এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • র‌্যাগিং: সমর্থনযোগ্য?

    Samik
    অন্যান্য | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১৯২৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Suvajit | 60.229.111.202 | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ ২১:০১385770
  • ঈশেন হচ্ছে আবেগপ্রবন, ইমোশনালিস্ট। আবেগের বশে তত্বকে এক্সপেরিমেন্ট, আর একে্‌স্‌পরিমেন্টকে হিপোথেসিস বানিয়ে দিতে পারে।
    (গুরু থেকে আমার নাম না কাতা জায় এবার)
  • tan | 131.95.121.129 | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ ২১:০৬385771
  • সে ভয় নাই,এখানে নাম কাটা যায় না।:-)))
    এই ২১ দিন র‌্যাগিং শুনে সেই পুরানোকালের মায়েদের আতুড়ঘরে একুশদিনের অশৌচের কথা মনে পড়েছে, কী অন্যায় কথা কন দেখি!
    এবারে আমারো নাম কাটা যাবে।:-)))

  • Suvajit | 60.229.111.202 | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ ২১:১০385772
  • হা: হা: ম্যাডাম। ব্যাপক বলেছেন। কোট ওব দ্য ইয়ার।
  • Z | 61.0.138.207 | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ ২৩:৫১385773
  • অধিকারভঙ্গই হোক কিংবা পাওয়ার (শরদ কিংবা CESC নয়) দখলের খেলাই হোক, আসল কথা হল Survival of the Fittest. গাছের পাতারা শয়তানি না করলে জিরাফের গলা কি লম্বা হত??
  • tan | 131.95.121.129 | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ ২৩:৫৪385774
  • পুরানো মায়েরা একুশদিনের অশৌচ না করলে আমরা আজ কোথা?
    :-))))
    কী সব যুক্তি রে বাপা! টিক্কি গাছে বাঁধা।:-))))
  • tan | 131.95.121.129 | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ ২৩:৫৬385775
  • আরশোলারা সবচেয়ে ফিট মনে হয়।সেই কত ডাইনো এলো গেলো,আরশোলা আছে।
    তাই এইবারে সব্বাইকে আরশোলা করিয়া দেওয়া হউক।:-))))

  • Du | 67.111.229.98 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০১:৫৪385776
  • টম ব্রাউন্‌জ -- ভুলেই গেছি , আবার পেলে পড়তাম । এখন আবছা স্মৃতিতে আছে শুধু ঐ অনুবাদ বইতেই প্রথম জানা তিনটে জিনিষ - র‌্যাগিং, রাগবি আর অর্ধনমিত পতাকা।
  • tan | 131.95.121.129 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০২:১৭385777
  • গুগুলকাকু খুঁজে দেখি এ যে সিপাহীবিদ্রোহের আমলের বই! টম ব্রাউনের রাগবি ইস্কুল!
    বাবুইবাসাও কি সিপাহীবিদ্রোহের আমলের?
  • c | 195.93.21.104 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০২:৪৪385778
  • আমার এক টা প্রশ্ন আছে, এই জে র‌্যাগ বা এই সো কল্ড ইন্টারাক্‌শন কর লে লোক জন স্মার্ট হয় বা একে ওপরের সাথে ভাব ভালোবাসা গড়ে ওঠে এটা কি স্ট্রীম নির্ভর ? না মানে পশ্চিম বঙ্গের মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে তো র‌্যাগ কারার কথা শোনা জায় না, তহলে কি ডাত্তার রা স্মার্ট বা সেলেবেল নয়? এদের মধ্যে সিনিওর জুনিওর ভাব ভাব ভালোবাসা নেই? আমি তো উল্টো টা দেখি এখানে । PLAB পাস করার পর মাসের পর মাস যখন চাক্রি না পেয়ে East ham এর ঐ ডিপ্রেসিভ পরিবেশে পড়ে থাকেতখন কিন্তু ঐ সিনিওর দাদারাই (যদি কারো চেনা সিনিওর এখানে এসে থাকে) তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের বাড়ীতে রাখে , যতদিন না তার সেই জুনিওর ছেলে টি চাক রি পাচ্ছে, টাকা ধার দেয়, আর এটাও জানি যে কেউ যদি চাক রি না পেয়ে ফিরেও যায় তো সেই দাদা ই বলে টাকাটা দিয়েছি ভুলে যা, শেষ টা ব্যাতিক্রম হলেও প্রথম দুটো কিন্তু হয়েই থাকে , আর এরা কিন্তু কেউ র‌্যাগ করা বা র‌্যাগ্‌ড হওয়া নয়। স্রেফ এক সাথে থাক তে থাক তে স্নেহ নিম্নগামী বা শ্রদ্ধা উর্দ্ধগামী (যদি উল্টোটা এটাই ধরি) এক টা ব্যাপার হয়ে গ্যাছে , আর এয় ব্যাপারে আমি খানিক টা আমি ট্যান এর সাথে এক মত যে এই বুনিয়াদ টা বাড়ীতেই তৈরী হয়। আর ঐ স্মার্ট হওয়া ব্যাপার টা ওনেকের মতো আমিও বল্বো exposure এর ব্যাপার , তার পিছনে হস্টেল লাইফ এর অবদান থাকে। আট ঘন্টার বদলে চব্বিশ ঘন্টার exposure
  • appan | 80.41.61.19 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০২:৪৯385780
  • অমা কে কয় ডগ্‌তারেরা খেলে না? তাদের হৃদয় কি পাষাণ নাকি?
  • Arijit | 82.39.106.133 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০২:৪৯385781
  • মেডিকেল কলেজে হয় না এমনটা মনে হয় নয়। আমরা যখন ফার্স্ট ইয়ারে (মুরগী আরকি), তখন স্টুডেন্টস ইউনিয়ন থেকে একটা অ্যান্টি-র‌্যাগিং কনভেনশন গোছের কিছু একটা করেছিলো - সেখানে মেডিকেল কলেজ থেকে একটা ছেলে এসেছিলো। সে গপ্পো করেছিলো - একজনকে বলা হয়েছে মর্গের মধ্যে ঢুকে সবকটা মড়ার মুখে একটা করে রসগোল্লা রেখে আসতে হবে। এবার সে ছেলে তো গেছে, এক এক করে সবকটা মড়ার মুখে রসগোল্লা রাখছে, তারপর যখন একটা মড়া বাকি তখন রসগোল্লা শেষ। তো সে ফিরে চলে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ ঠাণ্ডা ঘরের মধ্যে পিঠে একটা ঠাণ্ডা হাত - "আঁমাঁকেঁ দিঁলিঁ নেঁ?'

    তখন গপ্পোটা শুনে হাসিও পেয়েছিলো।
  • Ishan | 130.36.62.141 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০২:৫৮385782
  • এই গল্পটা ঢপ।

    তবে এটা ঠিক, যে, মেডিক্যাল হস্টেলে কস্মিনকালেও র‌্যাগিং হতনা।
  • tan | 131.95.121.129 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৩:২৮385783
  • একটা ব্যাপার পরিষ্কের করে কও তো ঈশেন,তুমি নাকি ইমোশনালিস্ট?!:-)))
  • tan | 131.95.121.129 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৩:৩০385784
  • ভাব-ভালোবাসা গড়ে ওঠে? কী সব্বোনাশ! ঈশেন,বলে কি?
  • c | 195.93.21.104 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৩:৪১385785
  • পাষাণ বলে পাষান, নাহলে আর গলা কি করে কাটা যাবে। oops am I being the harsh cow?
    ভাব ভালো বাসা ট্যান, যাকে এক্টু পলিশ্‌ড ওয়ে তে বলে হৃদ্যতা। এবার বোঝা গেলো?
  • c | 195.93.21.104 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৩:৪৬385786
  • সরি পাষাণ।
  • tan | 131.95.121.129 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৩:৪৮385787
  • আপনে খুব ভালো c। সত্যিই।
    এখানে একজন ডাক্তার লেখেন,বড়াই(I) নামে,অসাধারণ লেখার হাত,উনি এসে লিখলে আরো জমে যাবে।
  • Ishan | 130.36.62.141 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৪:০৮385788
  • শুভজিতের তিন নম্বর পয়েন্টটা নিয়ে কটি কথা:
    মানুষ পনেরো দিনে পাল্টায়না কে বলল? অন্য উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই, কলেজের কথাই বলি। একটা গ্রাম বা শহর থেকে আসা আঠারো বছরের ছেলে, ইন জেনেরাল, যা হয়ে থাকে, তা হল, একটু আধটু বিড়ি সিগারেট খায়, একটাদুটো গালাগাল দিতে শিখেছে, কিন্তু মোটের উপর পড়াশোনাতে ভালো। মোটামুটি বিই কলেজের ছেলেদের অ্যাভারেজ প্রোফাইল এইটাই।

    এবার, প্রশ্ন হল, কিকরে এরকম হয়, যে, সেই একই ছেলে, পনেরো দিন পরে, অবলীলায় প্রতি দশটা বাক্যের মধ্যে একটা শুরু করছে "তোর মাকে...' দিয়ে? খিস্তি দোয়া খারাপ বলছিনা, কিন্তু বিই কলেজের নর্মাল গালাগালের যা লেভেল, সেগুলো নন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ছেলেপুলে, এমনকি পাড়ার এমনি ছেলেপুলেরাও ভাবতে পারবেনা।

    প্রশ্ন হল, এইটা কিকরে হয়, ট্রেনিং ছাড়া?

    আরও দু-চাট্টে উদাহরণ দিতে পারতাম, যেগুলো অ বিইকলেজীয় জনতার সামনে দিতে চাইনা (যেমন মডেলের মেয়েরা নয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কি হয়), ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা থেকে যায়। ভালো খারাপের মধ্যেও যাচ্ছিনা। কিন্তু কথাটা হল, এই জিনিস গুলো পনেরো দিনের মধ্যে ছেলেপুলে আয়ত্ব করে কিকরে? যেখানে যাদবপুর, প্রসিডেন্সি বা মেডিকাল কলেজে পড়া তারই সহপাঠী, এগুলো শেখেনি?
  • tan | 131.95.121.129 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৪:২৩385789
  • এই যে অনেকে লিখেছেন হিসাব মেটানোর ইচ্ছা রয়ে গেছে র‌্যাগারদের উপরে,এই ক্ষত আর এই রাগ নিয়ে সারাজীবন চলতে হবে হয়তো তাদের,র‌্যাগিং না হলে হয়তো হোতো না।

  • appan | 80.41.61.19 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৪:২৪385791
  • এগুলো বিই কলেজের প্রোপাগান্ডা। যাদবপুরে এসব হইত না কোন হালার পুতে কয়?
  • tan | 131.95.121.129 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৪:৩৩385792
  • এই র‌্যাগিং-সমর্থক য কে আমি মেলাতে পারিনা সেই তার সঙ্গে যে আইটি কোম্পানীতে অত্যাচারিত হয়,এক ব্যাদরাঅ লোকের ""দ্যাখ দ্যাখ কেমন দাঁত কেলাচ্ছে ইচ্ছে করে ঘুশী মেরে মুখ থ্যাঁতা করে দিই"",এই শুনে প্রতিকার চাইতে গিয়ে কিছু প্রতিকার পাওয়া হয় না,একটি মেয়ের উপরে অত্যাচার হচ্ছে দেখে তাকে বাঁচায় যে য,একটি ভালো ছেলের উপরে অত্যাচার-অপমান করে এক নেতার ছেলে দাঁত কেলিয়ে চলে যাওয়ায় দু:খিত হয় যে য,সে অনায়াসে বলে যাচ্ছে মদ খেয়ে হল্লা করে এক বোকাসোকা পাব্লিককে তারা আলমারিবন্ধ করে পুলিশ আসছে শুনে পালিয়েছে, পরে কেন সেই ভিক্টিম খচে গেলো?
    বমি পায় এসব দেখে,ঈশেন,আমি বরং আসি গো।

  • c | 195.93.21.104 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৪:৩৬385793
  • ট্যান কি মুশ কিল আপ্নিকি আমাকে ডাত্তার ঠাউরেছেন নাকি? পাগোল।
    হস্পিটালের ambience টাই আমার সহ্য হয় না। আমি শুধু এক জন কে নিয়ে ঘর করি। ছোটোবেলা থেকে পরিবারের বা বন্ধুবান্ধব দের বা বরের কাছ থেকে যতোটুকু শোনা বা জানা। তাই খিস্তি মারার পক্ষে খুব সুবিধেজনক অবস্থায় আমি। আরো ভালো আপ্না দের ডাত্তার বাবু বল তে পার বেন।
  • newbie | 71.166.113.79 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৬:১০385794
  • একটু অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু না বলে পারছি না,
    একি ঈশান,১৫ দিনের মধ্যে "তোর মা-কে...' ইত্যাদি গালাগালি JU-এর পাবলিকে শেখে না বা ব্যবহার করে না বলতে চান?????!!!!!!!!!আর গালাগালির সঙ্গে রেসিডেন্সিয়াল নন-রেসিডেন্সিয়াল -এর সম্পর্ক আছে নাকি??র‌্যাগিং-এর সঙ্গে বরং রেসিডেন্সিয়াল নন-রেসিডেন্সিয়াল -এর সম্পর্ক আছে।
  • Ishan | 71.239.32.103 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ০৮:২৯385795
  • অর্পণ বা নিউ বি ঠিকই লিখেছেন। আমি আসলে যেটা বোঝাতে চেয়েছি, তার পুরোটা লিখিনি। ঐ পোস্টটা শুধু শুভজিত আর অরিজিতের জন্য । :-)
  • LCM | 24.4.0.122 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৩১385796
  • র‌্যাগিং বেশ বোরিং ব্যাপার, কয়েকজন মিলে একজন নতুনকে হয়রান করানো। ধুর, ধুর!

  • Arijit | 128.240.233.197, 128.240.229.6 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ১৪:৫৩385797
  • নিজে ভুগলে বোরিং নয় - বেশ ইরিটেটিং এবং জঘন্য। করতে গেলে মনে হয় বোরিং-ই হবে। ভাবুন দিকি - সকাল আটটার সময় এক দঙ্গল ফার্স্ট ইয়ারকে লাইন করে এগারো নম্বর হোস্টেল থেকে কলেজের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কিছু "দাদা' - ছেলেগুলো হাত ওপরে তুলে মাথা নীচু করে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে, আশেপাশের হোস্টেল থেকে "এই মুরগী, এই মুরগী' করে দাদারা চেঁচাচ্ছে। এই বেচারি ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেগুলো এই জন্যে কি "স্মার্টনেস' শিখলো?
  • Suvajit | 60.229.110.51 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ১৮:৫৯385798
  • ঈশেন,
    ১৫ দিনে গালাগাল দিতে শেখাটা কতটা চারিত্রিক পরিবর্তন আমার সন্দেহ আছে। বরং এটা পরিবেশের প্রভাব বলা যেতে পারে। কেননা এই বয়সে স্বভাবত:ই বাড়ীর প্রথাগত বিধিনিষেধকে বুড়ো আংগুল দেখাবার একটা প্রবনতা থাকে, তার পর হঠাৎ পাওয়া স্বাধীনতা, আর চারিদিকে অসাধু শব্দের প্রয়োগ, সেটা আয়াত্ত করা নতুন ছেলেটার পক্ষে বিশেষ কঠিন হয় না। কিন্তু ঐ পরিবেশ থেকে বেরোলে, যথা বাড়ী এলে আমি দেখেছি যে ছেলেপিলের মুখ থেকে সহজে গালাগাল বেরোয় না (মুখ ফস্কে বেরিয়ে গিয়ে দু একজন বাবা মার কাছে ব্যাপক কেস খেয়েছে এমনও ঘটনা আছে অবশ্য)। অর্থাৎ গালাগাল দেওয়াটা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট হয়ে ওঠেনি।
    এমনও ছেলে বিরল নয়, যে ৪ বছর হোস্টেলে থেকেও কোনোদিন 'তোর মাকে ' জাতীয় কোনো গালাগাল কখনো দেয়নি।
    সুতরাং র‌্যাগিং এর জন্য লোকে গালাগাল শেখে বা দেয় মানা গেল না।

    ঠিক সেরকম ভাবেই সাহেবপাড়ার হলে মেয়েরা আসলে, উল্টোদিকের হোস্টেলগুলো থেকে সমবেত ভাবে যে নোংরা আওয়াজ ওঠে, এটাও র‌্যাগিং এর অবদান না। যে মেয়েটিকে আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে, সে আমাদেরই সহপাঠিনী কাল ক্লাসে গিয়ে তার সংগেই ক্লাস করতে হবে, এ সব ভাবনা পরিবেশের প্রভাবে মেনে কোনো দাগ কাটে না। আমি দেখেছি অনেক আপাতলাজুক ছেলেও আড়াল আবডাল থেকে এইরকম আওয়াজ দিচ্ছে। প্রথমদিকে যখন কলেজ ইউনিয়নের সঙ্গে খুব জড়িয়ে ছিলাম, এসব ব্যপারে প্রভূত প্রতিবাদ করেছি, বোঝাতে চেষ্টা করেছি, বদলে প্রবল খিস্তি খেয়েছি। লোডশেডিং হলে হোস্টেল হোস্টেলে যখন খিস্তি প্রতিযোগিতা চলে, তখন প্রফেসর কোয়ার্টার থেকে এক শিক্ষকের ইউনিয়ন রুমে এসে কাতর অনুরোধ "বাবা এটা বন্ধ করাও, জানলা বন্ধ করেও শব্দ ঘরে ঢুকে যাচ্ছে'। ছুটে গেছি, হোস্টেলে গিয়ে কথা বলেছি, সন্মিলিত খিস্তির স্রোতে কোনো কথাই কারো কানে যায় নি।
    এদের অনেকেই তখন ফার্স্ট ইয়ার, র‌্যাগিং পিরিয়ড দু মাস হোলো শেষ হয়ে গেছে। খিস্তি মারা এদের অধিকার, আমি কেন এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করছি?
    বাড়ীর শিক্ষার ভিত নিয়ে কথা হচ্চিলো না? এদের অনেকের মা বাবা দুজনেই শিক্ষক, অথবা সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবি। আবার দেখেছি, প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে, সেই গ্রামে বিদ্যুত যায় নি এখনো, বাবা কৃষক, নিজে টিউশানি করে কলেজ ফিস আর মেসের টাকা দেয়, সেও প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছে, বন্ধুদের বোঝাচ্ছে যে এটা করা অশালীন।

    তাই আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি মানুষের চরিত্রগঠন কোনো সাদামাটা থিয়োরি দিয়ে সরলিকরন করা যায় না।

    আর র‌্যাগিং নিয়ে আমার আরো একটা অবসার্ভেশন হলো, জানি কথাটা অনেকেই মানবেন না, তবু একটু ভেবে দেখতে বলি,
    নতুন ছেলেরাও চায় তাদের একটু আধটু র‌্যাগিং করা হোক। যদি দেখা যায়, অন্য সব ছেলেদের হাল্কা মিঠে র‌্যাগিং করা হচ্ছে, শুধু একজন দুজনকে কিছুই করা হচ্ছে না, তারা মনে করবে তারা বুঝি বা এই পরিবেশে ব্রাত্য। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর তাগিদে সে চাইবে তাকেও র‌্যাগিং করা হোক। মন এক বিষম বস্তু।
  • Sh | 141.218.214.213 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ১৯:২০385799
  • তার থেকে র‌্যাগিং জিনিসটা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া ভালো নয়কি?
  • Ishan | 130.36.62.141 | ২৪ এপ্রিল ২০০৭ ২১:২১385800
  • হুঁ। জটিল কেস।

    একটা কেস স্টাডি করা যেতে পারে। এখন তো র‌্যাগিং হয়না। ছেলেপুলেরা ঠিক কি ভাষায় কথা বলে কলেজে? মেয়েদের ঠিক কেমন আওয়াজ দেওয়া হয়? এইগুলো জানতে পারলে কিছুটা পরিষ্কার হওয়া যেত।

    তবে পুরো জীবনটাই তো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেবার ট্রেনিং। অবদমিত হওয়া আর অবদমন করতে শেখার ট্রেনিং। আমি বলতে চেয়েছিলাম, র‌্যাগিং তারই একটা অংশ। সেটাকে বাদ দিলেও ট্রেনিং চলবেই। এবং ফললাভ হবেই। ফলে কোনটা সরাসরি র‌্যাগিং এর প্রভাব আর কোনটা নয়, বলা কঠিন। আমি যে কেসস্টাডির কথা লিখলাম, সেটা দিয়েও বোঝা যাবেনা।

    এবং আমার বিরোধিতার জায়গাটাও পরিষ্কার। কোনো এক জায়গায় এই ট্রেনিং টাকে রোখা শুরু করতেই হবে। সবাই যদি বলে, আমরা না করলেও অমুক তো করবেই, তাহলে কোনো জিনিসই কোনো দিন বন্ধ হবেনা। সার্কুলার দোষ দেওয়ার খেলা চলতেই থাকবে।

  • Bappa | 59.93.196.217 | ২৫ এপ্রিল ২০০৭ ০১:০৩385802
  • ঈশান ঠিক কি বলতে চাইলো - ট্রেনিং না লেস্‌ন্‌ বা পাঠ??

    সেই পাঠ নিতে নিতে শিখতে শিখতে চলা তো জীবনের সর্বক্ষেত্রেরই অঙ্গ। জীবনভোর সেই পাঠ নিজেকেই নিতে হয়, প্রত্যক্ষভাবে র‌্যাগিং হোক চাই না হোক। অন্তত: যে অর্থে এই থ্রেডে র‌্যাগিং শব্দটি শুরুতে আনা আর তারপরে বিভিন্ন র‌্যাগিং-প্রবক্তারা একটু-আধটু, ইত্যাদি শব্দ-মোড়কে তাকে পেশ করতে চেয়েছেন।

    তাঁরা কি বলতে চান সেই র‌্যাগিংএর মাস্তানেরা খুদেদের, অধস্তনদের, নিম্নবর্গভুক্তদের, পিছনে থাকা "হরি"জনদের(যে অর্থেই ধরে নিই না কেন) জীবনের পাঠশালার মহান পাঠ্যক্রমে পাশ করানোর বা ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ানোর জন্য র‌্যাগিং করেন?

    নাকি সেইরকম র‌্যাগিংএ, মানে জাঙিয়া পরিয়ে নাচানো, বা ..... ইত্যাদি অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের জীবনের(শৈশবের, কৈশোরের, বয়:সন্ধিক্ষণের) অবদমিত কিছু রিপু বা বিকৃত(repeat বিকৃত) রসের তাড়নায় করে থাকেন? বিশ্লেষণ করলে তো ওই একটি দিকেই কারণগুলো যাচ্ছে বলে মনে হয়?

    এরকম "ট্রেনার্‌"দের ট্রেনিংই শুধু রোখা নয়, এই ট্রেনারদেরও উদোম ক্যালানো উচিত।

    আর তাতে করেই বাস্তবজীবনে আরও বেশী প্রকৃত শিক্ষা হবে।

    ইয়ে, কি বলে, "স্ম্যাট্‌" হয়ে উঠবে অচিরেই। তারপর আর আতাক্যালানেও থাকবে না, আর আতা আতা যুক্তিও খাড়া করবে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন