এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দিব্যেন্দু সিংহ রায় | 116.51.140.102 | ০৪ জুন ২০১৮ ১৬:১৩375615
  • আজ থেকে বছর দশ পনেরো আগে লোকনাথ বাবা নিয়ে মোটেই কোনো হৈচৈ ছিলনা। লোকনাথ জয়ন্তী , লোকনাথের মাথায় জল ঢালা এসব দূরে থাক একখানা মন্দির অবধি দেখিনি। তবে ওনার অস্তিত্ব ছিল নববর্ষ অক্ষয় তৃতীয়ার ক্যালেন্ডারে। একই রকম পোজের ছবি ও পাসে একটি অভয় বাণী... রণে বনে জলে জঙ্গলে ইত্যাদি ইত্যাদি। ইদানিং বড় ধুম হয়েছে। জি বাংলা সিরিয়ালও বের করে ফেলেছে। ভয়ঙ্কর টি আর পি। ওদিকে আকাশ বাংলায় একমাসের সাহিত্য নামে একটা সিরিয়াল হয়। নাম করা সাহিত্যকর্মের নাট্যরূপ। খুব কম লোকই দেখেন মনে হয়।
    লোকনাথ বাবা নিয়ে কিছুই জানিনা। লোক হিসাবে উনি হইতো মহান ছিলেন আবার এযুগের ভন্ড গডম্যানদের মতও হতে পারেন জাস্ট ধরা যায়নি।
    দিন যত যাচ্ছে মানুষের আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকছে ততই। ফলে বাড়ছে কুসংস্কার আর মানুষের উপর অবতারত্ব আরোপের চেষ্টা। তারপর সেই কু বিশ্বাসে গা ভাসিয়ে দেওয়া। আশ্চর্যের ব্যাপার এই কুসংস্কার দূর করার বদলে সিনেমা সিরিয়াল তার প্রচার করছে।
    এমনই শুনেছিলাম সন্তোষী মার ক্ষেত্রে। হিন্দি সন্তোষী মা সিনেমার আগে সন্তোষী মা নামে কোনো দেবী ছিলই না। বিরাট কমার্শিয়াল হিট হওয়ার পর রাতারাতি দেবদেবীর লিস্টে নতুন দেবী সন্তোষী মা যুক্ত হন।

    পুনশ্চ: ফেসবুকে এই লেখাটা পোস্ট করার পরে বেশ কিছু ভক্ত কমেন্টে ঝাঁপিয়ে পড়েন ও গালাগাল করতে থাকেন। কেউ অন্যের বিস্বাসে আঘাত হানা থেকে বিরত থাকতে বলেন , কেউ কেউ ব্যাপারটা জানতে চান।
    লোকনাথ বাবুর কিছু ছবি নেটে পাওয়া যায় যা তার আসল ছবি বলে দাবী করা হয় ও এবং যথারীতি "কমেন্ট না করে যাবেননা ", "শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করেদিন", "একটা লাইক একশো প্রণাম" জাতীয় উপদেশ , অনুরোধ দেওয়া থাকে সেই লিংক এখানে দিলাম না।
    সন্তোষী নিয়ে দুটো লিংক দিলাম আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন

    https://en.wikipedia.org/wiki/Santoshi_Mata

    https://hinduism.stackexchange.com/questions/5300/which-hindu-texts-contains-the-story-of-santoshi-mata-and-about-her-other-legend
  • PM | 113.219.45.10 | ০৪ জুন ২০১৮ ১৬:৪৩375626
  • কেস্টপুরে একটা লোকনাথ মন্দির ছিলো '৮০ দশকেই , এছাড়া খুব একটা কিছু শুনি নি তখন
  • | 144.159.168.72 | ০৪ জুন ২০১৮ ১৬:৫৫375637
  • সে আবার কি! সেই নব্বইয়ের দশকেই তো আমাদের কোন্নগরের পড়ায় একজন সারাদিন বিকট মাইক চালিয়ে লোকনাথ পালন করত।

    সন্তোষী মায়ের নামে দোশটা পোস্টকার্ড পাঠাতে বলে বাড়িতে পোস্টকার্ড আসত, নাহলে কিসব কিসব যেন হবে। এটা বোধহয় পাড়ারই কেউ করত, কারণ মাঝখান দিয়ে ছিঁড়ে রাস্তায় দৃশ্যমানভাবে ফেলে রখার ও বিভিন্ন মানুষ ও গরোদ্বারা পদদলিত হতে দেখার পর পরই আসা বন্ধ হয়ে গেছিল।
  • | 144.159.168.72 | ০৪ জুন ২০১৮ ১৬:৫৬375640
  • *দশটা
    * গরুদ্বারা
  • সিকি | ০৪ জুন ২০১৮ ১৭:৪২375641
  • ক্যানো, কোন্নগড়ের গোরুরা পোস্টকার্ড খেত না? আজকের গোসন্তানরা তো পোস্টকার্ড (নিউজ) দিব্যি খায়।
  • দিব্যেন্দু সিংহ রায় | 116.51.140.102 | ০৪ জুন ২০১৮ ১৮:১২375642
  • এই মাত্র দেখলাম শঙ্করনাথ রায়ের ভারতের সাধক দ্বিতীয় খন্ডে লোকনাথ বাবা নিয়ে একটা অধ্যায় আছে । পাতা নম্বর ১১৯
  • amit | 213.0.3.2 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:১০375643
  • এই ভারতের সাধক বই গুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখলে বেশ মারভেল কমিকস টাইপের লাগে। পুরো ভাট।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৫:১৯375644
  • ভারতের সাধারণ জনগণ এই "ভারতের সাধক" দের সঙ্গেই একাত্মবোধ করে, ত্রাতা অথবা গুরু হিসেবে। আমাদের বৃহৎ মহান ভারতের সমাজে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এমনকি সমাজবিপ্লব(কমুনিজম, সোশ্যালিজম, এমনকি অ্যানার্কি ইত্যাদির ধারণা ) সবই বাইরের আমদানি, কোনোটাই জনগণের নিজের হয়ে ওঠেনি। কতিপয় ইন্টেলেক্চুয়াল ওসব নিয়ে জটিল বাকবিতন্ডা করেন, বাকীরা সিনেমা দেখার মতন দ্যাখে।
    সাধারণ লোকের কাছে আপন বলতে এই লোকনাথ, ত্রৈলঙ্গস্বামী, রমনমহর্ষি, ভোলাগিরি ইত্যাদিরাই।
  • amit | 340123.0.34.2 | ০৫ জুন ২০১৮ ০৫:৪১375645
  • সেটা একদম সত্যি। আমার নিজের ভালো না লাগলেও এটাই বাস্তব।
  • r2h | 342323.226.90078.182 | ০৫ জুন ২০১৮ ১২:৪৭375616
  • সে তো অনুকূলপন্থীরা লোকনাথবাবাকে ভালোবাসে না, রামকৃষ্ণপন্থীরা রামঠাকুরপন্থীদের দেখলে নাক তোলে, বিভিন্ন ধর্মে ঝামেলা, আদিবাসীদের আবার অন্যরকম ঠাকুর দেবতা।
    সর্বসম্মত 'জনগণের নিজের' কিই বা হয়ে উঠেছে।

    হ্যাঁ, ব্ল্যাঙ্কেটে গুরুবাদটা নিজের জিনিস বলা যায়, মোটামুটি মূলস্রোতে। পাহাড় জঙ্গলে ওঝা গুণিন চন্তাই পুরোহিত থাকে বটে, কিন্তু তারা ঠিক ওরকম দীক্ষা দেওয়া গুরু তো নয়।
    তা রাজনৈতিক নেতারাও একধরনের গুরু বৈকি। তেমন তেমন নেতাদের ক্ষমতা অলৌকিকের কাছাকাছিই বটে।

    সাধারন জনগন, গ্রামের, শ্রমিক কৃষক্দের কথা যদি ভাবি... অনেক মানুষ সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে, রাষ্ট্রের দমনের বিরুদ্ধে অন্দোলনে আছে; আদিবাসীদের জীবনযাত্রা যদি দেখি - এই যেমন জুমচাষ ইত্যাদি - কম্যুনিটি ফার্মিং; এমন কিছু বাইরের জিনিস তো নয়।

    আর এখনকার গুরু/ ধর্মীয় রমরমাও তো রাজনৈতিক; এগুলো জনগণের নিজের জিনিস বলে এই মুহূর্তে ধর্মের বাড়বৃদ্ধি - ব্যাপারটা এরকম কি সত্যিই?
    এমনিতে ধর্মগুরু, অলৌকিকের প্রতি আকর্ষন, সে তো সারা পৃথিবীতেই আছে কমবেশী।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৬ জুন ২০১৮ ০০:১০375617
  • "এই মুহূর্তে ধর্মের বাড়বৃদ্ধি" ---এটা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ আগে মানে বিভূতিভূষণের আমলে তো রীতিমতন পারিবারিক গুরু থাকতো, তার কাছে সপরিবারে মন্ত্র নিত লোকে। সেসব তো মনে হয় এখন অনেক কম।

    আপনি লিখলেন, "সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে, রাষ্ট্রের দমনের বিরুদ্ধে অন্দোলনে আছে; আদিবাসীদের জীবনযাত্রা যদি দেখি - এই যেমন জুমচাষ ইত্যাদি - কম্যুনিটি ফার্মিং; এমন কিছু বাইরের জিনিস তো নয়।"
    হ্যাঁ, এগুলো বাইরের জিনিস নয়। কিন্তু লেনিন স্তালিন লিন বিয়াও সলঝেনিৎসিন লুনাচারস্কি আইৎমাতভ ইত্যাকার অজস্র নাম নিয়ে যে জটিল সমাজবিপ্লবের আলোচনা চলে ইন্টেলেক্চুয়াল গোষ্ঠীতে, সেইগুলো কি আমাদের সমাজের বিশাল একটা অংশের কাছে সম্পূর্ণ বাইরের জিনিস নয়?
  • র২হ | 342323.226.90078.182 | ০৬ জুন ২০১৮ ০১:২৮375618
  • থিওরাইজেশন তো সব বিষয়েই সীমিত লোকের চর্চার।
    ফ্রয়েডের তত্ত্ব সেভাবে বহিরাগত, কিন্তু কার্যত, যদি অভ্রান্ত হয়, তবে অ্যাপ্লিকেবল। নকশালবাড়ির কৃষকরা তত্ত্ব না পড়েও কার্যত সামিল হয়েছিলেন এমন কিছুর, যার থিওরাইজেশন অন্য দেশে অন্য ভাষায় হয়েছে।

    ধর্ম চিরকাল ছিল, তবে উন্মাদনার প্রকৃতিটা আলাদা বোধয়, আজকাল।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৬ জুন ২০১৮ ০২:০০375619
  • আজকাল ধর্মীয় উন্মাদনার প্রকৃতিটা আসলে যে কীরকম সেটা কি সত্যি করে জানা যায়? মিডিয়া আর সোশ্যাল নেটোয়ার্ক দেখে হয়তো বেশি-বেশি মনে হচ্ছে। কিংবা হয়তো বাস্তবও ভয়ঙ্কর। কেজানে!
  • Jhaamelaa | 347812.62.780123.23 | ০৬ জুন ২০১৮ ০৮:০৭375620
  • আসলে মুক্তমনাদের হয়্ত অতটা লাগে না, কিন্তু lay disciple দের স্পিরিচুয়ালিটির জন্য রিলিজিয়ান একটু লাগে, সেটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হয়ে যায়
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৮ জুন ২০১৮ ০২:৫০375621
  • আরেকটু আলোচনা হোক।
  • বিপ্লব রহমান | ২৮ জুন ২০১৮ ১৮:৫৭375622
  • এপারে লোকনাথ বাবা নেই। সন্তোষী মা দেবীও নেই। এই সব নিয়ে টিয়ারপি বাড়ানো হিন্দী সিরিয়ালও নেই।

    তাই বলে কী কুসংস্কার থেমে আছে?

    প্রতি জুম্মাবারে মসজিদে মসজিদে খুৎবার নামে যে ধর্ম বিদ্বেষ, উগ্র সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানো হয়, তা সাধারণ যে কোনো শিক্ষিত শুনলে চমকে উঠবেন!

    আর যে হারে তালেবানী শিক্ষায় সমৃদ্ধ ব্যাঙেরছাতার মতো মাদ্রসা গজিয়ে উঠছে! তার কোনোটি সরকারি, কোনোটি সৌদি অনুদানপ্রাপ্ত।

    বছর দশেক আগেও ঢাকা থেকে ভুরুংগামারী এতো হিজাবের ছড়াছড়ি ছিল না। স্কুল- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে হিজাব নামক এক গজকচ্ছপ। যেন যৌনতা শুধু চুলেই থাকে, আর তা নারীর একারই।

    বেশ কিছুদিন আগে গুমট গরমের এক ছুটির দিনে অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধা মা সৈয়দা আজগারি শিরাজীর ( এখন ৭৭, গুরুতর আলঝেইমার্স এ ভুগে পুরোপুরি স্মৃতিভ্রষ্ট) সাথে টিভি নিউজ দেখছিলাম।

    টিভি নিউজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সাক্ষাতকার দেখাচ্ছিল। ছাত্রীরা অনেকেই হিজাব পরে ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে স্মার্টলি উত্তর দিচ্ছিলেন।

    মা হঠাৎ বলে উঠলেন, এই গরমের মধ্যে কি পরেছে রে!

    আমি বললাম মা, আমরা আবার পাকিস্তান আমলে ফেরত যাচ্ছি, এসব তারই পূর্ব লক্ষ্মণ!

    মা সংগে সংগে তীব্র স্বরে প্রতিবাদ করলেন। বললেন, পাকিস্তান আমলে আমরা হাতাকাটা ব্লাউজ- কামিজ পড়ে স্কুল-কলেজ করেছি, কোনোকালে হিজাব-বোরখা পড়িনি। সিরাজগঞ্জের মতো ছোট্ট একটি মফস্বল শহরে সেই আমলে ছেলেমেয়ে একসাথে মঞ্চ নাটক করেছি, কত স্টেজ শো করেছি! কই তখন তো পর্দা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি দেখিনি!

    আমি নিশ্চুপ। এ কোন কুৎসিত কাল এলো তাহলে? ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে ইসলামি রাষ্ট্র পেয়ারে পাকিস্তান ভেংগে এ কোন "বাংলাস্তান" গড়তে যাচ্ছি আমরা?

    "অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
    যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
    যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই - প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই
    পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।"...

    ভাবছি, অহোরাত্র ভাবতে ভাবতে ব্রেইন আউট হয়ে যাচ্ছে বোধহয়!
  • বাঙাল | 342323.176.1267.203 | ২৮ জুন ২০১৮ ১৯:৩৬375623
  • সে কি শাহবাগের পরেও এই!
  • | 2345.108.453423.155 | ২৮ জুন ২০১৮ ২০:৫৭375624
  • এক্সপেক্টেশান মিসম্যানেজমেন্ট।
    শাহবাগ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে ছিল। অন্যদের এক্সপেক্টেশান ফুলফিল করার জন্য নয়
  • Du | 237812.56.67.87 | ২৮ জুন ২০১৮ ২১:২৮375625
  • এই সকলই 'উন্নতির" লক্ষন। মোটামুটি খাওয়ার সমস্যা মিটলে আবার কোন কিছুরই কোন গ্যারান্টি (চাকরি , হাসপাতাল) এই উত্পাত শুরু হয়। আর স্পন্সর থাকলে তো কথাই নাই। হাতে লাল সুতা, গরম দেশে সারা গা মোড়া কালো কাপড়, যজ্ঞ, এক লোকের অনেক বাবা সবই হয়।
  • Du | 237812.56.67.87 | ২৮ জুন ২০১৮ ২১:২৯375627
  • *গ্যারান্টি না থাকলে।
  • বাঙাল | 342323.176.232312.120 | ২৮ জুন ২০১৮ ২১:৫২375628
  • বোরখা এদিকেও বেশ দেখছি। হয় রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরা বেশি বেশি বাইরে আসছে নয় যারা বাইরে বের হত তারা নতুন করে বোরখার আড়ালে যাচ্ছে।
  • এপারে | 2390012.42.671212.19 | ২৮ জুন ২০১৮ ২২:০৮375629
  • তিন তালাক নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হচ্ছে।
  • এপারে | 568912.56.0189.242 | ২৮ জুন ২০১৮ ২২:০৮375630
  • তিন তালাক নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হচ্ছে।
  • Du | 237812.58.450112.18 | ২৮ জুন ২০১৮ ২৩:৪২375631
  • যার যার কুসংন্স্কার নিয়ে নিজের মাথাব্যথা থাকা ভালো। কিন্তু সকলেরই নজর অন্যের বেণীর ওপরে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২৯ জুন ২০১৮ ০০:০১375632
  • বেণীর সঙ্গে মাথা ।
  • pi | 7845.29.671223.179 | ২৯ জুন ২০১৮ ০০:১৪375633
  • আপনার মায়ের সময়কার আরো কথা জানা যাবে?

    খান আমলেও এতটা লিবারেল থেকে এখন যা চলছে, সেকি এই গত কবছরে দুম করে পিছিয়ে যাওয়া? কবে থেকে?
  • বিপ্লব রহমান | ২৯ জুন ২০১৮ ১৩:০২375634
  • পাই,

    আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।

    মায়ের তো এখন স্মৃতি নেই, তবে মার ছোটবোন মঞ্জু খালা সে সময়ের অনেক কথা বলতে পারবেন।

    এবার বাড়ি (সিরাজগঞ্জ) গেলে মঞ্জু খালার সাথে আলাপ করবো।

    পাকিস্তান আমলে মঞ্জু খালা খুব অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। সে সময় তিনি কলেজে পড়তেন, ছাত্র নেত্রী ছিলেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল সময়ে তিনি ছিলেন সামনের কাতারের সৈনিক, আর ১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা। তার ছোট ভাই, মন্টু মামাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।

    মঞ্জুখালাকে নিয়ে একটি ফটোব্লগ এখানে:

    https://blog.mukto-mona.com/2018/03/09/52423/

    পর্যবেক্ষণ বলছে, ১৯৭৫ এ মুজিব সরকারের পতনের পর জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় থেকে মোল্লা তোষণনীতি চলতে থাকে। সে সময় যুদ্ধাপরাধী জামাত-শিবিরকে পুনর্বাসন করা, নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়া, ইনকিলাব- সংগ্রাম এর মতো মৌলবাদী দৈনিক চালু ইত্যাদির পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষার ব্যাপক চাষ হয়।

    ভোটের অংক কষে এরশাদ-খালেদা জিয়ার সরকার বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর এই নীতি বহাল রাখে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী নিজামী ও মুজাহিদ মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন । ঘাতক রাজাকার শিরোমণিদের গাড়িতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়েছে, ভাবা যায়!

    বাংলা ভাই- শায়খ আব্দুর রহমানের মতো ঘৃণ্য জংগিবাদের উত্তান ঘটে সে সময়। খোদ ঢাকায় সে সময় জংগীরা বিশাল সমাবেশ করে শ্লোগান দিয়েছে, "আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান! "

    পরে নিজামী -মুজাদ্দিদ দুজনকেই বর্তমান সরকারের আমলে ট্রাইব্যুনালের বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর এপর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক যুদ্ধাপরাধী।

    লক্ষ্যনীয়, ক্ষমতাসীন সরকার জামাত-যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও প্রথম দিকে তারা জংগী বিরোধী কোনো ভূমিকা নেয়নি। একের পর এক ব্লগার খুনের ধারাবাহিতায় ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলায় জংগীরা ১৭ জন বিদেশীসহ ২১ জনকে খুন করলে সরকার জংগী বিরোধী "জিরো টলারেন্স" নীতি নিতে বাধ্য হয়।

    কিন্তু ভোটের হিসেবে তারা এখনো হেফাজত ইসলাম তোষননীতি বহাল এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকে সংস্কার না করায় জেহাদি মোল্লাতন্ত্র আসলে একই আছে, সংক্রামক ব্যাধির মতো তা ছড়িয়ে পড়েছে।

    এই পরিস্থিতিতে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ভূতের পা নাকি উলটো দিকে থাকে। বাংলাদেশ এখন একইভাবে এখন উল্টোপথে হাঁটছে!

    দেখুন, এ বছর বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষায়।
    http://m.banglatribune.com/national/news/331903/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87

    এর বিপরীতে আশা জাগানিয়া "প্রজন্ম শাহবাগ"। যারা এই বৈরি সময়েও জানান দিয়েছে বিশ্বকে, দ্বিতীয়-তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিসেনারা মরে নাই। আর মুক্তিযুদ্ধেরও শেষ নাই।
  • Du | 237812.58.450112.38 | ২৯ জুন ২০১৮ ২২:০৩375635
  • হুজুগেপনা, হাজার রকম পুজো কোনোটাতেই প্রমোদের উপাদান কিছু কম নাই কাজেই নতুন প্রজন্মকে উপনিষদ ইত্যাদির থেকে সহজেই আকর্ষণ করাটা বুঝিও। কিন্তু বেশি এই করা হারাম টাইপের বিধিনিষেধের পপুলারিটি বাড়ানোর পদ্ধতিটা আমার কাছে খুবই ধোয়াঁ ময় ও আশ্চর্য্য লাগে।
  • বাঙাল | 342323.176.5645.21 | ৩০ জুন ২০১৮ ১০:২৫375636
  • আপডেটের জন্য বিপ্লববাবুকে ধন্যবাদ। আচ্ছা শাহবাগের প্রাপ্তি যা হয়েছে ঢের হয়েছে বা ঐ এক্সপেক্টেশন মিসম্যানেজমেন্ট গোত্রের অবস্থান বাঞ্ছনীয় নাকি যা হওয়ার ছিল তা হয়নি বলে আরো দাবী রাখা উচিত? সে সময় দীপুমনির বক্তব্য থেকে অন্যরকম প্রত্যাশা জেগেছিল।
  • বিপ্লব রহমান | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৮:০৯375638
  • শাহবাগ আন্দোলন যেন কোনভাবেই আরো বহুমুখী প্রগতিশীল আন্দোলন হয়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য এর চালিকা শক্তি বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছ থেকে সে সময়ই ছাত্রলীগ, তথা আওয়ামীলীগ ছিনতাই করে!

    এর ফলে এক রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসি ছাড়া "ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা" বা "জামাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা" (ইসলামিক ব্যাংক, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ল্যাব, মেডিকেল কলেজ ইত্যাদি) এসব মৌলিক দাবির কোনটিই পূরণ হয়নি।

    আসলে সে সময়ই সরকার টের পেয়েছিল, শাহবাগ আন্দোলন যদি আরো বড় পরিসরে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনে পরিণত হয়, তাহলে সে দাবানলে সরকারের পতনও বিচিত্র নয়!

    তাই তখন মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের "নাস্তিক ব্লগার" বিরোধী মহাসমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। আবার তাদের তাণ্ডব মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে লাঠিপেটা করে হেফাজতে ইসলামকে নিজ হেফাজতে নিয়েছে সরকার! মাঝে আস্কারাও দেওয়া হয় জংগীদের "নাস্তিক ব্লগার" খুনে।

    আর এদিকে সারাদেশে ছড়িয়ে পরা শাহবাগ আন্দোলন পরিনত হয় একটি কাঠের ঘোড়ায়। বছর না ঘুরতেই আওয়ামী প্রহসনে!

    সব প্রত্যাশার কবর হয় এভাবে।
    সংক্ষেপে এইটুকু।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন