এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ২০১৯ নির্বাচন ইত্যাদি

    pi
    নাটক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৪৫৪৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 127812.49.231223.242 | ৩১ মে ২০১৯ ২০:১৭378843
  • "আজও যখন মমতা দলবল নিয়ে সিঙ্গাপুর না কোথায় শিল্প আনতে যান, দেখে হাসি পায়"

    এটা একদম ঠিক। দিদি যেভাবে পবর থেকে শিল্প তাড়িয়েছেন তার পরেও যে এক্সপেক্ট করেন পবতে আবার বড়ো ইনভেস্টমেন্ট করতে কেউ এগিয়ে আসবে, এটা রিয়েলি হাস্যকর।
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 | ৩১ মে ২০১৯ ২০:২১378844
  • ক্যাপিটাল ফ্লাইট ১৯৫০ থেকে শুরু। এবং ধারাবাহিকভাবে কমেছে। ৫০ এ বলা হত, খুব গন্ডগোল। ৬০এ কমিউনিস্টি। ৭০ এ অরাজকতা। ৮০ তে বামফ্রন্ট। এগুলো সর্বভারতীয়ভাবেই চালু ছিল এবং আছে। পুরোটাই বানানো এমনও না। কিন্তু তাতে করে কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব কমে রাজ্যের দায় বেড়ে যায়না।
  • dc | 127812.49.231223.242 | ৩১ মে ২০১৯ ২০:৩৬378846
  • উল্টোদিকে
  • dc | 127812.49.231223.242 | ৩১ মে ২০১৯ ২০:৩৬378845
  • আবার উটোদিকে অন্তত নব্বুইয়ের লিবারাইজেশানের পর রাজ্য সরকারের রোলও কিছুটা বেড়েছে। তামিল নাড়ুতে যেমন দেখি, সরকার বেশ কিছু পলিসি নিয়েছে ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি এনভায়রনমেন্ট তৈরি করার জন্য, যার জন্য বড়ো ইনভেস্টমেন্ট নিয়মিত আসেও। একটা কারখানা বন্ধ হলে অন্য কারখানা চালু হয়। বুদ্ধবাবুও ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি সরকার বানানোর চেষ্টা করেছিলেন বা শুরু করেছিলেন, আনফরচুনেটলি বিরোধী আন্দোলন হ্যান্ডল করতে পারেননি। আর সেই সময়ে মেধা পাটকার, বাঙ্গুর জমি আন্দোলন সমিতি (না কি একটা যেন নাম ছিল), শাঁওলি মিত্র হ্যান ত্যান সবাই মিল এমন ক্যাঁও ম্যাও জুড়ে দিয়েছিল যে বুদ্ধবাবুও বোধায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। কোন সব নেতারা তো সিঙ্গুর থেকেই পৃথিবীব্যাপি সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে ফেলেছিলেন, পরে আর তাঁদের টিকি দেখা যায়নি।
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 | ৩১ মে ২০১৯ ২০:৫৬378847
  • রোল কতটা বেড়েছে জানিনা। হ্যাঁ, বড় শিল্পে এখন কেন্দ্রীয় লাইসেন্স নিতে হয়না। আর ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেন্ডলি বলতে বোঝানো হয়, কে কত লম্বা লাল কার্পেট পাততে পারে। কিন্তু বেসিক জিনিস এখন একই আছে। নিজের বাজারের উপর একটা রাজ্যের কোনো কন্ট্রোল নেই, নিয়ন্ত্রণ আরও কমেছে, সবই এখন জিএসটি। কাকে কতটা ব্যবসা করতে দেব, তার উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নিজের উপার্জনের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
  • dc | 127812.49.231223.242 | ৩১ মে ২০১৯ ২১:০৬378848
  • জিএসটি কনসেপ্টটা এমনিতে ভালো, তবে মোদি সরকার ইমপ্লিমেন্ট করতে গিয়ে ছড়িয়ে লাট করেছিল। পুরো সিস্টেমটা যদি ঠিকমতো ইমপ্লিমেন্ট করতে পারে, কোটি কোটি বাগ আর বিজনেস লজিকের গন্ডগোল যদি সরাতে পারে, সময়মতো যদি রিফান্দগুলো দেয়, তাহলে জিএসটি ভালো কাজে আসবে।
  • Ishan | 2312.106.9002323.218 | ৩১ মে ২০১৯ ২১:১৬378849
  • ভালো খারাপের ব্যাপার না। অর্থনীতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, আদায়ীকৃত করের সম্পূর্ণ অধিকার যদি কেন্দ্রীয় সরকারের হয়, অর্থনীতির উন্নয়ন, শিল্পবিকাশ, এসবের সম্পূর্ণ দায়িত্বও তার। সে স্থানীয় সরকারকে কিছু অনুদান দেয় আইনশৃঙ্খলা, শিক্ষা এসব দেখার জন্য। তার দয়িত্ব রাজ্য সরকরের। কিন্তু ওইটুকুই।

    কিন্তু মডেলটাই তো উল্টে গেছে। বাজারের উপর অধিকার, করের উপর অধিকার কিছুই রাজ্য সরকারের নেই, স্রেফ দায়িত্ব আছে। আর ক্ষমতা-টমতা সব কেন্দ্রীয় সরকারের, কিন্তু কোনো দায়িত্ব নেই। এরকম মডেলকে ইংরেজ আমলে দ্বৈত শাসন বলা হত।
  • sm | 2345.110.9002312.254 | ৩১ মে ২০১৯ ২১:৪৭378850
  • তারপর এঁরা কি ধরণের ব্যবসায়ী?ছোট আম্বানি, অতবড় ব্যবসায়ীর ছেলে হয়ে প্রায় একলক্ষ কোটি টাকার ওপর ধার!কি ব্যবসা করে এঁরা?!
    আদানী, টাটা সবার বাজারে প্রচুর ধার।শুধবে কিনা কে জানে!এত স্বল্প দামে জমি পেয়ে,কর ছুট পেয়ে,রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দুহাত ভরে বদান্যতা সত্বেও এই পারফরমেন্স?
    নীরব মোদি,চকসি,সন্দেশরা,রুইয়া,কোঠারি,সিং ব্রাদার-এদের কথা তো বাদ দিলাম।
    যতো সব বাজারী কাগজের প্রচার আর বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের শিল্পপতিদের পদ লেহনের প্রতিযোগিতা।এককথায় ডিসগাস্টিং।দেশের পিএম অবধি কাছা তুলে দৌড়োচ্ছে দেশ বিদেশ।হায় কপাল!
  • কল্লোল | 342323.191.90056.124 | ৩১ মে ২০১৯ ২২:৪৫378851
  • পব থেকে ফ্লাইট অফ ক্যাপিটলের শুরু ৫০এর দশক থেকে যখন মাসুল সমীকরণ নীতি চালু হলো। এর ফলে পূর্বঞ্চল থেকে দূরে শিল্প স্থাপন করা লাভজনক হয়ে গেলো।
    এই মাসুল সমীকরণ নীতি মেনে নেন বিধান রায়, তিনি নকি বংলার রূপকার!!!
    এক তো দেশভাগের ফলে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ তার উপর অর্থনীতিতে এই আঘাত। এতে জ্যোতি বসু বা কমিউনিস্ট পার্টি কোথায়?
    এরপর এই রাজ্যে রাজনৈত্ক অস্থিরতা বাড়বে না তো কি হবে?
  • S | 458912.167.34.76 | ০১ জুন ২০১৯ ০০:৩৭378853
  • ঈশানদা যেটা ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাই, দিল্লি নিয়ে বলেছেন সেটা অনেকাংশেই সত্যি। ব্যাঙ্গালোরে আইটি-ভাইটি হওয়ার অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার ইলেকট্রনিক্স শিল্প গঠন করে ফেলেছিল। দিল্লিতে সবসময়ই প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে, বিশেষ করে ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারে। রাজধানী বলে কথা। মুম্বাইতে ব্যাপারটা কিছুটা মিশ্র। ফাইনান্সিয়াল হাব বানানোর পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত ছিল। কিন্তু বলিউড সম্বন্ধে জানিনা। এছাড়া ভৌগলিক অবস্থান খুব ভালো। সাগর পেরোলেই তেলের দেশগুলো। আর মারোয়ারি-গুজরাত-সিন্ধ্রি কমিউনিটিদের জন্য কাছের শহর। ফলে মুম্বাই ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

    কোলকাতার পিছনে থাকার একটা কারণ সবাই বলেছেন। আরেকটা কারণ হলো বামেরা ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রের কঙ্গ সরকারের পবে ইনভেস্ট করার ইনসেন্টিভ চলে যায়। আমার মনে হয় এই কারণেই এই রাজ্যে কঙ্গ একদম শেষ হয়ে গেছে। তবে বামেদের ভুল শিল্পনীতিও দায়ী। নইলে অর্ধসত্য হবে। ৯০এর পর থেকে কেন্দ্র সরকারের ভুমিকা ক্রমশ কমে এসেছে। সেক্ষেত্রে প্রথমে দাদুর সরকার, পরে দিদির বিরোধিতা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর সমস্যার সৃষ্টি করেছে। একথা স্বীকার না করলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেস্টা হয়ে যায়।

    এছাড়াও পার্সোনাল লেভেলেও প্রচুর সমস্যা রয়েছে। পুর্নেন্দু চ্যাটার্জি ছাড়া রাজ্যে বিনিয়োগ আনার তেমন কোনও লোক ছিলোনা। অবাঙালী শিল্পপতিদের এতো জায়্গা ছেড়ে পবে বিনিয়োগ করার জাস্ট কোনও ইচ্ছেই নেই। দিদিকে বিশ্ববাংলায় সবাই মিলে বোকা বানিয়ে চলে যায়। বাঙালীরা নিজেরা যতদিন না শিল্প তৈরী করছে, ততদিন তেমন কিছু হেরফের হবে বলে মনে হয়না।
  • S | 458912.167.34.76 | ০১ জুন ২০১৯ ০৩:৪১378855
  • বললাম তো ইভিএম নিয়ে চিন্তাটা থেকেই যাচ্ছে।
  • Ela | 015612.107.0112.23 | ০১ জুন ২০১৯ ০৭:২৯378856
  • ধর্মীয় মেরুকরণের কাউন্টার হিসেবে জাতিসত্তার তাস খেলার কথা বলা হচ্ছে কি? যদি ঠিক বুঝে থাকি তাহলে বলব এর থেকে বেঠিক নীতি কিছু হতে পারে না। ধর্মের আফিমের থেকে জাতিসত্তার আফিম কিছু স্বাস্থ্যকর না।

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম যদি বহু পুরোন ব্যাপার হয় তাহলে দেশভাগও কিছু রিসেন্ট ঘটনা নয়। পাপস্বীকার করলেও লোকের কিই বা আসবে যাবে? যার গেছে তার কি আর ফিরবে?

    সমাজবদলের আগে নিজেদের বদলানো ভাল। শেয়ালেত নেতা বাঘ হবে না। মমতা-মোদি আমাদের সমাজেরই ফসল।
  • Ela | 015612.107.0112.23 | ০১ জুন ২০১৯ ০৭:৩০378857
  • *শেয়ালের
  • Ishan | 89900.222.34900.92 | ০১ জুন ২০১৯ ০৮:১৯378858
  • ধর্মকে মার্কস খুব নিন্দাজনক অর্থে আফিম বলেননি। খুব সম্ভবত ব্যথা উপশমকারী হিসেবে বলেছিলেন। সেসময়ে ওটার ওষুধ হিসেবে চল ছিল। নইলে সঙ্গে নিপীড়িতজনের দীর্ঘশ্বাস ইত্যাদি আসতনা। আর জাতিসত্ত্বার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে স্তালিনের খানকতক লেখা আছে। ভিয়েতনাম এবং চিনের বিপ্লবে জাতিসত্ত্বা একটি মুখ্য বিষয় ছিল। ভারতে গঙ্গাধর অধিকারীও একটি থিসিস রচনা করেছিলেন, সেখানে অবশ্য ধর্ম আর জাতিসত্ত্বাকে এক করে দেখে ফেলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই কমিউনিস্ট পার্টি হিন্দু এবং মুসলমানদের আলাদা জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে আলাদা রাষ্ট্র পাকিস্তান তৈরিকে সমর্থন করেছিল। সে অতি গোলমেলে ব্যাপার, কিন্তু জাতিসত্ত্বার আত্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটা তখনও ছিল, এখনও আছে। বস্তুত জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, রঙ, শ্রেণী, এবং ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে জাত, সবকটাই আইডেন্টিটি এবং রাজনীতির অংশ। কোনোটাকেই বাদ দেওয়া যায়না। সমস্যা হয় যখন একটাকেই মুখ্য বা একমাত্র আইডেন্টিটি হিসেবে যখন তুলে ধরা হয়। যেটা বিজেপি করছে। সাফল্যের সঙ্গেই করছে। আর উল্টো দিকের গোলমাল হল, নব্য লিবারাল ঘরানার বিধান অনুযায়ী লিঙ্গ, জেন্ডার আর জাত, এই তিনটিই হল উচ্চ ঘরানার আইডেন্টিটি পলিটিক্স, অর্থাৎ কিনা পলিটিকালি কারেক্ট। বাকিগুলি নয়। বলাবাহুল্য গঙ্গাধর অধিকারী ছিলেন এক দিকের চরমপন্থায়, এটা আরেক দিকের।
  • কল্লোল | 342323.191.1267.161 | ০১ জুন ২০১৯ ০৮:৪৭378859
  • এল।
    এটা "তাস খেলা"র ব্যাপার নয়। সত্যি কথা বলতে এমনিতেই দেরী হয়ে গেছে। দেশভাগের সাথে সাথেই এই কথা ওঠা উচিৎ ছিলো। কিন্তু সব প্রতিষ্ঠিত দলই তখন দেশ ভাগকে মেনে নিয়েছিলো তাই কেউ রা কাড়ে নি।
    কিন্তু, "দের আয়েঁ দুরস্ত আয়েঁ", এই আপ্তবাক্য মনে রাখলে এই বিষয়টা তুলে ধরাটা এখনো খুব জরুরী। এটা শুধু বিজেপি হঠাও তৃণমূল বাঁচাও নয়। তৃণমূল এই বিষয় নিয়ে কিছু করবে না, কারন তারাও দিনের শেষে কংগ্রেসী ঘরণার। ফলে নেহেরু-গান্ধীকে দায়ী করতে হবে এমন কোন প্রকল্পে তাদের না থাকারই কথা। তারা এখন তাদের আরএসএস বানাতে ব্যাস্ত যা তিনমাসের মধ্যে মুখ থুবড়াবে বা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।
    সত্যি কথা বলতে কি কমিউনিস্ট পার্টিগুলোও এনিয়ে অস্বস্তিতে। দেশভাগকে প্রশ্ন করতে গেলে গঙ্গাধর অধিকারীর থিসিস নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, যার উপর দাঁড়িয়ে কমিউনিস্ট পার্টি দেশভাগ সমর্থন করেছিলো।
    ফলে এটা হয়তো নেহাৎই স্বাধীন নাগরিক উদ্যোগ হিসাবে শুরু করতে হবে।
    বাংলার মানুষের মতামতের তোয়াক্কা না করে এতো বড়ো একটা সিদ্ধান্ত হবে কেন? এটা কি খুব তামাদি হয়ে যাওয়া প্রশ্ন?
    আমরা কিছু বন্ধু মিলে চেষ্টা করছি এই নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করতে। এবং সম্ভব হলে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করতে।
  • dc | 232312.178.1256.161 | ০১ জুন ২০১৯ ০৮:৫৯378860
  • আমার আবার দেশভাগ নিয়ে কোন ইন্টারেস্টই নেই। কি হয়েছিল, কেন হয়েছিল সেসবই সত্তর বছরের পুরনো ইতিহাস। তার থেকে এখন দেশের ইকোনমিক প্রোগ্রেস হচ্ছে কিনা সে নিয়ে আমার ইন্টারেস্ট আছে।
  • dc | 232312.178.1256.161 | ০১ জুন ২০১৯ ০৯:০২378861
  • ইন ফ্যাক্ট সিঙ্গুর নিয়েও আমার আর কোন ইন্টারেস্ট নেই। দশ বছর আগে যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। পিটিদা সিঙ্গুর নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসে বলে আমিও উসকাই :p
  • S | 458912.167.34.76 | ০১ জুন ২০১৯ ০৯:১২378862
  • তিনো জাতিসত্ত্বা নিয়ে খেলুক, এটা আরেসেসও চায়।
  • Ela | 342323.191.45.51 | ০১ জুন ২০১৯ ০৯:৩৩378864
  • লিঙ্গ আর জেন্ডারের মধ্যে ফারাক কি?

    কল্লোলদা, তামাদি তো কিছুই হয় না। কিন্তু মিথ্যে বা অন্যায়কে প্রশ্ন করতে গেলে একটা বেসিক সততা লাগে, যেটা স্বঘোষিত সততার প্রতীকের কাছে আশা করা বাতুলতা মাত্র। আপনাদের উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি। কিন্তু মনে করুন আজ যদি দেশভাগের পাপ রাজনৈতিক দলগুলি আর তাদের সমর্থকেরা মেনেও নেয়, তারপর? মাসুল সমীকরণ ও আরও যেসব নীতি আমাদের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ হবে? আমাদের শাসনব্যবস্থায় সম্ভব? মনে করুন আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হল, লাভের গুড় সবার পাতে দেবে এরকম একজনকে দেখান, গোটা একটা দলতো অনেক পরের কথা।

    পেটে ভাত থাকলে আইডেন্টিটি পলিটিক্স খেলা যায়। দত্তাবাদের লোকেরা এখনও তাকেই ভোট দেয় বাড়িওলা যাকে দিতে বলে, নাহলে স্রেফ তুলে দেবে। এই তথাকথিত বাড়িওলারা কিন্তু জমি স্রেফ জবরদখল করে বসে গিয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল তাদের হঠাতে কিছুই করেনি।
  • PT | 340123.110.234523.15 | ০১ জুন ২০১৯ ০৯:৩৭378865
  • সিঙ্গুর নিয়ে আমার এখনো ব্যাপক ইন্টারেস্ট। বাঙালী জাতি যতগুলো নির্বোধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই তালিকায় এটি একটি মাইলস্টোন। ওখানে চাষ তো হবেই না। তাই ভবিষ্যতে অত বড় জমি ফেলে রাখাও যাবেনা। তাই যা গেছে তা যাক গান গেয়ে ওখানে একদিন কারখানাই হবে।

    বিপ্লবীরা যেটা বুঝেই উঠ্তে পারেনি সেটা হচ্ছে যে "চাষার ব্যাটা" আর চাষ করতে চায় না। একদম হাবাগোবা না হলে তারা উচ্চশিক্ষায় যাচ্ছে আর তা না পারলে অন্ততঃ শহরে গিয়ে রিক্সা টানছে। কাজেই সিঙ্গুরের বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়াটা স্বচক্ষে দেখে ওপরে গেলে শান্তি পাব।
  • dc | 232312.178.1256.161 | ০১ জুন ২০১৯ ০৯:৫১378866
  • হ্যাঁ, সিপিএমকে দুবারের পর ক্ষমতার থেকে না সরানো আর সিপিএমকে ২০১১র পর ক্ষমতার থেকে সরানো, এই দুটো বাঙালী জাতির নির্বোধ সিদ্ধান্তগুলোর তালিকায় দুটো বড়ো মাইলস্টোন।

    তাহলে সিঙ্গুর নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হোক! কারা কারা কি কি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেননি তার তালিকা রেডি রাখুন আর লাইন দিয়ে দাঁড়ান।
  • PT | 340123.110.234523.15 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:০০378867
  • না ওসবের দরকার নেই।
    তবে সিপিএমকে আরো আগে (এই ধরুন ২০০০-এর ধারে কাছে) ক্ষমতা থেকে সরানো উচিৎ ছিল।
    কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনা উচিৎ ছিল।

    শতাব্দীর শুরুতে বামেদের ক্ষমতা থেকে না সরানো, পব-তে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় না আনা আর ২০১১-তে বামেদের ক্ষমতা থেকে সরানো, এই তিনটেই বাঙালীর অন্যান্য নির্বোধ সিদ্ধান্ত।

    জীবনানন্দের কবিতা আর বুদ্ধবাবুর সিঙ্গুর এই দুটোর কোনটাই বাঙালী ঠিক সময়ে বুঝে উঠতে পারেনি। দুজনেই গড় বাঙালীর চাইতে চিন্তায় প্রায় ২০-৩০ বছর এগিয়ে ছিলেন।
  • PM | 018912.210.012323.15 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:১২378868
  • "বাঙালীরা নিজেরা যতদিন না শিল্প তৈরী করছে, ততদিন তেমন কিছু হেরফের হবে বলে মনে হয়না। " -- একমত । কল্লোলদারা ৬০-৭০ এর দশকের ঐ চুড়ান্ত ডেডিকেসন নিয়ে একটু লক্ষীর সাধনা করতেন আজ পঃ বঃ এর চেহারা অন্যরকম হতো।

    ওয়েল্থ ডিস্ট্রিবিউসন এর উপায় নিয়ে যত কথা হয়েছে ওয়েল্থ ক্রিয়েসন নিয়ে কিছুই হয় নি আমাদের এখানে।

    পঃবঃ এর পিছিয়ে পরা মানুষের জীবনের মানোন্নোয়নে , চারু মজুমদারের থেকে বন্ধন ব্যন্ক এর চন্দ্রশেখর ঘোষের কন্ট্রিবিউসন ১০০০ গুন বেশী। ১৯৪৭ এর পরে জন্মানো বাঙ্গালী দের মধ্যে এতো বড় ইম্প্যাক্ট আর কোনো একজনের অছে বলে মনে হয় না।পরবর্ত্তী ১০ বছরেও থাকবে না । আথচ দেখুন ৯০% বাঙ্গালী ওনার নাম টুকু ও জানে না। গুরুতে পাতার পর পাতা গুরুগম্ভীর আলোচনা হয়। একবারের জন্যেও ওনার নাম আসে নি কখনো। বহুল প্রচারিত বাংলা কাগজ গুলো ও নিরব। কাল একটা ইউনেস্কো পুরস্কার টাইপ কিছু পেলে সবাই দেখবেন হামলে পড়বে।

    বাঙ্গালির ব্যবসা জেনেরেসন ধরে সফল হয় না। জানি না ঘোষ বাবুর পরে কি হবে বন্ধনের। কিন্তু পঃবঃ এ এখন দেশের জন্য প্রান দেওআ বিপ্লাবীর দরকার নেই। দেশের মানুষের জন্য ওয়েল্থ ক্রিয়েসন করতে পারা লোকের দরকার। ১০০ জন চেষ্টা করলে ১ জন সফল হবে। আমাদের দরকার ঐ ৯৯ জন বাঙ্গালীর যারা ঐ ব্যর্থতার ভার নিতে পারবে।

    এটা প্রান দেওয়া বা নেওয়ার থেকে অনেক কঠীন কাজ।

    এটা না হলে আমরা উত্তর / পশ্চীম ভারতের উপনিবেশ/বাজার হয়েই থাকব
  • দেবাশিস | 340112.25.7845.130 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:১৩378869
  • "জীবনানন্দের কবিতা আর বুদ্ধবাবুর সিঙ্গুর এই দুটোর কোনটাই বাঙালী ঠিক সময়ে বুঝে উঠতে পারেনি। দুজনেই গড় বাঙালীর চাইতে চিন্তায় প্রায় ২০-৩০ বছর এগিয়ে ছিলেন।"
    যথার্থ বলেছেন। নিয়তির কি পরিহাস! আবার দেখুন বুদ্ধবাবু কিন্তু জীবনানন্দকে বোঝেন। এখন জীবনানন্দ বুদ্ধবাবুকে বোঝেন কিনা এইটা জানলেই পাগল সারে। এইবার দেখুনঃ

    "কেবলি জাহাজ এসে আমাদের বন্দরের রোদে
    দেখেছি ফসল নিয়ে উপনীত হয়;
    সেই শস্য অগণন মানুষের শব;
    শব থেকে উৎসারিত স্বর্ণের বিস্ময়
    আমাদের পিতা বুদ্ধ কনফুশিয়াসের মতো আমাদেরও প্রাণ
    মূক করে রাখে; তবু চারিদিকে রক্তক্লান্ত কাজের আহ্বান।'

    এ তো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে লেখা!
  • Amit | 9003412.218.0145.104 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:২০378870
  • শুধু পেছনে তাকিয়ে কি কোনো মোক্ষলাভ হবে ? এখানে মায়াপাতায় ভাট ছাড়া ? কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক অনেক বড়ো বিষয়। একা পব কি সেটা রেডিফাইনে করার জন্য লড়বে ?

    আর ১৫ অগাস্ট শোকপালন দিবস এ কে সারা দেবে এখন ? শোক কিসের? দেশ ভাগের? ৭০ বছর পরে ? ইন্ডিয়া , পাকিস্তান , বাংলাদেশ এর মধ্যে এতো অবিশ্বাস আর সন্দেহের মধ্যে ? পারেন ও আপনারা ।
  • Amit | 9003412.218.0145.104 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:৩৮378871
  • আর কল্লোলদা যে লিখলেন দেশভাগ হয়েছিল বাঙালির মত না নিয়ে, গণভোটের রেজাল্ট কি সেটা বলে ? আর যে বাঙালি জাতিসত্তা নিয়ে হটাৎ করে এতো কথা উঠে আসছে , তার ফাইনাল অবজেক্টিভ কি ? বাংলাদেশ কে ইন্ডিয়া র সাথে মিলিয়ে দেওয়া নাকি পব কে ইন্ডিয়া থেকে ভেঙে বাংলাদেশ র সাথে মিলিয়ে দেওয়া ? স্পষ্ট করে উত্তর দিলে ভালো হয় ।
  • PT | 340123.110.234523.23 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:৪৪378872
  • @ দেবাশিস
    দারুণ! এইজন্যেই তো গুরুর পাতায় তক্ক করা।
  • dc | 232312.178.1256.161 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:৫০378873
  • আরে বাঙালির মত নিয়ে হয়েছিল কি না হয়েছিল তা দিয়েই বা হবেটা কি? সে লোকগুলো তো মরে ভুত হয়ে গেছে, এখন আমরা আমাদের জীবন নিয়ে কি করবো সেটা ভাবা বরং বেশী কাজের।
  • Amit | 9003412.218.0145.104 | ০১ জুন ২০১৯ ১০:৫৮378875
  • সেটাই। সো কোল্ড ঐতিহাসিক ভুল র হিসেব নিয়ে নিয়েই জীবন কাটাবো নাকি ? আর কাজকম্মো নেই ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন