এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 236712.158.455612.36 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৪:৩৩383060
  • হিন্দু কারা, এ নিয়ে আমার বিশেষ ইন্টারেস্ট নেই।আমার ইন্টারেস্ট হলো,যত ধর্ম আছে,প্রত্যেক ধর্মের ই কিছু অনুশাসন আছে।যেমন জীবে দয়া, দুঃস্থ কে হেল্প করা,সত্য বলা,সৎ আচরণ করা,অন্যের ক্ষতি না করা,লোভ ও হিংসা ত্যাগ করা ইত্যাদি।
    অবশ্যই এগুলো মানা আম জনতার পক্ষে সম্ভব নয়।কিন্তু যুগ যুগ ধরে এর একটা রেশ তো মননে রয়ে গেছে।
    এই নিষেধাজ্ঞা না থাকলে কি মানুষ আরো বেশি হানা হানি তে জড়িয়ে পড়তো?
    নাকি উল্টোটা?
  • রঞ্জন | 236712.158.455612.186 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৪:৪৪383061
  • এস এম,
    ১হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে না করে সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করলেই ল্যাটা চুকে গেল। না রহেগী বাঁশ, না বজেগী বাঁশুরী।
    ২ রামকৃষ্ণ মিশন নিজেদের 'রামকৃষ্ণায়ন' নামের হিন্দু ধর্মের বাঈরে একটি মাইনরিটি রিলিজিয়াস সম্প্রদায় বলে দাবি করেছিল। কোলকাতা হাইকোর্ট মানে নি । সুপ্রীম কোর্ট মেনেছে।
    ৩ ভারতে প্রাচীন দর্শনের মধ্যে কেবল বৌদ্ধধর্মে যুক্তিবাদী কার্যকারণ সম্পর্কের কথা রয়েছে--' প্রতীচ্চসমুৎপাদ।, বাকি সবে ঈশ্বরের লীলা। উনি চাইলে কি না হয় ? 'বানরে গাহে গীত, জলে ভাসে শিলা'। নামুমকিন মুমকিন হ্যায়!
  • nabagoto | 236712.158.90078.118 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৪:৪৮383062
  • Special marriage act bole je ekta option ache eta sm janen na dekhchi. Ami nije ei ayin ei biye korechi 2004 e, kothao kono religion likhte hoy ni.
  • sm | 236712.158.455612.174 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫৪383063
  • আমি তো খালি মানুষের জীবনে ধর্মের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবছি।কে কোন ধর্মে বিলংগ করে,তাতে ইন্টারেস্টেড নই।
    আরো বিস্তারিত ভাবে বললে,ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানা মনুষ্য সমাজের পক্ষে হিতকর কি না ?
    দাড়িদাদু ,এই কথাটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
    মানুষ মানসিক দিক থেকে খুব দুর্বল প্রাণী।নিকট জনের বিয়োগ,জীবনের দুঃখ কষ্ট,পাওয়া না পাওয়ার হতাশা এগুলোকে স্থিতপ্রজ্ঞ রূপে কাটিয়ে ওঠা মুশকিল।ধর্ম বা ঈশ্বরের শরণাপর্ণ হলে,বোধ হয় একটু সুবিধে হয়।
    ব্যক্তিগত মতামত।
  • রঞ্জন | 236712.158.455612.186 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫৪383064
  • @ নবাগত।
    অনেকেই জানেন না ; মানে প্রয়োগের দিক ঠেকে। ্তবে নামটা শুনেছেন।
  • রঞ্জন | 236712.158.455612.186 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৫:০১383065
  • এস এম,
    "মানুষ মানসিক দিক থেকে খুব দুর্বল প্রাণী।নিকট জনের বিয়োগ,জীবনের দুঃখ কষ্ট,পাওয়া না পাওয়ার হতাশা এগুলোকে স্থিতপ্রজ্ঞ রূপে কাটিয়ে ওঠা মুশকিল।ধর্ম বা ঈশ্বরের শরণাপর্ণ হলে,বোধ হয় একটু সুবিধে হয়।"
    --একদম ঠিক কথা । মানুষ হেরে গেলে বা মার খেলে শক্তিমানের আশ্রয় খোঁজে।
    ছোট বাচ্চা বাড়িতে এসে কাঁদে--বাবা, আমাকে অমুক মেরেছে (গাল দিয়েছে)।
    অর্থাৎ যখন দুর্বল বোধ করে তখন ঈশ্বরকে ডাকে । অন্যসময় আমিই--!
    অথচ বর্তমান প্রবন্ধে দাবি যে ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ করোতে অনেক বড় বুকের পাটা লাগে!! (৫৬ ইঞ্চি?)।

    উপরোক্ত অর্থেই ধর্ম হল পাবলিকের আফিম, সেডেটিভ।
    তাৎকালিক ব্যথাবেদনা ভুলিয়ে সোনালী স্বপ্ন দেখায়।
  • sm | 124512.101.89900.159 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৫:১২383066
  • এতে লজ্জার কি আছে?যে মাতা তার দু বছরের সন্তান কে হারায়,সে প্রথমে ঈশ্বর কে গালি দিয়ে,ক্রোধ ব্যক্ত করে,অভিশাপ দিয়ে, ভেন্ট আউট করে।কিছুদিন পরে পরিবারের অন্য সন্তান দের জন্য ওই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে।কোন লজ্জার কিছু নেই তো।
    কারো কোন কঠিন ব্যাধি হলে বা দু :সময়ে পড়লে,আমরা ঈশ্বরের কাছে দ্রুত উপশমের জন্য প্রার্থনা করি।কোন ক্ষতি নেই তো!
    বরঞ্চ আমি সর্ব শক্তিমান ভাবলেই যতো গন্ডগোল।আমি অন্যকে ঘৃণা করতে শুরু করলেই গন্ডগোল।একজন সত্তরোর্ধ্ব বিধবা নারী যদি আশ্রমে পুজো আর্চার মধ্যে শান্তি খুঁজে পান তো পান না।তাঁকে সর্ব শক্তিমান এর কনসেপ্ট বুঝিয়ে কি হবে?তিনি ওসবের উর্ধে।
  • কল্লোল | 236712.158.455612.36 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৫:২৫383067
  • খোপে কি লেখা হলো, তা নিয়ে আমর কোন মাথা ব্যথা নেই।
    আমার বক্তব্য হিন্দু বলে কোন মনোলিথিক ধম্মো কোনকালে ছিলো না আজও নেই।
    এই যেমন, কে যেন লিখলেন হিন্দু ফিলোসফি। সেটি কি?
    সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, নব্যন্যায়, বিশেষিকা, মিমাংসা, অদৈত্ব ইত্যাকার প্রচুর দর্শনের স্কুল আছে, সবই "হিন্দু"। অর্থাৎ হিন্দু ফিলোসফি বলে একটা কিছু হয় না।
  • sm | 124512.101.89900.159 | ১২ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩১383068
  • হ্যাঁ, এটাতো ঠিক ই।হিন্দু দর্শন অনেক গুলো ব্রাঞ্চ এর সমাহার।কিছু কিছু আবার পরস্পর বিরোধী।এমন কি নিরীশ্বর বাদ ও রয়েছে।
  • : | 237812.68.344512.155 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১০:৪৩383070
  • অদ্বৈত, কল্লোলকে।
  • dc | 124512.101.89900.213 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১১:৪৫383071
  • "ঈশ্বরের অস্তিত্ব মানা মনুষ্য সমাজের পক্ষে হিতকর কি না ?"

    এটা ভয়ানক কঠিন প্রশ্ন। ঈশ্বরের কনসেপ্টটা অনেককেই মানসিক শক্তি দেয়, কেউ একজন আছে যার ওপর ডিপেন্ড করা যাবে এটা ভেবে অনেকেই সান্ত্বনা পান। অন্যদিকে ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে হানাহানি তো আছেই। তবে মানুষ বাই নেচার মারপিট করতে পটু, ধর্ম একটা অছিলা মাত্র। কাজেই ঈশ্বর নামের কনসেপ্টটা সমাজের পক্ষে হিতকর হয়েছে কিনা, তার হিসেব করা কঠিন।

    "মানুষ মানসিক দিক থেকে খুব দুর্বল প্রাণী"

    একমত। বেসিকালি ঈশ্বর কনসেপ্টটা এসেছিল কারন মানুষের মেন্টাল ক্রাচ দরকার হয়। বৃষ্টি পড়লে বা বিদ্যুত চমকালে মানুষ ভয় পায়, সেখান থেকেই ঈশ্বরের সৃষ্টি।
  • sm | 124512.101.89900.159 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১২:২৩383072
  • এইটাই আমার প্রতিপাদ্য।ঈশ্বর আছে কি নেই বড় কথা নয়।ঈশ্বর এর ওপর ভরসা একটা মানসিক সহায়।
    অনেকে অবসাদের শিকার হলে এন্টি ডিপ্রেসান্ট খায়।কেউ ঈশ্বর কে ডেকে মনের শান্তি পেলে ক্ষতি কি?
    সব ধর্মেই ভালো কিছু করার অনুদেশ আছে।কিন্তু ধর্মান্ধ মানুষ সেটি ফলো না করে উল্টোটা করে।
    ধার্মিকতা পেছনে পড়ে যায়।
    তবে কল্লোল বাবুর প্রশ্নের উত্তরে।হিন্দু ফিলজফি বলতে প্রচুর শাখা প্রশাখার সমাহার বোঝায়।
    মূল শিকড় নিহিত আছে বেদে।
    জৈন, বৌদ্ধ,দর্শন এগুলো মূলত নিরীশ্বর বাদী দর্শন।কিন্তু হিন্দু ফিলসফির অংশ বলেই ধরা হয়।
  • ন্যাড়া | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১২:৩০383073
  • আচ্ছা, কেউ আছে যিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কিন্তু ভূতে বিশ্বাস করেন না? উল্টো লোক আমি অনেক চিনি যাদের ভূতের ওপর প্রবল শ্রদ্ধা কিন্তু ভগবানে একেবারে বিশ্বাস নেই।
  • dc | 236712.158.565612.19 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১২:৩৯383074
  • আমি প্রবলভাবে ভুতে বিশ্বাস করি, কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা। রাত্তিরবেলা তো অন্ধকার জায়গায় পারতপক্ষে একা যাইনা।
  • sm | 236712.158.895612.192 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১২:৫৮383075
  • আমি ঈশ্বর ও ভূত দুটোতেই বিশ্বাস করি না।কিন্তু এককালে, স্কটল্যান্ডের একটা নির্জন উপত্যকা অঞ্চলে কাজ করতে হতো।মূল ক্যাম্পাস ছিল কয়েকশ একর এলাকা জুড়ে।নাইট ডিউটি তে থাকতে হতো এক বিশাল দোতলা বাড়িতে।তৈরি বোধহয় তিনশ বছর আগেকার।
    যাইহোক,ওই বাড়ি থেকে মূল কর্মস্থল কমকরে পাঁচশ মিটার দূর হবে।
    চিৎকার করে ডাকলেও কেউ সাড়া দেবে না।যতো রাত বাড়তো,জানলার ছিদ্র দিয়ে হু হু করে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতো আর কিরকম শোঁ শোঁ করে ঝড়ের আওয়াজ দিতো। ভূতের ভয়টা একেবারে গলায় চেপে বসতো।মাঝে মাঝে কলকাতার বাড়ীর আরামের কথা ভাবতাম।মনে মনে কষে রামনাম করতাম।
    ভূত আর রাম দুপক্ষই আছে বলে স্থির বিশ্বাস হতো।
    সকাল হলেই অবিশ্যি সব কেটে যেতো।
  • dc | 236712.158.565612.163 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৩:৩৩383076
  • আপনার ভাগ্য ভালো সত্যি সত্যি কোন ভুতের সামনে পড়তে হয়নি, স্কটল্যান্ডের ভুত কি আর রামনামে ভয় পেতো?
  • sm | 236712.158.455612.186 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৩:৩৭383077
  • তাও সত্যি!এটা,ভেবে দেখিনি।
  • sm | 236712.158.455612.186 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৩:৪১383078
  • তবে ন্যাড়া র প্রশ্নটি মোক্ষম।যাঁরা ঘোষিত নাস্তিক,তাঁদের ভুতের কথা শুনলে এমন ভিজে যাওয়া অবস্থা হয় কেন?
    গুরুতে নাস্তিক জনতা প্রচুর,ভূত সম্পর্কে তাঁদের অবস্থান কি জানতে ইচ্ছে করে।
  • | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৮:০০383079
  • আমি ভুত ভগবান ভাগ্য অলৌকিক ব্যপার স্যাপার কিস্যুতেই বিশ্বাস করি না। মাতাল ছাড়া কোন মানুষকে ভয়ও পাই না।
  • | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৮:২৪383086
  • ও্যাহ আপডেটে অসমর্থ বলে বলে ব্যাকএন্ডে আপডেট করে দিয়েছে।
  • dc | 236712.158.565612.163 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৮:২৪383087
  • এতোগুলো পোস্ট কিকরে হলো? এ তো ভুতুড়ে ব্যপার দেখছি!
  • রঞ্জন | 124512.101.89900.123 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:৪৩383088
  • আমি রাজশেখর বসুতে(পরশুরাম) বিশ্বাস করি।
    অর্থাৎ, ভূত=০;
    ভগবান = স্কোয়ার রুট অফ ০।
  • রঞ্জন | 124512.101.89900.123 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:৪৮383089
  • এস এম,
    বেদে আস্থা না থাকলে 'আস্তিক হিন্দু' হওয়া যায় না।
    তাই বেদবিরোধী বৌদ্ধ, জৈন এবং চার্বাক দর্শন হিন্দুধর্মের অন্তর্গত নয় ।
    এখন জোর করে বুদ্ধকে বিষ্ণুর অবতার বানালে কি হবে? দিদিকে নিও-কম্যুনিস্ট বললে?
    আম্বেদকর এবং তাঁর অনুযায়ীরা হিন্দুধর্ম পরিত্যাগ করেই বৌদ্ধ হয়েছিলেন।
  • sm | 236712.158.895612.80 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ২২:৩৪383092
  • রঞ্জন বাবু, আমি হিন্দু ধর্মের অন্তর্গত বলিনি।হিন্দু ফিলসফির অংশ বলেছি।আমার দেওয়া লিংকটার সেকন্ড প্যারা পড়ুন ।ক্লিয়ারলি মেনশন করা আছে।
  • sm | 236712.158.895612.80 | ১৩ জুলাই ২০১৯ ২২:৩৭383093
  • আমি আমার জীবনে প্রচুর নাস্তিক এর সংস্পর্শে এসেছি।কিন্তু ভূতে ভয় পায়না বা পায়নি,এমন একজনের সন্ধান ও পাই নি।
  • aranya | 236712.158.2367.78 | ১৪ জুলাই ২০১৯ ১০:৫৫383094
  • ভুতে ভয় তো আমিও পাই না। বরং খুব ইচ্ছে করে যদি কোন একটা অলৌকিক অভিজ্ঞ্তা হত..
    মৃত্যুতেই সব সেশ, এ কথা ভাবলেই ঘোর দুঃখ হয়
  • Mridha | 890112.162.674523.154 | ১৪ জুলাই ২০১৯ ১১:২৩383095
  • ধৰ্ম আর ভগবানকে নিয়ে এত বিশৃখলার মধ্যে আমার একটা জিনিস খুব মনে হয়, আমরা সবাই যেন অন্ধের হস্তিদর্শন করছি আর সেই দর্শন নিয়েই মারামারি করে চলেছি । খুব ভালকরে স্মরণ করে যে , নিজের এই বিষয়টায় পড়াশুনা, জ্ঞান দুটো ই সামান্য , এখান ওখান থেকে যতটুকু ভাল লেগেছে এক জায়্গায় করার চেষ্টা করলাম ।

    ভগবান খোঁজার প্রথম ধাপ হচ্ছে আমি কে তাকে খোঁজা ? আর তা শেষ হয় ভগবান কে নিজের মধ্যে উপলব্ধি করা দিয়ে। ঈশ্বরকে বোঝার ( understand করা ) অনেক রকম হতে পারে কিন্তু উপলব্ধি স্থান কাল পাত্রে অভিন্ন, শুধু তাই নয় সমস্ত ধর্মেও একই । আর সমস্ত ধৰ্ম নিয়ে মারামারির মূল কারণ যখন উপলব্ধির চেয়ে আমার বোঝা বা আমি যাকে নিজের ধর্ম মানি তার বোঝানোটাই প্রাধান্য পেয়ে যায়। ব্যাপারটা আরও মারাত্ম্যক হয়ে ওঠে যখন সেটা নিয়ে দলতন্ত্র ( politics ইচ্ছে করেই রাজনীতি লিখলাম না ) শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ধৰ্ম চর্চার অবহেলিত সত্য এই যে , ঈশ্বরকে উপলব্ধির মধ্যেই যে কোনো ধর্মের সার্থকতা , অন্যথা সব ধৰ্মই অপ্রাসঙ্গিক।

    অন্যভাবে বলা যায় আমাদের সবার মধ্যেই ভগবান আছে। অথবা এই জীব জগতের সবার আমিই হচ্ছে ভগবান।তাই যদি হবে তাহলে দুটো প্রাণীর মধ্যে বক্তিত্যর ভিন্নতা কেন ? জন্তু জনোয়ার তো দূরে দুটো মানুষ এক রকম নয় কেন ?
    তার করণ, আমাদের উপরে প্রকৃতির প্রভাব আছে, সেই আমির উপরে প্রকৃতির আবরণ পড়ে গেছে । এই আবরণ প্রত্যেক প্রাণীর unique , আমাদের সবার মধ্যের ভগবান সেই প্রকৃতির আবরনের ভেতর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করছে। তাই বাইরে থেকে সবাই আমার প্রকৃতি কেই আমি বলে জানে, আরও আশ্চর্যের ব্যাপার আমি নিজেও সেই প্রকৃতিকেই আমি বলে মনে করি। তো সেই প্রকৃতি কি জিনিস এলই বা কোথা থেকে ? খুব সরল ভাবে বল্লে , পূর্বে ক্রিত কর্ম থেকে। এখন আমদের মধ্যে যে প্রবনতা ( এই মুহূর্তে কিছু করার ইচ্ছা ) তৈরী হয় বা আমার এই মুহুর্তে কি করার ইচ্ছে জাগবে তার অনেকটাই প্রভাবিত হয় আমার প্রকৃতির দিয়ে।

    কিন্তু আমার ইচ্ছে জাগলেই যে আমি নিজেকে তাই করতে দেব তাই কিন্তু নয়। তাহলে আমার প্রকৃতিই যে আমি তা তো নয়। আরেকটু এগোলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে , এক জীব থেকে আরেক জীবের বা মানুষের মধ্যেও গুনগত পার্থক্য, বা চেতনার বিকাশের পার্থক্য হচ্ছে কে প্রকৃতির তাড়নাতেই চলে আর কে কতটা নিজের প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

    আবার সময় এর সঙ্গে সমস্ত প্রানীর ( মানুষ, জন্তুজনোয়ার সবার ) প্রকৃতি বদ্লায়। তবে প্রশ্ন হল আজ আমার যে প্রকৃতি এটা এলো কোথা থেকে। একটু ভাবলেই দেখা যাবে এর বড় অংশ এসেছে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। আমাদের পরিবারের , আমাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সংশ্রব থেকে। কিন্তু কিছুটা যেন এর বাইরের, যেটাকে ধারণা করা হয় আমাদের পূর্ব জন্ম থেকে প্রাপ্ত ।

    আমাদের জাগতিক কর্ম জীবনের লক্ষ, যা একসময় ( Graduation Party) উপনয়ন এর সময় কানে কানে স্মরন করিয়ে দেওয়া হত তা ছিল सो हम् (সোহম ), in other word express your inner god for others and realize your inner god for yourself। আর আমদের আধ্যত্মিক জীবনের লক্ষ হচ্ছে আমাদের প্রকৃতিকে বিলিন করে দেওয়া সেই ঈশ্বর এর প্রকাশ নিজেদের ভিতর থেকে করা ।

    জীব আর ঈশ্বর এর ব্যাখ্যার এই শ্লোকটা আমার খুব পছন্দের , এটা দিয়েই লেখাটা শেষ করি

    ॐ पूर्णमदः पूर्णमिदम् पूर्णात् पूर्णमुदच्यते |
    पूर्णस्य पूर्णमादाय पूर्णमेवावशिष्यते ||
    ॐ शान्तिः शान्तिः शान्तिः ||

    - Om, whatever we are seeing ( here seeing may not be very correct word, it is not what we are seeing outside, it is something what we see as me) is complete, whatever is beyond of our comprehension ( what people describe as God) is also complete,

    যাঁকে আমরা সম্পূর্ণ ধারণা করে উঠতে পারিনি এখনো অর্থাৎ ঈশ্বর তিনি স্বয়ং সম্পূর্ণ , কিন্তু আমরা যাকে আমি বলে জানি , সেও স্বয়ং সম্পূর্ণ...আমার মনে হয় আধ্যাত্ম জগতের the most powerful statement is this.......ওই অনন্তের অংশ আমরা, আমাদের মধ্যে অনন্তের সমস্ত গুন ঠিক ততটা পরিমান বিরাজমান যতটা সেই ঈশ্বর, যাঁকে সমস্ত আস্তিক বিশ্বাস আরাধনা করে এমনকি সমস্ত নাস্তিক বিশ্বাস ব্যক্তিগত ভাবে যেই গুনের অধিকারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে , তা আমাদের নিজের মধ্যেই আছে ......... পার্থক্য শুধু অনুভূতি আর প্রকাশে ...... অন্য ভাবে বললে আমাদের মধ্যে আছে তবে সুপ্ত ....তাঁকে জানা আর প্রকাশ করাতেই জীবনের সার্থকতা।

    From that completeness only this completeness appeared.This completeness is like infinity in mathematical concept, no matter whatever way we distribute it, only completeness remains. And then finally it reminds..
    Om, Peace peace peace

    https://sites.google.com/site/psmridha/articles/what-is-over-there
  • dc | 236712.158.895612.132 | ১৪ জুলাই ২০১৯ ১২:০০383096
  • This completeness is like infinity in mathematical concept

    এখানটা ঠিক বুঝতে পারলাম না, আরেকটু লিখলে ভালো হয়। ম্যাথামেটিকালি তো ইনফিনিটি নানা প্রকারের হয়, যেমন ধরুন ক্যান্টর দেখিয়েছিলেন অ্যালেফ নাল বা অ্যালেফ ওয়ান, মানে কাউন্টেবলি বা আনকাউন্টেবলি ইনফিনিট ইত্যাদি। এখানে কোন প্রকারের ম্যাথামেটিকাল ইনফিনিটির কথা বলেছেন?
  • Atoz | 237812.69.4545.147 | ১৪ জুলাই ২০১৯ ২১:৩৭383097
  • স্কটল্যান্ডের ভূতের জন্য রামনাম না করে যদি স্কচনাম করা হত, তাহলে কি কাজ হত? ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন