এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাননীয় ‘ভাইরোলজিস্ট’ অমিতাভ নন্দী, এবং তাঁর ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী মাস্ক

    Debasis Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৮১৬৭ বার পঠিত
  • চিকিৎসক ও গবেষক অমিতাভ নন্দীর একটি ভিডিও গত কয়েক দিন ধরে সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে (লিঙ্ক পাবেন এ লেখার শেষে)। তাতে তিনি বলছেন, কোভিড আসলে সাধারণ ফ্লু ছাড়া আর তেমন কিছুই নয়, এবং তা আটকাবার জন্য যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হচ্ছে সেটাও অকেজো, কাজেই কোভিড এবং তার ভ্যাকসিন --- কোনওটিকেই নাকি বিশেষ পাত্তা দেবার দরকার নেই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন বানিয়ে ভাইরাস-জাত ব্যাধিকে আটকাবার দাবি করা নাকি আসলে এক রকমের প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ (আবার একেবারে শেষে যদিও বলেছেন, তিনি নাকি ‘সত্যি ভ্যাকসিন’ এর জন্য অপেক্ষা করছেন)। তিনি আরও বলেন, রোগ হয়ে শরীরে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ তৈরি হতে দেওয়াটাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পন্থা, এবং টিকাকরণের চেয়ে তা অনেক ভাল। সেইহেতু তাঁর সুদৃঢ় পরামর্শ, রোগটিকে অবাধে ছড়াতে দেওয়া দরকার, যাতে করে প্রতিটি ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবার মাধ্যমে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ-ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। আবার, যদিও ভ্যাকসিন জিনিসটাকেই তিনি ভালবাসেন না, তবুও একেবারে শেষে গিয়ে বলেছেন, যে ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো নাকি সত্যিকারের নয়, এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন হয়না ---  বছর দশেক অপেক্ষা করলে সত্যিকারের ভ্যাকসিন পাওয়া যেত। বছর দশেক পরে ভ্যাকসিন বানালে কেন যে সেটা আর প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ বলে গণ্য হতে পারত না, সেটা তিনি এ ভিডিও-তে ব্যাখ্যা করে বলেন নি।

    ভিডিও-টি আগে দেখেছি, আজ আরও কয়েকবার মন দিয়ে দেখলাম। এবং, একজন বর্ষীয়ান দায়িত্বশীল চিকিৎসক কীভাবে এমন বলতে পারেন, তা দেখে স্তম্ভিত হলাম। হ্যাঁ, তিনি এখানে যা যা বলেছেন, তার সবই ভুল। নিচে ভুলগুলোর একটা তালিকা বানাই বরং।

    (১) কোভিড রোগের ভাইরাসটি ‘ফ্লু ভাইরাস’-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই বটে, কিন্তু দুটো কোনও মতেই এক না --- কোভিড অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। ঠিক যেমনটি, বিগত দুই দশকে যে সমস্ত ছোট ছোট রোগ-সংক্রমণের ঢেউ এসেছে এবং গেছে যেমন ‘সার্স’ ও ‘মার্স’, যাদের মারণ-ক্ষমতা কোভিড-এর চেয়ে বেশি কিন্তু সংক্রমণ-ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম, তারাও সাধারণ ফ্লু-র আত্মীয় কিন্তু অনেক বেশি মারাত্মক। সম্ভাব্য সমস্ত মাপকাঠিতেই, অর্থাৎ রোগ-লক্ষণ, সংক্রমণ-ক্ষমতা, মারণ-ক্ষমতা, জিন-এর গঠন --- এই সব কিছুতেই সাধারণ ফ্লু-র থেকে কোভিড-এর তফাত পরিষ্কার, এবং বিষয়টি গবেষণায় সুপ্রতিষ্ঠিত। [১]

    (২) কোভিড-এর ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ রোগটিকে আটকাতে যথেষ্ট সফল, এবং ভ্যাকসিনের সুফল নিয়ে বিস্তর প্রামাণ্য গবেষণা আছে। আন্তর্জালে সে নিয়ে তথ্য অতিশয় সুলভ। [২]

    (৩) রোগ-সংক্রমণজাত ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধের চেয়ে এই ভ্যাকসিন-গুলো যে অন্তত পাঁচগুণ বেশি কার্যকর, সেটাও উচ্চমানের গবেষণায় আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। [৩]

    একজন বর্ষীয়ান চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে শ্রীনন্দীর নিশ্চয়ই এ সব জানা থাকার কথা। তিনি যদি তা জেনে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জেনেশুনে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী হতে পারে? যদি না তা জেনে থাকেন, তাহলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি জরুরি বিষয়ে না জেনে কথা বলাটা বোধহয় তাঁর পক্ষে ঠিক হচ্ছে না। আর, যদি এমনটাই হয়ে থাকে যে, তিনি সবই জানেন, কিন্তু সে সব গবেষণার দাবিকে ভুল বলে মনে করেন, তাহলে সোচ্চারে তা বলতেই পারেন --- সেক্ষেত্রে সেটা বলাটা তো তাঁর কর্তব্যই। কিন্তু, সেক্ষেত্রে তিনি তাদের তথ্য-যুক্তিকে বিস্তারিতভাবে খণ্ডন করে রিসার্চ পেপার লিখুন, সারা পৃথিবীর পণ্ডিতদের সামনে নিজের যুক্তিতর্ককে হাজির করুন, এবং সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর বক্তব্যকে সহজবোধ্যভাবে হাজির করে প্রবন্ধ লিখুন। কিন্তু, এভাবে লোকের আস্থার সুযোগ নিয়ে ভিডিও-তে দুটো উড়ো কথা বলে লোককে বিভ্রান্ত করাটা কী ধরনের দায়িত্বপালননের দৃষ্টান্ত?

    অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, শ্রীনন্দী যেভাবে ওই ভিডিও-সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন বাদ দিয়ে স্রেফ স্বাভাবিক প্রতিরোধ-ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন, সেটা শুধু ভুল না, রীতিমত বর্বরোচিত। প্রথমত, স্বাভাবিক প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের চেয়ে ভাল --- এই কথাটাই পুরো মিথ্যে, তা যদি হত তাহলে তো আর কোনও ভ্যাকসিনই লাগত না কোনও দিনই। দ্বিতীয়ত, রোগকে প্রতিরোধ না করে চুপচাপ বসে বসে রোগীদের সংক্রমিত হতে দেওয়ার ওই ধরনের প্রস্তাব অতিশয় উন্মত্ত ও অনৈতিক। তৃতীয়ত, ওইভাবে স্বাভাবিক প্রতিরোধের আশায় বিনা চিকিৎসায় মানুষকে ফেলে রাখলে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ কবে অর্জন করা যাবে সেটা কেউ জানে না, কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক কোটি লোক যে লোপাট হয়ে যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। [৪] সেটা যদি ঘটে, তো তার দায়িত্ব কি তিনি নেবেন?

    যেভাবে তিনি বললেন, মরা জীবাণু ঢুকিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, এবং বছর দশেক না হলে কিছুতেই ‘সত্যিকারের ভ্যাকসিন’ তৈরি হয়না (এবং সেইহেতু দ্রুত-আবিষ্কৃত সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিনই অকেজো), তাতে প্রশ্ন জাগে, তিনি কি তবে ভ্যাকসিন তৈরির আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ‘mRNA’ প্রযুক্তি, এ সবের কথা কিছুই শোনেন নি? [৫] ভ্যাকসিন কীভাবে অত দ্রুত বানানো গেল, সেটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার না। অথচ আসলে এর মধ্যে বিরাট কিছু ধাঁধা নেই, বরং অনেকগুলো বাস্তব কারণ আছে, সেগুলো মোটামুটি এই রকম। (ক) সার্স, মার্স, সাধারণ ফ্লু এবং আরও নানা ধরনের রোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলে এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে বিপুল তথ্য আগে থেকেই ছিল, সেটা ব্যবহার করায় সময় বেঁচেছে। (খ) সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব 'ট্রেড সিক্রেট'-এর কথা ভুলে গিয়ে অবাধে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন, ফলে গবেষণার গতি বেড়েছে বহুগুণ। (গ) সারা পৃথিবীর সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জুগিয়েছে অকাতরে। (ঘ) লাখো মানুষ সারা পৃথিবীর কল্যাণের স্বার্থে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে পরীক্ষার গিনিপিগ হতে চেয়েছেন, ফলে পরীক্ষাও হয়েছে দ্রুত, এবং ফলাফলও হয়েছে নির্ভরযোগ্য। (ঙ) দ্রুত নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির জন‌্য আবিষ্কৃত হয়েছে 'mRNA' প্রযুক্তি। এতে গোটা জীবাণু-টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হয়না, শুধু আমাদের শরীরকে জীবাণুর 'স্পাইক প্রোটিন'-টিকে চিনিয়ে দিলেই চলে।

    আর, তিনি 'সত্যি ভ্যাকসিন'-এর জন্য অপেক্ষা করছেন --- এইটা জেনেও খুব অবাক হলাম। উনি তো ভ্যাকসিন ব্যাপারটারই বিরুদ্ধে, তার সত্যি-মিথ্যে নিয়ে মাথাই বা ঘামাচ্ছেন কেন খামোখা? কিছুই বুঝিনি। পাঠকরা কেউ বুঝে থাকলে, অনুগ্রহ করে বোঝাবেন।

    ফেসবুকে এই ভিডিও-টি প্রচার করা হচ্ছে শ্রীনন্দীকে ‘ভাইরোলজিস্ট’ বলে দাবি করে। তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভাইরোলজি-সংক্রান্ত গবেষণা করেন সেটা জানার অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি। তিনি কয়েকটি সংক্রামক এককোষী প্রাণি ও তজ্জাত ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করেছেন, সে তথ্য আন্তর্জালে পাওয়া যায়, কিন্তু ভাইরাস নিয়ে আলাদা করে তাঁর কোনও গবেষণার সন্ধান আমি পাইনি, কারুর যদি জানা থাকে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন। আমি জানি, এ প্রশ্ন তুললেই তাঁর সমর্থকেরা এসে বলবেন, শ্রীনন্দী আসলে ভাইরোলজিস্ট কিনা সে প্রশ্নের থেকে তাঁর বক্তব্যে যৌক্তিকতা বা সারবত্তা আছে কিনা এইটা বেশি জরুরি প্রশ্ন। এবং, এক্ষেত্রে অন্তত আমি তাঁদের সঙ্গে একমতই হব (তাঁর বক্তব্যে আদৌ যৌক্তিকতা বা সারবত্তা পাইনি যদিও)। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যাঁরা তাঁর বক্তব্য প্রচার করছেন তাঁরা তাহলে সেটাই বলুন --- উনি ভাইরোলজিস্ট কিনা সেটা বড় কথা না, বরং উনি যে সঠিক কথা বলছেন এটাই বড় কথা। কিন্তু, ওঁরা তো তা করছেন না, বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করার জন্য ওঁকে ভাইরোলজিস্ট বলে হাজির করছেন। যদি ভাইরোলজি নিয়ে তাঁর তেমন কোনও গবেষণা না থেকে থাকে, তাহলে ব্যাপারটা নৈতিকভাবে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি?

    কিন্তু, ভিডিও-টিতে একটি মজার ব্যাপারও আছে। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে এই যে, সারাক্ষণই তিনি সাক্ষাৎকারটি দিলেন মুখে একটি জবরদস্ত মুখোশ ভাল করে এঁটে রেখে। মুখোশ কেন? আইনের ভয়ে, নাকি ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে? আরও প্রশ্ন জাগে, আইন এবং/অথবা ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে যদি তিনি মুখোশ পরে থাকেন, তবে কি তিনি ওই একই ভয়ে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজও নিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যে? যদি নিয়ে থাকেন, তাতে আমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত --- তাঁর মত স্বনামধন্য বর্ষীয়ান চিকিৎসক কোভিডের কবলমুক্ত থাকুন, এটা তো সকলেই চাইবেন।

    কিন্তু, নাঃ! ভিডিও দেখে অন্তত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার কোনও উপায় নেই! ক্যামেরায় শুধু মুখোশটাই দেখা যায়, অন্য কিছু নয়। আমরা চাইব, তিনি যদি ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তো এবারে নিয়ে নিন। তিনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
     
     

    ভিডিও-র লিঙ্ক রইল এখানে। [ https://www.facebook.com/debasis.bhattacharya.79/posts/5174408019250198 ] 
     
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৮১৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 171.49.190.149 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:১৯503654
  • জয়, সাইফাই এর টইতে লেখার জন্য আমারও হাস নিশপিশ করছে, কিন্তু নানা কারনে পারছিনা। একে তো কাজের চাপ। তার ওপর পাজির পাঝাড়া ওমিক্রন থেকে পুরো এখনও সেরে উঠিনি। সন্ধের পর থেকেই উইকনেস আর জ্বর মতো লাগে, ফলে কাজ করতে অসুবিধে হয়। এদিকে সাধারনত আমাকে রাতে কাজ করতে হয়, ফলে কয়েকদিন একেবারে মিসম্যানেজমেন্ট চলছে। তবে আশা করছি আর কয়েক দিনের মধ্যে পুরো ঠিক হয়ে যাবো। 
     
    যদির কথাগুলো বেশ যুক্তিযুক্ত। তবে আমার একটা জিনিস মনে হয়েছে, রেসিডেন্ট গুরুব্যবহারকারী, মানে এখন যে জনা পঁচিশেক রেগুলার আড্ডা দেন, তারাও কোন হোমোজিনিয়াস এন্টিটি নন। প্রায় সবারই আলাদা আইডিওলজি, টেস্ট, আউটলুক, ইত্যাদি। কাজেই বিল গেটস, কমিউনিস্ট ইত্যাদি নিয়ে গাল পাড়লে সেটা একেবারেই হাসির ব্যপার হয়ে যায় :-)
    এনিওয়ে আমি কোন জেনারালাইজেশান কখনই গায়ে মাখিনা, তবুও, জেনারালাইজেশানের চেষ্টাটাই মজার। যেমন ধরুন আমি ইকোনমিক্সের দিক দিয়ে একেবারেই রাইটিস্ট, লার্জ কর্পো ঘেঁষা, এমনকি দুয়েক সময়ে নিও-কনও, আমার সাথে বোধিদাকে কিভাবে এক ব্যাকেটে করবেন? (যাস্ট একটা উদাহরন দিলাম)।  
     
    "বলা হচ্ছে নাক ও গলার মিউকাসেই এদের বসবাস, ফুসফুসে গিয়ে কনজেশন করে শ্বাসের সমস্যা তৈরি করাই যার নটোরিয়াসতম কীর্তিকলাপ, সে কিডনি/রেনাল ফেলিওর, হাই ব্লাডপ্রেশার পেশেন্টের হার্ট ফেলিওর, ডায়াবেটিস পেশেন্টের বা অন্য নন-রেস্পিরেটরি প্রবলেমের পেশেন্টের মৃত্যুর কারণ কীভাবে হচ্ছে?"
     
    আমি যেটুকু বুঝেছি, ডায়বেটিস, ব্লাডপ্রেশার ইত্যাদি কোমর্বিডিটি। অর্থাত যিনি ডায়বেটিসে ভুগছেন তাঁর ইমিউন সিস্টেম অলরেডি কমজোরি বা নানান অর্গ্যান অলরেডি কমপ্রোমাইজড, তার ওপর লাংসে ইনফেকশান হলে সিরিয়াস কন্ডিশান হওয়ার চান্স বেশী। (আমি ভুলও হতে পারি, জয় বা অন্য কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে খুশী হবো)। 
     
     
  • dc | 171.49.190.149 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:২১503655
  • *হাত 
  • s | 100.36.157.137 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪২503659
  • সার্স কোভ-২ ভাইরাস আমাদের শরীরে ঢোকে স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। অরো স্পেসিফিকালি এস২ (ACE2) নামে এক্টি রেসেপ্টর প্রোটিনের মাধ্যমে। এই এস২ রিসেপ্টর সেল মেমব্রেনে থাকে আর অনেকটা গেটকিপারের মত কাজ করে। এছাড়া এস২ র আরো কিছু ইমপর্ট্যান্ট কাজ হচ্ছে ইন্ফ্লেমেশান কন্ট্রোল করা আর অ্যান্জিওটেনসিন নামের আর একটি প্রোটিনকে কন্ট্রোল করে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করা। অনেকেই হয়ত এস২ ইনিহিবিটর গ্রুপের অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ মেডিকেশন ব্যবহার করেছেন। এখান ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন এই এস২র সাথে আটকে গিয়ে এদের ইনহিবিট করে আর আমাদের বিভিন্ন অর্গানে ঢোকে। প্রাইমারি টার্গেট লাং হলেও হার্ট, লিভার, কিডনি, জিআই ট্রাক এই সব জায়্গাতেই এস২ আছে। যার জন্যে ভাইরাস এই সমস্ত অর্গানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখন এস২ নিস্ক্রিয় হলে দুটো ব্যাপার হবে। এক তো ভাইরাস মহা আনন্দে সব অর্গানে ছ্ড়াতে পারবে আর তার সাথে ইনফ্ল্যামশান কন্ট্রোল অনেক কমে যাবে এবং এই সব অন্য অর্গানও আস্তে আস্তে এফেক্টেড হবে। হাইপারটেনশান বা ডায়াবেটিকদের হার্ট, লিভার, কিডনি ইত্যাদি অলরেডি কমপ্রোমাইজড। এস২ এমনিতেই সেখানে দূর্বল। তার উপর যেটুকু ছিল, ভাইরাস সেটাও নিস্ক্রিয় করে দিচ্ছে। তাই তাদের সিভিয়ার ডিজিজের চান্স অনেক বেশী।
  • জ্যোতি বোস | 45.12.223.214 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৮503660
  • এই যে Pfizer আর FDA এক সঙ্গে কোর্টে গিয়ে ক্লিনিকাল ডেটা প্রকাশ করা আটকেছে, এটার অনেক প্রশংসা করে কটা কমেন্ট হয়ে যাক?
  • চন্দন | 130.149.80.199 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১৮503661
  • কি অশৈরণ কথাবাত্রা। ভ্যাকসিন্নাস্তিকের দলকে ফাইজারঠাকুর পাপ দেবে।
  • dc | 171.49.190.149 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:২৪503662
  • এদিকে নাকি টেক্সাসের জাজ বলেছে আট মাসের মধ্যে ডেটা বার করতে হবে? 
  • জ্যোতি বোস | 45.12.223.198 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৩৩503663
  • আচ্ছা, এই যে সারা পৃথিবীতে ভ্যাকসিনেটেড ফুটবলাররা ধপ-ধপ করে মাঠে পড়ে যাচ্ছে, এটা যে আসলে অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের অপপ্রচার, সেটা একটু ঝটপট প্রমাণ করে দেবেন?
  • ছি | 2605:6400:30:eead:d68b:1124:a911:222d | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৩৫503664
  • টেক্সাস মানেই ট্রাম্পপন্থী বদের বাসা। এ জন্মেই ডাটা দেখতে চায়। নিপাত যাক।
  • জ্যোতি বোস | 84.247.50.68 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪০503665
  • আচ্ছা, Pfizer আর FDA যদি 75 বছর ধরে ডেটা প্রকাশ করতে পারে, তাহলে আমিও কি fakecine-টা 75 বছর পরে নিতে পারি? একটু সহজ করে বুঝিয়ে দেবেন?
  • Madhu Sen | 43.252.248.244 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪৯503666
  • মাননীয় জয়বাবু সমীপেষু,
    ১।। কোভিশিল্ডের ফ্যাক্ট শিট লিঙ্কঃ https://www.seruminstitute.com/pdf/covishield_fact_sheet.pdf
    কোভ্যাকসিনের  ফ্যাক্ট শিট লিঙ্কঃ https://www.bharatbiotech.com/images/covaxin/covaxin-factsheet.pdf
    ২।। ভ্যাকসিনের 'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল' চলা ভালো বলেছেন, সে কথা বুঝলাম। কিন্তু তা দিয়ে গণটিকাকরণ কি করা যায়?  তা-ও আবার কোনও ধরনের লিখিত সম্মতি ছাড়া! 
    'ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল' কাকে বলে জানতে দয়া করে এই লিঙ্কটা (আগের মন্তব্যেও দিয়েছিলাম) ধৈর্য ধরে পড়ুনঃ https://covid19.nih.gov/treatments-and-vaccines/clinical-trials#:~:text=What%20is%20a%20clinical%20trial,safe%20for%20people%20to%20use.
    ৩।। বাকি ভ্যাকসিনগুলো যেহেতু এ দেশে দেওয়া হয়নি তাই ওগুলো নিয়ে আলোচনা অনেকটা 'বেল পাকলে কাকের কী' গোত্রের! 
    ৪।। এখনও পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনের কোনও অস্তিত্ব কেউ দাবি করেছেন বলে শুনিনি। কোভিডের ক্ষেত্রে সবক'টিই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'।
    এত দাঁতভাঙা সন্দর্ভ রচনা করেন আর এটুকু খবর রাখেন না! 
    নির্দিষ্ট উত্তর থাকলে অবশ্যই জানাবেন। অন্যথায় জল ঘোলা করে লাভ নেই... 
     
     
  • S | 2a0b:f4c1:2::254 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৫503667
  • The FDA has not disputed that the data should be made available to the public. However, the regulatory agency has claimed that each page of the file must be closely reviewed in order to redact confidential details or trade secrets that could be exposed.

    As BioSpace previously reported, the FDA said there are more than 329,000 pages related to the Pfizer vaccine. The agency said its team is short-staffed. The FDA said it has a 10-person team handling FOIA requests, and there are more than 400 requests that team is addressing. The agency did offer to release 12,000 pages of data and then an additional 500 pages per month on a rolling basis in order to assuage the plaintiffs.
  • S | 2a0b:f4c1:2::254 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৬503668
  • টেক্সাসে অবশ্য এরকম রুলিংও হয়েছিল যে ইমিগ্রেশান কোর্টে টডলারদের নিজেদেরকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে, সঙ্গে কোনও গার্জিয়ান না থাকলেও চলবে।
  • S | 2604:6600:2005:16:172:107:94:154 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:১১503669
  • তবে এই টইতে এই ছপাতার আলোচনায় এবং অন্যান্য টইতেও তো গোলপোস্ট ক্রমাগত সরানো হচ্ছে। আগে ডিসাইড করা হোক যে কোনটা? আমি নিচে কয়েকটা অপশান দিচ্ছি।

    ১) কোভিড বলে আসলে কোনও রোগই হয়নি।

    ২) কোভিড আছে কিন্তু অতটাও ভয়ন্কর নয়। হিসাব থেকে কোমর্বিডিটি বাদ দিতে হবে।

    ৩) কোভিড আছে এবং ভয়ন্কর। কিন্তু এগুলো আসলে বিল গেট্স, জেফ বেজোস, এবং আরো কিছু লোকের (বিশেষত ইহুদীদের) চক্রান্ত।

    ৪) কোভিড নেই অতেব ভ্যাকসীনটা কোনও ভ্যাকসীনই নয়।

    ৫) কোভিড আসল কিন্তু ভ্যাকসীনটা কোনও ভ্যাকসীনই নয়।

    ৬) কোভিড নেই কিন্তু ভ্যাকসীনটা আসল, কিন্তু ভ্যাকসীনে প্রচুর সাইড এফেক্ট।
    ৬এ) কোভিড নেই কিন্তু ভ্যাকসীনটা আসল, ভ্যাকসীন নিয়েই লোকের কোভিড হচ্ছে।
    ৬বি) কোভিড নেই কিন্তু ভ্যাকসীনটা আসল, ভ্যাকসীন নিয়েই লোকের অন্য অনেক সিরিয়াস সমস্যা হচ্ছে।
    ৬সি) কোভিড নেই কিন্তু ভ্যাকসীনটা আসল, ভ্যাকসীন নিয়েই লোকের মধ্যে ন্যানোচিপ ঢোকানো হচ্ছে।

    ৭) কোভিড আছে এবং ভ্যাকসীনটা আসল, কিন্তু ভ্যাকসীনে প্রচুর সাইড এফেক্ট।
    ৭এ), ৭বি), ৭সি)ঃ ৬ এ, বি, সি এর নকলে

    ৮) কোভিড সত্যি, ভ্যাকসীনও আসল, কিন্তু ১) সিডিসি, ২) হু, ৩) বাইডেণ, ৪) আমেরিকা, ৫) ডীপ স্টেট, ৬) সিয়া, ৭) ভ্যাকসীন নিয়েছে যারা, ৮) মেইনস্ট্রীম মিডিয়া, ৯) কিছু কিছু কমিউনিস্ট বিলিয়নেয়াররা, ১০) লো লেভেল দালাল, ১১) ফার্মা কোম্পানি ইত্যাদিদের মধ্যে এক বা একাধিকরা বদ।
  • জ্যোতি বোস | 91.219.215.22 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:১৬503670
  • ও আচ্ছা এই বার বুঝলাম। Personal detail redact করতে হবে, তাই। তাহলে এর আগেও সব ভ্যাকসিনেরই এতদিন ডেটা প্রকাশ করতে নিশ্চয়ই 75 বছর করে লেগেছে? মানে তাদের সবার জন্যই তো personal details redact করতে হয়েছিলো। যাক, কতকিছু শিখলাম আজ। 
    যাই হোক, আমি ভাবছি ওই 75 বছর পরেই fakecine টা নেবো। তাড়া কিছু নেই।
  • s | 150.148.14.162 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০৭503675
  • মধু সেন,
    "৪।। এখনও পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনের কোনও অস্তিত্ব কেউ দাবি করেছেন বলে শুনিনি। কোভিডের ক্ষেত্রে সবক'টিই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'।"
    পুরোপুরি বাজে কথা। অলরেডি দুটো কোভিড ভ্যাকসিন ফুল FDA অ্যাপ্রুভাল পেয়েছে। কোমিরনাটি আর স্পাইকভ্যাক্স।

    জ্যোতি বাবু,
    এই পাতায় কোমিরনাটি ভ্যকসিনের লেবেল, পাবলিকালি অ্যাভেলেবল রিভিউ, যার মধ্যে ক্লিনিকাল, স্ট্যাটিস্টিকাল, CMC রিভিউ সব আছে। পড়ে দেখতে পারেন। যদিও আমার মনে হয় এ আপনার এরিয়া নয় - আপনি এক লাইনও বুঝবেন না। যার কাজ যারে সাজে ইত্যাদি। এগুলো পড়ে হজম হলে তারপর FDA কেন সব ডেটা রিলিজ করছে না তার খবর নেওয়া যাবে খন।
    https://www.fda.gov/vaccines-blood-biologics/comirnaty
  • Madhu Sen | 115.187.40.162 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৯503679
  • এস বাবু/বিবি সমীপেষু, 
    প্রথমেই, ১।। থেকে ৩।। নম্বর মেনে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ! 
    দ্বিতীয়ত, লাতিন আমেরিকা নিয়ে কপচানো ছেড়ে সোজাসুজি আমেরিকায় ল্যান্ড করার জন্য আবারও ধন্যবাদ! যদ্দূর জানি,  FDA-এর 'ফুল ফর্ম' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নয়। অবশ্য 'Fool' বানাতে চাইলে অন্য কথা। তাই আবারও জানাই, কোভিডের ক্ষেত্রে সবক'টিই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'।
    অনুরোধ, মার্কিনী দুনিয়া থেকে সময় পেলে কখনওসখনও 'জংলি' ভারতের দিকেও তাকান। অকারণ জলঘোলা করে বিশেষ সুবিধে হবে না।
  • lcm | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৮503680
  • হ্যাঁ, কোভিড ভ্যাকসিন টাইম টেস্টেড নয়... কিন্তু ৭৫ বছর ধরে বসে থাকলে তো তদ্দিনে... তো, ইয়ে মানে... তখন আর অ্যাপ্রুভই বা করবে কে... দেবেই বা কে... আর নেবেই বা কে...

    তবু এখন তো একটা ঠেকা দেওয়া গেছে...
     
    ... because there is an urgent need for COVID-19 vaccines and the FDA's vaccine approval process can take  years, the FDA first gave emergency use authorization to COVID-19 vaccines based on less data than is normally required ... 
  • lcm | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৫503681
  • এই টেক্সটা ছিল গত বছর (2021) এর শুরুর দিকে... এখন FDA অ্যাপ্রুভাল দিয়েছে...
  • s | 100.36.157.137 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৩503682
  • মধু সেন,
    ১ থেকে ৩  মানার কি না মানার কথাই হয়নি। ইন ফ্যাক্ট, কোনো রেসপন্সের প্রয়োজন দেখছি না।
    "তাই আবারও জানাই, কোভিডের ক্ষেত্রে সবক'টিই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'।"
    সম্পূর্ণ মনগড়া কথা। পাগলের প্রলাপ বা জেনে শুনে মিথ্যা বলা।
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি করে - খায় না মাথায় দেয় তা নিয়ে আপনার কোনো ধারণাই নেই বোঝা গেল। 'জংলি' ভারত কি লাতিন আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - দেশ নিরপেক্ষে বর্তমানে পৃথিবীতে দুটি অ্যাপ্রুভাড ভ্যাকসিন আছে। পিরিয়ড।
  • s | 100.36.157.137 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৪503683
  • কোভিড ঠেকাতে দুটি  অ্যাপ্রুভ্ড ভ্যাকসিন আছে। পিরিয়ড।
  • dc | 122.174.88.198 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৪৮503685
  • জংলি ভারতে এমনকি কোভ্যাক্সিন আর কোভিশিল্ড নিয়ে স্টাডি অবধি হয়েছে! কি আশ্চর্য! 
     
     
    Updated: November 23, 2021 10:23:51 am

    People receive vaccines for Covid-19 at a vaccination drive in Agartala. (Express Photo/File)
    Results from a large study, which includes the Indian Council of Medical Research (ICMR), indicate that both Covishield and Covaxin significantly reduce the risk of severe Covid-19 and against the Delta variant among Indians aged 45 years and above. The study, pending peer review, was published on a preprint recently.

    The overall effectiveness against severe Covid was 80 per cent with two doses of Covishield, and 69 per cent with two doses of Covaxin.

    Vaccine effectiveness was highest with a 6-8 week interval between two doses of both vaccines. However, according to senior author Dr Manoj Murhekar, Director of ICMR–NIE (National Institute of Epidemiology), there were not enough numbers to gauge a 12-week interval. “The main point here is vaccines are effective. We do not really need a booster immediately as by June this year at least 60 per cent of the country’s population was infected with SARS-CoV2 and vaccination would have served as a boost to the immune system,” he said.
     
    ডিসক্লেমারঃ রিপোর্টে বলছে স্টাডিটা এখনও পিয়ার রিভিউড না, প্রিপ্রিন্ট অবস্থায়। এটা নভেম্বর ২৩ এর খবর, এদ্দিনে পিয়ার রিভিউ হয়েছে কিনা জানিনা। 
     
    কিন্তু কথা হলো, বিল গেটস আর জো রোগান ছেড়ে হঠাত জংলি ভারত? সেকি? 
  • জ্যোতি বোস | 91.219.215.52 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৫৮503691
  • Thank you S-স্যার, এই যে আপনি 75 বছরের আলোচনাটা গ্যাঁড়াকল হয়ে গেছে বলে কি সুন্দর করে "আগে এই এই ডকুমেন্ট গুলো পড়ো তো হে, তার পর ওইসব 75 বছর নিয়ে মাথা ঘামাবে", বলে দিলেন, এই জন্যই আপনাদের এত শ্রদ্ধা করি। বেকায়দায় পড়লে কথা ঘুরিয়ে দেওয়ার এই অসাধারণ স্কিলটা সবার শিক্ষণীয়। আশা করছি গুরুতে আরো কিছুদিন থাকলে আমিও আপনাদের দেখে দেখে শিখে যাবো।
  • জ্যোতি বোস | 91.219.215.52 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:০৬503692
  • আচ্ছা, আমার এই প্রশ্নটার একটু জবাব দিন প্লীজ। আমাকে অযুক্তিবাদী অ্যান্টি-ভ্যাক্সাররা বড্ড হ্যারাস করছে।
     
    এই যে সারা পৃথিবীতে ভ্যাকসিনেটেড ফুটবলাররা ধপ-ধপ করে মাঠে পড়ে যাচ্ছে, এটা তো আসলে অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের অপপ্রচার, তাই তো? একটু ঝটপট প্রমাণ করে দিন না।
     
    আমি তো বলি ফুটবলারগুলো এক্সারসাইজ করে না, তাই ওদের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে।  ঠিক বলেছি না? তবু এই শালা অ্যান্টি-ভ্যাক্সাররা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে কেন???
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:২৩503693
  • https://www.reuters.com/article/factcheck-coronavirus-sport/fact-check-list-of-108-fifa-soccer-players-is-not-proof-of-a-common-link-between-covid-19-vaccines-and-athlete-deaths-idUSL1N2T81NY

    Widespread claims that 108 FIFA soccer players have died in a six-month period in 2021 are not based in fact – nor are suggestions that the alleged deaths are linked to COVID-19 vaccines.

    Thousands of social media users have engaged with posts across Facebook, Twitter and Bitchute that make the specific claim about the number of deaths in the six months up to November.

    Reuters looked into the list of 108 names provided by Real Time News (bit.ly/32pqrt7 , page 6). It appears to be compiled using news reports of the deaths of 108 people, aged 12 – 64, worldwide.

    Among the sports attributed to the names are American football, archery, athletics, badminton, ballet, baseball, basketball, body building, boxing, canoeing, cricket, cycling, field hockey, footvolley, handball, ice hockey, rugby (league and union), soccer, table tennis, tennis, volleyball and weightlifting.

    A mixture of sporting levels is included which range from professional, semi-professional, amateur, retired, youth (under 15 years old), high school and college.

    There are also four soccer coaches listed among the names, as well as one body building coach, one cricket teacher, one athletics trainer, a golf caddie, a marching band member and a doctor who died while out jogging.

    In 53 cases, a cause of death was reported. These include heart attacks brought on by previously known or unknown heart conditions, while others included prior COVID-19 infections, a cerebral aneurysm, a traumatic brain injury, a motorbike accident, one suicide, two suspected suicides, heat stroke, and a rare congenital condition – anomalous origin of coronary artery.

     
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:২৫503694
  • আমারও একটা সহজ প্রশ্ন থাকলো। জেফ বেজোস এই প্যান্ডামিক থেকে বড়লোক হলেন কি করে?
  • জ্যোতি বোস | 45.12.223.198 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৫৯503695
  • আ হা হা, S-স্যার, আপনার অসামান্য প্রতিভা। সবাই দেখছে শুনছে যে ভ্যাকসিনেটেড ফুটবলাররা ধুপ ধাপ করে পড়ে যাচ্ছে, আর আপনি কি সুন্দর কপি-পেস্ট করে প্রমাণ করে দিলেন যে, না, এরা আসলে কোভিড হয়েছিল বলে বা মোটর সাইকেল অ্যাকসিডেন্টে মরে গেছে।

    আমাকে এই যুক্তিবাদটা শিখতেই হবে। এই যে শুধু কপি-পেস্ট করে রাতকে দিন প্রমাণ করে দেওয়া যায়, এ দেখে চোখে আমার ভক্তির অশ্রু বয়ে যাচ্ছে।

    শুধু মুশকিল হল এটা যদি আমি অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের  বলি, শালারা আরো হাসবে, আর বলবে "ওরে গর্দভ, কোভিডের জন্য হবে তো 2020 তে হয়নি কেন? তখন তো ভ্যাকসিনও ছিল না। ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হল, ফুটবলাররা পড়তে শুরু করল, আর এখন দোষ কোভিডের?"

    এই অ্যান্টি-ভ্যাক্সাররা ভারি টেঁটিয়া। ভক্তি শ্রদ্ধা একদম নেই।
  • Madhu Sen | 157.119.104.222 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৬503702
  • মাননীয় এস, ডিসি ইত্যাদি, 
    কোভিশিল্ড আর কোভ্যাকসিনের এত সব 'স্টাডি' নির্মাতাদের কাছে পাঠিয়ে দিন না, ওঁরা 'ফ্যাক্ট শিট' হালনাগাদ করে নিতে পারে!  
    আবারও বলছি এফডিএ কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা নয়, একটি দেশের সংস্থা! তাই এরা এখনও 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'! 
    আর আপনারা তো বলেই দিলেন কোভিড ঠেকাতে কেবল দু'টিই অ্যাপ্রুভড ভ্যাকসিন রয়েছে, দু'টিই আমেরিকায়! তার মানে এখানে অ্যাপ্রুভাল ছাড়া ভ্যাকসিনেই গণটিকাকরণ হচ্ছে! 
    তাড়াহুড়োর কিছু নেই, বুঝে পড়ে উত্তর দেবেন।
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়ে একটু পড়াশুনো করুন, মানে কীভাবে চলে, কারা কতটা টাকা দেয়, কোন খাতে দেয়, এদের অনুমোদনের কেন প্রয়োজন হয় ইত্যাদি। 
    গুগল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফ এডুকেটেড ডিগ্রি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে লাভ নেই।
    আর শেষে বলি ১।। থেকে ৩।।-এর উত্তর আপনাদের কোনও গুরুর কাছেই নেই। 
    আর ভ্যাক ভ্যাক নাই বা করলেন....
  • জ্যোতি বোস | 91.219.215.68 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:২৩503707
  • এই যে মধুবাবু, আপনারও তো ভক্তি শ্রদ্ধা একদম নেই দেখছি। সব প্রশ্নের সোজাসাপটা জবাব চাওয়ার অভ্যাসটা এবার ছাড়ুন। এর পরে কোভিড ঠাকুর পাপ দিলে তখন মজা দেখবেন।
  • ar | 173.48.167.228 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৭503709
  • এইবার অ্যান্টি-ভ্যাক্সাররা luz divina del bosé নয়া অবতারে আবির্ভূত হলেন!!

    এই টইটার গোলপোষ্ট বেশ মুভ করে গেছে। ডাঃ নন্দী সার্স নিয়ে ভুলভাল মন্তব্য করার পরেও দিব্যি অছেন। সে যাই হোক, আগে লিখেছিলাম, আবার এইখানে পোষ্ট করে দি।
    প্রচুর ফেক খবরের লিঙ্ক দেখলাম। আমার বাড়ি থেকে দু ব্লক পরেই হাই স্কুল। বড় স্কুল ডিস্ট্রিক্ট বলে প্রায় সাড়ে চার হাজারের ওপর শিক্ষার্থী। ৯৫+% সম্পুর্ণ টীকাকরণের পরে নিয়মিত ক্লাস করে চলেছে। এখনো ছাত্র-্ছাত্রীদের বিশেষ ক্ষয়্ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। ভ্যাক্সিন নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ ছেলেমেয়ে নিয়মিত টাউন সকারে বা হাই স্কুল সকারে অংশগ্রহণ করে চলেছে। প্রথম ডোজ বা দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে মাঠে এসে মাক্স পরে দিব্যি খেলে যাচ্ছে। টীকা নিয়ে ইন্ডোর বা আউটডোর অ্যাথলেটিকস প্রোগ্রামেও নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। ফুটসল বা ইন্ডোর সকারও চলছে। কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হয়, এই যা। ভ্যাক্সিন নিয়ে এন এফ এলে কেউ মারা যায়নি। সিজিন শেষ হয়ে এল, শুধু সুপারবলটা বাকী। (ঘরের ছেলে জিমি জি শেষরক্ষা করতে পারল না, এইটাই যা আপশোষের ব্যাপার!!)
    আর যে ফরাসী রাগবি বা ডেনিশ সকার প্লয়ারের মৃত্যু নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে, তাদের কেউই কোভিড জনিত বা ভ্যাক্সিন-্জনিত কারণে মারা যাননি। প্রথমজন সুইসাইড করেন, আর দ্বিতীয়জন মাঠে কোল্যাপ্সড করেন, হৃদরোগজনিত কারণে; মাঠেই প্যারামেডিকসদের তৎ্পরতায় তাকে রিভাইভ করানো হয়। এখনি দিব্যি জীবিত আছেন, আশা রাখি আবার উনাকে ব্রেন্টফোর্ড বা স্পার্সের হয়ে দেখতে পাবো। এটা ভ্যাক্সিনজনিত কারণে হয়নি, কারণ এই ঘটনার সময়ে উনার টীকাকরণই হয়নি!!

    https://en.wikipedia.org/wiki/Jordan_Michallet
    বাকী factcheck লিঙ্ক দিলাম না, ইচ্ছা থাকলেই দেখে নেওয়া যায়। জীবনের কোন এক বা একধিক ঘটনা একটা ২৯ বছরের সফল প্লেয়ারকে পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে ঠেলে দিল, এর চেয়ে ট্র্যাজিক আর কী হতে পারে??

     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন