এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • চিনের সাথে ক্যাঁচাল

    দেব
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জুলাই ২০১৭ | ১৫৫৭৩ বার পঠিত
  • ১৯৬২র পর ১৯৮৬-৮৭, তারপর এই ২০১৭ এ এসে আবার চিনের সাথে ভাল রকম ঝামেলা শুরু হয়েছে। সেই একই গপ্পো - জমি কার?

    ঘটনার স্থল সিকিম-তিব্বত-ভুটান এই তিনটি রাজ্য ও দেশ যেখানে এসে মিলেছে সেই বিন্দু এবং তার পূর্বদিকের কয়েক বর্গকিমি ক্ষেত্র নিয়ে। সিকিম এবং তিব্বতের সীমানা ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ ভারত ও চিনের রাজার মাঝে হওয়া চুক্তিতে স্থির হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • s | 108.214.98.109 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১০:৫২367216
  • লেখক বোধহয় ভিয়েতনামের কথা বলতে চেয়েছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের কথা বলছেন। সেখানে চীন ভিয়েতনামের সৈন্যবাহিনীকে টাকাপয়সা আর অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে প্রচুর সাহায্য করেছিল।

    চীনে আর একটা ব্যপার দেখেছিলাম, হংকংএর সংগে মেইনল্যান্ডের একটা রেশারেষী আছে। হংকং এর একটা আলাদা গভর্নমেন্ট আছে এবং প্রচুর পয়সা থাকায়, মেইনল্যান্ডকে একটু হেয় চোখে দেখে থাকে।
  • lcm | 109.0.80.158 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১১:০৭367217
  • ভিয়েতনাম এবং কোরিয়ান ওয়ার
  • DP | 117.167.107.202 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৪:১৮367218
  • দেখেশুনে যা মনে হয় ট্রাম্প আমেরিকাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপূর্ব নিরপেক্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাইছে। তাই ধীরে ধীরে সবকিছু থেকে উইথড্র করে নিচ্ছে। যদিও বর্তমান পরিস্থিতীতে অন্ততপক্ষে এশিয়াতে আমেরিকার নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব নয়। একদিকে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া নিঃশ্বাস ফেলছে, অন্যদিকে চীন প্রশান্ত মহাসাগরের দখল নিতে উদগ্রীব। ইতিহাস যেন ফিরে ফিরে আসে। তখনকার জার্মানীর উত্থান আর এখন চীন। তখন আটলান্টিকের জন্য লড়াই, এখন প্রশান্ত মহাসাগর। তখন ইওরোপ, এখন এশিয়া।

    ----------------

    তবে চীনের সঙ্গে ভারতের একটা পার্থক্য হল যে ভারতের দুজনের সাথে বদলা নেওয়ার আছে। ভারতীয়রা অধীনতা বলতে ৮০০ বছরের অধীনতা বোঝে। আর পাকিস্তানের সৃষ্টি বদলা নেওয়ার প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান না থাকলে ভারতে এত চীন বিদ্বেষ থাকত কিনা সন্দেহ।
  • b | 135.20.82.164 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৪:৫৩367219
  • কোন ভারতীয়রা ৮০০ বছর বোঝে?
  • dc | 121.93.226.242 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৫:২৬367220
  • চাড্ডিরা...কিন্তু স্তালিন বলেছিলো 'ডিম্ না ফাটালে ওমলেট হবে না ।' সুতরাং...
  • avi | 57.11.10.221 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৫:৩৯367221
  • চাড্ডি ভারত তো সবে ২০১৪য় স্বাধীন হল। এখুনি অত হিসেব বরাবর করা সইবে না। আগে ২০২৩এ হিন্দুরাষ্ট্র হবে, তারপর হবেখন।
  • S | 57.15.9.32 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৬:২০367222
  • ২০২৩ কেনে?
  • avi | 57.11.10.221 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৬:২৬367223
  • উহাই লক্ষ্য।
  • DP | 117.167.104.32 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ১৯:৪১367224
  • হিন্দু জাতীয়তাবাদ কি ২০১৪ তে এসে হঠাৎ আকাশ থেকে পড়ল? ভারতের জাতীয় আন্দলন টাই তৈরী হয়েছে হিন্দু পুনরুত্থানবাদের ওপর ভিত্তি করে। পাকিস্তানের সৃষ্টি হিন্দু পুনরুত্থানের পথে একটা বড় কাঁটা। ফলে ভারতীয়দের পাকিস্তান বিদ্বেষটাই বেশী। এবার যদি নেহরুর সেকুলার ভারত, আর তাকে নষ্ট করতে আরএসএস এজেন্ডা, এবং তার জন্য বাম উদারনৈতিক শক্তিকে কি কি দায়িত্ব নিতে হবে ইত্যাদীর চর্বিতচর্বনে যেতে চান তো আলাদা কথা।
  • dd | 59.207.57.89 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ২২:৪০367226
  • না, এই টইটা অ্যাতো ভালো চলছে , এখনই বেশী প্রশ্ন করবো না।

    তাও ও , ঐ "চীন আমেরিকা কে তুমুল ঠেঙ্গিয়েছে ? "নিয়ে একটু বলি। দেব তো পরিষ্কার কোরিয়ার কথাই লিখেছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের কথা কারুর মাথাতেই বা এলো কি করে?

    খুবই সংক্ষেপে , বছর তিনেক যুদ্ধ চলেছিলো। লাস্ট বছরে মানে ৫০'র শেষে আমেরিকা যখন প্রায় চীন সীমান্তে তখন চীন অ্যাটাক করে । আমেরিকানেরা পিছু হটে আসে। মাস তিনেক পরেই একটা স্টেলমেট অবস্থা হয়। ঐ একবারই এখন পর্যন্ত্য চীন ও আমেরিকা মুখোমুখী লড়াই করেছিলো।

    এর বছর খানেক পরে একটা বড়ো সড়ো লড়াই হার্টব্রেক রিজে - তখন আমেরিকানেরা আবার কিছুটা এগিয়ে যায়। ব্যাস । ঐ পর্যন্ত্যই।

    এরপরে সন্ধি হয়। মোটামুটি আগের সেই ৩৮ প্যারালালেই দুই পক্ষ । যুদ্ধের আগে যে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো - সেখানেই। একটা ছোটো সাউথ কোরিয়ান শহর তখনো নর্থ কোরিয়ার দখলে আর অন্য দিকে নর্থ কোরিয়ার প্রায় ১৫০০ স্কোয়ার মাইল সাউথ কোরিয়ায় চলে এসেছে। কিন্তু দুই পক্ষই আর এ নিয়ে মাতামাতি করে নি। ওখানেই থিতু হয়। যুদ্ধও শেষ হয়।

    মানে দেব যেরকম ৭১'র ভারত পাক যুদ্ধের সাথে একাসনে বসিয়েছেন, কোরিয়ান যুদ্ধ আদৌ সেরকম একতরফা "ঠ্যাঙানো"কিছু হয় নি। কোনো পক্ষই আত্মসমর্পন করে নি।

    যতোটা জানি, এই forgotten war নিয়ে কোনো পক্ষই সেরকম দাবীও করে নি।
  • দেব | 113.193.56.180 | ০৭ আগস্ট ২০১৭ ২৩:১২367227
  • চিন-আমেরিকার শোডাউন একপ্রস্থ হয়ে গেছে। কোরিয়ায়। আসছে সে গল্প।

    @amit - ডোকলাম বিবাদের ইতিহাস ভূগোল প্রথম কয়েকটা পোষ্টে পাবেন। ওটা নিয়ে এই মুহূর্তে তেমন আর কিছু বলার নেই। তিনটে সম্ভাবনা হতে পারে -

    ১। ভারত চিনকে খোঁচাচ্ছে কোন লম্বা গেমপ্ল্যান নিয়ে।
    ২। চিন ভারতকে খোঁচাচ্ছে কোন লম্বা গেমপ্ল্যান নিয়ে।
    ৩। কেউই কোন গেম খেলছে না। সীমানা সংক্রান্ত বোঝাপড়ার খুঁটিনাটি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

    চিনের অবস্থান পরিস্কার। কিন্তু ভারত একদম চুপ করে আছে। তাই ঠিক বলতে পারছি না আসল ব্যাপারটা কোনটা। যদি আলোচনার মাধ্যমে মিটে যায় তাহলে দু'পক্ষই সেটা সবাইকে জানিয়ে দেবে। অন্যদিকে এখনও অবধি চিন সেনাবাহিনী, রসদ ও বিমান জড়ো করছে বলে কোন পাকা খবর নেই। পেলে আমি লিখব। ডোকলাম দিয়ে শুরু করলেও এই টইটা পুরো প্রেক্ষাপটটা নিয়েই।

    বাংলাদেশের ব্যাপারটা আপনি যেদিক থেকে দেখছেন আমি ঐদিক থেকে দেখছি না। ওটা টেনে এনেছিলাম ভূরাজনীতিতে গ্লানীর ভূমিকা বোঝাতে। চিনের (আসলে সব দেশেরই যদিও মুখে কেউ বলে না) ক্ষেত্রে এটার যথেষ্ঠ প্রভাব আছে। ১৯৭১এর যুদ্ধের অন্য কারণ ছিল। কিন্তু যুদ্ধটার অনেক ফলাফলের মধ্যে ভারতের (আংশিক) আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার একটা। যেকোন দেশের আত্মবিশ্বাস তার ভূরাজনৈতিক ব্যবহারকে চালায়।

    @DP - ঠিকই বলেছেন ইউরোপে জার্মানীই লিঞ্চপিন। আগামী দিনে আমেরিকা-জার্মানী-রাশিয়া অক্ষটা জমে উঠতে চলেছে।
  • দ্রি | 186.126.252.12 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ০০:৩৬367228
  • "এরপরে সন্ধি হয়। "

    না, না সন্ধি হয় নি। শুধু আর্মিস্টাইস। কোন পীস ট্রিটি সাইনড হয় নি। কেউ কেউ তো মনে করেন দুই কোরিয়া এতদিন ধরে একটা পার্পেচুয়াল স্টেট অফ ওয়ারের মধ্যে আছে।

    "আগামী দিনে আমেরিকা-জার্মানী-রাশিয়া অক্ষটা জমে উঠতে চলেছে।"

    অলরেডি কিছুটা জমে গেছে। আমেরিকা এবং রাশিয়া দুজনেই এখন জার্মানী (তথা ইইউ) কে নিয়ে একটা টাগ অফ ওয়ারের মধ্যে আছে। ফ্র্যাকিং করে আমেরিকার কাছে এখন সারপ্লাস ন্যাচারাল গ্যাস। সেটা ইউএস বেচতে চাইছে জার্মানীকে এবং ইইউকে। এদিকে রাশিয়ার সাথে জার্মানী (এবং ইইউর) এক্সিসটিং এনার্জী ডীল আছে। সেই ডীল না ভাঙলে আমেরিকার ডীলের আশা অল্প। ইউক্রেনে কেওস ক্রিয়েট করা ছিল সেই ডীল ভাঙার ফার্স্ট স্টেপ। এনার্জি ক্যারিয়িং পাইপগুলো ছিল ইউক্রেনের মধ্যে দিয়ে। সেখানে ঝামেলার পর সেই পাইপগুলো দিয়ে ফুয়েলের ভলিউম কমে গেছে ড্রাস্টিকালি। রাশিয়ান ফুয়েল এখন জার্মানী যায় নর্ড স্ট্রীম দিয়ে। সেই পাইপ এখন স্যাচুরেটেড। নর্ড স্ট্রীম-টু বানানোর কথা হচ্ছে। আমেরিকা তাতে বাগড়া দিচ্ছে। বাগড়ার অন্যতম টুল হল স্যাংশান। গাজপ্রমকে কোন ব্যাঙ্ক লোন দিতে পারবে না। যেসব কোম্পানী নর্ড স্ট্রীম টুর পাইপ পাততে চায় তাদের কোন ব্যাঙ্ক লোন দিতে পারবে না। এটসেট্রা। জার্মানীর একটা ফ্যাকশানের কাছেও এই স্যাংশান পপুলার নয়। কারণ রাশিয়ান গ্যাস ইজ চীপার দ্যান অ্যামেরিকান। কিন্তু জার্মানীতে আমেরিকা পলিটিকাল পার্টির একাংশকে সবসময়ই হাত করে রাখে, হু ডু দেয়ার বিডিং। স্যাংশানের জবাবে রাশিয়া জানিয়েছে (আজকের খবর) ডলারে ট্রানস্যাকশান কমাবে।

    “We will, of course, speed up the work on import substitution, reduce dependence on US payment systems, on the dollar as a settling currency and so on. It is becoming a vitally important,” said Ryabkov.

    শোডাউন প্রায় অবশ্যম্ভাবী।

    অলমোস্ট এনি ওয়ার ইজ প্রিসিডেড বায় ট্রেড ওয়ার।
  • DP | 117.167.104.197 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ০১:১৪367229
  • এই ডলারের কেসটা বেশ ইন্টারেস্টিং। সম্প্রতি নাকি কাতার ডলার ড্রপ করছিল। আর তাতেই নাকি আম্রিগা খেপে গিয়ে আরব দেশগুলোকে দিয়ে ব্লক করিয়েছে। মূল কন্সপিরেসি থিওরিটাতে অবশ্য রথসচাইল্ডকে টেনেছে।
  • S | 57.15.2.205 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ০২:৩৯367230
  • আম্রিগাতে এখনো ফ্র্যাকিঙ্গ হচ্ছে নাকি? এতো কম প্রাইসেও?
  • SS | 160.148.14.151 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ১৮:২৮367231
  • লেখাটায় অনেক ইন্টারেস্টিং তথ্য আছে কিন্তু কিছু কিছু অংশ খুবই একপেশে । যেমন দেব রাশিয়ার ক্রাইমিয়া অ্যানেক্সেশান খুব হাল্কা চালে দেখিয়েছেন। "তিনি প্রথমেই দক্ষিণের ক্রিমিয়া জেলাটি ফেরত নিলেন।
    ফেরত, কারণ জেলাটি রাশিয়ারই ছিল। ১৯৫০এর দশকে ক্রুশ্চেভ জেলাটিকে ইউক্রেনের সাথে জুড়ে দেন। "
    এই যুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশে ঢুকে খুলনা জেলাটিকে "ফেরত" নিয়ে নিতে পারে, কারন সেটা ভারতের অংশ ছিল, বাসিন্দারা বেশিরভাগ হিন্দু, বাংলাদেশে রাইট উইং সরকার ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন দেব সেই ইনভেশানকে "ফেরত" লিখবেন কি? পুটিন পুরোপুরি উইক্রেন ইনভেড করেছিলেন। অন্য দেশের সভেরেনিটিকে আঘাত করেছিলেন। সেটা কোটের মধ্যে ফেরত লিখলেও সেটা ইনভেশান। জবাবে ইন্টার্ন্যশনাল কমিউনিটি রিট্যালিয়েট করেছিল স্যাংশান ইম্পোজ করে।

    "একই সাথে ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তে ডনবাস জেলাটিও 'ফেরত' নিলেন। ক্রিমিয়ার মতন এই অঞ্চলেও অনেক রাশ্যানদের বাস। এরা বিদ্রোহ করল কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে। পুতিন সাহায্য করলেন।"
    এই সাহায্যের জন্যে প্রো রাশিয়ান রেবেলরা মালেশিয়া এয়ারলাইন্সের একটা ফ্লাইট রাশিয়ান বুক মিসাইল দিয়ে উড়িয়ে দিল, যেটা আমস্টার্ডম থেকে কুয়ালালামপুর যাচ্ছিল। প্রায় তিনশো যাত্রী আর ক্রু মেম্বার, ইন্স্ট্যান্ট ডেথ। রেবেলরা এমনকি ডাচ ইন্ভেস্টিগেটিভ টিমকে ক্র্যাশ সাইটে অ্যাকসেস দিচ্ছিল না। এর পর মালয়েশিয়া যতবার ইউএনে রেজোলিউশান আনতে চেয়েছে ইন্ভেস্টিগেশানের জন্যে, রাশিয়া প্রতিবার ভেটো দিয়েছে।

    আর স্যাংশান হচ্ছে পুটিনের সেল্ফ ইন্ফ্লিক্টেড উন্ড। ২০০৯ থেকে ওবামার ইলেকশানের পর আমেরিকা-রাশিয়া রিলেশান ভার দিকেই যাচ্ছিল। হিলারি ক্লিন্টনের রিসেট বাটন প্রেজেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। ২০১২ এর প্রেশিডেন্শিয়াল ইলেক্শানের ডিবেটে মিট রমনি রাশিয়াকে জিওপলিটিকাল থ্রেট বলায় সবাই হেসেছিল। কারণ তখন আইসিস সবে খেল দেখাতে শুরু করেছে।। তারপরেই হল অরেঞ্জ রেভোলিউশান আর পুটিনের ক্রাইমিয়া অ্যানেক্সেশান। ফলে স্যাংশান। তবে পুটিন ওভার্প্লেড হিজ হ্যান্ড্স। ট্রাম্প আসার পর পুটিন ভেবেছিলেন সব স্যাংশান উঠে যাবে। ফল হল উল্টো। লাস্ট উইকেই আরো নতুন করে স্যংশান বিল পাশ হল উইথ ভেটো প্রুফ মেজরিটি। আসলে পুটিন নিজের টেরিটোরিতে জার্নালিস্টারা বেশি ট্যাঁ ফো করলে সোজা কোতল করতে অভ্যস্ত। আমেরিকান মিডিয়ার দৌড়্টা ঠিক বুঝে ঊঠতে পারেন নি। এখন ট্রাম্পের টার্মে স্যাংশান রিলিভ হওয়ার কোনো চান্স নেই। রাশিয়া এখন বিট্কয়েন ট্রান্জাক্শান শুরু করেছে কারণ ব্যাংকের থ্রু দিয়ে ট্রানজাক্শান আর করতে পারছে না। কিছুদিন আগেও বোধহয় রাশিয়াতে বিটকয়েন ইল্লিগাল ছিল।
  • দ্রি | 203.15.16.4 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ১৯:২৪367232
  • কাতারের ডলার ড্রপের একটা কানাঘুষো শোনা গেছে। সবচেয়ে কিউরিয়াস ছিল ট্রাম্পের সোদি আরবে ভিজিটের ঠিক পরেই কাতারের ওপর স্যাংশান লাগায় ইউএস। ব্যাস, এর বেশী কোন তথ্য পাবলিক ডোমেনে নেই। করুন এবার, টু প্লাস টু ইকুয়াল টু ফর্টিফাইভ।

    আমেরিকাতে ফ্র্যাকিং থেকে ওঠা ন্যাচারাল গ্যাস এখন টোটালের প্রায় ৬০%।

    https://www.eia.gov/tools/faqs/faq.php?id=907&t=8

    লো-প্রাইসের জন্য অনেক বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু বেশ কিছু বেঁচে গেছে। বিশেষ করে যেগুলো থেকে তোলা কম খরচসাপেক্ষ। এর মধ্যে প্রসেস ইমপ্রুভমেন্টও হয়েছে। তোলার খরচ অপ্টিমাইজ্‌ড হয়েছে। আরো অনেক ফ্র্যাকিং সাইট ওয়েটিং টু বি ওপেন্‌ড আপ। শুধু চাই সাপ্লাই কনট্র্যাক্ট। প্রেফারেব্‌লি একটু বেশী দামে। তাহলেই আমেরিকার হুহা ফ্র্যাকিং বুম হবে। এইখানেই রাশিয়ান স্যাংশান এবং ইওরোপিয়ান মার্কেট এত ইম্পর্ট্যান্ট। আর ন্যাচারাল গ্যাসে অয়েলের মতো ওয়ার্ল্ডওয়াইড সিঙ্গল প্রাইস ঠিক এখনও নেই। নেগোসিয়েশানের ভিত্তিতেই প্রাইস ফিক্স হয়।
  • দ্রি | 203.90.12.88 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ২০:১৬367233
  • *স্যাংশান লাগায় সৌদি
  • S | 126.206.222.19 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ২১:৩৬367234
  • S | 126.206.222.19 | ০৮ আগস্ট ২০১৭ ২১:৪২367235
  • এইসব স্যান্কশন করে রাশিয়ার তেমন কিসু হয়না। ডলার ছাড়াও পাউন্ড ইউরো সোনা ইত্যাদি দিয়ে ট্রেড চালিয়ে দেবে। আসলে এইসব স্যান্কশন করে পুতিনের কিছু বন্ধুদের সমস্যায় ফেলা হয়, তাতে পুতিন পার্সোনালি চটে যায়।
  • দেব | 127.248.166.110 | ০৯ আগস্ট ২০১৭ ০১:৪১367237
  • @SS

    অবশ্যই। ক্রিমিয়া, ডনবাস দুটোই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। অস্বীকার করার প্রশ্নই নেই। মালয়েশিয়ার বিমানটার জন্যও রাশিয়ার দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত ছিল। আমেরিকা যেমন ইরানকে দিয়েছিল। পুতিন গেঁড়ে বসে থেকে ভুল করেছেন।

    ট্রাম্পকে ইমপিচ করলে সাদা আমেরিকানরা কি করবে কে জানে।
  • Soumya | 106.81.210.19 | ০৯ আগস্ট ২০১৭ ০৪:৫১367238
  • এইঅভিমান আর বদলা টা বেশ একটা বলিউডি flavour এনেছে ।
  • apac | 131.241.218.132 | ০৯ আগস্ট ২০১৭ ১২:২৭367239
  • এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের সাথে তেমন ভালো টার্মস না থাকা অন্য উন্নত দেশগুলোর কথা ও এই আলোচনায় আসবে না ? তাদের ও স্টেক জড়িত । জাপান / সাউথ কোরিয়া / অস্ট্রেলিয়া /সিঙ্গাপুর/তাইওয়ান ইত্যাদি । ইউকে , ফ্রান্স কেও ফেলে দেওয়া যায় না ।
  • SS | 160.148.14.151 | ০৯ আগস্ট ২০১৭ ২১:৩৩367240
  • দেব,
    ট্রাম্পের অ্যাপ্রুভাল রেটিং এখন ৩৩%। একমাত্র লয়াল বেস ছাড়া আর কেউ ট্রাম্পকে সাপোর্ট করছে না। সাধারণত প্রথম ছ মাস হানিমুন পিরিয়ড। এই সময় প্রেসিডেন্টদের অ্যাপ্রুভাল ৬০% মত থাকে। সেখানে ট্রাম্প ৩৩%। ইন ফ্যাক্ট, ট্রাম্প বোধহয় প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যার অ্যাপ্রুভাল রাশিয়াতে বেশি। প্রায় ৫৫%।
  • দেব | 127.214.108.34 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ০০:৩৬367241
  • ২০১৫ সাল। ব্রিটেনে কথাবার্তা চলছে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানো নিয়ে। চিনকে টেন্ডার দেওয়ার কথা উঠেছে। চিন পুঁজি ও প্রযুক্তি দুইই ঢালবে। দ্বিতীয় শরিক ফ্রান্স। এক শ্রেণীর লোকজন ব্যাপারটা ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি। চিন তো জামা, জুতো বড়জোর মোবাইল ফোন এইসব বানায়। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আবার চিন কবে থেকে বানাতে শুরু করল! যদি উড়ে টুড়ে যায়? তাছাড়া এইসব ছোটলোক দেশকে এত বড় কাজ দিলে ব্রিটেনের ইজ্জত থাকবে? তা এই গুরূত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে বিবিসি ব্রিটেনে চিনের রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিংকে এক ইন্টারভিউতে ডাকল।

    ইভান ডেভিস (বিবিসির সাংবাদিক) - "আজ আমাদের সঙ্গে আছেন ব্রিটেনে চিনের রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং। লিউদা, অনেক ধন্যবাদ, আমাদেরকে ইন্টারভিউটা দেওয়ার জন্য।"

    লিউ শিয়াওমিং - "(হেসে) বল। কি চলছে।"

    ইভান ডেভিস - "আচ্ছা লিউদা, ধরুন পরিস্থিতিটা যদি আজকে উল্টো হত, আপনার কি মনে হয় চিন ব্রিটেনকে চিনে একটা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাতে অনুমতি দেবে?"

    লিউ শিয়াওমিং - "(মৃদু হেসে) তোমাদের পয়সা আছে চিনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানোর?"

    ইভান ডেভিস - "যদি ধরে নেন আছে।"

    লিউ শিয়াওমিং - "ধরব? আমার মনে হয় না আছে।"

    ------------------------------------------------------------

    ভারতের মতন আগাগোড়া ১৫০-২০০ বছর ধরে চিন পরাধীন হয়নি ঠিকই কিন্তু ভারতের একটা সান্ত্বনা আছে। ভারত বহু জাতি, বহু ভাষা, বহু ধর্মের দেশ। একে অপরের সাথে সম্পর্ক বেশ লঘু। মারপিটও লেগেই আছে। ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটা সুতোয় ভারত বাঁধা অবশ্য কিন্তু সেটা সুতোই। বিদেশী শক্তি ভারতকে সহজে কাবু করতে পারে কিছুটা এই কারণে। চিন ঠিক উল্টো। চিনের ৮০-৯০% মানুষ একই ভাষায় কথা বলেন, একই ধর্ম, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের অংশ। ভারত গত দু'হাজার বছরে একজোট (প্রায়) হয়েছে ৪-৫ বার। কোন বারেই ১০০-২০০ বছরের বেশী টেকে নি। টুকরো হয়েছে বারবার। চিন গত দু'হাজার বছরে প্রায় টানা একটা টুকরোতেই (বর্তমান চিনের পূর্বদিকের এক তৃতীয়াংশ, ৯০% মানুষের বাস ওখানেই) কায়েম থেকেছে। রাজরক্তধারা পাল্টিয়েছে। কিন্তু দেশ খুব বেশী দিন ভেঙ্গে থাকে নি। ইতিহাসের ধারাও না। সুতরাং চিন যদি মার খায়, বিশেষ করে পুঁচকে কয়েকটা ইউরোপীয়ান দেশের কাছে, ইজ্জতের চোট ভারতের থেকে বেশী। এবং মার চিন খেল কিছু। পাণিপথ কোথায় লাগে।

    ১৭৯৩ সালের কথা। ব্রিটেন এক ডিপ্ল্যোম্যাটকে চিন পাঠাল সেবছর - জর্জ ম্যাকার্টনি। উদ্দেশ্য চিনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কস্থাপন ও বাণিজ্যবিকাশ চুক্তি। ভারতে জাহাঙ্গীর - টমাস রো মনে করুন, ১৬১০ নাগাদ। সে যুগে ইউরোপে চিনা সিল্ক, পোর্সেলিন, চা ইত্যাদির মারমার কাটকাট বিক্রি। অথচ চিন ইউরোপের প্রায় কোন পণ্যই চিনে ঢুকতে দিতে চায় না। ব্যাটারা বরাবরই প্রোটেকশনিষ্ট। ফলে চিন থেকে কিছু কিনতে হলে প্রধান উপায় নগদে। নগদ বলতে তখন রুপোর টাকা, চিনের বিনিময় মাধ্যম। এইভাবে নগদে চিন থেকে জিনিস কিনতে গিয়ে ইউরোপের তখন চিনের সাথে ব্যালান্স অফ পেমেন্টে ব্যাপক ঘাটতি চলছে। অথচ চিনে যদি ইউরোপের মাল বেচা যায় তাহলেই আর ঘাটতি থাকে না। চিনকে বেচুন। চিন রুপোয় কিনবে। সেই রুপো দিয়ে আবার চিন থেকে জিনিস কিনে বাড়ী ফিরুন। আজকের দিনে ডলার উপার্জনের মতন।

    তো ব্রিটেন জর্জ ম্যাকার্টনিকে পাঠাল যদি অনুরোধ করে চিনের বাজার খোলা যায়। ভারতে জাহাঙ্গীর অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন। চিন সম্রাটের দরবারে গিয়ে পৌঁছলেন জর্জ - গিয়েই ধাক্কা - শোন হে ভিনদেশী। আমাদের সাম্রাজ্য স্বর্গীয় এবং সম্রাটকে দেবরাজ বলে ডাকলে তিনি খুশি হন। খেয়াল রেখো। আর সম্রাটের সামনে গিয়ে পৌঁছলে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম ঠুকবে। প্র্যাকটিস করে নাও। ভুল যেন না হয়। জর্জবাবুর কান লাল হয়ে উঠল। ব্রিটেন ততদিনে রীতিমত শক্তিশালী দেশ। এবং তিনি রাজপ্রতিনিধি। তিনি ঐভাবে প্রণাম ঠোকা মানে ব্রিটেনের রাজাই ঘাড় ঝোঁকাচ্ছেন চিন সম্রাটের সামনে। তিনি একা এলে হয়ত হত। কিন্তু তিনি তো একা নন। সঙ্গে দলবল রয়েছে। তাদের সামনে মাটিতে শুয়ে প্রণাম ঠুকলে সে খবর দেশে ফেরা মাত্র চাউর হয়ে যাবে। তাছাড়া তিনি ব্রিটেন সরকারের ডাকসাইটে অফিসার। এর আগে মাদ্রাজের গভর্নর থেকেছেন। তার নিজের সন্মানেও লাগছে। তো তিনি একটু গাঁইগুঁই করে বললেন দেখুন আমি প্রণাম করতে রাজি কিন্তু একটা অনুরোধ আছে - চিনের দিকে থেকে আমার পদমর্যাদার সমান কেউ ঐ একইভাবে ব্রিটেনের রাজার একটা ছবির সামনে প্রণাম ঠুকুন। চিন সম্রাটের আমলারা সঙ্গে সঙ্গে বুঝে গেলেন এর অর্থ কি। তারা স্মিতহাস্যে উত্তর দিলেন দেখুন আপনাদের রাজাকে আমরা আমাদের সম্রাটের সমান বলে মনে করি না। তবে হ্যাঁ। আপনার সমস্যাটা বুঝতে পারছি। ঠিক আছে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতে হবে না। আপনি ডান হাঁটু মাটিতে ছুঁইয়ে বাঁহাঁটু ভেঙ্গে অর্ধনমিত হয়ে সম্রাটকে অভিবাদন জানাবেন। ওতেই হবে। সেইভাবেই সাক্ষাৎকার হল। ভালয় ভালয় মিটেও গেল। কিন্তু গিঁট খুলল না। দর্শন শেষে শাহি ডিনার টিনার মিটলে চিন সম্রাট জানিয়ে দিলেন - "আমাদের সাম্রাজ্যে কোন জিনিসের অভাব নেই। ব্রিটেন থেকে কিছু কেনার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।"

    দাঁত কিড়মিড় করতে করতে জর্জবাবু দেশে ফিরলেন। ডায়রিতে লিখেছিলেন - "চিন কি জানে না যে স্রেফ দু'টো ইংলিশ যুদ্ধজাহাজ তাদের গোটা নৌসেনাকে হারাতে পারে!"

    এইবার ব্রিটেন ও অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলি ভাবতে আরম্ভ করল কি করা যায়। চিন যদি সোজাপথে মাল ঢোকাতে না দেয় তা হলে স্মাগল করেই ঢোকানো যাক। কিন্তু সাধারণ জিনিসপত্র স্মাগল করে লাভ নেই ঝুঁকি যেরকম। তখন নজর পড়ল আফিমের দিকে। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ততদিনে ভারতে আফিম চাষ করে ও বেচে তুমুল লাভ করছে। আফিম তখন চিনে নিষিদ্ধ। সামান্য চোরাচালান হত। এইবার পুরোদমে শুরু হল। বাড়তে বাড়তে ১৮৩০এর দশক নাগাদ প্রতি বছর ব্রিটেন ১০০০-১৫০০ টন আফিম তখন ভারতে উৎপাদন করে চিনে ঢোকাচ্ছে। আমেরিকাও কিছুটা। চিনের স্থানীয় চোরাকারবারীদের সাথে নেটওয়ার্ক সেট। চিনের সরকার ক্রমাগত কড়া আইন জারী করে চলেছেন কিন্তু সূদুর দক্ষিণের গুয়াংঝৌ বন্দরে (সে যুগে ক্যান্টন) দুর্নীতি আটকায় কে।

    ১৮৩৯ সালে পরিমাণটা গিয়ে দাঁড়ালো ২৫০০ টনে। আর চিন থাকতে পারল না। চিন সম্রাটের আদেশে কমিশনার লিন ঝিজু, গুয়াংঝৌ বন্দরের কাছে হানা দিলেন। ১০০০ টনের বেশী আফিম বাজেয়াপ্ত করে ধ্বংস করা হল। এইবার ব্রিটেন গ্লাভস খুলল। জর্জ ম্যাকার্টনির আন্দাজ ঠিকই ছিল। ১৮৩৯-৪২ সালে পরপর কয়েকটি নৌযুদ্ধে ব্রিটেন চিনের কোমর ভেঙ্গে দিল।

    যুদ্ধ শেষে ব্রিটেন চিনের থেকে আদায় করল -

    ১। চিন ব্রিটেনকে ৮০০ টন রুপো 'ক্ষতিপূরণ' দেবে।
    ১। চিনের বাজার কিছুটা খুলতে হবে। এবং আফিম বিক্রিতে বাধা দেওয়া ছলবে না।
    ২। আরো পাঁচটি নতুন বন্দরে ব্রিটেনকে ব্যবসা করতে দিতে হবে।
    ৩। হংকং দ্বীপটি ব্রিটেনকে ছেড়ে দিতে হবে চিরকালের মতন।
    ৪। চিনবাসী কোন ব্রিটিশ নাগরিকের ওপরে চিনের আইন জারী হবে না। কেউ অপরাধ করলে ব্রিটেন ব্যবস্থা নেবে ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী।
    ৫। আর হ্যাঁ সাষ্টাঙ্গ প্রণাম বন্ধ।

    এই যুদ্ধটা চিনের ইতিহাসে একটা ওয়াটারশেড। এরপর একে একে পরবর্তী ১০ বছরে চিনের ঘাড়ে এসে চাপল রাশিয়া, ফ্রান্স, আমেরিকা, সুইডেন। প্রত্যেকেই ব্রিটেনের মতন চিনের থেকে বাণিজ্যিক সুযোগসুবিধা আদায় করতে শুরু করল। ব্রিটেনের ক্ষমতা দেখে চিন বুঝে গেছে আপত্তি করলেই কামান। দিতে বাধ্য হল।

    কিন্তু প্রতিক্রিয়া এল চিনের ভেতর থেকে। ১৮০০ থেকে ১৮৫০ এই অর্ধশতকে চিনের সমাজ ও অর্থনীতি জড়স্থবির হয়ে এসেছে। জনসংখ্যা বেড়েছে বিপুল। অর্থনীতি স্ট্যাগন্যান্ট। চাষীরা ধুঁকছে। কোষাগার ফাঁকা। আফিমের নেশায় হু হু করে দেশ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রুপো। বাণিজ্যঘাটতি উল্টে চিনের দিকে। নেশায় আসক্ত অজস্র দেশবাসী। আফিম বন্ধ করতে পারাও সম্ভব নয়। একবার চেষ্টা করায় ব্রিটেনের কাছে শিক্ষা পেতে হয়েছে। দেশে অপরাধ ও দুর্নীতি বেড়েছে বহুগুণ। রাগ গিয়ে পড়ল মাঞ্চু সম্রাটের ওপর। অধিকাংশ চিনারা হান জনগোষ্ঠীর। কিন্তু সে যুগে সম্রাট ছিলেন এক মাঞ্চু, উত্তর চায়্নার মাঞ্চুরিয়া অঞ্চলের একটি ছোট জনগোষ্ঠীর।

    ১৮৪৩ সালে দক্ষিণ চিনের গুয়ানঝি রাজ্যের এক বাসিন্দা, হং ঝিউচুয়ান, ক্রিশ্চান ধর্ম গ্রহণ করে আশপাশের গ্রামে তার প্রচার শুরু করলেন। সাথে পেলেন এক বন্ধুকে - ফেং ইউনশাং। ইউরোপীয় মিশনারীরা চিনে ঢুকেছে তার কয়েক দশক আগে। হং নিজস্ব কিছু কল্পনা মেশালেন- অনেকটা মোর্মনদের জোসেফ স্মিথের মতন - দাবী করলেন যে তিনি যীশুর ভাই। এরা প্রচার শুরু করলেন - চিনের কনফুসিয় সমাজব্যবস্থা কুঃসংস্কারাচ্ছন্ন (কথাটা সত্যি)। একে সাফ করতে হবে। নতুন ধর্ম (ক্রিশ্চিয়ানিটি, একটু সেজুয়ান সস ঢেলে) গ্রহণ করে চিনের খোলনলচে বদলাবো আমরা। জমি ও সম্পত্তির সমান বাঁটোয়ারা করতে হবে। আর এইসব বাইরের লোকেদের (মাঞ্চুদের শাসন ও ইউরোপীয়ানরা) জুতিয়ে বার করতে হবে চিন থেকে। হতদরিদ্র সংখ্যাগরিষ্ঠ হানদের মধ্যে কনসেপ্টগুলোর প্রভাব হল ইলেক্ট্রিক। হংএর অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করল। অনুসারীদের সংখ্যা কয়েক হাজারে পৌঁছলে এনারা ফিল্ডে নামলেন। এলাকার বড় জমিদারদের জমি কেড়ে নিয়ে গরীব চাষীদের মধ্যে বিলোনো শুরু হল। স্থানীয় ডাকাতদের মেরে ভাগালেন। সেই সাথে মাঞ্চু সম্রাটদের বিরুদ্ধে প্রচার। কয়েক বছরের মধ্যে অনুসারীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দশ লক্ষের ওপর। মূলত হান জনগোষ্ঠীর। পুরোপুরি ডিসিপ্লিনড এবং কমিটেড সেনাবাহিনী। ডামাডোলের বাজারে সমাজে যখন তেড়িয়া কোন নতুন আইডিওলজি জন্ম নেয়, সে সেকুলার হোক বা ভগবানে বিশ্বাসী, তার জোশ থাকে। এদেশের শিখধর্ম যেমন। হিন্দুধর্ম থেকে শিখধর্মের উৎপত্তি ইসলামের অভিঘাতে।

    খুচরো কয়েকটা সংঘর্ষ হওয়ার পর আর থাকতে না পেরে ১৮৫১ সালে মাঞ্চু সম্রাট একদল সেনা পাঠালেন এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে। হং তখন নতুন সাম্রাজ্য ঘোষণা করে দিলেন - তাইপিং। মাঞ্চু সেনাদের এড়িয়ে তাইপিং সেনাবাহিনী উত্তরের নানজিং শহরটি জিতে নিল ১৮৫৩ সালে। হং সেখানে রাজধানী স্থাপন করলেন। শুরু হল বিপ্লব*। এরপর দ্রুত তাইপিংরা দক্ষিণ চিনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে নিল। ঐ বছরেই তাইপিংরা হানা দিল খোদ বেজিংএর ওপর। অল্পের জন্য বেজিং রক্ষা পেল। গৃহযুদ্ধ শুরু হল।

    সেই তুমুল গৃহযুদ্ধের মধ্যেই ব্রিটেন আবার হানা দিল। এবার সঙ্গে দোসর ফ্রান্স ও আমেরিকা। রাশিয়াও ল্যাজে ল্যাজে হাজির। ১৮৩৯-৪২ এর প্রথম চিন-ব্রিটেন যুদ্ধের পর চিন নিমরাজী হয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স ইত্যাদিকে ব্যব্সা করতে দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু খিটিমিটি লেগেই ছিল। পশ্চিম বিশ্বের খাঁই তখন বছর বছর বাড়ছে। চিনের বাজার বিশাল। তার সামান্য অংশই তখনও অবধি ট্যাপ হয়েছে। চিনের পুলিশের সাথে ব্রিটিশ ব্যব্সায়ীদের একটা দুটো ছোটখাটো ঘটনাকে অজুহাত করে ব্রিটেন ও ফ্রান্স আবার যুদ্ধ শুরু করল। ১৮৫৬-৬০ ঘটল সেই যুদ্ধ। তাইপিং বিদ্রোহ তখন চলছে পুরোদমে। চিন বেসামাল। যুদ্ধে চিন সম্পূর্ণ হারল।

    যুদ্ধ শেষে ব্রিটেনের তরফ থেকে লর্ড এলগিন (হ্যাঁ ইনি সেই লর্ড এলগিন যিনি ভারতের বড়লাট হয়েছিলেন) ঠিক করলেন চিনকে একটা ভাল শিক্ষা দেওয়া হোক যাতে আর কোনদিনও বেশী পাকামো করার সাহস না করে। প্রস্তাব দিলেন বেজিংএ চিন সম্রাটের রাজপ্রাসাদটা (ফরবিডেন প্যালেস) ধ্বংস করে দেওয়া হোক। ফ্রান্স ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বললেন ওটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তার চেয়ে নিকটবর্তী সামার প্যালেসটা বরং ধ্বংস করা যাক। সে কাজ সুসম্পন্ন হল। পুরো ঘটনাটায় কেঁপে গেল চিনের শিক্ষিত সমাজ।

    এই রাউন্ডে আরো অনেক কিছুর সাথে চিনের থেকে আদায় হল -

    ১। ব্রিটেন ও ফ্রান্স দু'পক্ষকেই ৩০০ টন করে রুপো 'ক্ষতিপূরণ'।
    ২। চিনের বাজার আরো খুলল। শুল্ক কমাল চিন।
    ৩। হংকংএর উত্তরে মূল ভূখন্ডের কিছুটা এলাকা, নাম কৌলুন, ব্রিটেনকে চিরকালের জন্য ছেড়ে দিল চিন।
    ৪। আফিমের ওপর সমস্ত নিষেধা্জ্ঞা উঠে গেল।
    ৫। একটা বড় খাবলা মারল রাশিয়া। উত্তর পূর্ব চিনের এক বিশাল এলাকা, ৬ লক্ষ বর্গকিমির বেশী (!), রাশিয়াকে দিতে বাধ্য হল চিন। উত্তর-পূর্ব চিন প্রশান্ত মহাসাগরের থেকে উপকূল হারিয়ে স্থলবদ্ধ হয়ে গেল। উপকূল বরাবর প্রায় ২০০ কিমি চওড়া একফালি জমি নিল রাশিয়া। সেখানে কিছুকাল পরে রাশিয়া ভ্লাদিভস্তক বন্দর স্থাপন করবে।

    অন্যদিকে তাইপিং বিদ্রোহ চলল ১৪ বছর ধরে। চিনের দক্ষিণ পূর্বের সাতটি রাজ্য জুড়ে। মাঞ্চু সম্রাট শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের সাহায্য নিয়ে বিদ্রোহ দমন করলেন ১৮৬৪তে। বিদ্রোহটা পরিস্কার এথনিক লাইন বরাবর হওয়ায় (মাঞ্চু বনাম হান, যদিও হানদের একটা বড় অংশ লয়্যাল থেকে গেছিল, নইলে মাঞ্চু সম্রাট টিকতেন না) যুদ্ধ শেষে মাঞ্চু সেনারা দক্ষিণ চিনে হানদের বিরুদ্ধে একাধিক গণহত্যা করল। লড়াই, মহামারী, দুর্ভিক্ষ সব মিলিয়ে তাইপিং বিদ্রোহে কম করে ২ কোটি লোক প্রাণ হারায়। আহত ও উদ্বাস্তু কত কোন হিসেব নেই। মাঞ্চু শাসন টিকে গেল ঠিকই কিন্তু চিন, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলি আর্থসামাজিক কোহেরেন্স হারিয়ে ফেলল।

    তাইপিং বিদ্রোহ ও দ্বিতীয় চিন-ব্রিটেন যুদ্ধ অবশেষে চিন বুঝে গেল আর সম্ভব নয়। ইউরোপ অনেক এগিয়ে গেছে। এইবার চিন সংস্কার শুরু করল। তবে বেশ ধীর গতিতে। সামরিক বিভাগে ইউরোপীয় প্রযুক্তি ঢুকল। আমলাতন্ত্রের সংস্কার হল কিছু। পরবর্তী তিন দশক মোটের ওপর ঠান্ডা থাকায় চিন কিছুটা বল ফিরে পেল। কিন্তু এবার এক নতুন শক্তি এসে হাজির। ঘরের কাছের জাপান। চিনের মতই পশ্চিমী দেশগুলির থেকে শিক্ষা নিয়ে জাপান আর্থ-সামাজিক সংস্কার শুরু করেছিল। কিন্তু চিনের থেকে অনেক দ্রুত বেগে। জাপানের নজর পড়ল কোরিয়ার দিকে। কোরিয়া জাপানের ঠিক উল্টো। তখনও নিজেকে বাইরের দুনিয়া থেকে পুরো বন্ধ করে রেখেছে। শুধু চিনের সাথে বন্ধুত্ব। কোরিয়া তখন চিনের প্রোটেক্টরেট। বাইরের দুনিয়ার সাথে যেটুকু সংস্পর্শ তা চিনের মাধ্যমে। অবশেষে ১৮৭৬ সালে জাপান জোর করেই কোরিয়ায় ঢুকল যেভাবে আমেরিকা এর আগে জাপানে ঢুকেছিল। জাপান-কোরিয়া সম্পর্ক স্থাপন হল। চিন মেনে নিতে বাধ্য হল। জাপানের দ্রুত উন্নতি দেখে কোরিয়ার মধ্যেও ডিবেট শুরু হল চিনকে ছেড়ে জাপানের সাথে যোগ দিলে কেমন হয়? কমবয়সীরা জাপানের ভক্ত। কিন্তু বয়স্ক আমলারা চিনকে ছাড়তে চান না। জাপান ঠিক করল চিনকে কোরিয়া থেকে পুরোপুরি হটাতে হবে। ১৮৯৪ সালে চিন আক্রমণ করল জাপান। দেখা গেল চিনের সামরিক আধুনিকিকরণের পরেও বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয় নি। জাপান আকারে ছোট হলেও অনেক এগিয়ে। ১৮৯৪-৯৫ এর ভেতরে জাপানের কাছে জলে ও ডাঙ্গায় পরপর নটি যুদ্ধে হারল চিন। ইউরোপীয় প্রযুক্তিতে বানানো চিনের নতুন নৌবাহিনী শেষ।

    যুদ্ধ শেষে -

    ১। কোরিয়া চিনের আওতা থেকে বেড়িয়ে পুরোপুরি জাপানের আওতায় চলে গেল। কয়েক বছরের মধ্যে যে কোরিয়ানরা জাপানকে ভরসা করেছিলেন তারা টের পেলেন কি ভুল করেছেন। জাপানের কলোনীতে পরিণত হল কোরিয়া। থাকবে ১৯৪৫ অবধি।
    ২। তাইওয়ান দ্বীপ ও তার আশপাশের কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জ চিন জাপানকে ছেড়ে দিল। এদের মধ্যে তাইওয়ান দ্বীপের উত্তরে একটি জনশূন্য দ্বীপপুঞ্জ - সেনকাকু।
    ৩। চিন জাপানকে 'ক্ষতিপূরণ' দিল ৭৫০০ টন (!) রুপো।
    ৪। চিনের মূল ভূখন্ডে কোরিয়া সংলগ্ন লিয়াওডং উপদ্বীপটিও জাপানকে ছেড়ে দিল। কিন্তু এইটাতে ইউরোপীয় দেশগুলি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল। বিশেষ করে রাশিয়া। রাশিয়ার নিজের নজর ছিল চিনের উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে। অল্প কিছুদিন পরে ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি জাপানের ওপর কূটনৈতিক চাপ দিয়ে উপদ্বীপটি চিনকে ফেরত দেওয়াল। বদলে চিন আরো ১১০০ টন রুপো দিল জাপানকে। সব মিলিয়ে জাপান চিনের থেকে যত টাকা পেল তা চিন সরকারের তিন বছরের বাৎসরিক আয়ের সমান। অন্যদিকে জাপান বুঝে গেল চিনে ঢুকতে হলে আগে রাশিয়াকে হটাতে হবে। ১৯০৫ সালে যুদ্ধ লাগল রাশিয়া-জাপানের মধ্যে।

    জাপানের কাছে হারটা মাঞ্চু সাম্রাজ্যের শেষের শুরু। পূর্ব এশিয়ায় কয়েক হাজার বছর ধরে চিন ছিল 'মিডল কিংডম'। বাকিরা চিনকে ঘিরে পাক খেত। খোদ জাপানই ছিল চিনের অনুসারী দেশ**। বিংশ শতাব্দীতে ঢোকার মুখে জাপান পূর্ব এশিয়ায় সেই স্থান অর্জন করল। এর আগে ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে হারাটা একরকম ছিল। কিন্তু জাপান ঘরের কাছের, দেখতে একই রকম, চিনের থেকে অনেক ছোট এবং জাপানের সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে চিনের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। সেই জাপান যে কিনা কিছুদিন আগে অবধি একটা অকিঞ্চিতকর অনুসারী দেশ ছিল, চিনকে অনুকরণ করতো তার কাছে হার! মাঞ্চু সরকার ঘরে বাইরে সর্বত্র সন্মান হারিয়ে ফেললেন।

    ------------------------------------------------------------

    চিনের ইতিহাসের এই পর্যায়টা অনেকেই কমবেশী জানেন। আমি কিছুটা রিভাইজ করলাম যাতে ১৯৪৯ এর পরবর্তী চিনকে বুঝতে সুবিধা হয়। আর একটু বাকি আছে।

    ------------------------------------------------------------

    *১৯৫৯ সালে চিনে হং ঝিউচুয়ান ও তাইপিং বিদ্রোহের স্মৃতি রক্ষার্তে তার জন্মস্থানে একটি সংগ্রহশালা স্থাপিত হয়েছে।

    **সেযুগে চিনের সাথে যেকোন রকম সম্পর্ক রাখতে গেলে অন্য কোন দেশকে চিনের অনুসারী হতে হত। অর্থাৎ মেনে নিতে হত যে চিনের সন্মান বেশী। অনুসরণের প্রমাণ হিসেবে চিনের সম্রাটকে প্রতি বছর কিছু উপহার দিতে হত। জর্জ ম্যাকার্টনি এর ফলে অসুবিধায় পড়েছিলেন। তিনি অনেক উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন চিনে। চিনারা সেই দেখে ধরে নেয় তিনি ব্রিটেনকে চিনের অনুসারী দেশ ঘোষণা করে সম্পর্কস্থাপনে এসেছেন। কিন্তু তিনি উপহারগুলো নিয়ে গেছিলেন নিছক ভদ্রতা করে। চিনকে ব্রিটেনের ওপরে রাখতে আদৌ রাজী ছিলেন না।
  • T | 233.227.127.99 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ০৭:৪৩367242
  • তুমুল হচ্চে।
  • | 52.106.28.253 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ০৮:১৪367243
  • আহা সলিড
  • dd | 59.207.56.155 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ০৮:১৯367244
  • দুর্দান্ত হচ্ছে।

    এতো দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস, অথচ ছোটো করে এতো লুসিডলি লিখেছেন যে এক তো ঝট করে পড়ে নেওয়া যায় আর পরম্পরা বুঝতে কোনো অসুবিধেই হয় না।
  • রোবু | 213.132.214.86 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ১০:৩৫367245
  • ডিডিদার কথা ইকো করলাম। এইগুলো অনেক মোটা মোটা বইতে পড়েছি, তাই আর মনে রাখতে পারিনি ঘটনা পরম্পরা। শেষ দিক পড়তে গিয়ে শুরু ভুলে গেছিলাম।
  • b | 135.20.82.164 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ১২:০২367246
  • এই তাইপিং বিদ্রোহ-ই কি বক্সার রেবেলিয়ন?
  • রোবু | 213.132.214.86 | ১০ আগস্ট ২০১৭ ১২:০৮367248
  • না না, ওটা আরো পরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন