এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব

    কল্লোল লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ৪১১৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • এটা একান্তই আমার বিশ্বাস, মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব। আর কেউ এতে ভিতর থেকে বিশ্বাস করতো বলে জানতাম না। কিন্তু আমার বন্ধু সুস্মিতা করতো।

    অর সাথে প্রথম দেখা মাসুমের হাওড়ার অফিসে। আমি ওর মাসুমের চাকরীর ইন্টারভ্যু নিয়েছিলাম। ওর পরিচিতিতে বাবার নাম রণেন রায়চৌধুরী দেখে নেহাৎই কৌতুহলে বাবার পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম। এবং জানা গেলো তিনিই লোকসঙ্গীতের ঈশ্বর রণেন রায়চৌধুরী। তারপর সুস্মিতার সাথে বন্ধুত্ব।

    খুব যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো তা নয়, ঐ বই মেলা আর ১০ ডিসেম্বর মাসুমের মানবাধিকার মেলায় দেখা হতই।

    ও চলে গেলো।

    সুস্মিতা তাঁর মৃত্যুবাসরে আগাম নিমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির কাছাকাছি থাকা ঘনিষ্ঠদের।

    ‘রবিবার বিকেলটা কোনও কাজ রাখিস না। দরকার লাগতে পারে।’

    ‘তুমি কি রবিবার আমাদের বাড়ি আসছ?’

    ‘জয়, তুই রবিবার বিকেলে এক বার আসিস। সন্ধে করিস না। দিন থাকতে থাকতে আসিস।’

    এমন সব নিমন্ত্রণপর্ব চলেছিল পাঁচ-সাতদিন আগে থেকেই। কেউ ভেবেছিল মুন’দি খাওয়াবে কিছু। যেমন অনেক সময়ই ডাকে। কেউ ভেবেছিল কোনও কাজ আছে হয়তো। কিন্তু সদাহাস্যমুখী, প্রিয় মানুষটার কথা বা আচরণ অন্য কোনও সন্দেহ উস্কে দেওয়ার অবকাশ দেয়নি।

    কেউ বোঝেন নি, আসলে বাড়ির কাছাকাছি থাকা ঘনিষ্ঠদের ওই আগাম আমন্ত্রণ তাঁদের প্রিয় মানুষটির মৃত্যুবাসরে উপস্থিত থাকার জন্য। যে বাসর তিনি নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন। গত রবিবার বিকেলে।

    প্রিয় মানুষটির নাম সুস্মিতা রায়চৌধুরী (ডাকনাম ‘মুন’)। আড়াই মাস হল ৬০ পূর্ণ করেছিলেন। গত রবিবার, ৩১ অক্টোবর সুস্মিতা নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।

    সুস্মিতা বোধহয় ‘হত্যা’ শব্দটায় আপত্তি করতেন। তাঁর কাছে এটা ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’। সুস্মিতা কোনও দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত ছিলেন না। গ্লানি, হতাশা বা তীব্র মানসিক যন্ত্রণাও ছিল বলে নিকটজনেরা মনে করছে না। আচমকা কোনও মানসিক বিপর্যয়ের কারণ ঘটেনি। সুস্মিতার আত্মহত্যার কারণ বিস্ময়কর। চেনা ছকের একদম বাইরের।

    এক বছর আগের জন্মদিনে ফেসবুক পোস্টে সুস্মিতা নিজের এপিটাফে লিখে গিয়েছিলেন, ‘আমার ইচ্ছে, আমার মরণ বাসরসজ্জা আমি নিজেই রচনা করব। এটা আমার খুব ছোটবেলার স্বপ্ন। এ বিষয়ে আমি খুবই রোম্যান্টিক। কোনও দুঃখ না, হতাশা, অবসাদ না। আমার প্রচন্ড ভালোবাসার জীবনকে আমি কিছুতেই স্বাভাবিক যাপনের বিরুদ্ধে আপোস করতে দেব না।’

    উত্তর কলকাতা শহরতলিতে ডানলপের কাছে বি-হাইভ গার্ডেনের চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন সুস্মিতা। রবিবার বিকেলের পর সেই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে যখন বন্ধু, প্রতিবেশীরা ঢোকেন, তখন সামনেই খাওয়ার টেবিলে ছিল সুস্মিতার সাজিয়ে রাখা মৃত্যুপূর্ব-আয়োজন। খামে ভরা পুলিশকে লেখা চিঠি। কাকে কাকে সকলের আগে খবর দিতে হবে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর। নিজের আধার কার্ড। আলাদা আলাদা ভাবে আরও কিছু নির্দেশ দেওয়া চিঠিপত্র। এবং আর্ট পেপারে লেখা রবীন্দ্রনাথের দামিনীর একটি উক্তি। টেবিলময় সাজানো সব। খুব যত্ন করে সাজানো।

    মৃত্যুর দিন দুপুরেও একতলার বাসিন্দা বোনকে জড়িয়ে ধরে আদর করা ছিল। যেমন দৈনন্দিন থাকত। গালে চুমু খাওয়া এবং পাওয়া। কে জানত, এ বার দিদি চারতলায় উঠছে শেষ বারের মতো! রোজকার মতো সেই ভালবাসার হাসিখুশি মুখে বোন সঞ্চিতা কোনও ফারাক খুঁজে পাননি অন্য দিনের থেকে।

    সুস্মিতার চারতলার সংসার ছিল বছর কয়েকের ছোট বরকে নিয়ে। তবে তাঁর আসল সংসারটা অনেক বড়। সমাজকর্মীর সংসার। কোনও দল না করলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রে সুস্মিতার কাছাকাছি থাকা মানুষজন, বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা অগুন্তি। তাঁদের অনেককেই মৃত্যুর আগে নির্দেশ, বার্তা, পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন সুস্মিতা (সম্ভবত ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে)। জনে জনে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ লিখেছেন। তেমন একটি বার্তা ছিল আমার জন্যেও— ‘মুকুল, আমি চললাম। বিদুরের মতো তুমি দেখে রেখো। নিজে ভাল থেকো।’

    মেসেজ লেখার পর ফোন বন্ধ করে দেন সুস্মিতা। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ রবিবার রাতে সেই ফোন খোলার পরই মেসেজগুলো পৌঁছতে থাকে জনে জনে। অনেক কিছু বলে যাওয়ার পাশাপাশি বরকে ‘নির্দেশ’ দিয়ে গিয়েছেন, ‘অমুকের মাইনেটা অমুক মাস থেকে বাড়িয়ে অত করিস।’ বা, ‘তুই কিন্তু এই ঘরেই থাকবি কাল থেকে...। প্রথম কয়েক দিন রাতে অমুক অমুকদের এসে থাকতে বলবি...। কিছু দিন পর থেকে তার দরকার পড়বে না।’

    এ তো সত্যিই নিজের হাতে নিজের মৃত্যুবাসর সাজানো। লিখেছিলেন, ‘সেই ছোট্টবেলা থেকে জরা, ব্যাধি, মৃত্যুর কথা জানি। জীবনকে যতটা ভালোবাসি, মৃত্যুকেও ততটাই ভালোবাসি। মৃত্যুকে কোনওদিন ভয় পাইনি বলেই তো জীবনকে এতো গভীর ভাবে উপভোগ করতে পেরেছি।’ লিখে গিয়েছেন, ‘রোগশয্যায় শুয়ে মৃত্যুর কাছে কাতর অনুনয় করতে পারব না। ভিক্ষা না, মৃত্যুকেও আমি অর্জন করতে চাই। মৃত্যু আমার কাছে পালানো নয়। আমি মৃত্যুর প্রণয়প্রার্থী।’

    তবু প্রশ্ন তো থাকেই। আইনের প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, এই যুক্তিতে তো একটা বয়সের পর সব মানুষেরই আত্মহত্যা করতে হয়! এত মানুষ যে সুস্মিতাকে ভীষণ ভীষণ রকম ভালবাসতেন, তাঁদের প্রতি কি নির্দয় আর নির্মম হলেন না সুস্মিতা?

    এ সব প্রশ্ন যে উঠবে, সুস্মিতা জানতেন। অবশ্যই জানতেন। সমাজ, আইন, সম্পর্ক, ভালবাসা— সব কিছু নিয়ে সুস্মিতার নিজস্ব বোধ, নিজস্ব ভাবনা ছিল। দৃঢ় ভাবেই ছিল। তার সঙ্গে ছিল ব্যক্তিগত অধিকারের ভাবনা।

    নিজের জীবন-মৃত্যুর নির্বাচন আমার নিজের— পৃথিবীর ইতিহাসে এই চেতনাবোধ ঘিরে কম আলোচনা, কম বিতর্ক হয়নি। আজও হচ্ছে। কিন্তু এ তো শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা নয়— ঠান্ডা মাথায়, পরিকল্পনা করে, দিনক্ষণ আগে থেকে ঠিক করে নিজের মৃত্যুর এমন আয়োজনের সাহস আসে কোত্থেকে! কোন মানসিক জোর, জীবনাদর্শবোধের কোন দৃঢ়তা, কোন আত্মবিশ্বাস এই সাহস জোগায়, তা ভাবার মতো তো বটেই। কারণ, এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে তো নয়ই, বিশ্বে খুঁজলেও মনে হয় বিরল। সুস্মিতা ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু ভাবনা, বিতর্কের অবকাশ তৈরি করে দিলেন সমাজের সামনে।

    সুস্মিতা লিখে গিয়েছেন, ‘যেদিন আমার স্বাস্থ্য আমার সুরে মিলবে না, আমার তালে পা ফেলতে পারবে না, সেদিন বিদায় জানিয়ে আমি জীবনের হাত ছেড়ে দেব। তার আগে রবীন্দ্রনাথের চতুরঙ্গের দামিনীর মত আমিও আমার সাথীর উদ্দেশ্যে বলে যাব—সাধ মিটিল না, জন্ম জন্মান্তরে যেন তোমাকে পাই। এই উক্তিটি উদাহরণ মাত্র (আমি জন্মান্তরে বিশ্বাস করি না)...।
    ০৪ নভেম্বর ২০২১, মুকুল দাস লিখেছেন।

    বড় সাহস দিলি সুস্মিতা...............
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ৪১১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০২:৩০500821
  • কেও আত্মহত্যা ভাবার মতো স্টেজে পৌঁছনোর আগে তো তাদের ডিপ্রেশন এর চিকিৎসা দরকার। একটা সুস্থ লোক হটাৎ করে আত্মহত্যা করার কথা ভাববে কেন ? এতো একদিনে আসেনা। 
  • hu | 174.102.66.127 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০২:৫৩500822
  • মানুষ শুধু মাত্র অবসাদজনিত কারনে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইবে এটা একটা ভুল ধারনা। মানুষের যেমন আরো অজস্র প্রেজুডিস তৈরী হয়েছে হাজার বছর ধরে এটা তেমনই। স্বেচ্ছামৃত্যু একটা ক্ষমতার জায়গা, দুর্বলতার জায়গা আদৌ নয়। মহাভারতে যে মানুষটির স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার ছিল তিনি কি দুর্বল ছিলেন? প্লেনে চাপতে হবে জানা আছে, কিন্তু কখন ছাড়বে জানা নেই। এ তো আফগান রিফিউজির মত অসহায় জীবন। এর চেয়ে সময়টা জেনে রাখা, কোন এয়ারলাইন্স, কেমন সিট বেছে নেওয়া ভালো নয় কি? প্লেনের টিকিট কাটা মানেই তো প্লেনে চাপা নয়।
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০২:৫৮500823
  • সবাই ওতো ভেবে চিন্তে এক বছর ধরে প্ল্যান করে আত্মহত্যা করেনা। অনেকেই ইম্পালসিভ রিএকশন ও গলায় দড়ি দেয় বা রেল লাইনে ঝাঁপ মারে। ওভাবে যেকাউকে সুইসাইড এর ওপেন আইনি স্বীকৃতি দিলে প্রতি বছর মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে মড়ক লেগে যাবে। 
  • পটভূমি | 2405:8100:8000:5ca1::172:d51d | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:০২500824
  • সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আত্মহত্যার পটভূমি একদিনে তৈরি হয় না। হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় ফেল করে যে আত্মহত্যা করে তারও পটভূমি বহুদুন ধরে তৈরি হয়। ব্যর্থতার আশংকা, ব্যর্থতা ঘিরে ভয় একদিনে তৈরি হয় না।
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:০৭500825
  • সেটাই তো বলছি. তাদের ডিপ্রেশন এর চিকিৎসার দরকার আগে. জীবন শেষ করে দেওয়া টা কোনো সমাধান নয়। একমাত্তর টার্মিনাল ইল কেস ছাড়া কারণ সেক্ষেত্রে তাঁদের পেন রিলিফ এর কোনো সমাধান নেই আজকের মেডিক্যাল সাইন্স এ. 
     
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:2526:155b:16be:3478 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:২৪500826
  • শরীরের যেমন টার্মিনাল ইলনেস হয়, মনেরও সেরকম টার্মিনাল ইলনেস হতে পারে, তাই না? সমস্ত টার্মিনাল ইলনেসের সমাধান মেডিকেল সায়েন্সে নেই। সেক্ষেত্রে যথাসম্ভব যন্ত্রণাহীনভাবে জীবন শেষ করে দেওয়া অতি অবশ্যই একটি সমাধান, এভাবে ভাবা যেতে পারে। 
     
    এবার মানসিক অসুস্থতা নেই এইরকম ক্ষেত্রগুলো দেখি। এই যে অমিত বললেন, জীবন শেষ করে দেওয়া সমাধান নয়। সেটা একটু ব্যাখ্যা করবেন? একজনের জীবন শেষ হয়ে গেলে তাঁর নিজের দিক থেকে, যদি তিনি বাঁচতে না চান, তো কোন অসুবিধা নেই। অন্যদেরও কোন অসুবিধা নেই, কারণ প্রতিটি মৃত্যুর পরেও সেইভাবেই জগৎ চলছে। কিছুই থেমে থাকেনা। তাহলে জীবন শেষ করে দেওয়া সমাধান নয় কেন? 
  • স্বীকৃত | 2405:8100:8000:5ca1::1ba:25d8 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:২৬500827
  • আবার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। পটভূমি মানেই সেটা খারাপ হতে হবে তেমন নয়। মানুষের মনের একটি পুরোনো বদ্ধ ধারণা যে - আর বাঁচতে না চাওয়ার ইচ্ছেটা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার, এটা একটা অসুখ - এটা ভুল প্রথাগত ধারণা। প্রত্যেক মানুষের মনে নানা কারণে এই ইচ্ছে আসে। ইচ্ছামৃত্যু আইনিভাবে স্বীকৃত কিছু কিছু দেশে (Death with Dignity Law)। কিছু জায়গায় আইনের কাজ চলছে।
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৩৫500828
  • কারণ একজন অল্পবয়সী কেউ নিজের জীবন এভাবে শেষ করে দিলে তার বাবা মা নিকট অনেকেই সারা জীবন অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন। সেটা খুব কাম্য নয়। একজনের স্বেচ্ছা মৃত্যুর দায়িত্ব তার আশেপাশের লোকজন কেন জীবনভর ভুগবেন ?
     
    এটা আমার নিজের চোখেই দেখা খুব ক্লোজ সার্কলে। তাই আত্মহত্যাকে বেকার গ্লোরিফাই না করে সময় থাকতে ডিপ্রেশন এর ট্রিটমেন্ট বেশি জরুরি মনে করি। 
  • একক | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৪৭500829
  • ১) আত্মহত্যা মানেই ডিপ্রেশন প্রসুত এটা একটা কুসংস্কার। 
    ২) যেসব ক্ষেত্রে কারণ ডিপ্রেশন, সেখানেও আত্মহত্যার অধিকার প্রতিষ্ঠা না পেলে আলোচনা চালানো সম্ভব না। এটা কোন অপরাধ নয়, স্বাধিকার মাত্র। 
    ৩) চারপাশের মানুষের পরিস্থিতি ইত্যাদি  একটা আল্টিমেট বুলশিট।  গেরস্ত হাবলু জনতা, সন্তান সন্যাস নিলেও ঘটি ঘটি কেঁদে ভাসায়। মিলিটারিতে চাকরি নিলেও। তাদের কথা ভাবতে গেলে পোল্ট্রির মুরগির মত জীবন কাটান উচিত।
    ৪) আত্মহত্যা নিয়ে এব্রাহামিক রিলিজিওনের কুসংস্কার গুলো পরবর্তীকালে সমাজে গেঁড়ে বসেচে। এটাই যে মানুষের চিরকালের দরশন ছিল আদৌ তা নয়। প্রায়পবেশন বেশ সেলিব্রেটেড প্রথা ছিল এবং নন এব্রাহামিক রিলিজিওনে তার কন্টেম্পরারি প্র‍্যাক্টিস যা ছিল তাই নিয়েও আলোচনা হোক। 
  • Amit | 120.22.8.112 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৫৪500830
  • আর আমি যে দেশে আছি সেখানেই ডেথ উইথ ডিগনিটি আইন পাস্ হয়েছে এবং এক মাত্র টার্মিনালি ইল পেশেন্ট রাই এলিজিবল। তাও সেটা একার দায়িত্বে নয়। ডাক্তারদের ফুল মেডিক্যাল হিস্ট্রি এন্ড কনসেন্ট, জ্ঞান থাকলে পেশেন্ট এর কনসেন্ট এবং তার লিগাল নিয়ার ফ্যামিলি মেম্বার্স দের সবার কনসেন্ট থাকল তবেই সেটা এপ্রুভ হয়। আইন পাশের পর গত এক বছরে বোধহয় একটা না দুটো কেস হয়েছে. আইনে কোথাও নিজের লাইফ নিজে নিয়ে নেওয়ার প্রভিশন রাখা হয়নি। 
     
    আত্মহত্যা অপরাধ কিনা সেটা অন্য প্রশ্ন। একজন মারা গেলে তাকে তো আর জেলে পাঠানো যায়না।আপত্তিটা এই অহেতুক গ্লোরিফাই বা রোমান্টিসিজ করার এপ্রোচটা নিয়ে। 
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৫৮500831
  • তো আত্মহত্যা ডিপ্রেশন প্রসূত না অন্য কোনো মহান অশ্বডিম্ব প্রসূত - মরার পরে সেটার ডিফারেন্স কে করবে ?  আর করেই বা কোন কেশাগ্র উৎপাটিত হবে ? 
  • hu | 174.102.66.127 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৩৩500832
  • কেশাগ্র উৎপাটন জাতীয় কথা আসছে কেন? কেন মানুষের নিজের জীবনের ওপর অধিকার থাকবে না - এই প্রশ্নের উত্তর নেই বলে?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:3961 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৩৫500833
  • আমার দেশেও ইউথেনেশিয়া হয়। বহুকাল ধরেই স্বীকৃত। তবে খুবই স্পেশাল কেসে।
    কিন্তু দুমদাম আত্মহত্যা কম। কারণ মনের রোগের চিকিৎসা করার কোনও সামাজিক ট্যাবু নেই। সবরকম মনের রোগের জন্যই লোকে ডাক্তারের কাছে যায়। যারা একাকীত্বে ভুগে এবং ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে  ক্রিসমাসের টাইমে আত্মহত্যা করে তাদের সংখ্যাও নগন্য। পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যাও করে বলে খবরে পড়ি নি। কারন সেরকম কমিপিটিশন নেই। চাকরি না পাবার ভয়টা খুবই কম। এসব সামাজিক ফ্যাক্টর কিছুটা হেল্প করে। আবার মনোরোগ শুনেছি অনেকটাই বংশানুক্রমিক। সেই ফ্যাক্টরটার ওপর পারিপার্শ্বিকের চাপ মিলে টিলে মানুষটিকে রোগী বানিয়ে তোলে। প্রচুর ক্ষেত্রেই মনোরোগীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি থাকে অধিকাংশ মনোরোগীদের মধ্যে। সব অবশ্য চিকিৎসায় সারেও না।
    কাউনসেলিং এ লাভ বিশেষ হয় কিনা জানা নেই। সাইকিট্রিস্ট দেখানো সবচেয়ে ভাল। আর পাঁচটা রোগের মত মনের রোগও রোগ। এই রোগে যারা ভোগে তারা আত্মহত্যাপ্রবণ হয়। রোগটা সারিয়ে তোলার দিকেই নজর দিলে ভালো, আক্মহত্যা হয়ত রোগী করবেই না রোগ সেরে গেলে। ওসব উৎসব টুৎসব ফালতু।
    মানুষের বেসিক ইনসটিংকট সে মৃত্যুকে ভয় পায়। জীবনের কোনও কোনও সংকটময় সময়ে কোনও সমস্যার সমাধান না পেয়ে মানসিকৰাবে পর্যুদস্ত হয়ে মানুষ নিজেকে শেষ করার কথা ভাবে যে না, তা নয়। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে ঘুমের বড়ি খেয়ে মরার চেষ্টা করে প্রচুর মেয়ে। সেটাও তাহলে অধিকার হয়ে গেলে যারা অত্যাচার করেছে তাদের কোনও বিচার হবে না।
    সুস্মিতা নামে যিনি আত্মহত্যা করলেন, পরিষ্কার মনোরোগের কেস। 
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৪:৫০500834
  • মানুষের নিজের জীবনের ওপর অধিকার টা ঠিক কি ? কেও কি নিজের ইচ্ছেয় জন্মেছে ? তাহলে যেটা আনার পেছনে তার নিজের কোনো কান্ট্রিবিউশন নেই , সেটা যখন ইচ্ছে নেওয়ার অধিকার তার থাকবে কেন ? তার নিকট লোকজন কেন  সারা জীবন অপরাধবোধে ভুগবে তার একটা সিদ্ধান্তের জন্যে ? এতো নিজের জীবন নিজে নেওয়ার অধিকার থাকলেও সেটার জন্যে অন্য কয়েকজনের জীবন তার জন্যে ভোগার বা নষ্ট করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে ? বা কেন দেবে ?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:3961 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:০৩500835
  • কয়েক বছর আগে তমোঘ্ন বলে একটি ছেলেও আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছিল। তাকে সম্ভবত বিরত করা হয়েছিল। সে নানাভাবে নিজেকে টর্চার করে ভিডিও করত বা ফেসবুক লাইভ। সঠিক মনে নেই তবে ওরকম লাইভ করে মরবে বলে হুমকি দেয়, কিছু এজেন্ডা থেকে থাকবে। বেসিকালি মাথার অসুখ। চিকিৎসা হয়েছে নিশ্চয়। এখন ওরকম মরে যাবে টাবে বলে না মনে হয়।
    এই মহিলাও প্ল্যান করছিলেন দীর্ঘসময় ধরে। তখন কাছের লোকেরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নি।
    অধিকার টধিকার পরের গল্প। আগে তো চিকিৎসা হওয়া উচিত। 
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:০৭500836
  • সেটাই। এই বেসিক জিনিস টা আগে এড্রেস না করে উল্টে এটাকে গ্লোরিফাই করা বা একটা বেসিক রাইটস হিসেবে তুলে ধরা এই এপ্রোচ টাই অদ্ভুত লাগছে। 
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:১২500837
  • তমোঘ্নর কেসটা আলাদা। মাথার অসুখ মনে হয় নি। অ্যাটেনশন সিকার বটে, কিন্তু তালে ঠিক। আমেরিকার যে ইউনিভার্সিটিতে পি এইচ ডি করতে এসেছিল সেখানের হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট একটু কথা বলাতেই সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল, ডাক্তার লাগে নি।
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:১৫500838
  • তমোঘ্ন বলতে কি সেই কয়েক বছর  প্রেসিডেন্সি তে আন্ডারওয়ার পরে একজন কে সেন্সরবোর্ড নিয়ে প্রোটেস্ট করতে দেখা গেসলো , সেই জন ?নাকি গোলাচ্ছি অন্য কারোর সাথে ?
  • hu | 174.102.66.127 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:১৬500839
  •  
    "কেও কি নিজের ইচ্ছেয় জন্মেছে ? তাহলে যেটা আনার পেছনে তার নিজের কোনো কান্ট্রিবিউশন নেই , সেটা যখন ইচ্ছে নেওয়ার অধিকার তার থাকবে কেন ?"
    তাহলে নিজের জীবনে অন্য সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার অধিকারই বা মানুষের আছে কেন? কেরিয়ার বাছা, জীবনসঙ্গী বাছা, যৌন অভ্যাস এগুলোর জন্য কি মানুষ তাহলে নিজে সিদ্ধান্ত নেবে না? যে তাকে জন্ম দিয়েছে তার ইচ্ছেয় চলবে? যুক্তিতে তো গলদ থেকে যাচ্ছে। মানুষের অনেক সিদ্ধান্তের জন্যই তার পরিবারের লোকজন কষ্ট ভোগ করে। তা সত্ত্বেও নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মানুষের আছে।
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২২500840
  • কারণ বাকি সিদ্ধান্ত গুলো রিভার্সিবল। ভুল জীবন সাথী বাছলে ডিভোর্স নেওয়া যায়, বাবা মা ভাই বোন দের সাথে বনিবনা নাহলে বাড়ি ছাড়া যায়, ক্যারিয়ার ভুল বাছলে চাকরি ছাড়া যায় বা নিজে ব্যবসা অন্য কিছু করার চেষ্টা করা যায়. কেও সফল হয় বা কেও ফেল করে। কিন্তু মরাটা ইরেভার্সিবল. আর পাল্টানো যায়না. তাই বাকি গুলোর সাথে তুলনা করিনা.
  • hu | 174.102.66.127 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২৩500841
  • কিছুদিন আগে সমকামীদের সম্পর্কে লোকে বলত - প্রেমের অধিকার-্টধিকার পরের কথা, আগে তো চিকিৎসা করাও। এখন সেসব প্রকাশ্যে বলতে লোকে থমকায়।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২৩500842
  • সেই তিনি। প্রেসিডেন্সি কেসের পরে বাড়িতে নাকি পুলিশ খোঁজ করতে গিয়েছিল, তখন তিনি অন্য এক আত্মীয়ের বাড়ি ছিলেন। তার অল্প কদিন পরেই প্লেন ধরে ক্যালিফোর্নিয়ায় আসেন ও বিপ্লব বাই আবার মাথা চাড়া দেয়। ঘটনাক্রমে তিনি যেখানে আসেন সেখানে ইউনিভার্সিটির নিজস্ব পুলিশ নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের উপরে লঙ্কা স্প্রে করতেও পিছপা হয় নি তার কিছুদিন আগেই।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:3961 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২৪500843
  • থ্যাংকিউ অভ্যু। আমি জানতাম না।
    তবে ওর "হেল্প" দরকার ছিল সে বিষয়ে কথা হয়েছিল তখন।
     
    অন আ সেপারেট নোট, আত্মহত্যার অধিকার এবং ইহা ট্যাবু কি না সেসব নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। আইন টাইন অন্য ব্যাপার। তবে রেল লাইনে মাথা দেয় যারা তাদের নিয়ে বিরক্ত হতে দেখেছি রেলযাত্রীদের। ট্রেন লেট হয়, সব পরিষ্কার টরিস্কার করতে করতে আধাঘন্টা লেট। 
     
    আমি নিজেও জীবনের এক কঠিন সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। যথারীতি বিফল হয়েছি নইলে এখন বাতেলা মারতে পারতাম না। সেই কঠিন সময়ে মনে হয়েছিল মরে গেলেই প্রবলেম সলভড হয়ে যাবে, আমার লাইফ আমি নেব ব্যস, এইসব নানান চিন্তা। এটা এক ধরণের সাময়িক পাগলামি। বেঁচে আছি। চমৎকার আছি। এখন সেসব দিনের কথা ভাবলে হাসি পায়। ভাগ্যিস সেদিন মরি নি। যত বাঁচি, তত ভাল লাগে দুনিয়াটাকে। 
  • hu | 174.102.66.127 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:২৬500844
  • জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্তও ইর্রিভার্সেবল। সেক্ষেত্রে এমনকি মানুষ শুধু নিজে অ্যাফেক্টেড না, যাকে জন্ম দিচ্ছে সেও অ্যাফেক্টেড। কাজেই ইর্রিভার্সেবল সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মানুষের আছে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:3961 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩১500845
  • "নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মানুষের আছে।" @hu
    থাকুক না অধিকার। কিন্তু মাথার রোগের চিকিৎসা হোক, ডাক্তার ক্লিন চিট দিন — তারপর।
    সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন এর সঙ্গে আত্মহত্যার প্রবণতা গোলালে চলবে না।
    আগেরটা ট্যাবু। যেমন ডিভোর্স ট্যাবু। যেমন বন্ধাত্ব ট্যাবু। সামাজিক সমস্যা।
    কিন্তু পাগলেরা সুইসাইড করতে চায় এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত সত্য। যেমন হোমো সেক্সুয়ালিটি। ট্যাবু নয়, সায়েন্স।
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩৫500846
  • একটা অনুরোধঃ পাগল না বলে মনোরোগী বা মানসিকভাবে অসুস্থ বলা যায়? মানে এই সুস্মিতাকে প্রচলিত অর্থে পাগল কেউই বলবেন না, কিন্তু মনোরোগী ছিলেন কিনা সেটা নিশ্চয় করে বলা তো আর সম্ভব নয়।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:3961 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৩৭500847
  • ডক্টর লায়েককে ডাকা হোক।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f036:16ce:6346:3961 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৪১500848
  • পাগল শব্দটা কোনও খারাপ অর্থে ব্যবহার করি নি। সাময়িক পাগলামি কথাটা নিজের ক্ষেত্রেই তো ব্যবহার করলাম।
    মনোরোগীই লিখেছি বারবার।
    পাগল শব্দটা খুবই অন্যরকম, ভালবেসে বলার মত শব্দ। ওটা এখানে চলবে না। ঠিকই।
  • Amit | 120.22.8.112 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:১০500849
  • ইরেভার্সিবল ডিসিশন নিতে গেলে ও সেটার প্রপার চেকস এন্ড ব্যালান্স থাকাটাও জরুরি। সেটা ইন্ডিভিজুয়াল এর হুইমস এন্ড ফ্যান্সির ওপর জাস্ট ফ্রি ছাড়া যায়না।
  • hu | 174.102.66.127 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৯500850
  • "ইরেভার্সিবল ডিসিশন নিতে গেলে ও সেটার প্রপার চেকস এন্ড ব্যালান্স থাকাটাও জরুরি। সেটা ইন্ডিভিজুয়াল এর হুইমস এন্ড ফ্যান্সির ওপর জাস্ট ফ্রি ছাড়া যায়না।"
     
    এটা লেখার সময় আপনি কি ভেবেছেন অন্য irreversible ডিসিশনটার (জন্ম দেওয়া) বেলায় প্রপার চেকস এন্ড ব্যালান্স থাকে কিনা? সেটা ইন্ডিভিজুয়ালএর হুইমস এন্ড ফ্যান্সির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয় কিনা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন