এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাম-তৃণমূল জোট? 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ নভেম্বর ২০২০ | ২০৫৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন। 



    বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে  কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা বক্তব্য। এবং সে কারণেই এদের সঙ্গে বামদের জোট করা উচিত। 


    পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে বামদের বিপর্যয় হয়েছে।  বাম ঘরানার ভোটের একটি বৃহদংশ  বিজেপিতে চলে গেছে, ভোটের হিসেবে। সে নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ সজোরে এর জবাবে বলে এসেছেন, যে, ওভাবে বাম-ভোট বলে কিছু হয়না। ভোট কারো সম্পত্তি নয়। উল্টোদিকে, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য হল, ভোটের রাজনীতিতে "বিশ্বস্ত ভোট" বা "ভোট ব্যাঙ্ক" বলে একটি বস্তু অবশ্যই হয়। বামদের সেই বিশ্বস্ত ভোটই গেছে বিজেপির দিকে। তার কারণ, বাম পার্টির নেতারা প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব, তার সামান্য ভগ্নাংশও বিজেপির বিরুদ্ধে নন।  তাঁদের মূল আক্রমণ সর্বদা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই লাইন মূলত আত্মঘাতী। এই লাইন কর্মী এবং সমর্থকদের  "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" লাইনে ভাবতে উৎসাহ জুগিয়েছে। একদা সমর্থকরা বিজেপিকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর ভেবে ভোট দিয়েছেন। এবং তার ফলেই এই বিপর্যয়। 


    এর জবাবে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা, অন্তত আধা প্রকাশ্যে যেটা বলছেন, সেটাও এখানে প্রণিধানযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের হিসেব  বেশ জটিল। সিপিআইএম এর যে সাধারণ ভিত্তি, তার মূল সুরই হল তৃণমূল বিরোধিতা। তৃণমূলের প্রতি নরম এরকম কোনো সিপিআইএম সমর্থক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি সমর্থকদের চিন্তার উল্টোদিকে গিয়ে পার্টির নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে গণভিত্তি যেটুকু আছে, সেটুকুও পার্টিকে ছেড়ে চলে যাবে। গণভিত্তি খুঁজে নেবে তৃণমূলের বিরোধী শক্তিকে, ভোট দেবে তাকেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হবে বিজেপিই। বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়তেই তাই বামদের তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে। 


    সমস্যা হল, এতদিন এই যুক্তিতে চলেও কিন্তু সিপিআইএম তার গণভিত্তি অটুট তো রাখতে পারেইনি। বরং তাতে বিপুল ধ্বস নেমেছে। তবুও এই লাইনটিই অনুসরণ করে যাওয়া হচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তার খুব বেশি বিরোধিতা আসেনি। সিপিআইম এর যেটুকু গণভিত্তি এখনও আছে, তারা বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতা করলে বাম ছেড়ে ডান দিকে চলে যাঅবে, এ আশঙ্কার আদৌ কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি আশু বিপদকে মাথায় রেখে সর্বাত্মক বিজেপি বিরোধিতা করলেই বামদের যেটুকু ভিত্তি আছে তা আরও শক্তপোক্ত হবে? এ  নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক  হওয়া দরকার। বিহার নির্বাচনের পর বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনলেন দীপঙ্কর। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে বিহারের অন্তিম ফলাফল। তারপর সমস্ত তাসই এসে যাবে টেবিলে। সেসব টেবিলের নিচে লুকিয়ে না ফেলে সমস্ত সম্ভাবনা, সমস্ত বিচার এবং সামগ্রিক বিতর্ক অবশ্যই প্রয়োজন। 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tapas Das | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১১:২৮99890
  • প্রতিভাদি, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে মমতা কল রেখেছিল। সবাইকে, সমস্ত বিরোধীদের একজোট হবার কথাও বলেছিল। আমার একটা অন্য প্রশ্ন আছে৷ এই যে বড় হাতের ইংরেজি এস, বা মায় প্রতিভাদি, এত আক্রমণাত্মক হয়ে কথা শুরু করেন কেন? এটা কি কিঞ্চিৎ অতি আত্মবিশ্বাস যে বাকিরা সবাই খারাপ, আমরা ভাল, নাকি উল্টোটা?

  • Tapas Das | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১১:৩৩99891
  • আমার আরেকটা প্রশ্ন আছে। এটা রাজনৈতিক। বা একাধিক। 


    ১) ভারতে প্রধান দ্বন্দ্ব কী? 


    ২) ভারতের গারিব-গুর্বো খেটে খাওয়া মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু কোন রাজনৈতিক দল? 


    ৩) ভারত আর পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিত উপরের দুটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে আলাদা কিনা। 


    এ বিষয়ে সিপিএমের মত জানতে চাই। অফিশিয়াল মত। 

  • T | 103.211.20.106 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১২:০৩99893
  • দীপঙ্কর বাবু ভাবছেন যে পশ্চিমবঙ্গে এখন বোধহয় দুরকমের ভোটার। প্রো বিজেপি এবং অ্যান্টি বিজেপি। এজন্য উনি বিজেপি বাদে সমস্ত পার্টিকে একজোট হতে বলছেন। কিন্তু রিয়েলিটি হ'ল পশ্চিমবঙ্গে এখন দুরকম ভোটার। প্রো তৃণমূল এবং অ্যান্টি তৃণমূল। অ্যান্টি তৃণমূল ভোট যত ভাগ হবে তত মুলোদের লাভ। এজন্য তৃণমূলকে এখন দায়িত্ব নিয়ে বামেদের সমর্থন বৃদ্ধির পথে নামতেই হচ্ছে। এজন্য জেলায় লেফটের অ্যাত পার্টি অফিস খোলার ধুম যেগুলো বছর চার পাঁচেক আগে খোলার কথা ভাবাই যেত না। ঃ))))   


    এই প্রো এবং অ্যান্টি তৃণমূল ব্যাপারটা মূলতঃ ইয়ং জেনারেশন ভোটারদের জন্যই মনে হয়। এরা সোশ্যাল মিডিয়ার বিষে বেশী ভালনারেবল, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা খুব শ্যালো, পপুলার রেটরিক সর্বস্ব। কিছু অংশ ব্যতিক্রম তো আছেই কিন্তু মোটের উপর এইরকমই। আঞ্চলিক সমস্যা, দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে জিজিতে যাচ্ছে, সেসব সম্পর্কে উদাসীন কেননা 
    নিজেদের খাও পিও জিওটুকু হলেই চলে যায়। অ্যাসপিরেশনাল। আর মাঝবয়সীদের ভোটটা ইসলামোফোবিয়া জনিত কারণে মোটামুটি এখন অ্যান্টি বেগম। অন্যান্য কারণ আছেই, কিন্তু খুঁচিয়ে দেখলে এইটাই উঠে আসে। 


    তো, মাঝবয়সী ভোটারদের ভোট কিছুটা হলেও যদি লেফটে যায় তাহলে মমতার লাভ। ইয়ংদের মোটামুটি ডিসাইডেড, ও আর চেঞ্জ কিছু খুব একটা হবে না। বুমারদের ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এই যে এখন লেফটকে তোল্লাই দিতে হবে যে বাবারা দয়া করে গুছিয়ে আমার শ্রাদ্ধ করো এইটা খানিক মজার হ'ল কারণ পোস্ট দুহাজার এগারো যে পরিমাণ বদল নয় বদলা চলেছে সেসব নিজেদের দিকে ধেয়ে আসবে এবার।


    দীপঙ্কর বাবুর ফর্মুলা মেনে তৃণমূল কং বাম জোট করলে সেটা হারাকিরি হবে তিন দলের কাছেই। কারণ এই রামধনু জোটের বিপরীতে বিজেপিকে একটি প্রকৃত হোমোজিনিয়াস, ধোয়া তুলসীপাতা, শিরিরাম সেনার অবতার হিসেবে তুলে ধরা হবে। ভেবে দ্যাখো যে সেই কাঁথি উপনির্বাচন থেকে শুরু করে হালের লোকসভাতেও বিজেপি অ্যাতো ভোট পেয়েছে সেরকম কোনো গণসংগঠন ছাড়াই। বিজেপি ভার্সেস রেস্ট হয়ে গেলে আর দেখতে হবে না। মমতা যদ্দিন আছে তদ্দিন তৃণমূল আছে, ওঁর পর দলটাই থাকবে না, প্রায় পুরোটাই বিজেপিতে যাবে। কং ও ফতুর হবে। শেষের সেদিনে মুখোমুখি দাঁড়াবে দুটো ক্যাডার বেসড পার্টি। তার আগে ভুলভাল শক্তিক্ষয় করে লাভ কী।

  • Amit | 120.22.215.106 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১২:২৬99894
  • মমতার নিজের চেলা গুলো কটা টেকে ভোট অবধি সেটা দেখা যাক আগে। অধিকারী বাপ আর ছেলে তো অলরেডি লটকে আছে। 


    আর মমতা ২০১৯ এ আদৌ কোনো সৎ উদ্দ্যেশ্যে বিজেপি র বিরুদ্ধে প্যান ইন্ডিয়া জোট বাঁধতে বলেনি. এক পব ছেড়ে দিলে তো তেনার দৌড় শেষ. তাই ওসব ভাট মেরে আদতে  জল মাপছিলো , যাতে মেজরিটি সরকার নাহলে, দিব্যি দরাদরির সুযোগ পায়। নিজে রাজ্যে কারোর সাথে জোট করে একটাও সিট্ ছেড়েছে ? ৪২ টা সিট এইতো গায়ের জোরে জেতার চেষ্টা করছিলো। সেগুড়ে কয়েক বস্তা বালি পড়ে গেছে. 


    যা ইচ্ছে হোক.  

  • পিনাকী | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৩:০০99895
  • দীপংকরবাবু সরাসরি তৃণমূলের সাথে জোটের কথা ওভাবে বলেননি। যেটা বলেছেন সেটা হল 'ডিফীট তৃণমূল' ফোকাস থেকে সরে এসে 'ডিফীট বিজেপি' তে ফোকাস করা। এটা পব-র বামেদের একাংশের (সুজন-সেলিম এবং তাদের ফলোয়ার, টু বী প্রিসাইজ) জন্য প্রযোজ্য। ওনাদের বক্তব্য হল তৃণমূলকে পরাজিত না করে বাংলায় বিজেপিকে রোখা যাবে না। তাই প্রাথমিক কাজ তৃণমূলকে তাড়ানো। এটা শুধুমাত্র তৃণমূলের কাছে মার খাওয়া সমর্থকদের ধরে রাখার জন্য ওনারা বলছেন - এমন মনে হয়নি। এটাকে কৌশল থেকে একধাপ এগিয়ে প্রায় নীতির জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছেন। আমার মনে হয়েছে সিপিএমের একাংশের মধ্যে সারজল পাওয়া এই লাইনটাকে লক্ষ্য করেই দীপংকরবাবু এই কথা বলেছেন। ওই লাইনটা আত্মঘাতী। ডিফীট বিজেপি বলার মানে তৃণমূলকে জেতানো নয়। নিজেদের সংহত করা। নিজেদের ভোট ধরে রাখা। সেটা করতে গেলে কোথাও তৃণমূল জিততেও পারে। নাও পারে। কিন্তু ডিফীট তৃণমূল কল রাখলে তৃঞমূলের অত্যাচারে ক্ষ্ব্ধ সমর্থকরা গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন। এইটা আটকানো দরকার। তৃণমূলের স্বার্থে নয়। সিপিএমের নিজের স্বার্থেই। 

  • অ-সিপিএম | 2402:3a80:a30:ca3b:9456:40aa:348d:a251 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৩:২১99896
  • দীপংকর ভট্টাচার্যের বক্তব্য ছিল, তৃণমূল আর বিজেপি-কে এক ব্র্যাকেটে রাখা যায় না। crux তো এটাই। যেখানে গিয়ে সিপিএমের অসুবিধা হচ্ছে। 

  • b | 14.139.196.16 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৩৪99897
  • ২০১১ ভোটের আগে কিষনজীও মমতার হাত ধরেছিলেন (এবং ভাইসি ভারসা )। তারপর  ভদ্রলোকের নিচের চোয়াল উড়ে  গ্যালো । 

  • পিনাকী | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৩৮99898
  • হ্যাঁ ক্রাক্স এটাই। কিন্তু কিছু প্র্যাকটিকাল অসুবিধা আছে যেটা হয়ত বাংলায় সিপিএমকে যেভাবে ফেস করতে হয় লিবারেশনকে সেভাবে হয়না। বিভিন্ন গ্রামে যেখানে তৃণমূলের আক্রমণে সিপিএমের সমর্থকদের গ্রামছাড়া হতে হয়েছে সেখানে তৃণমূল বিরোধিতাকে প্রায়োরিটি লিস্টে দুনম্বরে পাঠানোটা সহজ কাজ নয়। আমার মতে সেটা করার প্রয়োজনও নেই। কিন্তু সেটাকে জেনারালাইজ করে 'তৃণমূলকে না হারিয়ে বাংলায় বিজেপিকে রোখা যাবে না' - এরকম লাইন ফর্মূলেট করে সর্বত্র প্রয়োগ করতে চাওয়াটাই সমস্যা। কারণ এই লাইনের একটাই পরিণতি - বিজেপিকে জেতানো। 

  • অ-সিপিএম | 2402:3a80:a30:ca3b:9456:40aa:348d:a251 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪০99899
  • সে মানস ভুঁইয়া তো সিপিএমকে জড়িয়ে ধরে পরে তৃণমূল হয়েছেন। আর সিপিএম কি চোয়াল ওড়বার ভয় পাচ্ছে নাকি এখন, এত চোয়াল ওড়ানোর পর? 

  • PT | 203.110.242.10 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪২99900
  • "তৃণমূলকে পরাজিত না করে বাংলায় বিজেপিকে রোখা যাবে না।" কেউ এক্জন লিখেছেন আমার আগে। রাজ্যে  রাজ্যে বিজেপি বেঁচে আছে সেই সব রাজ্যের ছোট বা বড় দলের কাঁধে চেপে। সম্প্রতিকতম সময়ে বিহারে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হল LJP-র সাহায্যে আর বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছিলই নীতিশের দাক্ষিণ্যে। পব-তেও বিজেপির উত্থান তিনোর হাত ধরেই। ঐ দুই দলের এখনকার ঝগড়াটা ঘরেলু ব্যাপার। বামেদের উত্থানের কোন সম্ভাবনা দেখলেই দিল্লীর (পড়ুন RSS) নির্দেশে ঘোষ এন্ড কোং চেপে যাবে। বামেদের বাদ দিলেও, তিনোরা কংগ্রেসের উত্থান রোখারও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

    একটা ফাটা রেকর্ড বাজাই। তিনোদের অনশন মঞ্চে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি ও সেই আন্দোলনে বিজেপির সমর্থন প্রসঙ্গে দীপঙ্করের কি অবস্থান ছিল? নন্দীগ্রামের অশান্তির সময়ে অধিকারী পরিবারের কোন "শ্রেণী স্বার্থ" জড়িয়ে ছিল সে প্রসঙ্গে দীপঙ্কর কি বলেন (বা বলেছেন) জানার ইচ্ছা রইল।

    মনে রাখা ভাল যে শুধু বামেরাই নয়, ওয়েসিসের দলও বিহারে ভাল ফল করেছে। তারা পব-তেও ভাল ফল করলে তা তিনোর বিরুদ্ধে যাবে। তারা কত ভোট কাটবে সেটাও অনিশ্চিত।

    তবে একটা সলতে পাকানোর ব্যাপার ঘটলে অব্স্থান্তর হতে পারে। তিনোরা প্রকাশ্যে ঘোষাণা করুক যে বিজেপির সরকারে সঙ্গে মন্ত্রীত্ব করা ও পব-তে বিজেপির উত্থানে সাহায্য করা (মাসীমার মালপো থেকে শুরু করে) একটা "ঐতিহাসিক ভুল" ছিল।

  • Prativa Sarker | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৩৫99902
  • তাপস দাস, আমি তো আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলেছি। কোনো পার্টির হয়ে বলিনি, সে স্ট্যাটাস বা র‍্যাঁলা নেই। তো আমরা এল কোদ্দিয়ে?  আত্মবিশ্বাসী বা ম্যাদামারা যাইই বল সে আমি। তুমিও যথেষ্ট আক্রমণাত্মক হয়েই প্রশ্ন করেছ বা কর, কিন্তু জানি নিজের মতামতই ব্যক্ত করছ। নাকি ভেবেছ বড় হাতের এস আর আমি সলা করেছি। নাকি মহিলা বলে মিনমিন করাটাই দস্তুর! 


    মমতা যখন জোটের কথা বলেছিল তখন এই কথাই উঠে এসেছিল যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে ক্যান্ডিডেট দেবে। এই কথাই মুখ্যমন্ত্রীর শেষ কথা ছিল। কিন্তু জোটের অঙ্ক তো অন্য। আসন ভাগাভাগিতে অনড় থাকলে মোটে চলে না। জোট যদি হয় বামদল যেখানে প্রার্থী দেবে, সেখানে শক্তিশালী না হলেও তার জন্য বডি ফেলে দিতে হবে জোটের অন্যান্য দলকে। এখানে তো সে সম্ভাবনা অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে। এখন তো এইরকমই বলা হয় যে বামদল গুলি কেবল সাইনবোর্ড। তা সাইনবোর্ড আর কোথায় শক্তিশালী !  তার মানে তো তৃণ দাঁড়াবে আর বাম সাপোর্ট করবে। সেই মহাজোটের কথা বলছ তুমি ? 

  • এলেবেলে | 202.142.71.48 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৪৮99903
  • এই গুরুদের মাঝে এক নিছকই চণ্ডাল হিসেবে চাট্টি ফোড়ন ছিটিয়ে যাই।


    ১) দীপংকর ভট্টাচার্য -- বাংলায় কোনও দিনই ফ্যাক্টর নন। এক মার্কামারা লিবারেশন ছাড়া কেউ তাঁকে পোঁছেন বলে মনে হয় না। নন্দীগ্রাম পর্বে তাঁর কী অবস্থান ছিল? নাকি তখন তিনোকে অ্যান্টি-বিজেপি মনে হয়েছিল?


    ২) দু বছর আগের পুজোর কথা বলছি। যাদবপুর এইট বি-তে গণশক্তির পুজোর স্টল। তার বাইরে শতরূপ, ভেতরে শাক্যজিৎ। যদিও শাক্য আমাকে চেনেন না। সেই সময়ে বামদের মহাজোট পালা চলছে। হঠাৎ স্টল জুড়ে কমরেডদের হইহই। কী ব্যাপার? না দীপংকর ভটচাজ আসছেন! ভাবখানা এমন যেন স্বয়ং স্ট্যালিন ঢুকছেন স্টলে!!


    ৩) সেই দীপংকর এখন ব্রাত্য বঙ্গীয় বামেদের কাছে। সেই বাম তিনোর সঙ্গে জোট বাধুক ছাই না বাধুক, তাতে বাংলার ভোট প্যাটার্নের কিস্যু এদিক-ওদিক হবে না। গ্রামে থাকি, ফলে মাটির গন্ধ সেই পঞ্চায়েত থেকেই পাচ্ছি (যদিও সেই নিয়ে গুরুর ভারিক্কি তাত্ত্বিকরা খিল্লি কম করেননি)।


    ৪) তিনোর আগ বাড়িয়ে বামেদের সঙ্গে জোটের প্রশ্নই নেই। তাহলে দিদিই ২৯৪টা সিটে লড়ছেন, আমরা প্রার্থী মাত্র -- এই ইমেজ ভেঙে চুরমার হবে।


    ৫) খিল্লি করতে পারেন। করাই স্বাভাবিক। ২০২১-এ বাংলায় বিজেপি প্রায় এসে বসে আছে।


    আপনারা গুরুগম্ভীর তাত্ত্বিক আলোচনা চালিয়ে যান।

  • Prativa Sarker | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৫৭99904
  • দীপংকর ব্রাত্য এইকথার মানে বুঝলাম না। লিবারেশন তো এখানে সিপিএমের সঙ্গেই আছে বলে জানি। 


    পিণাকী মিত্রের কথা যুক্তিসঙ্গত মনে হল।

  • এলেবেলে | 202.142.71.48 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:০২99905
  • আছে কিন্তু কেউ পোঁছে না। বাংলাতে ফুটো কড়িও দাম নেই। যত ক্যারদানি বিহারে। ব্রাত্য অর্থে তাঁর মতকে বঙ্গীয় সিপিএম পাত্তা দেবে না।

  • Tapas Das | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:০৬99906
  • “যত্তসব হিপোক্রিট ধান্দাবাজ লোকজন।” - S_ “এখানকার মন্তব্যগুলো দেখিয়ে দিল নির্লজ্জতা কাকে বলে।” - Prativa Sarker


    এই দুটি মন্তব্য একই ধরনের। সে কারণে আমার এই প্রশ্ন ছিল। “এই যে বড় হাতের ইংরেজি এস, বা মায় প্রতিভাদি, এত আক্রমণাত্মক হয়ে কথা শুরু করেন কেন?”


     মহিলা, মিনমিন ইত্যাদি নিয়ে উত্তর দেব না।


    আমি কোনও মহাজোটের কথা বলিনি। আমি সিপিএমের মমতা সম্পর্কে যে মূল্যায়ন, তা নিয়ে কথা বলছিলাম। আমার প্রশ্নগুলি পয়েন্ট আকারে লিখেছি। কোনও সিপিএম সমর্থক, বা অন্য কেউ  যদি জানেন, তাহলে বলবেন।

  • dc | 103.195.203.74 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:১৪99907
  • এই প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরগুলো আমার জানা, তাই চটপট উত্তর লিখে দিলাম। দশে দশ দেওয়া চাই কিন্তু। 

     

    ১) ভারতে প্রধান দ্বন্দ্ব কী? 


    ভারতের প্রধান দ্বন্দ্ব হলো মোল্লাগুলোকে আরও টাইট দেওয়া যাবে কিনা। মথুরা আর কাশীতে কবে মন্দির তৈরি হবে। তেজোমহল কবে কব্জা করা যাবে। 

    ২) ভারতের গারিব-গুর্বো খেটে খাওয়া মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু কোন রাজনৈতিক দল? 


    এতো সহজ প্রশ্ন কেউ করতে পারে ভাবিনি। ভারতের গরিব গুর্বো মানুষের প্রধান শত্রু মাওবাদীরা, যাদের হাত ধরে আছে আর্বান নক্সাল আর জেএনইউ বিপ্লবীরা। আর আর্বান নক্সালদের চালাচ্ছে সমস্ত বিরোধীরা। অর্থাত কিনা ভারতের গরিব গুর্বো মানুষের সবচেয়ে বড়ো শত্রু সব বিরোধী দলগুলো। 

    ৩) ভারত আর পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিত উপরের দুটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে আলাদা কিনা। 

     

    দূর ওসব প্রেক্ষিত টেক্ষিত আবার কি? যারা জয় শ্রীরাম বলতে পারেনা তাদের বের করে দেওয়া হবে। এই সোজা কথাটা তো কদিন আগেই আমাদের সবার প্রিয় প্রধানসেবক বলে দিলেন, তারপর আবার প্রেক্ষিত আসে কোত্থেকে? 
     
  • এলেবেলে | 202.142.71.48 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২২99908
  • ডিসি জনাব, চেন্নাইতে থাকেন। ফলে ওইসব লিবারাল বুলি খুব সহজেই কী-বোর্ডের ডগায় নাচানাচি করে। ওসব রামমন্দির-মথুরা-কাশী-কাশ্মীর-কালবুর্গি-ক্যা কোনও বস্তুটা নিয়েই গ্রামের মানুষ মাথা ঘামাচ্ছে না। তাঁরা এখন গোদা দুটো ভাগে বিভক্ত। বেশিটাই বিজেপির দিকে ঝুঁকে। শুভেন্দু পাল্টি খেলেই ঝাঁক বেঁধে ঝাঁকের কইরা বিজেপিতে ঝাঁপ মারার জন্য ওঁত পেতে আছে। শুধু সিগন্যালের অপেক্ষা।

  • dc | 103.195.203.74 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২৮99909
  • এলেবেলে আপনার কথা মানছি। তবে কিনা দেখেছেন তো, নতুন আইন হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া এখন সরকারের আওতায়। তাই আর কি :-)

  • PT | 203.110.242.22 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৩১99910
  • ট্রাম্প সাম্রাজ্যের পতনের পরে হীরাভর পুনর্জন্ম!!

  • Prativa Sarker | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৩২99911
  • তাপস, জোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আহবান তুমি মনে করিয়ে দিয়েছ। কিন্তু কোন শর্তে সেই জোট চাওয়া হয়েছিল সেকথা মনে করিয়ে দেবার পর সিপিএমের মমতা সম্পর্কে মূল্যায়নের কথা বলছ। সে মূল্যায়ন যাইই হোক না কেন,তাতে আমার কী!  আমি একজন সাধারণ মানুষ হয়ে আর একজন সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করছি যে ঐ শর্তে কোনো রাজনৈতিক দল কোনো জোটে যাবে কিনা। আমার সবই কমন সেন্সের কথা। আশা করি এই প্রশ্নের জবাবটা দেবে। 

  • এলেবেলে | 202.142.71.48 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৩৩99912
  • আম্মো তো ওই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাম না জন্মাতেই রামায়ণ রচনা করছি।)))))))))

  • T | 103.211.20.106 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৫৩99913
  • পিনাকীদা,এরকম কোনো স্বীকৃত লাইন নেই যে প্রথমে তৃণমূল যাক তারপর বিজেপির সঙ্গে বুঝে নেব,মানে ডিফিট তৃণমূল বা ডিফিট বিজেপি না। গত লোকসভায় দুটোকেই পরাজিত করুন এই শ্লোগানে যাওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে লেফটের জোটে যাওয়া মানে পুরো বিরোধীতার স্পেসটাই বিজেপিকে দিয়ে দেওয়া। য্যানো বিজেপিই ক্ষমতায় আছে,আর তাকে উৎখাতের জন্য লড়া হচ্ছে। শুধু তাই না, খেলাটা তখন বিজেপির পিচে মানে রামমন্দির, ভীরাট হিন্দু, তিনশো সত্তর এইসবে হবে। সেটা তো একেবারেই কাঙ্খিত নয়। 


    তবে, রাণীমার এখনই ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি নেতারা যতই দাবী করুন, গদি ওল্টানো থেকে ওরা অনেক দূরে এখনো।

  • Amit | 27.33.83.96 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০৫99914
  • সেটা যদিও ভ্যারিয়েবল।তিনোর কয়েকটা মেজর উইকেট পড়লেই(শুভেন্দু র মতো অনেকেই লাইনে আছে বা দরাদরি করছে ) বা সৌরভ গাঙ্গুলী র মতো কাউকে যদি সত্যিই মুখ্য মন্ত্রী হিসেবে প্রজেক্ট করতে পারে , খেলা ঘুরতে টাইম লাগবেনা। 

  • | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৭:০০99915
  • এন আর সি নিয়ে একটা দলকেও বিশ্বাস করি না। সকলেই উনিশ বিশ বিজেপী করছে সময়ই দেখা যাচ্ছে দিব্বি। 

  • Tapas Das | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৭:১২99916
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বাম দল এবং কংগ্রেসের কাছে বিজেপি-কে হারানোর জন্য তাঁকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। সিপিএমের তরফ থেকে সুজন চক্রবর্তী সেদিনই এই আহ্বান উড়িয়ে দেন। তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসও একই সুরে কথা বলে। মমতা ঠিক জোটের আহ্বান জানাননি, এটা ঠিক। কিন্তু এই “ভাই, এমব (যথা)  তো কখনো শুনিনি একপক্ষ কোনো আগ্রহ দেখায় না, আরেকপক্ষ নিজে থেকেই প্রস্তাব রেখে যাচ্ছে।”


    কিন্তু তাহলে এই বক্তব্যটা কী করে এল, এর রেফারেন্স কী? “মমতা যখন জোটের কথা বলেছিল তখন এই কথাই উঠে এসেছিল যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে ক্যান্ডিডেট দেবে।"


    অবজেক্টিভ অ্যানালিসিসের স্বার্থে উল্লেখ রাখা উচিত, যে আহবানের এ দশা দেখে মমতা পরদিনই বলেছিলেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করেছে সংবাদমাধ্যম।


    আমি উত্তর দিতে শুরু করেছিলাম বটে, কিন্তু প্রশ্নের সাপেক্ষটা কীরকম ঠাহর করতে পারছি না। 


    একটা খুব মুশকিলের ব্যাপার দেখি, সোশাল মিডিয়ায় সিপিএমের পক্ষে যাঁরা তোড়ে কথা বলেন, বিভিন্ন সময়েই দেখি, তাঁরা একই সঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে তাঁদের বিচ্ছিন্নতার কথাও বলেন। এইটা ঠিক কোনও একজনকে দেখে বা শুনে বলছি না। সাধারণভাবেই। এই যে সৈকত গণভিত্তির কথা লিখেছে, সেই গণভিত্তির ব্যাপারটা তো সোশাল মিডিয়ারহিত হতে পারে না। তাহলে কি সিপিএমের গণভিত্তি একটু এইরকম, আমার মাতৃকুলের ভাষায় যাকে বলে ‘অ্যাড়ো অ্যাড়ো ছ্যাড়ো ছ্যাড়ো’, সেরকম হয়ে দাঁড়াচ্ছে? 


    আমার প্রশ্নগুলো, কেউ যদি...

  • এলেবেলে | 202.142.96.206 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৭99917
  • আচ্ছা এই সুযোগে আমার একটা ভুল লেখাকে ঠিক করে দিয়ে যাই। বাংলার ভোট যে মারাত্মক রকমের পোলারাইজড হয়ে গেছে এবং বেশ কিছু সিট (আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম ১৩-১৪টা) বিজেপি পেতে চলেছে, এই কথাটা আমি রানাঘাট লোকসভার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করার সময়ে ভোটগ্রহণের ঠিক আগের দিন, গুরুর কোনও একটা টইতে লিখেছিলাম। পরে একমাত্র অমিত সেটাকে স্বীকৃতি দেন। পরে মানে রেজাল্ট বার হওয়ার পরে।


    আগে ভুল করে 'পঞ্চায়েত' লিখেছিলাম।


    আর পঞ্চায়েতের ভোটগণনার সময়ে আমার ডিউটি ছিল নাকাশিপাড়ায়। নদীয়া। সেখানে প্রচুর সিপিএম কাউন্টিং এজেন্টের সঙ্গে আমি গপ্পো করার সুযোগ পেয়েছি পকেটে দুটি দেশলাই নিয়ে যাওয়ার সুবাদে। আমার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির কাউন্টিং করার দরকার পড়েনি। কারণ ভোটই হয়নি। সেখানে সিপিএমের কমরেডরা একটা নতুন স্লোগান আমাকে উপহার দেন --- (আমার দেশলাই থেকে বিড়ি বা সিগারেট ধরিয়ে) 'দুহাজার উনিশ দিদি ফিনিশ'। 


    ধন্য আশা কুহকিনী!!

  • santoshbanerjee | 43.239.80.22 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪৪99918
  • সংসদীয় গণতন্ত্র এর চোরাবালি তে ( সরোজ দত্ত কে টুকে দিলাম ) পা দিয়ে ওসব "নীতি " "আদর্শ "..প্রধান শত্রূ আর অ- প্রধান শত্রূ ..এসব আলোচনা করে লাভ আছে কি ???শুয়োরের খোঁয়াড়ে (আবার টুকলাম লেনিন থেকে )ঢুকেছ বাওয়া ..যাবে কোথায় ???

  • Pinaki | 136.228.209.38 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৩99919
  • @T, হ্যাঁ, অফিশিয়াল লাইন যে নয় তা জানি। কথাটা অফিশিয়াল লাইন নিয়ে হচ্ছে না। নেতৃত্বএবং কর্মীদের একটা বড় অংশ (সবাই যে তৃণমূলের অত্যাচারে অত্যাচারিত এমনও নয়) এটা বিশ্বাস করেন যে বিজেপি একবার জিতলে তৃণমূল দলটা উঠে যাবে এবং তখন টক্কর হবে বিজেপির সাথে সিপিএমের। ওপরেই একজন বললেন যে দুটৈ ক্যাডার বেসড পার্টি, ফলে অ্যাজ ইফ এই দুটো দলই শেষত মুখোমুখি থাকবে। অথচ এই প্রত্যাশার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। ভারতে বহু রাজ্যে ক্যাডার ভিত্তিক নয় এমন দক্ষিণপন্থী বা মধ্যপন্থী আঞ্চলিক পার্টি গত তিরিশ চল্লিশ বছর ধরে টিকে আছে। কখনও হেরে হারিয়ে গেছে আবার ফিরে এসেছে। এরকম কোনো গ্যারান্টি নেই যে তৃণমূল হেরে গেলেই উঠে যাবে বা বামেদের জন্য স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে। কিন্তু মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকা এইসব বোঝাপড়াই রিফ্লেক্টেড হয় তৃণমূলকে হারানোর প্রায়োরিটি দিয়ে। এবং সেটাকে নালিফাই করার জন্যই খুব স্পষ্টভাবে এবং সচেতনভাবে 'ডিফীট বিজেপি' মেসেজ দেওয়া সিপিএমের দিক থেকে প্রয়োজন। সেজন্য মমতাকে ভোট দিতে বলারও প্রয়োজন নেই। নিজেদের ভোট দিতে বলাই যথেষ্ট। কিন্তু সামগ্রিক রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে সিপিএম বাংলায় বিজেপিকে তৃনমূলের চেয়ে বেশি বড় বিপদ মনে করছে কিনা - সেই বার্তা পরিষ্কার হওয়ার প্রয়োজন আছে। দীপংকর সেটাই বলেছেন। এর মানে তৃণমূলকে ক্লীনচিট দেওয়াও নয়, তৃণমূলকে ভোট দিতে বলাও নয়। এবার ডেফিনিটলি বীরভূমের গ্রামের জনসভায় সিপিএম যখন বক্তব্য রাখবে তখন তৃণমূলের গুণ্ডামো বা দুর্নীতি হয়ত প্রায়োরিটিতে থাকবে, সেসব বার্তা আঞ্চলিক গণভিত্তির চরিত্র অনুযায়ী অবশ্যই পাল্টে পাল্টে যাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মেসেজটা স্পষ্ট হওয়া জরুরি। এই মুহূর্তে সেটা একেবারেই স্পষ্ট নয়, বা বলা ভাল তৃণমূলকে হারানোর তাগিদই প্রায়োরিটিতে রয়েছে - এরকম মেসেজই ডমিনেটিং।   

  • এলেবেলে | 202.142.96.206 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ২০:১৮99920
  • ধ্যাত! কিচ্ছু জানেন্নাকো। সুইডেনের বুর্জোয়া আপনি। আমাদের পার্টির কী খবর রাখেন মশাই? আমরা তো সেই ১৮-র পঞ্চায়েত থেকে সমোদুরোত্তো-র নীতি নিয়ে চলছি। কিন্তু জানি দিদিকে হারাবার মাজার জোর আমাদের চলে গেছে। তাই দলে দলে বিজেপিকে ভোট দিইছি। ওরা একুশে আসলেই আমাদের কেল্লা ফতে। ২৬শে আমরাই আমরা। এবারে আর ৩৪ নয়, ৭৪ বছরের রেকর্ড করব। পুরো একুশ শতকটাই আমাদের হবে। দেখে নেবেন। 


    এই পাঁচ বছর শুধু বিজেপিকে গাল দিয়ে আর কংকে আড়াল করে একেনে-ওকেনে গম্ভীর সব পোবোন্দো লিখে কাটিয়ে দেব। ফাটিয়েও দেব।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::d74:f707 | ১১ নভেম্বর ২০২০ ২২:১৭99921
  • শর্ট টার্মে মানে এই ইলেকশানে তিনোকে প্রায়োরিটি না করার তো কোনও কারণ দেখছি না। তারাই ক্ষমতায়। তাদের আমলেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। এমনকি রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বের একটা বড় অংশ প্রাক্তন তিনো। তিনোদল এবারও টিকে গেলে, টিকে যাবেও, রাজ্যে দুটো ডেন্জারাস রাইট উইঙ্গ পার্টি থেকে যাচ্ছে। একদল তো পুরো সাম্প্রদায়িক গুন্ডা। আরেকদলের প্রধান নেত্রী মাইনরিটিদের দুধ দেওয়া ইত্যাদি মনে করেন, দুই সম্প্রদায়কেই ভাতা দেন।

    তিনোদল হেরে গেলেই হয়তো উঠে যাবে না। তবে ভেঙে যাবে। অনেকেই বিজেপিতে জয়েন করার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছে। অনেকে হয়তো কঙ্গ্রেসে ফিরেও আসবে। অনেকে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাসও নিতে পারে। সিবিআই কার পিছনে কতদুর আছে, তার উপর নির্ভর করবে। তিনোদলের শক্রিহ্রাস করাটাও জরুরী। তাহলেই আবার দিদি স্বমহিমায় এসে কেন্দ্রে বিজেপিকে সমর্থক দিয়ে বসবেন। তখনই রাজ্য রাজনীতির ষোলোকলা পূর্ণ হবে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন