এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ কি আসলেই বিশ্বকবি না পশ্চিমবঙ্গের কবি ???

    এস ইসলাম লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৩০০০২ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 783412.157.89.253 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৮377965
  • এলেবেলে, অর্জুন অভিষেক,
    আর যেটা বলা দরকার তা হোলো-আমি বিশেষজ্ঞ তো নই-ই। একেবারেই নই।
    রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এক কালে উৎসাহ ছিল; মানে সেই সময় বই পত্র পড়তাম, খোঁজ খবর রাখতাম- টকাটক রেফারেন্সও দিতে পারতাম-সে সব দিন গিয়াছে-শেষ পড়াশুনো করেছি সম্ভবতঃ ২৫-৩০ বছর আগে-

    আজ আর কাল যা লিখলাম, সামান্য স্মৃতি নির্ভর, বাকি সবই নেট নির্ভর এবং কপি পেস্ট।
    কাজেই যা 'লিখেছি' , নিজেরা দয়া করে যাচাই করে নেবেন।

    আপনাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগল।

    ছোটো আই
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.7 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:২৯377966
  • @অর্জুন অভিষেক, আগে আমার বাক্যগঠনজনিত অস্পষ্টতা দূর করার চেষ্টা করি। আপনি লিখেছেন 'আপনার করা মন্তব্য 'রথীন্দ্রনাথের পর অনেক সময় পেরিয়ে এসেছি আমরা সকলেই।' কোনো মানে করতে পারলাম না। রথীন্দ্রনাথের স্মৃতিকথা ছাড়লেও আজ থেকে ১০৫-০৬ বছর আগের ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনা করতে গেলে তো সেই সময়ের চিঠি, ডায়রি ও স্মৃতিকথার ওপরেই নির্ভর করতে হবে। আপনি যে সব quote করলেন সেইগুলো সব পুরনো নথিপত্র, তাই নয় কি?'

    পিতৃস্মৃতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রাইমারি সোর্স, কিন্তু সম্পূর্ণ নির্ভুল সোর্স নয়। তাঁর লেখার পরেও একাধিক ব্যক্তি এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করেছেন যাতে করে গীতাঞ্জলি অনুবাদের ব্যাপারে আরও নানা দৃষ্টিভঙ্গী উঠে এসেছে। উনি গীতাঞ্জলির অর্ধেক কবিতা অনূদিত গীতাঞ্জলিতে গৃহীত হয়েছিল লিখেছিলেন যা ভুল, সব অনুবাদ শিলাইদহেও হয়নি এবং ইয়েটস-এর মুগ্ধতা নিয়ে যা লিখেছেন তার অনেক আগেই রোদেনস্টাইনকে ইয়েটসের চিঠি লেখা হয়ে গেছে। তাই এই সংক্রান্ত আলোচনায় রথি ঠাকুরকে আরেকটু সাবধানে বিশ্লেষণ করতে হবে।

    @ছোটো আই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লিঙ্কগুলো দেওয়ার জন্য। সেভ করে রাখছি, পরে সময় নিয়ে পড়ব। আর খোলাখুলি বলি আমি বিশেষজ্ঞ তো দূরের কথা বাংলা সাহিত্যের লোকই নই। বিষয়টা নিয়ে কৌতূহল থাকায় কিছু লেখাপত্র পড়েছি মাত্র, কাজেই আপনি যদি আরও লিঙ্ক এখানে দেন তো কৃতজ্ঞতার সীমা থাকবে না।

    @lcm, ইয়েটস-এর বিরূপতা নিয়ে আরেকটু দীর্ঘ মন্তব্য আপনার থেকে আশা করছি। অ্যান্ড্রুজের পাণ্ডুলিপি সংশোধন নিয়ে নীরদ সি আরও চাঁছাছোলা বলেছেন কিন্তু নীরদ সি-কে আবারও উদ্ধৃত করার সাহস পাচ্ছি না!

    আর সবার কাছে আমার একটা প্রশ্ন - একজন কবি তাঁর নিজের কবিতার অনুবাদ নিজেই করছেন এই ব্যাপারটা আপনাদের কাছে অদ্ভুত লাগে না বিশেষত ওই মাপের সৃষ্টিশীল ব্যক্তি? বিশ্বসাহিত্যে এমন নজির আর আছে কি?
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০৫377967
  • ইয়েট্‌স্‌-এর আচরণ পরিবর্তন হতে থাকে নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর থেকে। তার আগে, ইয়েট্‌স্‌ একটু অসন্তুষ্ট হয়ে থাকবেন এই একগাদা লোক মিলে রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি এডিট করছেন বলে, এবং এই অসন্তোষ তিনি চেপেও রাখেন নি।

    নোবেল প্রাইজের খবর আসার পরে ইয়েট্‌স্‌ রবীন্দ্রনাথকে কোনো অভিনন্দন পাঠান নি - ভেবে দেখুন কি কান্ড - যে ইয়েট্‌স্‌ গীতাঞ্জলির বিশ পাতা ভূমিকা লিখে দিলেন, বইটি পুরস্কার পাবার পরে তিনি লেখককে অভিনন্দন জানালেন না। ওনার বক্তব্য ছিল - ওটা মোটামুটি আমারই কাজ, আমি ইংরেজি ঠিক করে লিখে না দিলে, ঐ জিনিস নোবেল প্রাইজ পায় না। অনেক পরে ১৯১৭ সালে ইয়েট্‌স্‌ পাবলিশারদেরকে পাঠানো একটি চিঠিতে লেখেন যে তিনি কি পরিমাণ পরিশ্রমই না করেছিলেন গীতাঞ্জলির ইংরেজির পিছ্নে, এবং অন্তত হাই কোয়ালিটির কাজ করেছিলেন, রোদেনস্টাইন সাক্ষী আছেন...ইত্যদি ... শুধু তাই নয় ইয়েট্‌স্‌ এ কথাও বলেছিলেন যে ভারতীয়রা ইংরেজি লিখতে পারে না, মাতৃভাষা নয় ... ... এইসব।

    রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ পাবার পরে একটা কন্ট্রোভার্সি চালু হয় যে গীতাঞ্জলি তো ইয়েট্‌স্‌-এর অনুবাদ, তাই পুরস্কার পেয়েছে। নোবেল প্রাইজ পাবার তিন মাস পরে রবীন্দ্রনাথ একটি চিঠি লেখেন রোদেনস্টাইনকে -
    "It will amuse you to learn that at a semi-public conference of Mohamedan leaders of Bengal, Valentine Chirol gave his audience to understand that the English Gitanjali was practically written by Yeats."
    ভ্যালেন্টাইন শিরল ছিলেন একজন বৃটিশ সাংবাদিক, লেখক, টাইম্‌স্‌-এর একজন এডিটর এবং সাম্রাজ্যাবাদী। অনেক ব্রিটিশ খবরের কাগজ রবীন্দ্রনাথের নোবেলের খবরটাকে পাত্তাই দেয় নি, বা সামান্য উল্লেখ করেছে, যদিও তাদের সংখ্যা কম।
  • | 453412.159.896712.72 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:০৭377968
  • নিজের লেখা উপন্যাস নিজে অনুবাদ করেছেন ও ভি বিজয়ন। ১৯৬৯ সালে বেরোন 'খাসাকিন্তে ইতিহাসম' ১৯৯৪ তে নিজেই অনুবাদ করে বের করেন The Legends of Khasak'
  • sm | 7845.15.342323.172 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৫৪377969
  • অদ্ভুত কতকগুলো লোকের কার্যকলাপ পড়ছি।রবীন্দ্রনাথ একজন পারফেকশনিস্ট।সর্ট অফ নিউরোটিক পার্সোনালিটি।ইংরিজি ভালো জানে, অথচ মন খচ খচ করে।
    ইংরেজ দের বোঝাতে গেলে, আরও ভালো কোয়ালিটি ইংলিশ চাই।তাই এতো লোকজন কে ধরা করা।
    অথচ ওই লেখা জার্মান, সুইডিশ,ফ্রেঞ্চ লোকজন কিকরে বুঝবে, সেদিকে খেয়াল নেই।
    উল্টো দিকে ইয়েটস বা পাউন্ড এরা গুণী লোক।কিন্তু গা থেকে রেসিজম এর চাদর খুলতে পারে নি।
    যতক্ষণ তৃতীয় বিশ্বের কবি,কবিতা গান লেখে। একটু,সাহায্য করলে উপকার হয়।ঠিক আছে।
    কিন্তু একবার নোবেল পেয়ে গেলে তো সমকক্ষ হয়ে গেলো।
    ব্যাস, গেল গেল রব!
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.564512.207 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৪৩377970
  • কোনো লেখকের নিজের সাহিত্যকর্ম নিজে অনুবাদ করার মধ্যে আমি খুব আশ্চর্যের কিছু দেখিনা। আর রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে তো নইই। যেকোনো bilingual বা multi lingual লেখক/লেখিকার কাছে এটা খুব স্বাভাবিক।

    সেই সময়ে হয়ত বেশ কিছু ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় ইণ্ডলজিস্ট ছিলেন যারা বাংলা জানতেন কিন্তু সাহিত্য অনুবাদ অত সহজ নয়।

    আড় রবীন্দ্রনাথের মত পারফেকনিস্ট মানুষ অন্যের ওপর অনুবাদের দায়িত্ব পুরো ছেড়ে কখনোই দেবেন না।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.213 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৩৪377971
  • @sm লিখেছেন, 'কিন্তু একবার নোবেল পেয়ে গেলে তো সমকক্ষ হয়ে গেলো।' কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? পাউন্ড তো নোবেলই পাননি আর ইয়েটস পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের দশ বছর পর। অথচ ইয়েটস-এর বিরূপতা তো তার আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। তাহলে?

    @অর্জুন অভিষেক লিখেছেন, 'আড় রবীন্দ্রনাথের মত পারফেকনিস্ট মানুষ অন্যের ওপর অনুবাদের দায়িত্ব পুরো ছেড়ে কখনোই দেবেন না।' এ প্রসঙ্গে বলি জগদীশচন্দ্রের অনুরোধে নিবেদিতা রবীন্দ্রনাথের তিনটি গল্পের অনুবাদ করেছিলেন, অ্যান্ড্রুজ অনুবাদ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের সাতটি গল্প যার অন্যতম ছিল 'ক্ষুধিত পাষাণ' এবং 'কাবুলিওয়ালা'।

    @ছোটো আই এবং @lcmকে আমি একটা নির্দিষ্ট প্রশ্ন করছি। ১৯১২ সালে অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের ৫২তম জন্মদিন পালনের পর ২৯ বৈশাখ জগদানন্দ রায়কে রবীন্দ্রনাথ লেখেন — আমার এই ৫২ বৎসরের জন্মদিনের উৎসব খুব একটা ঝড় জলের মধ্যে সমাধা হয়ে গেছে। মনে মনে তাই আশা করচি এই ঝড়ে আমার জীবনের আর একটা পর্য্যায় (এই বানানই লিখেছিলেন) বুঝি সূচনা করে দিচ্চে - পুরাতনের সমস্ত জীর্ণ পাতা উড়িয়ে দিয়ে জীবনের শেষ ফল ফলাবার জন্যে এবার বুঝি একবার নূতনে সবুজে সাজতে হবে।

    উনি হঠাৎ 'জীবনের শেষ ফল'-এর ব্যাপারে এত নিশ্চিন্ত হলেন কীভাবে? উনি কি আশা করছিলেন তাঁর অনুবাদকর্ম তাঁকে 'নূতনে সবুজে' সাজিয়ে দেবে? চিঠির সালটা কিন্তু খুবই ইঙ্গিতবহ।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫১377972
  • "ইয়েটস পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের দশ বছর পর। অথচ ইয়েটস-এর বিরূপতা তো তার আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে।"

    এটাই বোধয় বিরুপতার কারণ। তাছাড়া এসেমের রেসিজম নিজে বক্তব্য মোটামুটি ঠিক লেগেছে। ও জিনিস গা থেকে ঝেড়ে ফেলা খুব মুশকিল, বিশেষত সেই কালে।

    আচ্ছা নোবেল প্রাইজ দেওয়ার আগে সুইডেনের সাথে ইংল্যন্ডের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিলো ইত্যাদি এইরকম কোনও ব্যাপার আছে?
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.4567.171 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫৫377973
  • আমাদের এই আলোচনার প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথের চিঠির অংশ তুলে দিচ্ছি। চিঠিটি গুরুত্বপূর্ণ।

    প্রথম চিঠিটা বিবি চৌধুরানীকে লেখা লন্ডন থেকে। চিঠিটি প্রায় দশ পাতার। চিঠির বিশেষ কয়েকটা অংশ তুলে দিচ্ছি।

    c/o. Messrs Thomas Cook & Sons
    Ludgate Circus, London
    ৬ই মে ১৯১৩

    “গীতাঞ্জলির ইংরেজি তর্জমার কথা লিখেছিস। ওটা যে কেমন করে লিখলুম এবং কেমন করে লোকের এত ভাল লেগে গেল, সে কথা আমি আজ পর্যন্ত ভেবেই পেলুম না। আমি যে ইংরেজি লিখতে পারিনে এ কথাটা এমনি সাদা যে এ সম্বন্ধে লজ্জা করবার মত অভিমানটুকুও আমার কোনো দিন ছিল না। যদি আমাকে কেউ চা খাবার নিমন্ত্রণ করে ইংরেজিতে চিঠি লিখত তাহলে তার জবাব দিতে আমার ভরসা হত না। তুই ভাবছিস আজকের বুঝি আমার সে মায়া কেটে গেছে- একেবারেই তা নয়- ইংরেজিতে লিখেছি এইটেই আমার মায়া বলে মনে হয়। গেলবারে যখন জাহাজে চড়বার দিনে মাথা ঘুরে পড়লুম, বিদায় নেবার বিষম তাড়ায় যাত্রা বন্ধ হয়ে গেল, তখন শিলাইদহে বিশ্রাম করতে গেলুম। কিন্তু মস্তিষ্ক ষোলো আনা সবল না থাকলে একেবারে বিশ্রাম করবার মত জোর পাওয়া যায় না, তাই অগত্যা মনটাকে শান্ত রাখবার জন্যে একটা অনাবশ্যক কাজ হাতে নেওয়া গেল। তখন চৈত্রমাসে আমের বোলের গন্ধে আকাশে আর কোথাও ফাঁক ছিল না এবং পাখীর ডাকা- ডাকিতে দিনের বেলাকার সকল কটা প্রহর একেবারে মাতিয়ে রেখেছিল। ছোট ছেলে যখন তাজা থাকে তখন মার কথা ভুলেই থাকে যখন কাহিল হয়ে পড়ে তখনি মায়ের কোলটি জুড়ে বসতে চায়- আমার সেই দশা হল। আমি আমার সমস্ত মন দিয়ে আমার সমস্ত ছুটি দিয়ে চৈত্রমাসটিকে যেন জুড়ে বসলুম- তার আলো তার হাওয়া তার গন্ধ তার গান একটুও আমার কাছে বাদ পড়ল না। কিন্তু এমন অবস্থায় চুপ করে থাকা যায় না- হাড়ে যখন হাওয়া লাগে তখন বেজে উঠতে চায়, ওটা আমার চিরকেলে অভ্যাস, জানিস ত। অথচ কোমর বেঁধে কিছু লেখবার মত বল আমার ছিল না। সেই জন্যে ঐ গীতাঞ্জলির কবিতাগুলি নিয়ে একটি একটি করে ইংরেজিতে তর্জমা করতে বসে গেলুম। যদি বলিস কাহিল শরীরে এমনতর দুঃসাহসের কথা মনে জন্মায় কেন- কিন্তু আমি বাহাদুরি করবার দুরাশায় এ কাজে লাগি নি। আর একদিন যে ভাবের হাওয়ায় মনের মধ্যে রসের উৎসব জেগে উঠেছিল সেইটিকে আর একবার আর এক ভাষার ভিতর দিয়ে মনের মধ্যে উদ্ভাবিত করে নেবার জন্যে কেমন একটা তাগিদ এল। একটি ছোট্ট খাতা ভরে এল। এইটি পকেটে করে নিয়ে জাহাজে চড়লুম। পকেটে করে নেবার মানে হচ্চে এই যে, ভাবলুম সমুদ্রের মধ্যে মনটি যখন উসখুস করে উঠবে তখন ডেক চেয়ারে হেলান দিয়ে আবার একটি দুটি করে তর্জমা করতে বসব। ঘটলও তাই। এক খাতা ছাপিয়ে আর এক খাতায় পৌঁছন গেল। রোদেনস্টাইন আমার কবিযশের আভাস পূর্বেই আর একজন ভারতবর্ষীয়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তিনি যখন কথা প্রসঙ্গে আমার কবিতার নমুনা পাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, আমি কুণ্ঠিতমনে তাঁর হাতে আমার খাতাটি সমর্পণ করলুম। তিনি যে অভিমত প্রকাশ করলেন সেটা আমি বিশ্বাস করতে পারলুম না। তখন তিনি কবি য়েটসের কাছে আমার খাতা পাঠিয়ে দিলেন- তারপরে কি হল সে ইতিহাস তোদের জানা আছে। আমার কৈফিয়ৎ থেকে এটুকু বুঝতে পারবি আমার কোনো অপরাধ ছিল না- অনেকটা ঘটনাচক্রে হয়ে পড়েছে।"
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫৭377975
  • নোবেলের ওয়েব সাইট বলছেঃ

    The Nobel Prize in Literature 1913 was awarded to Rabindranath Tagore "because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate skill, he has made his poetic thought, expressed in his own English words, a part of the literature of the West."

    এর মধ্যে in his own English words মানে কি?
    আর a part of the literature of the West এর মানেই বা কি?

    তাছাড়া শুধু গীতাঞ্জলির জন্যই দেওয়া হয়েছে সেই থিয়োরিই বা কোত্থেকে এলো?
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.213 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:০৯377976
  • @S ওই ওয়েবসাইট এটাও বলছে 'Rabindranath Tagore originally wrote in Bengali, but later reached a broad audience in the West after recasting his poetry in English. In contrast to the frenzied life in the West, his poetry was felt to convey the peace of the soul in harmony with nature.'

    ব্রিটানিকা বলছে 'Years of sadness arising from the deaths of his wife and two children between 1902 and 1907 are reflected in his later poetry, which was introduced to the West in Gitanjali (Song Offerings) (1912). This book, containing Tagore’s English prose translations of religious poems from several of his Bengali verse collections, including Gitanjali (1910), was hailed by W.B. Yeats and André Gide and won him the Nobel Prize in 1913. '
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১৪377977
  • প্রথমটা আগেই পড়েছি। কিন্তু তাতে আরো প্রশ্ন পেয়েছে। ঠিক কি কি ইংরাজি অনুবাদ পড়েছিলেন উনি। আর যদি ধরে নিই যে আরো অনেক লেখা পড়েছিলেন, তাহলে গীতাঞ্জলি স্ট্যান্ড আউট করছে কেন? ইয়েটস সাহেবের জন্য? কিন্তু ইয়েটস নিজেই তো নোবেল পেয়েছেন অনেক পরে।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:১৫377978
  • উনি = উনারা = নোবেল কমিটির সদস্যরা
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.213 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:২৩377979
  • @S নোবেল কমিটির সদস্যরা সং অফারিংস-এর হাঁসজারু ছাড়া আর কিচ্ছুটি পড়েননি। রবীন্দ্রনাথকে নমিনেট করেছিলেন টমাস ম্যুর। ১২র নভেম্বরে ছাপা, ১৩তেই নোবেল। তার আগে পাশ্চাত্যে তাঁর সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে প্রায় সকলেই অজ্ঞ।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৩০377980
  • হুম এ অনেক পোস্নো থেকে যাচ্ছে। কেনই যে হঠাৎ ব্রিটিশ রাজের এক উপনিবেশের এক রিজিওনাল ভাষার কবিকে প্রাইজ দিতে গেলো, আর কেনই বা তার পরেই সাহেবদের উৎসাহে ভাটা পড়লো কে জানে?
  • কুমু | 2345.111.4534.87 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৩২377981
  • খুব চমৎকার আলোচনা,অনেক নতুন আলো কপাত।
    কেবল একটি নিবেদন, গীতাঞ্জলি,

    গীতাঞ্জলী নয়।
    অবশ্য এইসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে গুরুত্ব দেবার দিন ত কবে ই চলে গেছে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৪০377982
  • রক্তকরবী, ডাকঘর আর মুক্তধারার জন্য প্রাইজ দেওয়া উচিত ছিল।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.4567.171 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০৭377983
  • বিবি চৌধুরানীকে লেখা ওই চিঠির আরেকটি অংশ তুলে দিচ্ছি।

    নদিদি আমাকে তাঁর ‘ফুলের মালা’র তর্জমাটা পাঠিয়ে ছিলেন। এখানকার সাহিত্যের বাজার যদি দেখতেন তাহলে বুঝতে পারতেন এ সব জিনিষ এখানে কেন কোনোমতেই চলতে পারে না। এরা যাকে Rেঅলিত্য বলে সে জিনিষটা থাকা চাই। এই জিনিষের সঙ্গে আমাদের কারবার অত্যন্ত কম- সেইজন্যে এটা আমরা চিনিও নে এবং এর অভাবটা কি তা আমরা বুঝিও নে। আমার পক্ষে মুস্কিল এই যে আমি এ সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে লোকে ভুল বুঝবে কেননা আমার রচনাগুলোকে এরা গ্রহণ করেছে। যদি জিজ্ঞাসা করিস কেন করেছে তবে তার উত্তর এই যে, এই কবিতাগুলি আমি লিখব বলে লিখিনি- এ আমার জীবনের ভিতরের জিনিষ- এ আমার সত্যকার আত্মবিবেদন-সের মধ্যে আমার জীবনের সমস্ত সুখদুঃখ সমস্ত সাধনা বিগলিত হয়ে আপনি আকার ধারণ করেছে। এই জীবনের জিনিষ জীবনের ক্ষেত্রে আদর পায় একথা আমি বেশ বুঝতে পেরেছি কিন্তু একথা বোঝানো শক্ত। কেননা নিজের ফাঁকি মানুষ নিজে দেখতে পায় না;- কেননা ফাঁকি জিনিষটাতে পরিশ্রম বেশি, চেষ্টা বেশি এবং তার প্রতি মানুষের মমতাও বোধ হয় বেশি হয়ে থাকে। আমাদের দেশের কোনো একজন লেখক তাঁর কোনো বই তর্জমা করে এখানে কারো কাছে পাঠিয়েছিলেন। এঁরা তাকে বল্লে এটাকে সম্পূর্ণ নূতন করে না লিখলে চলবে না। তাতে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, কেন, রবীন্দ্র ঠাকুরের ভাষা যদি চলে থাকে তাহলে আমার কেন চলবে না। তিনি মস্ত ভুল এই করেছিলেন যে তিনি মনে করেছেন ভাষার উপরেই বুঝি এর নির্ভর।

    *নদিদি- অর্থাৎ স্বর্ণকুমারী দেবী। তার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যৌবন থেকেই ইগোর লড়াই। এক বাবা-মায়ের সন্তান হয়ে, এক বাড়িতে বড় হয়ে, পরবর্তীকালেও এক বাড়িতে বসবাস করেও স্বর্ণকুমারী ও রবীন্দ্রনাথ আশ্চর্যভাবে দুজন, দুজনের জীবন থেকে অদৃশ্য। স্বর্ণকুমারী সেই সময়ে তার উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ ভাইকে পাঠিয়ে ছিলেন। ভাইঝি বিবিকে তাও ভদ্রভাবে স্বর্ণকুমারীর সাহিত্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জানিয়েছেন কিন্তু রোদেনস্টাইনকে একটি চিঠিতে তিনি তীব্রভাবে কটাক্ষ করে লিখেছিলেন 'She is one of those unfortunate beings who has more ambition than abilities. But just enough talent to keep her mediocrity alive for a short period.

    I have given her no encouragement but I have not been successful in making her see things in their proper light.’

    যেখানে তিনি নিজে literary ambition র জন্যে প্রায় হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন, সেখানে দিদির ambition unfortunate?

    রবীন্দ্রনাথের এই বিলেত যাত্রার উদ্দেশ্য চাউর হয়েছিল কারণ কলকাতা থেকে কিছু লেখক লন্ডনে তাদের বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ পাঠাতে থাকেন। এ ব্যাপারটা তাকে বিরক্ত করেছিল, হয়ত আশংকা জাগিয়েছিল। অন্যের কাজ পড়ে বা না পড়ে এই সব মন্তব্য উন্নাসিকতার নামান্তর। আর অন্যরা গ্রহণীয় হবেন না, তিনি হবেন, এই confidence তার তখন থেকেই।

    স্বর্ণকুমারী অবশ্য ভাইয়ের তোয়াক্কা করেননি। Her weakness has been taken advantage of by some unscrupulus literary agents in London and she has had stories translated and published. I have given her no encouragement but I have not been successful in making her see things in their proper light.’

    তার মানে লন্ডনে তখন literary agents এ ভরে গেছিল যারা রাতারাতি বিলেতে বিখ্যাত করে দেবার টোপে সাগরপাড় থেকে লেখক খুঁজছিলেন।

    *
    কোনো একজন লেখক- ইনি খুব সম্ভবত প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২১377984
  • ও বাবা ! এজেন্ট !!!
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.9004512.41 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২৭377987
  • @কুমুদি, ভাল আছেন? বানান তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ।

    @Atoz দেবে কি করে? গীতাঞ্জলি ছাড়া আর কোনো কিছুর অনুবাদ তখন হয়নি।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.104 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৩377988
  • মন্তব্য এই মাত্র ডাবল সেঞ্চুরি পার করল। সব্বাইকে অভিনন্দন!
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৫377989
  • সাহিত্যে নোবেল কি কোনো বিশেষ বইয়ের জন্য দেওয়া হয়? নাকি সাহিত্যিকের সমগ্র সাহিত্যকর্মের গুরুত্বের উপরে ভিত্তি করে দেওয়া হয়?
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.9004512.41 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৪377990
  • @Atoz, Literary agent দের সবসময়েই বিশেষ ভূমিকা থাকে। David Davidar না থাকলে অরুন্ধুতি রায়কে পেতেন না।

    একটি বিশেষ বই ও সমগ্র সাহিত্যকর্ম দুটির জন্যেই দেওয়া হয়।

    Pasternak Doctor Zhivago র জন্যে পেয়েছিলেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:১২377991
  • অরুন্ধতী ঃ-)
    বশিষ্ঠমুনি রেগে যাবেন অরুন্ধুতি শুনলে। ঃ-)
  • i | 783412.157.89.253 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:১৯377992
  • এলেবেলে,
    আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে নিশ্চয়ই এর উত্তর আছে , কোনো বইতে বা গবেষণাপত্রে তাঁরা হয়ত তা লিখে গেছেন।
    ঐ যে বললাম, বহুদিন যাবৎ এসবে উৎসাহ হারিয়েছি। আর খুঁজতে বসলে সেই নেট থেকেই কপি পেস্ট করব-নিজের বক্তব্য তো কিছু থাকবে না।
    তাই আর কিছু লিখছি না।
    যদি কিছু মনে পড়ে বা কোনো রেফারেন্স পাই, এখানেই দিয়ে যাব।

    অর্জুন অভিষেককে অনেক ধন্যবাদ। ইন্দিরা দেবীর চিঠিটির ইংরিজি কাল দিয়েছিলাম, অর্জুন মূল বাংলা চিঠিটি উদ্ধৃত করেছেন। ভালো লাগল।

    কুমুদিদি,
    শুধু বানানের ওপর কপাত করে আলো ফেলে চলে গেলে হবে?
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৮377993
  • বাহান্নতেই ভেবেছিলেন "দিন তো গেল সন্ধ্যে হল পার করো আমারে"? যদি জানতেন আশি বছর অবধি থাকবেন এবং আরও অনেক অনেক অনেক লিখবেন????
  • PM | 9001212.30.7845.242 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৪৪377994
  • ১৪ বছরেই লিখেছিলেন তো --- মরনরে , তুহু মম শ্যাম সমান । ৫২ আর কি দোষ করল? ঃ)

    আর্জুনের দেওয়া চিঠিটা ছোটো আই আগেই দিয়েছিলেন তো
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:০১377995
  • আর প্রবাদেই তো আছে "যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন " ঃ-)
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.6767.61 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:৪৫377996
  • এন্ডরুজের লেখা চিঠিটা, যার কথা @I বলেছিলেন তা এখানে তুলে দিলাম 'On the Edges of time' থেকে।

    “I walked back along the side of Hampstead Heath with H. W. Nevinson but spoke very little. I wanted to be alone and think in silence of the wonder and glory of it all. When I had left Nevinson I went across the Heath. The night was cloudless and there was something of the purple of the Indian atmosphere about the sky. There all alone. I could think of the wonder it:

    On the seashore of endless worlds, children meet
    On the seashore of endless worlds is the great meeting of children.

    It was haunting, haunting melody of the English, so simple, like all the beautiful sounds of my childhood that carried me completely away. I remained out under the sky far into the night, almost till dawn was breaking.
    The room where we were seated looked out upon the myriad evening lights of the great city of London which lay below...I sat at the window in the dusk of the long summer evening as Rabindranath’s poems were read slowly one by one...I remember how immediately happy I was that night as I went away. The new wine of Rabindranath’s poetry had intoxicated me. I had only seen tiny extracts before; but the recital which I had heard that evening was the full measure, pure and undliuted. It was an experience something not unlike that of Keats’, when He came for the first time upon Chapman’s translation of Homer,-

    Then felt I like some watcher of the skies
    When a new planet swims into his ken.
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.6767.61 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:০৭377998
  • এন্ডরুজ, রবীন্দ্রনাথের কবিতা আগে পড়েছেন 'I had only seen tiny extracts before;' কিন্তু কোথায় ?

    @PM @I ইন্দিরা দেবীকে লেখা চিঠিটার ইংরেজি অনুবাদ দিয়েছিলেন, আমি বাংলায় লেখা সুবৃহৎ চিঠিটির কয়েকটা অংশ তুলে দিলাম।

    এটা পড়ুন 'We had in the meantime moved to a boarding-house in South Kensington kept by two Belgian sisters. We had had enough of the roast beef, boiled cabbage, Yorkshire pudding and gooseberry tart....'

    লেখার জন্যেই নয়, তার এই বিলেতবাসে খাদ্য তালিকা পড়লে রবীন্দ্রনাথকে এমনিতেই Anti-national' করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ভাগ্যিস এরা বই, টই পড়েনঃ-):-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন