এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বর্ণবৈষম্য এবং আমেরিকার পলিটিক্স

    S
    অন্যান্য | ০৭ জুন ২০২০ | ১৭৯৪৪ বার পঠিত
  • পিনাকিদার নির্দেশে এই লেখা লিখছি। ইতিমধ্যেই মামুর পোস্ট পড়ে গেছে। আমিও সেই পোস্টে দুয়েকটা কথা লিখেছি। তাই ভেবে দেখলাম যে একটু অন্যরকম লেখা প্রয়োজন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::248:c83 | ১১ জুন ২০২০ ০৪:২২732050
  • নিউ জার্সিতে আজ ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার মিছিলের সামনে অল লাইভস ম্যাটার প্রোটেস্টাররা জর্জ ফ্লয়েডকে মারার দৃশ্য অভিনয় করে মজা করে। সঙ্গে "ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার টু নো ওয়ান", "ইউ ডোন'ট কমপ্লাই, দ্যাটস হোয়াট হ্যাপেনস" টাইপের কথাবার্তা ছিলই।

    বহু লোকেরই যে পুলিশ দ্বারা বা অন্য ভাবে কালো লোকেদের হত্যা, হিসপানিকদের খাঁচায় ভর্তি করা, ইমিগ্রান্টদের বাড়ি পাঠানোর সমর্থন করে সেটা স্পষ্ট। এর অজুহাত হিসাবে কালোরা বেশি ক্রাইম করে, হিস্পানিকরা সব ইল্লিগালি আমেরিকাতে এসেছে, ইমিগ্রান্টরা সব কাজ নিয়ে নিচ্ছে টাইপের যুক্তি খাড়া করে বটে। কিন্তু আসলে যে এর পিছনে ডীপ রুটেড রেসিজম রয়েছে, সেটা স্পষ্ট।

    আর এর জন্য ভার্জিনিয়া বা কেন্টাকি বা ওয়াওমিংএর খুব গভীর ট্রাম্প বেসে যেতে হবেনা। আপনার আশে পাশেই পেয়ে যাবেন। যে লোকটা আপনার সামনে আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের নিয়ে বাজে কথা বলছে, সে যে আপনার পিছনে লিগাল ইমিগ্রান্টদেরও বাজে কথা বলে সে প্রায় নিস্চিত হয়ে গেছে।

    এসব চিরকালই ছিল। তবে ট্রাম্প এসে দুটো জিনিসকে একদম খুলে দিয়েছেঃ
    ১) আমেরিকার যে নিজের গণতন্ত্র নিয়েই অনেক কাজ বাকী, সেটা দেখাই যাচ্ছে।
    ২) আমেরিকানদের নিজের সিভিল রাইটস, রেস রিলেশান ব্যাপারটাই যে বেশ দূর্বল সেটাও বোঝা গেছে।
  • Amit | 203.0.3.2 | ১১ জুন ২০২০ ০৪:৫৮732051
  • যারা এসব উপদেশ দিয়ে বেড়াচ্ছেন যে একটু লেখাপড়া করলেই এসব ডিসক্রিমিনেশন অটোম্যাটিক উড়ে যাবে, যেমন এশিয়ান দের গেছে, তাদের যে মাটিতে বিশেষ পা ফেলতে হয়না, সেটা সবার কাছেই স্পষ্ট. বহু শিক্ষিত ব্ল্যাক পিপল পুলিশ হ্যারাসমেন্ট এর শিকার অন রেগুলার বেসিস. কদিন আগেই গুরুতেই আরো একটা সিমিলার ঘটনা দেওয়া আছে একটা ফার্স্ট গ্রেড টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি র একজন ব্ল্যাক প্রফেসর এর রেকলেক্শন এ. আর এশিয়ান দেরও রেসিজম ফেস করতে হয় যথেষ্ট বহু white মেজরিটি দেশগুলোতে এতটা বাজে স্কেলে না হলেও.

    https://psmag.com/social-justice/why-black-america-fears-the-police

    নিজে জাস্ট জন্মসূত্রে প্রিভিলেজেদ হবার সুযোগ পেলে, কোনোদিন এসব রেস বা কাষ্টে ডিসক্রিমিনেশন নিজে ফেস না করলে মায়াপাতায় এসব জ্ঞান বিলি করে বেড়ানো অবশ্য খুব সোজা.
  • sm | 2402:3a80:a1c:1e25:0:5d:c9ba:cf01 | ১১ জুন ২০২০ ০৮:২৪732055
  • বোঝো অবস্থা, এতোদিন বলে বেড়ানো হলো ইন্ডিয়া তে রেসিজিম এত্তো বেশি!! অস্ট্রেলিয়ায় ভীষণ যত্ন নেয়, অ্যাবরিজিনস দের। এখন সব উল্টো হইয়ে গেলো!?

    আর,আমি কোন কোন দেশে বাস করলাম যে জিন্দেগী তে রেসিজিম ফেস করি নি!এতো দেখছি আমার কুলজি নিয়ে বসেছে!-))

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::7c5:31ff | ১১ জুন ২০২০ ১৩:২৩732058
  • আরেকটু লেখার প্রয়োজন। কতগুলো জিনিস একটু এক্সপ্লেইন করার প্রয়োজন আছে।

    হোয়াট ইজ ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার? ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার একটা আন্তর্জাতিক মুভমেন্ট (আন্দোলন) যার উদ্দেশ্য হল দেশে দেশে কালো লোকেদের প্রতি হওয়া সিস্টেমিক রেসিজমের বিরুদ্ধে প্রচার এবং প্রতিবাদ করা। যাতে একদিন এই বর্ণবৈষম্য এবং বর্ণবাদ শেষ হয়। এই মুভমেন্ট ট্রেভর মার্টিন নামক একটি ১৭ বছরের কালো ছেলের হত্যাকারীকে কোর্ট নির্দোষ বলে ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৩ সালে শুরু হয়।

    এর বদলে বহু বর্ণবাদী লোকজন অল লাইভস ম্যাটার এবং ব্লু লাইভস ম্যাটার নামক দুটো স্লোগান নিয়ে আসে। দুটই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারকে ক্রিটিসাইজ করে এবং আমার মতে বিএলেম আন্দোলনকে ডিস্ট্রাক্ট করার জন্য শুরু করা হয়। প্রথমটির বক্তব্য হল সব প্রাণই মূল্যবাণ, অতেব আলাদা করে কালোদের জীবণ মুল্যবাণ বলার কোনও মানে নেই বা বলা ঠিক নয়। দ্বিতীয়টির বক্তব্য হল পুলিশ অফিসারদের জীবন মূল্যবাণ।

    এই দুটই আসলে একস্ট্রিম রাইট ইউঙ্গ প্রোপাগান্ডা। এইসব সমর্থন করার জন্য মাঝেমধ্যেই প্রচুর ভুয়ো স্ট্যাট প্রেজেন্ট করা হয়। এবং আসল বক্তব্য হল পুলিশ যে কালোদের বেশি অ্যারেস্ট করে, কালোরা বেশি প্রসিকিউটেড হয়, এবং সর্বোপরি বেশিরভাগ ক্রিমিনালই যে কালো, তার কারণ কালোরা নিজে। অতেব পুলিশ বা অন্যান্য ল এনফোর্সমেন্ট তাদের মারছে, এদের মতে বেশ করছে, নইলে কালোরা নাকি পুলিশ বা অন্যান্য সাধারণ জনগণদের (মানে সাদাদের) মারত। বেসিকালি সিস্টেমিক রেসিজম যাতে চিরকাল চলে এবং তার বেনিফিট একদল লোকেরা চিরকাল পায়, তার পক্ষে যুক্তি।

    প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিন্কন ১৮৬৩ সালে "ইমানসিপেশান প্রোক্লেমেশান" ঘোষণা করেন (১৩তম অ্যামেন্ডমেন্ড)। মানে আমেরিকাতে দাসত্বপ্রথা শেষের ঘোষণা করেন। এর পর শুরু হয় আমেরিকার সিভিল ওয়ার যেটি শেষ হয় ১৮৬৫ সালে। এর থেকে বড় যুদ্ধ স্বাধীন আমেরিকার মাটিতে কখনও হয়নি। এর পরও আমেরিকার বহু রাজ্যে লোকাল সরকারের মাধ্যমে জিম ক্রো লজ নামে আইন প্রয়োগ করা হয় যার ফলে আমেরিকাতে সাদা এবং অশ্বেতাঙ্গদের (পারসনস অব কালার) আলাদা রাখা হয়। এর ফলে কালোরা আলাদা স্কুল, কলেজে পড়াশুনা করত, আলাদা এবং অবশ্যই ইনফেরিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পেত, ভালো চাকরী করতে পারত না, শহরের একই জায়্গায় থাকতে পারতো না। ফলে একই দেশের নাগরীক হয়েও সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন হয়ে থাকত। এমনকি প্রচুর রাজ্যে পোল ট্যাক্স নামক একটা ব্যাপার ছিল, অর্থাত ভোট দিতে গেলে আগে ট্যাক্স দিতে হবে। অদ্ভুত ভাবে বেশ কিছু রাজ্যে একটা গ্র‌্যান্ডফাদার ক্লজ ছিল, মানে আপনার পূর্বপুরুষ দাসপ্রথা থাকার সময় ট্যাক্স দিয়ে দিলে আপনাকে আর দিতে হবেনা। এই সবকিছুই কালোদের বেসিক হিউম্যান রাইটস, সিভিল রাইটস, ডেমোক্র‌্যাটিক রাইটকে খর্ব করার জন্য তৈরী হয়েছিল।

    এর পর সিভিল রাইটস মুভমেন্টের কথা আমরা সবাই জানি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৮ সাল অবধি বিভিন্ন সিভিল রাইটস অ্যাক্ট পাশ হয়। ১৯৬৪ সালে ২৪ তম অ্যামেন্ডমেন্ডের মাধ্যমে এই পোল ট্যাক্স বেআইনি হয়ে যায়। তবে আইন করে সেগ্রিগেশান না হলেও, বহু জায়্গায় কালোদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। যেমন বহু ক্লাব ছিল শুধুমাত্র সাদাদের জন্য, কালোদের মেম্বারশিপও দেওয়া হতনা। এমনকি এই সেদিন ১৯৯০ সালে পিজিএ কে গল্ফ টুরের ভেনু পরিবর্তন করতে হয়েছিল, কারণ সেখানে কালোদের প্রবেশাধিকার ছিলনা। যেমন টাইগার উডসেরও প্রথম জীবনে বহু গল্ফ ক্লাবে প্রবেশ নিষেধ ছিল।

    সেই রোগ যে এখনও যায়নি, এখনও বিভিন্ন প্রকারে থেকে গেছে সেতো দেখতেই পারছি। এখনও আপস্কেল দোকানে কালো লোকদের পিছনে সিকিউরিটি দাঁড়িয়ে থাকে এইটা চেক করার জন্য যে কিছু চুরি করছে কিনা। এমনকি অনেক সময় কোনও কারণ ছাড়াই দোকান থেকে বেড়িয়েও যেতে বলে। আগে এইসব চুপচাপ হত, এখন ট্রাম্পের আমেরিকাতে খোলাখোলিই হচ্ছে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::665:c5b9 | ১১ জুন ২০২০ ১৩:৫১732059
  • এবারে আসা যাক "ডিফান্ড দ্য পোলিস" অ্যাজেন্ডায়।

    ট্রাম্প, রিপাব্লিকান, ফক্স নিউজ তো শুনেই চমকে উঠেছে। বাজে বকতে শুরু করেছে, সাদাদের ভয় দেখাতে শুরু করেছে। মানে না বুঝেই। বহু ডেমোক্র‌্যাট এমনকি জো বাইডেন এবং বার্ণীও সমর্থন দেননি। একমাত্র কমলা হ্যারিস খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন।

    সাহেবরা ডিফান্ড আর ডিফান্কটের মধ্যে পার্থক্য না বুঝলে আর কিছুই করার নেই। ডিফান্ড দ্য পোলিসের মানে এই নয় যে পুলিশ থাকবেনা।

    এখানে একটু ভূমিকা দেওয়া প্রয়োজন।

    বিগত কয়েক দশক ধরে (আন্ডার বোথ পার্টি লীডারশীপ) একই সঙ্গে আমেরিকাতে দুটো ব্যাপার ঘটেছে। পুলিশের বাজেট বাড়ানো হয়েছে, অন্যান্য সোশাল ওয়ার্কে বাজেট কমানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে আমেরিকার একটা বিশাল সংখ্যক কাউন্টি এবং শহরের বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ যায় পুলিশের পিছনে। এই টাকা কোথা থেকে আসছে? অন্যান্য সামাজিক সেবা বন্ধ করে দিয়ে। উল্টে পুলিশকে দিয়ে সেই সামাজিক কাজের কিছু অংশ করানো হচ্ছে। অথচ পুলিশ সেসব কাজ করতে ট্রেইনড নয়। ফলে একজন মেন্টাল হেলথ রোগীকে সামলাতে গিয়ে পুলিশ টেজার ব্যবহার করে বসে। ড্রাগ অ্যাবিউজ, ফ্যামিলি সেপারেশান সবেতেই পুলিশ গিয়ে হাজির হয়। এর দুটো স্পষ্ট প্রমাণ এবারে হাতে নাতে পাওয়া গেছে। প্রোটেস্টারদের সামলাতে পুলিশ পুরো বর্ম পরে রাস্তায় নেমেছে, অথচ হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের জন্য যথেষ্ট পিপিই নেই। তারা গার্বেজ ব্যাগ পরে কাজ করছে। প্রোটেস্টারদের সামলাতে সরকার তার ঝুলি থেকে বিভিন্ন ধরনের পুলিশ বের করেছে, অথচ হাসপাতালে ডাক্তার-্নার্সের সংখ্যা এত কম।

    এই অবস্থায় দুটো প্রস্তাব এসেছে। প্রথমতঃ পুলিশের কাজের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসা হোক। পুলিশ কি করতে পারবে, কিভাবে করবে, কতটুকু করতে পারবে তার স্পষ্ট গাইডলাইন তৈরী করা হোক। প্রয়োজনে যেসব পুলিশ ডিপার্টমেন্ট রোগ অফিসারে ভর্তি হয়ে গেছে, সেগুলোকে তুলে দিয়ে নতুন গাইডলাইনের আন্ডারে নতুন ডিপার্টমেন্ট তৈরী করা হোক যারা কমিউনিটির অঙ্গ হবে। অর্থাত পুলিশের বাজেট কমানো হোক। দ্বিতীয়ত, সামাজিক কাজে ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো হোক। যাতে কমিউনিটিতে ক্রাইমের সংখ্যা এমনিতেই কমে যায়। অর্থাত পুলিশি স্টেটের বদলে ওয়েলফেয়ার স্টেটের ডাক দেওয়া হয়েছে। কারণ অনেকেই মনে করছে সরকারের কর্তব্য জনগণের সেবা করা, পুলিশি করা নয়।
  • lcm | 99.0.80.158 | ১১ জুন ২০২০ ১৪:১৫732060
  • বড়েস,
    ভেরি গুড। লিখতে থাকো। পুলিশ ডিফান্ড ব্যাপারটা বুঝিয়ে ভাল করেছ।

    নাগরিক সমাজে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে, ট্যাক্সের টাকায় কোথায় কী জন্য খরচ হচ্ছে, সেসব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ক্রাইম হলে সামলানো, কেউ জোরে গাড়ি চালালে তাকে টিকিট দেওয়া (ট্রাফিক মনিটরিং জব তো অটোমেশন নিয়ে নেবে) - আর বাকি সময় বসে বসে মাইনে নেওয়া? সব সময় তো ক্রাইম হচ্ছে না। এই যে একটা আইডিয়া সব সময় ক্রাইম হচ্ছে না, কারণ পুলিশ বসে বসে হাই তুলছে - এইটা একটা ঢপ। একই রকম যুক্তি মিলিটারি খাতে টাকার জন্য দেওয়া হয় - নইলে অদৃশ্য শত্রুদেশ এসে সব লুটে নেবে।

    নাগরিকদের অন্যান্য সার্ভিস দেওয়া, অসুস্থ মানুষকে, বা সিনিয়র সিটিজেনদের সহায়তা করা, গরীব মানুষদের সাহায্য করা - এসবের জন্য ট্রেনিং কতটা পায় পুলিশ।
  • sm | 2402:3a80:a1c:1e25:0:5d:c9ba:cf01 | ১১ জুন ২০২০ ১৪:১৭732061
  • এই গুরুত্বপূর্ণ দু পাতা বিস্তারিত রচনার পর, পুলিশ যদি তিন পাতার রিপোর্ট প্রকাশ করে,পুলিশ ডিপার্টমেন্টে খুব কম পুলিশ,উপযুক্ত গ্যাজেটস এর অভাব,আরো কিছু ফান্ড বাড়ানো হোক। মানে সোশ্যাল সিক্যুরিটি র বরাদ্দ দাবি মতন যতো ইচ্ছা বাড়ানো হোক কিন্তু পুলিশ এর বাজেট আরো বাড়ানো হোক।

  • sm | 2402:3a80:a1c:1e25:0:5d:c9ba:cf01 | ১১ জুন ২০২০ ১৪:৩১732062
  • ঠিক এই রকম যুক্তি পেশ করেছিল,বছর পনেরো আগে কিছু ম্যানেজার,ইউ কে তে এন হেইচ্ এস নিয়ে। তাদের যুক্তি ছিল,হাসপাতালের সংখ্যা প্রচুর,নার্স,ডাক্তার দের অধিকাংশ সময় কাজ নেই ওদের ব্যান্ডিং কমানো হোক,আই সি ইউ বেড বাড়ানোর দরকার নেই,কিছু হাসপাতাল বন্ধ করে রিয়েল এস্টেট কে বেচে দেওয়া হোক,ম্যানেজার দের সংখ্যা বাড়ানো হোক।

    ফলশ্রুতি দেখা যাচ্ছে, কোভিড ম্যানেজ করার সময়।

  • lcm | 2600:1700:4540:5210:d195:7b29:15b4:3516 | ১১ জুন ২০২০ ২১:৪৮732064
  • মিলিটারিতেও তাই - রাইট? খরচ কমিয়ে দিলেই, প্রতিবেশি এসে দখল করে নেবে - সুতরাং সৈন্যরা বসে বসে হাই তুললেও, মাথা চুলকালেও - প্রচুর খরচা করে যেতে হবে হবে সেখানে - তাই তো?

    তার মানে কি দাঁড়াল?

    শিক্ষা। স্বাস্থ্য। পুলিশ। মিলিটারি --- সব সমান - তাই তো? সব এক জিনিস। সব কিছু একভাবে ট্রিট করতে হবে। সব এক ছাঁচে ফেলতে হবে।

    এটাই সরকার চায়। যে কউ কোনো প্রশ্ন করবে না। প্রশ্ন করলেই নানারকম জুজু আছে দেখিয়ে দেওয়া হবে।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:87d:8bf3:db02:b7d4 | ১১ জুন ২০২০ ২১:৫১732065
  • এসকে থ্যাঙ্কিউ, এজেন্ডা ইত্যাদি পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে লেখার জন্যে। টাইমলাইনটাও খুব কাজের, সিভিল রাইট্স থেকে পিজিএ, ওসব তো অনেক আগে হতো এই মিথটার অসারতা বুঝতে।
  • anandaB | 50.35.122.121 | ১১ জুন ২০২০ ২২:০০732066
  • এই নিউস টা খুব সম্ভব প্রাসঙ্গিক, তবে এটা অন্য এক্সট্রিম এ

    "https://www.yahoo.com/news/ucla-professor-no-racism-refusing-012621321.html"

    এই রিপোর্ট এ যা লেখা আছে শুধুমাত্র তার basis এ আমি এই প্রফেসর কি অন্যায় করেছেন বা কেন তাকে সাসপেন্ডেড হতে হলো বুঝি নি

    এই ধরণের ঘটনা গুলোই ন্যায্য প্রতিবাদ/আন্দোলন গুলোকে dilute করে দেয়, উল্টোদিক তো মুখিয়েই আছে লেজিটিমেসি নস্যাৎ করার জন্য
  • lcm | 99.0.80.158 | ১১ জুন ২০২০ ২৩:১৯732067
  • সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্য জায়গায় দেখলাম, "Systemic Racism" কে "Systematic Racism" বলে উল্লেখ করে গুলিয়ে লাট করেছেন।

    ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি আর্টিকল থেকে -

    The term "systemic racism", often wrongly interpreted as an accusation that everyone in the system is racist.

    In fact, systemic racism means almost the opposite.

    It means that we have systems and institutions that produce racially disparate outcomes, regardless of the intentions of the people who work within them.

    শুধু পুলিশ সিস্টেম নয়। ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমও।
  • anandaB | 50.35.122.121 | ১২ জুন ২০২০ ০০:৩৪732068
  • @LCM এর লাস্ট পোস্ট টা ইন্টারেস্টিঙ, একটা মানে করা যায়, 'system' এর কোন বদ উদেশ্য থাকে না, বা বলা চলে যারা সেই সিস্টেম এর চালিকা শক্তি তাদের ইনটেন্ট, ইন জেনারেল খারাপ নয়, কিন্তু কোথা হইতে কি হইয়া যায় আর devastating outcome দেখা দেয়

    আর এ তখনি হয় যখন racism (as a placeholder) in-built থাকে, একদম মানে conceptually
  • anandaB | 50.35.122.121 | ১২ জুন ২০২০ ০০:৪৪732069
  • উদাহরণ হিসেবে এই নিউস টাকে দেখা যেতে পারে

    "https://www.yahoo.com/gma/abc-news-analysis-police-arrests-nationwide-reveals-stark-090400917--abc-news-topstories.html"

    এখানে বলছে (among other things), কালো লোকেদের (বা সাদা নয় এমন) গ্রেপ্তার হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি, একই-ই "অপরাধের" জন্য

    তো root cause টা 'সিস্টেমিক' ধরে নিলে, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হয় যে, ফান্ডামেটাললি system মনে করে যে সাদা চামড়া অনেক বেশি লিনিয়ান্ট ট্রিটমেন্ট পাবার যোগ্য
  • lcm | 2600:1700:4540:5210:d195:7b29:15b4:3516 | ১২ জুন ২০২০ ০০:৫১732070
  • এগজ্যাক্টলি।
    সিস্টেমিক - মানে এমনভাবে সিস্টেমের মধ্যে রেসিজিম বুনে দেওয়া আছে, যে, যিনি রেসিস্ট আচরণ করছেন তিনি সেটাকে স্বাভাবিক সিস্টেমের নিয়ম ভাবছেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু দেখছেন না।
  • সনাতন মন্ডল | 13.229.150.70 | ১২ জুন ২০২০ ০২:২২732071
  • Black lives matter এখন এটা hot topic কিন্তূ প্রাণীদের ক্ষেত্রেও যে কালো দের সমাদর করা হয় না এটাও সত্য 
    ভারতে গরুর ওপরে অত্যাচার নিয়ে সবাই বেশ চিন্তিত  কিন্তূ গরুর থেকেও বেশি যে প্রাণী টা সবথেকে বেশি অত্যাচারিত সেটা হলো মোষ indian buffalo তুলনা মূলক ভাবে গরুর থেকে শক্ত সমর্থ অনেক সহ্য ক্ষমতা...  সব দিক দিয়ে এরা গরুর খুব কাছে কিন্তূ তাও অবহেলিত.. 
    মোষ এর বাচ্চা যদি ছেলে হয় তাকে দুধ না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে..  মেয়ে মোষ কে দেওয়া হয় oxytocin এর ইনজেকশন যাতে দুধ বেশি হয়. মোষ গরুর থেকে অনেক শক্ত এরা জল কাদা এর মধ্যে থেকে যায় ঝট করে অসুস্থ হয় না তাই এদের ওই ভাবে রেখেও দেওয়া হয় কোনো কেয়ার ছাড়া..  মোষ এর দুধ বেশি ব্যবহার হয় মিষ্টি আর দই বানাতে কারণ এতে fat বেশি, মোষ এর ওপর অত্যাচার কম হয় না. ভারত এ যে beef উৎপাদন হয় সেটা আসলে মোষ এর মাংস কোনো আইন এদের পক্ষে না থাকায় এদের কাটতে কোনো মুশকিল নেই, হিন্দুধর্মে মোষের মাংস নিষিদ্ধ না অনেক জায়গায় তো মোষ বলি হয় পুজোতে.  এই বাংলাতেই হয়..  আসল ব্যাপার টা পশুর ক্ষেত্রেও গায়ের রং বিচার করা হয় but এই ব্যাপারে black life matter করে না

  • তা সে যতই কালো | 98.114.105.164 | ১২ জুন ২০২০ ০৩:৩২732072
  • ব্বাপ্পো, এই পার্সপেকটিভটাতো ভাবা হয় নি!
    ধরুন গিয়ে কালো চিতা আর সাদা চিতা কিম্বা কালো বিড়াল আর সাদা বিড়াল - এসব কেসে ও কি সাদাদের কদর বেশি?
  • সনাতন মন্ডল | 13.229.150.70 | ১২ জুন ২০২০ ০৪:৪২732073
  • ঠাট্টার ছলে বললেও কথাটা দামি 

    কালো বেড়াল অনেক লোক অশুভ মনে kore

  • avi | 2409:4061:9c:e499:7f76:cebd:e08e:47d | ১২ জুন ২০২০ ০৭:৫৬732076
  • বাংলায় রেসিজম নিয়ে আত্মজীবনী লিখে গেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রুনু গুহনিয়োগী - 'সাদা আমি, কালো আমি'।

  • sm | 42.110.166.136 | ১২ জুন ২০২০ ০৮:১২732077
  • lcm,এর সিস্টেমিক রেসিজিম শব্দবন্ধ টির প্রতি একটু মনোযোগ দিলাম।নতুন নতুন ইউজ শুরু হয়েছে।বেশ শুনতে লাগে।

    মানে ও বলে দেওয়া হয়েছে।সিস্টেম এর মধ্যেই রেসিজিম এর বীজ বুনে দেওয়া হয়েছে।চাষী জানতেও পারেনা কি ফসল তৈরী হলো।--))

    এবার আসি ধনী ও দরিদ্রের কথায়।সিস্টেম এর মধ্যে টাকা প য়সা এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে, ধনী লোক বুঝতেই পারে না, কি করে এমন বৈষম্য সৃষ্টি হলো! কে না জানে,টাকা বেশি থাকলে ভালো শিক্ষা,ভালো জীবন যাপন,ভালো স্বাস্থ্য বাজার থেকে কেনা যায়।তাহলে কি ধনী হওয়া অন্যায়??

    একটু ভাবতে বলি। আরো সাবসেট এ ঢুকে যান।টাকার জায়গায় শিক্ষা আনতে পারেন। শিক্ষিত লোকজন সমাজে বেশি সুযোগ পাবে।তাহলে কি শিক্ষিত হওয়া অন্যায়?!

    সিস্টেমিক রেসিজিম তো মনে হচ্ছে সাদা কোন ব্যক্তির তৈরী করা শব্দ বন্ধ।অর্থাৎ সবই সিস্টেম এর দোষ। কোথা হইতে কি হইয়া গেলো!!

  • sm | 42.110.166.136 | ১২ জুন ২০২০ ০৯:৩৯732079
  • lcm,একটা সুন্দর আর্টিকেল পেলাম।পড়তে পারেন।আগের মতোই বলছে, ইউএস ফিজিশিয়ান দের মধ্যে ত্রিশ শতাংশ ফরেন বর্ন। সাত শতাংশ নন ইউ এস সিটিজেন। অন্যান্য সব হেল্থ প্রফেশনালস দের মধ্যে তুলনামূকভাবে সব চাইতে বেশি।
    এর মধ্যে ডেন্টিস্ট,নার্স সবাই আছেন।

    আবার অনি দিকে বলছে সমস্ত হেল্থ প্রফেশনালস দের ১৭পার্সেন্ট হলো ইমিগ্র্যান্ট স। সংখ্যা টি বিপুল।
    নন সিটিজেন বলতে ঠিক কি বুঝিয়েছে?? ডুয়াল সিটিজেন দের হিসাব থেকে বাদ দিয়েছ??
    https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://www.pbs.org/newshour/amp/health/new-study-shows-1-in-6-u-s-health-care-workers-are-immigrants&ved=2ahUKEwi57eC2qPvpAhVYzTgGHagxDF4QFjASegQICBAB&usg=AOvVaw07I4zvD9zb22sjZlu8p3y_&cf=1&cshid=1591932259359
  • dc | 103.195.203.72 | ১২ জুন ২০২০ ১০:০৩732080
  • সঠিক কথাটা বোধায় institutional racism
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::844:5b5a | ১২ জুন ২০২০ ১০:৪৩732081
  • institutional racism আর systemic racism একই ব্যাপার। এর মানে হল (আমেরিকার প্রেক্ষিতে) হোয়াইট সুপিরিয়রিটি সিস্টেমের মধ্যেই সুপ্ত করে রাখা হয়েছে। ফলে সেই সিস্টেমের সব ইনস্টিটিউশান এবং তার অ্যাক্টররা রেসিস্ট ব্যবহার করবেই। নিজে চাইলে তো করবেই, না চাইলেও তার কাজের আউটপুট রেস ডিসক্রিমিনেশান বাড়াবে। কারণ এই পুরো সিস্টেম এবং তার ইনস্টিটিউশানগুলোকে তৈরীই করা হয়েছে হোয়াইট সুপিরিয়রিটির কথা মাথায় রেখে।

    ধরুন দুটো রাজ্য। একটাতে কালোরা মেজরিটি। অন্যটাতে সাদারা মেজরিটি। কালো মেজরিটি রাজ্যে ইনকার্সেনেটেড লোকজনদের ভোটাধিকার থাকেনা, কিন্তু সাদা মেজরিটি রাজ্যে ভোটাধিকার থেকে যায়। ধরা যাক দুটো রাজ্যেই পেইন মেডিকেশান পাওয়া খুব দুর্লভ। সাদা মেজরিটি রাজ্যে মারিজুয়ানা লিগালাইজ করে দেওয়া হল, কিন্তু কালো রাজ্যে সেটা বেআইনিই থাকলো। সাদা রাজ্যে ড্রাগ পজেশানের জন্য ম্যাক্সিমাম ৬ মাস জেল হয় আর প্রায়র না থাকলে শুধু কমিউনিটি ওয়ার্ক। কালো রাজ্যে এর জন্য কয়েক বছরের জেল। সাদাদের রাজ্যের বাজেটের মাত্র ১৫% পুলিশে যায়, ব্যান্ক থেকে লোন পেতে গেলে প্রপার্টি দেখাতে হয়না, ম্যাক্সিমাম ইন্টারেস্ট রেট লিমিট করে দেওয়া হয়েছে। কালোদের রাজ্যে বাজেটের ৪০% পুলিশে যায়, ব্যান্ক থেকে লোন পেতে গেলে প্রপার্টি দেখাতে হয়, ম্যাক্সিমাম ইটারেস্ট রেটের কোনও লিমিট নেই। এগুলো সবই মন থেকে বানানো, তবে আমি বেশ কনফিডেন্ট যে খুঁজলে এইসবই বাস্তবে পাওয়া যাবে।
  • sm | 42.110.166.136 | ১২ জুন ২০২০ ১১:২৩732083
  • একা বিপিন বাবু কে দিয়ে তো পুরো দেশ বিচার করা যায় না! ইন্ডিয়ায় জেনারেল রা সাধারণত কোন রাজনৈতিক স্টেটমেন্ট থেকে বিরত থাকেন।প্রাক্তন জেনারেল বা উঁচু পদাধিকারী এক্সরা অনেকেই টিভি তে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।কোন সমস্যা নেই তো!

    আর বড় এস এর পোস্টে কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।আমার মতে ড্রাগ সংক্রান্ত অপরাধে শিথিল মনোভাব দেখানো উচিৎ ই নয়।সেটা কালো মেজরিটি স্টেট হোক বা না হোক। মারিজুয়ানা লি গ্যলাইজ হলো ডিবেটেবল বিষয়। ব্যাংক লোন ও অন্যান্য বিষয় গুলো তো স্টেট ওয়াইজ ভ্যারি করবেই। এজন্যই তো স্টেট গুলোকে এতো স্বাধীনতা দেওয়া। এর একমাত্র সল্যুশন হলো এই দাবি দাওয়া গুলো নিয়ে সোচ্চার হওয়া, আইনী লড়াই করা এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজেদের পছন্দ মত ক্যান্ডিডেট নির্বাচিত করা।

  • dc | 103.195.203.72 | ১২ জুন ২০২০ ১১:২৯732084
  • হ্যাঁ সিস্টেমিক আর ইনস্টিটিউশনাল রেসিজম একই কনসেপ্ট, তবে সাধারনত ইনস্টিটিউশনাল কথাটা ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে যেমন ইনস্টিটিউশনাল কাস্টিজম। সব ইনন্স্টিটিউশান গুলোর, যেমন বিয়ে, পড়াশুনো, বিচারব্যবস্থার মধ্যে এমনভাবে ঢুকে আছে যে বেশীরভাগ সময়ে আমরা বুঝতেও পারি না কিভাবে কাস্টিজমের সুবিধা পাচ্ছি বা শিকার হচ্ছি।
  • lcm | 2600:1700:4540:5210:6817:197d:a64c:a0da | ১৩ জুন ২০২০ ০১:৪১732089
  • সিস্টেমিক রেসিজিম -

    বর্ধমানে একটি স্কুলে প্রি-প্রাইমারি সেক্শনে ইংরেজি বইতে (Child's Study by Bani Prakashan) অক্ষর পরিচয় বিষয়ে, 'U' দিয়ে শুরু শব্দের উদাহারণ হিসেবে রয়েছে এ Ugly যার নীচে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের ছবি।





    https://www.timesnownews.com/mirror-now/in-focus/article/racist-text-book-in-west-bengal-calls-dark-man-ugly-2-school-officials-suspended/605269
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::2e6:c35e | ১৩ জুন ২০২০ ০১:৪৪732090
  • আডার মানে ছাগলের স্তন? আন্কল মানে কাকা বা চাচা? বাকীরা বাদ? সবথেকে মজার বা দুঃখের হল একটা আউটরাইট রেসিস্ট ছবির পরেই আবার একতার উদাহরণ দিয়েছে। সেনসিটিভিটি কত কম হলে এইসব করে।
  • sm | 42.110.137.92 | ১৩ জুন ২০২০ ০১:৫৫732091
  • তবে সত্যের খাতিরে বলে যাই আমার এ যাবৎ জীবন কালে এমন বই বা ছবির সম্মুখীন হই নি।

    তবে ছোট বেলায় হুইচ বলতে চামড়া কোঁচকানো সাদা অবয়ব দেখতে পেতাম।

    কুওসিমাদো কে কেন কবি আগলি বললো,কে জানে।ওকে তো খুব সুন্দর মনে হয়।

  • Amit | 203.0.3.2 | ১৩ জুন ২০২০ ০২:০০732092
  • সমস্যা তো সেখানেই. কালার, কাস্ট, রেস এসব জিনিস যে সেনসিটিভ হতে পারে অন্য অনেকের ক্ষেত্রে, সেই বোধটাই তো তৈরী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেনা. ছোট থেকেই মজ্জায় ঢুকে যাচ্ছে এসব সিস্টেমিক রেসিজম বা ক্যাস্টিসম (ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে), সেটাকেই নরমাল ভাবতে শিখছে সবাই. এমনকি যারা এসব বই লিখেছে বা এডিট করেছে, তারা ইন্ডিভিডুয়াললি খারাপ লোক তাতো নয় , কিন্তু একই ভাবে এরাও বড়ো হয়েছে সেসব সোশ্যাল আপটিটুড নিয়েই. এই সাইকেল ভাঙা সহজ নয়.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন