এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • sভ্যতা Rsংস্কৃতি

    tay ei katha
    বইপত্তর | ৩১ আগস্ট ২০০৭ | ১৬৯৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ১৮:৪৯391899
  • "শ্রুতং মে মা প্রহাসি
    অণেনাধিতেন অহোরাত্রান সন্দধামি"
    -উপনিষদ

    -যা আমি শুনেছি, যা আপ্তবাক্য হিসেবে পেয়েছি,তাঁকে যেন আমি ভুলে না যাই;তাঁকে যেন আমি অন্ধবিশ্বাসে মেনে না নিই।আমার দিনরাত্রি আমি নিয়োজিত করব এই অপ্তবাক্যকে পরীক্ষা করার ,সত্যকে জানার শ্রমে ,সন্দেহে ও তপস্যায়।

    যে পরীক্ষার কথা বলছিলাম।সত্যি তো আপ্তবাক্যকে কেন আমরা অন্ধবিশ্বাসে মেনে নেব।তার উপর আমাদের বৈদিক সভ্যতা যথেষ্ট আগ্রাসী।আদিম অনার্য সভ্যতা,দ্রাবিড়ীয় সভ্যতাগুলিকে সে গিলে খেয়েছে।তার তর্পণের মন্ত্রটাই এমন-
    "অতীতকুলকোটিনাং সপ্তদ্বীপনিবাসিনাং।
    বান্ধবা: অবান্ধবাশ্চৈব যেহন্যজন্মনি বান্ধবা:।
    তে তৃপ্তিমখিলাং যান্তু যে চাস্মৎ তোয়কাঙ্ক্ষিণ:"
    অর্থাৎ -সুদূর অতীত থেকে আজ পর্জন্ত সতদ্বীপা পৃথিবীতে আমার যেসকল বন্ধু বা শত্রু জন্মেছেন এবং প্রয়াত হয়েছেন,অন্যজন্মে যাঁরা বন্ধু বা শত্রু হবেন তাঁদেরও তৃপ্তি বিধান করে গেলাম।
    কী recurring decimal চালিয়ে দিয়েছে।অন্য সব সভ্যতা কোণঠাসা।
    কিন্তু ঐতিহাসিকেরা বারবার বলেন-যেকালে আর্যসভ্যতা দ্রাবিড় সভ্যতাকে দাবিয়েছে,সেইকালে দ্রাবিড় সভ্যতা শিল্প-সংস্কৃতির বিচারে আর্য সভ্যতার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলো।কিন্তু কালের এক অলক্ষ্য বিধানে আর্য সভ্যতার গরিমা বেড়ে ওঠে, দ্রাবিড় সভ্যতার গৌরব অস্তমিত হয়।আজ সারা ভারতে দ্রাবিড় ভাষভাষী মানুষেরাও ছেলেমেয়ের সংস্কৃত নামরাখেন।কিন্তু দ্রাবিড় সভ্যতা যে হারেনি।আর্যদের পুজা -উৎসবে দ্রাবিড় সংস্কৃতি গভীর ছায়া ফেলে গেলো।আর্যদের পুজা ব্যাপারটাই দ্রাবিড়দের থেকে নেওয়া।"দোলযাত্রা","ঝুলন্‌যাত্রা","রথযাত্রা"-প্রভৃতি ঋতুগত উৎসব যা সূর্যের আপাত গতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সেগুলি সবের উৎস ঐ দ্রাবিড় সভ্যতাই।"যাত্রা"বা"যাত্রে"শব্দটাই যে দ্রাবিড় শব্দ।
    দ্রাবিড়ীয় দেবতা"জগন্নাথ"("দারুদেবতা"-দ্রু বা দরু যার অর্থ বৃক্ষ,তার উৎসও দ্রাবিড়) এবং শিব হুহু করে সারা দক্ষিণ ভারত ছেয়ে ফেললেন।
    উত্তর ভারতেও অনার্য শিবের দাপটে আর্য দেবতা ব্রহ্মা,সূর্য মরুতে গিয়ে আশ্রয় নিলেন (পুষ্করে ব্রহ্মা,মোঠেরা,মিত্রবন,রণকপুরে সূর্য)।আরও,মজার ব্যাপার হল-আর্যদের ধর্মগ্রন্থ বেদকে শ্রুতির মাধ্যমে বংশপরম্পরায় বাঁচিয়ে রাখেন- সুদূর কেরালা,তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় ব্রাহ্মণেরা।
    কেদারনাথ,বদ্রীনাথের পুজারীও তো দ্রাবিড়ীয় রাওল ব্রাহ্মণ।
    মহাকালের নিরিখে কে জেতে ?আগ্রাসিত না আগ্রাসী? আক্রান্ত না আক্রমণকারী?
    কিন্তু আদিম অস্ট্রাল জাতির সভ্যতা যে বাদ রয়ে গেল।তাঁরা বল্লে-দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা! আঅম্রা দেব philosophyআর খাবার।
    ঋকসংহিতার সুবিখ্যাত "নাসদীয় সূক্ত"(ঋক সংহিতা,দশম মন্ডল,১২৯ সূক্ত),যার নামে এদেশের পন্ডিত থেকে শুরু করে পাশ্চাত্যের cosmology( ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টিতঙ্কÄ)চর্চাকারী জ্যোতির্পদার্থবিদদেরও নোলা সপসপ করে ওঠে ,তার উৎসও নিষাদ জাতির দর্শন।আর খাওয়া দাওয়া? লাউ,কুমড়ো,শাক ইত্যাদি খাওয়া তো ধরিয়েছে ঐ অস্ট্রাল জাতিই।যুধিষ্ঠির অবধি মহাভারতে বলছেন "দিনের শেষে যে শাক-ভাত খায় সে-ই সুখী"।

    আজ ৩১ আগস্ট।দুদিন আগে যদিইতিহাসে উঁকি মারতাম,দেখতাম,অনেককাল আগে ১৫৩৩ খৃষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট স্পেনীয় বর্বর ঔপনিবেশিকরা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছিলো ইনকা সামাজ্যের শেষ সম্রাট আতাহুয়ালপাকে। কয়েক হাজার ইন্‌কা সৈন্যকে সভ্যতা গর্বী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে হত্যা করেছিলো পিজারো আর তাঁর সৈন্যেরা।তারপর অসংখ্য ইনকা পুরাকীর্তি স্পেনীয়রা নষ্ট করে।একইভাবে মায়া সভ্যতার প্রচুর পুঁথি স্পেনীয়রা নষ্ট করেছিল।কারণ শুধু সামাজ্য বিস্তার নয়,একটা সভ্যতার উৎকর্ষের সমস্ত নিদর্শন ধ্বংস করে সারা পৃথিবীর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে, তারা অসভ্য ছিল,আমরা ইউরোপীয়রা তাদের সভ্য করেছি।
    বলা বাহুল্য,আমাদের দেশে ইউরোপীয় শক্তিগুলি সে সুযোগ পায়নি।জার্মান পন্ডিত মোক্ষমুলার তাই এক মোক্ষম চাল ঝেড়ে এক ভুতের গল্পের উপর নির্ভর করে বৈদিক সভ্যতার কাল টেনে আনলেন-খৃষ্টপুর্ব ১৭৫০ অব্দে।কিন্তু এর মধ্যে আবার ক্যানিংহাম ঘরভেদি হয়ে নতুন এক সভ্যতা আবিষ্কার করে ফেলেন আর কি! সিন্ধুনদীর পারের সিন্ধু সভ্যতা ।আরে চেপে যা।যা খুঁজে পেয়েছিস মাটি চাপা দে।দিয়ে প্রায় ফেলে,ওদিকে ওল্ডহ্যাম,জন মার্শাল,অরেলস্টাইনরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।আ: জ্বালালে দেখছি।বলি তোদের এ দরদগুলো তো ইউরোপের মাটি খুঁড়ে দেখাতে পারতিস।কেন? এখানে কেন?
    যতই খোঁড়ে ততই স্তর।অরেলস্টাইন ওল্ডহ্যামেরা আবার সরস্বতী নদীর শুষ্ক খাত দেখে এমন একটা সময়ের কথা বলতে লাগ্লে শুনলে ব্রহ্মতালু অবধি চমকে ওঠে।হ্যাঁরে,তোদের শরীরে কি একটু দয়া-মায়া নেই?কে তোদের স্কুলে পাতি গণিত শিখিয়েছে বল?আমার বৃটিশ সামাজ্যের সূর্যের পিছনে কেন এমন রাহু হয়ে লেগেছিস।কমা না বাবারা একটু।
    স্যর অরেলস্টাইনকে অন্তত আমি রসিকতার বাইরে রাখবো।কারণ এই মানুষটির ভারতীয় ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল অপরিসীম।হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদী খুঁজতে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটেছেন,মরুভূমির উত্তপ্ত বাতাসের মধ্য দিয়ে।
    অথচ তাঁর প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে আমরা সরস্বতী নদীর প্রাচীনত্ব,পুনর্জীবন ইত্যাদি বিষয়ে পাওয়া ভুতাঙ্কিÄক তথ্য,পুরাতাঙ্কিÄক তথ্য যাচাই করতেও যাই না।শুধু এক আর্যাক্রমণ তঙ্কেÄর ভিত্তিহীন গল্পকে আঁকড়ে বসে থাকি।আমরা সত্যিই রক্ষণশীল।
    আমরা যখন দেখি স্বাধীনতার পর আমাদের ভারতীয় ভুখন্ডের সিন্ধু নগরগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে,চন্দ্রকেতুগড়ের মতো পুরাকীর্তিগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে তখনও আমরা বুঝতে পারি না যে এক বহিরাগত বৈদিক সভ্যতার ভুত আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ,তর বয়েসও ঢের কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।কেন?
    তারপর শুরু হল satellite imagery।পুরাকীর্তির বয়স নির্ণায়ক যে c-14পদ্ধতি,যা নিয়ে বহু পন্ডিতের ঢের অসন্তোষ,তাকে যাচাই বা সাহায্য করার নতুন রাস্তা পাওয়া গেল।

    এবার একটু ভাষার জগতে ভাসাভাসি হোক।
    দ্যাখো,নানারকম তর্ক বিতর্ক থাকলেও গোটা পৃথিবীর পন্ডিতসমাজ মনে করেন,খৃষ্টপূর্ব ৪০০০০ বছর আগে ক্রোম্যাগনন মানুষেরাই প্রথম ভাষার সৃষ্টি করে। নিয়ান্ডারথাল সুন্দরীরা চোখে চোখে যতই প্রেমের ভাষা বলুক না,তারা মুখে কিছু বলতো না।শুনলে হয়তো অবাক হবেন পন্ডিতেরা স্বীকার করেছেন-ভারতীয় মাহুতেরা যে ভাষায় হাতিদের নির্দেশ দেয় সেটাই নাকি পৃথিবীর আদিমতম ভাষা।বংশপরম্পরায় শুনে শুনে অবিকৃত ভাবে ঐ ভাষাকে বাঁচিয়ে রেখেছে তারা।
    আমি অবাক হয়ে গিয়েছি যখন দেখলাম,আমার এই computer lab-এ hardware-এর কাজ করে যে দুটি ছেলে(একজন মণিপুরের ,অন্যজন অন্ধ্রের) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে দুনিয়ার সব ভাষার উৎপত্তি সংস্কৃত থেকে।আমার উদাহরণ দেখাতে শুরু করল-আহারকে তেলেগুতে বলে "আহারম"।সত্যি ভারতীয় ভাষাগুলিতে বিশেষ্য পদগুলির উপর সংস্কৃতের দাপট এতবেশী,যে আমার অস্পষ্ট ধারণাতেও বুঝলুম ওখানে সুবিধে করা যাবে না,তাই গানিতিক সংখ্যাগুলোকে নিয়ে পড়লুম।ব্যস,তেলেগুতে একবার শুরু করতেই দ্রাবিড়ীয় বেড়াল ঝুলি থেকে লাফিয়ে পড়ল।
    ভারতে থাকলে আর পকেটে কুড়ি টাকার নোট থাকলে হাতে নিয়ে দেখুন-ওর পিছনে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় লেখা আছে।দক্ষিণ বাদ দিলে,একমাত্রা বাংলা আর আসামী ছাড়া কেউ কুড়ি বলেনা,সংস্কৃত 'বিশ' সবাইকে খেয়েছে।মনিপুরি ছেলেটি বললো-ওরা কুল বলে।সাথী বাড়লো।হাত ও পায়ের কুড়িটি আঙুল গুনে কুড়ি শব্দটা আমাদের দিয়েছে আদিম অষ্ট্রালরা।
    পশ্চিমভারতের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যখন ইতিহাস খুঁজতে ঘুরে বেরিয়েছি,তখন দেখেছি গুজরাট আর মহারাষ্ট্রে জিভ দ্রাবীড়িয় কেতায় নড়ে,মারঠিরা লিখছে "কলস",উচ্চারণ করছে-"কড়স"।মারঠি ক্রিয়াপদে দ্রাবিড়ি দাপট যথেষ্ট-বলেছি-"সাংগিৎলা",নিয়েছি-"ঘেৎলা',শুনেছি-"আইকলা"।গুজরাতের বর্ণমালা দেখে তো খানিকক্ষণ নাচতে ইচ্ছে করবে-মাত্রা নেই;বর্গীয় জ,মুর্ধণ্য ণ তে আদিম সিন্ধু প্রভাব।আর আহমেদাবাদে এস টি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আমি ড আর র-এর উচ্চারণ শুনে আমি ভাবছি,সিন্ধু শহর আমি খুঁজে না পাই ক্ষতি নেই,তোমার জিভে এ উচ্চারণ বেঁচে থাক।
    কেন আমরা ভাবি-এ সভ্যতা শুধু বৈদিক? কে আমাদের ভাবায়?"কো অদ্ধা বেদ..."

    দাঁড়ান, একটু জিরাইয়া লই।এক সাথে এত অসইভ্যতা পোষাইবো না।
  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ১৮:৫৩392008
  • এক্কেরে গোড়াতেই একখান ভুল হইয়া গেচে জার কোনো ক্ষমা নাই।সেইটা হইলো-এইটা বই-এর আলোচনা না,এটা টই।কই আসেন সবাই-চই চই চই ।
    আরে ক্যাডা জানি কইত-"হংসো যথা নীরমধ্যাৎ"

  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ১৯:০০392087
  • আমাদের দৃষ্টিবোধ খন্ডিত হওয়ার কারণে আমরা কোন সভ্যতার সময়কাল বা প্রাপ্ত পুরাকীর্তির নিরিখে তার বিচার করি।চলমান জীবনের কোন পরতে তার কোনো ছাপ আছে কিনা,তা খুঁজি না।কোন একটা বিশেষ রাজনৈতিক,ধর্মীয় বা প্রযুক্তিগত দৃষ্টিবোধে তাকে দেখি;সামগ্রিক সংস্কৃতি বোঝার বিস্তার আমাদের নেই।
    তাই নিস্তারও নেই।

  • dd | 202.122.20.242 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ২১:৫৭392098
  • দাঁড়ান। তকাইএর পোস্টিংকে অমনি আর এস এসের পোস্টিং করে লেবেল মারবেন না।

    পড়ুন ইরফান হাবিব আর ভিজয় কুমার ঠাকুরের "The Vedic age and the coming of iron"। এই জন্যে নয় যে এরাই শেষ কথাটি বলবেন। পড়বেন,কারন এরা স্বঘোষিত বামপন্থী। এবং এঁদের বক্তব্যও অনেকটা (অনেকটা,পুরোটা নয়)তকাইএর মতন।

    বইটা আমার পড়া কিন্তু সংগ্রহে নেই। তাই কিছুটা স্মৃতি নির্ভর।

    1. বহিরাগত আর্য্যরা এসেছিলেন ১৫০০ বি সি নাগাদ।

    2.ততদিনে বেদ লেখা হয়ে গেছ। এবং আভেস্তা লেখা শুরু হয়েছে ইরানে। লিখেছেন একই জনগোষ্ঠীর লোক।

    3. হরপ্পা সভ্যতা তখন আর নেই। প্রধানত: জলের অভাবেই নগর সভ্যতাই শেষ। বেদেও কোনো নগর নেই। দুর্গ টুর্গ যা আছে সে সব অসুরদের।

    4. কিন্তু ঐ ফর্সা কালো ? ইর্ফান কইলেন একইভাশা গোষ্ঠীতে একাধিক জাতি থাকতে পারে। যেমন তুর্কী বলে মঙ্গোলয়েড উইঘুর আবার ককেসিয়ান তুর্কীরাও।

    আরো আছে। এট্টু ভেবে লিখবো।
  • dd | 202.122.20.242 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ২৩:৪১392109
  • মোটকথা বহিরাগত আর্য্যরা পুরন্দর ছিলেন না, ঋগ্বেদের রচয়িতাও নন।

    তারা মানে আর্য্যরা মানে ইরানীয়ানরা যখন হেথায় এলেন তখন নগর সভ্যতা বিলুপ্ত। ঋগ্বেদ অলরেডী ল্যাখা হয়ে গ্যাছে। নগর সভ্যতা আবার পুনর্জন্ম নেবে বুদ্ধের কালে। মাঝে কয়েক শতকের এক ছোটা সে ব্রেক।

    সব মিলিয়ে ,পার্জিটার থেকে ইরফান, নানান রাজনৈতিক চাপ , হিন্দুত্ব, বামপন্থা - খুব ধোঁয়াটে ব্যাপার। টপাটপ লেবেলিং চলে না।
  • tan | 131.95.121.132 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ২৩:৪২392120
  • খুব ভালো লাগছে তকাই আর ডিডি।চালিয়ে যান।একটু পরে বিস্কুট আসছে।

  • dd | 202.122.20.242 | ৩১ আগস্ট ২০০৭ ২৩:৪৪392131
  • আর এই বিষয়ে তক্কো কত্তে চাইলে ইরফান বাবুর লগের করবেন। আমার লগে প্যাচাল করবেন না। আমি দুত মাত্র।
  • Blank | 65.82.130.9 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০১:৫৬392142
  • ইদিকে রোমিলা থাপার বলছেন আভেস্তা আর বেদ হয়তো সম সাময়িক।
    The Avesta consists of two sections, the gatha section which is the earlier section, and the Yashta and Vendidad which are the later sections. It is now dated to about 1400 BC and could therefore be a contemporary text with the Rgveda.
    এমনকি ইরফান হাবিবের লেখাতেও তাই পেয়েছি। তবে ইরফান হাবিব কিছু টা খোলা মেলা।
    থাপার যেখানে ১২০০ BC র আগে বেদ নিয়ে যেতে চান না, সেখানে হাবিব বলেন ওটা ১০০০ থেকে ১৫০০ BC
    আর ঐ ১৫০০ BC র মাইগ্রেশান টা কে থাপার কিছু টা বদলেছেন। কনসেপ্ট এসেছে ফ্রগ মাইগ্রেশানের। মানে দুম করে কিছু মানুষের এসে পরা নয়। একটু একটু করে এগিয়ে এসে ঢোকা। মানে একটা জনগোষ্ঠী কিছু তা এগোলো। পরের টা আরো কিছু টা, এই ভাবে। ফলে মাইগ্রেশান টা একটা লং পিরিয়ড।
    এই মাইগ্রেশানের একটা বড় প্রমান হলো আভেস্তা। অভেস্তা তে ভেহো বলে কোনো জায়গা কে আর্য দের বাসভুমি বলা হয়েছে।
    থাপার লিখছেন,
    It describes the migration of people from the Oxus river to northeastern Iran, south western Afghanistan, the borderlands, to the regions that I mentioned earlier, Harahavati, Harayu, ultimately ending up in Hapta Hindu. So there is a clear geographical migration.
  • Arijit | 77.98.196.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০২:১৬392153
  • আরে ছোড়ো না ইয়ার - টইয়ের টপিক দেখে অপ্পন শেষ কথা বলেই তো দিয়েছে। ডাবল কপি করলে কি আর আপনা থেকে যুক্তি তৈরী হয়?
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০২:৩৫391900
  • একটা চ্যাংড়া প্রশ্ন মনে এলো,কয়েক শতকের ব্রেকের পরে বুদ্ধের আমলে নগরের পুনর্জন্ম শুনে। মানে,মানুষে বোধিলাভ করলেই কি নগর গজায়? সব নগরই কি প্রকারান্তরে বোধিনগর?
    স্বগত: এ:,আমার প্ল্যানটা মাঠে মারা গেলো! "ইতিহাসযান" নাম দিয়ে বৃত্রের ছেলে অরিত্র আর শক্রের(ইন্দ্রের) মেয়ে ইয়ন্তীর জমজমাট প্রেম, যুদ্ধ, বিষ্ফোরণ, বৃত্রসংহার, বাঁধ উড়িয়ে নদী মুক্ত করা ইত্যাদির পটভূমিকায় আর্যদের ভারতে আগমণ দেখিয়ে একটা উপন্যাস লিখবো ভাবলুম, কিন্তু সে গুড়ে বালি পড়ে গেলো!:-(((
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৩:০১391911
  • আচ্ছা ব্ল্যাংক, এই হরহবতী,সরয়ু আর হপ্ত হিন্দু জিনিসগুলো কি?
    বাঙাল উচ্চারণ এ স এর হ হয়ে যাওয়া নয় তো বাইচান্স?:-))))
    হুনীল হুনলে আজ কি কইতো?:-)))
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৩:১১391922
  • আর একটা কথা, আমরা এত লেবেল লাগাই কেন? অমুকে বামপন্থী,অমুকে ডানপন্থী,অমুকে পজিটিভিস্ট, অমুকে রিয়ালিস্ট, অমুকে সুররিয়ালিট, তমুকে ম্যাজিক রিয়ালিস্ট, সেমুকে লালপন্থী, অমুকে গেরুয়াপন্থী, তেমুকে সবুজপন্থী--এইসব লেবেল লাগিয়ে কি লাভ? লেবেল লাগালে যে অবজেক্টিভ দৃষ্টিতে আর কোনো কিছু দেখা যায় না সেটা আমরা বুঝি না?
    লেবেল লাগাই আর বনাম খাড়া করি, লাল বনাম সবুজ,সবুজ বনাম গেরুয়া, বাম বনাম ডান, দাদা বনাম দিদি---চলতেই থাকে চলতেই থাকে, এই করতে করতে নির্মোহ দৃষ্টিটা আর পাওয়াই যায় না।

  • Arijit | 77.98.196.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৩:৪২391933
  • লেবেল কোন লেখাকে লাগানো হয় না, একটা মেন্টালিটি বা অ্যাটিচ্যুডের ওপর লাগানো হয় - সেটা এই লেখাগুলো যেখানে আগে বেরিয়েছে সেখানে স্পষ্টই বোঝা গেছে। এই নিয়ে কোনো তর্কে আমি যাবো না।
  • Blank | 65.82.130.9 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৩:৫১391944
  • আমি লিখবো না ভেবেছিলাম, ডিডি দার লেখাটা দেখে লিখলাম। তাও বেশী টাই কপি পেষ্ট।

    আর ঠাকুমার জন্য,
    সিন্ধু আর হিন্দু র মধ্যে যে লিঙ্গুইস্টিক মিল টা আছে সেইটাই আছে এই 'হ' আর 'স' এর মধ্যে। আর বাঙাল রাও ঠিক এক ই কারনে 'হ' বলে 'স' কে অথবা ঘটি রা 'স' বলে 'হ' কে।
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৪:২৪391953
  • লেবেল সম্পক্কে:
    সেইটাই। এও একধরনের লিটল বক্স।তাই নয় কি? কোনো একজনের মতকে বা মনোভাবকে বা বক্তব্যকে লেবেল মেরে দেয়া।

    ব্ল্যাংক,
    :-)))))। তবেই বোঝো।
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৪:৪২391964
  • আমাদের মানে এই স্বঘোষিত প্রগতিশীল আলোকিত বামপন্থী বাঙালিদের মধ্যে একটা অদ্ভুত প্যারাডক্স আছে-প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি আমাদের কাছে অচ্ছুত ব্যাপার, ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলতে হয়।
    প্যারাডক্স হলো এইখানেই। ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলা তো রক্ষণশীলের লক্ষণ! প্রগতিশীল তো উল্টোটাই করবে,তাই নয় কি?
  • Arijit | 77.98.196.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৪:৫০391975
  • ট্যান - কথাগুলো বলতে চাই না। কিন্তু খোঁচা খেতে পছন্দ করি না। অরিজিনালি যেখানে লেখাগুলো বেরিয়েছিলো - নিশ্চয় পড়েছ - সেখানে প্রতিটা লেখার কোনো কাউন্টারের সাথে সাথেই এই লেখকের অদ্ভুত মনোভাবটাও দেখা গেছে। এগুলো কিছুই অচ্ছুৎ নয়, তবে লেখকের মনোভাবের ওপর নির্ভর করে যে এগুলো নিয়ে আলোচনা করবো না, করবো না। এর মধ্যে বেকার এই বামপন্থী-অবামপন্থী অকারণ খোঁচাগুলো আনতে যেও না - এই বারণটা মনে হয় তোমাকে আগেও বহুবার অনেকেই করেছেন। এর পরের কোনো খোঁচার আর উত্তর পাবে না। চেষ্টা করলেও।
  • a x | 65.43.179.102 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৪:৫৭391986
  • অরিজিনালি কোথায় বেরিয়েছিল? তয় কে তো এই প্রথম দেখলুম আমি - কিছু একটা মিস করছি নিশ্চয়ই। এই মুহুর্তে সোমনাথ জুৎসির biology as politics পড়ছি, সেই কনটেক্সটে এগুলো পড়তে মজাই লাগছে।
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৪:৫৮391997
  • অরিজিনালি যেখানেই বেরিয়ে থাকুক তাতে আমার কি? আমি এখানেই পড়ছি। সেই যে "কে" বললো না দেখে কি বললো দেখার কথা আমি চিরকাল সর্বত্র বলে আসছি সেটা আবারও বলছি।
    বক্তব্যগুলোই আমি দেখছি,সাধ্যমতো নিজেও খুঁজে দেখছি, মনে হচ্ছে না এগুলো আর এস এসের বক্তব্য।
    এইটুকুই। এর মধ্যে খোঁচা কিছু নেই। একটা আত্মসমীক্ষা আছে মাত্র। একজনের দুখানা পোস্ট দেখে হঠাৎ করে "শেষ কথা" বলে দিলে এরকম আত্মসমীক্ষা দরকার হয়ে পড়ে।

  • Arijit | 77.98.196.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৫:০৮392009
  • দুটো লেখা নয়, গত সাতদিনে খান দশেক লেখা দেখেই বলছি। এই অজ্ঞানতাটা স্বাভাবিক নয়।
  • tan | 131.95.121.132 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৫:১০392020
  • আবার অন্য সাইট! আরে! অন্য সাইটে কি হচ্ছে সেটা এখানে কথায় আসবে কেন? সেটা সেখানে হবে!
    বহু সুধী জনতা আগেও তো বারণ করেছেন!
  • Arijit | 77.98.196.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৫:১২392031
  • তাহলে লেখাগুলোর না আসাই উচিত ছিলো।
  • Arijit | 77.98.196.117 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৫:২৫392042
  • যাকগে - আমার কমেন্ট আমি উইথড্র করে নিলাম। লেখা চলুক। যদি ঠিক মনোভাব দেখি, তাহলে এর কাউন্টারে কিছু লেখার থাকলে লিখবো। দরকারে লেবেলও লাগাবো।

    যাও ট্যান - তোমারে শাপমুক্ত করে দিলাম।
  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১০:৪৫392053
  • এখানে লেখাটা নিয়ে এসেছিলাম মূলত দুটো কারণে-
    ১।ধারাবাহিক বিতর্কের অবকাশ থাকবে
    ২।কোন রাজনৈতিক রঙে বিচার হবে না

    কিন্তু দেখা যাচ্ছে,এখানেও...
    ইরফান হাবিবের কট্টর রাজনৈতিক মত থাকুক,তাঁর লেখা আমি তখনই পড়বো যখন তাতে যুক্তিসিদ্ধতা থাকবে।কিন্তু যখন দেখি,সরস্বতী নদীর পুনর্খননে ২ কোটি মানুষের জলসমস্যা মিটছে এবং হাবিব নির্লজ্জভাবে তার বিরোধিতা করছেন,তখন মনে হয় চোখে রং লেগে গেলে সাদা-কালো তফাৎ বোঝা যায় না।

    কোথায় আমি আর এস এসের রং লাগালাম জানিনা।সে কি সভ্যতাকে বৈদিক বলিনি বলে? নাকি ভাষাগত বিভিন্নতা দেখাতে ছেয়েছি বলে? নাকি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে geologically সরস্বতীর বিবর্তন খুঁজতে বলেছি বলে।
    মুশকিল হল- এসব রাস্তাগুলোয় হাঁটতে গেলেই রাজনৈতিক যুক্তিবোধগুলি ধ্বসে পড়ে।
    তখন নানা পন্থাশ্রয়ী গালাগাল দিয়ে থামিয়ে দেওয়া ভিন্ন উপায় থাকেনা।
    আরে বাবা,মিথটা তো বাঁচাতে হবে নইলে ভিত বাঁচেনা।
  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১১:২৫392064
  • a আর b-কে বলছি,স্কুলপাঠ্য বই,রাজনৈতিক ইস্তেহারধর্মী বই বাজারে ঢের আছে।কিন্তু আমাদের ঐতিহাসিকেরা আর রাজনীতিবিদেরা আবার বিজ্ঞান বোঝেনা।কিন্তুদাদারা ,দাদাগিরি করার আগে ঐ ৫০,১০০ বছরের পুরোনো বইগুলো আপনাদের নাকের সামনে টাঙিয়ে রাখবেন না।পরিণামটা বেদনাদায়ক হবে।
    বিদেশী ঐতিহাসিকদের যেমন আমাদের প্রতি অবহেলা থাকবে,তেমনই দেশীয় ঐতিহাসিকদের অন্ধ পক্ষপাতও থাকতে পারে।
    তাই নতুন বইপত্তর আর জার্নালগুলো একটু দেখুন না।আগ্রহী হলে আমি নাম দিয়ে দিচ্ছি,পরেই নাহয় বিচার করবেন কার কি রং ?
    নইলে তো "অন্ধেনৈব নীয়মানা যথান্ধা:"
  • Somnath | 59.93.192.186 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১১:৫৫392075
  • ফালতু ঝগড়াঝাঁটি করে কোনো লাভ আছে?
    তকাই যা যা বলার আছে বলে ফ্যালো, গোছানো থাক এক জায়গায়, আলোচনা, সমালোচনা, বিরোধীতা, আওয়াজ দেওয়া সবই হবে, তাতে কিছু যায় আসে কি?

    লক্ষ্য হল নিজের মতামত কে আর পাঁচজনের যুক্তি, আর মতের আলোয় যাচাই করে নেওয়া, তাই তো?

    ১০ পাতায় একখান সুতো ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরের কোনো স্থানের বর্ণনা ঋগ্বেদে নেই কেন - এই কুইজ কনটেস্ট।
    "আর্যরা কি বহিরাগত?" - এইরকম একটা নাম মনে পড়ছে। হয় কোনো টই ছিলো এই নামে, নয় অভিযান যে বইগুলো কিনেছে আর্য আর প্রাচীণ ভারত নিয়ে পড়াশুনো র জন্যে তার একটার নাম। হরপ্পা নিয়েও কটা বই আছে ওর কাছে। আমি হয়তো ল্যাদ খেয়ে পড়ব না, আর ও হয়তো ল্যাদ খেয়ে লিখবে না। তবে, লিখতেও পারে। আগে তকাই য়ের গল্পটা শেষ হোক।
  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:০৪392084
  • Vedic and late Vedic texts also contain interesting astronomical lore. The Vedic calender was based upon astronomical sightings of the equinoxes and solstices. Such texts as 'Vedanga Jyotish' speak of a time when the vernal equinox was in the middle of the Nakshtra Aslesha (or about 23 degrees 20 minutes Cancer). This gives a date of 1300 BC. The 'Yajur Veda' and 'Atharva Veda' speak of the vernal equinox in the Krittikas (Pleiades; early Taurus) and the summer solstice (ayana) in Magha (early Leo). This gives a date about 2400 BC. Yet earlier eras are mentioned but these two have numerous references to substantiate them. They prove that the Vedic culture existed at these periods and already had a sophisticated system of astronomy. Such references were merely ignored or pronounced unintelligible by Western scholars because they yielded too early a date for the 'Vedas' than what they presumed, not because such references did not exist.

    Vedic texts like 'Shatapatha Brahmana' and 'Aitereya Brahmana' that mention these astronomical references list a group of 11 Vedic Kings, including a number of figures of the 'Rig Veda', said to have conquered the region of India from 'sea to sea'. Lands of the Aryans are mentioned in them from Gandhara (Afganistan) in the west to Videha (Nepal) in the east, and south to Vidarbha (Maharashtra). Hence the Vedic people were in these regions by the Krittika equinox or before 2400 BC. These passages were also ignored by Western scholars and it was said by them that the 'Vedas' had no evidence of large empires in India in Vedic times. Hence a pattern of ignoring literary evidence or misinterpreting them to suit the Aryan invasion idea became prevalent, even to the point of changing the meaning of Vedic words to suit this theory.
    -David Frawley,American Institute of Vedic Studies,New Mexico


    কি এবার মাথাটা ঝিম ঝিম করছে নাকি?বুকে ব্যথা হচ্ছে?

    দাদারা,আমার কি স্বার্থ বলুন,বেদকে হাজার হাজার বছর পিছনে টেনে? কিন্তু আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলোকে ব্যধিমুক্ত করুন।কথায় কথায় বিদেশী ঐতিহাসিকদের টেনে নিয়ে ভারতীয় সভ্যতার একটি বিশেষ গোষ্ঠির সময়কাল নির্ণয় আমি করতে চাই নি,আপনারা লাফালাফি করছিলেন বলেই আপনাদের ল্যাজ কেটে দিলুম,এখন নির্ভয়ে মাটিতে পা রাখুন।
  • tay ei katha | 203.193.153.39 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:১৩392085
  • সোমনাথদা,খুব ভালো প্রশ্ন-বেদে ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরের বর্ণনা নেই কেন?তেমনই একটা দারুন প্রশ্ন -রামায়ণে সুগ্রীব মেরুজ্যোতি বা aurora-র বর্ণনা দিচ্ছেন কেন?
    আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ "ভারতীয় ভূবিদ্যার ক্রমবিকাশের ধারা"নামক একটি বই বিক্রি করে।সবিনয় অনুরোধ, একবারটি পড়ে দেখুন।
    সময়কাল নিয়ে এত বিতর্ক কেন?কারো হাতে কি সময় নেই?আমি ধার দিচ্ছি,নিয়ে নষ্ট করুন,বইগুলো পড়ুন।
  • d | 59.162.93.89 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:৪৩392086
  • tek,

    b মানে কি ব্ল্যাঙ্ক? আর a মানে অরিজিৎ? তাই যদি হয় তাহলে ব্ল্যাঙ্কের পোস্টে আমি কোনো "দাদাগিরি' পেলাম না। কিছু তথ্যের উল্লেখ আছে, সূত্রসহ। কোন বক্তব্যের কাউন্টার করে কেউ বক্তব্য রাখলেই যদি "দাদাগিরি' হয় আর তার জবাবে "ল্যাজ কেটে দিলাম মাটিতে নেমে আসুন' টাইপের কথা লিখতে হয়, তাহলে আর যাই হোক না কেন "আলোচনা' বা "বিতর্ক' কখনই হয় না। আর রোমিলা থাপার বা ইরফান হাবিব বিদেশী ঐতিহাসিক নাকি?

    অরিজিতের বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক ও অন্যায়। আমি এখানেই দেখছি লেখাটা, যদিও আন্দাজ করতে পারছি, কোথায় কি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু অন্য কোন মাঠের মারামারিগুলো সেখানে মিটিয়ে আসাই ভালো। তবে অরিজিৎ ওর বক্তব্য প্রত্যাহার ও করে গেছে। তার পরে নতুন বক্তব্য ও না রাখা পর্যন্ত অহেতুক অঁচড়ানর কোন অর্থ পাচ্ছি না।

    সত্যিই ডিবেট করতে হলে ঐ ব্যক্তিগত আঁচড় কামড়গুলো বন্ধ রাখতে হবে। প্রয়োজনে "রেসিজম' (৪, ৫ পাতা) বা terry eagleton' (৮#) এর থ্রেডগুলো দেখে নিতে পারেন।
  • Somnath | 59.93.192.186 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১২:৪৫392088
  • একটা রিকোয়েস্ট করি? এই মাথা ঝিম ঝিম, বুকে ব্যথা, অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি কে ব্যধিমুক্ত করার মহতী প্রয়াস, লাফালাফি ও ল্যাজ কাটা এগুলো বাদ দিয়ে নিজের কথাটা বললে বেশ হয়। এখানে যাঁরা লেখেন তাঁরাও এরকম আরো দশটা খোঁচা দিয়ে কথা বলতে জানেন, যা শুনতে তোমারও হয়তো ভালো লাগবে না। লেখালেখিকে সাবজেক্টিভ করতে পারলে তক্ক করতে সুবিধে হয়। এই সব পারসনিফায়েড আওয়াজ দেখলে অনেকের ই শুদ্ধ আলোচনা করার ইচ্ছে চলে যায়, এই যেমন এক্ষুনি আমার চলে গেল।

    আর দশ পাতায় যে থ্রেডটার কথা বললাম সেটা পড়ে নিয়ে কমেন্ট টা করলে ভালো হত, ওখানে প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমার মা আরো ভালো একটা প্রশ্ন করেন, সতীর এই যে বাহান্নটা দেহাংশ ভারতময় ছড়িয়ে তীর্থ হয়ে আছে, এর একটাও ভারতের বাইরে নেই কেন? স্বর্গ মর্ত্য পাতাল আর পৃথিবী এই সবই কি শুধু ভারত ভূখণ্ডটুকু জুড়েই? তাই ছিল সেকালেও? অপ্রাসঙ্গিক কথা ছাড়ো, যা বলার একসাথে মোটা করে বলে বলে রাখো সব রেফারেন্স টেন্স নিয়েই। বিদেশী ঐতিহাসিকদের কোনো রেফারেন্সই না দেওয়া সেই "ম্লেচ্ছ তাই অচ্ছ্যুৎ" গোছের একটা প্রাচীণ উন্নাসিকতা ছাড়া কিছুই প্রমাণ করে না।

    আর বেদ উপনিষদ থেকে কোট করলে রেফারেন্স দিয়ে দিয়ো। আমি মন্ত্রগুলো আর কিছু ইন্টারপ্রিটেশন টুকেও দিতে পারি সময় পেলে। যদিও তোমার সময় ধার নিয়ে যে সেটা সম্ভব নয় তা তো বুঝতেই পারছো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন