এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • হিন্দু বাঙালী আর মুসলমান বাঙালীর এনআরসি নবায়ন

    পার্থ প্রতিম মৈত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২৯ জুলাই ২০১৮ | ২৭৩৯ বার পঠিত
  • "...দেশ স্বাধীন হবার সময়ে আসামের মানচিত্রের অদল বদলের যেন ধুম পড়ে গেলো । প্রথমে শ্রীহট্ট পাকিস্তানে গেলো । তারপরে আসামের বেশির ভাগ পার্বত্য জেলা ভেঙ্গে ভেঙ্গে নতুন নতুন রাজ্য তৈরি হলো । যে প্রক্রিয়াটা আরম্ভ হয়েছিল তা সম্পূর্ণ হবে তখনই, যখন আসামের সাথে কৃত্রিম ভাবে জুড়ে থাকা বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা আলাদা হবে বা আলাদা করা হবে । অসমীয়া ভাষার একমাত্র মাতৃভূমি আসামে অসমীয়া ভাষার লজ্জাজনক ভাবে সংখ্যালঘু হওয়ার কারণ হলো বাংলাভাষী বরাক উপত্যকার আসামের সাথে সংযুক্তি । মূলতঃ সেই কারণেই আসামে অসমীয়া ভাষীদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কম বলে প্রমাণিত হচ্ছে । বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা আসাম থেকে বেরিয়ে গেলে অসমীয়া ভাষা তার নিজভুমে সম্মান জনক প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করা যায় । উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য রাজ্য গুলি আর বরাক উপত্যকা কোনদিনই আসামের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না । এসব অঞ্চল বাধ্যতামূলক ভাবে আসামের সাথে ছিলো কিন্তু আসামের আত্মার সাথে তাদের যোগ কোনদিনই ছিলো না । এই অঞ্চল গুলি আসামের ভূগোলের অংশ হতে পারে কিন্তু ইতিহাসের নয় । বাংলাভাষী বরাক উপত্যকার ক্ষেত্রেও সেই একই কথা প্রযোজ্য। তাই যেমন অন্য পার্বত্য অঞ্চল গুলি আলাদা রাজ্য হয়ে আসাম থেকে বেরিয়ে গেছে সেরকমই বরাক উপত্যকাও আসামের থেকে বেরিয়ে গেলে সবারই মঙ্গল।"
    প্রবন্ধ- হোমেন বরগোঁহাই
    অনুবাদ- রাহুল বিশ্বদীপ ভট্টাচার্য

    পশ্চাদপট
    বহুযুগ থেকেই আসামের একঅংশের বুদ্ধিজীবী চায়নি শ্রীহট্ট আসামে থাক। ১৯৩৩ সালের ১৬ এপ্রিল আসাম অ্যাসোসিয়েশন-এর এক বিশেষ রাজনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, কুলধর চালিহার সভাপতিত্বে। সম্মেলনে শ্রীহট্টকে আসাম থেকে পৃথক করার দাবি করা হয়। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ জুলাইয়ের গণভোটে শ্রীহট্ট ভাগ হয়ে যায়। সেদিন স্থানীয় নয় বলে চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার ছিল না। তা না হলে হয়তো ভারতবর্ষের অন্য ইতিহাস লেখা হত, মানচিত্রও। করিমগঞ্জ মহকুমা শহরের তিন থানা, বেশ কিছু চা-বাগান, বর্তমান বরাক উপত্যকা ভারতে থেকে যায়।

    কিন্তু উল্লাসে ফেটে পড়েছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা। দেশভাগ ও সীমানা নির্ধারণের প্রাক মুহূর্তে আসাম জাতীয় মহাসভার প্রায় মুখপত্র, তখনকার একমাত্র ইংরেজি দৈনিক ‘আসাম ট্রিবিউন’ লিখল, "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিলেট পাকিস্তান চলে যাক"। সেই সঙ্গে মন্তব্য ছিল-“দ্য অ্যাসামিজ পাবলিক সিম টু ফিল রিলিভড অব আ বার্ডেন"। সীমানা ঘোষিত হওয়ার পর আহোম জাতীয় মহাসভার চার নেতা শিলং টাইমস পত্রিকায় এক বিবৃতি ছাপে। যাতে বলা হয়, “উইথ সিলেট জয়েনিং পাকিস্তান, আসাম হ্যাজ গ্রোন স্মলার ইন এরিয়া বাট অ্যাটেইন্ড গ্রেটার হোমোজেনিসিটি হইচ হ্যাজ প্রোমোটেড আসাম টু বি ফ্রি অ্যান্ড সোভরেইন"। এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু চাপ। নির্মিত হতে থাকে আজকের আসামের অস্থিরতার প্রেক্ষাপট। প্রাক স্বাধীনতাপর্বে আসামের মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ-এর ঘোষণা, “ আসাম শুধুমাত্র অসমিয়াদেরই”।

    আসামের সকল সাইন বোর্ডেই অসমিয়া ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক-এই দাবির ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালেই শুরু হয় আসামের জাতিদাঙ্গা। ১৯৫০ সালে দাবি ওঠে দেশভাগের পরবর্তী আসামে থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাড়াতে হবে। ভাষা দাঙ্গার নৃশংসতা চরমে পৌঁছোয় প্রায় গোটা রাজ্য জুড়ে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার বাঙালী ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে আশ্রয় নেয় পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। আরও প্রায় ৯০০০০ আশ্রয় নেন বরাক উপত্যকায় ও সন্নিবর্তী এলাকায়। ১৯৬০ সালে ঘোষণা করা হল আসামের রাজ্যিক ভাষা হবে অসমিয়া এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালি অঞ্চল। বরাক উপত্যকায় তারই প্রতিবাদে গড়ে ওঠে ৬১-এর ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন।

    হিন্দু-বাঙালী এবং মুসলিম-বাঙালী
    ১৯৪৮ সালের ৪ মে অসম মন্ত্রিসভার উদ্যাগে নীচের নিম্নলিখিত সরকারী বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়:
    'পূর্ব পাকিস্তান অঞ্চল থেকে প্রদেশে শরণার্থীদের প্রবাহের ফলে সৃষ্ট অবস্থা এবং শহরে ও গ্রামগুলিতে শান্তি, শৃংখলা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করছে যে অ-আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতেই জমি হস্তান্তর বা কোন সেটেলমেন্ট করা যাবে না। বর্তমান আপৎকালীন অবস্থায় যারা এই প্রদেশের আদিবাসী নয় সেইসব ব্যক্তিরাও অন্তর্ভূক্ত হবে, যারা অ-আদিবাসী বাসিন্দা কিন্তু এই প্রদেশেই ইতিমধ্যে নিজেদের জমি এবং ঘর তৈরী করেছে এবং আসামকে নিজস্ব ভূমি হিসাবে বিবেচনা করছে। (রাজস্ব বিভাগ সংখ্যা ১৯৫/৪৭/১৮৮ তারিখ ৪.৫.৪৮)।

    লব্ধ জমি, জীবিকা, এবং নিরাপত্তা হারানোর ভয়ে দলে দলে বাঙালী নিজেদেরকে অসমীয়া হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করে। ৫১ সালের আগুপিছুতে চর এলাকার ময়মনসিংহ মুসলিমরা নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করে সেন্সাসে। ১৯৩১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যায় অসমীয়া ভাষাভাষীদের সংখ্যা শতকরা মাত্র ৩১.৪ % ছিল। কিন্তু ১৯৫১ সালে প্রথম স্বাধীনতা-উত্তর আদমশুমারিতে দেখা যাচ্ছে যে অসমীয়া ভাষাভাষী মানুষদের সংখ্যা ১৯৭৩২৫০ থেকে বেড়ে ৪৯১৩২৯২৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বিশ বছরে প্রায় ১৫০% বৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে। এই অলৌকিক ঘটনা ঘটে কারণ ১৯৫১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী অভিবাসী বাঙালি মুসলমানরা তাদের মাতৃভাষা হিসাবে নিজেদের অসমীয়াভাষী হিসাবে ঘোষণা করেছিল।অসমীয়া ভাষা সংখ্যাগুরুর ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় আসামে।

    ১৯৬১ সালে বরাকউপত্যকার মুসলমানদের একটা অংশ ছিল ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার হিন্দু অসমীয়াদের সঙ্গে। যার ফলশ্রুতিতে ঘটেছিল ১৯শে জুনের হাইলাকান্দি ফায়ারিং এবং ১১ জনের মৃত্যু।

    এনআরসি নবায়ন
    ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা গণনা হয়নি। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকে অসমীয়াভাষীর সংখ্যা শতাংশ হিসেবে কমতে শুরু করে। এই সময় থেকেই অলক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদীদের উত্থানপর্বের সূচনা। এবারে প্যরাডাইম শিফট হতে থাকে। আসুর বঙালখেদা সূক্ষ্ণভাবে রূপান্তরিত হতে থাকে মুসলিম খেদা অভিযানে। কেন? উত্তর লুকিয়ে আছে মাত্রই কিছুদিন আগে প্রকাশিত ধর্মভিত্তিক সেন্সাস রিপোর্টে। দেখা গেল আসামের মুসলমান হচ্ছে জনসংখ্যার ৩৪.২% যেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২৭%। হাইলাকান্দি, বরপেটা, নগাওঁ, ধুবরী, বঙ্গাইগাঁও, গোয়ালপাড়া, করিমগঞ্জ, দরং, মোরিগাঁও জেলায় মুসলমান সংখ্যাধিক্য। অতএব মূল কোপটা নেমে আসছে আসামের মুসলিমদের ওপর। অবশ্য বাঙ্গালী হিন্দু উদ্বাস্তুদের সমস্যা যে তাতে কিছুমাত্র লাঘব হলো তা কিন্তু নয়।

    কথাগুলি বলতে হলো এটা বোঝাতে যে আসামের সর্বাঙ্গীন উন্নতিতে হিন্দু-মুসলমান বাঙালীর একটা বিরাট অবদান রয়েছে। কিন্তু অসমীয়া রাজনীতিবিদেরা চিরকাল সাধারণ অসমীয়াকে বুঝিয়ে এসেছে বহিরাগতরাই আসামের দুর্গতির মূল কারণ। তাদের বিতাড়ন করতে পারলেই এই জমি, এই জলজঙ্গল, এই প্রাকৃতিক অকৃপন সম্পদ, ভাষা-ধর্ম সব কিছুতে আমাদের প্রভুত্ব চলবে। যে করে হোক আমাদের সংখ্যাগরিষ্ট প্রমান করতে পারলেই কেল্লা ফতে। আর তার জন্য প্রয়োজন এদেরকে যত বেশি সংখ্যায় বিতাড়ন। কিন্তু দেশভাগের পর উদ্বাস্তু স্রোত, একাত্তরে খানসেনার দাপটে আতংকিত হিন্দু মুসলিম শরণার্থী আর পরবর্তী সময়ে খেপে খেপে নিজস্ব ও সামাজিক- অর্থনৈতিক কারণে কখনও মুসলিম, কখনও হিন্দু অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে আসামে। আর আসামের রাজনৈতিক নেতৃত্ব শিউরে শিউরে উঠেছে। শুধু সংখ্যালঘু হয়ে যাবার ভয়ে নয়, আসলে তাদের রাজনীতির মূল চালিকা শক্তিই হারিয়ে ফেলার ভয়ে। তাদের এই প্যারানোইয়া একের পর এর জাতিগোষ্ঠিকে বাধ্য করেছে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজস্ব প্রদেশ গঠন করতে। যারা পারে নি (যেমন বোডো বা ডিমাসা,কখনও কখনও বরাকভ্যালি) তাদের সঙ্গেও বিচ্ছিন্নতা বেড়েছে। কিন্তু আসামের একবগ্গা নেতৃত্ব এই ক্ষতিকে ক্ষতি বলে স্বীকার করতেই রাজী নয় তা ইতিহাসে বারবার প্রমাণিত। টানা আন্দোলনে এবং ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গায় আসামের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বিতাড়নকে মূলমন্ত্র করে রাজনীতি চালানোর খেসারত আসামকে দিয়েই যেতে হচ্ছে।

    এনআরসি এমনই এক বিতাড়ন প্রক্রিয়া। ১৯৮৩ সালে আইএমডিটি অ্যাক্ট চালু হবার পর গত বছর পর্যন্ত ডি ভোটার অর্থাৎ ডাউটফুল ভোটারের সংখ্যা ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১৯,৬৩২ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো গেছে মাত্র ২০১৭ জনকে। এতদিনের বিদেশী মিথ ভেঙ্গে যায় যায়। তা তো আর হতে দেওয়া যায় না। অতএব সুপ্রিম কোর্টে আইএমডিটি অ্যাক্ট বাতিল করানো হলো এবং তার জায়গায় এলো এনআরসি। পঞ্চাশ থেকে সত্তর লক্ষ বিদেশীর গল্প আবার চালু হলো। যে মানুষটি আইএমডিটি অ্যাক্ট (যার উত্তরাধিকার হলো আজকের এনআরসি নবায়ন প্রক্রিয়া) এর বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে আপীল করে আইনটি বাতিল করালেন, তিনি ছিলেন তৎকালীন এজেপি সরকারের এমপি সর্বানন্দ সোনোয়াল। কে এই সর্বানন্দ সোনোয়াল? এক কালের প্রবল পরাক্রমশালী বাঙালী বিদ্বেষী আসুর প্রেসিডেন্ট, অগপর শীর্ষনেতা এবং বঙালখেদা আন্দোলনের তাত্বিক স্থপতি হিসাবে "আসামের জাতীয় নায়ক"। কে এই সর্বানন্দ সোনোয়াল? বর্তমানে আসামের বিজেপি মন্ত্রীসভার মুখ্যমন্ত্রী।

    আসাম একটি জটিল রাজ্য। তার অসংখ্য টানাপোড়েন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নবায়ন প্রক্রিয়ার পিছনেও রয়েছে আরও বহুবিধ কারণ। সব এখানে আলোচনা করাও সম্ভব নয়। দু একটি প্রসঙ্গ মাত্র উত্থাপন করা হলো এখানে।বাকীগুলি নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকবে আরও বহু দশক ধরে।দেশভাগের মতই এ ক্ষত শুকাতেও সময় লাগবে।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬
    এনআরসি-র সঙ্গে আরও দুটি শব্দ চালু হলো ওআই (অরিজিনাল ইনহ্যাবিট্যান্ট) এবং এনওআই (নন অরিজিনাল ইনহ্যাবিট্যান্ট)। অসমীয়া ভাষায় প্রথমটি খিলঞ্জীয়া, দ্বিতীয়টি বহিরাগত। এই খিলঞ্জীয়াদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ভাষা ধর্ম, মাটি, সম্পদ সব কিছুর সুরক্ষার জন্য এত আয়োজন। যত বেশি বিতাড়ন তত বেশি সুরক্ষিত হওয়া, এরকমটাই বোঝানো হয়েছে সাধারণ অসমীয়া মানুষকে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় একটি রিস্ক ফ্যাক্টরকে কিছুতেই বাতিল করা যাচ্ছেনা। তা হলো বাতিলের তালিকায় যদি হিন্দু বাঙালীর নাম বিপুল সংখ্যক হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কী হবে। হিন্দু হিন্দুকে বিতাড়ন করছে এটা ভারতের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ভুল বার্তার দ্যোতক। দ্বিতীয়ত বাঙালী হিন্দু বেশি বাতিল হলে বিজেপির ঘাঁটি এলাকা বরাকভ্যালিতে মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। অতএব ভাল করে না ভেবেই এবং সারা ভারতে ফায়দা তোলার লক্ষ্যে বিজেপি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ এনে হাজির করলো। বরাক ভ্যালিতে মুখরক্ষা হলো, সারা ভারতে মুখোজ্বল হলো, কিন্তু আসাম উত্তাল হয়ে উঠলো নতুন করে। এই বিলে মুসলিম বাদ দিয়ে বাকি সব ধর্মের মানুষ যারা ২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে আক্রান্ত এবং ভারতবর্ষে শরণার্থী, তাদের ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অসমীয়া নেতৃত্বের মূল উদ্দেশ্যই আবারও ব্যর্থ হবার উপক্রম।

    তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে মুসলমান বাদ দিয়ে অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব লাভের সম্ভাবনা উজ্বল। এনআরসি ভিত্তিবর্ষ অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পর্যন্ত প্রমাণপত্র থাকলে সবধর্মের মানুষের নামই পঞ্জীভুক্ত হবে। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত মুসলমান বাদ দিয়ে অন্য সব ধর্মের মানুষই নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছেন, অতএব নাগরিকত্ব পাবার অধিকারী। ফলে যা দাঁড়ালো ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা, মুসলিম ব্যতিরেকে অন্যসব ধর্মের মানুষই নাগরিক হবেন, এটা ধরেই নেওয়া হচ্ছে। ফলে এনআরসি নবায়নে শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যে কারা সঠিক ভারতীয় আর কারা অনুপ্রবেশকারী এটুকু ঠিক করলেই হতো। তবে কি এনআরসি আসলে মুসলিম নাগরিকপঞ্জীতে পর্যবসিত হতে চলেছে?

    ৩০শে জুলাই এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হচ্ছে। কেউ জানেনা কতজন বিদেশী হিসাবে চিহ্নিত হবে।কুড়ি লক্ষ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ যে কোনও সংখ্যা বাতাসে ভাসছে। কোন ধর্মের মানুষের সংখ্যা কত বেশি তার ওপর নির্ভর করবে আসামের রাজনৈতিক গতিপথ। হিন্দুর সংখ্যা বেশি হলে নাগরিকত্ব বিল দিয়ে পুলটিস মারবে বিজেপি। আর মুসলিম সংখ্যাধিক্য হলে ঐ বিলের আর প্রয়োজন থাকবে না। সেটিকে তাকে তুলে রাখা হবে। এখন আগামী বেশ কিছু ঘন্টা শুধু ফিঙ্গার ক্রস করে অপেক্ষার পালা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৯ জুলাই ২০১৮ | ২৭৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • sm | 7845.11.566712.139 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৯:৫৮85403
  • যে কোন যোগ্য প্রশাসকই এভাবে কাজ করে।প্রথম লক্ষ্য থাকে প্যানিক সিচুয়েশন কে এলিভিয়েট করা।
    একসঙ্গে ভয় পেয়ে প্রচুর লোক চলে এলে লোক্যাল সমস্যা হবে। এজন্যই অসম জেলাশাসক ও পুলিশ কর্তা দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।কারণ ,বর্তমানে লোকজনের মধ্যে প্রচুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
    পৃথিবীর কোথাও দশ বছরের বেশি থাকা অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো যায় না। এখানে অনেকের কাছে তো আঁধার কার্ড ও পাসপোর্ট অবধি রয়েছে। কোর্টে চ্যালেঞ্জড হলে সরকারের পক্ষে জবাব দেওয়া মুশকিল।
    তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়াও যায় কয়েক লক্ষ লোক নাগরিকত্ব হারাবে;
    তবু ও তাদের থাকার জায়গা ও জীবিকার সংস্থানের জন্য পব নামক অঙ্গ রাজ্য কে অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে।
    সুতরাং বর্তমান প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করেই।
  • রিভু | 450112.191.564523.191 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ১২:২৭85390
  • একটা প্রশ্ন ছিল, এনআরসিতে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে কি কি ডকুমেন্ট দেখাতে হচ্ছে?
  • PT | 340123.110.234523.4 (*) | ০১ আগস্ট ২০১৮ ০৩:০১85408
  • ধর্ম ও জিরাফে থাকার প্রবল প্রচেষ্টার খবরটা ঠিক কোন টইতে যাওয়া উচিত কে জানে!!

    "Banerjee, however, praised Union ministers Sushma Swaraj and Rajnath Singh stating that these leaders are "good", and added "others are not".
    "Potato and potato chips are not same," Banerjee quipped."
  • পার্থপ্রতিম মৈত্র | 5645.250.564523.27 (*) | ০২ আগস্ট ২০১৮ ০৭:১৬85410
  • Comment from h on 31 July 2018

    আপনার প্রশ্ন দুটির উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। এতক্ষণে নিশ্চয়ই উত্তর পেয়ে গেছেন। তবু বলিঃ

    বরপেটা জেলায় ফকরুদ্দীন আলি আহমেদের এক ভাই ফ্যামিলি নিয়ে থাকেন। তাঁদের পরিবারের কারও নাম ওঠেনি। গোটা বরপেটা জেলায় এরকম অসংখ্য কেস। হয়তো মনে থাকবে NRCর পাইলট প্রজেক্ট বরপেটা জেলাতেই চালু হয়েছিল, এবং ফলশ্রতিতে গুলি পর্যন্ত চলে।

    দুই, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গাফিলতি আছেই। আমার স্ত্রীর ডকুমেন্টই ভেরিফাই করে পাঠানো হয়নি বলে জেনেছি। নীচের লিংকটা পড়ে নেবেন।

    https://www.time8.in/1-05-lakh-names-not-included-in-draft-nrc-as-west-bengal-govt-didnt-verify-documents-hajela/
  • h | 230123.142.34900.87 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৮ ০৪:২৬85411
  • অনেক ধন্যবাদ দাদা। ঈশ্বরের কৃআয় অন্তত এখনো লেজিটিমেট ভারতীয় নাগরিক হিসেবে মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবতে যে, রাষ্ট্রের আশীর্ব্বাদে আসা পার্সোনাল উটকো ক্রাইসিসের মধ্যেও আপনি এই প্রবন্ধ লিখেছেন। পাঠক হিসেবে কৃতজ্ঞ রইলাম।

    আমার দিক থেকে কয়েকটা কথা ছিল। এই প্রবন্ধ বা এই বিষয়ে প্রবন্ধের সংকলন, যদি অনুবাদ করে বা বাংলাতেই , গুরুচন্ডালির সঙ্গে বা অন্য ভাবে, আপনি যদি প্রকাশ করেন, আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে, কাজে লাগতে রাজি, যদি অন্য কোন স্টেকহোল্ডারের আপত্তি না থাকে। সরাসরি ই বলছি, প্রচুর উত্তেজনাপূর্ণ প্রবন্ধ পড়লাম, এই বিষয়ে, তথ্যপূর্ণ বিশ্লেষণাত্মক কাজ এক ইনডিয়ান এক্সপ্রেস এর একটি ছাড়া আর বিশেষ পড়িনি।

    আর কয়েকটা প্রশ্ন ছিল। সঞ্জীব বড়ুয়া র থিসিস হল, ১৯৭৯-১৯৮৫ র মধ্যেই, আসু এবং ইভেনচুয়ালি অগপ র আন্দোলন এর আমলে, এই এথনিসিটির ক্রাইসিস সবচেয়ে বেশি হয়েছিল। কিন্তু অন্য সূত্রে খবর পাছি, পারিবারিক অভিজ্ঞতা এবং অন্য কিছু প্রবন্ধ পড়ে, মংগল দই এর বাই ইলেকশনের আগে থেকেই, এই ক্রাইসিস ছিল। তো আমার প্রশ্ন টা ছিল ১৯৪৭ এর পর থেকে ঠিক কবে কবে, এথনিক ক্ল্যাশ বেশি করে হয়েছে। এমনিতে যদি নাইটিন্থ সেঞ্চুরি থেকেই , চাষের জন্য ইমিগ্রান্ট লেবার আনার অভ্যাস আসাম্মের ল্যান্ড হোলডার দের ছিল, লোআর আসামে বিশেষতঃ তাই যদি হয়, এবং যদি চা বাগানে বহুদিন ধরে বিহার নর্থ বেংগল নেপাল এর শ্রমিক
    রা গিয়ে থাকেন, তাহলে এই ক্ল্যাশের ইতিহাস পুরোনো হবার কথা। কিন্তু ১৯৫১ এবং ১৯৭৯ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট কেন, ১৯৭৪ এর একটা ক্ল্যাশ এর খবর পাছি। এইটা যদি একটু বুঝায়ে বলেন, মানে এখানে না বললেও হবে বইতে লিখতেও পারেন।

    আর ফাইনালি, একটা যদি আসামের এই বিষয়ে বেরোনো বই পত্রের একটা বিবলিওগ্রাফি মত করে দেন , বা জেনেরাল দিক নির্দেশ করে দেন ভালো হয়।

    থ্যাংক ইউ দাদা।
  • h | 230123.142.34900.87 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৮ ০৭:০৩85412
  • ও আচ্ছা, ভালো ইন্ডেকসিং রয়েছে নর্মাল ইন্ডিভিজুয়াল সাবস্ক্রিপশন ব্যাবহার করে, দেখছি ই পি ডাব্লিউ ডিজিটাল আর্কাইভে, ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৫ , ১৯৬৬ থেকে ২০১৮ দুটো ভাগে, এমনকি লেখক দিয়েও ইন্ডেক্স পাওয়া যাছে। প্রায় চল্লিশ জন লেখকের।
  • পার্থপ্রতিম মৈত্র | 5645.251.563423.61 (*) | ০৪ আগস্ট ২০১৮ ০৯:৩১85413
  • তিন প্রধানের লীগ

    এ হলো "তিন প্রধানের খেলা"। ছোটবেলায় যখন রেলগাড়ি চড়ে কোলকাতা বেড়াতে আসতাম, তখন দেখতাম কোলকাতা ফুটবল লীগে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল আর মহামেডান এর খেলা ঘিরে উন্মাদনা। কেউ কোনও যুক্তি বুদ্ধি মানছে না। আবেগ আবেগ। আবেগে আধলা উড়ছে, আবেগে ব্লেড চলছে, রেড রোডে। তারপর আস্তে আস্তে বুঝলাম আমার বোকা বুদ্ধি উপজাত জ্ঞান অর্থহীন। ভেবেছিলাম মোহনবাগান ইষ্টবেঙ্গল মানে এপার বাংলা আর ওপার বাংলা, আর মহামেডান মানে আমাদের নয়, ওদের ধর্ম। পরে বুঝলাম অঙ্কটা এত সরল নয়, রীতিমত ত্রিঘাত সমীকরণ। মানে যারা খেলবে, তাদের মধ্যে জাতি-ধর্ম বিভাজন নেই। তারা আজ এদলে, তো কাল ওদলে। দলবদলু। ভাগ হচ্ছে সমর্থকদের মধ্যে। আজ এক প্রধান, তো আজন্ম সেই প্রধান। তারাই আধলা ছোঁড়ে, তারাই ব্লেড চালায় রেডরোডে। তাদেরই উস্কানি দেয় প্রধানের প্রধানেরা। আর তারা বিপক্ষের টুঁটি লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    আসামেও এখন তিন প্রধানের লীগ। ধরা যাক বিজেপি+এজেপি+আসু মিলে হলো মোহনবাগান, কংগ্রেস+এইউডিএফ+তৃণমূল মিলে ইস্টবেঙ্গল, আর সেকু+মাকু+ছাগুরা মহামেডান। সব দলের চিন্তন মস্তিষ্কগুলি কোচের মত নিত্যনতুন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে। কখনও দেশভাগ, কখনও ভাষা যুদ্ধ, কখনও রায়ট, কখনও অ্যান্টিরায়ট, কখনও রামশিলা, কখনও আসামচুক্তি, কখনও আইএমডিটি, কখনও ডি-ভোটার, কখনও নাগরিকত্ব বিল সংশোধন, কখনও এনআরসি।

    চাপাতি আর তলোয়ার চালায় দরের খেলোয়াড়েরা। তাদের মধ্যে দল বদলও হয়। মানে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে গেলেই তিনি সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত। মাকু-সেকু-ছাগুরা দলবদলে তাদের বামপন্থা, ধর্মনিরপেক্ষতা আর মুসলিমত্ব নিয়েও যদি বিজেপির ছাতার নীচে চলে আসে তবে সেও শুদ্ধ। এদিকে চল্লিশ লক্ষ নেই হয়ে যাওয়া মানুষের বুক চাপড়ানো হাহাকার চাপা পড়ে যায় গ্যালারীর মেক্সিকান ওয়েভে। খেলা চলে দেশ জুড়ে। আবেগে গেরুয়া ধ্বজ ওড়ে, আবেগে মসজিদ ভাঙ্গে, আবেগে মানুষ পোড়ে দেশ জুড়ে।

    আর আমরা? তিন প্রধানের সমর্থকেরা, দালাল অশিক্ষিত মূর্খেরা, হাঁড়িকাঠে গলা দিয়ে ম্যা ম্যা করে চিৎকার করি। আর কখন খাঁড়া নেমে আসবে তার প্রতীক্ষা করি। চয়েস বলতে শুধু দুটো। বলি না জবাই? জবাই না বলি?

    [ আগের একটি পোস্ট পুনর্মার্জন করে রি পোস্ট করা]
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ০৫ আগস্ট ২০১৮ ০৭:১৭85414
  • পার্থপ্রতিম-এর কাছে কৃতজ্ঞ-ই বলা চলে, মূল লেখাটির জন্য। খুবই দরকারী লেখা।
    হানু যেমন বলল, এই লেখাগুলো ছড়িয়ে পড়লে, অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছলে (বিভিন্ন ভাষায়) ভাল হয়
  • h | 230123.142.670112.158 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৮ ০২:১৪85415
  • অনেকদিন ধরে চাইছিলাম ঐতিহসিক কেউ লিখুন, আজ সজল নাগের লেখা বেরিয়েছে, আবাপ তে।
  • দেব | 785612.41.897812.100 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৪৬85418
  • @h - ওটা খুব সম্ভবত ANI খবরের এজেন্সিকে গতকাল NRCর কর্ণধার প্রতিক হাজেলা বিশেষ কিছু কথা বলেছিলেন সেই জন্য। উনি বলে ফেলেন যে যাদের নাম ওঠেনি তাদের কাউকেই ডিপোর্ট বা ডিটেন করা হবে না। তাতে কোর্ট খেপে যায়।
  • h | 340123.99.121223.132 (*) | ০৭ আগস্ট ২০১৮ ১১:০৫85416
  • আজ দেখলাম, কোর্ট এন আর সি রেজিস্ট্রার কে মুখ ঝামটা দিয়েছে। তো আপীল করার রাস্তা আর আছে না নাই? নাকি গোটাটাই ফরেনার্স ট্রাইবুনাল এর মাধ্যমে। আমার আত্মীয় বন্ধুরা রা যাঁদের নাম ওঠে নি, তাঁরা ফলো আপ এর উপরে ভরসা রেখেছিলেন।
  • র২হ | 236712.158.895612.152 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৯ ০৬:৪২85419
  • এখানেও আলোচনা হচ্ছিল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন