এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের কেলাস

    r
    গান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৬২৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 122.168.75.158 | ১৫ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:০০391149
  • মনে পড়ে গেছে। অমলা দাস- বেশ চড়া গলার জোয়ারি। মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের স্ত্রী। রবীন্দ্র-পত্নীর সখী এই মহিলার অসম্ভব সুরেলা চড়া গলার জন্যে রবীন্দ্রনাথ আলাদা করে কিছু গান লিখেছিলেন। আমার পছন্দ হল-" একি আকুলতা ভুবনে''। দুই সখীর গুজগুজ আর হেসে গড়িয়ে পড়া দেখে উনি লিখেছিলেন-"ওলো সই, ওলো সই, আমার ইচ্ছে করে তোদের মত মনের কথা কই।''
    কনক বিশ্বাসের রেকর্ড ছোটবেলায় রেডিওতে শুনেছি। মনে পড়ছে-" আমার পরাণ যাহা চায়'' আর একটু হাঁপানির টানের সঙ্গে "এখনও গেল না আঁধার''।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৫ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:০০391148
  • আমার আবার উল্টো, কনক বিশ্বাসই বেশি শুনেছি। কিন্তু এনাদের গায়কী নিয়ে লেখার মতন ফাণ্ডা নেই। নাটোরের মহারাজার স্ত্রী কে - এ প্রশ্ন আমারও।

    তবে মনে আছে, সাহানা দেবী শুনে বেশ নিরাশ হয়েছিলাম। পড়েছি রবীন্দ্রনাথের উক্তি, "যখন সাহানার গান শুনি, শুধু আমাকেই শুনিনা, সাহানাকেও শুনি" (paraphrased); সাহানা দেবীর শোনার আগে তাই একটা expectation ছিল যে না-জানি কি শুনব। এরকম ক্ষেত্রে শতকরা নব্বই বার আশাভঙ্গ হয়, এবারও তাই। তবে to be fair, সাহানা দেবীর এই রেকর্ডিং প্রবীন বয়েসের, গলা আর যখন সম্পূর্ণ স্ববশে নেই।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৫ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:০৬391150
  • ও, অমলা দাস! ওনার বেশি পরিচয় তো দেশবন্ধুর বোন বলে। অমলা দাসের বেশি গান শুনি। তবে 'এ কি আকুলতা' শুনেছি।

    কনক বিশ্বাসের "আমার দিন ফুরাল" এক অসামান্য গান। "এখনও গেল না আঁধার"-ও ফাটাফাটি। পরে সাগর সেনের 'দিনের পরে দিন" কনক বিশ্বাসের পাশে বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে।
  • Arijit | 77.98.196.117 | ১৬ অক্টোবর ২০০৭ ০২:২৬391151
  • এঁদের গান কোথায় পাওয়া যাবে? রেকর্ড না ক্যাসেট?

    অবশ্য রেকর্ড হলে বুড়োবয়সের সখটা তাড়াতাড়ি নামাতে হবে - এই যা।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৬ অক্টোবর ২০০৭ ০২:৫৮391152
  • HMV "অবিস্মরণীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত" বলে তিনটে ক্যাসেট বের করেছিল বছর চারেক আগে- পুরনো গাইয়েদের কিছু গানের সংকলন - তা'তে যেমন কনক বিশ্বাস, মালতি ঘোষাল, দিনু ঠাকুর আছেন, তেমনি রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী, কানা কেষ্টও আছেন। ওরাই সাহান দেবীরও একক বের করেছিল। আর কিছু গান বিভিন্ন পাঁচমিশেলি সংকলনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথের ১২৫ বছরেও একটা বক্স সেট বের করেছিল, তা'তেও বেশ কিছু পুরনো লোকের গাওয়া গান পাবেন।

    সবথেকে ভালো 78 RPM রেকর্ড পাওয়া গেলে। শুনেছি চোরবাজারে পুরনো রেকর্ডের দোকানগুলো এই ব্যাপারে খনি।
  • r | 125.18.104.1 | ১৬ অক্টোবর ২০০৭ ১২:৫৩391153
  • লিখছি। অমলা দাস শুনেছি। কিন্তু প্রাচীন রেকর্ডিঙের কারণে খুব একটা ইস্পেশাল ব্যাপার বুঝতে পরি নি।
  • kallol | 220.226.209.5 | ১৭ অক্টোবর ২০০৭ ০৯:৩১391155
  • এঁদের তুলনায় নবীনা কিন্তু ওনার গান শুনলেই আমার অসম্ভব আপ্লুত লাগে - রাজেশ্বরী দত্ত। একত লিনক দিলাম।
    http://www.esnips.com/web/rajeswareedatta
    কেউ কি ওনার গায়কী নিয়ে লিখবে/লিখবেন ?

  • nyara | 67.88.241.3 | ২০ অক্টোবর ২০০৭ ০১:৪৩391158
  • রাজেশ্বরী দত্ত জন্মসূত্রে পাঞ্জাবী, বিবাহসূত্রে বাঙালি - কবি সুধীন দত্তর বউ। সুরের অসাধারণ প্রয়োগ, উচ্চারণে অবাঙালিত্ত কিছু নেই। সাক্ষাৎ রবীন্দ্রনাথের কাছে গান শিখেছেন কিনা জানিনা, তবে ঘরানার দিক থেকে শান্তিনিকেতনী। রাজেশ্বরীর গায়নে যদি কিছু খামতি থাকে তাহলে বলব, তুলনামূলকভাবে উচ্ছল গানে তাঁর গান তেমন উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে না। 'ধীরে ধীরে ধীরে বও" গানের রাজেশ্বরীর কাছে 'আজি কমলমুকুলদল খুলিল'-র রাজেশ্বরী অনেক নিÖপ্রভ।

    রাজেশ্বরীর ট্রেডমার্ক যে গানগুলো, যেমন ধরুন, 'এ কি করুণা করুণাময়' কিম্বা 'অনন্তসাগরমাঝে দাও তরী ভাসাইয়া' এমনকি 'এ মোহ আবরণ খুলে দাও' সেগুলো সবই ব্রহ্মসঙ্গীত এবং কড়ারকম রাগাশ্রয়ী। বোঝা যায় স্বরপ্রয়োগের খুব ডিসিপ্লিনড শিক্ষা আছে।

    মজার ব্যাপার হল রাজেশ্বরীর স্বরপ্রয়োগের এবং গায়নের সঙ্গে আমি শান্তিনিকেতন ঘরনার থেকে বেশি মিল পাই দক্ষিণীর ঘরনার। সুবিনয় রায় কি অকালপ্রয়াত সুনীল রায় থেকে গুহঠাকুরতা বাড়ির রণো কি ঋতু - এদের যে অবিচলিত সুরে থাকা, যে একটু মৃদু গায়ন (ঋতুর তত নয় যদিও), ব্রহ্মসঙ্গীত ধরণের এবং কিঞ্চিত অপ্রচলিত ও শক্ত গান বাছাইয়ের ন্যাক তার সঙ্গে রাজেশ্বরীর ধরণ অনেকটাই মেলে।

    রাজেশ্বরী এসেছেন কনক বিশ্বাস, মালতি ঘোষালদের পরে কিন্তু সুচিত্রা, কণিকার আগে। তবু ধরতে গেলে ওনাকে সুচিত্রা, কণিকা, নিলীমার জেনেরেশানই ধরতে হয়।

    কনক বিশ্বাস, মালতি ঘোষালদের সময়ে রবীন্দ্রনাথ বেঁচে। স্রষ্টার গান পছন্দ হয়েছে কিনা তখন সেটাই শেষ কথা। রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেজিমেণ্টেশান তখনও শুরু হয়নি। কাজেই এঁদের গায়নের ধাঁচে বেশ পার্থক্য থাকা সত্বেও সেগুলো পরিপূর্ণ নিটোল গান হয়েছিল, কেউ মাথা ঘামায়নি ওটা রবীন্দ্রসঙ্গীত হল কি না!

    কিন্তু ১৯৬১-র রবীন্দ্র-শতবার্ষিকীর পর থেকেই, যখন 'গুরুদেব' ব্র্যাণ্ড চালু হল - তখন থেকে গানকে আগে রবীন্দ্রসঙ্গীত হতে হল, তারপর গান - এরকম একট অলিখিত নিয়ম চালু হল। প্রথমে নিগড় অত কঠিন ছিলনা, কিন্তু যতদিন গেছে তা বজ্রআঁটুনির মতন চেপে বসেছে। এরই মধ্যে গানের ফুল ফুটিয়েছেন স্টলওয়ার্টরা - রাজেশ্বরী যাঁদের একজন।

    গায়নে রাজেশ্বরী, সুবিনয় এরা যেমন নম্রভাবে, সুরের প্রতি অবিচলিত থেকে, এক্সপ্রেশানের অত্যন্ত পরিমিত ব্যবহার করেন তার উল্টোদিকে দেখি শান্তিদেব কি অশোকতরু কি গীতা ঘটককে (তিনজনেই শন্তিনিকেতন)। এনাদেরও স্বরের অসাধারণ প্রয়োগ - কিন্তু গানে নাটকীয়তা আনায় (গীতা ঘটকের ক্ষেত্রে তো বেশ কিছুক্ষেত্রে অতি-নাটকীয়তা) এনাদের জুড়ি মেলা ভার। আর এই নাটকীয়তা যেখানে মেপেজুকে লাগিয়েছেন সে সব গান এক অন্য জায়গায় চলে গেছে। সুচিত্রার 'কৃষ্ণকলি' (প্রথম রেকর্ডিং) শান্তিদেবের তুলনায় অনেক শহুরে, অন্যভাবে বললে আরো পরিমিত। তুলনা করুন শান্তিদেবের "আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে"-র সঙ্গে হেমন্তর। হেমন্তর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া নিয়ে পিউরিটান মহলে প্রবল নাক-সিঁটকোনো ব্যাপার আছে জেনেই বলছি। কিন্তু হেমন্ত গলার timbre বা সুর অধিকাংশ রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়কেরই নেই। এ গানেও হেমন্ত দারুণ, হয়তো বা গানের ইণ্টারপ্রিটেশানের হেমন্ত বেশি যথাযথ এক্ষেত্রে, কিন্তু শান্তিদেবের গানের যে উচ্ছলতা (এই গান রচনার ইতিহাস মনে করলে মনে রবীন্দ্রনাথ বোধহয় এই গানে এমন উচ্ছল গায়নই চেয়েছিলেন) তা অনুপস্থিত।

    যাকগে, রাজেশ্বরীকে দিয়ে শুরু করে অনেক এলোমেলো কথা বললাম - তাও আবার পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতের টইতে!
  • nyara | 67.88.241.3 | ২০ অক্টোবর ২০০৭ ০২:৩৪391159
  • সরি, "কণ্ঠ হতে গান"-এর ইতিহাসের কথা যেখানে বলেছি, মনে হচ্ছে 'থামাও রিনিকিঝিনিকি"-র সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছি।
  • i | 202.167.15.163 | ২০ অক্টোবর ২০০৭ ১৪:১০391160
  • সাহানা দেবীর একটি ক্যাসেট সাউন্ড উইং বের করেছিল-স্মৃতির ছবি নাম ছিল তার।রূপসাগরে ডুব দিয়েছি,পিপাসা হায় নাহি মিটিল, কে জানিত তুমি ডাকিবে, যাওয়া আসার এই কি খেলা, বড় বেদনার মত, ওগো কাঙাল, কেন যামিনী, দিন যায় রে, ফিরে এসো , না বাঁচাবে আমায়, তোমার সোনার থালায়, দিন ফুরালো হে সংসারী-এই গান কটি ছিল।
  • nyara | 67.88.241.3 | ২২ অক্টোবর ২০০৭ ২২:৫১391161
  • আমি সাহানা দেবীর এই ক্যাসেটের কথাই বলছিলাম। ভুল করে HMV-র ক্যাসেট লিখেছি। বাড়ি গিয়ে দেখলাম ওটা সাউণ্ড উইং-এর বের করা।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৪ অক্টোবর ২০০৭ ১০:৪৪391162
  • ন্যাড়া - রাজেশ্বরী দত্তকে নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।

    কেউ কি সলিল চৌধুরীর হারমোনি আর মহীনের হারমোনির ব্যবহার নিয়ে লিখবে ? আমাকে দেবজ্যোতি (মিশ্র) মনিদা চলে যাবার দিন শ্মশানে বসে বলেছিলো দুজনের হারমোনির ব্যবহার আলাদা। কত বললাম লিখতে - তা তার সময় কই !!!
    এখানে কেউ নিশ্চই লিখতে পারে।

  • r | 59.162.191.115 | ২৪ অক্টোবর ২০০৭ ১৪:১৭391163
  • এই মূহুর্তে আমার হাতের কাছে কনক দাশের গাওয়া এই পাঁচটি গান পাচ্ছি- চৈত্রপবনে মম চিত্তপবনে, সমুখে শান্তিপারাবার, হে নূতন দেখা দিক, জীবনে পরম লগন, সঙ্কোচের বিহ্বলতা (দেবব্রত বিশ্বাসের সাথে দ্বৈতকন্ঠে, দেবব্রত বিশ্বাসের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের রেকর্ড)। খুঁজলে হয়তো আরও কিছু পাওয়া যাবে। সুবিধ হল চল্লিশের দশকের রেকর্ডিং হলেও কনক দাশের গলা এবং গায়কী মোটামুটি অক্ষুণ্ন রয়েছে, যা অমলা দাশের ক্ষেত্রে আমি পাই নি। লক্ষণীয় কনক দাশ যে গানগুলি রেকর্ড করেছেন, সেগুলির বেশির ভাগ রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের গান এবং এই গানগুলিতে রবীন্দ্রনাথ রাগসঙ্গীত, বা লোকসঙ্গীতের বাঁধা কাঠামো থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সুর ভেঙেচুরে নিজের সিগনেচার টিউন তৈরি করেছেন, যা সুর ও তালের চলনের দিক থেকে খুব সহজ, আবার রবীন্দ্রনাথের ভাষায় "রসবস্তুর" দিক থেকে গভীর।

    কনক দাশের গানেও এই সহজ চলনটা ধরা পড়ে। কোথাও এতটুকু অতিরিক্ত কারিকুরি না দেখিয়ে, ইনোভেশনের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা দূরে ঠেলে সহজভাবে গানগুলো গেয়েছেন, কিন্তু তার জন্য গান কোথাও অসম্পূর্ণ থাকে নি। চল্লিশের দশকে গানের এই পরিমিতিবোধ অবাক করে। সে যুগের গান যারা শুনেছেন তারা অনেকেই জানেন কোডিফিকেশনের অনুপস্থিতির জন্য বেশ কিছু গানের সাথে আজকের সেই গান খাপ খাপে মেলে না। কনক দাশের গাওয়া কোনো গানে সেই অসুবিধা হয় না।

    আর কটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল কনক দাশের কন্ঠ অবাকভাবে সানুনাসিকতামুক্ত এবং ওজস্বী। উচ্চারণ বা মড্যুলেশনের সেযুগের কিছু প্রভাব থাকলেও কনক বিশ্বাসের গান শুনলে মনে হয় উনি কণিকা-সুচিত্রা-দেবব্রত-হেমন্তদের প্রজন্মেরই গায়িকা। সঙ্কোচের বিহ্বলতা শুনলে ওনার গলার তেজীয়ান ব্যাপারটা বোঝা যায়- শাজোয়ান বোনপো জর্জের সাথে হাঁক পাড়ছেন- টেরিফিক!

    অনেকদিন বাদে পরপর কনক দাশ শুনে মনে হল কনক দাশ সুচিত্রা মিত্র ও জর্জ বিশ্বাস- দুজনকেই পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছেন। যদি কণিকা এবং সুচিত্রাকে দুই বিশিষ্ট গায়কীর প্রতিভূ বলে ধরে নিই, তবে সুচিত্রা মিত্রের গায়কীর পূর্বসূরী হলেন কনক দাশ। একটা জায়গায় তফাৎ আছে, যেটাকে সনজীদা খাতুন বলেছেন, সুচিত্রাদির খাড়া খাড়া সুর লাগানো। সে যুগের রীতি অনুসারে কনক দাশের সুর লাগানোর ধরনটা আরও পেলব, একটু গড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু গায়নের স্বত:স্ফূর্ততায়, কন্ঠের দার্ঢ্যে এবং পরিবেশনার সহজতায় কেন জানি না, কনক বিশ্বাস বারবার অল্পবয়সের সুচিত্রা মিত্রকে মনে পড়িয়ে দেন।

    মালতী ঘোষাল একেবারে আলাদা- রবি ঠাকুরের গানের কিন্নরী। পরে বলছি।
  • nyara | 67.88.241.3 | ২৪ অক্টোবর ২০০৭ ২৩:৩৯391164
  • র-বাবু ভালো লিখেছেন। আমার হাতের কাছে ঠিক এই গানগুলো এই মুহূর্তে নেই, তবে গানগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কনক বিশ্বাসের গায়ন নিয়ে যা লিখেছেন, আমি অনেকটাই একমত। যে জায়গাটায় একমত হতে পারলাম না, সেটা হল কনক বিশ্বাসের গায়নের সঙ্গে প্রথমদিকের সুচিত্রার (এবং দেবব্রতর) গায়নে মিল। প্রথমদিকের সুচিত্রা খুবই সুরেলা - সেই 'হৃদয়ের একুল ওকুলের' সময়কার কথা বলছি। কিন্তু সেই সময় থেকেই ওনার গানে সিলেবল-ভিত্তিক এম্ফ্যাসিস দেখা দিয়েছে - তখন অতি অল্প, খুব মন দিয়ে না খুঁজলে ঠাহর করা যায়না। ওটাই ওনার গানের বিশিষ্টতা বলতে পারি। যেটা পরে অনেক বেড়ে গেল, হয়তো আইপিটিএ-র গানের প্রভাবেও বটে। আর এই এম্ফ্যাসিস আনার ফলে ওনার গায়নে একট স্ট্যাক্কাটো ধরণের আমেজ আসে, যেটাকেই খুব সম্ভবত সনজিদা খাতুন খাড়া সুর লাগানো বলেছেন। অন্যদিকে কনক বিশ্বাসের সুরের চলন কিন্তু একেবারেই লিগ্যাটো, আপনি যেটাকে গড়িয়ে চলা বলছেন - একদম ঠিক কথা। নোট থেকে নোট যাবার সময়ে মাঝে শ্রুতিগুলো ছুঁয়ে যাওয়া, স্পর্শস্বরকে আলতো করে আদর করার মতন ছুঁয়ে যাওয়া - এই আমার কাছে কনক বিশ্বাসের বৈশিষ্ট্য মনে হয়েছে। অথচ কনক বিশ্বাস কিন্তু মালতি ঘোষাল কি পরের সময়ের রাজেশ্বরীর মতন খুব কড়া রাগভিত্তিক গানগুলো গাননি। ওনার বিচরণ প্রধানত: রবীন্দ্রনাথের শেষের দিকের গান - যে গানের সুরে রাগ-ফোক-বিলিতি সব সুর মিলে মিশে স্বকীয় রাবীন্দ্রিক সুর হয়ে গেছে। আর সেখানে নিজের এই গায়ন দিয়ে পরের প্রজন্মের জন্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবার একটা এমন টেমপ্লেট তৈরি করলেন যে সেই টেমপ্লেটকে যথাযথভাবে ব্যবহার করার মতন স্কিল পাওয়া গেল 'শতেকে গুটিক'।

    এই মুহূর্তে হাতের কাছে কনক বিশ্বাসের শুধু পাচ্ছি 'সকরুণ বেণু', 'তোমার আমার এই', 'আমার দিন ফুরালো', 'ডেকোনা আমারে' আর 'বাজিল কাহার বীণা'।

    'সকরুণ বেণু'-তে নোট থেকে নোটে যেতে মীড়ের কাজ কনক বিশ্বাস যেরকম দেখিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথের গানে অমন পরিমিত অথচ কনস্ট্রেনড নয় কিন্তু একেবারে লা-জবাব শ্রুতির ব্যবহার খুব কম গানে পেয়েছি। এই গায়নের সঙ্গে তুলনা করুন দেবরজী দেবব্রতর 'সকরুণ বেণু'। দেবব্রত জানতেন যে মীড়ের কাজ তাঁর গলায় খুব আহামরি কিছু হয়না, তাই তিনি গানের ঐ দিকটা হাইলাইটই না করে সম্পূর্ণভাবে নিজের স্ট্রেংথের জায়গায় খেলে গেলেন।

    'তোমার আমার এই' আর 'আমার দিন ফুরাল' গানদুটোর ক্ষেত্রে আমি বলব কনক বিশ্বাসই শেষ কথা।

    আর ইয়ে, দেবব্রত কনক বিশ্বাসের দেওর, বোনপো নয়। কনক বিশ্বাসের বোনপো হলেন সত্যজিত রায়।
  • r | 59.162.191.115 | ২৫ অক্টোবর ২০০৭ ১১:৪৬391165
  • ন্যাড়াবাবু ঠিক লিখেছেন। বোনপো সত্যজিত রায়, দেবর জর্জ বিশ্বাস। পেডিগ্রিওয়ালা লোকেদের নেটওয়ার্ক মনে রাখা এত কঠিন! ;-)

    যে কারণে প্রথমযুগের সুচিত্রার সাথে কনক বিশ্বাসের মিল খুঁজে পেয়েছি তা হল ঐ- "গায়নের স্বত:স্ফূর্ততা, কন্ঠের দার্ঢ্য এবং পরিবেশনার সহজতা"। সুর লাগানোর ধাঁচে দুজনে যে আলাদা সেটাতে একমত। তবে কনক বিশ্বাস একদম সিলেবল-ভিত্তিক ঝোঁক লাগান নি তাও ঠিক নয়। যদি "জীবনে পরমলগন" শোনেন, তাহলে দেখবেন "কোরো না হেলা"-র হ-তে পুরো শ্বাস ছেড়ে একটা অদ্ভুত ঝোঁক দিয়েছেন, যেটা অন্য কারো গলায় পাই নি। কনক বিশ্বাসের গায়নের প্রভাব আর একজনের গয়নে পেয়েছিলাম। তিনি হলেন সত্যজিতজায়া বিজয়া। ওনার গাওয়া "স্বপ্নে আমার মনে হল" শুনেছিলাম- ফ্যান্টাস্টিক! গানটাকে পুরো ছবির মত সাজিয়ে দিলেন।

    একটা প্রশ্ন- কনক বিশ্বাসের যে গানগুলোর কথা বললেন, সেগুলো কোন ক্যাসেট/ রেকর্ডে আছে বলবেন?
  • r | 59.162.191.115 | ২৫ অক্টোবর ২০০৭ ১৫:০১391166
  • মালতী ঘোষালের গানের উল্লেখ কবি অনুরাধা মহাপাত্রের লেখা এই কবিতায় পেলাম-

    [...]Behind the deep yellow flowers
    you can still hear Malati Ghoshal's song, even more like
    sloping yellow flowers. If fallen bloody hair
    descends from the sky today
    and comes to a halt on the breasts, there's no salvation
    for this flower without a sun, nor
    for these jackals in a trance, the trees,
    the tambura of the woman's heart.


    মালতী ঘোষালের গান নিয়ে লেখার জন্য এই কবিতাটা একটা ভালো সূচনা। একমাত্র "যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার" ছাড়া মালতী ঘোষালের রেকর্ডে গাওয়া প্রায় সব গানই রাগসঙ্গীতনির্ভর অপেক্ষাকৃত দুরূহ গান। কনক বিশ্বাস যদি নিরাভরণ পরিমিতিবোধ নিয়ে আসেন, সেখানে মালতী ঘোষাল অলঙ্কারের ঐশ্বর্যে ঝক্‌মক্‌ করছেন। তবে সব অলঙ্কারই খাঁটি সোনার, কোথাও একফোঁটা ভেজাল নেই। রবীন্দ্রসঙ্গীতে বারোক স্টাইল বলে যদি কোনো কিছুকে সংজ্ঞায়িত করা যায়, মালতী ঘোষালের গান সেই বারোক স্টাইলের উদাহরণ। অথচ "এ পরবাসে" বা "কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে"র যে গভীরতা, তাকে এই অলঙ্কার কোনোভাবে ক্ষুণ্ন করে না। সাধারণত: আমরা রবি ঠাকুরের গান বলতে সুর ও বাণীর অপ্টিমাল সংমিশ্রণ ভেবে থাকি। মালতী ঘোষাল একমাত্র গায়িকা যাঁর গানে আমি কথার দিকে কান বন্ধ রেখে স্রেফ সুর শুনে গানটাকে ছুঁয়ে ফেলতে পারি। সুরের উপর কোন পর্যায়ে দখল থাকলে এই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। তখন মালতী ঘোষালের রবীন্দ্রসঙ্গীত শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত থাকে না, ভারতীয় রাগসঙ্গীতের উৎকৃষ্টতম নিদর্শন হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ দিলীপ রায়কে বলেছিলেন- "তোমাদের মতো প্রতিভাবান শিল্পীদের দিয়ে আমার ভয় নেই, কিন্তু এ পথ সবারই জন্য নয় জেনো। যাকে-তাকে যদৃচ্ছা পক্ষবিস্তার করার স্বাধীনতা দিলে তাতে সুফলের পরিবর্তে অপফলটাই ফলবে বেশি করে। সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। খুব মুষ্টিমেয় সংখ্যক শিল্পীগায়কের পরে থাকবে এর দায়িত্ব।" এই "মুষ্টিমেয়"র একজন অবশ্যই মালতী ঘোষাল। ঘরানার দিক দিয়ে রাজেশ্বরী দত্তই মনে হয় মালতী ঘোষালের নিকটতম উত্তরসুরী। তবে রাজেশ্বরী দত্ত " যে রাতে মোর দুয়ারগুলি" বা "বাদলদিনের প্রথম কদমফুল" গোছের গান রেকর্ডে গেয়েছেন। মালতী ঘোষালের গলায় এইজাতীয় কোনো গানের উদাহরণ শুনি নি। খুব ইন্টারেস্টিং হবে অমিয়া ঠাকুরের গাওয়া "এ পরবাসে"র পাশাপাশি মালতী ঘোষালের গাওয়া "এ পরবাসে" শোনা। ভালত্বের হিসেবে এই দুইয়ের মধ্যে কোনো তফাৎ করা মুশকিল। তবে অমিয়া ঠাকুর গেয়েছেন ঢালা গান হিসেবে, মালতী ঘোষাল গেয়েছেন তালবাদ্য সহযোগে। অমিয়া ঠাকুরের গানে তানকর্তব অনেক সীমিত। কিন্তু এই দুটি গান শুনলে বোঝা যায়, একজন গায়ক বা গায়িকা একটা সুনির্দিষ্ট স্ট্রাকচারের মধ্যে থেকেও কিভাবে নিজের নিজের ছাপ রেখে যেতে পারেন, কোনো অতিরিক্ত নাটুকেপনা বা বাদ্যযন্ত্র সহযোগ ছাড়া।
  • nyara | 67.88.241.3 | ২৬ অক্টোবর ২০০৭ ০৩:১০391167
  • কনক দাসের গানগুলো HMV-র 'অবিস্মরণীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত'-এ পেয়ে যাবেন।

    এবার মালতী ঘোষাল। র-বাবুর বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত হয়েও বলব আমি যে কোনদিন নির্দ্বিধায় মালতী ঘোষাল ফেলে কনক দাস কি অমিয়া ঠাকুর শুনব। তার প্রধান কারণ ঐ তানকারি। 'এ পরবাসে' আর 'কে বসিলে আজি' একই রাগাশ্রিত (বোধহয় সিন্ধু), চলনেও খুব কাছাকাছি। খুব বুকের পাটা না থাকলে এ দুটো গান কেউ একসঙ্গে গাইতে সাহস করেনা - বিশেষত যাঁদের রেকর্ডে গানের সংখ্যা অতি নগণ্য। এ দুই গানে, বিশেষভাবে 'এ পরবাসে' গানে, মালতী ঘোষালের তানকারি প্রায় পাতিয়ালা ঘরানার খেয়ালিয়াদের মতন - বিস্ময়ে হতবাক হতে পারি, টুপি খুলে উঠে দাঁড়াতে পারি, সোচ্চারে 'বাহ্‌ কেয়াবাত' বলতে পারি - কিন্তু গানে হারিয়ে যেতে পারিনি। তাহলে কি এই কারণেই সত্যজিৎ রায় কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিতে অমিয়া ঠাকুরকে দিয়ে 'এ পরবাসে' গাওয়ালেন, ততদিনে মালতী ঘোষাল গানটিকে কিংবদন্তী করে দেওয়া সত্বেও, যে লাবণ্যর চরিত্র তানের হরকতে হারিয়ে যাবে?

    অথচ তানকর্তব এড়িয়ে গাওয়া মালতী ঘোষলের 'যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার' যখন শুনি, তখন মনে হয় 'এই তো!' তবে এ কথা স্বীকার করতে অসুবিধে থাকার কথা নয় যে মালতী ঘোষালের মতন গলার স্কিল নিয়ে রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে আর কেউ আসেননি বা এলেও ঐ উচ্চতায় পৌঁছতে পারেননি। অত তানের বাহার, সূক্ষ্ণ মুড়কির কাজ সত্বেও ওগুলো 'রবিবাবুর গান'-ই থেকে গেছে। শুধু থেকেই যে গেছে তা নয়, এমন একটা স্পর্ধিত উচ্চতায় নিয়ে গেছে যে খুব দড় গাইয়েও ও গান গাইবার আগে শীতবোধ করবেন।
  • r | 59.162.191.115 | ২২ নভেম্বর ২০০৭ ১৫:২২391169
  • রবি ঠাকুরের গানের সিম্ফনি রূপ:
    http://tinyurl.com/278meg
  • r | 125.18.104.1 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭ ১৪:২৭391170
  • এই লিঙ্কটার জন্য আমাকে পেরাইজ দেওয়া উচিত। :-)

    http://www.avaxsphere.com/music/classical
  • Samik | 219.64.11.35 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:১৬391172
  • ব্ল্যাংকের জন্য তুলে দিলাম।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:১৭391173
  • লিখে দিলুম ভাট থেকে

    ধুস টই খুঁজে পাচ্ছি না। আমার পোশ্নো ছিলো যে এই পিরিয়ড গুলো চেনো কি করে? ছবি যেমন দেখে চেনা যায়, কোনটা রেনেসাস, কোনটা বারোক, তেমন ভাবে শুধু শুনে কি চেনা যায় মিউজিক গুলো র সময় টা।
    গেলে একটু উদাহরন দিয়ে বোঝাও আমাকে। মানে আমি শুধু শুনে কি বলতে পারি ভিভাল্ডি কোন পিরিয়ডের মানুষ বা কোন সময়ে কম্পোজিসান বানিয়ে ছিলেন?

  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:৩৫391174
  • উইকি খুঁজলে চরিত্রগত কিছু ফিচার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু শুনে চিনতে গেলে কান সেরকম তৈরী হতে হবে।
  • nyara | 203.83.248.37 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:৪৫391176
  • শক্ত উপায় আছে আর সোজা উপায় আছে।

    শক্তটাই আসল উপায়, সেটা আমি জানিনা।

    সোজাটা সোজা। তবে খুব সাবজেক্টিভ। আর সব গান এই ছাঁদে পড়বে না।

    বারোক: পিয়ানো নেই। হার্পের পিড়িং পিড়িং মাথা খারাপ করে দেবে। অসম্ভব কমপ্লিকেটেড ফ্রেজ বাজবে, কিন্ত শুনে কোন আনন্দ হবে না।

    ক্লাসিকাল: এই পিরিয়ডের সঙ্গে রোমান্টিক গুলিয়ে যায়, তবে সাধারণত: বেশ হ্যাপি-গো-লাকি ধরণের দিলখুশ করা বাজনা। স্ট্রাকচার্ড।

    রোমান্টিক: ক্লাসিকালে আরও রং মেশালে রোমান্টিক হবে। অনেক বেশি শেড আর মুড আসে। ক্লাসিকাল যদি তরুণ মজুমদার হয়, তাহলে রোমান্টিক তপন সিনহা।

    এর পরের গান আমি সেরকম শুনিনি। সেখানে যেমন মাহলার আছেন তেমনি রাখমানিনভও আছেন।
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:৫০391177
  • সেই জন্যি তো বলছি example দিয়ে বোঝাতে। তাহলে শোনার সময় প্যাটার্ন গুলো মেলাতে পারছি কিনা সেটা বুঝতে পারবো।
    বারোক পিরিয়েডের আগে রিদম এর reiteration ছিলোনা?
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:৫৫391178
  • ন্যাড়া দা
    যেটা বললো সেটা ফর্মুলার মতন :)

  • . | 125.18.104.1 | ১৪ মে ২০১০ ১৫:৫৯391180
  • :-)

    ন্যাড়াস্যারের পোস্ট আর অজ্জিতের লিঙ্ক পড়েই ধারণা হয়ে যাওয়া উচিত। স্রেফ শুনে বলা শক্ত। কিছু পড়ার দরকার হয়। যেমন মিউজিকাল ফর্মটা একটা বড় ব্যাপার। স্ট্রিং কোয়ার্ট্রেট বারোক যুগে ছিল না। সিম্ফনিতে কন্ঠসঙ্গীত ঢুকিয়ে দেওয়া বেঠোভেনের আগে ছিল না। কনচের্তো গ্রসো ব্যাপারটা বারোক যুগেই এসেছিল এবং বারোক যুগেই উপে যায়। বারোক যুগের গানে প্রচুর কন্ঠসঙ্গীত- প্রচুর ক্যান্টাটা, ওরেটারিও, অপেরা। ক্লাসিকাল যুগে এসে যন্ত্রসঙ্গীত প্রাধান্য পেল। বিটের কথা যেমন বলা আছে। বারোক এবং ক্লাসিকাল দুই যুগেই বিটগুলো মোটামুটি ইউনিফর্ম। বিট চেঞ্জ করলেও মূহুর্তে মূহুর্তে টাইম সিগনেচার পালটায় না। সেটা আধুনিক যুগে পালটালো। স্ট্র্যাভিনস্কির রাইট্‌স অফ স্প্রিং শুনলে বোঝা যায়। বাসো কন্টিনিউও বারোক যুগের গানের একটা বড় চিহ্ন। সারাক্ষণ গম্ভীর ভাবে চেলো, ডাবল বাস আর হার্পসিকর্ড বাজবে, সাপোর্টিং লাইন হিসেবে, মেলোডিক ভেরিয়েশন থাকবে না। এইরকম আরও অনেক কিছু আছে। গান শোন আর বই পড়- আস্তে আস্তে নিজেই শিখে যাবি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন