এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নারীদিবসঃ ২। ‘ঘরকন্যা’দের বেতনক্রম

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১০ এপ্রিল ২০১৫ | ৭৬৩৬ বার পঠিত
  • হ্যাঁ, নারীকে নিয়েই কথা আসে সারাবছর, অজস্র কথা। জীবন এফোঁড়-ওফোঁড় করে চলে যায় নানারঙের কথা। সেইসব কথার পিঠে চড়ে আসে ভাবনারা। প্রশ্নেরা। ঘুরে বেড়ায় আলগোছে। নারীদিবসের আশেপাশে এইসব ভাবনাগুলো জমাট বাঁধে, মাথায় চড়ে বসে।  আমাদের তাগাদা দেয় পুরোনো পড়া ঝালিয়ে নিতে। আর সেই পুরোনো পড়া পুরোনো ভাবনা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই কোথাও কোথাও নতুন কথাও জুড়ে যায় জায়গামত। এবারের পুরোনো পড়া ঝালানোর সময়েই পড়লাম স্বাতী ভট্টাচার্যের ‘ঘরোয়া’ (আনন্দবাজার পত্রিকা, ৮ই মার্চ)। খোদ নারীদিবসে দাঁড়িয়ে একজন নারীই যখন মেয়েদের ‘গুছিয়ে সংসার করার মোহে’র দিকে আঙুল তোলেন, তখন একটু ধাক্কা খেতে হয় বইকি, মানে এইটা ঠিক পুরোনো পড়ার সিলেবাসের মধ্যে ছিল না তো বরং (এই সাংবাদিকের লেখা) যেসব পুরোনো পড়া মনে পড়ে যায়, সেখানে উনিই সওয়াল করে এসেছেন মেয়েদের ঘরোয়া কাজের মূল্যায়নের পক্ষে; সারামাসের রান্নার লোকের মাইনের সঙ্গে বা বারো ঘন্টার আয়ার মাইনের সঙ্গে ড্রাইভার বা মিস্ত্রীর মাইনের একেবারে সোজাসুজি তুলনা করেছেন। তাহলে কি দুটোই সত্যি ! এইখান থেকে শুরু হয়ে যায় আমাদের লেখাপড়াশোনা যার সরল অর্থ হল আজকের পড়ার মধ্যে নতুন ও পুরোনো সবরকমের কথাই থাকবে, নারী ও আনাড়ি সকলের কথাই নামে ও বেনামে থাকবে।


     


    মেয়েলী ও ঘরোয়া


    তবে মেয়েদের যাবতীয় ‘মেয়েলী’ কাজকারবারের মূল্যায়নের কথা উঠলে প্রথমে একতরফা চাট্টি কথা শুনতেই হবে। কারণ সোজা কথাটা হল, যুগ যুগ ধরে যেসব কাজ মেয়েরাই পেরে এসেছে আর করে এসেছে সংসারে সেগুলোকে যথেষ্ট মূল্যবান বলে কেউ ভাবেন নি আর তার কোনও স্বীকৃতিও সেভাবে দেননি। বাড়ির পুরুষটি বাইরে কাজ করেন, তাঁর কাজটা গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর বিশ্রাম এমনকি তাঁর বিনোদনটিও গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু বাড়ির মহিলাটিকে ‘হাউসওয়াইফ’ থেকে ‘হোমমেকার’ যে নামই দিন না কেন তাঁর কাজটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন, আর কতটুকু স্বীকৃতি দিয়েছেন, সে প্রশ্নটা এবার নিজেকেই করুন। সেটা কাপড়ে সূক্ষ্ম ফোঁড় তুলে নকশা তোলাই হোক কি রোজকার থোড়-বড়ি-খাড়ার মধ্যে থেকেই বিচিত্র পদের রান্না হোক, বা বড়ি-আচার-উলবোনা-আলপনা থেকে ঘরদোর পরিপাটি সাজিয়ে রাখা্র নিপুণ ঘরকন্না হোক। ভেবে দেখেননি এই কাজগুলোও নেহাৎই প্রয়োজনভিত্তিক নয়, এদেরও কিছু নান্দনিক মূল্য আছে, এদের পেছনেও কিছু চিন্তা-ভাবনা-সৃজনীশক্তি খরচা হয়, যা সকলের ক্ষেত্রে ঠিক একইরকম নয়। অর্থাৎ ওই যে সর্ষেবাটা-মোচাকাটা থেকে শুরু করে সুগোল ধপধপে লুচি সমেত যা যা আপনি ‘আহা মায়ের হাতে কি চমৎকার হত !’ ভেবে এখন আপ্লুত হয়ে পড়েন, আর ভাবেন ঠিক মায়ের মত কেউ পারে না, ভেবে দেখবেন যখন নিয়মিত সেগুলো পেয়েছেন, তখন সেগু্লো কতটা দামী ভেবেছিলেন, আর তার জন্য  মাকেই বা তখন কতটুকু ধন্যবাদ দিয়েছিলেন ? আর আপনার ঘরে যে মহিলা ‘মায়ের মত’ পারেন না, তিনি যা যা পারেন সেটাই বা এখন কতটুকু মনো্যোগ দিয়ে লক্ষ্য করেন ? তিনি সারাদিন বাইরে না গিয়ে ঠিক কি কি করেন, বিশ্রাম পেলেন কিনা বা ইচ্ছে থাকলেও কি কি করে উঠতে পারলেন না, সে খবরই বা কতটা রেখেছেন ? খেয়াল করলে দেখবেন দুদিনের জায়গায় তিনদিন একঘেয়ে রান্না খেতে হলে বা ঘরদোর অপরিস্কার বা অগোছালো থাকলে আপনারও ভালো লাগছে না, লাগার কথাও নয়। তখন আপনিই বলে উঠছেন (উচ্চগ্রামে কিম্বা মনে মনে) ‘সারাদিন কি যে করে’। কিন্তু যখন সব কিছু ঠিক ঠিক চলে তখনও মনে করেন ‘সারাদিন তো ঘরেই থাকে...’ অর্থাৎ ঘরের কাজটা ঠিক যেন কোনও কাজই নয়। আপত্তিটা এখানেই। 


    না, এই আলোচনায় কর্মরতা মেয়েদের কথা এখনই আনছি না। আর মনে রাখতে বলছি যে এই লেখা একটা বিস্তৃত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে লেখা যেখানে মেয়েরা মূলতঃ ঘরের কাজ করেন এবং সব ঘরের সব কাজই করেন। তাই যে সব উচ্চশিক্ষিত নেটিজেন এই লেখা পড়ছেন আশা করব তাঁরা নিজের পরিবারের সঙ্গে মিল না পেলেই এই সব কিছুকে যেন কষ্টকল্পনা ভেবে বসবেন না। 


    যে কথা বলছিলাম, এই আলোচনা মেয়েদের ওপর সংসারের চাপ নিয়ে নয়, চাপ পুরুষের ওপরও কিছু কম নয়। শ্রম বন্টনের নিয়ম মেয়েরা (বা যিনি ঘরে থাকেন) তিনি ঘরের কাজ করবেন, এর মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। কিন্তু সেই কাজকে এবং সেই সম্পর্কিত দক্ষতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়াটা যে এক রকমের অজ্ঞতা, সেটাই এখানে বলবার কথা। মেয়েরা যে স্রেফ ‘হৃদয়তাপের ভাপে ভরা ফানুস’ তাদের হি-হি হাসি কিম্বা চোখের জল, সকলই নেহাৎ অকারণ, তাতে বিশেষ মনোযোগ না দিলেও চলে, এই ধারণা বংশানুক্রমে চারিয়ে গেছে সমাজে। মেয়েদের শাড়ি-গয়নার আলোচনাই হোক বা রান্নাবান্না বা শাশুড়ি-ননদের নিন্দে, সবই শুধুমাত্র ‘মেয়েলী’ বলেই যেন তা ছেলেদের গাড়ির ‘মডেল’(উভয় অর্থেই) বা বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আলোচনা কি অফিসের বসের / সহকর্মীদের নিন্দেমন্দ থেকে ইতরগোত্রীয়। অথচ যে যে জগতে থাকে সে তো সেই জগতের কথাই আলোচনা করবে, কোন জগতটাই তো মিথ্যে নয়, অর্থহীনও নয়, এর মধ্যে উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ আসছে কোথা থেকে ? সেসব কেউ ভেবে দেখে না। এমনকি মেয়েরাও না।


     


    বাইরে আসা


    হ্যাঁ, ভেবেচিন্তেই বললাম। মেয়েলী গুণপনাকে এই যে পাইকারী হারে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, এই অবহেলা পেতে পেতেই একটা সময়ে মেয়েরাও নিজেদের ‘মেয়েলী গুণ’গুলোকে (এবং মেয়েলী কাজগুলোকে) মূল্যহীন ভাবতে শুরু করেছে। ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’র কথা ভাবতে শুরু করেছে যার একমাত্র অর্থ হল বাইরে বেরিয়ে ‘পুরুষের মত’ উপার্জন করা। আজ যে মেয়েরা চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ-পঞ্চাশের কোটায়, তারা যে একদিন সংসারের প্রয়োজনে নয়, নিজের প্রয়োজনেই দলে দলে বেরিয়ে এসেছিল, তার একটা কারণ কিন্তু এই যে তাদের শিশুকালে অনেকেরই মায়েরা ভেবেছেন তাঁর মেয়ে যেন তাঁর জীবন না পায়। অর্থাৎ শুধুমাত্র সংসারের ‘থ্যাঙ্কলেস জব’-এই মেয়েরা আটকে থাকুক সেটা মেয়েরাই (মানে মায়েরাই) চাননি, চেয়েছেন যে কাজ অর্থমূল্যে বিচার হয় সেইরকম কিছু করতে। যার ফল হল আজকের কর্মরতা মহিলা প্রজন্ম, যাঁরা সংসার ও চাকরী মোটামুটি নিপুণভাবেই সামলে নেন কিন্তু হয়তো ওই তথাকথিত ‘মেয়েলী’ কাজগুলোর জন্য খুববেশী সময় দিতে পারেন না। একটা সময় অবধি যেটা অলিখিত নিয়ম ছিল, অর্থাৎ মেয়েরা শুধু ঘরের কাজ করবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, সেটা নিঃসন্দেহে খুব খারাপ ছিল। সেই নিয়ম চুলোয় গেছে, মেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজকর্ম করছে, নিজের বিদ্যেবুদ্ধির সদব্যবহার করছে, এর কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু এইখানে এসে একটা প্রশ্ন খুব তীব্র হয়ে ওঠে, স্বাধীন হতে গেলে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে গেলে বাইরে এসেই কাজ করতে হবে কেন ? বাইরে কাজ করেন না যে মহিলা, তিনি কি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নেই ? যাঁর নিরন্তর সেবা বা পরিষেবাটুকু বাদ দিয়ে তাঁর সংসার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না, তিনি বাইরে না বেরোনো অবধি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন এমনটা ভাবতে পারেন না কেন ! তার মানে শুধু বাইরে বেরিয়ে উপার্জন না করা অবধি একজন নারী যথার্থ স্বাধীন হচ্ছেন না, তাঁর গুণাবলীর এমনকি মতামতেরও কোনও মূল্য থাকছে না, যদিচ তিনি গৃহকর্ম দ্বারা সংসারকে একরকম ধারণ করেই আছেন। এতদ্বারা গৃহকর্মের মূল্যের যে অবনমন হচ্ছে ব্যাপারটা কি সত্যিই ততটাই অর্থহীন ? দারুণ রান্না বা সেলাই করতে পারা, ঘর সাজাতে পারা, গান গাইতে পারা, এইসবের কি সত্যিই কোনও মূল্য নেই ! 


    হ্যাঁ, ততটাই অর্থহীন না হলেও ততটাই মূল্যহীন, যতক্ষণ না সেটা অর্থমূল্যে বিচার হচ্ছে। না হলে এত বছরে এত কিছু বদলে গেল কিন্তু কেউ শুধু সংসারের কাজ করাকে একটা পেশা হিসেবে দেখতে শিখল না কেন ? আর যিনি নিজে সংসারের উনকোটি কাজ করে চলেছেন, তিনিই বা কেন ‘আমি কিছু করি না’ জাতীয় হীনমন্যতায় ভোগেন ? কেনই কোন মহিলার স্বামী ঘরের কাজ করলে তিনি সেটা স্বীকার করতে লজ্জা পান ? আমি বেশ কয়েকজন মধ্যবিত্ত বাড়ির মহিলার কথা জানি, যাঁরা শুধু ‘নিজের হাতে রোজগার’ করার তাগিদে কেউ দিনের শেষে ব্লাউজে বোতাম পরাচ্ছেন, কেউ কোন কোম্পানীর প্রসাধন সামগ্রীর এজেন্সী নিয়েছেন, কেউ কোন ব্যাঙ্কের জনসংযোগ বাড়াবার জন্য ফোন করছেন। এই কোন কাজই তাঁদের বিশেষ পারদর্শীতার চর্চার জন্য নয়, ভালবেসে করা কাজ নয়, এই কাজ করে যা হাতে আসে তা সংসার খরচে বিশেষ সুবিধে ঘটাবার মত নয়, কিন্তু সেটা তার ‘নিজের রোজগার’। সেইটুকু রোজগারের সময় বার করার জন্য তাঁরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন, স্বামী-ছেলেমেয়েদের কাছে হয়তো নানারকম কথাও শোনেন, কিন্তু তাঁরা জানেন এইটা ছেড়ে দিলে তাঁর নিজের উপার্জন কিছু থাকবে না। স্বামীরা হরদম বলবেন ‘তুমি কাজটা ছেড়ে দাও, ওইটুকু টাকা আমিই তোমায় দেব’, কিন্তু আসলে তা দেবেন না। কারণ গৃহশ্রম অ-মূল্য নয়, মূল্যহীন। সেইটুকু উপার্জন না করতে হলে সেই মহিলা হয়তো সেই সময়ে নিজের শখেই কিছু সেলাই করতেন, নতুন কিছু রান্না করতেন, ঘর সাজাতেন, বা গান নিয়ে বসতেন, কিন্তু সেই ‘মেয়েলী’ কাজের কোনও অর্থমূল্য নেই, তা তাঁকে স্বাভাবিক মুক্তি দিতে পারেনি, তাই তাকে বিসর্জন দিতে হল স্রেফ উপার্জনের চাপে। অথচ সেই মেয়েদের হাতের তৈরী বড়ি-আচার-নাড়ু-পিঠে বা হাতে সেলাই করা আসন-কাঁথা-সুজনিই আপনি কিনে আনছেন মেলা থেকে, কিঞ্চিৎ গর্বিত হয়েই দেখাচ্ছেন সবাইকে, তখন তা অবশ্যই ‘মূল্যবান’।


     


    আসল কথাটিঃ বেতনক্রম


    যাঁরা ভাবছেন এইবার ঝোলা থেকে বেড়াল বেরোল বলে, তাঁদের সবিনয়ে জানাই, এক্কেবারে ঠিক কথা ভেবেছেন, এই বেড়ালটিকে যথাস্থানে বের করার জন্যই অর্থাৎ গৃহশ্রমকে সবৈতনিক করে তোলার দাবীকে যুক্তিযুক্ত ও যাথাযথভাবে পেশ করার জন্যই এত গৌ্রচন্দ্রিকা। একান্ত বাসনাটি হল যে এই ব্যাপারটি নিয়ে একটু ‘সলিড’ চিন্তাভাবনা হোক। কারণ এই বিষয়টা নিয়ে মূলতঃ কথা ছোঁড়াছুঁড়িই শুনতে পাই, কিন্তু গঠনমূলক বাস্তবসম্মত কিছু প্রস্তাব অন্ততঃ আমার চোখে পড়েনি। বরং এই প্রশ্ন উঠলেই সবাই গেল গেল রব তোলেন যেন এই বিষয়টির পণ্যায়ন হলেই সামাজিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে, গৃহকর্ম যে ভালোবাসার বিনিময়মূল্যে দেওয়া-নেওয়া হয় তা নষ্ট হবে। কিন্তু ভেবে দেখুন গায়ক, লেখক, বিজ্ঞানী, শিল্পী সবাই যদি পারিশ্রমিকের বিনিময়েই ভালোবাসার কাজ করে থাকেন তবে ঘরের কাজের ক্ষেত্রে আলাদা হবে কেন ? উপরন্তু গৃহকর্ম সবৈতনিক হলে মেয়েদের এই ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’র জন্য বাইরে বেরোনোর দরকার কমবে আর সংসারের কাজে সময় দেওয়া বা ভালবাসাও বাড়বে বই কমবে না। তবে হ্যাঁ, কারণে অকারণে ‘রোজগার তো করতে হয় না, তাহলে বুঝতে!’ বলার কু-অভ্যেসটা আপনাকে ছাড়তে হবে। সত্যি বলতে কি ৫২ গুন ৭ দিন সংসারের ‘ভালবাসার দাবী’ যাঁরা মেটাচ্ছেন দিনের শেষে তাঁদের মুখে ‘ভূতের বেগার খাটার’ হতাশা তো কখনো না কখনো বেরিয়েই আসে, তাই মনকে চোখ না ঠেরে তাঁর প্রাপ্যটা স্বীকার করেই নিন না ! 


    তবে বেতনের পরিস্কার একটা কাঠামো থাকা দরকার। এটা স্পষ্ট হওয়া দরকার যে এটা তার বেতন, উপহার বা হাতখরচা নয় আর স্বামী এখানে দাতা নয়। যে ভাবে স্বামীর অবর্তমানে তার পেনশন স্ত্রীর কাছে আসে, ডিভোর্সী স্ত্রীর কাছে খোরপোষের টাকা আসে, তেমনিই যেকোন বিবাহিত পুরুষের বেতনের একটা অংশ তার স্ত্রীর কাছে আসবে যেটা ঘরের কাজ করার জন্য তাঁর বেতন, তাঁর নিজস্ব উপার্জন। তিনি যদি ঘরের কাজের জন্য পরিচারিকা রাখতে চান তো সেই বেতন থেকেই পরিচারিকার মাইনে হবে। (ফলে পুরুষটিও কিছুটা শান্তি পাবেন এই ভেবে যে তাঁর অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে)। কিন্তু এছাড়া সেই টাকা মহিলাটি কিভাবে খরচ করবেন, কি কিনবেন, কাকে দেবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। মহিলাটি চাকরী করলে এই বেতন বন্ধ হয়ে যাবে, সে ক্ষেত্রে ঘরের কাজ তাঁরা দুজনে ভাগ করে করবেন না ‘আউটসোর্স’ করবেন, সেটা নিজেরা ঠিক করবেন। তবে হিসেব মত ‘আউটসোর্সিং’-এর খরচ দুজানেরই দেওয়া উচিৎ। এই পদ্ধতি মেনে চললে যে মহিলা নিজের হাতে সব করেন এবং যিনি সব কাজের জন্যই কাজের লোকের ওপর নির্ভর করেন তাঁদের মধ্যে নিজস্ব উপার্জনের ভিত্তিতে একটা তফাৎ থাকবে, সেটাও যুক্তিযুক্ত। আর যদি কোন সংসারে মহিলাটি বাইরে কাজ করেন, এবং স্বামীটি ঘরে থাকেন, তবে একইভাবে তাঁর বেতনের একটা অংশ তাঁর স্বামীর কাছে বেতন হিসেবে আসবে, সেটাও কোনোভাবেই ‘বৌ-এর পয়সায় খাওয়া’ হিসেবে বিবেচ্য হবে না। 


    এই লেখায় ভুল বোঝার বহু সুযোগ আছে, সে সব মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখা থেকে কেউ যদি মেয়েদের চাকরী করার বিরোধি বা মেয়েদের গৃহকর্ম অভিমুখী হবার দরকারী জাতীয় কোন বার্তা পান তো সেটা নেহাৎই লেখকের বোঝানোর ত্রুটী। এমনকি এই লেখা সরাসরি নারী-পুরুষ মেরুকরণের কোনো ধারণাকেও প্রশ্রয় দিচ্ছে না। সাধারণভাবে মহিলারাই গৃহকর্ম করেন বলে এখানে বার বার মহিলাদের কথাই আসছে কিন্তু এর মূল উপজীব্য হল গৃহকর্ম। গৃহশ্রমকে একেবারেই গুরুত্বহীন ভাবার যে সামাজিক নির্মাণ সেটা এবং তার প্রভাব (মূলতঃ মেয়েদের ওপর) নিয়ে এই লেখায় একটু চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা হয়েছে। যে মেয়েরা বাইরে কাজ করতে চান, নিজেকে প্রমাণ করতে চান করুন, কিন্তু যারা জমিয়ে সংসার করতে ভালবাসেন তাঁরাও যেন নিজের পায়ে না দাঁড়াবার হীনমন্যতা থেকে বেরোতে পারেন। আর সে জন্য তাঁদের নিজস্ব মেয়েলী গুণপনাগুলোকে বিসর্জন দিতে না হয়। 


     


    বিপদসঙ্কেত


    এই পদ্ধতি একেবারে ত্রুটিহীন এমন দাবী করা যায় না এবং সমস্ত পদ্ধতির মতই এখানেও কিছু ধোঁয়াশাপূর্ণ জায়াগা থাকবে, সেগুলোও একটু ভেবে রাখা ভালো। যেমন কোন কোন কাজ ঠিক গৃহশ্রমের মধ্যে পড়বে, সেটা ঠিক করাই সবচেয়ে কঠিন। যাঁরা ব্যাবসা করেন তাঁদের স্ত্রীরা বেতন কিভাবে পাবেন বা গৃহবধুটি যদি কাজের ক্ষেত্রে বাড়ির অন্যন্য সদস্যের (শাশুড়ি, ননদ)সাহায্য নেন তবে বেতন ভাগাভাগি কি ভাবে হবে সেটা নিয়েও পরিস্কার করে কিছু ঠিক করা মুস্কিল । তাছাড়া গৃহ-পরিষেবা ক্রয়যোগ্য হলে পুরুষটির দাবী হয়তো বেড়ে চলবে, উল্টোদিকে মেয়েদের ‘পারব না’ বলার সুযোগ কমে যাবে। এতে মেয়েদের ওপর চাপ কার্যতঃ বেড়ে যেতেও পারে। তবে আমার ধারণা একটা মানুষ কতটা ‘ডিম্যান্ডিং’ হবেন সেটা কিছুটা তাঁর চরিত্রগত। যিনি এমনিতে নিজের টুকিটাকি কাজ করে নেন, শুধুমাত্র স্ত্রী মাইনে পাচ্ছে বলেই নিজে জলটুকুও ঢেলে খাবেন না, এমনটা হবার কথা নয়। আর তেমন হলে সেই প্রতিবাদ মহিলাটিই করবেন, তিনি তো স্বাবলম্বী। 


    তবে ওই যে কথা বলা আছে ওই ‘ঘরোয়া’ প্রবন্ধে, যে মেয়েদের চুটিয়ে সংসার করার এক তীব্র আকর্ষণ, সেটা কিন্তু সমস্যার আর একটা দিক। ওই ‘ঘরোয়া’ বিষয়ে কথা বলেছিলাম অনেকের সঙ্গে, দেখা গেল পুরুষেরা অনেকেই রে-রে করে উঠলেও লেখাটার সঙ্গে মেয়েরা (ব্যক্তিগত অভজ্ঞতার মাপে) বিভিন্ন মাত্রায় একমত, মানে এই সংসারের ঝুল ঝাড়া-কাপড় কাচা-পর্দার সঙ্গে চাদরের রঙ মেলানো (কাজগুলো ঠিক এইই নয় সব সময়, বদলে যায় এক নারী থেকে অন্য নারীতে) এতে মনে প্রসারতা বাড়ুক না বাড়ুক মেয়েদের কাছে যে এগুলো খুব জরুরী এবং সেই জরুরী ভাবাটা মেয়েদের এগিয়ে যেতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সেটা মেয়েরা কেউ  সরাসরি অস্বীকার করতে পারছেন না। এই কাজগুলো চলনসই ঘরনের অর্থকরী হয়ে উঠলে মেয়েরা অনেকেই হয়তো বাইরের জগতের ‘চ্যালেঞ্জিং’ কাজে সেভাবে দলে দলে এগিয়ে নাও যেতে পারেন। আবার যেহেতু স্বামীর বেতন থেকে স্ত্রীর বেতন হচ্ছে, তাই স্ত্রীকে চাকরী করতে না দেওয়াটা স্বামীর অধিকারের মধ্যে পড়ে যেতে পারে (মানে স্বামী সেটা ভেবে ফেলতে পারেন !)। সেটা কি তথাকথিত ‘নারীমুক্তি’র বিরোধী হয়ে উঠবে বা বাইরের জগতে যে নারী-পুরুষ সাম্য আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে, তাকে টাল খাইয়ে দেবে ? বিশেষ করে ততটা অর্থকরী নয় এমন যে কাজগুলো মূলতঃ সময় কাটাবার জন্যই মেয়েরা করে থাকেন, যেমন বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুকল্যাণেরই তো কাজ বেশীর ভাগ, সেসবও যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, সেও তো খুব ভালো হবে না ! অনেক সময় মেয়েরা প্রথম দিকে কাজের জগত থেকে সরে দাঁড়ালেও, সংসারের চাপ কিছুটা কমলে আবার কাজের জগতে ফিরে আসতে চান, বেতনক্রম চালু হয়ে গেলে সেই তাগিদটাও কমে যাবে না তো ! 


    তবে এইসব প্রান্তিক সমস্যার কথা ভেবে তো কেন্দ্রীয় সমস্যাটাকে দুরে সরিয়ে রাখা চলে না। আসলে একটা পদ্ধতি বাস্তবায়িত হতে শুরু না করলে তার ত্রুটিগুলো বোঝা যায় না, সমস্যাগুলোরও মোকাবিলা করা যায় না। তাই সাহস করে মেয়েদের বেতন দেওয়াটা চালু করে না ফেললে কিচ্ছু বোঝা যাবে না। তাই আসুন আমরা এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করি, কারণ আজকের আলোচনাই কালকের তুলোধোনা (বিরোধি-পক্ষকে) হয়ে উঠবার ক্ষমতা রাখে !


    পুনশ্চঃ আগেই বলেছি এই লেখা আসলে অনেকের লেখা। অনেকের মতামত, বক্তব্য শুধুমাত্র গুছিয়ে তোলা, তাই একে বলা যায় আসলে লেখা-পড়া-শোনা। এই বিষয়টা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জোরদা্র তক্কাতক্কি যাই হোক সব সেই অ্যাকাউন্টেই জমা ড়বে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ এপ্রিল ২০১৫ | ৭৬৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 101.185.15.226 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৪২86343
  • আসন নাহয় কনসাম্পশন করছেন না। কিন্তু বড়ি কি দোষ করল? বা কাঁথা? আমার এক বন্ধু এই বছর পাঁচেক আগেও ফুল সাইজ কাঁথা বানালো পুরোনো বেড কভার দিয়ে। থিসিস লেখার ফাঁকে ফাঁকেই বানালো। আমারও অনেক কিছু বানাতে ইচ্ছে করে। কেউ যদি সেলাই মেশিন চালানো শিখিয়ে দেয় তাহলেই অনেক কাজ শুরু করতে পারি। ছোটবেলায় তো সোয়েটার কোনদিন কিনে পরিনি। আমার এক মাসি ছিলেন। তাঁকে উল-কাঁটা ছাড়া কখনও দেখা যেতনা। এই কাজগুলো অবশ্যই প্রোডাক্টিভ।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৪৩86344
  • আর "মানুষ বাই নেচার প্রডাক্টিভ বা থটফুল নয়" এটা বলার কারণ আছে । খেয়াল করে দেখুন লেখক-কবিদের মধ্যেও বড় লেখক কবি তাঁরাই হয়েছেন যাঁরা রিস্ক নিয়ে ওটাকে প্রফেশন করেছেন ।সে আমরা যতই "পুজো সংখ্যার লেখা" বলে ব্যঙ্গ করিনা কেন ।কাজেই প্রদাক্তিভিতির সঙ্গে এই প্রফেশনাল প্রেসার জিনিসটার যোগ আছে বলেই মনে হয় ।সে কবিতা লিখুক বা কাঁথাস্টিচ করুক । এমেচারিশ লোকদের বড় কিছু করতে দেখিনি কোনদিন ।
  • hu | 101.185.15.226 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৪৭86345
  • 23.13র সাথে একমত।
  • S | 160.148.14.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৫২86346
  • ও, বাজারমূল্য ? তো, শুধু চেয়ার টেবিল কেন ? আসন, কাঁথা ইত্যাদি তো এখন পয়সা দিয়ে কিনতে হয়। পিঠেপুলি, আচার ইত্যাদি কেনার সময়েও পয়সা লাগে। ধরে নিন এতদিন সমাজ মেয়েদের প্রোডাক্টিভিটির উপর ফ্রি রাইড নিয়েছে এনং নিচ্ছে। ওহ ক্যালকাটার ডাব চিংড়ির দাম মনে করুন আর বাজারমূল্য হিসাব করুন।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:০৪86347
  • একক, ব্যাপারটা একটু গুলিয়ে যাচ্ছে না ? এখানে তো এই কাজগুলো যাতে 'প্রোডাক্টিভ ' বলে ধরা হয়, সেই জন্যেই বেতনের কথা বলা হচ্ছে। নয়তো , যদি ঘরে বসে ঘরের কোন কাজ প্রোডাক্টিভ নাই হয়, তো সেই কাজই যখন অন্যের ঘরের জন্য করা হচ্ছে, চাকরির বা ব্যবসার ফর্মে, সেটা প্রোডাক্টিভ কী করে হচ্ছে ? যেমন, এই ঘরের কাজ যখন পরিচারক/পরিচারিকা অন্যের বাড়ির জন্য করে রোজগার করেন, সেটা কি প্রোডাক্টিভ নয় ? অন্যের জন্য রান্না প্রোডাক্টিভ না হলে হোটেলে রান্না কি প্রোডাক্টিভ নয়, আর তাই যদি হয়, ঘরের রান্না নয় কেন ? সেলাই ফোঁড়াই দর্জি কি ফ্যাশন ডিজাইনার করলে প্রোডাক্টিভ আর ঘরে বসে করলে নয় ? হ্যাঁ, প্রোডাকশন স্কেলের তফাত থাকতে পারে, তাই নিয়ে কথা উঠতে পারে, প্রোডাকশন স্কিলের যাচাই হওয়া নিয়ে, সেই নিয়ে নিজে চাকর বা ব্যবসা করলে যে চাপ পোহাতে হয় , সেগুলো না থাকা নিয়ে কথা থাকতে পারে, কিন্তু কোন প্রোডাকশন নেই, তাতো নয় !
  • S | 160.148.14.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:১৮86348
  • একক,
    "যা প্রডাক্টিভ কাজ হিসেবে মূল্য পাচ্চেনা তা প্রদাক্তিভিটি নয়" - প্রোডাক্টিভিটি শব্দটা বাজে চয়েস করেছেন। অন্য কিছু ভাবুন। আপনার এই স্টেটমেন্ট মানতে হলে অনেক কিছুই প্রোডাক্টিভিটির লিস্ট থেকে বাদ যাবে। যেমন ধরুন হ্যারি পটারের গল্প। রাওলিং নিজের মেয়ের জন্যে বেড্টাইম স্টোরি হিসেবে শুরু করেছিলেন। আর সেটা আপনার বাজামূল্যে হিসেব করলে প্রোডাক্টিভিটির পিনাকল।
  • S | 160.148.14.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:২২86349
  • বাজারমূল্যে
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:২৫86350
  • পাই
    না গুলিয়ে যাচ্ছে না । চাকরিজীবীর পাওয়া বেতনের অংশ দিয়ে কোনদিন প্রোডাক্ট এর মূল্য বিচার হয় নাকী ? প্রোডাক্ট ইস সামথিং হুইচ কামস থ্রু মার্কেট । এই মার্কেট থেকে আলাদা করে বেতনের অংশ থিওরি টা আনাই হয়েছে যাতে ওপেন ওয়েজ ব্যালান্স না হয়ে ইম্তার্নালি ওয়েজ নিগশিয়েত করা যায় । এটাই বরং একটা সিউডো প্রোডাক্ট সেন্স গ্রো করে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা । ঘরে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা কেন ওপেন মার্কেটের অংশ হতে পারছেন না সেটা তো আগেই কথা হয়েছে ।মানি-মার্কেট-প্রোডাক্ট এগুলো একদম এসব কথার যা মানে তাই ধরতে হবে । তুই যেটা বলছিস ওটা একরকম কমিউনিটি বার্টার সিস্টেম । তুমি বাজারের অংশ নও । ফাইভ স্টার হোটেলের মত মাংস রেন্ধেছ ! কিন্তু আমি তো গরিব কেরানি ।আমার মাইনের ভগ্নাংশ আরও কম :( কোনদিন ই ওই মাংসের প্রকৃত মূল্য দিতে পারবনা কাজেই বেতনক্রম অমুক তমুক বলে গুলিয়ে দিচ্ছি । তাও পিওর বার্টার হলে বুঝতুম । বউ আমাকে পস্তবড়া রেঁধে খাওয়াল আমি কুলকুল তেল দিয়ে তার মাথা মাসাজ করে দিলুম ।এতো তাও নয় ! পুরো জাত গেল পেট ভরলোনা কেস :D
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:২৯86351
  • এস ,
    বেশ তাহলে মার্কেট স্পেসিফিক প্রডাকটিভিটি ধরুন :) যেখানে বেতনক্রম ইত্যাদি মানি ম্যাটার এ কথা হচ্ছে সেখানে মার্কেট তো ডিফল্ট । যা বিক্রয়যোগ্য নয়/বা বিক্রয় এর জন্যে তৈরী নয় সেসব এখানে আসছেই বা কেন । একদম মানি এন্ড মার্কেট এঙ্গেল থেকেই বলছি তো ।
  • S | 160.148.14.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৩৩86352
  • এখন সময় নেই। মিটিং। সরকারি অফিস। 'প্রোডাক্টিভ' হবে কিনা জানি না।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৩৫86353
  • প্রসঙ্গত আমি নিজে পরিবার কে কমিউনিটি বার্টার সিস্টেম মনে করি ।যেখানে "মূল্য" ব্যাপারটা একদম দুজনের সেই মুহুর্তে যা বার্টার-এবল মনে হচ্ছে তাই । তাতে ঘর মোছার বদলে গান শোনানো / কাপড় কাচার বদলে নোট কপি করে দেওয়া যা খুশি চলতে পারে ।বোথ পার্টি এগ্রি তো এগ্রি ।
    আমার এই আধাখাপছাড়া বেতনক্রমের অংশ ধরে মুল্যায়ন ব্যাপারটা উদ্ভট লাগছে !
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৩৯86354
  • আরে বেতনক্রম সিস্টেম নিয়ে আমার অসুবিধের কথা তো প্রথম পোস্টেই বলেছি, কিন্তু প্রোডাক্টিভিটি প্রসঙ্গে তোর বক্তব্যে বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৪১86355
  • ঐ হ্যারি পটার যদি বাজারে না আসতো, বেড টাইম স্টোরি হয়েই থেকে যেত, তাহলে ক'জনে জানতেই বা পারতো? বিক্রি হওয়া তো তার পরের কথা।
    শুরুতে একটা বড়ো ঝুঁকি নিয়েছেন, কিছু কিছু লাকি ব্রেক পেয়েছেন, তাই পরবর্তী ইতিহাসটি তৈরী হয়েছে।
    নইলে কে বলতে পরে, ঐ কোয়ালিটির কাজই হয়তো কত পড়ে আছে, অনাদৃত, অনাবিষ্কৃত।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৪৭86356
  • আমি প্রদাক্তিভিটি বলতে ওপেন মার্কেটে যা বিক্কিরি হচ্ছে বা বিক্কিরি না হলেও ওপেনলি কম্পেয়ারড হচ্ছে সেই প্রডাকসন এর কথা বলছি । সেটা তো পরিবারে সম্ভব না । কারণ তুই ওপেন কম্প্যারিসন করতে গেলেই একটা প্রিডিফাইনড সিলিং ভ্যালু ধরে নিতে হচ্ছে চাকরিজীবীর মাইনের অমুক শতাংশ । এটা তাহলে কম্পেয়ারেবল সিচুএশন বলি কীকরে ?

    এটা একচুয়ালি একটা ক্লোস্ড সিস্টেম যেখানে বার্টার রান করছে । মানি এসে গেলেই বার্টার থাকেনা আর ।মানি ইস রিলেটেড টু মার্কেট । বোঝা যাচ্ছে ? এর সঙ্গে মার্কেট থিওরি ফীয়রী র কিছু নেই ।মানুষ মার্কেট,মানি এসব বলতে যা বোঝে তাই ধরে নিয়েই বলছি ।
  • riddhi | 146.165.191.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:০৩86357
  • যাস্ট কিছু না করে কাটিয়ে থাকার স্কিল টার ওপরেও একটু একটু জোর দেয়া দরকার। যেটা এখনকার কালচারে তো বটেই, আগেও ইগনোর করা হয়। পুরো একটিভিটি-সেন্টার্ড জীবন (মানে সেখানে গল্পের বই পড়া, খেলাধূলাও, বা লেজার একটিভিটিও পড়ে), যেখানে কন্টিনুয়াস বাইরের স্টিমুলাস লাগে, যে খুবেকটা সুখকর নয়, এটা আমার খুব ভেগলি মনে হয়, কিন্তু কেন জানি না। সেই নন-একটিভিটি মানে পিওরলি মেডিটেটিভ স্টেট বলছি না, কিন্তু একটা ব্যালেন্স সেখানে, নির্দিষ্ট কিছু একটিভিটি না করলে, 'কিছুই তো হল না' টাইপ অনুভূতি না আসে। সাধু-সন্তরা শুনেছি এটা পারে, কিন্তু ধপ ও হতে পারে। নেহেরুর লেখা পড়ছি, জেলে আছে, কিন্তু পাগল হচ্ছে না। বই পড়ার স্কোপ কমে যাচ্ছে, জেলে সেন্সরিং এর জন্য। কিছু ন্যুনতম একটিভিটি, ব্যায়াম, লেখালিখি চালাচ্ছে ঠিকি, কিন্তু তার সাথেও একটা একটিভিটি-বিহীন আত্মসম্তুষ্টি কোথাও যেন আছে।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১১86358
  • হ্যা ,এটা দর্শনের একটা দিক । নিজেকে কমপ্লিটলি হোপলেস প্রমান করে,বেসিকালি অর্থহীন সব জটিলতার বাইরে বেরোনো :) এরকম লোকজন দেখেছি ।তাদের খারাপ লাগে তা নয় ।কিন্তু ওই জীবনে থাকতে হলে পরিবারে না জড়ানো ভালো ।পরজীবিতা এবং স্বাধীনতা একসঙ্গে যায়না । একা থাকো ।ঝিম লাইফ বিতাও ।নো প্রবলেম ।

    আমার অন্যতম ফেভারিট চরিত্র পুতু । সেই "খাও দাও বাঁশি বাজাও " ।কিন্তু আমার পক্ষে আর পুতু হওয়া সম্ভব না :)
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১৭86359
  • এদের খাওয়ায় পরায় কে? এরা থাকেই বা কোথায়? এরা মানে এই কিছু না করে থাকা দর্শনের লোকেরা।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:২৬86360
  • আতোজ
    থাকা যায় । সত্যি বলছি যাহোক-তাহক করে নিজের মত বেঁচে থাকতে কিস্যু লাগেনা । এরা অনেকেই অস্থায়ী কাজ করেন ।মানে ইচ্ছে হলো কদিন লজেন্স বেচলেন ।আবার ঘুরে বেড়ানো ।ধর্মশালা তে ,কখনো ভিক্ষে করে খাওয়া । একদম সিম্পল লাইফ । কেও কেও ঘুরতে ঘুরতেই ত্রাভেলোগ লেখেন ।সেখান থেকে যা দুচার পয়সা আসে ।এটা সম্ভব । এরকম কেও কেও মঠ সেন্টারে এসে কদিন কাটিয়ে যেতেন । চমত্কার মানুষ ।বিশেষ করে ভারতের মত দেশে যেখানে গায়ে একটা ছেঁড়া গেরুয়া জড়িয়ে নিলে দুমুঠো জুটে যেতে পারে সেখানে এই লাইফস্টাইল টা অসম্ভব না ।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:২৮86361
  • আর সম্ভব ইউরোপে ।যেখানে মানুষ যা খায় তাচ্চে বেশি ফুড প্রডাকশন ওয়েস্টেজ হয় । হিচহাইকার রা যেকারণে ইওরোপ ঘোরে খুব ।আমেরিকায় এসব করতে গেলে বেঘোরে মরবে ।
  • riddhi | 146.165.191.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:২৯86362
  • "পরজীবিতা এবং স্বাধীনতা একসঙ্গে যায়না ।" হ্যাঁ ঠিক। আমি এটাকে প্রায় অনেকটাই মডিফায়েড স্কেলে দেখেছি, আর সেটা খুব খারাপ লাইফ না। আর অবশ্যই এই জন্মে পসিবল না। একজনের সাথে আলাপ হল, উনি ম্যানেজেরিয়াল চাকরি ছেড়ে দেন। ইচ্ছে করে ছোট্খাট কাজ করে, যেমন গেস স্টেশান ওয়েটার যেখানে জটিল চিন্তাভাবনা করতে হয় না। মনটাকে ফ্রি রাখেন। হ্যাঁ কিছু একটা স্পিরিচুয়াল স্কুলের লোক, সেসব আমি ভাল বুঝি না, কিন্তু একদম পুরোপুরি মন্ক তো নয়! এই রকম চিন্তাভাবনা একটু নেড়েচেরে দেখা বা অন্তত পরিচিত হওয়া ভাল বলে মনে হয়। ব্যক্তিগত মতে।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৩২86363
  • বিবেকানন্দের সেই ভারতভ্রমণের সময়ের মতন কেস।
    ভবঘুরে জীবন কাটানো।
    মহিলাদের পক্ষে মনে হয় প্রায়-অসম্ভব, তবে শর্ট-টার্মে হতেও পরে। হিপিদের মধ্যে তো শুনেছি অনেক মহিলা ছিলেন। তবে ওদের ক্ষেত্রে পুরোটাই ছিল শর্ট টার্ম প্রোজেক্ট, পরে তো ঘরে ফিরে বড়ো হয়ে অনেকেই খুব প্রোডাক্টিভ কাজকর্ম করেছেন।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৪০86364
  • দেখো এগুলো একটা আলাদা জীবনদর্শন । আলাপ করতে গল্প করতে রোমাঞ্চ হয় কিন্তু যার ক্রস তাকেই তো বইতে হবা :) আমার সঙ্গে এক মেয়ে হিচহায়কারের আলাপ হয়েছিল ।গোটা ইউরোপ ঘুরে টার্কি হয়ে ভারতে ঢুকেছে । রাস্তায় লিফট নিতে গিয়ে শি গট রেপ্ড মোর দ্যান ওয়ান্স । পৃথিবী দেখতে বেড়িয়েছে । ক্রস কতটা ভারী জানে । এদের সঙ্গে আমাদের জীবনের তুলনার কোনো মানে হয়না । গপ্প করলুম ওইঅবধি ঠিকাছে ।

    লুইপা র জীবন মনে করোনা কেন ? মাছের নাড়িভুঁড়ি খেয়ে কাটালো ।তুমি বলবে সে ধার্মিক লোক ।কিন্তু এই চরৈবেতি টাও একটা ধর্ম ।যারা এটা করে তার জন্যে সব সয় ।আমাদের মত পাবলিকের জন্যে না ।
  • একক | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৪১86365
  • আগের পোস্ট ঋদ্ধির পোস্ট পড়ে করা ।
  • riddhi | 146.165.191.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫০86367
  • "আমাদের মত পাবলিকের জন্যে না ।" সেটা একশোবার মানি তো! বিশেষ করে ঐ সাধু হিপি জীবন, ওটা স্কেপ্ট্রামের এক্স্ট্রিম এণ্ডে, কিন্তু আমার একটা হান্চ সব্বাই , এই আমাদের মত পাবলিক, টু সাম এক্সটেন্ট, কিছুটা ওদের মত হওয়ার ক্ষমতা রাখে । জীবন দর্শন তো আলাদা কোন স্কিল নাঃ) খুব ছোট স্কেলে ভাব, ওয়ার্কোহলিক কম হওয়া, এমবিশান ইঃকে একটু এলেবেলে করা। আমাদের মত পাবলিক্দের মধ্যেও এটার কম-বেশী দেখতে পাবে।
  • S | 139.115.2.207 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫০86366
  • অমন জীবন যাপন করতে পারার জন্যে যে মানসিক জোর লাগে তা বোধয় আমার অন্তত নেই।
  • S | 139.115.2.207 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫২86368
  • অ্যামবিশান/কেরিয়ারের চাপ তো বয়স হলে কি করে হেলথকেয়ার কস্ট বাড়ানো যায় তার একটা ফন্দি শুধু।
  • Ekak | 24.99.193.11 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:০১86369
  • এইখানে একটা ব্যাপার আছে । ধরো দুটো কনভেয়ার বেল্ট পাশাপাশি দুরকম স্পিড এ রান করছে । এবার যেটার বেশি স্পিড সেটায় আমি একটু আসতে হাঁটার চেষ্টা করছি । সঙ্গে সঙ্গে একটা ধাক্কা ফীল করব । যেমন........আমি ব্যান্ক এর পরীক্ষা দিয়ে ম্যানেজার হলুম কিন্তু পরে আছি গ্রামীন ব্যাঙ্কে । উন্নতির চেষ্টা নেই অথচ চাপা খেদ আছে ।বন্ধুদের গাড়ি দেখে দীর্ঘ্যশ্বাস পরে ।কথাবার্তায় পয়সাওয়ালা লোকদের প্রতি অসূয়া ফুটে ওঠে ।এইরকম আরকি ।এটা করে লাভ নাই । দিস ইস চিটিং মাইসেলফ । কনভেয়ার টাই বদলানো দরকার । মানে ভেতর থেকে । তেমন লোক কম যে ঐভাবে থেকেও সদাহাস্য । তবে আছে ।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:০৫86370
  • এইসব হিপি টিপি শর্ট টার্মে ঠিক আছে, একটা আধ্যাত্মিক বা অন্য উদ্দেশ্যে নিয়মিত জীবন থেকে ব্রেক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম লোটাকম্বল নিয়ে।
    কিন্তু লং টার্মে এ জিনিস খুব একটা সুবিধার না। ন দেয়ায় ন ধর্মায় হয়ে যাচ্ছে তো, না লাগছে সমাজের কাজে না করছে নিজের উন্নতি।
  • riddhi | 146.165.191.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:১০86372
  • আগেরটা একক্দার পোস্টের পিঠে।
  • riddhi | 146.165.191.8 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:১০86371
  • ^ এক্স্যাক্টলি। এই স্ব-বিরোধিতা টা প্রচুর দেখেছি, পরিচিত দের মধ্যে, আর নিজেও অজান্তে এই ট্র্যাপে পড়েছি । একটা এপারেন্ট উচ্চাকান্খা-হীন , ল্যাদ খোর দর্শন, কিন্তু ভেতরে আবার বন্চিত হবার জ্বালা। এক্স্যাকট্লি কি চাইছি, এই নিয়ে সবসময় কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকে না। এর থেকে ঐ হনেস্টলি হার্ড-ওয়ার্কিং আর সোজাসুজি এমবিশাস লোকেরা বেটার। এই স্ববিরোধিতাটা একটু বাঙ্গালী স্পেসাল মনে হয়। ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন