তাহলে কি সিপিএম, কংগ্রেস এই রাজ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল? একদা বিহারে, মহারাষ্ট্রে যথেষ্ট শক্তি থাকা সত্ত্বেও কমিউনিস্ট পার্টি গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছিল আইডেন্টিটি পলিটিক্সের জোয়ারে (এখন অবশ্য সিপিআই এম-এল ফের কিছুটা শক্তি সংগ্রহ করতে শুরু করেছে বিহারে)। ২০০৪-এ তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভায় মাত্র একটা আসন জিতেছিল। কিন্তু তারপর ফের নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে ফিরে এসেছিল তৃণমূল, কারণ, সিপিএম বিরোধীদের কাছে তখন আর কোনও বিকল্প ছিল না। ফলে একটা চাহিদা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন সিপিএম-এর চাহিদাটাই কি নেই? আসলে ৩৪ বছরের অ্যান্টি ইনকামবেন্সির প্রভাব সিপিএমের ক্ষেত্রে এখনও কাজ করে চলেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসকে মানুষ চাইছে, বেশ কিছু রাজ্যের ভোটে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের নেতা রাহুল বা প্রিয়ঙ্কার সেই সেই চাহিদা অনুযায়ী কোনও ভূমিকা গ্রহণ করার যোগ্যতা নেই। ফলে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্ট হয়েছে। বিজেপির সুবিধা হয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের অবস্থা জলসাঘরের নায়কের মতো। মাথায় বসা ছাড়া অন্য কোনও ভূমিকার কথা ভাবতেই পারে না কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেস এলে ভালো, না এলে, কংগ্রেসেকে বাদ দিয়েই একটা ন্যাশনাল ফ্রন্ট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। সেই মঞ্চে, এবারের ভোটের ফল বলছে, মমতা বন্দ্যোপাথ্যেয়ের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়তে পারে। তিনি ইংরেজি কতটা ভুল বলেন, সে তর্ক যারা করতে চান করুন, কিন্তু চাপের মুখে লড়াই করার যে গুণ একজন বড়ো নেতা বা নেত্রীরে থাকাটা জরুরি, সেটা এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যতটা আছে তেমন আর অন্য কোনও রাজ্যের বিরোধী নেতা-নেত্রীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে গ্রামে-গঞ্জে শুধু নামে চেনে, নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যদের বাইরে বিরোধী শিবিরে, লালু যাদবের জেল এবং রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পর, মমতা ছাড়া আর কেউ নেই।
স্বাধীনতার পর ভারতে প্রথম নির্বাচনে, ১৯৫২ সালে, ১১ শতাংশ ভোট পেয়ে জ্যোতি বসু সহ ২৮ জন বামপন্থী জয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এসেছিলেন। ভারতীয় জনসঙ্ঘ পেয়েছিল ৬ শতাংশ ভোট। ক্ষমতায় থাকাকালীণ বামপন্থীরা এই রাজ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে ৫৪ শতাংশ। ৬৯ বছর পর এবারের ভোটে দেখা গেল একজন বামপন্থীও কোনও আসন জিততে পারলেন না। বামপন্থীদের জোট ভোট পেয়েছে ৮ শতাংশ। সিপিএমের ভোট ৫ শতাংশেরও কম। কংগ্রেসের ভোট ৩ শতাংশের কম। জনসঙ্ঘের উত্তরসূরি বিজেপির ভোট ৩৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বিজেপির মূল যে ভিত্তি সেই আরএস এবং কমিউনিস্ট পার্টি, দুই সংগঠনেরই বয়স এখন একশোর কাছাকাছি।
প্রয়াত সিপিএম সাংসদ সইফুদ্দিন চৌধুরী ১৯৮৯-৯০ সালে সিপিএমের রাজনৈতিক লাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, কট্টর দক্ষিণপন্থী শক্তি মাথা চাড়া দিচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট দরকার সিপিএমের। তারও আগে ১৯৭৪ সালে সিপিএমকে এই নিয়ে সতর্ক করেছিলেন পি সুন্দরাইয়া। সুন্দরাইয়ার সেই দলিলকে অবশ্য সিপিএম সত্যি বলে স্বীকারই করে না। সইফুদ্দিন বহিষ্কৃত হলেন এই সব দল বিরোধী কাজ-কর্মের জন্য। তার ২৬ বছর বাদে রাজ্য স্তরে সিপিএম আসন সমঝোতা করল কংগ্রেসের সঙ্গে। ২১-এ হল জোট। ততদিনে ভারতের রাজনীতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। ২০২১-এর সেই জোট, ভোট ভাগাভাগী করতে ব্যর্থ হল। সেটা ঠি মতো পারলে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসত। এটা ঠিক, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একটা অংশ ভোট হিন্দুত্ববাদীদের দিকে চলে গিয়েছে। তার মধ্যে কিছুটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটও রয়েছে। উল্টো দিকে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি তে চলে যাওয়া বেশ কিছু বাম ভোট এবং সংখ্যালঘু ভোট সহ কংগ্রেসের বড় অংশ ভোট তৃণমূলের বাক্সে ঢুকেছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বেশ কয়েকজনকে বামপন্থীকে জানি, যারা তৃণমূলকে হারাতে লোকসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, এবারে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন, বিজেপিকে আটকাতে। তাতেই তৃণমূলের ভোট বেড়ে ৪৮ শতাংশ হয়ে্ছে। কংগ্রসের ভোট যে তৃণমূলের দিকে যাচ্ছে তা অবশ্য বোঝা যাচ্ছিল অধীর চৌধুরীর নির্বাচনী বক্তৃতা শুনে। তাঁর ভাষণে আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল বিজেপি নয়, তৃণমূল। তার পর কী ঘটেছে মালদা-মুর্শিদাবাদের ফল দেখে তা বোঝা যাচ্ছে।
আমাদের এই ভাঙা-চোরা, কালি-ঝুলি মাখা অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা যে গণতন্ত্র আছে সেটাকে রক্ষা করাই আমাদের এখন প্রধান কাজ। ভবিষ্যৎ প্রমাণ করবে, কিন্তু এই মুহূর্তে বলা যায়, সেই কাজে বাঙালি একটা বড় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করল, এবারের ভোটে বিজেপিকে রুখে দিয়ে। বাঙালি বজেপির বিরুদ্ধে একটা শক্তিকে চেয়েছিল। বিজেপিও তার বহুমাত্রিক, সর্বগ্রাসী আক্রমণ দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছিল কে তার প্রধান শত্রু। সিপিএমের ‘বিজেমূল’ প্রচারে মানুষ একেবারেই কান দেয়নি। বাঙালির কাছে এই মুহূর্তের বাস্তবতা এটাই যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা ছাড়া তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য কোনও শক্তি ছিল না। যারা তাঁকে ভোট দিলেন, তাঁদের অনেকেই তৃণমূল নেত্রী অতীতে কী কী বলেছেন, কী কী করেছেন এই সব অসংখ্য প্রশ্ন এবং তর্ক সরিয়ে রাখলেন। বিজেপির পরাজয় তারই পরিণতি। দিল্লির সীমান্তে যে হাজার হাজার কৃষক মাসের পর মাস ধরে সত্যাগ্রহ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে, বিজেপির এই পরাজয় সেই আন্দোলনকারীদের মনোবল বাড়াবে। কংগ্রেসের যে কাঁদুনি, ওদের সঙ্গে মিডিয়া, ওদের সঙ্গে আদালত, ওদের সঙ্গে সব প্রতিষ্ঠান ফলে কী করে লড়াই হবে, এই আবাস্তব যুক্তিকে নাকচ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এই হার। মহাশক্তিধর বিজেপিকে যে একটা আঞ্চলিক দলও হারিয়ে দিতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে কাজটা হাতে কলমে করে দেখালেন তখনই যখন ধরে নেওয়া হচ্ছিল মোদী-অমিত শাহ-যোগী জুটি অপ্রতিরোধ্য। সমস্ত সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে, মোদী-শাহের গোটা জাতীয়-মেশিনারি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যে ভাবে বাংলা দখলের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা মমতা একাই ভেস্তে দিতে পারেন, সেটা বিজেপি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। শোনা যাচ্ছে ভোটে জিতে শপথের সময় দরকারে লাগবে বলে তাঁরা বড় বড় হোটেলে বেশ কিছু ঘরও তারা আগাম ভাড়া নিয়ে নিয়ে নিয়েছিলেন ২ মে থেকে। বঙ্গ দখলে মরিয়া বিজেপি লড়াইটাকে করে তুলেছিল মমতা বনাম নরেন্দ্র মোদীর। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পরাজয় নরেন্দ্র মোদীর হার হিসেবেই সারা ভারত দেখছে। একই সঙ্গে যেভাবে একটা রাজ্য দখলের লোভে, কোভিডকে অস্বীকার করে, নির্বাচন কমিশনের বেনজির প্রশ্রয়ে প্রায় ৪৫ দিন ধরে যে নির্বাচন পর্ব চালানো হল, হিন্দুত্ববাদীদের দায়িত্ব-জ্ঞানশূন্য রাজনীতির অন্যতম নজির হয়ে থাকবে এই ঘটনা।
খোলা নর্দমার সঙ্গে তুলনা টানার পরে অনেকে নর্দমা ঢাকা দিয়েছে। in fact কাউকে কোন গালাগাল না দিতেই আমার পিতৃদেবকে নিয়েও টানা টানি হয়েছিল। সেগুলো সবই রেকর্ডেড।
আরে রেকর্ডেড তো বটেই, সবই রেকর্ডেড। আপনিও নর্দমায় নামবেন না, অন্যদেরও নামাবেন না :-)
সিপিএম বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসামে NRC করতে চেয়েছে বলেই বাংলায় তিনোরাও সেটা চাইবে এমন কোন গ্যারান্টি নাই। বিজেপির পথই ভারতের পথ নাই হতে পারে।
বিজেপির পথই ভারতের পথ, ওটা তো পিটিদার নিজস্ব মত। অন্য অনেকেই সেই মতে সাবস্ক্রাইব করেনা সে তো দেখাই গেল, নাহলে তো পব, তামিল নাড়ু আর কেরলে বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসতো। এমনকি খোদ ইউপিতেও এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ সপাকে বেশী ভোট দিয়েছে।
"গুরুতে এসব ঢপবাজি চলে না, বিজেপিকে সামান্য একটু ঘুরিয়ে সাপোর্ট করেছ কি দশটা লোক ধরে ফেলবে"
সত্যি? গুরুর কেউ ধরনা মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতাদের দেখতেই পায়নি, ধরে ফেলা তো দূরস্থান। ঐ সময়েই তো বিষবৃক্ষের বীজ পোঁতা হল যেটাকে তিনোরা পেলে-পুষে বড় করল!! তখন কোথায় ছিলেন মহায়?
দিল্লীশ্বরেরা চোখ খুললেই জেহাদী দেখে আর গুরুতে তাদের ভাবশিষ্যরা চারপাশে বিজেপি দেখছে। আর সেই বীজ পোঁতার এতদিন বাদে একজন বিজেপি সাপোর্টারকে গুরুতে পাকড়াও করা গেছে!! কি এফিসিয়েন্ট এই গোয়েন্দাগিরি। আমেরিকার red under the bed কেও হার মানায়।
দয়া করে নর্দমার ঢাকনা আবার খোলা হোক। শুধু জ্যাঠামো বন্ধ হোক। মনে হয় না গুরুর সম্পাদকীয় দপ্তর কাউকে জ্যাঠামো করার দায়িত্ব দিয়েছে। জ্যাঠামোর চাইতে ঐ পাঁক আর দুর্গন্ধ অনেক বেশী সহনীয়।
আরে এতো রেগে যাচ্ছেন কেন? নাহয় আপনি বিজেপি সাপোর্টার, তো কি হয়েছে? এতোদিন মুখোশ পরে ছিলেন, এখন মুখোশটা খুলে গেছে। ও কিছু না।
রামবাম হাত মিলিয়ে ইউপিএ সরকারকে ফেলার চেষ্টা করেছিল হে ভাইপো। বিষবৃক্ষের বীজ কে পুঁতেছিল তা নিয়ে লুকোছাপা নেই তো।
পিটি সরাসরি লিখছে না কেন সে রাজ্যের ৫ টাকায় ডিমভাতের কাউন্টারের লোকেশন লিস্ট চায়? সোজা কথায় লিখছে না কেন সে সেই তালিকা থেকে কি প্রমাণ করতে চায়? পস্টুলেটটা কী? কোন বক্তব্যের কাউন্টার সে করতে চায়? রাজ্যে শ্রমজীবী ক্যান্টিন ক'টা আর কোথায় কোথায় রয়েছে? সেখানে যদ্দুর জানি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আর অনুদানের আনুকুল্যে ২০ টাকায় খাওয়া পাওয়া যায়। ৫ টাকার ডিমভাতের কাউন্টার কি সে কৃতিত্ব খাটো করছে বলে তার মনে হয়? ন্যূনতম কটা কাউন্টার এর খবর পেলে এ বিষয়ে তার ভাটানো শেষ হবে?
সোজা ভাষায় সরাসরি কী প্রমাণ করতে চায় না বলে এভাবে ঘুরিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে থাকলে আবার অচিরেই কাঁচা খিস্তি খাবে নিঃসন্দেহে।
আর এরকম যেকটা পস্টুলেট তার রয়েছে, একে একে গুছিয়ে হরিদাস পাল হিসেবে লগিন করে এক একটা ব্লগ পোস্ট হিসেবে সে রাখছে না কেন, যাতে করে স্পেসিফিক সেই পয়েন্টটা নিয়ে সরাসরি পক্ষে বিপক্ষে কথা সেখানে হতে পারে? গুরুর প্রতিটা টই, ভাটের প্রতিটা পাতায় সেই বক্তব্যগুলো দিনের পর দিন ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে রেটরিকালি প্লেস করে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও গুরু কর্তৃপক্ষকে টন্ট করে চলছে কেন সে? এটা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুরুর পাঠকদের ইরিটেট করা সেটা কী বোঝা যাচ্ছে না বলে সে মনে করছে?
৫ টাকার ডিম্ভাতের কাউন্টার সমূহের জেলাভিত্তিক তালিকাটি এখানে টাঙিয়ে দেওয়া হোক।
আসলে এবার "নো ভোট টু বিজেপি" ক্যাম্পেনের সাফল্যে পিটিদা খুব বেশী ক্ষেপে গেছে, তাই মাথাগরম করে বাঙালির বাপবাপান্ত করে ফেলেছিল। একটু শান্ত হোন পিটিদা, বিজেপির হয়ে কৌশলী প্রচার করার সুযোগ আগামী দিনে আরও পাবেন। এতো রাগলে চলে?
অ্যাই কে আছিস রে তালিকা টাঙা তালিকা টাঙা। ম্যাস্টর হুকুম করেছে।
ততক্ষন একটু তামুক চলবে কত্তা? আপ্নের যা জমিদারি মেজাজ অল্পেই রেগে যান কিনা
পশ্চিমবঙ্গের সব কাজের মাসি আর টোটোচালকের সঙ্গে কথা বলতে তো সময় লাগবে। পাঁকবাবু বরং এ নিয়ে একটা RTI করুন। উত্তর কি পেলেন এখানে জানিয়ে দেবেন।
কেন টাঙাতে হবে সেটা পষ্ট ভাষায় না বললে তো টাঙানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া যাবে না কত্তা। ওই স্লিপারি স্লোপের খচরামিটি তো অনেকদিন ধরেই চলছে, যাকে গোলপোস্ট সরানো বলে বলে ভদ্রলোকেরা হেদিয়ে গেলেন, ক্লান্ত হলেন, তাদের বয়স ও হয়েছে, চোখের পাতাও রয়েছে। পষ্ট করে এ বিষয়ে নিজের থিয়োরিখানি না বলে এরকম আলবাল প্রশ্ন তথা অর্ডার দিতে থাকলে তো কপালে খিস্তিই জুটবে মনা। এবার থেকে নিজের বক্তব্য নিজে পরিষ্কার করে বলা অভ্যাস করো কেমন? অন্যকে তিরিশটা অবান্তর প্রশ্ন করার আগে এটা বলে নেওয়া অভ্যাস করো যে এ বিষয়ে নিজের থিয়োরি বা কনক্লুশনটা কী। উত্তরগুলো এলে সেটা কীভাবে সমর্থিত বা নস্যাৎ হবে।
কারণ অন্য যারা এই কাউন্টার প্রশ্নটা করেন তাদের এই সততাটুকু আছে, যে, কাউন্টার প্রশ্ন করার অর্থ যে ইমপ্লায়েড অবস্থান, তারা সেখানে স্থির থাকেন। তুমি বাপু সেখানে থাকো না। এ অতীতে অজস্রবার দেখা গেছে। সুতরাং ডিমভাত বিষয়ে নিজের বক্তব্যখানা আগে পোষ্কার করে বলে ফেল দেখি।
অ্যাই তনু, হাত পা ধুয়ে পড়তে বোস।
সারাক্ষণ বিজেপি কেন এল না বিজেপি কেন এল না করে যাচ্ছে!
যাক, নিশ্চিন্ত হওয়া গেল যে কারো কাছ তালিকা নেই।
নেহাৎই আমড়াগাছি।
যাক আজকের মতো বিজেপিটিদা আইটিসেলকে খুশী করতে পেরেছে :d কিপ ইট আপ পিটিদা :d
বামফ্রন্টের ভূমিসংস্কারে কারা কারা জমি পেয়ে উপকৃত হয়েছিলেন তার লিস্ট টাঙানো হোক।
পিটি এতক্ষণ এইজন্যে আমড়াগাছি করছিল? গুরু ইউজারদের কাছে ডিম্ভাত কাউন্টারের তালিকা নেই এটা প্রমাণ করতে? রাজনৈতিক বক্তব্য কিছুই ছিল না তাহলে? সাধে খিস্তি দেয় মানুষে?
পিটি এতক্ষণ এইজন্যে আমড়াগাছি করছিল? গুরু ইউজারদের কাছে ডিম্ভাত কাউন্টারের তালিকা নেই এটা প্রমাণ করতে? রাজনৈতিক বক্তব্য কিছুই ছিল না তাহলে? সাধে খিস্তি দেয় মানুষে?
আইটিসেলের পুরনো কায়দা। হিন্দুদের কি সুবিধে দেওয়া হচ্ছে না আর মুসলমানদের কি দেওয়া হচ্ছে তার একটা তালিকা চেয়ে বসবে সেটা না দিলেই কেল্লাফতে। ভালো ট্রেনিং পেয়েছে ম্যাস্টর।
তালিকা নাহয় বাদই দিলাম। ৫ টাকার ডিম্বাতের কাউনটার সম্পর্কে সামান্যতম সংবাদও কারো কাছে নেই। শুধুই খিল্লি আর নর্দমার জল।
এসো হে ম্যাস্টর আমার বুকে এসো। এ পৃথিবীতে শুধু তুমি আমায় চিনেছ। এসো আমরা দুজনা পাশাপাশি শুয়ে থাকি
IITতে google করতে শেখায় না? স্যাড।
অ্যাই নর্দমা হ্যাট হ্যাট। তোর জন্য ম্যাস্টরের এরকম দুর্নাম হয়েছে। এখন থেকে ও শুধু আমার কাছে থাকবে।
ওরে আবাল, কীসের সংবাদ, কেন দরকার, এ নিয়ে তোর বক্তব্যটা কী সেটা তো খুলে বল! ডিম্ভাতের কাউন্টার নিয়ে নিজের বক্তব্যটুকু এখনো বলে উঠতে পারল না, ০৫ মে ২০২১ ২৩:৫৫ থেকে আজ ০৭ মে ২০২১ ১৯:৪৫ দুদিন ধরে বক্রোক্তির এই তুলনাহীন আমড়াগাছি কে লোকে লুঙ্গী তুলে নাচ বলবে না তো কী বলবে আর?
আরে ভাই, পিটির কাছে রাজনৈতিক আলোচনা হল মমতাকে নিয়ে খিল্লি করা, এই যেমন মমতার ডিমভাত প্রকল্প নিয়ে আওয়াজ দেওয়া, ব্যস - এই অবধি হচ্ছে ওনার দৌড়।
তৃণমূল এর অনুদান প্রকল্প - যেমন, মেয়েদের স্কুলে যাবার জন্য সাইকেল প্রদান - ইনি একে ভিক্ষা বলেন, অনেকেই বলেন। কিন্তু ইনি আবার বলেন এই সাইকেল দেওয়া সিপিএমের আমলে শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ, একাধারে তৃণমূল ও সিপিএম কে ছুলে দিলেন। তাহলে তলে তলে কার সাপোর্টার পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। আগে একটু লুকিয়ে চুরিয়ে বিজেপি সাপোর্ট করতেন, আজকাল একদম খুল্লম খুল্লম। প্রায় সন্ময় ব্যানার্জির মতন।
অনেক হল, অপূর্ব ব্যাপারটা আরেকটু বলে যাই।
আবাপ-র রিপোর্টিং এরকম ছিল (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সোমবার থেকে কলকাতায় পাঁচ টাকায় পাওয়া যাবে ভাত, ডাল, সবজি, ডিম। সোমবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালে 'মা' প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিন থেকে সরকারি ক্যান্টিনে পাঁচ টাকায় মিলবে ভাত, ডাল, সবজি, ডিম। আপাতত কয়েকটি ওয়ার্ডে ট্রায়াল দিয়ে শুরু হবে এই প্রকল্প। পরে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই 'মা' প্রকল্প (Maa Scheme) চালু করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৪ সিংগুল K ডিম্ভাত কাউন্টারের ছবি দিলেন।
আর ইনি ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু করেছেন : কলকাতার বাইরে ৫ টাকার ডিম্ভাত প্রকল্প কেমন চলছে কেউ জানাবেন?
(০৩ মে ২০২১ ২০:১৯) কলকাতার টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার বাইরে কোথায় কোথায় ৫ টাকার ডিম্ভাতের দোকান খুলেছে কেউ জানেন?
ভাটে, টইতে সর্ব প্রসঙ্গে এই এক প্রসঙ্গ - (০৪ মে ২০২১ ১১:৩৮) কাকলি ক্ষেত্রপাল প্রসঙ্গে- আর হ্যাঁ, এটাও জেনে নেবেন যে ঐ সব মৃত মানুষেরা ৫ টাকার ডিম্ভাত পেত কিনা!!
যে প্রকল্পটা কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন্য অ্যানাউন্স করা হয়েছে, কয়েকটা ওয়ার্ডে ট্রায়াল শুরু হয়েছে মাত্র, সেটা নিয়ে কন্টিনুয়াস ত্যানা পেঁচিয়ে যাচ্ছে জেলায় জেলায় ডিম্ভাতের কাউন্টারের তালিকা চেয়ে। একে লোকে চুতিয়া বলবে না তো কী বলবে?
ও ম্যাস্টরদা গোলপোস্ট সরাতে হলে আমায় ডেকো। তোমার তো আবার গাঁড়ে ব্যাতা।
On Monday, it was initiated at 27 points in districts and six places including Chetla and Girish Park under the jurisdiction of the Kolkata Municipal Corporation (KMC). Banerjee virtually inspected how it is served at the common kitchens in Howrah, Balurghat, Krishnanagar and Midnapore through video conference after inaugurating the same.
http://www.millenniumpost.in/kolkata/cm-inaugurates-maa-kitchen-will-provide-meals-at-rs-5-to-poor-431964
"It started on an experimental basis and there may be initial hiccups," Banerjee said. On the first day, Maa kitchens started functioning at a few places in Kolkata and districts such as Malda, Dakshin Dinajpur, Paschim Medinipur, and Howrah.
https://www.newsbytesapp.com/news/india/west-bengal-scheme-for-rs-5-meals-launched/story