এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • মেডিকাল কলেজ

    ডাঃ মৃণ্ময় বেরা লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ১২ জুলাই ২০১৮ | ২৮৩৩ বার পঠিত
  • ও মশাই জানি খুব ই ব্যস্ততা আপনার, তবুও কয়েকটা কথা শুনে যান। কোন এক দলে তো পড়বেনই যাদের সম্বোধন করে এই খোলা চিঠি। বিশ্বকাপ দেখার মাঝে যদি এক দুবার খবরের চ্যানেলে চোখ পড়ে গিয়ে থাকে বা খবরের কাগজের ভেতরের পাতায় যদি চোখ পড়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই অন্তত এটুকু জেনেছেন যে মেডিক্যাল কলেজ কোলকাতায় তৃতীয়, দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের প্রায় শ'খানেক ছেলে-মেয়ে ৯ দিন ধরে কলেজের কমন রুমে থাকছে হোস্টেল না পেয়ে। ৫ ই জুলাই হোস্টেলের দাবি নিয়ে প্রিন্সিপাল এর কাছে গেলে তিনি শান্তিপূর্ন অবস্থানের ওপর ২০০ জন পুলিশ ও তৃণমূল গুন্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দেন। তার ফলে বেশ কিছু ছাত্র গুরুতর আহত হয়। তার পরেও ছাত্ররা দমে থাকে নি। তারা এখনো কলেজের কমন রুমে থাকছে। ৯ ই জুলাই সোমবার অন্যান্য বন্ধু চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মী সংগঠন ও ছাত্র সংগঠন মিলে প্রায় ৪৫০ জন কলকাতার রাজপথে মিছিল করে পাল্টা বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা আরো দৃঢ় ভাবে তৈরি। পুলিশ গুন্ডাদের সঙ্গে মিলে অনশন মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। অন্যায়ভাবে নতুন হোস্টেলে কোন কাউন্সিলিং ও অফিশিয়াল নোটিশ ছাড়া রাতারাতি স্নাতকোত্তর মেয়েদের ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই স্নাতকোত্তর মেয়েদের কোন অফিশিয়াল থাকার জায়গা না দিয়ে তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাত্রদের মধ্যেকার(স্নাতকোত্তর এর সাথে প্রাক-স্নাতক) সংহতি নষ্ট করার কাজে। সারা ক্যাম্পাস জুড়ে অঘোষিত কার্ফু জারি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এর পরেও কিন্ত হার মানেনি। ১০ তারিখ দুপুর থেকে তারা প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে বসেছে। স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সিলিং এর দাবীতে ও কলেজ ক্যাম্পাসের গণতন্ত্র বজায় রাখতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
    এসব শুনতে বলছি কেন? কোন মেডিক্যাল কলেজের ঝামেলা বা কে মার খেল বা কে হোস্টেল না পেল তাতে আপনার আমার দিন গুজরানে সরাসরি কিছু যায় আসে না তো ঠিকই, কিন্তু আসতেও তো পারে কখোনো। হঠাৎ করে আপনার নিজের বা কাছের কারোর শরীর খারাপ তো হতেই পারে। এমনই অবস্থা, যে মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এ (CCU) তে ভর্তি করতে হল। জানেন এই CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ কে? এমন একজন ডাক্তার, যিনি ২০১৬ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। CCU এর কাজ, অর্থাৎ ক্রিটিকাল কেয়ারে কাজের জন্য প্রথামত কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রী তার নেই। উপরন্তু তিনি পাশ করার পর বড়জোর দুবছর রোগী দেখেছেন (যদিও এই দুবছরে কতদিন ডিউটি দিয়েছেন তার খবর যদি আপনি সঠিক ভাবে নেন তাহলে আপনি বাকরুদ্ধ হবেন এ নিশ্চিত) ।
    মেডিকেল কলেজে CCU এ বা ক্রিটিকাল কেয়ারে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ডাক্তার আছেন। তাঁদের অনেকের অ্যানাস্থেশিয়োলজি বা মেডিসিন-এ পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রী আছে। তাঁরা ক্রিটিকাল কেয়ার (CCU / ITU) তে কাজও করছেন। তাঁদের মাথার ওপর বসিয়ে দেওয়া হল এরকম অভিজ্ঞতাহীন ও বিশেষ প্রশিক্ষণ বিহীন এক ডাক্তারকে, যিনি সাধারণ সমস্ত মাপকাঠিতেই ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে বা ডাক্তার হিসেবেও যথেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় কোনদিনই দেন নি। যোগ্যতা একটা অবশ্য আছে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়া। ভাবুন একবার, মেডিক্যাল কলেজের CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ এর anesthesiology তে স্নাতকোত্তর বা এমডি ডিগ্রী নেই। ভাবুন আপনার চিকিৎসা হবে কার হাতে। আর সেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তদারকি করেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। ধরেই নিলাম এই কারচুপি তাঁর কাছে অজানা। ভাবতেই ইপারেন, আমি কি আর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হব? সে না হয় কিছু সাধারণ মানুষ মরবে। সমস্যা হল এই ভদ্রলোক আপ্যোলো হাসপাতালেও যুক্ত। কী এবার। কোথায় যাবেন? ভয় করছে না? তা এই ভদ্রলোকই হলেন মেডিক্যাল কলেজের নতুন হোস্টেলের সুপার। যার অধীনে প্রিন্সিপাল মহাশয় প্রথম বর্ষের ছাত্রদের রাখবেন বলে ঠিক করেছেন। মেডিক্যাল এর ছাত্ররা হোস্টেলের দাবীর পাশাপাশি লড়ছে এটার জন্য যে এই রকম এক জনকে তারা হোস্টেলের সুপার হিসেবে মেনে নিতে নারাজ। আর এর প্রধান মদতদাতা হলেন 'কুকুরের ডায়ালিসিস' করানো (কু)খ্যাত আরেকজন 'চিকিৎসক'। ছবিটা ভাবুন, আপনি মেডিক্যাল কলেজের CCU তে ভর্তি আপনার চিকিৎসক হলেন ইনি। হয়ত আপনার পাশের বেডে কুকুরের ডায়ালিসিস চলছে। এর পর ভয় করছে না! ভাবুন ছেলেমেয়েগুলো আপনার জন্যও কিন্ত পরোক্ষ ভাবে ৯ দিন ধরে লড়ছে।
    শুধু চিকিৎসাপ্রার্থী কেন? আপনি যদি সেই সমস্ত বাবা - মা ও আত্মীয়দের একজন হন, যাদের ছেলে-মেয়েরা হয়তো ভবিষ্যতে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হবে, তাহলে ভেবে দেখুন, কার দায়িত্বে ছেলেকে রাখতে চলেছেন? এতো স্বপ্ন করে মেয়ে বা ছেলেকে ডাক্তারি পড়তে পাঠাবেন পশ্চিমবঙ্গ এর সেরা মেডিক্যাল কলেজে, রাখবেন কার অধীনে? কী পরিবেশে সে থাকবে? কী শিক্ষা পাবে?
    আপনি যদি চিকিৎসক বন্ধুদের একজন হন তো, শেষ দুই বছর ধরে ডাক্তারদের যে গণশত্রু হিসেবে দেখান হল তার সাথে মিলিয়ে দেখুন। ভাবুন এমন লোক যদি CCU এর ডেপুটি ইনচার্জ হয় তবে রোগী গাফিলতি তো হবেই। আর এরকম কিছু ডাক্তারের জন্য সারা ডাক্তার সমাজ কে গণশত্রু তে দেখান হবে আর সাধারণ মানুষ ও এটাই ভাবতে বাধ্য হবেন। এর পর ও চুপ থাকবেন? আপনি প্রাইভেট চেম্বার করলেও এই কিছু ডাক্তারের জন্য আপনার রোগী আপনার পেশার জাতি কে অসুর বানাবে। চুপ থাকবেন নাকি ভাই বা ছেলের বয়সি এই ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন। লড়াইটা ময়দানে ওরা লড়লেও এটা কিন্তু পুরো ডাক্তার সমাজের লড়াই।
    পুলিশ আর প্রিন্সিপাল এর জন্য অবশ্য শব্দ খরচ করাও পাপ। একজন নিজে ছাত্রাবস্থায় থাকতেন হোস্টেল জবরদখল করে। আর আজ ছাত্র পিটিয়ে কুকুরের ডায়ালিসিসকারী ও তার কোম্পানির কাছে পুষ্পস্তবক নিয়ে হাসি বদনে ছবি তুলছেন বুক ফুলিয়ে। নিজে তিনি কলেজের আনাটমি বিভাগের ওপরের হোস্টেল জবরদখল করে থাকতেন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের সাথে পাশ করার পরেও হাউসস্টাফশিপের সময়। আর এখন তিনি মেডিক্যাল কলেজের ১৮৪ বছরের ঐতিহ্য কে নষ্ট করে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা করে দাললদের অধীনে রাখতে তৎপর। যিনি একসময় মালদা মেডিক্যাল কলেজে তৃণমূল এর হাতে মার খেয়েছিলেন আজ তিনি সেই তৃণমূলের হাতের পুতুল।
    পুলিশ কিছুদিন আগে একটি পোস্টার দিয়েছিল যে 'ডাক্তারেরা সমাজবন্ধু বিপদে-আপদে আমাদের সহায়। ওদের গায়ে হাত তোলা দণ্ডনীয়। জেল হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত।' ঘটনা এই, যে আজ তারাই ১০০ জন মিলে শাসক গুন্ডাদের সাথে হাত মিলিয়ে ডাক্তারি ছাত্রদের পেটাচ্ছে।
    হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এ দেশ!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১২ জুলাই ২০১৮ | ২৮৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • avi | 7845.11.230123.73 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ০১:০১85548
  • ওটাই সন্দেহাতীত নয়। নতুন হস্টেলে প্রথম বছর রাজনীতিমুক্ত থাকার ব্যাপারটা। যা শুনছি, ওই নবনির্মিত ভবনের হবু সুপারিনটেনডেন্ট হলেন আলোচিত সিসিইউ ডেপুটি চীফ, যাঁর ট্র্যাক রেকর্ড সন্দেহকে দৃঢ় করে।
    আমার বিশ্বাস, রাজনীতিটাই মূল ইস্যু। মেডিক্যাল কলেজে বরাবর হস্টেল সংক্রান্ত ঘোষণা ঘিরে ঝামেলা হয়েছে, কারণ হস্টেল যার, রিক্রুট তার। তবে অতীতে কোনো একেবারে খালি হস্টেল এত বড় ছিল না যেখানে একটা বছরের সমস্ত ছাত্রের সংস্থান হতে পারে। এখানে সেটা সম্ভব। আর সে কারণেই সবার ডেস্পারেসি ব্যাপক। কত সিট আছে জানি না, তবে হস্টেলটি উচ্চতা ও বিস্তৃতিতে সুবৃহৎ। :)
  • sm | 2345.110.894512.114 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩৪85549
  • একজন সুপার এর কি কাঠি করার ক্ষমতা আছে,অন্তত হোস্টেলে?
    বরঞ্চ আমাদের আমলে ছাত্ররা হোস্টেল সুপার কে নাস্তা নাবুদ করে দিতো।
    রাত্রি দুটোর সময় সুপারের ঘরে কড়া নেড়ে, প্রায়শই খবর দেওয়া হতো-- স্যার জানেন আজ রাজীব গান্ধী মারা গেছেন বা ব্রাজিল জিতে গ্যাছে ,এসব হাবি জাবি।সুপার ঘুম চোখে ভ্রুকুটি করে, উত্তর দিতো;ওহ, তাই--)).
    দুই, রাজনীতির ময়দানে সরাসরি নামতে হয়।
    ক্যান্টিন, ক্লাসের আগে, মাঠে, লাইব্রেরীতে, ফ্রেশার্স ওয়েলকাম অনুষ্ঠানে, ক্যাম্পেন করে, নোটস দিয়ে সাহায্য করে পটাতে হয়।
    কলেজ কেন্দ্রিক রাজনীতির আলোচনা চালাতে হয়। মেডিকেল কলেজে পড়তে আসা জনগন আর যাই হোক, স্টুপিড নয়। নিজেদের দল নিজেরাই ঠিক খুঁজে নেয়।
    তবে এতো বড় সুবৃহৎ হোস্টেলে, খালি ফার্স্ট ইয়ার আর পিজিটি থাকলে হোস্টেল খাঁ খাঁ করবে যে!
  • নবকুমার | 670112.208.78900.50 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ০৪:০১85550
  • মেডিকেল কলেজে পড়ছে মানেই সবাই খুব বুদ্ধিমান পরিনত তাও না। কোরপান শা ভুললে চলবে?

    ছাগল সর্বত্র আছে। বুঝেশুনে ঘরে রাখতে হয়।
  • sm | 2345.110.894512.114 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৯85551
  • কোরপান শা, একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ওটা হলো একধরনের তাৎক্ষণিক নির্বুদ্ধিতা, হঠকারিতা।
    কিন্তু কোন দল কে সাপোর্ট করবো, এতো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়।
  • avi | 7845.11.230123.73 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩২85552
  • নাহ, সবাইকে পাল্টে দেওয়ার দরকার পড়ে না। আমাদের সময় প্রতি ব্যাচে দেড়শ মতো স্টুডেন্ট থাকতো, রাজনৈতিক মতামত অনেকসময় পাঁচদশ জনের ঘুরিয়ে দেওয়া গেলেই সেটা নির্ণায়ক হয়ে যেত। সবার মতামত যে প্রভাবিত করা যায় না, সেটা মনে হয় সবাই মানে। সুইংটুকু নিয়েই গণ্ডগোল। :)
  • sm | 7845.15.9006712.205 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ০৮:০৮85544
  • লেখা টি পড়লাম। কিছু প্রশ্ন আছে। যদ্দুর জানি মেডিকেল কলেজ এর হোস্টেল সংখ্যা পাঁচটি।
    বনফুল,চামারি,অরফানেজ,গীরিবাবু ও মেন হোস্টেল।
    আগে ছিল শিল ম্যানশন। সেটির লিজ শেষ হলে, উঠে এসেছে কলেজ প্রাঙ্গণে; বি সি রায় এনেক্সি তে।
    এর মধ্যে বনফুল ও চামারি, বড় দের জন্য প্রদত্ত। মানে হাউস স্টাফ , ইন্টার্ন আর পিজিটি থাকবে।
    বাকিগুলো তে স্টুডেন্টরা মূলত থাকে, ইনকল্যুডিং ইন্টার্ন।কারণ খাতায় কলমে ইন্টার্নরাও এক রকমের স্টুডেন্ট।
    যদি বাইরের স্টেট গুলো ধরেন, সেখানে,অধিকাংশ কলেজ গুলিতে স্টুডেন্ট, জুনিয়র ডক্টর ও পিজিটি দের জন্য আলাদা আলাদা হোস্টেল এর ব্যবস্থা আছে।
    সম্প্রতি কাগজে পড়লাম ,রয়গিং আটকানোর জন্য এম সি আই নাকি গাইড লাইন দিয়েছে, ফার্স্ট ইয়ার স্টুডেন্ট দের অন্যান্য ইয়ার দের থেকে আলাদা রাখতে। পিজিটি নিয়ে কোন বাঁধা নিষেধ নেই। বস্তুত পিজিটিরা ফার্স্ট ইয়ার কে র্যাগিং করছে, এমন ঘটনা বিশেষ পাওয়া যায় না।
    আবার এটাও সত্যি, মেডিকেল কলেজে এই ব্যাধির প্রকোপ এমনিতেই কম।
    গন্ডগোলের সূত্রপাত বোধ হয়, একটি নতুন বহুতল হোস্টেল কে ঘিরে।
    এখানে কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত,ফার্স্ট ইয়ার ও পিজিটি থাকবে, অন্য দিকে সব ইয়ার এর স্টুডেন্টই এখানে থাকতে চায়।
    মৃন্ময় কে প্রশ্ন, মেন হোস্টেল বা গীরিবাবু, এইসব হোস্টেল গুলোর কি খুব জরাজীর্ণ অবস্থা?
    তাহলে, স্টুডেন্ট দের দাবি হওয়া উচিত, আমাদের নতুন বিল্ডিঙে থাকতে দাও, আর পিজিটি ও ফার্স্ট ইয়ার দের মেন হোস্টেলে গুঁজে দাও। কতৃপক্ষের গরজ থাকবে পুরনো হোস্টেল গুলো কে রিনোভেশন করার।
    দুই, ক্রিটিকাল কেয়ারে কজন কনসালট্যান্ট আছেন?
    নিশ্চয় তাঁরা, এমডি বা ডি এম।
    তাহলে ঐ ডেপুটি ইনচার্জ কে নিয়ে এতো মাথা ব্যথার কি আছে?
    যদি কনসালট্যান্ট একটি বা দুটি মাত্র থাকে, তবে ওই ইউনিটে আমি অন্তত ভর্তি হবো না।--))
  • avi | 7845.11.230123.73 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ১০:৫২85545
  • মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র রাজনীতি সাধারণভাবে হোস্টেলকেন্দ্রিক। আগে যখন ছাত্র পরিষদ ছিল, তখন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ক্ষেত্রে কমন রুল ছিল বিসিরায় আর গিরিবাবু সিপির, অরফানেজ এসএফআই আর মেইন হস্টেল মূলত ডিএসএ। মেয়েদের একটিই হস্টেল, যাতে সিপি ও ডিএসএ দুইই থাকত, অনেক সময়েই সেটা আলাদা আলাদা রুম ও উইংকেন্দ্রিক। এগারোর আগে অব্দি এখানের রাজনীতিতে বাইরের পার্টির খুব একটা হেলদোল ছিল না। সিপি জিতে আসত বরাবর, কংগ্রেস সেটা জানতো কিনা তাও জানা যেত না। সিপিএমও বিশেষ সক্রিয়তা দেখায় নি। খেলা খেলা ব্যাপার ছিল। নতুন স্টুডেন্ট আসার সময় সিনিয়ররা নির্দিষ্ট হস্টেল নেওয়ার জন্য ইনফ্লুয়েন্স করতে চাইত, এবং এই 'ছেলে তোলা'র মধ্য দিয়েই সক্রিয় কর্মীর পুল তৈরি হতো। সংখ্যা, প্যাটার্ন, পদ্ধতি - সবেতেই স্থিতাবস্থা ছিল। এটা বদলালো এগারোর পরে। ছাত্র পরিষদ হয়ে গেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বাইরের মাথাব্যথা এল অনেক তরফ থেকে। কিন্তু যেহেতু হস্টেলকেন্দ্রিকতা রয়েই গেল, ডিএসএতে নতুন রিক্রুট বজায় ছিল। প্রথম বর্ষের আলাদা হস্টেল মানে সেই ব্যবস্থার ইতি। একে বিরোধীশূণ্য ছাত্ররাজনীতি বানানোর প্রচেষ্টাও ভাবা যায় এই দৃষ্টিকোণ থেকে। এবং তীব্র প্রতিবাদের এও এক গ্রাউন্ড।
  • প্রতিভা | 561212.96.9005612.235 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ১১:০০85546
  • শাসক দেখছি অনেক ভেবেচিন্তে দাবার চাল দিচ্ছে । বোকা আর পাগল ভাবার মাশুল গুনছি আমরা ।
  • sm | 7845.15.343412.240 (*) | ১২ জুলাই ২০১৮ ১২:১৭85547
  • অভি,বেশ গুছিয়ে লিখলো। যা, বোঝা গেলো, সি এম সি তে,তিনো মূল রয়েছে, ছাত্র সংসদে।
    এতে কোনো অসুবিধের কারণ দেখি না। কারণ প্রবল পরাক্রান্ত বাম আমলেও,ছাত্র পরিষদ থাকতো, পাওয়ারে। ডি এস এ ও কিছু কিছু সিট পেতো।
    এখন ছাত্র পরিষদ পাল্টে, তিনো মূল হয়েছে। হতেই পারে।
    কারণ স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায়, আগে কংগ্রেস ছিল, এখন তিনো মূল।
    হোস্টেল কেন্দ্রিক রাজনীতি ও মানা গেলো। কিন্তু প্রশ্ন হল, যদি ফার্স্ট ইয়ার কে আলাদা হোস্টেল করে, রাজনীতি মুক্ত পরিবেশে রাখা হয়, তাতে তো, তিনো মুলের বেশি ক্ষতি।
    তারাই,বরঞ্চ নতুন ছাত্র দের পটাবার সুযোগ কম পাবে।
    আর যদি রাজনীতিটা মূল ইস্যু না হয়, তবে তো সিনিওর স্টুডেন্ট দের দাবি হওয়া উচিত, পুরো নতুন হোস্টেল তাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
    বাই দ্যা বাই, নতুন হোস্টেল কতো বড় আর কটা সিট আছে?
  • abrupa | 230123.142.451212.210 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:১১85553
  • দেখুন sm আপনার বয়স কত জানিনা। কিন্তু এর মধ্যে গঙ্গা দিয়ে অনেক (ময়লা)জল বয়ে চলে গেছে। বর্তমান সময়ের কলেজ পলিটিক্সের ধরণধারণ যে পাল্টে গেছে সেটা নিয়ে বোধহয় সবাই আপডেটেড নন। আমাদের সময়ে হ্যান করতাম ত্যান করতাম সেরকম বলা সোজা ভাই। কিন্তু কেন এতগুলো কলেজের কোনোটাতেই শাসকদলের পেছনচাটা স্টুডেন্ট উইং ছাড়া আর কোনো বিরোধী দল রইল না, কেন DSA অন্যান্য কলেজ থেকে উঠে গেল, তার কারণ রয়েছে, সেগুলো তো জানতে হবে, তাইনা! সুদু আমরা হ্যান করতাম ত্যান করতাম তা বল্লে হবে! আর ফার্স্ট ইয়ারের বাচ্চাদের স্টুপিড কি না তা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। ফার্স্ট ইয়ারের বাচ্চা স্টুপিড না হোক, রাজনীতিমুখী তো নয়ই, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে যেটুকুওবা ছিল আজ, ফেবু, হোআ, চ্যাটপ্যাট ইত্যাদির দৌলতে সেটুকুও নয়। শুধু পড়ব, জানব এরম করলে হবে! বলুন! আর ডেপুটি ইনচার্জ না কি যেন ওই পার্থপ্রতিম মন্ডল একসময় SFI ছিল, এখন Tmcp, একদিন BJP, XXX, YYY হবে। ওর সহচর হচ্ছে কিছু মেডিক্যাল ফেলু গুন্ডা, আর বেশ কিছু নন মেডিক্যাল টক্সিক প্রকৃতির লোকজন, যারা পৃথিবীতে ক্ষমতা বলতে গায়ের জোর বোঝে। আপনার সুন্দর, সুখী ঘরখানাও কিন্তু রাজনীতিমুক্ত নয়, ফার্স্ট ইয়ারের হোস্টেল তো নয়ই। চলুন না আজ আড়াইটায় মেডিক্যাল কলেজ বাচ্চারা ওপেন কনভেনশন ডেকেছে, একটু দেখে আসি কেমন আছে এখনকার বাচ্চারা। ওখানেই কথা হবে নাহয়। এরম বাড়িতে বসে বুকনি দেয়াটা কি ভালো!? আপনারাই বলুন।
  • avi | 7845.11.784512.59 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৭85562
  • নাহ, ভান টান না, ওটা আমার কাছে একটা প্রহেলিকা বলতে পারেন। এখানে সেযুগে মেডিক্যাল কলেজ রাজনীতি নিয়ে বিশেষ টানাটানির মানে নেই যদিও, কিন্তু আমার সেই সময় খুব মনে হতো, এসএফআই যদি কলেজ ইউনিয়ন দখল করার জন্য উঠেপড়ে লাগতো, তাহলে সিপিকে আক্রমণ করা বা গিলে ফেলা অনেক সহজ হতো মেইন হস্টেলের দখল নেওয়ার চেয়ে। শাসকদলের হাত বাড়ালে সিপি আলাদা করে টিকে থাকতো কিনা সন্দেহ, যেটা এগারোর পরে হলো। কিন্তু সেটা হয় নি, আমার জ্ঞানত।
  • sm | 2345.110.894512.189 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৫:০০85554
  • না না ,বুকনি দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। আমি এখন ও বুঝতে পারিনি স্টুডেন্ট দের দাবি টা কি?যদি স্টুডেন্ট দের দাবি হয় ভালো হোস্টেল, তবে ফার্স্ট প্রেফারেন্স পাওয়া উচিত দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ইন্টার্ন অবধি। কারণ তাদের পড়াশোনা করার দরকার সব চাইতে বেশি। তাহলে মেইন দাবি হওয়া উচিত আমরা থাকবো নতুন হোস্টেলে আর ফার্স্ট ইয়ার ও পিজিটিরা থাকুক বাকি হোস্টেল গুলো তে। কোন বিরোধ বা দ্বিমত নেই তো। কিন্তু তার জন্য ফার্স্ট ইয়ার এর স্টুডেন্ট দের সঙ্গে একসাথে থাকতে হবে কেন?
    যখন এম সি আই এর গাইড লাইন বাধা নিষেধ আরোপ করেছে।
    অবিশ্যি এই গাইড লাইনের কথা কাগজেই পড়েছি, শুধু।
  • sm | 2345.110.125612.5 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৫:২০85563
  • এখানে পোস্ট গুলো পড়ে যা বুঝলাম, শাসক দল গুন্ডা গিরি করে ক্ষমতা কায়েম করে রেখেছে।কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রবল পরাক্রম শালী সিপিএম এর তিন দশকের বেশি রাজত্বে ও মেডিকেল কলেজে এস এফ আই, দাঁত ফোটাতে পারে নি।
    ছাত্র পরিষদ বেশিরভাগ সময়ে বেশি আসন জিতেছে তার পর ডি এস এ।
    প্রসঙ্গত বলা ভাল, মেডিকেল কলেজে ছাত্র পরিষদ মানে এম সি সি পি আর ডি এস এ ও হলো এম সি ডি এস এ।
    অর্থাৎ কলেজ ভিত্তিক রাজনীতি। মোদ্দা কথা হলো ,এজেন্ডা হচ্ছে,কলেজর ও স্টুডেন্ট দের উন্নয়ন।বৃহত্তর রাজনীতির স্কোপ এখানে কম।
    বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনোমুল এর জয়ী ক্যান্ডিডেট সংখ্যা বেশি।
    অর্থাৎ অর্ধেক এর ওপর স্টুডেন্ট দের সমর্থন তিনোমুল ছাত্র পরিষদ পেয়েছে, সে যে ভাবেই হোক।
    পোস্ট গুলো পড়ে বোঝা যাচ্ছে এস এফ আই এর ভূমিকায় ও ছাত্রদল খুশি নয়।
    তাহলে আন্দোলনটা কি সর্বাঙ্গীন নয়?
    অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে মেজরিটি ছাত্রের সমর্থন নেই বা তারা মৌন আছেন।
    তাহলে, সবাগ্রে উচিত, সমস্ত সিনিয়র ছাত্রদের মেজরিটি কি চায় , সেটা লিখিত ভাবে পেশ করে, ব্যবস্থা নেওয়া বা দাবি দাওয়া পেশ করা।
  • কেঁচো | 2345.110.9003412.115 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৯:০৫85555
  • smএর প্রতি:
    ১) Admission seat দেড়শো থেকে বেড়ে আড়াইশো হ'লে ৬৭% বাড়াতে হয় hostel প্রতি, বা ৪০% studentকে অন্যত্র রাখতে হয়। তাই "গুঁজে" দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
    ২) শাসকদলকে ছাত্র "পটাতে" হয় না।
    ৩) আপনি নিশ্চিত যে এখনো hostel superintendent hostelএই থাকেন?
    ৪) আপনি নিশ্চিত যে আপনাকে কোনো item, part, internal, annual, gold medal বা university পরীক্ষার আগের রাতে বা সময়ে-অসময়ে seniorদের সাহায্য নিতে হয়নি?
    ৫) Psychological ragging করার জন্য hostelএ একসাথে থাকতে হয় না এটা দেখিয়েছে MCCP(I), B.C.Roy hostelএ days' scholarদের নিয়ে বাধ্যতামূলক রুদ্ধদ্বার বৈঠক ক'রে।
    ৬) তাহ'লে juniormost doctorদের professor বা HOD করার সপক্ষে আপনি?
    ৭) আপনি চান class representative বিনা নির্বাচনে ঠিক হোক?
    ৮) আপনি চান বিনা counselingএ hostel seat allot হোক?
    ৯) "পটানো"-টা রাজনীতি নয়, রাজনীতি সমাজ চেনা ও চলা-টা।

    শাসক তার সুবিধার্থে চায় এমন ঘোড়াদের যাদের চোখে ঠুলি পরানো আছে(বা হয়েছে)।
  • sm | 2345.110.9004512.167 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ১০:০৩85556
  • সব কিছুই অনুমান করে নিলে মুশকিল।
    এখনও দুটো প্রশ্নের উত্তর পেলাম না।
    এক, নতুন হোস্টেলে কত সিট?
    দুই, যদি, এম সি আই গাইড লাইন থাকে, ফার্স্ট ইয়ার এর সঙ্গে সিনিওর স্টুডেন্টদের রাখা যাবে না, তাহলে এতো জোরাজুরি কেন?
    আমি তো বললাম দাবী হোক, সেকেন্ড থেকে ফাইনাল ইয়ার ও ইন্টার্নরা নতুন হোস্টেলে থাকুক।

    কিছু প্রশ্নের উত্তর--
    সিনিয়র দের সাহায্য অবশ্যই লাগে। যাদের লাগবে, তাদের কে কলেজ চত্বরে নোটস দিয়ে, ছোট ক্লাস নিয়ে সাহায্য করবে সিনিয়র স্টুডেন্টরা।
    যাদের আরো বেশি সাহায্যের দরকার হবে, তারা নিজের দায়িত্বে সিনিয়র দের হোস্টেলে যাবে।
    বহু ডে স্কলার তো এমন ভাবেই পড়াশোনা করে বা গোল্ড মেডেলও পায়।
    তিন, ছাত্র সংসদে নির্বাচন তো করতেই হবে।
    চার, কোন মতেই পিজি ডিগ্রি ছাড়া কাউকে কনসালট্যান্ট করা উচিত নয়। প্রফেসর বা হেইচ ও ডি তো দূরের কথা!

    সেই জন্যই তো জিজ্ঞাসা করলাম মোট কতো জন কনসালট্যান্ট ক্রিটিকাল কেয়ারে?
    আর আমি একমত যে রাজনীতি হলো, সমাজ কে জানা ও চেনা।
    এটাতো ফার্স্ট ইয়ারের সঙ্গে একসাথে থেকেই শুধু হয় না।
    ফার্স্ট ইয়ার নিজেই সমাজ কে চিনে বা জেনে নেবে। এর জন্য সিনিয়র স্টুডেন্ট দের হেল্প এর প্রয়োজন তো দেখি না।
    র্যাগিং এর সময় যে আলোচনা হতো , তাতেও এক যুক্তি পড়তো; সিনিয়ররা নাকি ফার্স্ট ইয়ার কে স্মার্ট করছে।
    এটা সঠিক নয় বলে এখন,মনে করেন তো?
  • কেঁচো | 2345.110.9003412.115 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ১০:৫৭85558
  • কোনোটাই অনুমান নয়, it's just a figure of speech.
  • কেঁচো | 2345.110.9003412.115 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ১১:১১85559
  • একজন ডাক্তার হিসেবে guideline বলতে কী বোঝেন তার উপর নির্ভর করছে কাগজের লেখাটা বেশি গুরুত্ব দেবেন না পরিস্থিতিকে। প্রশ্ন করার যে অভ্যাস আপনাকে medical collegeএ পৌঁছিয়ে দিয়েছে তাকে বিদায় জানাবেন কি না তাও এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
  • কেঁচো | 2345.110.9003412.115 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ১১:২৮85560
  • এর থেকেও গুরুতর কত MCI guidelines উপেক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষ কুখ্যাত তা অন্যদের এখানে জানাতে অনুরোধ করছি।
  • কেঁচো | 2345.110.675612.185 (*) | ১৩ জুলাই ২০১৮ ১২:১২85561
  • avi যে লিখেছেন CPI(M)এর কোনো হেলদোল ছিল না, এর থেকে বোঝা যায় হয় তিনি বারংবার main hostelএ SFIএর গুণ্ডা নিয়ে আক্রমনের কথা জানেন না, নয়ত জেনে না জানার ভাণ করছেন।
  • pi | 7845.29.230123.92 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৩85566
  • একশো ঘণ্টা হয়ে গেল অনশনের! লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
  • কেঁচো | 2345.110.126712.248 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৯:০৮85564
  • sm বোধহয় জানেন না, তাপস রায় বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।
  • কেঁচো | 2345.110.126712.248 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৮ ১০:৩০85565
  • avi বলেছেন SFI চাইলে সহজেই MCCP(I)কে গিলে ফেলতে পারত। তবে কি তারা পাগল ছিল যে union ছেড়ে MCDSAর পেছনে পড়ে থাকত? ভাবুন তো, চাইলেই কি ভাজপা গিলে ফেলতে পারে সভাতৃক-কে? তার থেকে ভাকপা(মা) বা পবপ্রক ভাঙানো সহজতর।
  • sm | 2345.110.125612.206 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৯85567
  • হ্যাঁ ঠিক বলেছেন, তাপস রায় বরানগরের বিধায়ক।তবে ওই বউবাজার অঞ্চলেরই লোক।
    তবুও অনিচ্ছা কৃত্ ভুলের জন্য দুঃখিত।
  • pi | 7845.29.894512.13 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৬:৪৬85568
  • অনিকেত চ্যাটার্জির আপডেট।
    ও নিজেও অনশনকারী।

    গতকাল মেডিক্যাল কলেজে প্রায় শতাধিক পুলিশ ও তৃণমূলী গুন্ডা মোতায়েন করে রীতিমতো বলপূর্বক অনশনকারীদের হসপিটালে এবং বাকিদের হয়তো লালবাজার তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয় প্রিন্সিপাল রুমে বসে। সেইমতো তৈরি ছিল একাধিক পুলিশ ভ্যানও। কিন্তু শেষপর্যন্ত ছাত্রছাত্রী,বুদ্ধিজীবী, শহরের গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ মানুষদের সমবেত প্রচেস্টায় পিছু হঠে পুলিশ। পালিয়ে যান প্রিন্সিপাল ও। আক্রমণের আশঙ্কায় এডমিনিট্রেটটিভ ব্লকে রাত জাগে সবাই।

    এখন সকাল 10.30 । কিছুক্ষন আগেই প্রিন্সিপাল এসেছেন তাঁর অফিসে। স্যার যে এই বিশ্বকাপ ফাইনালের বাজারে তাঁর রোবিবাসরীয় দিনলিপিতে আমাদের স্থান দেওয়ার কথা ভেবেছেন এতে আমরা অভিভূত। কিন্তু 'সমস্ত বর্ষের ছাত্রদের জন্য দূরত্ব ও সিনিওরিটির ভিত্তিতে স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা' না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলছে। তাতে আপনি বিনোদনের জন্য পুলিশ ডাকুন,গুন্ডা ডাকুন আপনার ব্যাপার, আমাদেরটা আমরা বুঝে নিচ্ছি।

    কারণ ইতিমধ্যে আজ সকালে অনশনকারী অর্ণবের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানো সত্ত্বেও তার অভিভাবক, সে নিজে এবং আমরা নিজের ন্যায় দাবিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    অনশনের 116 ঘন্টা।
    #MCK_Is_Fighting
  • π | 7845.29.894512.13 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩৩85569
  • দেবাশিস হালদারের পোস্ট।

    ট্রু কলারে যাঁর নাম দেখাচ্চে, দেখে সত্যিই হুব্বা হয়ে গেলাম!

    'অনশনকারী অসুস্থ ডাক্তারি পড়ুয়া আপন সামন্তের বাড়িতে পুলিশ গেল। থ্রেট মারল যে আপনার ছেলে অনশন করছে জানেন? কি হতে পারে জানেন?

    কাকু কাকিমা বললেন জানি, আমার ছেলে ন্যায্য কারণে লড়ছে। প্রয়োজনে আমরাও অনশন করব। তাতে পুলিশ একটা নাম্বার দিয়ে বলে, এই নাম্বারে ফোন করে কথা বলুন, সব জানতে পারবেন।

    তো সেই নাম্বার টা আমরা ট্রু কলার এ দেখলাম এবং হোলি শিট! নাম টা নিজেরাই দেখুন। সক্কলে দেখুন। নোংরামি দেখুন।

    পারলে সব্বাই যাচাই করুন। কতটা নোংরামি চলছে সেটা দেখুন।

    #MCKisFighting
    #ShameOnAuthority
  • b | 562312.20.2389.164 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৭:২১85570
  • নাম আর নোংরামি কোথায়?
  • π | 7845.29.670123.132 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৮:১৮85571
  • মোবাইল থেকে ছবি দেওয়া চাপ। ওর টাইমলাইনে পাবেন।।ট্রু কলারে প্রিন্সিপ্লের নাম দেখাচ্ছে।
  • | 342323.191.3423.234 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৮85573
  • π | 7845.29.6790012.79 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৭:৫৮85572
  • ৭ দিন হয়ে গেল অনশনের!। অনিকেতের কী অবস্থা!

    ওর বন্ধুরা লিখেছে,
    'অনশনরত পড়ুয়া আনিকেত এর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, কালো পায়খানা হচ্ছে! তবু ভর্তি হবেনা সে। ন্যায্য দাবি না মানলে দালাল কর্তৃপক্ষের কোনো নাটুকে সহায়তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে বলে জানাল সে।

    লজ্জা পান অথোরিটি! মেরুদন্ডের জোর দেখুন!

    #MCKisFighting
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন