এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বর্ণবৈষম্য এবং আমেরিকার পলিটিক্স

    S
    অন্যান্য | ০৭ জুন ২০২০ | ১৭৯২৬ বার পঠিত
  • পিনাকিদার নির্দেশে এই লেখা লিখছি। ইতিমধ্যেই মামুর পোস্ট পড়ে গেছে। আমিও সেই পোস্টে দুয়েকটা কথা লিখেছি। তাই ভেবে দেখলাম যে একটু অন্যরকম লেখা প্রয়োজন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::713:175d | ১৭ জুন ২০২০ ০৭:২২732229
  • অমিত এখানে ঠিক ইলেকটোরাল পলিটিক্স নিয়ে আলোচনা করতে চাইছিনা। রেসিয়াল পলিটিক্স হলে অবশ্যই উত্তর দিতাম। তাই অন্য টইতে উত্তর দিলাম।
  • ব্রজেন সেন | 80.211.249.57 | ১৮ জুন ২০২০ ০০:০০732237
  • বেজে গ্যালো ট্রাম্প আর রিপাবলিকান দের মৃত্যুঘন্টা 

     আমাদের দেশের কেন্দ্রে ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দুই দলের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক দিক দিয়ে ট্রাম্পের মতো একই রাজনৈতিক মতে পরিচালিত। আমেরিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে পথে নেমে এমনই দাবি করল বামেরা।
    আমেরিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতেও বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। এবার কলকাতায় পথে নামল ১৭টি বাম ও সহযোগী দল।
    আমেরিকা সরকারের বর্ণবৈষম্যমবাদী নীতি, মার্কিন রাষ্ট্রপতির আক্রমণের হুমকি, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা্র প্রতিবাদে ও মার্কিন জনগণের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের সংহতিতে শুক্রবার কলকাতায় অবস্থিত মার্কিন প্রচার দফতরের সামনে ধিক্কার ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে তারা।
    শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যি বিধি বজায় রেখে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, আরএসপি সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও শতাধিক কর্মী সমর্থক।

  • sm | 2402:3a80:a5e:e934:0:4c:c9b8:e601 | ১৮ জুন ২০২০ ০১:০৩732238
  • তবে!বারে বারে ঘুঘু তুমি ধান খেয়ে যাও!আর সেটি হচ্ছে না।এবার কঠিন ফাঁদে পড়েছো।সূর্য্য,বিমান একসঙ্গে রাস্তায় নেমেছে।আমি আছি, গিন্নী আছেন ,আছেন আমার সতেরো ছেলে।সবাই মিলে কামড়ে দেবো ,মিথ্যুক ট্রাম্প কে জিতিয়ে দিলে।

    কমরেড,ট্রাম্পের ভোটার গণ, ছারপোকার চেয়েও খারাপ।গরীবের রক্ত চোষা ই কাজ!শোষিত কে শোষণ করে। দুনিয়ার আরেক নাম ভিয়েট নাম। জয় কিউবা। নেপালে গণতন্ত্র এসেছে। চীনে বসন্ত এসেছে।বার্লিনের প্রাচীর ভেঙেছে।দিদির গর্ব ভেঙেছে। আমাদের উত্থান,ট্রাম্পের পতন।

  • ব্রজেন সেন | 80.211.249.57 | ১৮ জুন ২০২০ ০১:২৬732239
  • চীন  এ কী হচ্ছে কিছুই খবর পাচ্ছিনা 

    কাল থেকে গণশক্তি পড়তে হবে 

  • S | 2a0b:f4c2::1 | ২৪ জুন ২০২০ ১৭:৪৯732272
  • বর্ণবৈষম্যের ন্যারেটিভে নতুন একটা টার্ম "ক্যারন"। ক্যারণ কিন্তু আসলে কোনও একজন বিশেষ মহিলার নাম নয়, যদিও ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। সেকথায় পরে আসছি।

    বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা ইউটিউব এবং খবরে মাঝে মধ্যেই সদা মহিলাদের দ্বারা একটা বিশেষ রকমের আচরণ দেখতে পারছি। এই আচরণগুলোর টার্গেট হল পারসন(স) অব কালার। কিরকম সে ঘটনা তার কতগুলো উদাহরণ দিচ্ছি।

    একটি খুবই নামকরা কলেজের ডর্মের (ছাত্রাবাস) লবিতে একজন কালো মেয়ে ঘুমাচ্ছিল। মেয়েটি সেই কলেজেরই ছাত্রী এবং সেই ডর্মেই থাকে। তাকে দেখে সেখান থেকে চলে যেতে বলে একজন সদা মেয়ে এবং সেই কালো মেয়েটি না যেতে চাইলে সিকিউরিটি ডেকে আনে। আরেকটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে একজন সাদা মহিলা বিল্ডিংএর দরজায় দাঁড়িয়ে একজন কালো পুরুষকে তার নিজেরই বিল্ডিংএ ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। আরেকটিতে একজন সাদা মহিলা পুলিশ ডাকে কারণ পাবলিক পার্কে একটি কালো পরিবার বারবিকিউ করছিল বলে। এবং পুলিশ এলে সেই মহিলা যে ধরনের আচরণ করে, হাউ হাউ করে কেঁদে কেটে, সেটা দেখে বিগলিত প্রাণ বহু পুলিশেরই মনে হতেই পারে যে কালো পরিবারটি তার সঙ্গে নিশ্চই কোনও খারাপ আচরণ করেছে।

    সাম্প্রতিক কালে এই ঘটনা খুবই বেড়ে গেছে। বা বলা ভালো ফোনে ফোনে ক্যামেরা আসার ফলে ধরা পড়ছে। যেমন একটি নবছরের কালো ছেলের বিরুদ্ধে সেকসুয়াল অ্যাসল্টের অভিযোগ আনে এবং পুলিশ ডাকে একজন সাদা বয়স্কা মহিলা। পরে দেখা যায় যে ছেলেটির স্কুলব্যাগ মহিলার গায়ে লেগেছিল। আরেকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে একজন মহিলা একজন ভদ্রলোককে নিজের বাড়ির দেওয়ালে বিএলেম লিখতে বারণ করছেন এবং বলছেন যে তিনি নাকি জানেন যে এই বাড়িতে কে থাকে যেটা সম্পূর্ন মিথ্যা কথা।

    সেন্ট্রাল পার্কের ঘটনা তো আমরা সবাইই দেখেছি। সেই ভিডিও সামনে আসার পর প্রচুর প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হয় মহিলাটিকে। সমস্যা হল মহিলাটি যে তার কৃতকর্মের জন্য খুবেকটা অনুতপ্ত তা নয়, কিন্তু এই প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে নিজেকেই ভিক্টিম বানানোর চেস্টা করতে ভোলেনি সে।

    এরকম আচরণ বিগত কয়েক বছরে ধরা পড়েছে ভুড়ি ভুড়ি। ইউটিউব খুলে সার্চ করে দেখতে পারেন। সম্প্রতি একজন বয়স্কা সাদা মহিলা ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন জায়্গায় গিয়ে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেদের কোনও কারণ ছাড়াই আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছেন।

    এই মহিলাদের আচরণ আপাত দৃষ্টিতে মজার বা ডিরেন্জড মনে হলেও ব্যাপারটা প্রচন্ড চিন্তার এবং বিপজ্জনক। এই মহিলাদের আচরণ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তারা নিজেদের হোয়াইট প্রিভিলেজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত। তারা জানে যে এই আচরণের কি ফল হতে পারে এবং কি করে নিজেদের প্রিভিলেজ ব্যবহার করে অন্যদের চরম ক্ষতি করা যায়। তাদের আর্তনাদ্সম ডাক এবং কান্নাকাটি শুনে পুলিশ এসে যে কোনও কারণ ছাড়াই বা পরিস্থিতির বিচার না করে বা দুপক্ষের কথা না শুনেই কালো লোকটিকে কমপক্ষে অ্যারেস্ট করবে বা প্রয়োজন পরলে গলায় পা দিয়ে বা গুলি করে মারবে, সেটা তারা জানে। এবং সেই ঘটনার উদ্দেশ্যেই তারা এইসব কাজ করছে।
  • S | 179.43.167.228 | ২৪ জুন ২০২০ ১৮:১৯732275
  • এবারে আসা যাক ঐতিহাসিক ঘটনাটিতে। ১৯৫৫র ঘ্টনা। খুব প্রাগৈতিহাসিক সময় নয়। খুবই জঘণ্য ঘটনা। তাই সং্ক্ষিপ্ত করেই লিখছি। পারলে ইউকি থেকে পুরো ঘটনাটা পড়ে নিতে পারেন।

    মিসিসিপি রাজ্যে এমেল্ট টিল নামের একটি ১৪ বছরের কালো ছেলেকে গুলি করে মেরে ফ্যানে ঝুলিয়ে দিয়েছিল দুইজন সাদা পুরুষ। ছেলেটির দোষ ছিল যে এই দুইজন ক্রিমিনালের একজনের স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল ছেলেটি। মহিলার নাম ক্যারোলাইন বাইরান্ট। বাকীটা পড়বেন দয়া করে।

    এই ঘটনার পর কেস চলে। সেই কেসের জুরি ছিল সব সাদা পুরুষ - মহিলা এবং কালোদের সেখানে জায়্গা দেওয়া হয়নি। ক্যারোলাইন জানায় যে সেই ১৪ বছরের ছেলেটি তার হাত এবং কোমর ধরে এবং কিছু অপমানকর কথা বলেছিল। ক্রিমিনাল দুইজন বলেছিল যে যদিও তারা ছেলেটিকে বাড়ি থেকে তুলেছিল, কিন্তু তারপরে ছেড়ে দিয়েছিল। এমনকি এই যুক্তিও আসে যে বডিটা আদৌ ছেলেটির নয়, এবং ছেলেটি হয়ত বেঁচেই আছে। যে দুজন এই ক্রাইমের সাক্ষী ছিল, শেরিফ তাদের আগেই কুঠুরিতে পুরে দিয়েছিল যাতে তারা আদালতে আসতে না পারে।

    খুব চটজলদি এই কেসের সিদ্ধান্ত হয় এবং দুইজন ক্রিমিনালকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি তাদের স্বীকারক্তি সত্ত্বেও কিডন্যাপের চার্জ থেকেও নির্দোষ ঘোষণা করে দেওয়া হয়।

    বহু পরে এই ক্যারোলইন নামে মহিলা স্বীকার করেন যে তিনি কোর্টে মিথ্যা কথা বলেছিলেন।
  • Du | 47.184.21.53 | ২৪ জুন ২০২০ ২৩:৩১732277
  • পুলিশের শুরুটাই হয়েছিল স্লেভ কন্ট্রোলের উদ্দেশ্যে সেই ইতিহাসও তাদের অ্যাটিচুডকে প্রভাবিত করে।
  • S | 212.47.229.4 | ৩০ জুন ২০২০ ১৯:২৩732314
  • একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ল। তখন পড়শুনা করি। একটা ল্যাবে গিয়েছি কিছু ডেটা ডাউনলোড করতে। সেই ল্যাবে একটু পরে একটা ক্লাস শুরু হলো। ফাইনান্সের ক্লাস। আমি সেই ক্লাসের ছাত্র নই, কিন্তু শেষ হয়নি বলে কাজ করে চলেছি। আমি ছাড়া পুরো ক্লাসে সবাই আমেরিকান। পার্ট টাইম ফ্যাকাল্টি প্রথমেই ইন্ডিয়ার একটা ক্রাউডেড ট্রেনের ছবি স্ক্রীনে ফেললো। এইধরনের ছবি গুগলে সার্চ করলেই পাওয়া যায়। সেলোক বলে চলেছে যে সে কবে ইন্ডিয়া গেছিল, সেখানে ট্রেনে চড়েছিল, খুব ভীড়, তিনি অবশ্যি ফার্স্ট ক্লাসে ছিল এবং সেটা খুব ভালো, সবাই ওয়েল টু ডু লোকজন। আমি তো বুঝেছি যে কি উদ্দেশ্য। তাকাইনি, পুরো ইগনোর করে গেলাম। নিজের কাজকর্ম করে চলে এসেছিলাম। ভাব দেখিয়েছিলাম যে ক্লাসে কি হচ্ছে, সেই নিয়ে আমার কোনও উৎসাহই নেই।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩০ জুন ২০২০ ২১:৪৬732315
  • ভেবে দেখেছিলাম চ্যালেঞ্জ করার দম নেই যখন ইগনোর করাই ভাল।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩০ জুন ২০২০ ২১:৪৬732317
  • ভেবে দেখেছিলাম চ্যালেঞ্জ করার দম নেই যখন ইগনোর করাই ভাল।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩০ জুন ২০২০ ২১:৪৬732316
  • ভেবে দেখেছিলাম চ্যালেঞ্জ করার দম নেই যখন ইগনোর করাই ভাল।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩০ জুন ২০২০ ২১:৪৬732320
  • ভেবে দেখেছিলাম চ্যালেঞ্জ করার দম নেই যখন ইগনোর করাই ভাল।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩০ জুন ২০২০ ২১:৪৬732319
  • ভেবে দেখেছিলাম চ্যালেঞ্জ করার দম নেই যখন ইগনোর করাই ভাল।
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩০ জুন ২০২০ ২১:৪৬732318
  • ভেবে দেখেছিলাম চ্যালেঞ্জ করার দম নেই যখন ইগনোর করাই ভাল।
  • dc | 103.195.203.90 | ৩০ জুন ২০২০ ২২:১০732321
  • তবে এতোবার ইগনোর করা ঠিক না।
  • S | 69.146.151.28 | ৩০ জুন ২০২০ ২২:২২732322
  • এই এতবার পোস্ট আমার নয়। তবে যে আমার নাম নিয়ে পোস্ট করছে, তার তো দেখছি নিজের নামে ট্রোল করারও দম নেই।
  • ar | 96.230.106.154 | ০৩ জুলাই ২০২০ ০৯:০৪732326
  • You Want a Confederate Monument? My Body Is a Confederate Monument.
    The black people I come from were owned and raped by the white people I come from. Who dares to tell me to celebrate them?

    By Caroline Randall Williams

    June 26, 2020

    NASHVILLE — I have rape-colored skin. My light-brown-blackness is a living testament to the rules, the practices, the causes of the Old South......
    "If there are those who want to remember the legacy of the Confederacy, if they want monuments, well, then, my body is a monument. My skin is a monument,"

    https://www.nytimes.com/2020/06/26/opinion/confederate-monuments-racism.html?referringSource=articleShare

    "My great great grandfather, Henry Taylor, was born in Wilmington, North Carolina in 1823. He was owned by his father, Agnus Taylor.
    #IAmProof
    -Valerie Jarrett,
    Senior advisor to @BarackObama
  • Mohua Chatterjee | ০৩ জুলাই ২০২০ ১২:২০732329
  • Amar mote sob sada lok baje ar sob kalo lok bhalo- etota simlplify na korleo chole: I had a similar view before I started digging in. Thomas Sowell is a very good start:

    (An influential African American economist who is known for his controversial views on race, ethnicity, and socioeconomic status, Thomas Sowell was born in Gastonia, North Carolina in 1930. When he was eight, his family moved to Harlem, New York.J)

    Amader o sada lokeder somporke specific dharona chilo- segulo ki sob sotti na generalize kora jay?

    America police problem onektai dhanoboisomyo theke bornoboisomyoy rather than another way around. American police brutality has an ugly root- it was basically a tax-funded enterprise to catch runaway slaves. It's south which is different from the west part or east.

    Black Rednecks and White Liberals ports bes bhalo laglo. Onek  connecting dots pelam--

  • r2h | 49.37.12.111 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১২:৩২732330
  • '...sob sada lok baje ar sob kalo lok bhalo...' এরকম কেউ ভাবছে না তো।

  • dc | 103.195.203.204 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৪:৩০732331
  • টমাস সোয়েলের একটা অসাধারন বই আছে, একেবারে হাল্কা পুল্কা। চট করে পড়ে নিতে পারেনঃ

    Basic Economics: A Citizen's Guide to the Economy

    তবে সাবধান, বইটা কিন্তু আমাদের মতো ক্যাপিটালিস্টদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লেখা!
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::38c:5ebf | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৪:৫৯732332
  • সব সাদা লোক বাজে এরকম কথা এই টইতে কোথাও লেখা হয়নি। এমনকি এবারের আন্দোলনেও সেরকম কথা কোথাও বলা হয়নি। সিস্টেমিক রেসিজমের কথা বলা হচ্ছে। সর্বোপরি এবারের বিএলেম আন্দোলনের একটা বৈষিষ্টই ছিল সবরকম লোকের একসাথে আসা। সেখানে ভারতীয় লোকও বিএলেম প্রোটেস্টারদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে হিরো হয়ে গেছে। সাদারা এই আন্দোলনের একদম সামনে রয়েছে। নইলে শহরে শহরে এতবড় আন্দোলন হতে পারেনা। তাছাড়া প্রথমদিকের কিছু ঘটনা বাদ দিলে আন্দোলন মূলত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। উল্টে পুলিশ অপ্রয়োজনে লোকজন পিটিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকও বাদ যায়নি।

    এবং এই জায়্গাটাতেই রাইট উইঙ্গদের অসুবিধা হয়ে গেছে। এবারে আর কিছুতেই স্পিন করে উঠতে পারছেনা। প্রথমে বলা হল যে জর্জ ফ্লয়েডের র‌্যাপ শীট - সেটা খুবেকটা কাজে দিলনা। তারপর বলা হল যে আন্দোলন মানেই রায়ট। সেটা যে সত্যি নয়, তারও ভুড়ি ভুড়ি প্রমাণ পাওয়া গেল। তারপর এলো অ্যান্টিফার ঢপ - সে শুনে লোকে হেসেই কুটিপাটি। কারণ আন্দোলনের বিশাল বড় অংশের সাদারাও রয়েছে। এখন বলা হবে যে সব সাদারা খারাপ নয়, যেন সেটার সাথে বিএলেমের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে।

    কিন্তু এগুলো সবই ডাইভার্শান ট্যাকটিক্স। জন স্টিউয়ার্ট একটা খুব প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন যে রাইট উইঙ্গ ওভারটাইম কাজ করছে এটা প্রতিষ্ঠিত করতে যে আসলে তারাই (পারপ্রেট্রেটাররা) ভিক্টিম। যেমন বহু রেসিস্ট লোকজন টিভিতে এসে দাবী করে যাচ্ছে যে তারাই আসলে ভিক্টিম, পারসনস অব কালারদের কাজকর্মের জন্যই তারা রেসিস্ট বিহেভ করেছে, আর এখন সবাই তাদের রেসিস্ট বলে গাল দিচ্ছে। সঙ্গে কুমীরাশ্রু রয়েছে।

    আমাদের এইসব দায় নেই। তাই এগুলোর থেকে দূরে থেকে আসল টপিকগুলো নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::c7:8c1e | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৫:০৮732333
  • এটা ঘটনা যে ইকনমিক জাস্টিস ছাড়া সোশাল জাস্টিস আসবেনা। এই নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছা আছে।
  • ar | 96.230.106.154 | ০৩ জুলাই ২০২০ ১৯:৫৬732336
  • sob sada lok baje ar sob kalo lok bhalo-
    এই কথাটা মনে হয় এই টইতে কোথাও বলা হয়নি। বড় এস পুরোটাই সিস্টেমিক রেসিজমের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছেন। আর সিস্টেমিক রেসিজমের কোন উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব আর পশ্চিম নেই তো। এর মূল (অ্যামেরিক্যান) সমগ্র সমাজ ও ইতিহাসে গভীরভাবে প্রোথিত।
    এবারের বিএলেম আন্দোলনের ফলে এই মূলে বেশ জোরদার টান দেওয়া গেছে।

    বড় এস আপনি লিখে যান, সাথে আছি।
  • b | 14.139.196.11 | ০৫ জুলাই ২০২০ ১৬:২০732341
  • "ইকনমিক জাস্টিস ছাড়া সোশাল জাস্টিস আসবেনা"
    ভারতের কনটেক্সটেও?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::102:1cc1 | ০৫ জুলাই ২০২০ ১৯:৩৯732342
  • রিপ্যারেশান ইজ আ গুড স্টার্টিং পয়েন্ট।

    শয়ে শয়ে বছর ধরে একটা বা একাধিক জাতকে আইনের মাধ্যমে মানুষের মর্যাদা, অধিকার থেকে বন্চিত রাখা হয়েছে। আমেরিকাতে ৪০০ বছর ধরে কালো মানুষদের শুধুমাত্র অন্যের প্রপার্টি হিসাবেই দেখা হয়েছে। সরকারি ডকুমেন্টে যখন ম্যান অ্যান্ড হিজ প্রপার্টি ফ্রেজটা ব্যবহার করা হয়েছে, তখন প্রপার্টির মধ্যে কালো লোকদেরও ধরা হয়েছে, ম্যানের মধ্যে নয়। তারপরেও যে অবস্থা ঠিক হয়নি, আজকেও সেটা দেখাই যাচ্ছে। আজকে কালো লোকেরা শুধুমাত্র তাদের অধিকারটুকুই চেয়েছে। কি সেই অধিকার? খুন হলে, তার খুনীর শাস্তির অধিকার। নূন্যতম জাস্টিসের দাবী। তাতেও আপত্তি কেন? কারণ সিস্টেমের মধ্যেই যে সমস্যা। ফলে এই দাবী মানতে গেলে সিস্টেমের পরিবর্তন করতে হবে। তাতে বহুলোকের প্রিভিলেজের বারোটা বাজতে পারে।

    বিএলেম প্রোটেস্ট শুরু হওয়ার পর প্রোটেস্টারদের নামে যাচ্ছেতাই কুৎসা রটানো হয়েছে। বলা হয়েছে তারা নাকি স্ট্রীট ডমিনেট করতে চায়। ট্রাম্প তাদেরকে টেররিস্ট আখ্যা দিয়েছে। অথ্চ টিকি টর্চ হাতে নিও নাজিদের বলেছে ফাইন পিপল। কেন বলেছে? জানে যে আমেরিকার একটা বিশাল জনগণ এরকমই ভাবে। কারণ তারা চায় যে সিস্টেমটা এইভাবেই চলুক। এই আলোচনা আগেও কিছুটা করেছি, কিন্তু এই ভূমিকা দেওয়াটা জরুরী ছিল।

    কিভাবে হিসাব করছেন তার উপর নির্ভর করে রিপ্যারেশানের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। তবে সেটা যে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার হবে, বলাই বাহুল্য। প্রথম প্রশ্ন আসে যে কে পাবে, কতটা পাবে, কি করে পাবে। সেই নিয়ে অলরেডি কাজকর্ম শুরু হয়েছে, কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে। সারা দুনিয়াতে বহু জায়্গায় রিপ্যারেশান দেওয়া হয়েছে, সেই মডেলগুলো স্টাডি করলে আরো ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। অতেব এই প্রশ্নগুলোর যে জুতসই উত্তর পাওয়া যাবে এবং একটা ওয়ার্কিং অ্যাক্সেপ্টেবল মডেল পাওয়া যাবে, সেটা নিশ্চিত।

    এর পরের প্রশ্ন আসে যে এত ধনরাশি আসবে কোথা থেকে? সহজ উত্তর হলঃ যেখান থেকে বিগত কয়েক দশক ধরে কর্পোরেট এবং বড়লোকদের ট্যাক্স কাট আর স্টিমুলাসের টাকা জোগাড় হয়েছে, সেখান থেকে। তার সাথেই প্রশ্ন ওঠে যে এই এত অতিরিক্ত ধারের ভার কে বহন করবে? অথচ এই প্রশ্ন কিন্তু দক্ষিনপন্থীদের বেশিরভাগই করেনা যখন ট্যাক্স কাট আর স্টিমুলাস দেওয়া হয় অলরেডি প্রিভিলেজদের। কেউ বলেনা ট্যাক্স লুপহোলগুলো বন্ধ করতে।

    আমেরিকাতে মাইনরিটিদের মধ্যে পভার্টি রেট প্রচুর বেশি। সাদাদের মধ্যে যেখানে ৯% লোক পুওর, কালোদের মধ্যে ২২%, হিস্পানিকদের মধ্যে ১৯%, আর নেটিভ আমেরিকানদের মধ্যে ২৪%। এছাড়াও আরো ডেটা দিতে পারি, যার থেকে এই পার্থক্য সহজেই বোধগম্য হয়। এই পার্থক্য না কমানো অবধি সমাজে ইকুইটি আনা সম্ভব নয়। "কমানো" শব্দটা ব্যবহার করছি, "কমা" শব্দটি নয়। কারণ উই আর অলরেডী টূ লেট। এমনিতে যে কমছে না এবং কমবে না, সেটা তো বুঝতেই পারছি। কারণ ঐযে সিস্টেমের মধ্যেই সমস্যা।

    ইকনমিক জাস্টিসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল প্রপার্টি হোল্ডিং। একটা রিপোর্ট বলছে যে আমেরিকার হোমলেসদের মধ্যে ৪০% কালো লোক। অন্যান্য কারণ ছাড়াও পভার্টি একটা অন্যতম কারণ। তাছাড়া প্রপার্টি থাকলে আমেরিকাতে ব্যবসা শুরু করতে সুবিধা হয়। এছাড়াও অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা বাড়ে, তার সুফল বহুভাবে পাওয়া যায়। লেখাটা আর লম্বা করলাম না।

    তাই বলেছিলাম যে রিপ্যারেশান ইজ আ গুড স্টার্ট। ডেফিনিটলি নট দ্য এন্ড।
  • aranya | 2601:84:4600:9ea0:184e:5daf:c212:5384 | ০৬ জুলাই ২০২০ ০২:২৭732346
  • এই টই-টা ভাল লাগছে
  • ar | 96.230.106.154 | ০৬ জুলাই ২০২০ ০৬:২৪732347
  • ইনার সিটি স্কুলগুলোর বাজেটে কিছু টাকা বাড়িয়ে দিলেই অনেক সুরাহা হয়। সাথে সিটির কমিউনিটি কলেজগুলোতেও টাকা ঢালা দরকার। ওগুলোতে বাজেট বলে বিশেষ কিছু নেই। প্রচুর প্রচুর পরিবার আছে যাদের বাচ্চাদের সপ্তাহের সারাদিনের খাওয়া দাওয়ার জন্য একমাত্র ভরসা স্কুল-মিল। কিছু সাদা পরিবার আছে, কিন্তু বেশিরভাগই কালো আর হিস্প্যেনিক। কোভিড লকডাঊনের সাথে সাথে প্রচুর স্কুলে ডেইলি মিল পিক-আপ সিস্টেম চালু করতে হয়েছিল।
    আসলে শিক্ষাব্যবস্থাই এমন বৈষম্যে ভরা.... সেই স্রোতের বিপরীতে লড়াই করা সহজ নয়।
  • ar | 96.230.106.154 | ০৮ জুলাই ২০২০ ০৬:৫৯732355
  • এই টই এর প্রথম দিকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

    'Park Ranger Karen' tells Asian-American family they can't be in her country breaking laws

    "We decided to take a family hike through a trail in the woods about an hour from our house. We brought our 11 pound Maltipoo with us. Along the hike, we saw several other hikers with their dogs. Everything was fun and friendly. People were saying "Hello" and practicing social distancing by letting others pass when we crossed paths. After a long hike, we were headed back down the mountain to our car. A lady and her husband were coming up the trail as we were going down. We stepped off to the side to let them pass. The husband passed, but the lady just stood there. So we continued walking. Our 11 year old daughter was in front with our dog on the leash. The lady aggressively stepped in front of our daughter and blocked her path. She began telling our daughter that we were breaking the law. My wife, who was behind our daughter asked what was going on, and the lady told us to turn around and go back to where we came from...more strangeness then ensues."

    #parkrangerkaren #karen #karencalls911

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন