এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ কি আসলেই বিশ্বকবি না পশ্চিমবঙ্গের কবি ???

    এস ইসলাম লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৯৯১১ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:২৮377899
  • এলেবেলে, মাফ করবেন, নীরদ সি চৌধুরীর কোনো লেখাকে বিশ্বাসযোগ্য রেফারেন্স হিসেবে গ্রহণ করতে পারছি না। উনি বানিয়ে বানিয়ে লিখতেন। বলেছিলেন উনি আজাদ হিন্দ ফৌজের আইডিয়া সুভাষকে দিয়েছিলেন প্রথম। ঃ-)
    এক্ষেত্রে অর্জুন অভিষেকের দেওয়া রেফারেন্সগুলোকে নিচ্ছি। অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ও বন্ধুত্ব গীতাঞ্জলি টুর থেকেই। সেক্ষেত্রে ঐ কবিতা শোনাও সেইখানেই প্রথম। পরবর্তীকালে হয়ত অনুবাদে সহযোগিতা করেছিলেন। এইটাই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে। কারণ এর আগে রবীন্দ্রনাথের মতন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তাঁর চেনাপরিচিতি থাকলে সেটি কোথাও না কোথাও উল্লেখ থাকতই। রবীন্দ্রনাথ তখন ভারতে রীতিমতন বিশিষ্ট মানুষ।
    ধন্যবাদ অর্জুন অভিষেক। আর কোনো লেখার রেফারেন্স থাকলে একটু দেবেন। সবচেয়ে ভালো হয় অ্যান্ড্রুজের নিজের কোনো স্মৃতিচারণ থাকলে।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৩১377900
  • @Atoz, আমি নীরদ সি চৌধুরীকে অভ্রান্ত বলছি না কিন্তু খটকার কথা বলছি। কবিতাপাঠের যে বিবরণ অর্জুন অভিষেক দিয়েছেন সেই রেফারেন্স যদি নেন তবে সেই ব্যাপারটা নীরদ সি 'আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ'-এর প্রথম খণ্ডে আরও বিশদে লিখেছেন, পড়ে দেখতে পারেন। এবং সেটা অর্জুন অভিষেকের থেকে আলাদা নয়।

    আরও একটা ব্যাপার। পাণ্ডুলিপির প্রথম দিকে উনি হয় বাংলা মূল কবিতাটা আগে লিখেছেন নয় পরে। কিন্তু গোটা পাঁচ-ছয়েক কবিতার পর আর সেটা রক্ষিত হয়নি। এখন উনি এটা ইচ্ছা করেই করেছিলেন কিনা তা জানা নেই।

    আর মাফ চাইবেন কেন? আপনার যে রেফারেন্সটা বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হবে সেটাকেই গ্রহণ করবেন। আমি কেবলমাত্র একটা সম্ভাবনার ইঙ্গিত করেছি মাত্র।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৩৫377901
  • আরেকটা কথা। আপনি লিখেছেন 'অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ও বন্ধুত্ব গীতাঞ্জলি টুর থেকেই। সেক্ষেত্রে ঐ কবিতা শোনাও সেইখানেই প্রথম। পরবর্তীকালে হয়ত অনুবাদে সহযোগিতা করেছিলেন। এইটাই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে।' কালানুক্রমে কোথাও গণ্ডগোল হচ্ছে না? তিনি তো অনূদিত কবিতাই শুনেছিলেন, তাহলে অনুবাদে সহযোগিতা করবেন কখন?
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১৭377902
  • গীতাঞ্জলি না, হয়তো অন্য অনুবাদে, শান্তিনিকেতনে। পরবর্তীকালে। কিংবা আদৌ কোনোদিন হয়তো অনুবাদে সহায়তা করেন নি। অন্য কাজ করতেন।
    ( অ্যান্ড্রুজের এই অনুবাদ-সহায়তা ব্যাপারটাই তো পাওয়া যাচ্ছে নীরদচন্দ্র বাবুর গপ্পো থেকে, সত্যতা তার কতদূর? আর কারুর কোনো লেখায় অ্যান্ড্রুজের এই অনুবাদ-সহায়তার কথা পাওয়া যায় কি ? )
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.2 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৪০377903
  • নীরদ সি 'গপ্পো' লিখেছেন এটা মনে হচ্ছে কারণ আমরা সেই গপ্পোটাকে মন থেকে মেনে নিতে চাইছি না। অথচ এই টইতে অন্তত এটা মেনে নেওয়া হয়েছে যে গীতাঞ্জলির অনুবাদের খাতা ছিল দুটো, রবীন্দ্রনাথ প্রথম খাতাটিই রোদেনস্টাইনকে দিয়েছিলেন। এটা গপ্পো মনে হচ্ছে না কেন? এই রেফারেন্স নীরদ সি দেননি বলে? প্রথম খণ্ডে তিনি যখন কবিতাপাঠের বিবরণ দিচ্ছেন সেটাকেই বা গপ্পো মনে হচ্ছে না কেন? আমি তো বলেইছি এই বিষয়ে গভীর অভিনিবেশের দরকার আছে। সিদ্ধান্তে না পোঁছনোর আগে তাই কোনও রেফারেন্সকেই আমি অন্তত গপ্পো বলতে রাজি নই।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৫৮377904
  • এই দ্বিতীয় খাতার রহস্য টা কী?????
    রোদেনস্টাইনের বাড়িতে কবিতাপাঠের বিবরণ "গপ্পো" মনে হচ্ছে না, কারণ বহু লোকের লেখায় পাওয়া যাচ্ছে এটা।
    দেখুন, রোদেনস্টাইনভবনে দেখা হবার আগেই যদি অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় থাকত, একেবারে লেখা অনুবাদ করে দিচ্ছেন এই পর্যায়ের পরিচয়, তাহলে সেটা অন্যলোকের কাছে বিদিতও থাকত ( বেআইনী কিছু বা চুরিচামারি তো করছেন না, লেখা অনুবাদ করছেন। গোপণ করে রাখার তো কারণ নেই! )। অন্যদের লেখাতে না হলেও অন্ততঃ তাঁদের নিজেদের স্মৃতিচারণ ধরণের লেখায় উল্লেখ থাকাই স্বাভাবিক ছিল। সেরকম কিছু পাওয়া যায় কি?
    আর এমন হলে রোদেনস্টাইনকেই তো সবার আগে অ্যান্ড্রুজের বলার কথা ছিল, "আরে আরে এইসব অনুবাদে আমি আগেই সাহায্য করেছি। এখন আপনারা এমন সুন্দর আয়োজন করে এই যে কবিতাপাঠের ব্যব্স্থা করেছেন, খুবই আনন্দিত হচ্ছি। এতে আমারও কাঠবেড়ালির একমুঠো বালি আছে কিনা!"
    ঃ-)
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.7 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৩০377905
  • @ Atozএলেবেলে

    মূল আলোচনায় ফিরিয়ে আনার জন্যে আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.2 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৩৯377906
  • এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে!

    দ্বিতীয় খাতার রহস্য লুকিয়ে আছে সৌরীন্দ্র মিত্রের 'খ্যাতি অখ্যাতির নেপথ্যে' এবং প্রশান্তকুমার পালের 'রবিজীবনী' ৬ষ্ঠ খণ্ডে। এটাও যে খুব বেশি লোক বলেছেন তা নয়, গুরুতে অন্তত এই টইতে কেউ বলেননি। অথচ এটা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য রেফারেন্স।

    'কাঠবেড়ালির একমুঠো বালি আছে' কথাটা অ্যান্ড্রুজ বললে তো ল্যাঠা চুকেই যেত, বলেননি বলেই তো রহস্য! সেই রহস্যই তো ভেদ করতে হবে এবং তা করতে গিয়ে কোনও রেফারেন্সকেই আগেভাগেই হতচ্ছেদ্দা করা যাবে না!!
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.7 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৩377907
  • @এলেবেলে, নীরদ চৌধুরীর বেশ কিছু সমালোচনা খুব শার্প উন্নতমানের সন্দেহ নেই কিন্তু তার লেখায় ভীষণ 'আত্মশ্লাঘা' থাকত এবং তা থেকে একটা অদ্ভুত 'পরশ্রীকাতরতা' ফুটে উঠত। পরের দিকের লেখাগুলি embarrassing bad। ঐ আনন্দবাজারের সঙ্গে তার ২-৩ পুরুষের বন্ধুত্ব না থাকলে অসব কেউ ছাপত কিনা সন্দেহ।

    @ নীরদ চন্দ্র, 'আজাদ হিন্দ ফৌজের আইডিয়া সুভাষকে দিয়েছিলেন প্রথম' গুরুর 'ভাটে' এটা একবার লিখেছিলাম মনে পড়ছে। এই নিয়ে ওর আত্মীয় স্বজনরাই কাগজপত্রে হাসাহাসি করেছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.7 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৫377909
  • * embarrasingly bad
  • এল্বেলে | 230123.142.9001212.2 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৫০377910
  • আমি যে নীরদ সি-র খুব ভক্ত পাঠক তা আদৌ নই তবে পাল্টা রেফারেন্স দিয়ে তাঁর বক্তব্যকে উড়িয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য মজুত না হওয়া ইস্তক এ ব্যাপারে তাঁর মতকে উপেক্ষা করার পক্ষপাতী নই। আপাতত এইটুকুই।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.7 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০০377911
  • @এলেবেলে

    কালকের করা আমার একটা মেসেজ এখানে আবার দিলাম। এতে একটি বইয়ের নাম আছে।

    "এলেবেলে
    উল্লেখ করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের সত্তর তম জন্মদিনে বিখ্যাত 'ওল্দেন ঊক ওফ টগোরে এ যে ইয়েটস অনেক অনুরোধ, উপরোধ সত্ত্বেও কিছু লেখেননি, তার অনেক আগেই এন্ডরুজ, রবীন্দ্রনাথকে চিঠিতে ইংল্যান্ডের ইন্টেলেকচ্যুয়াল সাহিত্যিক সমাজের লোকজনদের নিয়ে সাবধান করেছিলেন। তিনি নিজে ইংরেজ তাই ওদেশের সমাজটা ভাল চিনতেন।

    রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী ও এন্ডরুজের পত্রাবলীর একটি সংকলন বেরিয়েছে।

    এছাড়াও আরেকটা খুব ইম্পরট্যান্ট বইয়ের নাম দিতে পারি লীলা গান্ধীর 'Affective Communities: Anticolonial thought, fin-de-siècle radicalism, and the politics of friendship'

    এই বইতে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী, এন্ডরুজ, অরবিন্দের জীবনের নানাদিক আলোচনার সঙ্গে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের cultural exchange এবং তার complex politicsনিয়ে খুব ভাল গবেষণা আছে। অরবিন্দের কিম্ভুতকিমার্কার অধ্যাত্ববাদ এবং সেটাকে ঘিরে যে একটা so called কূপমণ্ডূক আন্তর্জাতিক শিবির, সে সব আলোচনা আছে। লীলা গান্ধী জানিয়েছেন ফরাসী ও অরবিন্দের অধ্যাত্ববাদ সম্পূর্ণ পরস্পর বিরোধী হয়েও তারা কিভাবে নিজেদের spiritual collaborator দিয়েছিলেন সেই রহস্যেও আলোকপাত করার চেষ্টা করছেন। এই আশ্রমকে ঘিরে একটা neo colonisation র ব্যাপার ছিল। এই অধ্যাত্ববাদের ওপরের এক ঔপনিবেশিকতা কাজ করেছিল, এবং অরবিন্দকে ব্রিটিশের হাত থেকে রক্ষা করার ফ্রান্সের এক সুকৌশল Strategy।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.7 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৪377912
  • typos

    লীলা গান্ধী জানিয়েছেন ফরাসী Mirra Alfasa ও অরবিন্দের অধ্যাত্ববাদ সম্পূর্ণ পরস্পর বিরোধী হয়েও তারা কিভাবে নিজেদের spiritual collaborator আখ্যা দিয়েছিলেন সেই রহস্যেও আলোকপাত করার চেষ্টা করছেন।
  • : | 457812.254.9002312.248 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৮377913
  • অধ্যাত্ম, অধি আত্ম
  • i | 783412.157.89.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩১377914
  • অর্জুন অভিষেক রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিকথা অন দ্য এজেস অফ টাইমের রেফারেন্স দিয়েছেন- যার বঙ্গানুবাদ পিতৃস্মৃতি ( রথীন্দ্রনাথ এবং ক্ষিতীশ রায় কৃত)। রথীন্দ্রনাথ সেখানে রোদেনস্টাইনের বাড়িতে ১৯১২ র সেই সন্ধ্যার বিবরণ দেন-উপস্থিতজনের মধ্যে এজরা পাউন্ড ছিলেন, সি এফ এন্ড্রুজ ছিলেন। ইয়েটস অবৃত্তি করলেন-পরদিন থেকে অজস্র চিঠি-ইন্ডিয়া সোসাইটি গীতাঞ্জলির সংস্করণ বের করল-সেটি নিঃশেষ হয়ে গেল-এই সব রথীন্দ্রনাথের লেখাতেই আছে। সেখানেই সি এফ এন্ড্রুজের অনুভূতি উদ্ধৃত আছে-এন্ড্রুজ যেখানে স্পষ্ট লিখেছেন, এর আগে রবীন্দ্রনাথের অল্প কিছু কবিতা উনি পড়েছিলেন, কিন্তু ইয়েটসের কন্ঠে আবৃত্তি শোনার পরে ওঁর অভিজ্ঞতা যেন কীটসের প্রথম হোমার পড়ার অভিজ্ঞতা(চ্যাপম্যানের অনুবাদে)- 'Till I heard Chapman speak out loud and bold:
    Then felt I like some watcher of the skies
    When a new planet swims into his ken'।
  • i | 783412.157.89.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৩377915
  • অর্জুনের কাছে বইটি থাকলে কনফার্ম করতে পারবেন।
  • i | 783412.157.89.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৭377916
  • রথীন্দ্রনাথের লেখাতে পড়েছি- অনুবাদ রবীন্দ্রনাথেরি-শিলাইদহে বসে। বাংলা গীতাঞ্জলির অর্ধেক কবিতা + গীতিমাল্য + নৈবেদ্য+খেয়া+শিশু+কল্পনা+চৈতালী+অচলায়তন(?) এর গান ও কবিতা র অনুবাদ ছিল ইংরিজি গীতাঞ্জলি। সঠিক হিসেব ঐ বই তেই আছে।
    পান্ডুলিপ হারিয়ে যাওয়ার কথাও আছে-বিবরণ নাটকীয়তাবর্জিত।
    রথীন্দ্রনাথই দুটি পান্ডুলিপি হারিয়েছিলেন পাতালরেলে-ব্রিফকেসে ছিল দুটি পান্ডুলিপি-ইংরিজি গীতাঞ্জলি আর দি গার্ডেনার-ব্রিফকেস শুদ্ধ হারিয়েছিল- পান্ডুলিপি শুদ্ধ ব্যাগ পাওয়া গিয়েছিল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডের আফিসে।
  • i | 783412.157.89.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:৪১377917
  • এন্ড্রুজ আর রবীন্দ্রনাথের আলাপ, বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে লেখাপত্র অনেক আছে। এই মুহূর্তে আমার কিছু মনে পড়ছে না -আমি বিশেষজ্ঞও নই।
    নেটে এই মুহূর্তে একটা পেপার পেলাম- এন্ড্রুজের অনুবাদের ব্যাপারে আলোকপাত করবে -
    https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/00856401.2011.648908
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:২৩377918
  • রবীন্দ্রনাথকে নোবেল-এর জন্য একবার নোমিনেট করা হয়েছিল, ১৯১৩ সালে নোমিনেট করেন থমাস স্টার্জ মুর - উনি ছিলেন কবি, শিল্পী এবং রয়্যাল সোসাইটি অফ্‌ লিটারেচার ইংল্যান্ডের মেম্বার। সেবার ২৮ জনের নোমিনেশন জমা পড়ে। এবার দেখো, কবি ইয়েট্‌স্‌ কে মোট সাত বার নোবেলের জন্য নোমিনেট করা হয় (১৯০২, ১৯১৪, ১৯১৫, ১৯১৮, ১৯২১, ১৯২২, ১৯২৩) এবং শেষবার নোমিনেট করেছিল খোদ সুইডিশ অ্যাকাডেমি, সেবার উনি পুরস্কার পান। এদিকে ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের লেখা রোদেনস্টাইনরা পেলেন, পড়লেন, সবাইকে পড়ালেন, এবং তার এক বছরের মধ্যে নোবেল প্রাইজ।

    এই টাইমলাইন-টা ইন্টারেস্টিং... এবং এত দ্রুত নোমিনেশন নিয়ে অনেক কোঁচকানো ভ্রু...

    কলকাতা থেকে প্রকাশিত হত ইংরেজি পত্রিকা - দ্য মডার্ন রিভিউ - প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রামানন্দ চ্যাটার্জি। ঐ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের একটি লেখা পড়ে রোদেনস্টাইন একেবারে ইয়ে হয়ে যান, যাকে ঐ ফিদা হয়ে যাওয়া বলে আর কি। এমন লেখা আরও আছে কি না জানতে চেয়ে চিঠি পাঠান কলকাতায়। এর উত্তরে তিনি পোস্টে একটি বই পান - রবীন্দ্রনাথের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ - অনুবাদক অজিত চক্রবর্তী। এর পর রোদেনস্টাইনের সঙ্গে লন্ডনে ব্রজেন্দ্রলাল শীল-এর দেখা হয়, এবং ওরা রবীন্দ্রনাথকে লন্ডনে আসতে বলেন।

    ব্যস্‌, ২০১২ সালে তৃতীয় বারের জন্যে রবীন্দ্রনাথ চলে এলেন লন্ডনে, এসে রোদেনস্টাইনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ-এ ওকে একটা ইংরেজি কবিতার খাতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেলেন যে জাহাজে বসে অনুবাদ করেছেন। সেদিন সন্ধেবেলাই রোদেনস্তাইন সেই কবিতার বই পড়লেন, কয়েকজনকে শোনালেনও। প্রথমেই খবর পাঠালেন ইয়েট্‌স্‌ কে। তিনিও ইয়ে, মানে মুগ্ধ। কবির ১০৩টি কবিতার ইংরেজি সংকলনের ভূমিকা লিখে দিলেন ইয়েট্‌স্‌। এক বছরের মধ্যে সেই বই ১৩ বার প্রিন্ট করা হল। এখন প্রত্যেক প্রিন্টের ভল্যুম যাই হোক, কিন্তু কোনো নতুন অজানা কবির সব বই ছাপার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে এক গুরুতর ব্যাপার। রোদেনস্টাইন, ইয়েট্‌স্‌, এজরা পাউন্ড - এনারা তো যাকে পাচ্ছেন তাকেই পড়তে বলছেন। এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ আমেরিকা ঘুরে গেলেন, হার্ভার্ডে কাঁপাকাঁপি লেকচার দিয়ে গেলেন। ব্যস্‌, পটভূমি তৈরি।

    কিন্তু, কেন এমন তাড়াহুড়ো করে নোমিনেশন জমা পড়ল। আরো কিছু অনুবাদ করে, আরো কিছু লেখা পড়ে কয়েক বছর বাদে নোমিনেট করলে হত না? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:৩৫377920
  • একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, প্রাক্তন নোবেল জয়ী হিসেবে অন্য কাউকে নোমিনেট করা যায়। রবীন্দ্রনাথ একবারই একজনকে নোমিনেট করেছিলেন - জেম্‌স্‌ হেনরি কাজিন্‌স্‌ (James Henry Cousins)-কে , ১৯৩৫ সালে। কাজিন্‌স্‌ ছিলেন আইরিশ কবি, লেখক, শিল্পী এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধুস্থানীয়। তিনি শেষ যৌবনে ভারতবর্ষে চলে এসেছিলেন, এবং এখানেই থেকে যান।
  • sm | 2345.110.894512.222 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১২377921
  • কিন্তু ২০১২ সালে রবি বাবু কে লন্ডনে পাঠানো কি উচিত হলো
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:২৪377922
  • আমি বেশি সাহিত্য টাহিত্য পাড়িনি। তবু যেটুকু পড়েছি, তাতে রবি ঠাকুরের লেখায় একটা পাশ্চাত্য স্টাইল আছে বলে মনে হয়েছে অনেক পরে যখন পস্চীমের কালচারের সঙ্গে একটু জানাশোনা হলাম। এখন এ জিনিস তো বোঝানো মুশকিল। উনার অনেক লেখায় রোমান্টিসিজম, সাটলিটি, ম্যানারিজম, ক্যারেক্টার বিল্ডাপ ইত্যাদির মধ্যে ইয়োরোপিয়ান ধাঁচ আছে, যেটা হয়তো ওদের ভালো লেগেছিলো বা উনারা তাড়াতাড়ি ক্যাচ করেছিলেন। সেটা অন্য লেখকদের ক্ষেত্রে হওয়া মুশকিল ছিলো, ফলে হয়ওনি।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৪১377923
  • আলোচনা এত সুন্দর জমে উঠেছে দেখে খুব ভাল লাগছে।

    @ICM একটা ছোট সংশোধন, ২০১২ নয়, ওটা ১৯১২ হবে

    @I On the edges of time বইটি ১৯৯৬ র পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনের 'সুবর্ণরেখা' থেকে কেনা। আমি তখন ক্লাস টেনে। তখন বাড়ি থাকার দরুন প্রতি বছরই প্রায় যাওয়া হত। বইটির অবস্থা এখন একদম পাতুরি। পাতা ওলটালে ছিড়ে যাচ্ছে।

    বিশ্বভারতীর বই বহুবছর কিনিনা। এখন কি ওটা আর প্রকাশিত হয়? 'পিতৃস্মৃতি' পাওয়া যায়না।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৪৯377924
  • বোঝো! হ্যাঁ ১৯১২ হবে ঃ-)
  • sm | 2345.110.125612.250 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০১377925
  • S এর সঙ্গে একমত নই।আমরা যারা সাধারণ সিনেমা দর্শক তারা তো হুলিয়ে হলিউড দেখি। আমাদের সমাজ সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ না খেলেও দেখি। কারণ ভালো লাগে।ওনারাও পথের পাঁচালি দেখেন।
    যারা একটু বিধগ্ধ সিনেমা প্রেমী, তারা স্প্যানিশ, জাপানিজ, ল্যাটিন আমেরিকান মুভি, হুমড়ে পরে দেখে।কারণ তাঁদের বোধ শক্তি আরো জোরালো।
    সুতরাং পাশ্চাত্যে -যাঁরা কবি, সাহিত্যিক বা গুনীমহল তাঁরা প্রাচ্য কবি বা সাহিত্যিক এর লেখা আত্মস্থ করতে পারবে না, এমন টা নয়।
    শেকসপিয়ার চিরকালীন ও বিশ্ব কবি। কারণ এনার লেখা মূলত হিউম্যান ভ্যালুজ এর ওপর।এখানে ক্যারেকটাররা গৌণ।
    কালিদাসের রচনা ও চিরকালীন।
    এদের বুঝতে সমঝদার লোকের অসুবিধে হয় না।
    বিভূতিভষণ বা শরৎচন্দ্র বুঝতেও পাশ্চাত্য গুণী সমাজের অসুবিধে হতো না, যদি সঠিক অনুবাদ ও পরিবেশনা থাকতো।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০৯377926
  • ১৯১৩ সালে আমেরিকায় প্রথম ট্রিপে রবীন্দ্রনাথ আসেন ইলিনয়-তে আর্বানা-তে, ছেলে আর জামাই-কে নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল, পুত্র এবং জামাতা মার্কিন কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে পড়াশোনা করে জ্ঞানার্জন করবে, আর সেই জ্ঞান নিয়ে গিয়ে বোলপুরে অ্যাপ্লাই করে নতুন পদ্ধতিতে চাষবাস করবেন। জামাই খুব বেয়াড়া টাইপের লোক ছিলেন, তার এসব শেখায় খুব মতিগতি ছিল না। যাই হোক, সেটা এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়।
    তো এই আর্বানা থেকে থেকে রবীন্দ্রনাথ এজরা পাউন্ড-কে একটি চিঠি লেখেন, নিজের ইংরেজি নিয়ে
    - -
    508, W High Street, Urbana, Illinois [USA]
    5 January, 1913

    Dear Mr Ezra Pound
    I send you the recent translations that I made here. I am not at all strong in my English grammar - please do not hesitate to make corrections when necessary. Then again I do not know the exact value of your English words. Some of them may have their souls worn out by constant use and some others may not have acquired their souls yet. So in my use of words there must be lack of proportion and appropriateness perhaps, that also could be amended by friendly hands.

    Yours very sincerely
    Rabindranath Tagore

    এই চিঠিটা "The Life of Ezra Pound" বইতে আছে বলছে। ফুটনোটে আরও বলছে যে লেখাটি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলছেন সেটি খুব সম্ভবত পরে The Gardener বইতে বেরিয়েছিল।
  • i | 783412.157.89.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:১১377927
  • অর্জুন অভিষেক,
    আমি ছোটো আই। মানে i । I আরেক জন ।
    যাই হোক, পিতৃস্মৃতি পাওয়া যায় না জানতাম না।কলকাতার বাড়িতে বইটি-তাই কোট করতে পারছি না সরাসরি। এজেস অফ তাইম এখন পাঔয়া যায় কি না জানি না। তবে এন্ড্রুজের মুগ্ধতামিশ্রিত ঐ চিঠি অন্যত্রও পড়েছি-যদি খুঁজে পাই তো এখানে লিখে দেব। আজকাল নেটে অনেক কিছুই পাওয়া যায়-হাতের কাছে বইটি না থাকলেও চলে। দেখব।

    এল সি এম,
    রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে আমাদের নিত্যপ্রিয় ঘোষের নানা থিওরি পড়েছিলাম। আরো যেন কার।প্রশান্তকুমার পাল এর উত্ত্রও দিয়েছিলেন।
    এখন আপনার পোস্ট পড়ে নেট হাতড়ে প্রশান্ত কুমার পালের এক পুরাতন ইন্টারভিউ পেলাম তার লিংকঃ
    http://prasantakumarpaul.com/wp/interview/
    যেখানে প্রশান্তকে প্রশ্ন করা হয়ঃ

    রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ পাওয়া নিয়ে তো কিছুকাল আগে পর্যন্ত আমরা নানান বিতর্কিত মতামত শুনেছি। বিদেশের অ্যালেক্স অ্যারনসন আর আমাদের নিত্যপ্রিয় ঘোষ মনে করেন রবীন্দ্রনাথ নোবেল প্রাইজ পাবার জন্য সুইডিশ রাজকুমারকে বশ করে তাঁর প্রভাব খাটাতে চেয়েছেন। আপনার কি ধারণা এই বিষয়ে ?

    প্রশান্তর উত্তরঃ
    নোবেল প্রাইজ পাবার জন্য রবীন্দ্রনাথ আদৌ কোন প্রভাব খাটাননি। এই নিয়ে বিশদে অনেক কিছু বলা যায়। সংক্ষেপে ব্যাপারটা এইরকম। গ্রেট ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচারের সদস্য হিসেবে টমাস স্টার্জ মূর রবীন্দ্রনাথকে নোবেল প্রাইজ দেবার সুপারিশ করে সুইডিশ অ্যাকাডেমির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। সেই সংক্ষিপ্ততম প্রস্তাবে রবীন্দ্রনাথের রচনা ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে একটি শব্দও ছিল না, তবু সম্ভবত প্রস্তাবটির অভিনবত্বের কারণেই এটি সুইডিশ অ্যাকাদেমির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ওই বছরে অর্থাৎ ১৯১৩ সালে পুরস্কারের জন্য সর্বমোট ২৮ জনের নাম প্রস্তাবিত হয়েছিল। নোবেল কমিটির সদস্য অ্যাকাডেমিনিশয়ান পের হ্যালস্ট্রম-এর ওপর দায়িত্ব পড়ে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত প্রস্তাবটির গ্রহনযোগ্যতা বিচার করে একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। হ্যালস্ট্রমের মতে গ্যেটের পরে রবীন্দ্রনাথের মত বড় মাপের কবি সারা ইউরোপের কোথাও জন্মাননি। কিন্তু হল্যাস্ট্রমের এই সপ্রশংস প্রতিবেদন নোবেল কমিটির সভাপতি হারাল্ড হেয়ার্ণের মন গলাতে পারেনি। তাঁর সভাপতিত্বে গঠিত নোবেল কমিটিতে পুরস্কারের জন্য রবীন্দ্রনাথের নামে অনুমোদিত হয়নি।

    নিয়ম এই যে, নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের প্রাপক নির্বাচনের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমির আঠারো জন আজীবন সদস্য মনোনীত হন। কোন একজনের মৃত্যু ঘটলে তাঁর জায়গায় আর-একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ১৯১৩ সালে সুইডিশ অকাডেমিতে এমন একজন ছিলেন যিনি বাংলা জানতেন। তিনি হলেন বৃদ্ধ প্রাচ্যবিদ এসাইয়াস হেনরিক ভিল্‌হেম্‌ টেগনার। কিন্তু তিনিও কমিটির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিশপ, সরকারি কর্মচারি, লেখক প্রভৃতি নিয়ে গঠিত সুইডিশ অকাদেমির বিবেচনার্থে যখন নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তটি পেশ করা হল, তখন রবীন্দ্রনাথের সমর্থনে এগিয়ে এলেন সুইডেনের সমসাময়িক শ্রেষ্ঠ কবি কার্ল গুস্তাফ ভার্নার ভন হাইডেনস্ট্যাম। ইনি রবীন্দ্রনাথের ইংরাজি গীতাঞ্জলী ও তার সুইডিশ অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হন। তিনি রবীন্দ্রনাথের পক্ষ সমর্থন করে অকাদেমির সদস্যদের উদ্দেশ্য একটি অসাধারণ লেখা পাঠান যার মধ্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি আমাকে দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র আনন্দ দিয়েছে। মনে হয়েছে স্বচ্ছ ঝর্ণার পবিত্র টাটকা জল পান করছি। হাইডেনস্ট্যাম-এর লেখাও পের হ্যালস্ট্রমের প্রতিবেদন অকাডেমির সদস্যদের প্রভাবিত করে। এর ফলে দেখা যায় পুরস্কার প্রাপক নির্বাচনের জন্য যে তেরোজন ভোট দিয়েছেন, তার মধ্যে বারো জন দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথকে। এটা নিশ্চিত বলা যায়, পুরস্কার পাবার আগে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সুইদিশ কবি হাইডেনস্ট্যামের কোন যোগাযোগ হয়নি।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:১৫377928
  • আমরা কটা হলিউড সিনেমা দেখি? আর ওরা কটা ভারতীয় বা প্রাচ্যের সিনেমা দেখে? হলিউডেও আজ খুব খুব কম লোক পাওয়া যাবে যাঁরা সত্যজিত রায়ের কাজ দেখেছেন। আমাদের জীবনে পস্চিমের যে পরিমাণ প্রভাব, উল্টোটা তার এক অংশও নয়। আমরা ছোটোবেলা থেকেই নিয়মিত পস্চিমের গল্প পড়ছি অনুবাদে বা ইংরাজীতেই। অন্য দেশে কজন ভারতীয় সাহিত্য পড়ে? পস্চিমের বড় আঁতেলেরও থট প্রসেস প্রচন্ড অ্যালাইন্ড টু পাস্চাত্য ফিলজফি। তাই যতক্ষণ না সিনেমা-সাহিত্য ওদের মতন হচ্ছে ততক্ষণ ওরা নিতে পারেন না, আত্মস্থ হওয়া তো অনেক দুরের কথা। এটা এতোদিন এদের মধ্যে থেকে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:১৯377929
  • থ্যাংকু ছোটাই। এই লেখাটা আমি পড়েছিলাম। হ্যালস্ট্রমের ঐ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গ্যেটের তুলনার কথায় মনে পড়ল।
  • sm | 2345.110.015612.207 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৩৩377931
  • ঠিক তাই নয়। যারা সমঝদার তাঁরা ঠিকই দেখে। এতো যে কান, বার্লিন, প্যারিস চলচ্চিত্র উৎসব হয়; এতো দেশের এতো ভাষার বই হয়, সেগুলো ক্রিটিকরা দেখেন না বলছেন?
    তাহলে,সত্যজিৎ, মৃণাল সেন,তপন সিনহা, গোপালকৃষ্ণ এরা পুরষ্কার পায় কি করে?
    এই টই টাও ফলো করে দেখুন, রবীন্দ্রনাথ কে অনুবাদের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের গুণীলোকজনের কাছে পৌঁছতে হয়েছে।
    একবার পৌঁছানোর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
    আদতে নোবেল প্রাইজ তো আর গণভোটের মাধ্যমে হয় না। কিছু গুণী লোক রেকমেন্ড করলে তবেই মেলে।
    সত্যেনদ্রনাথ বসু কেও আইনস্টাইন রেকমেন্ড করেছিল বলেই,পরিচিতি পেয়েছিলেন।
    নোবেল পাওয়া বিরাট কিছু ব্যাপার ছিলো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন