এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::7f:2633 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৪:৪৩505464
  • গুরুচন্ডালি।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৪:৫০505465
  • এতো শত ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার বায়াস আর রেসিজম নিয়ে পাতার পর পাতা আস্ফালন করে শেষ অবধি কিনা গুরুচরণে শরণ ? এত পুরো পর্বতের মূষিক প্রসব কেস হয়ে গেলো। 
     
    নাহ। এতো প্রো-পুতিন অ্যাকশন আর শোডাউন এর পর এই লেভেলের মিয়ানো আন্টি ক্লাইম্যাক্স মেনে নেওয়া কঠিন। এর থেকে তো কাশ্মীর ফাইলস বা রিপাবলিক টিভি তে বেটার রিঅ্যাকশন দেখা  যায়। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:198a:6992:771b:d7f8 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৪:৫৩505466
  • অমিত,
    S রসিকতা করছেন। আপনি বিশ্বাস করুন, নিরপেক্ষ মিডিয়া নাই।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৪:৫৯505467
  • আমি কি সিরিয়াসলি লিখছি  নাকি ?
     
    তবে মূল ইস্যুটা সেই একই। যারা রাশিয়ার এগেনস্ট এ বলছেন তারা যেমন একদিকের মিডিয়া বায়াস দেখে প্রভাবিত হচ্ছেন , তেমন ই যারা পুতিন আপলোজিস্ট তারাও অন্য দিকের মিডিয়া বা ফেক নিউস দেখা প্রভাবিত হয়েই এসব লিখছেন। আর নিউট্রাল মিডিয়া নাই যদি থাকে তাহলে একদিকের মিডিয়া বায়াস নিয়ে ক্রমাগত নালিশ করাটাই সম্পূর্ণ অর্থহীন। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:198a:6992:771b:d7f8 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৫:০৭505468
  • কেউ বেশি বায়াসড, কেউ কম।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:198a:6992:771b:d7f8 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৫:০৮505469
  • আবার ঐ নিউজের ভেতর থেকেই ছাই টাই ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে আসল খবরটা আপনাকে বের করে নিতে হবে।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৫:১৩505470
  • হ্যা কিন্তু কেউই সম্পূর্ণ নিউট্রাল নয়। আপনার কেসটাই যদি ধরি যেহেতু রাশিয়ার সঙ্গে আপনার পুরোনো একাডেমিক এন্ড কালচারাল সম্পর্ক আছে আপনি অনেকটাই রাশিয়ার দিকে বায়াসড। এক্ষেত্রে রাশিয়া ​​​​​​​সরাসরি এগ্রেসর ​​​​​​​হলেও আপনারা ​​​​​​​মনরো ​​​​​​​ডকট্রিন ইত্যদি ​​​​​​​নানা যুক্তি ​​​​​​​দেখিয়ে ওয়েস্ট ​​​​​​​কে ​​​​​​​আগে ​​​​​​​থেকেই ​​​​​​​কাঠগড়ায় ​​​​​​​চাপিয়ে ​​​​​​​বসে ​​​​​​​আছেন এন্ড রাশিয়ার এগ্রেসনকে জাস্টিফাই করছেন। 
     
    উল্টোদিকে সে রকমই আমাদের বাকিদের ক্ষেত্রেও সত্যি হতে পারে। কেউই জিরো পোল পসিশনে নেই। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:198a:6992:771b:d7f8 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৫:২৪505471
  • দেখুন, আমি রাশিয়ার পক্ষে, আপনি বিপক্ষে। তেমনি যুদ্ধ আমি লাগাই নি, আপনিও ইউক্রেনে বসে লড়ছেন না। এখানে যেটা হচ্ছে সেটা ঠান্ডা ঘরে হাতে কফির মগ নিয়ে তর্ক।
    একটু আধটু ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কেউ হচ্ছি। শেয়ার বাজারে যাদের ইনভেস্টমেন্ট আছে (ডে ট্রেডারদের হিসেবের মধ্যে আনা হচ্ডে না) তাদের লস হবেই, মেজাজ গরম হবেই। যুদ্ধের বাজারে এটা হয়। আবার পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ায় গেরস্তের পকেটে চান পড়ছে, সরাসরি প্রাণহানির আশঙ্কা এখনো অবধি নেই। 
    করোনার ভয় সবার কেটে গেছে। সর্দি কাশি হলেই হাসিমুখে পিসিআর টেস্ট করাচ্ছি, করোনা এখন শক্তি হারিয়েছে।
    তাহলে বাকি রইল কী? বাজার গরম করা যুদ্ধের খবর। টুকটাক যে যা পারছি নিয়মিত ইউক্রেনের ত্রান তহবিলে দিয়ে আসছে সবাই। টাকা পয়সা, নতুন নতুন জিনিস। উদ্বাস্তু সমস্যা বাড়ছে। ট্যাক্স বাড়বে, মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে দ্রুত বেগে।
    অথচ আমরা কেউ এই সমস্যার জন্য দায়ি ছিলাম না। দাম চোকাচ্ছি আমরা। 
    রাশিয়ায় যারা আছে তাদের অবস্থাও ভাল না। স্যাংশনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতেও তুড়ির জোর লাগে। শক সামলে নিচ্ছে, তবে পশ্চিমের এই স্যাংশনে পুতিনের রেটিং ৫০% থেকে বেড়ে ৮০% হয়েছে। পশ্চিম যেমন রাশিয়াকে ঘৃণা করে, রাশিয়াও পশ্চিমকে ঘৃণা করছে। এগুলো মিডিয়ার খবর নয়।
    যুদ্ধের সময় কোনও পক্ষই পুরোপুরি সত্য কথা বলে না।
    আচ্ছা আপনার কী মনে হয়, কীরকম পরিণতি হবে এই যুদ্ধের?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:198a:6992:771b:d7f8 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৫:৪৭505472
  • আবার দেখুন যারা ভারতে রয়েছেন, সকলে নয়, খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই সামনের সেমেস্টারে ছেলেপুলেদের কেউ রাশিয়াতে তো কেউ অ্যামেরিকাতে পড়তে পাঠানোর প্ল্যান করছিলেন। তাঁরা এখন চিন্তিত। রাশিয়ায় খরচ কম, কিন্তু যুদ্ধ যদি ভেতরে হয়? ন্যাটো যদি বোম মারে? ভয় টা আছে। স্বাভাবিক।
    আবার যারা অ্যামেরিকায় পাঠানোর কথা চিন্তা ভাবনা করছেন, তাঁদেরও শিরে সংক্রান্তি কারন ভারত রাশিয়ায় বিরোধিতা করছে না। সেরেছে, অ্যামেরিকা যদি ভিসার সময় ভারতীয়দের ঝামেলা করে?
    এই ধরণের খবর প্রচুর চেনোশোনা লোকেরাই দেন। এগুলোও খুব স্বাভাবিক দুশ্চিন্তা।
    ভারতের সঙ্গে এই দুটো দেশের সম্পর্ক খারাপ হোক সেটা কোনও ভারতীয়ই চাইবেন না।
    তবে এই সময় রাশিয়া ডিসকাউন্ট রেটে ভারতকে তেল বিক্রি করছে সেটা সুখবর।
    যুদ্ধে যার মারা যান, এঁদের কারোরই মরবার কথা ছিল না। টিভিতে যে ছবি দেখি তাতে মন খারাপ হয়, সব যুদ্ধের সময়েই হয়। 
    তবে এবারের যুদ্ধে হৈচৈটা বেশি চোখে পড়ছে। 
    ইরাকে সিরিয়ায় আফগানিস্তানে দিনের পর দিন বম্বিং হয়েছে। মৃত আহত ভষ্মীভূতদের ফুটেজ তুলনায় কিছুই নেই। সেই মৃত শিশুরা দেবশিশু। তারপর কাতারে কাতারে রিফিউজি এসেছে রবারডিঙিতে চেপে। নৌকো উল্টেছে সমুদ্রে। সব মরে গেছে। পোল্যান্ড হাঙ্গেরি প্রভৃতি দেশের সীমানার কাছে এলেই ওয়াটার ক্যানন দিয়ে অভ্যর্থনা করা হয়েছে। তারাও উদ্বাস্তু, এরাও উদ্বাস্তু। তারাও নিষ্পাপ, এরাও নিষ্পাপ। তাদের জন্য লাথি ঝ্যাঁটা, এদের জন্য গরম সুরপা, কাপড় জামা, ইস্কুল, চাকরি।
    কেন এমন হয় ভেবে দেখি কি আমরা?
    একদলকে অ্যামেরিকা মেরেছিল, তাই তাদের দুয়ো। অন্যদের রাশিয়া মেরেছে বলে তারা সুয়ো? 
    দুদলইতো নিষ্পাপ। সব শিশুই তো পবিত্র, তাই না?
    নাকি একদল কালো কেলো এশীয় বা আফ্রিকান বা মুসলমান — অন্যদল দেবদূতের মতো দেখতে ফর্সা ইয়োরোপিয়ান অ-মুসলমান।
    এইটা দেখলে ধাক্কা লাগে। মানুষের দ্বিচারিতা।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৬:১০505473
  • যুদ্ধের পরিণতি কোথাও ভাল হয়না। কেউই চায়না তার নিজের কেউ যুদ্ধে মারা যাক বা রেফিউজি হোক। যাদের এসব হয় খুবই দুর্ভাগ্যের। 
     
    কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে যখন ইরাক যুদ্ধের তুলনা হয় , তখন এটা ভুলে যাওয়া হয় যে প্রথম গালফ ওয়ার টা ইরাক যদি কুয়েত দখল করতো তাহলে শুরুই হতোনা। আগেও প্রশ্ন করেছিলাম এখানে তাহলে প্রথম গালফ ওয়ার ঠিক না ভুল ? 
    কুয়েত দখল ছাড়াও সাদ্দাম নিজের দেশে কুর্দ দের ওপর কেমিক্যাল এট্যাক করেছে। সিরিয়ার আসাদ একই কাজ করেছে। 
     
    ওয়েস্ট এর অনেকে কিছু খারাপ  হতে পারে তেলের জন্যে আর্মস বেচার জন্যে অনেক পলিটিক্স করে বেড়ায়। কিন্তু  এই দেশগুলোতে ডেমোক্রেটিক সিস্টেমটা ঠিকঠাক অন্তত কাজ করে। ট্রাম্প কে লোকে ভোট দিয়ে এনেছে , লোকেই পরের ভোটে তাড়িয়েছে। 
     
    আজকে রাশিয়া বা সিরিয়ার মেজরিটি লোকে চাইলে প্রেসিডেন্ট কে ভোট দিয়ে সরাতে পারবে ? দুটো সিস্টেম এর তুলনা করতে হলে সেটা তো আগে দেখা দরকার। 
     
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৬:১১505474
  • "ইরাক যদি কুয়েত দখল না করতো"  হবে। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৬:২১505475
  • আর ইরাক সিরিয়া থেকে যখন রেফিউজি ক্রাইসিস হয়েছে তখন তাদের পাশের মিডল ইস্টের বাকি অয়েল রিচ দেশগুলোর কথাও একটু মনে রাখা হোক। তাদের মধ্যে কটা দেশ রেফিউজি দের আশ্রয় দিয়েছিল ? কেন তাদেরকে হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে বোটে চেপে ইউরোপ অবধি আসতে হয়েছিল ?
  • s | 100.36.157.137 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৬:৫২505476
  • ঠিক। টার্কি ছাড়া মিডল ইস্টে আর কোনো দেশ সিরিয়ান রিফিউজিদের আশ্রয় দেয়নি। রাশিয়াও নয়।
    আজ একটা খবরে দেখ্লাম দলে দলে ইয়ং রাশিয়ান, যারা নলেজ ইকনমিতে কাজ করে, দেশ ছাড়ছে। রাশিয়ার সব থেকে বড় রিসোর্স ছিল এই ওয়ার্কফোর্স। স্যাংশান দুদিন পরে উঠে গেলেও এই যারা দেশ ছাড়ল, তারা আর ফিরবে না। পুটিন দায়িত্ব নিয়ে লং টার্মে দেশ্টাকে পুরো গোল্লায় পাঠাল।
    রিফিউজিদের কথা যখন উঠল, তখন এক আফগান রিফিউজি ছেলের খবর দি। এই ছেলেটির অ্যাচিভ্মেন্টে আমি এত খুশি হয়েছি যে চেনা পরিচিত সবাইকে বলেছি এর কথা। কারোর ইচ্ছে হলে নিচের লিংকে দেখতে পারেন।
    https://www.fcps.edu/blog/set-goal-and-work-hell-afghan-refugee-graduates-fcps-under-year-college-scholarships?utm_campaign+=&utm_medium=email&utm_source=govdelivery
  • সিএস | 49.37.34.190 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৯:২০505481
  • যুদ্ধ নিয়ে আর অত চিন্তা করবেন না, পুতিনও মনে হয় না বিশেষ করছে। বুঝতে পেরেছে ওর পোষা অলিগার্কগুলোই মিলিটারি স্পেণ্ডিং - এর টাকাগুলো নিয়ে yacht এ ঢেলেছে, মিলিটারির কী হয়েছে ইউক্রেনে দেখাই যাচ্ছে। খুঁড়োচ্ছে। হ্যাঁ, জামা - জ্যাকেট হয়ত একটু চকচকে আর রাশিয়ার মিলিটারি মার্চপাস্টটা ভাল করে, সে অনেক দিন ধরে। ফলে পুতিন্দা এখন যুদ্ধটা টানবেন, ওখানেই বসে থাকবেন, মিডিয়া আর কতদিনই রাশ্যাকে নিন্দে করবে, পৃথিবীর অন্য কোথাও কিছু একটা হবে, প্রথম পাতার খবর অন্য কিছু হয়ে যাবে, লোকেও আস্তে আস্তে ভুলে যাবে, এখানেও নতুন টই তৈরী হবে। পুতিনও মনে হয় সেরকম আশা করছে, দু'দিনের যুদ্ধ ছড়িয়ে ফেলে এখন দু'মাস কেন তার বেশী বসে থাকবে। হ্যাঁ, বিভিন্ন রকমের টুপি লোকজনকে পরিয়েছে, নাজী - ইতিহাস - ওয়েস্ট এত কথা বলে কী করে ইত্যাদি, সে ব্যাপারে সফল হয়েছে। যুদ্ধের একটা লেজিটিমেসি তৈরী করতে পেরেছিল, কিছুটা। লোকেও খেয়েছে সেগুলো, প্রোপাগাণ্ডা প্ল্যান্ট হয়েছে আর লোকে ভেবেছে এসব তো আমরা নিজে নিজেই ভাবছে, আমাদের কত দরদ ও বুদ্ধি।
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ০৯:৫৭505483
  • যুদ্ধটা বেশীদিন চললে রাশিয়ার জন্য আবার একটা আফগানিস্তান তৈরি হবে। মাসে মাসে রাশিয়ান বডি ব্যাগ পুটিন কতোদিন সামলাতে পারবে সেটা দেখা যাক। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::89:f009 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:০০505484
  • উইকি বলছে সিরিয়ান রিফিউজি জায়্গা পেয়েছে লেবানন, জর্ডন, তুরষ্ক, ইরাক, ইজিপ্টেও।
  • সিএস | 103.99.156.98 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:০৫505485
  • বডি ব্যাগ তো সামলাতে হচ্ছে না। কারণ রাশিয়ার মৃত সৈনিকদের দেহ তো ইউক্রেনেই পড়ে থাকছে, রাশ্যা ফেরত নিচ্ছে না। বদ মিডিয়া সি এন এন -এ বড় একটা লেখা দেখলাম এ নিয়ে। রাশিয়ার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ৪৯৮ জন মরেছে এই যুদ্ধে। আর আম্রিকি ন্যাটো হিসেব অনুযায়ী নাকি ৩০০০ - ১০,০০০। তো ডেডবডিগুলো মাঠেঘাটে পড়ে থাকছে, ইউক্রেনের টেম্পারেচার বাড়ছে, ফলে সেগুলো এবার পচতে শুরু করবে, তাই ইউক্রেনের লোকেরাই সেগুলোর ব্যবস্থা করছে। পুতিন্দা যুদ্ধই শুধু চাপাননি, ডেডবডিগুলোও ইউক্রেনের ওপরে চাপাচ্ছে, সেগুলো সেখানে রয়ে গেলে দেশের লোকের মত ম্যানেজ করে চলতে পারবে আশা করছে। লোকটার বুদ্ধি আছে, ডেডবডিগুলো ইউক্রেনকে দিয়েছে আর ইউক্রেনের জ্যান্ত লোক তুলে নিয়ে নাকি রাশ্যায় খাটতে পাঠিয়েছে।
     
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:4c6d:13cb:6c5c:fffe | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:১১505486
  • বডি ব্যাগ সামলানোর এক একটা দেশের এক এক কায়দা। জর্জ বুশের সময় থেকে সৈন্যদের কফিন ফেরত আনা টিভিতে দেখানো বেআইনী।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:১৩505488
  • আরো দ্যাখেন রেসিস্ট সিএনএন এর মদতপুষ্ট আনন্দবাজার আজকের কাগজে কিসব এডিটোরিয়াল লিখেছে আবার-  রাশিয়ার এই সাম্রাজ্যবাদ নাকি আগেও ছিল। এই শয়তান ওয়েস্ট এর প্রোপাগান্ডা চাদ্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। রাশিয়ার মতো একটা পবিত্র দেশের এই অপমান সহ্য করা যাচ্ছেনা আর। 
     
  • mobile crematoriums | 192.34.82.122 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:১৩505489
  • Russia has mobile crematoriums that ‘evaporate’ dead soldiers: report
     
    Video posted in 2013 by the Td Turmalin ZAO company show the testing of a mobile crematorium biological waste. The Company's line of business includes providing commercial physical and biological research and development.
     
     
    Russia has mobile crematoriums in its arsenal that could follow invading forces and “evaporate” dead soldiers, according to a report.
    The British Ministry of Defense released video of the trucks that can incinerate bodies one at a time and suggested Wednesday that the Kremlin might deploy them in its war with Ukraine to hide the number of casualties, the Telegraph reported.
    “If I was a soldier and knew that my generals had so little faith in me that they followed me around the battlefield with a mobile crematorium, or I was the mother or father of a son, potentially deployed into a combat zone, and my government thought that the way to cover up losses was a mobile crematorium, I’d be deeply, deeply worried,” UK Defense Secretary Ben Wallace told the paper.
     
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:১৫505490
  • নাঃ, বডি ব্যাগ সামলানো অতো সোজা না। ইউক্রেনে পড়ে থাকলেও তিন চার পাঁচ বছর পর সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হবে। মাইটি ইউএসএসআর এর এম্পায়ারও আফগানিস্তান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। যুদ্ধে ক্রমাগত রাশিয়ান সোলজার মরতে থাকলে এক সময়ে পুতিনও পিছু হটতে বাধ্য হবে। লং টার্মে একটা দেশ ইনভেড করে সেখানে বসে থাকা পুটিনের পক্ষেও সম্ভব না। 
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:২১505492
  • "রাশিয়ার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ৪৯৮ জন মরেছে এই যুদ্ধে"
     
    রাশিয়ান মিডিয়ার খবরই সত্যি ধরে নিচ্ছি, তো মাত্র এক মাসে পাঁচশো রাশিয়ান সোলজার মরেছে। এর পর অন্তত তিন চার বছর ধরে ইউক্রেনিয়ানদের গেরিলা রেসিস্ট্যান্স চলতেই থাকবে, ইরাকের মতো আইইডি ব্যবহার হবে। রাশিয়ান আর্মির স্লো ব্লিডিং চলতেই থাকবে। পুটিন কতো বছর ইউক্রেন আর রাশিয়ায় নিউজ সাপ্রেস করবে? কাজটা সহজ না। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:২৪505493
  • আরে সহজ কাজ তো যেকোনো রাম শ্যাম করে দিতে পারে। পুতিন কি ওই লেভেলের নাকি ? 
     
    আম্রিগার অন্ধকার নাগপাশ থেকে দুনিয়াকে মুক্ত করার নতুন মুক্তিসূর্যের আর এক নাম পুতিন। 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:২৪505494
  • বডি ব্যাগ সামলানো একটি পলিটিক্যাল ক্যালকুলেশন এবং তার বিভিন্ন উপায় হয়। কিন্তু আম্রিকি বা ইউরোপের বদ 'গণতান্ত্রিক' দেশগুলোতে মনে হয় ব্যক্তির অধিকার একটু বেশী স্বীকৃত। মারা গেলেও সেটা স্বীকৃত যে মারা যে গেছে সেটা সরকারকে মেনে নিতে হয়, বডি ফেরাতে হয়, ফ্যামিলিকে ফেরত দিতে হয়। তো এইসব ওয়েস্টে আছে, এখনও আছে, পুতিনের তৈরী করা 'উন্নত' রাশিয়ান ব্যবস্থায় সেসব নেই, যার মরছে- টরছে তাদের অস্বীকার করা যায়। তো এইগুলো লোকে বোঝেনা দেখাই যাচ্ছে, বুঝলে কী আর পুতিনের প্রোপাগাণ্ডায় নাচে !
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:২৭505495
  • এই ডেমোক্রেসি সিস্টেম টাই আসলে যত আজেবাজে গন্ডগোলের মূল কারণ। উন্নততর ডিকটেটরশীপ চাই সব দেশে। 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:২৭505496
  • না সামলানো সোজা নয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে ওয়েস্টার্ন দেশের থেকে হয়ত বেশীদিন ধরে সামলাতে পারবে কারণ রাশিয়ার ভেতরে পুতিনের কোন বিরোধিতা নেই, প্রশ্ন করার উপায় নেই। ওয়েস্টে তবু হয়, মিডিয়ার জন্যই হয়। তো, পুতিন মনে হয় সেইজন্য লংটার্মে খেলবে, যতদিন টানা যায় আর আশা করবে ক্রমশঃ লোকে যুদ্ধের খবর দেখতে দেখতে বোর হয়ে যাবে।
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৩৫505498
  • সে তো সব ডিক্টেটরই আশা করে। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়েই ডিক্টেটররা নিজেদের মর্জি মতো যুদ্ধ শুরু করে, কিন্তু সেই যুদ্ধ শেষ হয় অন্যদের শর্তে। দেখা যাক। 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৩৭505499
  • পুতিন তো ২০৩৬ না কতদিন অবধি মনে হয় ক্ষমতায় থাকতে পারবে সেরকম কী একটা ব্যবস্থা করেছে, তো সেটা টার্গেট করবে নাকি !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন