এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মোদির সামনে মিডিয়া নতজানুঃ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তথ্যপূর্ণ একটি নিবন্ধ সরিয়ে নিল DNA

    প্রতীক সিনহা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ মে ২০১৪ | ১৯২৩১ বার পঠিত
  • ২০১৪র সাধারন নির্বাচন যে কথাটা সর্বাগ্রে প্রমাণ করল,  তা হল – ভারতীয় মিডিয়ার আর যাই থাক না কেন, মেরুদণ্ড নামক বস্তুটি নেই। নরেন্দ্র মোদির ফ্যাসিবাদি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অওয়াজ তোলার এদের না আছে সদিচ্ছা, না আছে সৎ সাহস। এদের মধ্যে কেউ কেউ তো আবার সক্রিয় ভাবে হাত ও মিলিয়েছেন মোদির সঙ্গে। মিডিয়া হাউস গুলো দিনের পর দিন সাংবাদিকতার নামে যা করে গেছে তা হল – মোদি বন্দনা – মোদির প্রোপাগ্যান্ডা। মোদির বেশ কয়েকটা  "ফিক্সড"  ইন্টারভিউ দেখলে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হয়। সাজানো লাগে। এই সমস্ত "ফিক্সড" ইন্টারভিউগুলোতে মোদিকে স্নুপগেট বা সাজানো এনকাউন্টার নিয়ে একবারও জবাবদিহি করতে হয় না। থাকে না কোনো প্রতি-প্রশ্ন। তাঁর মুখ নিঃসৃত বাণীই প্রশ্ন কর্তার কাছে ধ্রুব সত্য।


    DNAতে প্রকাশিত গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে একটা নিবন্ধ যখন রাতারাতি ইন্টারনেট থেকে লোপাট হয়ে যায়, তখন মিডিয়ার এই মেরুদন্ডহীনতা সম্পর্কে সন্দিহান হওয়ার আর অবকাশ থাকে না। কেন উড়িয়ে দিতে হল নিবন্ধটা কে রাতারাতি? নিবন্ধকার শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসি হলেও নিবন্ধে করা প্রত্যেকটি দাবির সপক্ষে নথি ছিল, বক্তব্যের সাথে তথ্য ছিল। তা থাকা সত্ত্বেও DNAকে কেন সেটা উড়িয়ে দিতে হল? কেনই বা DNA কর্তৃপক্ষকে নতজানু হয়ে মোদিকে তুষ্ট করতে হবে?


    নিবন্ধটি প্রথমে এই URLএ প্রকাশিত ছিল http://www.dnaindia.com/analysis/standpoint-mamata-banerjee-calls-narendra-modi-butcher-of-gujarat-here-are-9-mythbusters-on-2002-post-godhra-riots-1983270। শেহাজাদ পুনাওয়ালার নিবন্ধটি এখানে প্রকাশ করা হল।

     




    যাঁরা হঠাৎ করে গুজরাত দাঙ্গার সত্যকে ভুলে মোদির জনসংযোগ বাহিনী সৃষ্ট কিছু মিথ্যা "মিথ"কে সত্যের আসনে বসিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতি ও বিবেকের পুনর্জাগরনের জন্যঃ


    মিথ ১। গোধরা পরবর্তী হিংসাকে নরেন্দ্র মোদির সরকার আয়ত্ত্বে নিয়ে এসেছিলো ২-৩ দিনের মধ্যেই।


    সত্যিঃ যে হিংসালীলাকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আয়ত্ত্বে নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে, তা মাত্রাভেদে অন্তত মাস দুয়েকের বেশি সময় ধরে চলে। সময় যত গড়িয়েছে, বেড়েছে মৃত্যু, বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতি।


    সূত্রঃ বিচারপতি J.S. Verma র নেতৃত্বে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সর্ব শেষ অর্ডার- http://nhrc.nic.in/guj_finalorder.htm


    মিথ ২। গুজরাত পুলিশ দল নির্বিশেষে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।


    সত্যিঃ "পুলিশের সামনেই মুসলমানেদের বাড়ি ঘর পুড়ছিলো। আমরা কয়েকজন মহিলা পুলিশের কাছে সাহায্যের চাইতে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের বল - ভেতরে যা, আজ মুসলমানেদের শেষ সময় উপস্থিত।"


    সূত্রঃ PW219 নং নথি। এই নথি নরোদা পাটিয়া মামলায় ব্যবহৃত হয়। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন মায়াবেন কোদনানি, যিনি কিনা তৎকালীন মোদি সরকারের ক্যাবিনেটের সদস্যা ছিলেন। এই কোদনানিই হত্যাকামী জনতার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।  http://www.cjponline.org/gujaratTrials/narodapatiya/NP%20Full%20Judgmnt/Naroda%20Patiya%20-%20Common%20Judgment.pdf


    মিথ ৩।  গোধরা পরবর্তী হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা মাত্র, এতে গুজরাত সরকারের কোনো রকম ষড়যন্ত্র নেই।


    সত্যিঃ দাঙ্গার প্রথম দিনেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা অহমেদাবাদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের দখল নিয়ে নেন। তাঁদের উপরে  স্পষ্ট নির্দেশ ছিল – বিপদগ্রস্ত মুসলমানদের বাঁচানো চলবে না।


    ভোটার লিস্ট দেখে মুসলমানদের চিহ্নিত করে টার্গেট করা হয়।


    সূত্রঃ Report of Human Rights Watch, April 2002, Vol. 14, No. 3(C). http://www.hrw.org/reports/2002/india/India0402-03.htm#P446_77680




    মিথ ৪।  মোদির নিরপেক্ষতার কারনেই মায়াবেন কোদনানি দোষী সাব্যস্ত হন।


    সত্যিঃ “বেস্ট  বেকারি  এবং  নিষ্পাপ  শিশু ও অসহায়  মহিলারা  যখন  পুড়ছিল,  তখন  আধুনিক  নিরোর  দল  অন্য  দিকে  তাকিয়ে  বসেছিল  -  সম্ভবত  দোষিদের  কীভাবে  আড়াল  এবং  রক্ষা  করা  যায়,  সে  কথাই ভাবছিল।”


    “ন্যায়  ও  বিচার   কিছু  “খেলুড়ে   বালকদের”  হাতে  পড়ে  ছেলেখেলায়  পর্যবসিত  হয়েছিলো।  রক্ষক  যখন ভক্ষকে  পরিণত  হয়,  তখন  ন্যায়,  অনুশাসন,  সত্য  বা  বিচার  -  এ  সব  কোনো কিছুরই  আর  কোনো  মানে থাকে  না।  গণ  অনুশাসন  ও  জনহিত  যেন  পরিণত  হয়েছিলো  শহীদ ও শহীদ  বেদিতে।”


    “উপরোক্ত  ঘটনাবলী  থেকে  মনে  হয়  যে  অভিযুক্ত  বিচার  প্রক্রিয়াকে  অযৌক্তিক  ভাবে   ব্যাহত  করতে  চাইছে। এরকমও  মনে  হচ্ছে  যে  অতিরিক্ত  সেশন  জাজ  ও APP (শ্রীযুক্ত  রঘুবীর  পান্ড্যা,  এই  কেসের  সরকারি  আইনজীবি, যিনি  কিনা  তৎকালিন  বিজেপির  সদস্য  ছিলেন  ও  ভদোদরার  ২০ নং  ওয়ার্ডে  বিজেপির  টিকিটে  ১৯৯৬  সালে লড়েওছেন !)  নিজেদের  কর্তব্য  পালনে  কোনোরকম  তৎপরতা  দেখাননি।”


    সূত্রঃ  Supreme Court in Zahira Habibulla H Sheikh And Anr vs State Of Gujarat And Ors on 12 April, 2004 CASE NO.: Appeal (crl.) 446-449 of 2004.

    http://indiankanoon.org/doc/105430/




    মিথ ৫।  মোদি গোধরা পরবর্তী হত্যালীলাকে কখনোই নৈতিক সমর্থন দেননি।


    সত্যিঃ  গোধরা পরবর্তি ঘটনায় নিউটনের তৃতীয় সূত্র আওড়ানোর কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও জিটিভির ফুটেজ দেখানো হলে মোদির কাছ থেকে কোনো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়নি। (Annexure 4A)


    সূত্রঃ Editors Guild Fact Finding Mission Report dated 2002.

    http://www.sabrang.com/gujarat/statement/report.htm#Meeting%20with%20Narendra%20Modi




    মিথ ৬। মোদির একমাত্র লক্ষ্য হল উন্নয়ন। ২০০২ এর দাঙ্গা পরবর্তী সময়তেও ওঁনার ভাষণ কখনো সাম্প্রদায়িকতার বিষ মাখানো ছিলো না।


    সত্যিঃ মোদির নথিভুক্ত ভাষণ “মাসের পর মাস বিরোধিরা আপার পদত্যাগ দাবি করতে থাকে। যখন সত্যিই পদত্যাগ করলাম, তখন ওরা বুঝে পেল না কি করবে। দিল্লি ছুটল ম্যাডামের কাছে। ওরা বুঝতে পেরেছিল যে নির্বাচন কমিশনার লিংডোই ওদের একমাত্র ত্রাতা। কদিন আগে কিছু সাংবাদিক আমায় জিজ্ঞেস করলেন "লিংডো কি ইতালি থেকে এসেছেন?" আমি বললাম, আমার কাছে তো ওনার ঠিকুজি কোষ্ঠি নেই, রাজীব গান্ধীকে জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। তখন সেই সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো "ওদের মোলাকাত কি কোনো গির্জায় হয়?" বললাম, হতে পারে!


    লিংডো আহমেদাবাদ আর ভদোদরায় এসে আধিকারিকদের সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। গুজরাতিরা কখনো ও ভাষায় কথা বলবে না, আমাদের শিক্ষা দীক্ষা তেমন নয়। তারপর লিংডো বললেন, নির্বাচন হবে না। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাইঃ এ সিদ্ধান্ত কি উনি সংখ্যালঘুদের সাথে বৈঠক করে নিয়েছেন? সংখালঘুরাই কি ভারতের একমাত্র নাগরিক? সংখ্যাগুরুরা কি কেউ নয়? সংবিধান কি শুধু সংখ্যালঘুদের জন্য? উনি কি একবারও গোধরায় নিহতদের পরিবারের লোকজনদের সাথে দেখা করেছেন? কেন করেন নি? তাঁদের একবারও জিজ্ঞেস করেছেন, পরিস্থিতি নির্বাচনের অনুকূল কিনা? কেন? জেমস মাইকেল লিংডো (মাইকেল কথাটির ওপর জোর দিয়ে), গুজরাতের জনতা তোমাকে এ প্রশ্নগুলো করছে।”


    সূত্রঃ http://www.outlookindia.com/article.aspx?217399




    মিথ ৭।   নরেন্দ্র মোদি মার্কিন ভিসার জন্য কখনো আবেদন করেননি।


    সত্যিঃ “The Chief Minister of Gujarat state, Mr. Narendra Modi, applied for a diplomatic visa to visit the United States. On March 18, 2005, the United States Department of State denied Mr. Modi this visa under section 214 (b) of the Immigration and Nationality Act because he was not coming for a purpose that qualified for a diplomatic visa. Modi’s existing tourist/business visa was also revoked under section 212 (a) (2) (g) of the Immigration and Nationality Act. Section 212 (a) (2) (g) makes any foreign government official who “was responsible for or directly carried out, at any time, particularly severe violations of religious freedom” ineligible for a visa to the United States. The Ministry of External Affairs requested that the Department of State review the decision to revoke his tourist/business visa. Upon review, the State Department re-affirmed the original decision.” This decision applies to Narendra Modi only. It is based on the fact that, as head of the State government in Gujarat between February 2002 and May 2002, he was responsible for the performance of state institutions at that time. The State Department’s detailed views on this matter are included in its annual Country Reports on Human Rights Practices and the International Religious Freedom Report. Both reports document the violence in Gujarat from February 2002 to May 2002 and cite the Indian National Human Rights Commission report, which states there was “a comprehensive failure on the part of the state government to control the persistent violation of rights of life, liberty, equality, and dignity of the people of the state.”


    সূত্রঃ ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড মালফোর্ডের বয়ান, ২১ শে মার্চ ২০০৫। http://2001-2009.state.gov/p/sca/rls/rm/2005/43701.htm


    মিথ ৮। বাজপায়ী মোদিকে কখনো  "রাজধর্ম" পালন করার উপদেশ দেননি, কখনো মোদিকে ভর্ৎসনা করেননি।


    সত্যিঃ সে সময়ে রাজ্য সরকার যে নিজের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই অভিযোগের উত্তরে বাজপায়ী বলেন, তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। তিনি বলেন "সরকারি কর্মচারি ও রাজনৈতিক নেতাদের নিজের কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা উচিৎ"। আহমেদাবাদের শাহ আলম ক্যাম্পে বাজপায়ী বলেন, "গোধরার ঘটনা নিন্দনীয়,  কিন্তু তারপরে যা ঘটল,  তা এক কথায় উন্মত্ততা।" এক আবেগ বিহ্বল ভাষণে তিনি বলেন, ''উন্মত্ততার জবাব উন্মত্ততা হতে পারে না। সকলের জীবন, সম্পত্তি ও সম্মন রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সরকারেরই..... এখানে ভেদাভেদের কোনো স্থান নেই"।


    সূত্রঃ  বিবিসির রিপোর্ট, ৪ই এপ্রিল,  ২০০১।  http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/1910008.stm




    মিথ ৯।  স্মৃতি ইরানির মতন মোদির সমালোচকেরা আজ যে মোদি ভজনা করছেন, এর পেছনে সুযোগসন্ধানি মনোবৃত্তি নেই।


    সত্যিঃ দিল্লির মুসলিম অধ্যুষিত চাঁদনিচক থেকে সংসদিয় নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে ইরানি কি বলেছেন তা একবার দেখে নেওয়া যাক।

    "গুজরাত নিয়ে কথা হলেই লোকে দাঙ্গার কথা বলে গুজরাতিদের কোনঠাসা করে। তাই অটলজী ও বিজেপির প্রতি আমার সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমি এই পদক্ষেপ নিতে দ্বিধান্বিত নই (মোদির অপসারণের দাবিতে অনশন)"।


    সূত্রঃ  টাইমস অফ ইন্ডিয়া,  ১২ই ডিসেম্বর, ২০০৪।


    http://web.archive.org/web/20140430084943/http://timesofindia.indiatimes.com/india/Tulsi-to-go-on-fast-unto-death/articleshow/956389.cms


    উপরোক্ত তথ্যসূত্র গুলি একত্রিত করতে সময় লেগেছে মাত্র এক ঘণ্টা। ভাবলে অবাক লাগে – যে সকল দুঁদে সাংবাদিক সেদিনের দাঙ্গা নিজেদের চোখে দেখেছেন, তাঁরা কেউ মোদিকে তাঁর আজকের মিথ্যাগুলি নিয়ে চেপে ধরলেন না।  হয়ত বা তাঁরা ও স্মৃতি ইরানির মতই প্রতি রাতে নিজেদের বলেন  "হে রাম".....




    http://www.truthofgujarat.com/indian-media-continues-prostrate-modi-dna-deletes-factual-anti-modi-article-gujarat-riots/   থেকে কৌশিক ঘোষ কর্তৃক অনূদিত ।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ মে ২০১৪ | ১৯২৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 132.177.252.139 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫০87633
  • এই চাড্ডিদের পুরনো সমস্ত নির্মোহ ব সিরিজের টইগুলোর লিংক দেওয়া হোক।
  • সে | 188.83.87.102 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫০87784
  • সেই। অসুখ অন্যখানে। এগুলো জাস্ট সিম্প্‌টম্‌। :-))
  • Ranjan Roy | 24.96.58.205 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫১87785
  • এয়ারটেলের ওই বিজ্ঞাপনটি ভালো লাগতো-- কথা বল, কথা বলতে শুরু কর। তাতেই অনেক সমস্যার সমাধানের পথ বেরোবে--- এমনি কিছু।
    তাই আমি মানুষকে দেগে দেওয়ার বিরুদ্ধে। বহুবার অনুরোধ করেছি-- বক্তব্যকে অ্যাটাক করুন, বক্তাকে নয়।
    তাই কাউকে মাকু-নকু-তিনো-কং বা চাড্ডি বলায় আমার আপত্তি। আশা করব, 'কমা' কমা হয়েই লিখবেন, কমাচাড্ডি হয়ে নয়।
    আর উনি সত্যি বলছেন যে এখানে একটি সুতোয় কয়েকবছর আগে জনৈক বন্ধু লিখেছিলেন-- চাড্ডিদের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়, আমার ক্যালাতে ইচ্ছে করে।
    আমি প্রতিবাদ করে বলেছিলাম এটা কোন পন্থা নয়। দেশে মাকুর থেকে চাড্ডি বেশি। কজনকে ক্যালাবেন?
    আর আমি সেই বৃটিশ নীতিতে বিশ্বাসী, তাই চাড্ডিদের দর্শন-- জাতিগত সুপিয়রিটি, হিন্দুধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের ভারতে কোন দরকার নেই, ইতিহাসের ধার্মিক সম্প্রদায় জনিত ব্যাখ্যা-- সবকিছুর বিরুদ্ধে মতাদর্শগত লড়াই চালাবো-- কিন্তু কারো বলার অধিকার কেড়ে নেব না। হিন্দু মহাসভারও না। এগুলো ব্যাক ফায়ার করে।
    ইদানীং পাই ও ফেসবুকে না কোথায় একই স্ট্যান্ড নিয়ে গাল খেয়েছে।
    আলোচনা চলুক-- পক্ষে বিপক্ষে তথ্য ও যুক্তি সহ। কিন্তু কাউকে শারীরিক নিগ্রহের ধমক?
    নিজের আন্তরিক দুর্বলতা বলেই ধরব।
  • riddhi | 146.165.191.24 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫২87786
  • কমা যেটা ভুল করছেন, এই পানু খেউড়ের প্রতি কল্কতায় (পাড়ার মোড়ে হোক বা ক্যান্টিন) একটা হাই টলারেন্স আছে। অন্য জায়াগায়ো থাকতে পারে, জানি না)। (যারা টলারেন্ট তারা কিন্তু লেফ লিবেরাল বা সেরকম কিছু না, পাতি হিন্দু(প্রেসির বন্ধুটার)। সব ধর্ম কম্ম মানে, এবং অনেকেই অনেক প্রশ্নে মোটামুটি কমিউনাল। আপনার ফেলো চাড্ডি দের মধ্যেও একটাবড় স্পেক্ট্রাম পাবেন। যারা মোদীকে ভোট দিয়েছে, তারা মহায়ন পড়বে না, এমন কোন কথা নেই। তাই রিল্যাক্স, মোদী ভক্ত হয়েও মহায়ন পড়ে হাসতে পারেন, কেউ কিছু বলবে না।
  • de | 190.149.51.67 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫৩87634
  • আর না বলে পারলাম না --

    চক্ষু ফুটে অব্দি তো রাম-লক্ষণ-সীতা নিয়ে অজস্র প্যারোডি, পানু-ছড়া ইঃ শুনে এসিচি, মহাকাশে বড়ো হইনি, কলকাতারই সাধারণ স্কুলে বড়ো দিদিদের কাছ থেকেই শুনেছি - আমার ধারণা গুরুতে অন্ততঃ ৯০% লোকে সেরকমই শুনেছে। কলকাতা কি পালটে গেলো নাকি রে ভাই?
  • সিকি | 132.177.252.139 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫৫87635
  • সম্ভবত এঁয়াদের জন্মের পর থেকে কলকাতা পাল্টে গেছে। এখন ঘরে ঘরে রামভজনা হয়, হনুমান পুজো হয়। পাড়ার মোড়ে মোড়ে দশজন চাড্ডি মিলে রামধুন গায়। মহায়ণ উচ্চারণ করা তো দূরের কথা, মনে করলেও পুলিশে ধরে।
  • rabaahuta | 172.136.192.1 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫৬87787
  • ইনফ্যাক্ট আমারো কোথাও একটা ঘাঁটছে। মেঘনাদবধ কাব্য বা কোরক পত্রিকা সাধারন হেটো লোক খায় না মাথায় দেয় জানেনা তা নিয়ে আমার দ্বিমত নেই, কিন্তু যমালয়ে জীবন্ত মানুষেও বোধয় সব দেবদেবী ছিল, তারপর ঐ উরু কাতু মদনা বা ধ্যাৎত্তেরিকা সিরিয়েল, এগুলো তো মেনস্ট্রিম। মহায়ন টাইপ জিনিস, এসব ও তো, সবস্তরেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু হুসেনের ছবির ওপর হামলাকে সমর্থন করতেও অনেক লোককেই দেখেছি (তারা আবার ঠিক মেঠো লোক নয়)। তো আমাদের সবার স্যাম্পল সেট, পার্সেপশন, দেবদেবী বিষয়ক অশ্লীল জোকের স্টক এবং তার শ্রোতা সবই খুব বিভিন্ন।

    লোকজন বোধয় নিছক মজা এবং বিদ্বেষমূলক/ডেরোগেটরি এইসব শ্রেণীবিভাগ করে মারপিট করতে নামে। আর না হলে কি হতে পারে?

    তবে ওটাই, চাড্ডী বলে গাল দিয়ে লাভ নেই, বিষটা এতদূর অলরেডি ছড়িয়েছে যে হাসি ঠাট্টা বা প্রবন্ধ লিখে কিছু হবে না, আটকাতে গেলে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে মাঠে নেমে করতে হবে। এই বিদ্বেষগুলি অনেকদিন ধরে ছড়ানো হয়েছে, এত সহজে যাওয়ার নয়। সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও আমরা ক্রমেই একটা ছ্যাড়াব্যাড়া জায়গায় এসে পৌঁছেছি, আজ ধনতেরাসের সোনা কেনো কাল ছাকনী দিয়ে চাঁদ দেখো পরশু তালাক বলে ডিভোর্স দাও কোথায় সুকুমার আর কোথায় মধুসূদন। এমন কোন দাবী নেই যে সবাইকে সাহিত্যের বড়ি খাওয়াতে হবে, কিন্তু কুনাট্যের রমরমা বড় বেশী। আমার কেমন রামানন্দ সাগরের রামায়নকে একটা বড় ভিলেন মনে হয়ঃ(
    কথায় কথায় এরা সব বলে পাকিস্তানে এই হয় বাংলাদেশে এই হয় মধ্যপ্রাচ্যে এই হয়। আরে মুশকিল, হয়ে থাকলে তো খারাপ হয়, ঐগুলোকে বেঞ্চমার্ক ধরে অনুসরন করতে হবে নাকি?
    তো চোখ বুঁজে থেকে লাভ নেই, ধর্মের নামে উদ্বেল হওয়া মানুষ দিনদিন বেড়েই চলেছে দেখি। একটা ঐসব পুঁথিগত হুইম্পার দিয়ে কিছু হবেনা, একটা বড় সড় ধামাকা দরকার। গণজাগরণ তো দুদিনেই বিস্রস্ত হয়ে পড়ে, আর প্রশাসন তো, এই বিজেপির রাজ্যে আক্ষরিক ভাবেই রামভরসা। তবু আশায় বাঁচে চাষা, ধাঁ করে যদি একটা বিবর্তন টাইপ কিছু হয়ে যায়।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫৭87636
  • হ্যাঁ কেউ এবার মহায়নটা লিখে দিলেই ষোলকলা পূর্ণ হয়! ঃ-))
  • Ranjan Roy | 24.96.58.205 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৫:৫৭87788
  • রিদ্ধিকে নিয়ে পারা গেল না।
    ওই 'বনে'র সঙ্গে 'ধনে' সবাই জানে, ৬০ বছর আগে থেকেই। এখানে এসব বলে কি লাভ!
    সব দেশেই এগুলো নিয়ে ইয়ার্কি হয়।
    আচ্ছা, মার্ক্স-লেনিন-মাও- কারাত - বুদ্ধ নিয়ে ব্যঙ্গ রচনার নজির? কেউ জানেন নাকি?
  • , | 125.187.39.69 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০০87637
  • সিকি, অ ক্ষ, তোমরাই আর আপনারাই একদম ঠিক বলেছ আর বলেছেন। আমি তখন থেকে বাজে কথা বলছি, বালের চাড্ডি তো, বাজে কথা ছাড়া আর কিছু বলতে পারি? ঃ) তবে আমার মতো কোটি কোটি চাড্ডি বিজেপিকে ভোট দিয়ে কেন্দ্রে সরকার তো বানিয়ে ফেল্লাম, আর এবার বিধানসভাতেও বিজেপি সরকার গড়ার চেষ্টা করব। দেখি আমরা বালের চাড্ডিরা কতটুকু কি করতে পারি ঃ)
  • SC | 160.212.30.237 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০০87789
  • উপরে কয়েকটা পোস্ট পড়লাম। এই পাড়ার মোড়ের লোক, justified রাগ হেন তেন, এগুলো খুব বাজে আর্গুমেন্ট।
    পাড়ার মোড়ের দশটা লোকের মন যুগিয়ে কথা বলতে হলে পৃথিবী তে কোনো পরিবর্তনই আস্ত না। একটা সময়ে পাড়ার মোড়ের দশটা লোক সতীদাহ কে ঠিক বলত, স্লেভারি কে ঠিক বলত, সমকামিতা কে ভুল বলত। তাহলে এইগুলোর বিরুদ্ধে কেউ বললেই যদি কারুর ধর্মীয় ভাবাবেগ, আরো অনেক ভাবাবেগে আঘাত লেগে যায়, তাহলে কোনো রিফর্মই কোনদিন পস্সিব্লে না।

    অসারামের ভক্তর রাগ হবে বলে ও রেপ করলে বলতে পারব না? কিম্বা সাইবাবার অনেক ভক্ত বলে তাকে বুজরুক বলতে পারব না আমার মনে হলে। এতে লোকের রাগ তাকে জাস্টিফাই করে দেওয়া মানে, বোলো না এরকম কথা। এটা খুব ডেঞ্জারাস।
  • de | 190.149.51.67 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০১87638
  • “The person who was murdered is innocent. Police are investigating who is spreading these posts on social media and strong action will be taken,” said Maharashtra home minister R R Patil. "
    এদ্দিনে টাইমস একটু মুখ খুলচে -
    http://epaperbeta.timesofindia.com/Article.aspx?eid=31804&articlexml=Another-man-was-attacked-the-night-Pune-IT-06062014001058

    সিরিয়াসলি, এই পাতার যাঁরা "ভাবাবেগে আঘাত" ইঃ মোডে খেলছেন, একজন নিরপরাধ মানুষের খুন আর কিছু নিরপরাধ লোকের হ্যারাসমেন্ট নিয়ে তাঁদের মত কি জানতে চাই। অ্যাকশন-রিয়াকশন তত্ত্ব নাকি অন্যকিছু? ইভন কোন ডেরোগেটরি পোস্ট করার জন্যও কি একজন মানুষকে খুন করে ফেলা যায়?
  • Ranjan Roy | 24.96.58.205 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০১87790
  • হুতোকে ক।
    অমুক দেশে বা তমুক সমাজে এরম হয়, তখন তো চুপ করে থাকেন-- অনেকেই বলে। সত্যি, এগুলো বেঞ্চমার্ক ধরে তর্ক করার কোন মানে হয়? যেমন আজ তিনও সরকারের কিছু বলুন তো শুনতে হবে ৩৪ বছর ধরেও হচ্ছিল, তখন কেন চুপ করেছিলেন?
    মানে, এখনো চুপ করে থাকুন!
  • Ranjan Roy | 24.96.58.205 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০২87791
  • SC কে ক।
  • , | 125.187.39.69 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০৫87640
  • দে ঐ যেটা বললাম, প্যারোডি, পানু-ছড়া ইঃ আপনিও যেকোন জায়্গায় দশ কুড়ি জন লোককে বলে দেখতে পারেন। পাড়ার মোড় না হলেও হবে, ধরুন লোকাল ট্রেনে কয়েকজনের সাথে আলোচনা করতে পারেন, বা চায়ের দোকানে বসে বা বাসস্ট্যান্ডে যেখানে হোক। আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনিই পেয়ে জাবেন।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০৫87639
  • আসলে ওভাবে বলা মুশকিল। বিগত বাম (বা এখন তিনোমুলের অতিবাম) রাজত্বকালে, যত লোক সুমনের গান শুনে আহা আহা করেছে, তার বহু গুণ মানুষ বালক বহ্মচারী থেকে শুরু করে লোকনাথ বাবার ভক্তিরসে ডুব দিয়েছে। ভিসুয়াল মিডিয়াতে ধর্মীয় চ্যানেল বেড়েছে। ভক্তি আগে কম ছিল না, শুধু এত টিভি চ্যানেল ছিল না। জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে পুজোআচ্চা বেড়েছে।
    তেমন কিছু পাল্টায় নি।
  • SC | 160.212.30.237 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০৬87792
  • আমার মনেহয় একটা subtle পার্থক্য আছে। মহায়ন কিংবা যমালয়ে জীবন্ত মানুষ দেখে কারুর (বা বেশিরভাগ লোকের) মনে হবে না, আমার ধর্ম কে ইচ্ছে করে আঘাত করার জন্য করছে। শিবাজীর ছবি দেখে লোকের সেটা মনে হয়েছে। নিছক ইয়ার্কির জন্য নয়, আঘাত করার চেষ্টা করছে।

    ওই ছবি দেখে কারুর ভালো নাও লাগতে পারে, সে আলাদা ব্যাপার, গাল দিয়ে ভূত ভাগিয়ে দিক। কিন্তু মারবে কেন।
  • , | 125.187.39.69 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০৯87642
  • আর লোকনাথ বাবার আশ্রমে আমিও নিয়ম করে যাই। রাম নারায়ন রাম ঃ)
  • SC | 34.3.22.185 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:০৯87641
  • উপরের কথাগুলি বলে বলে মুখ ব্যথা হয়ে গেল।
  • SC | 34.3.22.185 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:১০87643
  • দে র ১১:৩১ নিয়ে বলা
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:১১87644
  • এগুলো কি ভেইলড থ্রেট?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:১৩87645
  • পুনের ঘটনাটা ডেঞ্জারাস, ভীষন প্রোভোকেটিভ।
    এগুলো থেকে দাঙ্গা শুরু হয়। শুরুতে এগুলো কঠোর হাতে মোকাবিলা না করলে পরে বিশ্রী অবস্থা হয়।
  • riddhi | 146.165.191.24 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:১৪87793
  • আরে ওটা দে-র কথার পিঠে বলছিলাম। কমার ধারনা -পাড়ার মোড়ে এসব বললে নাকি লোকে ক্ষেপে যায়
  • SC | 34.3.22.185 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:১৫87646
  • বাঙালি ধার্মিক না, এই ধারণা টা বেশ ভুল। বাবা লোকনাথ, বালক ব্রহ্মচারী, অনুকুল ঠাকুর, মহনানন্দ, এরা সব এই বাংলারই। খুব মুষ্টিমেয় একটা কলকাতার এবং দু একটি কলেজে পড়া উচ্চশিক্ষিত অংশ আছে, লিবারাল তারাই। তারা অনেক বেশি ভিসিবিল। সেই জন্য মনে হচ্ছে সিকির বা অন্যদের, যে বাঙালি তুলনায় লিবারেল।
    আমার মনেহয় না, সেটা ঠিক। লোকনাথের আশ্রমের ভিড় একদম বাম আমলের মধ্যগগনেও দেখেছি। নয়ের দশকেই মধ্যবিত্ত পাড়াতে অনেককেই দেখেছি বিজেপি।
  • , | 125.187.39.69 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:১৬87647
  • এইরে আমাকে আবার কেউ ভেইলড থ্রেট দিল নাকি? আমি লোকনাথ বাবার ভক্ত, একেবারেই ভিতু লোক। অ ক্ষ স্যার একটু দেখবেন, আমাকে যেকোন থ্রেট দিলেই ঘাবড়ে জাব।
  • , | 125.187.39.69 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:২০87648
  • উরিব্বাস লোকনাথ আশ্রমের ভিড় যে কি ভিড় সে আর বলবেন না। বাত্সরিক উত্সবের দিন হাজারে হাজারে লাখে লাখে চাড্ডি পিলপিল করে সারাদিন ধরে আসছে আর যাচ্ছে। চাড্ডিতে চাড্ডিতে চতুর্দিক গিজগিজ করে দাদা। আর সে কি বিরাট মেলা।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:২২87650
  • আপনাকেই জিগাচ্ছি, এই যে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে বলুন না, দেখুন কি হয় - এইটা কি ভেইলড থ্রেট?
  • কল্লোল | 116.76.56.167 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:২২87649
  • বেদ পাঠের জন্য রামের শম্বুককে হত্যা করা। সীতাকে অপবাদের ভয়ে তাড়িয়ে দেওয়া(সীতায়ন - মল্লিকা সেনগুপ্ত)। শূর্পনখার নাক কান কেটে নেওয়া। বালীকে অন্যায়্ভাবে হত্যা করা। মেঘনাদকে নিরস্ত্র অবস্থায় মারা (মেঘনাদ বধ কাব্য - মধুসূদন দত্ত) - এসব তো বাংলায় বহু হয়েছে।
    রাম রাবন সাবাইকে কার্টুন বানিয়েছেন সুকুমার রায় লক্ষণের শক্তিশেল-এ। ঐ লাইনে লীলা মজুমদারের নাটকও আছে (নাম মনে পড়ছে না)।
    সেগুলো তো বাঙ্গালী বেশ গর্ব ভরেই পড়ে এসেছে। কোই কেউ তো মেঘনাদ বধ কাব্য বা লক্ষণের শক্তিশেল বা সীতায়ন নিষিদ্ধ করার কথা বলে নি। মেঘনাদ বধ কাব্য তো স্কুল কলেজে পাঠ্যও বটে। কেউ তো কোনদিন "ঠাকুর দেবতা নিয়ে এয়ার্কি করো না" বলেনি।
    বছর কয়ক আগেও কোন একটা বাংলা চ্যানেলে হিন্দু দেবতাদের নিয়ে হাসির সিরিয়াল হয়েছিলো। পরানবাবু তোতলা নারদ করেছিলেন। লোকে তো হুলিয়ে দেখতো।
    কারা বলছেন ভাই বাংলায় দ্যাবদ্যাবী নিয়ে ফুক্কুড়ি হতো না?? কৃত্তিবাসী রামায়ণ আর কাশীদাসী মহাভারতের পাশে এই বইগুলো, অন্ততঃ মেঘনাদ বধ কাব্য আর লক্ষণের শক্তিশেল তো ঘরে ঘরে থাকতো।
    বছর দুয়েক আগে কোরক পত্রিকা রামায়ন সংখ্যা করে। তাতে রামের সমালোচনা করে প্রচুর লেখা ছিলো।
  • সিকি | 132.177.252.139 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:২৬87651
  • বালের চাড্ডি কি সাধে বলি? লোকনাথ বাবার আশ্রমে গিয়ে নাকি "রাম নারায়ণ রাম" বলে।

    লোকনাথ বাবা কিংবা বালক ব্রহ্মচারীদের ব্যবসা চিরদিনই ছিল, আছে, থাকবে। তাদের নিয়ে খিল্লিও চিরদিনই ছিল, আছে, থাকবে। উচ্চশিক্ষিত অর নো উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু এই খিল্লি নিয়ে ইনটলারেন্স ব্যাপারটা আগে ছিল না, এই ট্রেন্ডটা ক্রমশ বাড়ছে, সেটাই চিন্তার। আর মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই পেটি চড্ডির দল খুব সগৌরবে মনে করছে তারাই বিজেপিকে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের যুক্তিবোধ চিন্তাধারাই এতদ্বারা মান্যতা পেয়েছে, অতএব এখন তাদেরই রাজত্ব চলবে। ফলে পিলপিল করে সব ক্লোজেট থেকে বেরিয়ে পড়ছে এখন। খুব সহজেই এখন তাই বলে ফেলা যায় আমার মতন কোটি কোটি সরকার কেন্দ্রে সরকার বনিয়েছি, এখন বিধানসভাতেও বানাবো, দেখি কে কী করে।

    ভক্তিবাদ এখন মেনস্ট্রিমে ঢুকে পড়ছে, শুধু ভক্তিবাদ বললে ভক্তির অপমান করা হয়, বেসিকালি চাড্ডিপনা ঢুকে পড়ছে। উচ্চশিক্ষা বা সাব-অল্টার্নিজমের সঙ্গে এর আর কোনও কোরিলেশন থাকছে না।
  • সিকি | 132.177.252.139 (*) | ০৬ জুন ২০১৪ ০৬:২৭87652
  • চাড্ডিরা এত পড়াশোনা করে না। এরা শুধু নিজেদের দল ভারি হতে দেখলেই আত্মপ্রসাদ লাভ করে। দল ভারি হবার থেকে বেশি সাফল্য আর কীসে আছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন