এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা গেছে, ত্রিপুরা গেল কিন্তু বামপন্থীদের জ্ঞান ফিরছে কোথায়?

    Dipankar
    অন্যান্য | ০৫ মার্চ ২০১৮ | ২৪৮৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:১১373408
  • বামপন্থী দের জ্ঞান ফিরে নতুন করে কিছু হবার নেই । ব্যাটারা কোঁত কোঁত করে ঘুমুচ্ছে দেখে বিরক্ত লাগে তাই যাতায়াতের পথে খুঁচিয়ে দি , তারমানে এই না যে জেগে উঠে বিশাল তীর মারবে ।

    বামপন্থীদের কোর একটা দৃষ্টিভঙ্গী আধুনিক পৃথিবীর সঙ্গে যায়না । এরা হাঙ্গার আর ডিস্স্যাটিসফ্যাক্সনের পার্থক্য বোঝেনা । রাদার বলা ভালো ওদের চিন্তার স্কুলটা আলদা । খিদে পেয়েছে ? চাট্টি খেতে দাও । যে খেল তার শ্যাসিয়েশন নিয়ে কোনো মাথাব্যাথাই নেই । ওটা ডিক্সনারির বাইরে । এর ফল হলো কোনো বামপন্থী কে যদি গরিবদের জন্যে খাদ্যপ্রণালী বানাতে বলেন , এন্ড অফ দ্য ডে এরা একটা বিস্বাদ কিন্তু নিউট্রিশাশ ঝোল হাজির করবে , যা একচুয়ালি কেও মুখে দেবে না । এরা ভেবেই পাবে না কেন মানুষ ওদের দেওয়া নিউত্রিশাস ঝোল ফেলে খাদ্যগুন্হীন ম্যাগি কিনে খায় :):):) এটা বোঝা এদের কোডিং এর বাইরে :)

    তো , শিল্প বিপ্লব পরবর্তীকালে এদের পারফেক্ট টাইমিং ছিল , যা করার করেছে । এই সময় দাঁড়িয়ে সম্ভব না ,ওই প্রি কন্ডিশন ই রীচ করবেনা । লোকে ম্যাগির স্বাদ পেয়ে গ্যাছে । এবং সবচে গোলমালের যেটা তা হলো বামেরা গাঁটআমো করে দিনের পর দিন তাদের ঝোল কে আরো বিস্বাদ করে তুলেছে যার ফলে ম্যাগির বিক্রি বেড়েছে আরও ।

    এসব এদের বোঝানোই সম্ভব না , দরকার ও নেই । এক গুষ্টি এইচডিএই ডেটা এনে প্রমান করার চেষ্টা করবে ত্রিপুরা কত ভালো চলছিল । কিছুতেই বোঝার চেষ্টা করবে না , সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ ভালো বলতে কী পারসিভ করে ? বিগ সিভিল কন্স্ত্রাক্ষণ -হু হু করে বাড়ি -শপিং মল এইসব , আপনি একজন ভিখারী কে জিগ্গ্যেস করুন সে ফেলে দেওয়া বার্গার খেয়ে শপিং মলের আন্ডারগ্রাউন্ড এ ঘুমুতে পছন্দ করবে না রেশনে দেওয়া বিস্বাদ বাদামী চাল খেয়ে কোনো সো কল্ড বেটার জায়গায় ...........সে শপিং মলের আন্ডারগ্রাউন্ড ও ফেলে দেওয়া বার্গার প্রেফার করবে ।

    সেন্স অব প্রস্প্যারিটি কী জিনিশ , শ্যশিএশোন এর সঙ্গে হাঙ্গার এর রিলেশন কতটা আছে এবং কতটা নেই এসব বামপন্থী ইস্কুলের সিলেবাস না । সিলেবাসে ঢুকিয়ে নিতে পারলে বেটার হত , ম্যাগিতেও একটু বেশি খাদ্যগুণ থাকত তাহলে চাপে পড়ে , কিন্তু সেটা করলে আবার বামপন্থা বামপন্থা থাকত না । কাজেই এদের সসম্মানে অন্তর্জলী দেওয়াই মঙ্গল । যেসব লেলীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন সিলেবাস পাল্টে খাপ খাইয়ে নেওয়ার তাঁরা খুব একটা বুদ্ধির কাজ করছেন বলে মনে হয়না । বরং আবার পৃথিবীর কোন প্রান্তে প্রি কন্ডিশন তৈরী হয় সেখানে গিয়ে খাপ খোলাই ভালো ।

    **** ম্যাগি প্রেমীরা চটে যাবেন্না, উহা প্লেসহোল্ডার :)
  • pi | 57.29.188.206 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:২৩373409
  • মনে পড়ল, ত্রিপুরায় কোন ভিখারি দেখিনি। একজন বাদে। আর লোকে বলে অল্প কিছু বাচ্চাকে কখনো দেখেছে, বান্গ্লাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আসার কোন গল্প শুনেছিলাম তাতে।
  • একক | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:২৪373410
  • ভিখারীর গল্পটা কিন্তু বানিয়ে বলিনি । ব্যাঙ্গালোরে অনেকে কাজ করতে এসে সর্বস্বান্ত হন । কেও বিহারী শ্রমিক ছিলেন কেও বাংলাদেশী । বিভিন্ন বিপদে পড়ে টোটাল সর্বস্বান্ত । এনারা হিন্দি বা বাংলা বলা লোক খোঁজেন রাস্তায় । কথা বলেছি । খাবার বানিয়ে একটা ছাদের তলায় থেকে জীবনের হ্যাপ সামলানোর থেকে রেডিমেড ফুড ভিক্ষে পাওয়া এবং অস্থায়ী জায়গা পাল্টে পাল্টে ঘুমুনো বেটার অপশন । ইন্ডিয়ান মেট্রো কে কেন্দ্র করে একটা সত্যিকারের হোমলেস ক্রাউড গড়ে উঠছে । যেটা আগে ছিলনা , আগে ভিখারী ছিলেন অনেকে , তাঁরা দিব্য রান্না তান্না করে একটা সংসার চালাতেন । সিঁথির মোর এ এরকম একটি পরিবার প্রায় ডিমের ঝোল রাঁধতেন ,সেই গন্ধ পেতুম রাত্রে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় । তো যাই হোক , হোমলেস ভিখারী ক্রাউড তৈরী হচ্ছে । যাগ্গে এসবের সঙ্গে এই টই এর কিছু নেই , হোমলেস লাইফস্টাইল নিয়ে আমার আগ্রহ আছে তাই কথাপ্রসঙ্গে আর কী ।
  • একক | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:২৬373411
  • পাই , ভিখারী ক্রাউড তীরে হবার প্রি কন্ডিশন তো সব জায়গায় থাকে না । নেপালেও ভিখারী দেখিনি , কিন্তু দারিদ্র যথেষ্ট দেখেছি ।
  • T | 165.69.191.252 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:৩৬373412
  • মরেচে, সেন্স অব প্রস্পারিটি কি বদলায় না নাকি! আজ বার্গার কাল কেক পরশু ফ্যান ভাত। মুহুর্মুহু ঐভাবে টপ টু বটম আইডিওলজি বদলানো যায় নাকি! শেল বদলাবে, কিন্তু কোর তো একই থেকে যাবে।
  • PT | 213.110.242.18 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:৪০373413
  • বামেরা কেন যে এই সহজ ব্যাপারগুলো শিখতে পারে না.....
    "ফল ঘোষণার পরে এখনও ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই নতুন করে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলল বিজেপির নির্বাচনী সহযোগী ইন্ডিজেনাস পিপল’স ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি)।.......
    `যে দাবি আইপিএফটি এখন তুলছে, সেই দাবি তারা প্রচার চলাকালীন তোলেনি কেন? নরেন্দ্র চন্দ্র (এন সি) দেববর্মা বলছেন, ‘‘নির্বাচনের আগে এ ব্যাপারে কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল। জোটের শর্ত মেনেই এই দাবি প্রচারে তোলা হয়নি।’’......
    আইপিএফটি প্রধান অবশ্য অকপটেই বলেছেন, নির্বাচনের আগে সোচ্চারে পৃথক রাজ্যের দাবি না তোলাটা একটা ‘স্ট্র্যাটেজি’ ছিল।"
    http://www.anandabazar.com/national/demand-for-separate-tipraland-state-again-raised-by-bjp-ally-ipft-in-tripura-dgtl-1.766100?ref=hm-ft-stry-3
  • S | 194.167.2.96 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৮:১৮373414
  • পশ্চীমে বামেদের সুবিধা হয়েছে। অন্যদিকের লোকজন এতো গাঁট আর বিকাও যে বামেদের একটা সুস্পষ্ট স্পেস আছে। যেটা ডেমোক্র্যাটিক সোশালিজম আর লিবারিলজমের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে।

    বড়লোকেদের ট্যাক্স বাড়াও, বেশি সোশাল প্রোগ্রামস, কর্পোরেশনদের উপরে বেশি রেগুলেশন, এনভায়রনমেন্ট এগুলো হলো ইকনমিক পলিসি। সোশাল পলিসির মধ্যে এলজিবিটির প্রোটেকশন, মহিলাদের সমান পে এবং অন্যান্য ইস্যুতে সমর্থন, মাইনরিটিদের সমর্থন, গান কন্ট্রোল (আম্রিগার ক্ষেত্রে) ইত্যাদি। আর ফরেন পলিসিতে ইমিগ্রেশন, ফালতু যুদ্ধ না লাগানো, ডিপ্লোমাসি এইসব নিয়ে একদম আলাদা ন্যারেটিভ তৈরী করা গেছে। যার সাথে পুরোনো কমিউনিজমের কোনও সম্পর্ক নেই।

    ফলে লোকে ভোট দিচ্ছে। আর অনেক বেশি প্রাগমাটিক। আজকের সমস্যা গুলোর সমাধানের সুত্র দেওয়া হচ্ছে। অতেব ভারতেও বামেদের সুস্পষ্ট কিছু নীতি থাকা দরকার। যেটা নেই। থাকলেও, আজকের সমস্যাগুলোর সমাধান নেই।

    দশটা প্র্যাকটিকাল এবং অ্যাচিভেবল জিনিস বলে দিন অ্যাজেন্ডায়, বার বার বলুন, সেই নিয়ে আন্দোলন করুন, দাবী দাওয়া করুন। যে জিনিসগুলো লোকে চোখের সামনে দেখতে পাবে। ডেটা ছাড়াও নিজের চোখে মাপতে পারবে। তবেই না সমর্থন পাবেন।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩০373415
  • S এর সাথে একমত। ভারতবর্ষে আজকের দিনে বামপন্থীদের কোন ওভারার্চিং ন্যারেটিভই নেই। লোকাল লেভেলে খুচরোখাচরা ইস্যু নিয়ে চলছে, সেগুলোও বেশীরভাগ রিঅ্যাক্টিভ। আর ন্যাশনাল লেভেলে পুরো প্যারালাইজড হয়ে গেছে। একটা করে পলিটবুরো মিটিং হয়, তাতে বিস্তর থিওরি চর্চা হয়, কং এর সাথে জোট করবো কি করবো না সে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয় আর চল্লিশ পাতার খসড়া জমা দেওয়া হয়, ব্যস পরবর্তী পলিটবুরো মিটিং অবধি আবার থিওরি চর্চা। দেশ জুড়ে লাগাতার মিটিং মিছিল ধর্না আন্দোলন এসব বহুকাল হলো থেমে গেছে। অথচ আন্দোলন করার জন্য, হাওয়া তোলার জন্য হাজারটা ইস্যু পড়ে আছে।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩৭373416
  • আর বাম দলগুলোতে একটাও ঝানু রাজনীতিক আছে বলে তো মনে হয় না। মোদী-অমিত শাহ তো বাদই দিলাম, আন্না-আম্মা-বিজু-মুলায়ম লেভেলেরও একজনও নেতা নেই। পবতে মমতা নিয়ম করে সিপিএমকে দশ গোল দিয়ে যাচ্ছে। কারাত-ইয়েচুরির মতো মিডিওকার নেতারা ন্যশানাল লেভেলে যে দল চালায় সে দল রেলিভ্যান্ট থাকবে কি করে?
  • S | 194.167.2.96 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪০373418
  • ভারতে প্রচুর লোক আছেন (ইনক্লুডিঙ্গ শহরাঞ্চলে) যাঁরা একটা বাম দল চান ভোট দেওয়ার জন্য, অথ্চ পান না। মহারাষ্ট্রে নিজেই দেখেছি, যারা আড়ালে আবডালে পার্টির কথা জিগায়।

    কঙ্গকে ভোট দেওয়া যায়্না। কারণঃ এক হলো গাঁধী পরিবার আর দুই, এখনো কঙ্গে অনেক নেতা আছেন যাঁরা বিজেপি থেকে এসেছেন বা যেকোনও দিন বিজেপিতে চলে যেতে পারেন। এছাড়া কঙ্গের ইতিহাসও খুব রিপাল্সিভ।

    সেখানে বামেরা যদি এখনো সেই কবে রাশিয়ায় কি হইসে আর মার্ক্স কি বলসে নিয়ে পড়ে থাকে তাতে লাভের লাভ কিসুই হয়না। অনেককে খুব বিরক্ত হতে দেখেছি যখন বলে যে এইসব ইস্যুগুলোতে বামেরা চুপ থাকে কেন? ঐসব তত্ত্বকথা ছেড়ে এখন আসল ইস্যুগুলো নিয়ে লড়ুন।

    প্রথম কাজটা দিয়ে দিলামঃ কারতকে বিদায় করুন।
  • Ekak | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৯373419
  • হাজার ইস্যুর কয়েকটা শুনি :)

    মনে রাখতে হবে ইন্ডিয়ান বামদের ভোটার বেস হলো একদল একেবারে অন্ত্যজ যাঁরা প্রাকটিকালি এলজিবিটি থেকে এনভায়রনমেন্ট বাঁচাও কোনকিছুর ধার ধরেন না , আরেক দল ভোটার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যাঁদের ঠাকুর চাকর জোটাতে গিয়ে বেচারা বামেরা কোনদিন অসংগঠিত কর্মীর মিনিমাম ওয়েজেস নিয়ে কোথা তোলার সময় পেলনা , সরকারী কর্মীদের ডিএ তেই আন্দোলন সীমাবদ্ধ রইলো :):)

    তো এই দুই মোক্ষম ভোটার বেস কে মাথায় রেখে একটু লিস্টি হয়ে যাক ।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৮:৫৯373420
  • " ইন্ডিয়ান বামদের ভোটার বেস"

    এখানেই তো ফ্যালাসিটা লুকিয়ে আছে ঃ) এদিকে বামেরা বলবে আমরা ন্যাশনাল লেভেলের পাট্টি, আমরা আরেসেসের সাথে টক্কর নেবো, ওদিকে ভাববে বাম ভোটার বেস। এরকম মাইক্রো সেগমেন্টেশান করে প্রোডাক্ট বেচা যায়?

    বাম কথাটা বাদ দাউ, ইন্ডিয়ান ভোটার বেস ভাবো, দেখবে সেগমেন্টেশানের কতো সুবিধা হয়। আর তাহলে আপনি থেকে ইস্যু পেয়ে যাবে। একগাদা আনএমপ্লয়মেন্ট, অ্যাক্রস ডেমোগ্রাফিক লেভেল - এটা একটা ইস্যু হতে পারে। ফার্ম ক্রাইসিস - এটা আরেকটা ইস্যু হতে পারে। করাপশান আর ক্রোনি ক্যাপিটালিজম - এটা আরেকটা ইস্যু হতে পারে।

    বলতে পারো যে বামেরা তো কবে থেকেই এসব নিয়ে বলে আসছে। কিন্তু কথা হলো, এসব নিয়ে সাধারন মানুষের বোঝার মতো করে কিছু বলতে পারে কি? সব কিছুর মধ্যে বিরাট থিওরি নিয়ে এসে, সাম্রাজ্যবাদ হ্যান ত্যান কঠিন সব জার্গন তৈরি করে এমনভাবে বলে যার কোন এফেক্ট সাধারন মানুষের মধ্যে পড়ে না। আর স্ট্র্যাটেজি এক্সিকিউট করার মতো নেতাও নেই, জ্যোতি বসু-হরকিষেনরা কবেই বিদায় নেই। ফলে সাধারন লোকও আর বামেদের পাত্তা দেয়না।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:০১373421
  • *কবেই বিদায় নিয়েছে।
  • একক | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:০৮373422
  • এগুলো তো কমন ইস্যু । তুমি যেগুলো লিখলে এই ইস্যুগুলো যে কোনো রাজনৈতিক দল , আরেকটা অনেকদিন ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে বলতে পারে এবং স্ট্রাটেজি ধরে চললে এগুলো বলে জিতে ক্ষমতায় আসবে । এইযে ত্রিপুরাতে , স্ট্রাটেজি কি আজ শুরু হয়েছে ? ৬ বছর আগে একটা নিউসপেপার জন্ম নিয়েছিল ত্রিপুরা ইনফো নাম এ । তাদের টার্গেট ছিল ক্ষমতায় থাকা বামদের বিরোধিতা । তারা ঠিক এই ইস্যু গুলো নিয়েই দিনের পর দিন লিখে গেছে কিভাবে ত্রিপুরার বাম রা করাপ্ট , গোটা ত্রিপুরাতে লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া এইসব । তার ফল হাতেনাতে পাচ্ছে ।

    কিন্তু মানিক সরকার টিঁকে থাকতে গেলে কী করত সেটা বলো :) ক্ষমতায় টিঁকে থাকার চে উল্টে ফেলা সোজা তো ।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:০৯373423
  • ইন ফ্যাক্ট করাপশান-আনএমপ্লয়মেন্ট-ফার্ম ক্রাইসিস, এই তিনটে ভারতীয় পলিটিক্সে এভারগ্রিন ইস্যু। করাপশন দিয়ে বিজেপি কং কে কাত করেছিল ২০১৪ এ, আর আনএমপ্লয়মেন্ট দিয়ে সিপিএমকে কাত করলো ২০১৮তে। ফার্ম ক্রাইসিস দিয়ে কং বিজেপিকে প্রায় পেড়ে ফেলেছিল গুজরাতে, রাহুলের জায়গায় অন্য কোন ভালো নেতা থাকলে এবারেই হটিয়ে দিতো। ফার্ম ক্রাইসিস আর আনএমপ্লয়মেন্ট দিয়ে এবার এমপি আর রাজস্থানেও বিজেপিকে হটানোর জায়গায় চলে এসেছে। অথচ কারাত-ইয়েচুরি এগুলো নিয়ে কিছু করতে পারছে? লেফট এর আগের জেনারেশানের নেতারা কিন্তু এই ইস্যু দিয়েই কুপোকাত করতো। আর যবে থেকে কারাতের নেতৃত্বে লেফট ২০০৮ সালে বেরিয়ে এল, তবে থেকে মুছে গেল।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:১৫373424
  • "ক্ষমতায় টিঁকে থাকার চে উল্টে ফেলা সোজা তো" - এটাই তো বলছি! বামেরা এখন ক্ষমতায় আছে কোথায় যে টিঁকে থাকবে? ত্রিপুরাতে তো এমনিতেই ২৫ বছর রাজত্ব করেছে, সেটা কি যথেষ্ট নয়? এখন থেকে যদি গ্রাসরুট লেভেলে এই কয়েকটা ইস্যু নিয়ে আন্দোলন শুরু করে তাহলেও তো চার-পাঁচ বছর পর ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে! আর বাম দলগুলোর আরেকটা ফেটিশ, যেখানে ক্ষমতায় আসবো সেখানে একেবারে কুড়ি পঁচিশ তিরিশ বছর রাজত্ব করবো তারপর যাবো। গুজরাট ছাড়া অন্য কোন রাজ্যে কিন্তু এরকম হয়না। ভোটে জিতে একটা, দুটো বা ম্যাক্সিমাম তিনটে টার্ম, তারপর বদল। তাতে সব দলের সুবিধে, বাম দলগুলোরও সুবিধে কারন ক্ষমতা থেকে বেরিয়ে যাবার অভ্যাস থাকে, ক্ষমতায় থেকে থেকে ফোঁপরা হয়ে যায়না।
  • একক | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:১৬373425
  • ফার্ম ক্রাইসিস নিয়ে কিছুই করছেনা ? কৃষক সভার খবর আমি সামান্য রাখি । তারা কিন্তু সারা ভারত জুড়ে লম্ফ ঝম্প করছে বিগত সাত আট ধরে খবর পাচ্ছি ।
    মুশকিল এই যে (যেটা এরা কোনদিন সামনে স্বীকার করবে না ) এই কৃষক সভা ইত্যাদি হলো বামেদের কাছে পানিশমেন্ট পোস্টিং এর মত :):):) যে নেতার একটা "তাত্ত্বিক " হবার সুযোগ এসেছে সে উদিক সচরাচর মারায় না । দ্বিতীয়ত , এদের ফার্মিং পলিটিক্স টা ( শুধু এদের বলে না , সব ইন্ডিয়ান পার্টি র ই ) একেবারেই পুরনো ধাঁচের , মানে কৃষক আত্মহত্যা করলে তখন তাই নিয়ে ইস্যু করবে কিন্তু আধুনিক কৃষিপদ্ধতি কী -কীবাহেব কৃষিতে পরিবর্তিন আনা যেতে পারে এইসব নিয়ে ওয়ার্কশপ -কৃষক সমবায় করে শিক্ষিত করা -অর্গ্যানিক বা বেশি ফলনশীল চাষ শেখানো .......এগুলো এখনো অধিকাংশ কৃষি রাজনীতির নেতার সিলেবাসের বাইরে । তার ফলে এনারা ইস্যুভিত্তিক , কৃষক সমাজের সঙ্গে প্রতিদিনের যোগাযোগ কম । তবু তার মধ্যেই যেটুকু সদর্থক কাজ যেমন তুলো চাষ এর বীজ নিয়ে চাষীদের সতর্ক করা ইত্যাদি চেষ্টা বামেদের তরফ থেকেই শুরু হয়েছে ।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:২৬373427
  • হতে পারে চাষীদের সাথে অনেক কিছু করছে। কিন্তু তাতে ভোটে লাভ হচ্ছে কি? অবশ্য কেউ বলতে পারে বামেরা ভোটের পলিটিক্স করেনা, ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে এসব করে না। তাতেও হিসেব মিলবেনা, কারন সাধারন মানুষের মধ্যে রাজ্যে রাজ্যে বাম দলগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে তো মনে হয় না।
  • S | 194.167.2.96 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:২৬373426
  • একক আপনার কথাটাই বলার চেস্টা করছি।

    তত্ত্বের কচকচানি থাকুক পলিটব্যুরো লেভেলে, সেন্ট্রাল কমিটির লেভেলে। কিন্তু মাটিতে নেমে কি কি অ্যাজেন্ডা হবে, কি কি কাজ করতে হবে, কি কি আন্দোলন করতে হবে, কি কি অ্যাচিভ করতে হবে, কি করে মিডিয়ায় সেসব কথা ছড়িয়ে দিতে হবে এইগুলো সাধারণ কর্মির লেভেলে তৈরী করে না দিলে তো মুশকিল।

    যেমন আমি একটা টাস্ক দিয়েছিঃ কারাতকে বিদায় করো। এর পিছনে অনেক তাত্ত্বিক ইসে আছে। কিন্তু সেসবে না গিয়ে গ্রাউন্ড লেভেলে কি করতে হবে সেটা বলে দিয়েছি। ঃ))
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩১373429
  • দিল্লীতে কিছুদিন আগে কৃষকদের বিরাট বড়ো সম্মেলন হলো, মোডিয়া কভার করেনি। হয়তো বামপন্থীরা অনেক জায়গায় সেটা অর্গানাইজ করেছে। তাতে বামপন্থীদের কি লাভ হলো?
  • S | 194.167.2.96 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:৪৬373430
  • কতগুলো অ্যাজাম্পশান করে নিলে ভালো হয়ঃ
    ১) পার্লামেন্টারি ডেমোক্র্যাসিতেই থাকতে হবে। অতেব ভোটে জিততেই হবে।
    ২) লোকের ভোট পেতে গেলে মার্কেটিং করতেই হবে। মিডিয়া প্রেজেন্স বাড়াতে হবে। বাজে কাজ, কিন্তু উপায় নেই।
    ৩) কমিউনিজম আসবে না। না আসাই ভালো। সোভিয়েত থেকে অনেক শিক্ষা হয়েছে। অতেব সোশালিজম লক্ষ্য করে এগোনো হোক।
    ৪) ভারত আলাদা দেশ। এখানকার অনেক ইডিওসিন্ক্রেসি আছে। সেগুলোকে মেনে নিয়েই পলিসি-পলিটিক্স ঠিক করতে হবে।
  • S | 194.167.2.96 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:৫১373431
  • ওদিকে পার্থদা একটা প্রশ্ন করেছেন,

    'এতক্ষণে সবাই জেনে গেছেন ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলায় সদর শহর বিলোনীয়া স্থিত কলেজ স্কোয়ার থেকে রেলস্টেশন গামী রাজপথের মধ্যভাগে প্রতিষ্ঠিত লেলিনের মুর্তি যুব ছাত্র এবং এলাকাবাসী দের সহযোগে ভাঙ্গা হয়েছে । বিলোনীয়া শহরে ৯৫% বাঙালি হিন্দু বসবাস করে, এলাকা টি দুইদিকে বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা।

    এইখানে আমার মনে একটা উদ্ভট প্রশ্ন জাগছে। লেনিনের মূর্তিটিতো বছরের পর বছর ঐখানে দাঁড়িয়ে ছিল। এমনও নয় যে কাল বিজেপি জেতার পর জানা গেল মূর্তিটি অত্যাচারী শাসকের অত্যাচারের প্রতীক। আজ বিজেপির পক্ষে উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবীদার সুদীপ বর্মনরা যখন কংগ্রেসে ছিলেন (ত্রিপুরাবাসী জানেন সুদীপ বর্মনের ক্ষমতা মাহাত্ম) অপ্রতিহত ক্ষমতার যুগেও মূর্তি তো ভাঙ্গা পড়ে নি। তার চাইতেও বড় প্রশ্ন, নকশাল আমলে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যাসাগর ইত্যাদিদের মূর্তিভাঙ্গা আন্দোলনকেও এবার প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো গণতান্ত্রিক হবে তো? এরপরে কোথাও বিজেপি হারলে শ্যামাপ্রসাদ বা দীনদয়াল বা গোলওয়ারকরের মূর্তিভাঙ্গাকেও জায়েজ বলা যাবেতো? বা একই সঙ্গে বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি ভাঙ্গাও?'

    name: aka mail: country:

    IP Address : 79.73.9.37 (*) Date:06 Mar 2018 -- 09:48 AM

    আরে ওয়েলফেয়ার রাজনীতি চলে সরকারী টাকায়, সরকারী টাকা আসে ট্যাক্সো থেকে, আর জ্যানগন ট্যাক্সো ভরে যদি চাকরি থাকে, আর জ্যনগনের চাকরি হয় যদি সিল্প হয়। বোলেন এবারে সিল্পো হবে কেমনে?

    name: একক mail: country:

    IP Address : 53.224.129.47 (*) Date:06 Mar 2018 -- 09:44 AM

    আকা বাবু যেভাবে বাম বলছেন সেটা আদিব্রাহ্ম সমাজ টাইপের আদি বাম । স যেটা বলছেন সেটা ঠিক বাম নয় সেভাবে ধরতে গেলে , একটু ওয়েলফেয়ার ঘেঁষা এবং চাডডি রাজনীতি বিরোধী একটা অবস্থান । সেটা হতে গেলে আগে হার্ডলাইনার বাম অবস্থান থেকে বেরোনো দরকার । তাই , সেক্ষেত্রে তাত্ত্বিক বাম খুঁজে কোনো লাভ আছে বলে মনে হয় না ।

    আবার আরেকদল বলতে পারেন , এইভাবে সোশাল ডেমোক্রাত গোলেমালে বামদের বিনাশ করে দিলে সত্যি যেদিন বাম প্রতিরোধের দরকার হবে সেদিন হাতে পেন্সিল ছাড়া কিছু থাকবে না :):) সে কথা টা মিথ্যে না , কিন্তু তদ্দিন অবধি জাস্ট টিঁকে থাকা খূঊপ ই চাপের আর কী :):)

    name: aka mail: country:

    IP Address : 79.73.9.37 (*) Date:06 Mar 2018 -- 09:28 AM

    স কে ঠিক বোঝাতে পারছি না।

    এখানে কেন হেরেছে, সেখানে কেন হেরেছে আসলে বোধহয় সমস্যা সেটা নয়। হেরে যাবার পরে ঘুরে কি করে দাড়াবে সেটাই বুঝতে পারছে না সেটাই সমস্যা। দীশাহীন রাজনীতি। মার্কেট ইকনমির কাছে হেরে গিয়ে দিক্ভ্রষ্ট রাজনীতি। তার মূল কারণ বামরাজনীতির নতুন কোনো থিওরেটিকাল ন্যারেটিভ তৈরী হয় নি। গর্বাচভ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু দাড়ায় নি।

    name: aka mail: country:

    IP Address : 79.73.9.37 (*) Date:06 Mar 2018 -- 09:24 AM

    বামেরা কি সিল্প চায়? তাহলে কি পদ্ধতিতে? সরকারী দায়িত্ব অনেক বেশি? নাকি চুইয়ে পড়া অর্থনীতি?

    অপারেশনাল লেভেলে অনেক কিছু ভাবা যায়, কিন্তু তাত্ত্বিক ভাবে বামরাজনীতি মৃত, কি আছে দেবার?

    মানিক সরকার হলেন এনাদের আদর্শ সিম্বল। কিছুটা বেচারা, অনেক ভালো করার ইচ্ছে আছে, কিন্তু উপায় নাই।

    name: aka mail: country:

    IP Address : 79.73.9.37 (*) Date:06 Mar 2018 -- 08:01 AM

    কেন লোকে বামেদের ভোট দেবে? চাকরি দেবে? ভূমিসন্গ্সকার করবে? দারিদ্র্য ঘোচাবে? কিভাবে? মার্ক্সের হলুদ পাণ্ডুলিপি দিয়ে?

    গ্লোবাল ট্রেন্ডের সাথে মিলে যায়।

    name: রুকু mail: country:

    IP Address : 212.142.82.60 (*) Date:06 Mar 2018 -- 07:55 AM

    আমার মতে লেনিনের মূর্তি ভাঙার জন্য বিলাপ করার থেকে প্রতিরোধ প্রতিবাদে গর্জে ওঠার থেকে হিংস্র ভাবে চাড্ডিদের নাম লিস্টিং করার থেকে বরং স্লোলি লেনিনকে ঢোকানো হোক লোকজনের মাথায়। মানে ওরা যতখুশি ভাঙুক, মজা পাক, আমরা এদিকে স্লোলি ইনফিল্ট্রেট করে ফেলি।
    ঘুম চোখে হয়ত আবোল তাবোল বকছি। যাকগে, আপিস আছে।

    name: aka mail: country:

    IP Address : 79.73.9.37 (*) Date:06 Mar 2018 -- 07:53 AM

    কথা হল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এরকম অদল বদল হবেই, আজ বিজেপি, কাল কঙ্গ্রেস, পরশু বাম। কিন্তু বাম হবার নয়, কারণ ক্ষমতায় না থেকে ক্ষমতায় আসার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটি বামেরা ভুলে গিয়েছে। তার থেকেও বড় কথা আজকের দিনে বাম রাজনীতি মানে কি? টেবিলে বামেরা নতুন কি আনবে সেও জানে না। এটা বাম রাজনীতির গ্লোবাল প্রবলেম নতুন কোনো ন্যারেটিভ নেই।

    name: একক mail: country:

    IP Address : 53.224.129.47 (*) Date:06 Mar 2018 -- 07:34 AM

    চাট্টি মানুষজন না মরলেই হলো , যত খুশি মূর্তি ভাঙ্গুক ।

    ত্রিপুরাকে খাওয়ার চেও হজম করা মুশকিল, ভোট এ জিতে ক্ষমতায় আসা এক জিনিশ , এরপর ওখানে যে আরও গুচ্ছের ফ্যাকশন আর উপজাতি সমস্যা আছে তাকে ব্যালান্স এ রাখাটা রিয়েল টেস্ট ।

    name: Du mail: country:

    IP Address : 57.184.23.62 (*) Date:06 Mar 2018 -- 07:11 AM

    লেনিনের মূর্তি ভাঙ্গার ভালো দর আছে। বেচারা মমতাই চান্স পেলো না।

    name: Ekak mail: country:

    IP Address : 53.224.129.47 (*) Date:06 Mar 2018 -- 06:49 AM

    শিল্পকীর্তি ছাড়া সমস্ত রকম মূর্তি ,পুজো হয়ে গেলে ভেঙে বা বিসর্জন দেওয়া সমর্থন করি । খামোখা মূর্তি কেন ? আর্টিস্টিক এক্সপ্রেশন হলে আলাদা কথা নইলে পুজোআচ্চা মিটে গেলে ভেঙে দাও । অবশ্য যারা ভেঙেছে এসব ভেবে ভাঙেনি , বিরোধী দলের কারবার তাই ভেঙে দিয়েছে । বা হয়তো জনরোষ । যেটা লেফট রেজিমের ক্ষেত্রে খুব কমন । মানুষ এতো চেটে থাকে যে সর্বত্রই লেফট রেজিম ভেঙে পড়লে মূর্তি ভাঙার হুজুগ দেখা যায় । আপাতত হৈচৈ থামিয়ে রাজ্যটা দিন সাতেকের মাথায় নরম্যাল কন্ডিশনে ফিরলে ভালো হয় ।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১০:১৭373432
  • S এর সাথে একমত, কারাতকে বিদায় করা উচিত। আমার তো মনে হয় প্রকাশ কারাত-বৃন্দা কারাত-সীতারাম ইয়েচুরি পুরো টিমটাকেই পাল্টানো উচিত। কিন্তু কথা হলো, নতুন ন্যাতা পাওয়া যাবে কোথায়? নতুন ন্যাতা যতোদিন না উঠে আসছে ততোদিন এদের গোল গোল ঘুরে যাওয়াই দেখতে হবে।
  • Ekak | 53.224.129.47 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১০:২৫373433
  • লীডার কে যদি বাইরে থেকে "বিদায় " করতে হয় তাহলে বুঝতে হবে সেই দলে নতুন লীডার তৈরীর পরিবেশ ই নেই । কারণ যে কোনো টিম এ , ইরেসপেক্টিভ অফ পলিটিকাল এলাইনমেন্ট , নতুন লীডার তৈরী হয়ে আগের লীডারকে স্ট্যাক থেকে পপ করে দেবে এটাই হয়ে আসছে । এমতবস্থায় কারাত দের বিদায় করে আনবে কাদের ? নতুন লীডার যদি সত্যি থাকতো তাহলে তো এমনিতেই সরিয়ে জায়গা করে নিতো ।
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১০:৩১373434
  • এই জন্যই একককে এতো ভালোবাসি ঃ) এক্স্যাক্টলি - নতুন লিডার নিজে থেকেই নিজের জায়গা করে নেবে, কারন সে লিডার। যে দলে সেটা হচ্ছেনা সে দলে - ইয়ে - ছাগোল ভর্তি হয়ে গেছে।

    তবে এই কানাই-জিগনেশ-অল্পেশ-চন্দ্রশেখর আজাদরা কিন্তু কিছুটা আশার আলো। দেখা যাক কে কতোদূর এগোয়।
  • sm | 52.110.148.54 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১০:৩১373435
  • তাহলে কি খাড়াইলো? বাম পন্থীরা দিক ভ্রষ্ট। তাদের নতুন ন্যারেটিভ কিছুই নাই।কিছু রেটরিক সর্বস্ব দল।
    দুই, ভারতীয় গণতন্ত্রে সবাই, গরীবের ভাল চায়, কৃষকের ভাল চায়, সর্বশিক্ষা,চায়,কর্মসংস্থান চায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় করে উঠতে পারে না। মধ্যিখানে থেকে মালিয়া, চক্সি,নিরব তৈরি হয় । তারা লজ্জায় দেশ ত্যাগ করে।
    আর, টাটা, বিড়লা, আম্বানি,আদনি এর প্রভূত কষ্ট স্বীকার করেও ,দেশে থেকে যায়।
    এদিকে আবার সারা বিশ্বে দক্ষিণ পন্থী শক্তির রমরমা!
    কিন্তু জয়রাম নরেশের নাটকের মানে টা, বুঝলাম না।
    ওঁকে কি কারাত কে সরিয়ে ওই প দে বসিয়ে দেওয়া যায়?
  • PT | 213.110.242.4 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১২:১২373436
  • "এরপরে কোথাও বিজেপি হারলে শ্যামাপ্রসাদ বা দীনদয়াল বা গোলওয়ারকরের মূর্তিভাঙ্গাকেও জায়েজ বলা যাবেতো? বা একই সঙ্গে বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি ভাঙ্গাও?'"
    না। সেটা মৌলবাদ হবে। কেননা লেনিনের মূর্তি ভাঙ্গার প্রতিবাদ না করে (বা হিনী পালন করে) অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা দেখানো আমাদের কর্তব্য। তার চাইতেও বড় কথা ওটা ত্রিপুরার সমস্যা তাই পব-তে রোলের দোকানের মালিকেরা সিলেক্টেড রোল ভাজবে ও বিক্কিরি করবে। তারপরে কালীঘাট থেকে সিগনাল এলে তখন নাহয় মোমবাতির দোকানে যাওয়া যাবে।

    https://scroll.in/latest/870940/tripura-alleged-bjp-workers-vandalise-lenin-statue-in-belonia-town
    প্যাটার্ন কিন্তু এক!! ২০১৫ সালের ঘটনা-পব-তে। শুধু বিজেপির ডাইলুটেড ভার্সান ক্ষমতায় বলে মুন্ডচ্ছেদ হয়নি।
    "In a barbaric way the historic statue of Lenin in 8B bustand of Jadavpur bus stand has been allegedly destroyed by Trinamool Congress supporters on Thursday. An FIR has been lodged at the Jadavpur police station against the TMC workers involved in the incident."
    https://english.kolkata24x7.com/lenin-statue-vandalized-in-jadavpur.html/
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১২:৪৫373437
  • লেনিনের মূর্তি ভাঙায় আমার সমর্থন আছে, সবার সবরকম মূর্তি ভাঙাতেও সমর্থন আছে।
  • PT | 213.110.242.4 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১২:৫৪373438
  • এই প্রেক্ষিতে ছোটবেলায় পড়া একটা গল্প মনে পড়ল। শুধু "ভগবান" শব্দের জায়্গায় অন্য কিছু বসিয়ে নিতে হবে। কলকাতায় তো স্বাধীনতার পরে রাণী ভিক্টোরিয়ার মূর্তি উৎপাটন করা হয়নি!!!

    While on his all India trip, Swami Vivekananda came to Alwar on the way. He was received by the king Mangal Singh. They talked casually. King expressed that he doesn't believe using idols to worship to be a right practice.
    Swamiji called Diwan (minister) who was standing at nearby. "Please spit on the image of King's father, hanging there." Swamiji pointed towards the photo of Mangal Singh's father. Diwan hesitated and did not do as Swamiji requested.
    Swamiji concluded "Though that image is your father's and not your father, minster is hesitant to spit on it because it reminds of your father. Same way images/idols remind us of God. We don't worship the stone/metal that the idol is made of, it is the ideal & qualities that the form reminds that we worship."
    Mangal Singh agreed, it made sense now.
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১৩:০৫373440
  • হ্যাঁ স্বামী বিবেকানন্দর এই গল্পটা তো আমিও জানি! সেজন্যই লেনিনঠাকুরের পুজো দেখলেই মুচকি হাসি পেত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন