এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:১৩388233
  • হঠাৎ চোখে পড়লো টইটি। ফিলমি দুনিয়ার পলিটিক্স ভেবে এড়িয়ে গিয়েছিলুম। কিন্তু একটু এগিয়ে দেখি বিষয়টি হয়তো গান, তখন আটকেই গেলুম। এ প্রসঙ্গে বলি, দুই বোনের 'ষড়যন্ত্র' বিষয়ক গালগল্প গত আধ শতকে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের মতো বারবার ঘুরে আসতে দেখেছি। সে বিষয়ে ঠিক আগ্রহী নই। ব্যাপারটা অনেকটা 'সুকান্ত বেঁচে থাকলে রবিবাবুর কান কেটে দিতো' জাতীয় অলসমায়া। আগে সুমন কল্যাণপুর, আরতি মুখোপাধ্যায়ের নাম আসতো। এখন হয়তো সুনিধি চৌহান।

    যাঁরা আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গীতপ্রেম নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু গান একটা অসম্ভব লেভেলের টেকনিক্যাল শিল্প। তার উপর সেকালে (টিউন ব্যাংক বা ট্র্যাক পদ্ধতির আগে) প্লেব্যাক গান কীভাবে তৈরি হতো সে বিষয়টিও একটু ভাবনাচিন্তার অপেক্ষা রাখে। একটি প্লেব্যাক গান অন্তত দশ থেকে পনেরোজন (অর্কেস্ট্রা বাদ দিয়ে) সৃজনশীল ব্যক্তির চূড়ান্ত শ্রম ও নিবেদনের ফসল। যেসব সহস্র সহস্র গান রোদ-জল-বাতাসের মতো আমাদের নৈসর্গিক অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে, তাদের গড়ে ওঠার গল্পগুলি, গানগুলি শোনার মতো'ই রোমাঞ্চকর। সেই সব গানের 'হয়ে ওঠা'র ক্রিয়াটি কোন একজন গায়কবিশেষ বা সুরকারের মৌরসিপট্টা ছিলোনা। একজন মনোহারি সিং বা বাসু চক্রবর্তী এক একটা কালজয়ী গানকে হাত ধরে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। বড়ো ও ছোটো, দুই কত্তাই স্বীকার করতেন তাঁদের সৃজনশীলতা।সুরকার আর কম্পোজার একটু ভিন্ন প্রপঞ্চ। রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজকুমার থেকে ছোটোকত্তা, বড়ো জোর বাপী লাহিড়ি পর্যন্ত একটা ব্যবস্থা ছিলো। এই তো কালই অন্তত দশবার শুনলুম 'ইন্তিহা হো গই ইন্তেজার কি'। পঁয়ত্রিশ বছর ধরে শুনছি, তবু। প্লেব্যাকের কায়দাটা বোঝার জন্য। অনু মালিক, নদিম-শ্রবণ থেকে এ আর রহমানে পৌঁছে গোটা ব্যাপারটাই একেবারে বদলে যায়। প্লেব্যাক গান, বেসিক গানের মতো শুধু 'গান' নয়। আরও অনেক কিছু। বিষয়টি গভীর মনস্কতার দাবি রাখে।

    বিচ্ছিন্নভাবে সেকালের নানা শিল্পী, কম্পোজার, গীতিকার ইত্যাদির নাম আসছে। ব্যক্তিগত ভালো লাগা না লাগা গুলি বিজ্ঞাপনের মতো স্তুতি বা নস্যাৎ করে ফেলছে একটি জটিল, বহুস্তরীয় সৃজনশীল প্রক্রিয়ার ঘাম ঝরানো ইতিহাস। একজন অত্যন্ত ইতর শ্রোতা হিসেবে নিবেদন করতে ইচ্ছে হয় লতাজি, আশাজি, গীতাজি, রফিসা'ব, মান্না দে, য়েসুদাস, হেমন্ত এমন কি তালাত মাহমুদ বা মুকেশের স্তরের শিল্পীদের পারঙ্গমতার বিচার করতে গিয়ে আমরা যেন শ্রোতা হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতাটিকে সবার আগে মনে রাখি। কিশোরকুমারের নাম ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেলুম। তিনি একজন গণিতের বাইরের লোক। কুমার শানু বা উদিত নারায়ণ অথবা অলকা যাজ্ঞিক অভূতপূর্ব জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন। আরও বছর কুড়ি পরে যদি কেউ তাঁদের গান নিয়ে আগ্রহী হয় তবেই আলোচনা হতে পারে। মনে পড়লো, সুমন কল্যাণপুরের হিন্দি নয়, বাংলা গান নিয়ে কিছু আলোচনা করেছিলুম একসময়।

    বোম্বাই গানা নিয়ে কিছু শ্রমসাধ্য কাজ করার খুব ইচ্ছে হয়। শাস্ত্রীয় গান নিয়ে লেখার থেকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ছোটকত্তার গান নিয়ে আমার লেখাটি বহারোঁ কে সপ্নে'র পর আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি এখনও। ও পি নয়্যার সাহেবকে নিয়েও একটা উচ্চাশী লেখা আধাখ্যাঁচড়া পড়ে আছে। মদনমোহন সাহেব এখনও স্বপ্নেই। এই সেদিন খ্যয়্যাম সাহেবের দেহাবসানের পর অন্তত দিন সাতেক তাঁর তৈরি করা গানগুলি সব কিছু ছেড়ে বুঝতে চেয়েছি। নির্মাণগুলির প্রাণভোমরা কোথায়? কীভাবে এখনও তারা প্রাসঙ্গিক? সাড়ে তিন মিনিটের একটা কানে শোনা গানের পিছনে যে সুদীর্ঘ প্রস্তুতিপর্ব তার 'আঁখো দেখা হাল' না জানলে এই সব শিল্পীদের সঙ্গে অরিজিতের পারিশ্রমিকের তুলনাও 'গানের কথা'র অংশ হয়ে যায়। 'সহজ' সুর আর অবলীলার সৃষ্টি জাতীয় ভাবনাও ঘুরে ফিরে এসে যাবে।

    জানি, 'গান' বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সহবাসও আমাকে কীটপতঙ্গের স্তরের উর্ধ্বে নিয়ে যেতে পারেনি। তাই কিছু বলাও সাজেনা। শুধু এইটুকু বুঝেছি 'কানে' শুনে যাই ভালো লাগে, তাই 'গান' হয়ে উঠতে পারেনা। আর আসল কানসেনের মর্যাদা তানসেনের থেকে খুব একটা নীচে নয়।
  • PM | 237812.69.563412.27 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:২১388234
  • অর্ধশতকের চেয়ে পুরনো এই গানটি মনে করুনঃ
    'নাগিন' সিনেমায় ' দাইয়ারে দাইয়ারে চড় গয়ে পাপী বিছুয়া'!

    রন্জন দা, বিছুয়া গানটি মধুমতি সিনেমার গান। নাগীন নয়। মধুমতি গানের দিক থেকে ভারতীয় সিনেমায় মাইল স্টোন। গল্পের দিক থেকেও । জন্মান্তর নিয়ে সিনেমা আজ ও হয়ে চলেছে।

    নাগীন এর সুরকার হেমন্ত বাবু
  • PM | 237812.69.563412.27 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:২৮388235
  • শিবাংশু বাবু, ওপি নাইয়ার এর লেখাটা নিয়ে অপেক্ষা করে করে চরম হতাশ ☹
  • S | 236712.158.780112.72 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩৫388236
  • একবার একটি দক্ষীন ভারতের ছেলের সঙ্গে উত্তর ভারতের ছেলের গান নিয়ে আলোচনা শুনছিলাম। উত্তর ভারতীয় ছেলেটিকে দক্ষীন ভারতীয় ছেলেটি বলছে যে জানো আমাদের সাউথের সিনেমায় এমন অনেক পুরোনো গান হয়েছে যেটা লোকে আজ কুড়ি-তিরিশ বছর পরেও শোনে। ভাবতে পারছো? তোমাদের হিন্দি সিনেমায় তো সেসব নেই।

    এখানে অনেকের বক্তব্য পড়ে সেই কথাটা মনে আসলো।
  • S | 890112.162.564523.225 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪৮388237
  • এখনও বহু লোক শানু-অলকা-উদিত এমনকি বাবা সায়গলেরও গান শোনে। সেইসব গানের ২০-৩০ বছর পরেও। আমি শুনিনা, আপনি শোনেন না। তার মানেই কেউ শুনছে না, এটা ভাবার দরকার নেই। সম্প্রতি শানুদার একটা অতি খাজা গানের রিমিক্স হয়েছে। সেটি মুলত গেয়েছে মিকা আর চারলাইন গেয়েছেন শানুদা। সকলে বলেছে যে শানুদা ঐ চার লাইনেই জাস্ট স্টোল দ্য শো। মানে ঐ আগের গায়করা দারুন, এটা আমাদের একটা টাইমলেস ডিজিজ। রফির গান অন্য কেউ অন্য গলায় যত ভালই করুক, আমরা তবুও বলবো রফির ধারেকাছে পৌঁছলো না। কারণ যেহেতু ঐ গানটা অরিজিনালি রফি গেয়েছেন।

    এখন কেউ বলতেই পারেন যে তিনি যখন বলছেন, অতেব আগেকার গান ভালো। তার কথা মানতেই হবে। নইলে তুমি কিছু বোঝোনা বলে খিল্লি করা হবে। গায়ের বা গলার জোড়ে ভালো বলতেই হবে। বেশিরভাগ যারা এখানে সঙ্গীত প্রেমী হিসাবে নিজেদের জাহির করছেন, তাঁরা ৯০এর পর সেভাবে সম্ভবত নতুন গান শোনেননি।
  • S | 890112.162.564523.225 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪৯388238
  • রিম ঝিম গিরে সাওয়ন। কিশোর আর লতা দুজনেই গেয়েছেন। কে বেশি ভালো গেয়েছেন?
  • এলেবেলে | 236712.158.565612.7 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৫৫388239
  • অবশ্যই কিশোর। আবার কিশোরের একদিন পাখি উড়ে যাবে-র হিন্দি তুম বিন যাউঁ কাঁহা অবশ্যই রফিসাহাব। আর, ইয়ে মানে আমি যদিও সঙ্গীতপ্রেমী নই এবং জাহির করার কোনও প্রশ্নই নেই তবুও জানিয়ে রাখি শান, সোনু নিগম, শ্রেয়া ঘোষাল, সুনীধি চৌহান -এঁদের গানও অল্পবিস্তর শুনে থাকি।
  • S | 236712.158.780112.148 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১২388240
  • এলেবেলে বাবু, আপনার শেষের বাক্যটি আমার কথাটিকে প্রমাণ করল।
  • এলেবেলে | 236712.158.565612.49 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২২388241
  • কী প্রমাণ করল তা জানি না। তবে ওই যে শিবাংশুবাবু লিখেছেন একটা গান 'হয়ে ওঠা'-র গল্প, সেই গল্প বহু আগে উধাও হয়ে গেছে। লাইভ রেকর্ডিং, অতজন বাদ্যযন্ত্র, সহশিল্পীর সঙ্গে নিখুঁত তালমিল, দীর্ঘদিনের রিহার্সাল, সুরকারের ভাবনা-চিন্তাকে ফুটিয়ে তোলা - এ সব মিকা সিংদের কম্মো নয়।

    প্রসঙ্গত, ইদানীং দেবব্রত-সুবিনয়-সুচিত্রা-কণিকা ছাড়া আর কারও রবীন্দ্রসঙ্গীতও শুনি না। যদিও এককালে চুটিয়ে অশোকতরু-সাগর সেন-ঋতু গুহ-গীতা ঘটক শুনেছি। হয়তো বয়স বাড়ার লক্ষণ।
  • এলেবেলে | 236712.158.565612.49 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:২৪387986
  • *অতজন বাদ্যযন্ত্রী

    @বড়েস, 'মুঝে রং দে' কত সালের গান? আমি উল্লেখ করেছি কিন্তু!
  • S | 236712.158.780112.148 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩১387987
  • এইটা অনেকটা আমরা হারিকেনের আলোয় অন্ক কষতাম, তাই আমরা অন্কে তোমাদের থেকে ভালো বলার মতন। আমার মনে হয় এখনকার সুরকার, কন্ঠশিল্পীরাই একটা গানের পিছনে অনেক বেশি সময় দেন। কারণ তাঁদের মোট গানের সংখ্যাই অত নয়। তাছাড়া আরেকটা কারণ এখন রেডিমেড গানের সংখ্যা কম। সব টেইলার মেড গান তৈরী হচ্ছে। এক গানকে অন্য সিনেমায় ব্যবহার করা মুশকিল। আর এই গান হয়ে ওঠার গল্পটা মনে হয় তখন যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবের ফল। যাগ্গে এইটা তখন ভার্সেস এখনের তক্ক নয়।
  • anya cinema | 237812.69.2367.81 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৩387988
  • আরে প্রায় য়্যাক সুর অন্য মুভিতে তো হরবখত ব্যবহার হচ্ছে! য্যামন ধরুন অনুপম! উনি অবশ্য বলেন উটি উনার ঘরানা!
  • S | 890112.162.674523.58 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৮387989
  • এগুলো সুইপিং স্টেটমেন্ট।
  • Atoz | 237812.69.4545.147 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৯387990
  • কোনদিন মিউজিকের জন্য ফোটোশপের মতন ইকুইভ্যালেন্ট কিছু বেরিয়ে যাবে, আমার হেঁড়ে গলার সম্পূর্ণ সুরবিহীন, "আয় আয় আয়, শেয়ালে বেগুন খায়" টাইপ গানও নানা কায়দাকৌশল করে অতি সুন্দর করে ফেলবে। (বলা যায় না, ইতিমধ্যেই হয়তো তেমন সফ্টওয়ার কিছু এসে গেছে ) ঃ-) ঃ-) ঃ-)
  • Amit | 236712.158.23.215 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:২৬387991
  • আরে আপনারা তো গানের তুলনা গুলো একেবারে পার্সোনালি নিয়ে নিচ্ছেন। এটা একেবারেই বলা হয়নি যে আগের দিনে সব সোজা সোজা গান হতো, এখন সব কঠিন কঠিন গান হয়, একেবারেই ১০০-% ভুল ইন্টারপ্রিটেশন। জাস্ট একটা জেনারেল স্টেটমেন্ট যে আগের দিনে বেশ কিছু কমার্শিয়াল সিনেমাতে গান গুলো ভালো হলেও সেগুলোঅনেক সময়ে মনে হয়েছে জোর করে গুঁজে দেওয়া মনে হয়েছে, গল্পের অংশ নয়। এই ধরেন "যান ইভনিং ইন প্যারিস " এ শাম্মি কাপুর নেচে নেচে প্যারিস এর রাস্তায় একেবারে ইন্ডিয়ান টিউন এ হিন্দি গান গেয়ে বেড়াচ্ছে, উল্টোদিকে "জিন্দেগী না মিলেগি দ্বারা " তে স্প্যানিশ ট্যাপ ডান্সের সাথে মিলিয়ে হিন্দি গানের সুর টা বানানো হয়েছে বা "যোধা আকবর" এ সুফী টিউন ব্যবহার করা হয়েছে- এই টুকুই। তার মানে কি আজকাল কোনো সিনেমায় হিরো রা শাম্মি কাপুরের মতো গান গায় না ? DDLJ তে তো সারাক্ষন ই ইউরোপের রাস্তায় বলিউড টিউন গেয়ে নেচে গেলো শারুখ , কাজল - তাতেই মুভি সুপারহিট। এটাই বলতে চাইছি যে আজকাল জেনেরালি অফবিট মিউজিক নিয়ে মনে হয় এক্সপেরিমেন্ট আগের থেকে একটু হলেও বেশি হচ্ছে, যোধা আকবর বলেন, বা দিল চাহাতা হায় বলেন, বা রং দেবাসন্তি বা দঙ্গল বা দিল ধড়াকনে দো। এগুলো র মিউজিক ঠিক টিপিকাল রোমান্টিক স্টাইলের নয়। কিন্তু খাজা মার্কা সিনেমা এখনও প্রচুর হয়। সব কালেই হবে।

    কোনো যুগেই ১০০-% গান বা সিনেমা ভালো হয়না, হতে পারে না- এটা একটা বিসনেস, যতই শিল্প হোক। আম পাবলিক যা খাবে বেশি, সেটাই মার্কেট এ আসবে। বেশির ভাগ লোকে এন্টারমেনটেন্ট চায়, প্রোডিউসার পয়সা ওঠাতে চায়, সেখানে শিল্প সেকেন্ডারি প্রায়োরিটি, হলে ভালো, কিন্তু ওটার জন্যে পয়সা ডোবাতে কেও চায়না। সেখানে সলমন খান, গোবিন্দার মতো হিরো র ছবি ও সুপার হিট হবে, কারণ একটা বোরো অংশের লোক সেগুলো ই চায়। তাদের কাছে শিল্প বা মিউজিক এর কোয়ালিটি, ভেরিয়েশন ইম্পরট্যান্ট নয়। সব কালেই থাকবে এসব।

    জাস্ট একটা সিম্পল উদা ধরেন - শাম্মি কাপুর, রাজেন্দ্র কুমার , রাজ্ কাপুর এর এর যে ৫০-৭০ এর সিনেমা গুলো, সেগুলো কি আপনারা টিভি তে বেশি বার দেখেন না গান গুলো রেডিও বা নেট এ বেশি বার শোনেন ? আমি নিশ্চিত ২ন্ড টা বেশি লোকে করেন, আমি নিজেই শুনি গান গুলো বারবার। তাহলেই বুঝতে পারবেন কিসের কথা বলতে চাইছি। আবার তার মানে এই নয় যে তখনকার সব সিনেমায় তাই, হাজারটা ভালো সিনেমা তখন ও হয়েছে যেগুলো এখনও দেখতে ইচ্ছে করে। গান গুলোর কথা তো ছেড়েই দ্যান। সবাই শোনে।

    তখন যারা মিউজিক দিয়েছেন বা গান লিখেছেন, তারা সবাই বোদ্ধা, অসাধারণ ক্লাস, অসহাধারণ ক্লাসিকাল বেশ বা বিদেশী মিউজিক এর জ্ঞান নিয়ে তারা সব বানিয়েছেন। সলিল চৌধুরী, নৌশাদ, এস ডি,মাজহুর সুলতানপুরী- আরো হাজার জন - এনারা সবাই একেকজন ধ্রুবতারা। এনারা যেসব সুর দিয়ে গেছেন, সেগুলো আজ ও আমরা হা করে শুনি। কিন্তু আজকাল যারা লিখছেন, তারাও অনেকেই ভালো লিখছেন। প্রথম কথা কোনো কালেই ১০০-% গান ভালো হয়না, আমরা ২০-৩০-৫০ বছর পরে শুধু ভালো গান গুলোই মনে রাখি, সেই কালের বাজে গান গুলো কালের নিয়মেই হারিয়ে যায়। আজকের দশটা গানের মধ্যেও হয়তো ২-৩ তে যথেষ্ট ভালো হচ্ছে, যেগুলো ২০-৩০ বছর পরে লোকে শুনবে। তখন এখন কার বাজে গান গুলোর কথা কেও মনে রাখবে না। তখন আবার বলা হবে 2020 - তে কত ভালো মিউজিক হতো, ২০৫০ এ একেবারে রদ্দি মাল সব। :)

    এলেবেলে একটা কথা বললেন," কিশোরের একদিন পাখি উড়ে যাবে-র হিন্দি তুম বিন যাউঁ কাঁহা অবশ্যই রফিসাহাব"- এর কোনো উত্তর হয় বা তুলনা হয়- ? এতো যার যা পছন্দ, অন্যের পছন্দ নিয়ে আমি কি করবো ? আমার তো কিশোরের টা বেশি ভালো লাগে, কারোর রফি ভালো লাগলে তার পছন্দ তার নিজের, অন্যের কোনো দায় নেই। আমি অবশ্য সংগীত বোদ্ধা নয়, তবে একটু আধটু যোগাযোগ আছে এই টুকু ই। আরো বললেন যে" প্রসঙ্গত, ইদানীং দেবব্রত-সুবিনয়-সুচিত্রা-কণিকা ছাড়া আর কারও রবীন্দ্রসঙ্গীতও শুনি না। " আমার তো মনে হয় যখনই আমরা মনের দরজা বন্ধ করে দি, তখনি নিজের অজান্তেই আমরা প্রেজুডিসড হয়ে যাই। আগে থেকেই ধরে নি যে এনারা ছাড়া আর কেও এদের মতো গাইতে পারবেন না। অথচ লোপামুদ্রা বা সুমনের গাওয়া রবীন্দ্র সংগীত গুলো শুনে দেখুন, ফেলে দেওয়ার মতো নয়। একটু মনটা খোলা রেখে শুনুন।

    কিছুদিন আগে শঙ্কর মহাদেবন, এহসান এন্ড লয় এর সাথে দুদিন কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল খুব কাছে থেকে, যেখানে থাকি সেই শহরে একটা প্রোগ্রাম অর্গ্যানিসিং করার সুবাদে। ওনারা বসে দিব্যি গল্প করছিলেন আমাদের সাথে ফ্রি টাইম এ - কিভাবে একটা গান রেকর্ড করা হয়, একেবারে স্ক্রাচ থেকে একটা সুর তৈরী করা থেকে সেটার ফাইনাল রেকর্ডিং পর্যন্ত, তারপর কিভাবে ওনারা আর্টিস্ট ঠিক করেন, কার গলায় হয়তো ওটা বেশি মানাবে ইত্যাদি, এই করতে গিয়ে মাঝে মাঝে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি, তারপর মুখ দেখাদেখি বন্ধ - বেশ মজা করেই সেসব গল্প শোনাচ্ছিলেন। প্রতিটা গান যে সুর করা হয়, সমস্ত সুরকারদের কাছেই নিজের আপন বাচ্চার মতো, অনেক যত্নে তারা সেগুলো তৈরী করেন। সেগুলো ৫০-৭০ এর দশকেও যা ছিল, ৮০-৯০ তেওঁ তাই, এখনও তাই। ভালো সুরকার বা গায়ক দের কথাই বলছি, এনারা সব কালেই একই রকম ডেডিকেটেড। এনাদের কাছে গান একটা শিল্প, পয়সা নিশ্চয় হয়তো একটা ফ্যাক্টর, কিন্তু এনাদের কাছে সৃষ্টির যে আনন্দ, সেটা শুধু পয়সা দিয়ে হয়না, তাহলে আম্বানি ও গান লিখে ফেলতো।

    অবশ্য মমব্যান গান, কবিতা সবই লেখেন, উনি একেবারে আলাদা লেভেল এর, লিওনার্দোর পরেই।

    জাস্ট দু মাস আগেই চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ড কে এনেছিলাম আমরা। ওনাদের সাথেও ২-দিন কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। অনেকেই হয়তো ওনাদের নাম শুনলে নাক কোঁচকান, ব্যান্ডের গান আবার গান নাকি ? কিন্তু দুদিন ধরে গল্প করলে ওনাদের মিউজিক এর নলেজ দেখলে অবাক হতে হয়, ইন্ডিয়ান ক্লাসিকাল থেকে ইউরোপিয়ান ক্লাসিকাল মিউজিক নিয়ে ওনারাও যথেষ্ট পড়াশোনা করেন, নিজেরাই বললেন নানা সুর মিলিয়ে ওনারা নিজের মতো করে সুর তোলার চেষ্টা করেন। সব কালেই সবাই তাই করে, সুর বহতা নদীর মতো, নানা দিকে বয়ে যায়, কেও তার থেকে আজলা ভরে তুললে ক্ষতি কি।

    ঠিক সালটা মনে পড়ছে না, রাজেশ রওশন এর বিরুদ্ধে কোর্ট এ কেস হয়েছিল, উনি একটা রবীন্দ্রসংগীত থেকে সুর চুরি করেছেন। উনি আদালতে বিদেশী রেকর্ড বাজিয়ে শুনিয়েছিলেন, যে সেই রবীন্দ্র সংগিত টা ইউরোপের ১৮ শতকের একটা ফোক মিউজিক এর অলমোস্ট অনুবাদ। এটাকে কি সুর চুরি বলবেন ? আমার তো মনে হয়না। ভালো সুর পেলে সেটাকে নিজের মতো করে ভেঙেচুরে আর একটা নতুন গান বানালে ক্ষতি কি ? সোজাসুজি কপি না হলেই তো হলো- যেটা বাপি লাহিড়ী, অনু মালিক রা করে থাকেন। সেটা চুরি।

    এখানে ভালো গায়ক বা মিউজিসিয়ান দের কথাই বলছি এখানে, মিকা সিং টিং এর মতো গায়ক গুলোর কথা নয়। তাহলে সেসব পাগলের প্রলাপ হয়ে যায়। আজকের টপ সিঙ্গার দের দ্যাখেন, এনারা সেই ৬০-৮০ র স্বর্ণ যুগে জন্মালেও হয়তো খুব খারাপ করতেন না। এনাদের ও বেশ কিছু ভালো গান আছে, একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে একটু ধৈর্য্য ধরে শুনলে খারাপ লাগে না। এস উসুয়াল ১০০-% গান ভালো করা কারোর পক্ষে সম্ভব না। লতা আশার ও নেই। কিন্তু আগের দিনে গান অনেক বেশি যত্ন নিয়ে বানানো হতো, এখন আর সে জিনিস হয়না, এগুলো অতি মাত্রায় হতাশা মনে হয়। সময় পাল্টাচ্ছে, টেকনোলজি পাল্টাচ্ছে, সেই হিসেবে সবই বদলাবে। কিন্তু ভালো জিনিস তখন ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ১০০-% ভালো কোনোদিনই ছিল না, এখন আমরা সেকালের বেছে বেছে ভালো গানগুলোই শুনি বলে ওটা মনে হয়। টাইম ইস এ গ্রেট ফিল্টার।

    যতটা পারি মন টা ওপেন রেখে সবার গান শোনার চেষ্টা করি, এটাই বলার। যেটা ভালো লাগে, আবার শুনি, যেটা লাগে না, ব্যাস। যার যার পছন্দ। অন্যের ওপর জোর করে না চাপালেই তো হলো। আমার কাছে ওপেন মাইন্ড একটা খুব দরকারি জিনিস। আগের সব ভালো ছিল, এখন সব বাজে, এই চিন্তা ধারা টাই একটা কালচার কে শেষ করে দেয়। বরং আগের গুলো ভালো ছিল, কিন্তু এখনকার জিনিস গুলো ও অন্য রকম হলেও ভালো হতে পারে, এটাই মনে হয় একটা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

    আমি নিজে যে শহরে থাকি, সেখানে একটু প্রবীণ বাঙালি দের মধ্যে অদ্ভুত কিছু উন্নাসিকতা দেখেছি, অবশ্যই সবাই এর মধ্যে নয় বা জেনারেল স্টেটমেন্ট নয় একেবারেই। এটা, জাস্ট নিজের যেটুকু দেখা , তার শেয়ারিং - কেও রবীন্দ্রসংগীত ছাড়া বাকি কিছুকে গান বলেই মনে করেন না, আবার কেও নজরুল গীতি ছাড়া অন্য কিছু শুনলে নাক কোঁচকান, ইভেন রবীন্দ্রসংগীত ও একটু ছোট স্তরের তাদের কাছে। আবার কেও মান্না , হেমন্ত দের পরে বাংলায় আর কোনো আর্টিস্ট আছে বলেই মনে করেন না। জীবনমুখী শুনলেই চটে লাল হয়ে যান। নিজের ভালো নাই লাগতে পারে, কিন্তু অনেক সময় তেনারা ঘরোয়া আলোচনায় নিজের মত টা অন্যের ওপর জোর করে চাপাতে চান, সেটা একটু বিরক্তিকর। মজাটা হলো এই দিয়ে শুরু করে তারপর বেশ কিছু মন কষাকষি, ঝগড়া শুরু হয়, আর এন্ড রেজাল্ট হলো একটা গ্রুপ বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের আলাদা দুগ্গো বা সরস্বতী পুজো শুরু করে দ্যান :) :) চারটে দেশ ঘুরে বাঙালি দের মধ্যে এক ই অভিজ্ঞতা সব কটা জায়গায় :) :)
  • অর্জুন | 237812.69.563412.223 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৪৫387992
  • এই টইতে @এস এম শিল্পীদের পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনা দিয়ে টই শুরু করলেন।

    লতা মঙ্গেশকরের একদম সমসাময়িক বাংলায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কি রকম পারিশ্রমিক পেতেন ?
  • শিবাংশু | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৪৩387993
  • @S
    "....এখন কেউ বলতেই পারেন যে তিনি যখন বলছেন, অতেব আগেকার গান ভালো। তার কথা মানতেই হবে। নইলে তুমি কিছু বোঝোনা বলে খিল্লি করা হবে। গায়ের বা গলার জোড়ে ভালো বলতেই হবে। বেশিরভাগ যারা এখানে সঙ্গীত প্রেমী হিসাবে নিজেদের জাহির করছেন, তাঁরা ৯০এর পর সেভাবে সম্ভবত নতুন গান শোনেননি।"

    ভাই, গানের আলোচনায় ব্যক্তিগত ইগো চলে আসাটা বড্ডো বিড়ম্বনা। কোন গানটা কেমন উতরেছে সেটা মাপার বহু টেকনিক্যাল মানদণ্ড রয়েছে। মনে হয় গানের মূল্যায়ণ করতে গেলে সেটা জানা একটু দরকারি। 'বহু লোকে' বা 'সকলে' বললেই কাউকে শিরোপা দিয়ে দেওয়া যায়না। এটা 'এলিটিজম' নয়। পাতি ভাষায় বলতে গেলে 'কান' তৈরি করা। তিরিশ বছর আগের রেকর্ড 'ক্যয়সি বনি সিলৌরি কে চাটনি'র রিমেক ছটপুজোর বাজারে খুব চলছে। 'বহু লোকে' স্পেলবাউণ্ড, 'বহু লোকে' নাচছে। কিন্তু তাকে 'গান' হিসেবে গ্রহণ করার একটু অসুবিধে আছে। শুধু 'আমি' নই, অনেকেরই আছে। এই পাতাতেও সেরকম লোকের অভাব নেই। আর যেহেতু এদেশে 'গান' বিষয়ে ধারণা নিয়ে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এখনও ওঠানো হচ্ছেনা, সেই মওকায় বলে নিই গানের জগতে কোনও গণতন্ত্র নেই। শুধু মননতন্ত্র আছে। কারো মল্লিকার্জুন মনসুরকে ভালো লাগবে, কারো শুভা মুদ্গল। সেটা তো একশোবার স্বীকার করতে হবে। তবে স্প্যানটা খুব বেশি টানা যায়না। ব্রেকিং স্ট্রেনের একটা সীমা আছে।

    মনে হয় নব্বই দশক থেকে ভারতীয় জনতোষিণী গানের যে ধারা গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে আপনার নিশ্চয় নিজস্ব ভাবনাচিন্তা রয়েছে। যদি আপনি একটু তথ্যনির্ভর, বিশ্লেষণী আলোচনা করেন, তবে হয়তো আমিও যোগদান করতে পারি। এনিয়ে আমারও কিছু লেখাপত্তর আছে। যেগুলোতে বাজারের বিশ্বায়ন ও আমাদের সংস্কৃতিবোধের অকস্মাৎ পালাবদল বিষয়ে দুচার পয়সা ভাবার প্রয়াস পেয়েছিলুম। তবে পহলে আপ.... :-)

    @Amit""....আমি নিজে যে শহরে থাকি, সেখানে একটু প্রবীণ বাঙালি দের মধ্যে অদ্ভুত কিছু উন্নাসিকতা দেখেছি, অবশ্যই সবাই এর মধ্যে নয় বা জেনারেল স্টেটমেন্ট নয় একেবারেই। এটা, জাস্ট নিজের যেটুকু দেখা , তার শেয়ারিং - কেও রবীন্দ্রসংগীত ছাড়া বাকি কিছুকে গান বলেই মনে করেন না, আবার কেও নজরুল গীতি ছাড়া অন্য কিছু শুনলে নাক কোঁচকান, ইভেন রবীন্দ্রসংগীত ও একটু ছোট স্তরের তাদের কাছে। আবার কেও মান্না , হেমন্ত দের পরে বাংলায় আর কোনো আর্টিস্ট আছে বলেই মনে করেন না। জীবনমুখী শুনলেই চটে লাল হয়ে যান। নিজের ভালো নাই লাগতে পারে, কিন্তু অনেক সময় তেনারা ঘরোয়া আলোচনায় নিজের মত টা অন্যের ওপর জোর করে চাপাতে চান, সেটা একটু বিরক্তিকর। মজাটা হলো এই দিয়ে শুরু করে তারপর বেশ কিছু মন কষাকষি, ঝগড়া শুরু হয়, আর এন্ড রেজাল্ট হলো একটা গ্রুপ বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের আলাদা দুগ্গো বা সরস্বতী পুজো শুরু করে দ্যান ঃ) ঃ) চারটে দেশ ঘুরে বাঙালি দের মধ্যে এক ই অভিজ্ঞতা সব কটা জায়গায় ঃ) ঃ)"

    কিছু 'প্রবীণ' বাঙালির প্রতি দেখছি আপনার একটু অপছন্দ আছে। সেতো চার পুরুষের প্রবাসী ও এই দেশে আট জায়গায় থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলি সর্ববয়সের অধিকাংশ 'বাঙালি'র স্বভাবগত বাইনারি কোন্দলের পরম্পরার প্রতি আমাদের অতীব বিতৃষ্ণা রয়েছে। বৈঠকখানার 'তর্কে' 'চটে লাল' বাঙালিরা কদাপি আমাদের ডিসকোর্সের অঙ্গ ন'ন। গানের ক্ষেত্রে তো হতেই পারেননা। অথচ একটা জাত হিসেবে বাঙালির উৎকৃষ্ট সঙ্গীতরুচি জন্মগত এবং একটি সর্বসম্মত তথ্য। ভারতবর্ষের অন্যত্র দেখেছি বঙ্গীয়দের প্রতি নানা অভিযোগ থাকলেও এই প্রশ্নে সমঝদারেরা একমত। এটা তো আমাকে গর্বিত করেই। নিজের 'প্রিয়' শিল্পী বা জঁর নিয়ে অর্থহীন বাদানুবাদ দুর্বল বাঙালির অহমজাত প্রতিরোধ। মেধাবান বাঙালিরা সেসবে রুচি রাখেন না। তাঁদের সব জানালা-দরজা সর্বক্ষণ খোলাই থাকে। সারাদেশ ছেড়ে অচেনা কলকাতা শহরে আমি সেই বাঙালিদের খুঁজে পেতেই থাকতে এসেছি। আপনিও নিশ্চয় কখনও তাঁদের খুঁজে পাবেন। গানের জগতে ইস্ট-মোহন, ঘটী-বাঙাল নেই। সেখানে শুধু গুণীরাই থাকেন। তিনি একজন জাঁদরেল উস্তাদ না শচীনকত্তার 'পানওয়ালা', সেটা ম্যাটার করেনা :-)

    @PM
    আপনার আদেশেই ওপি'জি'কে নিয়ে লেখাটি শুরু করা গিয়েছিলো। 'হাওড়া ব্রিজ' পর্যন্ত এসে গাড়ি পাংচার হয়ে গেছে। বইমেলা ও প্রকাশকদের সামলে আবার হাত দেবো। আমারও যে বড়ো প্রিয় বিষয়। :-)
  • দ্য সিলভা | 237812.69.563412.27 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৮387994
  • শিবাংশুর চিন্তন ও গদ্যশৈলী উভয়ই মনোমুগ্ধকর।

    বাকিদের পয়েন্টগুলি ভাববার মতন। ফেলার নয় আদৌ।

    পুরনো ও নতুনের এই দ্বন্দ্ব সবক্ষেত্রেই আসে : যথা সাহিত্য, শিল্প, ক্রীড়া, রাজনীতি।

    তর্ক ও প্রতিতর্ক লক্ষ্য করছি।

    যদিও আলোচনার অভিমুখ কিছুটা ঘুরে গেছে। তবুও গানকেন্দ্রিক প্ৰতর্ক।
  • PM | 237812.68.454512.126 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:২৬387995
  • ধন্যবাদ শিবাংশু বাবু।। অপেক্ষায় থাকবো , বেচেও থাকবো আশা করি
  • dc | 236712.158.566712.59 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৬387997
  • ও পি নাইয়ার আমার ভয়ানক প্রিয় সুরকার, শিবাংশু বাবুর লেখাটার জন্য আমিও অপেক্ষা করে থাকলাম ঃ-)
  • dc | 236712.158.566712.59 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৯387998
  • ও পি নাইয়ারের সুর, রফি আর আশার গাওয়াঃ

  • Kaju | 237812.69.453412.8 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৭387999
  • সহজে কানে ঢুকে যাওয়া ও গুনগুন করার মত গানের কথাটা এস ডি নিজে বলেছেন সেটার উল্লেখ বহু জায়গায় পেয়েছি। উনি এইটা মাথায় রেখেই করতেন, অন্য কারুর কথা আমি অন্ততঃ বলিনি।
  • এলেবেলে | 236712.158.565612.211 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২৩388000
  • এতজন আলোচনা করলেও কেন বেছে বেছে @অমিত আমাকেই পাকড়াও করলেন এবং অনেক কিছু ভেবে নিলেন, তা ঠিক বুঝতে পারলাম না!!! বয়স হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা বলে সমস্ত জানলা বন্ধ করে দিয়েছি - এমনটা তো বলিনি আমি। মুকেশ আমার প্রিয় গায়ক, যেমন প্রিয় ভূপিন্দরও। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাঁদের সব গান ভালো লাগে। তার মানে এটাও নয় যে বাকিদের গান শুনি না বা ভালো লাগে না। ইন ফ্যাক্ট এখানে নতুন প্রজন্মের মোহিত চৌহান কিংবা বিশাল দাদলানি বা ধরুন কেকে বা কৈলাশ খের - এঁদের কেউ নামই উচ্চারণ করেননি, গান তো দূরের কথা। অথচ আমি এঁদের কিছু গান অবশ্যই শুনি এবং শুধু শুনি না, সংগ্রহেও আছে।

    রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কেও একই কথা। উক্ত চতুষ্টয় ছাড়াও পীযূষকান্তি, মোহন সিং, রেজওয়ানা চৌধুরীর গানও শুনে থাকি। জানলা বা দরজা কোনওটাই বন্ধ করে রাখিনি তাঁদের জন্য। তবে হ্যাঁ, তুলনামূলক কম শুনি কারণ তাঁদের গাওয়া ভালো গানের সংখ্যা (আমার কানে) কম। পাশাপাশি এক সময়ে যেমন দেবেশ-অসীম-সন্দীপনের সঙ্গে সুনীল-শীর্ষেন্দু-সমরেশ-সঞ্জীব-বুদ্ধদেবও পড়েছি, এখন ওই সুনীল-টুনীল পড়ি না। একটা সময় আসে যখন কী পড়ব এবং কাদের পড়ব সেটা বেছে নিতে হয়। কারণ পড়ার সময় কমে আসে। তো আমি আমার মতো করে বেছে নিয়েছি। এতে আপত্তি কোথায়? গানের ক্ষেত্রেও তাই।

    বাকি রইল পুরনো হিন্দি সিনেমায় যত্র-তত্র গান গুঁজে দেওয়ার প্রসঙ্গটা। এখানে ব্যবসার কথাটা মাথায় রাখতে হবে। শাম্মি কাপুর-রাজেন্দ্রকুমারদের আমলে সিনেমার স্যাটেলাইট রাইট বলে কোনও বস্তু ছিল না, ফিল্ম প্রোমোর এত ঘটা ছিল না, এত প্রচার মাধ্যমও ছিল না। কাজেই জনতার কাছে (মানে যাঁরা ওগুলো দেখতে যেতেন সে যতই অখাদ্য হোক না কেন) সেই ছবির প্রচারের মোক্ষম অস্ত্র ছিল গান যা ফিল্ম রিলিজের আগে রেডিওতে বাজবে এবং মানুষের সিনেমাটি দেখার আগ্রহ তৈরি হবে। তার পাশে ছবি তৈরির খরচের একটা অংশ উঠে আসবে রেকর্ড বিক্রি থেকে। তো সেটা হয়েছে। পাকিজা, নাগিন, মধুমতি, জংলি হয়ে হামরাজ, গোরা আউর কালা, মিলন, মেহবুবা, ববি ইত্যাদি ছবির রেকর্ড বিক্রির হিসেবটা একবার দেখবেন দয়া করে। যেহেতু গান পয়সা ফেরত দিচ্ছে তাই স্বাভাবিকভাবেই ছবিতে গান বেশি বেশি থাকবে বিভিন্ন জঁরের - ক্যাবারে, কাওয়ালি, হোলি, সফট রোম্যান্টিক, চুলবুলে - সব রকমের। সেই কারণেই এলপি রেকর্ড এবং ছবি প্রতি অন্তত ছ' থেকে আটটা গান।

    যেখানে রাজেন্দ্রকুমারের মতো নিথর পুতুল কিংবা সাধনার ওই মারহাব্বা খোঁপার স্টাইল নিয়ে মাথাই ঘামানো হয়নি, যেখানে বিস্তর মারামারির পরেও নায়কের চুল অবিকৃত থাকলেও কেউ আপত্তি করেননি; সেখানে সেই সব দর্শকের মাথা ঘামাতে বয়েই গেছে গান সিচ্যুয়েশনভিত্তিক হল কি হল না তাই নিয়ে। এখন জমানা বদলেছে, মানুষ হাতের মুঠোয় আর পাঁচটা দেশের ছবি এক নিমেষে দেখতে পাচ্ছে; তাই তাঁদেরকে দুধের বদলে পিটুলিগোলা দিলে চলছে না। কাজেই গানের ধরণও পাল্টাচ্ছে। এই তো কথা।
  • এলেবেলে | 236712.158.565612.211 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৩৯388001
  • হ্যাঁ, আর একটা কথা। আমি কদাচ বিনি পয়সায় গান শুনিনি, এখনও শুনি না। প্রথমে পছন্দের গান শুনেছি ক্যাসেট কিনে, পরে কমপ্যাক্ট ডিস্কে। ইদানীংকারগুলো এমপিথ্রি-তে। এটা বোধহয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তঞ্চকতা করতে চাইনি বলেই।
  • S | 236712.158.780112.148 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:০৫388002
  • "কুমার শানু বা উদিত নারায়ণ অথবা অলকা যাজ্ঞিক অভূতপূর্ব জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন। আরও বছর কুড়ি পরে যদি কেউ তাঁদের গান নিয়ে আগ্রহী হয় তবেই আলোচনা হতে পারে।"

    শিবাংশুবাবু, এই কথাটা আপনি বলেছিলেন। অতেব এই জনপ্রিয় হওয়া, ২০ বছর পরেও সেই গান নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি আপনার কাছে গুরুত্বপুর্ণ। কারণ প্রচুর হাবিজাবি গানও জনপ্রিয় হয়, লোকে ২০ ব্ছর পর লোকে মনে রাখে। এবং সেটা সব যুগের গান দিয়েই হয়। ৯০এ লোকে কিশোর-রফিকে মিস করত, এখন শানু-উদিতকে করে, ২০ বছর পর সোনু-অরিজিতকে মিস করবে। এই দিয়ে কিছু প্রমাণ হয়্না। কিশোর-রফিকে মিস করাটা, তাদের গান এখনও শোনাটা তাঁদের সঙ্গীতের উৎকর্ষতার প্রতিফলন নয়, বরন্চ শ্রোতাদের নস্টালজিয়ার ফল।

    "মনে হয় নব্বই দশক থেকে ভারতীয় জনতোষিণী গানের যে ধারা গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে আপনার নিশ্চয় নিজস্ব ভাবনাচিন্তা রয়েছে।"

    আপনি বোধয় পুরো আলোচনাটা না পড়েই আমাকে আক্রমণ করতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাই এই মন্তব্য করেছেন। নইলে আপনি এই কথাটা বলতেন না। আমি বারবার বলে গেছি যে এই মিলেনিয়ামে এসে বলিউডের গানে পরিবর্তন এসেছে।
  • এলেবেলে | 236712.158.565612.211 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৮388003
  • কিশোর-রফিকে মিস করাটা অবশ্যই শ্রোতাদের নস্টালজিয়ার ফল হতে পারে, কিন্তু তাঁদের গান এখনও শোনাটা নিছক নস্টালজিয়া হবে কেন সেই লজিকটা বুঝতে পারলাম না। লোকের গান শোনার একটা নিজস্ব ভালোলাগা আছে। আপনার সঙ্গে সে ব্যাপারে আমার না-ই মিলতে পারে। কিন্তু যাঁরা কিশোর-রফি শুনছেন তাঁরা শুধুমাত্র নস্টালজিয়া ভুগে তা শুনছেন - এটা বড্ড সরলীকরণ। অনেকেই আছেন যাঁরা কিশোর-রফিও শুনছেন, শানু-উদিতও শুনছেন আবার ওই সোনু-অরিজিৎকেও শুনছেন। কারও গান সংখ্যায় কম শুনছেন, কারও বেশি। তাঁদের ক্ষেত্রে কোন ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করা হবে?
  • S | 890112.162.674523.130 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৪২388004
  • @শিবাংশুবাবুকে
    আপনি অবশ্যই আমার থেকে সঙ্গীতের ব্যাপারে অনেক অনেক বেশি জানেন। আমি একেবারে ইলিটারেট। তবুও বলি আপনার বক্তব্যের প্রথম ৫-৬টি বাক্যে যথেস্শ্ট এলিটিজমের গন্ধ আছে। একটু খেয়াল রাখবেন।

    আসল কথায় আসি। আপনি বলেছেন যে গানে গণতন্ত্র নেই। বলিউড গানেও নেই? মানে বলিউডের গান কিন্তু এখনও অবধি বাণিজ্যিক কারণেই তৈরী করা হয়। ইনফ্যাক্ট এখনই বানিজ্যিক কারণটা কমেছে। কারণ লোকে আর ক্যাসেট, সিডি কেনেনা। ইউটিউবেই দেখে/শুনে নেয়, ফলে সরাসরি যোগাযোগটা চলে গেছে।

    এই একই কারণে সহজ গান তৈরী করার ট্রেন্ডটাও নেই আর (যদিও খুব চেস্টা চলছে ঐ সোজা সোজা গান তৈরীর সময়টা ফিরিয়ে আনার)। কারণ আগে গানের রিকলেবিলিটি খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল। একজন মহিলা সকালে রেডিওতে একটা গান শুনে, সারাদিন কাজের মাঝে সেই গানটার কথা ও সুর গুনগুন করবেন। ফলে সুর এবং কথা সেরকম সহজ হওয়া খুব জরুরী। একই ভাবে ৯০এর দশকে ফ্ল্যাট গান তৈরী করা হয়েছিল, কারণ তখন সেগুলোর সবথেকে বড় কাস্টোমার ছিল এনারাইরা। সেইসব প্রতিবন্ধকতা শেষ হয়েছে। এখন লোকে আর গান মনে রাখে না, প্রিয় গান বিনা পয়সায় প্লে লিস্টে জুড়ে নেয়, এবং সারাদিন ধরে সেই গান শোনে।

    আর কে গান করে কত পয়সা পেতেন, সেই ব্যাপারেও আপনি প্রেক্ষিত না জেনেই সমালোচনা করলেন। আমি দুটো সময়ের পারিশ্রমিক দেখিয়ে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে আজকের তুলনায় আগের গায়ক-গায়িকারা অত্যন্ত কমে গান গেয়ে দিতেন। কেন? কারণ তাঁরা বেশি সংখ্যক গান গাইতে উৎসাহী ছিলেন। সিলেক্টিভ ছিলেন না। নিজেদের কোনও ঘরাণা নেই, প্রেমের গান থেকে হইহুল্লোর থেকে ভক্তিগীতি থেকে লোকগীতি সবই গাইছেন। ফলে কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি আমি। যথেষ্ট যত্নবাণ ছিলেন কি? আগেকার গায়ক-গায়িকা-নায়্ক-নায়িকাদের ব্যাপারে প্রশংসা করতে গেলেই যেটা প্রথমেই আসে তা হলো তিনি কতগুলো সিনেমায় কাজ করেছেন বা কতগুলি ভাষায় কতগুলি গান গেয়েছেন। আমার মতে খাজা জিনিস হাজার বার করলেও, সেটি খাজাই থাকে।

    আমি গানের কথা নিয়ে বেশি উৎসাহী। ৬০-৭০ দশকের গানের কথা অত্যন্ত সুন্দর, কিন্তু আমার মনকে কখনও নাড়া দেয় না, চিন্তা ভাবনা করতে সাহায্য করেনা। বড্ড বেশি সহজ সরল প্রেম নির্ভর গান রয়েছে ঐসময়ে। মনে হয়েছে যে এই বলিউড যেন একটা স্বপ্নের জগত। যেখানে প্রেমও প্রয়োজন এবং বাস্তবের থেকে অনেক বেশি সহজ-সরল ওয়ান ডাইমেনশনাল। সেটা অবশ্য তখনকার সিনেমারও দোষ। ফলে এইসব গানের কথা একেবারেই মানে দাগ কাটেনা। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটাও যেন ঐ ফর্মুলা মেনে তৈরী করা হয়েছে।

    সেটা এখন বদলেছে। আমি গানের নাম আর লিন্ক দিয়ে বোর করতে চাই না। দুটো সহজ উদাহরণ দেব। এক, দিল চাহতা হ্যায়। দুই, ৯০এর আশিকি আর ২০১৩র আশিকি ২ এর গানের কথার মধ্যে পার্থক্য দেখুন। এছাড়া বিশাল ভরদ্বাজের সিনেমার গান, আঁখো দেখি, ডেভডি এইসব সিনেমার গানে অদ্ভুত সব কথা।

    হ্যাঁ ৬০-৭০ এর দশকের গানে যেটা ছিল, সেটা হল মেলডি। কিন্তু আমি মেলডিকে গান বলতে নারাজ। সুর অবশ্যই জরুরী। কিন্তু সেটা মেলডিয়াস হতেই হবে, সেটা আমি মনে করিনা।
  • S | 236712.158.780112.148 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৪৮388005
  • এলেবেলে, তাঁদের গান এখনও শোনাটা অবশ্যই নিছক নস্টালজিয়া নয়। কিন্তু সেটাকে যুক্তি করে যে দেখুন এত বছর পরেও লোকে শুনছে, অতেব সেইসব গান অসাধারণ, এইটা আমি মানতে নারাজ। কারণ কে কোন গানটি নস্টালজিয়ার কারণে শুনছে, আর কোন গানটি তার কোয়ালিটির জন্য বার বার শুনতে হচ্ছে সেটা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন কাজ।

    আমি আপনাদের আবারও বলবো যে নিজেদের সময়ের মধ্যে নিজেদেরকে বাঁধবেন না। আমিও ৯০এর দশকে বড় হয়েছি, এবং মনে করি ৯০এর দশকে হিন্দি গান মুলতঃ গার্বেজ। এখন অনেক বেটার গান তৈরী হচ্ছে। অনেক বিভিন্ন রকমের গান তৈরী হচ্ছে। যারা হানি সিং কে নিয়ে সমালোচনা করেছেন, পারলে তাঁরা একবার নেইজি আর ডিভাইনের র‌্যাপ শুনে দেখুন যদি ঐ ধরনের গানে উৎসাহ থাকে। বুঝবেন কেন এই নতুন প্রজন্মকে কুর্ণীশ না জানিয়ে পারিনা।
  • এলেবেলে | 236712.158.455612.210 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ২০:০৪388006
  • @বড়েস, সবিনয়ে বলি সাহিত্য নিয়ে থাকলেও গান নিয়ে আমার ছুতমার্গ কোনও কালেই নেই। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন "আপনি দেবব্রতও শোনেন আবার সুবিনয়ও?"। আমি নিজে এই প্রশ্নটার মাথামুন্ডু কিছু বুঝতে পারি না। কোথাও এমন শর্ত লিখিত আছে কি না তা-ও জানি না। আর আমি গানের ব্যাপারে নিজেকে বন্দি করেও রাখিনি। এখানেই দেখুন কিছুক্ষণ আগে নতুন প্রজন্মের মোহিত চৌহান কিংবা বিশাল দাদলানি বা ধরুন কেকে বা কৈলাশ খের-এর উল্লেখ করেছি।
  • dc | 236712.158.786712.227 | ০১ নভেম্বর ২০১৯ ২০:১৩388008
  • " ইন ফ্যাক্ট এখানে নতুন প্রজন্মের মোহিত চৌহান কিংবা বিশাল দাদলানি বা ধরুন কেকে বা কৈলাশ খের - এঁদের কেউ নামই উচ্চারণ করেননি, গান তো দূরের কথা"

    আমি এনাদের নাম এই প্রথম শুনলাম, উচ্চারন করবো কি করে? ঃ-(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন