এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মোদীবিরোধী রাজনীতি -- একটি প্রাথমিক খসড়া

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৭ জুন ২০১৪ | ৩১৩১ বার পঠিত
  • মোদীর জয়জয়কার কেন?

    ক। এবার বিজেপি জিতেছে মূলতঃ মোদী হাওয়ায়। পুরোটা না হলেও অনেকটাই। গত কয়েকটি নির্বাচনেই বিজেপি ১৫০+ আসন পাচ্ছিল। সেটা বিজেপির নিজের ভোটব্যাঙ্কের কারণে। এবারের আসন সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সেই বাড়তিটা মোদী হাওয়ার অবদান।

    খ। মোদী হাওয়াটি কী? দুই বছর আগে সঙ্ঘ পরিবার নিজেদের ব্যর্থতা পর্যালোচনা করে। এবং একজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্বকে বিজেপির মুখ হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়। রাহুল বনাম মোদী -- এই স্লোগান সেই দুই বছর আগের সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতি। এবং স্লোগানটিই মোদীর পক্ষে-বিপক্ষে মেরুকরণের হৃদপিন্ড। 

    গ। এই রাহুল বনাম মোদী মেরুকরণের মূল লক্ষ্যটি হল, মোদীর অ্যাজেন্ডাকেই জাতীয় রাজনীতির মূল অ্যাজেন্ডা বানিয়ে তোলা। তার পক্ষে বা বিপক্ষেই জাতীয় রাজনীতি ঘুরপাক খাবে। বাকি অন্য সবকিছু সেখানে গৌণ।  এবং এজন্য প্রতিপক্ষটিকেও সযত্নে চয়ন করা হয়েছিল, যার নাম রাহুল গান্ধী। যিনি রাজনীতিতে নবাগত, উচ্চবর্গীয় এবং মাটির সঙ্গে সংযোগহীন। অতএব তিনি লিলিপুট। উল্টো দিকে মোদী লার্জার দ্যান লাইফ। শক্ত ও কাজের মানুষ।

    ঘ। মোদী যে কাজের মানুষ, সেটা তুলে ধরার জন্যই রাহুলের বিরুদ্ধে তাঁকে তুলে ধরা। রাহুলের হাতে কোনো অস্ত্র নেই, মোদীর আছে গুজরাত। গুজরাত বলতেই আমরা সবার আগে দাঙ্গা ভাবি, কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে অন্য আরেকটি চালু ধারণাও ছিল। যে, গুজরাত মানে উন্নয়ন। এক মাসের নোটিসে সেখানে ন্যানো চলে যেতে পারে, কোনো গোলমাল ছাড়াই। সেখানে বিদ্যুৎ যায়না। প্রচুর লোকের চাকরি হয়। ইত্যাদি। -- এই ধারণাটাকে কাজে লাগানো হল। 

    ঙ। দাঙ্গা ইত্যাদি পিছনে চলে গেল, কারণ, খুবই বেশি করে কাজে লাগানো হল, অপদার্থ রাহুল ও মনমোহনের ইমেজকে। লিলিপুট রাহুল/মনোমোহন বনাম কাজের মানুষ মোদী -- এই হল প্রচারের মেরুকরণ। দিল্লীতে আন্নার দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ, ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ, কেজরির জয়, সবই এই পর্বে রাহুলের বিপক্ষে, অতএব, মোদীর পক্ষে গেছে।। জনতার প্রতিষ্ঠানবিরোধী ক্ষোভ, যেখানে জোর ছিল, কাজে লাগিয়েছে আআপ। কিন্তু সর্বত্র তাদের জোর নেই। এই ক্ষোভের পুরোটাই গেছে মোদীর পক্ষে।

    মোদ্দা কথা হল, নিজেদের পকেটের ধর্মীয় অ্যাজেন্ডা ছাড়াও, চারটে জিনিস মোদীর কাজে লেগেছে। এক, কংগ্রেসের তথা রাহুলের অপদার্থতা। দুই, সরকারি দুর্নীতি ও অকর্মন্যতাজনিত ক্ষোভ। তিন, কাজের মানুষ ইমেজ। চার, গুজরাতের ফুলে ফলে বেড়ে ওঠার "উন্নয়ন"এর ইমেজ।

    মোদীর ইমেজ

    কংগ্রেসের অপদার্থতা, সরকারি দুর্নীতি ও অকর্মন্যতা বাদ দিলে পড়ে থাকে মোদীর ইমেজ। "কাজের মানুষ" আর "গুজরাতের উন্নয়ন" এরা জিতেছে গুজরাতের দাঙ্গাকে অতিক্রম করে। এর পিছনে মিডিয়ার ভূমিকা, মোদীর প্রচারের কায়দা সবই আছে। কিন্তু সেটুকু বাদ দিলেও পুরোটাই কি হাওয়ায়? শুধুই প্রচার?

    খুব সত্যনিষ্ঠভাবে বিষয়টির দিকে তাকালে আমরা দেখব, পুরোটা হাওয়ায় নয়। আমরা গুজরাট নিয়ে যা বলি, (অর্থাৎ মর্টালিটি রেট বা এইচ ডি আইতে গুজরাট অনেক পিছনে, শিক্ষা ও সাস্থ্য মোটেই সন্তোষজনক নয়, ইত্যাদি ইত্যাদি), সবকটাই অক্ষরে অক্ষরে সত্য। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা যা বলিনা, সেগুলোও আছে। যথাক্রমে জল, বিদ্যুৎ, রাস্তা এবং (তর্কাতীতভাবে নয়) তুলনায় গতিশীল প্রশাসন। গুজরাটের প্রত্যন্ত এলাকাতেও পাওয়ার কাট হয়না। খরাপ্রবণ এলাকাতেও যথেষ্ট জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    এখানে লক্ষ্যণীয় এটা, যে, গুজরাটের উন্নয়নের যে স্বর্গীয় চিত্র মুখে-মুখে ছড়িয়েছে, সেটা বিদ্যুৎ-রাস্তা-পরিকাঠামোর উন্নয়নের গল্প। সেটা ভিত্তিহীন না। কিন্তু পিছনে পড়ে গেছে মানব-উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলরাশি।সেটাও ভিত্তিহীন নয়, বরং অধিকতর বাস্তব। কিন্তু তাও সেটা জনমানসে অধিক গুরুত্ব পায়নি।

    এর সম্ভাব্য কারণ দুটি।

    এক। বিদ্যুৎ বা রাস্তার সুফল সহজে দৃশ্যমান।

    দুই। মানুষ এটাকে "উন্নততর প্রশাসনিকতা"র অংশ হিসেবে দেখেছেন। এবং এইটুকু যে করতে পারে, বাকিটা অন্তত কিছুটা হলেও সে পারবে, সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই, এইভাবে ভেবেছেন।

    এখানে একটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। যে, "প্রশাসনিকতা" বা "সুশাসন" বিষয়টার উপর আজকের ভারতবর্ষ অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছে। সেটাকে এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। মোদী "প্রশাসনিকতা"র প্রশ্নটিকে অ্যাড্রেস করেছেন। শুধু সেটুকুই মোদীর জয়কে নিশ্চিত করেনি, করেছে, এর কৌশলী উপস্থাপনও।

    মোদীর জয় কিভাবে নির্ধারিত হয়েছে?

    রাজনীতিতে দীর্ঘকালীন জয়-পরাজয় শুধু একটি ভোটে নির্ধারিত হয়না। হয় দীর্ঘকালীন অ্যাজেন্ডা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে। যাকে বলা হয় মেরুকরণ। নির্বাচনে বিভিন্ন দলের হাজার হাজার অ্যাজেন্ডা থাকে। কিন্তু জনসমাজে সবকটিই গুরুত্ব পায়না। অল্প কয়েকটিই পায়। অর্থাৎ, জনতার চর্চার, তর্কের মূল বিষয় থাকে সীমিত সংখ্যক কিছু অ্যাজেন্ডা। যাকে ঘিরে মেরুকরণ তৈরি হয়। রাজনীতির দীর্ঘকালীন লক্ষ্যে তিনিই জয়লাভ করেন, যিনি নিজের অ্যাজেন্ডাকে জনতার অ্যাজেন্ডা হিসেবে তৈরি করতে পারেন (উল্টো ভাবে বলা যায়, জনতার অ্যাজেন্ডা তাঁর অ্যাজেন্ডা হয়ে ওঠে -- এর মধ্যে ডিম আগে না মুর্গি আগে, সে আলোচনায় এখানে ঢুকছিনা)। সেই অ্যাজেন্ডাকে ঘিরেই জনসমাজ এবং বাকি দলগুলি আবর্তিত হয়। পক্ষ ও বিপক্ষ নির্মিত হয়। স্বল্পমেয়াদে এটি সবসময় অ্যাজেন্ডা-রচয়িতার ভোটে জয় নির্ধারিত করে তা নয়, কখনও সখনও তিনি হেরেও যেতে পারেন, যদি মেরুকরণে উল্টো দিকের পাল্লার ওজন বেশি হয় (যদিও সাধারণভাবে সেরকম হয়না)। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে জাতি ও অন্যান্য দলগুলিকে নিজের অ্যাজেন্ডার চারপাশে আবর্তিত করতে পরা সাফল্যের একটি বড়ো সোপান।

    নব্বইয়ের দশকে "মন্ডল রাজনীতি"র স্লোগানে এই মেরুকরণটি অনেকাংশে করতে সক্ষম হয়েছিলেন ভিপি সিং। সংরক্ষণের পক্ষে এবং মূলত বিপক্ষেই অজস্র আন্দোলন হয়েছে, এবং তৎকালীন ভারতবর্ষে একটা সময় এটিই ছিল মূল অ্যাজেন্ডা, যাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে গোটা জনসমাজ, প্রতিটি দলকে সংরক্ষণের বিপক্ষে বা (মূলত) পক্ষে অবস্থান নিতে হয়েছিল। ভিপি সিং, নিজে এই মেরুকরণের সুফল বেশিদিন ভোগ করতে পারেননি। কিন্তু তবুও এটি তাঁর দীর্ঘকালীন জয়। কারণ তাঁর স্থির করা অ্যাজেন্ডা দীর্ঘদীন পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে গোটা হিন্দী বলয়ের রাজনীতিকে।

    ভিপি সিং কে নিয়ে আলোচনা এখানে হচ্ছেনা, এটি খুব সংক্ষিপ্ত একটি বিশ্লেষণ ও ইতিকর্তব্য ধরণের চিঠি বা লিফলেট, এখানে আসল কথাটা হচ্ছে, এই নির্বাচনে মোদী এই মেরুকরণটি করতে সক্ষম হয়েছেন। এবারের নির্বাচন হয়েছে প্রশাসনিকতা ও কংগেস সরকারের অপদার্থতার ইস্যুতে। বাকি সমস্ত কিছু, এমনকি কুখ্যাত গোধরা ও তৎপরবর্তী দাঙ্গার ইতিবৃত্তও এবারের নির্বাচনী অ্যাজেন্ডায় আবছা হয়ে গেছে। জেগে থেকেছে শুধু "প্রশাসনিকতা" ও "অপদার্থতা"। এটি মোদীর অ্যাজেন্ডা। মোদী অতি অবশ্যই তাঁর শক্তির জায়গায় অ্যাজেন্ডাটি তৈরি করেছেন, বাদ দিয়েছেন দুর্বলতাকে। এবং সেই কাজে, যে করেই হোক, সাফল্যলাভ করেছেন। এবারের নির্বাচন মোদীর অ্যাজেন্ডার জয়। এবং বিপক্ষের নিজস্ব অ্যাজেন্ডাগুলিকে জনতার অ্যাজেন্ডা করে তোলার ব্যর্থতার ফল।

    অন্য কারো পক্ষে প্রশাসনিকতার প্রশ্নে কংগ্রেসের বিকল্প হওয়া সম্ভব ছিল?

    আমরা দেখেছি, চারটি জিনিস মোদীর পক্ষে গেছে। এক, কংগ্রেসের তথা রাহুলের অপদার্থতা। দুই, সরকারি দুর্নীতি ও অকর্মন্যতাজনিত ক্ষোভ। তিন, কাজের মানুষ ইমেজ। চার, গুজরাতের ফুলে ফলে বেড়ে ওঠার "উন্নয়ন"এর ইমেজ।

    এর প্রথম দুটিকে, এক কথায় বিপক্ষের (অর্থাৎ পূর্বতন কেন্দ্রীয় সরকারের)অপদার্থতা বলা যেতে পারে। পরের দুটিকে (মোদীর) প্রশাসনিকতার আশ্বাস।

    এর মধ্যে "বিপক্ষের অপদার্থতা" যে কারোরই অস্ত্র হতে পারত। হয়েওছে। কিন্তু যে জায়গাটিতে খামতি ছিল, তা হল "প্রশাসনিকতার আশ্বাস"। এমন নয়, যে, অন্যান্য পার্টিগুলির বিজেপির মতো সর্বভারতীয় উপস্থিতি ছিল। কিন্তু যেখানে উপস্থিতি ছিল, সেখানেও মানুষ মোদীর "প্রশাসনিকতা"র মডেলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় বিপক্ষ বলতে যদি বামদল আর আআপ কে ধরা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, যে, এদের নিজেদের গড়েই (দিল্লী এবং পশ্চিমবঙ্গ) মোদীর প্রশাসনিকতার স্লোগানের সামনে এরা উভয়েই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

    আপ বিজেপির সঙ্গে প্রশাসনিকতার প্রতিযোগিতায় পারেনি প্রাথমিকভাবে দুটি কারণেঃ

    এক। সংগঠনের অভাব। 

    দুই। কেজরিওয়ালের দিল্লী সরকার থেকে পদত্যাগ, যা তাঁকে "কাজের মানুষ" এর বিপরীতে স্রেফ "আন্দোলনের মুখ" হিসেবে তুলে ধরেছে।

    (লক্ষ্যণীয়, কেজরিওয়ালের প্রতিষ্ঠানবিরোধী ও দুর্নীতিবিরোধী মুখ ও বিশ্বাসযোগ্যতার কোনো খামতি এখনো দেখা যায়নি।)

    বামরা এই কাজটি করে উঠতে পারেনি প্রাথমিকভাবে দুটি কারণেঃ

    এক। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে তারা কখনই সক্রিয় হয়নি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিকল্প হয়ে ওঠার এই সুযোগটি তারা হেলায় হারিয়েছে।

    দুই। "কাজের মানুষ" ও "বিকল্প" হয়ে ওঠার বিশ্বাসযোগ্যতা পশ্চিমবঙ্গে বামরা হারিয়েছেন নন্দীগ্রাম পরবর্তীতে। 

    (লক্ষ্যণীয়, এর পরেও বামদের দেশের নানা প্রান্তে শক্ত সংগঠন আছে। এখনও।)

    অতএব, মোদী যখন "কাজের মানুষ"এর স্লোগান তুলে সেটাকেই অ্যাজেন্ডা বানিয়ে ফেলেছিলেন, সেটা তাঁর নিজস্ব শক্ত মাটিতেই ছিল। "লৌহমানব" ও "কাজের মানুষ" -- এই প্রশ্নে মূল তর্কটি নিবদ্ধ থাকলে, "রাহুল বনাম মোদী" এই তর্কটি জনসমাজের মূল অ্যাজেন্ডাটি নির্ধারিত হলে, মোদীর জয়লাভ অবধারিত। এবং মোদী খুব সফলভাবে এই অ্যাজেন্ডাটিকে নির্বাচনের মূল অ্যাজেন্ডায় পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। উল্টোদিকে বিপক্ষের অ্যাজেন্ডাগুলি ভুগেছে দিশাহীনতায়। মোদীর সাম্প্রদায়িক মুখকে মূল অ্যাজেন্ডা করা যায়নি। "গুজরাত এর উন্নয়ন" এর মডেল ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে বিতর্ক। "সুশাসন" বা "প্রশাসনিকতা"কে মানুষ গুরুত্ব দিয়েছেন, মোদীও সেটাকেই হাতিয়ার করেছেন। তার জবাবে কোনো বিকল্প বিরোধীদের ছিলনা।

    শুধুই প্রশাসনিকতা, সাম্প্রদায়িকতা নয়?

    সাম্প্রদায়িকতা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে খামতিও ছিল। মোদীর সাম্প্রদায়িক মুখটি একেবারেই তুলে ধরা যায়নি, যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অর্থনীতি নিয়ে কোনো বিকল্পও দেখানো যায়নি। এবং টপকে এবার মূল ইস্যু ছিল প্রশাসনিকতা। সেখানে বিপক্ষ হেরেছে। মোদী জিতেছেন।

    এর মানে অবশ্যই এই নয়, যে, মোদীর সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কিছু বলার দরকার নেই। অবশ্যই আছে। কিন্তু দেশের লোক যে প্রশাসনিকতাকে একটি প্রধান ইস্যুর মর্যাদা দিচ্ছেন, সেদিকেও অনেক অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সাম্প্রদায়িকতাকেও প্রশাসনিকতার সঙ্গে একই সূত্রে গেঁথে জনমানসে উপস্থাপন করার প্রয়োজন আছে।

    এখানে একটি জিনিস বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যে, প্রশাসনিকতা রাজনীতিবিযুক্ত কোনো সম্পূর্ণ পৃথক বিষয় নয়। রাজনীতি-অর্থনীতির অ্যাজেন্ডাগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে প্রশাসনিকতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উদাহরণ দিয়ে বলা যে সরকারি উদ্যোগে গণবন্টন ব্যবস্থা রাখা উচিত না উচিত নয়, সেটি এই মূহুর্তের একটি রাজনৈতিক বিষয়। কিন্তু সরকারি গণবন্টন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে, যাঁরা তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে ভাবা হয়, তাঁদের দিক থেকে প্রত্যাশিত মাত্রার বিরুদ্ধতা পাওয়া যায়না। এর কারণ হল প্রশাসনিকতার অভাব। সাধারণ মানুষ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে জানেন, যে, গণবন্টন ব্যবস্থা থাকলেও দুর্নীতি বা অন্যান্য কারণে, সেই সুবিধে এমনিতেই তাঁদের কাছে পৌঁছয়না। অতএব ব্যবস্থাটি তুলে দিলে তাঁদের অধিকতর ক্ষতির মাত্রা কম। একই কথা প্রযোজ্য শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের বেসরকারিকরণ প্রসঙ্গেও। তাত্ত্বিকভবে "শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মানুষের অধিকার, সরকারের তা প্রদান করা উচিত" -- এই ধারণায় অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বাস্তবে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কোনো শব্দ শোনা যায়না, কারণ, সরকারি উদ্যোগে এই দুই ক্ষেত্রের হাল সম্পর্কে মানুষ সম্যক সচেতন। ক্ষেত্রদুটির বেসরকারিকরণে এমন কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হবে বলে জনতা করেনা।

    মোট কথা হল, প্রশাসনিক দক্ষতা, স্বচ্ছতা -- এই প্রশ্নগুলিকে এড়িয়ে "অধিকার" নিয়ে কথা বলা যায়না। অধিকার ও প্রশাসনিকতা -- এদেরকে একই সঙ্গে অ্যাড্রেস করা প্রয়োজন। এই মূহুর্তের বাস্তবতা হল মোদী গুরুত্ব দিয়েছেন প্রশাসনিকতায়। আর তাঁর বিরোধীরা অধিকার এ। এবং জনতা " প্রশাসনিকতাহীন অধিকার" এর চেয়ে "অধিকারহীন প্রশাসনিকতা"কে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।

    বিকল্প কি?

    চালু বামপন্থী মডেলে বিষয়টাকে এইভাবে দেখা যায়। "অধিকার"এর আন্দোলন ছিল থিসিস। "প্রশাসনিকতা" তার অ্যান্টিথিসিস। পরবর্তী পদক্ষেপে উভয়ের একটি সিন্থেসিস প্রয়োজন। অন্যভাবেও বিষয়টাকে দেখা যায়, যে, "অধিকার" ও "প্রশাসনিকতা"র একটি কথোপকথন প্রয়োজন। অধিকার ও প্রশাসনিকতা একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এদেরকে আলাদা করে দেখা যায়না।

    মডেল ছাড়িয়ে ট্যাকটিক্সে এলেও, সেই একই চিত্র পাওয়া যাবে। মোদী-বিরোধীদের দুর্বলতম জায়গা হল, তাঁরা "অধিকার" এর সঙ্গে "প্রশাসনিকতা"কে যোগ করেননি। মোদী তাই "প্রশাসনিকতা"র স্লোগান তুলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কিন্তু তাঁরও দুর্বলতম জায়গা হল, তিনিও "প্রশাসনিকতা"র সঙ্গে "অধিকার"কে যোগ করেননি। এই কাঠামোয় এর এই মূহুর্তের কাউন্টার হল "অধিকার" ও "প্রশাসনিকতা"র যোগসাধন করে একটি রাজনীতি নির্মান।

    প্রশাসনিকতা ব্যাপারটা কি এখানে একটু স্পষ্ট করে বলা দরকার। মোদীর "প্রশাসনিকতা" মানে "কাজের মানুষ" হওয়া। আআপ "প্রশাসনিকতা" বলতে যা প্রোজেক্ট করেছে, তা হল, দুর্নীতিবিরুদ্ধতা। লক্ষ্যণীয়, যে, "প্রশাসনিকতা"র এই চিত্রগুলি সবই খন্ডিত। এর বিপরীতে "প্রশাসনিকতা"র একটি বৃহত্তর মডেল তৈরি সম্ভব, যা তাত্বিক ও সিস্টেমেটিক। যেখানে প্রশাসনিকতা মানে শুধু "কাজের মানুষ" হওয়া নয়। যেখানে "প্রশাসনিকতা" মানে শুধু লোকপাল বিল নয়। প্রশাসনিকতার এই ধারণা, দুর্নীতি, স্বচ্ছতা, এবং কুশলতা, সবকটি মাত্রাকেই ধারণ করবে। অর্থাৎ, খন্ডিত ভাবে নয়, মানুষের কাছে দুর্নীতিহীন, স্বচ্ছ এবং দক্ষ পরিষেবা যাতে পৌঁছয় সেটি নিশ্চিত করার দাবী তুলবে। এক কথায় একদিকে শুধু তা গণবন্টন বা শিক্ষা-স্বাস্থ্বে সরকারি দায়িত্বের দাবী তুলবে তাই নয়, একই সঙ্গে তার সুফল পরিষেবা হিসেবে যাতে মানুষের কাছে পৌঁছয়, তার একটি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মডেলও খাড়া করবে।

    এই মডেলের একটি অবশ্য-প্রয়োজনীয় অংশ হতে হবে "প্রশাসনিকতা"র মাপকাঠি। যা দিয়ে "প্রশাসন" বা "পরিষেবা"র বিচার হবে। যে মাপকাঠি, এই মূহুর্তে মোদীর হাতে নেই। বিকল্প রাজনীতিতে এই মাপকাঠিটির নির্মান প্রয়োজন। তাঅত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক ভাবে। এবং সেটিকে ফোকাসে আনা প্রয়োজন। এই মাপকাঠিটিকে আমরা "কুশলতা" বলতে পারি।

    কুশলতা কী?

    কুশলতা, একদিকে প্রশাসনিকতার মাপকাঠি। অন্যদিকে পরিষেবার মান নির্ণয়ের যন্ত্র। প্রতিটি নাগরিকের যথাযথ ও স্বচ্ছ নাগরিক পরিষেবা পাবার অধিকার আছে। তথ্যের অধিকার (আরটিআই) ও লোকপাল বিল সেই অধিকার পাবার ভিত্তিভূমি তৈরি করে। কিন্তু সুনিশ্চিত করেনা। (necessary but not sufficient)।

    একটি কল্পিত উদাহরণ নেওয়া যাক। ধরা যাক, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কোনো একজন নাগরিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার হালচাল নিয়ে যদি জানতে চান, তাহলে তিনি আরটিআই মারফত তা জানতে পারেন। কোনো একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালের ডাক্তারসংখ্যা, ইত্যাদি নিয়েও খোঁজ নিতে পারেন। হাসপাতাল বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে, লোকপালের কাছে তদন্তের দাবী করতে পারেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও, একজন নির্দিষ্ট রোগী যথাযথ চিকিৎসা পেলেন কিনা, সেটা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কারণ, "যথাযথ চিকিৎসা" নামক মাপকাঠিটিই এখনও নির্মিত নয়। "যথাযথ চিকিৎসা" পাওয়া গেল কিনা বিচার করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু মাপ (অর্থাৎ রোগীর ভর্তি হতে অসুবিধে হল কিনা, একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে ঠিক সময় ঠিক ওষুধ দেওয়া হল কিনা, তিনি দুর্ব্যবহারের শিকার হলেন কিনা) প্রথমে তৈরি করা প্রয়োজন। এই মাপকাঠিটি এক্ষেত্রে কুশলতার মাপকাঠি। 

    উদাহরণটি কল্পিত। কিন্তু সমাজের সর্বস্তরেই, সমস্ত পরিষেবাতেই এটি একই ভাবে কার্যকর। শিক্ষা, পুলিশ সহ সমস্ত সরকারি ক্ষেত্রে, এমনকি বেসরকারী ক্ষেত্রেও এই কুশলতর মাপকাঠিটি নির্মান করা প্রয়োজন। পরিষেবা পাবার অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ।

    অতএব, প্রস্তাবটি এই, যে, শুধু তথ্যের অধিকার ও লোকপাল অধিকার সুনিশ্চিত করেনা। শুধু তার ভিত্তিভূমি তৈরি করে।  পরিষেবা নিশ্চিত হচ্ছে কিনা, সেটা সুনিশ্চিত করার মতো কোনো মন্ত্র আমাদের জানা নেই। কারণ, এর কোনো মাপকাঠিই আমাদের জানা নেই। অতএব সেই মাপকাঠিটি নির্ধারণ প্রয়োজন, যাকে আমরা কুশলতা বলছি। বলাবাহুল্য, প্রতিটি ক্ষেত্রে এই মাপকাঠিটি ভিন্ন হবে। হাসপাতালের ক্ষেত্রে যা, স্কুলের ক্ষেত্রে তা নয়। এর মধ্যে নানাবিধ চলরাশি থাকতে পারে। তার মধ্যে সমীক্ষা, অভিযোগ, সবই ঢোকানো যেতে পারে। কিন্তু মাপকাঠিটি প্রয়োজন। কুশলতার মাপকাঠি থাকলে তবেই আমরা বলতে পারব, কুশলতার নিরিখে অমুক হাসপাতাল, বা অমুক স্কুল, বা অমুক সরকার পিছিয়ে পড়ছে। এবার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এমনকি বে-সরকারি পাবলিক-ফেসিং প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এর আওতায় আনা যেতে পারে। এটি খুব জরুরি দরকার, কারণ এটি ছাড়া বাকি যন্ত্রপাতি দিয়ে গরীব মানুষের পরিষেবা সুনিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। শুধু তাইই না, এটি ছাড়া মোদীর "কাজের মানুষ" প্রশাসনিকতার মডেলের পাল্টা আর কিছু হওয়া কঠিন।

    এই একটি অস্ত্র দিয়ে পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার যে গাফিলতিতে নিত্যদিন সাধারণ থেকে অসাধারণ সব মানুষই পড়ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের দাবীকে নিজেদের দাবীতে পরিণত করা যায়। এমনকি সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নেও এই মুহূর্তে এটি একটি তীব্র অস্ত্র হতে পারে। সাম্প্রতিক একটি রায়ে বহুবছর জেলে কাটানোর পর "সন্ত্রাসবাদী" কার্যকলাপে যুক্ত বলে অভুযুক্ত কয়েকজন মানুষকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দোষ বলে রেহাই দিয়েছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছিল গুজরাত পুলিশ। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন পুলিশ ও গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেরও তীব্র সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এখানে বিস্তারিত বিবরণে যাবার প্রয়োজন নেই, কিন্তু কথাটা হল, এটি একই সঙ্গে গুজরাত সরকার ও গোটা বিচার ব্যবস্থার কুশলতার অভাবকে প্রতীকি ভাবে তুলে ধরছে। যে কুশলতার মধ্যে "জনতার পরিষেবা পাবার অধিকার" একটি অন্যতম চলরাশি। এই প্রশ্নটিকে তুলে ধরে একই সঙ্গে বিচার-ব্যবস্থা, মোদীর সাম্প্রদায়িক মুখ এবং কুশলতা, তিনটি বিষয়কেই এক সুতোয় গেঁথে ফেলা সম্ভব।

    এখনও পর্যন্ত মোদী বিরোধী প্রধান দুই পক্ষ, আপ ও বামরা, কেউই এই প্রশাসনিকতার প্রশ্নটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেননি। আআপ খন্ডিতভাবে দুর্নীতি-বিরোধী আওয়াজ তুলেছে। মহল্লা সভা ইত্যাদির দাবীও তুলেছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বৃহত্তর প্রশাসনিকতার চাপ নিতে অস্বীকার করেছে (দিল্লীর সরকারে এসে)। বামরা "রিলিফ" তত্ত্বে বিশ্বাস করে প্রশাসনিকতার প্রয়োজনটিকেই তাত্ত্বিকভাবে ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এড়িয়ে গেছেন। অথচ, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে ঘিরেই আজ মোদীর উত্থান।

    বাস্তব বিকল্প

    এই মূহুর্তে, অবিলম্বে, মোদীর এই স্লোগানের জবাবে পাল্টা প্রশাসনিকতা ও কুশলতার একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ মডেল তৈরি করা প্রয়োজন। কার্যক্ষেত্রে, যা, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা, এসবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে (সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই), এবং পাল্টা হিসেবে একটি বিকল্প প্রশাসনিকতা ও কুশলতার মডেলকে সামনে আনবে। অর্থাৎ, শুধু "ভরতুকি দিন" এই স্লোগান নয়, "প্রতিটি স্তরে কুশলতার মাপকাঠি তৈরি করে দেখান, যে, ভরতুকির কত অংশ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে"। শুধু "ক্রোনি ক্যাপিটালিজম"এর নিন্দা নয়, কুশলতার মাপকাঠি প্রয়োগ করে দেখানো, যে, এর চেয়ে উন্নতর বিকল্প অন্য কিছু হতে পারে। 

    সরকারি ক্ষমতায় থাকাকালীন আআপ বা বামরা এটা করে দেখাতে পারলে ভালো হত, কিন্তু এখনো খুব দেরি হয়নি। অ্যাজেন্ডা এবং দেশব্যাপী একটা বিকল্পের চিত্র তৈরি করলে মোদীনমিক্সকে এবং তৎসহ সাম্প্রদায়িকতাকে রোখা এখনও সম্ভব। এবং এটা যতটা সম্ভব ঐক্যবদ্ধভাবে করতে পারলেই ভালো হয়।

    আমি নির্দিষ্ট করে বাম ও আআপের ভূমিকাই এখানে বলব। বামদের এই মূহুর্তে দেশকে দেবার মতো নতুন কোনো অ্যাজেন্ডা নেই, যা নতুন করে মানুষকে টানতে পারে। দুর্নীতিহীনতা, স্বচ্ছতা, সার্বিক ও ইনক্লুসিভ উন্নয়ন, এগুলোরই এই মূহুর্তে নতুন করে অ্যাজেন্ডা হয়ে ওঠার প্রভূত সম্ভাবনা। যার কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকতে পারে প্রশাসনিকতা, কুশলতা ও অধিকার। বামরা এই অ্যাজেন্ডাগুলি আআপ এর থেকে গ্রহণ করতে পারেন। সেটি বামেদের পক্ষে ধরাবাঁধা ছকের বাইরে পা ফেলে বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা এনে দেবে। 

    অন্যদিকে আপ এই মূহুর্তে যথেষ্ট সংগঠিত নয়। এবং, তাদের দুর্নীতিবিরুদ্ধতা ও "জনতার শাসন" এর দাবীর সঙ্গে মেথডিকাল কুশলতা বৃদ্ধির পদ্ধতিকে তাত্ত্বিকভাবে বৃহত্তর রাজনীতির সঙ্গে যোগ করা প্রয়োজন। এবং এই প্রাথমিক দাবীগুলিকে নিয়ে একটি জাতীয় বিকল্প তৈরি করা প্রয়োজন। যে কারণে বৃহত্তর রাজনীতি ক্ষেত্রে আপ এর বামেদের সঙ্গে থাকা দরকার।

    মোট কথা হল, ধরাবাঁধা রাজনীতি বদলে এমন একটি অ্যাজেন্ডা তৈরি করা, যাকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতি আবর্তিত হবে, যেমন আজ হয়েছে মোদীকে ঘিরে। "ক্রোনি ক্যাপিটালিজম"এর বিরুদ্ধতা ও "কুশলতা" বা স্বচ্ছতার পক্ষে লড়াইকে সামগ্রিক ভাবে কুশলতা কেন্দ্রিক একটি তাত্ত্বিক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারলে, এমন একটি অ্যাজেন্ডা বা কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম বানানো সম্ভব। আপ ও বামরা (শুধু সিপিএম নয় বৃহদার্থে বাম), রাই এই মূহুর্তে এটা করতে পারে, যাতে আমার মতো লোকেরাও হাত লাগাতে পারে। কাজেই আআপ ও বৃহৎ বামেদের কাছে, আমার ও আমার মতো সমচিন্তাশীল অনেক মানুষের একটাই দাবী, এই যুগসন্ধিক্ষণে গোয়াঁর্তুমি ছেড়ে কাছাকাছি আসুন। পাশাপাশি আসুন। এখানে আআপ ও বামদের কথা বলা হল, কারণ, তাঁরা আকারে বড়ো। বাকিদের প্রতিও ওই একই দাবী। সঙ্গে আসুন, ছোটোবড়ো সব বামগোষ্ঠী।

    অবশ্যপাঠ্য পুনশ্চ

    এই লেখাটি অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করে লেখা। কিছু কথা হয়তো বাড়িয়ে লেখা, কিছু জানা জিনিসে এমফ্যাসিস কম পড়েছে বা পড়েনি, তাও হতে পারে। অনেকগুলো তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ এখানে নেই, যাদের থাকা উচিত ছিল (যেমন কুশলতা বা প্রশাসনিকতা কেন ভারতের ক্ষেত্রে একটি অ্যাজেন্ডা, অধিকারের অন্দোলনের সঙ্গে এর যোগই বা কী)। এইসব খামতির জন্য এতদিনএটি একটি লেখা হিসেবে প্রকাশ করিনি। কিন্তু খসড়া হিসেবেই পরিচিত সবার কাছেই সার্কুলেট করছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে নানা ফিডব্যাক পেয়েছি। তাদের মধ্য়্হে দুটি মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সে জন্য এখানে, লেখার মধ্যেই উল্লেখ করা প্রয়োজন। 

    ১। লেখাটিতে কোনো পরিপূর্ণ তাত্ত্বিক কাঠামো নেই। কুশলতা বা প্রশাসনিকতা কেন প্রয়োজন, অধিকার রক্ষার সঙ্গে তার কীইবা সম্পর্ক, ভারতের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ কেন, সেসব প্রশ্ন একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

     ২। লেখাটি মূলতঃ কৌশল ও উপরিকাঠামো নিয়েই মন্তব্য করে গেছে। কাঠামোর গভীরে ঢোকেনি। এমনকি কাঠামো-পরিকাঠামোর চালু ধারণাকে নিয়ে প্রশ্নও তোলেনি। বিষয়টা স্রেফ এড়িয়ে গেছে।

     দুটি সমালোচনাই, এই লেখকের মতে যথাযথ। এটি কোনোভাবেই "পূর্ণাঙ্গ" নয়। এবং শুধু পরিকাঠামো বা কৌশলের বাইরে কোথাও যায়ও নি। তবুও এটা শেষ পর্যন্ত প্রকাশ করা হল। কারণ মূল দাবীটা এখানে পরিষ্কার। একটা বৃহত্তর বিকল্প তৈরি হোক। বিভিন্ন দলের কর্মীদের ও বাকি মানুষদের কাছে দাবী, এই যে, পছন্দ হলে, তাঁরাও সার্কুলেট করুন। কথাবার্তা হোক। বিভিন্ন গোষ্ঠী ও দলগুলির কাছে বার্তা যাক। একটা বৃহত্তর বিকল্প তৈরি হোক। সত্যি সত্যিই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৭ জুন ২০১৪ | ৩১৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • obak | 52.104.0.151 (*) | ১৫ জুন ২০১৪ ০৫:২৯88158
  • আচ্ছা <সিআইএ bhumikar কাঠ শোনা যাচ্ছে না তো, উহা কি মৃত, লাস্ট বিধান সভার ইলেকশন দিদিকে জিতিয়ে উনি কি ভারত বর্ষ ত্যাগ korche
  • T | 24.139.128.15 (*) | ১৫ জুন ২০১৪ ০৮:৫৯88159
  • কিছু জিনিস লিখে যাই। যেমন, 'কুশলতা'র পরিমাপ ভিত্তিক কোন ফিডব্যাক মেকানিজম সিস্টেমকে স্টেবল করে অবশ্যই কিন্তু একই সাথে সিস্টেমে কোন স্ট্রাকচারাল গলদ থাকলে তাকে নির্মূল করে না। 'কুশলতা'র পরিমাপ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন খুব ভালো ব্যাপার নিঃসন্দেহে কিন্তু একই সাথে মনে হয় কিছু এমন এলিমেন্টও রাখা দরকার যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করবে।

    আরেকটা ব্যাপার যেটা মনে হয় সেটা হ'ল, আরো গভীরে একটা ডিসিশন নেওয়া দরকার। এই ডিসিশনটা হচ্ছে এই অল্টারনেটিভ প্রশাসনিকতার বেসিক ইউনিটগুলোকে এক একটি 'আইডিয়াল মেকানিজম' নাকি 'ছ্যাঁচড়া' ধরা হবে। প্রশ্নটা হু উইল গার্ড দ্য গার্ডস প্রবলেম এর মতো। যদি ধরা যায় বিভিন্ন লেয়ারে দূর্নীতি বা ম্যালফাংশন ঘটবেই, এবং সেই হিসেবে এই দূর্নীতিগুলোকে সুনির্দিষ্ট চেন ফর্মেশনের তৈরী করার বদলে যদি পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায় ? অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক একটি স্তরের দূর্নীতির বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাৎক্ষণিক আরেকটি স্তরের দূর্নীতি। অবশ্যই এই স্তর গুলোর মধ্যে হায়ারার্কি সেই মতো স্থির করতে হবে।

    কেমন করে? আমি জানি না।
  • কেউ নই | 47.228.105.189 (*) | ১৫ জুন ২০১৪ ০৯:৫৬88160
  • আচ্চা গোটা লেকাটায় একবারো কপ্পোরেটের উল্লেক নেই কেন? আর জনতা কবে মোদিকে ভোট দিল? এদ্দিন তো জানতুম মোদিকে জিত্তেচে কপ্পোরেট!
  • কমা | 125.187.37.85 (*) | ১৫ জুন ২০১৪ ১০:১১88161
  • একটা খামতি হলো কঙ্গুদের নিয়ে কোন অলোচনা নেই। দিল্লীতে সরকার বানানোর লড়াইতে আছে দুটো দল, বিজেপি আর কঙ্গু। আপ টাপ মনে হয়্না ঐ লেভেলে পৌছাবে আর বামেদের কথা তো ছেড়েই দিলাম পন্চাশ বছরেই কিছু করতে পারলো না তো এখন কি করবে। বিজেপির লড়াই কঙ্গুদের সাথে আর কঙ্গুদের লড়াই বিজেপির সাথে এটা রিএলিটি এটা স্বীকার না করতে পারলে কোন এনালিসিসই কাজে দেবে না।
  • dd | 132.172.138.68 (*) | ১৫ জুন ২০১৪ ১২:১০88162
  • মূলেই ভুল। বাম আর আআপ দিয়ে দিয়ে কি আর মোদীকে রোখা যায়? দুটওই তো বিলীয়মান শক্তি।

    বিজেপির গেরুয়াসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের মধ্যে তিনোমুলের নাম নেই ক্যানো? বিজেপি প্রতিরোধের বর্শাফলক আজ তৃণমুলের হাতেই, আর লড়াইএর অন্য সাথী মোলায়েম সিং। ক্রোনী কেপিটেলিজমের বিরুদ্ধে, লাগামহীন সম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ,আম্রিকান সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে,মেডিয়া রাক্ষোসদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আজ এদেরকেই দরকার সচেতন মানুষের।
  • bip | 78.33.140.55 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ০১:৩৪88163
  • মোদী যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন তাতে বিরোধী বলতে একমাত্র আপ ছাড়া আর কেই টিকবে না । তিনু, সিপিএম মুলায়েম কঙ এরা কেও মোদীর ধরে কাছে আসবে না। একমাত্র ব্যতিক্রম কেজরীয়য়াল। ভুল উনি করেছেন। কিন্ত শিক্ষা ওখান থেকেই নেবেন। আপের উত্থান না হলে বিজেপির ১০ বছর এখন ব^আধা ।
  • sm | 122.79.37.27 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ০৩:৪৮88164
  • মোদী রাজ্য চালাবে কেন, পুরো দেশ চালাচ্ছে।আপ একটা রাজ্য সামলাতে পারেনা, দেশ চালাবে?পুরো উচ্চ মধ্যবিত্ত দের একটা দল। মূলত উত্তর ভারতীয়।এদের না আছে দেশজুড়ে সংগঠন না আছে নিজেদের মধ্যে ঐক্যমত।রাজনীতি হলো বাঘবন্দী খেলা,এখানে লড়তে গেলে শত্রু, মিত্র অনেক দল সঙ্গে নিয়ে লড়তে হবে।দরকার পড়লে জাতীয় কংগ্রেস এর হাত ধরতে হবে।বিভিন্ন আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে গাঠ বন্ধনে যেতে হবে। এত ওয়ার্ক লোড কি কেজ্রিবাল নিতে পারবে ?
    বিজেপি কে ঠেকাতে পারে, একমাত্র বি জে পি কৃত বড় ভুল পদক্ষেপ। যার ফায়দা নিতে জাতীয় কংগ্রেস, মমতা, মুলায়েম , জয়ললিতা এদের পাক নির্বাচন জোট বাধতে হবে। যেখানে কংগ্রেস কে, আঞ্চলিক দল গুলো কে নিশর্তে সমর্থন করতে হবে। কারণ কংগ্রেস একটি আদ্যপান্ত ক্ষমতালোভী দল। বেশিদিন ক্ষমতায় না (পড়ুন মন্ত্রিত্ব) থাকলে গায়ে চুলকুনি ধরে যায়। এই লোভ থেকে বিরত থাকা খুব কঠিন কাজ। তাই মদির কাজটা সহজ। এখন চুপ চাপ দক্ষ প্রশাসক হিসেবে কাজ করলেই কেল্লা ফতে।
  • pi | 174.100.105.213 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ০৪:১৯88169
  • 'যদি ধরা যায় বিভিন্ন লেয়ারে দূর্নীতি বা ম্যালফাংশন ঘটবেই, এবং সেই হিসেবে এই দূর্নীতিগুলোকে সুনির্দিষ্ট চেন ফর্মেশনের তৈরী করার বদলে যদি পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায় ? অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক একটি স্তরের দূর্নীতির বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাৎক্ষণিক আরেকটি স্তরের দূর্নীতি। '

    এটার কোন উদাঃ দেওয়া যাবে, T ?
  • Charvak | 233.176.39.196 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ০৫:৩৬88165
  • - "কুশলতা, একদিকে প্রশাসনিকতার মাপকাঠি। অন্যদিকে পরিষেবার মান নির্ণয়ের যন্ত্র।" - এই ধারণার আরো স্পষ্টীকরণ ও বিস্তৃত ব্যাখ্যা প্রয়োজন। রাজনীতি হলো জনসাধারণ ও বিভিন্নমাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলির রাষ্ট্র-ক্ষমতা ও পরিচালনা সন্ক্রান্ত বিষয় সমুহের সমাহার। কুশলতার প্রাথমিক মাপকাঠি কি ঘোষিত লক্ষ্য সাধন করার মাপকাঠি ? য্থা ইন্দিরা গান্ধীর কুশলতা ব্যান্ক জাতীয়্করণে, কমিউনিস্টদের ভূমি-সন্স্কারে, ইত্যাদি ? কুশলতা কি তাহলে শেষ পর্য্ন্ত কারো / কোনো রাজনৈতিক দলের শ্রেণী সদি্চ্ছা সম্পর্কে জনসাধারণের কি ধারণা তার মাপকাঠি ?
  • h | 213.99.211.133 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ০৮:১৫88166
  • দক্ষ প্রশাসক হলে দাংগা করলে অসুবিধে নেই এটা মানুষ চেয়েছেন, দক্ষ প্রশাসক হলে, এনকউন্টার চলতে পারে এটায় মানুষ আপত্তি করেন নি, দক্ষ প্রশাসক হলে যে কোনো মূল্যের যে কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানা শুধু না পছন্দের ব্যক্তি মালিকানার হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যেতে পারে, দক্ষ প্রশাসক হলে, এক রাজ্যের চওড়া রাস্তা দিয়ে অনতিদূরের রাজ্যের খনি কেলেংকারি হলেও মানুষের আপত্তি নেই, দক্ষ প্রশাসক হলে, দক্ষ দাংগা উদ্যোগী দের উত্তর ভারতে নির্বাচন সংগঠন গড়ে তুলতে পারা যেতে পারে, দাংগায় অভিযুক্ত দের পাগড়ি পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া যেতে পারে, এটাও মানুষ মনে করেছেন। এখন এর বিকল্প সেকুলার দক্ষ প্রশাসন গড়ে তোলা এটা রাজনইতিক বিকল্প হিসেবে কতটা সম্পূর্ণ?
  • sm | 122.79.39.115 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:৪৬88167
  • চুপ চাপ দক্ষ প্রশাসক হিসেবে কাজ করলেই কেল্লা ফতে। এটা ছিল বটম লাইন । এটা মোদীর ফেভারে যাবে। মোদী কে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে, জনসমক্ষে এমন ইমেজ টা রাখতেই হবে। এটা সম্পূর্ণ টিকে থাকার স্ট্রাটেজি।
    এবার ব্যক্তি মোদী কি কি করেছেন, সেটা তো জনগণ বিচার করে দেখবে, পাঁচ বছর পর। উনি রাজনীতি তে নতুন লোক নন। ওনার কার্য্যকলাপ সম্মন্ধেও জনগণ অবিহিত ছিল। তাও উনি জিতেছেন ওনার স্ট্রাটেজির জোরে ও কংগ্রেস এর ভ্রান্ত নীতির জন্য। এগুলো আগেও আলোচনা হয়েছে।
    প্রশ্ন হচ্ছে দল বি জ়ে পি ও ব্যক্তি মোদী মোটামুটি পরিচিত।বরঞ্চ বিকল্প শক্তি কে হবে বা কি করে উঠে আসবে সেই সব নিয়ে আপনার ধারণা বলুন।
  • kintu | 131.241.218.132 (*) | ১৬ জুন ২০১৪ ১০:৪২88168
  • বিকল্প শক্তি কে বা কারা ?তাদের ঐক্য কতটা ? কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম এর সাথে তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডার কোথায় মিল কোথায় অমিল ? বৃহত প্রেক্ষাপটে (অন্তত রাজ্যস্তরে ) সেই CMP ইমপ্লিমেন্টেশন প্রশাসনিক দক্ষতা ও কুশলতার প্রমান কোথায় ও কতটা দৃশ্যমান ?
  • h | 213.99.211.19 (*) | ১৭ জুন ২০১৪ ০৬:২২88170
  • বাই দ্য ওয়ে আমি ক্লিয়ারলি বলে যাই, এই লেখাটা আমার খুব ই ভালো লেগেছে। তর্ক বিতর্ক আলাদা জিনিশ, কেউ এটাকে ভিত্তি করে আলোচনা আদৌ চালাবে কিনা সেটাও আলাদা ব্যাপার। কিন্তু লেখাটা যুক্তিসংগত এবং বাংলা ভালো লেখা। এইবার পদে পদে ঝগড়া করব, সেটা তো ঐতিহ্য ;-)
  • haripada | 122.79.36.178 (*) | ১৭ জুন ২০১৪ ০৬:৩৭88171
  • যুক্তিসঙ্গত লেখা হলেও ঝগড়া করবে? কী মারাত্মক ঝগড়ুটে!
  • AM | 113.21.126.60 (*) | ১৮ জুন ২০১৪ ০৫:০৯88172
  • মোদীর জয়জয়কার কেন তার কিছু উত্তর এখানে aache।
    http://scroll.in/article?id=667401
  • d | 208.7.62.204 (*) | ১৮ জুন ২০১৪ ০৫:৩১88173
  • এসব ক্যাগ ট্যাগ বেশীদিন করে খেতে পারবেনা। সাধারন মানুষ যেদিন রুখে দাঁড়াবে সেদিন এরা খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।
  • Abhijit | 113.21.126.60 (*) | ১৯ জুন ২০১৪ ০৬:০৬88174
  • "এখানে লক্ষ্যণীয় এটা, যে, গুজরাটের উন্নয়নের যে স্বর্গীয় চিত্র মুখে-মুখে ছড়িয়েছে, সেটা বিদ্যুৎ-রাস্তা-পরিকাঠামোর উন্নয়নের গল্প। সেটা ভিত্তিহীন না।"
    খুব সত্যি কথা, কিন্তু প্রচারের আড়ালে সুকৌশলে যেটা চাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা হলো, গুজরাট মোদীর আগেও অন্য রাজ্যের তুলনায় এই parameter গুলোতে এগিয়ে ছিল, এখনো এগিয়ে আছে। এমনকি এইসব parameter দিয়ে বিচার করলেও মোদীর আমলে বিশাল কোনো প্যারাডাইম শিফট হয় নি।
    অন্যদিকে, UPA সরকার-কে অকর্মন্য বলে দাগিয়ে দেওয়া হলো। সেই কাজে বাম, আপ এবং অন্যান্য সমস্ত দল যোগ দিল। অদ্ভূতভাবে এই সরকারের করা ভালো কাজগুলো চাপা পরে গেল। ইন ফ্যাক্ট, এই সরকার বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল যেগুলো বামপন্থীদের সমর্থন এবং প্রচার করা উচিত ছিল। সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির স্বার্থে তারা তা করলেন না। উপরন্তু, ক্রমাগত দক্ষিনপন্থী প্রচারে, সেই ধরনের পদক্ষেপ গুলি বুমেরাং হয়ে দাড়ালো। শহুরে উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত সরকার থেকে মুখ ঘুরিয়ে ভাজপার দিকে চলে গেল। সরকারের পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে ধীরে চল নীতি প্রচারের খেলায় নাম পেয়ে গেল নীতি পঙ্গুত্ব।
    এর বাইরে যদি আমরা শুধুমাত্র কেতাবি অর্থনীতির পরিসংখ্যান দেখি, তাহেল দেখব ভারত এই সময়ে দশ নম্বর থেকে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে তিন নম্বরে উঠে এসেছে, বিভিন্ন রফতানিতে উন্নতি করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মন্দার মধ্যেও নিজের অর্থনৈতিক স্থিতি ধরে রেখেছে। আশ্চর্য ভাবে এমনকি কংগ্রেসও এই সাফল্য নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্চ্য করলো না। তাতে করে মনমোহন-প্রণব-চিদাম্বরম কে গুরুত্ব দেওব হয়ে যাবে, সেই ভয়ে?
    এত কিছুর পরেও কংগ্রেস আর ভাজপার মধ্যে ভোটের পার্থক্য মাত্র ৬ কোটি। অথচ আসনের পার্থক্য আকাশ পাতাল। এইখানে খেলা খেললো ভাজপার সুনিপুন হিসাব-নিকাশ। ভোটের বিচারে মায়াবতী ৩ নম্বর, আসন শুন্য। একই অবস্থা দেশের সর্বত্র। বহু জায়গায় শুধুমাত্র বিরোধী ভোট ভাগ করে বেরিয়ে গেল ভাজপা।
    তাই ভাজপার রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ কে গুরুত্ব না দিলে সাংঘাতিক ভুল করা হবে। এইবারের ভোট যত না রাজনৈতিক তার থেকে অনেক বেশি গাণিতিক ও বানিজ্যিক। এই দুই শক্তির যোগফলকে অস্বীকার করলে ভুল করা হবে বলেই আমার মনে হয়।
  • Vivek Dey | 233.176.2.188 (*) | ২৪ জুন ২০১৪ ০৩:২৯88177
  • BAD WRITTING
  • কল্লোল | 125.241.30.14 (*) | ২৪ জুন ২০১৪ ০৭:৪৭88175
  • আজকের আবাপে উঃসঃতে পার্থ চট্টোর সাক্ষাতকারটি অসাধারণ।
    http://www.anandabazar.com/editorial/%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%B8-%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%AF-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%8F-%E0%A6%AC-%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%95-%E0%A6%B7-1.43754
    অংশ বিশেষঃ
    "এই নির্বাচনে একটা জিনিস আমার সবচেয়ে অভিনব বলে মনে হয়েছে। ভারতের নির্বাচনে বড় ব্যবসায়ীরা একটা দলকে একেবারে ফেলে দিয়ে আর একটা দলের দিকে পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়ল, এটা অন্তত আমার স্মরণে আগে কখনও হয়নি। তারা সব সময়েই একটা ভারসাম্য রেখে চলে। যখন কোনও একটা পক্ষের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন থেকেছে, তখনও সবাই একবাক্যে এক দিকে ঝুঁকে পড়েনি। এ বার দেখলাম, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো থেকে শুরু করে নামজাদা বড় ব্যবসায়ীরা সবাই অকপট ভাবে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে দাঁড়িয়ে গেলেন। বিজেপি নয়, তাঁরা পরিষ্কার বলেছেন তাঁরা মোদীর পক্ষে। মানে, হিন্দুত্ব ইত্যাদি যে তাঁরা বিরাট ভাবে সমর্থন করেন তা নয়, কিন্তু মোদীর যে ডেভেলপমেন্ট মডেল, গুজরাতে তিনি যা করেছেন, তাঁরা সেটার জন্যে তাঁকে চাইছেন।"

    "এ বারে ভারতে, বিশেষ করে লিবারালাইজেশনের পরে পুঁজিবাদের যে চেহারা, সেটা কিন্তু একেবারে অন্য রকম। ইউরোপে যে ভাবে ক্যাপিটালিজম এসেছিল তার সঙ্গে এটা মিলবে না। ধরো গত শতাব্দীর শেষ থেকে টানা অনেক দিন ধরে প্রতি বছর সাত, আট, নয় পারসেন্ট গ্রোথ হয়েছে আমাদের দেশে, তার ফলে অনেকেরই আয় বেড়েছে। এমনকী এটাও মেনে নেওয়া যায় যে, আগের থেকে দারিদ্রের মাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু এই সময়ে সংগঠিত শিল্পে কর্মসংস্থান একেবারেই বাড়েনি। লক্ষ করলে দেখবে, পুঁজিবাদ এখানে যে ভাবে কাজ করছে, তাতে এক দিকে গ্রোথ হচ্ছে, অন্য দিকে পুরনো শিল্পের যে কাঠামো, সেটা ভেঙে যাচ্ছে। কৃষি বলো, কারিগরি শিল্প বলো, সেগুলো থেকে মানুষের জীবনধারণ করা আর সম্ভব হচ্ছে না। এবং আগে আমরা যেটা জানতাম যে, কৃষি থেকে উদ্বৃত্ত শ্রমিক এসে শিল্পশ্রমিক হয়, কারণ শিল্প বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের চাহিদা বাড়ে, এখন আর সেটা হচ্ছে না। এখন নতুন ক্যাপিটাল অন্য জিনিস চাইছে। এই যে, অনেকেই বলছে, চটকলে আধুনিক প্রযুক্তি আনা হচ্ছে না বলে এ-রকম হচ্ছে। এখন, চটকল যদি আধুনিক হয়, তা হলে তো আর হাজার হাজার শ্রমিক লাগবে না। মানে শিল্পের গ্রোথ হয়তো হবে, কিন্তু তাতে কর্মসংস্থান তো বাড়বে না। এই অবস্থায় বহু মানুষ, আগে যারা শিল্পশ্রমিক হত, এখন তারা কোনও রকমে এটা ওটা জোগাড় করে জীবনধারণ করছে। অর্জুন সেনগুপ্ত কমিশনের রিপোর্ট দেখলাম, সেখানেও এটা পরিষ্কার। এবং এগুলোর কোনওটাই কিন্তু পুরনো ধরনের কাজ নয়, এ সবই পুঁজিবাদের প্রসারের একটা নতুন চেহারা।"

    "বামপন্থীদের যে ঝোঁকটা ছিল, নির্বাচনী রাজনীতিতে থেকেও।।। একটা সময় বামপন্থীরা বলতে পারত, পুলিশের হাতে মার খেলেও আমাদের দলের লোকেরা পালায় না। যার পিছনে আইডিয়োলজির একটা ভূমিকা ছিল। একটা বিশ্বাস ছিল যে, আমরা একটা বড় কিছুর জন্যে লড়ছি। আজকে আমরা হেরে গিয়ে থাকতে পারি, আমাদের কষ্ট করতে হবে, কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা কোথাও একটা যাব। কিন্তু এইটাই তো নষ্ট হয়ে গেল। একটা বামপন্থী দলকে ধরে রাখার জন্যে আইডিয়োলজির যে ভূমিকাটা ছিল, সেটাই তো ছেড়ে দেওয়া হল। ধরেই নেওয়া হল যে, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা সরকারি দল, লোকে আমাদের কাছে আসবে, ব্যস। সেই ভাবেই পার্টিতে লোক নেওয়া শুরু হল। এ বার পার্টি যখন ক্ষমতায় নেই তখন তারা চলে যাবে, তাতে তো অবাক হওয়ার কিছু নেই।"
  • modda | 24.99.105.183 (*) | ২৪ জুন ২০১৪ ১০:৫৯88176
  • "মানুষ তো ধরেই নিয়েছে, কে আমাকে কী দিতে পারবে, সেই অনুসারে ভোট দেব। এই যে দলে দলে লোকে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যাচ্ছিল, এখন বিজেপিতে যাচ্ছে, তারা তো পরিষ্কার বলছে, সিপিএম আমাদের কিছু দিতে পারবে না, তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচাতেও পারছে না, তা হলে যার ক্ষমতা নেই, তার কাছে থেকে লাভ কী? যার ক্ষমতা আছে তার কাছেই যাই। এ তো একেবারে সাফ সাফ বলছে, কোনও রাখঢাক না করে। এর মানে এটাও নয় যে, সবাই হঠাত দলে দলে খুব হিন্দু হয়ে যাচ্ছে। এটা একেবারেই পাওয়া না পাওয়ার হিসেব।"
    অতএব খসড়া লিখে লাভ নেই , আবার পরিবর্তন হলে এমনি ই হবে, কালের নিয়মে হবে ।
  • কমা | 213.171.245.16 (*) | ২৬ জুন ২০১৪ ০১:৪০88179
  • দুনিয়ার খোরাক এক হও?
  • T | 24.139.128.15 (*) | ২৬ জুন ২০১৪ ০২:৩৬88180
  • না না, কোথায় আর এক হ'ল, কিছু অবশ্যই বাকি আছে।
  • pi | 132.163.16.66 (*) | ২৬ জুন ২০১৪ ১২:৪১88178
  • বাম-আপ এক প্ল্যাটফর্মে। সর্দার সরোবর ইস্যুতে। তবে পিটিদা ও আরো অনেকে দেখলে খুব দুঃখ পাবেন।



  • Rajesh Chatterjee | 128.93.168.86 (*) | ২৮ জুন ২০১৪ ০৬:০৬88181
  • This is the most important element that no one is talking about, this articles is music to my ears
    I did suggest this in AAP forum a while back

    I live in New Zealand - and this Social Metrics is in the center of all governance/political discussion

    Below data is from New Zealand:

    http://prntscr.com/2rr6bq

    http://prntscr.com/2rr6n2

    http://prntscr.com/2rr6qe

    http://prntscr.com/2rr6sx

    ===============
    Go to:
    http://discuss.aamaadmiparty.org/708/powerful-metrics-measure-growth-highlight-burning-issues#sthash.Dn70W7Tw.dpuf

    ----------------------
    Powerful Social Metrics to Measure Growth & Highlight Burning Issues

    We have lot of noise in our country with so much happening around them and people have got accustomed with detoriating social performance; accepting as new-normal (sab-kuch "chalta hai")

    AAP is doing great job challenging the status-quo, crushing the "chalta-hai" mentality and trying to push the base line to where it should be.

    Problem is so big that everyone surrenders even before starting the fight and not sure where to start their fight from. And all stakeholders put their own spin on data as it suits their vested interest - so it's a chaos

    My suggestion - is to collate some selected social performance metrics of social development indicators and report on them quarterly. These data are available in public domain and statistical institute or can be obtained via RTI and should be refernced.

    This will help AAP immensely to have meaningful conversation and to have intellectal engagement based on accepted & reported facts as reference indicators on how bad things are, compared to X & Y countries. Can be drilled into States level as well.

    Many developed countries have clean social metrics to see the direction of development and compare with peer countries. It helps to hold public offices & their policies accountable for the development direction.

    Below data is from New Zealand:

    http://prntscr.com/2rr6bq

    http://prntscr.com/2rr6n2

    http://prntscr.com/2rr6qe

    http://prntscr.com/2rr6sx

    - See more at:
    http://discuss.aamaadmiparty.org/708/powerful-metrics-measure-growth-highlight-burning-issues#sthash.Dn70W7Tw.dpuf
  • Arpan | 24.195.233.27 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:২৯88186
  • আরে ঐ ছবিটা তো দু বছর আগের। ঃ)

    (পিটিদার হলটা কী?)
  • ranjan roy | 192.69.124.80 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৫88187
  • বাম আপ ঐক্য হচ্ছে না। তৃতীয় ফ্রন্ট এর ঐক্য -বাক্য-মাণিক্য যাই হবে তাতে দিদি থাকবে , দাদা নয়।
    তিনোরা এখন বামেদের স্লোগান হাতিয়ে মোদীর বিরোধিতা করছে।
    হাতে রইল বঙ্গ কং; অখিল ভারতীয় নয়। শেষে পিএসির চেয়ারম্যানের পদ কমঃ সুজন না পেয়ে কং মানস পাবেন এ নিয়েও ইস্যু হচ্ছে?
    এখন সংসদে বাম-কং-তিনো একসাথে বয়কট করছে!!!

    হরি হে তুমিই সত্য!!
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৩:২৯88188
  • দিদি কে কার্যালয় করার জমি দেবে দিল্লি তে মোদী সরকার।
  • π | 24.139.209.3 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৪:২৩88189
  • ঘাবড়ে গেছিলাম। গত এক দুমাসে মাসে পিটি বাবুর সাথে ইন্ট্যার‌্যাকশনে ই গেছিলাম বলে তো মনে পড়ছিলনা !
    অবশ্য গাল দিতেনই , সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন ঃ)

    তবে যখন যেমন হচ্ছে, তাই তো বলব। সে যদি রাজনৈতিক দল 'বালখিল্যতা' করে তো কী আর করা ঃ)
  • | 116.221.134.184 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৬ ০৪:২৯88190
  • আহা তোমরা কেউ আর হীরাভতে পা দাও না, তো গালিগালাজ জমে জমে তো ----- অগত্যা ...............
    :-)))
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন