এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kaju | 236712.158.455612.180 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৫৩384182
  • আগেকার যুগে সাহিত্য থেকেই সোজাসাপটা সিনেমা হত বলেই 'কী বই হচ্চে' বলত লোকে। অরিজিনাল স্ক্রিপ্ট পাশাপাশি আসতে থাকল। ছবির নিজস্ব ভাষা সে আপনি ঋত্বিকের নাগরিক বলুন কি মানিকজেঠুর পাঁচালি সেটা তার আগে ছিল কই? আর এরকম লিস্ট করতে করতে ২০২০ র পুজো এসে যাবে মশায়। টই শুরু করেছেন যিনি তেনার ঐ এক লাইনই কি বক্তব্য ছিল সে তো আর এক মাসে জানা যায় নি। অ্যানালিটিকাল আলোচনা বা সাহিত্য থেকে ছবির ট্রিটমেন্ট কীভাবে নিজেকে স্বাতন্ত্র্যে নিয়ে যাচ্ছে সংলাপের বাহুল্য ছেড়ে সেসব না থাকলে খালি নামের পরে নাম জমছে না। একই লেখকের সাহিত্যভাষ কীভাবে দু তিনজন পরিচালকের হাতে ভিন্ন চিত্রভাষ হয়ে উঠছে সেটাও আগ্রহের। কেউ চোখা ডায়লগের তুবড়ি, কেউ Subtletyর খেলায় মাত করে দিচ্ছেন। এই দিকগুলো জানতে চাই।
  • শিবাংশু | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৬384183
  • বোতীন,

    বাঙালির সাইকিটি কথকতার। বাংলায় সফল লিখিয়েরা সবাই কথকঠাকুর। যেমন ধরো বিমল মিত্র। ভাষার উপর দারুণ দখল। প্লটের পর প্লট নিপুণভাবে গেঁথে যান। চরিত্রদের খেলাতে পারেন। অতো অতো লিখতে পারেন। আর রয়েছে সহজাত গল্প বাঁধার কৌশল। কিন্তু বাংলায় 'উপন্যাস' নামক নির্মাণটি, যেটা সম্ভবত বিলিতি নভেল থেকে ধার করা, চারিত্র্যে একেবারেই আলাদা। সেটা ওঁর আসেনা। তা বলে কি তিনি 'লেখক' ন'ন? তিনি একজন 'ট্রেন্ডসেটার',অবশ্যই। তাঁর লোকপ্রিয়তা অসাধারণ। কারণ, বাঙালির একটাই চাহিদা, 'গল্প ভালো, আবার বলো'। বড়ো সাহিত্যিকরা তাঁদের সৃষ্ট চরিত্রগুলিকে এমনভাবে তৈরি করেন, অন্য কোনও শিল্পী তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কেউ কখনও 'ঢোঁড়াই'য়ের সিনেমা বানাতে পারবেন কি? চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু কোনও বড়ো ছবিকর হলে সতীনাথ নয়, তাঁর নিজের 'ঢোঁড়াই'কে তৈরি করবেন। সেটা কোনও অবস্থাতেই 'সাহিত্যের চলচ্চিত্রায়ণ' হবেনা।

    বাঙালি লেখকরা গত একশো বছরের অধিককাল ধরে অপার-অনন্ত 'উপন্যাস' রচনা করে আসছেন। তার মধ্যে শারদীয়া প্রসাদ টাইপ বারোটি 'উপন্যাস' অথবা চোদ্দোটি 'উপন্যাসোপম' বড়ো গল্প ইত্যাদি লেখালেখি পঁচানব্বই ভাগ। আট-দশফর্মা এলোমেলো 'মশলাদার' 'উপন্যাস' প্রকাশকরা নিয়মিত ছেপে যেতেন। একটা লেখা, 'অরণ্যের দিনরাত্রি'। লেখাটার 'জঁর'টা যে কী, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। কিন্তু মানিকবাবুর হাতে পড়ে তার ভোল পাল্টে গেলো। ঐ ছবিটাকে কি 'সাহিত্যের চলচ্চিত্রায়ণ' বলা যাবে? জানিনা। 'সাহিত্যমূল্যে' লেখাটি জিরো।

    'মেমসাহেব'কে 'সাহিত্য' বলতে বাঙালিই পারে। একটা তৃতীয় শ্রেণীর টলি-চিত্রনাট্য। আমাদের সময়েই ক্লাস সেভেনের পর ছেলেমেয়েরা পড়তোনা। এখন কী হয়, জানিনা। 'বনফুল' বিখ্যাত লিখিয়ে। অনেক লিখেছেন। ওঁর বিশেষত্ব বিচিত্ররস। ঘষাদুনিয়ার বাইরের ঘটনা, ভূগোল, লোকজনকে নিয়ে কারবার। একসময় জনপ্রিয়ও ছিলেন। 'অধৈর্য' পাঠকদের রাজা। তাঁর লেখা সবসময় মাপে হ্রস্ব। এখনকার পার্ল্যান্সে 'ফেবু' লেখক। 'স্থাবর' বা 'জঙ্গম' ব্যতিক্রম। ঐ লেখাগুলি এখন কেউ পড়েন কি না, জানিনা। 'অগ্নীশ্বর' একজন সত্যিকারের ডাক্তারের জীবন নিয়ে লেখা। যদ্দূর মনে পড়ছে তিনি শিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের বড়দা ছিলেন। ভুল হতে পারে। মানুষটি ও উপন্যাসের চরিত্রটি একরকমই ছিলেন বলে শুনেছি। আদর্শবাদী, স্বদেশসচেতন, আত্মসম্মানী, নির্লোভ অনেক গুণ ছিলো তাঁর। বাঙালি এমন মানুষকে ভালোবাসে। কিন্তু নিজে হতে পারেনা। হিরো ওয়রশিপে বাঙালি বঙ্গবিভীষণ পাবার যোগ্য। অগ্নীশ্বর, অধিকলাল বা অর্জুন মণ্ডল বনফুলকে জনপ্রিয় করতে পারে। কালজয়ী করতে পারেনা। 'সিনেমা'র ভিতর দিয়ে তাঁকে চেনা যাবেনা। কারণ ঐ ভাষা আর ট্রিটমেন্ট ছবির ভাষায় আনা যায়না। বড়ো ছবিকর হলে সম্পূর্ণ অন্য একটি সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু তার সঙ্গে 'সাহিত্যে'র কোনও সম্পর্ক থাকবে না।

    কোনও লেখা থেকে ছবি তৈরি হওয়ার খবর থাকলে সেই সব বই খুব বিক্রি হতো একসময়। প্রকাশকরা বিজ্ঞাপন দিতেন, ছবি দেখার আগে বইটি পড়ে যান। এই সব ছেলেমানুষি এখনও হয় কি না জানিনা। বছর পঁচিশ হলো নতুন বাংলা ফিকশন পড়ার কষ্ট করিনি। এখানেও যেসব বইয়ের আলোচনা হচ্ছে, সেসব অনেক পুরোনো লেখা। এখনকার নবীন পাঠক বা দর্শকরা (তিরিশ/ পঁয়ত্রিশ বয়সের মধ্যে) বিষয়টি কীভাবে দেখেন, জানার ইচ্ছে রইলো।
  • Kaju | 236712.158.565612.43 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:০৬384184
  • সত্যজিৎ অরণ্যের দিনরাত্রি বা জন অরণ্য করার সময় মূল কাহিনী অনেকটাই সিম্পল করে আনেন অনেক কিছু সাবপ্লট বাদ দিয়ে, কিন্তু তাতে গল্পের মূল যে সূত্র বা আত্মা সেটা ঠিকই ধরা যায়। এটা ওনার প্রায় সাহিত্যভিত্তিক সব সিনেমাতেই আছে। চারুলতা দেখুন। নিজের মত করে কালমিনেশন পয়েন্টে পৌঁছয় যেটা মূল গল্পের চেয়ে আলাদা নয়। প্রতিটি চরিত্রের স্বভাব ধরন ঠিক এগজ্যাক্ট ধরা পড়ে কিন্তু অনেক কম তুলির আঁচড়ে। অতি ডায়লগ অতি ঘটনার ঘনগটা ছেড়ে। এটা সবাই পারেন নি বা করেন নি।
  • r2h | 236712.158.895612.146 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:২১384185
  • অরণ্যের দিনরাত্রি লেখাটি সাহিত্যমূল্যে জিরো কেন বললেন শিবাংশুদা, এটা আরেকটু বিস্তারিত বললে ভালো হতো। এই পরিসরে দ্বিমত প্রকাশ করছিনা, তবে বিশ্লেষণটা জানতে কৌতুহলী।

    তবে অরণ্যের দিনরাত্রি লেখা আর সিনেমা দুটো পুরো আলাদা জিনিস আমার মনে হয়েছে। সিনেমাতে বইয়ের অ্যাগোনি, ক্রাইসিস, অন্ধকার ব্যাপারগুলো পুরো মিসিং, মোটামুটি প্রেমের গল্প।

    মেমসাহেব ইত্যাদি যে লোকজন এখনো পড়ে এটা আমার কাছে একটা আশ্চর্য খবর। ফেসবুকে বইয়ের গ্রুপে দেখি অনেকে উলুতপ্লুত হয়।আমার স্কুল জীবনেও পড়তে দেখিনি, আমি নিজে কয়েকবার চেষ্টা করেছি, এত নামকরা বই দেখি তো, কিন্তু সময় খরচ করতে আর ইচ্ছে করেনি।
  • শিবাংশু | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:২৮384186
  • @kaju

    'কাহিনী' বা আখ্যান অংশটি 'সাহিত্যে'র সব থেকে লঘু অঙ্গ। যাঁরা বড়ো ছবিকর, তাঁদের কাছে ঐ অংশটির মূল্য নগণ্য। কিন্তু পাঠকের কাছে তার আকর্ষণই সব চেয়ে বেশি। যেমন, সত্যজিৎ ছবি না করলে আজকের পাঠকের কাছে 'চারুলতা' বা 'অরণ্যের দিনরাত্রি'র আবেদন কতোটা থাকতো বলা মুশকিল। কারণ 'সাহিত্য' ও 'চলচ্চিত্র' দুটো ভিন্নমুখী ধারা। তাদের চলন বা গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠি আলাদা। সত্যজিৎ তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রনাথের আবেগটুকুই শুধু রেখেছেন। বাকি সব নিজের। গল্পগুচ্ছের 'চারুলতা' আর সত্যজিতের 'চারুলতা'র সমান্তরাল টানতে গেলে অনেক প্রশ্ন চলে আসে। যে দুটি লেখার উল্লেখ করেছেন, তারা 'সাহিত্য' হিসেবে সত্যজিতের কাছে আসেনি। এসেছিলো 'কাহিনীসূত্র' হিসেবে। দুইয়ের মধ্যে দুস্তর ফারাক রয়েছে।

    এটা করা, বা করতে পারার হিম্মত বা দুঃসাহস দুয়েকজনেরই থাকে। সেটাই ঘটনা।
  • শিবাংশু | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৪384187
  • @r2h,
    এখানে বিষয়টাতো 'সাহিত্য ও চলচ্চিত্রায়ণ', তাই এ নিয়ে অন্য কোথাও লিখবো। আসলে সুনীলবাবুকে নিয়ে বড়ো করে লেখার ইচ্ছে অনেকদিনের। একটু অন্যভাবে ভেবেছি। অসীম জনপ্রিয়তা তাঁর সম্পদ না প্রতিবন্ধক ? এই দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর গদ্য নিয়ে কিছু ভাবনা।
  • Kaju | 124512.101.780112.209 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৮384188
  • চারুলতা অবশ্য আমার মনে হয় আরেকটু কিছু ঘটনা যেগুলো গল্পে আছে সেটা থাকলে বুনট আরো ভালো হত, মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা আরো খুলত পরতে পরতে। ভূপতি অনেকদিন ধরে অনেক ইঙ্গিত পেয়ে তবে স্থির বিশ্বাসে এল, যে বানর মুক্তা চেনে না তাহাকে কি এইভাবেই ঠকাইতে হয়? এটা কি স্ত্রীর উদাসীনতা বা বিমুখতার অত অল্প আভাস বা অমলের চিঠি পেয়ে আড়ালে কান্না দেখেই বুঝে নেয়া যায় নিশ্চিত করে?

    তবে জন অরণ্য উনি প্রকাশ্যেই বলেছেন যে গল্পটা সাহিত্যমূল্যে এমন কিছু লাগেনি ওনার। তবে সিনেমাটিক ল্যাঙ্গুয়েজের জন্যেই বারবার দেখা যায়।

    অরণ্যের দিনরাত্রি তে ৪ জনের স্বভাব বৈশিষ্ট্য একটু একটু করে তুলে ধরার জন্যে যেটুকু ঘটনা এগোতে দেয়া। এমনকি মেমোরি গেমেও যে যে নাম তারা বলছে যা আসছে তাৎক্ষণিকে, সেটাও মনের অন্ধিসন্ধির আভাস তো দেয়ই। মেমোরি গেমের নাম সবই উনি লিখে দিয়েছিলেন। বাক্সবদলেও ৩ ৭ গোলাপ নিয়ে বেশ কিছুটা জায়গা আছে। এই হঠাৎ বলা নম্বর বা ফুল দিয়েও লোকের মনের ছাঁচ বোঝা যায় এটা উনি মানতেন।
  • b | 236712.158.566712.59 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০৪384189
  • শুধু বাং বই (উভয়ার্থে) নিয়ে কতা হচ্ছে কেন? হলিউড বা বিশ্ব সিনেমাতেও তো এরকম অনেক হয়েছে।
  • | 236712.158.1234.151 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:১২384190
  • আমি বোধহয় আমার বক্তব্য ঠিক মতো বোঝাতে পারি নি শিবাংশু দা।

    দেখো বনফুল বা বিমল মিত্র আমার সমসাময়িক নন। ওনারা অনেক গল্প/ উপন্যাস লিখেছেন সে গুলো সম্পর্কে জানা বা পড়া সম্ভব নয় ( যদিও পরবর্তী কালে বনফুলের সমস্ত ছোটগল্প আর কয়েকটি উপন্যাস পড়েছি। জঙ্গম আছে সে তালিকায়। তেমন বিমল মিত্র র কিছু কিছু লেখা পড়েছি) কিন্তু সেসময়
    " অগ্নীশ্বর" বা
    " সাহেব বিবি গোলাম" এর ভূতনাথ কে দেখে যে ভালোলাগা, তার আকর্ষণেে ই ওই বই গুলো পড়েছিলাম।

    সেখানে কিছুটা হলেও পরিচালক আর শিল্পী দের সদর্থক ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি।

    আর একটা ১০০/১৫০ পাতার উপন্যাস কে আড়াই থেকে তিন ঘন্টার পরিসরে একটা চলচ্চিত্র বানাতে হলে মূল উপন্যাসের কাহি নী/ চরিত্র দের সাথে অনেকটাই কম্প্রোমাইজ করতে হবে সেটা বলাই বাহুল্য। পরিচালক কিছুটা আলাদা ভাবেও গল্প টিকে উপস্থাপনাা করতে পারেন
    কিন্তু তার সাথে সিনেমা টা দেখে আগ্রহী হয়ে মূল গল্প/ উপন্যাস টি পড়ে ফেলায় কোন বাধা আছে বলে আমার মনে হয় না।
  • Kaju | 236712.158.895612.74 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০৩384192
  • আচ্ছা ভূতনাথ আর অগ্নীশ্বর, মানে উত্তম এফেক্ট। সেতো হবেই। অন্য কেউ হত যদি? পাঁচু মিত্তির?
  • | 236712.158.1234.155 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৩৮384193
  • সেখানেই তো কবি কেঁদেছেন।
    একেবারে ঝরঝর করে!!
  • Kaju | 236712.158.565612.43 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫৮384194
  • উত্তম চরিত্রগুলো পুরো নিজের করে নিতেন। সৌমিত্রর ফেলুদা সেই শিশুকালে এই পুজোর ছুটি ছুটিতে দেখেও পড়তে গিয়ে কখনো ফেলুদাকে সৌমিত্র ভাবিনি। ব্যোমকেশকেও উত্তম দেখতাম পড়তে গিয়ে যদি না আগে রজিত কাপূর দেখে ফেলতাম।
  • | 236712.158.1234.161 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:২৫384195
  • রমাপদ চৌধুরী র লেখা থেকেও অনেক কটা মুভি হয়েছে। পিকনিক, বন পলাশীর পদাবলী, খারিজ
  • র২হ | 236712.158.895612.182 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:৫২384196
  • শিবাংশুদা, সুনীলবাবুকে নিয়ে বড় লেখার অপেক্ষায় অধীর থাকলাম। আমার নিজস্ব বৃত্তে সুনীল অনেকসময়ই নিন্দিত, কিন্তু একেবারে নিজস্ব্য ব্যক্তিগত মুগ্ধতা প্রচুর।
    একটা বুবুভা দিন!
  • র২হ | 236712.158.895612.182 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:৫৭384197
  • বালান ভুল মার্জনা করবেন। নিজস্ব্য আবার কী, উফ।
  • lcm | 237812.68.233412.70 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩১384198
  • " তখনকার দিনে (আমি বিশেষ করে সবাক যুগের প্ৰথম দুই দশকের কথা বলছি) যেমন হলিউডে তেমনি বাঙলাতে প্রায় সব পরিচালক মেনে নিতেন যে ছবি হল সকলের দেখার জন্য, সব স্তরের দর্শকের মন খুশি করার জন্য। চলচ্চিত্র যে একটি সিরিয়াস আর্ট হতে পারে, গভীর তথ্য, সূক্ষ্ম মনস্তত্ত্ব, দোষেগুণে মেশানো জটিল চরিত্র - বাঙলার সার্থক উপন্যাসে যার সাক্ষাৎ মেলে - এসব যে চলচ্চিত্রে স্থান পেতে পারে এটা কেউ মানতেন না। হলিউডের মতন বাঙলাতেও তখন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক কাহিনীকার-চিত্রনাট্যকার হিসাবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম যুগে প্রেমাঙ্কুর আতর্থী ও শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের নাম মনে পড়ে। আরও পরে যোগ দিয়েছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র ও শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়। ত্রিশ দশকেই চলচ্চিত্র সম্পর্কে বাঙলায় প্রথম প্রামাণ্য বই লিখেছিলেন সাহিত্যিক নরেন্দ্র দেব। কিন্তু এই সব সাহিত্যিকের সান্নিধ্যও ছবিকে শিল্পের মর্যাদা দিতে পারেনি। তার সহজ কারণ এই যে এঁরাও চলচ্চিত্রকে জাত শিল্প হিসেবে মনে করতেন না। বাঙ্গালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিনেমার জন্য লেখা উপন্যাস 'দম্পতি' যাঁরা পড়েছেন তাঁরা আমার কথা সত্য বলে মানবেন। বাঙ্লা ছবির উপাদান কী হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে তখনকার সাহিত্যিকদের ধারণার স্পষ্ট ইঙ্গিত এই উপন্যাসে পাওয়া যায়। এখানে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। একবার এক প্রথম শ্রেণীর সাহিত্যিকের কাছে আমি তাঁর একটি গল্প ছবি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে বললেন, 'আমার এ গল্প তো সাহিত্য মশাই; এ গল্প থেকে ছবি হবে কী করে?' । আসলে চলচ্চিত্রকে তখন পপুলার আর্ট হিসাবেই দেখা হত। এবং পপুলার আর্ট সৃষ্টি করার জন্য যেসব মালমশলা দরকার সেগুলো ছবিতে প্রয়োগ করার দিকে দৃষ্টি রাখতেন পরিচালক। "
    ( বিষয় চলচ্চিত্র, সত্যজিৎ রায়)
  • Kaju | 236712.158.895612.146 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৩384199
  • রমাপদ চৌধুরী বনপলাশীর করতে পার্মিশন দিতে ৭ বছর ঘুরিয়েছিলেন উত্তমকে। সমগ্রে সে নিয়ে বলেছেন পরিশিষ্টে।
  • শিবাংশু | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৩৩384200
  • আমাদের দেশে বায়োস্কোপের ট্র্যাডিশনটা বড্ডো বেশিদিন চলেছে। ডিজি বা মধু বসুও ক্যামেরায় থিয়েটার তুলতেন। স্বাভাবিকভাবেই বড়ো সাহিত্যিকদের কাছে মাধ্যমটা অপাংক্তেয় ছিলো। প্রেমেন্দ্র মিত্রের মতো ধারালো মানুষরাও বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেননি।

    তবে আমি যতোটুকু বুঝি, বাংলায় 'পটেমকিন' আসতে অনেকটা সময় লেগেছিলো। অক্ষরের ভাষা আর ক্যামেরার ভাষা সমীকরণ করা যায়না। সাহিত্যের সম্পদ তার মননশীলতার দিকটি। ভাষা, শব্দ, বিশ্লেষণ, বাকপ্রতিমা। সবই বিমূর্ত বিনিময়। ছবির সাফল্য অন্য মেরুতে। দৃশ্যময়তা তার ভাষা। এমন কি কথাশিল্প আর ছবিশিল্পের সংলাপও পরস্পর মেলানো যায়না। কোন মাপদণ্ডে সাহিত্য আর ছবি পরস্পর জায়গা বদল করতে পারবে? দুটি ভিন্ন শিল্প, ভিন্ন মানদণ্ড।
  • সিএস | 237812.68.674512.109 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:০৯384201
  • হাতে গরম একটা সিনেমা তো হলে এখনই চলছে, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যর 'রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত', যেখানে শ্রীকান্ত উপন্যাসে প্রথম পর্ব থেকে গল্পসূত্রটি নিয়ে আজকের সময়ে চরিত্রগুলিকে ফেলা হয়েছে। এও এক দেখা, গল্পটিকে পিরিয়ড পীস হিসেবে ক্যামেরায় না তুলে, চরিত্রগুলো আজকে থাকলে কোথায় গিয়ে পৌছতে পারে, কী হতে পারে তাদের, সিনেমা যেহেতু দৃশ্যকাব্য তৈরীরই এক মাধ্যম যা ফ্যানটাসিই তৈরী করে, এবং সেই ফ্যানটাসিকেই ব্যবহার করা দর্শককে সিনেমার শেষের দিকে এসে যেন বাকহীন করে দেওয়ার জন্য (বাকিটা ব্যক্তিগত সিনেমাটিতে রিয়ালিটি আর ফ্যান্টাসির খেলাটি যদিও ছিল অনেক বেশী ব্যাপক) - এসবই যদি একজন পরিচালকের থেকে পাই, তাহলে বলতে পারি কোন একটি 'সাহিত্য'কর্মকে নিয়ে সিনেমা তোলাটি কিছুটা হলেও সার্থক। উপন্যাসের দায় যেমন নয় রিয়েলিটির নিছক বর্ণনা, সিনেমারও দায় নয় একটি উপন্যাস বা সাহিত্যকর্মকে নিছকই পর্দায় হাজির করা।

    (সিনেমার শেষে টাইটেল কার্ড দেখানোর সময়ে, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'আমরা এমনি এসে ভেসে যাই' গানটি এক নারীকন্ঠে খালি গলায় গাওয়া হয়েছে। সিনেমার শেষটির সাথে এই গানটির গায়কী মিলে বেদনা তৈরী হয়েছে, গানটির কথার সাথেই দর্শকও যেন সিনেমার চরিত্রগুলির সাথে বহে যেতে পারে; লক্ষ্য করি ইউটিউবে অন্যদের গাওয়া একই গান, অপিচ দিলীপকুমার রায়ের কন্ঠেও যা আছে, সেসবের মধ্যে যেন উচ্ছাসের ভাবটিই বেশী পরিমানে ব্যক্ত। প্রচলিত গায়কীকে অস্বীকার করে গানটি গাওয়ানোর মধ্যেও পরিচালকের কুশলতা জেগে থাকে, একটি শিল্পকর্মর ওপর নিজের দৃষ্টিকে আরোপ করার মধ্যে দিয়ে।)
  • aranya | 890112.162.9001223.183 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:১৭384203
  • সাহিত্যের সংজ্ঞা জানি না, তবে 'অরণ্যের দিনরাত্রি' লেখাটা ভাল লেগেছিল। সুনীল খুবই প্রতিভাবান, ক্ষমতাশালী লেখক - আমার চোখে।
    শিবাংশু লিখেছেন গত ২৫ বছর কোন বাংলা ফিকশন পড়েন নি। হাউ অ্যাবাউট নবারুণ ?
  • S | 236712.158.780112.148 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:২২384204
  • শুধুই বাংলা?
  • শিবাংশু | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:০১384205
  • @অরণ্য,
    ঠিক বলেছেন। বলা উচিত ছিলো 'মূলস্রোতে'র ফিকশন। অর্থাৎ, 'বাজারি' ঘরানার ফিকশন।
  • | 236712.158.1234.151 | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫২384206
  • ন্যাড়া দা,১০ঃ২৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,
    চক্ষু কর্ণের বিবাদভঞ্জন করতে আজকে শরদিন্দু খুললাম।
    " দাদার কীর্তি" র লেখাটির দৈর্ঘ্য ২২ পাতা। কাজে ই গল্প নয় অন্তত বড় গল্পের মর্যাদা দেওয়া ভালো
  • শিবাংশু | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৩০384207
  • বোতীন,

    ছোটোগল্প, বড়োগল্প বা উপন্যাস তিনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জাতের রচনা শৈলী।একজন বাঙালি সাত ফুট লম্বা হয়ে গেলেই জামাইক্যান হয়ে যায়না। যেমন মহাকাব্য হওয়া সত্ত্বেও মহাভারতকে তিন ঘন্টার নাটকে পুরো ধরা যায়। আবার তিন বছর ধরে চলা সিরিয়াল দিয়েও মহাভারতকে ধরা যাবেনা। যে পারে সে অমনি পারে।
  • | 236712.158.786712.227 | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ১১:১৩384208
  • কেউ কি শক্তিপদ রাজগুরুর মেঘে ঢাকা তারা'র কথা বলেছেন?

    আমি একসময় নিমাই ভশ্চাজ শক্তিপদ রাজগুরু এমনকি চিত্তরঞ্জন মাইতি পর্যন্ত পড়ে ফেলতাম। কিন্তু সে নিতান্তই অক্ষরের খিদেয়, হাতের কাছে আর কিছু পেতাম না তাই। প্রফুল্ল রায়, অশু মুখুজ্জে ইত্যাদি তো ছিলেনই। এঁয়ারাই মফস্বলের লাইব্রেরীগুলোর তাকবোঝাই হয়ে থাকতেন।
    কিন্তু বাবাগো আর মোটেও পড়তে পারব না।
    কিন্তু সেই হা অক্ষর যো অক্ষর সময়েও আমি কিছুতেই বিমল মিত্র পড়ে উথতে পারি নি, অচিন্ত্য সেনগুপ্তও না। ঐ হপ স্কিপ জাম্প করে করে বইগুলো শেষ করতাম।
  • র২হ | 236712.158.786712.145 | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ১১:২২384209
  • শক্তিপদ রাজগুরুর একটা গল্প মনে আছে, পশুবাক।
    এক উদ্বাস্তুশিবিরে এক বৃদ্ধা খুব আশাবাদী, শুনেছেন তাঁদের নাকি পশুবাক পাঠানো হবে। সরকারের দয়ায় পশুবাক গেলে তাঁদের দুর্দশা কেমন কমে যাবে, এইসব।

    কিশোর মন বা ভারতীর শারদীয়াতে বেরিয়েছিল।
  • | 236712.158.1234.161 | ০১ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১৭384210
  • শিবাংশু দাঃ@ ১০ঃ৩০। এগ্রি করলাম না।

    লেন্হ ডাজ ম্যাটার। আমাকে ১২০ পাতার একটা গল্প দেখাও।
  • Kaju | 236712.158.453423.133 | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:৪২384211
  • এখন অণুগল্প বলে একটা ধারা চলছে। মানে নামটা নতুন, শুরু তো সেই রবীন্দ্রবাবুর লিপিকা থেকেই। লিপিকার "একটি দিন" অণুগল্প বটেই আজকের হিসেবে। তো অণুগল্প সার্থক হতে গেলে কতকগুলো প্যারামিটার মানতেই হবে। সেটা আজকের দিনে বসে লিখিত ভাবে ১ ২ করে নির্ধারিত হয়েই গেছে। ছোট্ট কায়া কিন্তু ছায়া সুদীর্ঘ। ৩০০ শব্দে গোলগোল গল্প ফেঁদে দিলেই অণুগল্প হয় না। তীক্ষ্ণতা ম্যাটার করে। ছোটগল্প বড়গল্প উপন্যাসের তফাৎ এই ছায়ার প্রশ্নেই। অনেকে একগাদা লিখেও সেই লেভেলে উঠতে পারেন না, আবার অনেকে কম পাতাতেও অনায়াসে লিখে ফেলেন মাস্টারপিস। দৈর্ঘ্য নয়, গভীরতা ম্যাটার করে।
  • | 236712.158.1234.151 | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:০৮384212
  • অনুগল্পে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছেন বনফুল । ৮/১০ লাইনে অসম্ভব ভালো গল্প লিখেছেন।

    কবিগুরুর সেই ছোট গল্পের ডেফিনেশন ( ঠিক মনে আসছে না)

    " ছোট ছোট দুঃখকথা(??).
    নিতান্ত ই সহজ সরল,
    অন্তরে অতৃপ্তি রবে
    সাঙ্গ করে মনে হবে,
    শেষ হয়ে হইল না শেষ!!
  • Atoz | 237812.69.4545.151 | ০২ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:২৯384214
  • হেমিংওয়ের সেই বিখ্যাত গল্প, পরমাণু গল্প বলা যায়, For sale: baby shoes, never worn. ছটি শব্দের মধ্যে মহাকাব্যিক টানাপড়েন ধরা আছে। সবটাই পাঠকের কল্পনার উপরে। প্রত্যেক পাঠক তার নিজের নিজের মতন করে গল্পটা কল্পনা করেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন