এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুড়োদের কতা

    hutum
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০০৭ | ৯৮০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hutum | 61.95.167.91 | ১১ জুন ২০০৭ ১৬:২৩389953
  • সে ভায়া বড়ো পুরোনো কতা। রমাপ্রসাদের বাপ মরেচে বটে, কিন্তু বেম্মোদের তকন ভারি বোলবোলাও। দুষ্টু নোকে কইত, দ্বারকা ঠাউরের ছেলে রমাপ্রসাদ, আর রামমোহনের ছেলে দেবেন ঠাউর। ইদিকে বেম্মো, তো অন্যদিকে বিদ্যেসাগর। সে ভদ্দরনোকের আবার কিঞ্চিৎ তোত্‌লামি ছিলো। তাই কোতাও বক্তিমের ধার ধারেন নি। অ্যাকদিন দেকি সমোস্কিতো কালেজের সামনে সে ব্যাটা কোদাল চালাচ্চে। বলে কুস্তির আখড়া হচ্চে। নোকটার শরীলে তাগদ ছিল বটে। একদমে বোশেখে মাসের দুপুরে হেঁটে দর্মাহাটা থেকে বীরসিঙ্গি পৌঁছে যেত। মাঝে মাঝে পাল্কি চড়ত বটে, কিন্তু তাকে কেউ ঘোড়ার গাড়িতে চড়াতে পরল নে। তার বিচেরে পাল্কির ব্যায়রাগুলো পয়সা পায় কিন্তু ঘোড়াগাড়ির ঘোড়াগুলো তো পয়সা পায় নে। এই দয়া দেকে নোকেদের আক্কেল গুড়ুম হয়ে যেত, আর আমি চুপকে চুপকে হাসতুম। যে তারানাথ তক্কোবাচস্পতি এতদিন বেওয়াদের বিয়ে নিয়ে বিদ্যেসাগরকে সাপোট দিয়ে এলে, কাজের বেলাতে সেই আবার পাল্টি খেলে। এই কুঁদুলে কাটিমারা জাতটাকে বুড়ো চিনতেই পারল না। শেষে বুড়ো সব ছেড়েছুড়ে কার্মাটারে সাঁওতালদের সাতে গে বসে রইল। শেষের দিকে ভদ্দরনোক দেখলে মারতে যায় আর কি!
  • d | 202.142.6.253 | ১১ জুন ২০০৭ ১৬:৪৪390064
  • অ্যাই "হুতুম' কি র‌্যা?? "হুতোম' তো। নিজের নামটা সুদ্দু ভুলে বসেচে ... (বুড়ো ভাম কোতাকার)
  • hutum | 61.95.167.91 | ১১ জুন ২০০৭ ১৬:৫৪390079
  • বুড়োর পরনের পোষাক ছাড়া সব কিচুই বেশি বেশি। সবাই দয়া দেকেই মোলো। আমি দেকতুম বুড়োর পয়সা। সম্বৎসর ৩৬,০০০ থেকে ৫৪,০০০ টাকার মত রোজগার করত। কিন্তু ঐ যে দয়ার পোকা কামড়াত! শেষে লোকের কাচে ধারকর্জ করা! তবে নিজের নেকা নে বুড়োর গুমোর ছিল খুব। সংস্কৃত না পড়ে যারা বাংলা লিখত তাদের বুড়ো ধর্তব্যেই আনত না। যে মধু দত্তকে বুড়ো বাঁচিয়ে রাখল তাঁর পদ্য নেকা দু চক্ষে দেখতে পারত না। বঙ্কিমবাবুর বাংলা নিয়েও বুড়ো সারাক্ষণ রঙ্গরসিকতা করত। আমাদের সময় ধীরাজ বলে এক স্বভাবকবি ছিল। তার খেউড়ের দাম দিত বটে বিদ্যেসাগর। বুড়ো যা ভালো লাগতা না, সেই সব নিয়ে ধীরাজ খেউড় বাঁধত আর বুড়ো রসিয়ে রসিয়ে শুনত। সময় পেলে তার দু একখানা শুনিয়ে দেওয়া যাবে খনে। শুধু অক্ষয়বাবুর বাংলা বুড়ো মেনে নিয়েছিল। তাও শুনাতে ছড়ে নি যে অক্ষয়বাবুর লেখার হাতমকশো করা নাকি বুড়োরই কাচে। এত সব করে শেষে বেরোলো গুষ্টির পিন্ডি নারাণ বাঁড়ুজ্যে। বুড়ো মরতেই সেই গুণের আধার ত্যজ্যপুত্তুর মামলা করে সম্পত্তি বাগাল। তবে সব জলে গেছে তাও কইব না। ইদানীং এই গৌতম চাটুজ্জে বলে যে ছেলেটি ইতিহাস লিকে বেশ নাম করেচে, সে আবর বিদ্যেসাগরের মেয়ের দিকের বংশধর।
  • hutum | 61.95.167.91 | ১১ জুন ২০০৭ ১৭:১৬390090
  • (এ আবার কি ধারার নাম বেরুলো গা? দ?)

    তবে বিদ্যেসাগরের হিঁদুয়ানী নিয়ে কোনো মাতাব্যতা ছিল না। এ কতা পন্ডিত কৃষ্ণকমল ভটচাজ্জি বারে বারে কয়ে গ্যাচেন। সেই যে কৃষ্ণকমল ভটচাজ্জি যাঁর দাদা রামকমল ভটচাজ্জি সংস্কৃত কালেজে পড়াতেন। তোমাদের এই সব "বর্গ", "বর্গমূল", "ঘনমূল", "গুণিতক", "গুণনীয়ক", এ সব তো সেই ভটচজ বামুনই বানিয়েছিল। বেচারা অল্প বয়সে গলায় দড়ি দে আত্মঘাতী হল! হিঁদুয়ানী নে মাথাব্যথা ছিল রাধাকান্তের। সে রামমোহনের আত্মীয়সভার পালটা ধম্মোসভা বানিয়ে ফেলল। তাঁর দোসর ছিল কেশবের ঠাউদ্দা রামকমল সেন। তবে সেই রাধাকান্ত আবার মেয়েদের শিক্ষের জন্য সভা করে ইশকুল খুলল সে কথাও বা ভুলব কেমন করে? কিন্তু দেবেন ঠাকুরেরা তখন হিঁদু সমাজের মাথা। দেবেন ঠাকুরের বাপ দ্বারকানাথ ঠাকুরের তেতাল্লিশটা বাড়িতে রাঁড়ের ব্যবসা চলত। তবে দেবেন ঠাকুর বাপের উলটোধারা ছেলে। বাল্য থেকেই ধম্মেকম্মে মতি। কিন্তু পয়সার জোর তো কম নয়। তাই একদল ছেলেপিলে দেবেন ঠাকুরের দলে ভিড়ল। তবে দেবেন ঠাকুর নিজেকে হিঁদুসমাজের বাইরের কেউ বলে মনে করতেন না। যখন কেরেস্তান সায়েবরা দর্জিপাড়ার মোড়ে বাইবেল হাতে কেরেস্তানি আউড়াতে লাগল, তখন দেবেন ঠাকুর আর রাধাকান্ত দেব হিঁদুয়ানী রক্ষা করতে হাতে হাত মেলালেন। বেম্মোদের মধ্যে তখনও কেরেস্তানি ঢোকে নি। কোরান পড়ে রমাপ্রসাদের বাপের মাথায় বেম্মোধম্মের ভূত চেপেছিল। আর দেবেন ঠাকুর তো বেদ উপনিষদকেই বেম্মো বলে মেনেছিলেন। কেশব এসে বেম্মোদের মধ্যে কেরেস্তানির চাল আমদানি করল।
  • saa | 10.37.253.2 | ১১ জুন ২০০৭ ১৭:৫০390101
  • বা: দারুন তো! খুব ভালো হচ্ছে (প্যাঁচার নকশাবাজি )! আরো লিখুন হুতুম
  • pyaricharan | 61.95.167.91 | ১১ জুন ২০০৭ ১৭:৫৮390112
  • ভট্‌চাজ্জি-টা ভশ্চাজ্জি হলে জম্‌তো ভালো।
  • Blank | 74.133.186.84 | ১১ জুন ২০০৭ ১৮:৩৩390123
  • পুরো জমে কুলপী।
  • hutum | 61.95.167.91 | ১১ জুন ২০০৭ ১৮:৪৫390134
  • (কুলপী? বকে বকে মুখের ধুড়ধুড়ি নড়ে গেল গা! সন্দের আফিমের টাইম চলে গ্যালো! কাল কয়েকটা খেউড় শোনাব খনে।)
  • newbie | 128.220.251.100 | ১২ জুন ২০০৭ ০১:৫৭390145
  • চালিয়ে যান হুতুমদা,দুদ্দান্ত হচ্চে।
  • tan | 131.95.121.135 | ১২ জুন ২০০৭ ০৮:০১389954
  • আরে!!!!! এরকম অ্যাকটা লেকা পত্তে পাবার আপিক্ষেতেই ছিলুম। আহা হুতুম থুম, কি লেকা!!!!!
    ""সমস্কিতো কালেজের সামনে সে ব্যাটা কোদাল চালাচ্চে"",দুদ্দান্ত!!!
    :-))))
  • hutum | 61.95.167.91 | ১২ জুন ২০০৭ ১১:৩০389965
  • বিদ্যেসাগরের হিঁদুয়ানী ভাব না থাকলে কি হবে, সায়েব ভাব ছিল পুরোদস্তুর। চৌকিতে ফরাস পেতে গ্যাঁট হয়ে বসে তামুক খাবে, সে বুড়োর ধাতে সইত না। ইদিকে মাতার চুল উড়েদের মত ছাঁটা, পায়ে বার্নিশ করা চক্‌চকে কালো জুতো, উদিকে বুড়ো কেদারার উপর সটান হয়ে বসে। কৃষ্ণকমল ভায়া বলে গ্যাচেন যে সায়েবদের সাতে অ্যাতো পীরিত না থাকলে বিদ্যেসাগরের মুরুব্বি হয়ে ওঠা শক্ত ছিল। তবে সে তো আর বুড়োর দোষ নয়, আমাদের সময়ের গতি। কিন্তু বিদ্যেসাগরের উলটোদিকের লোক হলে তুমি গ্যাচো আর কি! বুড়ো তোমায় ছেড়ে কতা কইবে না। ঐ সময় ধীরাজ সেই গান বাঁদল-

    বিদ্যেসাগরের বিদ্যে বোঝা গিয়েছে
    পরাশরের **** মেরে দিয়েছে।

    বুড়ো ধীরাজকে ডাকিয়ে এই গান শুনত। তোমাদের মতো শ্লীলতা অশ্লীলতার বামনাই তখনও জেতে ওঠে নি। বুড়োর এসব নিয়ে মাতাব্যতাও ছিল না। এ সব নিয়ে মাতা ঘামিয়েছিল কেশব আর বঙ্কিমবাবু। খুব খারাপ কাজ করেছিলো তা মোটেও নয়। সেই সময়ের কেচ্ছার গপ্পো ভাবলে অ্যাকন গায়ের মদ্যে ক্যামন করে।
  • hutum | 61.95.167.91 | ১২ জুন ২০০৭ ১১:৫৯389976
  • আমাদের সময়ে সিলেট থেকে এসেছিলো গৌরীশঙ্কর ভট্‌চাজ। নোকে কইত গুড়্‌গুড়ে ভট্‌চাজ। গুড়্‌গুড়ে পন্ডিত অ্যাকদিকে সম্বাদ ভাস্কর বের করত যাকে তোমরা আজকাল নিউজপেপার বলো। সেই অ্যাকই নোক বের করত সম্বাদ রসরাজ। কেচ্ছাকেলেঙ্কারি খিস্তিখেউড়ের বান বইয়ে দিয়েছিলো। সে কাগজের কাটতি ছিলো বটে! সেই কাগজের খবরের কতা শুনলে তোমরা তো মুচ্ছো যাবে! ফিরিওয়ালা ও বাড়ির গিন্নির রতিলীলা, বল্লভপুরের দ্বাদশ মূর্তি দেখতে গিয়ে কলকেতার গিন্নিরা হোগলার ঘরে লম্বাচৌড়া সাধুদের সাতে শুয়ে কিভাবে দেহের আশ মিটায়, অ্যামন কি বাড়ির বৌদের নিজেদের মদ্যে শোয়াশুয়ির বেত্তান্ত যাকে আজকাল তোমরা সমকামিতা বলে থাকো। এ সব তো গ্যালো হেঁজিপেঁজি নোকেদের কতা। সম্বাদ রসরাজ ঈশ্বর গুপ্তের গুপ্তজীবন বলে কেচ্ছা লিকলো। অ্যামন কি তারাচাঁদ চক্কোত্তির মত সাধুপুরুষের নামে "বালক ধর্ষণের" অপবাদ রটাতেও পিছুপা হয় নি। এই তারাচাঁদ চক্কোত্তি কে ছিলেন জানো?
  • r | 61.95.167.91 | ১২ জুন ২০০৭ ১৪:৩১389987
  • তারাচাঁদ চক্কোত্তি ছিলেন দ্রুজু সায়েবের আদি শিষ্য। "কুইল" নামে এক কাগজ বের করেছিলেন। তাতে সায়েবদের ধুয়ে কাপড় পরানো হত। সায়েবরা দুচক্ষে তারাচাঁদকে দেখতে পার্তো না। দ্রুজু সায়েবের আর এক শিষ্য দক্ষিণেরঞ্জনের গরমাগরম পোলিটিকাল বক্তিমে শুনে রিচার্ডসন সায়েব রেগেমেগে এদের নাম দিলেন "তারাচাঁদ চক্কোত্তি ফ্যাকশন।" ফ্যাক্‌শনের ফেশন কি আজকের গা? তকনও ইয়াং বেঙ্গল নামটা চালু হয় নি। পরে এই তারাচাঁদ ফ্যাকশন হবেন ইয়াং বেঙ্গল আর তোমরা এইট কেলাসের ইতিহাস বইতে দ্রুজু সায়েবের চ্যাপ্টা মুকের ছবি দেকবে। দেবেন ঠাউর বেম্মোসমাজ পিতিষ্ঠে করলে এই তারাচাঁদ চক্কোত্তি হয়েছিল সেই সমাজের প্রথম সম্পাদক। তো সেই চক্কোত্তির নামে কুচ্ছো গাইতেও গুড়্‌গুড়ে পন্ডিতের চিত্ত কম্পিত হল না। আর হবেই বা কি করে? গুড়গুড়ে একেরে থেকে পয়সা খেয়ে অন্যের নামে কুচ্ছো গাইত। এই অপরাধে ব্যাটা জেলে পজ্জন্ত গেল। আর সে শুদু একবারের ব্যাপার নয়। মাঝে মাঝেই পয়সা খেয়ে বড়লোকদের মানহানি করত আর জেলে যেত। এইধারার সাহসী সম্পাদক আজকাল আর কোতায় আচে?
  • r/hutum | 61.95.167.91 | ১২ জুন ২০০৭ ১৪:৩৯389998
  • সে সময়ে কেশব সেন এসে অশ্লীলতার বামনাই শুরু না করলে তোমাদের জাতবংশ কোতায় যেত ভেবে দেকেচো? আজকাল শুনি রামকুমার বলে কোন অ্যাক ছোঁড়া দাশু রায়ের গান গাইচে। বাবুবিবিরা রুজ পাউডার আতর মেকে দাশুর গান শুনতে যায়। দেশের কি হাল হয়েচে মাইরি! এই দাশু রায় অ্যাকদিকে য্যামন ভক্তিপানা গান বেঁদেছিলো, অন্যদিকে খিদিরপুরের বেশ্যাপাড়া নিয়ে দাশুর গান শুনবে?

    (সুরট-কয়ালি)

    "সই লো, ভাতারে সুখ হলো না
    গলা ধরে গলিয়ে দিবি দেখিয়ে রসের গলি
    কত ব্যাটা গুণ গেয়ে বেড়াবে গলি গলি।।
    নাঙ্গের তঙ্কÄ শুনে মত্ত কামিনীমন্ডলে
    খামকা খানকী নাম লেখাইতে চলে।।"
  • AdyikAler badyiburhi | 202.142.6.253 | ১২ জুন ২০০৭ ১৪:৫৮390009
  • দেকেচো! কতায় বলে অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চচ্চড় করে -- তা এও হয়েচে তাই। হুতোমের জুতো -- এই অ্যাত্ত বড়, তাই পায়ে গলিয়েচে সিদিনের খোকা। ব্যাস! যেই ইট্টুক ইদিক উদিক করেচে -- অমনি গ্যাচে পা থেকে খুলে।

    ভাল করে দড়ি দিয়ে পায়ের সাতে জুতোটা বেঁদে নেরে ছোঁড়া।
  • AdyikAler badyiburhi | 202.142.6.253 | ১২ জুন ২০০৭ ১৫:০৪390020
  • তবে সিদিনের হলেও ছোঁড়াটা লেকে বড় ভাল, এ কতা মানতেই হবে বাপু।
  • hutum | 61.95.167.91 | ১২ জুন ২০০৭ ১৫:১১390031
  • (বুড়ির দ নামটাই তো চ্যায়রার সাতে মিলেছিলো ভালো!)
  • burhi | 202.142.6.253 | ১২ জুন ২০০৭ ১৫:৪৯390042
  • (আ মর্‌ মুখপোড়া মিন্সে! চ্যায়রা তুলে কতা বলচে!! মুয়ে আগুন)
  • burhi | 202.142.6.253 | ১২ জুন ২০০৭ ১৬:০৮390053
  • বলদ সাব অল্টার্ন। তার কথা হায় কেহই বলে না যে। তবে, এমনকি, মোষেদের নিয়েও কারো কোন বক্তব্য নেই। কেন রে বাপু? মোষ, বলদ, জলহস্তি এরা কাব্যে তো বটেই এমনকি ইতিহাসেও বড়ই উপেক্ষিত। গাধার যেটুকু মার্কেট ভ্যালু আছে, হায়, এদের তাও নাই।
  • burhi | 202.142.6.253 | ১২ জুন ২০০৭ ১৬:১৪390065
  • উফ্‌ চোকের মাতা একেবারেই খেইচি। আগেরটা ভুল করে এয়েচে, কেউ পাত্তা দেবেন না।
  • saa | 10.37.253.2 | ১২ জুন ২০০৭ ১৬:১৮390070
  • সত্যি হুতুম দারুন নেকা হচ্চে, এবারে এট্টু গরাণহাটার দিকে যে গহরজান আচে, তাদের কতা বলুন প্লিজ! গরাণহাটার গহরজানের কাচে বাঁদা পড়ে আচে জমিদার শশাঙ্কশেখর রায় আর ঘরে রূপে আলো করা রাজ্যেশ্বরী জড়োয়ার গয়না পরে বেনারসী শাড়ি পরে তুলসীতলায় পিদিম নিয়ে সন্দে দেকায় আর কেঁদে মরে। এট্টু তাদের কতাও হোক। আপনার কলমে তারা নিচ্চই সত্যি হয়ে উটবে।
  • burhi | 202.142.6.253 | ১২ জুন ২০০৭ ১৬:২৮390071
  • এবং তার পরেও লোকে মোষ নিয়ে একটিও বাক্য ব্যয় করে না। তবেই বুঝুন কি বৈষম্য।
  • hutum | 125.18.17.16 | ১২ জুন ২০০৭ ১৬:৩৫390072
  • (এ বাহাত্তুরে বুড়ির দেকি ভীমরতি জেঁকে বসেচে! যেকেনে সেকেনে গোরুমোষের কতা কইতে নেগেচে!)
  • pagla babu | 203.212.232.134 | ১২ জুন ২০০৭ ১৮:৪৫390073
  • গরুমোষের কথা থাক। তখনকার বাবু বিবিদের কথা বলুন না হুতুম ভাই। সত্যি শুনতে খুব ভালো লাগছে।
  • hutum | 61.95.167.91 | ১৩ জুন ২০০৭ ১৪:১০390074
  • বেবুশ্যদের কতা আর কি কইবো! সেই সময়ে পুরো কলকেতাটাই রাঁড়ের গুদোম। অ্যাকন তো বেশ্যাপাড়া মানে হল গে তোমাদের সোনাগাছি, রামবাগান আর হাড়কাটা। সেই সময়ে এই তিন পাড়া বাদ দিলেও বাগবাজার, বৌবাজার, মেছোবাজার, আহিরীটোলা জুড়ে অবিদ্যের জগৎ! রাঁড় পোষা ছিল সমাজে উন্নতির লক্ষ্মণ। সবাই স্ত্রীশিক্ষে নিয়ে ভাবছে। এই হতভাগিনীগুলোর কতা আর কে ভাবে তকন! এই যে গুড়গুড়ে ভটচাজ্জির নামে অ্যাতো কু গাইলুম, তোমরা ভেবে নিলে ব্যাটা ছিল পাজির পাঝাড়া। কিন্তু সবই কি সাদা কালো হয় গা? দ্রুজু সায়েবের শিষ্য দক্ষিণেরঞ্জন যকন "জ্ঞানান্বেষণ" বলে সিরিয়াস নেকানেকির কাগজ বের করলে, তার সম্পাদকও ছিল এই গুড়্‌গুড়ে ভটচাজ। এই গুড়গুড়ে ভটচাজ তার সম্বাদ ভাস্কর কাগজে সাতাশজন বেবুশ্যের সাক্ষাৎকার বের করলে আর এই সব পতিতাদের উন্নতির জন্য কড়া ভাষায় সম্পাদকীয় লিখলে। সেই সময়ের বেবুশ্যেদের আর অ্যাক গপ্পো হীরে বুলবুলের গপ্পো তার ছেলেকে হিন্দু কালেজে ভর্তি করা নে। সে তোমরা সকলেই জান। শুদু বিদ্যেসাগর বলেছিল যে ছেলেটা কি দোষ করলে! তবে আবার নিন্দুকে বলে এই সব মেয়েরা যকন স্টেজে উটে অ্যাক্টো করতে শুরু করলে, তকন বিদ্যেসাগরের তা মোটেও পচন্দ হয় নি। এই সব অনাছিষ্টি কান্ড ঘটিয়েছিল রাজনারান দত্তের কেরেস্তান ছেলে। এমন কি যে শিবনাথ বেশ্যাপাড়ায় গিয়ে বেশ্যাদের উদ্ধার করেছিল বলে শোনা যায় সেও কিন্তু তার কেতাবে নিকেচে যে বেশ্যাদের স্টেজে উঠিয়ে এসব নাচগান তার মোটেও পচন্দের ছিল না। যে রামকেষ্টঠাকুর কামকাঞ্চন নে অ্যাতো গাল পেরেহে গ্যালো, শেষে সেই গিয়ে হাত রাখল এই সব হতভাগিনীর মাতায়। তকনকার কালে এ যে কত বড় কাজ আজ তোমরা তা বুজতেও পারবে নে। তারপরেই তো তোমরা শুনলে বিনোদিনী, মানদাসুন্দরীদের কতা, আরোপরে ইন্দু আর আঙুরদের কতা। সেই সময়ে বেলুড় মঠের উৎসবে এই সব বেবুশ্যেরা ভিড় করত। ভদ্দরনোকদের তাতে বেজায় আপত্তি। রামদয়াল তকন বিলেকে নিকলে যে এই সব বাজে চরিত্রের মহিলাদের আসা বন্দ করে দিলে হয় না। তাতে বিলে বলল, যদি আসে তবে শুদু ভিখিরি, চোর ডাকাত, বেবুশ্যেরা আসুক, ভদ্দরনোকদের না এলেও চলবে। বিদ্যেসাগর বুড়ো থেকে বিলে- এই সব নোকের সব ভদ্দরনোকদের উপর অ্যাতো রাগ ছিল ক্যানো ভেবে দেকেচো?
  • I | 81.129.181.72 | ১৩ জুন ২০০৭ ১৪:৪০390075
  • চালিয়ে যাও।
  • saa | 10.37.253.2 | ১৩ জুন ২০০৭ ১৬:৫৯390076
  • ক্যানো ক্যানো? শুনি!
    আরো বলো দিকি ছাতুবাবু লাটুবাবুর কতা, পায়রার বে দেবার কতা। ঘুড়ি ওড়ানোর কতা!
    বলো দিকি হুতুম ভাই, গোগ্রাসে গিলচি তো!
  • pagla babu | 203.212.238.179 | ১৩ জুন ২০০৭ ১৮:১৬390077
  • মনোজ বসুর লেখায় পড়েছি কালীঘাটের কাছে আদি গঙ্গার ধারে ও একটা পাড়া ছিল। বোধহয় ছোটো ক্লাশের সৌখিনদের জন্য। তাদের ও অনেক গল্প শুনেছি।
  • dd | 202.122.20.242 | ১৩ জুন ২০০৭ ২০:৫০390078
  • বড্ডো ভালো হচ্ছে।

    হেথায় এয়ার্কি না মেরে ছিরিয়াছলি এট্টু বড় করে গুছিয়ে লিখলে হয় না ? হ্যাঁ অঙ্গন ?
  • tim | 71.67.115.14 | ১৪ জুন ২০০৭ ০৪:৪৯390080
  • বা:। দারুন হচ্চে কত্তা। চালিয়ে যান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন