এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • মায়েদের বলা মিথ্যে গল্পগুলোঃ পাঠ-প্রতিক্রিয়া

    রঞ্জন রায়
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ১৩ নভেম্বর ২০২২ | ৩৮০৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)

  • [বইটির নাম “Lies Our Mothers Told Us—The Indian Woman’s Burden”; লিখেছেন নীলাঞ্জনা ভৌমিক।]

    বন্ধুরা বলেন--একুশ শতকে ভারতের মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের সমাজে পিতৃতন্ত্রের ভিত এখন অনেক দুর্বল, থাম গুলোয় ফাটল দেখা দিচ্ছে। মেয়েরা এখন পুলিশ- মিলিটারি- প্রশাসন - সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সবেতেই উঁচু পদে বসছেন।


    তাই কি? একজন ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার  বা একজন এ পি জে আবদুল কালামের রাষ্ট্রপতি হওয়ার উদাহরণ দেখে কি ভারতে মেয়েদের এবং অল্পসংখ্যকদের বাস্তবিক অবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত টানা যায়?


     আইনের চোখে তো মেয়েরা পুরুষের সমান—সেই সংবিধান প্রণয়নের দিন থেকেই। রয়েছে নারীপুরুষের ভোট দেবার সমান অধিকার। কিন্তু গাঁয়ের দিকে ক’জন ঘরের বৌ নিজের ইচ্ছের ক্যান্ডিডেটকে ভোট দিতে পারে? বেশির ভাগের ভোট দেবার নির্ণয় কী আগে ভাগে পরিবারের কর্তাব্যক্তিটি ঠিক করে দেন না?


    আচ্ছা, দেশের জনসংখ্যায় নারী -পুরুষের অনুপাতের কী অবস্থা? পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট বলছে ইদানীং জেন্ডার গ্যাপ অনেক কমেছে, প্রতি ১০০ জন মহিলা পিছু ১০৮ জন পুরুষ, প্রায় সমান সমান।[1] তাহলে সংসদে নারী-পুরুষ জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও প্রায় সমান সমান না হোক, কাছাকাছি হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সমান সমান ছেড়ে দিন, সংসদে ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্যে এক-তৃতীয়াংশ সিট রিজার্ভ করার জন্যে সংবিধান সংশোধনের বিল(২০০৮) আজও পাশ হয় নি।


    পঞ্চায়েতের জন্যে ১/৩ সীট মহিলাদের জন্য এখন সংরক্ষিত। মহিলারা এখন পঞ্চায়েত-প্রধান বা  সরপঞ্চ হতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে কী হয়? বর্তমান সমীক্ষকের হাতে-গরম অভিজ্ঞতা বলে মহিলা-সরপঞ্চের বদলে তাঁর পতিদেবতা বৈঠকে আসেন। তিনি  খরচার জন্যে অনুমোদিত নোটশীটে এবং ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চেকে মহিলার দস্তখত  করিয়ে নিয়ে আসেন অথবা বৈঠকে উপস্থিত মহিলা সরপঞ্চ হালকা ঘোমটা টেনে কোন রা’ না কেড়ে পতিদেব যা বলেন তাতে সায় দেন। তাই গাঁয়ের দিকে দু’দশক ধরে একটা নতুন শব্দ চালু হয়েছে—‘সরপঞ্চ পতি’।


    ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটা ব্যতিক্রমই। এটুকু বলা যায় যে ব্যতিক্রমের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। আশার কথা, এতদিন ম্যারিটাল রেপের অবধারণা নিয়ে কথা বলাই ব্ল্যাসফেমির পর্যায়বাচী ছিল। কিন্তু ইদানীং সুপ্রীম কোর্টের কিছু রায় দেখে (যেমন মেয়েদের স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের অধিকার) আশা জাগছে।


     আমার পরিচিত দু’জন মেয়ে আইন পড়ার সময় ম্যারিটাল রেপ নিয়ে ফিল্ড স্টাডি করার সময় কথা বলেছিল উকিল এবং পুলিশ অফিসারের সঙ্গে। তাঁরা ভারতীয় প্রেক্ষিতে ‘ম্যারিটাল রেপ’ ধারণাটিকে পাত্তা দিতে নারাজ।


    তাঁদের মতে প্রজাপতির নির্বন্ধে বিয়ে ঠিক হয়েছে।মেয়েটি সপ্তপদী গমন এবং যজ্ঞের মাধ্যমে স্বামীকে নিজের শরীর ছোঁয়ার অধিকার তো দিয়েই দিয়েছে। এ নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলা মূর্খতা। কেন?


    ওঁদের মতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর মেয়েটি স্বামী যখন চেয়েছে তখন দেহদান করেছে—আজ হঠাৎ না করবে? ন্যাকামি?আরে স্বামীর ওই অধিকার তো এত বছরে ব্যভার সিদ্ধ। আজ নতুন কথা বললে সেটা শোনা হবে কেন?


    যখন বলা হল—ধরে নিলাম আপনার কথা ঠিক, কিন্তু এত সব সত্ত্বেও কি কোনদিন মেয়েটির শারীরিক ক্লান্তি বা মানসিক যন্ত্রণা (ধরুণ, বাবা-মার অসুখের খবর পেয়ে) তাকে –আজ নয়, বলতে প্রেরিত করতে পারে না? আর তখন স্বামীদেবতাটি নিজের পাওনাগণ্ডা যদি জোর-জবরদস্তি করেন সেটা কি আইনের পরিভাষায় ম্যারিটাল রেপ হবে না?


    না, ওঁরা শুনতেই চান না।


    কখনও বিশিষ্ট হিন্দি কথাসাহিত্যিক শ্রীমতী মন্নু ভাণ্ডারী তাঁর একটি গল্পে লিখেছিলেন যে অফিসে পুরুষ সহকর্মীরা মহিলার পদোন্নতি সহ্য করতে পারেনা, তাঁর  দক্ষতাকে মেনে নিতে পারে না। তাই চাকরিতে এগিয়ে যাওয়া মহিলাকে নিয়ে মুখরোচক দ্বিপদী তৈরি হয়—ইয়া তো বড়ে ঘর কী বেটি, নহীঁ তো অফসর সঙ্গ লেটি।


    প্রমোশন পেয়েছে? হয় ক্ষমতাশালী পরিবারের মেয়ে, নয় বসের সঙ্গে শুয়ে।


    মনে হয় ওসব স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের বিবর্ণ সাদাকালো ছবি। আজ ওসব অপ্রাসঙ্গিক।


    কাজের ক্ষেত্রে মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে রয়েছে বিশাখা আইন। অফিসে বড়কর্তাটি নিজের চেম্বারের নিরাপদ ঘেরাটোপে অল্পবয়েসি স্টেনো বা পিএ মেয়েটিকে চেপে ধরে হামলে চুমু খাচ্ছেন—এ ঘটনা আজকাল বিরল।


    মজাটা হল এসবই  ছেলেদের চোখে দেখা মেয়েদের দুনিয়া। কিন্তু মেয়েদের চোখে? পর্দার ওদিক থেকে দেখলে? মেয়েরা যখন মেয়েদের কথা বলবে? সেই মেয়েরা, যারা না সমাজের উঁচুস্তরের সুবিধাপ্রাপ্ত পরিবারের, আর না নীচুতলার খেটেখাওয়া পরিবারের।


    বলতে চাইছি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের কথা। আজ ‘মহানগর’ সিনেমার আরতিকে ঘর থেকে বেরিয়ে চাকরি খুঁজতে পরিবারের অন্যদের পূর্ব অনুমতির দরকার হয় না। পারিবারিক বাজেটে বড়সড় যোগদানের ফলে ঘরেলু সমস্যা্র সমাধানে যাদের কণ্ঠস্বর কিছুটা হলেও শোনা হয়, তারা কতটা সফল? কতখানি নিজের জীবন নিয়ে নির্ণয় নেবার অবস্থায় আছেন?


     তাঁদের অফিসে কেউ মেয়ে বলে রেয়াত করবে না। মাইনে তো সমান সমান, তাহলে বিশেষ ছাড় কেন? এমনিতেই তো মাসে ক’দিন ভগবানের ভুলে ঘরে থাকে, আবার বাচ্চার মা হবার সময় তিন থেকে ছ’মাস!      


    তবু ঘরে এসে রান্নার কাজ, ঘর পরিষ্কারের কাজ খানিকটা হলেও সামলাতে তো হবে। বাচ্চাদের হোমটাস্ক করানো? স্কুলে পৌঁছে দেওয়া, ফেরত আনা? ক’জন বাড়িতে সর্বক্ষণের না হলেও রান্না এবং ঘরের বাকি কাজ, কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার ইত্যাদির জন্যে আলাদা আলাদা কাজের মাসি রাখতে পারেন?


    তারপর আরও আছে।


     রাত্তিরে অবুঝ স্বামী? এখন সন্তান চাই, নাকি কিছুদিন স্থগিত রাখা যায়? কজন চাকরি করা মেয়ে বরের পারমিশন না নিয়ে অফিস থেকে বা ছুটির দিনে নিজের বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে বা রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে পারেন?


    যদি পালটা প্রশ্ন করা যায় যে স্বামীদেবতাটি কি অফিস ফেরত বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে বা মদ খেতে যাবার আগে স্ত্রীর পারমিশন নেন?


    কী অ্যাবসার্ড প্রশ্ন! আমার মাইনের টাকায় যদি কখনও সখনও কিছু এদিক সেদিক খরচা করি তার জন্যে বৌয়ের অনুমতি নিতে হবে? মামাবাড়ির আবদার! আর আমরা, আধুনিক প্রগতিশীল পিতা বা পার্টনারের দল কি ঘরের কাজকর্মে হাত লাগাই না? রান্না বা বেবিকেয়ারের ক্ষেত্রে  বৌকে সাহায্য করি না?


    সত্যিই কি অবস্থা খুব বদলে গেছে?


    কিছু তথ্য দেখা যাক।


    একটি সার্ভে বলছেঃ বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভারতবর্ষের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি খেটে মরে। “Women are overworked, underpaid, and more stressed: Deloitte Study’.[2]


    ভারত সরকারের ২০১৯ সালের সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে মহিলারা প্রতিদিন গড়পড়তা  ২৯৯ মিনিট ঘরের কাজে ব্যয় করেন এবং ১৩৪ মিনিট বাচ্চা ও বুড়োদের দেখাশুনোয় (কেয়ার গিভিং ডিউটি)। সেখানে পুরুষের বরাদ্দ গড়ে ৯০ মিনিট ঘরের কাজ আর ৭৬ মিনিট দেখাশুনোর কাজ। [3]


    আমাদের দেশে মহিলারা ঘরের কাজের প্রায় ৮২% এবং দেখাশুনোর ২৮% দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে ওই অনুপাতটি যথাক্রমে ঘরের কাজের জন্যে  ২৬% থেকে সামান্য বেশি এবং দেখাশুনোর ১৪% মাত্র।[4]


    আচ্ছা, ঘরের কাজের যদি মূল্যায়ন করা যায়? মিনিমাম ওয়েজ ধার্য করা যায়? এব্যাপারে আমাদের আদালত কী বলেন?



    • মুম্বাই হাইকোর্ট ঘরে বাইরের চাপে ২০১৫ সালে আত্মহত্যা করা প্রিয়ংকার মৃত্যুর দায় থেকে ওর শাশুড়ি এবং স্বামীকে এই বলে অব্যাহতি দিয়েছিল যে ভোর চারটেয় উঠে ঘরের কাজ সেরে বাইরের কাজ করতে বেরিয়ে ফের সন্ধ্যায় ঘরে ফিরলে মেয়েটিকে ঘরের আরও কাজ করতে বলাকে আদৌ নিষ্ঠুরতা বলা যায় না। এসব তো বিবাহিত তিরিশ বছরের মেয়েটির দৈনন্দিন দায়িত্বের অংশ।[5]
    • কর্ণাটক হাইকোর্ট ২০০৬ সালে স্টেট বনাম কৃষ্ণা পরশরাম কেসে বলেন-আলসে এবং ঘরের কাজ করতে অনিচ্ছুক বউকে বারবার ঠিকমত কাজ করতে, কাজে মন লাগাতে এবং শ্বশুরবাড়ির কথা শুনতে চাপ দেওয়া নিষ্ঠুরতা নয়। এর জন্য মহিলাটি আত্মহত্যা করলেও স্বামী এবং শাশুড়ি দায়ী নন।
    • কেরালা হাইকোর্ট মনে করে শাশুড়ি যদি ঘরের কাজ করার জন্যে ছেলেবৌয়ের উপর কিছু জোর খাটিয়ে থাকেন (সার্জারির পরও ঘরের কাজ করতে বাধ্য করা, গায়ে হাত তোলা) সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়! [6]
    • অথচ দিল্লি হাইকোর্টের রায় বলছে যদি নতুন বৌ নিজের ঘরে চুপচাপ থাকতে চায়, ঘরের কাজে উৎসাহ না দেখায় সেটা শ্বশুরবাড়ির প্রতি বৌয়ের নিষ্ঠুরতার প্রমাণ নয়[7]  
    • তবে সুপ্রীম কোর্ট জানুয়ারি ২০২১এর একটি রায়ে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে আদেশ দেয় যে মহিলাদের ঘরের কাজকে ‘আনপেইড ওয়ার্ক’ ধরে তার মূল্য ঠিক করে ক্ষতিপূরণ দিতে। [8]


    অথচ, ১৯৯৮-৯৯ সালের সরকারি সার্ভে মেয়েদের ঘরের কাজকে ‘নন-প্রোডাক্টিভ ওয়ার্ক’ বা অনুৎপাদক শ্রমের পর্যায়ে ফেলেছিল।


    হাওয়া বদলাচ্ছে, সুপ্রীম কোর্টের উপরের রায়ের পর বিতর্ক উঠেছে যে কীভাবে মহিলাদের ঘরের কাজ এবং বাচ্চা সামলানোকে ‘আন-পেইড’ কাজ স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রের থেকে ন্যাশনাল পলিসি নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে -স্বামীর পকেট থেকে নয়—সরকার থেকে একটি নির্ধারিত টাকা মহিলাদের দেয়া যায় কিনা


    ওসব তো ভবিষ্যতের কথা। কবে ন’মণ তেল পুড়বে আর কবে রাধা নাচবে!


    বর্তমান অবস্থাটি কীরকম?



    ‘Modern Indian women are burdened with so much housework and caregiving that they are leaving their hard-won financial independence, dropping out of schools, and dropping off the labour force. Many women self-identify as housewives but work in low paid jobs in the informal sector, and their struggle with the ‘double shift’ is largely invisible’.[9]


    পিটিআই জানাচ্ছে যে একটি ন্যাশনাল পোর্টালে ২০২১ সালে নাম রেজিস্ট্রি করা ৪০ মিলিয়ন ইনফর্ম্যাল বা অনিয়মিত শ্রমিকের মধ্যে আদ্দেকের বেশি মহিলা।


    ‘These women soldier on, unhappy, stressed, and overworked, knowing they deserve better, that they deserve more, that they need help, but not knowing how, or whom to ask’.[10]


    হ্যাঁ, ওই মহিলারা তাঁদের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা, অসুখী মন এবং ভাঙা স্বপ্নের ভার বহন করে খেটে চলেন উদয়াস্ত, ঘরে-বাইরে। অভিনয় করেন তথাকথিত ভাল নারী, ভাল বৌ, ভাল মা হবার। আর নিজেকে কুয়াশায় ঢেকে গড়ে তোলেন এক মহিমামণ্ডিত জ্যোতির্বলয়।


    দেখেছ, কী ভাল!  হাসিমুখে ঘরে-বাইরে কেমন সামাল দিয়ে চলছে। মডার্ন হলে কী হবে, আমাদের দেশের কালচার, সনাতন ঐতিহ্য সব মেনে চলে।


    তোর আর কি চিন্তা! অমন গুণের বৌ পেয়েছিস, হিংসে হয়। আমার না, কী আর বলব, সবই তো বুঝিস।


    সত্যি মাসীমার কত গুণ!  


    আরেকটি ব্যাপার ঘটে। সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল ধরে নিয়ে অনেক মেয়ে চাকরি ছেড়ে ফের হাউস ওয়াইফ হয়ে যান, নিজের পড়াশুনো,  অনেক পরিশ্রমে গড়ে তোলা  ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়ে ‘পুনর্মুষিকঃ ভব’ হয়ে সেটাকেই তাঁর নিয়তি বলে মেনে নেন।


    কিন্তু তাঁর অন্তর্মন কি সেটা স্বীকার করে? সেটা জানতে হলে আমাদের শুনতে হবে মেয়েদের কথা, উদারহৃদয় পুরুষ স্বামী বা সন্তানের মুখে নয়, তাঁদের অন্তরঙ্গ আলাপন, মন খুলে বলা গোপন কথাগুলো।


    এত সাতকাহন বলার একটাই কারণ। ইদানীংকালের লেখা একটি বই আমাকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বুঝতে পারছি যে ঘরের কাজে সামান্য যতটুকু সাহায্য করি বা টেনশন ভাগ করে নেওয়ার ভান করি, সেটা ভানই। যেটা হওয়ার কথা ছিল শ্বাস-প্রশ্বাসের মত স্বাভাবিক –সেটাকে নিজের বিশেষ ব্যতিক্রমী ভূমিকা বলে বিশ্বাস করি এবং তার জন্যে ভ্যালিডেশন এবং সার্টিফিকেট আশা করি। একটুখানি কৃতজ্ঞতাও কি?


    বইটির নাম “Lies Our Mothers Told Us—The Indian Woman’s Burden”; লিখেছেন নীলাঞ্জনা ভৌমিক। এতে কুড়িটি পরিচ্ছেদে মধ্যবিত্ত মহিলারা নিজেদের এই ঘরে বাইরে খেটে মরা এবং মুখ বুজে ‘গুড কন্ডাক্টের’ সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রবঞ্চনার কথা তাদের নিজেদের ভাষায় বলেছেন।


     প্রখ্যাত সমাজতাত্ত্বিক এবং নারীবাদী আন্দোলনের প্রধান মুখ কমলা ভাসিন বলতেন—মেয়েরা কবে মুখ ফুটে নিজেদের কথা বলবে?


    এই বই সেই জিজ্ঞাসার উত্তর।


    নীলাঞ্জনা সততার সঙ্গে এই আখ্যান শুরু করেছেন তাঁর মায়ের ইন্টারভিউ দিয়ে। মা ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। চাকরি করতেন, সেখানেও গঞ্জনা শুনতেন এবং প্রমোশন নিতেন না। নিলে তাঁর ট্রান্সফার হবে, অথবা বেশি বেশি কাজের দায়িত্ব নিতে হবে। রাতবিরেতে এমার্জেন্সি কল অ্যাটেন্ড করত হবে। ঘড়ি ধরে সময়ে বাড়ি ফেরা হবে না।


    তাহলে তাঁর দুই মেয়েকে দেখাশুনোর দায়িত্ব কীভাবে পালন করবেন? যদিও ঘরে উদারহৃদয় স্বামী বর্তমান।


    নীলঞ্জনার মা খালি একবারই তাঁর স্বামীদেবতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন—মেয়েদের বিয়ে না দিয়ে হায়ার স্টাডিজ এর অনুমতি এবং সাহায্য চাই। ওরা যতদিন ইচ্ছে পড়ুক , নিজের পায়ে দাঁড়াক।


    ফলে নীলাঞ্জনারা দুইবোনই আজ প্রতিষ্ঠিত।


    উনি নিজে লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাংবাদিক, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস রেডিও, লণ্ডন; টাইম ম্যাগাজিন, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জজিরা ইত্যাদি মিলিয়ে একুশ বছরের সাংবাদিক জীবন। জেন্ডার ইস্যু এবং উন্নয়নের বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদনের ফলে তিনটে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন।


    আলেফ বুক কোম্পানি থেকে প্রকাশিত এবং রূপা পাবলিকেশন দ্বারা ভারতে প্রচারিত এই হার্ডকভার সুমুদ্রিত ও গ্রন্থিত বইটির দাম ৬৯৯ টাকা।


    বইটি ছেলেদের বেশি করে পড়া উচিত।


    কারণ আমার এন জি ও বন্ধু রাণু ভোগলের মতে নারীমুক্তি আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য তার সঙ্গী পুরুষকে ক্রমাগত সচেতন করা যে হাজার বছরের সুবিধাভোগী অবস্থানের ফলে তারা কত বর্বর এবং সংবেদনহীন হয়ে পড়েছে। পিতৃতন্ত্রের অনেক গোপন এবং প্রকাশ্য এজেন্ডাকেই তারা স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক অধিকার বলে মনে করে।




    [1] দ্য ইকনমিস্ট, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২।


    [2] Business   Standard, 19 May, 2021.


    [3] Ministry of Statistics & Programme Implementation, ‘NSS Report: Time Use in India-2019, PIB Delhi, 29 September, 2020.


    [4] Ibid.


    [5] ইকনমিক টাইমস, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২।


    [6] ঐ, ৩০ মে, ২০২০।


    [7] ন্যাশনাল হেরাল্ড, ২ জুলাই, ২০২০।


    [8] হিন্দুস্থান টাইমস, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।


    [9] নীলাঞ্জনা ভৌমিক, ‘লাইজ আওয়ার মাদার্স টোল্ড আস’, pp. xi.


    [10] ঐ; pp. xi.



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৩ নভেম্বর ২০২২ | ৩৮০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:196c:ddd7:f0c6:38e:8745:d8a5 | ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৮:২০514044
  • তাহলে আপনাকে দিয়েই শুভ উদ্বোধন করা হোক!
  • Ranjan Roy | ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৪৭514045
  • সন্তোষ বাবু, 
        একটু ভাবুন,  কী করছেন?
     
  • দীপ | 2402:3a80:196c:ddd7:7c0a:f12a:8bc1:341f | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৫514067
  • দীপ | 2402:3a80:196c:ddd7:7c0a:f12a:8bc1:341f | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৭514068
  • আজকের তাজা খবর!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:ddd7:7c0a:f12a:8bc1:341f | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৬:০৮514069
  • অবশ্য পণ্ডিতরা এর মধ্যেও আস্তাকুঁড় খুঁজে পেতে পারেন!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:ddd7:5a58:4dac:164a:df9a | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২১:৫০514081
  • আবার আরেক তাজা খবর! 
    অবশ্য‌ই এই ঘটনা নারীনির্যাতনকে মান্যতা দেয়না! 
    তবে এই ঘটনা গুলো একটু জানা প্রয়োজন!
  • ধোরবাঁ | 45.154.98.220 | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২২:২৫514083
  • গাধার গু* চাড্ডি মিসোজিনিস্টটা  ট্রাক ট্রাক জঞ্জাল এনে ডাম্প করে করে প্রমাণ করতে চাইবে পুরুষরাই নির্যাতীত রঞ্জনের বইটা ভুল।
  • কে | 2402:3a80:1cd2:c29e:378:5634:1232:5476 | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২২:৩৯514084
  • এটা কে রে? মাথা ভর্তি গোবর। বই টা রঞ্জনের লেখা? গর্দভ।
  • ধোরবাঁ | 2405:8100:8000:5ca1::24:d5c9 | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২২:৫৪514085
  • রঞ্জনের আলোচনা করা বই রে গোরুর স্যাঙাৎ। দেখতে পাচ্ছিস না লেখা রয়েছে প্রথমেই
    বইটির নাম “Lies Our Mothers Told Us—The Indian Woman’s Burden”; লিখেছেন নীলাঞ্জনা ভৌমিক।]
    তোর মত গোরুর স্যাঙাৎের মাথায়ই রঞ্জনের বই মানে  রঞ্জনের লেখা বই ঘাই মারে।
  • সহজ পাঠ | 2402:3a80:1cd2:c29e:378:5634:1232:5476 | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২৩:০০514086
  • পাঁঠা,আগে নিজের  বাংলায় লেখার মানে বোঝ। এই ছাগলের নাদি খাওয়া পাবলিক টার জন্য একটা সহজপাঠ লাগবে।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:686c:16f7:30ab:eeed:abac | ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৪516151
  • আমাদের অফিসের একটা ঘটনা বলছি । ২০১৫-১৬ সালের ঘটনা । এক সিনিয়র ডেভেলপার ২৮ বছর বয়স , অনসাইটে আসার সুযোগ পায় । হাওড়ার ছেলে । ছেলের অনসাইট যেতে তখনো ৬ মাস বাকি , বাড়ির লোক ঘটক ধরে মেয়ে দেখে বিয়ে দিয়ে দেয়।  মেয়ে যথেষ্ট শিক্ষিত, সুন্দরী তবে চাকুরিরত নয় । বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে সে ছেলে ডেনমার্ক আসে । ছেলে নতুন বউ পেয়ে হেব্বি খুশি । ডিসেম্বরে প্যারিস ঘুরে আসে , জানুয়ারিতে সুইৎজারল্যান্ড । জুলাই আসতে আসতে ইওরোপে ১০-১১ টা দেশ ঘোরা কমপ্লিট । তবে অন্যান্য লোকেদের একটা জিনিসে খটকা লাগে । ছেলেটা অফিসে ডেবিট কার্ড আনেনা, এমনকি মোবাইলে অনলাইন পেমেন্ট করার অ্যাপ অব্দি নেই । লাঞ্চের খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে । বউ এদিকে ফেসবুকে ছবি দিয়েই চলেছে । নতুন নতুন জায়গা আর নতুন নতুন জামা কাপড়ের । এইভাবে ১ বছর ৫ মাস কাটার পর ২০১৭ এর শুরুতে ছেলেকে বাড়ি ফেরার আদেশ দেওয়া হয় । শুরু হয় দাম্পত্য কলহ । বউ দেশে ফিরতে চায়না । এদিকে স্পাউসাল ভিসা বলে বউ কিছু করতেও পারবেনা । গজ গজ করে বউ ফিরে আসে দেশে । দেশে ফিরে বউ airport থেকে সোজা বাপের বাড়ি গিয়ে ওঠে সঙ্গে জামাই । দুদিন পর জামাই নিজের বাড়ি ফিরে আসে । বউয়ের শরীর খারাপ তাই আপাতত কিছুদিন বাপের বাড়িতেই থাকবে । দুই মাস পর ৪৯৮এ এর অভিযোগ জানানো হয় ডোমজুর থানায় । তার কিছু দিন পর ডিভোর্সের নোটিশ আসে । বউকে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাই নিস্তার চায় । ১৫ লাখ এককালীন খোরপোষ দিয়ে ঝামেলা মেটে । ২০১৯ এ সেই ছেলে আবার বিয়ে করে । আপাতত সুখী , ২০২১ এ বাবা হয়েছে । নতুন বউ প্রাইভেট স্কুল শিক্ষিকা । ও হ্যাঁ এই যে দেড় বছর অনসাইটে ছিল , ছেলে এক পয়সা বাড়ি আনতে পারেনি । সব ইওরোপ ঘুরতে আর বউয়ের জামা কাপড় , গয়না, আইফোন , ম্যাক, ফ্রেঞ্চ কসমেটিকস আর ইতালিয়ান হ্যান্ডব্যাগ কিনতে উড়িয়ে দিয়েছে ।
     
    ফেসবুকে জনৈক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:686c:16f7:30ab:eeed:abac | ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৬516152
  • মহিলাদের উপর গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিবাদ ও কঠোর শাস্তিই অবশ্য‌ই কাম্য, কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু অন্য ঘটনাগুলো ও জানা প্রয়োজন!
  • এ লেখাটাও ভোগে | 2602:fed2:7194::8 | ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৬516156
  • হয়ে গেল! এবারে গান্ডবটা পীড়িত পতি পরিষদের ধাপার মাঠ তুলে এনে পেস্টাতে থাকবে। গান্ডুশাবকটা বেছে বেছে বইয়ের আলোচনাগুলোকেই ধরে আবর্জনা জমা করতে।
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    অবশ্য চাড্ডিচো*দের বইয়ের সাথেই শত্রুতা।
  • দীপ | 42.110.144.251 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১১518590
  • দীপ | 42.110.144.251 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১২518591
  • দীপ | 42.110.144.251 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১৩518592
  • এই কথাগুলোও একটু জানা প্রয়োজন!
  • দীপ | 42.110.144.251 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩২518593
  • একজন মহিলা অভিযোগ করলেই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু একজন পুরুষ অভিযোগ করলে কিছু হয়না, তাঁকে তাঁর অভিযোগের প্রমাণ দেখাতে হয়! 
    এর সুযোগে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা করা হয়! 
    আইনজীবিরাই একথা বলেছেন। 
    আর এগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই অনামী সারমেয়র দল ছুটে আসে!
  • :-( | 2405:8100:8000:5ca1::249:b5ab | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২৫518594
  • বই নিয়ে লেখাপত্তরেই চাড্ডিদের বেশী জ্বলে বরাবর দেখেছি।  বইএর আলোচনাগুলো হেগে হেগে ভরিয়ে রাখে চোদনা।
     
  • দীপ | 42.110.146.210 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪৯518599
  • আলোচনাই তো হচ্ছে।
     
    সরকারী তথ্য বলছে গার্হস্থ্য সমস্যায় পুরুষের আত্মহত্যা মহিলাদের চেয়ে আড়াই গুণের বেশী। 
    সেটাই দেখানো হয়েছে।
    সারমেয়কুলের সমস্যাটা কোথায়?
  • শোন লেচো | 2405:8100:8000:5ca1::4e3:b49f | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩৩518604
  • তোর মা তোর বাপকে ঠ্যাঙায় ত পুলিশে যা। নাকি কেটেকুেটে ফিরিজে ভরলে তবে যাবি? আলোচনা আর তুই!জানিস ত খালি কপিপেস্ট করতে। শুয়োর না কুকুর কাকে  লাগিয়ে তোকে পয়দা করেছে রে?
  • Dip | 42.110.138.69 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৩518606
  • So the shameless scoundrel has started to perform his duty! And at this time none will protest!
  • Dip | 42.110.138.69 | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৫৫518607
  • Constantly this nameless dog is doing these attacks for several months. Personal attack is the only option of this stray dog!
  • দীপ | 42.110.144.223 | ১৩ জুন ২০২৩ ১৭:৩৩520402
  • TW : Suicide

    Dilip Ahir, a young businessman from Kutch, Gujarat chose to shut his smile forever as he couldn't bear trauma of a #falserape case & demand of 4 CRORES by gang that trapped him. 

    He killed himself the day he got accused in a Rape, SC/ST case

    32 year old Dilip was trapped in a well laid out plan masterminded by Manisha Goswami & her husband Guju Goswami. They roped in 22 year old Divya Ashokbhai Chauhan promising to give her 1 Crore to befriend Dilip & then lodge a #falserape case on him. Divya executed the plan. Lawyers named Akash Makwana & Komal Makwana guided Divya that she has to somehow have sex with Dilip & then go to cops immediately. They also advised her to add SC/ST Act to make case stronger. 

    Dilip however didn't get physical with Divya. But she lied about same & lodged FIR. As soon as Dilip got to know about FIR and demand of 4 Crore to save himself from Rape case, he hanged himself. 

    4 Women & 5 Men including 2 Lawyers have been arrested. Divya has disclosed whole plan to the police & modus operandi. Some accused in case are Murderers!!

    Even though there was no sex in this case but since woman said so, she was believed & the man would have been put through HELL

    Just another suicide by false case

    How any more men should die before the system looks at this problem @arjunrammeghwa sir ?

    Source : @gstvnews 

    Link : https://www.gstv.in/kutch-crime-news-dilip-ahir-suicide-case/

    #IndiasSons
  • দীপ | 42.110.144.223 | ১৩ জুন ২০২৩ ১৭:৩৪520403
  • এই কথাগুলোও একটু জানা দরকার!
  • দীপ | 42.110.145.104 | ১৫ জুন ২০২৩ ২১:০৯520435
  • দীপ | 42.110.145.104 | ১৫ জুন ২০২৩ ২১:০৯520436
  • এই কথাগুলোও একটু জানা দরকার!
  • দীপচাড্ডি যা চাপা দিতে চায় | 2405:8100:8000:5ca1::1e6:125a | ১৫ জুন ২০২৩ ২১:২১520437
  • দীপচাড্ডি যা চাপা দিতে চায় | 2405:8100:8000:5ca1::38:9e3f | ১৫ জুন ২০২৩ ২১:২৩520438
  • দীপচাড্ডি যেগুলো চাপা দিতে চায় | 2405:8100:8000:5ca1::163:882a | ১৫ জুন ২০২৩ ২১:২৪520439
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন