এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 237812.69.563412.15 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৪৭388167
  • আবার দেখুন, এই চলতে চলতে সিনেমাতেই কিশোরের গান কভি আলবিদা না কেহনা। আগের গানটা শৈলেন্দ্র অসাধারন গেয়েছেন, কোন কথা হবে না, কিন্তু কিশোরের গাওয়া আলবিদা না কেহনা? একেবারে অন্য লেভেলের, ওর ধারেকাছে কেউ গাইতে পারবেনা।
  • এলেবেলে | 236712.158.455612.210 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৫০388168
  • আমি দিলাম মুকেশ-আরতির ডুয়েট



    মুকেশ, মানে যাঁর গলা দিয়ে মেখে এই বয়সেও সাবাড় করে দিতে পারি এক থালা ভাত।
  • দ্য সিলভা | 237812.69.563412.123 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২০:২৭388169
  • Dc আপনার দেওয়া গানটি শোনা ছিল ইতিপূর্বে।

    কিন্তু, এলেবেলের দেওয়া মুকেশ ও আরতির গানটি এই প্রথম শুনলাম।

    দুটিই সুন্দর।
  • আলফা | 236712.158.786712.145 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৫১388170
  • সুরকার ও পি নায়াইয়ার কিন্তু কোনোদিন লতা কে দিয়ে কোনো গান গাওয়ান নি।

  • আলফা | 236712.158.566712.153 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১৮388171
  • কোনো কারনে লতার সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় শঙ্কর-জয়কিষান বেশ কয়েক বছর গায়িকা সারদা কে দিয়ে অনেক গান গাইয়ে ছিলেন।

  • dc | 236712.158.786712.59 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৩৪388172
  • আলফার দেওয়া ও পি নাইয়ারের ইন্টারভিউ এর সাথে একমত হলাম। সত্যিই, গীতা দত্ত আর আশা, এই দুজন একেবারে ইউনিক। আশার একেকটা গান শুনে মনে হয় ভাগ্যিস ইন্ডিয়াতে জন্মেছিলাম, তাই এই সব গান শুনতে পেলাম!
  • দ্য সিলভা | 237812.69.563412.223 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৫৭388173
  • ওপি নাইয়ারের তথ্যটি জানা ছিল। কিন্তু শঙ্কর জয়কিশন সংক্রান্ত তথ্যটি জানতাম না।
    'যব হি ইয়ে দিল উদাস হোতা হ্যায়'- এই গানটি রফির সঙ্গে কি সারদা গেয়েছেন? দ্বৈতকণ্ঠের গাওয়া। লিরিক্স খুব সম্ভব গুলজার।
  • S | 890112.162.564523.249 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৬388174
  • গান তো কিছুই বুঝিনা। তবে গীতা দত্তের গলা এবং কায়দা শ্রোতাকে একেবারে অন্য ডাইমেনশানে নিয়ে যায়। বিশেষ করে রোম্যান্টিক গানে গীতা দত্তের ফ্ল্যামবয়েন্স দারুন।

    উইথ অল ডিউ রেসপেক্ট, লতাজীর গলা সুমধুর হলেও ফ্ল্যাট। বিশেষ করে পরের দিকে দেশপ্রেম থেকে প্রেমের গান সবই ভক্তিমুলক স্টাইলে গেয়ে গেছেন। সেক্ষেত্রে অনেকে বলেন যে আশাজীর গলায় অনেক বেশি কাজ ছিল। হ্যাঁ কম বয়সী নায়িকার গলায় মানিয়ে গেছে। নায়িকা দুষ্টুমি করছে, এটা ৯০এর দশক অবধিও খুব আনকমন ছিল হিন্দি সিনেমায়। সেক্ষেত্রে আশাজীর গলায় সেই গানগুলো মানাতো এবং লোকজনকে খুব উদ্বেলিতও করত।

    এখনকার মধ্যে সুনিধী চৌহান প্রথম এই মিষ্টি গলার ট্রেন্ডটাকে ভাঙে এবং হাস্কি গলায় গান গাওয়া শুরু করে। সুনিধী দারুন ট্যালেন্টেড গায়িকা ছিল। শ্রেয়ার গলা খুব ভালো, কিন্তু আমার যথেষ্ট ফ্ল্যাট লেগেছে।

    আজকাল হিন্দি সিনেমার গানে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে - কথায়, সুরে, বাজনার ব্যবহারে, অ্যাকসেন্টে, গাওয়ার স্টাইলে। কারণ গানগুলোকে এখন ব্যবহার করা হয় গল্প, ব্যাকগ্রাউন্ড, ল্যান্ডস্কেপ, টাইমলাইন ধরার জন্য। আর এখন কোনও নায়্ক, নায়িকা, গায়্ক, গায়িকা, পরিচালক একসঙ্গে একগাদা সিনেমায় কাজ করতে পারেন না। সেসব দিন গেছে। লোকে কাজের কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ তোলে। আগে সেসব ভাবাও যেতনা।
  • এলেবেলে | 236712.158.455612.162 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১১388175
  • হ্যাঁ, ও পি নাইয়ার লতাকে নেননি ঠিকই কিন্তু আরডি-র আগে আশার কেরিয়ার ওঁর ওপরেই নির্ভরশীল ছিল। আশা একাধিক রোম্যান্টিক গান গেয়েছেন ওঁর সুরে। তবে আশার গলার যে ভ্যারিয়েশন এবং রেঞ্জ - তাকে চূড়ান্তভাবে ব্যবহার করেছেন পঞ্চম। আর একজনের কথা ওঠেনি এখনও অবধি, তিনি উষা উত্থুপ। একদম অন্যরকমের গলা, কিন্তু সেভাবে ব্যবহৃত হননি। অথচ হরে রাম হরে কৃষ্ণতে তাঁকে চমৎকার ব্যবহার করেছিলেন পঞ্চম।
  • এলেবেলে | 236712.158.455612.162 | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৫388177
  • যব হি ইয়ে দিল উদাস হোতা হ্যায় নিয়ে @দ্য সিলভা একদম ঠিক বলেছেন।

    এই যে
  • Amit | 236712.158.23.209 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩২388178
  • লতা আশার সম্মন্ধে যা শোনা যায়, জানি না সত্যি কি না, নতুন কোনো মহিলা শিল্পী কে নামী সুরকারেরা গান গাওয়াতে চাইলেই তারা অনেক অল্প পয়সাতে সেই গান করে দিতে রাজি হয়ে যেতেন। বোম্বে তে ওনাদের নেটওয়ার্ক সুবিদিত, সুতরাং নতুন গানের খবর ওনারা সব সময় পেয়ে যেতেন আগে ভাগে। এবার অল্প টাকায় ওনাদের লেভেল এর আর্টিস্ট নিজেরা গান করে দিতে চাইলে কে আর নতুন শিল্পী দের দিয়ে গান গাওয়াতে চায় ? ব্র্যান্ড ভ্যালু তো একটা মেজর ব্যাপার, প্লাস ওনাদের কানেকশনস। এবার এটাকে হেজেমনি বা মনোপলি যাই বলেন।

    তবে S এর সাথে একমত। আজকাল বলিউড এ ভেরিয়েশন ৭০-৮০ এর থেকে অনেক বেশি, অনেক বেশি পিরিয়ড আর লোকেশন স্পেসিফিক music । ৬০-৮০ তে বহু খাজা হিন্দি সিনেমা তে যেভাবে হোক গান গুঁজে দেওয়া হতো, গল্পের কোনো মাথা মুণ্ডু নেই, হটাৎ করে কোত্থেকে শাম্মি কাপুর এসে ধেই ধেই করে কাশ্মীরে গাছের ডাল জড়িয়ে নাচতে নাচতে গান করতে লাগলো। সেই আমলে অন্য কিছু এন্টারটেনমেন্ট ছিল না বলে লোকে হা করে ওই সব খাজা জিনিস ই দেখতো। আজকাল যে একেবারে সেই জিনিস হয়না, তা নয়, তবে অন এভারেজ অনেক কম। আজকের যুগে রাজেন্দ্র কুমার , শাম্মি কাপুর র মতো খাজা হিরো রা মামা, কাকা র সাইড রোল ও পেতো কিনা সন্দেহ।

    এর মানে এই নয় যে তখনকার music এর কোয়ালিটি কম, একেবারেই নয়। জাস্ট অসাধারণ। তখন একটা রোমান্টিক মুডের, সহজ সরল মেলোডি র যুগ ছিল। সেগুলো সব সময়েই অপিলিং। এখনও শুনলে ভালো লাগে। কিন্তু তখন কার গানের কোয়ালিটি আর সিনেমার কোয়ালিটি একেবারেই মেলেনা, প্রচুর ৩র্ড গ্রেড সিনেমা ও তখন জাস্ট গানের জোরে সুপার হিট হয়ে গেছে, হিন্দি বা বাংলা। এখন গানের কমপ্লেক্সিটি বেশি কারণ অনেক বেশি লোকেশন বা পিরিয়ড নিয়ে রিসার্চ হয়। এক্সপেরিমেন্ট ও বেশি। কিন্তু আজকের কোয়ান্টিটি অনেক বেশি বলে সব সময় গান গুলো অত লং লাস্টিং হয়না।

    প্লাস কঠিন গান লোকে অত বেশি নিজেরা গুনগুন করে গাইতেও পারে না। তাই আজকের যুগেও যত কন্ঠী শিল্পী দের মধ্যে ষ্টীল কিশোরে বা রফি দের গানের ডিমান্ড বেশি, কারণ পাবলিক ফাঙ্কশন এ আম লোকে সহজ গান ই শুনতে চায়, যার সাথে নিজেরা গলা মেলাতে পারে বা নাচতে পারে। ইভেন মার্কেট এ যত কারাওকে সিঙ্গ আলং ট্রাকস পাওয়া যায় প্রাকটিস-এর জন্যে, তার মধ্যেও সেই রফি, কিশোর, লতা, আশা দের ৭০-৮০ এর গান ই বেশি, নতুন গান অনেক কম।
  • S | 890112.162.564523.195 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:১৬388179
  • সহজ গান তৈরী করার প্রবণতাটা হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কমেছে এই সহশ্রাব্দীতে। দিল চাহতার হ্যায় একটা খুব বড় পরিবর্তন আনলো। ঐধরনের গান আগে কমার্শিয়াল বড় বাজেট সিনেমায় ভাবাও যেতনা।
  • S | 890112.162.564523.195 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:২২388180
  • একটা ইন্টারভিউতে শুনেছিলাম কুমার শানু ৯০এর মাঝামাঝি এক একটি গানের জন্য মাত্র ২৫,০০০ টাকা নিতেন। এখনকার প্রথম সারির গায়্ক-গায়িকারা ১০-২০ লক্ষ টাকা নেন। এই হল পার্থক্য।
  • Amit | 236712.158.23.203 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৫৪388181
  • আমার তো মনে হয় আজকাল যারা বলিউড এর শিল্পী; ছেলে দের মধ্যে অরিজিৎ, শঙ্কর মহাদেবন, সোনু নিগাম, কৈলাশ খের, সুখভিন্দর, বা মেয়ে দের মধ্যে সুনীধি, শ্রেয়া, ইলা অরুন, শুভ মুদগল, আরো বহু অনেকেই - এনারা আগেকার দিনের লতা, আশা, কিশোর রফির থেকে কোনো অংশেই কম নন, সবাই ভালো শিল্পী। বাংলা তেও লোপামুদ্রা, মোনালি, সোমলতা অনেকেই খুব ভালো গাইছেন। ছেলে দের মধ্যে সুমন, নচিকেতা কে তো ছেড়েই দ্যান, ওনারা একটা পুরো নতুন ঘরানাই তৈরী করে দিয়েছেন। যেটার ওপর দাঁড়িয়ে ব্যান্ড গুলো এতো পপুলার হয়েছে পরে। মহিনের ঘোড়া গুলি তো অনেক, অনেক অ্যাহেড অফ টাইম। তাও পুরোনো বাঙালিরা অনেকেই এখনো জীবনমুখী শুনলেই নাক কোঁচকান, যার যা পছন্দ, কি আর বলা যাবে।

    মাঝে ৯০- র দশকে কুমার শানুর নাক দিয়ে গাওয়া আর সেই নাদিম শ্রাবণ এর একঘেয়ে কান্না মার্কা সুর ওই পিরিয়ড টা বাদ দিলে বাকি সময় বলিউড এর কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। ওরাও অবশ্য ভালো গান বানিয়েছেন অনেক, তবে ভেরিয়েশন বড়োই কম। তবে আমার মনে হয় বাংলায় ৯০- এর দশকে সুমন, নচিকেতা উঠে না এলে আজকে বাংলা গানের রেভিভাল মুশকিল ছিল, ওই ধাক্কাটা দরকার ছিল।

    গান এর তুলনা তো ওই ভাবে করা যায়না, একই গান দুজন আর্টিস্ট পাশা পাশি গাইলে তবেই ভালো, খারাপ এর তুলনা আসে, সেটা কখনো হয়না। গানের কথা, সুর, তাল, সিচুয়েশন, আর্টিস্ট - কোনটা যে কখন ক্লিক করে গিয়ে গান সুপারহিট হয়ে যায়, কেও জানে না। তখন সেটাই একটা বেঞ্চ মার্ক হয়ে দাঁড়ায়, আর কেও গাইলে কিছুতেই সেই ফিলিংস টা আসে না। যেমন কিশোরের "আলবিদা না কহেনা" হোক বা লতার " মেরে বতন ক লোগো" হোক, বা জর্জ বিশ্বাস এর 'আকাশ ভরা " ই হোক। ওগুলো জাস্ট হয়ে যায়, প্ল্যান করে করে বানানো যায়না।

    যেতে দ্যান, টোয়ি বেপথে চলে যাচ্ছে, লতা আশায় ফেরা যাক :) :)
  • dc | 236712.158.676712.190 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৪৫388182
  • হিন্দি সিনেমা যে অতি অখাদ্য আর খাজা সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কয়েকদিন আগেই দুয়েকজন বন্ধুর সাথে সিনেমা নিয়ে কথা হচ্ছিল, তাতে বল্লাম একটা হিন্দি সিনেমা দেখা যেটা ইউসুয়াল সাসপেক্টস এর কাছকাছিও বানাতে পেরেছে। অথচ অবাক কান্ড যে হিন্দি সিনেমার গান, অন্তত আশির দশকের শেষ অবধি, অসাধারন।

    তবে এখনকার হিন্দি গান সেরকম শুনিনা, তাই বলতে পারবোনা কতোটা কমপ্লেক্স, তবে পুরনো হিন্দি গান যে সহজ হতো তা মনে হয়না। অবশ্য আমি সত্যিই গানের কিছু বুঝিনা, যেটা শুনতে ভালো লাগে সেটা শুনি, তাই জোর দিয়ে বলতে পারবোনা। তবে ও পি নাইয়ার, এস ডি, আর ডি, খৈয়াম রা কি অখনকার তুলনায় সহজ গান বানাতেন? জানিনা।
  • দ্য সিলভা | 237812.68.674512.109 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৪৭388183
  • Amit ও S আপনাদের পয়েন্ট গুলি অকাট্য। কনটেস্ট করার জায়গা নেই।

    আমার একটা পয়েন্ট ছিল, সেটা হলো, তিরিশ চল্লিশ বছর কী তারও বেশি, সেভাবে আর নতুন কন্ঠ শুনলাম? প্রথম দিকে তবু সামশাদ বেগম বা গীতা দত্ত অনেকটা ছিলেন।

    কিন্তু পরের দিকে আরতি, হেমলতা, বাণী জয়রাম বা রুনা লায়লা প্রায় হাতে গোনা কয়েকটি গান।

    আচ্ছা, ব্যাপারটা যদি ফিল্মে হতো, বাণিজ্যিক সাহিত্যে হতো, অন্য কোনো বাণিজ্যিক শিল্প বা সংস্কৃতি ক্ষেত্রে হতো, আপনারা এতটাই ছাড় দিতেন?
  • ন্যাড়া | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৫০388184
  • লতা অন্য লেভেল। পলিটিক্স করেছেন। কিন্তু তা বাদ দিয়েও সব সঙ্গীত পরিচালক প্রথমেই লতাকে চাইতেন। তার অন্যতম কারণ যে লতাকে যা হরকতই দেওয়া হোক, তা একশ ছেড়ে একশ দশ ভাগ দিতে পারতেন। লতার জন্যে কোন সুরকারকে সুর সহজ করে দিতে হয়নি। বরং সলিল চৌধুরীর মত লোকও বলেছেন যে লতা গাইবে জানলে উনি হাত খুলে সুর করতে পারতেন।

    সুধীর চক্কোত্তি মশাই যাকে গানের আরমান বলেছেন, প্রতিটি গানেরই নাকি একটি নিজস্ব আকুতি থাকে। সে জিনিস কথা-সুর-গায়কী ছাপিয়ে অন্য কোন জিনিস। সঙ্গীতকাররাও তা আর্টিকুলেট করতে পারেননা। শুনলে বুঝতে পারেন। লতা নাকি সঙ্গীত পরিচালকদের সেই জিনিস অন্যদের থেকে অনেক ভাল দিতে পারতেন।

    এর সঙ্গে তৈয়ারি, সুরের প্রয়োগ, মুক্তোর দানার মতন মুড়কি এসব তো ছিলই। গত কদিন আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করছি। ওনার বয়েসকালের গানের টাইমিং। তালেও যখন ধরছেন, কয়েক মাইক্রোসেকেন্ড পরে এমনভাবে ধরছেন যে বেতালা তো লাগছেই না, একটা অদ্ভুত সুদিং ব্যাপার তৈরি হচ্ছে। কে জানে, আমার শোনার ভুল কিনা।

    অন্যদিকে লতার যেটুকু খামতি, সেটা উচ্ছল গানে, সেই ফাঁক পূর্ণ করেছিলেন গীতা দত্ত। গীতা দত্ত নেঁচে থাকতে ও ডিপ্রেশনে চলে যাবার আগে লতার পরেই ছিলেন গীতা দত্ত। আশা ডিস্ট্যান্ট থার্ড। আশা কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গীতা দত্তকে অনুসরণ করে, লতাকে নয়। পরে অবশ্য নিজের সিংহাসন নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন।

    কবীর সুমনের বাবা সুদীন চট্টোপাধ্যায় যে আশার গান শুনে সুমনকে বলেছিলেন, "এ জিনিস শুধু রেওয়াজ করে হয়না" তা দুই বোনের ক্ষেত্রেই খেটে যায়।
  • S | 236712.158.670112.161 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:৫৫388185
  • ডিসিদা, বেশি কিছু না। আপনি পারলে আশিকি এবং আশিকি ২ এর গানগুলো কম্পেয়ার করে নিন। দুটই অত্যন্ত বাণিজ্যিক ছবি। দারুন সব হিট গান। পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। আপনি কি অন্ধাধুন সিনেমাটা দেখেছেন? পারলে দেখে নিন।
  • S | 236712.158.670112.167 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:০৬388186
  • আসল প্রশ্নে ফিরে যাই। আমার ধারণা অত কম রেট ছিল বলেই উনারা অতগুলো গান গেয়েছেন। এক নম্বর গায়ক-গায়িকা যদি অত কমে গান গেয়ে দেন, তাহলে অবশ্যই সব্বাই তাঁদেরকে দিয়েই গান গাওয়াবেন। এখন একটা গান তৈরী করতে প্রায় কোটি খানেক খরচ হয়ে যায়। লিরিসিস্ট, সুরকার, গাইয়ে সকলেই ১০-২০ লাখ চার্জ করেন। মিউজিশিয়ানদের রেট প্রচন্ড বেড়েছে। ফলে সিনেমায় ৪-৫ টা গানের প্রত্যেকটা অরিজিত সিংকে বা সোনুকে বা শ্রেয়াকে দিয়ে গাওয়ানো অসম্ভব। তাই অনেক বেশি লোক কাজ পাচ্ছেন। গানের ধরন পাল্টেছে। তাই বিভিন্ন রকমের গলা দরকার হয়।

    পীক টাইমে এসে শ্রেয়া-অরিজিত-সোনু সবাই গান গাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। খুব পছন্দের গান না হলে এখন আর গায় না। এইটা আগে ভাবাও যেতনা। কেউ কেউ আগেও করেছেন, খুব সিলেক্টিভ থেকেছেন গানের ব্যাপারে। কিন্তু লীডিং সিঙ্গাররা সকলে একদিনে একাধিক গান রেকর্ড করে গেছেন।
  • S | 236712.158.670112.167 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২০388188
  • সিনেমায় মহিলাদের গান গাওয়ার ব্যাপারটা সামাজিকভাবে কতটা অ্যাক্সেপ্টেবল ছিল, সেটাও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে।
  • dc | 237812.69.563412.81 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২২388189
  • S, ওরে বাবা আশিকি আমার শোনা সেরা অখাদ্য গানগুলোর মধ্যে পড়ে। ভয়ে আর আশিকি ২ এর দিকে যাইনি ঃ-)

    ন্যাড়াবাবুর সাথে একমত, লতা অন্য লেভেল। সিম্পলি ইনকম্পারেবল। আমার মতো যারা গান কিস্যু বোঝেনা, তাদেরও কোথায় যেন লতার পুরনো সেই গানগুলো নাড়া দেয়। গীতা দত্ত আর আশাও তাই। আর সেজন্যই পুরনো গানগুলো আজও এতো পপুলার।

    সিলভা যেসব শিল্পীদের নাম বললেন, তাঁরাও এই তিনজনের তুলনায় পিছিয়ে। ব্যপারটা হলো, ধরুন ব্র্যাডম্যান, সোবার্স আর রিচার্ডস একটা টিমে তিরিশ বছর ধরে ক্রিকেট খেললেন। বা পেলে-মারাদোনা-গ্যারিঞ্চা একটা টিমে চল্লিশ বছর ধরে ফুটবল খেললেন। তখন কি আপনি এই তিনজনের বদলে অন্য কাউকে নেবেন? লতা-আশা-গীতা দত্তও সেরকম গানের জগতে নক্ষত্র। এনারা অন্যদের থেকে এতো বেশী ভালো গাইতেন যে সুরকাররাও সাধারনত অন্য কাউকে নিতে চাইতেন না।
  • দ্য সিলভা | 237812.69.563412.123 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২৭388190
  • "সুধীর চক্কোত্তি মশাই যাকে গানের আরমান বলেছেন, প্রতিটি গানেরই নাকি একটি নিজস্ব আকুতি থাকে। সে জিনিস কথা-সুর-গায়কী ছাপিয়ে অন্য কোন জিনিস। সঙ্গীতকাররাও তা আর্টিকুলেট করতে পারেননা। শুনলে বুঝতে পারেন। লতা নাকি সঙ্গীত পরিচালকদের সেই জিনিস অন্যদের থেকে অনেক ভাল দিতে পারতেন।"

    এই জায়গাটা ইন্টারেস্টিং লাগল।

    তাহলে কি সন্ধ্যা বা আরতির বাংলা গানের ওপরেও আপনারা লতা বা আশাকে রাখবেন? বাংলা গানের ক্ষেত্রে?

    আগের থ্রেড ফলো করলে বুঝবেন প্রশ্নের বাস্তবতা।
  • S | 236712.158.670112.167 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২৯388191
  • একটা বিশেষ সময়ে মাত্র ৩ জনই অসাধারণ এবং বাকিদের থেকে বহুগুন এগিয়ে থাকলেন। অথচ অন্য টাইম পিরিয়ডে দেখা গেলো এরকম হেজেমনি নেই, সেখানে অনেকেই সুযোগ পাচ্ছেন এবং গান গাইছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই ধরনের কোনও ট্রেন্ড কখনও নেই। এটা স্ট্যাটিস্টিকালি সম্ভব নয়। লতা-আশা নিয়ে একটা পেডেস্টালে চড়ানোর প্রবণতা রয়েছে, বিশেষ করে লতাজীর ব্যাপারে। সেটা বোধয় উনার ব্যক্তিগত জীবনেরও প্রতিফলন।
  • dc | 237812.68.454512.114 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৩৯388192
  • "সুধীর চক্কোত্তি মশাই যাকে গানের আরমান বলেছেন, প্রতিটি গানেরই নাকি একটি নিজস্ব আকুতি থাকে। সে জিনিস কথা-সুর-গায়কী ছাপিয়ে অন্য কোন জিনিস। সঙ্গীতকাররাও তা আর্টিকুলেট করতে পারেননা। শুনলে বুঝতে পারেন। লতা নাকি সঙ্গীত পরিচালকদের সেই জিনিস অন্যদের থেকে অনেক ভাল দিতে পারতেন"

    আমারও এটাই মনে হয়েছে, যদিও এটা জানতাম না। পুরনো হিন্দি গানের একটা অদ্ভুত আকুতি আছে, যার জন্য এই গানগুলো জেনারেশানের পর জেনারেশান এতো জনপ্রিয় হয়েছে। লোকে গানের ব্যপারে কিছু না বুঝেও এই গানগুলো নিজেদের হৃদয় দিয়ে শুনেছে।

    সিলভা, সন্ধ্যা বা আরতির বাংলা গান আমি সেরকম শুনিনি, তাই বলতে পারবোনা। তবে হিন্দি গানের ক্ষেত্রে লতা আর আশার কোন তুলনা হয়না, এ ব্যাপারে অনেক সুরকার বা গানের ওস্তাদরাও সাধারনত একমত হন।

    "একটা বিশেষ সময়ে মাত্র ৩ জনই অসাধারণ এবং বাকিদের থেকে বহুগুন এগিয়ে থাকলেন। অথচ অন্য টাইম পিরিয়ডে দেখা গেলো এরকম হেজেমনি নেই, সেখানে অনেকেই সুযোগ পাচ্ছেন এবং গান গাইছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই ধরনের কোনও ট্রেন্ড কখনও নেই। এটা স্ট্যাটিস্টিকালি সম্ভব নয়"

    S, অবশ্যই স্ট্যাটিসটিকালি সম্ভব। আউটলায়ার অ্যানালিসিস ঃ-) খেয়াল করুন, স্ট্যাটিসটিকাল অ্যানালিসিস কালেক্টিভের ক্ষেত্রে খাটে, ইন্ডিভিজুয়ালের ক্ষেত্রে না। সেজন্যই বহু সময়েই ট্রেন্ডের বিরুদ্ধে ডেটা পয়েন্ট পাওয়া যায়।
  • S | 236712.158.670112.167 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৪৫388193
  • এত বড় সময় ধরে আউটলায়ার থাকেনা। নামি গায়িকারা স্যাম্পল আর পপুলেশন যারা গান গাইছেন বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে। সেক্ষেত্রে একমাত্র স্যাম্পল সিলেকশনে মেজর গন্ডগোল না থাকলে ৩০ বছর ধরে ২ জন গায়িকাই সব গান গাইলেন, আর বাকীরা বহু বহু পিছনে থাকলেন এটা সম্ভব নয়।

    সবথেকে বড় প্রমাণ হল হল এই দুজন গায়িকাদের হেজেমনি যত কমতে থাকলো, অন্য ভালো গায়িকাদের সংখ্যা তত বাড়তে থাকলো।
  • S | 236712.158.670112.167 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৪৭388194
  • সিনেমার টই নয়, তাই সিনেমা নিয়ে এখানে কিছু বলবো না।
  • dc | 236712.158.786712.127 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৫৪388195
  • S, আমি আর আপনি বোধায় দুটো আলাদা জিনিস নিয়ে লিখছি। আমি লিখছি ভালো গায়িকা হওয়ার প্রোবাবিলিটি নিয়ে, আপনি লিখছেন দুজনের হেজেমনি নিয়ে। কোন একটা গিভেন টাইম পিরিয়ডে এক্সেপশনালি ভালো গায়িকা উঠে আসার ফাইনাইট প্রোবাবিলিটি আছে, জেড স্কোর হয়তো তিন বা তারও বেশী, কিন্তু তাও আছে।

    "সবথেকে বড় প্রমাণ হল হল এই দুজন গায়িকাদের হেজেমনি যত কমতে থাকলো, অন্য ভালো গায়িকাদের সংখ্যা তত বাড়তে থাকলো"

    এখানে একটা ব্যপার আছে। অন্যরা ভালো গায়িকা নিঃসন্দেহে, কিন্তু লতা-আশা (বা গীতা দত্ত) লেভেলে না। মানে যাঁরা গানের জগতে বিখ্যাত তাঁরা সাধারনত বলেন যে লতা আর আশার পাশে অন্য কাউকে বসানো যায়না। এমন একজন সুরকারও বোধায় পাওয়া যাবেনা যিনি বলবেন যে লতা আর আশার সমান ভালো আর কেউ গাইতে এসেছে। এখন এই দুজনের হেজেমনি যখন কমে এলো তখন অন্যরা তো সুযোগ পাবেনই, সে তো বটেই। অন্যরা ভালো গেয়েওছেন। কিন্তু লতা আর আশার লেভেলে যেতে পারেননি।
  • Amit | 236712.158.23.211 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:৫৮388196
  • দ্যাখেন, লতা আশার গায়কী নিয়ে তো কোনো কথাই ওঠে না। এনারা জাস্ট অসাধারণ, বিয়ন্ড কম্পারিসন। সে কারণেই ওনারা যদি অন্য গায়ক দের চেপে দেওয়ার জন্যে পলিটিকস করে কম পয়সায় সব গান গেয়ে দ্যান, তাহলে ঠেকাবে কে সেই সময় ? আর সুরকারেরা ঠেকাবেই বা কেন ? ওনাদের তো ডবল লাভ। আপনি মারুতির পয়সায় মার্সেডিস কিনতে পারলে কি কিনবেন না ? যেমন গাভাসকার কে অনেকেই বলে উনি বোম্বে র প্লেয়ার দের নাকি টেনে খেলাতেন, সত্যি মিথ্যে কেও জানে না , কিন্তু ফ্যাক্ট হলো ওনার নিজের খেলা এতটাই ভালো ছিল যে উনি নিজের জোর খাটালেও ওনাকে কেও ওনার পিক সময়ে আটকাতে পারেনি। ওটাও আর এক ধরণের মনোপলি। এ দুনিয়ার সব ক্ষেত্রেই আছে।

    লতা আশা দের গানের অসাধারণ ক্লাস, গায়কী, কানেকশনস, প্রভাব, সেই সময়ের মুসিসিয়ান দের দারুন সব সুর, কথা- সব কিছু মিলিয়ে ওনাদের একটা মনোপলি ক্লিক করে গেছিলো। সেটা হয়তো ভাঙলো একেবারে ৯০- এর শেষে এসে যখন ওনারা বয়সের জন্যে অনেক গান গাওয়া কমিয়ে দিলেন। আর ২০০০ -র পরে হিন্দি সিনেমার music এর ভেরিয়েশন ও অনেক বেড়ে গ্যালো।

    আর এসব ক্ষেত্রে অনেক ঘটনাই জাস্ট ঘটে যায়, কি হলে কি হতে পারতো, সবই ইনফাইনাইট র্পবাবিলিটি, কিছু ফিক্স নয়। ধরেন নুরজাহান যদি পাকিস্তানে না যেতেন, গীতা দত্ত যদি আরো কিছু বছর গাইতে পারতেন, লতার হেজেমনি হয়তো এ রকম নাও হতে পারতো। আবার হয়তো উল্টোদিকে ও হতে পারতো, আরো কয়েক বছর বা আরো বেশি হয়তো ওনারা রাজত্ব করতে পারতেন। সবই প্রোবাবিলিটি।

    এন্ড অফ দা ডে মনে হয়, আমাদের জন্যে এন্ড রেজাল্ট খুব খারাপ হয়নি। দারুন দারুন অনেক গান পাওয়া গেছে ওনাদের থেকে, বাকিদের থেকেও ওতো না হলেও বেশ কিছু। এখন তো আরো নানা ধরণের গান পাওয়া যাচ্ছে। আমরা স্পয়েল্ট বই চয়েস।
  • dc | 236712.158.786712.127 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০৩388197
  • অমিত এর সাথে একবারে একমত।

    সত্যি বলতে কি, আশা আর লতার হেজেমনি নিয়ে আমি সেরকম খুব একটা ইন্টারেস্টেডও না ঃ-) ওনাদের গান শুনে জীবন কেটে গেল, এর বেশী আর কি চাই।
  • দ্য সিলভা | 236712.158.566712.59 | ৩১ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০৪388199
  • আপনাদের আলোচনা ভালো লাগছে। জরুরি জায়গাটা ধরেছেন।

    একটা পয়েন্ট আমি বলতে চাই। শিল্প ও সংস্কৃতি এই মাধ্যমে 'ভালো' শব্দটার চেয়েও আরেকটা জরুরি শব্দ হলো --বৈচিত্র্য।

    এমনকী বাণিজ্যিক জগতেও কথাটা খাটে।

    তো আমরা শুধু মাত্র দুই গায়িকার গান দশকের পর দশক ক্লান্তিহীন শুনতে শুনতে বৈচিত্র্য কিছুটা হলেও বিসর্জন দিই নি কি?

    একটা বাগানে (যদি সেটা কারুর পয়সা দিয়ে বানানোও হয়) শুধু গোলাপ থাকবে, কেননা গোলাপই শ্রেষ্ঠ, তাহলে জুঁই, রজনীগন্ধা, হাস্নুহানা, গুলঞ্চ এই ভিন্ন ফুলের রূপ ও গন্ধ থেকে বঞ্চিত হলাম না কি?

    এটাই যদি বাণিজ্যিক সাহিত্যে হয়, তখন আপনারা মানবেন? বলবেন, উনিই বা দুজন শ্রেষ্ঠ, আর কারুর লেখা পড়ার দরকার নেই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন