এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা গেছে, ত্রিপুরা গেল কিন্তু বামপন্থীদের জ্ঞান ফিরছে কোথায়?

    Dipankar
    অন্যান্য | ০৫ মার্চ ২০১৮ | ২৫২৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১৯:৪৮373150
  • না, এটা অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি প্লাস অ্যাস্পিরেশন প্লাস টাইমপাস বাই থ্রি ঃ)
  • h | 213.99.211.18 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১৯:৫২373152
  • *ভারতে
  • h | 213.99.211.18 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ১৯:৫২373151
  • এটা যে যখন বড় হয়, তখন তারা চেষ্টা করে। নিজেদের ঠ্যাকনার প্রয়োজনে বি এস পি, এস পি কাছে এসছে, চাট্টি সিট পেলেই ঝঘড়া করবে। ভারে রুলিং এলিট এর দুটি বড় সাকসেস, কেন্দ্রে ব্যাপারটা টুই ডল ডি বনাম টুই ডিল ডাম করে ফেলা। আর রাজ্যে ও তাই, একসেপ্ট দ্যাট, পার রাহ্য একটি স্ট্রং ম্যানের প্রয়োজন কেই দেশের প্রয়োজন হিসেবে দেখানো, মানে, সেটাকেই এফিশিয়েন্ট মডেল হিসেবে দেখানো, কারণ আসলে দু ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করা, যে গণতন্ত্র ই উন্নয়নে মূল বাধা, মাল্টি এজেন্সী তে আপত্তি। ইত্যাদি। এই হিসেবেই, চীন , ভারতের থেকে বেটার ইনভেসট মেন্ট ডেস্টিনেশন।

    উফ বাবা এভাবে এত লেবার আর দেব না, শেষে রাজ্য কমিটি র যদি নজরে পড়ে যাই ঃ-))))
  • dc | 181.49.176.79 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ২০:০১373153
  • :d
  • kiki | 185.100.20.223 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ২০:৩৯373154
  • "তবে গোটাটাতেই বাড়ির বয়স্কতম র মত করে, আগেই কইসিলাম বলা ছাড়া পব সিপিএম এর কিসু করার থাকছে না"
    :D D D
  • রুকু | 212.142.65.117 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ২৩:২৯373155
  • অয়ন চক্রবর্তীদার এই লেখাটা ভালো লাগলো

    একটি অরাজনৈতিক পোস্ট :

    সৈয়দ মুজতবা আলির একটা লেখা হঠাৎ মনে পড়ল।

    এক জায়গায় এজিদের একটা মূর্তি ছিল। ধর্মপ্রাণ মানুষজন দলে দলে সেখানে আসছেন, এজিদকে অভিশাপ দিচ্ছেন, গালি দিচ্ছেন, মূর্তির গায়ে পদাঘাত করছেন, "হায় হাসান হায় হোসেন" বলে কাঁদছেন।
    উড়িষ্যানিবাসী একজন গোটা বিষয়টার কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে এক ধর্মপ্রাণ মানুষ বুঝিয়ে বললেন, এই এজিদ অত্যন্ত জঘন্য প্রকৃতির লোক। হাসান আর হোসেনকে হত্যা করেছিল এই বদমাশটা। উড়িষ্যার লোকটির সরল জিজ্ঞাসা, কত বছর আগে এসব ঘটেছিল? ধর্মপ্রাণ মানুষটা বললেন, তা সে বহু বহু বছর আগে।
    এই শুনেই উড়িষ্যার লোকটা "হেই বাবা এজিদ, হেই বাবা এজিদ" বলে এজিদের মূর্তির সামনে গড় হয়ে প্রণাম করতে লেগেছে। সবাই তো যারপরনাই তাজ্জব। সেই ধর্মপ্রাণ মানুষটা জিজ্ঞেস না করে পারলেন না, তুমি এমন করছো কেন? একজন শয়তানকে ভক্তিভরে প্রণাম করছো!! উড়িষ্যার লোকটার উত্তর, এই এজিদ অনেক বড় দেবতা গো বাবা! অত বছর আগে শালাদের এমন মার মেরেছে যে এরা আজও কাঁদছে আর গালি দিচ্ছে!!
  • pi | 127.227.62.85 | ০৬ মার্চ ২০১৮ ২৩:৫৭373156
  • হানুদা, ত্রিপুরার সিপিএম এর ওভারকন্ফিডেন্সের কথা তো আগেই বলেছি।
    কিন্তু ত্রিপুরা নিয়ে, ইভেন ত্রিপুরার সিপিএম নিয়ে অন্যত্র লোকজন, ইভেন সিপিএম এর লোকজনেরও ঔদাসিন্য দেখেছি তো। আগেও। এখনো।

    লেনিন মূর্তি ভাঙ্গা নিয়ে হইচই খুবই সন্গ্স্ত আর আরো হোক, ছড়াক। কিন্তু সেই হইচই বা তার কিয়দংশ এখন ত্রিপুরার সিপিএম এর লোকজন বা ইন জেনেরাল সমর্র্থক বা সাধারণ মানুষের সাথে হওয়া অত্যাচার নিয়ে, নির্বাচনের দিন বুথে হওয়া
    বা তার আগে বিজেপির নানা অপকর্ম নিয়ে হত, আজ কোলকাতায় যতগুলো মিছিল লেনিনের মূর্তির জন্য হচ্ছে, তাতে আজেণ্ডায় এই ইস্যুও থাকত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার বাইরের সিপিএম এর শেয়ারড পোস্ট ও হ্যাশট্যাগেও, মানুষের উপর অত্যাচারের কথা, হয়তো হতাশা কাটার একটা সুযোগ আসত।
  • একক | 53.224.129.46 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০০:০৯373157
  • না না সিপুএম এর আবার ঔদাসীন্য কি , বিজেপি তো দুত্তু থেলে দুত্তুমি করে হারিয়ে দিয়েচে । দিনের পর দিন বিজেপি অক্লান্ত প্রচার চালিয়েছে অফলাইন অনলাইন । ত্রিপুরাইনফোওয়ে নামে একটি পত্রিকা আছে , সব বাঙালি সাংবাদিক , প্রোপাগান্ডা পত্রিকা । দিনের পর দিন ত্রিপুরার সিপিএম এর গুষ্টির শ্রাদ্ধ করতো । ত্রিপুরায় বেকারি -ত্রিপুরায় কত হোমলেস লোক-ত্রিপুরা সিপিএম এর করাপশন এইসব হিসেবে এ ভর্তি । তা মনগড়া না সরকারি ডেটা জানিনা । শুধু দেখেছি সিপিএম এর ওপর খেরে থাকা জনতা ত্রিপুরাইনফোওয়ে হুলিয়ে শেয়ার করে চলেছে । পত্রিকাতেও নতুন হয়নি কিন্তু , ২০১৩ র । তবে বাড়বাড়ন্ত লাস্ট বছর দেড় ।

    এবার মজা হলো যতবারই ই সিপিএম এর কাওকে বলি : ের তো হুলিয়ে প্রোপাগান্ডা করছে তোরা কী করিস ? ততবার উত্তর আসে : মানিক সরকার সততায় সবার উপরে , ত্রিপুরায় সিপিএম এর পাশে মানুষ আছে এইসব ভেগ বাল বীচি কথা । কেজানে হয়তো এনারাই রাজ্য কমিটির গুফন সদস্য , এনকোড করা ভাষায় কথা বলছিলেন , তাই আমি ই বুঝতে পারি নি :(
  • rabaahuta | 233.226.89.73 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০২:২৮373158
  • এককের - 'এবার মজা হলো যতবারই ই সিপিএম এর কাওকে বলি ঃ ের তো হুলিয়ে প্রোপাগান্ডা করছে তোরা কী করিস ? ততবার উত্তর আসে ঃ মানিক সরকার সততায় সবার উপরে , ত্রিপুরায় সিপিএম এর পাশে মানুষ আছে এইসব ভেগ বাল বীচি কথা' - একেবারে, সেটাই আমারো অভিজ্ঞতা।
    এইবার প্রশ্ন হলো আমি নিজে কি করেছি। না, কিছুই করিনি, কিন্তু আমি তো বাপু সংগঠক কি নেতা নই, কর্মীও নই তাত্ত্বিকও নই কিছুই নই, ধারে কাছে থাকি না পর্যন্ত।
    দুচারখানা ফেসবুক শেয়ার, ত্রিপুরা নিয়ে কেউ কিছু বলে না কেন বলে ঘ্যানর ঘ্যানর ছাড়া আর কিই বা করতে পারি।

    তবে মানিক সরকার অবাক হয়েছেন কিনা আমি জানি না, এমন কোন বিবৃতি তো পড়িনি কোথাও। যে লেভেলের প্রচার আরেসেস করেছে, এ তো অজানা থাকার কথা নয়, আর পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের কাছে ইনকাম্বেন্সি, অ্যাসপিরেশন এই ফ্যাকটর গুলি অজানা হওয়ারও কথা নয়।

    হেরে গেছে বেশ হয়েছে, হানুদা বললো তিনটে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার থেকে কুড়িটাতে প্রধান বিরোধী হওয়া খারাপ কি, হক কথা। কিন্তু এই হেরে যাওয়ার পর সোশাল মিডিয়া জোড়া আবেগের আর্ধেকও যদি ভোটের আগে দেখতাম, বা লেনিন ভাঙার প্রতিবাদের সিকিও যদি ক'মাস আগের আইপিএফটির তৈরী দাঙ্গা পরিস্থিতিতে দেখতাম, তবে সান্ত্বনা থাকতো আরকি।

    যাগ্গে, যা হবার তা হবেক। দেখা যাক। অলরেডি অমরপুরের নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান দল ছেড়েছেন।
  • pinaki | 90.254.154.99 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০২:৩৯373160
  • এই ট্রেনে উঠে আরএসএসের প্রচার আর আদিবাসীদের মধ্যে পেনিট্রেশন, চোখের সামনে ত্রিপুরার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে - এগুলো কিন্তু পাইকে বহুদিন ধরে বলতে শুনছি। ও একটা পার্টি করা লোক না হয়ে যদি জাস্ট নিজের ডেইলি অভিজ্ঞতা দিয়ে এটা আঁচ করতে পারে, তাহলে পার্টিকর্মীদের না বুঝতে পারার কথা নয়। কিন্তু সত্যি বলতে সোশাল মিডিয়ার এরকম কোনও সম্ভবনা কিন্তু আলোচিত হতে দেখি নি।
  • S | 202.156.215.1 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৪373161
  • যে দলের সেক্রেটারি কারাত, সেই দলের বাকীদের কি অবস্থা বুঝতেই পারছেন।
  • PT | 213.110.242.18 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৮:২০373162
  • কিন্তু এত কান্নাকাটির কারণ কি সিপিএমের দুরবস্থা? কারণ কিষেণজীরা যখন তিনোদের হয়ে কসাইখানা চালাচ্ছিল কিংবা ২০১১-র পরে তিনোরা রাস্তার মোড়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত চলিয়ে ভেতরে সিপিএমের পার্টি অফিসগুলো দখল করছিল তখন এত হেলদোল, এত উন্মাদনা ছিল না। সকলেই "দেখ কেমন লাগে" ভঙ্গিতে চুপ করে ছিল। সিভিল সোসাইটি বোধহয় টের পেয়েছে যে RSS এবার সিপিএমকে সিধে করে তাদের টুঁটি টিপে ধরবে। এমনকি কালকে আবাপানন্দ তিনোদের ২০১১ পরবর্তী পার্টি অফিস ভাঙ্গা ইত্যাদির পুরনো ক্লিপিংস দেখাচ্ছিল!!!
    অরণ্যের সেই প্রাচীন প্রবাদ মনে পড়ছে সকলের কিন্তু বোধহয় মুখে কেউ স্বীকার করতে চাইছে নাঃ
    First they came for the Socialists, and I did not speak out-Because I was not a Socialist.
    Then they came for the Trade Unionists, and I did not speak out-Because I was not a Trade Unionist.
    Then they came for the Jews, and I did not speak out-Because I was not a Jew.
    Then they came for me-and there was no one left to speak for me.
  • dc | 181.49.176.79 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৮:২২373163
  • এই গপ্পোটার লাস্ট লাইনটা অনেক সময়ে বাদ পড়ে যায়।

    And then I became one of them. We all lived happily ever after.
  • PT | 213.110.242.18 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৮:২৯373164
  • গত ৩/৪ দিন ধরে আমি ভেবে আকুল হচ্ছি যে একটা দল আড়াই দশক পরে ভোটে হেরেছে মাত্র। যেন এমনটা এর আগে ভারতে কখনো ঘটেনি!!
    কিন্তু তাই নিয়ে এত তোলপাড় কিসের? এই হারের সাথে সাথে সিভিল সোাইটি কি তাদের পশ্চাদ্দেশে আগুনের আঁচ টের পাচ্ছে?
  • dc | 181.49.176.79 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৮:৩৪373165
  • ওরা সব ছাগোল তো, তাই এতো ভাবছে। মানুষ হলে ভাবতো না।
  • S | 194.167.2.96 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৬373166
  • ত্রিপুরায় বামেরা হারাতে দুটো জায়্গায় লোকের খুব ইসে হচ্ছে। এক, বাঙালী সেন্টিমেন্টে ধাক্কা খেয়েছে, মানে ভয় পেয়েছে। দুই, পব যে বেশি দুরে নয় সেটা বোঝা গেছে।

    ২০১৯এর লোকসভায় বিজেপি যদি কোনওমতে ডাবল ডিজিট স্কোর করতে পারে, তাহলে দিদিকে দিদিসুলভ বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে। ভালো কাজে ব্যাগড়া, মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি, সবকিছুতে তিনোদের চক্কান্ত, আমায় মেরে ফেললে বলে কান্নাকাটি, কথায় কথায় রাষ্ট্রপতি শাসন দাবী, টালিগন্জ হাইজাকিঙ্গ, সিবিআই সিবিআই করে চিল্লানো, সব ভিক্টিমকেই বিজেপির লোক বলে চালানো এসবই করবে। সঙ্গে ধর্মের সুড়সুড়ি আর দেশাত্মবোধক ইসে তো আছেই।

    এতোসব কি দিদি একা সামলাতে পারবেন?

    তখন জনগণ "যে আসে আসুক, কিন্তু দিদি যাক" ভেবে যদি বিজেপিকে ভোট দেয়, নোটাওয়ালাদের মতামতটা শুনবো মন দিয়ে।
  • S | 194.167.2.96 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৯:৫২373168
  • নরেগাটা কারা যেন চালু করেছিলো? দিদি মনে করতে বারণ করেচে। তেলেভাজা খাই।
  • | 144.159.168.72 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১০:০৫373169
  • কিন্তু কারা কান্নাকাটি করছে? কোথায়?
  • Bip | 81.244.150.90 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১০:২৪373175
  • সেটা ২০০৭-৮ সাল। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। তখনো সিপিএম ক্ষমতায়, কিন্ত ভিত নড়ছে। সেই সময় স্যোশাল মিডিয়াতে সিপিএমের দুটো দল- একট শোকেস, অন্যটা গোডাউন। আপনি খুভ ভদ্রভাবে সিপিএমের সমালোচনা করলেও গোডাউনের হার্মাদ পার্টি আপনাকে অকথ্য গালাগাল দিয়ে যেত। তারপরে সিপিএমের শোকেসের যুবনেতৃবৃন্দ আপনার চরিত্র হননে নেমে যেত- যাদের অধিকাংশই প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সেক্টর ফাইভে চাকরি করা আই টি কর্মী। সিপিএমকে নিয়ে যুক্তি তর্ক তথ্যানুসন্ধানের কোন যায়গা তখন স্যোশাল মিডিয়াতে ছিল না। কেউ সিপিমের বিরুদ্ধে যুক্তপূর্ন উপদেশপূর্ন কিছু লিখলেও তাকে খিস্তি মার- এই ছিল সিপিএম। এগুলো বাস্তব, অর্কুটের পাতায় পাতায় নথিবদ্ধ। পলিটিক্স ইন ওয়েস্টবেঙ্গল নামে একটা গ্রুপে সব থেকে বেশী রাজনৈতিক আলোচনার যায়গা ছিল- কিন্ত সেখানেও সিপিএম মানে আত্ম্রম্ভিকতায় ভোলা হার্মাদ বাহিনী-যুক্তির স্থান নেই-শুধুই গালি দিতে নামত।

    ওই সময় সফিদা, মানে সিপিএম থেকে বহিস্কৃত এমপি সইফুদ্দিন চৌধুরীর সাথে অনলাইনে পরিচয় হয়। সফিদা খুবই পন্ডিত, ভদ্র এবং অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন। ওমন ভদ্র এবং পন্ডিত লোক সিপিএমে টিকবেন না, সেটা বুঝতে পিইচডির দরকার হয় না।

    সফিদার সাথে অনেক কথা হত-উনার কাছ থেকে সিপিএমের আভ্যন্তরীন কোন্দল নিয়েও অনেক কিছু জেনেছিলাম। সোভিয়েতের পতনের পরে ১৯৯৩ সাল থেকেই সইফুদ্দিন চৌধুরী চাইছিলেন সিপিএম নতুন ধরনের বামপন্থা নিয়ে ভাবুক। কারন লেনিনবাদ বহুদিন স্বর্গে গেছে। অথচ এই বিমান বুদ্ধ অনিল বিশ্বাসরা তখনও বালক ব্রহ্মচারীর সন্তান দলের মতন লেনিনের মৃতদেহকে হিমঘরে রেখে নাম সংকীর্তন গাইছেন-তাদের লেনিনবাবা আবার বেঁচে উঠবেন। প্রকাশ কারাত, সিতারাম ইয়েচুরীরা তখন যুব নেতা। গুন্ডা-ভোট্মেশিনারী মিশিয়ে একটা রেজিমেন্ট তৈরী করে তখনো ভোটে জিতে আসা পার্টি ভাবেই নি জনগণ কি চাইছে-আদৌ এই ভাবে চললে পার্টি বেশীদিন চলবে কি না। সফিদা ভাবছিলেন। এবং তার ভাবনার কথাগুলো নিয়ে প্রকাশ কারাত ইয়েচুরির সাথে অনেক কথাও বলেছেন। কিন্ত পার্টির অভ্যন্তরে কেউ তাকে পাত্তা দেয় নি। দরকার ছিল না-সবাই ভেবে বসেছিল পশ্চিম বঙ্গের লোকজন সিপিএমকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ইজারা দিয়েছে। ক্ষমতা লোভে অন্ধ হলে, সব মানুষকেই রাবণ রোগে ধরে।

    সফিদা আমাকে বলেছিলেন, সিপিএম যেদিন পশ্চিম বঙ্গে গদি হারাবে, তার দশ বছরের মধ্যে পার্টিটা সাইনবোর্ড হবে। সেটা হয়েই যেত-কিন্ত মমতা ব্যানার্জি সম্ভবত তা হতে দেবেন না। কারন বিজেপিকে ঠেকাতে সিপিএমের ১৪% বর্তমান ভোট ব্যঙ্ক ধরে রাখা জরুরী। সেতা যাতে হয় তার জন্য সিপিএমকে অক্সিজেন দেওয়ার যাবতীয় চেষ্টা উনি করবেন।

    সব গণতন্ত্রেই বামেদের ১০-২৫% ভোট থাকে। ওটা ধনতান্ত্রিক সমাজের সেফটি ভাল্ভ। ২৫%+ এর বেশী হয়েগেলে সেই রাজ্যে ধর্মঘট, কর্মহীনতায় অর্থনীতিতে লালবাতি জ্বলবে। যা পশ্চিম বঙ্গের ৩৪ বছরের শাসনের লেগাসি। ১০-২৫% বামভোট থাকা ভাল-তাতে শ্রমিক, জনবিরোধি আইনের বিরুদ্ধে কিছু সেফটি ভালভ থাকবে। কিন্ত মুশকিল হচ্ছে এই সিপিএমের নেতৃত্ব এতই অপদার্থ, জনসাধারনের জন্য দরকারি কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ। একটা উদাহরন দিই। সিপিএম স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ কেন হচ্ছে না তাই নিয়ে আন্দোলন করছে। অথচ আজকের খবর কোলকাতায় ৭৫ টা সরকারি স্কুল বন্ধ হচ্ছে কারন ছাত্র নেই। কেন নেই? কারন সরকারি স্কুলে পড়াশোনা হয় না। শিক্ষকদের জন্য সিপিএম আন্দোলন করেছে, কিন্ত শিক্ষকদের দায়বদ্ধতার জন্য কোনদিন কিস্যু করে নি। কারন তাদের রাজনীতিটাই ছিল মধ্যবিত্তশ্রেনীকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি। "প্রোডাক্টিভিটির উন্নতি" নিয়ে তাদের কোনদিন কোথাও মাথাব্যাথা নেই। অথচ সেটাই মার্ক্সবাদের ফান্ডামেন্টাল! এরা মার্ক্স এবং মাছভাত এক করে দিয়েছে!

    ফলে ১৪% ভোট শেয়ার ও সিপিএম ধরে রাখতে পারবে কি না সন্দেহ। এসবের ওপরে আছে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতন সংখ্যালঘু ভোট টানার জন্য প্যালেস্টাইন বন্দনা। এদিকে বাংলাদেশের হিন্দুদের দুরাবস্থা দেখিয়ে যে বাঙালী হিন্দুভোটে বিজেপি বিরাট থাবা বসিয়েছে, সেদিকে লক্ষ্যই নেই। ইনফ্যাক্ট পৃথিবীর যেকোন গণতন্ত্রে যদি কোন বাম পার্টির ভোট ১০% এর নীচে নেমে আসে, সেই দেশের বামপার্টির নেতারা যে অপদার্থ সেই নিয়ে সন্দেহ থাকে না। কিছু না করে যদি শুধু জনসাধারনের দুর্দশা নিয়েই এরা বলতে থাকে, তাহলেও ১৫-২০% ভোট পৃথিবির অধিকাংশ বামদলই পায়। কিন্ত এরা পাবে না। কারন দুই জ্ঞানপাপী মূর্খ এদের নেতা। ফলে ত্রিপুরাও গেল। আর ফিরবে না-৪৫%, ১৫% হতে ৫-১০ বছর লাগবে। পশ্চিম বঙ্গ সাক্ষী।

    অথচ মাঠ ছিল ফাঁকা। কংগ্রেস বিজেপি দুটো দলের বিরুদ্ধেই জনগণের অসংখ্য অশন্তোষ। কিন্ত সেই ঝোল বামঘরে তুলতে হলে বিজেপির হিন্দুত্বের ন্যারেটিভে থাবা বসাতে হবে। সেটাও আমার মতে খুবই সহজ কাজ। দরকার দুটো- এক ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং পরিস্কার অবস্থান, দুই মার্ক্স ছাড়িয়া শ্রী চৈতন্যের সাম্যবাদকে গ্রহন। যেমনটা ইভো মরালেস করেছেন বলিভিয়াতে -মার্ক্সের সাম্যবাদ ছেড়ে যীশুর সাম্যবাদ এনে সাধারন লোকেদের সাথে মিশে গেছেন। সিপিএম, বিজেপির হিন্দুত্বের কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরীর চেষ্টাই করল না। অদ্দুর বুদ্ধি বা শিক্ষা নাই। কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরী করতে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধেই চলে গেল পার্টি টা। যা আরো বোকা বোকা। জাতিভেদের বিরুদ্ধে বলে কি হবে? বর্নবাদ বিরোধি ম্যাসেজ মহাভারতে আরো কড়া করে বলাআছে আছে এবং আর এস এস জাতিভেদের বিরুদ্ধেই। কৃষ্ণলীলার বিরুদ্ধে বলবেন? হিন্দু কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলবেন? কিভাবে বলবেন? হিন্দু ধর্মের ছটা মূল দর্শনের মধ্যে পাঁচটাই নাস্তিক্যদর্শন। হিন্দু দর্শনেই বেদ এবং বেদ বিরোধি দুই অবস্থানই আছে। আর এস এসের প্রতিষ্ঠাতাও নাস্তিক হিন্দু ধর্মের লোক। বর্তমানে বাঙালী নাস্তিকদের অধিকাংশ বিজেপির ছুপা সাপোর্টার। হিন্দু ধর্ম নিয়ে ডিটেলসে না জেনে ওপর ওপর ফালতু দুচার কথা শুনিয়ে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরী করা যায় না।

    কিন্ত এসব কথা বলে লাভ নেই। ওপরে এসব কিছুই সফিদা অনেকদিন আগে বলে গেছেন। আজকে ত্রিপুরা, কালকে কেরালাও ফুটবে। সিপিএম তথা ভারতের বামেদের বাঁচার পথ একটাই। সফিদা ১৯৯১-৯৫, বিভিন্ন পার্টি দলিলে যেসব বিতর্ক সামনে আনতে চেয়েছিলেন, সেগুলো পড়ুন। ভাল করে বুঝুন। সেটা এদ্দিন করলে, কংগ্রেসের হেগো পোঁদ পরিস্কার করবেন , না করবেন না-তাই নিয়ে বোকা বোকা বিতর্ক করে পার্টির ৯৫% শক্তি কেউ ক্ষয় করে না। জেনিউ এর সব নাবালকরা যদ্দিন পার্টির মাথায়, কিস্যু হবে না।
  • rabaahuta | 233.226.89.73 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১১:১৯373176
  • S - "ত্রিপুরায় বামেরা হারাতে দুটো জায়্গায় লোকের খুব ইসে হচ্ছে। এক, বাঙালী সেন্টিমেন্টে ধাক্কা খেয়েছে"... ত্রিপুরাতে বাম এবং বাঙালী সেন্টিমেন্ট এক করে দেখলে সেটা খুবই গোলমেলে ব্যাপার হবে। ওখানে বাঙালী এবং উপজাতি জীবন খুবই ইন্টারটোয়াইন্ড, ঐভাবে আলাদা করার উপায়ই নেই। সিপিএমের অন্তত কুড়িখানা স্ট্রংহোল্ড উপজাতি এলাকা। মানিক সরকারের আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেব ছিলেন উপজাতির মানুষ। এবং প্রচুর শাইনিং বাঙালীদের রাগ আছে সিপিএম উপজাতিদের মাথায় তুলেছে বলে; বিজেপি এলে এইসবের অবসান হবে ইত্যাদি।

    ত্রিপুরাতে বামের হারের সঙ্গে বঙালী সেন্টিমেন্ট মেলানোটা বিপজ্জনক, এমনিতেই এখন হাওয়া গরম।
  • S | 194.167.2.96 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১১:২৪373177
  • কিন্তু এইবারে শুনলাম যে ট্রাইবাল ভোট নাকি বিজেপি পেয়েছে, এবং তাতেই নাকি বিজেপি জিতলো।
  • rabaahuta | 233.226.89.73 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১১:৩৭373178
  • তা তো পেয়েইছে। কিন্তু সিপিএম মানে বাঙালী সেন্টিমেন্ট নয়; ঐ ভোটগুলো বড় ফ্যাকটর ছিল, এতদিন সিপিএম পেত। গ্রাম পাহাড় সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি, ত্রিপুরার পাহাড়ে বাঙালী কোথায়?
  • rabaahuta | 233.226.89.73 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১১:৪০373179
  • আর বিজেপি কি সুধু ট্রাইবাল ভোট পেয়েছে, বাঙালী ভোটও হুলিয়ে পেয়েছে! বিপ্লব দেবের কেন্দ্রই তো বাঙালীপ্রধান। বরং মানিক সরকার মফস্বল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন; ধনপুরের ডেমোগ্রাফিক জানি না অবশ্য তেমন ভাবে।
  • S | 194.167.2.96 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১১:৪১373180
  • আর আই পি এফ টি?
  • rabaahuta | 233.226.89.73 | ০৭ মার্চ ২০১৮ ১১:৪৭373182
  • এইবার উপজাতি ভোটের ব্যাপারও জটিল। ঐ কেন্দ্রগুলি 'বিজেপি'কে ভোট দিয়েছে, না 'আইপিএফটি সমর্থিত দল'কে ভোট দিয়েছেন সেটা আবার সূক্ষ্ম হিসেব।

    কুড়ি বছর আগে টিইউজেএস জোটের সময় এই ভোটের অনেকাংশ বন্দুকের নল দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, এখন কি হয় বা হয়েছে জানি না।

    তখন আবার সন্তোষমোহন দেব আসাম থেকে স্পেশাল গুন্ডা আনাতেন, ত্রিপুরার গুন্ডাদের ওপর তাঁর ভরসা ছিল না। পারফেকশনিস্ট লোক তো। সেই নিয়ে জনমানসে সে কী উৎসাহ উদ্দীপনা - ঐ দেখো খোকা, আসামের গুন্ডা যাচ্ছে। শুনে হয়তো আসামের গুন্ডা কোমর চুলকানোর ছলে গেঞ্জী তুলে ঘোড়া দেখিয়ে দিল। সে এক দিন ছিল বটে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন