এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলা গেছে, ত্রিপুরা গেল কিন্তু বামপন্থীদের জ্ঞান ফিরছে কোথায়?

    Dipankar
    অন্যান্য | ০৫ মার্চ ২০১৮ | ২৫২৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রোবু | 52.110.148.246 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:০৪373283
  • "ভূমিহীন কৃষক দের তো লোনের বালাই নেই।"
    I am agree.
    তবু, একটা লিঙ্ক দেবো নীচে।
  • সিকি | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:১১373284
  • মনে, আমি এতটাই মুগ্ধ, যে i am agree ছাড়া আর কিছু বলার মত খুঁজেই পেলাম না।
  • Yeerlin Silverleaf | 127.194.233.156 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২০373286
  • ছোটোবেলায় চোর চোর বা লুকোচুরি খেলতে? দুধেভাতে জানো?
  • dc | 132.174.71.237 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২১373287
  • এদিকে সরকার আজ রাতেই দুটো স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করে ফেলেছে, যতো তাড়াতাড়ি কৃষকদের ফেরত পাঠানো যায় আর কি।

    আমার মনে হয় কৃষির দীর্ঘমেয়াদি বা স্ট্রাকচারাল রিফর্ম নিয়ে আরও আন্দোলন বা আলোচনা হওয়া উচিত ছিল। কৃষিঋন মকুব এককালীন সল্যুশান। সত্যি যদি এমেসপি বাড়ায় তাহলে লং টার্ম লাভ হবে, তবে এতো তাড়াতাড়ি সরকার এটা মেনে নিলো, একটু অবাক লাগছে। পেনশান স্কিম বা কৃষকদের মেডিক্লেমের আওতায় আনা দরকার, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে কিনা জানিনা। ফার্ম প্রোডিউস মার্কেটে আনা নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত।
  • cm | 37.62.8.235 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৩373288
  • এখানে কিছু ছবি দ্যান, প্রাণে আজ অদ্ভুত আনন্দ।
  • dc | 132.174.71.237 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৬373289
  • একটু অপেক্ষা করে আনন্দ করুন। এই সরকারের মতো ঢপবাজ সরকার তো আগে আসেনি, তাই এতো তাড়াতাড়ি টপ করে সব মেনে নিলো, ট্রেনের ব্যাব্স্থা করে ফেললো, একটু অবাক লাগছে।
  • Yeerlin Silverleaf | 127.194.233.156 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৭373290
  • ল্যান্ড/ফরেস্ট রাইটস - ৬ মাসের মধ্যে
    রেশন কার্ড সংক্রান্ত দাবী - ৬ মাসের মধ্যে

    এগুলোও আছে।
  • Yeerlin Silverleaf | 127.194.233.156 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৮373291
  • লিখিত দেওয়ার কথা।
  • sm | 52.110.128.216 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:২৯373293
  • But the above analysis suggests that such waivers are unlikely to help the cause of either distressed farmers or troubled banks over the long run. And they may well impair the quality of public spending by states, as the central bank fears.
    http://www.livemint.com/Politics/HcS9M9n9rus7h5JiLQC2ZM/How-will-farm-loan-waivers-impact-the-Indian-economy.html
    ----
    Loan waiver schemes disrupts credit discipline. Farmers will turn into willful defaulters as they wait for the next loan waiver scheme, which is bad for economy.
    This scheme indirectly punishes loan repayers. Those who repaid loan before the announcement of the scheme are at loss.
    Those who didn’t repay loans, even if they afford to are at benefit. But here, taxpayers are at loss, because loans will be waived with taxpayers’ money.
    Instead of loan waiver scheme, it will much better if government improves the crop insurance scheme, educates farmers about the market trends, increases the Minimum Support Price (MSP).
    Banks may brand farm loans as bad loans and they may implement stricter rules to lend money to farmers.
    Rich farmers too may take loans even if there is no need, in the hope of the next loan waiver scheme. This will impact the farmers who are genuinely in need of loans.
    http://www.groupdiscussionideas.com/loan-waiver-for-farmers-good-or-bad/
    অনেকেই মুগদ্ধ করার মতন লিখছে।
  • dc | 132.174.71.237 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:৩০373294
  • এতো সব দাবী একবারে মেনে নিলো? মানলে তো ভালোই।

    (তবে কিনা আমরা ক্যাপিটালিস্টরা ভয়ানক সন্দেহপ্রবন তো, তাই ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না)
  • | 52.110.152.57 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:৩২373295
  • গণ আন্দোলনের ভাব,প্রকৃতি এবং রাজনৈতিক ভাবধারাদের গভীর ভাবে না জেনে একটা প্রশ্ন করছি।

    কিষাণদের দাবী ইত্যাদি মহারাষ্ট্রের সরকার মেনেছেন। অতি আনন্দের কথা। কিষাণ আন্দোলনের গতিপথ দেখে অন্য রাজ্যেও অনেকে শিখবেন নিশ্চিত। দরকারি জিনিসপত্র বুঝে নেবেন।

    যেটা খচখচ করছে তা হল এই যে একদিনের ঘেরাওতেই সব মেনেটেনে নেওয়া হল, তাতে ভালো রাজা, প্রজাবৎসল রাজা - এই ভাবটা আবার ছড়াবে না তো হুড়হুড়িয়ে?

    না একেবারেই বলছিনা দশদিন ঘেরাও করে না খেয়েদেয়ে, উপোস করে মারা গিয়ে বড় স্টেটমেন্ট দিতে হতো। আজকের আন্দোলনে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণের জয় বড় এক ঘটনা এবং উদাহরণ নিশ্চিত। কিন্তু সত্যিই এতে রাজনৈতিক ভোটের খেলার সুযোগ বোধহয় একা বামদলেরাই পাবেন না। বিজেপি এন্ড এলাইরাও আমাদের রাজা ভালো রাজা, প্রজাদের কী ভালোবাসেন, এইসব বলে দিব্যি আরও চার পয়সা ঘরে আনবে মনে হচ্ছে।
    সেখানে বাম দলেরা কি করতে পারেন? এই প্রতিশ্রুতি যে সঠিক ভাবে রক্ষিত হচ্ছেনা সেইটা ফলো আপ করা আর অন্যান্য জায়গাতেও এমন আন্দোলন গড়ে তোলা? বা আরও কিছু?
  • রোবু | 52.110.148.246 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:৪৫373296
  • ভোটের জন্য মার্চ তো ছিল না। দাবী আদায়ের জন্য ছিল।

    এই কথাটা ভুললে এই আন্দোলনের ওপর অসাধারণ অন্যায় হবে।
  • T | 113.211.20.205 | ১২ মার্চ ২০১৮ ১৯:৪৮373297
  • অ, এই যে এতমানুষের পাশে থেকে তাদের দাবী আদায় এটা একটা বিরাট ক্রেডিবিলিটি দিয়ে গেলো এয়াইকেএস কে। ভবিষ্যতের আরো বড়ো আন্দোলনের জন্য এ মস্ত বড় মূলধন।
  • | ১২ মার্চ ২০১৮ ২০:২৩373299
  • লংমার্চে খাবার এগিয়ে দেওয়া দেখে যাঁরা অবাক হচ্ছেন --- মুম্বাইতে একটা 5K ম্যারাথন হলেও লোকজন এগিয়ে এসে জল নিম্বুপানি খাইয়ে যায়, বিস্কুট অফার করে, বৃষ্টি হয়ে বন্যা কিম্বা ২৬/১১ প্রতিবার মুম্বাই বেরিয়ে এসে অপরিচিতকে খাবার দিয়েছে, জল দিয়েছে। আমার অ-মুম্বাইকর কলিগদের কাছে বহুবার শোনা। ওরাই বলেছিল শুক্রবারে দেখো মুম্বাই পৌঁছাক কিশানলোগ, ঠিক সবাই খাওয়াবে।
    তাইই হয়েছে।
  • রোবু | 113.85.96.66 | ১২ মার্চ ২০১৮ ২০:৪০373300
  • সাবাশ।
  • PT | 213.110.242.16 | ১২ মার্চ ২০১৮ ২০:৪৯373301
  • কল্লোলদার তথ্য বিকৃতির ক্ষমতা এখন প্রবাদ-প্রতিম পর্যায়ে পৌঁছেছেঃ
    আমার বাক্যটি কি ছিল?
    "এহেন বঙ্গে ঐসব শখের মিছিল করে দেখাক কিষাণেরা।"
    কথাটি "এহেন বঙ্গে" দিয়ে শুরু। তিনোপন্থী মাওব্যথী কল্লোলদা তিনোদের আড়াল করার জন্যে শব্দ দুটি অনায়াসে বাদ দিয়েছে (12 Mar 2018 -- 05:24 PM)।
    অর্থাৎ কিনা "এহেন বঙ্গে", যেখানে রাজনৈতিক ডিস্কোর্স তিনোরা বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলেছে সেখানে কিষাণদের মিছিল (= একটি রাজনৈতিক চর্চা) নিতান্তই শখের ব্যাপারই। পবতে বামেদের জাঠার সময়ে তো কল্লোদাকে এত উত্তেজিত হতে দেখিনি!! এইজাতীয় পেন্ডুলামীয় রাজনৈতিক আলোচনার তো একটু এন্যালিসিস করা অবশ্যই দরকারই।

    "এহেন বঙ্গে" আজকে কল্লোলদার দলের নেত্রী প্রকাশ্যে তিনোদের রামনবমীর জন্যে মিছিল ইত্যাদির অনুমতি নিয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। সারা ভারত জুড়ে যে কিষাণদের মিছিল চলছে সেটা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এই ব্যব্স্থা নয় তো?

    কল্লোলদা কিংবা যিনি শুধু ন-মোর ঘাড়ে "কৃষকদের সমস্যা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, উন্নয়নের অভিমুখ, এইসব জরুরি জিনিস গুলো" অনালোচিত হওয়ার দায় চাপিয়ে দেন তাঁরা "এহেন বঙ্গের" অরাজনীতির চর্চা নিয়ে কিছু ভাবছেন তো?

    @ধুদ্দুর
    ২ টাকা কিলোর চাল বিলো পভার্টি লাইনের মানুষদের পাওয়ার কথা। পব-র ৯ কোটি মানুষকে ঐ চাল দেওয়ার অর্থ পব-র ঐ পরিমাণ মানুষ বিলো পভার্টি লাইনে চলে গিয়েছে গত ৬ বছরে। সেটা খুব একটা রাজনৈতিক চর্চার ফসল নয়, সেরেফ ভোট পাওয়ার জন্য ধান্দাবাজী। কিছু লেখার আগে কি প্রসঙ্গে কি লেখা হয়েছে দয়া করে অনুধাবন করুন।
  • S | 194.167.2.96 | ১২ মার্চ ২০১৮ ২১:৫৬373302
  • সামনে এতোগুলো ভোট, এখন কেউ চাষীদের চটায় নাকি? আপাতত দাবী মেনে নিয়ে এদিক ওদিক স্কীম চালু হবে। সেখানে মোদিজীইইইইইই, অমিতাজীইইইইইই, আরো কত জীইইইইইই দের নাম আর ছবি থাকবে। দুলালের তালমিশ্রীর মত। দেশের সবথেকে বড় মিত্রোঁ রেডিও টিভিতে ঢপ মারবে।
  • কল্লোল | 116.203.143.232 | ১২ মার্চ ২০১৮ ২২:৫৯373304
  • লোকে কি বাংলাও নতুন করে লিখবে!! ধ্যুস।
  • dc | 120.227.236.192 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৮:২৪373307
  • ঠিক কি কি দাবী লিখিত ভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি। কোথায় একটা শুনলাম যে এমেসপি নিয়ে নাকি মহারাষ্ট্র সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলবে।
  • sm | 233.191.63.51 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৯:৩০373308
  • নিজের বাড়ি,ফ্ল্যাট এগুলো দারোয়ানের আর কাজের লোক দের দিয়ে দিলেই তো হয়।
    মহারাষ্ট্র সরকার, ইউপি সরকার ৩০-৪০ হাজার কোটি টাকার লোন ওয়েভ করেছে।
    প্রতি বছর ই করতে হবে?
    তার চেয়ে ফসলের বীমার সুযোগ, বিনামূল্যে দিলে ভালো হয়।
    সার, বীজে ভর্তুকি দিলেও ভালো হয়।
    সব কিছুই যেন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষি দের জন্য বরাদ্দ থাকে।
    এমন আন্দোলন এর ক্ষীর টুকু যদি , আল্টিমেটলি ধোনি কৃষকরা খেয়ে নেয় ; তাহলে তো মুশকিল!
  • ব্যথা | 87.247.181.163 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১০:১৫373309
  • স্লোগানটা 'ন্যানো যার জমি তার' না? ওই নিয়েই তো বার্নল বোরোলিনের সংসার।
  • sm | 52.110.148.219 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১০:৩৯373310
  • এটা আবার কে?কি বললো বুঝতেই তো পারলাম না!
  • de | 24.139.119.172 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১১:১৬373311
  • দাবী মেনে কোথায় নিয়েছে সরকার - ৯ টার মধ্যে ২ টো দাবী মানা হয়েছে - বাকীগুলো সব কমিটি গড়চি বলে ভুজুং ভাজুং দিয়েচে -

    https://epaper.timesgroup.com/Olive/ODN/TimesOfIndia/#

    The farmers’ march which began a week ago from Nashik and culminated in Mumbai was called off on Monday evening after the state government gave specific commitments on two of the protesters’ nine demands and assured in writing that the rest would be looked into by committees it would constitute.

    However, after a four-hour meeting with the cultivators’ 15-member delegation, the government remained non-committal on whether the remaining seven demands would be finally met.

    সেই সঙ্গে আরো বলা হচ্চে ৯০% মার্চাররা ট্রাইবাল, যাঁদের জমির ওপর অধিকারই এখনো স্বীকৃত নয় - লোন ওয়েভার তাঁদের কোন কাজে আসবে না -

    https://epaper.timesgroup.com/Olive/ODN/TimesOfIndia/#

    early 90% of the farmers protesting at Azad Maidan are landless tribal farmers who have been tilling forest land for generations. They want the land to be transferred to their name under the Forest Rights Act 2006 so that they can benefit from various government schemes, including the farm loan waiver scheme.

    Laxman Raut, a third generation farmer from Dindori taluka in Nashik, labours on 4 acres of forest land on which he has planted 100 teak trees, 50 mango trees and also cultivated paddy and pulses. “My land is a rainfed one, which means I only cultivate for four months a year. The rest of the year I work as a farm hand to feed my family,” Raut told TOI. He added that as the 4-acre land is not in his name, private money lenders charge highrer interest on loan. “I have a Rs35,000 loan. But as I had taken the money from a money lender and not the bank, I am not eligible for the state loan waiver scheme. All these benefits do not reach us as the land is not in our name,” said Raut.

    Mangesh Pagi (28), also a third-generation landless farmer from Ambapani village in Peth taluka in Nashik, has a similar story. “I grow rice and at the end of the season, I get around 13 bags of rice, of which I keep five bags for my family. I hardly earn anything from the eight bags that I sell,” said Pagi.

    The Forest Rights Act seeks to recognize and vest the forest rights and rights for occupation of jungle land with forest-dwelling tribals and other traditional dwellers who have been residing in such lands for generations but whose rights could not be recorded. While the Act came into effect in 2006, several tracts of land continued to be notified as forests despite members of various adivasi communities tilling them for years.

    State officials said of the nearly one lakh applications under FRA Act pending with the government, 30,000 are from Nashik district. So far, the government has transferred 3.5 lakh acres of land in the name of over 1.5 lakh individuals.

    Achala Dankadale, one of the protesting farmers, said this is not the first time they have agitated for the transfer of land demand. “Five years ago, I was jailed for 15 days because we blocked the highway and clashed with the police in Nashik,” she said. Disappointed with the government’s “non-action”, Dankadale said this is the last time she will protest for her right. “I have walked 180km in 40 degrees Celsius for six days. If I do not get my land now, then there is nothing more I can do.”

    Tribal welfare minister Vishnu Savara on Monday said the state government has already settled 50% of the claims made by tribals under the Act. “The rest of the claims pending since 2006 will be settled within six months. The chief secretary will review after two months on settlement of all pending claims,” he added. On giving ownership rights of forest patches to tribals cultivating them for years, Savara said the issue will be resolved within two months.

    টাইমসের পাতার লিং দেওয়া যাচ্চে না -
  • dc | 120.227.236.192 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১১:৩০373312
  • কাল যখন অ্যানাউন্স হলো যে প্রায় সব দাবী সরকার মেনে নিয়েছে, তাই আন্দোলনও বন্ধ করা হলো, এবার সবাই যে যার ঘরে ফিরবেন, তখন থেকে নেটে বা টিভিতে খঁজে যাচ্ছি ঠিক কি কি দাবী মানা হলো আর কিভাবে। এখনো কোথাও পরিষ্কার ভাবে লেখা দেখলাম না কি কি দাবী কিভাবে মানা হয়েছে। সরকার যে লিখিত মেমোরান্ডাম দিয়েছে সেটাও দেখিনি। তবে যদ্দুর মনে হচ্ছে, তিনটে দাবী নিয়ে সবাই কথা বলছেঃ

    আদিবাসীদের জমির অধিকারঃ আগেই বিল পাস হয়েছিল, দাবী ছিল সেটা ইমপ্লিমেন্ট করার। সরকার বোধায় লিখে দিয়েছে ছমাসের মধ্যে প্রক্রিয়া চালু হবে।

    লোন ওয়েভারের নানান শর্ত ছিল, সেগুলো তুলে দিয়ে সবাইকে ওয়েভার দিতে হবেঃ সরকার সেটারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এখানে একটা কায়দা আছে, যেটা আগেরবারের ঢপের একটা পার্ট ছিলো। সরকার লোন ওয়েভার দেবো বলে দেয়, তারপর ব্যাংকগুলো নানান শর্ত চাপাতে শুরু করে, ঠিকমতো ডেটা দেখায় না ইত্যাদি। এবারও সেরকম হবে না, তেমন কিছু বলা হয়নি। দেখা যাক এটা কিভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়।

    এমেসপিঃ মহারাষ্ট্র সরকার নাকি বলেছে কেন্দ্র সরকারকে বলবে (ঠিক শিওর না, কারন এটা নিয়েও কোথাও তেমন আলোচনা দেখছি না)। এরকম বলে থাকলে পুরো ঢপ, কারন কেন্দ্র সরকার আবার টালবাহান শুরু করবে।

    এতো তাড়াহুড়ো করে কাল সবাইকে ফেরত পাঠানো হলো কেন সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি।
  • de | 24.139.119.172 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১১:৩২373313
  • কিছু লেখা - ভাট থেকে তুলে রাখি - ভাটে হারিয়ে যাবে -

    name: রোবু mail: country:

    IP Address : 113.85.96.198 (*) Date:09 Mar 2018 -- 03:38 PM

    আচ্ছা, এবার আমি লিখি। নিজে যেহেতু গিয়েছিলাম, একটা দায় থেকে যায় কিছু লেখার।
    টাইমলাইন মেনে লিখছি। প্রধানতঃ হুতোদাকে, কারণ ওয়াঁর কথাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য লেগেছে।
    ------
    প্রথমে একটা পোস্ট গত পরশু সকালে আসে। স্ট্রং আরএসেস ফর বেঙ্গল - এ জাতীয় কিছু। যাদবপুর এইটবি মোড়ে সন্ধ্যে ছটায় লেনিনমূর্তি ভাঙা হবে। যেহেতু আমাদেরও এদিক ওদিক ফেক ঢোকানো আছে, আমরা জানতে পারি। আমরা সতর্ক হই। জানানো হয় এদিকওদিক। একটা ছোটগ্রুপ তৈরী হয় সামলাতে। আমরা যাব এরকম ঠিক করিনি। কারণ বেশি লোক আসবে ভাবিনি।

    সকালে উঠে দেখি তপনবাবু কল দিয়েছেন। এটা ডেঞ্জারাস, কারণ ওনার লোক জোগাড়ের ক্ষমতা আছে। এবং হিন্দু সংহতি খুবই উগ্র।

    তখন আমরাও লোক জোগাড়ের ব্যবস্থা করি। অফিসের কাজ তাড়াতাড়ি সেরে বা সামলে বা ফাঁকি দিয়ে ৫-৩০ তে গিয়ে পৌঁছই। খুবই অন্যায় নিঃসন্দেহে। কিন্তু মারব বলে যাইনি, ডিফেন্স করতে গেছিলাম। হিন্দু সংহতির কল। ভয় ছিল। দিন কয়েক আগেই এরা জানবাজারে প্রকাশ্যে ধর্মান্তর ও সাংবাদিক নিগ্রহ করেছে। চাইলে সেদিনকার ঘটনা খুঁজে নিন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

    দেখি বেশ লোক হয়েছে। পতাকায় মোড়া চারদিক। স্লোগানিং হচ্ছে। আরো অর্গ এসেছে। যাদের অনেকেই বেশ সিপিএম বিরোধী। চুনী কোটালের ছবি, রোহিতের ছবি মায় তাপসী মালিকের ছবি। ফ্যাস, আডাপ, আরো অনেকে। আইসা তো ছিলই।
    অনেকক্ষণ লেনিনমূর্তিকে ঘিরে স্লোগান চলতে থাকে। পুলিশ ছিল। আমরা যানচলাচল সামলাই। বয়স্কদের রাস্তা পার হতে সাহায্য করি।
    অনেক পরে কয়েকজন আসে। বোঝাও যাচ্ছিল না কতজন। কিছুজন তেড়ে যায়। কেউ কেউ মূর্তি আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। কয়েকজন ঢুকতে গেলে আটকানো হয়। তারা ধরা পরে। কেউ কেউ পালিয়ে যায়। তাদের মারার চেষ্টা হতে থাকে। অনেকেই সেটা আটকানোর চেষ্টা করে, তারা আমাদেরই লোক। স্বাভাবিকভাবেই অল্পবয়সীদের উত্তেজনা বেশি। আর এটা মব। মনে রাখতে হবে মবচরিত্র সর্বত্র এক। উল্টোদিক থেকে প্রোভোকেশনের পর "আরে আমরা সংখ্যায় অনেক বেশি, ওদের গালে হাত বুলিয়ে ছেড়ে দে" বললে কেউ শোনে না। এটা খেলার মাঠ থেকে স্কুলের এ সেকশন বি সেকশন - সব মারামারির ক্ষেত্রেই সত্য।

    কিন্তু বয়স্করা আটকানোর চেষ্টা করছিল। আর পুলিশ তো ছিলই। কিন্তু যেখানে পুলিশ ছিল না, অর্থাৎ হিন্দুস্থান স্যুইটস, সেখানে একজন পালিয়ে ঢুকে যায়। তাকে মারতে কয়েকজন এগিয়ে যায়। আমাদেরই কয়েকজন সেটা আটকে দেয়। এই ছেলেটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
    একটা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা দোকানের কাঁচ ভাঙ্গেনি। রক্তপাতও হয়নি একফোঁটা, গোটা ঘটনায়। একটা ইঁট তোলার পর সেটা কারুর মাথাতে নামানোও হয়নি। ক্যামেরাতেই দেখতে পাবেন সেটা।

    কালকের আবাপানন্দের কভারেজ দেখলেও বুঝবেন লেখা ছিল - পুলিশ বলছে যারা এসেছিল তাদের 'উস্কানিতে' ছাত্ররা মারমুখী হয়ে যায়। আজ কাগজে সেসব সযত্নে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    নিন্দা করুন আমাদের। তুলোধুনে দিন। সমালোচনায় বিদ্ধ করুন। তবে প্লিজ জেনে করুন। এটুকুই বলার। হ্যাঁ, আমাদের ব্যর্থতা, যে সংখ্যার এই প্রবল অসাম্য দেখেও আমরা সবাইকে আটকাতে পারিনি উত্তেজিত হওয়ার থেকে। তবে সেই চেষ্টা করা হয়েছিল।

    আর সেসব হয়ে গেলে একবারটি তাদের সমালোচনা করুন, যারা কল দিয়ে, হুমকি দিয়ে দিনের শেষে চারটে ছাত্র বা ছোটখাটো চাকুরিজীবী ছাপোষা লোককে পাঠিয় নিজেরা অন্তরালে রইল।

    আর, আগে কিছু লিঙ্ক দিয়েছিলাম। পড়তে পারেন।

    name: রোবু mail: country:

    IP Address : 113.85.96.204 (*) Date:10 Mar 2018 -- 03:00 PM

    এটা হয়তো একটু পুনরাবৃত্তি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তবুও করা দরকার। কারণ, জানলাম (দেখলামও, তবে আমিই সম্ভবত সবার শেষে) গত কয়েকমাস ধরে বাংলাভাগ এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমিকা নিয়ে একটি ছোট্টো লেখা উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ছড়িয়ে চলেছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী ফেসবুক পেজও ( দরকারে লিংক দেব), মহা উৎসাহে এটি বিতরণ করে চলেছে। লেখাটির মূল বক্তব্য হল, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিই একরকম করে পশ্চিমবঙ্গের জনক। লেখাটি জানাচ্ছে, স্বাধীনতার আগে মহম্মদ আলি জিন্না পাকিস্তানের অংশ হিসেবে গোটা বাংলাকে (বিশেষ করে কলকাতাকে) দাবী করেন। কমিউনিস্টরা এবং কংগ্রেস সে দাবী প্রায় মেনেই নিয়েছিল। উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি কঠোর মেহনত করে বঙ্গীয় আইনসভাকে এমন করে প্রভাবিত করেন, যে তারা পাকিস্তানের কবল থেকে হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবাংলাকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ পাকিস্তানের (পড়ুন ইসলামী) আগ্রাসী থাবা থেকে রক্ষা পায়।
    বলাবাহুল্য, এর মধ্যে সত্যতা বিশেষ নেই, এবং ঘটনার গতিপ্রকৃতি সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সমস্যা হল, তাঁরা ইতিহাস বিশেষ পড়েননা, এমনকি নিজেদের লোকেদের লেখা ইতিহাসও না। পড়লে জানতে পারতেন, এগুলো ওঁদের কল্পনামাত্র, যেমনটা হলে ওঁদের ভালো লাগত সেই স্বপ্নদৃশ্য।
    বাংলা তথা ভারত বিভাজনের ইতিহাসের একটা অংশ মোটামুটিভাবে সবাই জানেন, যে, ১৯৪৭ এ ভারতীয় উপমহাদেশ টুকরো হয়। কিন্তু এখন ভাবলে অবাক হতে হয়, এমনকি ১৯৪৬ সালেও এটা ধ্রুব সত্য ছিলনা। তখনও জানাই যায়নি, ভাগাভাগি কিছু হবে কিনা। স্বাধীনতা হস্তান্তরের ব্যাপারে ব্টিটিশ সরকার যে ক্যাবিনেট মিশন তৈরি করে, সেই কমিশন ১৯৪৬ সালের মে মাসে সবদিক খতিয়ে দেখে ভারতকে অবিভক্ত রাখারই প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবে কংগ্রেস এবং লিগ একমত হয়না। প্রস্তাব ভেস্তে যায়। অচলাবস্থা তৈরি হয়। তখন ১৯৪৬ সালেরই জুন মাসে ক্যাবিনেট মিশন দ্বিতীয় প্রস্তাব দেয়। সেখানে ভারতকে সরাসরি দু টুকরো করার করার কথা বলা হয়। কিন্তু তার পরেও ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় অধৈর্য জিন্না ১৯৪৬ সালের ১৬ ই আগস্ট ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে'র ডাক দেন। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ধর্মঘটের। কিন্তু তা পরিণত হয় দাঙ্গায়। কলকাতা, নোয়াখালি তে ভয়ঙ্কর নরমেধ যজ্ঞ হয়। দাঙ্গা ছড়ায় অন্যত্রও। দেশভাগ একটা বাস্তবতা হিসেবে ক্রমশ চোখের সামনে আসতে শুরু করে। (১)
    পাঞ্জাবে এবং বাংলায়, দাঙ্গার ক্ষত সত্ত্বেও এই সম্ভাব্য বিভাগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। বিশেষ করে বাংলায়। বাংলা ভাগ রোখার শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে কিরণ শংকর রায়, শরৎ বসু, সুরাবর্দী (যথাক্রমে কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ প্রাদেশিক নেতা) একযোগে অবিভক্ত ও স্বাধীন বাংলার একটি প্রস্তাব আনেন। উদ্দেশ্যটা ছিল যেকোনো মূল্যে বাংলাকে ভাগ হতে না দেওয়া। এর আগেও ১৯০৫ সালে বাঙালি সাম্প্রদায়িক বঙ্গভঙ্গ রুখেছে, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন যার পুরোধা। সে ইতিহাস বিসর্জন দেওয়া সহজ নয়।
    দলমতনির্বিশেষে নেতারা যখন বাংলা ভাগ আটকানোর চেষ্টা করছেন, বাংলা ভাগের মঞ্চে, এই সময় প্রবেশ শ্যামাপ্রসাদের। ১৯০৫ সালে কার্জনের পর, ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে(৪ থেকে ৬ এপ্রিল) তারকেশ্বরে হিন্দু মহাসভার সম্মেলন থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গভঙ্গের ডাক দেওয়া হয়। শ্যামাপ্রসাদ বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধানে বাংলাকে দুই ভাগ করা ছাড়া আমি আর কোনো উপায় দেখছিনা।' (২)
    ফলে, শ্যামাপ্রসাদ জিন্নার বিরোধিতা করছিলেননা। ধর্ম ও দল নির্বিশেষে বাঙালি নেতারা তাঁদের যাবতীয় ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যখন ক্ষীণকণ্ঠে বাংলাকে জুড়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন, শ্যামাপ্রসাদ তাঁদের বিরুদ্ধতা করছিলেন। স্ব্তঃপ্রণোদিত হয়ে বাংলা ভাঙার চেষ্টা করছিলেন।
    বস্তুত সে সময় জিন্না বাংলাকে পাকিস্তানে নেবার দাবী করেননই নি। কলকাতাকেও না। ওই এপ্রিল মাসেরই ২৬ তারিখ, মাউন্টব্যাটেন জিন্নাকে জিজ্ঞাসা করেন, বিভক্ত বাংলা পাকিস্তানে না গিয়ে যদি যদি আলাদা হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর কী মত। জিন্না উত্তরে বলেন, 'কলকাতা ছাড়া বাংলার মানে কী। ওরা আলাদা হয়েই অনেক ভালো থাকবে। আমি নিশ্চিত ওদের সম্পর্কে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে।' (৩) এই উক্তিটিকেই অর্ধেক উদ্ধৃত করে, বিকৃত করে, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা দাবী করে, জিন্না বলেছিলেন, 'কলকাতা ছাড়া বাংলার মানে কী।' অর্থাৎ, জিন্না কলকাতা চেয়েছিলেন। তার সঙ্গে আগামাথাহীন ভাবে যোগ করে দেওয়া হয় শরৎ বসু, কিরণশংকর রায়দের অবিভক্ত বাংলার দাবীকে। এবং তারপর দাবী করা হয়, শ্যামাপ্রসাদ বঙ্গের পাকিস্তানগমন আটকাতে আওয়াজ তুলেছিলেন।
    জিন্নার ওই উক্তি আরেকটি জিনিসও পরিষ্কার করে দেখিয়ে দেয়, যে, তখনই বাংলা কীভাবে ভাগ হবে, দিল্লির উপরমহলে মোটামুটি স্থির ছিল। 'কলকাতা ছাড়া বাংলার মানে কী' কথাটার একটাই মানে, যে, বাংলা ভাগ হচ্ছেই, এবং কলকাতা ভারতে থাকছে, ক্ষমতার অলিন্দে ১৯৪৭ সালের এপ্রিলে মোটামুটি নির্ধারিত (যেটা আটকাতে শরৎ বসুরা আওয়াজ তুলেছিলেন)। শরৎ বসু, কিরণশঙ্কর রায়দের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্তরে নাকচ হয়, তাঁরাও বাধ্য বালকের মতো মেনে নেন। এবং বিভাজনের সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে সামনে আসে, জুন মাসে, যখন মাউন্টব্যাটেন একটি প্রস্তাবে বাংলা এবং পাঞ্জাবের বিভাজনের ব্যাপারটা ওই রাজ্যের আইনসভার হাতে ছেড়ে দেবার প্রস্তাব করেন। ১৫ ই জুন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয়। (৪) সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, ওই জুন মাসেই বাংলার আইনসভা বিভাজনের প্রস্তাব পাশ করে। এটা একটা জিনিসই দেখায়, যে, পশ্চিমবঙ্গের জনক হওয়া তো দূরস্থান, এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে শ্যামাপ্রসাদের বিশেষ জায়গা ছিলনা। হিন্দু মহাসভার সে প্রভাবও ছিলনা।
    তবে প্রভাব থাক বা না থাক, এ ব্যাপারে শ্যামাপ্রসাদ তথা হিন্দু মহাসভার অবস্থান নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ নেই। বাংলার নেতারা যখন নমো-নমো করে হলেও বাংলার বিভাজন রোখার প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, তখন, শ্যামাপ্রসাদ 'ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাঙতেই হবে', এই অবস্থান নেন, যে অবস্থানের ফলশ্রুতিতে দুই বাংলারই মাজা ভেঙে যায়। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুদের ঢল নামে। মানুষের ভিটে-মাটি এমনকি জীবন হারানো হয়ে দাঁড়ায় খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। অন্নদাশঙ্কর রায় যে ধেড়ে-খোকাদের কথা বলেছিলেন, শ্যামাপ্রসাদ নিঃসন্দেহে তাঁদের পুরোধা। আজ দেশবিভাগের স্মৃতি ফিকে, ভিটে-মাটি-হারানো প্রবীণরা বেশিরভাগই নেই আর। কিন্তু তাঁদের উত্তরাধিকারীরা আছেন। সেই উত্তরাধিকারীদের কাছে শ্যামাপ্রসাদের উচ্চকিত মতাদর্শগত উত্তরসূরীদের জবাবদিহি করা উচিত, লক্ষ কোটি মানুষের জীবন নিয়ে ধর্মের নামে এই তেলের-শিশি-ভাঙা পুতুলখেলার জন্য।
    - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়

    সূত্রঃ
    ১ - India after Gandhi -- রামচন্দ্র গুহ
    ২- Land of Two Rivers: A History of Bengal from the Mahabharata to Mujib -- নীতীশ সেনগুপ্ত
    ৩ - Indian Summer: The Secret History of the End of an Empire -- Alex von Tunzelmann
    ৪- India from Curzon to Nehru and After -- Durga das

    এটা হয়তো ঠিক টই নয়, তবুও তোলা থাকলো -
  • dc | 120.227.236.192 | ১৩ মার্চ ২০১৮ ১১:৩৮373315
  • আজ সকালে এটা পড়েছিঃ

    http://indianexpress.com/article/india/maharashtra-farmer-march-agrarian-crisis-devender-fadnavis-aiks-loan-waiver-sitaram-yechury-5095762/

    The first announcement read out was that the government has agreed to clear pending appeals regarding applications for titles to forest land and would conduct re-measurement of land where farmers have appealed against not getting their complete entitlement as per the Forest Rights Act, 2006...Malekar, in fact, felt that while the government might even delay promises made on the farm loan waiver, the presence of thousands of tribals in the protest would ensure that the issue of transferring forest land to the names of traditional tillers would be resolved as promised.

    এছাড়া লিখিতভাবে কি কি মানা হয়েছে সেটা আর কোথাও দেখিনি। তবে এই যে ছমাস সময়, এটা টালবাহানা করে এক বছর দু বছর করে দিলে একেবারেই অবাক হবোনা। যে সরকার এতোদিন ধরে বিল ইমপ্লিমেন্ট করেনি, সেই সরকার ছমাসে সেটা করে ফেল্লে বলতে হবে রামরাজ্য এসে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন