তাহলে এতো বড় জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব এর গতি অভিমুখ কোন দিকে? খালি প্রশাসন রেকোগ্নাইজ করলেই যথেষ্ঠ!!
আর এতো বড় ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়া সরকার পাব্লিক গ্যদারিং মানা করলো কেন?কি উপায়ে প্রতিবাদ হবে তাহলে!!
আমি ও তো পাবলিক জমায়েত ছাড়া সব কিছুই করতে বলেছিলাম।কৃষ্ণ করলে লীলা...
lcm,আপনার মতন পণ্ডিত ব্যক্তি এমন কমেন্ট করবেন কেন?আপনার গত কালের পোস্ট টি ছিলো অসাধারণ।মানে বেশ কিছু পোস্টের মধ্যে চোখে পড়ার মতন।আমার একটি পোস্টের অংশ দিয়েই শুরু করেছিলেন,তাই একটু ফুট কাটছি।
আপনার পোস্টের বক্তব্য ছিল, রেসিজম ছাপিয়ে ও যে জিনিষ টা বেশি প্রকট, তা হলো সিস্টেম ফেলিওর।
আমি অনেক আগেই ৯ ই জুন ১৩.১৯এর পোস্টে ও,সিস্টেম ফেলিওর এর কথাই উল্লেখ করেছিলাম।একটা কুড়ি ডলার এর নোট এর জন্য,একজন কে শ্বাস রুদ্ধ করে মেরে ফেলা ও তারপর পোস্ট মর্টেম এর রিপোর্টে কারচুপি করার চেষ্টা, ইন্ডিকেট করে,পুরো সিস্টেম গেঁজেই গেছে।
মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই।প্রথমে প্রশাসন এর help চাইবে।প্রশাসন নিজেই এখানে দোষী।তখন হেল্প চাইবে বিচার ব্যবস্থার কাছে।বিচার ব্যবস্থার ওপর সন্দিহান হলে ;ঘোরতর বিপদ।
দুটো উপায় আছে।গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার ফেলে দেওয়া।অথবা কল্লোল বাবুর মতন নৈরাজ্য।দ্বিতীয় অপশন টি স্বভাবতই বাদ।
তাই প্রথম অপশনেই ফিরে আসি। ট্রাম্প কে ফেলে বাইডেন বাবু এলে কোন পরিবর্তন হবে?সম্ভবত নয়।কারণ গত একশ বছর এমন বাইডেন,ক্লিনটন,ওবামা,কেনেডি,রেগণ এসেছে এবং চলে গেছে। গান 'ল ' নিয়েও বিশেষ পরিবর্তন হয় নি।
আমার মতে জমায়েত ,মিছিল,এই মুহূর্তে হেল্থ গ্রাউন্ডে; না মুমকিন।সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চলুক, সেনেটে প্রতিবাদ চলুক। অনশন চলুক।ভোট বয়কট করার কথা বলা হোক।প্রশাসন ভয় পাবে।
নতুবা প্রতিটি গুলি চালানোর ঘটনার মতন,কিছুদিন প্রতিবাদ হবে,বাক বিতন্ডা হবে ও থিতিয়ে যাবে।আমার বক্তব্য পছন্দ নাই হতে পারে!
খালি রেসিজম দিয়ে,এই ফ্লয়েড এর মৃত্যুর পর তদন্ত প্রভাবিত করার ঘটনা এক্সপ্লেইন করা যাচ্ছে না।যে কেস এর ইম্প্যাক্ট দেশ জুড়ে,সেখানে অটপসি তে ভুল ভাল ক্লজ জুড়বে কেন? এতো তাড়া তাড়ি বেল মিলবে কেন? আমি তো এখনও বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখা পাব্লিক।নৈরাজ্য বাদী হইনি।জনগন কে কোনদিন ছাগল ভাবিনা।তবে সর্বদা কিছু সুযোগ সন্ধানী লোকজন থাকে,যারা নিজ স্বার্থে এসব আন্দোলন কে প্রভাবিত করে,নিজেদের মতন করে চালায়।
ওফ lcm, আপনার কাছে এই রকম পোস্ট এক্সপেক্ট করি না।আমি বলেছি খালি রেসিজম দিয়ে পুরো ব্যাপার টা একসপ্লেন করা যাচ্ছে না।
ঘটনা পরবর্তী ব্যাপার গুলো সিস্টেম ফেলিওর ইন্ডিকের করে।খালি পুলিশি ব্যবস্থার ফেলিওর নয়।আরো গভীর ভাবে বিস্তৃত।
আর এটাও ঠিক এই ধরনের আন্দোলন এর পেছনে থেকে কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক নিজেদের মত প্রভাবিত করার চেষ্টা করে থাকে।একটি বৃহত্তর গোষ্ঠীর মধ্যে যদি ক্ষোভ জিইয়ে রাখতে পারি তো ইলেকশনে সুবিধে হতে পারে।এই আর কি!বিরাট আশ্চর্য্যের ব্যাপার নয় তো!
আমি অবাক হচ্ছি,একটা নির্বোধ বক বক করেই চলেছে।কিছুদিন আগেই একটা তর্কে বলছিলো,অস্ট্রেলিয়া এবরিজিনস দের প্রবল যত্নে রাখে--))
নিজেই বলছে,অস্ট্রেলিয়া সরকার পাব্লিক গ্যদরিং করতে মানা করেছে। তো,আমি একস্ট্রা কি বললাম!?
একদিকে বলছে আলোচনায় কেন রাশিয়া ঢুকলো আর নিজেই ফিলার হিসাবে মাঝে মধ্যেই আমার এখানে মানে অস্ট্রেলিয়া, এবোরিজিনস,প্রধান সেবক এসব ঢুকিয়ে চলেছে। কি বলা যাবে,একে?
lcm যাঁরা আন্দোলন করছে তাঁরা ' সুযোগ সন্ধানী এমন কথা কোথাও বলেছি? যেটা বলিনি,সেটা ও বলিয়ে দিলে তো মুশকিল!
যা হোক,আন্দোলন এর উদ্দেশ্য যে মহৎ সে বিষয়েও কোন দ্বিধা দেখাই নি।
খালি বলেছি ,এই প্যানডেমিক এর মুহূর্তে কাতারে কাতারে জমায়েত ঠিক নয়।প্রতিবাদের অন্য অনেক ধরন আছে।কি, কি আছে, তা ও বলে দিয়েছি। তারপরেও এতো!! স্ট্রেঞ্জ!
একটা জিনিষ মাথায় ঢুকছে না,কালোদের ওপর এই বৈষম্য বা অত্যাচার কয়েক শ বছরের পুরোনো।এটা একটা মাইন্ডসেট এর প্রতিফলন।এটা অন্তরের মধ্যে লালিত আছে।
যেমন আপনি বললেন,ফ্ল্যাট এর ছেলে বস্তি তে থাকলে গালা গালি শিখে নেবে।প্রী ফিক্সড আই ডিয়া। পুলিশ জানে কালো লোকেদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেশি।তারা ঘেটো তে থাকে।এই নিয়ে বিরাট ব্যক্তিত্ব রা গান বানিয়ে সুপারহিট পর্যন্ত করে ফেলেছেন!
আমার মতে রেসিজম এর প্রথম ধাপ হলো অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্য। রেসি জম আসে তারপর।
কালো লোকেরা যদি মন থেকে ভাবে ;ঘেটো তেই থেকে যাবো,তাহলে এই ভূল ধারণা চলতেই থাকবে। প্রথম থেকেই কালোদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়,তুমি বড় খেলোয়ার হতে পারো, বড় রক স্টার বা একটর হতে পারো; কিন্তু একাডেমিক ব্যাপারে বা অন্ত্রেপ্রেনিয়র হবার ব্যাপারে তোমার দক্ষতা কম।
এখানেই রয়েছে মূল চালাকি।অনেকটা বাঙালির দ্বারা ব্যবসা হবে না,এরকম ব্যাপার।কারণ ব্যবসায় আছে মানি।আর মানি ব্রিংস পাওয়ার। অর্থাৎ তুমি রবীন্দ্রসঙ্গীত,কৃষ্টি নিয়ে ধুয়ে জল খাও,আমি টাকাকড়ি সামলাই।
এশিয়ান লোকজন এই হীনমন্নতা কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে ।চিনা বা জাপানীরা যে সাদাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান,সেটা উপলব্ধ হয়েছে।আমেরিকার ত্রিশ শতাংশ ডাক্তার বিদেশী।অন্যান্য প্রফেশনেও এশিয়ান রা ই এগিয়ে যাচ্ছে।তাই অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্য ধীরে ধীরে কমেছে।
তাই বলেছিলাম,কালোদের উন্নতি তাঁরা নিজেরাই করবে বা তাদেরকে ই করতে হবে।
আমি নিজেই দেখলাম টিভিতে ফিউনেরাল অনুষ্ঠানে হলে, একসঙ্গে কয়েকশ লোকের জমায়েত।তাদের মধ্যে প্রচুর বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা আছেন।খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে তাঁরা কাছা কাছি আসছেন,পরস্পর কে স্পর্শ করছেন। একজন নিরাপত্তা রক্ষীর নাকে বা মুখেও মাস্ক নেই।চাপ দাড়ি হয়ে গালে সেঁটে আছে।
হাত ধোয়ার চল তো সাহেব দের দেশে এমনিতেই বিশেষ থাকে না।
আবার সেই যুক্তির অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে।সাদাদের থেকে এশিয়ানরা মোটেও বেশি বুদ্ধিমান নয়।ঠিক যেমন এশিয়ানরা ,সে জাপানী হোক বা চিনা বা ভারতীয় ;কালোদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান নয়।
কিন্তু স্ট্যাট ম্যাটার্স।দৃশ্য মানতা ম্যাটার্স।যখন গড় পরতা সাদা লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখে ডাক্তার,নার্স অধিকাংশ বিদেশী,বা সিলিকন ভ্যালির বিরাট ওয়ারক ফোর্স ইন্ডিয়ানস বা চাইনিজ, ফাইন্যান্স এ এশিয়ান জনতা ভিড় করে আছে,ইউনি তে প্রফ দের অনেকে বিদেশী;তখন নিজেদের মনে সুপ্রিমেসি নিয়ে সন্দেহ জাগে, বৈকি। মনে ভয় হয়,খুব দ্রুত এরা এগিয়ে আসছে। এঁরা একদিন আমাদের থেকে মানদন্ড ছিনিয়ে নেবে।তাচ্ছিল্য আর অবজ্ঞা তখন কমে আসে।
এশিয়ান দের এই মন্ত্র কেউ শেখায় নি।নিজেরাই বুঝে নিয়েছে। এখন তারা ব্যবসা, বানিজ্য এগুলোতে বেশি মন নিবেশ করছে।
কালোদের ও একই স্ট্র্যাটিজি নিতে হবে। নয় তো ওই তোমরা ভালো গায়ক,ভালো খেলোয়াড় ; ইত্যাদি করে সাদারা মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে ।