এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ কি আসলেই বিশ্বকবি না পশ্চিমবঙ্গের কবি ???

    এস ইসলাম লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৯৪৭১ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৫০377932
  • On the edges of time থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি যা থেকে রবীন্দ্রনাথের 'গীতাঞ্জলী'র ইংরেজি অনুবাদ ও ১৯১২ তে তার ইংল্যান্ড সফর সম্পর্কে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে আসে।

    রবীন্দ্রনাথের ইংল্যান্ডে যাবার উদ্দেশ্য ঠিক ছিল? ইংল্যান্ডেের সাহিত্যিক মহলে তার ইংরেজি অনুবাদ শোনানো না স্বাস্থ্যদ্ধার? পুত্র রথীন্দ্রনাথের লেখা অনুযায়ী মনে হচ্ছে প্রথমে উদ্দেশ্য ছিল 'স্বাস্থ্যদ্ধার', কিন্তু পরে বোধহয় এক ঢিলে দুই পাখি।

    রথীন্দ্রনাথ লিখছেন

    'Doctors and friends prevailed upon him to take a long sea-voyage and visit Europe for treatment and an operation, if necessary.

    রবীন্দ্রনাথ বোম্বাই থেকে পুত্র, পুত্রবধূ ও শান্তিনিকেতনের স্কুলের এক ত্রিপুরী ছাত্রকে নিয়ে জাহাজে ওঠেন ২৭ মে ১৯১২। যাবার প্রথম পরিকল্পনা কিন্তু হয়েছিল তার প্রায় তিনমাস আগে (মাস ও তারিখ উল্লেখ নেই) এবং জাহাজের সেই টিকিট রিসার্ভ করা হয় কলকাতা থেকে। ঘটনাচক্রে শরীরের জন্যে সেই যাত্রা বাতিল করতে হয়।

    রথীন্দ্রনাথের স্মৃতি অনুযায়ী 'Passages were obtained on a boat sailing from Calcutta to London. The evening before the boat sailed there was a party at Sir Ashutosh Chaudhuri's palatial residence, where a performance of father's operatic play Balmiki Pratibha was given. Preparations had been going on for a long time and Dinendranath had been chosen to play the part of Balmiki. Father of course had to be present. We came back late night. Instead of going to bed father sat down to write letters for the remainder of the night. In the early hours of the morning we found him to our dismay on the verge of collapse. Doctors had to be hurriedly summoned. All our luggage had been sent on to the boat the previous evening. A big crowd of friends had gathered at the Chandpal Ghat jetty to see him off. Their surprise could well be imagined when the boat left with our belongings but the owners were not to be seen.

    না, সে যাত্রায় যাওয়া হয়নি রবীন্দ্রনাথের। চিকিৎসকেরা তাকে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বলেন। চিকিৎসকদের অ্যাডভাইস তার একেবারে মনঃপুত ছিলনা এবং তিনি বিলেত যাত্রার জেদ ধরে রেখেছিলেন কিন্তু শরীর বাঁধ সাধল।

    এই যাত্রায় রথীন্দ্রনাথ আশ্চর্যভাবে 'গীতাঞ্জলী' র নামোল্লেখ পর্যন্ত করেননি।

    এর পরে

    'After his serious illness the doctors insisted that father should take a complete rest and try to improve his health before undertaking the journey to Europe. Father could think of no better place for recouping his health and spirit than Shelidah- his favorite retreat of earlier years. As he was forbidden any strenuous intellectual work, he thought it would be enjoyable to occupy his time by trying to translate some of his poems into English.'

    তার মানে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রায় 'গীতাঞ্জলী' প্রাসঙ্গিকই ছিল না? অর্থাৎ শরীরের জন্যে যাত্রা পণ্ড না হলে এই অনুবাদের কাজে তিনি বসতেন না?
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০১377933
  • এদিকে রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি অনুবাদ/লেখা যত জনপ্রিয় হতে থাকল, নিজের ইংরেজি নিয়ে কবির সংকোচ বাড়তে থাকে। একদিকে এজরা পাউন্ড তার লেখা দেখে দিচ্ছেন, রোদেনস্টাইন এবং ইয়েট্‌স্‌-ও তার লেখা এডিট করছেন, কখনও কবি নিজে লিখে প্রকাশনায় পাঠাচ্ছেন। শিকাগো থেকে প্রকাশিত "Poetry" পত্রিকায় ১৯১৩ সালের জুন মাসের সংখ্যায় কবির ১৪টি কবিতা ছাপা হয়, ওনারা খুব বিশেষ করে অনুরোধ করেছিলেন প্রেমের কবিতা পাঠানোর জন্য।

    এই নিয়ে কনফিউশন এড়ানোর জন্য, তিনি রোদেনস্টাইনকে লিখছেন ওই আর্বানা থেকে -

    13 January, 1913

    My Dear Friend,
    I send you some more of my translations of which Nos 6, 7, 8, 9 and 13 have been sent to Poetry in Chiacgo for publication. They specially requested me to send them some of my love lyrics and made me translate these from my earlier writings. I hope these will be enough for this paper and Mr Ezra Pound need not supply them with more of my things.
    ...

    জানুয়ারি মাসের ইলিনয়, মিড-ওয়েস্টের প্রবল বরফে ঠান্ডায় কবি কাবু, একটা কাগজ নোটারি করাবার কথা কিন্তু যেতে পারছেন না -- লিখছেন - -
    ...
    Last week after a heavy fall of rain at night the roads become coated with ice and they have become quite impassable for me. Even for those who are accustomed to such things walking is not altogether safe on these roads. So I have been keeping indoors last few days....
    But I have got to sign a document before the notary public empowering Mr Fox Strangways to negotiate with Messrs Macmillan on my behalf.
    ...
    *আর্থার ফক্স স্ট্র্যাঙ্গওয়েজ ছিলেন এক রবীন্দ্র-অনুরাগী, এবং ইনি ম্যাকমিলান কোম্পানীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রকাশ করানোর তোড়জোর করছিলেন।

    তুষারঝড়ে ঘরে আটক হয়ে, বোর হয়ে গিয়ে কয়েকদিন পরে নিজেই বেরিয়ে চেষ্টা করলেন নোটারি অফিস অবধি যাবার, কিন্তু পথে এক প্রবল আছাড় খেলেন ( যিনি খেয়েছেন তিনি জানেন সে কি জিনিস), তার কথা লিখছেন চিঠিতে - -
    ...
    His office is not nearby, cabs and motor cars are not available and I must take care of my limb with which I have to sign.... Day or two ago I did make a sortie but I am sorry to day the progress I mad was not considerable and the fall I had was hardly dignified for a man of my age. Fortunately there was only one other pedestrian in the street and he was not in a mood to enjoy the misfortune of a fellow being, being himself anxiously concerned about his own safety.
    I had the curiosity to try the forbidden path, ate the fruit of knowledge and had the fall. But Satan has not left off tempting me and it is urging me that with better caution I am sure to evade consequences. But from the little experience I had I could see that caution is hardly a help on a slippery path, where dashing recklessness is a much better guide. Unfortunately caution is within one's means but recklessness is a divine gift to be had for the asking. So I will have to wait till the ice melts...

    নিজের কবিতার ইংরেজি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সংশয় থাকলেও, ওনার এই বরফে আছাড় খাবার সামান্য বিবরণও এত জীবন্ত এবং প্রাণরসে ভরপুর।

    তাঁর ইংরেজ অনুরাগীদের মধ্যে তাঁর লেখার ঠিকঠাক অনুবাদ হচ্ছে কি না তাই নিয়ে রীতিমত সংশয় শুরু হয়, অ্যান্ড্রুজ-রোদেনস্টাইন-ইয়েট্‌স্‌-পাউন্ড এদের মধ্যে কনফিউশন বাড়তে থাকে, কবিকে না জানিয়েই তার লেখার ছোটোখাটো এডিট হতে থাকে, শেষে ইয়েট্‌স্‌ বলেন, যে অরিজিন্যাল লেখাই থাক -
    ...
    Yeats write direct to Tagore to have the text restored to its original form in time for the forthcoming Macmillan edition. "The Amateur is never to be trusted", said Yeats sternly.
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০৬377934
  • অর্জুন,
    ঠিক কোশ্চেন করেছ - গীতাঞ্জলি লেখার আইডিয়াটা দেশ ছাড়ার পরে এসেছিল না?
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০৭377935
  • *Contd (Rেফেরেে ফ্রোম ন থে দ্গেস ওফ time

    এর পরে আরেকজনের নাম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে।

    'The immediate incentive, if I remember aright came from encouraging remarks made by Ramsay MacDonald, to whom during his visit to Shantiniketan a few months earlier, translations of a few stray writings that had appeared in the Modern Review were shown by Ajit Kumar Chakravarty- then a teacher at Santiniketan. Previous to this Ananda K. Coomaraswamy and Jagadish Chandra Bose had also encouraged father to have his works translated into English.

    এটা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে। র‍্যামসে সাহেব এর পূর্বে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন এবং অজিত কুমার চক্রবর্তীর করা রবীন্দ্রনাথের কাব্যানুবাদ পড়ে গেছেন।

    মে মাসে বিলেত গেলেন। তার আগে তিনমাস আগে পরিকল্পনা অনুযায়ী যাওয়া শরীরের জন্যে ভেস্তে গেল। মোটামুটি জাহাজে উঠে নেমে পড়ার মত। মাল চলে গেল কিন্তু যাত্রীদের যাওয়া হলনা।

    চিকিৎসকের বিশ্রাম নেবার পরামর্শে তার অতি প্রিয় শিলাইদহে যাওয়া মনস্থ হল। কিন্তু শিলাইদহে যাবার আগে কি আরেকবার শান্তিনিকেতন গেছিলেন রবি বাবু?

    রথীন ঠাকুরের কথা মত এই 'few months earlier' টা আসলে কখন।

    আবার আনন্দ কুমারস্বামীর মত বিদগ্ধ মানুষের সঙ্গেও তার অনুবাদ নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে।

    আমি এর আগে একটা কমেটে উল্লেখ করেছিলাম 'কাব্য-পরিক্রমা' অজিতকুমার চক্রবর্তীর জীবনীর কথা। এই অনুবাদ ইতিহাসের ব্যাপারে সেই বইটিও গুরুত্বপূর্ণ। (শান্তিনিকেতন অজিত চক্রবর্তীকে ভুলে গেছে বহুকাল। ওর কন্যা অমিতা ঠাকুর এক গবেষককে দিয়ে বাবার জীবনী লিখিয়েছিলেন)।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০৮377936
  • typos

    *continued from 'On the Edges of time' হবে
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১৭377937
  • @ICM

    অনুবাদের পরিকল্পনা দেশ ছাড়ার পরে নয়। দেশে থাকতেই তবে প্রথমবার যাত্রা ক্যানসেল হবার পরে। রথীন্দ্রনাথের বর্ণনা অনুযায়ী 'few months এর মধ্যেই major কিছু decision হয় এবং যার সঙ্গে বেশ অনেক influential কিছু মানুষ যুক্ত।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:২৩377938
  • হ্যাঁ, অনুবাদের কথাই বলছি। লিখতে থাকো। বাকীরাও লিখুন।
  • : | 457812.254.892312.246 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩৩377939
  • স্বাস্থ্যদ্ধার না,
    স্বাস্থ্যোদ্ধার?
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩৪377940
  • শিলাইদহে গিয়ে বিশ্রাম নেবার সাথে সাথে অনুবাদের কাজ চলল। সেটাই কিন্তু তার শেষ শিলাইদহ যাওয়া।

    'Father was very glad to have the opportunity of returning to Shelidah. At the time he did not, of course, realise that this would be practically his last visit.'

    এখানে আরেকটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

    গীতাঞ্জলীর জন্যে কবিতা চয়নের ক্ষেত্রে এক অনামা বৈষ্ণবীর কথা উঠে আসছে।

    এখন মনে হচ্ছে তার মত 'কাব্যে উপেক্ষিতা' আর বোধ হয়না। (গায়ে কাঁটা দিচ্ছে)

    'He would pass the whole day in the tiny study perched on the roof of the house from where he had an uninterrupted view on one side of field after field of mustard in blossom shining like molten gold and filing the air with its sweet fragrance and on the other side of vast stretches of sand-banks with the silvery water of the majestic Padma now shrunken into a thin streak. There was no one to disturb the quiet of such peaceful pastoral surroundings except an occasional visit from a Vaishnavi whom he has immortalized in 'Sadhana' and other writings. The ease with this illiterate woman talked about philosophy and religion and her simple and devout faith mover father deeply.

    এর পরে

    'This return to the haunt of the best years of his creative life and the pleasant langour of convalescence stimulated by his conversations with the Vaishnavi must have had something to do with the selection of the poems and also with the manner of rendering them into English.

    'The English version of Gitanjali is not,as many suppose it is, a poem for poem translation of the original Bengali book of that time. The translation draws upon ten different books although about half the poems are from the Bengali Gitanjali itself.
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩৭377942
  • @Icm আমি বানানে বিদ্যাসাগর। এ ব্যাপারে আগে থেকেই মাপ চেয়ে নিচ্ছি। :-)
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৪৯377943
  • অর্জুন,
    ওটা আমি না, ওটা কোলন(:) লিখেছে ।
    আমি বানান অত জানি না, আর বানান নিয়ে তেমন ছুৎমার্গ নেই :-) বুঝতে পারলেই হল ।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৫১377944
  • গীতাঞ্জলীর সাফল্যের ব্যাপারে রথীন্দ্রনাথের মন্তব্য

    'It was the utter simplicity of the language in the English translation subtle in its artlessness which, I believe moved Yeats so strongly. I have a feeling that the English translation reflects in some strange way the spirit of those days that he spent at Shelidah. It is as though the poems were reborn in another garb; they were not mere translations.?

    এখানে লক্ষ করতে হবে ১৯৫৮ সালে রথীন্দ্রনাথ On the edges of time লিখছেন, গীতাঞ্জলী অধ্যায়ের ৪৫-৪৬ বছর বাদে, তখনও 'moved Yeats so strongly' লিখছেন। আর কারো নাম নয়।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.11 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৫৩377945
  • @Icm বানান একটি অত্যন্ত ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার। ইংরেজি বানান ভুল লিখলে মাইক্রসফট ওয়ার্ডও ছেড়ে দেয় না। বানান সংশোধন করলে আমি উপকৃত হব।

    আপাতত এই অবদি, বাকীটা পরে।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৮377946
  • এখানে কয়েকটা কথা বলা দরকার।

    রোদেনস্টাইনের কথা ধরা যাক। উনি একজন পেইন্টার। ১৯১০ সালে ভারতে আসেন ভারতীয় পেইন্টিং সম্বন্ধে সম্যক ধারনা অর্জনের আশায়। সেই সময় ইনি জোড়াসাঁকোতেও আসেন, তবে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নয়, তার দুই চিত্রশিল্পী ভাইপোর সঙ্গে দেখা করতে। সেই সময় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আলাপও হয়, তাঁর কয়েকটি স্কেচও আঁকেন, কিন্তু তাঁর কাব্যপ্রতিভা সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না, কেউ তাকে বলেও নি। এর পরে ১৯১২ সালে বিলাতে তিনি যখন দ্য মডার্ন রিভিউ-তে রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়েন, তখন হয়ত অবাক হন এই ভেবে যে - ইনি ছিলেন আমার পেইন্টিং-এর সাবজেক্ট অথচ একবারের জন্যেও বুঝতে পারি নি ইনি একজন এত প্রতিভাবান কবি/লেখক। সেই থেকে ওঁর সঙ্গে দেখা করার বাসনা প্রবল হয়ে ওঠে।

    আর্থার ফক্স স্ট্র্যাঙ্গওয়েজ ছিলেন একজন সঙ্গীত বিশারদ, বিশেষ করে ভারতীয় রাগ সঙ্গীতে, এর লেখা The Music of Hindostan বইটি ছিল সে যুগে উত্তর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ওপর এক অনবদ্য ইংরেজি বই, অভিধান বলা যেতে পারে। উনি রবীন্দ্রনাথের এক্জন একান্ত অনুরাগী হয়ে ওঠেন এবং উদ্যম নেন বই প্রকাশ করার জন্য। উনি রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে ওঁর সঙ্গীত সাধনা ও প্রতিভার আঁচও পেয়েছিলেন আশা করা যেতেই পারে।

    অ্যান্ড্রুজ ছিলেন কেম্ব্রিজ গ্র্যজুয়েট এবং কেম্ব্রিজ মিশনারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই কাজেই দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে আসেন ১৯০৪ সালে। ভারতীয় দর্শন এবং ধর্ম নিয়ে ওর গভীর আগ্রহ ছিল। লন্ডনে রোদেনস্টাইনের কবিতা পাঠের আসরে রবীন্দ্রনাথকে প্রথম দেখেন আর ওর কবিতা শোনেন, সেই থেকে ফ্যান হয়ে যান।

    সুতরাং, এঁরা প্রাচ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। মানে হঠাৎ একদিন রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়লেন আর সঙ্গে সঙ্গে সম্মোহিত হয়ে গেলেন অতটা আকস্মিক হয়ত নয়। বরং, ইয়েট্‌স্‌-কে বলা যেতে পারে, ইনি প্রথম রবীন্দ্রনাথ বা ভারতের কোনো কবির লেখা পড়ে অভিভূত হয়ে পড়েন। হয়ত সেই জন্যেই ইয়েট্‌স্‌-এর অবদানকে একটু অন্যভাবে ধরা হয়।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.17 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:২১377947
  • এত দূর দূর ছাই ছাই-এর পরেও এই কারণে গুরুতে আসি, মুগ্ধতা বাড়ে। এখানে অনেকেই অংশ নিয়েছেন বিশেষত @i এবং @lcm অতি মনোজ্ঞ আলোচনা করছেন। প্রত্যেককে অজস্র ধন্যবাদ। আপনাদের সবাইকে আমার কয়েকটা কথা।

    @i, আপনি লিখেছেন 'রথীন্দ্রনাথের লেখাতে পড়েছি- অনুবাদ রবীন্দ্রনাথেরি-শিলাইদহে বসে।' রথীন্দ্রনাথের পর অনেক সময় পেরিয়ে এসেছি আমরা সকলেই। আমার জানা এই যে ১৯১২র ১৯ মার্চ লন্ডন রওনা হওয়ার আগের দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্রামের জন্য চলে যান শিলাইদহ এবং শুরু করেন নিজেরই কিছু গান ও কবিতার অনুবাদ। ওই বছরেই ২৪মে যখন রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীকে নিয়ে ইংল্যান্ডে রওনা হন তখন যে নোটবুকে অনুবাদ শুরু করেছিলেন তা তাঁর সঙ্গে ছিল। সমুদ্রযাত্রাকালে খাতাটি শেষ হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় একটি খাতায় তিনি অনুবাদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন যদিও রোদেনস্টাইনকে প্রথম খাতাটিই দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় খাতাটি ছিল তাঁর নিজের কাছেই যা ইংল্যান্ড বাসকালে ও পরে আমেরিকা সফরকালে নতুন অনুবাদে ভরে উঠতে থাকে। এটা কি ভুল? শিলাইদহে তো উনি সব অনুবাদ করেননি।

    আরেকটা ব্যাপারে আপনার সম্ভবত হাতের কাছে গীতাঞ্জলি না থাকায় ভুল হয়েছে কারণ আপনি লিখেছেন অনূদিত গীতাঞ্জলিতে ছিল 'বাংলা গীতাঞ্জলির অর্ধেক কবিতা'। আসলে বাংলা গীতাঞ্জলির ১৫৭টি কবিতার মাত্র ৫৩টি অনুবাদ গৃহীত হয়েছিল।

    আমি একদমই টেক স্যাভি নই তাই আপনার দেওয়া লিঙ্ক https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/00856401.2011.648908 আমি খুলে পড়তে পারিনি। অনুগ্রহ করে আরেকবার দেবেন যাতে আমার মতো আনাড়িরা তা সহজে পড়তে পারে?

    @lcm, এজরা পাউন্ডের রবীন্দ্রনাথের প্রতি মুগ্ধতা তো প্রায় বছর দুয়েকের মধ্যেই কেটে গিয়েছিল, এমনকী ইয়েটসও রোদেনস্টাইনকে লিখেছিলেন, "Damn Tagore. We got out three good books, Sturge, Moore and I, and because he thought it more important to see and know English than to be a great poet, he brought out sentimental rubbish and wrecked his reputation. Tagore does not know English, no Indian knows English. Nobody can write music and style in a language not learned in childhood and ever since the language of his thought." এই ব্যাপারটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.17 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৪377948
  • @lcm, আপনাকে আরেকটি প্রশন। আপনি লিখেছেন অ্যান্ড্রুজ 'লন্ডনে রোদেনস্টাইনের কবিতা পাঠের আসরে রবীন্দ্রনাথকে প্রথম দেখেন আর ওর কবিতা শোনেন, সেই থেকে ফ্যান হয়ে যান।' কিন্তু অ্যান্ড্রুজ যদি রোদেনস্টাইনের বাড়িতেই কবির সাথে প্রথম পরিচিত হন তবে রবীন্দ্রনাথ এ কথা বলেন কীভাবে ‘Oh Mr. Andrews, I have so longed to see you’?
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৬377949
  • "Nobody can write music and style in a language not learned in childhood and ever since the language of his thought."

    এই কথাটা যিনিই বলে থাকুন, খুব সত্যি বলে মনে হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে।
    নিজের সঙ্গে যে ভাষা ওতোপ্রতো হয়ে জড়িয়ে নেই সেই ভাষায় সত্যিকার হৃদয়গ্রাহী রচনা অসম্ভব।
    প্রবন্ধ বা সমালোচনা বা টেকনিকাল আর্টিকল সম্ভব, কিন্তু "পথের পাঁচালি" বা "চলচিত্তচঞ্চরি " স্তরের লেখা লিখতে গেলে আপন ভাষাটি চাই।
    "রক্তকরবী" বা "ডাকঘর" কি অন্য ভাষায় লেখা যায়? "নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে " র মতন গান কি অন্য ভাষায় লেখা সম্ভব? অনুবাদ করা যায়, কিন্তু কতটুকু আসে তাতে মূল রচনার হৃৎস্পন্দন?
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.16 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩০377950
  • @ এলেবেলে,

    আপনার করা মন্তব্য 'রথীন্দ্রনাথের পর অনেক সময় পেরিয়ে এসেছি আমরা সকলেই।' কোনো মানে করতে পারলাম না। রথীন্দ্রনাথের স্মৃতিকথা ছাড়লেও আজ থেকে ১০৫-০৬ বছর আগের ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনা করতে গেলে তো সেই সময়ের চিঠি, ডায়রি ও স্মৃতিকথার ওপরেই নির্ভর করতে হবে। আপনি যে সব quote করলেন সেইগুলো সব পুরনো নথিপত্র, তাই নয় কি?

    আমি সকালে On the edges of time থেকে উদ্ধৃতি দিলাম, সেগুলো পর পর সাজালে কিন্তু অনেক অথ্য পাওয়া যাচ্ছে, মানে যেতে পারে। রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে অন্যান্য তথ্য মিলছে কিনা সেটাও দেখে নেওয়া যেতেই পারে।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪১377951
  • অ্যান্ড্রুজ-এর জীবনীতে C. F. ANDREWS - by Sri B. G.Ramesh এরকম রয়েছে - ১৯১২ সালের ৩০শে জুন দেখা হয় --
    ...
    Rothenstein got together will-known writers at his residence, Hampstead House, on 30th June 1912. Yeats, too, was present and read out some songs from the 'Gitanjali'. Andrews happened to be there in connection with the work of a missionary institution. It was here that Tagore first met Andrews who became an intimate friend.

    এখন হতে পারে, রবীন্দ্রনাথ অনেক নাম শুনেছেন অ্যান্ড্রুজ-এর (বিশেষ উনি সেই ১৯০৪ সাল থেকে ভারতে কাজ করছেন) এবং দেখার ইচ্ছে হয়ত ছিল, এবং দেখা হতে বলেছেন - I have so longed to see you । মানে প্রথম দেখাতে এমন বলতেই পারেন। বা আগে হয়ত ইন্ডিয়াতে দেখা হয়েছিল। জানা-পরিচিতি হয়ত আগে থাকতে ছিল।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪৮377954
  • হ্যাঁ, ঠিক। এজরা পাউন্ড বিরক্ত হয়েছিলেন ইংরেজি এডিটিং নিয়ে।

    বইগুলোর পরের এডিশন-গুলোতে কারেক্শনের ব্যাপারে অ্যান্ড্রুজ রীতিমত দখল নিতে আরম্ভ করেন। এমনিতেই কে যে কোথায় কি এডিট করে কাকে পাঠাচ্ছে তা নিয়ে কনফিউশন শুরু হয়ে গেছিল। অ্যান্ড্রুজ চাপ দিতে থাকেন রবীন্দ্রনাথ-কে পাউন্ড/রোদেনস্টাইন দের এডিট পাল্টে দেবার জন্য। এমনকি প্রেসে যাবার আগে ওদের কারেক্শন তুলে নেবার জন্য অনুরোধ করেন।

    অনেকের মতে মূল ঝামেলাটা হচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের ইমেজ প্রজেক্ট করা নিয়ে। অ্যান্ড্রুজ জোর দিচ্ছিলেন স্পিরিচুয়াল/ফিলজফার দিকটায়, ওদিকে পাউন্ড/ইয়েট্‌স্‌ এরা দেখছেন কবি হিসেবে। একটা কলিশন অনিবার্য ছিল।

    এই আধ্যাত্মিক রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটার ওপর বেশি জোর হয়ে গেছে, প্রাচ্যের এক সাধুস্থানীয় ব্যক্তি এসে কিছু বাণী লিখেছেন - এমন একটা ইমেজ যে তৈরী হচ্ছে, এটা যে ঠিক নয় - সেটা রবীন্দ্রনাথ পরে বুঝতে পেরেছিলেন, কিন্তু একটু দেরী হয়ে গেছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.16 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪৮377953
  • সকালে করা অজস্র মূল্যবান তথ্যগুলো পড়ে যেমন সমাদৃত হয়েছি, তেমনি সেগুলোকে ঘিরে অনেক ওঠা প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা ও প্রতি প্রশ্নও করা যাক।

    @(I) লিখেছেন

    "সেখানেই সি এফ এন্ড্রুজের অনুভূতি উদ্ধৃত আছে-এন্ড্রুজ যেখানে স্পষ্ট লিখেছেন, এর আগে রবীন্দ্রনাথের অল্প কিছু কবিতা উনি পড়েছিলেন।"

    কথা হল এন্ডরুজ ১৯০৪ এ ভারতে আসেন ও দিল্লীতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে অধ্যাপনা করতে ঢোকেন। সেখানে ৮ বছর মানে ১৯১২ পর্যন্ত ছিলেন। এই সময়ে তার বেশ কিছু ভারত বন্ধু হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের নাম পাওয়া যায়না। তার মানে এন্ডরুজ কি এই সময়ে একবারও ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতায় আসেননি? ১৯১১ তে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে স্থানান্তরিত হল। কলকাতা তখন শুধু পলিটিক্যাল নয়, সাংস্কৃতিক রাজধানী। ধরে নিলাম তিনি আসেননি। তাহলে রবীন্দ্রনাথের কবিতা তিনি পড়লেন কি ভাবে? তার তো তখন বাংলা জানবারও কথা নয়।

    রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী ও এন্ডরুজের চিঠিপত্রের সংকলন বেরিয়েছে। আমি পড়িনি। সেই বইয়ের রিভিউ লিঙ্ক দিলাম।

    https://www.thehindu.com/books/books-reviews/friendships-of-largeness-and-freedom-andrews-tagore-and-gandhi-an-epistolary-account-review-learning-to-be-free/article23528344.ece

    রথীন্দ্রনাথের লেখাতে পড়েছি- অনুবাদ রবীন্দ্রনাথেরি-শিলাইদহে বসে। বাংলা গীতাঞ্জলির অর্ধেক কবিতা + গীতিমাল্য + নৈবেদ্য+খেয়া+শিশু+কল্পনা+চৈতালী+অচলায়তন(?) এর গান ও কবিতা র অনুবাদ ছিল ইংরিজি গীতাঞ্জলি। সঠিক হিসেব ঐ বইতেই আছে।
    এন্ড্রুজ আর রবীন্দ্রনাথের আলাপ, বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে লেখাপত্র অনেক আছে। এই মুহূর্তে আমার কিছু মনে পড়ছে না -আমি বিশেষজ্ঞও নই।
    নেটে এই মুহূর্তে একটা পেপার পেলাম- এন্ড্রুজের অনুবাদের ব্যাপারে আলোকপাত করবে।

    আমি বেশি সাহিত্য টাহিত্য পাড়িনি। তবু যেটুকু পড়েছি, তাতে রবি ঠাকুরের লেখায় একটা পাশ্চাত্য স্টাইল আছে বলে মনে হয়েছে অনেক পরে যখন পস্চীমের কালচারের সঙ্গে একটু জানাশোনা হলাম। এখন এ জিনিস তো বোঝানো মুশকিল। উনার অনেক লেখায় রোমান্টিসিজম, সাটলিটি, ম্যানারিজম, ক্যারেক্টার বিল্ডাপ ইত্যাদির মধ্যে ইয়োরোপিয়ান ধাঁচ আছে, যেটা হয়তো ওদের ভালো লেগেছিলো বা উনারা তাড়াতাড়ি ক্যাচ করেছিলেন। সেটা অন্য লেখকদের ক্ষেত্রে হওয়া মুশকিল ছিলো, ফলে হয়ওনি।
    ্ম
    ১৯১৩ সালে আমেরিকায় প্রথম ট্রিপে রবীন্দ্রনাথ আসেন ইলিনয়-তে আর্বানা-তে, ছেলে আর জামাই-কে নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল, পুত্র এবং জামাতা মার্কিন কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে পড়াশোনা করে জ্ঞানার্জন করবে, আর সেই জ্ঞান নিয়ে গিয়ে বোলপুরে অ্যাপ্লাই করে নতুন পদ্ধতিতে চাষবাস করবেন। জামাই খুব বেয়াড়া টাইপের লোক ছিলেন, তার এসব শেখায় খুব মতিগতি ছিল না। যাই হোক, সেটা এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়।
    তো এই আর্বানা থেকে থেকে রবীন্দ্রনাথ এজরা পাউন্ড-কে একটি চিঠি লেখেন, নিজের ইংরেজি নিয়ে
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.16 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০৮377955
  • @I
    রথীন্দ্রনাথের লেখাতে পড়েছি- অনুবাদ রবীন্দ্রনাথেরি-শিলাইদহে বসে। বাংলা গীতাঞ্জলির অর্ধেক কবিতা + গীতিমাল্য + নৈবেদ্য+খেয়া+শিশু+কল্পনা+চৈতালী+অচলায়তন(?) এর গান ও কবিতা র অনুবাদ ছিল ইংরিজি গীতাঞ্জলি। সঠিক হিসেব ঐ বইতেই আছে।

    এখানে তাহলে কবিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই অনামা বৈষ্ণবীর কথাও কিন্তু উল্লেখ করতে হয় যার কথা রথীন্দ্রনাথ স্বয়ং লিখে গেছেন। সকালে যাকে আমি 'কাব্যে উপেক্ষিতা' বললাম।

    এন্ড্রুজ আর রবীন্দ্রনাথের আলাপ, বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে লেখাপত্র অনেক আছে। এই মুহূর্তে আমার কিছু মনে পড়ছে না -আমি বিশেষজ্ঞও নই।
    নেটে এই মুহূর্তে একটা পেপার পেলাম- এন্ড্রুজের অনুবাদের ব্যাপারে আলোকপাত করবে।

    (উপরের কমেন্টে এই নিয়ে বলেছি, লিঙ্কও দিয়েছি)

    @S
    "আমি বেশি সাহিত্য টাহিত্য পাড়িনি। তবু যেটুকু পড়েছি, তাতে রবি ঠাকুরের লেখায় একটা পাশ্চাত্য স্টাইল আছে বলে মনে হয়েছে অনেক পরে যখন পস্চীমের কালচারের সঙ্গে একটু জানাশোনা হলাম। এখন এ জিনিস তো বোঝানো মুশকিল। উনার অনেক লেখায় রোমান্টিসিজম, সাটলিটি, ম্যানারিজম, ক্যারেক্টার বিল্ডাপ ইত্যাদির মধ্যে ইয়োরোপিয়ান ধাঁচ আছে, যেটা হয়তো ওদের ভালো লেগেছিলো বা উনারা তাড়াতাড়ি ক্যাচ করেছিলেন। সেটা অন্য লেখকদের ক্ষেত্রে হওয়া মুশকিল ছিলো, ফলে হয়ওনি।"

    West এ গীতাঞ্জলীর appreciation নিয়ে জ্যোতির্ময় দত্তের একটা প্রবন্ধ আছে। প্রবন্ধটি আসলে একটি গ্রন্থসমালোচনা। ৯০ এর দশকে (সম্ভবত ১৯৯৪ সালে) Andrew Robinson Krishna Datta র যৌথভাবে লিখিত বিতর্কিত Tagore: the myriad minded man র রিভিউ। শ্রী দত্ত ওখানে খুব সুন্দর ভাবে পর্যালোচনা করেছেন ব্রিটিশ সমাজে 'গীতাঞ্জলী' র reception বিষয়ে। এবং এক দশকের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের খ্যাতি দ্রুত কমে যাবার কারণও বর্ণনা করেছেন।

    @Lcm

    "১৯১৩ সালে আমেরিকায় প্রথম ট্রিপে রবীন্দ্রনাথ আসেন ইলিনয়-তে আর্বানা-তে, ছেলে আর জামাই-কে নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল, পুত্র এবং জামাতা মার্কিন কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে পড়াশোনা করে জ্ঞানার্জন করবে, আর সেই জ্ঞান নিয়ে গিয়ে বোলপুরে অ্যাপ্লাই করে নতুন পদ্ধতিতে চাষবাস করবেন। জামাই খুব বেয়াড়া টাইপের লোক ছিলেন, তার এসব শেখায় খুব মতিগতি ছিল না। যাই হোক, সেটা এখানকার আলোচ্য বিষয় নয়।"

    রবীন্দ্রনাথ কিন্তু শুধু পুত্র ও জামাতাকে মার্কিন মুলিকে পড়তে পাঠাননি। রথীন্দ্রনাথের পরেই উনি তার পরমবন্ধু পুত্র সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে এমেরিকায় পাঠান ডেয়ারি ফারমিং বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেবার জন্যে।

    সন্তোষচন্দ্র ছিলেন 'পদরত্নাবলী' প্রণেতা কবি শ্রীশচন্দ্র মজুমদারের পুত্র। শ্রীশ চন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্রের পরে 'বঙ্গদর্শন' এর সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের অন্যতম প্রিয় সুহৃদ। শ্রীশচন্দ্রের অকালপ্রয়াণে তার পুরো পরিবারের দায়িত্ব রবীন্দ্রনাথ নেন ও মজুমদার পরিবার শান্তিনিকেতনে চলে আসে।

    সন্তোষচন্দ্র ডিগ্রি শেষে শান্তিনিকেতনে চলে আসেন ও শ্রীনিকেতনের তিনি অন্যতম রূপকার। রথীন্দ্রনাথ ও সন্তোষচন্দ্র এক সঙ্গে কাজ করেছিলেন শ্রীনিকেতনের প্রাথমিক পর্যায়ে। সন্তোষচন্দ্রও অকালপ্রয়াত।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৪377956
  • ঠিক, ঠিক। রথীন্দ্রনাথ (ছেলে), সন্তোষচন্দ্র মজুমদার (বন্ধুপুত্র), নগেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি (জামাই) -- এরা তিনজনেই এসেছিলেন। নগেন একটু পরে আসেন।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৫377957
  • এখানে আপনারা অনেকেই লিখছেন যে রবি ঠাকুরের লেখার মুগ্ধতা তাঁর প্রথমদিকের বিদেশি গুণগ্রাহীদের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়। সেটা কি তাঁর পলিটিকাল ভিউ চেন্জ হওয়া বা ঐরকম কোনও কারণে? নাকি আরো অন্য লেখা পড়তে পড়তে মনে হয়েছে যে উনার অনেক পাতি লেখাও আছে, অতেব?
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৮377958
  • রবীন্দ্রনাথ মোট পাঁচ বার আমেরিকা আসেন। এই ট্রিপগুলো নিয়ে পরে কখনও গল্প করা যাবে।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.16 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬377959
  • @Icm এদের তিনজনের আগে রবীন্দ্রনাথ তার দ্বিতীয় জামাতা সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে হোমিওপ্যাথি পড়তে এমেরিকা পাঠান। সেটা কোন সাল হবে? ১৯০২ হয়ত।

    রথীন্দ্রনাথ, সন্তোষচন্দ্র, নগেন্দ্রনাথ' র মধ্যে একমাত্র নগেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের কোনো কাজে আসেননি।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.16 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৯377960
  • @S

    রবীন্দ্রনাথের লেখার মুগ্ধতা পশ্চিমের পাঠকদের কাছে দ্রুত কমে যাবার অনেকগুলো কারণ আছে। আমি একেবারেই এ বিষয়ে যোগ্য ব্যক্তি নই। এখানে অনেকে সেটা সুন্দর বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

    একটা কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগের পৃথিবী, বিশেষ করে ইউরোপ ও পরবর্তীকালে অনেক তফাৎ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপীয় জীবনযাত্রা, অর্থনীতি, রাজনীতিতে এক গভীর প্রভাব ফেলে। ভারত বা প্রাচ্যকে নিয়ে যে 'মিস্টিসিজম' সংস্কৃতি ও কৌতূহল জেগেছিল তা একেবারে মিলিয়ে যেতে থাকে।

    এই জন্যেই দেখবেন রবীন্দ্রনাথ এর পরে তার বিদেশ সফরের প্রোগ্রামে নানারকম চেঞ্জ আনেন। শুধু তার অনুবাদ সাহিত্যের ওপর নির্ভর না করে, গীতিনাট্য এবং পরে নিজের চিত্রকলা নিয়ে আসেন। পাশ্চাত্যের এই পরিবর্তনের কথা তার বিভিন্ন চিঠিপত্রে পাবেন।
  • i | 783412.157.89.253 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪২377961
  • এলেবেলে,
    আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে ঠিক দিতে পারছি না। কাল যেটুকু লিখেছিলাম -শিলাইদহে বসে অনুবাদ প্রসঙ্গে-সবই রথীন্দ্রনাথের লেখা যতটুকু মনে ছিল তার ভিত্তিতে। পরে দেখলাম, অর্জুন অভিষেক সরাসরি এজেস অফ টাইম থেকে তা কোটও করেছেন। আমি একটু খোঁজ করে দেখব -এব্যাপারে প্রামাণ্য রেফারেন্স পেলে জানাবো আপনাকে।

    হ্যাঁ , সংখ্যা ভুল হয়েছে-হবেই জানতাম-কারণ স্মৃতি থেকে লেখা। পিতৃস্মৃতি আর এজেস অফ টাইমে সংখ্যা দেওয়া ছিল-মনে আছে। কিন্তু বই গুলি সঙ্গে নেই। আপনার পোস্ট পড়ে তাই আবার নেট হাতড়ালাম-তাতে পেলাম কবির চান্দ অনূদিত অন দ্য এজেস অফ টাইমের বঙ্গানুবাদ ঃ
    http://drh-seqaep.org/uploads/files/shares/PrizeBook2017_3/amar_baba_rabindranath.pdf.pdf
    এই বই এর ১৪১ পাতার ফুটনোটে সঠিক সংখ্যা দেওয়া আছেঃ বাংলা গীতাঞ্জলিতে গান ও কবিতার সংখ্যা ১৫৭, ইংরিজি গীতাঞ্জলিতে ১০৩, তার মধ্যে বাংলা গীতাঞ্জলি থেকে ৫৩টি, গীতিমাল্য থেকে ১৬ টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫ টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩, কল্পনা -১, চৈতালী-১, উৎসর্গ-১, স্মরণ-১, অচলায়তন-১। আপনি একদমই ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

    এইবারে ঐ আর্টিকল প্রসঙ্গেঃ
    যে লিংকটি দিয়েছিলাম-সেটি অ্যাবস্ট্রাক্ট ছিল-সম্পূর্ণ লেখাটি নেটেই পেলামঃ
    http://discovery.ucl.ac.uk/1356883/1/Collins_collins%20-%20tagore%20politics%20of%20friendship%20-%20oa.pdf

    দেখুন, এবারে পড়া যায় কী না-
  • i | 783412.157.89.253 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০১377962
  • অর্জুন অভিষেক,
    রথীন্দ্রনাথের লেখায় ১৯১২ র ঐ সন্ধ্যা আর তারপর গুণীজনের প্রশংসাসূচক চিঠির কথা আছে, সেখানেই উনি এন্ড্রুজকে কোট করেছিলেন। আপনার কাছে যেহেতু এজেস অফ টাইম রয়েছে, আপনি যদি সেখান থেকে এন্ড্রুজের চিঠিটি উদ্ধৃত করেন তবে খুব ভালো হয়-তাহলে বোঝা যাবে উনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা ঐ সন্ধ্যার আগে পড়েছিলেন না রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে/ কবিতা সম্পর্কে জেনেছিলেন।
    কবির চান্দের অনুবাদে ( যার লিংক এলেবেলে কে দিলাম), ১৪৬ পাতায়, এন্ড্রুজের চিঠিতে আছে, ' এর আগে তাঁর কেবল ছিঁটেফোঁটা কিছু কবিতা দেখেছিলাম'।
    যদি এন্ড্রুজ রবীন্দ্রনাথের কিছু কবিতা পড়ে থাকেন, মডার্ণ রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত অনুবাদই পড়ে থাকতে পারেন। ১৯০৯-১৯১২ র মধ্যে মডার্ন রিভিউ তে রবীন্দ্রনাথের গল্প , কবিতা , প্রবন্ধর অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
    পরে আবার।

    ছোটো আই
  • i | 783412.157.89.253 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:১২377964
  • এলেবেলে,
    আপনাকে পোস্ট করার পরে একটি রেফারেন্স পেলাম ঐ জাহাজে অনুবাদ, খাতা ফুরিয়ে যাওয়া, দ্বিতীয় খাতা ইত্যাদি নিয়ে-রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ইন্দিরা দেবীকে লিখছেন,
    You have alluded to the English translation of Gitanjali. I cannot imagine to the day how people came to like it so much. That I cannot write English is such a patent fact that I never had even the vanity to feel ashamed of it. If anybody wrote an English note asking me to tea, I did not feel equal to answering it.
    Perhaps you think that by now I have got over that delusion. By no means. That I have written in English seems to be the delusion. On the day I was to board the ship, I fainted due to my frantic efforts at ]eave-taking and the journey itself was postponed. Then I went to Shelaidah to take rest. But unless the brain is fully active, one does not feel strong enough to relax completely; so the only way to keep myself calm was to take up some light work.
    It was then the month of Chaitra ( March-April), the air was thick with the
    fragrance of mango- blossoms and all hours of the day were delirious with the song of birds. When a child is full of vigour, he does not think of his mother. It is only when he is tired that he wants to nestle in her lap. That was exactly my position. With all my heart and with all my holiday I seemed to have settled comfortably in the arms of Chaitra, without missing a particle of light, I its air, its scene and its song. In such a state one cannot remain idle ... Yet I had not the energy to gird up my loins and sit down to write. So I took up the poems of Gitanjali and set myself to translate them one by one. You may wonder why such a crazy ambition should possess one in such a weak state of health. But believe me, I did not undertake this task in a spirit of reckless bravado. I felt an
    urge to recapture through the medium of another language the fee1ings and
    sentiments which had created such a feast of joy within me in the days gone by.
    The pages of a small exercise-book came to be filled gradually, and with it in my pocket I boarded the ship. The idea of keeping it in my pocket was that when my mind became restless on the high seas, I would recline on a deck-chair and set myself to translate one or two poems from time to time. And this is what actually happened. From one exercise-book I passed on to another.
    Rothenstein already had an inkling of my reputation as a poet from another
    Indian friend. Therefore, when in the course of conversation he expressed a desire to see some of my poems, I handed him my manuscript with some
    diffidence. I could hardly believe the opinion he expressed after going through it. He then made over the manuscript to Yeats. The story of what followed is known to you. From this explanation of mine you will see that I was not responsible for the offence, which was due mainly to the force of circumstances

    সঙ্গে এই রেফারেন্সটি দিলাম আপাততঃ
    https://www.parabaas.com/rabindranath/articles/pSomjit1.html
    নেট এ আরো বহু লেখা আছে। যা দেখছি। সে সব আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন আশা রাখি।

    ছোটো আই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন