এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • র‌্যাগিং: সমর্থনযোগ্য?

    Samik
    অন্যান্য | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১৯২৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 10.13.74.166, 202.56.239.78 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১০:৫১385645
  • র‌্যাগিং নিয়ে মত এবং অমত পোষণ করা জনতা প্রধানত দুটো ক্যাটেগরিতে বিভক্ত। যারা এটাকে সমর্থন করে, তাদের সিংহভাগ কখনও না কখনও হস্টেলে থেকেছে, ... এটা বলা বোধ হয় ঠিক হল না, উল্টে বললে ঠিক হবে, যারা হস্টেলে থেকেছে, তাদের সিংহভাগ র‌্যাগিং সমর্থন করে। অন্যদিকে যারা সমর্থন করেন না তদের সিংহভাগই কখনও হস্টেল জীবন কাটাননি।

    যথারীতি হস্টেলে থেকেও র‌্যাগিং সমর্থন করে না, বা হস্টেলে না থেকেও র‌্যাগিং সমর্থন করে, এ রকম লোকও পাওয়া যাবে প্রচুর, তবে তারা 'সিংহভাগ' নয়। এ নিয়ে বেশ জবরদস্ত ভেন ডায়াগ্রাম আঁকা যেতে পারে।

    আমি কেবল আমার কথা বলতে পারি। কোনও আবেগের ভিত্তিতে না গিয়ে, সম্পূর্ণ তথ্য এবং স্মৃতির ভিত্তিতে কিছু কথা বলতে পারি। তার আগে, আমি আমার স্ট্যান্ডটাকে পরিষ্কার করে নিই।

    আমি র‌্যাগিং সমর্থন করি।

    এ বার ডিটেলে যাব। তার আগে অন্যরাও লিখুক।
  • R | 59.93.245.84 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১১:১৬385756
  • শমীক, একটু ভুল হোলো মনে হয় তোমার। প্রশ্নটা/গুলো বা তোড়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সমালোচনা ছিলো হোস্টেল জীবন আর তার থেকে উদ্ভূত(?) দুর্নীতি(???!!!) নিয়ে। সে থ্রেডটার নাম ছিলো "হোস্টেল -দুর্নীতির বীজতলা"। যার রেশ ধরে কালকের মন্তব্য আর সম্ভবত: যে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত ধরে এই থ্রেড খুললে তুমি। খুলেছ, ভালো করেছ, বেশ করেছ। তবে আমার মনে হচ্ছে, পুরো হোস্টেল জীবনের যা কিছু ভালো-মন্দ তাকে একশব্দে র‌্যাগিং-এ সরলীকরণের ভুল যেমন আরেক পক্ষে হয়েছে, হচ্ছে, হবেও অনন্ত অবধি, তেমনই এ থ্রেডের নামকরণেও একই ভুল হলো।

    র‌্যাগিং সম্পূর্ণ হোস্টেল জীবনের খুবই সামান্য একটা অংশ মাত্র। শুধুই সেটুকু দিয়ে হোস্টেল জীবনকে চিহ্নিত করা যায় কি?

    ওই থ্রেডে LCMএর বক্তব্য ছিলো অনেক সার্বিক আর মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গীর। সেটার উপরে আলোচনা চলতে পারত, বিশদে, বিস্তৃতে। তাহলেই সামাজিকভাবে আরও সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গীতে ব্যাপারটার উপর আলোকপাত হোত হয়তো।

    এটা আমার ব্যক্তিগত মত।

    একটা কথা প্রাসঙ্গিকভাবেই বলতে ইচ্ছে হচ্ছে বলে জানালাম। তনুই যখন হোস্টেল জীবনের অন্ধকারাচ্ছন্নতা নিয়ে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদিনী, তাকে আমার অনুরোধ - সে যদি পারে, অনেক অনেক জ্ঞানগর্ভ বই ও তঙ্কÄ পড়ার ফাঁকে, একবার অন্তত: এই দুটি বইও যেন পড়ে নেয় -

    ১) টম ব্রাউন'স্‌ স্কুল ডেজ্‌
    ২) বাবুইবাসা বোর্ডিং

    তাতে করে কি লাভ হবে তা বলতে পারি না, তবে ক্ষতি হবে না আশা করি। গেলাসের আর্দ্ধেক জল দেখার দুরকম মানসিকতার একটিতে আচ্ছন্ন থাকলে অবিশ্যি কিছু বলার নেই।

    এই প্রস্তাবটিও আমার ব্যক্তিগত প্রস্তাব মাত্র।
  • R | 59.93.245.84 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১১:২০385824
  • লাস্ট পোস্টিং লিখতে শুরু শমীকের পোস্টিংএর আগে, এবং পেশ করার পর দেখলাম শমীকের বক্তব্য।

    শমীকের তরফ থেকে ভুলটা আরেকটু এগোলো বলে মনে হলো। তবুও আমার আগের বক্তব্যটা রইলো, একই জায়গায়।
  • S | 10.13.74.166, 202.56.239.78 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১১:৪৭385835
  • না। আমি তো বলছি না আমি যাহা বলিব তাহাই ধ্রুবসত্য। ভুল হতেই পারে। দুর্নীতির বীজতলায় কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তা আমার মনে আছে। র‌্যাগিং হস্টেল জীবনের সব নয়। আমি এখানে কেবল র‌্যাগিং নিয়েই আলোচনা করতে চাইছি।

    সবার প্রথমে : র‌্যাগিংয়ের ডেফিনিশন। গুগ্‌লে সার্চ মেরে দেখলাম সবার ওপরে উইকিপিডিয়ার লিংক: en.wikipedia.org/wiki/Ragging। অনেক কিছু লেখা, অবশ্যই তথ্যের ভিত্তিতে। পড়ে দেখলাম র‌্যাগিং মোট্টেই ভালো ব্যাপার নয়। গুগ্‌লে বাকি লিংকগুলোও র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে যায়। একটা লিংকে দেখছি খড়গপুর আইআইটির সার্কুলার, র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ পেলে কোনও এনকোয়্যারি কমিশন বসবে না, কোনও ফাইন বা ইয়ার ল্যাগ নয়, রোজা রাস্টিকেট করা হবে অভিযুক্তকে। এও দেখছি র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জোরদার ক্যাম্পেইন। হয় তো, হতে পারে, র‌্যাগিং সম্বন্ধে আমার কাছে যতটুকু তথ্য ছিল, তা যথেষ্ট নয়। উইকি বলছে র‌্যাগিং হল হিউম্যান রাইট্‌স অ্যাবিউজিং, ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে, বিশ্বজুড়ে র‌্যাগিং দিন দিন যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, তাতে করে র‌্যাগিংয়ের আসল মানেটাই বদলে গেছে।

    সাধারণভাবে র‌্যাগিং বললে কী মনে হয়? কী ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে? একদল ফ্রেশার জড়োসড়ো হয়ে আছে, আর একদল সিনিয়র তাদের কাঠের বাটাম, স্কেল দিয়ে উত্তাল খোঁচাচ্ছে, মারছে, গোঁফ অর্ধেক কামিয়ে দিচ্ছে, খাটের নিচের ধুলো চাটাচ্ছে, উলঙ্গ করে ক্যাম্পাসের মাঠে দৌড় করাচ্ছে, হিটারে হিসি করতে বলছে, এই তো?

    কিন্তু আজ আর কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, এগুলো র‌্যাগিং নয়। এগুলো বিকৃত মানসিকতা। প্রকৃতপক্ষে র‌্যাগিং জিনিসটা হল সিনিয়রদের সাথে জুনিয়রদের সাথে ইন্ট্যার‌্যাক্‌শনের একটা দুর্দান্ত মাধ্যম। এবং এর মধ্যে কোনওরকমের ফিসিকাল বা মানসিক টর্চারের কোনও সম্বন্ধ নেই। নেই নেই নেই। যেখানেই র‌্যাগিং হিসেবে এই ফিসিক্যাল বা মেন্টাল টর্চারকে দেখানো হয়েছে, সেখানে সেই মুহুর্তেই সেগুলো টর্চার, র‌্যাগিং নয়।

    (ক্রমশ)
  • R | 59.93.245.84 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:১০385846
  • সরল ঘোষণা :-)))। খুব ভালো কথা। তবে ragging বলতে যে শব্দ নিয়ে তুমি এ থ্রেড খুলেছো, তার মানে দেখাচ্ছে "উৎকট ও কুৎসিত কৌতুক ক্রীড়া, অসভ্য আচরণাদির দ্বারা পরিহাস বা জ্বালাতন"(সংসদ)। বোঝানোর জন্য জিজ্ঞাসা চিহ্ন দিয়ে bullyrag শব্দের অংশবিশেষের মানেও দেখাচ্ছে "দুর্বলের নির্মম(সচরাচর কাপুরুষ) উৎপীড়ক, তর্জন গর্জন করিয়া যে ব্যক্তি নিজের কর্তৃত্ব জাহির করে, ভাড়াটে গুণ্ডা"(সংসদ)।

    র‌্যাগিং-এর এই আক্ষরিক অর্থ অনুযায়ী তা সমর্থনযোগ্য কখনই নয়।
  • S | 61.95.167.91 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:৩০385857
  • না। এই যদি র‌্যাগিংয়ের মানে হয়, তা হলে তা আদপেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমি আমার স্ট্যান্ড ডিক্লেয়ার করার পরেই মানে খুঁজতে শুরু করলাম, তাতেই আমি একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। আর অন্তত এক রকমের মানসিক তৃপ্তিও পাচ্ছি যে আমি তা হলে কোনওদিন র‌্যাগ্‌ড হই নি, বা র‌্যাগিং করিওনি।

    আমার কাছে র‌্যাগিং ব্যাপারটা ছিল অন্য। সেদিন উইকি ছিল না, এনকোয়্যারি কমিশনও ছিল না। কিন্তু মারধোর বা অ্যাবিউজিং-এর বাইরে ইন্টার‌্যাক্‌শনের যে আলাদা মেথডগুলো ছিল, আমি সেগুলোকেই বিশুদ্ধ র‌্যাগিং বলে জানতাম, এবং তাতে কোনও খারাপ কিছু দেখি নি। আজ মার্কেটে এর স্ট্রাক্‌চার্ড ডেফিনিশন যা পাচ্ছি, তাতে করে ব্যাপারটা অত্যন্ত ঘৃণ্য বলেই প্রতিপন্ন হচ্ছে। এই সমস্ত ডেফিনিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আমার বর্তমান স্ট্যান্ড, আমি র‌্যাগিং সমর্থন করি না। র‌্যাগ্‌ড হই নি, র‌্যাগিং করি নি।

    যদি গ্লাসের ঘোলা জল এতে পরিষ্কার হয়ে থাকে, তা হলে আলোচনা এখানেই শেষ হোক, নইলে অনেক অনেক গল্প বলতে পারি, চুলোয় যাক আমার আনন্দ পুরস্কারের আশা :-)
  • S | 61.95.167.91 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:৩৬385868
  • তবে সংসদের এই ডেফিনিশনেও অনেকগুলো প্রশ্ন থেকে যায়, থাকবেই। সংসদ যাকে 'উৎকট' 'কুৎসিত' 'কৌতুকক্রীড়া' বলছে, এই শব্দগুলোর ডেফিনিশন আগে ধার্য করা দরকার। ঠিক কী কী হলে তাকে উৎকট বলা হবে, কুৎসিত বলা হবে, এটাও তো পার্সন টু পার্সন ভ্যারি করতে পারে, তাই না? হস্টেলে অনেক কিছু চলতে পারে যা সেই পরিবেশে স্বাভাবিক, gaarhastha (বাংলায় লিখতে পারলাম না) পরিবেশে তা উৎকট হিসেবে বিবেচিত হতেই পারে। উদাহরণ, কেবলমাত্র জাঙ্গিয়া পরে হস্টেলে বিচরণ করা, যা বাড়ির পরিবেশে অভাবনীয়। যাদবপুরের জনতা নিশ্চয়ই ট্রেনিং প্লেসমেন্ট অফিসার জ্যাঙ্গোকে চেনো, সুব্রত মন্ডলের জ্যাঙ্গো নাম এই কারণেই হয়, জলপাইগুড়ির হস্টেলে ও গরমকালে জাঙ্গিয়া পরেই থাকত। এটা কি বিকৃত মানসিকতা বলা যায়? উৎকট আখ্যা দেওয়া যায়?

    তো ডেফিনিশনের ডেফিনিশনগুলোও ঝালিয়ে নেওয়া উচিৎ, নয় কী?
  • R | 59.93.245.84 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:৪৫385879
  • তাই ভালো। কিন্তু তাতে করে অন্যমতের লোকেদের টম ব্রাউন'স্‌ স্কুল ডেজ্‌ বা বাবুইবাসা বোর্ডিং পড়ার ন্যূনতম ইচ্ছেটুকু আটকানোর কথা নয়। অনেক ছোটোবেলায় পড়েছিলাম, ঠিক ঠিক মনেও নেই, তবে র‌্যাগিং ব্যাপারটার সম্বন্ধে বা এর উৎপত্তি সম্বন্ধে হয়তো ওই টম ব্রাউনের হোস্টেল জীবনের কিছু ঘটনায় একটা ইঙ্গিত দেওয়া ছিল।

    নিমো, ইয়ে বোজো কই? ভেজা রুমালে নাকচোখ মুছতে মুছতে যদি একবার ভেজা মনে আসতো, আর ওর ভেজার স্মৃতির কুঠুরী থেকে ও বই সম্বন্ধে কিছু বলতো.....
  • R | 59.93.245.84 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:৪৯385890
  • বটেই তো। বটেই তো। নতুন করে Define করার জন্য না হলেও, যেভাবে হোক Defy করার জন্য তার নিতান্ত দরকার :-I
  • S | 61.95.167.91 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১২:৫৪385646
  • হ্‌ম্‌ম্‌ম। উপস্থিত দুটোর কোনও বইই হাতের কাছে নেই, আশু পাবার সম্ভাবনাও নেই, এবং কোনওটাই আমার পড়া নেই। জিস্ট চাই।
  • Prantik | 132.186.106.33, 203.101.110.2 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৩:৪৮385657
  • যা:! হেজে গেল, মজে গেল :-(
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:০২385668
  • শমীকের সাথে একমত হতে পারলাম না র‌্যাগিং কাকে বলে সেটা নিয়ে। উইকিপিডিয়া বলছে - Ragging is a term used for active, systematical human rights abuse, similar to hazing and fagging, the severest forms of which are found in engineering, medical and military colleges. It is committed by "senior" students (those in second year or higher) upon "freshers", in and outside on-campus residence, called hostels. Ragging has been declared a criminal offence in most states of India.

    দুরকম হয় - শারীরিক ও মানসিক। দুটোই একই ভাবে ঘৃণ্য।

    সদ্য স্কুল থেকে আসা, বাড়িঘর ছেড়ে আসা ছেলেমেয়েদের "স্মার্ট' করার জন্যে? আমি কে ভাই? কে আমাকে অধিকার দিয়েছে এদের স্মার্ট বানানোর?

    ওভাবেই interaction হয় শুধু? র‌্যাগিং-কে অত্যন্ত দূরে সরিয়েও প্রচুর জুনিয়রের সাথে একটুও খারাপ interaction হয়নি কখনো। বরং বিশ্রী র‌্যাগিং যারা করেছিলো - সিনিয়র এবং নিজের ব্যাচের - তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়নি। এবং কিছু ক্ষেত্রে হিসেব মেলানোর ইচ্ছেটা রয়ে গেছে - এখনও।

    পরে আবার।
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:০৫385679
  • র‌্যাগিং আর এদেশের bullying - দুটো একদম এক জিনিস - একটু দাদাগিরি/দিদিগিরি দেখানো, কর্তৃত্বের ইচ্ছে। এবং বছরের পর বছর চলে আসছে একটা প্রতিশোধের জায়গা থেকে - আমাকে র‌্যাগ করেছিলো, সুতরাং ওই বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর ওপর আমিও একটু হাতের সুখ করে নিই।
  • ® | 172.18.18.170, 203.197.96.50 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:১৪385690
  • যদিও এই নিয়ে থ্রেডের দরকার ছিলো বলে করিনা তবু বলি আমার স্ট্যান্ড -
    র‌্যাগিং সমর্থন করি না। এবং এটাও তেতো সত্যি যে মুখে বলে কিছু হয় না ,র‌্যাগিং আটকাতে হলে অত্যুৎসাহী ছেলেদের একটু রগড়ানি ও দিতে হয়

  • S | 61.95.167.91 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:২৭385701
  • শুরুতেই বলেছি, আমার কাছে র‌্যাগিংয়ের ধারণাটা অন্য। শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার আমিও দেখেছি করা হয়, আমি তা সমর্থন করি না, এবং তাকে র‌্যাগিং বলে মনেও করি না।

    আমাকে যখন ধরা হয়, আমার বায়ো ডাটা জানার পরে বলেছিলাম 'গান করি'। তার পরের দু দিন আমাকে কলেজ মোড়ে এবং ফোর্থ ইয়ারের হস্টেলে নিয়ে গিয়ে গান গাওয়ানো হয়। পরিণতিতে আমার গলা বসে গেছিল। একটা হাতও তোলে নি কেউ আমার গায়ে। কোনও নোংরা খেলাও খেলা হয় নি আমাকে নিয়ে। সার্কিট, ক্যালেন্ডার, ইত্যাদি বিবিধ পরীক্ষাও আমাকে দিতে হয় নি। আমি পরের বছর একটা ছেলে পেয়েছিলাম, ছেলেটা ব্যাপক ভাল এক্সটেম্পো দিতে পারত। যে কোনও টপিকের ওপর। ওকে নিয়ে আমরা কয়েকজন টানা তিনদিন পড়ে ছিলাম। ওর খাওয়া দাওয়া শোওয়া আমরাই দেখতাম, কেউ যাতে ওর গায়ে হাত না তোলে সে-ও আমরাই দেখতাম।

    ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল আমার ক্ষেত্রে, গান গেয়ে যাচ্ছি, সিনিয়ররা মেস থেকে আমার জন্য থালায় করে খাবার নিয়ে আসছে। এগুলো এক রকমের স্মৃতি। আর কোনওদিন ফিরে আসবে না।

    সিনিয়র হয়ে আমরা র‌্যাগিং পিরিয়ডে ঘুরে বেড়াতাম কোন ফ্রেশারের কী কী এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি আছে তা জানার জন্য। সে রকম কাউকে পেলেই তাকে নিয়ে র‌্যাগিং পিরিয়ডটা কাটাতাম। এ রকমই ছিল আমাদের র‌্যাগিং। আমাদের ইয়ারেও অনেকেই পেটাতো জুনিয়রদের। তাদের আটকানোর চেষ্টা করি নি কখনও, তবে সমর্থনও করি নি। মারপিট আমার আসে না, দুবলা পাবলিক, ও সব থেকে দূরেই থাকতাম।
  • S | 61.95.167.91 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৩৬385712
  • আর কে আমাকে অধিকার দিয়েছে এদের স্মার্ট বানানোর? ছোট করে বলতে গেল স্ট্রাগ্‌ল ফর এক্সিস্টেন্স। আমি কী টাইপের ছেলে হয়ে হস্টেলে ঢুকেছিলাম, আর কী হয়ে বেরিয়েছি, আমার খুব ভাল করে মনে আছে। সে দিন যদি কারুর পাল্লায় পড়ে স্মার্ট না হতাম, আমাকে করে খেতে হত না পরের দিকে। নিজেদের পুরনো অভিজ্ঞতা থেকেই জুনিয়ররা যখন সিনিয়ররা হয়, তখন সেই 'স্মার্ট' করানোর দায়িত্বটা তারা নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়। এবং এই অধিকারবোধটা হস্টেল জীবনের পক্ষে ভীষণ ভীষণ জরুরি বলেই আমি মনে করি।

    আমরা যখন থার্ড ইয়ারে, কড়া রুল পাস হল র‌্যাগিং করা যাবে না, ধরা পড়লে রাস্টিকেট। নতুন ছানারা এল, কেউ তাদের সাথে কথাও বলল না, তাদের হস্টেলে পুলিশ পোস্টিং হল। যথানিয়মে ফ্রেশার্স ওয়েলকাম হল, যান্ত্রিক, কেউ কাউকে চেনে না, আলটিমেটলি আমরা যখন ফোর্থ ইয়ার পাস করে কলেজ থেকে বেরোচ্ছি, তখন তারা সেকেন্ড ইয়ার, তখনও তাদের অর্ধেককেই আমরা চিনি না, তারাও আমাদের চেনে না, কিছুদিনের র‌্যাগিংয়ের বাইরেও সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে যে ফেলো ফিলিংস ব্যাপারটা থাকে, যে ভালোবাসাটা গড়ে ওঠে, যার রেশ থেকে যায় সারা জীবন, সেটা তাদের সাথে আর গড়েই উঠল না।

    এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে কে অধিকার দিয়েছে তাদের সাথে আমাদের হৃদ্যতা গড়ে তোলবার? তারা তাদের মতই থাকুক না! আমাদের সাথে ফেলো ফিলিং না থাকলেই বা কী মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে!

    না, কোনও মহাভারতই অশুদ্ধ হয়ে যায় নি। এই আর কি, সম্পর্কটা যান্ত্রিক হয়ে যায়। এ তো আর শিবপুর যাদবপুরের হস্টেল নয় যে উইকএন্ড এলেই বাড়ি গিয়ে মায়ের আদর খেয়ে আসা যাবে। বাড়ি থেকে ছশো কিলোমিটার দূরে ছিল আমাদের হস্টেল। ঐ সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যেকার বন্ডিংটা যে ওখানে কী প্রয়োজনীয়, সে এক লাইনে বোঝানো সম্ভব নয়। আমরা র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমে সেই বন্ডিং পেয়েছিলাম আমাদের থার্ড ইয়ারের সঙ্গে, তাদের অনেকের সাথে এখনও যোগাযোগ আছে। সেই সব দিন, আমি জাস্ট ভুলতে পারব না।
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৫০385723
  • হৃদ্যতা গড়ে তোলা আর র‌্যাগিংএর মধ্যে অনেক তফাত রে ভাই। যে উদাহরণ তুমি দিচ্ছ সেটা র‌্যাগিং নয়, কাজেই ওই উদাহরণ দিয়ে র‌্যাগিং সমর্থন করাও যায় না।
  • appan | 193.134.170.35 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৫৫385734
  • আমার দেখা যাদবপুরের ক্যাম্পাসের কিছু র‌্যাগিং নিচে লিখলাম। এগুলোকে সমর্থন করা যায় কি যায় না সেটা জানতে চাইছি না। জানিনা ডেফিনিশন অনুযায়ী এগুলোকে র‌্যাগিং বলা যায় কিনা। জাস্ট স্মৃতিচারণ বলতে পারো। তবে সবার আগে দুটি কথা বলে নেই। এক) আমি হস্টেলে থাকতাম না, সেই জন্য শারীরিক র‌্যাগিং হয়নি, ২) বেশ কিছু প্রসঙ্গের অবতারণা করা হত যেগুলো এই পাতায় বলা সমীচীন হবে না। মানে জাস্ট সেন্সর বোর্ডে আটকে দেবে।


    ১। দুটো ছেলেকে মুখোমুখি হাঁটু গেড়ে বসিয়ে দেওয়া হল ধরো এক মিটার দূরত্বে। দুদিকে দুটো দাগ টেনে দেওয়া হল। মাঝখানে রাখা হল একটি চকের টুকরো। ছেলে দুটোকে বলা হল ফুঁ দিয়ে চকের টুকরোটাকে অন্যদিকে সীমানার বাইরে পাঠাতে। এটা দশ মিনিটের খেলা। যে হারবে তার জন্য পরের রাইন্ড অপেক্ষা করছে। যে জিতবে তাকে সেদিনের জন্য মাপ।

    ২। সাইন কার্ভে হাসতে বলা হত। ভুল হয়ে গেলে পকেট থেকে রুমাল বার করে হাসি মুছতে হবে। আর সাইন কার্ভের পিরিয়ড ডিফাইন করে দেবে।

    ৩। কিছু কূট প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করা হত। যেমন একটি ছেলেকে প্রশ্ন করা হল তার বোন আছে কিনা। ছেলেটির বাড়িতে বোন বা দিদি থাকলেও স্বভাবতই নেগেটিভ উত্তর দিত। তখন ব্যাটাচ্ছেলেকে স্মরণ করে দেওয়া হত বোন না থাকলে এই যে তুমি দাঁড়িয়ে আছো সেটি সম্ভব হয়না।

    ৪। এটা তিন নম্বরের একটা ভ্যারিয়েশন, মেয়েদের প্রতি মেয়েদের র‌্যাগিং। সিনিয়র ছাত্রী জুনিয়রকে প্রশ্ন করল বুকের ও দুটো কি? এর একটা এবং একমাত্র গ্রহণযোগ্য উত্তর হয় ভাওয়েল, কিন্তু হায় ঘামতে থাকা ফ্রেশারের মনে সেসব কূটকাচালি একটুও মনে আসত না।

    তবে কোন কোন সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। সেগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অন্যরা অনেকসময়ই থামিয়ে দিত। আর হ্যাঁ, ওপরের কেসগুলোতে কেউ ঘ্যাঁতামি করলে তাকে নিয়ে স্পেশাল সেশন আয়োজন করা হত। তাতে অনেক সময়ই দৈহিক শাস্তি অঙ্গহানি ইত্যাদির হুমকি দেওয়া হত যতক্ষণ না পাব্লিকটি "সহযোগিতা' শুরু করে।
  • Santanu | 172.22.0.11, 127.0.0.12, 62.68.68.230 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৫৮385757
  • এই institute গুলো তে fresher এলে, তাদের কি কোনো না কোনো পলিটিকাল পার্টি তে নাম লেখাতে বা দাদাদের লেকচার শোনাতে অনুরোধ বা বাধ্য করা হয়?

    যদি হয়, তাহলে সেটাকে কি Ragging বলা যায়?
  • S | 10.13.74.166, 202.56.239.78 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৫৮385745
  • বিবর্তনের ধারায় আজ র‌্যাগিং ঐ সব ভয়ংকর জিনিসে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আদতে র‌্যাগিং এ সব ছিল না। গায়ে হাত তোলাটোলা র‌্যাগিংয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পরে। শুরুতে এটা জাস্ট একটা ইন্টার‌্যাকশনের ব্যাপারই ছিল। বললাম তো, উইকি বা সংসদের সংজ্ঞা আজকের র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞা। সেক্ষেত্রে এই সুতোটাই অর্থহীন। প্রাচীনকালের র‌্যাগিং নিয়ে আলোচনা করাও উচিত হবে না।

    ইহা র‌্যাগিং অথবা র‌্যাগিং নয়, এর থেকে দূরে সরে গিয়েও বলতে পারি, সিনিয়র জুনিয়রদের ইন্টার‌্যাকশন জরুরি, তার একটা ফেজ থাকা উচিত, ভায়োলেন্সবর্জিত সেই রকম একটা ফেজ থাকুক, এটাই আমি সমর্থন করি।
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৫৯385768
  • এও তো একটা সদ্য ইস্কুল পাশ করা ছেলে/মেয়েকে নিয়ে খোরাক - নিজেদের এন্টারটেইনমেন্টের জন্যে। এতে সেই ছেলেটার বা মেয়েটার তো কোন লাভ হচ্ছে না। এও bullying। বিই কলেজে হোস্টেলে "পাতি পরীক্ষা' হত অনেকটা একই যুক্তিতে।

    পিওরিটান বলো, বা কনজার্ভেটিভ - আমি এগুলোর বিপক্ষে। কয়েকটা গান গাইলো - অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ যদি বলে সে গান জানে না, তখন তাকে জোর করে গাওয়ানোটাও আবার মানসিক অত্যাচার।
  • appan | 193.134.170.35 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:০১385779
  • কিভাবে বাধ্য করা হয়? আমাদের সাথে এ জিনিস হয়নি, কাজেই পয়েন্টার লাগবে।
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:০২385790
  • বিবর্তন মানে কতদিনের বিবর্তন? বিই কলেজে বহু পুরনো কেসও জানি একই রকম বিশ্রী, আমরা তো ভুগেইছি, আমাদের পরেও হয়েছে।
  • S | 10.13.74.166, 202.56.239.78 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:০৯385812
  • আমার এক বন্ধুকে ব্রাউন শুগার খাওয়ানো হয়েছিল। প্রচুর ধানাইপানাই করে ধমক ধামক আর দু চারটে চাঁটি খেয়ে যখন সে খেতে বাধ্য হল, তার পরে তাকে জানানো হল সেটা ছিল চিনি মেশানো কমপ্ল্যান পাউডার। আদতে ব্রাউন শুগার মোটেই ব্রাউন হয় না।

    র‌্যাগিং পিরিয়ডের কোশ্চেন: তোর এইচ এসের নম্বরকে a টু দি পাওয়ার b প্লাস b টু দি পাওয়ার a ফর্মে লিখে দেখা।

    একটা দেশলাই কাঠি দিয়ে ঘরের ক্ষেত্রফল মাপ।
  • appan | 193.134.170.35 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:০৯385801
  • লাভ হয়না বলা যায় না একেবারে, কর্মক্ষেত্রে এরকম bullying হয়তো হয় না কিন্তু bullying হয় আরো সূক্ষ্মভাবে, বিশেষ করে ভারতের নানা প্রদেশ থেকে নানা সংস্কৃতির মানুষ এক জায়গায় হলে, সেখানে এইসব ইন্টার‌্যাকশনের শিক্ষা বেশ ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়।

    নইলে নরম মাটি পেলে আরো বেশি করে সেখানে আঁচড় পড়ে। ঐসব সেশনে মাটি একটু দানা বাঁধে।

    এগুলো আমার মতে ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে অনেক কিছু জাস্ট সমর্থন করা যায়না।
  • appan | 193.134.170.35 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:১৪385821
  • হস্টেলে হত বাতি নিভিয়ে সুপারম্যান সাজতে বলা। এক মিনিটে। তিরিশ সেকেন্ডের মাথায় আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হত অবধারিতভাবে।

    আর্টস ক্যান্টিনে সিনিয়ার মেয়েকে দেখিয়ে বলা হত একটি প্রেমপত্র লিখে এখুনি দিয়ে আসার জন্য। মেয়েটি বলা বাহুল্য বিন্দুবিসর্গ সবই জানত।
  • J | 160.62.4.10 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:১৪385820
  • আমি র‌্যগিং করেছি।
    আমাকে কেউ র‌্যাগিং করেনি কারণ, করার সুযোগ পায় নি। র‌্যাগিং করতে ভালোই লাগত, অনেক সময় মনে হয় র‌্যাগিং এর দরকার আছে। কিন্তু র‌্যাগিং মানে দৈহিক অত্যাচার নয়। মারধোর নয়। নোংরামি নয়। না: সেসব করিনি, শুনেছি সেসব র‌্যাগিং আইআইটি বা আরইসি এসব জায়গায় খুব হয়ে থাকে।
    আমরা যেটা করতাম, মদ খেতে বাধ্য করা। ঠাট্টা ইয়ার্কি করা, টিটকিরি, জোর করে বিড়ি ফুঁকিয়ে দেওয়া, এইসব।
    একটা ছেলেকে র‌্যাগিং করা হয় নি, মানে করা হলেও, খুব আলতো করে করা হয়েছিলো, কারণ সে কথায় কথায় রেগে মেগে কেঁদে দিতো, আল্টিমেটলি, সে টিঁকতেই পারলো না, কষ্ট সহ্য করার কোনো ক্ষমতাই তার তিরী হয় নি; একবার হস্টেলে ফিরবার সময়ে টিকিটের খুব সমস্যা, খুব রাশ চলছে, অনেকেই ওয়েটিং লিস্টে, তখন সে বেচারী, টিকিট ছিঁড়ে ফেলে বলল, আমি আর যাবো না, শান্তিনিকেতনে ফিরে গিয়ে ফিজিক্স অনার্স পড়ব আর পোলিটিক্স করব। তাতে আমরা বললাম, আরে ধ্যার, টিকিট ছিঁড়লি কেন? আমরা আবার চাঁদা করে তোকে আরেকটা টিকিট কিনে দোবো, এত অধৈর্য হচ্ছিস কেন? বোস, মাথা ঠান্ডা কর, মাল খাবি?
    তাতে সে আরোই রেগে গেল, এবং সেই যে চলে গেল, আর এলো না।
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:১৫385822
  • ওই book-এর o দুটো কি - এটা আমাকেও জিগ্গেস করেছিলো, আমি মোটেও স্মার্ট ছিলাম না, কান লাল হয়ে গেছিলো। iit + t - এটা জানতাম বলে পেরে গেছিলাম। পাশাপাশি আরও অনেক কিছু হয়েছিলো -

    (১) গান গাইতে পারি শুনে কাঁচা খিস্তি দিয়ে লেখা কবিতা গান হিসেবে গাওয়া। করিনি। তাই মার পড়েছিলো।
    (২) চারতলার কার্নিশে দাঁড়িয়ে ওঠবোস এবং আধঘন্টা চেয়ার হয়ে থাকা। পা একটু স্লিপ করলে নীচে।
    (৩) চড়-থাপ্পড় তো ছিলোই।

    এবং এগুলো সব রংটা জানাজানি হওয়ার পরেই।
  • S | 10.13.74.166, 202.56.239.78 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:১৯385823
  • ইনফোসিসে ওরেটর্স ক্লাব তৈরি করে অনেক মুখচোরা ছেলেমেয়েকে, যারা জন্মে কোনওদিন স্টেজে উঠে কিছু বলে নি, তাদের কথা বলতে শেখানো হয়। যার গান আসে না, জাস্ট ফর ফান তাকে দিয়ে গান গাওয়ালে প্রবলেমটা কোথায়? এটা অত্যাচার নয়। প্রতিকূল পরিস্থিতির অবতারণা করে সেটাকে ফেস করতে শেখা / শেখানো।

    লাভ অনেক হয়। তার একটা ঐ অর্পণ যা বলল, নরম কাদার তালকে গড়ে পিটে শক্তপোক্ত মাটি বানিয়ে তোলা।
  • Arijit | 82.39.156.102 | ২০ এপ্রিল ২০০৭ ১৫:২০385825
  • ডাইনিং টেবিলে একটার পর একটা কাঁচা লংকা খেতে বাধ্য করা - পরে বহুদিন অবধি লংকা মানে বিভীষিকা হয়ে ছিলো।

    আমাদের ব্যাচেই বা তার পর - একটা ছেলে অন্ধ হয়ে যায় তাকে বহুক্ষণ একশো ওয়াটের বাল্বের দিকে জোর করে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিলো।

    তখন লিখলাম না - আমার এখনো হিসেব মেটানোর ইচ্ছে রয়ে গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন