এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • নির্মোহ সাভারকর চর্চাঃ সবে মিলে - ১

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৭ আগস্ট ২০২২ | ৩৫০৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • [ কাল কেসি সায়েবের সাজেশনটি আমার মনে ধরেছে। তাই দুগগা বলে ঝুলে পড়লাম। সবাই হাত লাগান। আমি আলোচনাটিকে কোটেশন-কন্টকিত, ফুটনোট-ভারাক্রান্ত করতে চাই নে। যার ঝুলিতে যা কিছু মণিমাণিক্য রয়েছে এখানে উজাড় করে দিন। তবে কোন বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন হলে নিশ্চয়ই তথ্যসূত্র দিতে হবে। ]

    সাভারকর চরিত্র :

    আমার এই বয়সের প্রতীতি হল সত্যের রঙ সাদা কালো নয় ধূসর। হ্যাঁ বা না ঝগড়ায় অনেক সময় হারিয়ে যায় ঘটনার প্রেক্ষিত, ঐতিহাসিক সময়ের বাধ্যতা এবং সমসাময়িক সমস্যার ফ্যাক্টরগুলো। যেমন সাভারকর, এক জটিল এবং মনস্তত্ত্বের ছাত্রের জন্য ইন্টারেস্টং। তুলনামূলক ভাবে গান্ধীজি অনেক সাদামাটা লিনিয়র এবং বোরিং। দেখুন সাভারকর বড় হয়েছেন শাস্ত্রপাঠ, সংস্কৃত অধ্যয়ন মনুসঙ্ঘিতা পড়ে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবনা চিন্তা, গ্যারিবল্ডি ম্যাজ্জিনির ভক্ত। ম্যাজ্জিনির জীবনী নিজে অনুবাদ করেছিলেন। উগ্রপন্থার প্রতি আকৃষ্ট। অল্প বয়েসে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য মাথায় রেখে অভিনব ভারত নামের সংস্থার প্রতিষ্ঠা। ছাত্র আন্দোলনের জন্য পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে বিতাড়িত।
    লণ্ডনে বামপন্থী চিন্তার শ্যামজী কৃষ্ণবর্মার বদান্যতায় আইন পড়তে যাওয়া। কিন্তু সেখানে ইন্ডিয়া হাউসের একচ্ছত্র নেতৃত্ব এবং মদনলাল ধিংড়াকে উস্কে দিয়ে জনৈক মাইনর ইংরেজ অফিসিয়ালকে হত্যার সঙ্গে তাঁর নাম ইন্টেলিজেন্স রেকর্ডে ওঠে। ফলে ভালভাবে ব্যারিস্টারি পাশ করলেও লাইসেন্স পেলেন না।

    জন্মসূত্রে চিতপাবন মারাঠি ব্রাহ্মণ। কিন্তু মাছ-মাংসে বিশেষ অনুরাগ। গান্ধীজি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্দোলন রত ভারতীয়দের সাহায্যের জন্য লন্ডন এসে প্রবাসী ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন তখন সাভারকর চিংড়ি মাছ রান্না করছিলেন। গান্ধীজি সবিনয়ে জানালেন যে তিনি জাহাজে ওঠার আগে মাকে কথা দিয়েছেন যে আজীবন শাকাহারী থাকবেন। উনি খালি পেটে ফিরে গেলেন।

    সাভারকর নাকি মন্তব্য করেছিলেন -- শাকপাতা খেয়ে ইংরেজের সংগে লড়াই!

    সাভারকরের নাস্তিকতা নিয়ে একসময় পুণের (নাসিকের) ব্রাহ্মণরা কমিশনারকে চিঠি লিখেছিল যে নাস্তিক সাভারকরকে অবিলম্বে 'জেলাবদর' করা হোক। নইলে আমাদের ধর্মকর্ম সব গেল বলে!

    জাতপাত মানতেন না, মনে করতেন হিন্দুদের এই বিভেদ দুর্বল করছে।
    গো কে মাতা বলতেন না। উপকারী পশু বলতেন। গো হবে বাছুরের মাতা, আমার নয়।
    অথচ এই ভদ্রলোক হলেন হিন্দুরাষ্ট্র এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের মুখর প্রবক্তা। এছাড়া হিংসা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যক্তিহত্যায় কোন অরুচি নেই, বরং বিশেষ রুচি।
    ওঁর হিন্দুত্ব রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক হিন্দুত্ব, ধার্মিক নয়।

    জিন্নার সাথে কী মিল!

    জিন্নাও নাস্তিক, নিষিদ্ধ আহারবিহারে উৎসাহী। নামাজ পড়া নিয়ে । একেবারে কোন মাথাব্যথা নেই। কিন্তু লড়ে গেলেন পাকিস্তান নির্মাণে। একেবারে সাভারকরের অল্টার-ইগো!

    ওদিকে গান্ধীজি গুজরাতি বানিয়া। প্রথম জীবনে স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে কোন মাথাব্যথা ছিল -- মনে হয় না। উনিও বিলেতফেরত ব্যারিস্টার। কিন্তু নিজের দেশে পসার জমল না। তাই অর্থনৈতিক সাফল্যের স্বপ্নে সাউথ আফ্রিকা গেলেন। তারপর কী হইল জানে শ্যামলাল!

    গান্ধীজি নিজেকে বলতেন -- নিষ্ঠাবান সনাতনী হিন্দু। জাতিভেদকে একসময় উপযোগী ছিল বলে মনে করতেন। কিন্তু তাঁর অনীহা সশস্ত্র সংগ্রামে। তিনি ছাগলের দুধ খাওয়া অহিংসার পূজারী। গোহত্যার বিরোধী। অথচ তাঁর কল্পনার স্বাধীন ভারতে সমস্ত ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সমান অধিকার। সর্বদা মাইনরিটির স্বার্থে দাঁড়াতে চাইতেন। এর জন্যে প্রাণ দিলেন।

    কিন্তু একটা কথা। কাকে বীর বলব?

    আমার মতে যে নিজের কৃতকর্মের দায় এড়িয়ে না গিয়ে স্বীকার করে।
    ক্ষমাভিক্ষা করে না। যে বিপদের সময় সামনে থেকে লীড করে।

    গান্ধীজি -- নোয়াখালি দাঙ্গা দেখুন অথবা সিডিশন চার্জে শাস্তি চাওয়া।

    ভগত সিং -- যে মৃত্যুদণ্ড পেয়ে মার্জনা ভিক্ষা চাইতে অস্বীকার করে এবং বলে ফাঁসি না দিয়ে আমায় তোপের মুখে উড়িয়ে দিন।

    সাভারকর -- ওপরের দুটো মাপকাঠিতে কোথায় দাঁড়ান পরে আলোচনা করব।

    তবে সাভারকর নিজেকে জন্মসূত্রে নায়ক ভাবতেন। ভাইকে চিঠিতে লিখেছিলেন -- একদিন ইতিহাসে ভারতের এই সময় "সাভারকর যুগ" বলে অভিহিত হবে। তাই বোধহয় নিজে সামনে না এসে ফুট সোলজারদের এগিয়ে দিতেন।

    এবার কেসি। এবং অন্যেরা ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ref | 2405:8100:8000:5ca1::30b:e341 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ০৭:১৪738308
  • Ranjan Roy | ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৩:২১
     
    ওনার নজরবন্দী থাকার সময়েই ওঁর জন্য সাহায্য সমিতি বানিয়ে কিছু চাঁদা (প্রায় ১৪,০০০ টাকা)  তোলা হয়েছিল। সেটা সেই সময়ের হিসেবে অনেক টাকা। ( বিক্রম সম্পতের লেখা সাভারকরের জীবনী "এ কন্টেস্টেড লিগ্যাসি", প্রথম অধ্যায়)।
     
     
    | ৩০ আগস্ট ২০২২ ২১:৫৮
     
    আমি কোথায় সম্পতের সূত্র দিয়েছি? দেখান তো!
  • Deb | 2405:8100:8000:5ca1::163:362a | ৩১ আগস্ট ২০২২ ০৯:১৮738309
  • নির্মোহ শব্দটা দেখলেই ভয় লাগে। কোথায় দেখলাম রবীন্দ্রনাথের নোবেল আর নাইটহুড দেখিয়ে ব্রিটিশ স্টুজ বানিয়ে দিয়েছে। এখানেও একই লাগছে। আগে থিওরি, পরে সেইমতো চেরি-পিকিং অফ ফ্যাক্টস অ্যান্ড হাফ ট্রুথস। শচীন্দ্রনাথের সম্পত্তি সরকার নিয়ে নেয়, সাভরকরের সম্পত্তির কি হয়েছিল? সে তো কোর্টের রায়েই বাজেয়াপ্ত।
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১০:২৪738310
  • হেহে,
      ভুল করছেন।
       গণেশ ঘোষ আর সাভারকর , শচীন,বারীন, ত্রৈলোক্য, উপেন্দ্র সবার সময় এক নয়। শর্তও এক নয়। কালাপানিতে
     রাজনৈতিক বন্দীরা এসেছিলেন তিন খেপে।
      এক, সিপাহী বিদ্রোহের পরে, ধরুন ১৮৫৮ থেকে। বেশিরভাগ ছিলেন মুসলমান। তখন সেলুলার জেল তৈরি হয় নি। বেশির ভাগকে মেরে ফেলা হয়।
      তারপর ১৯০৯ থেকে সেলুলার জেলে । মুরারিপুকুর বোমার মামলায় অরবিন্দ, বারীন্দ্র এঁরা। পরে পরেই দুই ভাই সাভারকর। আরও পাঁচ বছর পরে গদর পার্টির অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে এবং রাসবিহারী , শচীন্দ্রদের দিল্লি ষড়যন্ত্র ( ভাইসরয়ের হাওদায় বোমা ছোঁড়া) ব্যর্থ হওয়ায় অনেক পাঞ্জাবি এবং শচীন্দ্র ও ঢাকার কেসে ত্রৈলোক্য চক্রবর্তী। 
     
    এরপর ১৯৩২।  গণেশ ঘোষ, অম্বিকা চক্রবর্তী , কল্পনা দত্ত এঁরা সেলুলার জেলে গেলেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন কেসের পর ১৪ দিনের রিপাব্লিকান সরকার সারেন্ডার করলে। যাতে সূর্য সেনের ফাঁসি হয়।
     গণেশ ঘোষ (১৪ বছর), অম্বিকা চক্রবর্তী (১৬ বছর), সুবোধ রায় (১০ বছর), কল্পনা দত্ত  ( ৬ বছর)। 
    এঁরা কেউ জেলে থাকতে মার্সি পিটিশন পাঠিয়ে ছিলেন বলে পাইনি। আপনারা দেখলে উল্লেখ করুন।
    এঁদের সময় কোন মাস  মাফিনামা ব্রিটিশ সম্রাট ঘোষণা করেন নি। 
    ছাড়া পাওয়ার সময় যে মুচলেকার কথা গণেশ ঘোষ বলছেন সেটা অনেকটা বেইল বন্ডের শর্তের মত।  
     
    সেটার সময় আর ১৯১৯-২০ , যখন  সম্রাট সরকারি ভাবে ব্রহ্মদেশ এবং আন্দামানের রাজবন্দীদের ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করছেন --সেটা আলাদা।
     এ নিয়ে পরের পর্বে লিখছি।
     
    নিঃসন্দেহে বৃটিশ সরকার সাভারকরকে ভয় পেত। সাম্রাজ্যের কেন্দ্র লন্ডনে বসে  সাম্রাজ্যের রাজপুরুষদের হত্যার পরিকল্পনা এবং রূপ দেওয়া অনেক বড় দুঃসাহসের কাজ।  তাই শত অনুনয়-বিনয় সত্ত্বেও সহজে ছাড়ে নি। একটূ একটু করে বশ্যতা স্বীকারের শর্তগুলো আরোপ করে শেষে ছেড়েছে।  সেটা ইংরেজের পারসেপশন।
    এ নিয়ে পরের পর্বে লিখছি।
     
    কিন্তু কথা হচ্ছে সাভারকর কী করলেন? ছাড়া পাওয়ার পর?
     
    একবারও ইংরেজের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কোন ডাক দিলেন?  নাকি মুসলীগের সংগে কোয়ালিশন মন্ত্রীসভায় ওঁর (হিন্দু মহাসভার) সদস্যদের পদত্যাগ না করে গদি আঁকড়ে বসে থাকলেন?
    আর অন্যেরা?  শচীন্দ্র, ত্রৈলোক্যরা?  ওঁরা কী করলেন? 
    নেতাজিও বন্দী হয়ে ২ বছর (১৯২৫-২৭) বর্মার মান্দালয়ের জেলে ছিলেন। উনি বেরিয়ে এসে কী করলেন? তিলকও মান্দালয়ের জেলে ৬ বছর ছিলেন। তারপর?
     
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১০:৩৭738311
  • রেফ, 

     আমার স্লিপ ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতেও এমনই ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব। 
    তবে আগেই এটা স্পষ্ট করেছি যেঃ
     তৃতীয় ব্যক্তির ওপিনিয়নের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে উত্তম পুরুষের  বিপরীত বক্তব্য, যদি না কোন মেটেরিয়াল এভিডেন্স তৃতীয় ব্যক্তির বক্তব্যকে পুষ্ট করে।
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১০:৫২738312
  • @
    • ক্রোনোলজি | 2405:8100:8000:5ca1::135:75fc | ৩০ আগস্ট ২০২২ ১০:০১738300
    • সাভারকার উনিশশো একুশে আন্দামান থেকে ছাড়া পেলেন। এবার রত্নগিরি জেলে বন্দী।
      নো পেনশন।
      উনিশশো চব্বিশে রত্নগিরি জেল থেকে ছাড়া পেলেন। ৫ বছরের জন্য রত্নগিরি জেলায় নজরবন্দী।
      নো পেনশন। (পেনশনের আবেদন প্রত্যাখ্যাত)
      উনিশশো উনত্রিশ। ৫ বছরের মেয়াদ বেড়ে ১৩ বছর।
      পেনশন চালু। (১০০ টাকা পেনশনের আবেদন, সরকার মঞ্জুর করল ৬০ টাকা)
      উনিশশো সাঁইত্রিশ। মুক্তি।
      পেনশন বন্ধ।
    -----একদম সঠিক তথ্য।
       এখানেই তো প্রশ্ন। পেনশন কখন দেওয়া হয়? চাকরিতে ভাল কাজ করলে অবসর গ্রহণের পর। স্বাধীন ভারতে প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশের সরকারের থেকে পেনশন পান কারণ তাঁরা জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। তাই প্রৌঢ় বয়সে সাহায্য চাই।
           জেলে বন্দী থাকার সময় পেনশনের প্রশ্ন ওঠে না। জেলায় নজরবন্দী থাকার সময়ে ইংরেজের পেনশন? যখন ডাক্তার ভাই সাহায্য করছে? সাভারকরের চরম আর্থিক অনটন থাকলে কি সুদে টাকা অন্যদের ধার দিতে পারতেন?
    ১৯২৯ শে সরকার পেনশনের আবেদন ( যদিও ১০০র জায়গায় ঁ ৬০ ) স্বীকার করল ওঁর আচার-আচরণ ভাল বলে রিপোর্ট পাওয়ার পর।
      কারণ, সরকার সাভারকরকে ভয় পেত। মনে করত , কড়া করে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ফের কিছু ঘটিয়ে না বসে!
     
    শচীন সান্যাল ছাড়া পাওয়ার পর পেনশন নিয়েছিলেন-- নিজের মায়ের কাছ থেকে।  মাসে পঁচিশ টাকা করে কিছুদিন।
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১১:৩১738313
  • দেব,
      শচীন্দ্রনাথের পারিবারিক বসতবাটি ও জমি চলে গেছল।
    সাভারকরের কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?
    কিন্তু সাভারকরের স্ত্রী, বৌদি এবং নারায়ণ রাও কোথায় থাকতেন? ওঁর কী সম্পত্তি ছিল? ব্যক্তিগত পোশাক চশমা  এসবের কথা ধরছি না।
    আমার ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবেন। 
    আর নির্মোহ এই জন্যে যে আপনারা সবাই তথ্য এবং যুক্তি দিয়ে কাটাছেঁড়া করুন, তবে না! 
    আমি যা বুঝেছি সেটাই ঠিক এমন তো নয়।
    কিন্তু যে কোন আলোচনা বা পড়াশোনার জন্য আগে একটা হাইপোথেসিস বানাতে হয়, নইলে কথা হবে কিসের ভিত্তিতে?
    তারপর সবার নানারকম বক্তব্য এবং অজানা তথ্য নতুন যুক্তির ভিত্তিতে সেই হাইপোথেসিসিটি হয় খারিজ হবে, নয় স্বীকৃত হবে অথবা আংশিক স্বীকৃত হবে।
     
    আমার প্রকল্পটি স্পষ্টঃ সাভারকর প্রথম জীবনে, বিশেষ করে ইংলণ্ডে প্রবাস এবং আন্দামানে যাওয়া অব্দি দেশের অগ্রগণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে একজন। 
    কিন্তু সেখানের দীর্ঘ বন্দীজীবন তাঁকে বদলে দেয়। ছাড়া পাওয়ার পর উনি সশস্ত্র বিপ্লবের পথ থেকে সরে গিয়ে বৃটিশ সংবিধানের অধীনে সাংবিধানিক সরকার গড়ার রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। 
     এই প্রয়াসে  আর একটি লক্ষ্য-- ওনার পক্ষে বিপক্ষে যত গল্প এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলোকে উপলব্ধ তথ্যের আলোকে যাচাই করে দেখা।
     এবার পরের অধ্যায়ে যাওয়া যাক। ওঁর ইংলণ্ড প্রবাস এবং বিপ্লব প্রচেষ্টা। তিন নম্বর অধ্যায় হোক আন্দামানের জীবন।  তারপরে মুক্ত হয়ে তাঁর কাজকম্ম এবং হিন্দুত্বের থিওরি। তারপরে স্বাধীন ভারতে সাভারকর। 
    আপনারা সঙ্গে থাকুন এবং পালটা তথ্য ও যুক্তি দিয়ে আসর জমিয়ে দিন।
     সবাইকে ধন্যবাদ, কারণ এখানে  আপনারা সবাই ব্যক্তি আক্রমণ ইত্যাদি বাদ দিয়ে তথ্য এবং বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমার লাভ ষোল আনা।
     
    ফের সন্ধ্যেবেলায় আসছি।
  • se | 2405:8100:8000:5ca1::1:e5c7 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৫:২৬738314
  • শচীন সান্যাল সাভারকারকে কংগ্রেসে যোগ দিতে বলেছিলেন। সাভারকার তাঁকে এই চিঠিটি লেখেনঃ
     
    The Constitution of the Congress and the Congress norms dictate that no member of the party can be part of any ‘communal organization’. When they say this, they speak only about the Hindu Mahasabha but there are people in the Congress who have declared themselves openly as supporters or members of the Muslim League and even gone on to occupy leadership position in the party, despite this. People in positions of power have been notified not to take part or be associated with the Hindu Mahasabha and/or any movement organized by it. Joining the Congress in such circumstances would mean that I am a Hindu Mahasabhaite only in name, not in action, which to me would be a betrayal of Hindu interests. Swarajya according to me is the full independence of myself, my tatva [essence], which is Hindutva. Even when it is obvious that Indian interests are inevitably Hindu interests, the Congress actively forbids it, it concedes to every demand of the Muslim, sometimes even when they are against national interests or human morality. I feel it is impossible for me to work in such an organization until the mindset is changed. Hindu Mahasabha does not forbid any of its members from being part of the Congress. I hope that the Congress is also as open minded. If they are willing to guide Hindus with their wisdom, they should also be ready to protect their rights [Hindutva], advocate their just demands and oppose any anti-national, separatist movements and policies. When that happens, I promise to lend my voice and support fully to the Congress. My opinion on the suggestion of a united front against the Empire as a member of the Hindu Mahasabha is that I would not even blink and jump into any such movement assuming national character, irrespective of which party leads the movement. I can even work with the Socialists and the Bolsheviks to a certain extent. One can contribute towards the national cause without being a member of the Congress and hence we have decided not to yoke ourselves to the membership of the Congress and its ideals, but instead work towards the national cause with even more vigour and inspiration. The Congress needs to come clear on its position regarding Hindu Sangathan and Shuddhi movements.
     
    এখান থেকে সাভারকারের মনোভাবের ধারণা পাওয়া যাবে এবং কেন উনি কংগ্রেস পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামের শরিক হন নি বোঝা যাবে।
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৭:১০738315
  • অবশ্যই। ওনার এজেন্ডা স্পষ্ট। 
    উনি কম্যুনিস্ট এবং সমাজবাদী দের সঙ্গে কাজ করতে রাজি,  কিন্তু কংগ্রেস বা কোন common ইউনাইটেড ফ্রন্টের সঙ্গে নয়,  যাতে মুসলিম সমর্থক রয়েছে। 
     বেশ,  তাহলে উনি  ওই দুটো দলের সঙ্গে গেলেন না কেন?  বা ইংরেজ বিরোধী কোন আন্দোলন নিজের দলের জোরে শুরু করলেন না কেন?
    স্পষ্ট বলছেন ওনার কাছে স্বাধীনতা মানে हिन्दुत्व,  ইংরেজ বিরোধ নয়। 
    গোটা বক্তব্যে  কোথাও ইংরেজ বিরোধী লড়াই এর কোন কথা নেই 
    দুটো প্রশ্ন: 
    1 শচীন সান্যাল নিজে কংগ্রেস বিরোধী হয়ে নেতাজী স্থাপিত ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দিলেন। তাহলে? 
    2 ওনার বক্তব্যের hollowness বোঝা যায় যখন উনি নিজের দলের মন্ত্রীদের ওই ঘৃণার যোগ্য মুসলিম লীগের সঙ্গে মন্ত্রী সভায় যুক্ত থাকতে নির্দেশ দিলেন। 
  • 302 | 2405:8100:8000:5ca1::6:9d7c | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৭:৫৩738316
  • প্রিডিটারমিন্ড থিওরিতে ফিট করাচ্ছেন।
    "গোটা বক্তব্যে  কোথাও ইংরেজ বিরোধী লড়াই এর কোন কথা নেই "
     
    My opinion on the suggestion of a united front against the Empire as a member of the Hindu Mahasabha is that I would not even blink and jump into any such movement
     
    এই Empire কি মোগল সাম্রাজ্য মনে হয়?
     
    "উনি কম্যুনিস্ট এবং সমাজবাদী দের সঙ্গে কাজ করতে রাজি,  কিন্তু কংগ্রেস বা কোন common ইউনাইটেড ফ্রন্টের সঙ্গে নয়,  যাতে মুসলিম সমর্থক রয়েছে। "
     
    I would not even blink and jump into any such movement assuming national character, irrespective of which party leads the movement.
     
    তারপর পড়ুনঃ
    I can even work with the Socialists and the Bolsheviks to a certain extent.
     
    মানে কংগ্রেস তো বটেই, সোসালিস্টরাও যদি এরকম ইউনাইটেড ফ্রন্টে লড়াই করে তাতেও উনি রাজি। "উনি কম্যুনিস্ট এবং সমাজবাদী দের সঙ্গে কাজ করতে রাজি,  কিন্তু কংগ্রেস বা কোন common ইউনাইটেড ফ্রন্টের সঙ্গে নয়" -- এরকম একেবারেই নয়।
     
    কিন্তু হিন্দু মহাসভার লোকেদের তো কংগ্রেসের নিয়ম মতই সদস্য হওয়া বারণ (মুসলিম লিগের লোক হতে পারে), তাহলে উনি কি করে কংগ্রেসের সদস্য হতে যাবেন?
  • বাংলা | 2605:6400:30:eff9:35d3:a7ce:167c:2141 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৮:০৭738317
  • My opinion on the suggestion of a united front against the Empire as a member of the Hindu Mahasabha is that I would not even blink and jump into any such movement assuming national character, irrespective of which party leads the movement.
     
    হিন্দু মহাসভার একজন সদস্য হিসেবে সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট বিষয়ে আমার মত এই যে আমি চোখের পাতাও না কাঁপিয়ে এরকম যে কোন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব, যদি তার জাতীয় চরিত্র থাকে, যে দলই তার নেতৃত্ব দিক না কেন। 
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৮:১৭738318
  • পুরো পয়েন্টটা মিস করলেন। 
    আপনার কোট আরেকবার দেখুন। ওটা নেগেটিভ কমেন্ট। 
     উনি কোন ইংরেজ বিরোধী ফ্রন্ট, যাতে কংগ্রেস আছে তাতে থাকবেন না। 
    কিন্তু নিজে কি কোন ইংরেজ বিরুদ্ধ আন্দোলন শুরু করছেন? কোন  কথা নেই।  নেতাজি প্রতিষ্ঠিত ফরওয়ার্ড ব্লক? কোন  কথা নেই। 
    আসলে ইংরেজ এর বিরুদ্ধে কোন এজেন্ডা নেই। 
    অথচ তখন ইংরেজ ভারতের বুকে চেপে বসে আছে। ।কথা ছাড়েন,  Andaman থেকে এসে ছাড়া পেয়ে ইংরেজ বিরোধী কোন আন্দোলন করেছেন?
    नाम বলুন না!
    ইংরেজ এর সহযোগিতা করার জন্যে নেতাজি যে जिन्ना ও সভারকরের একযোগে সমালোচনা করলেন সেটা দেখবেন না?
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::174:1062 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৮:২৬738319
  • irrespective of which party leads the movement
    যে দলই তার নেতৃত্ব দিক না কেন। (কোথাও বলেননি কংগ্রেস ছাড়া যে কোন দল)
     
    united front against the Empire
    ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট। (মুঘল সাম্রাজ্য নয়)
     
    গোঁয়ার্তুমি করে লাভ কি?
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৯:৪৮738320
  • কথা   হচ্ছে-- জাতীয় আন্দোলনে সামিল হতে কংগ্রেসের সদস্য হওয়া অনিবার্য নয়। 
    ওনার নেতাজির ফরওয়ার্ড ব্লকও পছন্দ নয়। 
    শুধু শচীন সান্যালই নয়, নেতাজিও জুন ১৯৪০ এ সাভারকরের বাড়ি গিয়ে আলোচনা করেন যাতে ইংরেজের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড ফ্রন্ট তৈরি করে ওদের তাড়াতে আন্দোলন/সংগ্রাম করা যায় ।
    তখন নেতাজি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ফরওয়ার্ড ব্লক বানিয়ে ফেলেছেন। অনেক কংগ্রেস বিরোধীরা তাতে যোগ দিয়েছেন। তারপর কী হল? 
    নেতাজি জার্মানিতে বসে তাঁর বইয়ে  ( Indian Struggle, page 34) লিখলেন--"Mr Savarkar seemed to be oblivious of the international military situation and was only thinking Hindus could secure military training by entering Britain's army in India".। 
    সাভারকরের আন্তর্জাতিক সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে কোন ধারণা নেই। উনি খালি হিন্দুদের ব্রিটিশ ফৌজে ঢুকিয়ে অস্ত্র শিক্ষা দেবার চিন্তায় মশগুল।
    একই পাতায় নেতাজি লিখেছেন জিন্নার সঙ্গেও তাঁর ব্যর্থ আলোচনার কথা। জিন্নাও  খালি মুসলমানদের আলাদা রাষ্ট্রের চিন্তায় মশগুল, ইংরেজের বিরুদ্ধে কোন সংযুক্ত আন্দোলনের ইচ্ছা নেই।
     
     
    .অগাস্ট ১৯৪২শে নেতাজি জার্মানি থেকে  কুইট ইন্ডিয়া  সমর্থনের আপিল করে বললেন যে এই আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশজুড়ে দেশপ্রেমের জোয়ার। এই সময় সবার যোগদান চাই। 
    . ----"I would request Mr. Jinnah, Mr. Savarkar and all those leaders who still think of a compromise with the British to realise once and for all that in the world of tomorrow there will be no British Empire. -----The supporters of British Imperialism will naturally become non-entities in a free-India. " (Testament of Subhas Bose, pp-21-24).
    জিন্না এবং  সাভারকরের মত ব্রিটিশের সঙ্গে সমঝোতাবাদীদের শেষবারের মত  অনুরোধ করছি, বুঝে দেখুন--কালকের বিশ্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চিহ্ন থাকবে না। 
    তখন নেতাজি কংগ্রেসের সংগে নেই।
    সাভারকরের সমস্যা অন্য। উনি নেতাজির সংগেও যেতে পারেন না। কারণ পুণের পরশুরাম কলেজের সভায় মুখ্য অতিথির ভাষণে খোলাখুলি বললেনঃ
    "Bose didi not differ very much from Mahatma Gandhi, except that he went further to woo the Muslims". ( Bombay Chronicle, 4 August, 1939)
     
    আমার কথা, নেতাজি অসুখের অজুহাতে কোন রকমে ছাড়া পেয়ে একমাসের মধ্যে পালিয়ে জার্মানি গেলেন। 
    সান্যাল ভগত সিংদের রিক্রুট করে হিন্দুস্থান রিপাব্লিকান আর্মি গড়ে তুলে স্যান্ডার্স হত্যা এবং আরও বড় করে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে ধরা পড়ে ফের কালাপানি গেলেন। একই কথা ত্রৈলোক্য মহারাজের সম্বন্ধে। 
     
    ওদিকে ১৮ই এপ্রিল ১৯৩০ শে চট্টগ্রামে সূর্য সেন এবং তাঁর সাথীরা আর্মারি এবং ট্রেজারি দখল করে  ১৪ দিনের জন্য চট্টগ্রাম স্বাধীন করে ইন্ডিয়ান রেভ্লুশনারি গভরন্মেন্টের পতাকা তুললেন। 
    তারপর জালালাবাদ পাহাড়ের সংঘর্ষে  ৮০ জন ব্রিটিশ সৈনিক মারা গেল এবং  প্রীতিলতা ও ১৪ জন বিপ্লবী শহীদ হলেন। মাস্টারদার ফাঁসি হল, অনেকের কালাপানি।
     
    কিন্তু সাভারকর ভারতে এসে কোন সশস্ত্র সংগ্রাম করলেন?  চুলোয় যাক কংগ্রেস। 
  • | 103.76.82.160 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ১৯:৫১738321
  • কে কেন কতগুলো মুচলেখা লিখছে, কি ট্যাকটিক্স মাথায় ভাবছে, কে পণ্ডিচেরি গিয়ে আশ্রম খুলে জীবন কাটাচ্ছে, গোটা দেশের রাজনৈতিক আনরেস্ট সিচুয়েশনে সেগুলো খুব ম্যাটার করে বলে মনে হয় না। নিজের নিজের কেরিয়ার অপশন বা জীবনযাত্রার অভিমুখ নির্বাচন। দেশটা ইংরেজের থাক বা স্বাধীন হোক, নিজের ইমপর্ট্যান্স বজায় রাখা বা রিলিজিয়াস বা পাওয়ার পলিটিক্স কন্ট্রোল করার জায়গাতে পৌঁছনো, মাস ইনফ্লুএন্স করা বা মবিলাইজ করার ক্ষমতা অর্জন করা - এটাই অ্যাম্বিশন। 
    কিন্তু সাভারকর ইসলামোফোব হয়ে উঠল কেন? আন্দামানে কিছু হয়েছিল? হিন্দুত্ব নিয়ে এত চেগে উঠল কেন? হিন্দু মুসলমানে ধর্মের বেসিসে দেশ ভাগাভাগি করলে রিলিজিয়াস আইডেন্টিটিতে পাওয়ার প্র্যাকটিশের সুবিধে হবে বুঝতে পেরেছিল?
  • : | 2405:8100:8000:5ca1::b:cb43 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২০:০৩738322
  • ,
    My Transportation for Life পড়ুন। আন্দামানে মুসলমানদের বিষয়ে খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তাদের মাথায় ব্রিটিশ আশির্বাদের হাত ছিল।
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২০:১৫738323
  • নেতাজির বেতার ভাষণে আপীল।
     
    এসব নিয়ে যথাসময়ে আলোচনা হবে। কংগ্রেসের দোদুল্যমানতাও বাদ যাবে না। সবারই ভুল এবং কিছু ঠিক আছে। সাভারকরের থেকেও শেখার আছে। 
  • Ranjan Roy | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২০:৪০738324
  • আজ্ঞে পড়েছি। তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতা তো একার নয়। একই সময়ে বারীন্দ্র, উপেন্দ্র ,হেমচন্দ্রও  ছিলেন।
    তাঁদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
     বারীনের " দ্য টেল অফ মাই এগজাইল" এবং উপেন্দ্রনাথের "নির্বাসিতের আত্মকথা" ও মহারাজের "জেলে তিরিশ বছর" মিলিয়ে দেখুন। পাঠান ওয়ার্ডারের খারাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কমবেশি সত্যি, আবার বিপরীত উদাহরণও ওরা লিখেছেন।
    কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে অন্য কোন বিপ্লবী অমন মুসলমান বিদ্বেষী হন নি।
     এসব নিয়ে তথ্যের পরীক্ষা ওনার আন্দামান পর্ব পর্যায়ে হবে।
    আপাততঃ আজ রাতে লণ্ডন পর্বের অসাধারণ সাভারকর নিয়ে কথা বলব।
  • kc | 188.236.130.45 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২১:৫৪738325
  • রঞ্জনদা, সাভারকারের বিতর্কিত অংশটাতেই থাকুন প্লিজ।
    বিক্রম সম্পতের বইতে শওকত আলীর সঙ্গে সাভারকারের সাক্ষাৎকারের পার্টটা পুরোটা তুলে দেওয়া আছে পুরোনো পত্রিকা থেকে। দারুণ অংশটা।
     
    আর সাঁইত্রিশ সাল অবধি ঠারে ঠারে কোনও রাজনৈতিক কথা বললেই ভালো মতন হুড়কো খেতেন সরকার থেকে। সরকার এই লোকটাকে কোনোদিনও বিশ্বাস করেনি, ভালমতন ভয়ই পেয়ে এসেছে। 
     
    একটা কমপ্লিট শিরদাঁড়াওয়ালা লোক, গান্ধীজির মতোই, সঙ্গে এমকেজির মতন ভাষার মারপ্যাঁচ জানা টোটাল মানুষ। যাকে গোলওয়ালকরও হজম করতে পারেননি।
  • Titir | 2405:8100:8000:5ca1::2c:e19 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২২:০১738326
  • উপেন্দ্রনাথ নির্বাসিতের আত্মকথায় লিখেছিলেন --

    "মুসলমানদের মধ্যে সহানুভূতিও আছে, আর ভাত খাওয়াইয়া হিন্দুর জাত মারিবার ইচ্ছাও একটু একটু আছে।"

    অন্যত্র --

    "আমরা যে পরাধীন সে দোষ কার? ইংরেজের ঘাড়ে ষোল আনা দোষ চাপিয়ে দিতে পারলে আমরা অনেকটা নিশ্চিন্ত হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে গালাগাল দিতে পারি বটে, কিন্তু মন তাতে প্রবোধ মানে না। যখন দেখতে পাই যে, ইংরেজ এদেশে আসবার আগে থাকতেই আমরা স্বাধীনতা হারিয়ে বসে আছি, ইংরেজের আগে মোগল-পাঠানের গোলামিও আমাদের করতে হয়েছে, তখন একথা অস্বীকার করবার আর উপায় থাকে না যে, আমাদের মধ্যে এমন একটা কিছু আছে যা দেখলে অপর জাতের আমাদের ঘাড়ে লাফিয়ে পড়বার বিষম একটা প্রলোভন হয়।"

    সাভারকরও এই ইতিহাস ভাবতে বসে হিন্দুত্বের তত্বে পৌঁছাচ্ছেন। কিন্তু হিন্দু মহাসভার প্রস্তাবিত সংবিধান মেজরিটিদের বা মাইনরিটিদের সুবিধা দেওয়ার কথা বলেনি, সবার ধর্মাচরণের স্বাধীনতা থাকবে বলেছিল। এমনিতে সাভারকর উনি নাস্তিক মানুষ, জাতপাত মানতেন না, সব জাতের জন্য ক্যান্টিন খুলেছিলেন। হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অন্যরা সামনে গরু দাঁড় করিয়ে রেখে যুদ্ধ করত, হিন্দুরা গোমাতার জন্য ব্যাকফুটে থাকত, গোরু নিয়ে এই ভক্তিভাবও উনার অপছন্দ ছিল।
  • As you wish | 2a0b:f4c2:1::1 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২২:৪২738327
  • Shaukat Ali: I hope you received the message that I sent across to you earlier?
    Savarkar: Yes, indeed. And for the cause of Hindu–Muslim unity, I have set aside the issue that you consider contentious—that of Hindu sangathan [unity].
    SA: Oh that’s wonderful news! We have striven so hard to attain Hindu–Muslim unity. In the wake of that, this sangathan campaign unnecessarily vitiates the atmosphere. The Muslim community automatically asks leaders like me that if the Hindus are going to unify, so are we. Hence for the sake of swaraj and for the cause of our helpless nation, it is best if all Hindus count themselves only as Indians and forget these religious differences. It always pained me that a patriot like you who has suffered so much for the cause of the nation’s freedom is unnecessarily getting embroiled in all these communal issues. Now that you say you have eschewed it, it is a big relief for me!
    S: What you say is absolutely true, Maulana Sahab. However, I have not publicized my
    announcement to abandon the sangathan movement only in anticipation of a single commitment from you.
    SA: And what is that?
    S: I wish to know from you when you plan to abandon the Khilafat movement and All-Ulema movement? Once I know that, I will immediately give up my movement too.
    SA (angrily): How is that possible? Be practical and think coolly. A foreign force has occupied us and is hell-bent on ruining both our communities. In such a scenario, instead of uniting, if you organize these sangathan movements, how can we face the external challenge? And do please remember that all through history, you Hindus have always been defeated by Muslim forces. So let us not create false equivalences here. Joining hands with the Muslims is the only way out for Hindus if they wish freedom.
    S: This conversation is going nowhere. I am not permitted to dabble in politics. Hence I will not get into political discourses. Just suffice it to say that even before you and people like you began public careers, several of my comrades and I were neck-deep into revolutions and political life. Hence lessons to us on politics might be unnecessary. Secondly, regarding history, you must know that Arabia might have had a thousand-year history, but not Hindustan. And each time, we have been beaten, we have given it back with interest. From Attock to Rameswaram it was the
    Marathas who held sway over India, snatching from the Mughals. Hence let us not get into all these polemics. Just answer the limited question that I have asked about when you plan to abandon Khilafat and Ulema movements.
    SA: Look, we never conducted the Khilafat in secrecy. Hindus have nothing to fear from it as it is being led by a Hindu after all [Gandhi].
    S: Possible. If Khilafat is not supposed to be dangerous because it is led by a Hindu, why should Hindu sangathan which is also led by a Hindu become dangerous? You are saying that the Hindus need to trust the Khilafat only because it has a Hindu leadership and the movement on the other hand is not trustworthy only because it has not got a Muslim to lead it. I ask you that when for the sake of communal unity and for the country the Hindus disregarded their apprehensions and lent their support to the Khilafat in their thousands, why can we not find even a handful of Muslims who, for the sake of the same unity and nation, support a Hindu sangathan movement too? In fact in gratitude towards the Hindus for standing with them, shoulder to shoulder, for a cause that is dear to them, the Muslims too must reciprocate and lend their support to Hindu unity. Where has there been any secrecy in sangathan, just as you claim there
    is none in Khilafat? It is no secret society. Instead of looking into the surreptitious nature of the Aga Khan mission or Hasan Nizami mission, why do you advise Hindus? Whatever happened in Malabar, Gulbarga, Kohat . . .
    SA (interrupting): What happened in Kohat? Hindus have not complained, please ask Gandhi.
    S: Let us not bring Gandhi into this. He has given several statements, which are quite
    economical with the truth even in the past. During the Malabar riots he did mention that just one Hindu was converted forcibly. The facts staring us in the face say otherwise. Hence I will not take into account his statements at all. I think we are going around in circles. Kindly answer me whether for the sake of the country and its unity you will completely eschew divisive movements like Khilafat and those that forcibly convert Hindus. The very next moment I pledge to wind up the sangathan and will prevail upon all my colleagues to do the same.
    SA: But preaching our religion to Hindus is an integral part of our faith. Just this morning I met a young man who told me that last night he had a dream where God Almighty appeared and advised him to save himself by becoming a Muslim. I immediately directed him to the nearest mosque so that he could convert. Now this is no coercion; people are taking up the true faith out of their own enlightenment.
    S: Okay, let me agree with you for a moment. Likewise, tomorrow if a Muslim young man
    comes to me and narrates his dream where he was guided to become a Hindu, why can I not use shuddhi to make him one? After all that is what is shuddhi, there is no coercion here too, it is completely voluntary.
    SA (angrily): Fine, you carry on with your shuddhi, and we will with our tabligh [conversion]. Let’s see who wins. We are one unit; we do not have the scourge of castes and untouchability or regional differences like your community.
    S: No provincial differences? It was by taking advantage of the differences between Durrani and Mughal Muslims, southern and northern Muslims and Sheikh and Sayyid Muslims that the Marathas overthrew the Mughal Empire. Shia–Sunni riots are a hundred times more violent and prevalent than Shaiva–Vaishnava ones that do not happen. The Sunnis recently killed an Ahmadi Muslim in Kabul by stoning him. The Bahavis think all other denominations of Muslims are worthy only of being killed or condemned to hellfire. Speaking of untouchability, I know of several Bhangi Muslims who are not allowed to touch the water of other Muslims or offer prayers in mosques with their co-religionists. In Travancore, a riot recently occurred between touchable and untouchable Christians. Maulana Sahab, the hearths of all houses are made of the same brick! I am a little aware of Muslim theology, history and literature. Hence I can confidently make these assertions to you. If you say that you are a united force of 7 crore Muslims, how did the Hindu Marathas overthrow you? How did the British manage to take over India?
     
    [to be continued]
  • kc | 188.236.130.45 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২৩:৫১738328
  • লোকটাকে কেউ হজম করতে পারেনি, আজকের ডেটে বিজেপি / আরএসেসও পারেনা, শুধুমুধু ফেবু আর হোয়া ইউনির ঘোমটায় খেমটা নেচে চলে।
  • | 103.76.82.160 | ৩১ আগস্ট ২০২২ ২৩:৫১738329
  • আন্দামানে মুসলমানদের বিষয়ে খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল -- এই জায়গাটা আরেকটু ডিটেলসে লাগবে। When he was 12, he led fellow students in an attack on his village mosque following Hindu-Muslim riots, stating: "We vandalized the mosque to our heart's content." - এইটে কী ব্যাপার? Ref1, Ref 2 
     
    দেখুন, বছরের পর বছর ধরে কেহ বা কাহারা প্রতিদিন আমার পেছন মেরে থাকলে তাহার বা তাহাদের প্রতি আমার বিষাক্ত ক্রোধ জন্মানো অস্বাভাবিক নয়। সেটি জেনারেলাইজ করে কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ বিদ্বেষ জন্মানো ব্যক্তিমানুষটির নিজস্ব মানসিক সমস্যা। কিন্তু ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতি থেকে কেউ একটা দেশের ভবিষ্যৎ নড়বড়ে করে দেওয়ার মতো দর্শনের আমদানী করে তাতে কিছু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাবস্ক্রাইব করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করলে ফিলোজফিটির ভ্রূণ থেকে গড়ে ওঠার যাত্রাপথটাকে অ্যানালাইজ করতে হবে, ফ্লগুলিকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। 
     
    এখানে ভ্রূণ বলতে তো ওই আন্দামানের পাঠান ওয়ার্ডেন - যা বুঝলাম। সাভারকর কি আকৃতি প্রকৃতিগতভাবে খানিক মেয়েলি ছিলেন সে সময় বাকি রাজবন্দীদের তুলনায়? তাকে এমন কিছু বেশি ফেস করতে হয়েছিল, যা অন্যদের হয়নি?
    আর যদি আন্দামান ভ্রূণ না হয়, ছোটো থেকেই এই ইসলামোফোব নেচারটা থেকে থাকে, তবে ফিলোজফিটাকে অন্যভাবে ট্রীট করতে হবে আজন্ম বা আবাল্য পারিবারিক বা প্রতিবেশী পরিবেশ পরিস্থিতির সাপেক্ষে।
     
    ডিঃ সাভারকার বিন্দুমাত্র পড়িনি, পড়ার ইচ্ছেও নেই। যারা পড়েছেন,তারা বলে দিলেই হবে। তারা ঠিক বলছেন কিনা সে তো পীয়ার রিভিউ হচ্ছেই।
  • Ranjan Roy | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:১২738330
  • আন্দামান পর্বে দেব।
  • Amit | 115.64.232.185 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:১৩738331
  • সাভারকর পড়িনি। লেখাগুলো ভালো লাগছে। একটা প্রশ্ন। 
     
     ওনার যে স্টেটমেন্ট -"" হিন্দু মহাসভার সদস্য হলে কংগ্রেসের মেম্বার হওয়া যাবেনা। অথচ মুসলিম লীগের সদস্য হলে হতে বাধা নেই। "" - এটা কি সত্যি ?
     
    যদি এটা সত্যি হয় তাহলে তো দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস শুরু থেকেই সিলেক্টিভ একটা সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে চলছে। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:২৮738332
  • খুব ভালো হচ্ছে এই টই। তর্কবিতর্ক থেকে নতুন নতুন ব্যাপারগুলো বের হয়ে আসুক। ক্ষমতার সমীকরণ কষা লোকেরা নিজেদের স্বার্থে ঢাকা-চাপা দিয়ে দিয়ে রেখেছে যা এতদিন।
  • Ranjan Roy | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৪৭738336
  • অমিত
     না সত্যি নয়। 
    কংগ্রেস গোড়া থেকেই  একটি ঢিলেঢালা গণ সংগঠন গোছের ব্যাপার । তাতে যে কোন দল বা ধর্মের লোকের চার আনা ফি দিয়ে সদস্য হতে বাধা ছিল না। তাই কম্যুনিস্ট মানবেন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে হিন্দু রাজনীতির পক্ষধর মদনমোহন মালবীয়(হিন্দু মহাসভার ফাউন্ডার) , রাজেন্দ্রপ্রসাদ , পুরুষোত্তম দাস ট্যান্ডন, রাজাগোপালাচারী, লিবারেল নেহেরু, সোশ্যালিস্ট অরুণা আসফ আলী, , আবুল কালামের মত মৌলানা,  সবাই কংগ্রেসের মেম্বার ছিলেন।
    ১৯৪০ নাগাদ হিন্দু মহাসভা এবং জিন্নার মুসলিম লিগের সক্রিয়তায় কম্যুনাল হাওয়া গরম হলে কংগ্রেস ওই দুটো দলের সদস্যদের জন্যেই দরজা বন্ধ করে দেয়। 
     
    আমি নেতাজির কথা তুলে দিচ্ছি। উনি কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে  একটি প্রস্তাব পাশ করান যার সারমর্মঃ  কংগ্রেস সদস্যদের  মুসলিম লীগ বা  হিন্দু মহাসভার সদস্য হওয়া চলবে  না। 
     
     ১৯৪০ সাল।  উনি তখন কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে ফরওয়ার্ড ব্লক দল গঠন করেছেন। পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের  মুখপত্রে মে ১৯৪০ এর সম্পাদকীয়তে  লিখলেনঃ
     
    "That was a long time ago when prominent members of  the Congress could be the members of the communal organisations like Hindu Mahasabha and Muslim League. But in recent times, the circumstances have changed. These communal organisations have become more communal than before. 
    As a reaction to this, the Indian National Congress has put into its constitution a clause to the effect that no member of a communal organisation like Hindu Mahasabha and Muslim League can be a member of an elective committee of Congress".
     
    August, 1942; জার্মানি থেকে বেতার ভাষণে নেতাজি  একাধারে জিন্না ও সাভারকরকে ব্রিটিশের সংগে সমঝোতার জন্যে তিরস্কার করে বললেন যে শেষবারের মত বলছি, আগামী দিনে দুনিয়ায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বলে কিছু থাকবে না। 
     
    একটা জিনিস খেয়াল করুন।
    নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজে গান্ধী ব্রিগ্রেড, নেহেরু ব্রিগ্রেড ছিল। রাণী ঝাঁসি রেজিমেন্ট ছিল। কিন্তু কোন সাভারকর ব্রিগ্রেড ছিল না। 
     
  • Amit | 121.200.237.26 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৪৮738337
  • নেতাজির একাউন্ট টা নিয়ে এগ্রিড। তবে এটাতে যা দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহাসভা বা মুসলিম লীগের কেউ কংগ্রেস এর ইলেক্টিভ কমিটির মেম্বার হতে পারবে না। এটা কি জেনারেল মেম্বারশিপ এর জন্যে ও আপ্পলিকেবল ছিল ? মানে সাভারকার ​​​​​​​যে ​​​​​​​পয়েন্ট ​​​​​​​টা ​​​​​​​তুললেন ​​​​​​​সেটার ​​​​​​​সত্যতা ​​​​​​​কতটা ? 
     
     
     
  • | 2405:8100:8000:5ca1::1a2:5ee | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৫৮738341
  • মদনমোহন মালব্যকে কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল।
  • Ranjan Roy | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:১৮738343
  • ঠিক কথা  
    Malavya ji কংগ্রেস ছেড়ে ছিলেন 1935 সালে। তার আগে 1922 এবং 1923 সালে উনি  Gaya ও  কাশী শহরে হিন্দু মহাসভার  দুটো স্পেশাল সেশনে  সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন,  কোন অসুবিধে হয় নি 
  • Ranjan Roy | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৩১738344
  • অমিত
      ওটা বাজে অজুহাত। নেতাজি কী বলেছিলেন তাতেই স্পষ্ট। 
       সভারকর অগ্রণী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।  কিন্তু পঞ্চাশ বছর পরে স্মৃতি ভিত্তিক বক্তব্যে অনেক ভুল আছে। 
    যেমন ওর পরামর্শে নেতাজি বিদেশে গেছিলেন। 
    আরো আছে,  গদর পার্টি ও লালা হরদয়াল নিয়ে।  যথা সময়ে হবে। 
    মোদ্দা কথা,  নেতাজি তো কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে  যুদ্ধ করালেন।  savarkar ও চাইলে পারতেন। 
    নেতাজি তো ওনার  সমর্থন চাইতেই দেখা করেছিলেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন