এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • চিনের সাথে ক্যাঁচাল

    দেব
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জুলাই ২০১৭ | ১৫৫৭২ বার পঠিত
  • ১৯৬২র পর ১৯৮৬-৮৭, তারপর এই ২০১৭ এ এসে আবার চিনের সাথে ভাল রকম ঝামেলা শুরু হয়েছে। সেই একই গপ্পো - জমি কার?

    ঘটনার স্থল সিকিম-তিব্বত-ভুটান এই তিনটি রাজ্য ও দেশ যেখানে এসে মিলেছে সেই বিন্দু এবং তার পূর্বদিকের কয়েক বর্গকিমি ক্ষেত্র নিয়ে। সিকিম এবং তিব্বতের সীমানা ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ভারত ও চিনের রাজার মাঝে হওয়া চুক্তিতে স্থির হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দেব | 57.11.219.69 | ২০ জুলাই ২০১৭ ২২:২৯366926
  • ১৯৬২র পর ১৯৮৬-৮৭, তারপর এই ২০১৭ এ এসে আবার চিনের সাথে ভাল রকম ঝামেলা শুরু হয়েছে। সেই একই গপ্পো - জমি কার?

    ঘটনার স্থল সিকিম-তিব্বত-ভুটান এই তিনটি রাজ্য ও দেশ যেখানে এসে মিলেছে সেই বিন্দু এবং তার পূর্বদিকের কয়েক বর্গকিমি ক্ষেত্র নিয়ে। সিকিম এবং তিব্বতের সীমানা ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ভারত ও চিনের রাজার মাঝে হওয়া চুক্তিতে স্থির হয়েছিল। চুক্তিটি পাবেন এইখানে - http://treaties.fco.gov.uk/docs/pdf/1894/TS0011.pdf

    চুক্তির বয়ান অনুযায়ী - যে পর্বতশৃঙ্খল সিকিমের তিস্তা এবং তিব্বতের মোচু [আমাদের কাছে তোর্সা] এই দুই নদীর মাঝ বরাবর জলবিভাজিকা [লক্ষ্য করুন] হয়ে দাঁড়িয়ে, সিকিম ও তিব্বতের সীমানা তার ড্গা বরাবর যাবে। রেখাটি শুরু হবে গিপমোচি পর্বত [লক্ষ্য করুন] থেকে এবং সেটি শেষ হবে নেপাল সীমান্তে গিয়ে।

    [] এর মধ্যের শব্দগুলো আমার।

    এই এলাকায় ভারতের সাথে চিনের কোন বিবাদ নেই সীমারেখা নিয়ে। চুক্তিটি সিকিমের সাপেক্ষে রেখাটির অবস্থান পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছে। সমস্যাটা ভুটানকে নিয়ে।

    প্রথমত ভুটান এই চুক্তিতে অংশ নেয়নি। সুতরাং ভারতের সাথে চুক্তি থাকলেও, চিনের সাথে ভুটানের সীমানা পাকা করতে গেলে এই দুই দেশের মাঝে একটা চুক্তি লাগবে। এইখানে ভারতে বক্তব্য, সীমারেখাটি গিপমোচি পর্বত (চিনাদের কাছে গিমোচেন) থেকে শুরু হবে না, হবে তার থেকে ৬ কিমি উত্তরে বাটাং লা বলে একটি বিন্দু থেকে। কেন? না ঐ চুক্তিতে উল্লিখিত জলবিভাজিকাটি বাস্তবে গিপমোচি থেকে নয়, বাটাং লা থেকে শুরু হয়েছে। এই হচ্ছে ঝামেলার উৎসবিন্দু।

    ভুটানের রাজার ক্ষমতা নেই ভারতের বিরোধিতা করার নইলে সিকিমের মতন হাল হবে। সুতরাং তিনিও ভারতের সুরে সুর মিলিয়েছেন।

    এই হচ্ছে ম্যাপ - http://imgur.com/mP6YXEm

    ভারতের দাবী ভুটান-চিন সীমান্ত বাটাং লা থেকে শুরু হয়ে কালো রেখাটি বরাবর গেছে। চিনের দাবী, ওটি গিপমোচি থেকে শুরু হয়ে লাল রেখাটি বরাবর গেছে। এই দুয়ের মাঝে প্রায় ৯০ বর্গকিমি এলাকা নিয়ে দ্বন্দ।

    এবার আসি দ্বিতীয় ধাপে। গিপমোচি ও বাটাং লা, এই দুই বিন্দুর প্রায় মাঝখানে দোকা লা বলে একটি স্থান রয়েছে। ঐ স্থান পর্যন্ত চিনের একটি রাস্তা আছে দীর্ঘদিন ধরে। চিন সেখানে জুন মাসে আরো কিছু নির্মাণকাজ শুরু করে। চিন ও ভুটানের মাঝে ১৯৯৮ সালে একটা সমঝোতা হয়েছিল, যে সীমানার যে যে অংশ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, সেখানে দুই দেশের কেউই কোন রকম নির্মাণকাজ করবে না। অন্তত ভারতের দাবী তাই। এই পত্রটি আমি খুঁজে পাইনি। যাই হোক এই কারণে ভারতীয় সেনা সিকিম থেকে সীমানা পেরিয়ে সেই নির্মাণকাজ আটকে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ব্যাপারটা তো চিন ও ভুটানের মাঝে। তাহলে ভারত সেখানে ঢুকেছে কেন?

    এইবার তৃতীয় ধাপ। ভারতের বক্তব্য ভুটান সরকার ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছিল।

    চিন প্রবল চটেছে।

    চলবে।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৭:০০367037
  • চিনের রাগের প্রধান কারণ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ভারতের হীনমণ্যতা ও প্যারানোয়া প্রসূত বিদেশনীতি। নেহেরুর উদ্ভট সীমান্তনীতির ফলে চিন ভারতকে তুমুল ঠেঙায় ১৯৬২ সালে। সেই থেকে ভারত চিনের সামনে জবুথবু। একদিকে মনের ভেতরে পুষে রাখা রাগ, বদলা নেওয়ার ইচ্ছে, অন্যদিকে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে চিনকে সমঝে চলা। এর ফলে ১৯৬২র পর দীর্ঘ আড়াই-তিন দশক ভারত চিনের সাথে কথাই বলেনি। শেষ পর্যন্ত রাজীব গান্ধী নিজের মেরুদন্ড খুঁজে পেয়ে চিনের সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে শুরু করেন ১৯৮৮ তে। নরসিংহ রাও ১৯৯৩ সালে সে কাজ শেষ করেন। যে প্রস্তাব চৌ এন লাই নেহেরুকে চৌত্রিশ বছর আগে দিয়েছিলেন, যুদ্ধের আগে - সীমান্তরেখা চুক্তি পাকা না হওয়া পর্যন্ত স্থিরতা বজায় রাখুন - রাও ১৯৯৩ এ এসে অবশেষে তাতে রাজী হন।

    এরপর আস্তে আস্তে সম্পর্ক অনেকটাই ভাল হয়। বাজপেয়ী একে আরো এগিয়ে নিয়ে যান। ২০০৩ এ এসে ভারত ও চিন তিব্বত ও সিকিমকে একে অপরের রাজ্য বলে মেনে নেয়।

    কিন্তু সীমারেখা এখনও পাকা হয় নি। এবং ভারত ভুটানকেও চিনের সাথে সীমানা পাকা করতে দেয়নি। চিন তার আর সবকটি স্থলপ্রতিবেশীর সাথে সীমানা চুক্তি সেরে ফেলেছে দীর্ঘদিন আগেই। বার্মা, নেপাল, পাকিস্তানের সাথে চুক্তি হয়েছে সেই কবে ১৯৫০-৬০এর দশকে। চিন ভারতের সাথে সীমানা চুক্তি করার আশা ছেড়েই দিয়েছে। কিন্তু অন্তত ভুটানের সাথে চিন ব্যাপারটা মেটাতে চায়। কিন্তু ভারত সেটাতে রাজী নয়। ঠিক রাজী নয় বললে ভুল হবে। সীমানার নিঁখুত অবস্থানটা ঠিক কোথায় সেটা নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে (ওপরের পোষ্ট দেখুন)। কিন্তু ভারত ভুটান ও চিনের মধ্যে নাক গলাচ্ছে কেন ও কোন অধিকারে? সেটা বুঝতে গেলে একটু পেছনে যেতে হবে।

    ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের আরো অনেক দেশীয় রাজ্যের মতন সিকিম ও ভুটান এই দুটি রাজতন্ত্রও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রোটেক্টোরেট ছিল। ব্রিটেন এদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলাত না। কিন্তু সুরক্ষা ও বিদেশনীতি নিয়ন্ত্রণ করত দিল্লি, লন্ডনের হয়ে। ১৯৪৭ এর পরে স্বাধীন ভারত এই দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৯৪৯ সালের ভারত-ভুটান চুক্তিতে এই ব্যবস্থা আরো পাকা হয়।

    সিকিমের সাথেও ব্রিটিশ আমলের নিয়মই চালু ছিল। কিন্তু ১৯৭০ এর দশকে এসে সিকিমের রাজা চেষ্টা করেন একটু স্বাধীনতা পাওয়ার। ফল ভাল হয়নি। ১৯৭৫ সালে সিকিমের রাজা একটু বেশী বেগড়বাই করলে ইন্দিরা গান্ধী সটান সিকিমকে গিলে নেন। চোখের সামনে সিকিমের পরিণতি দেখে ভুটানরাজ বুঝে যান যে চুপ করে ভারতের বশ্যতা মেনে চলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ভারত সিকিমকে সরাসরি দখল করে নিলে চিন প্রবল আপত্তি জানায়। কিন্তু সেই সময়ে চিনের পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিল না। চিন ২০০৩ সালে এসে শেষ পর্যন্ত সিকিমকে ভারতের রাজ্য হিসেবে মেনে নেয়। বিনিময়ে ভারতও তিব্বতকে চিনের বলে মেনে নেয়। যে কথা ওপরে লিখেছি।

    ৬০এর দশকের শেষদিকে এসে, ভারত বাদে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলির সাথে সীমানাচুক্তি করার পর, চিন ভুটানের সাথেও কথা শুরু করে। ভারত আপত্তি জানায় যে ১৯৪৯ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভুটানের অধিকার নেই অন্য কোন দেশের সাথে সরাসরি চুক্তি করার। সুতরাং ভুটানের হয়ে ভারত চিনের সাথে কথা বলবে। তখনো ১৯৬২র স্মৃতি টাটকা। নেহেরুর ব্যবহারে চিন তখনো তুমুল রেগে। তার ওপরে ভারত আবার ভুটান ও চিনের মধ্যে নাক গলাচ্ছে! চিন দুরদুর করে ভারত (ও ভুটান) কে তাড়ায়।

    কিন্তু এই ব্যাপারে ভারতের অবস্থান আইনত কিছু ভুল ছিল না। শেষ পর্যন্ত চিন মাথা ঠান্ডা হলে ১৯৮০ নাগাদ ভুটানের সাথে কথা শুরু করে ভারতকে সঙ্গে রেখেই। কিন্তু শুরু করেই ধাক্কা খায়। ভারত নাছোড়বান্দা, ১৮৯০ এর চুক্তিতে গিপমোচি পর্বত লেখা থাকলে কি হবে, জলবিভাজিকা যেহেতু বাটাং লা থেকে শুরু হয়েছে, সীমানাও ঐখান থেকেই শুরু ধরতে হবে। পুঁচকে ভুটানের পক্ষে ভারতকে অমান্য করা সম্ভব নয়। সুতরাং ভুটানও একই কথা বলে। চিন বুঝে যায় ব্যাপারটা কোনদিকে যাচ্ছে। নেহেরুর একগুঁয়েমি থামাতে ক্রমাগত অনুরোধ করেও চিন ফল পায়নি। যুদ্ধ করে ভারতকে থামাতে হয়েছিল। ভুটানের ক্ষেত্রেও ভারত চিনের সাথে একই জিনিস করল। ১৯৮০ থেকে শুরু করে আজ অবধি ২৪ বার (ঠিকই পড়েছেন - চব্বিশ) চিন-ভুটান-ভারত টেবিলে বসেছে। নিট ফল অশ্বডিম্ব। চিন আজ তিতিবিরক্ত।

    এখানে বলে রাখি, ভারত বললেও, ঐ এলাকার উপগ্রহজ মানচিত্রে যদি আপনি ভাল করে দেখেন, জলবিভাজিকা যে বাটাং লা থেকেই শুরু হচ্ছে এমন মনে হবে না। গিপমোচি ও বাটাং লার মাঝে পর্বতশৃঙ্খলটির খানিকটা অংশ একটু নিচু হয়ে আবার উপরে উঠেছে ঠিকই কিন্তু সেই অংশটিও জলবিভাজিকার কাজ করতেই পারে।

    তাহলে এই সামান্য জমি নিয়ে ভারতের এই জিদের কারণ কি? একটাই ব্যাখ্যা দিচ্ছে সবাই। গিপমোচি পর্বত থেকে সীমানা ধরলে ভুটানের সাথে চিনের সীমানা গিপমোচি থেকে দক্ষিণ পূর্বদিকে প্রসারিত একটি পর্বতশৃঙ্খল বরাবর যাবে (ওপরের পোষ্টের ম্যাপ দেখুন)। ঐটি হচ্ছে শেষ সারি। ওটির দক্ষিণে উচ্চতা কমতে শুরু করে। ভারতের ভয় চিন এতে সামরিক ভাবে সুবিধা পেয়ে যাবে। ওপরে লিখেছিলাম যে প্যারানোয়ার কথা বলাই বাহুল্য যে এটি হচ্ছে তার একটি উদাহরণ। চিন চটবে না কেন?

    কিন্তু অন্যদিকে আজ ২০১৭ এ এসে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। ২০০৭ সালের ভারত-ভুটান চুক্তি অনুযায়ী ভারত ভুটানকে বিদেশনীতিতে স্বাধীনতা দিয়ে দেয়। কিন্তু কাগজে কলমে তা হলেও বাস্তবে ভুটান এখনও ভারতকে চটায় না। সুতরাং সীমাচুক্তি আজও দূর অস্ত। এমনকি চিন-ভুটান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে দেয় নি ভারত এতদিনেও। কিন্তু সম্প্রতি কালে চিনের প্রবল উত্থানের ছোঁয়া নেপাল, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটানের গায়েও এসে লেগেছে। রাজীব, নরসিংহ, অটল ও মনমোহন ঠান্ডা মাথায় চিনের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে গেলেও একটি জায়গায় ডাহা ফেল মেরেছেন। নেহেরুর ভুল ঢাকতে কংগ্রেস ১৯৬২র পর দেশবাসীকে সটান মিথ্যে বলে যে চিন 'আচমকা' ভারতকে 'বিশ্বাসঘাতকতা' করে আক্রমণ করে হারিয়েছিল। কথাটি সর্বৈব মিথ্যে। ভারত পূর্বদিকে চিনের ৮০০০০ বর্গকিমি খাওয়ার পর পশ্চিমদিকেও হাত বাড়ালে তখন চিন আপত্তি জানায়। নেহেরু চিনকে কাঁচকলা ধরিয়ে দেন। ভেবেছিলেন চিন কিছু বলবে না। তাহার পর কি হইল জানে শ্যামলাল। কিন্তু কংগ্রেস নিজেদের ভুল ঢাকতে দুটি প্রজন্ম ধরে ভারতীয়দের মগজধোলাই করেছে চিনের নামে মিথ্যে বলে। যার ফল হয়েছে মারাত্মক। আজকে চিনের সাথে যে কোন রকম চুক্তি করতে গেলেই গেল গেল রব ওঠে। একমাত্র সিপিএমই সত্যি কথাটা বলতে সাহস করে। কিন্তু বলতে গেলেও খিস্তি খায়।

    এই অবস্থা থেকে বেরোতে গেলে ভারত সরকারকে ইতিহাস বইতে সত্যিটা ছাপতে শুরু করতে হবে। দেশের লোককে সত্যিটা বলতে হবে। সে হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঞ্চে উঠেছেন ৫৬"। দেশবাসী পুলকিত। চিনের ওপর বদলা নেওয়ার সময় এসেছে।

    চলবে।
  • ঘচাং ফুঃ | 131.241.218.132 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৭:০৯367148
  • এই দেশপ্রেমিকের দল এলো বলে। আপুনি মশাই নির্ঘাৎ ন্যাটা, দেশছাড়া করার পক্ষে উপযুক্ত লোক।
  • de | 69.185.236.55 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৭:১১367192
  • চলুক - গুরুত্বপূর্ণ টপিক!
  • avi | 57.11.8.246 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৭:৩১367203
  • চীনের সাথে যুদ্ধ নিয়ে সেইযুগে নীরদ সি চৌধুরীর কয়েকটা চাঁছাছোলা প্রবন্ধ ছিল। মূলত রাজনৈতিক ও মিলিটারি ট্যাকটিকস নিয়ে।
  • quark | 103.206.27.158 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৮:৫১367214
  • "একমাত্র সিপিএমই সত্যি কথাটা বলতে সাহস করে। কিন্তু বলতে গেলেও খিস্তি খায়।"

    এই রে! দেশপ্রেমিকের সাথে সাথে আরো অনেকেই তেড়ে আসতে পারে।
  • শঙ্খ | 52.110.182.234 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৯:২৬367225
  • ইন্টারেস্টিং!! পড়ছি।
  • PM | 52.110.186.130 | ২১ জুলাই ২০১৭ ২১:১৯367236
  • দেব , আপনার লেখা পড়ে মনে হতে পারে চীন ,ভারত-ভুটান ছাড়া বাকি সব প্রতিবেশীর সাথে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে... সাউথ চায়না সি নিয়ে ইন্দিনেসিয়া , ফিলিপিন্স ইত্যাদি দেশের সাথে চীনের বিবাদ নিয়ে ২ লাইন লিখলে বোধ হয় ভালো হতো

    ইদানিং চীন ওবোর, সিপেক, সাউথ চায়না সিতে কৃত্তিম দ্বীপ বানানো ইত্যাদির মাধ্যমে নিজের ইন্ফ্লুয়েন্স এর সীমা বারাবার চেষ্টা করে চলেছে সাধ্যমত।কখনো কখনো ওভার্স্টেপ করেও। যেমন POK র মধ্যে দিয়ে CPEC কে নিয়ে গিয়ে, ভারেতের মতের তোয়াক্কা না করে।

    সিকিম বিবাদে স্ট্র্যাটেজিক " চিকেন্স নেক" নিয়ে ভারতের দুর্ভাবনার কথাটাও আসবে আসা করি পরে।

    লেখা ভালো হচ্ছে, পড়ছি মন দিয়ে
  • S | 57.15.9.105 | ২১ জুলাই ২০১৭ ২২:৩৫367247
  • অর্থনীতির উন্নতির সাথে সাথে দুটি দেশই (একই কারণে চীন একটু বেশিই) মাসল ফোলাচ্ছে। আর ৫৬ ইন্চির মাসলও কম নয়।

    তবে বিগত ৫০ বছরে দক্ষিন এশিয়াতে যা হয়েছে (কাশ্মীর, বাংলাদেশ, ইত্যাদি) তাতে ভারতের প্যারানয়েড হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়।
  • দেব | 127.248.164.96 | ২১ জুলাই ২০১৭ ২২:৫৩366927
  • হ্যাঁ PM আপনি ঠিকই বলেছেন দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সাথে জলসীমানা নিয়ে একাধিক দেশের বিবাদ রয়েছে। কিন্তু আমি বলছিলাম স্থলসীমানার কথা। ঐ জন্যই লক্ষ্য করুন আমি 'স্থলপ্রতিবেশী' শব্দটি ব্যবহার করেছি। এবং দক্ষিণ চিন সাগরের বিবাদটা পুরোপুরি একপেশেও নয়। ভারতে যেমন ১৯৬২ নিয়ে জনতাকে ঘোল খাওয়ানো হয়েছে তেমনিই ঐ বিবাদটি নিয়ে গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয় তা অনেকটাই আমেরিকান গুল। ওটা নিয়েও আরেকটা অংশ দেবো।

    CPEC, OBOR নিয়েও আসবে পরের খন্ডগুলোতে।
  • দেব | 57.11.208.98 | ২২ জুলাই ২০১৭ ২৩:২৬366938
  • ১৯৯৭ সালে পূর্ব এশিয়ায় প্রবল অর্থনৈতিক সংকটে বেশ কয়েকটি দেশ - দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া গাড্ডায় পড়ে। ইউরোপ আমেরিকা সেই দেখে ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসল। দ্যাখো বাপু বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আবিস্কার, ব্যবসা, পয়্সা এগুলো গণতন্ত্র (এবং সাদা চামড়া?) ছাড়া হয় না। আর চিন? হাহাহা। একটা টিনপট কমি ডিকটেটরশিপ। আমাদের জন্য জামাকাপড়, জুতো, প্লাষ্টিকের খেলনা এইসব বানায়। ১২০ কোটি লোক। ওটাও ডুবল বলে। রাশিয়া/পূর্ব ইউরোপ থেকে শিক্ষা নাও। অমর্ত্য সেন তার গভীর বিশ্বাস থেকে জানালেন - "এই দেশগুলি এই সংকটের মুখে পড়েছে কারণ এই দেশগুলিতে পূর্ণ গণতন্ত্র স্থাপিত হয়নি"। গর্ডন চ্যাং ২০০১ সালে লিখলেন তার বিখ্যাত বই - "চিনের পতন আসন্ন"। তারিখও বলে দিলেন - ২০১১।

    একই সাথে পশ্চিম বিশ্ব ফয়সালা দিল - চিন ভারতের থেকে এগিয়ে আছে ঠিকই (২০০১ সাল নাগাদ ক্রয়ক্ষমতা সমন্বয় করে ভারতের মাথাপিছু গড় বাৎসরিক উৎপাদন ২১০০ ডলার, চিন ৩২০০ ডলার, আমেরিকা ৩৭০০০ ডলার), কিন্তু ভারত অচিরেই চিনকে হারাবে। কারণ ভারতের হাতে আছে এক ট্রাম্প কার্ড - গণতন্ত্র। ভারতীয় পন্ডিতশ্রেণী সেই শুনে আপ্লুত হলেন। যদিও মনের মধ্যে ভয় রইল কারণ ভারতীয় 'গণতন্ত্রের' নমুনা তারা কাছ থেকে দেখেছেন কিন্তু তাই বলে পশ্চিম বিশ্বের রায় কি আর ফেলে দেওয়া যায়? জগদিশ ভগবতী লিখলেন - "ভারতে মানুষের বাকস্বাধীনতা রয়েছে সেইজন্য ভারত চিনের থেকে সফ্টঅয়ারে এগিয়ে আছে। চিন বদ্ধ তাই চিনারা কারখানার উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও এই ক্ষেত্রটিতে পিছিয়ে"। ইয়ার্কি মারছি না। উনি সত্যি এটা লিখেছিলেন কয়েক বছর আগে। যাই হোক। রেস শুরু হল। প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে আর্টিকল ওগরাতে শুরু করল ইউরো-আমেরিকান মিডিয়া। ঘুরিয়েফিরিয়ে বক্তব্য একই। চিন এগোচ্ছে ঠিকই কিন্তু অচিরেই হোঁচট খাবে।

    ব্যাপারটা ঠিক যেরকম ভাবা হয়েছিল ঠিক সেইরকম হল না। ২০১১ নাগাদ এসে দেখা গেল ভারতের মাথাপিছু আয় বেড়ে ৪৭০০ ডলার হয়েছে ঠিকই কিন্তু চিন ১০২০০!

    ধর্মবিশ্বাস কিছুটা টলতে আরম্ভ করল এইবার। অবশ্য লোকজন সন্দেহ করতে শুরু করেছিল আরো কিছুদিন আগে থেকেই। গণতন্ত্র প্রযোজনার আগের দু'দুটি সিনেমা - ২০০৩ এ "ইরাকে টারজান" ও ২০০৭ এ "ওয়াল স্ট্রিটে লঙ্কাদহন" - দুটিই তুমুল ফ্লপ। আর থাকতে না পেরে ২০১৩ সালে ব্রিটেনের 'গার্জিয়ান' কাগজটি ভারতকে এইবার তাড়া লাগাল - "ভারত! কি হচ্ছে? আমরা তোমার ওপর বাজি ধরেছিলাম যে গণতন্ত্র স্বৈরশাসনকে হারাবে। কিছু করে দেখাও!" (http://bit.ly/2tzuVuC)।

    বলাই সার।

    খুব বেশী লোকে খেয়াল করেনি কিন্তু ২০১৪ সালে একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্পবিপ্লব শুরু হবার পর থেকে প্রায় ২০০ বছর ধরে পশ্চিম বিশ্বের দুটি দেশ, প্রথমে ব্রিটেন তারপর আমেরিকা, ক্রয়ক্ষমতা সমন্বয় করে জাতীয় আয়ের বিচারে সারা পৃথিবীতে শীর্ষে ছিল। চিন ২০১৪ সালে এসে আমেরিকাকে টপকে সেই স্থানটি দখল করল। ২০১৪ সালে চিন - ১৮ ট্রিলিয়ন, আমেরিকা - ১৭.৩ ট্রিলিয়ন, ভারত - ৭.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এক, দুই, তিন নম্বর। অর্থাৎ ১৮০০ সালের আগে কয়েক হাজার বছর ধরে চিন যেখানে ছিল সেখানেই ফিরে এল। ভারতও লাইনেই রয়েছে, ঐতিহাসিক দু'নম্বর পদটির জন্য।

    এলার্ম বেল বাজতে শুরু করেছে পশ্চিম বিশ্বের রাজধানীগুলোতে (এবং দিল্লিতেও)। এত দিন ধরে দেশবাসীকে গুল মারা গিয়েছিল চিনকে নিয়ে। এবং হালকা করে সেই মিথ্যাগুলো শাসকশ্রেণীর সদস্যর নিজেরাও প্রায় বিশ্বাস করেই বসেছিলেন। কিন্তু এইবার আইডিওলজি ছেড়ে ঠান্ডা মাথায় আলোচনা শুরু হল। আলোচনার বিষয় - চিন অচিরেই আমেরিকান সাম্রাজ্যকে ঠেলে সরাতে শুরু করবে। বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ায়। কি করে আটকানো যায়? সিদ্ধান্ত হল - প্রত্যেকটি বছর চলে যাওয়ার সাথে সাথে চিনের শক্তি উত্তরোত্তর বাড়ছে। সুতরাং চিনকে আটকাতে গেলে এইটাই শেষ সময়। আর ৫-১০ বছর দেরী হয়ে গেলে আর আটকানো যাবে না। কি কর্তব্য? চিনকে হালকা করে খোঁচানো হোক। যদি চিন টোপটা গেলে, মাথাগরম করে আমেরিকাকে আঘাত করে বসে, তাহলেই কেল্লা ফতে। কাজটায় ঝুঁকি আছে এবং সফল যে হবেই নিশ্চিত নয়। কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি।

    আমরা একটা সান্ধ্যক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। পৃথিবীতে শক্তির ভরকেন্দ্রটি ঝুঁকছে পূর্বের দিকে। অনেক কিছুর হিসাব চোকানো হয়নি। অনেক কিছুর বদলা নেওয়া বাকি আছে। পপকর্ন রেডি রাখুন।
  • S | 57.15.11.159 | ২২ জুলাই ২০১৭ ২৩:৫৭366949
  • "খুব বেশী লোকে খেয়াল করেনি কিন্তু ২০১৪ সালে একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্পবিপ্লব শুরু হবার পর থেকে প্রায় ২০০ বছর ধরে পশ্চিম বিশ্বের দুটি দেশ, প্রথমে ব্রিটেন তারপর আমেরিকা, ক্রয়ক্ষমতা সমন্বয় করে জাতীয় আয়ের বিচারে সারা পৃথিবীতে শীর্ষে ছিল। চিন ২০১৪ সালে এসে আমেরিকাকে টপকে সেই স্থানটি দখল করল। ২০১৪ সালে চিন - ১৮ ট্রিলিয়ন, আমেরিকা - ১৭।৩ ট্রিলিয়ন, ভারত - ৭।৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এক, দুই, তিন নম্বর। অর্থাৎ ১৮০০ সালের আগে কয়েক হাজার বছর ধরে চিন যেখানে ছিল সেখানেই ফিরে এল। ভারতও লাইনেই রয়েছে, ঐতিহাসিক দু'নম্বর পদটির জন্য।"

    যাদের খেয়াল করার, তারা সকলেই খেয়াল করেছেন। কিন্তু কেউ তেমন পাত্তা দেয়নি অনেক কারণে। ১) চীনের নাম্বারে প্রচুর জল মেশানো আছে (এইজন্যেই ক্যাপিটালিজমের সাফল্যের ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাসি কেন ইম্পর্ট্যান্ট বোঝা যায়), ২) "ক্রয়ক্ষমতা সমন্বয় করে" - এটি অন্য অনেক কারণে ব্যবহার হলেও ডিফেন্সে গুরুত্ব কম (লক্ষ্য করে দেখুন যে সেই হিসাবে ভারতের জিডিপি আম্রিগার আর্দ্ধেক), ৩) পার ক্যাপিটা জিডিপি হিসাবে চীন অনেক অনেক পিছিয়ে, ৪) আম্রিগার বিশাল ডিফেন্স স্পেন্ডিঙ্গ। তার পরেও এইটা সঠিক যে চীনের অর্থনৈতীক সাফল্য তাকে অনেক অ্যাডভেন্চারাস আর অ্যাম্বিশাস করে তুলেছে।

    আরেকটা ব্যাপারে ডিসাগ্রি করছি। আপনি চীনের এই অর্থনৈতীক উন্নতিকে পস্চীম (ও ভারতের) চিন্তার কারণ বলেছেন। আমার তেমন মনে হয়্না। চীনের উন্নতিতে পস্চীম দুনিয়া খুব আনন্দিত হয়েছিলো। মনে করেছিলো যে কনফ্লিক্ট কমবে। কিন্তু চীনের কিছু কার্যকলাপ খুবই অ্যালার্মিঙ্গ। বোঝাই যাচ্ছে যে তাদের নিজস্ব প্ল্যান, অ্যাম্বিশান আছে যার মধ্যে এক্সপানশান একটা খুব পার্ট।
  • দেব | 127.214.108.120 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০২:০৮366960
  • @S

    চিন তার আয়ের হিসেব বাড়িয়ে দেখায় এই গুলটা আমেরিকার পন্ডিতরা দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে এসেছেন এবং লোকজন সেই শুনে নিশ্চিত হয়েছে। বিশেষ করে লি কিচ্যাং এর ২০০৭ সালের একটি মন্তব্য - "China's GDP figures are man made" - এতে আরো ঘি ঢেলেছে। মজার ব্যাপার হল এখন দাবী উঠেছে যে চিনের হিসেবে সত্যিই জল মেশানো আছে। কিন্তু সেটা উল্টোদিকে। চিন নিজের আয় কমিয়ে দেখায়। ঠিকই পড়েছেন।

    অরবিন্দ সুব্রমনিয়ম - https://piie.com/blogs/realtime-economic-issues-watch/china-already-number-one-new-gdp-estimates

    জোসেফ স্টিগলিৎস -http://www.vanityfair.com/news/2015/01/china-worlds-largest-economy

    লেখাপত্তর যা পড়ছি পাত্তা লোকে খুবই দিচ্ছে, বিশেষ করে গত দু'তিন বছরে। এখন নতুন গল্প চালু হয়েছে - চিন নাকি অচিরেই ঋণের বোঝায় ডুবতে চলেছে। এবং অগুন্তি ভারতীয় সেই শুনে আহ্লাদিত হয়ে নেটের প্রায় সর্বত্র, বিশেষ করে বিভিন্ন খবরের কাগজের (দেশী এবং বাইরের দুইই) চিন বিষয়ক প্রবন্ধগুলির নিচে মন্তব্য বিভাগে উদ্ভট কথাবার্তা লিখে নিজেদের হাসির খোরাক করে চলেছেন।

    প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ক্রয়ক্ষমতা সমন্বয় করা যায় না তখনই যখন আপনি বেশীর ভাগ দামী জিনিসগুলি আমদানী করেন যেমন ভারত। চিন সেরকম নয়। চিন সিংহভাগ নিজেই তৈরী করে। কিন্তু সেখানেও একটা ধর্মবিশ্বাস আছে। চিনের তৈরী যুদ্ধসামগ্রীর মান তেমন ভাল নয় (এটা সত্যি কথা)। কিন্তু সেখান থেকে পরের ধাপ - চিন কখনই আমেরিকার মতন বানাতে পারবেনা কারণ....? কারণ গণতন্ত্র নেই আবার কি! চিনের দুর্ভাগ্য পেন্টাগন এই ভেবে নিশ্চিত হয়ে বসে নেই।

    http://www.oni.navy.mil/Intelligence_Community/china_media/2015_PLA_NAVY_PUB_Print_Low_Res.pdf

    ২০১৭ সালে এসে চিনের মাথাপিছু আয় আমেরিকার ৩৩% মতন। কিন্তু চিনের জনসংখ্যা আমেরিকার ৪ গুণেরও বেশী। আর ১০-১৫ বছর যদি চিন টানতে পারে তালে হয়ে গেল আমেরিকার একলা মহাশক্তি অবস্থানের। চিনের মাথাপিছু আয় তখনও কমই হবে কিন্তু এখানে বিচার্য হচ্ছে মোট শক্তি।

    চিনের উত্থানে পশ্চিম বিশ্ব 'খুব আনন্দিত' হয়েছিল এতদুর আমি যাব না। হ্যাঁ ৯০এর দশকে কিছুটা সহানুভুতি ছিল কিন্তু একটা শর্তে - চিনকে গণতন্ত্র ও ব্যক্তিস্বাধীনতা স্থাপন করতে হবে। আশা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানকে খোজা করে দেওয়ার পর জাপান যেমন আর রা কাড়ে না চিনও সেরকম হবে। সেই সঙ্গে আরেকটা অনুচ্চারিত আশা ছিল - চিন এগোচ্ছে ঠিকই কিন্তু কিছুদুর গিয়েই আটকে যাবে কারণ....? কারণ গণতন্ত্র নেই আবার কি! এই বিশ্বাস যাদের ছিল তাদেরকে এরিক লি একটা খাসা নাম দিয়েছেন - Panda hugger universalist।



    এই চিনা গণতন্ত্রপ্রেমীদের একজন, মাইকেল পিল্সবারি, আশাভঙ্গ হওয়ায় এখন চিনের ওপর চটেছেন। বই লিখেছেন - "একশ বছরব্যাপী ম্যারাথন"। বইএর বক্তব্য - চিনকে আমরা মাপতে ভুল করেছি। চিন আমেরিকাকে হঠিয়ে ২০৪৯ সালের মধ্যে বিশ্বে হেজিমনি হতে চায়!

    যারা আরেকটু দূরদর্শী ছিলেন যেমন হান্টিংটন, তারা কিন্তু সাবধানবাণী দিয়েছিলেন।

    চিনের কিছু কিছু কার্যকলাপ অনেকের কাছেই খুবই অ্যালার্মিং ঠিক কথা। কিন্তু খেল তো সবে শুরু হয়েছে। আমরা হেজিমনি হেজিমনি করে হেজিয়ে মরি, ট্রাস্ট মি, দিস ইজ গোয়িং টু বি দি মাদার অব অল হেজিমনিস। হ্যাঁ এটা যে হবেই সেটা ১০০ ভাগ নিশ্চিত আমি নই। কিন্তু সম্ভাবনা ৫০% এর বেশী। এবং তার ফলে চিন ও আমেরিকার ধাক্কা লাগতে চলেছে আর ২ দশকের মধ্যে যদি আমেরিকা স্বেচ্ছায় সরে না যায়। সেই পরিস্থিতিতে ভারতকে নিজের অবস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    শেষ করার আগে একটা কথা বলে রাখি। এই সিরিজটা চিনকে সমর্থন-অসমর্থন করার জন্যে লিখছি না। এটা বিশুদ্ধ ভূরাজনৈতিক আলোচনা। নৈতিকতাকে আমি এর বাইরে রাখছি।

    চলবে।
  • S | 57.15.11.159 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৬366971
  • চীনা জিডিপিতে যে প্রচুর জল আছে, সেটা ২০০৭ এর অনেক আগে থেকেই জানা কথা। গুল তো এক্কেবারেই নয়। আশা করি চাইনিজ ঘোস্ট সিটির কথা জানেন। এই নিয়ে সত্যিই কোনো তক্কে যাবোনা, কারণ সেটা নিষ্প্রয়োজন।

    আপনার দেওয়া লিন্ক গুলোতে কিন্তু চীনা আয় কমিয়ে দেখার কথা একদমই পেলাম না। আপনি একটু পয়েন্ট আউট করে দিলে সুবিধে হয়।

    "২০১৭ সালে এসে চিনের মাথাপিছু আয় আমেরিকার ৩৩% মতন।"
    - পিপিপি এস্টিমেটে। নমিনাল দেখলে অনেক কম (১/৬)। কিন্তু তবু এটা স্বীকার্য যে বেড়েছে, ফলে ঐ অ্যাম্বিশান, এক্সপানশন, ইত্যাদি।

    চীনের ডেট বেড়েছে, কিন্তু ভয়ন্কর জায়্গায় গেছে কিনা সেটা এখনো বলা যায়্না। সরকারি ডেট এখনো ৪৫% এর আশে পাশে। বেশি, কিন্তু তেমন ভাব্বার কিছু নেই বলেই মনে হচ্ছে। তবে ন্যশনাল ডেট তো শুধু সরকারী হয়্না। বরন্চ আম্রিগার ডেট লেভেল নিয়ে চিন্তার আছে।

    চীনের থেকেও যে দেশটিকে আমার অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে - বিষেশত বিদেশনীতির ক্ষেত্রে - সেটি হলো রাশিয়া। পুটিন বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু মাস্টার স্ট্রোক খেলেছে। চীনের খেলাটা বড্ড ব্লান্ট - বোঝা যাচ্ছে।

    কোটেশান চেরী পিকিঙ্গের দিকে আর নাই বা গেলাম।
  • stiglitz | 219.66.119.150 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৪:১১366982
  • The latest assessment, released last spring, was more contentious and, in some ways, more momentous than those in previous years. It was more contentious precisely because it was more momentous: the new numbers showed that China would become the world’s largest economy far sooner than anyone had expected—it was on track to do so before the end of 2014.

    The source of contention would surprise many Americans, and it says a lot about the differences between China and the U.S.—and about the dangers of projecting onto the Chinese some of our own attitudes. Americans want very much to be No. 1—we enjoy having that status. In contrast, China is not so eager. According to some reports, the Chinese participants even threatened to walk out of the technical discussions. For one thing, China did not want to stick its head above the parapet—being No. 1 comes with a cost. It means paying more to support international bodies such as the United Nations. It could bring pressure to take an enlightened leadership role on issues such as climate change. It might very well prompt ordinary Chinese to wonder if more of the country’s wealth should be spent on them. (The news about China’s change in status was in fact blacked out at home.) There was one more concern, and it was a big one: China understands full well America’s psychological preoccupation with being No. 1—and was deeply worried about what our reaction would be when we no longer were.
  • T | 131.6.68.127 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৪:১৯366993
  • দেবকে অনুরোধ করব বর্তমান ডোকা লা পরিস্থিতি নিয়ে আরো বিশদে লিখতে।
  • S | 57.15.7.10 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪২367004
  • ইউএনে বেশি চাঁদা দিতে হবে এই ভয়ে কেউ এক নাম্বার পোস্ট ছেড়ে দেবে, এইটা বেশ কল্পকষ্টিত। যেখানে চীন অলরেডী সিকিউরিটি কাউন্সিলের মেম্বার। তাছাড়া এইসব চাঁদা ঠিক হয় নমিনাল জিডিপির উপরে - পিপিপির হিসাবে নয়। অতেব চীন তার আয় কম করিয়ে দেখাচ্ছে - এইটা বিশ্বাস করা কঠিন। তার ভুড়ি ভুড়ি প্রমাণ আছে। আর চায়্না তো তার নিজের উত্থানে তেমন কোনো হিউমিলিটি দেখিয়েছে বলে তো মনে পড়েনা।

    যাউগ্গে টই বেপথে যাচ্ছে। আমার বক্তব্য ছিলো যে সক্কলেই ব্যাপারগুলো খেয়ালে রাখছে (আমার মতন ছাপোষা লোক রাখলে বাকিরাও নিস্চই রাখছে)। কিন্তু চীনের জিডিপির হিসাব নিয়ে আলোচোনা করা উচিত উইথ ট্রাকলোড অফ সল্ট। অতেব অর্থনৈতীক ভাবে আম্রিগাতে ধরতে এখনো অনেক অনেক সময় আছে। তাই এই দুই দেশের মধ্যে বড় সংঘাত হতে সময় লাগবে - আদৌ যদি হয়। উত্তর কোরিয়া নিয়ে তো চীন বেশ বিব্রত - ওটাই মেজর ফ্ল্যাশ পয়েন্ট।

    বরন্চ ভারত আর চীনের পাশাপাশি রাইজ অনেক বেশি চিন্তার - সংঘাত লাগার সম্ভাবনা খুব বেশি। সেখানে অনেকেই ইন্ধন যোগাচ্ছে। ৫৬ ইচির নিজস্বও অ্যাজেন্ডাও কম নয়। সঙ্গে দোসর পাকিস্তান তো আছেই।
  • stiglitz | 195.104.120.4 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৯:৫৫367015
  • স্টিগলিটজ ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সিনিয়র ভিপি ও চিফ ইকনমিস্ট ছিলেন। উনি নমিনাল আর পিপিপি অ্যাডজাস্টেড জিডিপির তফাৎ হয় তো জানেন। নোবেল প্রাইজের কথাটা আর তুললাম না।

    ল্যারি সামার্সের সাথে ঝগড়া হওয়ায় সামার্স কল করে স্টিগলিটজকে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক থেকে তাড়ায়। তবে সেটা সামার্সের কাছে প্রত্যাশিত। মেয়েদের অঙ্ক বিজ্ঞান শেখার ক্ষমতা নিয়ে ওনার মন্তব্য তো প্রায় বেল কার্ভের লেখকের কথাবার্তার মতই ইলিবারেল।
  • | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১০:১০367026
  • লিখুন দেব
  • S | 57.15.5.11 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৩:৪৯367038
  • জোসেফ স্টিগলিটজের সম্বন্ধে অল্প স্বল্প জানি। উনার লেখা কিছু পেপারও পড়েছি।

    আমার লেখাটা তাদের জন্য যারা স্টিগলিটজের লেখাটা পড়ে মনে করতে পারেন যে চীন চাঁদা দেওয়ার ভয়ে আয় কম দেখাচ্ছে। চীন আয় কম দেখাচ্ছে, সেটা মনে হয় উনি বলেননি। বলেছেন যে আম্রিগাকে সড়িয়ে এক নম্বর স্থানটি নিতে নারাজ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট এড়াতে।

    আসলে একই সাথে চীণের আয় বাড়াতে সে এক নম্বর হয়ে গেছে (ফলতঃ সাউথ চায়না, মাসল ফোলানো) আর চীন আয় কমিয়ে দেখাচ্ছে এটা একটু খটোমটো লাগছে।
  • দেব | 55.124.195.197 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:২১367049
  • @S

    প্রথম লিঙ্কে এইখান থেকে শুরু হয়েছে - as argued by Deaton and Heston (2010). They suggest that China's PPP-GDP was underestimated (by the ICP project and by the World Bank) because of the urban bias of the price sampling in ICP 2005. Data on prices were collected for 11 cities and their surroundings but no rural prices (which are typically substantially below urban prices) were collected (or rather allowed to be collected by the Chinese authorities).

    একটা ব্যাপার ঠিক, যেকোন দেশের, বিশেষ করে চিন, ভারতের মতন উঠতি দেশগুলিতে জাতীয় আয়ের পরিমাপ করা প্রায় ভুডু সায়েন্সের পর্যায়েই পরে (লি কিচ্যাংএর মন্তব্য দ্রষ্ট)। কিন্তু এতদিন ধরে প্রচলিত ধারণা ছিল চিন বাড়িয়ে দেখায় সেখানে যদি সুব্রমনিয়ম এটা সন্দেহ করে থাকেন যে ডাল মে কুছ কালা হ্যায় তাহলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কেন চিন এরকম করতে পারে? এর ব্যাখ্যা দিতে উনি শ্রীনিবাসনকে উদ্ধৃত করেছেন। স্টিগলিৎসের মতন শ্রীনিবাসনেরও একই কথা -

    One interesting question is why China did not allow more representative prices to be collected as part of the ICP project in 2005. Professor T. N. Srinivasan of Yale University has long argued that China likes to exaggerate its growth rate (to showcase its strength and dynamism) and simultaneously understate its level of GDP (being seen to be poorer may have advantages internationally, such as not being expected to contribute financially to global institutions or global public goods). Overstating prices has the effect of understating GDP, and thus helps achieve this objective.

    প্রসঙ্গত, লি কিচ্যাং, বর্তমানে চিনের দু'নম্বর, ঐ মন্তব্যটি করেছিলেন ২০০৭ সালে। তখন উনি লিয়াওনিং প্রদেশের শাসনকর্তা। আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সাথে এক নৈশভোজে উনি কথায় কথায় জানান - "দেখুন চিনের জাতীয় আয়ের যে হিসেব আপনি শুনেছেন ওগুলো ধরবেন না। ওগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। আমি নিজে ওর ভরসায় থাকি না। বরং আমি বিচার করি - রেলপথে পণ্যপরিবহনের পরিমাণ, বিদ্যুৎ উপভোগ ও ব্যাঙ্কগুলি কতটা ঋণ বাজারে ছাড়ল এই তিনটি সূচক দিয়ে"।

    সেই কথোপকথ্ন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত নিয়মমাফিক ওপরওয়ালাদের কাছে রিপোর্ট করেন। ২০১০ সালে উইকিলিকস এরকম আরো অনেক তথ্যের সাথে ঐ চিঠিটিও প্রকাশ্যে ফাঁস করে দেয়।

    রাশিয়া নিয়েও লিখব OBOR এর খন্ডে। আপাতত আগে বাড়ি।
  • দেব | 55.124.195.197 | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১৭:২৭367060
  • সম্প্রতিকালে ভারত চিনের ওপর বেজায় চটে আছে বিশেষ দু'টি কারণে। প্রথমত চিন ভারতকে NSGতে ঢুকতে দেয়নি। চিনের বক্তব্য ভারত NPTতে সই না করলে ঢোকা যাবে না কারণ ভারতকে ভরসা নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার্য আণবিক কাঁচামাল ভারত বোমা বানানোর কাজে লাগাতে পারে। NPT চুক্তির সার হচ্ছে যে দেশগুলির হাতে বোমা রয়েছে তারা অন্য কোন দেশকে বোমা 'উপহার' দেবে না।

    এখন এর একটা ইতিহাস রয়েছে। ৬০এর দশকে আমেরিকা ও কানাডা ভারতকে আণবিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেছিল। ভারত সেই কাঁচামাল ও রিয়্যাক্টর কাজে লাগিয়ে ১৯৭৪ সালে বোমা বানিয়ে পরীক্ষা করে। কানাডা প্রবল চটে ভারতকে এই ক্ষেত্রে আর কোনরকম সাহায্য করা বন্ধ করে দেয়। আমেরিকাও কিছুটা থম মেরে যায়। এইজন্যে চিন ছাড়া আরো বেশ কিছু দেশই ভারতকে সন্দেহ করে।

    দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতে আণবিক বিদ্যুৎএর বিকাশ আটকে আছে। যদিও অনেক পন্ডিতের মন্তব্য NSGতে ঢুকতে না পারলেও খুব একটা পার্থক্য হওয়ার কথা নয়। NPT সই না করেও NSGতে ভারতকে সামিল করার জন্য আমেরিকা ভারতের পেছনে ছিল। কিন্তু চিন পাল্টা দিল সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকেও একই সুযোগ দিতে হবে। কেসটা নিয়ে আর কিছু করা গেল না।

    দ্বিতীয় হচ্ছে হাফিজ সইদকে ভারত UN থেকে সন্ত্রাসবাদী অ্যাখ্যা দেওয়ানোর চেষ্টায় ছিল। এটা অবশ্য একটা প্রতীকি ব্যাপার হত। UN বললেই যে পাকিস্তান সইদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেবে এমন নয়। কিন্তু তাহলেও এর গুরুত্ব আছে। চিন তাতে ভেটো দিল। NSGর থেকে এইটাতে ভারত, বিশেষত জনসাধারণ আরো বেশী রেগেছে। সইদ ২৬/১১র পেছনে ছিল। চিনের রাগের একটা কারণ আছে - ভারত দলাই লামাকে পোষে। কিন্তু তার থেকেও এখানে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল CPEC। ভূরাজনীতি চিন বোঝে। সেই কারণে পাকিস্তানকে খুশি করল। ভারত-চিন সম্পর্ক ঠেকল তলানীতে।

    ---------------------------------

    হাতে গোনা কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম কোন কালেই খুব একটা পাতে দেওয়ার মতন কিছু ছিল না। কিন্তু তাও যেটুকু ছিল গত এক-দেড় দশক ধরে তার অভাবনীয় অধঃপতন ঘটেছে। এখনও অবধি ব্রিটেন আমেরিকার মতন অতটা নিচে নামেনি ঠিকই কিন্তু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ধর্মবিদ্বেষ এখনও মূলস্রোতে ঢোকে নি কিন্তু তার খুব বেশী দেরী নেই যথা অর্ণব গোস্বামীর 'রিপাবলিক'। এর পরের ধাপ, জাতিবিদ্বেষ, স্বাভাবিক নিয়মেই আসবে। এদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির ওপরে প্রায় ক্যান্সারের মতন ক্ষতি করে চলেছে আমাদের 'স্বাধীন' গণমাধ্যম।

    কিন্তু এর পরেও যখন চিনের প্রশ্ন ওঠে তখন ভারতের কাগজগুলি আরো তলায় নামে। নিজস্ব রিপোর্টিং প্রায় শুন্য। প্রায় সবকটি কাগজেই গত কয়েকবছর ধরে কায়দা হয়েছে, চিনের "সরকারী মুখপত্রে" ভারত সম্বন্ধে কি লিখেছে (সেটা প্রশংসা হোক বা আওয়াজ দেওয়া) সেইটিকে নুনলঙ্কা মিশিয়ে প্রকাশ করা যাতে লোকজন উসকায়। এর বাইরে কখনও সখনও পশ্চিমি মিডিয়া ভারত-চিনের তুলনা করলে সেটাও থাকে। তার বক্তব্য না দেখেই বলে দেওয়া যায় - "চিন ভারতের থেকে এগিয়ে থাকলেও ভারত অচিরেই চিনকে হারাবে" ইত্যাদি। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। এর ফলও খুব ভালভাবেই পাওয়া গেছে। প্রবন্ধগুলির নিচে মন্তব্য বিভাগে একবার চোখ বুলোলেই সেটি চোখে পড়ে। ১৩০ কোটির মগজধোলাই অপারেশন সম্পূর্ণ সফল।

    এখন ব্যাপার হল যখনই ভারতীয় কাগজগুলি চিনের এই "সরকারী মুখপত্র" কাগজটির দোহাই দেয়, প্রতি ১০ বারে আপনি ১১ বার নিশ্চিত থাকতে পারেন এটি কোন কাগজ। এর নাম "গ্লোবাল টাইমস"। এবং এটি আদৌ কোন সরকারী কাগজ নয়। একটি সাধারণ বেসরকারী কাগজ, আমাদের টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতন। চিন সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই গ্লোবাল টাইমসকে নিয়ে। ভারতের মতন চিনও কোন জিনিস ছাপা হবে কি হবে না সেটা হুইপ করে। কিন্তু চিন সরকার নিজের বক্তব্য জানাতে গেলে গ্লোবাল টাইমসকে পুঁছবে না। সেজন্য তাদের আসল মুখপত্র আছে - "রেনমিন রিবাও" যার ইংরিজি নাম "পিপলস ডেইলি"।

    অর্থাৎ চিনের কাগজগুলি যদি টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে চিন নিয়ে কি লেখা হয়েছে সেই নিয়ে কাটা ছেঁড়া করতে বসত তাহলে সেইটা হত ভারতের কাগজগুলি এখন যা করছে তার সমতুল্য। হীণমন্যতা কোন স্তরে পৌঁছেছে অনুমেয়।

    ২৬এ জুন যখন প্রথম ডোকা লার ঘটনাটা বাইরে এল ভারত তখনও নিজের গল্পটা পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারে নি। একদম প্রথমে শোনা গেল চিন নাকি সিকিম সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল। পরের দিন চিনের বিদেশমন্ত্রক জানাল যে ১৮৯০ সালের চুক্তি অনুযায়ী এই এলাকায় ভারত-চিনের সীমানা নিয়ে কোন বিবাদ নেই। বরং ভারতই চিনের এলাকায় ঢুকেছে। তখন ভারত জানাল যে না ওটা ভুটানের এলাকায় হয়েছে। ভুটানের অনুরোধে ভারত ওখানে গেছে। ভারত চায় চিন অনির্ধারিত সীমানায় স্থিরতা বজায় রাখুক। সেই কথা পেলে ভারত সেনা সরিয়ে নেবে। ভুটানও একই কথা বলল।

    ভারতবাসী প্রবল গর্বিত। এতদিন ধরে শুধু শোনা যেত চিন লাদাখে "ভারতের এলাকায়" ঢুকেছে। অর্থাৎ অভিঘাতটা এসেছে চিনের দিক থেকে। ভারত ম্যাদামারার মতন তাতে জবাব দিত। এবারে ব্যাপারটা উল্টো। ভারত এবারে আক্রমণে। মেরুদন্ডবিহীন কংগ্রেসের ৫৬"কে দেখে শেখা উচিত - শোনা গেল।

    কিন্তু ওমা, ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রবল আনন্দোৎসব শুরু হতেই যাচ্ছিল কি চিন তাতে জল ঢেলে দিল। রেনমিন রিবাও, চিন সরকারের আসল মুখপত্র কঠিন ভাষায় বুঝিয়ে দিল ভারত যেন এই ভ্রমে না থাকে যে চিন এটা মেনে নেবে। ঐ এলাকা চিনের। ওটা লাদাখের মতন নয় যেখানে ২০১৩ ও ২০১৪তে ঝামেলা লেগেছিল। লাদাখে সীমান্তচুক্তি হয় নি। সিকিম সেরকম নয়। পূর্বোল্লেখিত গ্লোবাল টাইমস অত্যন্ত অশালীন ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করল - "সন্মানের সঙ্গে ঐ এলাকা থেকে স্বেচ্ছায় বেড়িয়ে যাও নইলে লাথিয়ে বের করব" - ঠিক এই ভাষায়। ভারতীয় মিডিয়া পাকিস্তানের সাথে যেভাবে কথা বলে। থম মেরে গেল ভারত। কাগজগুলোও চুপ। কারণ চিনের এই চেহারা তারা আগে দেখেনি। এর আগে লাদাখে ভারতের সাথে সম্প্রতিকালে যে কটা ঝামেলা হয়েছে চিন চুপ থেকেছে। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় সমাধান বেড়িয়েওছে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সাথে অন্যান্য দেশের যেসব সমস্যা রয়েছে সেখানেও "লাথি খাবে" এমন কথা গ্লোবাল টাইমসও লেখেনি। বোঝাই গেল এবারের পরিস্থিতি আলাদা।

    এই আক্রমণের মুখে ভারত কিন্তু এখনও অবধি কোন তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সরকারী স্তরে ভারত বারবার জানাচ্ছে চিনের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই ভারত ও ভুটান রফাসূত্র খুঁজতে চায়। (বড়) খবরের কাগজ ও চ্যানেলগুলিও মাথা ঠান্ডা রেখেছে। অরুণ জেটলী বা সুষমা স্বরাজ একটা দুটো কথা বলেছেন ঠিকই কিন্তু ভারত এখনও শান্ত। এটা পরিণতবুদ্ধির পরিচয়। ১৯৬২র আগে ভারতের অবস্থা দাঁড়িয়েছিল যাকে ইংরিজিতে বলে "ভারবাল ডায়ারিয়া", বকেই চলেছে। এই জায়্গাটাতে আজকের ভারত সত্যিই ১৯৬২র থেকে আলাদা। নিন্দুকে বলবে হ্যাঃ ভারত ভয় পেয়ে সিঁটিয়ে গেছে। সেটা হয়তো অসম্ভব নয়। কিন্তু এখনও অবধি ভারত শান্ত রয়েছে। কিন্তু চিনের ব্যবহার ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    ভারত ঠিক কি চায়? প্রকাশ্যে মোদি সরকার যা বলছে সে তো দেখছি। কিন্তু সেটাই কি সব? নাকি মোদি চিনের সামনে একটা বোড়ে এগিয়ে দিয়েছেন? আসল খেলাটা আরো বড়? সন্দেহের কারণ আছে কারণ জিনিসটা ঘটেছে মোদি-ট্রাম্প মোলাকাতের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। সবদিক দিয়ে ভাবলে চিনের বিরুদ্ধে ভারত-আমেরিকার আঁতাত তৈরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। সমস্যা হল চিন এই বোড়ের পাল্টা সটান গ্যাম্বিট করে বসেছে। ভারতের দিক থেকে কূটনৈতিক আলোচনাপ্রস্তাবের বিরুদ্ধে গিয়ে চিন জানিয়েছে ঐ এলাকা থেকে বেড়িয়ে যাও নইলে আমরা কোন কথাই বলব না। এটা অত্যন্ত কঠিন অবস্থান কারণ কথাই না হলে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানসূত্র বেরোবে না। এবং এটা চিন খোলাখুলি নিজের দেশবাসীর সামনে বলেছে। ইজ্জতের সওয়াল এখন। এই কারণে এটাকে আমি গ্যাম্বিট ধরছি। অবশ্য চিন শুধু এই গ্যাম্বিটই করেনি। পাশাপাশি নিজস্ব আরও দুটো বোড়েও এগিয়েছে। একটা হল ভুটানকে ভারতের ছায়া থেকে বের করে আনার চেষ্টা। দুই, এই প্রথম চিন সরাসরি কাশ্মীরের ভেতরে নাক গলিয়েছে (ঐ ভুটানের যুক্তির রেশ ধরে)। এটা বেশ বড় ব্যাপার কারণ এতদিন পর্যন্ত চিন কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারত-পাকিস্তানের ভিতরে নাক গলাত না তা সে যতই হাফিজ সইদ প্রশ্নে (বা অন্যান্য ব্যাপারে) পাকিস্তানকে সাহায্য করুক না। কিন্তু এই সবকিছুতে বড় সমস্যা ঐ গ্যাম্বিটটাই।

    চিন 'অসরকারী' ভাবে কথা হয়তো বলবে। মোদি কি অফার করবেন চিনকে? বদলে কি চাইবেন? আর যদি যুদ্ধই লাগে সেটা কিভাবে এগোবে?

    চলবে।
  • S | 57.15.14.66 | ২৫ জুলাই ২০১৭ ০২:৩০367071
  • যদিও এই আলোচোনার সাথে কোনো সম্পক্ক নেই, তবুও বলে যাই।

    "They suggest that China's PPP-GDP was underestimated (by the ICP project and by the World Bank) because of the urban bias of the price sampling in ICP 2005."

    এর সাথে চীনের আয় কম দেখানোর কোনো সম্পক্ক নেই। পিপিপি এক্সচেন্জ রেট অ্যাপ্লাই করার আগেই জল মেশানো হয়ে যায়। নমিনাল জিডিপি নাম্বার মারাত্মক ইনফ্লেটেড বাই চীনা সরকার। পিপিপি রেট পরে ইকনমিস্টরা অ্যাপ্লাই করেন।

    "China likes to exaggerate its growth rate (to showcase its strength and dynamism) and simultaneously understate its level of GDP"

    এটাও ঐ পিপিপি-হিসাবে জিডিপি কম এস্টিমেটের ব্যাপার। নমিনাল জিডিপিতে যে জল মেশানো আছে সেটাও এই বক্তব্যেই পরিষ্কার।

    "রেলপথে পণ্যপরিবহনের পরিমাণ, বিদ্যুৎ উপভোগ ও ব্যাঙ্কগুলি কতটা ঋণ বাজারে ছাড়ল"ঃ এছাড়াও অনেক গুলো নাম্বার আছে যেগুলো দিয়ে বাইরের লোক সরকারের নাম্বারের যাচাই করে। আপনিও করতে পারেন। যেমন গাড়ি বিক্রি, কত বাড়ি বিক্কিরি হলো, কর্পোরেটদের রেভিনিউ। ধরুন সবথেকে বড় সবকটি আইটি কোম্পানির আয় কমলো এই কোয়ার্টারে, অথ্চ সার্ভিস সেক্টরে প্রচুর গ্রোথ হলো - তখন কোস্নো তোলা হয় যে কোন সেক্টর ড্রাইভ করলো এই গ্রোথ।
  • S | 57.15.14.66 | ২৫ জুলাই ২০১৭ ০২:৫০367082
  • "গ্লোবাল টাইমস" মনে হয় "পিপলস ডেইলি"র ছোটো ভাই। সম্পক্ক আছে।

    "চিনের কাগজগুলি যদি টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে চিন নিয়ে কি লেখা হয়েছে সেই নিয়ে কাটা ছেঁড়া করতে বসত"ঃ এটা বোধয় চীনে অলরেডী করা হয়। এইমুহুর্তে লিন্ক নাই, পরে দেবো।

    চীনকে অতো দুষ্টু মিষ্টি দেশ ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রচন্ড অ্যান্টি ইন্ডিয়া সেন্টিমেট রয়েছে (পড়ুন ছড়ানো হয়েছে) চীনে (বিশেষত মেইনল্যান্ড চীনে)। বেশিরভাগ চীনাদের ভারত সম্পর্কে ধারণা ম্যানিপুলেটেড।

    এর মধ্যে উত্তর কোরিয়া নিয়ে জল ঘোলা হলে আসল পরিস্থিতি বোঝা যাবে। তবে ভারত চীন ফুল স্কেল যুদ্ধ অসম্ভব।
  • দেব | 135.22.193.149 | ২৫ জুলাই ২০১৭ ১৬:৫২367093
  • প্রথমেই বলে রাখি চিন এত চেঁচামেচি করছে মানে যুদ্ধ যে লাগবেই এমন নয়। সম্ভাবনা আসলে কমই। আগামী অক্টোবরে চিনের উনিশতম জাতীয় পার্টি কনফারেন্স হতে চলেছে। খুব বড় ব্যাপার এটা। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই কনফারেন্সে পরবর্তী ৫-১০ বছরে কে চিন চালাবে তার সিদ্ধান্ত হয়। সেইমতন পদোন্নতি। এই পুরো ব্যাপার মেটার আগে চিন কোন ঝুঁকি নেবে বলে মনে হয় না। তারপর শীত পড়ে যাচ্ছে। সুতরাং কিছু হলে সে হতে হতে পরের বছর। ততদিনে অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে।

    কিন্তু যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই যুদ্ধ লাগলই সেক্ষেত্রে কয়েকটা জিনিস এখনই আন্দাজ করে নেওয়া যেতে পারে। প্রথমত চিন ভারত দুই দেশই ঘোষণা করে রেখেছে যে তারা নিজের থেকে প্রথমে আণবিক বোমা ব্যবহার করবে না। করবে শুধু জবাব দিতে। কিন্তু তাহলেও যদি চিন বা ভারত কেউই যদি যুদ্ধে বাজেভাবে হারতে শুরু করে ও দেখা যায় যে তারা জমি হারাতে শুরু করেছে (ভারত অরুণাচলে বা চিন তিব্বতে) তাহলে এরকম হতেই পারে যে অন্তত নিজেদের এলাকায় শত্রুসৈন্যের বিরুদ্ধে ছোট একখানা আণবিক বোমা চিন বা ভারত ব্যবহার করল। পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ঠিক এই নীতি মেনে চলে। যদি ভারত পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালায়, ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের জমিতে ঢুকে আসে তাহলে পাকিস্তান আক্রমণকারী ভারতীয় সেনার ওপর ছোট একখানা বোমা চমকে দেবে বলে মুশারফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বহুদিন আগেই। যদি ভারত ও চিনের মাঝে সেরকম হয় তাহলে তারপর যাকে ইংরিজিতে বলে 'অল বেটস আর অফ' সেই অবস্থা হবে।

    আশা করা যায় এই সম্ভাবনাটা দুই দেশই আন্দাজ করেও রেখেছে। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় কেউই একে অপরের জমিতে খুব বেশী ঢুকে আসার ঝুঁকি নেবে না। দ্বিতীয়ত খুব বেশীদুরে ঢুকে আসা চাট্টিখানি কথাও না। শুরু থেকে শুনে আসছি ঐ জমিখন্ডটুকু পেলে নাকি চিনের পক্ষে ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের ওপরে হামলা চালানো সহজ হয়ে যাবে। এই ঝুঁকিটা হাস্যকর রকম বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। অজয় শুক্লা লিখছেন -

    ...this danger is dramatically overblown. A Chinese advance to Siliguri would require the mobilisation of large numbers of People’s Liberation Army (PLA) troops from around Lhasa, and Mainland China. Dennis Blasko, a leading expert on the Chinese military, says the PLA’s on-going reorganisation aims to increase the “new-type combat forces”, which are capable of being used anywhere in China or its borders, but there are not enough of these forces in Tibet to break through India’s forward defences in Sikkim. Bringing in sufficient numbers and acclimatising them to Tibet’s high altitudes would take the PLA weeks, losing strategic surprise and allowing India to comfortably reinforce its defences in Sikkim.

    If moving appropriate troops into the Chumbi Valley is a logistical challenge, shielding them from Indian artillery, air and ground attacks in that bottleneck would be even more difficult. Thereafter, the PLA would have to break through formidable Indian defences, attacking mainly uphill, and then advance southward to Siliguri across thickly forested hills, harried all the way by numerically superior Indian forces. Such an advance, carried out cross-country, would inevitably leave behind artillery and logistic support, rendering Chinese infantry spearheads sitting ducks for Indian forces. If, miraculously, the Chinese still reach Siliguri, they would be decimated in massed attacks from Indian reserves that could be built up steadily.

    এখন প্রশ্ন উঠবে যে ১৯৬২র আগেও তো হুবহু এই কথাই শোনা গেছিল। ঘন বনে ঢাকা উঁচু পাহাড়ি এলাকা। খুব বেশী কোন রাস্তা নেই। যে কটি রাস্তা, গিরিপথ ও নদীখাত আছে, যেখান দিয়ে চিনের সেনা এগিয়ে আসতে পারে, সবকটির অবস্থানই জানা ও ভারতের সেনা সেখানে পাহারা দিচ্ছে ইত্যাদি। কি লাভ হল? চিন যদি সেবারে গোটা অরুণাচল প্রদেশ দখল করতে পেরে থাকে এবারে পারবে না কেন? প্রশ্নটা খুবই যুক্তিসঙ্গত এবং এটার উত্তর হল ১৯৬২র যুদ্ধের সময় নেহেরু এবং তার অধস্তনেরা, বিশেষ করে মেনন দেশবাসীকে স্রেফ মিথ্যে ভরসা দিয়েছিলেন। ঠিক ইচ্ছে করেও দেননি। এঁদের নিজেদেরও ঠিকমত ধারণা ছিল না। প্রথমত নেহেরু আগুপিছু না ভেবেই একতরফা সীমানা স্থির করে ফেললেন চিনকে কিছু না জানিয়েই। একতরফা এরকম করলে ঝামেলা লাগবেই। তার ওপরে যখন ঝামেলা বেড়ে চলেছে তখনও সময় ছিল চিনের সাথে কথা বলে ব্যাপারটা মেটানোর। সেটাও করলেন না। এবং শেষ ভুল, সামরিক ভাবে চিনকে হঠাতে চেষ্টা করলেন যে ক্ষমতা ভারতীয় সেনার ছিল না। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস ভারতীয় সেনার সাথে সৎমায়ের মতন ব্যবহার করতে শুরু করে। এর একটা কারণ ছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী নামেই ভারতীয়। আসলে এই বাহিনী ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের। একে ব্রিটেন তৈরী করেছিল ভারতীয়দেরকেই অধীন রাখতে। এই সেনার অন্য অনেক কীর্তির মধ্যে জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকান্ডও পরে। সুতরাং কংগ্রেস, যে দল আন্দোলন করেছে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে তারা যে এই সেনাকে সুনজরে দেখবে না এটা স্বাভাবিক।

    এর ফল এই দাঁড়াল যে স্বাধীন ভারত সরকার সেনাবহিনীকে দুচ্ছাই করতে আরম্ভ করল। যেসব সেনাকর্তার ট্যাঁফোঁ করছিলেন তাদের পত্রপাঠ বিদেয় করা হল। পদে বসানো হলে কিছু অযোগ্য ইয়েস ম্যানদের। এদের (ভুল) পরামর্শে নেহরু-মেনন ধরে বসলেন যে ভারত চিনের সাথে টক্কর দিতে সক্ষম।

    আজকে কিন্তু অবস্থাটা সেরকম নয়। অরুণ জেটলী ঠিকই বলেছেন যে আজকের ভারত আলাদা। কিন্তু উনি যেটা বলেননি যে আজকের চিনও আলাদা।

    গোদাবাংলায় বলতে গেলে চিন খুব ভালোভাবেই জানে যে সিকিম-অরুণাচলের গিরিপথে স্থলসেনা পাঠালে কচুকাটা হতে হবে। সুতরাং চিন খুব সম্ভবত প্রথমেই ও রাস্তায় যাবে না। আসবে আকাশপথে। ক্রুজ মিসাইল ও রকেট আর্টিলারীর বৃষ্টি নামবে ভারতীয় সেনার পোষ্টগুলোর ওপরে। এরপর লড়াইটা দ্রুত ছড়িয়ে যাবে দুই দেশের বিমানবাহিনীর মধ্যে। যদি ভারতীয় বায়ুসেনা চিনকে আটকাতে না পারে, তাহলে সিকিম ও অরুণাচলে ভারতের সেনাঘাঁটিগুলি ক্রমশ প্রবল বোমাবর্ষণে ক্ষইতে আরম্ভ করবে। ভারত যথেষ্ঠ চোট খেয়েছে মনে করলে তখন চিনের স্থলসেনা এগিয়ে আসবে ডোকলামে।

    উল্টোদিকে ভারতের বায়ুসেনা যদি চিনের বায়ুসেনাকে আটকাতে পারে, তাহলে সেটাই ভারতের পক্ষে জিত। চিন মোটের ওপরে অনেক এগিয়ে থাকলেও এই এলাকায় দুই দেশের বায়ুসেনা প্রায় সমান শক্তিশালী, চিন একটু এগিয়ে।

    জাপান বা আমেরিকা কারোরই মাথাখারাপ নয় যে সরাসরি চিনের সাথে যুদ্ধে নামবে। ভারত এখানে একলা। তবে ভারত বিপাকে পড়লে আমেরিকা যুদ্ধসামগ্রীর যোগান মনে হয় দেবে, অবশ্য বিনাপয়্সায় নয়।

    চলবে।
  • PM | 127.194.13.244 | ২৫ জুলাই ২০১৭ ১৮:২১367104
  • চীনকে ও সামলে সুমলে খেলতে হবে--- ভারতকে ডিসাইসিভলি হারাতে না পারলে চীনের ক্রমবর্ধমান অ্যাসার্টিভনেস আর দুরবর্ত্তী ভবিষ্যতে গ্লোবল পাওয়ার হিসেবে আমেরিকাকে রিপ্প্লেস করার রোডম্যাপের দফারফা হবে।

    চীন এরকম রিস্ক এক্খুনি নেবে বলে মনে হয় না।

    কিন্তু ভারত কি শুধুই গোয়ার্তুমি করছে নাকি এটা বৃহত্তর জিওস্ট্র্যাটেজির অংশ মাত্র (চায়্না কনটেনমেন্ট) । সেক্ষেত্রেও খুব সাবধানে এগোনো উচিত--- আমেরিকা ১৯৭২ এ ৭ম নৌবহর পাঠাঅবো বলেও পাকিস্তান কে ডিচ করেছিলো ( সদ্য ডিক্লাসিফাএড ডকুমেন্ট এ অবশ্য জানা যাচ্ছে যে ৭ম নৌবহর পঠাবার কোনো প্ল্যান ই ছিলো না)--এখনো গাছে তুলে মই কারবে না এরকম কোনো নিশ্চয়তা নেই।
  • lcm | 179.229.10.212 | ২৫ জুলাই ২০১৭ ২২:২৯367115
  • চায়না ৩ ট্রিলিয়ন ডলার (২০১৬ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.২৬ ট্রিলিয়ন) খরচা করে আন্তর্জাতিক পরিবহন প্রজেক্টে - One Road One Belt - কিছু জায়গায় বলছে পরবর্তী পাঁচ বছরে (২০১৭-২০২২) খরচা হবে নাকি আনুমানিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার - - ৬০ টি দেশের মধ্যে সড়কপথ/ট্রেনলাইন এর ইন্‌ফ্রাস্ট্রাকচার ।

    ভিয়েতনামের জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ি এলাকায় চাইনিজ ইঞ্জিনিয়াররা অলরেডি সুরঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে, ২৬০ মাইল রাস্তা হচ্ছে আন্তর্দেশীয় যোগাযোগের জন্য। পাকিস্তানের ক্রমবর্ধ্মান বিদ্যুৎ চাহিদার সমস্যা মেটাতে ওখানে পাওয়ার প্লান্ট বানাতে শুরু করেছে। বুদাপেস্ট-বেলগ্রেড থেকে সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো - ইস্ট ইউরোপের ছোটো দেশগুলোতে রেললাইনের লেআউট শুরু করছে। পূর্বতন সোভিয়েতের অনেকগুলি দেশেই (কাজাকাস্তান, আজেরবাইজান....) চাইনিজ ইঞ্জিনিয়াররা রাস্তাঘাট/শহর বানাচ্ছে, বেশ কিছু অন্কেঅদিন হল বানিয়ে ফেলেছে। আফ্রিকা-তে মাইন্‌স্‌, ল্যান্ড উইথ পোটেনশিয়াল মিনার‌্যাল্‌স্‌ কিনে ফেলেছে চাইনিজ কোম্পানি(গভর্নমেন্ট)। এই বছর ব্রেজিলে ইনভেস্ট করছে ২০ বিলিয়ন ডলার - যার মধ্যে আছে grain railway - ব্রেজিলের বিভিন্ন শস্য উৎপাদন (হাই ইল্ড) এলাকার মধ্যে ট্রেন নেটওয়ার্ক। প্রায় একই সময় নাগাদ চাইনিজ সরকার ঘোষনা করে পেরু-তে মাইনিং সেক্টরে ১০ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করার।
    চাইনিজ গাড়ি কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের নাম তেমন শোনা যায় না, হালে মেক্সিকো চুক্তি করেছে চাইনিজ অটো মেকার (JAC motors) এর গাড়ি অ্যাসেম্বলি/ডিস্ট্রিবিউশন হবে মেক্সিকো থেকে।

    অ্যাপ্‌ল্‌ ইঞ্জিনিয়াররা যতই ডিজাইন ইনোভেশন করুক, যখন এক মাসে ২ মিলিয়ন ফোনের অর্ডার ডেলিভারির দরকার তখন চাইনিজ কোম্পানি ছাড়া গতি নাই, এই ভল্যুমে অপারেট করবার মতন ইনফ্রাস্ট্রাকচার/স্কিল্‌ড্‌ ম্যানপাওয়ার বেশি দেশে নেই।

    লাসা অবধি ট্রেন লাইন পাতার পরে, চায়্না লাসা-সিগাত্‌সে লাইনটা ইয়াডং (Yadong) অবধি টানতে চায়। এই ইয়াডং জায়গাটি এক্কেবারে ভারত/ভুটানের ঘাড়ের ওপর, এখান থেকে গ্যাংটক-এর এয়ার ডিসট্যান্স মাইল কুড়ি, কালিম্পং মাইল ৩৫...
  • দেব | 127.197.241.104 | ২৯ জুলাই ২০১৭ ২২:২০367126
  • উত্তর পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। আয়তনে ভারতের তিনভাগের এক ভাগ। জনসংখ্যা ১০ কোটির মতন। দেশটির কোন সমুদ্র উপকূল নেই। বাইরের দুনিয়ার সাথে একমাত্র সংযোগের পথ প্রতিবেশী জিবুটির মধ্যে দিয়ে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে দেশটির রাজা ঠিক করেন দেশের রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে জিবুটির সমুদ্র উপকূল অবধি একটা রেলের লাইন বসানোর। ভারতে যেমন অনেক দেশী রাজা নিজেদের রাজ্যে বসিয়েছিলেন। ফ্রান্সের সহায়তায় প্রায় ৮০০ কিমি সেই লাইনের কাজ শেষ হয় ১৯১৫ সাল নাগাদ।

    প্রায় একশ বছর পর সেই মিটার গেজ লাইন ২০০৭ এ এসে দেহ রাখল। দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ইথিওপিয়া ডুবে। গত ৫০ বছরে এক পয়সাও বিনিয়োগ হয়নি লাইনটির দেখভালে। দেশটির সরকার ২০০৫ নাগাদ খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করল যদি সাহায্য কিছু পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার, ইইউ, আমেরিকা সবাইই আমতা আমতা করে কাটিয়ে দিল। পশ্চিমের দেশগুলি এর আগে হাত পুড়িয়েছে আফ্রিকাকে ঋণ দিয়ে। ১৯৬০ থেকে শুরু করে ৮০র দশক অবধি যা কিছু টাকা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশগুলি ধারে নিয়েছিল তার প্রায় কিছুই শোধ করতে পারেনি। ২০০০ এর শুরুর দিকে এসে সেই ঋণ প্রায় অনেকটাই মকুব করে দিতে বাধ্য হয় আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার। সেই স্মৃতি তখনও টাটকা। ২০০৬ এ ইইউ সামান্য কিছু অর্থ বরাদ্দ করল চক্ষুলজার খাতিরে যাতে লাইনটির মেরামতি করা যায়। সে এতই কম যে ৩-৪ বছর ঘষটানোর পর দেখা গেল মাত্র ৫ কিমি লাইন মেরামতি হয়েছে!

    ইথিওপিয়ার সরকার বুঝে গেল এদের দ্বারা হবে না। ২০১৩ নাগাদ চিনের কাছে গিয়ে হাজির হল ইথিওপিয়া। চিন শুধু ঋণ দিতেই রাজি হল তাই নয়, ঐ পুরোনো মিটার গেজ লাইন জোড়াতাপ্পি দেওয়ার বদলে তার সমান্তরালে একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড গেজ লাইন বসানোর প্রস্তাব দিল। চুক্তি সই হওয়ার পর সেই লাইন চিন তৈরী করল অবিশ্বাস্য গতিতে। মাত্র ৩ বছরের মধ্যে ৮০০ কিমি (কলকাতা থেকে এলাহাবাদ) লম্বা অত্যাধুনিক সেই লাইন পাতার কাজ শেষ। এবং লাইনটি সম্পূর্ণ বিদ্যুতায়িত। ২০১৭র শেষাশেষি লাইনটি পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে।

    এখানেই শেষ নয়। ইথিওপিয়ার দক্ষিণে প্রতিবেশী দেশ কেনিয়া। সেখানেও হুবহু একই চিত্র। উপকূলের মোমবাসা বন্দর থেকে দেশটির অভ্যন্তরে রাজধানী নাইরোবি পর্যন্ত একই রকম একটি ৫০০ কিমি লম্বা মিটার গেজ লাইন ছিল। ইথিওপিয়ারই মতন এই লাইনটিও তৈরী হয় প্রায় একশ বছর আগে - ১৮৯৬ এ কাজ শুরু হয়। তবে ইথিওপিয়ার ছিল স্বাধীন দেশ। কেনিয়া তখন ব্রিটেনের দখলে। লাইনটি বসায় ব্রিটেন। ভারত থেকে গুচ্ছের কুলি নিয়ে গিয়ে। সেই 'চাঁদের পাহাড়' উপন্যাসটির পটভূমিকা। এবং কেনিয়াতেও একই সমস্যা। দীর্ঘদিন কোন মেরামতি না হওয়ায় লাইনটি ধুঁকছিল তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। কেনিয়াও গুটিগুটি গিয়ে হাজির হল চিনের কাছে ২০১৪য়। এবং চিন কেনিয়াতেও একই খেল দেখালো। পুরোনো লাইনে জোড়াতাপ্পি নয় একদম টাটকা নতুন স্ট্যান্ডার্ড গেজ লাইন বসালো চিন - ২ বছরের মধ্যে! ২০১৬র পয়লা জুন সেই লাইনে যাত্রীপরিষেবা চালু হয়ে গেছে - সর্বোচ্চ গতি ঘন্টাপ্রতি ১৬০ কিমি। পণ্যপরিষেবা চালু হবে ২০১৮ নাগাদ।

    এই দুটি প্রোজেক্ট থেকে বোঝা যায় চিনের শিল্পোৎপাদন ক্ষমতা আজকে ঠিক কোন স্তরে। আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে চিন সমুদ্রপথে প্রায় ১০০০০ কিমি দূরে। ব্যালাস্ট, স্লিপার ও সিমেন্ট বাদে প্রায় সমস্ত উপকরণই চিন থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। ইঞ্জিন ও কামরা তো বটেই। এবং চিনের কাজ করার ধরনও কিছুটা বোঝা যায়। চিনের ফর্মুলা হচ্ছে খরচ কমিয়ে সময় বাঁচানোর বদলে খরচ বেশী করে সময় বাঁচাও। সময়ের দাম বেশী। ১ বিলিয়ন ডলার বেশী ঋণ নিলে একটা প্রজেক্ট যদি ৫ বছর আগে শেষ হয় তাহলে সেটা বেশী ভাল। ঝুঁকি নাও।

    এই হচ্ছে কেনিয়া -



    প্রশ্ন হচ্ছে চিন কিন্তু এটা বেশী বড় ঝুঁকি নিয়েছে। ঋণের পরিমাণটা বিশাল। তবে কেনিয়া ও ইথিওপিয়া দুটি দেশই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করছে। ঠিকমত খেলতে পারলে উৎরে যাবে। নাকি ডুববে? সাহারার দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা বেশ খারাপ। প্রত্যেকটি দেশেই পরিকাঠামোর অবস্থা দেখলে চোখে জল আসবে। পশ্চিমের দেশগুলি হাত গুটিয়েছে। চিনও যদি রণে ভঙ্গ দেয় তালে হয়ে গেল এদের। আফ্রিকায় চিন ইতিমধ্যেই যা বিনিয়োগ করেছে তার পরিমাণ বিশাল। এই দুটি প্রকল্প তো কিছুই নয়।

    এই দুটি প্রোজেক্টকে দেখলে আরো আন্দাজ করা যেতে পারে কি আসত চলেছে চিনের বেল্ট ও রোড উদ্যোগে। কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকাঠামো, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কারখানায়। সেই দিয়ে চিনের ধাঁচে সারা পৃথিবীর বাকী স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে প্রবল বেগে উন্নতি। মার্শাল প্ল্যান অন এ গ্লোবাল স্কেল। অন্তত ইচ্ছা সেরকমই। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ইতিমধ্যেই একাধিক প্রোজেক্ট শুরু করেছে। এই অঞ্চলে যে দেশগুলির সাথে চিনের ঝামেলা রয়েছে যেমন ফিলিপাইন্স, ভিয়েতনাম বা ইন্দোনেশিয়াও OBOR এ সামিল। ঝগড়া ঝগড়ার জায়গায়, বিনিয়োগ বিনিয়োগের।

    -----------------------------

    চিনের এই পৃথিবীব্যাপী পরিকল্পনায় পাকিস্তান খুব ভালভাবেই অংশ নিচ্ছে। দুটি দেশের সম্পর্ক বরাবরই খুবই ভাল। এবং পাকিস্তানের পরিকাঠামো বিশেষ করে রেলযোগাযোগ ও বিদ্যুৎএর যোগানে প্রচন্ড ঘাটতি রয়েছে। চিন CPEC এ ঢেলে দিচ্ছে ঋণ। এবং ভারত এখানে তুমুল হুইস্পারিং ক্যাম্পেন চালাচ্ছে যে পাকিস্তান দেনার দায়ে ডুববে। ভারত এত উত্তেজিত কেন CPEC নিয়ে? মৌখিক কারণ এই যে CPEC গিলগিটের ওপর দিয়ে যাচ্ছে যে এলাকা ভারত নিজের বলে দাবী করে। এটা আদৌ আসল কারণ নয়। আসল কারণ হল পাকিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান। ম্যাপে যদি দেখেন লক্ষ্য করবেন চিনের পক্ষে ভারত মহাসাগরে আসা অত্যন্ত কঠিন। পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন একেবারে ভারতের ঘাড়ের ওপরে এসে পৌঁছবে। গোয়াদরে চিনের নৌসেনার ঘাঁটি তৈরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি পাকিস্তান যদি চিনের সাহায্যে অর্থনৈতিক ভাবে মজবুত হয়ে ওঠে তাহলে কাশ্মীরেও চাপ বাড়বে। ভারতের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত তিক্ত। অদূর ভবিষ্যতে তা ঠিক হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

    পরের অংশে শেষ।
  • avi | 57.11.10.155 | ২৯ জুলাই ২০১৭ ২৩:৩৬367137
  • এটা ভালো থ্রেড চলছে।
  • দেব | 127.197.241.104 | ৩০ জুলাই ২০১৭ ০২:২৫367149
  • একটা টাইপো - " চিনের ফর্মুলা হচ্ছে খরচ কমিয়ে সময় বাঁচানোর বদলে খরচ বেশী করে সময় বাঁচাও" - "খরচ কমিয়ে সময় বেশী নেওয়ার বদলে খরচ বেশী করে সময় বাঁচাও" হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন