এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বইমেলা বন্ধ,,কি আনন্দ !

    rg
    বইপত্তর | ২৯ জানুয়ারি ২০০৮ | ১১০৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 128.48.203.128 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:২২394777
  • কিন্তু আনান্দবাজার কি পার্ক সার্কাস-এর বাসিন্দাদের হয়ে হাইকোর্টে শেষ মুহুর্তে মামলা ঠুকেছিল? না বোধহয় :-)
    আর যদি বলো খবরের কাগজ পড়ে মানুষ হঠাৎ পরিবেশ সচেতন হয়ে উঠল বা নিজেদের নাগরিক অধিকার সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হয়ে উঠল, শুধু তাই নয়, মামলা ঠুকে দিল, তাহলে তো বড় সুদিন (দুর্দিনও বটে) :-)
  • r | 59.162.191.115 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৩৩394778
  • এটা ঠিক বইমেলার সাথে সম্পর্কিত কিছু নয়। পরিবেশবাদ নিয়ে অর্পণ ও বোধির পোস্টের পরে কিছু সংযোজন।

    বোধি ঠিকই বলেছে যে সত্তরের দশকের প্রথম দিকে পরিবেশের অ্যাজেন্ডা বড় হয়ে দেখা দেয়। এটাও ঠিক যে এই অ্যাজেন্ডায় একটা বড় ভূমিকা ছিল শ্যুমাখারের লেখা বইটির। তবে এটা শুধু ইউরোপ নয়, মূলত: শিল্পোন্নত দুনিয়ায় দানা বেঁধে ওঠে। প্রথম গ্রীন পার্টি ইত্যাদি তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে। কিন্তু ভারতের পরিবেশবাদী ভাবনার পুরোটা পশ্চিম প্রভাবিত এবং আধুনিক এনজিও ডমিনেটিত নয়। সলমন খানকে জেলের ঘানি ঘোরানো বিষ্ণই সম্প্রদায় তৈরি হয়েছিল পঞ্চদশ শতাব্দীতে। এরপরে দুই বৃদ্ধ তো আছেনই- ঠাকুরদাদা ও গান্ধীবাবা। এমন কি চিপকো আন্দোলন যখন হচ্ছে, তখন ইউরোপে সবুজ আন্দোলন সবে দানা বাঁধছে। একদম ট্র্যাডিশনাল গঙ্গাভক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন স্বচ্ছ গঙ্গা আন্দোলনের উদ্যোক্তা সঙ্কটমোচন ফাউন্ডেশনের প্রধান বীরভদ্র মিশ্র, এবং সেটা সেকুলার গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী হয়েছে। কাজেই সবুজ আন্দোলনকে সবসময় শিল্পায়নের পিঠোপিঠি থাকতে হবে, সেইরকম নাও হতে পারে।

    মার্ক্স ও এঙ্গেল্‌সের কেন্দ্রীয় ভাবনায় পরিবেশ ছিল না, এবং উনিশ শতকে সেটা সম্ভবও ছিল না। তবে আজকাল অনেকে বলছেন এই পরিবেশ ও শিল্পের ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়নের কথা এঁরা বলে গেছেন এবং তার সমর্থনে লেখাও হাজির করেছেন। অনেকে বলছেন বিশের শতকে মার্ক্স ও এঙ্গেল্‌স জন্মালে এই ভারসাম্যের কথা আরও জোর দিয়ে বলতেন। তবে সে অন্য প্রসঙ্গ।
  • umesh | 62.254.196.200 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৫৩394779
  • হাইকোর্ট যে decision টা দিয়েছে সেটা তো ভুল decision নই।
    সমস্যা হলো কিছু মানুষ (হতে পারে আবাপ এর লোক) কোর্ট এ গেলো মৌলিক অধিকার হস্তক্ষেপ প্রশ্ন নিয়ে, হাইকোর্ট এর বিচারে মানুষ গুলোর দাবী ঠিক, decision হলো বইমেলা ওখানে হবে না।

    এখন এটা পরিষ্কার গিল্ড যেটা করতে যাচ্ছিল সেটা মানুষের মৌলিক অধিকার এর বিরুদ্ধে। এখন আমি প্রথম ভুল করেছিলাম, কোর্ট শাস্তি দিয়েছে, কিন্তু সেটা মেনে নেওয়া যায় না, তাই সব ব্যাটা কে ছেড়ে আবাপ কে ধরি।
    আর ধরে ধরে মানুষ এর সেন্টিমেন্টাল এ শুড়্‌শুড়ি দিই যাতে আমাদের ভুল টা মানুষ না ধরতে পারে।

    এর পর আমি কেন ঘুড়া'য়
    হাসবে

  • r | 59.162.191.115 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৫৮394780
  • আচ্ছা, এ সুতোর "আনন্দ" কি আবাপ-র আদ্যশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে? মানে, আমার এ থ্রেড শুধু তোমারে লক্ষ্য করে? ;-)
  • san | 117.97.31.100 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:১২394781
  • রঙ্গনদা এত জানেন , এত জানেন তবুও লক্ষ্যকে লক্ষ আর লক্ষকে লক্ষ্য লেখেন কেন এইটাই আমি কখনো বুঝে উঠতে পারি না
  • r | 59.162.191.115 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:১৬394782
  • এখান "লক্ষ্যের" ব্যবহার ডেলিবারেট, লক্ষ্য অর্থাৎ টার্গেট।

    মাইরি রসিকতার পরে টীকা লিখতে হচ্ছে!

  • san | 117.97.31.100 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:২৩394783
  • হুম, বয়স্ক মানুষের চোখ মারা টা আর কেউ লক্ষ করে না ,সেই টীকা , সেই ব্যাকরণ সিং ;-)
  • cephren | 128.252.20.65 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:২৯394784
  • একটা একদিনের প্রতীকী বইমেলার খবর দেখলাম, প্রত্যক্ষদর্শী কেউ যদি একটু বলেন ব্যাপারটা থিক কি হচ্ছে সেখানে।
  • Blank | 59.93.192.230 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:৪৩394785
  • আমি আ ব প কে নন্দ বলি নি, মিচকে বা ছ্যাঁচড়া বলেছি। সমস্ত রকম দুই এবং চার অক্ষর ও বলেছি।
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০২:৪৮394787
  • রিসেন্ট প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত চাইছি। কত খারাপ ছিল ময়দানের দূষণ? কি ধরণের দূষণ? কার্বন ডাই অক্সাইড? মনোক্সাইড? সালফার ডাই অক্সাইড? ধুলো? ধোঁয়া? শালপাতা?

    আমার বইমেলা যাওয়া, সে প্রায় বছর দশেক আগে। শুধু মনে আছে ধুলোটা বেশী ছিল। একটা রুমাল বেঁধে নিলে বেশী প্রবলেম নেই।

    আর শুনছি আবাপ আর দুচাট্টে প্রকাশন একটা মেলা করবে। সেখানে দূষণ কমানোর জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
  • cephren | 128.252.20.65 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:৩৯394788
  • আমি ২০০০ এর পর চার বছর বাদে ২০০৫ এর মেলায় গেছিলাম। বাড়বাড়ি কিছু মনে হয়নি তখন। বইএর নেশাতে দুউষণের দিক নজর ও সেভাবে দিতে পারিনি।নানারকম ফুড স্টল থেকে ধোঅঁয়া ইত্যাদি বেরোয় ঠিকই, কিন্তু অন্য একটা average মেলার থেকে বিশাল কিছু বেশীমাত্রায় মনে হায়নি।
    তবে গত দু বছরের কথা এখন যারা জচ্ছেন ভালো বলতে পারবেন।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:৪২394789
  • আমি বহুবার বইমেলায় গিয়েছি, অ্যাজমার রেগুলার অ্যাটাক হত তখন, মুল কারন ছিল পলিউশন - ধুলো ধোঁয়া ইত্যাদি - যেগুলো কলকাতার ভূষন - তবু কোনবারই বইমেলার জন্য মাঝপথে অসুস্থ হয়ে পরিনি, প্রায় প্রতিদিন মেলায় গিয়েও মেলার দুষনে ঘায়েল হই নি। তবে শেষবার মেলায় গিয়েছি ২০০১ সালে।

    বইমেলা যে দুষনটা ছড়ায়, সেটা মেলা মিটে যাবার পরে দেখা যায়, মাঠের গর্ত গুলো ভরাট করে না কেউ, ফোয়ারা গর্ত গুলো কংক্রীটের ঢালাইএর চিহ্ন সমেত জেগে থাকে, ইলেকট্রিক, টেলিফোন সহ বিভিন্ন রকমের তার গুলো তুলে নেবার পরেও দাগটা রয়ে যায় পরের বর্ষার জন্য। দৃশ্য-দূষন টা রয়ে যায় আরো ৫-৬ মাস। লক্ষ লক্ষ লোকের পায়ের চাপে মরে যাওয়া ঘাস গুলো জেগে ওঠে একটা বৃষ্টির পরেই, তবে গিল্ডের মাঠকে আগের অবস্থায় না ফেরানোর সদিচ্ছাই পরিবেশ প্রেমী মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। সুভাষ দত্তও তাই আমার সমর্থন পান। টয়লেট হয় যে জায়গাটুকু, তার কাছে একটু মেলা প্রাঙ্গন পরিষ্কার হলে ঘুরে আসবেন - কলকাতার ঐ অঞ্চলের সমস্ত নেড়িকুকুরের দেখা মিলবে।

    আরে একটা বড় প্রশ্নটা হল ময়দানে যে জায়গাটায় বইমেলা হয়, পার্কস্ট্রীটের ঐ কোনায় বইমেলা ছাড়া আর তো কিছুই হয় না, কেউ বেড়াতে আসে না, কেউ খেলে না; মাঠের উপর দিয়ে একটা সরু পীচের রাস্তা আছে ওখানে - সন্ধ্যেবেলায় কিছু অন্ধকার লোভী অসুস্থ জনতা ছাড়া আর কেউ তো ঐ প্রাঙ্গন মাড়ায় না - তবে কেন ময়দানে বই মেলা করতে অসুবিধা? বইমেলা চঙ্কÄরে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলেই হয়ত আর্ধেক সমস্যা মিটত। বই ভাল বাসলে ওনলি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন - শ্লোগানটাও খারাপ পপুলার হত না। শুধু ভি-আই-পি হবার দুর্ভাগ্যে মঞ্চলোভী মাইক প্রত্যাশী কিছু জনতার বড্ড অসুবিধা হত তাতে। সমস্ত ইন্ডাস্ট্রীতেই পরিবেশ সচেতনতাটা এখন অনেক বড় করে দেখা হয়, মেলাকে ইন্ডাস্ট্রী হিসাবে দেখে সেই ইন্ডাস্ট্রীতে পরিবেশবিদ নিয়োগ করে সদিচ্ছা দেখানোর অসুবিধাটা কোথায় সেটা আমার মত আমজনতা বুঝতে পারে না। খোদ গিল্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারের শুধু গিল্ডকে অলাভজনক সংস্থা বলে মনে হয় - বাকি আর কারো মনে হয় না। সততা প্রদর্শন করে গিল্ড তার আয় ব্যয় অডিট করিয়ে অলাভজনক সংস্থা বলে নিজেকে প্রমান করে না কেন? ময়দানে বইমেলা বন্ধ একদিনে হয়নি, টানা ৭-৮ বছর ধরে সুভাষ দত্তের মত অনেক পরিবেশবিদ লড়ে গেছেন - গিল্ড ও সরকারের হাতে অনেক সময় ছিল প্ল্যান-বি পরিকল্পনা ও এক্সিকিউশনের, গোঁয়ার্তুমিতেই করেন নি। "আমি রাজা - আমার কথা সবাই শুনবে' - এই দৃষ্টিভঙ্গীই সর্বনাশের বীজ পুতে দিয়েছিল হয়ত। এখন তাই আবার আমরা - ওরা, ইফ ইউ আর নট উইথ আস- ইত্যাদি...

    গতকাল ময়দানে প্রতীকি বইমেলা মঞ্চে ছিলেন অনেকে - আদালত অবমাননার দায় তারা এড়াতে পারেন কি?
    ও হ্যাঁ, মোমবাতি জ্বেলে বই পড়ার লোক পাওয়া যায় নি - সুশিল সমাজের অনুপস্থিতিও উল্লেখযগ্য :-)
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:০২394790
  • র‌্যাট, তুমি যে ধরণের দূষণের কথা বলছ, সেগুলো বড় বড় দূষণের স্কেলে খুবই নগণ্য। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ার মত ইরিভার্সিব্‌লও নয়। চেষ্টা করে আগের অবস্থাতে ফিরিয়ে আনা যায়, জাস্ট পয়সা দিয়ে। কলকাতার অনেক জায়গাই কোন বইমেলা ছাড়াও এইরকম খারাপ।

    একটা কাজ করলে পারত। ওটা তো মিলিটারির মাঠ। মাঠটা মুফতে না নিয়ে ভাড়া করার ব্যবস্থা করলে পারত। তাহলে বইমেলার পর মেরামতের খরচটা ঐভাবে উঠে আসতে পারত। একবার গিল্ড উঠে গেলে গিল্ডকে ধরে মাঠ পরিষ্কার করানোর লজিস্টিক্স খুব গোলমেলে। তার চেয়ে যার মাঠ সে পরিষ্কার করবে। পয়সাটা ফাস্টেই নিয়ে নেবে। এরম কোন প্রপোজাল কি টেবিলে ছিল?
  • cephren | 128.252.20.65 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:০৪394791
  • এ প্রস্তাব টা মন্দ নয় তো।।
  • Arijit | 77.103.111.51 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:০৮394792
  • এখানে কোনো প্রস্তাব-অল্টারনেটিভের গল্পই আসেনি - বাংলা ইগোর লড়াই। এবং কে কত বেশি পিছনে লাগতে পারে তার পরীক্ষা।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:১৮394793
  • ধুত্তেরি। দ্রি একটা পয়েন মিস করে গেলেন। "ময়দানে বইমেলা হবেনা' বলে কিসু আদতেও ছিলনা। মূল গপ্পোটা ছিল "ময়দানে মেলা হবেনা'। ওখনে বছরে বোধ হয় ছ মাস এটাসেটা মেলা হত। তাতে সুভাষবাবুদের দাবী ছিল ময়দানের সবুজের ক্ষতি হচ্ছে।

    এখন যদি বাকি সব মেলাগুলোকে তুলে সেরেফ বইমেলাকে ছাড় দেওয়া হয়, তবে বাকিরা ছেড়ে দেবে কেন? এইটাই হল পয়েন।
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:২৮394794
  • সিরিয়াস সবুজের ক্ষতি মানে তো ঐ একমাঠ ঘাস? পেপার পড়লে তো মনে হচ্ছে বিরাট বিরাট সব রেনফরেস্ট কেটে সাফ করে ফেলা হচ্ছে।

    এনিওয়ে, অন্য মেলাগুলো কোথায় রিলোকেট হল?
  • Arijit | 77.103.111.51 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৩০394795
  • ওই যে একটা মেলার মাঠ না কি হচ্ছে - সেখানে।
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৩২394796
  • তো সেই মাঠের ঘাসগুলোর কি হবে?
  • Arijit | 77.103.111.51 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৩৩394798
  • ওটা মনে হয় প্রগতি ময়দান গোছের কিছু - পার্মানেন্ট প্যাভিলিয়ন।
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৩৭394799
  • আহারে, তার মানে তো প্যাভিলিয়ান বানানোর আগে সেখানে যে কটি ঘাস ছিল সেগুলোকে পার্মানেটলি বাদ দিয়ে দেওয়া হল ইকোসিস্টেম থেকে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৪৫394800
  • উফ। এরা কেউ ঠিক সময়ে খবরের কাগজ পড়েনা।

    ঝামেলাটা সবুজ তুলে দেবার বিরুদ্ধে নয়। ঝামেলাটা হল "কলকাতা শহরের অভ্যন্তরে সবুজ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে'।

    ঝামেলার যুক্তি এইরকম:
    কলকাতা শহর দূষণে কাবু। শহরে মিনিমাম দশ না কত পার্সেন্ট সবুজ থাকা দরকার, কলকাতায় সবুজের পরিমান তার ঢের নিচে। জ্বালানিবিধি চালু হয়নি, দূষণ মাত্রা, শহরের অর্ধেক লোক হাঁপানিতে ভুগছে। তার উপরে শহরের একমাত্র ফুসফুস ময়দানের বুকে স্টিমরোলার চালিয়ে মেলা হচ্ছে।

    প্রোপোজড সলিউশন: শহরের সবুজটুকু রক্ষা করুন। মেলা শহরের বাইরে নিয়ে যান। সেখানে কিঞ্চিৎ সবুজ নষ্ট হলে ক্ষতি নেই, কারণ শহরের বাইরে অত্তো দূষণ নেই।

    ডি: আমার যুক্তি না। পরিবেশবাদীদের। আমি খালি লিখে দিলাম। :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৫০394801
  • তবে দ্রির একটা কথা ঠিক। এবারের টা বেশ গোলমেলে কেস। পার্ক সার্কাসের একদল "সাধারণ মানুষ' হঠাৎ হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করে ফেলল, আর জিতে গেল, ব্যাপারটা এতো সরল হওয়া টাফ। হাইকোর্টের আইনজীবীদের ফিই তো গুচ্ছ। মামলা চলেছে বোধ হয় মাস দুই। বা তিন। চাঁদা তুলে সেটা যোগাড় করতে গেলেও বেশ পাকা মাথা দরকার। গতবার সুভাষবাবু ছিলেন, তিনি বহুদিন ধরে ফাইট দিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু এইবার অ্যাতো হ্যাপা পোয়ালো কে? পাব্লিক? টাফ। টাফ। ভেরি টাফ।

    তবে আমার ভুলও হতে পারে। পাবলিক ক্ষেপে গেলে অনেক কিছুই করে ফেলে দুম করে। সেক্ষেত্রে মানতে হবে দেশে শিবিল সোসাইটির সত্যযুগ এলো বলে। :)
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৫:০৮394802
  • যে ধরণের দূষণে ইমিডিয়েট কষ্ট হয়, মানে চোখ জ্বালা করে, বা নিশ্বাসে কষ্ট হয় সেগুলো কার্বন ডাই অক্সাইড ও নয়। এবং শুকনো ধুলো। মূলত, পেট্রলের ইম্পাশিয়াল অক্সিডেশানে তৈরি হওয়া কিছু অক্সাইড (মোস্ট প্রবাবলি কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ইত্যাদি)। গাছ গাড়ীর সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইডে পাল্লা দিতে পারে অক্সিজেন বানিয়ে। কিন্তু অন্যান্য অক্সাইড ব্যালেন্স করায় কোন রোল নেই।

    কোলকাতার মধ্যে গাছ না থাকলেও, আশে পাশে গাছ ভালোই আছে। কোলকাতায় হাওয়াও ভালোই খেলে। সুতরাং কলকাতার মধ্যে একটা দশ একরের বদলে কলকাতার বাইরের দশ একরে ঘাস ছেঁটে দিলে কার্বন সাইকেলের বিরাট পরিবর্তন হয়ে যাবে সেটা মান একটু কষ্ট।

    অ্যাজ ফর অন্য অক্সাইড, সেগুলো কমানোর উপায়ের সাথে বইমেলার কোন যোগ নেই। একমাত্র ধুলোর সাথে ঘাস ছাঁটার যোগ আছে। জমিতে ঘাসের কার্পেট বেশী থাকলে শুকনো ধুলো কম ওড়ে। কিন্তু এখনো এমন কোন প্রপোজাল পেলাম না যেখানে ঘাস ছাঁটা কিছু কম হচ্ছে। যেটা বলা হচ্ছে, সেটা হল এখানকার ঘাস না ছেঁটে ওখানকার ঘাস ছাঁটো।

    তো আবাপ যে মেলা করবে সেটা শহর থেকে কত দূরে?
  • nyara | 67.88.241.3 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৫:৩২394803
  • দ্রির একটা বইমেলা ভিজিট ডিউ হয়েছে। দূষণ মানে শুধু গাছ আর কার্বন সাইকল? ট্র্যাফিকই যে পরিমান বাড়ে আর ইনকমপ্লিট কম্বাস্‌চন যা হয় দেশের ডিজেল পোড়ানো গাড়ি ঘোড়া থেকে, সেটা গাছবিহীন কলকাতায় কোন এসকেপ পায়না। তার সঙ্গে ধরুন সে¾ট্রাল ক্যালকাটার সাধারাণত: গভীরভাবে চুলকে থাকা ট্র্যাফিক প্যাটার্ন একেবারে মায়ের ভোগে চলে যাওয়া। এও দূষণ। এগুলো ডিরেক্ট। এর সঙ্গে ইনডিরেক্ট আছে। ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন যেতে এ অবস্থায় বারাসাত দিয়ে ডিটোর করে যেতে হয়। এক্সট্রা তেল পুড়ল।

    শহরতলীতে বইমেলা নিয়ে গেলে এর অধিকাংশ প্রবলেমই থাকবেনা। ট্র্যাফিক খুব বাড়বে না, কারণ মেজরিটি হুজুগে পাবলিক, "ধুর, অতদূরে বইমেলা! কাটাও" বলে নন্দনে গিয়ে ঝালমুড়ি খেয়ে প্রেম করবে।

    তবে দূষণ, কার্বন সাইকল এসবই মুট পয়েন্ট। অসল কথা দুইখান - অন্তত: পার্ক সার্কাসের ক্ষেত্রে। প্রথম, আর এটাই আমার কাছে প্রধান - সেটা হল সধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কথা না ভাবা। পার্ক সার্কাস অঞ্চল মূলত: রেসিডেনশিয়াল। সেখানকার রেসিডেন্টদের আমল না দিয়ে যা খুশি করা অন্যায় হয়েছে। সরকার ট্যাক্সপেয়ারদের কথা চিন্তা না করলে আদালত ছাড়া গতি নেই। দ্বিতীয়ত: এইসব কলকাতার গৌরব, বইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-ফুদ্ধ বলা প্রবল ঢপ। দু পক্ষই পশ্চারিং করেছে কারণ ধরে নিয়েছে এটা জিরো-সাম গেম।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৫:৩৫394804
  • আবাপে আজকে যে পার্কসার্কাস ময়দানের ছবি দিয়েছে তাতে বহু চেষ্টা করেও কোন প্রকার ঘাস খুঁজে পেলাম না। শুধু ঘাসের জন্য মেলা মারা গেল - এটা মানতেও কষ্ট হচ্ছে। ময়দানের যে অংশে বইমেলা হত সেখানেও কার্পেটের মত ঘাস কোথাও ছিল না, চাবরা চাবরা ঘাস - আর মাঠের মাঝে একটা পিচের উদ্দ্যেশ্যহীন রাস্তা, এক বন্ধু মন্তব্য করলে ও পীচের পার্মানেন্ট রাস্তাটাও নাকি গিল্ডের উপহার ময়দান কে :)

  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৫:৪৯394805
  • এক মিনিট ন্যাড়াস্যার। হ্যাঁ, ট্রাফিক বাড়া তো দূষণ বৈকি! কিন্তু সে দূষণ তো যত বেশী লোক রাস্তায় নামবে তত হবে। আপনি কি লোকের কমিউট করার বিরোধী? মানে ধরুন বেশী লোক যদি অপিসে চাকরি করে তাহলেও হবে। তো আপনি কি আরো আরো লোকের চাকরি করা সমর্থন করেন না?

    আর শহরের মধ্যে হলে বেশী তেল পুড়বে, আর শহরের বাইরে হলে বেশী তেল পুড়বে না কি করে? প্রত্যেককে যদি বেশী ডিসটেন্স যেতে হয়, তাহলে তো এরিথমেটিক মিলছে না।

    শহরের বাইরে দূরে প্রত্যন্ত জায়গায় মেলা করায় আমার অবশ্য কোন বিরোধ নেই। সেটা অন্য কারণে। পলিটিকাল কারণে। প্রত্যন্ত জায়গার মানুষেরও কালচারে হক আছে। কিন্তু প্লিজ, দূষণের গপ্পো শুনতে চাই না।

    আমি তো চাই আনন্দবাজার রামনগরে একটা মেলা করুক।
  • nyara | 67.88.241.3 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৬:০০394806
  • যাক্কলা! এ তো ক্লাসিক স্ট্রম্যান আর্গুমেন্ট হয়ে গেল। কথা হচ্ছে ময়দানে বইমেলা ভার্সেস শহরতলীতে বইমেলা। এই দুটো অপশনের মধ্যে প্রথমটায় অলরেডি বেশি ধুঁকতে থাক ইনফ্রাস্ট্রাকচারে চাপ বাড়বে। এর মধ্যে অফিস, কমিউট আসছে কোথা থেকে।

    ঠিক এরকম কারণেই, সরকারি দপ্তরখানা আপিস-পাড়া থেকে সল্ট লেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথম-প্রথম যখন আপিস-কাছারি সল্ট লেকে নিয়ে যাওয়া হল, তখনও লোকে এরকম চেঁচিয়েছিল। বড় ম্যাচ যখন ময়দান থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় (নেহেরু কাপ), লোকের কি গোঁসা! তবে তখন হাইকোর্টের দরকার হয়নি কারণ কমরেড মহর্ষিরা এগুলোয় তাদের ব্লেসিং দিয়েছিলেন।
  • dri | 129.46.154.111 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৬:১০394807
  • এই দেখুন, এখন দূষণ ছেড়ে ধুঁকতে থাকা ইনফ্রাস্ট্রাকচারে গেছেন। তাহলে তো এরকম নিয়মও করা উচিত যে সে¾ট্রাল ক্যালকাটায় আর কোন নতুন রিক্রুটমেন্ট হবে না।

    আর বিরোধিতা যেভাবে হল মনে হয় না আসল উদ্দেশ্য ছিল কলকাতা থেকে শহরতলীতে বইমেলা সরানো। যে বইমেলা সরাতে চায়, সে বইমেলাটা অন্তত চায়। আর তাই যদি চাইত, তাহলে বইমেলা শুরু হবার ঠিক আগের দিন কোর্ট অর্ডার আসত না। আসল উদ্দেশ্য ছিল বইমেলা ভেস্তে দেওয়া।
  • nyara | 67.88.241.3 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৬:২২394809
  • দুষণ ছাড়লাম কোথায়? নাকি আপনি বলছেন দুষণে ইনফ্রাস্ট্রাকচারে চাপ পড়ে না? আর বললাম তো দূষণ-ফুশন পরের কথা। ক্যাওটা দূষণ-কেন্দ্রিক নয় বলে মনে হয়। কিন্তু তা বলে "কোথায় দুষণ। এই তো সুন্দর মলয় বইছে" বলা বা "লোকে নিশ্বাস নিলেও দুষণ, হাইকোর্ট আগে লোকের নিশ্বাস বন্ধ করুক" বলে দুষণকে কাটিয়ে দেওয়া স্রেফ চালাকি - ইনটালেকচুয়াল ডিজঅনেস্টি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন