এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • "শরীর শরীর, তোমার মন নাই, কুসুম?"- দেবলীনা দাস 

    debalina das লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১৭৯৬ বার পঠিত
  • শরীর....... সর্বশক্তিমান শরীর। বেশ্যার ঘরে যা দেখে নাক সিঁটকে বলেন পাপ কাদা, নর্দমার নোংরা .... আগ মার্কা গঙ্গাজলে ধোয়া কত তুলসীপাতা বচন। অথচ যুগযুগান্ত ধরে আকন্ঠ আদিম তেষ্টায় সেই নোংরা জলই তো গিলে আসছে মানুষ। আচ্ছা স্পষ্ট করে বলুন দেখি - নোংরা কাকে বলে? আর পাঁচটা বিকিকিনি এর মতোই তো পয়সার বদলে শরীর - সোজাসাপটা হিসেব। কই মুদির দোকানের হিসেব মেলানোটাকে তো নোংরা মানে করেন না? পোনামাছখানা আরো একবার পাল্লায় তুলে ওজন দেখে নেন, তরমুজ কেনার সময় টোকা মেরে বাজিয়ে দেখেন। শুধু পতিতাপল্লীর সামনে দিয়ে যাবার সময়ই আপনার নীতিবোধ উথলে ওঠে। ল্যাম্পপোস্টের তলায় রোগা হাড়গিলে মুখে রং মাখা মেয়েগুলো যারা শরীরের বিনিময়ে কেনে খিদের ভাত - শুধু তাদেরকে দেখেই পচা ইঁদুরের গন্ধ পাবার মতো মুখ সিঁটকান। কই অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপন, নীলরঙা ছবির পোস্টার আড় চোখে টেরিয়ে তাকানোর সময় তো আপনার এই ভন্ড নীতিবোধ কুটকুট করে না ? আর তাই তো শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছে এই সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা- সোনাগাছি, হাড়কাটা গলি, খালাসিটোলা, অরবিন্দ মার্গ, কামাতপুরা, ফোরাস রোড, আমস্টার্ডাম, ভেগাস.....আরও কত খ্যাত ও অখ্যাত জয়েন্ট। তা মন্দ কি বলুন? এই মাগ্গ্যিগন্ডার বাজারে একটা ব্যবসায় অন্তত মন্দা নেই- খদ্দের ঠিক জুটেই যায়। তবে আর যাই হোক এখানে অন্ততঃ যত্নের, ভালবাসার ভন্ডামি নেই। ফ্যালো কড়ি মাখো তেল- তুমি কি আমার পর?

    অথচ সেই একই ঘটনা ঘরের বেডরুমে ধর্মের পবিত্র আগুনে সেঁকে পবিত্র, মহিমান্বিত করার কি আপ্রাণ চেষ্টা, কি অহেতুক ন্যাকামী।  ক্ষিদে, তেষ্টা, ঘুম, মৈথুন  সবই তো জান্তব প্রবৃত্তি- পশুমাত্রেরই থাকে, মানুষেরও । তার সাথে মনুষ্যত্ব বা ভালোবাসার কোনও সম্পর্ক নেই। মানুষ ষড়রিপুর দাস। তার মধ্যে যৌবনের শুরুতে প্রথমটির উপর নিয়ন্ত্রণ নিতান্ত জিতেন্দ্রীয় কিংবা অসুস্থ না হলে অসম্ভব। আমাদের দেশের আর্থ -সামাজিক পরিকাঠামোতে শুধুমাত্র ভালবাসার তাগিদে ভালো বাসা বাঁধা কজনের কপালেই আর জোটে? শুধু চোখকান বুঁজে দুগ্গা বলে ঝুলে পড়া- আর সেখানেই শুরু হয় সব সমস্যার সূত্রপাত। ডোমেস্টিক রেপ নিয়ে এত কথা বলা হয় অথচ উল্টোদিকটার কথা তো হয় না....সে দিকটা তো অন্ধকারেই থেকে যায়। তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ঠুন্কো অহংকার, অর্থহীন আত্মসম্মান -তাই হয়ত । আসুন, আজ বরং সেই অসহায় পৌরুষের গল্পই হোক।
    ভালোবাসা নয়, শুধুমাত্র স্বার্থের তাগিদে শর্তসাপেক্ষে শরীরের বিনিময় বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে কি খুব বিরল? অর্থ নয় তার থেকেও অনেক দামি বিবেক, যুক্তি বিসর্জন দেবার, অন্তরাত্মাকে বিকিয়ে দেবার বিনিময়ে শরীর দেওয়া। আচ্ছা, বলুন দেখি - এও কি এক রকমের বেশ্যাবৃত্তি নয়? কৈকেয়ী থেকে বৈদেহী অবধি এই পেশী প্রদর্শন কি আজও চলে আসছে না? প্রথম কদিন টানাপোড়েন, মানঅভিমান, খড়কুটো আঁকড়ে ধরে আত্মসম্মান টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। তারপর সংসারে শান্তির নামে প্রথম রিপুর কাছে নতি স্বীকার......আমেন। 
     
    আর সেই নিঃশব্দ সাঁড়াশির আড়াই প্যাঁচে শ্বাসরোধ হয়ে কত মানুষ মারা পড়ছে হররোজ।  মাকড়সার জালে আটকে পড়া পোকার মতো, অজগরের কবলে পড়া জন্তুর মতো - আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে থাকে সংসার নামক খাঁচায়।  প্রথম প্রথম ছটপট করে, ফাঁস কেটে বেরোনোর আকুলতা। যত ছটফট ততোই বেশি করে প্যাঁচ আরো এঁটে গলায় চেপে বসে- বেবি ফুড, হোমওয়ার্ক, চাকরি, সচ্ছলতা, বেড়ানো, বিবাহবার্ষিকীতে দামি উপহার - বিনিময়ে শরীর। আলাদা হেঁসেল,আলাদা সংসার, ভাইয়ের টুইশনের টাকা বন্ধ, বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রম- বিনিময়ে শরীর। বিবেক কিংবা নীতিবোধের পরিসীমার বাইরের এক চাহিদার বৃত্ত.... কেবলই এক অন্তহীন বৃত্ত ঘুরে চলে। 

    তারপর এই ভাবে চলতে চলতেই কখন যেন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেন যোগান বন্ধ হয়ে যায়....মগজ মৃত্যু। তখন সে ভাবতে ভুলে যায়, হাসতে ভুলে যায়, স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়। শরীরের বেচাকেনায়, শুধুমাত্র শরীরকে খুশি রাখার আপ্রাণ চেষ্টায় জীবনের বাকি সময়টুকু বুড়ো কাছিমের মতো কোলকুঁজো করে অনুভূতিহীন কোমায় কাটিয়ে দেয়।  ব্যাঙাচির মেটামরফোসিসের মতো, সাপের মতো গা থেকে খোলস ছাড়ার মতো তার মনুষ্যত্ব এর খোলসটুকুও ধীরেধীরে খসে পড়ে। খোলসের তলায় যে পড়ে থাকে সে আগের মানুষ নয়......কোন মানুষই আর নয়  ....তার মস্তিস্ক নেই, মন নেই, আত্মা নেই ....শুধুই দাঁত নখ....শুধুই শরীর।

    "এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি!
    রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি
    আঁধার ঘুঁজির বুকে ঘুমায় এবার;
    কোনোদিন জাগিবে না আর

    কোনোদিন জাগিবে না আর
    জানিবার গাঢ় বেদনার
    অবিরাম— অবিরাম ভার
    সহিবে না আর—’

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সূর্য | 2401:4900:1228:d12c:1b45:f65:4453:5af7 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:০৭503803
  • এক নিঃশ্বাসে পড়লাম সুন্দর লেখা দেবলীনা 
    সূর্য 
  • kaktarua | 192.82.150.102 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৯503809
  • একটা প্রশ্ন কয়েকদিন ধরে কুটকুটাচ্ছে। শরীর দেওয়া কথাটা কেন একটা মেয়ের জন্যই প্রযোজ্য হয়? একটা মেয়ের কি শারীরিক চাহিদা থাকে না? মানে একটা মেয়ে কি শারীরিক চাহিদার জন্য বিয়ে করে না? শরীর শুধু দেওয়া কেন ?কখনোই নেওয়ার কথা থাকে না কেন ?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১৬503810
  • একদম। একজন দেয়, আরেকজন নেয়। এই কনসেপ্টটাই ভীষণ ডিসক্রিমিনেটিং। অসম্মানজনেক।
  • kaktarua | 192.82.150.102 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৩৪503811
  • সেটাই। আর দেওয়ার সাথে যদি নেওয়া থাকে তাহলে তো বেপারটা সেখানেই মিটমাট হয়ে গেলো। আর বাকি সব কিছুর হিসেবে অন্য জায়গায় মেলানোই ভালো। 
  • একক | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:২৭503813
  • ওরম না। মিটমাট হয়ে হাতে শুন্য পড়ে থাকবে অমন ডীল কোটিতে একটাও হয় না। বাস্তবে সম্ভব না। 
     
    আম্মো অমন বলে দেকেচি, দুজনেই শোব, দুজনেই এঞ্জয় কোব্ব,  এরমধ্যে অন্য হিসাব কেন?  
     
    কোই দেতা নাহী রে..
     
      আস্কিং রেট বাড়ানো থাকে। মিলিন্দ সোমানের সঙ্গে শুতো।  তাজ্জায়গায় তোমার সঙ্গে শুচ্চে। অতএব। দিচ্চে। 
  • kaktarua | 192.82.150.102 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৩৭503814
  • সেতো উল্টটাও হতে পারে। মধুবালার সাথে শুতো।।.ইত্যাদি. মানে আস্কিং রেট তো যে কোনো পক্ষেই চড়ানো থাকতে পারে। শুধু মেয়েটার বেলায় প্রযোজ্য কেন? 
  • একক | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৪২503815
  • উল্টো টা হত যদি মোদের বাপ ঠাউদ্দারা কন্যাভ্রুণ হত্যা কম কত্ত বা মেয়েদের এম্পাওয়ারমেন্ট নিয়ে অনেক আগে সচেতন হত। মার্গিতব্যার সংখ্যা অনেক অনেক  কম হলে তাদের হাতে নিগোশিয়েটিং পাওয়ার শিফট করে যাবে বা তারাই দর হাঁকবে এটাই ত স্বাভাবিক ঃ/  
     
    ঃ(( 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৪৭503816
  • কন্যাভ্রূণ হতা তো চলছে। লাভ হচ্ছে কি?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৪৯503817
  • সরি। টাইপো। শেষ বাক্যের শেষে — " কারো" বাদ পড়েছে।
  • kaktarua | 192.82.150.102 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:০০503818
  • আরো প্রশ্ন আছে। এই শরীর দেওয়া কনসেপ্ট টা একান্ত ভাবেই রক্ষনশীল সমাজের কনসেপ্ট। পাশ্চত্যে তো দিব্বি দেওয়া নেওয়া কনসেপ্ট এই চলতে থাকে। বাকি সব কিছুর হিসেব কষা চলতে থাকে কিন্তু মেয়েরা দিলো আর ছেলেরা নিলো এই কনসেপ্ট তো দেখি না। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:০৯503819
  • একটু খুলে বলি। "দেওয়া" মানে "করতে দেওয়া"। এই "করতে" টা উহ্য। "করে" পুরুষ। মেয়েরা করতে দেয়। প্যাসিভ। এই কনসেপ্টটা সতালক্ষ্মী কনসেপ্টের একটা রূপ। মেয়েরা জাস্ট পুতুল। যেমন বিয়ে করা ও বিয়ে বসা। যেমন "ভোগ করা"। নারী শরীর ভোগ করা। এই শব্দবন্ধগুলো এমনি এমনি একদিনে তৈরি হয় নি। ছেলেরা বিয়ে করতে যায়, মেয়েরা বিয়ে বসে, বা মেয়েদের বিয়ে হয়। আপাত নিরীহ এই শব্দগুলোর পেছনে এটাই বলে দেওয়া থাকে যে মেয়েরা প্যাসিভ ভূমিকা পালন করবে। অ্যাকটিভ ভূমিকা পুরুষের।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:১৪503820
  • পঞ্চাশ বছর আগে পাশ্চাত্যেও এরকম ছিল। তখন থেকেই পরিবর্তন এসেছে এতটু একটু করে। শুধু উচ্চশিক্ষা নয়, অল্প শিক্ষা নিয়েও স্বাবলম্বী হওয়া যায়। সেই ইচ্ছেটা থাকতে হয়। সঙ্গে চেষ্টা। আবার পাশ্চাত্যেও জিনিসটা সরলরৈখিক নয়। প্রচুর মেয়ে যথেষ্ট সুযোগ সত্ত্বেও বেশি পড়তে চায় না, বা স্বনির্ভর হতে চায় না, স্বপ্নের রাজকুমারের জন্য খোঁজ করে বেড়ায়।
  • kaktarua | 192.82.150.102 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:১৮503821
  • একমত। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা ওতো প্যাসিভ নয়। বা এটলিস্ট হওয়াটা কাম্য নয়। টাহলে সামজিক নির্মাণ শব্দ গুলোকে নিয়ে এখনো হিসেব মেলানো কেন? মেয়েদের ই বা অপমানিত বোধ করা কেন , ছেলেদের e বা বার খাওয়া কেন?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:২৬503822
  • অপমানিত বোধ করাটা ঢং। স্ট্রং ল্যাংগুয়েজ — ঢং।
    যদি তুমি "দেবার" বিনিময়ে ভরণপোষণ দাবি করো, তাহলে সেটা একটা ডীল। তখন যারা তোমাকে নেবে তারা বেছে বুছে বাজিয়ে নেবে। গায়ের রং, ফিগার, সবই তখন তারা যাচাই করেই নেবে। কিন্তু তুমি যদি ইকুয়াল রাইটসে বিশ্বাসী হও তবে ঐ দেবার পার্টটা তোমার মধ্যে থাকবে কেন? তুমি ডিভোর্স করবার পরে অ্যালিমনি চাও কোন মুখে? যে কদিন "দিয়েছো" বা শুয়েছো সেসবের মূল্য?
    নাকি তুমি নিজেকে ব্যবহৃত মেয়ে হিসেবে দেখছো যার মারকেট প্রাইস কমে গেছে আগে অন্য কারো সঙ্গে শোবার ফলে?
    তাহলে ফেয়ার এনাফ। তুমি নিজেই নিজেকে সম্মান করো না। তোমার অপমানিত হওয়াই উচিত।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:39dc:23e6:1d20:6ffe | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৩৩503823
  • মেয়েদের বিয়ের বিজ্ঞাপনে যতদিন "নির্দায় ডিভোর্সী", "নামমাত্র বিবাহে ডিভোর্সী" এসব শব্দ থাকবে, ততদিন তারা অপমানিত হবার জন্য হাত পেতে রয়েছে। শুধু রোজগার করলেই যে স্বাধীন মানসিকতার অধিকারী হওয়া যায় না এটা বারে বারে প্রমাণ করে সেইসব মেয়েরা যারা নারী শরীরের "পবিত্রতা" নিয়ে সচেতন।
    তবে এটা ঠিক যে পশ্চিমে এই পবিত্রতার কনসেপ্ট বহুদিন মুছে গেছে। 
  • Amit | 120.22.48.147 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:২৬503825
  • আরো যেটা তুমুল বিরক্তিকর লেখাটায় - ভাই এর টিউশন বন্ধ , বৃদ্ধ বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রম - বিনিময়ে শরীর। কেন ? মেয়েটার ভাই বা বোন থাকতে পারেনা ? তাদের টিউশন লাগেনা ? মেয়েটার বাবা মার দেখাশোনা করার দরকার নেই ? নাকি ওদের বৃদ্ধাশ্রমে গেলে ঠিকই  আছে ?
  • পলিটিশিয়ান | 76.174.114.1 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:২৩503827
  • পাশ্চাত্য ব্যাপারটা তো মনোলিথিক নয়। সেখানেও বিভিন্নরকম। আমেরিকায় কোন স্টেটে বিয়ের পরের রোজগারে ও সম্পত্তিতে দুজনের সমান ভাগ। কোন স্টেটে ততটা নয়। অ্যালিমনি ছেলে মেয়ে দুজনেই পায় কোথাও, ডিভোর্সের পরে যার কম আয় তার স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং পড়ে যাবার ক্ষতিপূরণ। যদি প্রমান করা যায় একজনের কেরিয়ার তৈরিতে সাহায্য করতে গিয়ে অন্যের কেরিয়ারের ক্ষতি হয়েছে তো সেটাও অ্যালিমনির হিসেবে আসে। প্রায় কোন স্টেটেই মেয়েদের পক্ষে ডিভোর্স সেটেলমেন্ট ঠিকঠাক আদায় করা সহজ নয়। আমার পরিচিত একটি মেয়ে এই মুহূর্তে ডিভোর্স করছে। তার ঘটনা একদম সামনে থেকে দেখছি।
     
    ইউরোপের ব্যাপারটা ততটা জানিনা।
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৩৬503828
  • তাও আম্রিগা ইউরোপে মেয়েরা এখন যে জায়গায় আছে অনেক বছর লড়াই এর পরে, সেখানে দাঁড়িয়ে এরা কোর্টে লড়াই করতে পারে বা আইনের সাপোর্ট পায়- 100-% ক্ষেত্রে না হলেও অনেকটাই। কারোর বিয়ে ভাঙলেও সে একা থেকে যেতে পারে নিরাপদে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। সেখানে ইন্ডিয়া বা পুরো সাব কন্টিনেন্ট বা আরো একগাদা দেশে কটা মেয়ে সাহস করে ডিভোর্স অব্দি গিয়ে উঠতে পারে ? যারাও বা পারে তাদের পক্ষে তারপর একা থাকা , একা ঘর ভাড়া পাওয়া - সব মিলিয়ে লাইফ হেল হয়ে যায়। 
     
    অবশ্যই এখানেও সব মনোলিথিক নয়। সমাজের উঁচু স্তরে যারা আছেন - সামাজিক বা আর্থিক ভাবে বা পেশাগত ভাবে - তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বা বার্গেন পাওয়ার এর সাথে নিম্ন বা মধ্যবিত্ত মেয়েদের অবস্থা নিশ্চয় এক নয়। 
  • পলিটিশিয়ান | 76.174.114.1 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৪৭503830
  • উন্নত দেশে মেয়েদের অবস্থা অবশ্যই কোন কোন দিকে বেটার। আমার পয়েন্ট হল এসব দেশেও মেয়েদের সিচুয়েশন অনেক সময়েই বেশ খারাপ। বর খুঁজতে একটি মেয়েকে যে পরিমান ঝামেলা করতে হয় সেটা বিপুল। ইন ফ্যাক্ট, কেরিয়ার না দেখে বর খোঁজাই মেয়েদের কর্তব্য এরকম উপদেশ খুবই শোনা যায়।  এটা দেখুন।
     
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:০৪503831
  • উওমেন্স রাইটস জিনিসটাই তো খুব বেশি হলে ৫০-৬০ বছর। আম্রিগাতেই ৩০-স অব্দি মেয়েদের ভোটিং রাইটস  ছিলোনা। এটা একটা কন্টিনুয়াস ফাইট। কোনো কিছুই হাতে সাজিয়ে দেওয়া হবেনা কোথাও।  আবার কোথাও ​​​​​​​সিচুয়েশন ​​​​​​​এর ​​​​​​​জন্যে ​​​​​​​এইটা ​​​​​​​জাস্ট ঘটে ​​​​​​​যায় - যেমন ​​​​​​​যুদ্ধের ​​​​​​​সময় ​​​​​​​লেবার ​​​​​​​শর্টেজ ​​​​​​​হওয়াতে ​​​​​​​প্রচুর ​​​​​​​মেয়ে ​​​​​​​ফ্যাক্টরি গুলোতে ​​​​​​​কাজ ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​করে ​​​​​​​ইউরোপে। 
     
    অমি যেদেশে আছি সেখানে এখনো দেখি নার্সিং বা টিচিং বা অফিস বেসড জবে যতটা মেয়েদের দেখা যায় সে তুলনায় ফিল্ড বেসড জব বা সাইট বেসড ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রোডাকশন জব এ অনেক কম। সেই ডিস্প্যারিটি কম করার জন্যে সরকার থেকে নানাভাবে ডাইরেক্টলি বা ইন্ডিরেক্টলি ইন্সেন্টিভ বা ট্রেনিং দেওয়ার চেষ্টা করে। তাও রিসোনাবল লেভেলে আসতে অনেক সময় লাগবে। 
  • পলিটিশিয়ান | 76.174.114.1 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:১১503832
  • দেখলাম সে বলেছেন মেয়েরা দেয় ছেলেরা নেয় মনোভাবের কথা বলেছেন। বলছিলাম সে মনোভাব পশ্চিমেও অনেক জায়গায় এখনো আছে। আমি যে প্রবন্ধটা শেয়ার করেছিলাম সেখানে দেখুন
     
    According to all of these pieces of advice, sex is nothing more than a prize that a woman gives to a man to reward him for his time, his attention, and his persistence. Is it any wonder, then, that idiotic concepts like the “friend zone” persist, where men feel entitled to have sex with a woman just because he spent time with her and paid attention to her when she was talking? And is it any wonder that men pursue women relentlessly even after she has said “no,” thinking that “no” doesn’t really mean “stay away from me,” but rather “try harder”?
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:২৩503834
  • কোনো দেশ ই তো পারফেক্ট নয়। কোথাও জিনিসটা মনোলিথিক ও নয়। সব জায়গাতেই সব রকমের স্পেক্ট্রাম পাওয়া যাবে। কথাটা হলো ইন্ডিয়া সেই স্পেক্ট্রাম স্কেলে কোনদিকে আছে। 
     
    যেমন ইউকে তে থাকার সময় কাগজে যেটুকু দেখেছি বেশির ভাগ আন্ডার এজ বা জোর করে দেশে নিয়ে গিয়ে বিয়ে r কেস  সাব কন্টিনেন্ট এর পপুলেশন এ ঘটে। ইন্ডিয়ান বা পাকিস্তানী বা বাংলাদেশি। সেগুলো দিয়ে তো ইউকের জেনারেল কালচার ডিফাইন করা যায়না। 
     
    ধরেন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে হয়তো যেখানে ১০০ টার মধ্যে ৫০-৬০ টা মেয়ে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের প্রতিবাদ করতে পারবে আজকে সাহস করে- কারণ জানে ওখানে একটা এস্টাব্লিশড  সাপোর্ট বা লিগাল  সিস্টেম আছে। সেখানে আম্রিগায় হয়তো ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জন এগিয়ে আসবে। সেখানে ইন্ডিয়াতে ৫  জন ও হবে কি ? 
     
    (এগুলো সব কাল্পনিক ডাটা , কোনো রেফারেন্স নেই। জাস্ট একটা তুলনা করার জন্যেই)। 
  • পলিটিশিয়ান | 76.174.114.1 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:২৯503835
  • সেটাই তো পয়েন্ট। পশ্চিমেও এক এক জায়গায় অবস্থা এক এক রকম। আর মানসিকতার দিক দিয়ে মেয়েরা দেয় ছেলেরা নেয় এই মানসিকতা, অন্ততঃ আমেরিকায়, খুবই ওয়াইডস্প্রেড।
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৩৫503836
  • আমিও তো তাই বলছি। কোথাওই পারফেক্ট বা একুয়াল নয়। কিন্তু অন এভারেজ এই দেশগুলো যেটুকু এগিয়েছে বা চেষ্টা করছে , সাব কন্টিনেন্ট এক্ষেত্রে সে তুলনায় এভারেজ বহুগুনে পিছিয়ে এবং চেষ্টা কতটা করছে ডাউটফুল। ইভেন এশিয়ার ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​দেশ - চীন ​​​​​​​বা ​​​​​​​কোরিয়া ​​​​​​​বা ​​​​​​​ভিয়েতনাম ইত্যাদি ​​​​​​​এদিক ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​এগিয়ে। ​​​​​​​
     
    এভারেজ টাই বলছি। ম্যাক্স বা মিন নয়। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:dc41:e265:b498:99c7 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৫৩503838
  • গড় নিয়েও প্রশ্ন আছে। নীচের লেখাটা হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট পেপার থেকে। এটা ভারতে কোন এলিট কলেজের স্টুডেন্ট পেপারে বেরোনোর কথা ভাবতে অসুবিধা হয়।
     
     
    After reading the Princeton mother’s life advice, I too have advice for all the daughters I never had—as well as for the daughters I did have but refuse to acknowledge: find a Harvard husband before you graduate.
    That’s right, I said it. I said it, and then I thought it would be a good idea to write a letter about it. Our clocks are ticking. We have an expiration date, unlike men and canned fruit, which last forever. So freshmen get on it! Once you become an upperclassman it may be too late. Seniors obviously can’t marry anyone younger than they are, so all that leaves for them are other seniors and that one junior who took a year off to study abroad. But that guy is probably already engaged to some girl he met in Italy. She’s Italian, how can we compete with that? We can’t, her clock is Venetian!
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:০২503839
  • এরকম কয়েকটা পেপার তো সব দেশে পাওয়া যাবে। কিন্তু কেন গড় নিয়ে প্রশ্ন আছে ?  
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:dc41:e265:b498:99c7 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২৪503841
  • গড় নিয়ে প্রশ্ন আছে এই জন্য যে এলিট মানসিকতা দেখলে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানসিকতার একটা ধারণা পাওয়া যায়। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যানেকডোট এড়িয়ে যাচ্ছি। জাস্ট ডকুমেন্টেশনের মধ্যে থাকতে চাইছি।
     
    আপনি মেয়েদের এগিয়ে আসার যে কথাটা বলেছেন সেটা ঠিক মেয়েদের ব্যাপারে সমাজের গড় এগিয়ে থাকার প্রমান নয়। আমেরিকায় জেনারেলি আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে বাঁধন একটু বেশী। আর ধনী দেশ হবার সুবাদে পেট চালিয়ে নেওয়া এখনো ভারতের চেয়ে একটু সোজা। সেই জন্যই মেয়েরা আমেরিকায় ভারতের চেয়ে একটু বেশী সাহস পায়।
  • Amit | 121.200.237.26 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩০503842
  • অর্থাৎ আপনার মতে ওখানে যেটুকু দেখা যাচ্ছে তার পেছনে মেয়েদের এগোনোর বা সোসাইটির ওভারঅল কোনো ক্রেডিট নেই ? পুরোটাই আইন শাসন একটু বেটার থাকার জন্যে আর পেট ভরানো সোজা বলে ? ওই দুটো ​​​​​​​ফ্যাক্টর ​​​​​​​বের ​​​​​​​করে ​​​​​​​নিলেই ​​​​​​​কালকে ​​​​​​​দুটো ​​​​​​​দেশ ​​​​​​​এক ​​​​​​​লেভেলে ​​​​​​​থাকবে ? 
     
  • Amit | 120.22.142.238 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:০০503843
  • আর ডকুমেন্টেশন বলতে তো জাস্ট কোনো একটা মাত্তর অ্যাবস্ট্রাক্ট পেপার ছাপানো নয়।  সেটাও তো আনেকডোট ​​​​​​​ই ​​​​​​​দাঁড়ালো? 
     
     স্ট্যাটিসটিক্স দেখা যাক না পপুলেশন এর % হিসেব করলে দুটো দেশের কত % ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স রিপোর্টেড হচ্ছে, কত % কেসে শাস্তি হচ্ছে , ওয়ার্কফোর্সে কত % উওমেন, এভারেজ বিয়ের বয়স কত , এরেঞ্জড বিয়ে কত %, আরো যেসব প্যারামিটার আপনি লাগাতে চান-  সেগুলো সব আপেল টু আপেল কম্পারিসন করলে নাহয় একটু ভালো আইডিয়া পাওয়া যাবে। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন