এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রবীন্দ্রনাথ কি আসলেই বিশ্বকবি না পশ্চিমবঙ্গের কবি ???

    এস ইসলাম লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৯৪৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.6767.61 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১৭377999
  • *পড়েনা
  • S | 90067.146.9004512.46 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৩৭378000
  • আচ্ছা একটা পোস্নো পাচ্ছে বেয়ারা টাইপের। করবো?
  • অর্জুন অভিষেক | 232312.163.8956.204 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩৯378001
  • আমাকে? হ্যাঁ, নিশ্চয় করুন।
  • i | 783412.157.89.253 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২৫378002
  • অর্জুন অভিষেক,
    এন্ড্রুজের লেখা মূল ইংরিজি চিঠিটি পোস্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার সংশয়ের উত্তরে আমার অনুমান দু'দিন আগেই দিয়েছিলাম-মডার্ন রিভিউতে বেরোনো অনুবাদই পড়ে থাকবেন। এই ব্যাপারটা এ' আলোচনায় খুব ক্রিটিকাল কি?

    এলেবেলে,
    ভুলি নাই। সন্ধান পেলে জানাবো।
    জগদানন্দ রায় আর রবীন্দ্রনাথের চিঠির সংকলন কোনো শারদীয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল মনে হয় -সঙ্গে অমিত্রসূদন ভট্টাচার্যের টীকা। হয়ত একদমই ভুল বলছি। খুঁজে দেখব। তবে ঐ কথাগুলি শুধুই জগদানন্দকে লিখেছিলেন ( চিঠি লেখার সময়ের তাৎক্ষণিক মনোভাব)না কি সমসাময়িক আরো অনেককে বলেছিলেন/ লিখেছিলেন-সেটিও দেখতে হবে।

    আজই পড়ছিলাম, গীতাঞ্জলি রিবর্ন- উইলিয়াম রাদিচে'স রাইটিংস অন রবীন্দ্রনাথ টেগোর এর রিভিউ। সেখানে পড়লাম , এডিন্বরার নাপিয়ের ইউনিভার্সিটির স্কটিশ সেন্টার অফ টেগোর স্টাডিজ এ ২০১২ সালে এক বক্তৃতায় , রবীন্দ্রচর্চায় রাডিচে পাঁচটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন-তার মধ্যে শেষটি ছিল- 'to stop talking about Tagore and to stand back and to simply contemplate him.'

    ছোটো আই
  • b | 562312.20.2389.164 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৯:৫৫378003
  • বিলেতপ্রবাসে পালসেটিলা খেতেন কি না, খেলেও কয় মাত্রার, সেটা লিখে যান নি?
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:২১378004
  • না, রবীন্দ্রনাথ-কে নিয়ে কবি ইয়েটস বা এজরা পাউন্ড-এর মনোভাবের পরিবর্তন রেসিজিম দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না ।

    পাউন্ড-ইয়েটস নোবেল পাবার আগে থেকেই রবীন্দ্রনাথের প্রতি একটু আগ্রহ হারিয়েছিলেন, এবং সে কথা ব্যক্তও করেছেন।

    চতুর্দশ শতাব্দীর বিখ্যাত লাতিন কবি বোকাচিও যখন দান্তে-র লেখার সংস্পর্শে প্রথম আসেন তখন যেমন অভিভূত হয়েছিলেন সেইরকম এক অনুভূতি তারও হয় প্রথম রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে - পাউন্ড একথা বলেন, বেসিক্যালি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দান্তে-র তুলনা করেন, এবং, মুষ্টিমেয় যে কয়জন রবীন্দ্রনাথের লেখার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের মধ্যে তিনি আছেন ভেবে বেশ গর্বিত বোধ করেন (we few who have been privileged to receive the work of Mr. Tagore before the public had heard it) । পাউন্ড তখন বছর সাতাশের তরুণ কবি, তিনি পঞ্চাশোর্ধ রবীন্দ্রনাথের লেখনী ও ব্যক্তিত্ব-তে মুগধ হন। রোদেনস্টাইন লিখেছেন যে পাউন্ড রবীন্দনাথের পায়ের কাছে বসে থাকতেন। প্রথম বই প্রকাশের পর হঠাৎ রবীন্দ্রনাথের বই এর চাহিদা (এবং সেই সঙ্গে জনপ্রিয়তা) অভাবনীয় ভাবে বেড়ে যাওয়ায়, রবীন্দ্রনাথ কিছুটা হলেও আমজনতার হয়ে পড়েন।

    কিছু স্ট্যাট দিলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে - রবীন্দ্রনাথের বইগুলো যেভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল ,
    ১) Song Offerings (India Society edition - November 1912; Macmillan - March 1913)
    ২) The Gardener (Macmillan - October 1913)
    ৩) The Crescent Moon (Macmillan - October 1913)
    ৪) Sadhana (Macmillan - October 1913)

    ম্যাকমিলান-এর শুধু Song Offerings বইটির বিক্রির হিসেবে এমন --
    - ১৯১৪ সালের ফ্রেব্রুয়ারি অবধি ১৯,৩২০ কপি (এক বছরের মধ্যে)
    - পরের তিন বছরে ১৮,৬৮০ কপি
    - পরের ৬৫ বছরে ২০,০০০ কপি

    এর থেকে বোঝা যাচ্ছে শুরুতে রবীন্দ্রনাথের লেখা নিয়ে একটি শুরুতে প্রবল আগ্রহ তৈরী হয়, এবংএক বছরের মধ্যে ম্যাকমিলান প্রায় ১০-১২ তা এডিশন ছাপায়, কারণ ছাপার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি । তো এই হঠাৎ করে শুধু আমরা মুষ্টিমেয় কয়জন রবীন্দ্রনাথ বুঝি থেকে আমজনতা সবাই পড়ে ফেলছে এটা একটু অস্বস্তির কারণ ছিল। প্রফেসর হ্যারল্ড হারুইৎজ-এর Tagore-Pound কে নিয়ে একটি প্রবন্ধ থেকে - "His (Pound) attitude also changed considerably after Tagore became a popular success. While the Indian poet was unknown, Pound was delighted to act as his defender and to use Tagore’s lack of recogni­tion as proof of the stupidity of the English and his own superiority. But when the English public accepted the Indian and used Pound’s own words to praise him, Pound, apparently shocked to find him­self part of the herd, quickly denounced him."

    পাউন্ডের হতাশার একটি আসল কারণ ছিল যেভাবে রবীন্দ্রনাথের ভাবমূর্তি ব্রিটিশ তথা পশ্চিমের সমাজে প্রচারিত এবং প্রতিফলিত হচ্ছিল, বিশেষ করে একজন প্রাচ্যের আধ্যাত্মিক ধর্মীয় দার্শনিক হিসেবে। সেই সময়ে পাউন্ডের লেখা একটি প্রবন্ধে তার এই হতাশা ব্যক্ত হয় -
    …why the good people of this island are unable to honour a fine poet as such, why they are incapable of … …Rabindranath Tagore is not to be কংফুসেদ with any Theosophist propaganda; nor with any of the various mis­sionaries of the seven and seventy "ism"s of the mystical East. … …
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৩378005
  • *কংফুসেদ = confused
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.202 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৩৯378006
  • @ছোটো আই, ভুলে যাননি বলে অসংখ্য ধন্যবাদ। এর মধ্যে আপনার দেওয়া লিঙ্কগুলো পড়া হয়ে গেছে। @lcm যে রবীন্দ্রনাথকে 'প্রাচ্যের আধ্যাত্মিক ধর্মীয় দার্শনিক' হিসেবে দেখানোর প্রসঙ্গটা সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন সেই আলোচনা আপনার দেওয়া লিঙ্কে বিশদে আলোচিত হয়েছে। এর মূল পাণ্ডা ছিলেন অ্যান্ড্রুজ। এটাও পরিষ্কার যে অ্যান্ড্রুজ মোটেই রোদেনস্টাইনের বাড়িতেই প্রথম রবীন্দ্রনাথকে দেখেননি, তাঁর কবিতাও ওখানে প্রথম শোনেননি। সেটাই স্বাভাবিক। ১৯০৪ থেকে ভারতে অধ্যাপনা করা একটা শীলিত মানুষ ১৯১২তে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হচ্ছেন - বরং এটাই আশ্চর্যের।

    @lcm, আপনি একা হাতে এই টইকে চমৎকার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ছোটো আই-এর সঙ্গে আপনাকেও একটা নির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছিলাম। সে ব্যাপারে কিছু বলবেন?
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.202 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:৪২378007
  • * একটা নয়, একজন শীলিত মানুষ।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৪২378009
  • এলেবেলে,
    দেখলাম আপনি প্রশ্ন করেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ৫২তম জন্মদিনের পর কেন বলেছিলেন ঝড়জলের পর এক 'নতুন সবুজের' আশা করছেন।

    জানি না। তবে রবীন্দ্রনাথের টাকাপয়্সার দরকার ছিল। শান্তিনিকেতন তৈরি ছিল তার জীবনের লক্ষ্য, তার জন্য প্রচুর টাকার দরকার। জমিদারদের তো ফান্ডিং-এর প্রবলেম হবার কথা নয়, রাজস্ব একটু বাড়িয়ে দিলেই হল, বিশেষ করে তিনি যখন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের নাতি, সেই দ্বারকানাথ যার সম্বন্ধে বলা হয় - "As a zamindar Dwarkanath was mercilessly efficient and businesslike, but not generous."। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কেমন জমিদার ছিলেন সে সব আপনারা জানেন। শুধু জমিদার হিসেবে নন এক্জন মানুষ হিসেবে কতটা মানবিক ছিলেন তাও সবাই জানেন।

    এবার, অন্যান্য ধনী ব্যক্তিদের থেকে ফান্ডিং জোগাড় করার এক প্রতিবন্ধকতা ছিল যে নিজেরাও জমিদার - জমিদারকে কে অনুদান দেবে? তার চেয়েও বড় কথা হল যে একটি বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ফান্ডিং দেবার জন্য যে ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা এবং আবহ দরকার তা অনুপস্থিত ছিল ( প্রসঙ্গত, বিবেকানন্দর আমেরিকা ট্রিপ ফান্ড করেছিলেন রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুর কিছু ধনী ব্যক্তি)। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সমালোচক ছিলেন কলকাতায় এবং বাংলায়। বৃটেনেও লিটার‌্যারি ক্রিটিসিজ্‌ম আরও তীক্ষ্ণ ছিল সে সময়ে, এতটাই প্রবল ছিল যে ইয়েট্‌স্‌ এক সময় বলেওছিলেন যে এত প্রখর সমালোচনার ফলে ইংরেজি সাহিত্যে মৌলিক চিন্তাভাব্নার পরিসর ছোট হয়ে যাচ্ছে, এবং রবীন্দ্রনাথের লেখা সেই সময় এক ঝলক নতুন বাতাস (gust of fresh wind) নিয়ে আসে। কিন্তু বৃটেনে এক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল ছিল যেখানে কিছু ধনী ব্যক্তির সহায়তা ছিল, কলকাতায় সমালোচকদের দল থাকলেও তেমন পরিমন্ডলের অভাব ছিল।

    তো, এক্ষেত্রে ফান্ডিং-এর জন্য রবীন্দ্রনাথের হাতে তার নিজসৃষ্ট সাহিত্যকর্ম ছাড়া কিছু ছিল না। এবং, এই জন্য তাঁকে পশ্চিমে যেতে হয়েছে। লেখা অনুবাদ করেছেন, বই ছাপিয়েছেন, বক্তৃতা দিয়েছেন - সারা পৃথিবী ঘুরেছেন - এবং এসব করেছেন ৫০-৮০ বয়েসের মধ্যে। অবিশ্বাস্য রকমের ঠাসা থাকত তাঁর ভ্রমণসূচী (এই থ্রেডে অর্জুনের এক পোস্টে কিছু উদাহরণ আছে), ভগ্ন স্বাস্থ্য, প্রিয়জন বিয়োগ - এসবের পরোয়া না করে তিনি বারবার গেছেন দেশের বাইরে। কারণ তাঁর মাথার মধ্যে রয়েছে ফান্ডিং-এর চিন্তা। বিভিন্ন চিঠিপত্রে সে উদ্বেগ বারবার উঠে এসেছে।

    সুতরাং, নোবেল বা নাইট পাবার উদ্দেশ্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথ পশ্চিমে রওনা হন নি। ইংরেজি ভাষায় লেখা অনুবাদ করে বই বিক্রির ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা ইত্যাদির মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের জন্য অর্থসংগ্রহের সামান্য কিছু দীর্ঘস্থায়ী সুরাহা হতে পারে এই ভেবেই কি 'নতুন সবুজের' কথা বলেছিলেন, হয়ত।
  • এলেবেলে | 230123.142.1278.202 | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৩৬378010
  • @lcm, আমাকে স্বচ্ছন্দে তুমি করে বলুন, ভালোলাগবে। যতদূর মনে পড়ে 'ভাতের থালায় লুকিয়ে আছে সাদা শয়তান' টইতে আপনার সাথে আলাপ হয়েছিল।

    আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়লাম। এই যে 'ইংরেজি ভাষায় লেখা অনুবাদ করে বই বিক্রির ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা ইত্যাদির মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের জন্য অর্থসংগ্রহের সামান্য কিছু দীর্ঘস্থায়ী সুরাহা হতে পারে' জাতীয় ভাবনা, সেটা তো পাশ্চাত্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এবং সাফল্য ছাড়া সম্ভব নয়। সে ব্যাপারে তিনি এতটা নিশ্চয়তা কোথা থেকে পাচ্ছেন?

    ১৯০০ সালে বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে রবীন্দ্রনাথ লিখছেন — ভাই, একটা কাজের ভার দেব? ... আমার গ্রন্থাবলী ও ক্ষণিকা পর্যন্ত সমস্ত কাব্যের কপিরাইট কোন ব্যক্তিকে ৬০০০ টাকায় কেনাতে পার? শেষের যে বইগুলি বাজারে আছে, সে আমি সিকি মূল্যে তার কাছে বিক্রি করব – গ্রন্থাবলী যা আছে, সে এক-তৃতীয়াংশ দামে দিতে পারব (কারণ এটাতে সত্যের অধিকার আছে, আমি স্বাধীন নই)। আমার নিজের দৃঢ় বিশ্বাস, যে-লোক কিনবে সে ঠকবে না। ... আমার প্রস্তাবটা কি তোমার কাছে দু:সাধ্য বলে ঠেকছে? যদি মনে কর ছোট গল্প এবং বৌঠাকুরাণীর হাট ও রাজর্ষি কাব্যগ্রন্থাবলীর চেয়ে খরিদ্দারের কাছে বেশি সুবিধাজনক বলে প্রতিভাত হয়, তাহলে তাতেও প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমার বিশ্বাস কাব্যগ্রন্থগুলোই লাভজনক।

    তখন কবি চল্লিশে পা দিয়েছেন। লিখে ফেলেছেন মানসী, কড়ি ও কোমল, গল্পগুচ্ছ, সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, রাজর্ষি, বাল্মীকি-প্রতিভা, বিসর্জন, চিত্রাঙ্গদা। হঠাৎ বাহান্নতে পোঁছে তিনি এত কনফিডেন্স পাচ্ছেন কোথা থেকে?
  • ;) | 781212.194.120123.59 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৫৩378011
  • দ্রি কে ডাকা হচ্ছে, ঠারেঠোরে। ;)
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.4567.139 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৫৭378012
  • ১৯০০- '১৩ র মধ্যে রবীন্দ্রনাথের জীবনে পরিবর্তন এসেছিল। ১৯০০ খৃস্টাব্দের যে চিঠির কথা উল্লেখ করেছেন @ এলেবেলে, সেই সময়ে তার দুই কন্যার বিবাহ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ আর্থিকভাবে জেরবার। বিশেষ করে বড়মেয়ে বেলার বিয়েতে পাত্রপক্ষ (রবীন্দ্রনাথের কৈশোর ও যৌবনে 'রোল মডেল' কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর পরিবার) মোটা অর্থ পণ চাওয়ায় উনি খুব বেসামাল অবস্থায় পড়েছিলেন। ঐ সব চিঠি ওই অস্থির সময়কার।

    ১৯১৩ তে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম অনেকটাই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সেখানে যোগ দিয়েছেন বেশ কিছু সম্ভাবনাময় ব্যক্তি। কালীমোহন ঘোষ, ক্ষিতিমোহন সেন, জগদানন্দ রায়, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা। রবীন্দ্রনাথ মেতে আছেন সেই কর্মযজ্ঞ নিয়ে।

    রবীন্দ্রনাথের 'কনফিডেন্স' র অভাব কোনোদিনই ছিল না।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.4567.139 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০০378013
  • এই আলোচনাটার এবার summing up দরকার।

    অজস্র অতথ্য, সুতথ্য সংবলিত হয়েছে। এবার একটু ফোকাসড হওয়া দরকার।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.73 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫৯378014
  • @অর্জুন অভিষেক, নোবেল পাওয়ার আগে রবীন্দ্রনাথের বইয়ের বিক্রিবাটা আদৌ সন্তোষজনক ছিল না। হিতবাদী ছিল তাঁর বইয়ের অন্যতম প্রধান প্রকাশক। তাঁর গ্রন্থাবলী ছেপেছিল এই হিতবাদী। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং লিখছেন, 'তখন আমার বিদ্যানিকেতনের ক্ষুধা মেটাবার জন্য হিতবাদী তৎকালীন ধনশালী কর্তৃপক্ষের কাছে আমার চার-পাঁচটা বইয়ের স্বত্ব বন্ধক রেখে সামান্য কিছু টাকা সংগ্রহ করেছিলাম। প্রায় প নে র বৎসরেও তা শোধ হয়নি'।

    নোবেল পাওয়ার চার দিন পর তিনি রোদেনস্টাইনকে লিখছেন, 'The very first moment I received the message ... my heart turned towards you with love and gratitude. ... But, at the same, it is a very great trial for me. The perfect whirlwind of public excitement it has given rise to is frightful. It is almost as bad as tying a tin can at a dog's tail making it impossible for him to move without creating noise... I am being smothered with telegrams and letters for the last few days and the people who never had any friendly feeling towards me nor e v e r read a line of my works are loudest in their protestations of joy... Really these people honour the honour in me and not myself'.

    নোবেল-পূর্ব রবি ঠাকুরের নোবেল-উত্তর গুরুদেব-এ উত্তরণের কথা অনেক আগেই বলেছিলাম!
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.7867.126 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৩৭378015
  • আমার মনে হয় আপনি zig zaw puzzle খেলায় মেতেছেন।

    এবং আপনি আগের থেকে ধারণা করে এগোচ্ছেন অনেক কিছু। তাই তথ্যগুলোকে ঐ ভাবে সাজাচ্ছেন।

    বই বিক্রি ইত্যাদি দিয়ে লেখকের confidence বিচার করতে গেলে 'ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়' উজাড় হয়ে যাবে।

    শান্তিনিকেতন genuinely একটা 'No man's land' ১৯০১ এর সময় ছিল ডাকাতদের জঙ্গলি ঠেক। সেখানে যখন তিনি তার ইস্কুল গড়ে তোলার কথা ভাবলেন এবং বাস্তবে পরিণত করলেন, তখন তার confidence নিয়ে প্রশ্ন তুললে নিজেই কূল পাবেন না।

    @এলেবেলে
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.7867.126 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৫০378016
  • রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক আর কোনো কবি, সাহিত্যিকের বহির্বিশ্বের সঙ্গে এত যোগাযোগ ছিল না। সে তার পারিবারিক প্রতিপত্তি ও আর্থিক কৌলীন্যের জন্যেই হোক আর যার জন্যেই।

    রমেশচন্দ্র দত্ত ইত্যাদিরা সব আই সি এস ছিলেন। তাদের কর্মসূত্রেই বিলেত যেতে হত।

    নরেশ গুহ সম্পাদিত 'কবির চিঠি কবিকে' (রবীন্দ্রনাথকে লিখিত অমিয় চক্রবর্তীর চিঠি ১৯১৬- ১৯৪১) তে জানা যায় সেই সময়ের ইউরোপ ও অ্যামেরিকার শিল্প, সাহিত্যের ওপর অনেক rare journal রবীন্দ্রনাথ subscribe করতেন নিয়মিত যা এই বইয়ের সম্পাদক খোঁজ করে দেখেছেন ভারতবর্ষে আর অন্য কোথাও ওই সময়ে কারো কাছে আসত না।

    সব বিষয়ে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল ব্যক্তি ছিলেন তিনি, নিজেকে রাখতেন up to date।

    ১৯১৩ র ইংল্যান্ডের সাহিত্যিক সমাজ তার কাছে খুব অপরিচিত ছিল না।
  • এলেবেলে | 230123.142.9001212.73 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:১৩378017
  • @অর্জুন অভিষেক, আমি 'আগের থেকে ধারণা করে' এগোচ্ছি না। ধারণা স্পষ্ট করার জন্য কিছু প্রশ্ন উসকে দিচ্ছি মাত্র। এটাও বুঝতে পারছি আমার মতো অনেকেরই এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা নেই, অংশগ্রহণ তাই এত কম। রবীন্দ্রনাথের এগিয়ে থাকা-পিছিয়ে থাকা নিয়ে কিছু বলিনি কারণ সেসব প্রশ্নের উর্ধ্বে। আমি বলতে চাইছি যে রবীন্দ্রনাথ বই লিখে পনেরো বছরে ধার শোধ করতে পারেন না, সেই রবীন্দ্রনাথ আশাবাদী হচ্ছেন কীভাবে যে 'ইংরেজি ভাষায় লেখা অনুবাদ করে বই বিক্রির ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা ইত্যাদির মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের জন্য অর্থসংগ্রহের সামান্য কিছু দীর্ঘস্থায়ী সুরাহা হতে পারে'? ইংল্যান্ডের সাহিত্যিক সমাজ তাঁর কাছে অপরিচিত ছিল কিনা সেটা বড় ব্যাপার নয় কারণ তাঁদের রবীন্দ্রনাথের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়নি, কিন্তু সেই সমাজে রবীন্দ্রনাথ কতটা পরিচিত ছিলেন?
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.7867.126 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪১378018
  • যে দেশের সাম্রাজ্যের সূর্য অস্ত যেত না, সেই সাম্রাজ্যের ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে ঐ সাম্রাজ্যেরই অনেক উপনিবেশের একটি আঞ্চলিক ভাষার সাহিত্যের তুলনা করা কি চলে?
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:৪১378020
  • শান্তিনিকেতনের ব্যাপারটা আর একটু বিস্তারিত লিখবেন কেউ? ঐ জায়গাটিতে ব্রাহ্মমন্দির ইত্যাদি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের হাত দিয়েই শুরু হয়েছিল না? পৌষমেলা ইত্যাদি? পরে তো রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী তৈরী করলেন?
  • b | 4512.139.6790012.8 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:০২378021
  • শান্তিনিকেতন genuinely একটা 'No man's land' ১৯০১ এর সময় ছিল ডাকাতদের জঙ্গলি ঠেক।
    হ্যাঁ, নো ম্যানস ল্যন্ড ছেলো, ১৯০১ সালে, কিন্তু জঙ্গলি ডাকাত নয়। অতোজ ঠিক লিখেছেন।ও আরো এক জেনারেশন আগের গল্প।

    বিটিডব্লু, রবিবাবু নাকি নোবেল প্রাইজের টেলিগ্রাম পাওয়ার পরে জগদানন্দকে দিয়ে বলেছিলেন, "এই নিন, পায়খানা তৈরির টাকা"। তার আগে ছাত্র শিক্ষক (রবিবাবু বাদে বোধ হয়) সবাই মাঠে যেতেন।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.128 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:০৯378022
  • দেবেন্দ্রনাথ, রায়পুরের জমিদার 'সিংহ' দের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে ১৮৬৩ সালে (রবীন্দ্রনাথের তখন দু বছর বয়েস) বোলপুরের ওপর দিয়ে পালকিতে গেছিলেন। ক্লান্ত শরীরে এখানকার ছাতিম তলায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন ও ধ্যানে বসেন। ধ্যানস্থ অবস্থায় তিনি "প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি" উপলব্ধি করেন ও এই স্থানটি কিনতে চান। যথা ভাবনা, তথা কার্য। রায়পুরের জমিদারদের থেকে ৭ একর জমি ক্রয় করেন। ১৮৬৪ তেই এই জমির উপর তিনি একতলা দালান বাড়ি নির্মাণ করেন এবং নাম দেন 'শান্তিনিকেতন'। পরে দোতলা তোলা হয়। দেবেন্দ্রনাথ তার ব্রেম্ম' সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে এখানে নিভৃতে ধর্মালোচনা ও সাধন ভজন করতে আসতেন। ১৮৮৮ তে দেবেন্দ্রনাথ পুরো জমি ও 'শান্তিনিকেতন' বাড়ি 'ব্রহ্ম বিদ্যালয়' ও গ্রন্থাগার কল্পে আশ্রম ট্রাস্ট ডিড করেন দান করেন।

    ১৮৯১ র ২১ ডিসেম্বর ( ১২৯৮ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ) দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ('তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক) একটি ব্রাহ্ম মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ৭ পৌষ ছিল দেবেন্দ্রনাথের দীক্ষা দিবস। ১৮৪৩ এর ৭ পৌষ দেবেন্দ্রনাথ আরো কয়েকজন অনুগামীর সঙ্গে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীষের থেকে ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৮৯৪ সালে ব্রাহ্মমন্দিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে মন্দিরের উল্টোদিকের মাঠে একটি ছোটো মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। কাঁচের মন্দিরের উল্টো দিকের বিশাল মাঠটিতে। এই ছিল পৌষ মেলার সূচনা।

    প্রসঙ্গত উপনয়নের পরে রবীন্দ্রনাথ উত্তর ভারত ভ্রমণের সময় পিতার সঙ্গে প্রথম বোলপুরে আসেন। সে কাহিনী 'জীবন স্মৃতি' তে ডিটেলে আছে।

    ১৯০১ এ 'ব্রহ্মচর্যাশ্রম' র প্রতিষ্ঠা দিন ২২ ডিসেম্বর।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.8967.128 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:২৭378023
  • ওই 'শান্তিনিকেতন' বাড়ি থেকেই জায়গার নাম শান্তিনিকেতন।

    শান্তিনিকেতনের প্রথম পর্বের ইতিহাস জানা যায় অমিতা সেনের 'শান্তিনিকেতনে আশ্রমকন্যা' বইতে।

    উমা দাশগুপ্ত আদি পর্বের ইতিহাস লিখছিলেন তবে সে বইয়ের খবর জানিনা।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৪378024
  • এইটার লিন্ক আগে কেউ দিয়েছেন?

  • T | 342323.176.3489.124 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৫৭378025
  • হে হে, এ তো ঠোঙা ভিডিও। এ ভিডিও বিখ্যাত হয়েচে কিন্তু সুনীলবাবুর জন্যে নয়। ;)
  • র২হ | 785612.40.670112.207 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৫৯378026
  • নির্মোহ ব টার্মের সূত্রপাত এই ভিডিও, আমার ধারনা।
  • dc | 342323.228.568912.86 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:২৬378027
  • কিন্তু অরিজিনাল প্রশ্নটার কি হলো? রবীন্দ্রনাথ কোথাকার কবি?
  • de | 90056.185.673423.55 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৫৩378028
  • পৃথিবীর - মহাবিশ্বের -
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.90067.61 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:১৬378029
  • @dc

    কাল @Atoz েত বড় একটা মোক্ষম উদাহরণ দিলেন, তারপরেও রবি বাবুকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন!

    চার্চিলের মত লোক রবি বাবুর কবিতা পড়ে চীন দেশের এক নেত্রীর হাত থেকে বিষ খেতে রাজী হয়ে গেছিলেন!

    তারপরেও সংশয় দূর হচ্ছেনা!
  • i | 891212.211.450123.42 | ২০ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৭378031
  • এলেবেলে,
    গতবছর ১৯শে সেপ্টেম্বর আপনি এল্সিএম ও আমাকে একটি প্রশ্ন করেনঃ

    "@ছোটো আই এবং @্মকে আমি একটা নির্দিষ্ট প্রশ্ন করছি। ১৯১২ সালে অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের ৫২তম জন্মদিন পালনের পর ২৯ বৈশাখ জগদানন্দ রায়কে রবীন্দ্রনাথ লেখেন — আমার এই ৫২ বৎসরের জন্মদিনের উৎসব খুব একটা ঝড় জলের মধ্যে সমাধা হয়ে গেছে। মনে মনে তাই আশা করচি এই ঝড়ে আমার জীবনের আর একটা পর্য্যায় (এই বানানই লিখেছিলেন) বুঝি সূচনা করে দিচ্চে - পুরাতনের সমস্ত জীর্ণ পাতা উড়িয়ে দিয়ে জীবনের শেষ ফল ফলাবার জন্যে এবার বুঝি একবার নূতনে সবুজে সাজতে হবে।

    উনি হঠাৎ 'জীবনের শেষ ফল'-এর ব্যাপারে এত নিশ্চিন্ত হলেন কীভাবে? উনি কি আশা করছিলেন তাঁর অনুবাদকর্ম তাঁকে 'নূতনে সবুজে' সাজিয়ে দেবে? চিঠির সালটা কিন্তু খুবই ইঙ্গিতবহ।"

    আমি এখনও এর উত্তর জানি না।

    যে জন্য আপনাকে লিখছি তা হ'ল, একটি বই এর বিজ্ঞাপন। পুনশ্চ থেকে প্রকাশিত পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের 'মৃত্যু-প্রত্যাশী রবীন্দ্রনাথ' বই এর বিজ্ঞাপনে লেখা আছেঃ 'বয়স তখন ৫৩ বছর। খ্যাতির শিখরে রবীন্দ্রনাথ । কিন্তু মরবার ইচ্ছা গ্রাস করেছিল তাঁর মনকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মনের কালো সরে গিয়ে আলোর সন্ধান পেয়েছিলেন কবি।'

    কেমন বই, কী আছে, উৎকর্ষ কিছু জানি না আমি। কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখেই আপনার প্রশ্নটির কথা মনে হ'ল। কে জানে হয়ত এ বইতে আপনার প্রশ্নের উত্তর আছে।
    জানালাম আপনাকে। উল্টে পাল্টে দেখতে পারেন, যদি সম্ভব হয়।

    ছোটো আই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন