এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  শিক্ষা

  • বিবর্তন বিতর্ক! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮৬১ বার পঠিত | রেটিং ৩ (২ জন)
  • বাংলাদেশে জনমতের উপরে ভিত্তি করে বিবর্তন সংক্রান্ত একটা অধ্যায় ক্লাস সিক্সের পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিবর্তন নিয়ে আমার জ্ঞানে যতদূর ধরল তা লেখার চেষ্টা করলাম। 
     
    বানর থেকে মানুষ হইছে এমন কথা ডারউইন বলছে না বলে নাই এই বিতর্ক পরে করি। আপনি বিবর্তন শুনলেই যে ক্ষেপে জান তার কারণ কী তা আগে শুনি। বানর মানুষ এগুলা অনেক দূরের বিষয়। বিবর্তন বলতে আসলে কী বুঝায় আগে ওইটা বুঝেন। বিবর্তন অবৈজ্ঞানিক বলে কোন বিজ্ঞানী রায় দিল তা আমার জানা নাই। আমার জানা আছে বিবর্তন অস্বীকার করলে জিনতত্ত্ব, মাইক্রোবায়োলজি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা সব বাতিল করে দিতে হবে। যাই হোক, এগুলা ম্যালা উপরের বিষয়, মাথা গরম হয়ে যেতে পারে। সহজে বিবর্তন বলার চেষ্টা করে দেখি। 

    মূল কথা হচ্ছে প্রকৃতিতে প্রাণীর টিকে থাকা দিয়েই সব হচ্ছে। ধরেন একটা জায়গা বরফে ঢাকা। সেখানে প্রাণী সাদা রঙের, বা এমন একটা রঙ যা নিজেকে লুকিয়ে রাখতে সহজ হয়। কারণ? কারণ হচ্ছে টিকে থাকা। সাদা বরফে নিজেকে লুকিয়ে রাখা সহজ হয়, শিকার আর শিকারি দুইয়ের জন্যই তাই সাদা রঙের জরুরি দরকার। এই যে প্রাণীর রঙ সাদা বা ধূসর রঙের হল মেরু অঞ্চলে, এইটা বিবর্তনের ফলে হইছে। সময় লাগছে কিন্তু এক সময় প্রাণীর টিকে থাকার জন্য প্রাকৃতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে সাদা রঙের প্রাণী হাজির হয়েছে মেরু অঞ্চলে। একই রকম মেরু অঞ্চলের আরেক প্রাণী শীল মাছ, পেঙ্গুইন, শরীরে গঠন এমন যে প্রচণ্ড শীতের ভিতরে পানিতে নামছে, গোসল করছে। শরীর ওইভাবেই তৈরি হয়েছে। এমন হাজারও উদাহরণ আছে। মরুভূমিতে উট মাইলের পরে মাইল চলে, কীভাবে? শরীরে পরিবর্তন এসেছে, পাকস্থিলিতে পানির আলাদা ব্যাগ আছে, উট নিজের ওজনের চেয়ে তিন গুন বেশি পানি পান করতে পারে। এগুলা সবই উটের টিকে থাকার জন্য হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছরের অভিযোজনের ফলে তৈরি হয়েছে।  উট পাখি এক সময় উড়তে পারত, এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে পাখা, দরকার নাই তাই শরীরে বিবর্তনের মাধ্যমে বাদ পরে যাচ্ছে পাখা। আমাদের শরীরেও বিবর্তনের চাক্ষুষ প্রমাণ রয়েছে। আমাদের আক্কেল দাঁত, এপেন্ডিক্স, টনসিল, এগুলার এক সময় কাজ ছিল, এখন নাই তাই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে এই সব অঙ্গ। আপনার পায়ের কড়ে আঙুল ছোট কেন? এইটা এক সময় থাকবেই না। এবং এইটা এখন যেমন আজ থেকে দুই তিন হাজার বছর আগেও এমন ছিল না। লক্ষ বছর আগে তো অবশ্যই অন্য রকম ছিল। আমাদের চলমান বিবর্তন শরীর থেকে ওই আঙুল বাদ দিচ্ছে ধীরে ধীরে। এর সাথে প্রাণীর আবির্ভাবের সম্পর্ক কী? বিজ্ঞান বলছে এমন করে করে আলাদা প্রাণীই সৃষ্টি হয়েছে এক সময়। টিকে থাকছে যে সে আছে বাকিরা হারায় গেছে। প্রকৃতিই ধীরে ধীরে টিকে থাকার জন্য যেমন দরকার তেমন করে এনেছে বর্তমান চেহারায়। 

    কঠিন বা বিশ্বাস হচ্ছে না? আরও বাস্তব কিছু উদাহরণ দেই। এখন একজন শিশু অতি সহজে স্মার্ট ফোন চালায় ফেলে, কীভাবে? ঠিকমত কথা বলতে পারে না কিন্তু লক খুলে ইউটিউব চালাচ্ছে এমন দৃশ্য আমরা এখন দেখে অভ্যস্ত। আপনার মনে হয় নাই যে এই আশ্চর্য কাণ্ড কীভাবে ঘটছে? কে শিখায় ওই বাচ্চাকে? দেখে শিখলে তো সবারই পারার কথা, আমি তো এমন অনেক মানুষকেই চিনি যারা স্মার্ট ফোন আতঙ্কে ভুগেন! ও সহজে টেকনোলোজি আয়ত্তে নিয়ে নিচ্ছে এইটা আমার কাছে বিবর্তন বলে মনে হয়। 

    আপনি খেয়াল করে দেখেন রাস্তাঘাটে এত কুকুর, অথচ কয়টা কুকুর গাড়ির নিচে চাপা পরে মরে? আমাদের বাচ্চাকে আমরা সাবধানে রাখি, রাস্তা পাড় হাওয়া শিখাই। ওদেরকে কে শিখাইছে? ওদের মস্তিষ্ক বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়েছে। আজকে থেকে দুই তিনশ বছর আগের কোন কুকুরকে যদি আজকের রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া যায় চোখের নিমিষে গাড়ির নিচে পরে মরে যাবে। কিন্তু এখনকার কুকুরেরা ঠিক নগর সভ্যতার সাথে অভিযোজিত হয়ে গেছে। এমন অনেক প্রাণী আছে যারা বিবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃতিতে টিকে আছে। আর এগুলাই বিবর্তনের পক্ষের যুক্তি। ক্ষুদ্র জীবাণুতে এর উপস্থিতি আরও পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়। এই যে অ্যান্টি বায়োটিক খান আর কয়দিন পরেই বলেন যে কাজ করে না, অন্য আরেকটা দেন, পাওয়ার বাড়ায় দেন, কেন বলেন? ওই ব্যাকটেরিয়া সমানে বিবর্তনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে চলছে। অ্যান্টি বায়োটিক যেটা ওকে মেরে ফেলছে ওইটার প্রতিরোধ নিয়ে পরেরটা আসছে, বিবর্তনের মাধ্যমেই এই কাজ হচ্ছে। মশার কয়েলে কাজ করে না বলে চিল্লাফাল্লা করেন, কাজ করে না কেন? মশাও বিবর্তিত হচ্ছে, আপডেট কয়েল না ফলে মশা তাড়াতে পারবেন না। 

    কাজেই বানর মানুষ দিয়ে চিন্তা না করে প্রকৃতিতে বিবর্তনের উপস্থিতি দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে উত্তর পাবেন। বিবর্তনকে অস্বীকার করার কোন উপায় এখন আর নাই। বিবর্তন মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কারে ব্যবস্থা আছে। যারা মিথ্যা দাবী করে তারা এইসবে সময় নষ্ট না করে ভাল মত ঝাঁপিয়ে পড়ুন আর লক্ষ টাকা কামই করে নিন আর আমরাও ভুল একটা তত্ত্ব থেকে মুক্তি পাই! 
    এবার আসি ধর্মর সাথে বিরোধ নিয়ে। ধর্ম দিয়ে বিবর্তনের উত্তর পাওয়া যাবে না। ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞানের উত্তরই দেওয়া যাবে না। বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে নানা প্রশ্ন করা, উত্তর খোঁজা। আর ধর্মের কাজ হচ্ছে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা। বাইবেল মতে ধর্ম বলছে ঈশ্বর ছয় দিনে মহাবিশ্ব তৈরি করে সাত নাম্বার দিনে বিশ্রাম নিয়েছেন। বিজ্ঞান বলছে সূর্য গ্রহ নক্ষত্র যদি তৈরি করে থাকে তখন তাহলে সূর্য ছাড়া কোন দিনের হিসাব দিলেন ঈশ্বর? দিন রাতের পরিমাপ কীভাবে করল? এমন বেমাক্কা প্রশ্নের সোজা সহজ উত্তর দেওয়া যাবে না, আধ্যাত্মিক উত্তর হয়ত দেওয়া যাবে। কিন্তু আসলে দরকারও নাই। ধর্ম ধর্মের জায়গায়, বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায়। আপনি যদি ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান বই লিখতে চান তাহলে বিবর্তন না শুধু বই থেকে আরও অনেক কিছুই ফালায় দিতে হবে, বিজ্ঞান বইই হয়ত ছুঁড়ে ফেলে দিতে হতে পারে। সব ধর্মগ্রন্থে আছে এইটা ধর্মগ্রন্থে কোথাও লেখা আছে? ভারতে সব বেদে আছে বলে আর আমাদের এখানে সব কোরানে আছে! একেবারে সব তত্ত্ব নিখুঁত ভাবে মিলায় দিবে বেদের নানা শ্লোক দিয়ে, মানতে পারবেন? আর কোরানে কই লেখা আছে দুনিয়ার সব আবিষ্কারের সূত্র কোরানে দেওয়া আছে? যেইটা আল্লা কয় নাই ওইটা আপনে হুদাই বলে পাপ বাড়াচ্ছেন কেন? বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় থাকতে দিন আর ধর্মকে ধর্মের জায়গায়। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৮৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • চয়ন মান্না | 2409:4060:102:5fc6:6665:18a0:cbd8:bc53 | ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২২516051
  • খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন 
  • Kuntala | ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৭516061
  • এটা কি বা কোন ভাষা  হোলো  বলুন  তো  ভাই ? 
    'আমরা এরকমই  বলি' হতেই  পারে, কিন্তু  লেখা  ভাষায় এরকম  পড়তে  চাইনা 
  • tutul shree | ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৭516109
  • সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা ভাষায় তো লিখতে হবে ! কী ভাষা এটা?
  • r2h | 192.139.20.199 | ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:০১516115
  • খুবই সজীব ও সচল ভাষা।

    এই প্রসঙ্গে এই লেখাটা মনে পড়লো - https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=11044।
    ডায়ালেক্ট বিষয়ে কলকাত্তাই ছুঁৎমার্গ বিরক্তিকর, সে তো একরকম, কিন্তু এই করে পশ্চিমবঙ্গ, বা কলকাতারই বাইরের বাংলা ও বাঙালীর সঙ্গে কলকাতাকেন্দ্রিক বাঙালীর একটা বিষম অপরিচয় ঘটেছে, যাতে করে কারোরই ভালো কিছু হয়নি।
  • kk | 2601:14a:500:e780:89aa:3a3d:229f:f1c2 | ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০৬516119
  • ভাষার ফ্লো আমারও ভালো লেগেছে।
  • | ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৪516120
  • আমারো ভাল লাগে  ভাষার এই চলিন। এটাও লেগেছে।
  • guru | 103.211.133.130 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৩৩516164
  • খুব ভালো লিখেছেন সাদেক ভাই | আর ঠিক এইরকম ভাষাতেই লিখতে থাকুন আরো বেশি করে করে |
     
    কোলকাত্তাই গোঁড়া আন্টিদের বেশি পাত্তা দেবার দরকার নাই |
     
    আমি তো বলবো এখন এপারবাংলার লেখকদেরও এই সহজ সরল কথ্য ভাষা লেখার সময় এসেছে |
  • r2h | 192.139.20.199 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৫৩516170
  • গুরুর মন্তব্যটা কুরুচিকর।
    ভদ্রমহিলা দেখলেই আন্টি বা যাহোক কিছু ট্যাগ লাগানোর বাসনা...

    অবশ্য এঁর (অথবা এঁর এই অবতারের) কাছে প্রত্যাশিতই।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:০১516171
  • ভাষার চেয়েও আমি উটের পাকস্থলীর ব্যাপারটা নিয়ে বেশি চিন্তায় আছি। এরকম তো হয় না, মানে ওরকম আলাদা কম্পার্টমেন্ট তো থাকার কথা নয়। প্লীজ কেউ জিনিসটা বুঝিয়ে দিন।
  • উটের পাকস্থলী | 2402:3a80:198d:c72d:922c:c8a4:b89c:5f49 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:০১516175
  • সাদেকভাই শুধু বিস্লেরির কমার্শিয়ালটা দেখলে হবে? সোনার কেল্লাটাওতো দেখতে হবে নাকি? নাহলে যে সবই উটের পাকস্থলী হয়ে যাবে। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:২৪516206
  • এইরে! এদিকে তো আমার লেখার ধরণ নিয়ে তোলপাড় হয়ে গেছে! আমি তো গুরুতে আসিই নাই এই কয়দিন। পছন্দ যাদের হয়নি তাদেরকে আমার কী বলার থাকতে পারে? আমি এমনই লেখি। শুধু শুধুই লেখি। খুব ভাল লেখি এমন বলার সাহস আমার নাই। আগে আরও খারাপ লেখতাম। এখন যতদূর পড়া যাচ্ছে ততদূর আগে পড়াও যেত না মনে হয়। সহজ সরল ভাবে লেখে যাওয়ার চেষ্টা করে যাই। আমি মহান কোন সাহিত্য রচনা করছি না এইটা আমি জানি। বাকি আর কিছুই বলার নাই আমার। যাদের ভাল লেগেছে তাদের ধন্যবাদ। 
     
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:861:de4:671c:79a0 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৭516210
  • এই ভাষা, ​​​​​​​লেখার ​​​​​​​ধরণ ​​​​​​​আমার ​​​​​​​খুবই ​​​​​​​সুন্দর, ​​​​​​​আকর্ষণীয় ​​​​​​​লাগে। ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​কারুর ​​​​​​​পছন্দ ​​​​​​​না ​​​​​​​হতেই পারে। 
     
     
    যেটা দরকারী, লেখাটা পড়ে অর্থ বোঝা যাচ্ছে কিনা। এমন কোন পাঠক কি আছেন, যিনি এর অর্থ অনুধাবনে সক্ষম নন? 
     
    বাংলার কিছু আঞ্চলিক রূপ, যেমন চাটগাঁইয়া ভাষা, অন্য জায়গার লোকেদের পক্ষে বোঝা কঠিন হতে পারে, কিন্তু সাদেকের এই লেখা তো বেশ সহজবোধ্য, অন্ততঃ আমার তাই মনে হচ্ছে 
  • শুদ্ধসত্ত্ব দাস | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:১৬516229
  • প্রথমত আপনার ভাষা চয়নের জন্য সাধুবাদ জানাই।
     
    আর পশ্চিম বঙ্গের কয়েকটা  আধা- শিক্ষিত লোক যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে ধিক্কার জানাই। 
  • kk | 2601:14a:500:e780:71a6:8dec:65d7:29bd | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৫৮516231
  • ধিক্কার? কিন্তু কারুর কোনো জিনিষ পছন্দ না হলে সে বলতে পাবেনা? মতামত, সে আমার-আপনার সাথে নাই মিলুক, প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই থাকবে না? অবশ্য কারুর মতামত পড়ে আপনার খারাপ লাগা জানাবারও স্বাধীনতা আছে, সেও ঠিক :-)
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:১৪516233
  • হ্যাঁ, অনেকেই এত রেগে যান না! ঐ জন্যেই বলি (ভাটে যেসব বলছিলাম আরকি, সেসব এখানে বললে রাগারাগি আরো বেড়ে যাবে)।

    এই যেমন, আফ্রিকায় যদি সেউ ফল পাওয়া যায় তাহলে রাগ করলেও পাওয়া যাবে না করলেও পাওয়া যাবে। কী আর করা।

    ওদিকে আফ্রিকা আর সেউ ফল মনে পড়েই আমার জাম বাগান আর বাওবাবের দুঃখ উথলে উঠলো। ঐজন্যেই আমার আমার করতে নেই। ধরনীর এক কোণে কোথাও কারো একটা জামবাগান আছে তাতে শালিখ নাচে ছাগল চরে সেই ভেবেই খুশি থাকা উচিত।
    হা মর্মপীড়।
  • Kuntala | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:০৬516235
  • দুটো  অবাঞ্ছিত  শব্দ  কোলকাত্তাই  আন্টি  আর  ওই  যাদেরকে  ধিক্কার  জানানো  হোলো ।
    এই  দুজনের  মধ্যে  আমি  মুখ খুললাম  আরেকবার ।
    লেখক  কিছু মনে করবেন না। 
    মনের আনন্দেই লেখে লোকে। লিখুন। তবে পাঠকের কথাও তো ভাবতে হবে, তাই না? 
    দেশি কথ্য ভাষা আনুন না, তাতেও বাংলা সমৃদ্ধ হবে। 
    কিন্ত লেখার মাথাপিছু নেই কেন? 
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59d8:8ba2:4738:d35 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:৫০516236
  • @কুন্তলা, 
     
    ১। এই লেখায় ঠিক কোন লাইন গুলো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, একটু উদাহরণ দিয়ে বলবেন । আমি পঃ বঙ্গে বড় হয়েছি, এই লেখাটা দিব্যি পড়তে পারছি। 
    আপনার নিশ্চয়ই অসুবিধা হচ্ছে পড়তে। সেটা হতে পারে। কিন্তু একটু ধৈর্য্য ধরে পড়লে বোঝা যাচ্ছে না, এমন কিছু লাইন বা শব্দ কি আছে? 
     
    ২। লেখার মাথাপিছু নেই - এটা কেন বলছেন? 
  • :|: | 174.251.162.114 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:৫৫516237
  • কিন্তু উটের পাকস্থলীর সেশ পজ্জন্ত কী হলো? উট কাঁটা বেছে খাচ্ছে তো? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59d8:8ba2:4738:d35 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:১৫516238
  • সাদেক কি সোনার কেল্লা ​​​​​​​সিনেমাটা দেখেছে, নাহলে কাঁটা বেছে খাওয়াটা ​​​​​​​বুঝতে ​​​​​​​পারবে ​​​​​​​না। 
     
    @সাদেক, ​​​​​​​উটের ​​​​​​​পাকস্থলীতে ​​​​​​​জলের ​​​​​​​কোন ​​​​​​​ব্যাগ ​​​​​​​নেই।  নেট ​​​​​​​সার্চ ​​​​​​​করে ​​​​​​​এটা ​​​​​​​পেলাম - 
     
    camels’ humps actually store fatty tissue, not water, which is used as a source of nourishment when food is scarce
     
    Although the humps do not store water, camels are still incredibly efficient in the amount of water they use per day, which is why they are able to go nearly a week without drinking. This is partly due to the unique shape of their blood cells, which are oval. Oval-shaped blood cells allow camels to consume large amounts of water (up to 30 gallons in one sitting!) since the cells are more elastic and can change shape more easily. This shape also allows their blood to flow more easily when water is scarce, which is common in a desert.
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59d8:8ba2:4738:d35 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:২৭516239
  • কিন্তু আমার বেশী আগ্রহ ভাষার ব্যাপারে। 
    এটা বেশ সহজবোধ্য বাঙাল ভাষা, আমার মতে, কোন দুরূহ ডায়ালেক্ট নয় । তাও কিছু পাঠকের পড়তে / বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।  
    কেন সেটা বুঝতে চাইছি 
  • r2h | 165.1.200.97 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪০516240
  • অরণ্যদা, আপত্তিটা বোঝা যাওয়া নিয়ে না, ভাষার শুদ্ধতা নিয়ে।

    যেমন ধরো যাঁরা বানান নিয়ে খুঁতখুঁতে তারা স ষ শ, ন ণ, র ড় ঢ়, কি কী - এইসবে গোলমাল দেখলে সইতে পারেন না। অনেকে বাংলা কথায় ইংরেজি হিন্দির মিশেল দেখলে বিরক্ত হন।

    অনেকে 'প্রমিত' বাংলার বাইরে কিছু দেখলে সেটাকে অশুদ্ধ মনে করেন।

    তো, কোনটা অশুদ্ধ, কোনটা আপত্তিকর, এইসব ফাইন লাইন। ধর বড়বাজারের মারোয়াড়ি কি ছোটনাগপুরের প্রবাসীকে যদি তুমি হিন্দি মেশানো বাংলা বলতে শোন, তুমি কি হতাশ হবে, বিরক্ত হবে, সেটাকে অশুদ্ধ মনে করবে? তনুজের ভয়ংকর স্ট্রং একটা কবিতার সিরিজ আছে - সেটা ত্রিপুরার ইঁটভাঁটার শ্রমিকদের কথ্যরীতিতে লেখা - পূর্ববঙ্গের ডায়ালেক্টাপ্রধান অঞ্চলে ভোজপুরি পরিযায়ী শ্রমিকের ভাষা। সেটা শুদ্ধ, অশুদ্ধ, বোঝা যায় কি যায় না, তার বাইরে অন্য একটা জায়গা থেকে দেখতে হয়।

    এবার মজা হল, যখনই প্রমিত বাংলার বাইরে কিছু আমরা ভাবছি, আমরা ভাবছি পূর্ববঙ্গীয় ডায়ালেক্টের কথা। পুরুলিয়া বাঁকুড়া মেদিনীপুর - সেসব জায়গার ডায়ালেক্টও তো প্রমিত বাংলার থেকে আলাদা। সেসব আমরা পড়তে পাই না তেমন, তার কারন হয়তো, তাদের ওপর কলকাতা চেপে বসেছে। বাংলাদেশ একটি দেশ যার অন্যতম ভিত্তি বাংলাভাষা, তার বাস্তবতা অন্য। সেখানে যে লোকে সারস্বত চিন্তাও মানুষ প্রমিত বাংলায় করে না, সেই জায়গাটা আসে ঐ অপরিচয় থেকে। যে টইটার লিংক দিয়েছি, সেখানে ###### আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। কলকাতাকেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনায়, এই বাঙালীদের নিয়ে কোন ধারনা নেই। তাতে ক্ষতি কার সেটা ভাবার। এবার এ কারো দোষ নয়, সমস্যাটা অপরিচয়ের।

    পুরুলিয়া বাঁকুড়া বরিশাল চাটগাঁ ভাবতে ভাবতে মনে হল, এই যে তুমি লিখলে বাঙাল ভাষা - বাঙাল ভাষা কথাটা কিন্তু অনেকেই খুব ডেরোগেটরি হিসেবে দেখে, আর সেটা জাস্টিফায়েড, কারন কলকাতায় এটা ব্যাঙ্গার্থেই ব্যবহার হয়ে এসেছে! আর, প্রমিত থেকে অপর মানেই পূর্ববঙ্গীয় - এইটাও নানান দিকে, তার একটা বোধয় ঐসব জায়গার ভাষা আরো অপরিচিত থাকা।
  • r2h | 165.1.200.97 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪১516241
  • উফ, #### এর জায়গায় হবেঃ
     
    • শঙ্খ |  ১৭ অক্টোবর ২০১২ ২২:৫৯
    • ...----------------------
      'যিনি পড়েন ‘ইয়েনান বক্তৃতা’ কিম্বা লুসুনের কবিতা, কিম্বা ডকু ফিল্ম করেন, ‘পভার্টিঃ কজ অফ ইণ্টারনেল মাইগ্রেশন’ নিয়ে তিনিও ‘চলিত বাংলা’ বিশুদ্ধ বয়নে উচ্চারণে বলতে লিখতে পারেন না মোটেও।'
      -----------------------
      এই বাঙ্গালীরাই বা কারা?
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৫৫516242
  • প্রমিত বনাম চলিত--- অন্তহীন বিতর্ক।
  • r2h | 165.1.200.97 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:০৯516243
  • চলিতভাষা বলে যেটা আমরা ব্যকরণে পড়ি, সেটাই তো ঐ প্রমিত। 
    এর মধ্য বনাম বা বিতর্কের কিছু নেই, প্রমিতর বাইরে যে আর একশো আটটা ডায়ালেকট আছে সেটা তো বাস্তব। এক সময় দরবারের ভাষা, লেখার ভাষা কথ্য ভাষার থেকে আলাদা হত, এখন আর সেটা হয় না।
    এবার একটা আঞ্চলিক (নবদ্বীপ নদীয় কৃষ্ণনগর না কী কী যেন) ডায়ালেক্ট একমাত্র শুদ্ধ ভাষা বলে ধরে নিতে চাইলে অন্য ডায়ালেকটগুলি তো উবে যাবে না, কিন্তু মিলিতভাবে বাংলা ভাষার আধারটা তুবড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

    আর এমনিতেও, রক্ত দিয়ে ভাষা প্রতিষ্ঠা করর ইতিহাস দেখলে বরাক বা পূর্ববঙ্গের কাছে পৃথিবীর আর কোন জায়গা আসে সেটা খুঁজতে হবে!

    কলকাতায় তো বাংলা উঠে গেলেও তেমন কোন সমস্যা নেই, রাস্তাঘাট দোকানপাট সাইনবোর্ড সিনেমাহল দেখে অন্তত যা বোঝা যায়ঃ)
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:২১516262
  • বাংলা ভাষার ভবিষ্যত নিয়ে পূবের দিকে তাকিয়ে থাকার আরেকটা বড় কারন হল আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাকে টিঁকিয়ে রাখা আর প্রযুক্তিতে বাংলা। এই যে নিউ ইয়র্কে বাইলিঙ্গুয়াল স্কুল প্রোগ্রামে বাংলাকে ঢোকানো, স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালীরা করেছেন; যেটা তত স্বাভাবিক লাগে না তা হল ভারতীয় বাঙালীদের এসব উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার কোন ইচ্ছে টিচ্ছে হয় না। আর রাষ্ট্র হিসেবে ভারত হিন্দিকে প্রোমোট করে, স্বাধীনতার পর থেকে তাই হয়েছে, তার পরিবর্তন হওয়ারও কোন সম্ভাবনা দেখি না।

    এই যে বাংলা ফন্ট, ইউনিকোড এইসব নিয়ে, বাংলা প্লেন থেকে শুরু করে পরবাসের ব্যাপার স্যাপার, এসব যাঁরা করেছেন তাঁদের তো গুরুতেও নিত্য আনাগোনা আছে এবং ছিল, এবং সেসব অভ্র-র কাছাকাছি সময়েরই ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশে অভ্র যেমন রীতিমত জাতীয় স্তরে উদযাপিত হয়, এসব উদ্যোগ নিয়ে তেমন কিছু হয়নি, বিশেষ কেউ জানার চেষ্টাও করেনি।
    (পরবাসের আদিযুগ নিয়ে ন্যাড়াদার অত্যন্ত উমদা একটি রচনা কোথায় যেন পড়েছিলাম, কিছুতেই মনে পড়ছে না।)

    ওদিকে, আবিষ্কার করা গেল গুগল হোম অবশেষে বাংলা শিখেছে। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বলতো গ্রেপফ্রুটের বাংলা কী? গুগল হোম সুললিত কন্ঠে বললো, জাম্বুরা।

    এইসব দেখে ভাগীরথী জনপদের দিন গিয়াছে, বাংলা ভাষার একমাত্র না হলেও অন্যতম আশ্রয় পদ্মাপারই হবে, এমন অনুমান করাই যায়।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪২516264
  • পুবেও প্রমিত বাংলারই সাপোর্ট। বাংলাদেশ বেতারে ও টিভিতে ঘোষক যাঁরা আছেন, খবর যাঁরা পড়েন, অন্য অনুষ্ঠান যারা করেন, বেশিরভাগই প্রমিত বাংলা উচ্চারণই করেন। অবশ্য কিছু কিছু নাটকে বা সিনেমায় আঞ্চলিক ভাষা ও উচ্চারণ দেখানো হয়, তবে সে তো নাটকের বা সিনেমার প্রয়োজনে।
  • r2h | 165.1.200.98 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:২৫516265
  • হ্যাঁ, সে তো বটেই।
    আমি যেমন বাড়িতে বা আগরতলার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি আমাদের মত, এমনকি চ্যাট ইমেল সেসবও, কিন্তু পড়ার জন্যে 'প্রমিত' বাংলাই প্রেফার করি। ঐরকম ভাবে মগজ কন্ডিশন্ড হয়ে গেছে।

    কিন্তু সেটা কথা না। কথা হল, একসময় লেখার ভাষা ছিল সাধুভাষা, লোকজন চলিত ভাষায় লেখালিখি শুরু করার পর ভ্রূকুঞ্চনের পরেও ধারাটা থামিয়ে রাখা যায়নি, কারন সাহিত্যের প্রধান পৃষ্ঠপোষকরা ওতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন। আবার কথ্য ভাষাও পাল্টায়, ঠিক হুতোম বা টেকচাঁদের ভাষায় এখন তেমন কেউ আর কথা বলে না কিন্তু হুতোম প্যঁাচার নকশা বা আলালের ঘরের দুলাল কালোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

    তো, বাংলা ভাষার প্রধান পৃষ্ঠপোষকরা এখন কোন দিকে ঝুঁকছেন সসব দেখে হাওয়া বোঝা দরকারঃ)

    আবারও, তনুজঃ
    (ফেবু থেকে না বলে তুলে নিলাম, আশা করি জানতে পারবে না বা পারলে মার্জনা করে দেবেঃ) )

    না-শীতউষ্ণ তন্দুর



    গতির বিপরীতে উট হইয়া বসি।
    নেশা করি খাঁটি রিক্সা খাঁটি রিক্সা নেশা

    রিক্সা কইরা যাই,যাইতাসিগা লোচনের দ্বীপে
    গতির বিপরীতে শাখা ও বিশখা বাঁধে রিক্সার হ্রেষা

    রাতের শহর চাখনাঘাঁটা,একমাত্র বিজিত পুরুষ
    আমি খুচরো চাখনাশ্রম-রচিত অজড় মাথা খেটে

    এইবার যাইতাসিগা স্পর্শের ব্যবধানে,কাহনের অলাতশহরে
    ‘মৃৎ মাংস,মাংসামৃত!’,পুনরায় বলা এক হোরের পরম স্তনজটে

    রিক্সা ভায়ের জাত।ভাই,তুইও আয় সাথে।অফুরন্ত
    রিক্সা প্যাডেলে থাকে ধানদুব্বা রিক্সা প্যাডেলে

    এরপর প্যাডেলের মীনপথে উড়ে উড়ে চন্দ্রে প্রচুর যাই,গিয়ে
    চাঁদকলে কাটা পড়ি,এইবার কাটা আমি ভেসে ভেসে ভেসে

    যাইতাসিগা দিকশূন্য ঋকশূন্য রঙে,লাল জবাফুলে,কৌমবিবাদে,
    কুরুশপাতায় ঢাকা হৃদগন্ধী মাংসের অনন্ত লুপে

    এইখানেও মাত্রা টানি না আমি,যেমন টানে উন্মনা নাপিতের ক্ষুর—
    আমি একমুহূর্তে যাইতাসিগা সংস্রবে,সন্ততিতে,সন্তানে

    পরমুহূর্তে যাইতাসিগা দেহের জ্যোৎস্নায়,চিৎকারে,পাটখেতে—পাটে।


    তো, এটা কী সাহিত্যের ভাষা, না নয়? 
    অত্রি ভট্টাচার্যের কবিতা পড়লাম, যার কিছু লাইনঃ

    "...স্বভাব এতিম হইয়া থাকুম চন্দ্রবিন্দু জলে
    তুমি করতে আইবা জলচুক্তি বাতাসকবুল ঘাটে ,
    রাইত দশটার হৃদয় মফঃস্বলে ?
    ..."

    তো, এসব পড়ে, এ তো আঞ্চলিক, এমন ভাবলে একটু বেদনার কারন ঘটবেঃ)

    তবে জাম্বুরা শুনে মজা পেয়েছি। কলকাতা এসে পদে পদে সাবধানে থাকতে হতো, এইরে, এখানে এটাকে ওরা কী বলে? তো, ব্যাপরটাই সকল পক্ষেই হওয়া দরকার।
  • r2h | 165.1.200.98 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩১516266
  • তো, এই আঞ্চলিক তকমাটাই একটু সমস্যার। দিল্লি দূরদর্শনে রোববার দুপুরে ছেঁড়া ফাটা রদ্দি প্রিন্টের আঞ্চলিক সিনেমায় কবে বাংলা দেবে সেই অপেক্ষা করতে করতে গন্ডা খানেক তামিল তেলুগু কন্নড় মালয়ালি পাঞ্জাবী ওড়িয়া মারাঠি সিনেমা দেখে ফেললাম, আর জাতীয় হল সন্ধ্যেবেলা নাচে গানে ভরপুর হিন্দি।

    'প্রমিত' বাংলাও নদীয়া নবদ্বীপের আঞ্চলিকই, তার সঙ্গে চট্টি তত্দ্ভব তৎসম আছে, সে যে কোন জায়গায় গুঁজে দেওয়া যায়, শ্রুতিমধুর ব্যাপার!
    বর্তমান প্রমিত বাংলার বাহকরা আজকাল আর গরজ দেখাচ্ছেন না, পূবদিকের ধারকদের কথ্যটা নতুন প্রমিত হবে, এমন হতেই পারে!
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৭516267
  • বিবর্তন বিতর্ক পোস্টের তর্কবিতর্ক ভাষারীতির বিতর্কে চলে গেল। এও অবশ্য বিবর্তনই একরকম। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫০516268
  • আঞ্চলিক ভাষারীতিতে কেউ কেউ বই  লেখেন। এই যেমন 'অভাজনের মহাভারত' বলে একটা বই আছে, আঞ্চলিক কথ্যভাষায় লেখা । একই লেখক 'অভাজনের রামায়ণ' বলে আর একটি বইও লিখছেন শুনেছি, আঞ্চলিক কথ্যভাষাতেই ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন