এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  কাঁটাতার

  • ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা পারে, ভারত পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছরে তা কেন পারে না?

    ইমানুল হক
    পড়াবই | কাঁটাতার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৯২৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৯ জন)
  • ১৯৪৭ উত্তর ভারতবর্ষ জন্ম দিয়েছিল নতুন কিছু শব্দবন্ধের। এই প্রবীণরা কখনও স্বাধীনতা বলেননি, বলেছেন পার্টিশন, তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যে শব্দ ভারতের অবদান। পার্টিশনের হাত ধরে এসেছে উদ্বাস্তু। রিফিউজি কলোনি। তারও পরে এসেছে অনুপ্রবেশ। বসেছে কাঁটাতার। এসেছে এনআরসি, নতুন নাগরিকত্ব আইন। শুরু হয়েছে "বৈধ-অবৈধ" বিচার। শোনা যাচ্ছে, নতুন শব্দবন্ধ, "অবৈধ অনুপ্রবেশ"। যাঁরা বিচার করছেন, তাঁদের বিচার কে করে। এসব শব্দের, আখ্যানের জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশভাগের এই আদি পাপ, মুছে দেবার আপ্রাণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এভাবেই থেকে গেছে বেদনায়, ভাষায়, আখ্যানে। থেকে গেছে, এবং এখনও যাচ্ছে। সেই আখ্যানসমূহের সামান্য কিছু অংশ, থাকল পড়াবই এর 'কাঁটাতার্' বিভাগের দ্বিতীয় সংখ্যায়।


    লেখা।

    দু অক্ষরের শব্দ।
    কিন্তু ব্যাপ্তি বিশাল।
    লেখার কোনো মূল্য নেই যদি না তাতে দর্শন থাকে। দর্শন মানে ভিন্ন চোখে দেখা ও একটি জীবন দর্শন। যে জীবন দর্শন না দেখাকে দেখতে বলে, অথবা দেখাকে ভিন্ন চোখে দেখতে শেখায়।

    অমল সরকার পেশায় সাংবাদিক, নেশায় জীবনপড়ুয়া।
    তিন দশকের বেশি সাংবাদিক জীবন। রাজনীতি অর্থনীতি সমাজের গভীরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভারতের দুই তৃতীয়াংশ রাজ্য নির্বাচন ইত্যাদি কাজে গেছেন। গেছেন একাধিকবার বাংলাদেশ। পাকিস্তানে যান নি। কিন্তু পাকিস্তান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মনস্ক ভাবে।

    অমল সরকার একটা বই লিখেছেন, আমার দেশ আমার দ্যাশ
    দেশভাগ ও পরবর্তী কুফল সুফল-- দুই আছে তাঁর আলোচনায়। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ আছে তার আলোচনায়।

    স্বাধীনতার পরও পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, শিক্ষা  ও কর্মসংস্থানে অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে এগিয়েছিল। পিছিয়ে পড়ল। কেন? মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। যে সরকারই দিল্লিতে এসেছে, কংগ্রেস, জনতা বা বিজেপি-- কেউই পশ্চিমবঙ্গের ভালো চায় নি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স দিতে গড়িমসি, প্রাপ্য টাকা না দেওয়া, ভারি শিল্প দুর্গাপুর ছাড়া আর কোথাও সেভাবে না গড়া, পশ্চিমবঙ্গের কয়লা দূরে গেলে সস্তা হবে, আর তুলো দূর থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনলে দামি হবে-- এইসব কারণে পশ্চিমবঙ্গ মার খেয়েছে। এটা শুধু শ্রমিক অসন্তোষ বা বাম আন্দোলনের দায় নয়। শুধু ৩৪ বছরকে দোষ দেওয়া ঠিকনয়,মনে করেন লেখক।

    আর রাজ্যের যে-সব নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে গণি খান চৌধুরী, অজিত পাঁজা ও  মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাজ্যের জন্য কেউ তেমন কাজ করেন নি। এবং আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ছাড়া বাকি দলের বড় নেতারা সর্বভারতীয় হতে চেয়ে গায়ে যাতে বাঙালি ও প্রাদেশিক ছাপ না লাগে তার দিকে নজর  রাখতে গিয়ে বাংলার ক্ষতি করেছেন। ১৯৭৭-১৯৮৬ বামফ্রন্ট বিশেষত, অশোক মিত্র বাংলার তপথা রাজ্যের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি সরকার ছাড়লেন।পরে কম্ল। ১৮৮৪-এ ন্তুন শিল্পনীতি। নতুন ভাবনা।

    অশোক মিত্র পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার জন্য যাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব  ছিলেন, সেই প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই তো আটকে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের টাকা, প্রক্রিয়া। গুজরাট ও রিলায়েন্সের স্বার্থে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের লাইসেন্স প্রাপ্তি ২০ বছর আটকে রেখেছিল কে এবং কারা? কটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন রাজ্যের প্রভাবশালী কংগ্রেস বা বিজেপি নেতারা-- নিজের এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের একটা নেতিবাচক প্রবণতা হল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্য রাজ্যে সব দল কেন্দ্রীয় সহযোগিতা চেয়ে দিল্লিতে দরবার করে। এ-রাজ্যে সরকারি দলকে বিপদে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকা দল সবসময়ই বিরোধিতা করে। বলে, টাকা দিও না।

    রণজিৎ রায়ের পর সাংবাদিক  অমল সরকার বই লিখে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলা বঞ্চিত। অশোক মিত্র, তপন মিত্র, অশোক দাশগুপ্তরাও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে লিখেছেন। অমল সরকার একটা আস্ত বই লিখে ফেলেছেন বাংলার বঞ্চনা নিয়ে।

    তিনি দেখিয়েছেন, ১৯৭৭ এর অবস্থা থেকে বামফ্রন্ট সরকার অনেকটা এগিয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু অসীম দাশগুপ্তের ঘাটতি শূন্য বাজেট নীতি, দিল্লিতে বছর বছর টাকা ফেরৎ যাওয়া, এই খাতের টাকা ওই খাতে খরচ করা, বেতন পেনশন ও ঋণশোধে  সিংহভাগ ব্যয়, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য ঠিক মতো ও সময়ে না পাওয়া, ভোটের ভয়ে কর না বসানো, বিক্রয়কর আদায়ে ঢিলেঢালা ভাব, কেন্দ্রীয় বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কম আসা, সর্বোপরি স্থিতবস্থার রাজনীতি -- রাজ্যের উন্নয়নের বাধা।  ২০১৩ তে একটা আন্তর্জাতিক সমীক্ষা হয়, তাতে ৮১টি বিষয়ে তুলনামূলক বিচার করে ভারতের ৩৪ টি রাজ্যের একটা পর্যায়ক্রম করা হয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দাঁড়ায় ২১।

    ২০১১ তেও তাই ছিল। তবে ২০২০তে অনেক  এগিয়েছে রাজ্য। লেখক জানাচ্ছেন, 'ইন্ডিয়া টুডে'-র সমীক্ষা অনুযায়ী বেস্ট পারফরমিং স্টেটের বিচারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান এখন ১০। এবং বেস্ট ইমপ্রুভড স্টেটের বিচারে চতুর্থ। 

    বইটিতে অজস্র তথ্য, পরিসংখ্যান আছে। আগ্রহী পাঠক দেখতে পারেন। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচিত্র পরিসংখ্যান মিলবে  বইয়ে।

    লেখক লিখেছেন: বর্তমানকে জানতে, বুঝতে সুদূর এবং নিকট দুই অতীতকেই জানা জরুরি। সেই জানতে ও জানাতে লিখেছেন আটটি লেখা। এক জাতি, দুই দেশ, ধর্মনিরপেক্ষতা-স্বাধিকার-সাম্য এবং বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা, অনুপ্রবেশ-তোষণ-এনআরসি-সিএএ এবং বিভাজনের রাজনীতি, বাংলা-বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ, সোনার বাংলা ও এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি, সোনার বাংলা সোনার পাথরবাটি, বাংলাদেশ: আমরা যা শিখতে পারি ।

    অমল সরকারের পূর্বপুরুষ পূর্ব বঙ্গের মানুষ। দেশভাগের আগেই চলে আসা। এই ধরনের পরিবারের সদস্যদের লেখায় অনেক সময় নস্টালজিয়া বা হা-হুতাশ বড় হয়ে দেখা দেয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।

    কিন্তু অমল সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রমী।

    দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছর পার করল। আর বাংলাদেশ দুটো দেশভাগ দেখেছে। দ্বিতীয় দফায় তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নতুন রাষ্ট্র। সমস্যা লাখ লাখ। কারখানা নেই তেমন। ভারি শিল্প নেই। বিপুল খনিজসম্পদ নেই। সোনার ভাণ্ডার নেই। বিদেশি মুদ্রা আসে দান হিসেবে। সেই দেশ  বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও তাঁর কন্যার শাসনকালে এবং সবচেয়ে বড় সম্পদ মানবসম্পদ নিয়ে কীভাবে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হারের দেশ হয়ে উঠল -- এটা দেখিয়েছেন অমল সরকার।

    দু পাড়েই বাংলা ও বাঙালি।
    বাংলাদেশ পারল পশ্চিমবঙ্গ  কেন পারল না?
    জানতে বুঝতে পড়তে হবে 'আমার দেশ আমার দ্যাশ'।

    ভারতের উন্নতি কেন থেমে গেল? পাকিস্তানে কেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্ম হল না, আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ না ঘটলে বাজার ও শিল্পের বিকাশ ঘটে না।
    অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। দেখিয়েছেন অমল সরকার।
    বাংলাদেশ যে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানে। বঞ্চনা, অবকাঠামো, অনুন্নয়ন, বিমাতৃসুলভ মনোভাব-- সবকটির শিকার ভারতে পশ্চিমবঙ্গ।
    তাহলে পূর্ব পাকিস্তান  কেন পূর্ব বঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হতে পারল?
    কারণ তাঁরা মেনে নেয় নি, এবং মনে নেয় নি।

    পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের বড় অংশ দিল্লির কাছে সর্বভারতীয় হয়ে ওঠার দায় দেখাতে হয়েছে। ফলে বিধানচন্দ্র রায় থেকে জ্যোতি বসু বঞ্চনার কথা বলেও চুপ করে আপোস করতে হয়েছে।

    মুজিবুর রহমান 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠার আগেই ছয় দফা দাবি তোলেন। তোলেন পূর্ববঙ্গের নিজস্ব মুদ্রা, মুদ্রাভাণ্ডার ও  নিজস্ব রিজার্ভ ব্যাংকের কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের কেন অর্থমন্ত্রী থাকবে? এগুলো তো থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। সোভিয়েত ইউনিয়নে তো তাই হয়েছে। তাই উন্নতি করতে পেরেছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন মুজিবুর রহমান। অমল সরকার মুজিবুর রহমানের সংসদ ভাষণ, ছয় দফার দাবি অনুপুঙ্খভাবে তুলে এনে দেখিয়েছেন পূর্ব বঙ্গ কীভাবে বঞ্চিত।

    'আমার দেশ আমার দ্যাশ' বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৭২।
    লেখা মাত্র  আটটি। কিন্তু প্রতিটি লেখায় অজস্র উপপ্রসঙ্গ, স্মৃতিচারণ, অভিজ্ঞতা, পাঠ, মত বিনিময়, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, সমাজদর্শন, ভিন্নতর বীক্ষা ও দিশার বিপুল হদিস মিলবে। এই বইয়ের সব লেখার সঙ্গে আপনি একমত নাও হতে পারেন, বিশেষ করে, আপনার নিজের মত তৈরি থাকলে তো বটেই, কিন্তু বইটি পাঠ শেষ করে আপনাকে ভাবতে হবে-- আগের ভাবনায় কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন। বা পারা উচিত নাকি আরেকবার পড়তে শুরু করবেন তর্ক করবেন বা তুলবেন বলে। এ বই তর্ক তোলার, তর্ক থামানোর নয়।

    বইটির উৎসর্গ পত্রে নাম আছে রণজিৎ রায়, দেবাশিস ভট্টাচার্য, পরিমল সরকারের।

    রণজিৎ রায় অতীতের নামী সাংবাদিক। পশ্চিমবাংলা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে দিল্লির মসনদীদের হাতে, ধ্বংসের পথে বাংলা, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স রাজ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি টাকা নিয়ে গিয়ে কম টাকা ফেরৎ দেওয়া, বিমাতাসুলভ আচরণ-- অনুপুঙ্খভাবে দেখিয়ে দিয়েছিলেন রণজিৎ রায়। বাঙালি তাঁকে মনে রাখে নি। একদিন দিল্লির বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। আর কোনো খবর পাওয়া পায় নি। তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট না বাঙালি-- প্রশ্ন ওঠে। রণজিৎ রায়ের উত্তরসূরী হিসেবে কাজ করেছেন অনেকটাই অমল সরকার। যদিও আরো অনেক তথ্য দরকার। আরো বিস্তারিত আলোচনা। এই বিষয়ে আরেকটি পৃথক বই লেখার দাবি রইল।

    সাংবাদিকতার বিশ্বকোষ দেবাশিস ভট্টাচার্য। অমল সরকার এবং দুজনেই তাঁর সহকর্মী ছিলাম। তখন এবং পরে বহু বিষয়ে তিনি দিক নির্দেশনা দেন। এই বইয়ে দেবাশিস ভট্টাচার্যের সহকর্মের ও সহমর্মের পরিচয় কিছুটা মিলবে।।

    বইয়ের প্রথম লেখা শুরু স্মৃতিচারণ দিয়ে। উদ্বাস্তু কলোনির অভিজ্ঞতা। কিন্তু এখানে চোরা মুসলিম বিদ্বেষ নেই। দেশভাগ নিয়ে বহু লেখাতেই যা অনিবার্য বিষয়।
    ভালভভরা রেডিও ছিল কলোনির প্রধান আকর্ষণ। পাকা বাড়ি বলতে স্কুল। সালমান রুশদির  'স্যাটানিক ভার্সেস' এবং 'হ্যারি পটার'-এর প্রকাশক রিচার্ড চারকিন ঢাকা ক্লাবে এক সকালের প্রাতরাশে বলেছিলেন, উদ্বাস্তু কোনো দেশের বিপদ নয়, দেশের সম্পদ।
    তাঁরা নতুন বসতির উন্নয়ন ও দেশের অগ্রগতিতে যথেষ্ট সহায়তা করেন।
    ইউরোপ থেকে শুরু করে সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা সত্য।
    আমাদের বাংলায় শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশে উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা অপরিসীম।
    যেকোনো কলোনি এলাকা দেখবেন, বিদ্যালয় পাবেন একাধিক। নাটক খেলার সংস্থাও চলে জোর কদমে।
    এবং এঁরা এটা করে থাকেন মানসিক শক্তির জোরে।

    নিজের মায়ের উদাহরণ দিয়েছেন লেখক। আজকের দিনে 'সমাদৃত' কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশের সহযোগিতায় নকশাল আন্দোলনের সময় ঘর থেকে যুবকদের রাতে তুলে নিয়ে যেত। এঁরা অনেকেই ফিরতেন না।
    মেজদার খাতায় লেখা ছিল কেমিস্ট্রির ফর্মুলা, তাকে বোমা বানানোর ফর্মুলা ধরে তরুণ সুবিমল সরকারকে ধরে নিয়ে যাবে উল্লসিত বাহিনী। শিকার পাওয়া গেছে।
    মায়ের অসাধারণ সাহস আর জেদের কাছে হার মানতে হয়।

    এই উদ্বাস্তু কলোনির কাছে মুক্তিযুদ্ধ এক নতুন বার্তা নিয়ে আসে। ঘরে ঘরে উচ্চারিত হয় মুজিবুর রহমানের নাম।
    তারপর বাংলাদেশ ও ভারতে পরিবর্তন এল। মুজিবুর রহমান নিহত হলেন।
    ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হলেন ভারতে।
    কলেজ বা বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালগুলো উঠল রাজনীতি ও অর্থনীতির বুলেটিন। দেওয়াল লিখন তখন নিছক ভোট দিন আর সম্মেলন সমাবেশের বিজ্ঞপ্তিতে পরিণত হয় নি‌।

    কেন্দ্র রাজ্যের পুনর্বিন্যাসের দাবিতে রাজ্যে গড়ে উঠল আন্দোলন। জ্যোতি বসু  প্রমোদ দাশগুপ্ত অশোক মিত্র তাকে অন্য ভাষা দিলেন। জ্যোতি বসু বললেন, খানিকটা যেন মুজিবের স্বরেই, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিন আছে। ওদের যখন ইচ্ছে টাকা ছাপিয়ে নেয়। রাজ্য সরকারকে ভাগ দেয় না। আর রাজ্য সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিনও নেই।'
    স্বর আরেকটু উঁচু পর্দায় যেতে পারত। গেলে দেশের মঙ্গল হতো। গেল না। কারণ সর্বভারতীয় হতে চাওয়ার দায়।

    অমল সরকার লিখেছেন: কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, রাজ্যগুলিকে শোষণ করেছে। রাজ্যগুলিকে একদিকে রাজস্বের ভাগ কমিয়ে দিয়ে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা স্থির করে দেওয়ার পাশাপাশি নানা শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে হাজার হাজার কোটি টাকা ( এখন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা; গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বেড়েছে ৪৯ লাখ কোটি থেকে বেড়ে এক কোটি দুই লাখ  কোটি টাকা)  ঋণ নিচ্ছে তা নিয়ে জবাবদিহির বালাই নেই।

    রেডিওর সামনে সত্তর দশকে মুজিবুর রহমানের কথা শুনে লেখকের মনে পড়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্বের কথা। 
    সাংবাদিকতা করতে এসে আরো বেশি করে চেনেন বাংলাদেশকে, এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে এ-দেশের মানুষের অজ্ঞতা ও নির্দিষ্ট ধারণা কে।
    যে ধারণা আসলে অনুকম্পা এবং বিদ্বেষজাত । তার বাইরে যে বাংলাদেশ, আসল বাংলাদেশ-- তাকে ছুঁতে পারেন এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের কথায়:
    'আপনি ক্যাবল ইসসা লন।' আপনি কেবল ইচ্ছা করুন। থাকা খাওয়া ফ্রি।  অতিথি হয়ে থাকবেন।

    বাংলাদেশের পাশাপাশি এসেছে এই বাংলার কথা।
    সত্তর দশকে বামফ্রন্টের নেতৃত্বে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান আন্দোলন নয়ের দশকের শেষে উল্টোপথে হাঁটতে থাকে। প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেয় 'ভাষা ও চেতনা সমিতি'। অশোক মিত্রসহ বহু প্রতিষ্ঠিত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সরব হলেন। বাংলা ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠল। সারাদিন নববর্ষ উৎসব, সারা বাংলা ভাষা উৎসব পালন শুরু হল। এরপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'ভাষা শহিদ স্মারক সমিতি' ও অশোক দাশগুপ্তের নেতৃত্বে 'নবজাগরণ'। কলকাতায় হল বাংলায় নামফলক লেখা অভিযান।

    এর আগেই নয়ের দশকের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে অযোধ্যায় বাঙালি করসেবক, ইটপূজা। আর লেখক তখনকার অতি শক্তিশালী বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘলের মুখে শুনেছেন ভিন্নকথা: আমি তো শুনেছি বাঙালিরা ভগবানে বিশ্বাসী নয়। বাংলা দেখেছে রামনারায়ণ রাম থেকে বাম, রাম সত্য হ্যায়, শুনেছে জয় শ্রীরাম।

    এর পটভূমি যে তৈরি ছিলি তার একাধিক উদাহরণ দিয়েছেন লেখক।
    মুসলিম বৃদ্ধসহ মুসলিমরা  ভোট দিচ্ছেন ১৯৯৮-এ দমদম কেন্দ্রে পদ্মের পক্ষে, আসলে সিপিএমের বিরুদ্ধে-- বাবরি মসজিদ ওখানে ভেঙেছে এখানে তো মসজিদ ভাঙেনি।

    দ্বিতীয় উদাহরণ ট্রেনের। ১৯৯৪-এর।
    নৈহাটি লোকালে দুই তরুণীকে বিরক্ত করছে কিছু অবাঙালি তরুণ। যাত্রীদের কারো কারো প্রতিক্রিয়া: এদের ঘাড় ধরে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত'। কথাকাটাকাটি। গণধোলাইয়ের জোগাড়। তখন তরুণরা বলে উঠল, 'আপলোগ কেয়া সোচতে হ্যায়, হামভি হিন্দু হ্যায়'।
    'বদলে গেল পরিবেশ। ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন। এসব বয়সকালের অসুখ।' একটু আগেই তরুণদের মুসলিম ভেবে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে চাওয়া লোকের গলায় ভিন্ন সুর।

    মনোজগৎ বদলেছে আগে। তারপর রাজনীতির দুনিয়া। উপলব্ধি লেখকের। লেখক আক্ষেপ করেছেন:
    লোকসভা উপনির্বাচনে অন্ধ্র থেকে প্রার্থী হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নেতা নরসিংহ রাও। অন্ধ্রপ্রদেশে তখন কংগ্রেস বিরোধী এন টি রামা রাও। তিনি বললেন, নরসিংহ রাও তেলেগু জনতার গরিব। আমরা প্রার্থী দেব না। জিতলেন নরসিংহ রাও।
    আর জ্যোতি বসুকে যখন বিজেপি বাদে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল সাধাসাধি করছে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিএম নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে না দিতে ভোট দিলেন।

    বিজেপির সদর দপ্তরে সেদিন উল্লাস দেখেছিলেন বহু সাংবাদিক।
    বিজেপির সেই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার গড়া। আজ তাঁরা দেশের প্রধান নিয়ন্ত্রক শক্তি।

    ##

    ভারতের বাংলা ও বাঙালির পিছিয়ে পড়া লেখকের আক্ষেপ ও যন্ত্রণার বিষয়। কলকাতায় বাঙালি সংখ্যালঘু হতে দেখেছেন তিনি, রামমোহন রায়ের গ্রামে দেখেছেন তপশিলি জাতির জন্য শ্মশান আলাদা। 
    লক্ষ্য করেছেন, করাচ্ছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০১ থেকে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়, শনি মন্দির থেকে নানা মন্দির ও মসজিদ দ্বিগুণ বেড়েছে।

    আর এখন তো হনুমান মন্দির ক্রমবর্ধমান।
    বর্ধমান গির্জা ও মসজিদও।

    #

    লেখক ভারতের বাঙালি ও বাংলাদেশের বাঙালিকে পরস্পরের থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন।
    পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন, বাংলাদেশে বাকশাল--নিয়ে লেখকের সিদ্ধান্ত:
    নকশালবাড়ির রাজনীতির মতো এক সকালে উঠে চলো গ্রামে তাই বলে বিপ্লবের ডাক দিলে বিপ্লব হয় না।
    আবার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে তাঁরা অর্থনীতি সংস্কৃতি স্বাস্থ্য সমাজকল্যাণে এতোটা এগোল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারত কেন তা পারল না।
    শিশুদের মৃত্যুহার বাংলাদেশে কম,  প্রসূতি মায়ের মৃত্যু কম, গড় আয়ু বেশি, গড় আয় বেশি-- কেন পারলো বাংলাদেশ।
    ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর এবং সদিচ্ছা এবং নিজস্ব জীবনাদর্শ। যা হারিয়ে যাচ্ছে।

    ###

    'বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা' অধ্যায়ে লেখক বলেছেন: শেখ মুজিব শুধু রক্তাক্ত বাংলার নায়ক নন, তিনি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রক্তাক্ত যুগসন্ধিক্ষণের নব নায়ক। নতুন ইতিহাসের নির্মাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সন্দেহ নেই।

    আবার 'সোনার বাংলা এবং এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি' অধ্যায়ে ' ইন্দিরা গান্ধী, বেনজির ভুট্টোদের মতো শেখ হাসিনা মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী শক্তির নিশানায় রয়েছেন'  এই মন্তব্য করে লেখক বলেছেন, হাসিনাকে লড়াই করে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে। ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি উন্নয়ন ও হাসিনার উন্নয়নের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ, খনি জাতীয়করণ একাধিক শিল্পের রাষ্ট্রায়ত্তকরণের মতো সাহসী পদক্ষেপ এই উপমহাদেশের ইতিহাসে তাঁকে চিরস্থায়ী আসন দিয়েছে।
    অন্যদিকে হাসিনার সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো। ভারতের তুলনায় তো যথেষ্ট ভালো। 

    ২০২১ এ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চলে এসেছে বাংলাদেশ। কেবল ঢাকা নয় তৃণমূল স্তরে উন্নয়ন হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে হাইওয়ে সম্প্রসারণ ঘটেছে, ঢাকা মেট্রোসহ রেলের একাধিক প্রকল্পের সুবাদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে।
    একের পর এক নদী সেতু নির্মাণ হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বাড়ছে। মাথাপিছু আয় বাড়ায় চীন, জাপান, আমেরিকা বাংলাদেশের বাজার ধরতে আগ্রহী। 

    উল্টোদিকে পাকিস্তান পিছনে পড়েছে। পিছিয়ে পড়ছে ভারতও। বিশ্বব্যাঙ্ক, ইউএনডিপি, এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাঙ্কসহ নানা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    মায়ানমার থেকে নিপীড়িত অত্যাচারিত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে নিজের ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন শেখ হাসিনা। 
    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে স্যানিটারি প্যাড বিতরণের গল্প বলেছেন লেখক। বলেছেন রিলিফ নির্ভর দেশ আজ রিলিফ দিচ্ছে। 

    খোকা ইলিশ তথা জাটকা ধরতে না দেওয়ার হাসিনা সরকারের কঠোর নীতির প্রশংসা করেছেন লেখক। এতে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। ১৬ হাজার কোটি টাকা আসছে ইলিশ থেকে। সামগ্রিক ভাবে মাছ উৎপাদনে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ  ইংলিশ। প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    ###

    'অনুপ্রবেশ' শব্দটা সত্তর দশকে শোনেননি লেখক। লোকে গর্ব করে বলতেন, বরিশাল আমার দ্যাশ।  ১৯৯০-এর পর শব্দটিকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হতো লাগল। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সক্রিয় হল,নাম বাদ দিতে।লেখক দেখেছেন, বনগাঁ-তে বস্তা বস্তা নাগরিকত্বের  দরখাস্ত। রেশন কার্ড, ছেলে-মেয়ের জন্ম অশক্ষার প্রমাণপত্র। কিন্তু ভোটাধিকার মিলছে না।    ১৯৯৮ থেকে ' অনুপ্রবেশকারী' আর 'শরণার্থী' বলে বাংলাদেশ থেকে আসাদের ধর্মীয় পরিচয় বড় করে তোলা হল। তাতে কেন্দ্রের উপ্প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি  ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একসুর।
    মতুয়া রাজনীতি, সিএএ--সব বিষয়েই আলোকপাত করেছেন লেখক।

    এসেছে সংখ্যালঘু তোষণের প্রসঙ্গ।লেখক মুজিবুর রহমানের পাকিস্তান সংসদে বক্তৃতা দীর্ঘভাবে উদ্ধৃত করে দেখিয়ে দিয়েছেন,হিন্দু মুসলিমের স্বার্থ অভিন্ন। মানুষ হিসেবে তাঁরা এক। জাতি হিসেবেও। পশ্চিমবঙ্গে 'সংখ্যালঘু তোষণ' চলের কথাটা মিথ--লেখক তথ্যসহ প্রমাণ করেছেন। সরকারি চাকরির ২০ ভাগ মাত্র মেয়ে। তার মধ্যে  মুসলিম মেয়ে অতি নগণ্য। বিজেপি নেতারা অন্য রাজ্যে লক ডাউনের মাঝে রাম মন্দিরের ঘটা করে উদ্বোধন করলেও কোনো রাজনৈতিক দল বা বড় সংবাদমাধ্যম প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মমতা মুসলিমদের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই লাফিয়ে ওঠেন। লেখক বলছেন, এর পিছনে আছে মুসলিমদের নিয়ে অনীহা।

    এবং বহুদিন ধরে চলে আসা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। লেখকের বক্তব্য, দুর্গাপুজা কালীপূজা ইদ মহরম  কোনো কিছুতেই শুভেচ্ছা জানানো্র রীতি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ছিলনা।এবং মন্দিরে দরগায় যাওয়া। যেটা এখন হচ্ছে। এবং চোখে পড়ছে।  অবশ্যই বামনেতারা ব্যতিক্রম।

    পাকিস্তান নিয়ে অমল সরকারের সাফ কথা মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ নেই। যারা জোতদার তারাই শিল্প-কারখানার মালিক,ব্যাংক বীমার মালিক, তারাই আমদানি-রফতানির মালিক, আবার তারাই সেনাবাহিনী এবং তারাই অসামরিক আমলা।

    ভারতেও সেদিকে আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।
    এ বই সতর্কতার। এ বই সময়ের। 
    এ বই একজন গবেষক ও সাংবাদিকের।

    কিছু মুদ্রণপ্রমাদ আছে। অল্প পুনরুক্তি আছে। উপেক্ষণীয়। তবু লেখক ও প্রকাশক নজর দিতে পারেন। প্রচ্ছদ, ছাপা,  বাঁধাই ভালো।


    আমার দেশ আমার দ্যাশ
    অমল সরকার
    দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা-৭৩
    মুদ্রিত মূল্য - ৩৯৯ টাকা


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৯২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:a67:cabf:297f:1dcb:2165:5d80 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:১১499367
  • বরং ভোটের স্বার্থে তাঁরা মৌলবাদী শক্তিকে তোষণ করছেন, এটাই প্রতিপন্ন হয়! অবশ্য এটা আর আলাদা করে প্রমাণ করার দরকার নেই; তসলিমাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়িয়ে, আব্বাসের সঙ্গে জোট করে নিজেদের নির্লজ্জ স্বরূপ তাঁরা প্রকাশ করে দিয়েছেন! 
    এই ব্লগেই দিনের পর দিন আব্বাসকে মহান প্রলেতারিয়েত নেতা রূপে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে! তখন প্রতিবাদ করলে নিজের রাস্তা নিজে দেখে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে! চমৎকার ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা! 
    মানুষ‌ও খুব ভালো করে রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে!
  • দীপ | 2402:3a80:a67:cabf:297f:1dcb:2165:5d80 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:১৮499368
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.93.101 | ০৮ মার্চ ২০২১ ১১:২৯103254
    মুসলমান রা শুধু দক্ষিণ পন্থীদের ভোটব্যাঙ্ক না, শুধু বড় দলে বড় নেতা না, শুধু নিজেদের দল না, নানা সংখ্যালঘু র সঙ্গে দল গড়ে , অংশিদারীর দাবি নিয়ে ফ্রন্ট পলিটিক্স এ ঢুকবে , এটা অনেক লিবেরাল দের ই পছন্দ হবেনা। সিপিএম সমর্থক দেরো পছন্দ না হতে পারে। তাতে কিছু এসে যায়না। পাবলিক পোলিটিকাল স্পেস শেয়ারিং এটাই আপাতত সিপিএম এর রাস্তা, এ পথে যারা হাঁটবেন না তাদের বিকল্পের অভাব নেই সে হাঁ টা দিন।
     
    চমৎকার ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা!
  • দীপ | 2402:3a80:a67:cabf:297f:1dcb:2165:5d80 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:২৬499369
  • আর আমি ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রশংসা করিনি। গত ৭০ বছরে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে, মানুষের হাতে টাকাপয়সা এসেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটেছে এগুলো সত্য। কিন্তু সেইরকম দুর্নীতি বেড়েছে, আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে, কর্পোরেট গোষ্ঠীদের দ্বারা দেশ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, সেগুলোও বলতে হবে। নাহলে অন্ধের হস্তীদর্শন‌ হয়!
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.37.176 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:২৭499370
  • আর এস এস বিজেপির কোন বিষয়েই কোনো ক্রেডিবিলিটি নেই। ওদের কথা বলে লাভ কি? 
     
    শুনুন এটা যেরকম একটা তথ্য। তেমনি একেক সময়ে একেক রকম এক্সোডাস হয়েছে। তার ওঠানামা কে আপনি কি ভাবে এক্সপ্লেন করেন? 
     
    উদাহরণ হিসেবে বলা যাক, সাধারণ তথ্য বলে, ইকোনোমিক ইন্ডিকেটর যখন ভালো তখন এক্সোডাস কম হবে। আর যদি আপনার দাবী হয়, হিন্দুরা পালিয়ে এসেছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে, তাইলে সে বিষয়ে আরো ডেটা লাগবে, আপনার ভাষাতেই বলছি,  'নিরাপত্তার অভাব বোধ'  আর তখন যেটা ইম্প্লাই করছিলেন, বাংলাদেশের সমস্ত ভূমি সংস্কার ই আসলে সাম্প্রদায়িক স্টেট ব্যাক্ড টেকওভার দুটো এক জিনিস না। তাই শুধু পপুলেশন ডেটা দিয়ে এটা দেখা ঠিক হবে কি? 
     
    আপনার অবস্থান ছাড়া সবার পজিশন ই সাম্প্রদায়িক বা মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার প্রতি সফ্ট, এটা ভাবার কোন সঙ্গত এখনো আপনি এস্টাবলিশ করতে পারেন নি। বই টা অখাদ্য হতেই পারে, রিভিউ লেখাটা আপনার খারাপ লাগতেই পারে, মানে আমার তো বেশ বাজেই লেগেছে, কিন্তু তাতে আপনি একটা পপুলেশন ডেটা দিয়ে অন্য সমস্ত ইকোনোমিক ইন্ডিকেটর কেই ডিনাই যে করছেন, সেটার এমনিতে কোন যুক্তি গ্রাহ্য কারণ নেই। 
     
    ধরুণ চীন, অসহ্য বোগাস একটি দেশ। দেশে লোকে হাঁচলে কাশলে গোয়েন্দা লাগে পেছনে, মুসলমান , তিব্বতি , কোনটা i আপনি নিশ্চিন্তে হতে পারবেন না, তাই বলে কি তার ইকোনোমিক আচিভমেন্ট কে আপনি ছোটো করে দেখেন? নাকি মনে করেন ১৯৪৯ এর তুলনায় কিছুই এগোয় নি, আর চীনে ইমিগ্রান্ট এ তো পশ্চিম ভরে গেল, কিন্তু এগুলো র কোনোটা দিয়েই আপনি চীন কে বিচার করেন না। কারণ আর কিছুই না, শক্তিধর রাষ্ট্র সম্পর্কে আপনার অন্য বিচার ইত্যাদি, শক্তিধর কথাটার মানেটাই অন্য ভাবে দেখেন। মানে উদা বলছি, ব্যক্তিগত অপিনিয়নে হয়্তো দেখা গেল, আপনি আমি এক অবস্থানে ইত্যাদি। 
     
    আমি বলছি, এই লেখা যে এত ডিভিসিভ অপিনিয়ন তৈরী করছে, কারণ লেখার প্রিমাইস টা এবং বই টা, চেয়ার উঁচু করার প্রতিজোগিতার মত, কিন্তু তাই বলে সব ইকোনোমিক সোশাল ইন্ডিকেটর কে আপনি ডিনাউন্স কেন করছেন পরিষ্কার না। 
    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
  • দীপ | 2401:4900:3a01:1422:8645:da0d:739:da1 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২১:৫২499371
  • একদিকে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির কথা বলব, আবার একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভাগীদারীর কথা বলব, এটা স্রেফ ধান্দাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়! বিজেপির শয়তানি বরং এর চেয়ে পরিষ্কার! 
    সেজন্য‌ই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে চুপ থাকতে হয়, তসলিমা মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লিখলে তাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়াতে হয়! মানুষকে এতো বোকা না ভাবাই ভালো! 
     
    নিজেদের credibility কোথায় পৌঁছেছে, সেটা ভাবাই বরং ভালো!
  • aranya | 2601:84:4600:5410:50b:458d:ca4d:7332 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২২:০৪499372
  • '১৯৫১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার অনুপাত মোটামুটি ২৪ শতাংশ। ২০১১ সালে এই অনুপাত ১০ শতাংশের কম। অর্থাৎ খুব স্পষ্টভাবে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এখান থেকে অভিপ্রয়াণ করেছে।‌ এর অন্যতম কারণ নিরাপত্তার অভাববোধ! কেউই স্বেচ্ছায় পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে আসতে চায়না! সুতরাং তথ্য নেই, একথা মোটেও ঠিক নয়!
    এবার কেউ এটাকে গুরুত্ব দিতে নাই পারেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত! '
    - আমি এটাকে গুরুত্ব দি। এই যে বিশাল এক্সোডাস, তার কিছুটা ইকোনমিক মাইগ্রেশন, কিন্তু অনেকটাই নির্যাতিত হয়ে, ভয়ে উদ্বাস্তু হওয়া। হিন্দু মেয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া, ঘরে আগুন দেওয়া, সম্পত্তি দখল, মন্দির ভাঙা এ সবই  চলছে বাংলাদেশে। তার সাথে 'HDI' বেটার হচ্ছে, জিডিপি বাড়ছে, এটাও ঠিক। দুটো ই সত্য, দুটো ই স্বীকার করা উচিত। 
    একটা দেশে যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করা হয়, এবং তার বিরুদ্ধে বলার মত কোন প্রতিবাদ না হয়, সেটা লজ্জাজনক। 
    ভারতবর্ষে রাষ্ট্রধর্ম হিন্দুত্ব - এ জিনিস হবার চান্স অত্যন্ত কম , গত কয়েক বছরে বানর সেনাদের দাপাদাপি সত্বেও।   
  • r2h | 2405:201:8005:9947:fd60:95e5:3e19:a37c | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১৫499375
    • দীপ | 2402:3a80:a51:df57:86f4:887a:b551:2881 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৮:৪৩499352
    • ...এগুলো কিন্তু ‌১৯৭১ এর আগেই ঘটেছে! সুতরাং ১৯৭১ দেখিয়ে এই মৌলবাদী কাজগুলিকে মান্যতা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা করছেন, তাঁরা মিথ্যাচারী! সেক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে তাঁদের কোনো ভেদ নেই!
     মান্যতা দেওয়ার প্রশ্ন নেই - সংখ্যালঘু নির্যাতন আমাদের একটি উৎকট রোগ, মানবতার প্রতি অপরাধ। 
     
    ব্যক্তিগতভাবে আমার কথা বলতে পারি, ভারতে এসব হলে আমি বেশি বিচলিত হই, কারন আমি ভারতের নাগরিক, ভারতবাসী আমার সহনাগরিক, আমার দেশের দুর্নামের আমি ভাগীদার, চাই বা না চাই। অন্য রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মানবতার প্রতি অপরাধে বিচলিত হলেও একটু দূরের ব্যাপার।
     
    বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিষয়ে প্রশংসনীয় নয়। যদিও গত ক'বছর দুয়েকজ্ন ক্ষমতাবান রাজাকারদের ফাঁসি টাসি দেওয়া হয়েছে, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট সমর্থন না করলেও নাজি হোমরাদের কেন ল্যামপোস্টে ফাঁসি দেওয়া নিয়ে তো আর আপত্তি করবো না, এদের ক্ষেত্রেও তাই।
     
    লেখার সুরটা আমার ভালো লাগেনি - ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনা করে কী লাভ আমি জানি না, আর গুটিকয় সার্বভৌম রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অঙ্গরাজ্যের তুলনা অস্বাস্থ্যকর লেগেছে তা বলেওছি।
     
    • aranya | 2601:84:4600:5410:50b:458d:ca4d:7332 | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২২:০৪499372
    • - আমি এটাকে গুরুত্ব দি। এই যে বিশাল এক্সোডাস, তার কিছুটা ইকোনমিক মাইগ্রেশন, কিন্তু অনেকটাই নির্যাতিত হয়ে, ভয়ে উদ্বাস্তু হওয়া। হিন্দু মেয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া, ঘরে আগুন দেওয়া, সম্পত্তি দখল, মন্দির ভাঙা এ সবই  চলছে বাংলাদেশে।   
      '
     
    অরণ্যদা, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা কয়েকজনকে চিনি, খুবই সামান্য, এ দিয়ে বাস্তব পরিস্থিতির বিচার হয় না, তাও বলি।
     
    আমার আত্মীয়, সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ বলা চলে, তাঁদের পরিবারের মূল অংশটি গ্রামে আদি বাড়িতে ছিল। ৪৭এর পর তাঁদের প্রাক্তন মুসলমান রায়ত, প্রজারা বলেন আপনারা থেকে যান, আমাদের প্রাণ থাকতে কেউ আপনাদের কেউ কিছু করবে না । কিন্তু লেট সিক্সটিজে সেসব লোক নিজেদেরই প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সুতরাং ঐ পরিবারের সবাই প্রাণ হাতে করে বাড়ি ঘর যেমনকে তেমন ছেড়ে পালান। 
     
    এবার ঐ পরিবারের বাকি খুচরো অংশের লোকজন একাত্তর সার্ভাইভ করেন, কিন্তু পরিবারের মূল অংশ ভারতে, তারপর মুজিব হত্যা ও ফলোয়িং টালমাটাল অবস্থা দেখে, অপশন যেহেতু ছিল, ভারতে চলে আসেন। সেই চলে আসা শেষ হয়েছে বছর দশেক আগে। তো, শুরুটা ধর্মের ভিত্তিতে উৎপীড়ন দিয়ে হয়েছিল, শেষটা জীবিকা, আর্থিক নিরাপত্তা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে থাকা -এইসব দিয়ে।
     
    তরপর আমার এক বন্ধু ছিল কলেজে, সে বাংলাদেশে মাধ্যমিক পাশ করে চোরা পথে ভারতে এসে ক্লাস এইটে ভর্তি হয়। গরীব কৃষক পরিবারের ছেলে, নিষ্ঠাবান হিন্দু, কন্ঠীধারী বৈষ্ণব। কিন্তু তার আসার একমাত্র কারন ছিল বাংলাদেশে লেখাপড়ার খরচ।
     
    আর দু'জন বন্ধু আছে যারা এসেছে আশি ও নব্বইয়ের দশকে - সম্পন্ন ব্যবসায়ী- আসার কারন ভারতে বিনিয়োগ ও ব্যাবসার সুযোগ। 
     
    আরো একজন দূর সম্পর্কের আত্মীয়, যাঁদের বাংলাদেশে এখনো বিস্তর জমিজমা বিষয় সম্পত্তি আছে, সেখান থেকে হুন্ডি হাওলাতে টাকা আসে। এরকম ত্রিপুরায় অনেকে আছেন, এরা মূলত চাড্ডি হন।
     
    তারপর ধর আমেরিকায় ডাইভার্সিটি ভিসাতে আসা অনেক হিন্দু পরিবারকে চিনি - তাঁদের টাকাপয়সা ও শিক্ষা বেশি থাকাতে অ্যাপ্লিকেশনে একটু বেশি সড়গড়। 
     
    তো, ধর্মীয় উৎপীড়ন তো আছে নিশ্চয়, রাষ্ট্রধর্মের ব্যাপার থাকাতে অসাম্যও আছে। কিন্তু চলে আসার আরো বিবিধ কারন আছে।
     
    তবে ক্রমহ্রাসমান জনসং্খ্যার ব্যাপারে ভারতে যেমন শিক্ষিত ও প্রিবিলেজড মধ্যবিত্তদের মধে বংশবৃদ্ধির হার কম সেরকম ব্যাপার আছে, ওখানেও সেরকম কোন ফ্যাক্টর থাকবে হয়তো, জানি না।
  • দীপ | 182.66.128.125 | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৫৫499388
  • বংশবিস্তারের হার কমা দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের শতকরা অনুপাতের বিরাট পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের শতকরা অনুপাত বাড়ছে আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতকরা অনুপাত কমেছে। অর্থাৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ দেশত্যাগ করেছে।‌ এর পিছনে অর্থনৈতিক কারণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা প্রভৃতি কারণ থাকতে পারে; কিন্তু মূল চিন্তা নিরাপত্তাহীনতার ভয়। তা নাহলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ স্থায়ীভাবে দেশত্যাগ করেনা! 
    আর যত একটি মৌলবাদী শক্তিকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবেন, আরেকটি মৌলবাদী শক্তি ততো উঠে আসবে!
  • দীপ | 182.66.128.125 | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৯:০৫499389
  • প্রসঙ্গত, ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতকরা অনুপাত কমেনি, বরং সামান্য হলেও বেড়েছে। অত‌এব জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমা দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতকরা অনুপাত হ্রাসকে কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়! অবশ্য মৌলবাদী শক্তিকে তোষণ করতে সব রকমের যুক্তি দেওয়া যেতে পারে!
  • সালা | 172.96.162.98 | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৯:১১499390
  • মিশন চাড্ডি ফের হাগতে লেগেচে!
  • দীপ | 182.66.128.125 | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৯:২১499391
  • ১৯৪৬-৪৭ সালে দাঙ্গার সময় মুসলিম সমাজের এক বিরাট অংশ পাকিস্তানে চলে‌ যান, অবশ্য‌ই সত্য। কিন্তু এরপর আর সেভাবে অভিপ্রয়াণ হয়নি। কিন্তু পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অভিপ্রয়াণ করেছে, জনগণনা তাই বলছে! 
    কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীদের চোখে এই সহজ সত্য ধরা পড়েনা! তাঁরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ইজরায়েল নিয়ে গর্জন করতে পারেন, কিন্তু এনিয়ে একটি শব্দ‌ও শোনা যায় না! বরং তসলিমা নাসরিন এই নিয়ে লেখালেখি করলে তাঁকে দেশছাড়া করা হয়!
  • দীপ | 182.66.128.125 | ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৯:২৫499392
  • পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বঙ্কিমের রক্তে সাম্প্রদায়িকতা ছিল বলে মাতব্বরি মারতে থাকেন, কিন্তু এই নিয়ে একটি কথাও বলেননি! উলটে  তসলিমাকে তাড়ান; কংগ্রেস, আব্বাসের হাত ধরেন! 
    ফল তো দেখতেই পাচ্ছি! 
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.39.8 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৭:২৫499447
  • সাম্প্রদায়িকতা একটু  চর্মরোগের মত, গোপন রাখা কঠিন। :-)))) 
     
    সিপিএম কে দেশে দেশে সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতার বিরোধীতা করতে হবে, তার পরে এনার পারমিশন পাওয়া যাবে নিজেদের দেশে সাম্প্রদায়িঅকতার বিরোধিতা করার। :-)))))))  
     
    আব্বাস সিদ্দিকীর ভাগিদারীর দাবীতে খুব আপত্তি, অথচ পৃথিবীর যে কোন গণতন্ত্রে যে কোন সংখ্যালঘুর সমস্ত রাজনৈতিক দাবীর ভিত্তিই হল, প্রগতিশীল অন্তর্ভুক্তিকরণ,  সমস্ত , নাগরিক সুযোগ সুবিধায় অংশীদারীত্ত্ব। 
     
    ভারত রাষ্ট্রের, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম এর খারাপ ফল হবার মূল কারণ যদি হয়, রাজ্যের স্থানীয় সংখ্যালঘু মুসলমান দের অংশীদারিত্ত্বের দাবী কে সমর্থন করা , তাহলে বলতে হবে নীতির রাজনীতি এখনো বেঁচে আছে। মজাটা হল, আই এস এফ একটি সীট পেয়েছে, এই একই ডাকেই পেয়েছে। মারামারি না হলে আরো একটি অন্তত সিট পেত। সমাজের সর্বস্তরে হিন্দুত্ত্ববাদী আর মেজরিটারিয়ান লিবেরাল দের আপত্তি সত্ত্বেও, তৃণমূলের পরিবর্তন বিরোধী রক্ষণশীল দের দাপট সত্ত্বেও পেয়েছে। 
     
    সাচার কমিটি বলেছিলেন ,মুসলমান দের রাজ্যের সরকারী কাজে জনসংখ্ক্যার অংশের তুলনায় যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ত্ব নেই।  বামফ্রন্টের বক্তব্য ছিল সাচার কমিটি ভূমি সংস্কারের বেনেফিসিয়ারি  দের ডেমোগ্রাফিক অ্যানালিসিস করেন নি, এবং আলাদা করে রঙ্গনাথ কমিশনের ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়া পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন ভিত্তি তৈরী করা সম্ভব না। মমতা ৫ বছর এন ডি এ করার পরে এই সময়ে সেকুলার হলেন, এবং মুসলমান কনজারভেটিভ দের সঙ্গে হাত মেলালেন। একই সঙ্গে সিদ্দিকুল্লা র সঙ্গেও হাত মেলালেন। ত্বহা সিদ্দিকীরাও সমর্থন তাঁকেই করলেন। সিদ্দিকুল্লা খুব ই কনজারভেটিভ ছিলেন ঠিক ই , কিন্তু মূলতঃ চাকরি তে সংরক্ষন er কথা বলেই পপুলার হয়েছিলেন। তো এত বছরে মুসলমান দের প্রতিনিধিত্ত্ব সরকারী কাজে বেড়েছে কিনা খবর নেই, রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন এর প্রস্তাব গুলি নিয়ে আলোচনাও হয় নি, বিকল্প কিসুও হয় নি। শুধু যেটা হয়েছে, মুসলমান রক্ষনশীল দের কে পোলিটিকাল স্পেস দিতে গিয়ে, পরে ঢোঁক গিলে পুরোহিত ভাতা দিতে হচ্ছে এবং বিজেপি তৃণমূল দলের মধ্যে যাতায়াত বেড়েছে, আর এস এস সম্পর্কে প্রণবের থেকেও এগিয়ে যাবেন অদূর ভবিষ্যতে। :-)))) এর মাঝে গ্রামীন মুসলমান দের বিশেষত আমফান এর পরে ডিসকন্টেন্ট এর ফলেই আই এস এফ তৈরীও হয়েছে, একটা সীট ও পেয়েছে। নতুন দল, তার দক্ষিন বঙ্গের বাইরে বিশেষ প্রভাব নেই, তবে কয়েকটি নির্বাচণী ক্ষেত্রে তারা একটু হৈ হৈ ফেলেছিল। ঠিক সিদ্দিকুল্লার মতই রক্ষণশীল সামাজিক প্রেক্ষিত থেকে হওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক দাবী দাওআ, শিক্ষার দাবী দাওয়া তুলেই তার সাফল্য। সিদ্দিকুল্লা আগের ফর্মে থাকলে , এবং সরকারের মধ্যে থেকে নানা আলোচনায় পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশনের আইনী ভিত্তি শক্তিশালী করতে জোর দিলে, সিদ্দিকীর নাম কেউ শুনতো কিনা সন্দেহ। তবে এটাও মনে রাখা দরকার, মুসলমানরা  ঠিক হিন্দু দের মতই রাজনৈতিক কোন বিষয়ে একমত হতে পারেন না, তাই নানা রাজনৈতিক দল আছে। সকলেই বাকি সকলকে বিজেপির হাত শক্ত করার অভিযোগ করেই থাকেন :-)))))  এটাই ঐতিহ্য। :-))) মুসলমান দের মধ্যে যে রাজনীতিটা চলছিল এবং যেটা তৃণমূলের অপারেশনাল অনুমোদন পেয়েছে সেটা হল, সামাজিক ক্ষেত্রে বহুমত্য রাখো, নানা সংগঠন গড়, ইত্যাদি, শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দিদির সঙ্গে থেকো। মমতা যে ভাবে চলছেন, তাতে এমনকি e রাজ্যের মুসলমান রাও ২০২৪ এ কংগ্রেসের দিকে নতুন করে ঢলে পড়লে অবাক হবার বিশেষ কিছু থাকবে না। 
     
    সিপিএম এর সমর্থকদের একটা অংশ বিজেপির সঙ্গে গেলে, বাকি অংশ তৃণমূলের সঙ্গে গেলেও কিছু না এসে যাওয়াই উচিত। কয়েকট নির্বাচনে aদুটো উঠতি নতুন ফোর্সের সঙ্গে মানুষ গেছে, এতেই বা অবাক হবার কি আছে বুঝি না। 
     
    ভারতবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থার প্রয়োজন আছে মানুষ মনে করলে নতুন সমর্থক তৈরী হবে , না হলে দল উঠে যাবে, কি ই বা এসে যায়। নতুন বামপন্থী দল তৈরী করার দিকে লিবেরাল রা, যারা নিজেদের প্রকৃত বামপন্থী বলে মনে করেন, তাঁরাও বিশেষ এগোন নি। তবে হতেই পারে। ভবিষ্যতে।  
    অ্যাকচুয়ালি দেশের মানুষের মুর্খ বিজ্ঞানবিরোধী, ধর্মীয় মস্তানির রাজনীতি যদি বেশি পসন্দ হয় তো হবে কি করা যাবে। 
     
    এই প্রশ্নে সিপিএম  যদি উঠে যায়, তাতে কিসুই এসে যায় না। দেশের লোকের যদি মুর্খ হতে ইচ্ছে করে, কি করা যাবে। 
    অন্তত ১৯৯২ এর পরের ভারতবর্ষে যখন হিন্দুত্ত্ববাদের বিপদ দেশকে দখল করেছে, বামপন্থী পার্টি নিজের দেশের সংখ্যাগুরুর দল কিংবা বৃহত্তর রাজনীতির বিরুদ্ধে গেছে এটাই রেকর্ডেড থাকবে। 
     
    বাংলাদেশের বামপন্থীদের প্রভাব খুব বেশি না। রাজনীতিতেও না সংস্কৃতিতেও এখন আর তেমন কিছু না। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে অসংহ্য ধরণের ধরণের সিভিল রাইট্স এবং বামপন্থী রাই, সেখানকার সমস্ত রকমের সামাজিক সংখ্যালঘু দের কথা বলছেন , বলে চলেছেন, অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলার পাশাপাশি। 
    তাঁরা সে দেশের লোক, নিজের দেশ সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িক ছাগলের হাত যাতে আরো আরো শক্ত ন হয় , তার চেষ্টা করছেন, সেটাকে আমাদের দেশের কোন ঘৃনার রাজনীতির রোগগ্রস্ত ভুলভাল লোক গুরুত্ত্ব দিল না দিল না,  তাতে কিছুই এসে যায় না। 
    :-)))))))))))))) 
     
     
  • দীপ | 2402:3a80:a91:979a:9411:c33c:eebe:b7ca | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৮:০৬499450
  • "সাত জার্মান জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে"
    তসলিমার ব‌ই নিষিদ্ধ করে, তসলিমাকে তাড়িয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা হচ্ছে! 
    মানুষ তো এত‌ই গাধা!
  • দীপ | 2402:3a80:a91:979a:9411:c33c:eebe:b7ca | ১২ অক্টোবর ২০২১ ০৮:৩২499451
  • কথা খুব স্পষ্ট। একটি আধুনিক, ধর্মনিরপেক্ষ দেশের পরিচয় সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কেমন আছেন। সেজন্য‌ই বাবরি মসজিদ ধ্বংস, গুজরাট দাঙ্গা আমাদের কাছে চূড়ান্ত ঘৃণ্য! এক‌ইভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চূড়ান্ত ঘৃণ্য! কিন্তু বড়ো বড়ো বুলি কপচানো বিপ্লবীদের এনিয়ে একটি কথাও শোনা যায়না। বরং তখন শোনা যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে জানেনা! 
    মহাবিপ্লবী ঠিক করে দেবেন কে পোকিত অসাম্পদায়িক আর কে নয়!
  • দীপ | 2402:3a80:a91:979a:9411:c33c:eebe:b7ca | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১০:৩৩499457
  • মহাবিপ্লবীরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গর্জন করতে পারেন (যদিও নিজের ছেলেমেয়ে, নাতিনাতনিদের আমেরিকায় পাঠান), ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন; কিন্তু বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা উঠলেই সেটা অন্য দেশের কথা হয়ে যায়!  
    কিন্তু  তসলিমার জন্য পশ্চিমবঙ্গের শান্তি বিঘ্নিত হয়! তাই তসলিমাকে তাড়াতে হয়! কিন্তু ইদ্রিস আলী কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয়না! 
    কারা নির্লজ্জ সেটা পরিষ্কার বোঝা যায়! 
    মাতব্বর নিজেকে বিরাট বুদ্ধিমান‌ ভাবে, খালি তার ধান্দাবাজি যে লোকের কাছে ধরা পড়ে যায় সেটাই বোঝে না! 
     
     একটি ধর্মের ভাগীদারি চাইলে আরেকটি ধর্মের ধর্মোন্মাদরাও যে তাদের ভাগীদারি চাইবে, সেটা যারা বোঝেনা, তারা হয় জড়বুদ্ধিসম্পন্ন, নয় চূড়ান্ত ধান্দাবাজ!
     
     
  • guru | 103.151.156.39 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৪৪499467
  • বাংলাদেশের বিপুল অর্থ-সামাজিক সাফল্যের মুল কারণ হল ১৯৭১ সালের পর থেকেই সম্পূর্ণভাবেই পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই পুরোপুরি বিহারী অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া | ১৯৪৭ এর পর থেকেই বাংলাদেশে যতগুলি রাজনৈতিক আন্দোলন হয়েছে যেমন ভাষা আন্দোলন , শেখ মুজিবের উত্থান , ছয় দফা দাবী , মুজিবনগর সরকার এবং সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের মুল দাবিই ছিল পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই পুরোপুরি বিহারী অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া|
     
    বাংলাদেশের এই নীতি অনুসরণ না করার ফলেই আজকে পশ্চিমবঙ্গের এই অধঃপতন | ১৯৭১ এর ৫০ বছরেও বাঙালির এই উপলব্ধি হলোনা এটাই সবচেয়ে বড় দুঃখ এর কারণ |aajke বিহারী অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি সংখ্যালঘু | 
  • dc | 122.174.150.14 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১৫:০৬499469
  • পশ্চিমবঙ্গ আর বিহারের বর্ডারে একটা দেওয়াল বানানো হোক। দেওয়াল টপকে খোট্টাগুলো এদিকে আসতে চাইলেই গুলি করা হবে। ট্রাম্প দেওয়াল তোলার ব্যপারে বিশেষ পারদর্শী, ট্রাম্পের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। 
  • guru | 103.151.156.39 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১১499474
  • ডিসি আপনি ভালোই প্রস্তাব দিয়েছেন|Trumper সবকিছুই খারাপ ছিল তা নয় কিছু কিছু ব্যাপার সত্যি প্রশংসনীয় | শেখ মুজিব তো বাঙালিকে রাজ্য থেকে বিহারি ক্ষেদাতে অনেক দশক আগেই বলেছিলেন|
  • dc | 122.174.150.14 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০২499475
  • বিহারি বললে ঠিক জোশ আসে না। খোট্টা বলুন। 
  • guru | 103.151.156.39 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৩৯499476
  • হিন্দুস্তানী অথবা রাজাকার বললেই সবচেয়ে ভালো হয় | শেখ সাহেব তো সেই কথাই শিখিয়েছেন |
  • aranya | 2601:84:4600:5410:55e8:4fd0:9c12:e842 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ২১:০১499479
  • গুরু আর মূল্যবান মতামত চাইছেন না, উত্তরের অপেক্ষায়- ও থাকছেন না  :-)
  • guru | 103.151.156.39 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ২২:২৮499483
  • অরণ্য আমি এখনো আপনার মূল্যবান মতামত চাইছি | কি মনে করেন আপনি পশ্চিমবঙ্গের কি শেখ সাহেবের মতো কোন চিরস্থায়ী  সমাধান দরকার নেই বিহারী অনুপ্রবেশ সমস্যার জন্য ? বাংলাদেশের সমস্ত সাফল্যই মূল কারণ সম্বন্ধে আপনার কি মতামত ?
  • dc | 122.174.150.14 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ২২:৪৫499484
  • যাতা অবস্থা। অবশ্য সবার ভয়েসই আসা দরকার :d
  • dc | 122.174.150.14 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ২২:৪৫499485
  • যাতা অবস্থা। অবশ্য সবার ভয়েসই আসা দরকার :d
  • he he | 2405:8100:8000:5ca1::107:ca97 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৪৫499487
  • এ সালা ছাগুটা ইনিয়ে বিনিয়ে পশ্চিম্বঙ্গকে বাংলাদেশের সাথে এক করে দেখাতে চায়। পাকিস্তান কেমন ভাল দেখাতে চায়।   শেখ মুজিবের কথা তোমার ট্যাঁকেই গুঁজে রাখো ছাগু। ভারত গিয়ে সাহায্য না করলে এখনো ওই সাধের মুক্তিযুদ্ধ) অড়ে যেতে। পশ্চিম্বঙ্গ তোমাদের স্বপ্নের বাংলাস্তানের পার্ট হবে না। যাও কাঁটালপাতা চিবোও গিয়ে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:11a6:bb06:3d08:7fc7 | ১২ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৫৬499488
  • আমার মত, সে মানে এতই সস্তা,  ধর্মনিরপেক্ষ, জাতিনিরপেক্ষ ইঃ, এতই বোরিং যে ভাবতেও লজ্জা হয়। মোটেই মূল্যবান নয় :-(
  • guru | 103.151.156.33 | ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১০:১০499499
  • হে হে তুমি বাপু চিনামাল আমাদের বাঙালিদের ব্যাপারে কেন মাথা গলাচ্ছ ? একটা চীনা নাম নিয়ে তুমি আমাদের বাঙালীদের সম্বন্ধে জানো টা কি ? তোমাদের চীনাদের তো বিহারিরা ৬২ সালে কলকাতা থেকেই তাড়িয়ে দিলো | তুমি তখন কোথায় ছিলে বাপু ? বটপাতা চিবাচ্ছিলে ? তুমি আজকে কেন বিহারীদের নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছ চিনামাল ?
  • guru | 103.151.156.33 | ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১০:১৭499500
  • অরণ্য আপনার মত আমি সত্যি জানতে আগ্রহী এইরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে | আসলে কোনো প্রগতিশীল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে যতটা মাথা ঘামান বিহার থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে একটাও কথা বলেননা | আপনি কি এটা মনে করেন যে বিহার থেকে অনুপ্রবেশ একটি সাংঘাতিক বিষয় যার ফলে পশ্চিম বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টি অর্থনীতি সব যেতে বসেছে ? এটা ত সত্যি কথা আস্তে আস্তে পশ্চিমবঙ্গ পূর্ব বিহারে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে ?
  • dc | 122.174.5.20 | ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১০:৩৯499503
  • "আমাদের বাঙালিদের" - এটা আবার কি বস্তু? এরকম কোন গ্রুপ আছে নাকি? পশ্চিমবঙ্গে এখনো অবধি আমার জানা মতে কারুর আসা বারন নয়। চীনেদেরও নয়। ভাগ্য ভালো পবতে আপনার মতো রেসিস্ট আর জেনোফোব এখনো সবাই হয়ে যায়নি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন