এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” – কয়েকটি পর্যবেক্ষণ

    ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ১৯ জুলাই ২০২২ | ৯৩৭৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    লেখাটির মাঝে কিছু সত্য আছে। আবার সত্যকে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে লেখকের নিজের মর্জিমাফিক বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে অনেক কিছুই বলা হয়নি, দুয়েকটি বিষয় এবং প্রধানত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের অ্যাসোসিয়েট এডিটর (“বরিষ্ঠ সম্পাদক” নন, সত্যের খাতিরে বললে) পিটার দোশীর একটি বা দুটি প্রবন্ধকে হাতিয়ার করা হয়েছে। এর বাইরে অসংখ্য গবেষণাপত্র আছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল, ল্যান্সেট, নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মান্য জার্নালগুলোতে। এবং এ জার্নালগুলো কর্পোরেটদের টাকায় নিয়ন্ত্রিত হয়না। এসব জার্নালে স্বাধীন গবেষণাপত্র ছাপা কর্পোরেট ফান্ডিংয়ের বদান্যতা ছাড়া। যদি বিজ্ঞানের এই স্বাধীন পরিসর না থাকে তাহলে বলা ভালো – প্রপঞ্চময় এ কর্পোরেট বিশ্বে কেউ স্বাধীন নয়। স্বাধীন হওয়া সম্ভবও নয়, “জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া” ফুটিয়ে না দিলে।

    এখানে একবার স্মরণ করে নেওয়া ভালো – যখন বিভিন্ন রকম সাক্ষ্যপ্রমাণ, উপাত্ত বা সম্ভাবনা থেকে শুধুমাত্র নিজের অনুকূলে বা পক্ষে যায় এরকম উপাত্ত, প্রমাণ বা সম্ভাবনাকেই বাছাই বা নির্বাচন করা হয় তখন যে হেত্বাভাস বা অনুপপত্তি (অর্থাৎ ভ্রান্ত যুক্তি) সংঘটিত হয়, তাকে যুক্তিবিদ্যায় পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই বা ইংরেজি ভাষায় চেরি পিকিং (Cherry picking) বলা হয়। পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই ইচ্ছাকৃতভাবে বা অজান্তেই হতে পারে। তবে জনবিতর্কে এই ভ্রান্তি একটি বড় সমস্যা।

    আমি শুরু করি আলোচিত প্রবন্ধের প্রধান বা একমাত্র হাতিয়ার পিটার দোশীদের প্রবন্ধটি দিয়ে – “Covid-19 vaccines and treatments: we must have raw data, now - Data should be fully and immediately available for public scrutiny”। প্রবন্ধটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধের সহ-লেখক ছিলেন আরও ২ জন – ফিওনা গডলি এবং কামরান আব্বাসি, কেবলমাত্র পিটার দোশী নয়।

    স্থবির দাশগুপ্তের প্রবন্ধে ব্যবহৃত সমস্ত তথ্যই আহরিত হয়েছে এই একটি প্রবন্ধ থেকে, এর অতিরিক্ত কোন প্রবন্ধ থেকে নয়। এমনকি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের (এখন থেকে বিএমজে) পূর্বোদ্ধৃত প্রবন্ধে ব্যবহৃত শব্দবন্ধও ব্যবহার করা হয়েছে দাশগুপ্তের আলোচিত প্রবন্ধে। দোশীর প্রবন্ধে বলা হয়েছিল “মেমরিজ আর শর্ট”। দাশগুপ্তের প্রবন্ধে এর বাংলা করে বলা হল – “কিন্তু লোকস্মৃতি ক্ষণস্থায়ী”। বিএমজের প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “Pharmaceutical companies are reaping vast profits without adequate independent scrutiny of their scientific claims. The purpose of regulators is not to dance to the tune of rich global corporations and enrich them further; it is to protect the health of their populations. We need complete data transparency for all studies, we need it in the public interest, and we need it now.” এ কথাগুলো ভিন্ন স্বরে এবং বিশেষ আঙ্গিকে বঙ্গীকরণ হয়েছে দাশগুপ্তের প্রবন্ধে।

    ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ বিএমজে-তে দোশীদের প্রবন্ধটি প্রকাশের পরে ২৪ জানুয়ারি একটি সংশোধনী প্রকাশিত হয়। এখানে বলা হয় – “This editorial by Peter Doshi and colleagues (BMJ 2022;376:o102, doi:) originally stated that the Medicines and Healthcare Products Regulatory Agency (MHRA) has “stopped posting information released in response to freedom of information requests on its website.” The online version has been corrected to say that MHRA’s posting is delayed, not stopped completely. MHRA posted no additional freedom of information requests on its website between 14 August and 28 December 2021. Since 29 December, however, it has posted a selection of materials for responses from July to September.” অর্থাৎ, প্রবন্ধটির একটি ছোট সংশোধনী প্রকাশের প্রয়োজন পড়লো।
    বিজ্ঞানে এরকম ঘটাই তো স্বাভাবিক। কোন একজন মানুষ বা সংস্থা কিংবা জার্নাল বা গোষ্ঠীর কাছে একমাত্র সত্যের কোন লুকনো হীরক খনি নেই। এখানে কোন তত্ত্ব বা ধারণা বা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল পেশ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এ নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। পরিণতিতে, গৃহীত হয় কিংবা পরিবর্তিত বা বাতিল হয়। এভাবেই বিজ্ঞান এগোয়।

    পিটার দোশীর আরেকটি প্রবন্ধের যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে প্রশ্ন করে বিএমজে-তে অন্য একটি প্রি-প্রিন্ট প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল “Comment on the BMJ opinion of the associate editor Peter Doshi about “Pfizer and Moderna’s 95% effective vaccines—we need more details and the raw data” শিরোনামে ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ। লেখকেরা হলেন ভিয়েনা ইউনভার্সিটির পদার্থবিদ্যার দু’জন অধ্যাপক - Dieter Suess এবং Florian Slanovc। আরেকজন ছিলেন Sabrina Dorn, যাঁর অ্যাকাডেমিক পরিচয় দেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল – “In summary, we conclude that Peter Doshi’s claim contradicts any reasonable assumption about the false negative rate of the used PCR tests. Furthermore, his argument that false negative tests due to an increase in the false negative rate decrease the reported efficacy of the phase III study, does not hold in principle if in both groups the PCR tests show the same false negative rate.”

    দাশগুপ্তের প্রবন্ধে অন্তর্লীনভাবে রয়েছে, কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন – কারণ সমস্ত ট্রায়াল কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রিত, তাদের তৈরি ভূতুরে লেখকেরা (ghost writers) এসব গবেষণাপত্র লেখে এবং বিভিন্ন বিখ্যাত, প্রথমসারির জার্নালে প্রকাশিত হয়। আর আমাদের মতো চিকিৎসক-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষের দঙ্গল মানসিক উপনিবেশের প্রভাবে চোখ বন্ধ করে এগুলোকে গিলে নিই।

    বিএমজে-তেই ২৭ এপ্রিল, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল “Public health impact of covid-19 vaccines in the United States: observational study” শীর্ষক গবেষণাপত্র। ৭ পৃষ্ঠার এই গবেষণাপত্রে বলা হয় – “In addition to individual level benefits, we observed that vaccines protect communities against severe disease and infection. Higher coverage of vaccines seemed to confer greater levels of community benefits ... Vaccines should be deployed strategically with public health and social measures based on ongoing levels of transmission.” সহজ কথা হল, ভ্যাক্সিন তৈরির নেপথ্যে পূতিগন্ধম, কদর্য কার্যকলাপকে মনে রেখেও টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলা যায় ৩টি স্তরে – ব্যক্তির উপকার, কমিউনিটির উপকার এবং পাবলিক বা জনস্বাস্থ্যের উপকার।

    এর আগে বিএমজে-তে (১৭ মার্চ, ২০২১) প্রকাশিত হয়েছিল “Vaccinating the world against COVID-19: getting the delivery right is the greatest challenge” শিরোনামের প্রবন্ধ। এতে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলা হল – “Protecting the global community from the COVID-19 pandemic is not ‘rocket science’, it is much harder than that. Timely delivering the COVID-19 vaccine to the global population will require a strategic all-of-government approach, and an unprecedented all-of-society approach that spans government and the private sector, crossing entrenched economic divisions between
    the Global North and South, as well as burgeoning antiscientific movements that threaten to scuttle dramatic advances before they can even be brought to market.”

    ল্যান্সেট-এ (১৩ জুলাই, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে সুদীর্ঘ গবেষণাপত্র “Effectiveness of a fourth dose of mRNA COVID-19 vaccine against all-cause mortality in long-term care facility residents and in the oldest old: A nationwide, retrospective cohort study in Sweden”। গবেষকদের কোন কর্পোরেট সংস্থা বা অন্য কেউ ফান্ডিং করেনি। এখানে বলা হল – “These findings suggest that a fourth dose may prevent premature mortality in the oldest and frailest even after the emergence of the Omicron variant, although the timing of vaccination seems to be important with respect to the slight waning observed after two months.”

    ল্যান্সেটে (২৩ জুন, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছিল – “Global impact of the first year of COVID-19 vaccination: a mathematical modelling study” শিরোনামে গবেষণাপত্র। গবেষকদের ফান্ডিং এসেছিল Schmidt Science Fellowship in partnership with the Rhodes Trust; WHO; UK Medical Research Council; Gavi, the Vaccine Alliance; Bill & Melinda Gates Foundation; National Institute for Health Research; and Community Jameel প্রভৃতি জায়গা থেকে। এই ফান্ডিংয়ের উৎসকে কর্পোরেট ফান্ডিং বলা শক্ত। এখানে বলা হয় – “COVID-19 vaccination has substantially altered the course of the pandemic, saving tens of millions of lives globally. However, inadequate access to vaccines in low-income countries has limited the impact in these settings, reinforcing the need for global vaccine equity and coverage.”

    ১৫ জুলাই, ২০২২-এ ল্যান্সেট-এ প্রকাশিত হয়েছে “ Vaccine effectiveness of one, two, and three doses of BNT162b2 and CoronaVac against COVID-19 in Hong Kong: a population-based observational study”। এদের ফান্ডিংয়ের উৎস হল "কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ইভাল্যুয়েশন প্রোগ্রাম" এবং "চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর জোগানো অর্থ – কর্পোরেট পুঁজি নয়। প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত – “Third doses of either BNT162b2 or CoronaVac provide substantial additional protection against severe COVID-19 and should be prioritised, particularly in older adults older than 60 years and others in high-risk populations who received CoronaVac primary schedules. Longer follow-up is needed to assess duration of protection across different vaccine platforms and schedules.”
    মোদ্দা কথা হল যে প্রায়-ব্যতিক্রমহীনভাবে এবং কর্পোরেট প্রভাব ছাড়াও কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অতি বৃহৎ ট্রায়ালগুলো হচ্ছে এবং ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।

    ১৫ জুলাই, ২০২১-এ নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছিল “A long-term perspective on immunity to COVID”। এটি নেচারের আমন্ত্রিত গবেষণাপত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কোন ফান্ডিংয়ের প্রসঙ্গ আসেনি। এই স্টাডিতে বলা হয়েছিল – “In evaluating vaccine efficacy, we should not expect the high antibody concentrations characteristic of acute immune reactions to be maintained in the memory phase. It is an old misconception”।
    ক্লিনিকাল এথিক্স জার্নালে (মার্চ, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে (কোন ফান্ডিং ব্যতিরেকে) “How to continue COVID-19 vaccine clinical trials? The ethics of vaccine research in a time of pandemic”। গবেষণাপত্রে সিদ্ধান্ত হিসেবে জানানো হল – “given that currently approved vaccines are clearly more effective than placebo in at least preventing the occurrence of symptomatic COVID-19, we argue that they should be used as controls in future studies, unless there are “compelling scientific reasons to use placebo” which should be clearly identified and documented.”

    কোভিডকালে জনস্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা



    নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ (আগস্ট ৫, ২০২১) হার্ভার্ড T.H. Chan School of Public Health, Boston-এর তরফে প্রকাশিত প্রবন্ধটি ছিল “Fundamentals of Public Health — A New Perspective Series”। এ প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “The Covid-19 pandemic has awakened many physicians to the value of viewing wellness and disease through the lens of public health as well as that of clinical medicine ... a well-structured and adequately financed public health system would benefit all subpopulations — including children, among whom disparities in prevention and care have profound, life-long effects”। এখানেও কোন কর্পোরেট বদান্যতা ছিলনা।

    আমরা করোনা অতিমারির মৃত্যু মিছিলের সময়ে এবোলার সময়টিকে একবার স্মরণ করি। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চাপে ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হয় “স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম”। এর ফলে হাই-টেক যন্ত্রপাতি কেনা শুরু হয়৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে যায়। যখন এবোলা শুরু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সামান্য গ্লাভস বা মাস্কও ছিলনা।

    কেনেথ শেরিল এবং ক্যারোলাইন সমারভিল তাঁদের “AIDS, Ebola, and Politics” প্রবন্ধে (আমেরিকান পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর মুখপত্র পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর ২০১৫ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত) বলেছিলেন যে সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াতে গৃহযুদ্ধের ফলে এবোলা মারাত্মক চেহারা নেয় এবং এই গৃহযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল – “দুর্নীতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তদুপরি ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিসমাপ্তিতে পশ্চিমী বিদেশী সাহায্য হারানো” এবং “আইএমএফ-এর তরফে স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট পলিসিসমূহকে চাপিয়ে দেওয়া।”
    এর ফলশ্রুতিতে কয়েক হাজার মানুষ এবোলায় অসহায়ভাবে মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দখল নেবার জন্য আমেরিকা যুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ ১০০ মিলিয়ন ডলার। আর এখন তো আমেরিকা চিনের সাথে “সখ্যের” অজুহাতে খোদ WHO ছেড়েই বেরিয়ে গেছে। যদিও সাম্প্রতিককালে আবার যোগ দিয়েছে।

    ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯১, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স সামার্স একটি গোপন নোট তৈরি করে সহকর্মীদের মধ্যে বিলি করেন, মতামত চান। ১৯৯২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে বিখ্যাত পত্রিকা The Economist নোটটি প্রকাশ করে দেয় “Let Them Eat Pollution (ওদেরকে দূষণ খেতে দাও)” শিরোনামে। নোটটির মোদ্দা কথা ছিল, ধনী বিশ্বের সমস্ত প্রাণঘাতী, দূষিত আবর্জনা আফ্রিকা বা কম উন্নত দেশগুলো তথা LDC (Less Developed Countries)-তে পাচার করতে হবে। এজন্য একটি স্বাস্থ্যের যুক্তিও দিয়েছিলেন সামার্স। তাঁর বক্তব্য ছিল আমেরিকার মতো দেশে ১,০০,০০০ জনে ১ জনেরও যদি দূষিত বর্জ্যের জন্য প্রোস্টেট ক্যান্সার হয় তাহলেও এর গুরুত্ব আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে যেখানে ৫ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার ১০০০ শিশুতে ৫ জন তার চাইতে বেশি। এবং সেখানেই প্রথম বিশ্বের দেশের এই দূষণ পাচার করতে হবে, পাচার করতে হবে এই বিষাক্ত বর্জ্য। এরকম “চমৎকার ও অভিনব” ধারণার পুরস্কার হিসেবে ক্লিন্টন প্রশাসনে ৭ বছর U.S. Treasury Secretary পদে ছিলেন। সে মেয়াদ শেষ হলে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এসব পুরস্কারের কথা থাক। সামার্স এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিডেনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

    এরকম একটা প্রেক্ষিতে আমরা যদি স্বাস্থ্যের চোখ দিয়ে দেখি তাহলে সহজেই বুঝবো স্বাস্থ্যের জগতে দু’ধরনের নাগরিকত্ব (health citizenship) তৈরি হল। একটি পূর্ণ রাশি ১, আরেকটি ০। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও এরকম integer দেখা হয় – হয় ০ কিংবা ১। এখানে ভগ্নাংশের কোন জায়গা নেই। যেমনটা আজকের ভারতে এবং বিশ্বে দেখছি আমরা। স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের প্রশ্নটিতে আমাদের মনোযোগ দেবার প্রয়োজন এ জন্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্যের দুনিয়ায় একজন নাগরিক নৈতিকভাবে স্বাস্থ্যের সমস্ত সুবিধে ভোগ করার অধিকারী, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এই শ্লোগানের বাইরে। এরকম স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের অবস্থান থেকে মান্য জনস্বাস্থ্য গবেষক এবং দার্শনিক (যিনি social determinants of health-এর ধারণার প্রবক্তাও বটে) মাইকেল মার্মট প্রশ্ন করেন – “রোগীদের কেন চিকিৎসা করছো এবং যে পরিস্থিতিতে থেকে তাদের অসুখ শুরু হয়েছিল সেখানে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছ?” প্রশ্ন করেন সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য – “আমরা কি হয় ব্যক্তি চিকিৎসক কিংবা ডাক্তার-সমাজ হিসেবে যুক্ত হবোনা?” (“Shouldn’t the doctor, or at least this doctor, be involved?”) (The Health Gap, 2016) আমাদের কাছে সত্যিই কি এসব প্রশ্নের সদুত্তর আছে?

    নিওলিবারাল অর্থনীতি, অতিবৃহৎ বহুজাতিক সংস্থা, নিওলিবারাল অর্থনীতির বাহক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং পৃথিবীর বড়ো রাষ্ট্রগুলোর চাপে হু নিজের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। “সকলের জন্য স্বাস্থ্য”, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এবং “সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা”-র ধারণা ১৯৭৮ থেকেই নিঃসাড়ে বদলাতে শুরু করে। প্রথমে আসে “সিলেক্টিভ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (বেছে নেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা)”, তারপরে এলো GOBI (growth monitoring, promotion of oral rehydration, promotion of breast feeding, immunization) এবং পরবর্তীতে খুব খোলাখুলি ভার্টিকাল বা রোগ-কেন্দ্রিক প্রোগ্রাম। কমিউনিটির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি জীবন্ত ও সক্রিয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রোগ্রাম পরিত্যক্ত হল। এর বিষময় ফল আমরা এই অতিমারির সময়ে প্রত্যক্ষ করছি।

    যদি একটি উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আমরা গত প্রায় ৫০ বছর ধরে তিলেতিলে মেরে না ফেলে, একটি কাঠামো-সর্বস্ব ব্যবস্থা হিসেবে না রেখে যেমনটা ১৯৭৮-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাই হবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রাথমিক ভিত্তি তাহলে একেবারে প্রাথমিক স্তরে আমরা করোনা আক্রমণের সময়ে “টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন”-এর কথা ভাবতে পারতাম। রোগী এবং সরকার উভয়েরই বিপুল খরচ বাঁচার সম্ভাবনা ছিল। আলমা-আটা সনদের ১০ নম্বর ধারায় যা বলা হয়েছিল তার মূল কথা ছিলো – পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের স্বাস্থ্যের সুযোগহীন মানুষটির জন্যও প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে এবং এজন্য স্বাধীনতা, শান্তি, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা এবং নিরস্ত্রীকরণের নীতি গ্রহণ করতে হবে যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের সুষম বিকাশের জন্য আরো বেশি মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে।

    এদেরকে কে বাঁচাবে? একমাত্র সক্রিয় ও জীবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এদের বাঁচাতে পারে। যদি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা না যায় তাহলে কোভিডে যত মানুষের মৃত্যু হবে তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হবে এ রোগগুলোর জন্য। নেচার-এর “The Pandemic’s Future” (৬.০৮.২০২০) প্রবন্ধের শেষে মন্তব্য করা হয়েছে – “কোভিড-১৯ সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দিয়েছে কয়েক বছরের জন্যতো বটেই, এমনকি কয়েক দশকও হতে পারে।” বলা হয়েছে – “একটি সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে (পড়ুন কোভিড) মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে আরেক সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা হল এমন এক শেষ হিসেব যা মানুষ কখনো চায়না।”
    কে দেবে এর উত্তর? রাষ্ট্র, রাজনৈতিক নেতারা কিংবা আক্রান্ত জনসাধারণ? সময় এবং ইতিহাস সেকথা বলবে।

    আসুন, আমরা প্রহর গণি! এই তমসার প্রহরকে চিরে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু অবশ্যই সমস্ত চিন্তা কর্পোরেট এবং রাষ্ট্র গ্রাস করে নিয়েছে এরকম ধারণার বেড়াজাল থেকে বেরোতে হবে। স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চা এখনও হয়, হয়ে চলেছে। একে লঘু করা খুব ন্যায্য অবস্থান নয় – কি বিজ্ঞানের দিক থেকে, কি জনস্বাস্থ্যের অবস্থান থেকে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুলাই ২০২২ | ৯৩৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • জুতো বোস | 185.125.207.176 | ২২ জুলাই ২০২২ ২০:৪০510158
  • জুতো বোস | 185.125.207.176 | ২২ জুলাই ২০২২ ২০:৪১510159
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 2405:201:8013:c8:4422:c96b:c38e:3315 | ২২ জুলাই ২০২২ ২১:২৪510161
  • এই PHFIই  কিন্তু ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যনীতিকেও অদ্ভুতরকম ভাবে গিলে নিচ্ছে। PHFI এর donar দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি‌ টাকা বিনিয়োগ আছে বিল এ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এই গেটস অসরকারি সংগঠনটি মনে করেন যে মানবহিতৈষীমূলক নামক কাজও  ব্যবসা , ইনভেস্টমেন্ট , তাতেও return আসে মা ডব্লু এইচ ও করে দেখাচ্ছে (১ ডলার বিনিয়োগ = ৩৫ বলার রিটার্ন)।
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 2402:3a80:1cd6:e21c:778:5634:1232:5476 | ২২ জুলাই ২০২২ ২২:০৫510164
  • দুটি সংশোধন :-
     
    ১) তাতে রিটার্ন আসে যা..... হবে।
     
    ২) = ৩৫ ডলার রিটার্ন হবে।
  • সুকান্তি ভট্টাচার্য্য | 2402:3a80:1964:2c3d:b1f0:98ad:d194:de99 | ২৩ জুলাই ২০২২ ১৩:৩৪510185
  • স্থবিরবাবুর সংক্ষিপ্ত নিবন্ধের সীমিত-পরিসর আলোচনার প্রেক্ষিতে জয়ন্তবাবুর দীর্ঘ প্রবন্ধে বহু প্রসঙ্গ-বহির্ভূত বিষয় এলেও শুধুমাত্র কর্পোরেট-পোষিত বিজ্ঞান-সন্দর্ভ বিষয়ক স্থবির দাশগুপ্ত-কৃত মন্তব্যটি নস্যাতের প্রয়াসই প্রাধান্য পেয়েছে। 
    মতামত অংশে উত্তানবাবু একটি দৃষ্টান্তে জয়ন্ত ভট্টাচার্য-কৃত সেই প্রয়াসের একদেশদর্শিতা বোঝাতে চেয়েছেন। এমন বহু দৃষ্টান্ত গুরুচণ্ডা৯র পাঠকেরা জানেন। 
    রোজকার চলার পথে (কাউন্সিলদের বদন্যতায় ) পাড়ার ক্লাবগুলোর আয়োজিত মাধ্যমিক-উত্তীর্ণদের "অরাজনৈতিক" সম্বর্ধনা আমরা সকলেই দেখে থাকি। 
     
    কোভিডপর্বে বেনে-পোষিত বিজ্ঞান আমাদের দীর্ঘশীলিত কাণ্ডজ্ঞানকে কীভাবে অপনোদন করে চলেছে, চশমা খুলে তার অনুপুঙ্খ সন্ধান দরকার। 
  • সুকান্তি ভট্টাচার্য্য | 2402:3a80:1964:2c3d:b1f0:98ad:d194:de99 | ২৩ জুলাই ২০২২ ১৩:৩৪510186
  • স্থবিরবাবুর সংক্ষিপ্ত নিবন্ধের সীমিত-পরিসর আলোচনার প্রেক্ষিতে জয়ন্তবাবুর দীর্ঘ প্রবন্ধে বহু প্রসঙ্গ-বহির্ভূত বিষয় এলেও শুধুমাত্র কর্পোরেট-পোষিত বিজ্ঞান-সন্দর্ভ বিষয়ক স্থবির দাশগুপ্ত-কৃত মন্তব্যটি নস্যাতের প্রয়াসই প্রাধান্য পেয়েছে। 
    মতামত অংশে উত্তানবাবু একটি দৃষ্টান্তে জয়ন্ত ভট্টাচার্য-কৃত সেই প্রয়াসের একদেশদর্শিতা বোঝাতে চেয়েছেন। এমন বহু দৃষ্টান্ত গুরুচণ্ডা৯র পাঠকেরা জানেন। 
    রোজকার চলার পথে (কাউন্সিলদের বদন্যতায় ) পাড়ার ক্লাবগুলোর আয়োজিত মাধ্যমিক-উত্তীর্ণদের "অরাজনৈতিক" সম্বর্ধনা আমরা সকলেই দেখে থাকি। 
     
    কোভিডপর্বে বেনে-পোষিত বিজ্ঞান আমাদের দীর্ঘশীলিত কাণ্ডজ্ঞানকে কীভাবে অপনোদন করে চলেছে, চশমা খুলে তার অনুপুঙ্খ সন্ধান দরকার। 
  • জ্যুতো বোস | 188.240.71.195 | ২৩ জুলাই ২০২২ ১৬:০৫510192
  • গত বছরও এই সাইটে একই রকম একটা আগুনখোর বিপ্লবী লেখা বেরিয়েছিলো, যাতে লেখক আর এই সাইটের পোষা ভক্তরা সবাই অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দিতে অনেক তর্জন গর্জন করেছিলেন। এবার দেখছি সব কেমন ম্যাদা মারা। সেই গলার জোর আর নেই, মিনমিন করে কি সব বলছে।
     
    মনে হয় প্রচুর ভ্যাকসিন আর বুস্টার নিয়ে এদের একটা বড়ো অংশ পটোল তুলেছে, বা ক্যানসার আর হার্ট অ্যাটাক সামাল দিতে ব্যস্ত। আর কিছু থাকবে যাদের অদ্ভুত সব রোগ হয়েছে যা কোন ডাক্তার বুঝতে পারছে না কেন হয়েছে।
     
    যাই হোক, নিজের নিজের কর্মফল। কর্মটা ভালোই এনজয় করেছিলেন, এখন ফলটাও এনজয় করুন।
  • ar | 173.48.167.228 | ২৪ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৯510221
  • "মনে হয় প্রচুর ভ্যাকসিন আর বুস্টার নিয়ে এদের একটা বড়ো অংশ পটোল তুলেছে, বা ক্যানসার আর হার্ট অ্যাটাক সামাল দিতে ব্যস্ত। আর কিছু থাকবে যাদের অদ্ভুত সব রোগ হয়েছে যা কোন ডাক্তার বুঝতে পারছে না কেন হয়েছে।"

    ভ্যাকসিন আর বুস্টার (দুটো ডোজ) নিয়ে তারা দিব্যি আছেন। ফেকু* আর ফেকুর দলের গুজবে কান দেবেন না। বরং প্রচুর ক্যানসারের রুগীও  কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ভালই অছেন। পাশাপাশি তাদের (ক্যানসারের) চিকিৎসাও চলছে।

    *অ-সংসদীয় শব্দ!!
  • b | 2405:8100:8000:5ca1::2d9:6cbc | ২৪ জুলাই ২০২২ ০৮:৪৫510223
  • ভ্যাক্সারের সে তেজ নেই
    শিং নেই আর লেজ নেই
     
    তর্কটা তো বিশ্বাসী আর নাস্তিকদের। বিশ্বাসের জোর কত সে কি আর নতুন করে বলতে হবে?
  • Debasis Bhattacharya | ২৪ জুলাই ২০২২ ২০:৩৬510243
  • পড়লাম, জরুরি লেখা। স্থবির দাশগুপ্তর অবৈজ্ঞানিক ধোঁয়াটে কথাবার্তার মুখোশ উন্মোচন অতি জরুরি। তবে, জয়ন্তবাবুর লেখার শৈলি, বিষয়বস্তুর জটিলতা, ইংরেজি টেক্সটের বহুল ব্যবহার ইত্যাদি কারণে পাঠ কিঞ্চিৎ কঠিন। আর, তার সুযোগ নিয়ে থ্রেডে যথারীতি ফালতু কথার চর্চা চলছে অবাধে। 
     
    এমনিতে, স্থবির দাশগুপ্ত মহাশয়ের আলোচিত লেখাটি একটি আপাদমস্তক ধোঁয়াটে ননসেন্স, তার মধ্যে সেভাবে যুক্তিতর্ক করার কিছুই নেই, যেমনটি সাধারণত হয়ে থাকে আর কি! 
     
    কোন একটি দুটি পত্রিকার একটি দুটি লেখায় তিনি তাঁর মনের মত দুয়েকটি আবছা ইঙ্গিত পেয়েছেন, ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের সুতো বুনে বুনে ধোঁয়াশাময় আতঙ্কের চাদর বানাবার জন্য ওটুকুই যথেষ্ট তাঁর পক্ষে --- ওর বেশি আর দরকার নেই। টিকাকরণের ফলাফল নিয়ে দেশের পর দেশে ব্যাপক সমীক্ষা হোক, এবং তা বিশ্লেষণ করে যতই আশাপ্রদ ফলাফল আসুক, এবং গুচ্ছ গুচ্ছ নামী জার্নালে প্রকাশিত গুচ্ছ গুচ্ছ প্রবন্ধে যতই সে সব সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক, তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। কেন যে ওইসব গবেষণাপত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়, শুধু তিনি যে দু-একটির কথা সেগুলোই গুরুত্বপূর্ণ, তার কোনও ব্যাখ্যা তিনি দেবার দরকার মনে করেন না। তাঁর মত মহাপ্রাজ্ঞজন একান্তভাবে আমাদের স্বার্থে ভ্যাকসিন-ট্যাকসিন নিয়ে দুয়েকটা কথা বলছেন অনুগ্রহ করে, এতেই আমাদের বর্তে যাওয়া উচিত, যুক্তি ফুক্তি আবার কী? 
     
    সরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, গবেষণা পত্রিকা, ওষুধ কোম্পানি, বিজ্ঞানীকুল --- সক্কলে মিলে পাবলিককে পটাশ পটাশ করে ভ্যাকসিন দেবে বলে ষড়যন্ত্রে নেমেছে, এবং তিনি ছাড়া আর কেউ সে ষড়যন্ত্র ধরতে পারেনি, কাজেই বাঁচতে গেলে তাঁর কথা চোখ বুজে বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় কী? তবে কিনা, ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল, মার্কিন কোর্ট, আনন্দবাজার পত্রিকা --- মাঝে মাঝে এদের কথাও বিশ্বাস করতে হয়, কারণ, তা নইলে ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব বুনে ভুতুড়ে চাদর বানাবার পরিসরটি সম্পূর্ণ গুটিয়ে যাবে, সে তো আর তিনি হতে দিতে পারেন না! যদি মনে প্রশ্ন জাগে, অ্যাই সেরেচ্যা, এইগুলোকে তবে কখন বিশ্বাস করব আর কখন করব না সেটা কীভাবে বুঝব, তাহলে জেনে রাখুন, সে নিয়ে আপনার একদম দুশ্চিন্তা করতে হবেনা --- সেটাও স্থবির দাশগুপ্ত মহাশয়ই যথাসময়ে বলে দেবেন! 
     
    মামার বাড়ির আবদারের এক্সট্রিম ক্যাইস! 
     
    যা বলছি শুনে হয়ত হাসি পাচ্ছে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে একদমই হাসির না। অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, আন্তরিক এবং জনদরদী ভঙ্গিতে বলা তাঁর ধোঁয়া ধোঁয়া উড়ো কথাগুলোর মধ্যে আসলে এক ভয়ঙ্কর বার্তা আছে। তিনি বলছেন, কোভিড নিয়ে আদিখ্যেতার নাকি আদৌ দরকার ছিল না, কারণ, কোভিডে মরেছে এ দেশের মাত্র দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ লোক। গবেষণায় যদিও প্রকাশ, ভারতসহ সারা পৃথিবীতে আসলে মরেছে সরকারি হিসেবের পাঁচ-ছয় গুণ, তবে দাশগুপ্ত মহাশয়কে ও সব বলা বৃথা। কিন্তু এই দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশের হিসেবটি যদি নির্বিবাদে মেনেই নিই, তাতেই বা তাঁর মোদ্দা বক্তব্যটি কী দাঁড়াচ্ছে? মৃত্যু কত শতাংশ হলে তিনি একে দুশ্চিন্তাযোগ্য বলে মনে করতেন? দশমিকটা ডানদিকে আর এক গাঁট সরলে? তার মানেটা সোজা কথায় দাঁড়াচ্ছে এই যে, সাড়ে পাঁচ লাখের জায়গায় পঞ্চান্ন লাখ প্রাণবলি না হলে তিনি তার পেছনে সরকারি অর্থ খরচ করা জরুরি বলে মনে করবেন না। 
     
    না, এটা হাস্যকর নয়, এটা বিশুদ্ধ বর্বরতা।
     
    জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে অভিনন্দন, এর মুখোশ উন্মোচনের জন্য। পেশাদার চিকিৎসক ও গবেষকরা যত এগিয়ে এসে এর মুখোশ উন্মোচন করবেন, মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ততই বাধামুক্ত হবে।
  • joy | 2405:8100:8000:5ca1::fd:4ee1 | ২৪ জুলাই ২০২২ ২০:৫১510245
  • আহা গো, স্থবির দাশগুপ্ত ভক্তদের ভ্যাকসিনানুভূতিতে আঘাত করে ঘোর অপরাধ করেছেন। উনাকে সবক শিখলান।
  • বিপ্লব বসাক | 117.227.43.227 | ২৪ জুলাই ২০২২ ২১:৩৪510249
  • কর্পোরেট বিরোধী হতে গিয়ে বিজ্ঞানবিরোধী হয়ে যাওয়ার এই প্রবনতা আমাদের দৈনন্দিন যাপনে সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।
    বিশেষতঃ যখন বিকল্প চিকিৎসার নামে অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা রমরম করে চলছে।শিক্ষিত জনমানসেও। 
    তাই ডাঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্যের বিশ্লেষণ ও সেই প্রসঙ্গে দেবাশীষ ভট্টাচার্যের লেখা আমাদের সমৃদ্ধ ও সতর্ক করবে।
  • Debasis Bhattacharya | ২৪ জুলাই ২০২২ ২১:৫৮510251
  • বিপ্লব বসাক,
     
    অনেক ধন্যবাদ। 
     
    মানুষের স্বার্থে কর্পোরেটের বিরোধিতা তো করতে হতেই পারে। কিন্তু, বিজ্ঞানের বিরোধী হয়ে কর্পোরেট বিরোধিতাও কি শেষতক করা যায় ঠিকঠাক? দাশগুপ্ত মহাশয়ের লেখাপত্র যদি নিয়মিত ফলো করেন, সে ব্যাপারে দুশ্চিন্তা এড়াতে পারবেন না কিছুতেই। 
  • জ্যুতো বোস | 81.19.210.176 | ২৪ জুলাই ২০২২ ২২:১৬510254
  • বলছিলাম কি, এটা কিন্তু ফোর্থ ওয়েভ। বাচ্চাদের মত একটা বা দুটো মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াবেন না। গুনে গুনে চারটে মাস্ক না পরে এঘর থেকে ওঘরে গেলেই খপাৎ করে কোভিড এসে ধরে ফেলবে।
  • dc | 2401:4900:1cd1:c9c2:9841:2f30:cb0e:37d3 | ২৪ জুলাই ২০২২ ২২:২১510255
  • দেবাশীষবাবু খুব ভালো একটা দিক উল্লেখ করেছেন - চেরি পিকিং বনাম বডি অফ এভিডেন্স (বা লিটারেচার রিভিউ)। এমনিতে অ্যান্টি ভ্যাক্সার, ফ্ল্যাট আর্থার, মুন ল্যান্ডিং ইত্যাদি বিবিধ কনস্পিরেসি থিওরিস্টরা চেরি পিকিং করেই যুক্তিজাল বানান, সে নিয়ে কিছু বলার নেই। 
     
    তবে ইন জেনারাল চেরি পিকিং বনাম বডি অফ এভিডেন্স এর দ্বন্দ বহু শতাব্দীর পুরনো আর বলা যায় যে এই দ্বন্দের ভেতর দিয়েই সায়েন্টিফিক ফ্রেমওয়ার্ক আস্তে আস্তে তৈরি হয়েছে। যাই হোক, এটা আলোচনায় আনার জন্য আবার ধন্যবাদ :-)
  • Debasis Bhattacharya | ২৪ জুলাই ২০২২ ২৩:৫৪510260
  • dc,
     
    চেরি পিকিং-এর ব্যাপারটা জয়ন্তবাবু মূল লেখাতেই উল্লেখ করেছেন, তবু আমি আরেকবার সাদা বাংলায় বললাম, কারণ অর্ধোন্মাদ অ্যান্টি-ভ্যাকসাররা জয়ন্তবাবুর লেখা ফলো করতে পারেনি। অর্ধোন্মাদই বটে, পুরো উন্মাদ নয়, কারণ পাগলামোটা যে বেনামে করতে হয় সে বুদ্ধি টনটনে।
  • ইস | 2405:8100:8000:5ca1::2c6:44c1 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০০:০৫510261
  • স্বনামে করলে তাকে ট্রল করতে,উইচ হান্টিং করতে সুবিধা হত, তাই তো বাছা? কিন্তু সবাই তো গৌরী লঙ্কেশ বা স্থবির দাশগুপ্ত হয়ে সেই সুবিধা দেবে না।
  • যুক্তিভক্ত | 2405:8100:8000:5ca1::296:4363 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০০:০৮510262
  • যায় যদি যাক প্রাণ
    বুস্টার মেরা ভগওয়ান
  • অপোগোতিসিল | 43.231.242.6 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০০:২২510264
  • অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের আজকাল অ্যান্টি-ভ্যাক্সার বললে বেজায় চটে যায়। ন্যাংটোবেলা থেকে ভ্যাকসিনের ছুঁচ ফুটিয়ে ফুটিয়ে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া বাহু নিয়ে হালে অ্যান্টি-ভ্যাক্সারে কনভার্ট হওয়ার এ এক মস্ত অসুবিধে বই-কি! তাই, প্রগতিশীল রাজনৈতিক বুলি কপচাতে কপচাতে সব কিছুতেই কর্পোরেট-ভূত দেখতে পাওয়ার (কেবল তেনাদের মন্তব্যগুলোতে এখনও কর্পোরেটকূল থাবা বসাতে পারেনি) সাইড এফেক্ট হিসেবে এই যে কনভারশন, সেখানে খানিকটা অস্বস্তি রয়েই যাচ্ছে।
     
    তা, বিজ্ঞানটিজ্ঞান লাগবে না, মশাই? প্রগতিশীলতায় বিজ্ঞান লাগে বুঝি! দাশগুপ্তবাবু তো কবেই বলে দিয়েছেন, এম-আরএনএ কে বাহন করে ভ্যাকসিন ঠুসে দেওয়া মানে হল গিয়ে ইউজেনিক্স-চর্চা। মাথা খাটিয়ে শিশুমৃত্যু, এমনকি, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সাথেও কোভিড মৃত্যুর সংখ্যাকে লড়িয়ে দিয়েছেন। রাখে পরিসংখ্যান, মারে কে! করোনাভাইরাসকে 'নভেল' বলাতেও তাঁর তীব্র আপত্তি ছিল, রোগটিকে নির্দ্বিধায় 'ব্যাড ফ্লু' বলে দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তাঁর সাম্প্রতিক অবস্থান ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে, ইদানীংকালে লেখাপত্রের ঘোলাটেপনা দেখে আঁচ করা বোধহয় খুব কঠিন নয় যে, বিপাকে আছেন তিনি। মহামারি বিশেজ্ঞতার স্বখাত সলিলে ডুবে যেতে যেতে আরও অনেক আগড়মবাগড়ম তাকে লিখতে হবে।
     
    Paul R. Gross ও Norman Levitt তাঁদের “Higher Superstition: The Academic Left and Its Quarrels with Science” গ্রন্থে মন্তব্য করেছিলেন: "Modern science is seen, by virtually all of its critics, to be both a powerful instrument of the reigning order and an ideological guarantor of its legitimacy. It is stained by all the sins of the culture that engenders and nurtures it. Thus, whoever attacks it with a view to vindicating the oppressed, no matter how quixotic the methods, is seen to be fighting the good fight." কাজেই, আগ-মার্কা প্রগতিশীলতায় আপাতত বিজ্ঞানটিজ্ঞান লাগছে না। ফ্ল্যাট-আর্থে দাঁড়িয়েও কি প্রগতিশীল হওয়া যায় না!
     
    ডা. জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে অনেক ধন্যবাদ। এভাবেই বিজ্ঞান বিরোধিতার মুখোশ খুলে দেওয়া উচিত।
  • Debasis Bhattacharya | ২৫ জুলাই ২০২২ ০০:৪০510266
  • তবে, বাতাসে জোর গুজব, অ্যান্টি-ভ্যাকসারবৃন্দ নাকি সব নুকিয়ে নুকিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে নিচ্চেন! 
  • বিপ্লব বসাক | 117.227.76.162 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০০:৫৮510268
  • দেবাশীসবাবু ,
    আপনার শেষ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলি, 
    রোগাক্রান্ত হলে ঈশ্বরবিশ্বাসীরাও মর্ডান মেডিসিনের সাহায্য নেয়।মন্দির,মসজিদ বা গীর্জায় যায় না।
    এ বিষয়ে তারা নিজেদের বিশ্বাসেই অবিশ্বাসী।
    সুতরাং গোপনে ভাক্সিন হয়ত চলছে, চলবে।
  • Debasis Bhattacharya | ২৫ জুলাই ২০২২ ০১:০৮510271
  • বিপ্লব বসাক, 
     
    একদমই ঠিক বলেছেন!
  • জ্যুতো বোস | 81.19.210.235 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০১:৪৮510272
  • এটা একদম হক কথা বলেছেন: "অ্যান্টি-ভ্যাকসার"-রা লুকিয়ে লুকিয়ে কোভিড ভ্যাকসিন নিচ্ছে। মানে এই আপনারা বড় বড় কমিউনিস্টরা যেরকম লুকিয়ে লুকিয়ে কর্পোরেটের পা-চাটা, সেই রকম আর কি।
    তা এতটাই যখন বোঝালেন, তখন এই লুকিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া অ্যান্টি-ভ্যাকসারদের কারো কোভিডাতঙ্কীদের মত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার আর নানারকম অদ্ভুত রোগ হচ্ছে না কেন, সেটাও একটু বুঝিয়ে দিন না।
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.251.90.241 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০২:৫১510276
  • গালাগাল ছাড়া তো আর কিছুই রইল না আপনাদের! চোপ্ বিজ্ঞান চলছে ! একটাও লেখা লিখছেন মহায় , গালাগালি ছাড়া। থ্রেডে আমার কমেন্টগুলোকে রিফিউট করুন , গালাগালি ছাড়া। গালাগালিকে চাবুক মনে করে সংগঠন  চালান নাকি আপনারা ? আপনারা তো প্যানডেমিক ট্রিটি বা নয়া স্বাস্থ্যবিল বা ২০১৭ সালের খসড়া স্বাস্থ্যবিল নিয়ে স্পিকটি নট ! কেন। আগে বুঝতাম কোভিডের ডঙ্কাপ্রচারে বুদ্ধু ছিলেন , তা অল্পবিস্তর সবাই ছিল। রাষ্ট্রই সেভাবেই তৈরি করেছে আমাদের। অনেকটা থালি বাজানোর মতন। তবে এখনও? এখনও? না, বরং আরেকটু ভাবা দরকার।  দেখা যাক। শত্রু তো হবেন না , আমিও হবো না। সবাই দেখবো। মানুষের অসহায়তা তে চুপ করে বসে থেকে কবে লজ্জা আসে আপনাদের। 
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.251.90.241 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০৭:৩৭510285
  • নির্দিষ্ট চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও, প্রতিদিন গড়ে ১৪০০ অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় ৪.৮ লক্ষ মানুষ আমাদের দেশে যক্ষায় বা টিবি রোগে মারা যায়। এটা ঠিক না ভুল? কোভিড কালে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। এটা ঠিক না ভুল? এমনকি টিবি রোগের উপর বরাদ্দ অর্থটুকুও গুটিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক না ভুল? তার ফলে আগামী বছরগুলোতে ডট্ চিকিৎসার অপ্রতুলতার জন্য টিভি রোগে মৃত্যু বাড়বে , আগের মৃত্যু হিসাবের গড় কে ধ্রূবক ধরা স্বত্তেও - এটা ঠিক না ভুল? এইদিকে মনোনিবেশ না করে অপরীক্ষিত অপবিজ্ঞান ফলিত প্রোটোকল দিয়ে কোভিড রুগীর চিকিৎসায় ক্ষতির মৃত্যু হয়েছে , তার চর্চা না করাটা কি অপরাধ নয়? বিজ্ঞানচর্চার সীলমোহরের বাবুরা কি জানাবেন এটা কি বিশুদ্ধ সভ্যতা? 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০৮:০০510286
  • সেই এক আটকে যাওয়া রেকর্ড !!!! এতজন মানুষ অমুক রোগে মারা যান প্রতি বছর। কী ঝামেলা! কোনো রোগ না হয়েও স্রেফ এমনি এমনি মারা যান বয়স হয়ে প্রতি বছর আরও বেশি। মানুষ অমর নন। এটা একটা ঘোর চক্রান্ত। জানেন সে কথা?
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.251.90.241 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০৮:২০510287
  • কিভাবে RTPCR অনুমোদন পেলো কোভিড-১৯ রোগ নির্ধারণে - এটা একটু বলবেন কি ? নাকি চেরি পিকিং? না জানা টা অন্যায় তো নয়। জেনেও না চর্চা করাটাও একটা ঘোর চক্রান্ত।জানেন সে কথা? 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০৮:৩১510288
  • ঘোর চক্রান্ত করে নন্দঘোষবাবুরা করোনা তৈরী করে আমাদের উপরে ছেড়ে দিল। বলুন তো কী ঘোর ঘোর ঘোরতর চক্রান্ত? তার কি কোনো মীমাংসা হল? হল না। কী করে হবে? ভীষণ সিক্রেট তো সব! কেউ কিছু ধরতে পারে না।
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.251.90.241 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৩510289
  • "ভ্যাক্সার" , "এ্যান্টিভ্যাক্সার", "যারা ভ্যাক্সিন নিয়েছেন - কেউ বাধ্য হয়ে , কেউ স্বেচ্ছায় কিন্তু ভয়ে , কেউ বা 'চাপ'এ।" "কেউ আবার ভ্যাক্সিন নেন নি।" ওই যে বলেছি প্রথমদিকে সকলেই প্রায় বুদ্ধু ছিলাম। 
    "কেউ ভ্যাক্সিন নেবার পরও কি যুক্তি তর্কে আসতে পারেন না এমন নিদান কে ঠিক করে দিল?" 
    ------
    এইসব কথা আগেই এই থ্রেডে বলা হয়েছে।
     
     যুক্তিবাদী রা এ্যান্টিভ্যাক্সার, এ্যান্টিভ্যাক্সার বলে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যুক্তিহীন হয়ে পড়ছেন কেন? 
    কেন কদর্য হচ্ছেন লোকজনের কাছে ? সাথে তো রেজিস্টার্ড ফেকনামী ডাক্তারেরাও আছেন ,নাকি !
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.251.90.241 | ২৫ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৯510290
  • সেই তো ! কিভাবে বিলিওনিয়ার হয়ে গেলো এক্সট্রা চল্লিশজন এই দেশে ,কিভাবে লুঠ হলো - এসব ডিসকোর্সকে ঢাকা দিতে চান বুঝি! আচ্ছা আচ্ছা , তবে আপনাদের কাজ আপনারা করছেন। ঠিক আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন