এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব

    কল্লোল লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ৪১০৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • এটা একান্তই আমার বিশ্বাস, মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব। আর কেউ এতে ভিতর থেকে বিশ্বাস করতো বলে জানতাম না। কিন্তু আমার বন্ধু সুস্মিতা করতো।

    অর সাথে প্রথম দেখা মাসুমের হাওড়ার অফিসে। আমি ওর মাসুমের চাকরীর ইন্টারভ্যু নিয়েছিলাম। ওর পরিচিতিতে বাবার নাম রণেন রায়চৌধুরী দেখে নেহাৎই কৌতুহলে বাবার পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম। এবং জানা গেলো তিনিই লোকসঙ্গীতের ঈশ্বর রণেন রায়চৌধুরী। তারপর সুস্মিতার সাথে বন্ধুত্ব।

    খুব যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো তা নয়, ঐ বই মেলা আর ১০ ডিসেম্বর মাসুমের মানবাধিকার মেলায় দেখা হতই।

    ও চলে গেলো।

    সুস্মিতা তাঁর মৃত্যুবাসরে আগাম নিমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির কাছাকাছি থাকা ঘনিষ্ঠদের।

    ‘রবিবার বিকেলটা কোনও কাজ রাখিস না। দরকার লাগতে পারে।’

    ‘তুমি কি রবিবার আমাদের বাড়ি আসছ?’

    ‘জয়, তুই রবিবার বিকেলে এক বার আসিস। সন্ধে করিস না। দিন থাকতে থাকতে আসিস।’

    এমন সব নিমন্ত্রণপর্ব চলেছিল পাঁচ-সাতদিন আগে থেকেই। কেউ ভেবেছিল মুন’দি খাওয়াবে কিছু। যেমন অনেক সময়ই ডাকে। কেউ ভেবেছিল কোনও কাজ আছে হয়তো। কিন্তু সদাহাস্যমুখী, প্রিয় মানুষটার কথা বা আচরণ অন্য কোনও সন্দেহ উস্কে দেওয়ার অবকাশ দেয়নি।

    কেউ বোঝেন নি, আসলে বাড়ির কাছাকাছি থাকা ঘনিষ্ঠদের ওই আগাম আমন্ত্রণ তাঁদের প্রিয় মানুষটির মৃত্যুবাসরে উপস্থিত থাকার জন্য। যে বাসর তিনি নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন। গত রবিবার বিকেলে।

    প্রিয় মানুষটির নাম সুস্মিতা রায়চৌধুরী (ডাকনাম ‘মুন’)। আড়াই মাস হল ৬০ পূর্ণ করেছিলেন। গত রবিবার, ৩১ অক্টোবর সুস্মিতা নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।

    সুস্মিতা বোধহয় ‘হত্যা’ শব্দটায় আপত্তি করতেন। তাঁর কাছে এটা ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’। সুস্মিতা কোনও দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত ছিলেন না। গ্লানি, হতাশা বা তীব্র মানসিক যন্ত্রণাও ছিল বলে নিকটজনেরা মনে করছে না। আচমকা কোনও মানসিক বিপর্যয়ের কারণ ঘটেনি। সুস্মিতার আত্মহত্যার কারণ বিস্ময়কর। চেনা ছকের একদম বাইরের।

    এক বছর আগের জন্মদিনে ফেসবুক পোস্টে সুস্মিতা নিজের এপিটাফে লিখে গিয়েছিলেন, ‘আমার ইচ্ছে, আমার মরণ বাসরসজ্জা আমি নিজেই রচনা করব। এটা আমার খুব ছোটবেলার স্বপ্ন। এ বিষয়ে আমি খুবই রোম্যান্টিক। কোনও দুঃখ না, হতাশা, অবসাদ না। আমার প্রচন্ড ভালোবাসার জীবনকে আমি কিছুতেই স্বাভাবিক যাপনের বিরুদ্ধে আপোস করতে দেব না।’

    উত্তর কলকাতা শহরতলিতে ডানলপের কাছে বি-হাইভ গার্ডেনের চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন সুস্মিতা। রবিবার বিকেলের পর সেই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে যখন বন্ধু, প্রতিবেশীরা ঢোকেন, তখন সামনেই খাওয়ার টেবিলে ছিল সুস্মিতার সাজিয়ে রাখা মৃত্যুপূর্ব-আয়োজন। খামে ভরা পুলিশকে লেখা চিঠি। কাকে কাকে সকলের আগে খবর দিতে হবে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর। নিজের আধার কার্ড। আলাদা আলাদা ভাবে আরও কিছু নির্দেশ দেওয়া চিঠিপত্র। এবং আর্ট পেপারে লেখা রবীন্দ্রনাথের দামিনীর একটি উক্তি। টেবিলময় সাজানো সব। খুব যত্ন করে সাজানো।

    মৃত্যুর দিন দুপুরেও একতলার বাসিন্দা বোনকে জড়িয়ে ধরে আদর করা ছিল। যেমন দৈনন্দিন থাকত। গালে চুমু খাওয়া এবং পাওয়া। কে জানত, এ বার দিদি চারতলায় উঠছে শেষ বারের মতো! রোজকার মতো সেই ভালবাসার হাসিখুশি মুখে বোন সঞ্চিতা কোনও ফারাক খুঁজে পাননি অন্য দিনের থেকে।

    সুস্মিতার চারতলার সংসার ছিল বছর কয়েকের ছোট বরকে নিয়ে। তবে তাঁর আসল সংসারটা অনেক বড়। সমাজকর্মীর সংসার। কোনও দল না করলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের সূত্রে সুস্মিতার কাছাকাছি থাকা মানুষজন, বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা অগুন্তি। তাঁদের অনেককেই মৃত্যুর আগে নির্দেশ, বার্তা, পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন সুস্মিতা (সম্ভবত ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে)। জনে জনে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ লিখেছেন। তেমন একটি বার্তা ছিল আমার জন্যেও— ‘মুকুল, আমি চললাম। বিদুরের মতো তুমি দেখে রেখো। নিজে ভাল থেকো।’

    মেসেজ লেখার পর ফোন বন্ধ করে দেন সুস্মিতা। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ রবিবার রাতে সেই ফোন খোলার পরই মেসেজগুলো পৌঁছতে থাকে জনে জনে। অনেক কিছু বলে যাওয়ার পাশাপাশি বরকে ‘নির্দেশ’ দিয়ে গিয়েছেন, ‘অমুকের মাইনেটা অমুক মাস থেকে বাড়িয়ে অত করিস।’ বা, ‘তুই কিন্তু এই ঘরেই থাকবি কাল থেকে...। প্রথম কয়েক দিন রাতে অমুক অমুকদের এসে থাকতে বলবি...। কিছু দিন পর থেকে তার দরকার পড়বে না।’

    এ তো সত্যিই নিজের হাতে নিজের মৃত্যুবাসর সাজানো। লিখেছিলেন, ‘সেই ছোট্টবেলা থেকে জরা, ব্যাধি, মৃত্যুর কথা জানি। জীবনকে যতটা ভালোবাসি, মৃত্যুকেও ততটাই ভালোবাসি। মৃত্যুকে কোনওদিন ভয় পাইনি বলেই তো জীবনকে এতো গভীর ভাবে উপভোগ করতে পেরেছি।’ লিখে গিয়েছেন, ‘রোগশয্যায় শুয়ে মৃত্যুর কাছে কাতর অনুনয় করতে পারব না। ভিক্ষা না, মৃত্যুকেও আমি অর্জন করতে চাই। মৃত্যু আমার কাছে পালানো নয়। আমি মৃত্যুর প্রণয়প্রার্থী।’

    তবু প্রশ্ন তো থাকেই। আইনের প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, এই যুক্তিতে তো একটা বয়সের পর সব মানুষেরই আত্মহত্যা করতে হয়! এত মানুষ যে সুস্মিতাকে ভীষণ ভীষণ রকম ভালবাসতেন, তাঁদের প্রতি কি নির্দয় আর নির্মম হলেন না সুস্মিতা?

    এ সব প্রশ্ন যে উঠবে, সুস্মিতা জানতেন। অবশ্যই জানতেন। সমাজ, আইন, সম্পর্ক, ভালবাসা— সব কিছু নিয়ে সুস্মিতার নিজস্ব বোধ, নিজস্ব ভাবনা ছিল। দৃঢ় ভাবেই ছিল। তার সঙ্গে ছিল ব্যক্তিগত অধিকারের ভাবনা।

    নিজের জীবন-মৃত্যুর নির্বাচন আমার নিজের— পৃথিবীর ইতিহাসে এই চেতনাবোধ ঘিরে কম আলোচনা, কম বিতর্ক হয়নি। আজও হচ্ছে। কিন্তু এ তো শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা নয়— ঠান্ডা মাথায়, পরিকল্পনা করে, দিনক্ষণ আগে থেকে ঠিক করে নিজের মৃত্যুর এমন আয়োজনের সাহস আসে কোত্থেকে! কোন মানসিক জোর, জীবনাদর্শবোধের কোন দৃঢ়তা, কোন আত্মবিশ্বাস এই সাহস জোগায়, তা ভাবার মতো তো বটেই। কারণ, এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে তো নয়ই, বিশ্বে খুঁজলেও মনে হয় বিরল। সুস্মিতা ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু ভাবনা, বিতর্কের অবকাশ তৈরি করে দিলেন সমাজের সামনে।

    সুস্মিতা লিখে গিয়েছেন, ‘যেদিন আমার স্বাস্থ্য আমার সুরে মিলবে না, আমার তালে পা ফেলতে পারবে না, সেদিন বিদায় জানিয়ে আমি জীবনের হাত ছেড়ে দেব। তার আগে রবীন্দ্রনাথের চতুরঙ্গের দামিনীর মত আমিও আমার সাথীর উদ্দেশ্যে বলে যাব—সাধ মিটিল না, জন্ম জন্মান্তরে যেন তোমাকে পাই। এই উক্তিটি উদাহরণ মাত্র (আমি জন্মান্তরে বিশ্বাস করি না)...।
    ০৪ নভেম্বর ২০২১, মুকুল দাস লিখেছেন।

    বড় সাহস দিলি সুস্মিতা...............
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ নভেম্বর ২০২১ | ৪১০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 120.22.8.112 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪৬500852
  • সেই জন্যেই এতো বার্থ কন্ট্রোল মেসার্স বা এবরশন রাইটস নিয়ে বিতর্ক বা আলোচনা চলছে এতো দেশে. অবশ্যই জন্ম দেওয়ার অধিকার মেয়েদের থাকা উচিত. এছাড়া আর ঠিক কি করা সম্ভব বলে মনে হয় আপনার ? মানে একটা বাচ্চা জন্মানোর আগে তার পারমিশন কিভাবে নেওয়া যায় সেটা তো আবিষ্কার হয়নি বলেই জানি। 
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:2526:155b:16be:3478 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫৮500853
  • কেন? যিনি বাচ্চার জন্ম দেবেন তিনি কেন বাচ্চার জন্ম দিতে চান, তিনি মানসিকভাবে সুস্থ কিনা, এসব দেখে টেখে রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তটা নিতে পারা উচিত, তাই না? সেটাই তো স্বেচ্ছামৃত্যুর বেলায় আইন করে করা আছে। 
  • Amit | 120.22.8.112 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৩৫500856
  • ওকে. কোনো আপত্তি নেই. বাবা মায়ের যেমন  থ্যালাসেমিয়া চেক করানো উচিত , সেরকম যদি মানসিক সূস্থতা চেক করানো নর্ম হয় হোকনা . উত্তম প্রস্তাব. ইন ফ্যাক্ট মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা লুকিয়ে বিয়ে করাটা একটা ভ্যালিড ডিভোর্স গ্রাইন্ড জানেন নিশ্চয়.
     
    আর কয়েক কোটি লোকের সবরকম মেডিকেল টেস্ট করানো র জন্যে যদি ট্যাক্সপেয়ার্স মানি লাগে. কারণ সবাই তো এফোর্ড করতে পারবেনা , সেটার জন্যে এক্সট্রা ট্যাক্স গুনতেও আপনাদের আপত্তি থাকবেনা আশা করি। 
  • পরিষ্কার মনোরোগের কেস | 2600:1002:b00e:2979:531:6616:27fd:a191 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৪২500858
  • কবিরাও। 
    মলয় রায়চৌধুরি বা জীবনানন্দ দাস 
  • Tim | 2603:6010:a920:3c00:2526:155b:16be:3478 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৪৮500859
  • আপত্তি করার প্রশ্নই নেই।  অনেক দেশেই সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ট্যাক্স কাটে পে চেক থেকে। ভালনারেবল কে রাষ্ট্র কি আর নিজের পকেট থেকে টাকা দেয়?
  • r2h | 2405:201:8005:9947:4dc8:624f:a6e4:b4d5 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১১:২৮500861
  • স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার থাকা উচিত - একমত।
    মানুষের জীবনের মত মৃত্যুর ওপরও অধিকার থাকা উচিত - একমত।
    সুস্থ, মানে পরিষ্কার চিন্তাভাবনার ক্ষমতা আছে এমন মানুষের নিজের জীবনাবসান নিজের সিদ্ধান্তে হলে তাতে খবরদারি অপ্রয়োজনীয় - একমত।

    কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারছেন না, রিসোর্সের অভাব - এমন মানুষ আত্মহত্যা করতে চাইলে, সেটা আসলে ঠিক স্বেচ্ছায় না, সেটা সিস্টেমের ব্যর্থতার কারনে বাধ্যত। এইখানেই স্বাস্থ্য আর সুরের ব্যাপারটা চলে আসে। এইটাই সমস্যা লাগছে।
  • :|: | 174.255.128.154 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১১:৪২500862
  • রিসোর্সের অভাবের মধ্যে কি নিজের বা কাছের মানুষদের মনের রোগটাকে রেকগনাইজ করতে পারার অক্ষমতাও ইনক্লুডেড? 
  • r2h | 2405:201:8005:9947:4dc8:624f:a6e4:b4d5 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১১:৪৪500863
  • হতেই পারে। ঐ জন্যেই 'সুস্থ, মানে পরিষ্কার চিন্তাভাবনার ক্ষমতা আছে এমন মানুষের' লিখলাম।

    মনোরোগের চিকিৎসা নিয়ে তো আমাদের ট্যাবু ভয়ানক।
  • Amit | 103.60.200.23 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১২:২৮500864
  • দ্যাখেন ঘুরে ফিরে কিন্তু সেটাই আসছে এতো কিছুর পরেও। মানুষের আত্মহত্যার চিন্তা জাগলে  তাকে সরাসরি মরতে দেওয়ার আগে অন্তত তাকে মনোরোগের ডাক্তার দেখানোটা জরুরি। ট্রিটমেন্ট আগে হোক। তাতে  হয়তো ​​​​​​​তার ​​​​​​​মরার ​​​​​​​ইচ্ছেটা ​​​​​​​নাও ​​​​​​​থাকতে ​​​​​​​পারে. 
     
     আত্মহত্যার বেসিক অধিকার-টার এসব তার অনেক পরের প্রশ্ন। 
  • একক | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১৫:০০500870
  • "পাগল রা সুইসাইড করতে চায় " - এর ওপর নিরভর করে এক্টা সুইসাইড সম্বন্ধে ডিসিশন নেওয়া হচ্চে তিনি পাগল ছিলেন। 
     
    কোনো রেজিস্টারড মনবিদের সাহস হবে এরকম সিদ্ধান্তে পৌছবার?  
     
    তাহলে, কাদের হবে?  ঃ)))
  • Amit | 120.22.8.112 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৪২500871
  • সুইসাইড কি শুধু পাগল রাই করতে চায় নাকি ? এই সিদ্ধান্তে কখন আসা হলো ?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a4ad:8f5a:c0fc:9088 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১৬:০২500872
  • মনোরোগ সম্পর্কে ট্যাবুই এর কারন মনে হচ্ছে। তাই ঘুরে ফিরে ঐ ট্যাবুতেই ফিরে গিয়ে জিনিসটাকে এমন রূপ দেয়া হচ্ছে যে — অমুক কি তাহলে মনোরোগী? (যেন মনোরোগ একটা গালাগাল)।
    এবার একটা লাইন আমার গঠাৎ চোখে পড়ল, আগে খেয়াল করি নি। কল্লোলদা তো পুরোটাই নিউজ থেকে কপি পেস্ট করেছেন, কিন্তু শেষের বাক্যটি নিজে জুড়েছেন। "বড় সাহস দিলি সুস্মিতা........", এর মানে কী?
    কল্লোলদা প্লিজ এরকম কিছু করবার কথা ভাববেন না, এরকম চিন্তা মাথায় এলে অধিকার টধিকার সব থাকলেও একটিবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে সব খুলে বলবেন।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a4ad:8f5a:c0fc:9088 | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ১৬:১৯500873
  • https://www.webmd.com/mental-health/recognizing-suicidal-behavior
    এইখানে দেখুন কিছু কিছু সংকেত মিলে যাচ্ছে।
    "
    • Making preparations. Often, a person considering suicide will begin to put their personal business in order. This might include visiting friends and family members, giving away personal possessions, making a will, and cleaning up their room or home. Some people will write a note before taking their own life. Some will buy a firearm or other means like poison.
    • Threatening or talking about suicide. From 50% to 75% of those considering suicide will give someone -- a friend or relative -- a warning sign. It may not be an outright threat. They may talk an unusual amount about death or say things like “It would be better if I wasn’t here.” However, not everyone who is considering suicide will say so, and not everyone who threatens suicide will follow through with it. Every threat of suicide should be taken seriously."
  • aranya | 2601:84:4600:5410:95f8:1459:ee37:4e0b | ০৭ নভেম্বর ২০২১ ২১:০৩500888
  • কেউ আত্মহত্যা করলে নিকট জনেদের ভয়াবহ কষ্ট, ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যে চলে গেল,  তার ​​​​​​​তো ​​​​​​​আর ​​​​​​​কোন ​​​​​​​শোক, ​​​​​​​দুঃখ ​​​​​​​নেই, ​​​​​​​যারা পড়ে ​​​​​​​রইল, ​​​​​​​তাদের ​​​​​​অসম্ভব ​​​​​​​যন্ত্রণার ​​​​​​​দিন ​​​​​​​পার করতে ​​​​​​​হয় 
    আত্মহত্যার অধিকার তো অবশ্যই থাকা উচিত। কিন্তু আত্মহত্যার আগে, পরিকল্পনার সময়, জানি না মানুষ ফেলে যাওয়া আপন জনদের কথা কতটা ভাবে 
  • Proitii Sen | ০৮ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৩০500903
  • বাহ,এতো ভারি চমৎকার!
  • | 2601:247:4280:d10:cd45:cae6:219b:a8aa | ০৯ নভেম্বর ২০২১ ০৮:১৩500936
  • আত্মহত্যার অধিকার খুব ভালো কথা।তাকে গ্লোরিফাই করাটা ভালো কথা নয়।কাছের একজন মানুষ বন্ধুর মৃত্যুতে প্রচন্ড আবেগপ্রবণ হয়ে খবরে কাগজে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন যার পরতে পরতে এই স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রতি প্রচ্ছন্ন( !) সমর্থন রয়েছে। কত মানুষ জীবনের জন্যে লড়াইয়ে একটা সরু সুতোর উপর ঝুলে আছেন, তারা এই লেখাটা পড়ে যুদ্ধ টা ছেড়ে যাবেন না, তার নিশ্চয়তা আছে? বললেন যেন, এরম আবার হয় নাকি? 
    যিনি মারা গেলেন, শুনলাম তিনি একটা সময় অবসাদে ভুগছিলেন। সেরে উঠেছিলেন না ভেতরে ভেতরে তার চোরা স্রোত বইছিলো আজ আর জানার উপায় নেই। এই স্বেচ্ছামৃত্যুর আলোয় তার মনের অবস্হা চাপা পড়ে গেছে এটা অত্যন্ত চিন্তার কথা।ওর নিতান্ত কাছের পরিজনদের জন্যেও উনি একটা অসম্ভব কঠিন এবং খুব খারাপ উদাহরণ রেখে গেলেন।
     
  • কল্লোল | ১১ নভেম্বর ২০২১ ২০:১১501023
  • আমি বহুদিন আগেই নানা প্রসঙ্গে লিখেছি - মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব। লাইনটা শুনতে পড়তে চমৎকার বলে লিখিনি। আমি এটা বিশ্বাস করি। আমি স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকারে বিশ্বাস করি। আমি মনে করি কারুর যদি কখনো মনে হয় তার আর বেঁচে থাকার দরকার নেই, সেটার কারন যাই হোক না কেন, তার অধিকার আছে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করার। আমি এটা নিয়ে অন্ততঃ দুজন মনোবিদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমায় দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। তারা আমার এই চিন্তায় একমত নন কিন্তু আমার চিকিৎসার দরকার সেটাও বলেননি। 
    ধরুন কেউ যদি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। তার নিজের পরিবেশ ভালো লাগছে না, সে সেটা পাল্টাতে চাইছে। তাতে কি কোন সমস্যা আছে ?  
    নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়াটা সমস্যা না হলে স্বেচ্ছামৃত্যু সমস্যার কেন ? 
     
    লেখাটার প্রথম প্যারা আর শেষ লাইন আমার। বাকিটা সুস্মিতার বন্ধু মুকুলের ফেসবুকে লেখা। মুকুলের সাথে আমার পরিচয় নেই। 
  • কল্লোল | ১১ নভেম্বর ২০২১ ২০:১৭501024
  • "এটা একান্তই আমার বিশ্বাস, মৃত্যুই জীবনের শেষ উৎসব। আর কেউ এতে ভিতর থেকে বিশ্বাস করতো বলে জানতাম না। কিন্তু আমার বন্ধু সুস্মিতা করতো।

    ওর সাথে প্রথম দেখা মাসুমের হাওড়ার অফিসে। আমি ওর মাসুমের চাকরীর ইন্টারভ্যু নিয়েছিলাম। ওর পরিচিতিতে বাবার নাম রণেন রায়চৌধুরী দেখে নেহাৎই কৌতুহলে বাবার পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম। এবং জানা গেলো তিনিই লোকসঙ্গীতের ঈশ্বর রণেন রায়চৌধুরী। তারপর সুস্মিতার সাথে বন্ধুত্ব।

    খুব যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো তা নয়, ঐ বই মেলা আর ১০ ডিসেম্বর মাসুমের মানবাধিকার মেলায় দেখা হতই।"
     
    এই অবধি আর শেষ লাইনটা আমার লেখা। 
  • আরে মশয় | 23.105.88.138 | ১১ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩০501026
  • নৈরাজ্য এসে পল্লেই ল্যাটা চুকে যাবে। তকন জীবন মরনের সীমানা ছাড়ায়ে হগগলে বাকুনিন পড়বেখন।
     
    ভাল কতা, বাকুনিন এই বিষয়ে কিচু বলেন নাই?
  • :|: | 174.255.132.201 | ১১ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫০501027
  • "নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়াটা সমস্যা না হলে স্বেচ্ছামৃত্যু সমস্যার কেন ?"
    অলরেডি এর উত্তর দেওয়া হয়ে গেছে। উপরেই লিখেছেন একটা রিভার্সিবল অন্যটা না। নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির ফিরে আসার সম্ভবনা আছে। মৃতের সে সুযোগ নেই। 
  • একক | ১১ নভেম্বর ২০২১ ২২:৪৪501032
  • সে ঠিকি আচে। নন রিভারসিবিলিটি দুভাবে ম্যাটার করে।
     
    ১) যদি রাস্ট্র প্রতিটি ব্যক্তির মালিক হয়। যেমনটা কিছু প্রস্তাবিত সমাজবাদে হয়ে থাকে। তারা,  পদে পদে নাগরিকের সব দায়িত্ব নিয়েচে থুড়ি ইনভেস্ট করেচে। পট করে একটা রিসোর্স কমে গেলে প্রশ্ন করতে পারে। 
     
    বাস্তবে রাস্ট্র ট্যাক্সের টাকায় চলে, তাও বেসিক সাপোর্ট টুকুও না দিয়ে। তার, এই কিল মারার গোঁসাই হবার যোগ্যতাই নেই। 
     
    প্রাইভেট ইন্সিওরেন্স কোম্পানি এখন সুইসাইড খাতে, পুরো টাকা ক্লিয়ার করে দেয়। সুইসাইড বাড়লে তারা ক্লজ বদলাবে। টারমিনালি ইল হলে, পুরো দেবে। রিজনের ঘরে নন ডিসক্লোসেবল লেখা থাকলে, হয়ত কম দেবে। সুইসাইড লং টাইম ধরে প্ল্যান করলে, সেটা বেশি প্রিমিয়াম নিয়ে,  ফুল ক্লেইম দিতে পারে। 
     
    এভ্রি এক্সপ্রেশন ক্রিয়েটস আ মারকেট। দুবছর ধরে সুইসাইডেচ্ছু কেও মিডিয়ায় থাকলে,  তার টিয়ারপি আচে। 
     
    এই কথাগুলো বলার এক্টাই উদ্দেশ্য। রাস্ট্র হোক বা প্রাইভেট,  নন রিভারসিবিলিটি নিয়ে যেভাবেই ভাবুক ব্যাপারটা আদতে তারা কোন কোন পয়েন্টে স্টেকহোল্ডার। 
     
    রিভারসিবল না হওয়া বিজনেস কেস্টার নেচার।তার ডিমেরিট নয়। সেভাবেই নিজেকে স্কেল করবে সিস্টেম। 
     
    ২) দ্বিতীয় যে ক্ষেত্রে নন রিভারসিবিলিটি ম্যাটার করে যদি ডিশিসন হেলদি এন্ড সাউন্ড মাইন্ডে উইদাউট এনি প্রেসার, ভলান্টারিলি;  না হয়।
     
    সেটা দেখার জন্যেই ত উইদিন প্রসেস এন্ড রিচুয়ালস আনা দরকার। শ্রিনক্স আর দেয়ার। যত সুইসাইডেচ্ছু লোক নিজে দেখে ডাক্তার দেখাতে যায় তার চে অনেক বেশি লোক ভীড় করবে,  ডাক্তারের নো ওব্জেকশন সারটিফিকেট পেতে,  কারণ সেটা সাবমিট না করলে ইন্সিউরেন্স হাত উলটে দেবে।
     
    এগুলো কোন টাই রকেট ওড়ানোর মত সমস্যা না। ল্য অরডার বিজনেস স্টেকহোল্ডার এভাবেই চিরকাল চলেচে। নতুন পরিস্থিতিতেও চলবে। 
     
    - ঃঃ -
     
    আসল সমস্যা টা সমাজ-মানসিক। যাদের এই " ইরিভারসিবিলিটি" নিয়ে এব্রাহামিক ট্যাবু রয়েচে যে কত্তাবাবা জন্ম দিয়েচেন তা নেওয়ার মত অধিকার আমা হেন দাসানুদাসের নেই।
     
    ইদিকে ব্যাটারা নানান অজুহাতে একে অপরের জীবন "আইনত " নিয়েই চলেচে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e06a:403b:fafc:426e | ১২ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৩৬501067
  • কল্লোল-দা, একক 
    আমি যে  পয়েন্টটায় জোর দিয়েছিলাম - পিছনে রেখে যাওয়া অতি নিকটজনদের (সন্তান, বাবা-মা, পার্টনার, বন্ধু যেই হোন ) ভয়াবহ কষ্ট, ট্রমা, তা নিয়ে কী ভাবেন? আমার আত্মহত্যায় তাদের ট্রমা নিয়ে ভাবার দরকার নেই? 
  • hu | 174.102.66.127 | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০১:০৭501071
  • আরও হাজারটা জিনিসের মতই এটাও পার্টনার / সন্তানের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর ব্যাপার। অ্যাসিস্টেট এক্সিটের সুবিধে থাকলে ভিসুয়াল ট্রমাটা এড়ানো সম্ভব। কাউন্সেলিং দরকার পড়লে সেটাও এরেঞ্জ করা সহজ।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2538:3431:825d:2630 | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০২:১৩501075
  • সম্মান জানালেও ট্রমা কিছু কম হবে বলে মনে হয় না। কাউন্সেলিং-এ লাভ হতে পারে 
     
    আত্মহত্যাকারীর কোন দায় আছে কিনা, প্রিয়জনদের ট্রমার কারণ না হওয়ার, সেটাই ভাবছিলাম। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2538:3431:825d:2630 | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০২:১৫501076
  • অবশ্য প্রতিটি মানুষই পৃথিবীতে একা, অন্যের ট্রমার দায় তার নয়, এমনটা কেউ ভাবতেই পারেন 
  • একক | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০২:৫২501079
  • ট্রমাকে একটা ক্লিনিক্যাল ফেনোমেনা হিসেবে দেখি কাজেই সেভাবেই তাকে এড্রেস করতে বলব। আমি চোখে দেখেচি, বন্ধুরা সন্ন্যাসী হয়ে যেতে তাদের বাড়ির লোকজনের বুক চাপ্রে কান্না এবং মিশন কে দেখে নেবার হুমকি। আবার তারাই বাড়ির ছেলের নামের পেছনে " নন্দ" লাগার পরে,  সেবাসদনে সীট পাওয়ার জন্যে রেফারেন্স দেয় আমি অমুক মহারাজের তমুক।
     
    ওসব অনেক দেখা আচে। ট্রমা কোন মিথ্যে ব্যাপার নয় কিন্তু টোটালি পারসেপশন ভিত্তিক। আপনার আরসোলা গায়ে বস্লেও ট্রমা হতে পারে, মোটেই তাই নিয়ে হাসি ঠাট্টা করব না, ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাব,  তাই বলে জন্মেজয়ের মত আরসোলা নিধন যজ্ঞ করব না। এস সিম্পল এজ দ্যাট। ট্রমাকে এড্রেস করুন কিন্তু কারো ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব করে নয়।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2538:3431:825d:2630 | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০২:৫৬501080
  • 'সম্মান জানালেও ট্রমা কিছু কম হবে বলে মনে হয় না'
    - এটা ভুল লিখেছি। ​​​​​​​সমাজে ​​​​​​​যদি স্বেচ্ছামৃত্যু ​​​​​​​স্বীকৃত ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​লোকে ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​অভ্যস্ত ​​​​​​​হয়, ​​​​​​​জাস্ট ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ​​​​​​​এবং ​​​​​​​সেই সিদ্ধান্ত ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​নিতেই ​​​​​​​পারে, ​​​​​​​এই ধারণাটা ​​​​​​​মাথায় ​​​​​​​গেঁথে ​​​​​​​গেলে ​​​​​​​ট্রমা ​​​​​​​কম ​​​​​​​হতে ​​​​​​​পারে । 
    কোন সৈনিক যখন মারা যান, বা তথাকথিত মহৎ কোন উদ্দেশ্যে কেউ  শহীদ হন (৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী) , তখন প্রিয়জনদের ট্রমা হয়ত কিছুটা কম হয়, প্রাণ দানের প্রয়োজন ছিল, এটা ভেবে। 
     
    স্বেচ্ছামৃত্যু-র ক্ষেত্রেও সেভাবে ভাবতে পারলে (যে মৃত্যুটা আত্মহত্যাকারীর কাছে খুবই দরকারী ছিল ), ট্রমা কিছুটা কম হবে  
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:8c6:1018:f320:37bb | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৩:৪৯501082
  • আমরা প্রশ্ন, যারা এই আত্মহত্যাটিকে সমর্থন জানিয়ে তার সপক্ষে বলে চলেছে, তারা কি নিজেরাও এই যুক্তিগুলোতে নিজেরাও মনেপ্রাণে বিশ্বাসী? নিজেরাও তথাকথিত মনের সঙ্গে শরীর সাথ না দিলে বা ঐ গোছের কিছু হলে লোকজনকে ডেকে এনে নাটকীয়ভাবে আত্মহত্যা করবে? অ্যাসিস্টেড একজিট পুরো অন্য জিনিস। টারমিনালি ইল মানুষের জন্য করা হয়। এই ভদ্রমহিলার ক্ষেত্রে কেস পুরো আলাদা। লোকজন ডেকে এনে নাটক। শরীর সুস্থ। মাথার সমস্যা হয়ত আগে ছিল যেটা সেরে গেছে কিনা জানা যায় নি। কারো মস্তিষ্কের অসুস্থতা থাকলে সে তো  উইল করতে পারে না, মামলায় সাক্ষী দিতে পারে না, তার মানসিক সুস্থতা সবার আগে বিবেচ্য এসব স্বেচ্ছামৃত্যু ব্যাপারে।
    সুইসাইড করে মরলে সেই বডির কোনও প্রত্যঙ্গ মরনোত্তর দান পর্যন্ত করা যায় না। ভদ্রমহিলা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যান করে লোক ডেকে সারপ্রাইজ দিলেন। পাবলিক ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে দেখছে গলায় দড়ি দিয়ে উনি ঝুলছেন। এটা কীরকম সারপ্রাইজ? সুস্থ মানসিকতার পরিচয়?
  • Amit | 120.22.230.60 | ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৫:০৩501085
  • মানে কাউন্সেলিং আগে ঠিক কার করা দরকার ? যে মরতে চাইছে তার নিজের  ? নাকি তার পরিবারের বাকিদের ? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন