। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত মুসলমান বাদ দিয়ে অন্য সব ধর্মের মানুষই নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছেন, অতএব নাগরিকত্ব পাবার অধিকারী। ফলে যা দাঁড়ালো ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা, মুসলিম ব্যতিরেকে অন্যসব ধর্মের মানুষই নাগরিক হবেন, এটা ধরেই নেওয়া হচ্ছে।”

    বিল টা এখনো পাস হয়নি। হলেও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জড হবে নিশ্চিত।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:১৭85396
  • এদিকে মমব্যান টিভিতে বলল এ সব্বাইকে নাকি পোচ্চিমবঙ্গে জায়গা দেওয়া হবে জীবিকর ব্যবস্থা করা হবে। উদিকে অসম বাংলা সীমান্তে পুলিশ প্রহরা বাড়ানো হয়েছে ওসম থেকে 'ওনুপ্রবেশ' ঠ্যাকাতে! এক তো এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ওনুপ্রবেশ ক্যামনে হয়!? দ্বিতীয়ত মিথ্যাকথা একেবারে জিবের ডগায় মজুত

  • h | 230123.142.34900.102 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৪৭85397
  • মমতা র এখন অল ইন্ডিয়া অ্যাম্বিশন রয়েছে, তাই নানা কথা বলছেন, সেটা ফুরিয়ে গেলে আবার ইনওয়ার্ড লুকিং ন্যারেটিভ বেরোবে। পশ্চিম বঙ্গ কংগ্রেসের বহুদিনের ন্যারেটিভ হল, বাঙাল রা প বঙ্গে না এলে সিপিএম ৭৭ এ জেতে না। সেটায় ফিরতে মমতার সময় লাগবে না বেশি , কারণ ওটাই ওঁর আইডিওলোজিকাল ট্রেনিং এর পার্ট, বাকি এই বিরোধীহীনতা টা যেমন ইন্দিরা সঞ্জয় এর ট্রেনিং।

    এখন সময় বদলেছে, মতুয়া ভোট চাই, হিন্দু হলে শরণার্থী, মুসলমান হলে বিতাড়ন্যোগ্য অনুপ্রবেশ কারী, এই বাইনারি তে মতুয়া নাই। তাছাড়া দেশদ্রোহ/আরব ইনফ্লুয়েন্স এসব ন্যারেটিভ বেরোবে, ঘটি মুসলমান দের তাড়াতে। এ আগুন নিয়ে খেলা, এটাই ভারতীয় রাজনীতি। পশ্চিমাঅঞ্চলে যেমন পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার হয়েছিল, রোহিঙ্গা দের এনে বসাবে মমতা, এবার প্রচার হবে আসাম থেকে লোক এনে আদিবাসী জমিতে বসাবে। রোহিঙ্গা একটু দূরগত কেস ছিল, এই ধুয়ো তুলতে পারলে, এবার একেবারে বিরোধীহীন রাজনীতি, বিরোধীহীন বিজেপি হয়ে যাবে খুব সহজে। লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে খেলার অপর নাম ভারতীয় রাজনীতি।
  • sm | 2345.110.9004512.120 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫২85398
  • এসব না বোঝার কি আছে?প্রশাসন সতর্ক আছে, ভয়ের চোটে কেউ যেন স্বভূমি থেকে চলে না আসেন।
    অবশ্যই পব পড়শী রাজ্য। অসম থেকে লক্ষাধিক লোকের অনুপ্রবেশ ঘটলে, সীমান্ত বর্তী জেলা গুলোর অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে। তাদের বাসস্থান ও জীবিকা নিয়ে প্রবলেম হবে।স্থানীয় ভাবে গণ্ডগোল বাড়তে পারে।
    এটা দুরাজ্যের ই সমস্যা।
    মমতা সরকার তো চমৎকার ভাবে সিচুয়েশন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
    বিজেপি বাদে অন্যান্য বিরোধী দল গুলো ও সহমত প্রকাশ করেছে।
  • sm | 2345.110.9004512.120 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৬:০৫85399
  • কিন্তু হানু ,এতো লুজ কমেন্ট কেন? মমতা কি পন করেছে যে বাঙাল দের ভোট দরকার নেই? বা ,বাঙালরা কি মমতা কে ভোট দেয় না?মতুয়া বড় মা র কাছে কি বিমান বাবুরা ছুটে যায় নি?
    রাজনীতি করতে গেলে সব শ্রেণীর মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে।মমতা সরকার তো সেটাই করে দেখাচ্ছে।
    বর্তমানে বুদ্ধিজীবী রাও তো মমতার দিকেই পাল্লা ভারী করেছে দেখছি --))
  • গজেশ্বর গাড়ুই | 342323.191.1267.149 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৮:২০85400
  • ২০০৫ এর খবরের কাগজ ঘাঁটলে অবশ্য মমতার অন্য স্ট্যান্ডই পাওয়া যাবে।
  • sm | 2345.110.125612.95 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৮:৩৮85401
  • অন্য স্ট্যান্ড খোঁজা যাদের কাজ তারা সেই মত খোঁড়া খুঁড়ি করবে।
    এই তো লোকায়ুক্ত বিল নিয়ে এতো কথা , কই সিপিএম তো লোকপাল বিল নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে না!
    দেখাই যাক না, এন আর সি নিয়ে দিল্লিতে সিপিএম তথা বাম দল গুলো কতটা চিল্লা মিল্লি করে ।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৯:২৯85402
  • সে তো পাঁড় মিথ্যেবাদী, স্ট্যান্ড বদলানো আবার কি! যখন যা প্রয়োজন হয় সেইমত বলে। ২০০৫ এ যা বলেছিল ২০১৮ তে তা বলবেনা। আবার ২০১৮তে যা বলবে মুখে কাজে তা করবে না, উপরে লিঙ্ক দেখাচ্ছে সেটা।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন