এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ৪২ এ কে কত ? : পব ভোটের প্রেডিকশন টই

    একক
    অন্যান্য | ১৬ মে ২০১৯ | ৯৪৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 89900.222.34900.92 | ২৪ মে ২০১৯ ০৬:৫৪384093
  • পশ্চিমবঙ্গে, না হলেও, ধরুন কোটি-দুয়েক পূর্ববঙ্গীয় আছেন। তাঁরা হয় ভিটে ছেড়ে পালিয়ে আসা পরিবার, সবাই পালিয়ে না এলেও কোনোদিন ফিরতে না পারা পরিবার তো বটেই। এঁরা দাঙ্গা করেননি, মারপিট করেননি, দেশভাগের আগে কংগ্রেসের কথা শুনেছেন, দেশভাগের পর বামপন্থীদের। কিন্তু বুকে ঘৃণা, রাগ পুষে রেখেছেন। এঁরা যদি প্রশ্ন করেন, তোমাদের ঢপের সেকুলারিজম আমাদের কী দিয়েছে, অপমান ভিটে-মাটি ছেড়ে আসা ছাড়া? সম্পত্তি বিনিময় করে মুসলমানদের তাড়িয়ে সেখানে আমাদের বসালে তবু একটা মানে হত। কিন্তু কেউ সেটা করেনি। কেউ আমাদের দেখেনি। তাহলে আমরা শোধ নেবনা কেন?

    এর কী উত্তর আছে বাম বা কং সেকুলারদের কাছে? সিরিয়াসলি জানতে আগ্রহী।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৪ মে ২০১৯ ০৭:১১384094
  • দেশ ভাগ নিয়ে কোনো উত্তর নেই এদের কাছে, কারণ তারাও সেই পাপের শরিক। শরণার্থী , বিশেষ করে বাংলার শরণার্থী দের নিয়ে কং বা বামেদের কারোর ই কথা বলার ধক নেই। সবারই হাতে নোংরা লেগে আছে। কিন্তু ১৯৪৭ এর সমস্যা নিয়ে যদি ২০১৯ এ ইলেকশন লড়তে হয় তাহলে তো মুশকিল। ডকুমেন্টেড ইতিহাস তো আর নতুন করে লেখা যাবে না, টাইম মেশিন চেপে আগের ভুল ও ঠিক করাও যাবে না।

    তো বাকি ইসু যা ছিল , সেগুলোকে হাই লাইট করা গেলো না কেন ? বেকারি, অর্থনীতি, ডিমনি বিপর্যয়, জিস্ট, ইস্যু কি কিছু কম ছিল ? পেটে ভাত না থাকলেও লোকে যদি সব ভুলে হিন্দু রাষ্ট্রের বা শক্তিশালী রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ভেসে যায়, তাহলে তো সেক্যুলারিজম বা ডেভেলপমেন্ট কনসেপ্ট টাতেই বড়ো গন্ডগোল আছে মনে হয়। তারা আদৌ কোনো অল্টারনেটিভ ডেভেলপমেন্ট ন্যারেটিভ দিতে পারেন নি যেটা লোকের কাছে পৌঁছনো গেছে।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 | ২৪ মে ২০১৯ ০৭:২৩384095
  • গোটা উপমহাদেশই ৪৭ নিয়ে পড়ে আছে। পাকিস্তান বললেই লোকের গা গরম হয়ে যায়। আজকে এনআরসিরও তো রমরমা। অমিত শাহ তো বলেই গেলেন বাংলায়ও করবেন। তাতে কারো ভোট দিতে আটকায়নি। তৃণমূল-বিরোধিতা বড় ফ্যাক্টর ঠিকই, কিন্তু এগুলোতে প্রচ্ছন্ন বা প্রকট সমর্থনও আছে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২৪ মে ২০১৯ ০৭:২৭384096
  • বহু লোকের কাছে বেকারি, ডিমনি, আর্থিক কেলেঙ্কারী ইত্যাদি ইত্যাদি স্রেফ বাইরের ব্যাপার। কারণ "আসল" দুঃখ দূর হলে তো তারা প্রত্যেকেই এক এক একজন ছোটোখাটো "রাজা", ফুলে ফলে শস্যে পরিপূর্ণ তার জমি, ধনরত্নে পরিপূর্ণ তার কোষাগার। "জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন" নিয়ে ফেলেছে দেশ । দুনিয়ার বাকী দেশ নজরানা দিয়ে যায়।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৪ মে ২০১৯ ০৭:৪৯384097
  • ঈশানের পয়েন্ট ঠিক কি ? হ্যা, হতে পারে নরসি তে অনেকের সমর্থন আছে। এবার সেটাকে কাউন্টার করার কোনো রাস্তা নেই বামেদের কাছে বলছেন ? নাকি তিনো দের এগেইনস্ট এ ভোট দেওয়াটা ভুল ? সত্যি বলতে আমরা এখানে ঠিক ভুল যাই বলি না কেন , তাতে কিছু এসে যায়না। লোকে নিজের বাস্তব অবস্থা দেখে যাকে ইচ্ছে হয়েছে ভোট দিয়েছে। সেটা তাদের অধিকার, এবার তাদেরকে ছাগল আমি অন্তত বলবো না।

    সাম্প্রদায়িকতা ছিল এবং আছে। পাকিস্তান এর প্রতি শত্রুতা ছিল এবং আছে, আরো বাড়বে, সেটাই ওদের ন্যারেটিভে। কিন্তু ওয়েস্ট বাঙালি এ গত আট বছরে সাম্প্রদায়িকতা যতটা প্রকট হয়েছে , ততটা আগে ছিল কি ? তিনোদের দিক থেকে এক পক্ষকে সমানে ওসকানো হয়েছে, সেটা জমা হয়েছে আর এবার তার রিঅ্যাকশন আসতে শুরু করেছে।
  • PM | 018912.210.012323.15 | ২৪ মে ২০১৯ ০৮:৩৪384098
  • ইশান যা যা বলছেন সে সব স্বাধীনতার পরের ৬০ বছর ও ছিলো , আরো টটকা আর বেশী পরিমানে ছিলো। সেই অর্থে পঃবঃ আর পান্জাব খুব ই হাই এনট্রপি স্টেট । পঃবঃ আরো বেশী , কারন এখানে রিলিজিয়াস এক্সচেন্জ টা হয় ই নি বলতে গেলে ১৯৪৭ এ।

    তবু ১৯৪৭ এর পরে রথম ৩০ বছর বা ১৯৭৭ এর পরের ৩০ বছর মানুষ এই সব সামপ্রাদায়িক প্রচার কে পাত্তা দেন নি কেনো? গত ৮ বছরেই সব কিছু পিক এ উঠলো কেনো?

    আগে সংখ্যালঘু ভোট স্বাভাবিক ভাবে নানা দলে ভাগ হতো। বামেরা হয়্তো একটু বেশী ই পেতো। কিন্তু বর্তমান সরকারী দল ২৮% ই পাবার জন্য চুড়ান্ত পোলারাইস করার চেষ্টা করেছে। তার পেছনে একটা অ্যাসাম্পসন কাজ করেছে সংখ্যাগুরু ভোট ঐতিহাসিক ভাবে কখনো পোলারাইস হয়ে এক বাক্সে পরে নি আমাদের রাজ্যে , ভবিষ্যতেও পড়বে না---- আর তাদের রাজত্য অক্ষয় হবে ---যেটা ব্যাকফায়ার করেছে। প্রতি থিসিস এর ই যে একটা অ্যান্টি থিসিস তৈরী হবে এই সত্যি টা মনে ছিলো না।

    অতিবাম/ অতি লিবেরল রাও মধ্যপন্থার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেছিলেন ৭২ হুরী পাবার আশায়। স্থিতাবস্থা ভাঙা হোক ---- এই পর্যন্ত্য ই ভাবা হয়েছিলো --- তার পরের গল্প টাতে কারুর কনট্রোল নেই আর।

    আপাতত রাজা মৃত। রাজা দীর্ঘজীবী হোন
  • dc | 342323.228.893412.72 | ২৪ মে ২০১৯ ০৮:৪২384099
  • ঈশান যেটা লিখেছেন সেটা খুব একটা ঠিক কারন মনে হলো না। এই দেশভাগ টাগ বহু প্রাচীন কারন, এসব নিয়ে সাধারন মানুষ কিছু মাথা ঘামায় বলে মনে হয়না। মানে যাদবপুর সন্তোষপুর গড়িয়া ইত্যাদি জায়গায় মোড়ে দাঁড়িয়ে যদি সার্ভে করেন আর লোকজনকে জিগ্যেস করেন ১৯৪৭ সালের দেশভাগ নিয়ে আপনার কি মতামত, তো বেশীর ভাগ লোক আকাশ থেকে পড়বে। লোকে ভোট দেয় বড়োজোর গতো পাঁচ বা দশ বছরের ভিত্তিতে, ওসব বাংলাদেশ থেকে চলে আসা ইত্যাদি আদৌ কতোজন জানে সে নিয়েই সন্দেহ আছে।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 | ২৪ মে ২০১৯ ০৮:৪৩384100
  • মোদীই বা পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এলেন কেন? সিপিএম ত্রিপুরায় হারল কেন? এনআরসি চালু হল কেন?

    একসময় এসব হতই। ২০০০ এর পরেই কেন হল তার নানারকম ব্যাখ্যা হতে পারে। নিশ্চিত করে বলা কঠিন।

    তবে ঠিকই আছে। অল্টারনেটিভ ন্যারেটিভ তৈরি হবার একটা চান্স হল এই বাজারে। আরেকটা চান্স হল জাতি হিসেবে আত্মবিস্মৃত হয়ে মুছে যাবার। দেখা যাক কী হয়।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 | ২৪ মে ২০১৯ ০৮:৫১384101
  • দেশভাগ নিয়ে পেন এখনও বহু লোকের মধ্যে আছে। কিন্তু সেটা প্রচ্ছন্নভাবে। বিজেপিকে ভোট কেন দিলেন?দেশভাগের কারণে — এ কেউই বলবেনা। কিন্তু একটু খোঁচালেই মুসলিম বিদ্বেষ বেরিয়ে আসবে। ওদের একটু সিধে করা উচিত — বেরিয়ে আসবে। কেন সিধে করা উচিত? ওপারের মানুষ বা তার বংশধর হলে বলার চান্স খুব বেশি, যে তিনি ওটা দেশভাগ থেকে বহন করছেন। এপারের মানুষ হলে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ দেশের সব্বোনাশ করে দিচ্ছে — এরকম ভাবার চান্স বেশি। এবার এই জন্যই লোকে ভোট দিয়েছে তা নয়। আমার ধারণা তৃণমূলকে শিক্ষা দেবার জন্যই দিয়েছে। কিন্তু তাতেও তো একটা ব্যাখ্যা নিজের কাছেও প্রয়োজন হয়। এটা সেই ব্যাখ্যা। সমস্যা হল, একবার ব্যাখ্যাটা বৈধতা পেয়ে গেলে তার জোর বাড়তেই থাকে। স্পাইরাল।
  • dc | 342323.228.893412.72 | ২৪ মে ২০১৯ ০৮:৫৬383718
  • বুঝতে পারছি। তবে মুসলিম বিদ্বেষ তো সাধারনভাবে পুরো হিন্দি হার্টল্যান্ডেই আছে বা তৈরি করা হয়েছে। সেটার সাথে কি দেশভাগের আলাদা করে কোন সম্পর্ক আছে? জানি না।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 | ২৪ মে ২০১৯ ০৯:০০383719
  • সম্পর্ক আছে। কিন্তু অন্যরকম। এই তো সেদিন উর্দু-হিন্দি নিয়ে লিখলাম। কিন্তু সেটা অনযরকম। বাংলা তো হিন্দি হার্টল্যান্ড না। বাংলায় সাম্প্রদায়িকতা অন্যরকম।
  • pi | 7845.29.343412.202 | ২৪ মে ২০১৯ ০৯:০৮383720
  • দেশভাগ নিয়ে মানুষ ভীষণই মাথা ঘামান! অন্য টইতে আতোজের পোস্ট দেখুন, এরকম বহু পাবেন।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৪ মে ২০১৯ ০৯:৫৩383721
  • যারা সব হারিয়ে এদেশে এসেছেন আর কিছুই পান নি, তারা দেশভাগ নিয়ে মাথা ঘামাতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো এতো বছরে তারা এতটা উগ্র ভাবে সেটা দেখা যায়নি, আজকে হটাৎ করে কেন হলো ?

    উত্তর PM দিয়ে দিয়েছেন 08:34 আমি এর পোস্টে।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৪ মে ২০১৯ ০৯:৫৭383722
  • আর বাংলায় সব কিছুই অন্য রকম , খাওয়া দাওয়া অন্য রকম , ধুতি পড়া অন্য রকম, এমনকি সাম্প্রদায়িকতাও একদম অন্য রকম , অনেক নিরীহ, কবিতা পড়তে পড়তে বোমা মারে, এসব ইত্যাদি বলে নিজেকে সান্তনা দেওয়াই যায়। তাতে গত আট বছরের উসকানি ওড়ানো যায়না।
  • sm | 2345.110.234512.83 | ২৪ মে ২০১৯ ১০:২২383723
  • দেশভাগ একটি অবশ্যম্ভাবী ঘটনা,এটা অধিকাংশ জনতাই মেনে নিয়েছেন।যদি কেউ দায়ী থাকে,তবে সামান্য হলেও কংগ্রেস এর ওপর ক্ষোভ আছে।
    দেশ ভাগের পর প্রায় দু কোটি মানুষ এপার বাংলায় এসেছে।প্রথম কয়েক বছর দ্রুত গতিতে,তারপর ধীরে ধীরে।
    বিধানরায় তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যথেষ্ঠ সাহায্য করেছিলেন।
    কিন্তু সবচেয়ে বেশি সাহায্য এসেছিল, যুক্তফ্রন্ট ও জ্যোতিবসুর আমলে।
    এইসময় এই ছিন্নমূল জনতা,পুনর্বাসন পেয়েছেন,থাকার জন্য জমির পাট্টা পেয়েছেন ও ছোট খাটো ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছেন। ছিন্নমূল মানুষেরা নিজের উদ্যোগেই মূলস্রোতে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন।উল্টে শহরাঞ্চলে বাসস্থানের জমির স্বত্বাধিকার পেয়ে আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ ও হয়েছেন।এই কাজ বামেদের ভালো ডিভিডেন্ড দিয়েছে।জমি সংস্কারের থেকেও বেশি।অর্থাৎ এপার বাংলার মানুষের ও সহানুভূতি ছিল।
    এন আর সি,ডিফারেন্ট বল গেম।
    বিজেপি সুচারু ভাবে খেলেছে।
    সরকার এর তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে,হিন্দু হলে অনুপ্রবেশকারী গণ্য হবে না।এই যুক্তি মতুয়া থেকে অসাম সব্বাই খেয়েছে।
    নয়তো বনগাঁ,রানাঘাটে অন্তত তৃণমূল হারে না।যেখানে পাশের বসিরহাট থেকে দু লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে নুসরত জয়ী হয়।
    বিজেপি পাকা খেলোয়াড়।ট্যাকটিক্যাল গেমে পেরে ওঠা বেশ কঠিন।
    তৃণমূলকে নিজের সংগঠন রক্ষা করতে গিয়েই নব্বই শতাংশ এনার্জি খরচ করতে হবে।
    দরকার পড়লে কংগ্রেস এর সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হবে।
  • % | 90056.160.011223.3 | ২৪ মে ২০১৯ ১০:৪২383724
  • ৯২ তে বাবরি মসজিদ ভাঙার পর থেকে বেশ দীর্ঘ সময়, লেফট লিবেরাল মানুষজন পশ্চিমবঙ্গে কনসিসটেন্ট এবং দীর্ঘমেয়াদি অ্যকটিভ প্রচার ও অ্যাকটিভিটি চালিয়ে গেছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে, কালচারাল এক্সচেঞ্জ ও ইনক্লুসিভনেস বজায় রাখতে, কমিউনাল প্রচার এর তীব্র বিরোধীতা ও দরকারে কমিউনাল প্রচারের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগে। এই জিনিসটা থিতিয়ে আসতে আসতে ২০০০ নাগাদ প্রায় মরে আসে। কারণ সামনে বাবরি মসজিদের মতো, গুজরাট দাঙ্গার মতো কোনো তাৎক্ষণিক বিশালাকার কমিউনাল থ্রেট ছিল না।

    প্রবল মিডিয়া ও গ্যজেট বিস্ফোরণে, অসংখ্য টিভি চ্যানেলের দৌলতে টেকনোলজিগত কারণেই বিদ্বেষ ও কমিউনাল প্রচারের জন্য ফিজিকাল বডি সংস্থা বা অফিস , কার্যালয় গঠন করে প্রচার চালানোর প্রয়োজন কমেছে - সাইবার আর্মি নেমেছে, তার কাউন্টার করার স্ট্যাটেজি তৈরি করা হয়নি, ক্ষমতাসীন বাম শাসনে, কারণ টেকনলজি কে স্বীকৃতি দিয়ে সেই মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার তুলনায় প্রাচীনপন্থায় মানুষের সাথে ফিজিকাল কনট্যাক্টের উপর তারা ভরসা বেশি করেছিলেন। প্রত্যেকের হাতে মোবাইল, প্রত্যেকের হাতে ইন্টারনেট আর প্রত্যেক ঘরে টিভি চ্যানেলের মত থ্রেট নিয়ে তারা ভাবেননি, কারণ সর্বহারা প্রলেতারিয়েতের যে তাত্ত্বিক সংজ্ঞা, তাতে হাতে-মোবাইল-ঘরে-টিভি লোকজন আটে না। সংজ্ঞার আপডেট হয়নি, কারণ সংজ্ঞা প্রচারক দেশটি ৯১ তে ভেঙে যাওয়ার পর তাত্ত্বিক সাপোর্ট এর থেকনা ব্যপারটাই ভেঙে পড়ে। ৯২ এর মতোই ৯১ এর আফতার এফেক্ট ও ২০০০ এর বেশি গড়ায় নি।

    ২০০০ এর পরে স্বকীয় তাত্ত্বিকতা প্রসূত শিল্প চাই মতাদর্শ নিয়ে এগনোর জোশ এ স্বাভাবিকভাবেই পুরনো প্রায়োরিটি গুলোতে অ্যাকটিভিটি কমে আসে, তার একটা এই হিন্দু মৌলবাদের মোকাবিলা। এই সময় থেকেই মুসলিম তোষনের শুরু, সত্যিকারের কালচারাল এক্সচেঞ্জ ও ইনক্লুসিভনেসের মডেলের বদলে (যে মডেলে অবশ্য ৯২-২০০০ এই আট-দশ বছরের আপতকালীন ব্যবহারের আগে বা পরে কখনই তেমনভাবে কাজ হয় নি)

    এইটা এই শতাব্দীর প্রথম দশ বছরের হিসেব। পরের গত আট নয় বছর হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার প্রচারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার বাড়ানোয় ও তাদের ভোট একত্রীকরণে। হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠন জোরদার করে বাম ভোট কাটিয়ে নেওয়ার কাজে। ফলত গত আট বছরে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা প্রচার ও সম্প্রচারে অনেকটাই ফ্রি হ্যান্ড পেয়েছে, যার কাউন্টার করার কোনো ইচ্ছে বা উদ্যোগ ক্ষমতা হারানোর অভিমানে বামপন্থীরা করে ওঠেন নি।

    এইতা পশ্চিমবঙ্গের অবজার্ভেশন।
  • sm | 2345.110.234512.83 | ২৪ মে ২০১৯ ১০:৪৬383725
  • সঠিক অবজারভেশন!
  • S | 458912.167.34.76 | ২৪ মে ২০১৯ ১০:৫৫383726
  • ঈশানদা সুকৌশলে বিজেপি জেতার জন্য বাঙালদের দায়ী করে দিলেন। তিনো সরকারের কুশাসন ও গুন্ডামোর কথা বেমালুম চেপে গেলেন।

    ১) তাহলে এতোদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি কেন? হঠাত বঙ্গভঙ্গের কথা মনে পরে গেলো?
    ২) তাহলে যাদবপুরে জিতলো না কেন বিজেপি? ওখানে তো অনেক বাঙাল। ওখানেই বামেরা তাও কিছুটা সাপোর্ট পেয়েছে।
    ৩) তাহলে উত্তর ও পস্চীমের সীটগুলোতে জিতছে কি করে? খরগপুর, আসানসোল? এই সীটগুলোতে তো বাঙাল অনেক অনেক কম।
    ৪) তাহলে তো বাঙাল-ঘটি লাইনে ভোট হতো। সেটা না হয়ে হিন্দু-মুসলমান লাইনে হলো কেন?

    বিজেপি জেতার পরে তাদের নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে লোকে ভয় পেয়ে রয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে আরো শরনার্থী আসবে। তা কারা এই ভয়টা পায়? বাঙালরা? কেন? বাকিরা ভয় পায়্না?

    দিদির কুশাসন ঢাকতে যা খুশি একটা লিখলেই হলো? এক্দল লোকের উপর জোড় করে দোষ চাপিয়ে দিলেই হলো? বিজেপির থেকে কোনো অংশে কম ডিভাসিভ নয় এই বিশ্লেষন।
  • dc | 342323.228.783412.240 | ২৪ মে ২০১৯ ১০:৫৭383727
  • টেকনোলজি নিয়ে একমত। সারা দেশেই আরেসেস/বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে ব্যবহার করেছে তার তুলনায় কং বা বামপন্থীরা, কেউ কিছু করতে পারেনি। ফেবু আর হোয়াটসঅ্যাপ, বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপ এর ব্যবহারে বিজেপি চূড়ান্ত সফল। ইন ফ্যাক্ট মোদি আর শাহর কমিউনিকেশান স্ট্র্যাটেজির মোকাবিলা বিরোধীরা কেউই করতে পারেনি, ফলে বিজেপি বিরোধী প্রচারও কোথাও সফল হয়নি। স্টেট লেভেলে যাও বা সফল হয়েছে, ন্যাশনাল লেভেলে একেবারে হয়নি।
  • sm | 2345.110.234512.83 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:০৬383729
  • এটা কুশাসন ও গুণ্ডামির বিরুদ্ধে ভোট নয়।এটা পোলারাইজেশনের ভোট।বসিরহাট কেন্দ্র ও রানাঘাট, বনগাঁ তুলনা করলেই,যে কেউ সামান্য বুদ্ধি রাখলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে।
    আর কলকাতার সবকটা কেন্দ্রে তৃণমূল বিপুল মার্জিনে জেতে না।
    বামেদের কমিটেড ভোটার বিজেপিতে ভোট দিয়েছে।
    আমি এঁদের কে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার দিকেই জোর দিতে বলি।
    নয়তো আগামী বিশ বছর পব তে ধর্ম ও জাতপাত ভিত্তিক ভোট হবে।
    তাতেও আপত্তি নেই,জনগণ কয়েক বছর পর নিজেদের অবস্থান সঠিক বুঝে নিতে পারবে।
  • Amit | 012312.22.89900.162 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:০৯383730
  • পশ্চিমবঙ্গের প্রধান সাম্প্রদায়িক দল টির পতন হবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে । যদি তার আগেই না প্রেসিডেন্ট রুলস চালু হয়ে যায় ।
  • dc | 342323.228.783412.240 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:১১383731
  • প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েন প্রগ্যা ঠাকুর হারিয়েছে দিগ্বিজয় সিংকে।
    প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে গৌতম গম্ভীর হারিয়েছেন অতীশী মার্লেনাকে (যিনি দিল্লিতে স্কুল নিয়ে ভালো কাজ করেছিলেন)।
    প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে কানাই কুমার হেরেছে গিরিরাজ সিং এর কাছে।
    প্রথমবার ভোটে ব্যাঙ্গালোরে দাঁড়িয়ে তেজস্বী সূর্য্য জিতেছে ইন লাখের মার্জিনে।

    এগুলো দিয়ে বোঝা যায় আরেসেসের ক্যাম্পেন কতোটা সফল হয়েছে, জনমত কি প্রবলভাবে হার্ড হিন্দুত্ব বা রাইট শিফট করেছে।
  • sm | 2345.110.234512.83 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:১২383732
  • কোন আপত্তি নেই।আপনি প্রেসিডেন্ট রুলের পক্ষে ও সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে তিনোদের ,বিজেপির ওপরে রাখেন ,এই তো!
    কাউকে মোটা বলার আগে নিজের মস্তিষ্ক মোটা কি না ভাবতে পারেন।
  • sm | 2345.110.234512.83 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:১৫383733
  • জনগণের মত যদি হার্ড হিন্দুত্ব লাইনে শিফট ও করে,মোদি সরকার কে সুশাসন,আর্থিক সমৃদ্ধি,কাজের সুযোগ,খাওয়া পড়ার সুযোগ দিতেই হবে নেক্সট পাঁচ বছর।
    জনগণ এর পেটের খিদেও তো মিটতে হবে ,না কি?
  • dc | 342323.228.783412.240 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:১৬383734
  • "জনগণ এর পেটের খিদেও তো মিটতে হবে ,না কি"

    sm, আমি খুব একটা শিওর না।
  • sm | 2345.110.234512.83 | ২৪ মে ২০১৯ ১১:২৬383735
  • আমি খুব ই শিওর।আর বিজেপির নেতারাও ভালো করে সেটা জানেন।
    গ্যাসের কানেকশন দিন ভালো কথা,কিন্তু গ্যাস কিনতে না পারলে কি হবে?কতক্ষন পড়শী দেশ, আর ঘুঁষকে মারো নিয়ে খেলবেন?
    গরিবী হটাও বলে,একটা খেলা ইন্দিরা গান্ধী খেলেছিল।কিন্তু পতন ও হয়েছে।
    কংগ্রেস কে আজ কেউ ট্রাস্ট করে না।রাহুল 72 হাজার টাকা দেবার কথা বললেও লোকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
    জাতীয় কংগ্রেস একটি জাতীয় বিড়ম্বনা ,আগেই বলেছিলাম।
    এই মুহূর্তে খুব বড় মাপের ব্যক্তিত্বের হাতে দলের ভার ছেড়ে দিয়ে গান্ধী ফ্যামিলি কে কিছুদিন সাইড লাইনে থাকতে হবে।
    এই কাজ প্রথম কয়েকমাস মনমোহন কে দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
  • রঞ্জন | 238912.69.011212.210 | ২৪ মে ২০১৯ ১২:০০383736
  • ঈশানের ন্যারেটিভ নিয়ে আমার দু'একটা প্রশ্ন।
    দেশভাগের সবচেয়ে বড় শিকার দুটো রাজ্য--পাঞ্জাব আর বাংলা। আমার ফ্যামিলি জান-প্রাণ নিয়ে ১৯৪৯ সালে পালিয়ে আসা বাঙাল। আমার দাদু-ঠাকুমার মধ্যে মুসলমান বিদ্বেষ ছিল । "শ্যাকের লাত্থি খাইয়া দ্যাশ ছাইড়া ভিটামাটি ছাইড়া আইছি'।
    কিন্তু আমরা বড় হয়েছি পার্কসার্কাসের মুসলমান পরিমণ্ডলে। আমার বাবা, কাকা এবং আমার প্রজন্মের মধ্যে সেটা নেই, অনেকটা কমিউনিস্ট সংস্কৃতির ফলে।
    মানছি, বঙ্গে মুসলিম বিদ্বেষ চাপা অবস্থায় ছিল। রান্নাঘরে মুসলমান কাজের মাসি নয় ইত্যাদি। কিন্তু আজ যেটা খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে সেটা নতুন ন্যারেটিভ। বিশ্বে ও প্রতিবেশি দেশে সন্ত্রাসের প্রশ্নে । আতংকিত করা হল ঐ এল বলে। বর্ডার দিয়ে ঢুকে পড়ছে যবনেরা। আধার ওঃ ভোটার কার্ড বানিয়ে নিচ্ছে। মসজিদ আর মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়ছে। সেদিন খুব দূরে নয় যখন এই বংগে ওরাই মেজরিটি হয়ে বাঙলাদেশের সঙে যুক্ত হয়ে নতুন দেশ বানাবে। তখন আপনি আবার উদবাস্তু হবেন। তাই শুধু বর্ডার পার হয়ে আসা হিন্দুদের নাগরিকতা দেওয়া হবে। অন্যেদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে--ক্যাম্পেন খুব খাচ্ছে।
    ২। কিন্তু ঈশান, পাঞ্জাবে এবার কেন এটা চলল না ? কেন বিজেপি ও আকালি পিছিয়ে পড়ল?
    সবচেয়ে বেশি লোক ফৌজে জায় ওখান থেকে । সবচেয়ে বড় বর্ডার ওদের সঙ্গেই। বর্ডার ক্ল্যাশ এবং সীমান্ত যুদ্ধে ওদের গ্রামগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলবামা থেকে বেশ কিছু কফিন ওদের গ্রামে শহরে এসেছে।
    কাজেই যুদ্ধের জিগির এবার ওখানে কাজ করল না । ওরা শান্তি চায়।
    আমরা এই দুটো জায়গা বিল্ড আপ করতে পারি কি?
    এক, পাঞ্জাবের উদাহরণ। দুই, এটা দেখানো যে টেররিস্ট হামলা আম্মাদের থেকে পাকিস্তানে বেশি হচ্ছে।
  • dc | 342323.228.783412.240 | ২৪ মে ২০১৯ ১২:১৭383737
  • রঞ্জনদার ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে আমার কিছুটা মিল আছে ঃ-) আমার দাদু ঠাকুর্দারা নাকি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিল আর বেলেঘাটায় প্রথম ঠাঁই পেয়েছিল। এদিকে আমার বাবা সিপিএমের ভয়ানক সাপোর্টার ছিল, পাট্টির নামে এক গেলাস জল বেশী খেত। নিয়মিত পাড়ার পাট্টি আলোচনায় যোগ দিতো। মাও কমিউনিস্ট ঘেঁষা (মায়ের বাবাও পাট্টি মেম্বার ছিল)। বাড়িতে মুসলমান বিদ্বেষ কোনদিন দেখিনি। এমনকি এখনও কলকাতার বাড়িতে যিনি কাজ করেন তিনি মুসলমান, আর মাকে তিনি গভীর ভালোবাসেন। মা কলকাতায় যখন একা থাকে তখন তিনিই মাকে সামলান, আবার চেন্নাইতে আসার সময় আমার জন্য পেটা পরোটা আর মাংস বানিয়ে দেন (সে একেবারে স্বর্গীয় খাদ্য)। এই জন্যই বলছিলাম, দেশভাগ ইত্যাদি এখনকার পবতে কতোটা রেলিভ্যান্ট কে জানে। এখন যে মুসলমান বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে সেটা আরেসেস খুঁচিয়ে তুলছে, সেটা আমারও মনে হয়।
  • PM | 7834.111.343423.196 | ২৪ মে ২০১৯ ১২:৩৯383738
  • পাকিস্তান যে টেরর নারচার করে আর তাকে ফোরেন পলিসি টুল হিসেবে ব্যবহার করে তা তো মিথ্যা নয়। আবার পাকিস্তানি রাই টেরর এর সবচেয়ে বড় শিকার সেটাও মিথ্যা নয়।

    কিন্তু যে পাকিস্তান টেরর সাপোর্ট করে আর যে পাকিস্তান টেরর এ কোলেটারাল ড্যামেজ হয় তারা এক নয়। ন্যারেটিভ তৈরীর সময় খেয়াল রাখতে হবে।

    বিজেপি এখানে ঠিক যা যা করছে, ঠিক তাই তাই ভুট্টোর সময় থেকে করা হয়েছে পাকিস্তানে পাকিস্তানে।। বর্ডারের দুদিকে একি কাজে ফল আলাদা হবার কথা কি ?
  • একক | 340112.124.566712.171 | ২৪ মে ২০১৯ ১২:৫১383740
  • বাংলাদেশ যদ্দিন পাশে থাকবে , এবং "হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের " কাহিনী পল্লবিত হয়ে এপারে এসে ছড়াবে .........খুকখুকে কাশির মতো ইসলামোফোবিয়া ও এপারের বাঙালিকে ছেড়ে যাবেনা । যেকোনো পারসিকিউশন ম্যানিয়া তে ভোগা বাঙালি হিন্দুর সঙ্গে কথা বলুন , ঠিক ঘুরেফিরে " ঐতো অমুক বলছিলো বাংলাদেশে ঘরদোর জ্বালিয়ে দিচ্ছে , আমাদের এদিকেও এদের খব বার বেড়েছে !!" । কথা বলুন ,বুঝবেন ।

    আমি তিনবছর আগেও একটা টই তে লিংক দিয়েছিলুম কিভাবে বাংলাদেশী হজুর রা এসে এপার বাংলায় একটার পর একটা জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছে ও পাবলিককে উস্কানো কথা বলছে । এগুলো দেখেও হিন্দুরা ভয় পেয়েছে ,যে ওরা এবার সব দখল নিয়ে নেবে । ঘটনাগুলো নতুন নয় এক;টাও । ঘটেই চলেছে । আমরা "বিচ্ছিন্ন ঘটনা" বলে মুখ ফিরিয়ে থাকার চেষ্টা করেছি সে কথা আলাদা ।

    এপারের হিন্দু বাঙালি অল্পবিস্তর ইসলামোফোবিক হলেও , উদ্যোগ নিয়ে সঙ্গবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন আগে বোধ করেনি । ইদানিং সেই পুরোনো টনসিলের দোষের সঙ্গে, বরফ দেওয়া আমের শরবতেরমতো বাংলাদেশী সংস্কৃতির ইনফিল্ট্রেশন কাজ করেছে ।

    বাংলাদেশের কতটা আমরা নেবো আর কতটা নেবোনা , সিরিয়াসলি ভাবার সময় এসেছে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন