এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের কেলাস

    r
    গান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৬১৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nyara | 67.88.241.3 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৫:৫১391115
  • মন দিয়ে নয়, আলগোছে 'বিচারপতি তোমার বিচার' শুনে দেখলাম - আমার বেশ টিপিকাল-সলিল লাগল হার্মনিটা, যদিও কি কি কর্ড লাগছে সেগুলো বাজিয়ে দেখিনি। দুটো জিনিস চোখে পড়ে -

    ১। গানের সুরটা কীর্তন ভাঙা হলেও কীর্তনাঙ্গ ঠিক বলা যাবে না, তার কারণ কীর্তন বা কীর্তনাঙ্গের গানে সুর যেরকম মীড় ধরে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে, এখানে সেই গোলগোল ছাঁদ একেবারেই নেই (বিলিতি কায়দায় যাকে legato বলে), তার বদলে গানের চলনে-বলনে staccato এনে কীর্তনের সেই গেল-গেল-ধর-ধর ভাবটা কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কোন কীর্তনাঙ্গ কি দ্বিজেন্দ্রলালের 'ওকে গান গেয়ে গেয়ে চলে যায়' কিংবা অতুলপ্রসাদের 'মোদের গরব মোদের আশা' - এদের সঙ্গে তুলনা করলেই কীর্তনের প্রয়োগের তফাত বোঝা যায়। কথার কথা তো ছেড়েই দিচ্ছি।

    ২। গানের কিছু কিছু জায়গায় পেছনের সাপোর্টিং কোরাস এখানে কর্ড গাইছে। এটা অবশ্য সলিলবাবু বেশ কিছু গানেই করেছেন, কাজেই এটা দারুন কিছু novel বা unique তা বলা যাবেনা। এখানেও ঐ typical-সলিলমার্কা জিনিসটা করা হয়েছে যে যেখানে সুর যেখানে দাঁড়িয়ে, পেছনে ভোকাল হার্মনি চেঞ্জ করে গানে গতি আনা ("তোমার গুলির / তোমার ফাঁসির / তোমার কারাগারের পেষন")।
  • r | 59.162.191.115 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৩:৩৫391116
  • এইত্তো! আবার শুরু হোক।
  • r | 59.162.191.115 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২২:৫০391117
  • ন্যাড়াস্যার, এদিকে একটু যদি......
  • nyara | 67.88.241.3 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২২:৫৯391118
  • আবার কি! এ তো চুকেবুকে গেছে।
  • r | 59.162.191.115 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২৩:১৩391119
  • মাইরি আর কি! একটা একটা ছোটো পিস ধরে এগোন না। হার্মনিক প্রোগেশন নিয়ে তো কোন প্রোগ্রেসই করলেন না!
  • - | 125.18.104.1 | ০৭ অক্টোবর ২০০৭ ১৫:৪৩391120
  • ন্যাড়া/র/ইশান কে একটা পোশ্নো আছে।

    পাশ্চাত্য ক্লাসিকাল সঙ্গীতে, পারফর্মেন্সের সময়, পার্থক্য কি করে তইরী করা হয়। স্বরলিপি , যন্ত্র, টেম্পো সব ই যদি কম্পোজারে কয়ে দেয়, আর্কাইভিস্ট বা ওপাস সম্পাদক লিখে রাখে, সংকলন করে ছাপিয়ে বার করে দেয়,তাইলে লোকে ইন্টারপ্রিটেশন এ বদলায় কি করে। বিশেষত যন্ত্র সঙ্গীতে?
    একটা সোজা উদা দিয়ে বলা যাবে?

    আর একটা অনুরোধ আছে, শস্তাকোভিচের কাজ সম্পর্কে কিছু বলবে? আমার খুব ভাল্লাগে, যা অল্প শুনেছি। কিন্তু কেন লাগে বোঝাতে পারবো না। শুধু রেডিওতে শুনে ভালো লাগা টা তৈরী হয়েছিল। স্পেশালিস্ট শ্রোতা দের কেমন লাগে কেন ওরকম লাগে?
  • r | 59.162.191.115 | ০৭ অক্টোবর ২০০৭ ২১:৩৯391121
  • আমারও এইটা প্রশ্ন। আরও জেনেরিকালি, কন্ডাক্টর এবং অর্কেস্ট্রার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৮ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:০৪391122
  • আমারে জিগিয়ে লাভ নাই।

    যদ্দুর জানি, পশ্চিমী ক্লাসিকাল কম্পোজার্স আর্ট। স্টাফ এমনকি রবিঠাকুরের গানের চেয়েও স্ট্রিক্ট। নড়াচড়ার বিশেষ জায়গা নেই। আর কানে শুনে তো দু জায়গায় বাজানো একই পিসের মধ্যে কোনো তফাত পাইনা :-)
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৮ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:১৫391123
  • এ ব্যাপারে আমি অতি নাদান। তাও আবছা-আবছা যা বুঝেছি তা হইল নিম্নরূপ:

    টেম্পো (মানে একেবারে BPM মেপে) অতি অল্প স্কোরেই দেওয়া থাকে, প্রায় থাকে না বললেই চলে। আমি যেসব স্কোর (সংখ্যায় অতি অল্প) চোখে দেখেছি, তার কোনোটাতেই BPM দেওয়া আছে দেখিনি। যা দেওয়া থাকে সেটা ঐ andante, adagio - সেটা গাইডলাইন বলা যেতে পারে, কারণ এর কোন টেকনিকাল বেঞ্চমার্ক নেই। কাজেই এখানে কণ্ডাক্টরই রাজা।

    আর যে ব্যাপারে কণ্ডাক্টর রাজা সে হল প্রতিটা সেকশনের, এবং সেকশনের ভেতর প্রতিটা যন্ত্রের ব্যালন্সিং ঠিক করা। উদাহরণ হিসেবে বলি, একটা জায়গায় হয়তো উডউইণ্ড সেকশান অনসম্বল করছে, আর তার ফাঁকে ফাঁকে স্ট্রিং সেকশান এসে ফোড়ন দিয়ে যাচ্ছে। এখন এই দুটো সেকশানের আপেক্ষিক গুরুত্ব কি হবে - কোনটা কত জোরে বাজবে, ভলইউমের ডাইনামিজ্‌ম কিরকম হবে সে সবই কন্ডাক্টর ঠিক করে দেবে।

    এছাড়া কোনখানে বাজনা spriteful হবে, কাজেই বো-ইং কি ফিঙ্গারিং কিরকম হলে বাজনা বেশ নেচে নেচে চলবে ইত্যাদিও কণ্ডাক্টরের আওতায়। এটা খুব ভালো বোঝা যায় একটা পিস এলেবেলে কন্ডাক্টরের ব্যাটনে শোনা আর খুব ভালো কন্ডাকটারের ব্যাটনে শোনা। এলেবেলে কন্ডাক্টরের ব্যাটনের বাজনা ইমোশানালি খুব ম্যাড়ম্যাড়ে, আলুনি লাগবে।
  • dri | 129.46.154.111 | ০৯ অক্টোবর ২০০৭ ০০:১৭391125
  • আমার অভিজ্ঞতা ন্যাড়াদাদার সাথেই মেলে। ঈশেনের সাথে নয়। কন্ডাক্টার বদলালে একই পীস বেশ অনেকটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। সুরের খুঁটিনাটি অবশ্য আমি বলতে পারব না। জাস্ট ওভারঅল ইমোশানাল রেসপন্সের দিক থেকেই বলছি।

    একটা ব্যাপার আমার মনে হয়। এই যে স্ক্রিপ্ট দেখে গান করা, এটা ওয়েস্টার্ন মিউজিকেই বেশী চালু। মনে রাখতে হবে গান লিখে রাখার চল হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন রেকর্ডিং বলে কিছু ছিল না। একজন কম্পোজারের মাথায় কি সুর খেলা করছে সেটা বুঝতে গেলে আপনাকে তাঁর নিজের বাজানো লাইভ শুনতে হবে। সেই কম্পোজিশান 'রিলেটিভলি অমর' করে রাখার জন্য এই স্ক্রিপ্টের উদ্ভব। যাতে করে কম্পোজার মারা যাবার অনেক পরও কেউ জাস্ট ঐ স্ক্রিপ্ট দেখে কম্পোজারের মাথায় কি ছিল সেটা মোটামুটি ধারনা করতে পারে। গান ব্যাপারটা লিখে রাখায় কিছু ইম্পার্ফেকশান থাকবেই। ন্যাড়াদা যেমন বলেছেন। টেম্পোর এগ্‌জ্যাক্ট মাপ কি আর লেখা থাকে? দুটো ইনস্ট্রুমেন্ট একই সাথে বাজলে কোনটা ঠিক কতটা লাউড তা কি আর লেখা থাকে? ঐসব খানে কন্ডাক্টারদের ইন্টারপ্রিটেশানের একটা ব্যাপার থাকে। রেকর্ডিং এসে যাবার পর এটা আর কোন সমস্যা নয়। গান লিখে রাখতে হবে কেন? কম্পোজার যা চান সেটা কন্ডাক্ট করে রেকর্ড করে রাখলেই হয়। তো ওয়েস্টার্ন ঘরানায় এই স্ক্রিপ্ট দেখে বাজানোটা এখনও কিছুটা লেগাসির মত চলছে।

    এই সমস্যাটা সমাধান করতে ভারতীয়রা লেখালিখির দিকে যান নি। গানের ধারা টিকিয়ে রাখার জন্য হয়েছে গুরু শিষ্যের লিনিয়েজ। তবে ভারতীয় গানে এই চল্লিশ জন বসে একসাথে বাজিয়ে বাজনা তৈরী করার চল ছিল না।
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৯ অক্টোবর ২০০৭ ০১:৪৭391126
  • কণ্ডাক্টরের অবদান বিষয়ে আর একটা ভালো উদাহরণ মনে পড়ল। এরকম যদি একটা experiment design করা যায় যেখানে একই পিস একজন কন্ডাক্টরের পরিচালনায় বেজেছে, আর একটা বেজেছে কোন কণ্ডাক্টর ছাড়াই, তাহলে এই দুটো বাজনা শুনে ব্যাপারটা ভালো বোঝা যেতে পারে। আজকাল দ্বিতীয়টা সহজেই করা যেতে পারে MIDI software দিয়ে। যদিও টেম্পোটা কাউকে একটা ঠিক করে দিতে হবে, কিন্তু এছাড়া MIDI software নিজে নিজে স্কোর পড়ে বেশ শক্ত শক্ত বাজনা বাজিয়ে দেবে স্কোরের সব ইনস্ট্রাক্‌শান মেনেই। কিন্তু শুনে দেখবেন, সেই বাজনা হয়েছে একেবারে কোনরকম ইমোশান-বর্জিত কাষ্ঠখণ্ডবৎ।

    বাজারে একটা সাইট আছে, Claasical Music Archive বলে, কেউ তার একটা লিঙ্কও দিয়েছিল বোধহয় এখানে। তার অধিকাংশ ফাইলই MIDI, হয়তো খুব ভালো লোকই MIDI arrange করেছে, কিন্তু তাও সেসব মাল গুরুত্ব দিয়ে শোনার পক্ষে বেশ রদ্দি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৯ অক্টোবর ২০০৭ ০২:২২391127
  • আরে ধুর, দ্রিও যেমন। আমার আবার অভিজ্ঞতা। পাশ্চাত্য ক্লাসিকাল শুনে কতই উল্টে দিচ্ছি :-)
  • - | 125.18.104.1 | ০৯ অক্টোবর ২০০৭ ১১:২১391128
  • ন্যাড়া ও দ্রি কে অনেক ধন্যবাদ। আমার অভিজ্ঞতা এই রকম, আমারো আলাদা লেগেছে আলাদা কনসার্টে। তবে সব সময়ে নয়, আর সব ক্ষেত্রে নয়।কখনো কম কখনো বেশি লেগেছে।

    আমি এত অল্প শুনেছি, যে বহুত লজ্জার ব্যাপার। কিন্তু এই প্রশ্ন টা মনের মধ্যে খোচা দিচ্ছে অনেক দিন।

    ধন্যবাদ।
  • r | 59.162.191.115 | ০৯ অক্টোবর ২০০৭ ১১:৫৮391129
  • ভারতীয় সঙ্গীত একেবারেই লিপিবদ্ধ হয় নি সেটা পুরোপুরি ঠিক নয়। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ভারতীয় সঙ্গীতের নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ করার বহু নমুনা রয়েছে। দক্ষিণ ভারতীয় মার্গসঙ্গীতও মূলত: কম্পোজিশননির্ভর যাতে ব্যক্তিগত ইনোভেশনের জায়গা অতটা নেই। আমার ব্যক্তিগত ধারণা যতদিন মার্গসঙ্গীত মূলত: ধর্মীয় রিচুয়ালের সাথে যুক্ত ছিল, এবং মন্দিরাশ্রিত ছিল, ততদিন একটা লিখিত শৃঙ্খলার মধ্যে বেঁধে ফেলা গিয়েছিল, কিন্তু তাতে ব্যক্তিগত ইনোভেশনের জায়গা ছিল অনেক কম। এখনও যেভাবে সংস্কৃত মন্ত্রপাঠ করা হয়, তার সাথে গ্রেগোরিয়ান চ্যান্টের একধরনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। একধরনের ন্যাড়া সিমপ্লিসিটি আছে, যা খুব গভীরে গিয়ে আঘাত করে। আদি ভারতীয় সঙ্গীত ও দক্ষিণ ভারতীয় মার্গসঙ্গীত উভয়ই কিন্তু ধর্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু উত্তর ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের বর্তমান ধারা জন্ম নিল অসংখ্য লোকসঙ্গীতের সুরের আহরণে মিশ্রণে, দেশীয় সামন্ত ও রাজন্যবর্গের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায়। সেখানে গণতন্ত্রের স্থান সামান্য, এবং সঙ্গীতের পুরোটাই ব্যক্তিগত প্রতিভানির্ভর ও সর্বোপরি সামন্তদের পৃষ্ঠপোষকতানির্ভর। এই জায়গা থেকে ঘরানার জন্ম নিল। অর্থাৎ বংশানুসারে গানের ধারা চলে আসবে এবং বংশানুসারে রাজা বা জমিদার সেই ঘরানার পৃষ্ঠপোষকতা করবেন। যে কারণে উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞরা কখনও সঙ্গীতের লিপিপিবদ্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন নি। উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত লিপিবদ্ধ হতে শুরু তখনই যখন কেউ কেউ এই মার্গসঙ্গীতকে ঘরানার বাইরে এনে আরও ব্যাপকভাবে গণতান্ত্রিক করে তুলতে চাইলেন। তখনই ইউরোপীয় আদলে নোটেশন পদ্ধতি শুরু হল। কিন্তু এই লিপিবদ্ধ না হওয়ার জন্য আবার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার একটা বড়ো দরজা সবসময়ই উত্তর ভারতীয় মার্গসঙ্গীতে খোলা ছিল, যা ইউরোপীয় বা দক্ষিণ ভারতীয় মার্গসঙ্গীতে অতটা ছিল না। আর মন্দিরের আওতা ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য উত্তর ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের সেকুলার আদলটিও লক্ষণীয়।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১০ অক্টোবর ২০০৭ ০৫:২৬391130
  • প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ভারতীয় সঙ্গীত কিরকম লিপিবদ্ধ হয়েছে সে সম্বন্ধে আরো জানতে চাই। আমার ধারণা ছিল ভাতখণ্ডেই প্রথম হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের codification করেন। সংস্কৃত সাহিত্যে অবশ্যই সঙ্গীত including নিয়মকানুন নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়েছে, কিন্তু স্বরলিপির মতন কোন কোডিফিকেশান কি আগে হয়েছে?

    তবে শৃঙ্খলার কথা যেটা র বলছেন, সেটা কিন্তু ধর্মীয় রিচুয়ালের বাইরে এসেও মান্য হয়েছিল। ধ্রুপদ তো খুবই ডিসিপ্লিনড এবং প্রায়-কম্পোজিশাননির্ভর সঙ্গীত, কিন্তু সেকুলার। গোলমালটা আরম্ভ হল খেয়ালের প্রচলন থেকে। আর খেয়াল তো দেখতে গেলে সেদিনকার ছোকরা। কুমারপ্রসাদও বলেছেন যে ওনার ঠাকুর্দাদা বোধহয়, খেয়াল শুনলেই খুব রেগে যেতেন। তাঁরা সব ধ্রুপদ শুনে বড় হওয়া মানুষ।
  • r | 59.162.191.115 | ১০ অক্টোবর ২০০৭ ১০:৩৮391131
  • শুনেছি দক্ষিণ ভারতীয় মার্গসঙ্গীতে শার্ঙ্গদেবের সঙ্গীত রত্নাকরকে ওরা কোডিফিকেশন বলে মানেন। আর একটু জেনে বলতে হবে। তবে নোটেশন ব্যবহার এবং রাগ ও ঠাটের আধুনিক ক্লাসিফিকেশন প্রথম ভাতখন্ডেই করেন। এখুনি স্বামী প্রজ্ঞানানন্দের বইটা হাতের কাছে নেই। তাহলে পড়ে বোঝা যেত সেই সময়ের টেক্সটের সাথে ভাতখন্ডের মেথডোলজির কি পার্থক্য।

    ধ্রুপদ এবং খেয়াল নিয়ে যা বলেছেন একদম ঠিক। দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত অনেকটা ধ্রুপদের স্ট্রাকচারের সাথে মেলে। খেয়ালে এসে উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত একটা বড়ো মোড় নিল। তবে ধ্রুপদ খেয়ালের মত সেকুলার কিনা আমার সন্দেহ আছে। খেয়ালে যেমন ঈশ্বর ও ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য বিষয়বস্তু নিয়ে অজস্র বন্দিশ পাওয়া যায় ধ্রুপদে পেয়েছেন কি? তবে যাঁরা এই গান গেয়েছেন, এবং যাঁরা বাঁচিয়ে রেখেছেন- সে ব্যাপারটা বিবেচনা করলে ধ্রুপদ অন্যান্য উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতের ধারার মত সমান সেকুলার।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১০ অক্টোবর ২০০৭ ২২:৪৮391132
  • স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ আমি রেখে দিয়েছি বড় হয়ে পড়ব বলে। কিন্তু ঠিকই বলেছেন, দেখতে হবে স্বামীজি কি বলেন। ট্র্যাডিশানটা তো নেহাত কম দিনের নয় - ভরতের থেকে কি তারও আগে থেকে শুরু।

    পুরনো ক্ল্যাসিফিকেশানের সঙ্গে ভাতখণ্ডের প্রধান পার্থক্য বোধহয় ওনার টাইম-স্কেল থিওরিতে। ঐ থিওরি তখনকার অধিকাংশ মহীরুহই মানতে চাননি। যেমন, আব্দুল করিম তো মনে করতেন যাবতীয় রাগ কল্যান রাগ থেকে উদ্ভুত। ওনার স্পেশাল হার্মোনিয়ামও নাকি কল্যানের শ্রুতিতে বাঁধা ছিল।
  • dri | 129.46.154.111 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ০০:৪৩391133
  • যে গান 'লিখে' রাখা হয়েছে সেটা মুখে মুখে চলে আসা গানের চেয়ে বেশী অপরিবর্তিত আছে, এই ধারণা কতটা সত্যি? এটা ধরে নেওয়ার বেসিস কি? আমরা কি জানি অনেকদিন আগেকার পারফরমেন্স কেমন হত?

    কথাটা মনে হল কেন বলি। ধরা যাক রবীন্দ্রসঙ্গীত। সুর তো লেখা আছে। কিন্তু স্টিল শান্তিদেব, সন্তোষ সেনগুপ্ত আর কণিকা, সুচিত্রার প্রেজেন্টেশানে বেশ অনেকটা তফাত। আর এখন শ্রীকান্ত আচার্য্য ধরলে তো কথাই নেই।

    আমার মনে হয় লেখা হোক বা না হোক, বদলে যায়। ভালো আর্টিস্ট সবসময় নিজের ছাপ রেখে যায়।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ০২:২৯391134
  • রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে আমারও দু পয়হা দেবার আছে। এখানেই দেবো?
  • d | 192.85.47.12 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ১০:০১391136
  • হ্যাঁ হ্যাঁ দিয়ে ফেলুন।
  • r | 59.162.191.115 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ১২:০৫391137
  • যে গান লিখে রাখা হয়েছে আর লিখে রাখা হয় নি, তাদের পরিবর্তনের গতির রকমফের তো রয়েছেই। রাবি ঠাকুরের গানের কথাই ধরুন। প্রাথমিকযুগে রবিবাবুর গান শুনুন। তখনো সিস্টেমেটিকভাবে স্বরলিপি প্রণয়ন শুরু হয় নি। মোটামুটি শুনে শুনে শেখা গান। ধরুন, কে. মল্লিক, রমেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তা আপ্তে, রাধারানী দেবীদের গাওয়া রবিবাবুদের গান। এরপর চলে আসুন, কণিকা সুচিত্রাদের জমানায়। এনারা রবীন্দ্রনাথ বা তাঁর পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি পাওয়া শিক্ষকদের থেকে শুনে শিখেছেন, এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের কোডিফিকেশনও দেখেছেন। প্রথম যুগ থেকে দ্বিতীয় যুগে গায়কীতে কিন্তু বিপুল বদল এসেছে। এইবার তৃতীয় যুগে আসুন, অর্থাৎ লোপমুদ্রা, স্বাগতালক্ষ্মী বা শ্রীকান্তদের যুগে। এদের শিক্ষা সম্পূর্ণ বিশ্বভারতীর স্বরলিপিনির্ভর। লক্ষ্য করলে দেখবেন, বদলে যাওয়ার গতি কিন্তু এখন অনেক কম। তার একটা কারণ স্বরলিপি, এবং দ্বিতীয় কারণ ক্যাসেট ও রেকর্ডের মাধ্যমে যান্ত্রিক কোডিফিকেশন।
  • r | 59.162.191.115 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ১৩:২৩391138
  • যে গানের স্বরলিপিকরণ হয় নি সেই গানের কথা ধরুন এবার। উত্তর ভারতীয় ক্লাসিকাল সঙ্গীতে উদাহরণ দেওয়া কঠিন কারণ বেশির ভাগ রেকর্ডিং হয়েছে ভাতখন্ডের কোডিফিকেশনের পরে। প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল দ্বিজেন্দ্রলাল বা নজরুলের গান। "ধনধান্যে পুষ্পে ভরা" দিলীপকুমার রায় এবং তাঁর শিষ্য প্রশিষ্যারা, অর্থাৎ মঞ্জু গুপ্ত, সুব্বুলক্ষ্মী বা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়রা যেভাবে অলঙ্কারসহযোগে গান এবং সাধারণত: যেরকম ন্যাড়াভাবে গাওয়া হয়, তার মধ্যে ব্যাপক প্রভেদ। নজরুলের গানের সুরের কাঠামোর তো মাথামুন্ডু নেই। রবীন্দ্রসঙ্গীতে কোডিফিকেশনের জন্য সুরের রকমাফের সব থেকে কম। তবে তাও রয়েছে কারণ রবীন্দ্রনাথ নিজে এবং তাঁর গানের কান্ডারীরা কেউই কোডিফিকেশনের কড়া ডিসিপ্লিন মেনে চলেন নি। অতএব যখন স্বরলিপির কাজ শুরু করা হল, তখন দেখা গেল বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে একই গান শিখেছেন। শেষে মূলত: পাঁচজন- দিনেন্দ্রনাথ, ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী, অনাদি দস্তিদার, শৈলজারঞ্জন ও শান্তিদেব- এদের কনসেন্সাসের ভিত্তিতে অনেক গানের স্বরলিপি তৈরি করা হয়। এমন কি যে শৈলজারঞ্জন স্বরলিপি মেনে চলার ক্ষেত্রে কঠোর নৈয়ায়িক ছিলেন, তিনিও কখনও স্বরলিপ করেছেন একরকম, শিখিয়েছেন আর একরকম। দ্রি জে "ছাপ" রেখে যাওয়ার কথা বলেছেন, সেই ছাপ কিন্তু সুরের রকমফেরের মধ্যে দিয়ে আসে নি। এসেছে কন্ঠস্বরের মডুলেশন, পিচ, ওজন, বিশেষ শব্দের উপর ঝোঁক, উচ্চারণ- ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে। অর্থাৎ যে জিনিষগুলো স্বরলিপিতে লেখা থাকে না।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ২২:৪৮391139
  • ইন্‌ফর্মেশান কন্টেন্টের দিক থেকে দিশি আকার-মাত্রিক স্বরলিপি বিলিতি স্টাফ নোটেশানের থেকে কম পরিণত - অর্থাৎ স্টাফে বেশি ইনস্ট্রাকশান ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। আকারমাত্রিক অনেক অর্বাচীন বলেও হতে পারে। আবার এও হতে পারে যে যন্ত্রসঙ্গীতের স্বরলিপি করার জন্যে স্টাফকে অনেক বেশি ইভলভ করতে হয়েছে। দিশি স্বরলিপি যন্ত্রসঙ্গীতের জন্যে তো ট্র্যাডিশানালি ব্যবহার হয়না।

    র যে বলেছেন কোডিফিকেশানের পরিণতির সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গানের স্ট্যাণ্ডার্ড ডেভিয়েশান কমে গেছে, সেটা একশোবার সত্যি। কিন্তু আমার মনে হয় সেটাই একমাত্র কারণ নয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত মাফিয়াদের এখানে একটা বড় ভূমিকা আছে।

    একই গানের স্বরলিপি ধরুন করেছেন সরলা দেবী, দিনু ঠাকুর আর ইন্দিরা দেবী। তিনজনেই মিস্টার টেগোরের কাছে ছেলেবেলা থেকে গান শুনে, শিখে বড় হয়েছেন। কাজেই মিস্টার টেগোরের গানের হাল-হকিকৎ যদি কারুর পক্ষে পুঙ্খাণুপুঙ্খভাবে জানা সম্ভব তাহলে এদের তিনজনেরই নাম আসবে। অথচ স্বরলিপি তিনটে আলাদা। তিনটেই মিস্টার টেগোরের জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়েছে, কাজেই ধরে নিতে পারি মিস্টার টেগোর এগুলোর অনুমোদন করেছিলেন। তাহলে এটা ভাবা সম্ভব যে গানের মধ্যে অল্প-বিস্তর এদিক-ওদিক রবীন্দ্রনাথ মেনে নিতেন। এ কথার সমর্থন পাওয়া যাবে রবীন্দ্রনাথ আর দিলীপ রায়ের চিঠিপত্রেও। কাজেই গান যে স্বরলিপিগাত্রে খোদিত কোন অজরামর জিনিস নয় এটা রবীন্দ্রনাথ বুঝেই কোডিফিকেশানের বন্দোবস্ত করেছিলেন।

    গোলমালটা বাধল রবীন্দ্রনাথ মারা যাবার পরে যখন সব রকম অথরিটি গিয়ে পড়ল বিশ্বভারতী ও বিশ্বভারতী সঙ্গীত বোর্ডের ওপর - একেবারে ক্ল্যাসিকাল "বাবু যত বলে, পারিষদদলে বলে তার শতগুণ' কেস। বোর্ড বলে দিল, ওসব কিছু নয়, তিনটে স্বরলিপির থেকে আমরা এই একটাকে বেছে দিচ্ছি স্বরবিতানের প্রকাশের জন্যে। আজ হইতে ইহা এবং একমাত্র ইহাই প্রামাণ্য বলিয়া গণ্য হইবে। বাকিসকল ধাড় মেঁ যায়। ব্যস্‌, রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাফিয়াডম শুরু হয়ে গেল। তারপরে কিছু বছর অন্য স্বরলিপিগুলো খুঁজে পাওয়া যেত বিশ্বভারতী বা অন্যান্য পত্রিকার পুরনো সংখ্যায়। কিন্তু কালের অমোঘ নিয়মে সে সব পত্রিকা লয়প্রাপ্ত হওয়ায় আর রবীন্দ্রসঙ্গীত ইণ্ডাস্ট্রির শাঁসেজলে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্বরবিতান নামক স্বরলিপির বই সর্বত্রগামী হওয়ায়, যা হওয়ার তাই হল। মাফিয়াডম গেঁড়ে বসল। একধরণের রেজিমেণ্টেশান কে প্রশ্রয় দিতে দিতে গান ব্যাপারটা হাওয়া হয়ে গিয়ে স্বরবিতান গাওয়া হতে লাগলে, আর তার থেকে একটু এদিক ওদিক হলেই মাফিয়াদের রে রে করে তাড়া। আর এই রেজিমেণ্টেশানেরই ফল গানের প্রয়োগের স্ট্যাণ্ডার্ড ডেভিয়েশান কমে যাওয়া।
  • r | 59.162.191.115 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ২২:৫৯391140
  • রেজিমেন্টেশন কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কনসিস্টেন্ট ছিল না। বিখ্যাতরা অনেকেই রেকর্ড করার সময় স্বরলিপি থেকে একটু বেরিয়ে এসেছেন। তাদের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার রাস্তা ছিল কারণ তারা রবীন্দ্রনাথের গানের অথেন্টিক কান্ডারীদের কাছে গান শিখেছিলেন। পার্থ বসু কণিকার গাওয়া এইরকম দুই একটি গানের কথা বলেছিলেন। দেবব্রত বিশ্বাসে গিয়ে আরও গোলমাল পাকাল, কারণ উনি শুধু সুর নয়, গানের টেক্সট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। "প্রথম আলোর চরণধ্বনি"- সবাই গায় "নীড়বিবাগী হৃদয় আমার", উনি গেয়েছেন "নীড়বিরাগী হৃদয় আমার"। জর্জ বিশ্বাসেরও ঠেকা ছিলেন অনাদিদা আর বটুক মৈত্র। কিন্তু তাঁরাও মারা গেলেন। তবে দেবব্রত বিশ্বাসের কেসে যেভাবে দেবব্রতকে ভিক্টিমাইজ্‌ড্‌ হিসেবে দেখান হয় তার সাথে আমি একমত নই।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:৩০391141
  • দেবব্রতর কেসটা কমপ্লিকেটেড। দেবব্রত তখন কমার্শিয়ালি সবচেয়ে সাক্সেসফুল রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, প্রচুর রয়ালটি পান। বিশ্বভারতী সঙ্গীত বোর্ডে তখন যাঁরা রয়েছেন, কয়েকজনের সঙ্গে কমার্শিয়াল স্পেসে দেবব্রতর ডিরেক্ট কম্পিটিশান। কাজেই কমার্শিয়াল রাইভ্যালরির দিকটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এর ওপর দেবব্রতর কোন শান্তিনিকেতন ব্যাকগ্রাউণ্ড নেই, সেরকম খুঁটি নেই শান্তিনিকেতনে, 'গুরুদেব'-এর সঙ্গে বসে কোন ছবি নেই। মাফিয়ারা গুরুদেবের ওপর মনোপলি ছেড়ে দেবে?

    আবার অন্যদিকে দেবব্রত অতি উত্তম গাইয়ে, জনাদরধন্য। কাজেই এক্সপেরিমেন্ট করতে করতে (এবং হাঁপানিজনিত নিশ্বাসের প্রবলেমকে একোমোডেট করার জন্যে) বেশ অন্যভাবে গানের প্রয়োগ করতে লাগলেন। লেগে গেল খটাখটি।

    গানের টেক্সটের ইশ্যু অন্যত্রও আছে - পঙ্কজ মল্লিক 'আমি কান পেতে রই'-এ গেয়েছেন, "ভ্রমর সেথা হয় বিবাগী/কোন নিভৃত পদ্ম লাগি। ভ্রমর সেথা হয় বিবাগী/নিভৃত নীল পদ্ম লাগি।" গীতবিতানে কিন্তু 'কোন নিভৃত পদ্ম' পাবেননা, অন্য কউকে গাইতেও শুনিনি।

    আমি যে রেজিমেন্টেশানের কথা বলছি, সেটা শুরু হয়েছে সত্তরের থেকে। অবশ্যই রেজিমেণ্টেশান মাফিয়াদের ওপর আরোপ করা হয়নি বা যায়নি। এর একটা অদ্ভুত ফল দেখা যায়। কপিরাইট চলে যাবার আগে, মানে যতদিন পর্যন্ত এলবাম বের করতে গেলে সঙ্গীত বোর্ডের অনুমোদন দরকার হত, তদ্দিন দেখবেন এলবামে লেখা থাকত, "শিল্পী: অমুক, পরিচালনা: তমুক'। পরিচালনায় যাঁর নাম থাকত তিনি কোন বিখ্যাত শিল্পী/শিক্ষক। এটা ছিল আপসকা বাত। র-বাবু ধরুন বিখ্যত শিল্পী, এখন বোর্ডের অনুমোদন কমিটিতে আছেন। শ্রী হরিদাস পাল ধরুন ন্যাড়াবাবুর ছাত্র। ন্যাড়াবাবুও বিখ্যাত শিল্পী, কিন্তু এ বছর বোর্ডে নেই। পরের বছর খুব সম্ভবত আসবেন। র-বাবু যখন হরিদাস পালের রেকর্ডটি পেলেন এবং দেখলেন যে ন্যাড়াবাবুর পরিচালনায় রেকর্ড করা হয়েছে, তিনি পাশ করিয়ে দিলেন। কারণ পরের বছর টেবিল উল্টে যাবে, আর তখন ন্যাড়াবাবুর কাছে র-বাবুর ছাত্রীর রেকর্ড অনুমোদনের জন্যে পাঠাতে হবে। এর ফলে বাজারে লোকে জেনে গেল, রেকর্ড করতে হলে র-বাবু বা ন্যাড়াবাবুর কাছে গান শিখতে হবে, নইলে রেকর্ড পাশ হবে না। ব্যস অমনি দলে দলে লোক এই দুজনের কাছে গান শিখতে লাগল, তৈরি হল আরেকরকম রেজিমেণ্টেশান।
  • r | 59.162.191.115 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:৩৩391142
  • দেবব্রত বিশ্বাসের কেসে যে বোর্ডকে অভিযুক্ত করা হয় সেই বোর্ডে কে কে ছিলেন? এখনও কোথাও এই তথ্যটা পাই নি।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:৪১391143
  • ঠিক কথা, এটা কেউ ঝেড়ে কাশেনা। সুচিত্রা মিত্র ছিলেন। শান্তিদেব ছিলেন না। এ দুটো ডেফিনিটলি জানি। বাকি খোঁজ করে দেখতে হবে।
  • r | 59.162.191.115 | ১১ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:৫০391144
  • এই পেজটা ইন্টারেস্টিং:

    http://ifellows2006.wordpress.com/fellows/dripta-piplai/

    কিন্তু এখানেও তথ্যটা পেলাম না।
  • ranjan roy | 122.168.75.158 | ১৪ অক্টোবর ২০০৭ ২১:৩৪391145
  • ন্যাড়া এবং r,
    একটু কনক বিশ্বাস, মালতী ঘোষাল আর নাটোরের মহারাজার স্ত্রী( নামটা কিছুতেই মনে পড়ছেনা)- এদের গায়কী নিয়ে একটু বলুন না!
  • r | 59.162.191.115 | ১৫ অক্টোবর ২০০৭ ১৮:৫১391147
  • মালতী ঘোষাল যত শুনেছি কনক বিশ্বাস তত শুনি নি। মানে যেহেতু অত রেকর্ড পাওয়া যায় না তাই শুনি নি। কিন্তু নাটোরের মহারাজার স্ত্রী কে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন