এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রবীন্দ্রনাথ দিচ্ছে ডাক- নরেন্দ্র মোদী নিপাত যাক

    সোমনাথ রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১০ মে ২০১৪ | ৬১২৮ বার পঠিত
  • রবীন্দ্রনাথ, যতই বিশ্বনাগরিক হোন, আসলে একজন হিন্দু। হিন্দু ভাববাদ অর্থে আমরা বেদ উপনিষদ গীতা তন্ত্র মিলিয়ে যে দর্শনগুলোর কথা ভাবি, রবীন্দ্রনাথ খ্রিস্টান আলোকপ্রাপ্তি নিয়ে সেগুলোর প্রচারক। একইভাবে মূলতঃ হিন্দুত্ব দিয়েই মহাত্মা গান্ধিকেও চিনতে হয়। তা স্বত্ত্বেও এরা মোদির বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন? বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এঁরা কি হিন্দুত্বকে ত্যাগ করলেন, নাকি বিরোধিতার কোনও গূঢ় কারণ আছে। সেইটা বোঝার জন্য হিন্দুধর্মের, ঐতিহ্যের প্রেক্ষিতে মোদিকে দ্যাখা দরকার।  মোদির হিন্দুত্ববাদ নিয়ে আমাদের অবশ্যই কোনও সংশয় নেই। তাঁর বক্তৃতাগুলো একটা মন দিয়ে শুনলেই দ্যাখা যাবে, লাইন নয়, শব্দের ফাঁকে ফাঁকে কীভাবে হিন্দুত্ব গোঁজা। অনুপ্রবেশকারী, সীমান্তের ওপারের শত্রু, শত্রুর মদতদাতা- এইসব নামে মুসলিমবিদ্বেষ ছড়ানো থেকে একটিবারও বিরত হচ্ছেন না তিনি। বিধর্মীর প্রতি এই বিদ্বেষ আমরা হিন্দু ইতিহাসে দেখেছি। শিবাজি-আনন্দমঠের অনেক আগে ভারতের মাটি দেখেছিল মীমাংসক কুমারিল ভট্টের অধীনে অযুত বৌদ্ধ হত্যা। দক্ষিণে পেরিয়ার প্রতিদিন ৬০০০ করে জৈনকে মেরে যজ্ঞে আহুতি দিতেন। এবং এর মধ্যে ধর্মের পালনই তাঁরা দেখেছেন। অনুশোচনা, ক্ষমাপ্রার্থনার কথা তাঁরা লিখে যান নি, যেরকম কুরুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধে অক্ষৌহিণী হত্যার পরে কৃষ্ণার্জুন-যুধিষ্ঠির হত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা দেখান নি। মোদিও সাম্প্রতিকতম সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তিনি ক্ষমা চাইবেন না, দেশের আইন তাঁকে দোষী প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসি দিতে পারে। জনশ্রুতিভিন্ন কোনও ইতিহাস-সাক্ষ্য কুমারিলদেরও দোষী প্রমাণ করেনি, মোদিকেও পারবেনা সুতরাং মোদিভক্তদের চিয়ার্স। কিন্তু, মোটের ওপর ভারতের শাইনিং বর্ণহিন্দুদের কাছে বার্তা পৌঁছে গ্যালো নরেন্দ্র মোদি গুজরাট দাঙ্গার খুন-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন। এবং ভবিষ্যতে ধর্মের আহ্বানে বিধর্মী গর্ভবতীর পেটে ত্রিশূল ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে ভ্রূণহত্যাকে তিনি আবারও সরকারি মদত দিতে পারেন। কারণ শাস্ত্রমতে বিধর্মীরা উন্নয়নবিরোধী এবং দণ্ডনীয়। এবং চাণক্যনীতি মেনেই সেইসব ইতিহাসের নথি তিনি মুছে দেবেন এমনভাবে যাতে জনশ্রুতিকে মিথ্যা মনে হতে থাকে। উল্লেখ্য, পুরাণে শূদ্র মহাপদ্মনন্দের শাসনকাল  থেকে কলিযুগের সূত্রপাত। চাণক্যর আবির্ভাব সাম্রাজ্যবাদী বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে শূদ্ররাজাকে সিংহাসনচ্যুত করে ব্রাহ্মণ্য মন্ত্রণায় আমলারাজ প্রতিষ্ঠায়।



    অর্থাৎ, ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করে। এইখান থেকে আমাদের রবীন্দ্রনাথ গান্ধির হিন্দুত্বে ঢুকতে হবে। কিন্তু, তার আগে, মোদির আদর্শ আরেক হিন্দু নেতার কথা স্মরণ করে নিই। স্বামী বিবেকানন্দ। ব্রাহ্মণ্য ভাবধারার মধ্যে থেকে তিনিই প্রথম বলেছিলেন শূদ্ররাজত্ব প্রতিষ্ঠার কথা। বহু বিতর্কিত মন্তব্য স্বত্ত্বেও তিনি এমন এক ভারতের কথা ভেবেছিলেন যেখানে সবধর্মের মানুষ তাঁদের নিজস্ব ধর্মীয় আইডেন্টিটি নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। এবং, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধির মত তিনিও ভীষণ অহিংস। অহিংসা ভিন্ন এই হিন্দুত্বের ধারাটিকে উত্থাপন করা মুশকিল। অহিংসা এখানে খুব ইম্পর্ট্যান্ট।  ভারতের ইতিহাসে অহিংসার দর্শনকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন করান জৈনরা বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবদেরও আগে। মহাবীর বলেছিলেন অনেকান্তবাদের কথা। অনেক-অন্ত থেকে, বিভিন্ন অবস্থান থেকে একই বস্তু বা ঘটনা কে দ্যাখার কথা। এবং ঘটনাক্রম এতই বিচিত্র যে এই দ্যাখাগুলো বিভিন্ন হতে বাধ্য। ফলে একই বিষয়ের অনেক ভাষ্য তৈরি হবে। যতমত ততপথ। প্রকৃত সত্যকে (যদি আদৌ তা থেকে থাকে) বোঝার জন্য এই মত বা পথগুলির মধ্যে ডায়লগ বাঞ্ছনীয়। তার জন্য, কোনও ক্ষেত্রে ভীষণ পরস্পরবিরোধী দুটি বক্তব্যকেও আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। একটি মতের কাছে আরেকটি ঘৃণ্য, তাদের পোষকরাও, তবু তাদের প্রায় প্রেমবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ প্রেম নইলে বিনিময় হয় না, আর অহিংসা না থাকলে চূড়ান্ততম বিরোধীকে সহ্য করে তার সঙ্গে কথা বলা যায় না। এখানে গান্ধির মহাভারত আর তিলকের মহাভারত আলাদা হয়ে যায়। যুদ্ধের আগের কৃষ্ণকে গান্ধি অধিকার করেন, যিনি যুদ্ধ থামাতে স্বয়ং অপমানিত হয়ে দৌত্যকর্মে যান। যুদ্ধের কৃষ্ণ, যুদ্ধের গীতা-র জন্যে অহিংস বৈষ্ণব ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে হয়। রবীন্দ্রনাথ সেখানে বলেন, ‘আমরা চলব আপন মতে শেষে মিলব তাঁরই পথে’। হিন্দুত্বের ইতিহাসে সংহারক কুমারিলের পাশাপাশি দেখি অনন্ত তর্ক চালিয়ে যাওয়া মাধবাচার্য, শংকর, রামানুজ, শ্রীচৈতন্যকে। ব্রহ্ম সদ্‌ না অসদ্‌, দুই না এক নাকি তিন, সে সব নিয়ে হাজার বছরের বিতণ্ডা। তার আগে পরে দিয়ে ঘুরে যাচ্ছেন, আজীবিক, অজিত কেশকম্বলী, মক্ষলি গোশালরা। মহাভারতে চার্বাকের ইনকুইজিশন হচ্ছে। কিন্তু রাম জাবালিকে তর্ক উত্থাপন করতে দিচ্ছেনও। পাত্রাধার তৈল না তৈলাধার পাত্র, তা নিয়ে অসম্ভব মাত্রায় আলোচনা চলছে। একই সভা আলো করে বসছেন নৈয়ায়িক, নব্য নৈয়ায়িক, উত্তর ও পূর্ব মীমাংসক, এমন কী বৌদ্ধরাও। মনুস্মৃতি যাঁদের ছায়া মাড়ালে প্রায়শ্চিত্তের বিধান দিয়েছে, সেই তস্করসমান বৌদ্ধপণ্ডিত ক্ষত্রিয় রাজা- ব্রাহ্মণ মন্ত্রীর সভা আলো করে থাকছেন।  অহিংসার বাতাবরণে ‘হিন্দু’শাস্ত্র যে অনন্ত আলোচনার পরিমণ্ডল দিয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে তা অতুলনীয়। 



    আমরা বলব, এই ভিন্নমত সহনশীলতা, এই ‘সেকুলার’ আলোচনামণ্ডল, এই তো গণতন্ত্র। ঠিকই। বুর্জোয়া গণতন্ত্রে এই অহিংসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ তো অনস্বীকার্য, যে আমরা ক্রমশঃ রক্তক্ষয়ী আগ্রাসী যুদ্ধের সংখ্যা কমিয়ে ফেলছি পৃথিবী জুড়ে। যুদ্ধটা অন্যভাবে চললেও, গান্ধির সন্তানরা বছর বছর নোবেল পেয়ে যাচ্ছেন। এবং তার পাশাপাশিই গতবছর জে পি মরগান এক বক্তব্যে জানাচ্ছেঃ ‘Too much European democracy getting in our way ’। 


    এই অনন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, বিরোধীমতকে হিংসা না- কথা দিয়ে, শ্রুতি-ইতিহাস দিয়ে বোঝানো। এসব তো বিশাল সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, কষ্টসাধ্যও। বুঝিয়ে জমি নেওয়া যে যায় না, সিপিএম, নবীনবাবু থেকে রবার্ট ভদ্রা সবাই প্রমাণ করেছেন ভারতে। বুঝিয়ে উন্নয়ন করতে গেলে মর্গান কোম্পানিরা যান কোথায়।  নিয়মগিরি দেখিয়েছে বুঝিয়ে পাহাড় কেনা বেদান্তর কর্ম না। তাহলে এই অনন্ত আলোচনার পার্প্সপেক্টিভে ঢুকলে ধান্দার ধনতন্ত্রর তো অস্তিত্ব সংকট! তাই, গণতন্ত্রে উন্নয়ন হয় না, এমন বক্তব্য তাঁরা মুহুর্মুহু প্রচার করছেন। নেতা, এবং তাঁর কোম্পানি নির্মিত ভিশন ছাড়া দেশ চলবেনা, এরকম অ্যাড টিভি খুললেই আমরা দেখছি। রবীন্দ্রনাথ কিন্তু অন্যভাবে বিশ্বাসী ছিলেন, আমরা চলব আপন মতের পরে লিখে ফেলেছেন ‘মরব না কেউ বিফলতার বিষম আবর্তে।’ এদিকে, মোদি কিন্তু জানেন বাঁদর সেনারা বাঁচলে লঙ্কায় স্বর্ণপ্রাচীর অক্ষত থাকেনা। কুবেরের ধন রক্ষা করাও যায় না। ফলে ব্রাহ্মণ্য ভারতে শূদ্রহত্যা আবশ্যক। আর কে না জানে শূদ্রেতররা কনভার্ট হয়েছে মুসলমানে। অথবা শূদ্রেতররাই ট্রাইবাল- মাওয়িস্ট। এর ফলে রবীন্দ্রনাথের হিন্দুত্ব আর মোদির হিন্দুত্ব উল্টোমুখ করে দাঁড়াতে বাধ্য। 


    কিন্তু, রবীন্দ্রনাথ তো অহিংস, তিনি হঠাৎ কেন এরকম ভাবে মোদিকে আক্রমণ করবেন। এর দায় লেখকের। ডাক পাঠকের মত সেও শুনেছে। শুধোলে ঠাট্টা করে বলে, ওনার দেড়শর ওপর বয়স, এখন কি আর মুখের ভাষা ঠিক থাকে। কিন্তু সে বস্তুত বিশ্বাস করে, এ না বলে গুরুদেবের উপায় ছিল না। তিনি হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী, চলমান বিশ্বযুদ্ধ দেখতে দেখতে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন। মুসোলিনির রাজসিক মায়াকে ঔদার্য ভেবে পরে মাথার চুল ছিঁড়েছেন। হিংসা বড় পীড়া দ্যায় তাকে। তবু সেসবই শেষ কথা নয়। দাদু উত্তরাধুনিক, সোভিয়েত পতনের পরে ক্রিশ্চান আলোকপ্রাপ্তি ছেড়ে উত্তর উপনিবেশবাদের মধ্যে ইতিহাসের আশ্রয় দেখতে পাচ্ছেন। বিশ্বনাগরিক বলে আরাফত, শ্যাভেজ, জাপাতিস্তাদেরও ঘুরে ঘুরে দেখেছেন তিনি। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর থেকে শিল্পবিপ্লবের আগ্রাসী রূপটা ক্রমশঃ প্রতীত হচ্ছে তাঁর মানসে। অরণ্য, কৃষি ধ্বংস করে পরিকল্পনাহীন ভাবে বেড়ে চলেছে কিছু উঁচু মানুষের দাবি। দরিদ্র আরও দরিদ্র হচ্ছে, এত দরিদ্র হচ্ছে যে দারিদ্রের সংজ্ঞা পালটে দিতে হচ্ছে। পৃথিবী উষ্ণতর হচ্ছে। মানুষকে বের করে আনা হচ্ছে জল-মাটি-অরণ্য-পাখি-র সংশ্লেষ থেকে। আরও একলা হচ্ছে, এলিয়েনেটেড হচ্ছে সে। আর রবীন্দ্রনাথ দেখছেন, আমাদের ঐতিহ্যে, সংস্কারে, উৎসবে মিশে আছে এর বিরোধিতার বীজ। জাপাতাদের সংগঠক জেনারেল মার্কোস বলছেন, একমাত্র ট্রাইবাল কমিউইনিটি স্ট্রাকচারেই তিনি দেখছেন আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতার শক্তি। রবীন্দ্রনাথও দেখছেন, এই হিন্দুত্বকে যা সবাইকে অমৃতের পুত্র বলে সম্বোধন করে। যা কুল-মান-এর তোয়াক্কা না করে মনের মানুষের সন্ধানে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায়। যে হিন্দুত্ব দেখায়, ছোট ছোট মানুষের কাজ, তাদের অ্যাবস্ট্রাক্ট লেবার-এর সম্মেলন শতশত সাম্রাজ্যের ভগ্নশেষ-এর পরেও থেকে যায়। দুহাজার বছরের ইতিহাস পুনর্পাঠের সূত্র দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বলছেন, ইতিহাস, সমস্ত যুগে সমস্ত দেশে এক হবে এই কুসংস্কার ত্যাগ না করলেই নয়। তিনি জানেন রাজার রাজা হয়ে মানুষের বেড়ে ওঠার জন্য এই পঠনের দরকার কতটা। বিতর্কের গভীরে ঢুকে খুঁজে আনতে হবে সত্য কী, ঝড়ে বাইরের নিয়ম নড়ে যাওয়ার পর ভবিষ্যতের জন্য অটুট হয়ে কোনটা পড়ে থাকে।


    মোদিকে সক্রিয় বিরোধ করার দায় তাঁর এখানেই। যাঁরা বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে আলো- আশু সর্বনাশের মুখে তাঁদের ক্ষমা করার মন্ত্র তিনি দিতে পারছেন না। আর, আলোচনার জায়গাটাই থাকছেনা। মিশনারি হিন্দুত্ব আর আগ্রাসী ধন-সাম্রাজ্যবাদের মুখে দাঁড়িয়ে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধির হিন্দু ইতিহাস, দর্শন বিশ্লেষণের জায়গা কোথায়। দলের লোকেদের তখন ছুটতে হবে ইস্কুলে ইস্কুলে কম্পালসরি আগ্রাসী হিন্দুত্বর প্রচার বন্ধ করতে।  অন্তর্দৃষ্টিতে নিজের ভিতর, নিজের জ্ঞানের গভীরে পথের সন্ধান না করে বাইরের বিদ্বেষ থামাতেই যুগ অতিক্রান্ত হবে আর মানুষের বেঁচে থাকা বাঁচিয়ে রাখার লড়াই আরও পিছিয়ে যাবে। শাস্ত্রের বদলে আবার শস্ত্রের আশ্রয় নিতে হবে। আর সেই সুযোগে পুনরায় বেড়ে যাবে হিংসার থাবা, ধংসের দিকে।



    তাই, রবীন্দ্রনাথ দিচ্ছে ডাক – নরেন্দ্র মোদি নিপাত যাক।


    '


     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ মে ২০১৪ | ৬১২৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৩৩88028
  • ২০০৬ এর 1.93% টাকে না দেখার চেষ্টাটা বেশ চমকপ্রদ। আসলে সময়টা ২০০৬ বলেই না দেখতে চাওয়ার ইচ্ছেটাকে ব্যাখ্যা করা যায়। কেননা এর পরেই সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-জঙ্গলমহল এক এক করে লাইন দিয়ে আসে। আর অতিবাম কিষেনজী থেকে অতিডান বিজেপি সকলেই মমতাকে মধ্যমণি করে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে।

    যারা গুজরাটে রাতারাতি টাটাকে জমি পাইয়ে দেয় ন্যানোর কারখানার জন্য তাদের নেতারা কিসের জন্য মমতার ন্যানো-বিরোধী সভায় কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন দিতে এসেছিল?

    শেষ পর্যন্ত কিষেণজীকে কোতল করে একদিক সামলানো যায়। কিন্তু বিজেপি তার "পাউন্ড ওফ ফ্লেস" উদ্ধার করার চেষ্টা চালাবে না সে কি করে হয়?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৩৮88029
  • কি অবোস্থা ডিফেন্সের!
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪২88031
  • এবার অন্ততঃ সব বছরের % বাদ দিয়ে শুধু ১৯৯১-এর ১১% দেখানোটা বন্ধ হবে আশা করি।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪২88030
  • কিন্তু ইয়ে মানে, ২০০৬, মানে যখন ২৩৫-৩৫ হয়েছিল - ওটাকে কি স্ট্যান্ডার্ড ধরা ঠিক হবে?
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪৪88033
  • কিন্তু ১৯৯১তে কি করে, কি করে এমন হতে দিলেন বাম নেতৃত্ব - বিস্ময়ে তাই জাগে আমার প্রাণ...
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪৪88032
  • জানতাম, জানতাম, এবার ২০০৬-এর রিগিং আসবে। কিন্তু ১৯৯১-তে সেই একই ভাবে রিগিং করে বিজেপির ১১% টাকে ১% করে দেয়নি কেন বামেরা?
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪৫88034
  • j-র দেওয়া ওপরের ছবিটা রেলের পয়সায়ঃ
    The Railway ad for the Sep 9 foundation laying ceremony of a double line from Prinsep Ghat station to Tata station features a picture of Mamata Banerjee wearing a hijab and offering Namaz.
    http://news.oneindia.in/2010/09/11/railway-ad-with-mamata-in-hijab-sparks-off-row.html
  • SC | 34.3.22.185 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪৬88035
  • ২০০৬ এ বিজেপির জাতীয় স্তরে কি অবস্থা ছিল? মোদী ওয়েভ ছিল?
    পি টি , আপনি ফিগার দিলে ঠিক করে normalize করুন, এই রকম ডেটা দিলে যে কোনো রিভিউআর আপনার পেপার রিজেক্ট করে দেবে।
    আপনি দুটো experiment করলেন দুটো সম্পূর্ণ আলাদা কন্ডিশনে, তারপরে তাপ্পি মেরে এখন নিজের সুবিধা মত পাশাপাশি বসিয়ে দিচ্ছেন।
    এক কাজ করুন, প্রতিটা লোকসভা নির্বাচনে (প:ব তে ভোট শেয়ার / জাতীয় ভোট শেয়ার ) এই নম্বরটা ক্যালকুলেট করুন। তারপরে টেবল আকারে দিন। এরপরে হাইপথেসিস করুন।

    হয়ত আপনি যেটা প্রমান করতে চাইছেন, আপনার position আরো স্ট্রং হবে, আবার নাও হতে পারে। কিন্তু একটা ডেটা যখন দিচ্ছেন, এরকম ডেটা যে কেউ প্রশ্ন করবে।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৪৭88036
  • তাহলে কি প্রমাণ হল? বাম আমলেও বিজেপি ভোট পেত। তাই তো? ভিক্টর বাড়ুজ্জেরা ভোট পেয়েছে। জেতে নি তেমন, কিন্তু ভোট পেয়েছে।
    তো হয় কি, অমন হয়। হাওয়া আসে না। হাওয়ায় পায়। যেমন ১৯৯১-তে বিজেপি খানিকটা হাওয়াতে ভোট পেয়েছিল। ২০১৪-তেও হাওয়াতে ভোট পেয়েছে বিজেপি।

    মনে আছে পিটি সেই তুমি বলেছিলে যে ১৯৭৭-এ অ্যান্টি-কংরেস হাওয়া ছিল, ১৯৮৪-তে ইন্দিরা শোকের হাওয়া ছিল -- ঠিক তেমন এবার হয়েছে বিজেপি হাওয়া। এর সাথে বাম-ডান, মমতা-বিমান কিছু নাই।
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৫৪88037
  • ২০০১ আর ২০০৬ বিধানসভার নির্বাচনের আর অন্য সংখ্যাগুলো শুধু রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের। সব সংখ্যাই শুধু রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। লোকসভার নির্বাচন বাদ দিয়ে শুধু রাজ্যের নির্বাচনের সংখ্যা নিলেও মোটামুটি একই প্যাটার্ন পাওয়া যাবে।

    সমস্যা হচ্ছে "রাজ্যে মমতা বিজেপিকে আটকাতে পারেনি মোদী হাওয়ার কারণে কিন্তু বামেদের ভোট কমে যাওয়াটা শুধু বিমান-কারাতের ব্যর্থতা" এই হাইপোথিসিসটাও যুক্তিহীন আর ধান্দামূলক। এটাকে দাঁড় করানোর ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৫৬88038
  • দেখো পশ্চিমবঙ্গে মমতা হাওয়া এসেছে ২০০৯-এর লোকসভা ইলেকশন থেকে। দীর্ঘ ৩২ বছর বাদে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ইলেক্শনে বামেরা হারে ২০০৯-এ।

    এর পর হল ২০১১ বিধানসভা ইলেক্শন। পুরো মমতা হাওয়া। বিজেপি রাজ্যে ২৮৯-টা সিটে ক্যান্ডিডেট দিল, পেল ০ - শূণ্য। ভোট % ও মাত্র ৪%।

    কিন্তু, ২০১৩-তে দেশ জুড়ে প্রবল মোদি/বিজেপি হাওয়া, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২টো লোকসভা সিট পেল, ভোট % ও বাড়ল।

    হাওয়া, হাওয়া, ইয়ে হাওয়া...
  • SC | 34.3.22.185 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৫৮88039
  • ওকে। আপনি কি বলছেন মোদী ওয়েভের জন্য বামেদের কিছু ভোট কমেছে। আমি আপনার সাথে একমত সেক্ষেত্রে।
  • SC | 34.3.22.185 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৫:৫৯88040
  • এখন কাজ করছি, পরে ওই normalize করে ডেটা টা নামছি। তাপ্পর জাজ্জা দেখার, দেখবেন।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৬:০১88041
  • অফ কোর্স কমেছে। মোদি হাওয়াতে বিজেপি ভোট পেয়েছে।

    আমার মনে হয় লেফ্‌ট-দের প্রবলেম হল, গ্রামে। দেখো আগেও শহরাঞ্চলে সবসময় লেফ্‌ট জিতত না। কিন্তু গ্রাম ছিল বিশ্বস্ত সঙ্গী।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৬:২২88042
  • কিন্তু মমতার তো লাভ হয়েছে মোদি ওয়েভে, মোদির বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষণ দেবার সুযোগ পেয়েই ঝাঁপিয়ে পরে কাজে লাগিয়েছে। কদ্দিন আর সেই এক - সিপিএম বাজে, আমাদের ভোট দিন - এই এক ঘ্যানোর ঘ্যানোর করবে।
  • Arpan | 52.107.175.150 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৬:৩০88043
  • এঃ এসসি দেখছি কিচ্ছু জানেন না। জেনে রাখুন যেকোন ডেটা দিয়েই যেকোন হাইপোথেসিস প্রমাণ করে দেওয়া যায়। খালি ডিফেন্সটা পোক্ত হতে হয়।
  • Du | 230.225.0.38 (*) | ২২ মে ২০১৪ ০৭:৪৬88044
  • আবার একবারও জিগাই বিজেপি ৯১তে বিজেপি কী অন্যায় করেছিল?
  • ! | 124.143.197.146 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৬:২০88046
  • ১৯৪৬,১৯৪৭, katota পেছেবো। নাকি ভুলে jabo
  • সিকি | 135.19.34.86 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:৩১88048
  • উফ্‌ফ্‌, সকাল থেকে আমি দমবন্ধ করে অপেক্ষা করছিলাম, কতক্ষণে এই লেখাটার লিং আসে।

    তো, এসে গেল। :-) হেব্বি মনোগ্রাহী লেখা কিন্তু। খুব চুলচেরা হিসেব করে দেখিয়েছেন দুজনে মিলে, কেন নরেন মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। শেষের দিকটা পড়লে প্রায় চোখে জল এসে যায় - An equally destructive and well-publicised urge for mass destruction can hardly be attributed to Modi.
  • Arpan | 52.107.175.154 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ০৮:৪৫88049
  • রথযাত্রা আর আদবানীর বিহারে অ্যারেস্ট হওয়া কবে হয়েছিল? ১৯৯১-এর আগেই তো?

    বিপজ্জনক না হলে অ্যারেস্ট হয়েছিলেন কেন?
  • ! | 71.16.194.150 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ১০:০৩88050
  • এইজন্য তো প্রেক্ষিত দেখা হয় ।
  • Ekak | 24.96.19.228 (*) | ২৩ মে ২০১৪ ১০:২৪88051
  • লেখাটা পড়িনি ।তবে হিটলার আর মোদী কখনই তুলনীয় না । মোদী কান্ট এফর্দ টু বি হিটলার ।
  • মৃন্ময় ঘোষ | 213.147.88.194 (*) | ০৩ জুন ২০১৪ ০৯:০২88052
  • আমি খুব বেশী বুঝি না। তবে একটা জিনিষ আমার মাথায় ঢুকছে না মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে এতো প্রসংগের অবতারনা করার কি মানে আছে। তার হিন্দুত্ব বা অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে কিন্তু এই ভোটে আমাদের ভারতীয় ভোটারদের হাতে আমার চোখে দুটো অপশন মাত্র ছিলো। হয় নরেন্দ্র মোদী নয় রাহুল গান্ধী। কারণ বাকি যারা ছিলেন তারা হয় কংগ্রেস বা বিজেপি কে সাপোর্ট করার মত অবস্থায় ছিলেন...... কোনোভাবেই কেউ প্রধাণ মন্ত্রি হবার অবস্থায় ছিলেন না...... অন্য দল গুলো হয় কংগ্রেস বা বিজেপি (যদি একক ভাবে সরকার গড়তে সক্ষম নাও হত) কে সাপোর্ট করতে সক্ষম হত মাত্র। তাদের মধ্যে একটি দলেরও নেতা বা নেত্রীর প্রধাণ মন্ত্রি হবার কোনো সুযোগ ছিলো বলে তো আমার মনে হয় নি কখনও, ভারতের ভোট বা সরকার গঠন পদ্ধতি আমি যতটুকু বুঝি তাতে আমার অন্ততঃ এটাই বাস্তব বলে মনে হয় (অনেকে আপ বা অরবিন্দ কেজরিয়াল নিয়ে মাতামাতি করছিলেন, আমি অবাক হয়েছিলাম, একটা নতুন দল এসে ভারতের মত একটা বিশাল দেশে সংগঠন গড়ে ফেলবে এত তাড়াতাড়ি কি করে কিছু লোক আশা করছিলেন আমার মাথায় ঢুকছিল না, আর যদি গড়েও ফেলে যে দল দিল্লীর মত একটা ছোট রাজ্যে সাফল্যের সাথে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাতে পারে না, তাকে দেশের সাধারণ জনগন দেশের সর্বোচ্চ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর ভার দেবে কি ভরসায়? যদি বলেন অন্য দলগুলোর জন্যে উনি পারলেন না তবে একটাই কথা খেলাটা খেলতে নামলে খেলার জন্যে তৈরী হয়ে নামতে হয়, আপনি গোল করতে চাইছেন বলে বিপক্ষ আপনাকে খালি ময়দান ছেড়ে দেবে ভাবলে মাঠে না নামাই ভালো, মাঠে নামলে কড়া ট্যাকেল বা ফাউল হবে এটা জেনে নামাই ভালো)............ সুতরাং রাহুল গান্ধী আর নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালানোর জন্য নরেন্দ্র মোদী যে অনেক বেশী যোগ্য লোক সেটা খুব বেশী ভাবার প্রয়োজন রাখে না। ভারতের ভোটাররা সেটা ভেবেচিন্তেই নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় এনেছেন বলে আমার মনে হয়। সুতরাং তার যা ইতিহাস থাক (কংগ্রেসেরও শিখ হত্যার ইতিহাস আছে অবশ্য) আর যাই হোক যারা খেলাটায় নেমেছিলেন তাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আমি তো আর কোনো অপশন দেখতে পাই নি অন্ততঃ।

    প্রথম বার এখানে লিখলাম। জানি না যা বলতে চাইলাম বোঝাতে পারলাম কি না। তবে আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যেটুকু বুঝেছি সেটুকু বলার চেষ্টা করলাম মাত্র।
  • সুমন | 125.187.39.20 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ০৩:৩৭88058
  • কিসের চাপ আমাদের তো কোন চাপ নেই। মোদিকে ভোট দিয়েছি মোদি সরকার এশেছে এতে আবার চাপ কি।
  • সিকি | 132.177.154.204 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ০৪:৫২88059
  • নাহ, আপনার আর চাপ কি। এই যারা বাল ঠাকরেকে পছন্দ করে না বা শিবাজীকে ভক্তিশ্রদ্ধা করে না কিংবা নাম দেখলেই মুসলমান বলে চেনা যায়, চাপ তো তাদেরই। আর ঐ তাদের চাপ যারা চোখের সামনে প্রিয়জনকে খুন হতে দেখেছে, আগুনে জ্বলেপুড়ে মরতে দেখেছে ২০০২ ভ্সালের গুজরাতে।

    বকি সব ঠিক হ্যায়।
  • সুমন | 125.187.39.20 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ০৫:০৫88060
  • আরে ও অনেক পুরনো চাপ হয়ে গেছে ভাই ওসব পুরোনও কাসুন্দি কেউ ঘাটে না। নতুন সরকার এসেছে কিছু ভালো করে দেখাবে নহলে এটাকেও পাল্টে দিব হাহাহা।
  • ...... | 127.194.207.121 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ০৬:০৭88062
  • লিস্ট করলে সব ভুল সবার ভুল একসাথে করুন, বেশ একটা ডকুমেন্টেশন গোছের হবে। কপি করে ক্লিপবোর্ডে নিয়ে ঘুরবেন। যে কোনো আলোচনায় ঝটাকসে পেস্ট করে দেবেন। সিপিএম এর কি কি ছিল - সাতেঙ্গা না নেতাই না সাঁই আরো কিসব, তিনোদের কি কি ছিল , মাও দের কি কি ছিল, নকশালদের কি কি ছিল কনস্টেবল, বিদ্যাসাগর, মোদির মুসলিম আর কংগ্রেসের শিখ সব একসাথে বলুন। তবে সঠিক শ্রীনিরপেক্ষ হতে পারবেন। নইলে এই মোদীবিরোধী আর কংবিরোধী কুমিরছানা নিয়ে ঠিক খেলা জমছে না।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০৪ জুন ২০১৪ ০৮:০০88053
  • গুজরাত দাঙ্গাকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফেলিওর হিসেবে দেখেন না ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন