এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বি ই কলেজ ও বাওয়ালি

    Blank
    অন্যান্য | ৩১ মার্চ ২০০৮ | ১১৯৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aja | 207.47.98.129 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:১৮397353
  • কিসের ভিত্তিতে ঠিক হবে ক্যাম্পাসে কি ধরণের রাজনীতি চলা উচিৎ?
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:২৫397354
  • সাতকান্ড রামায়ন পড়ে অজদা প্রশ্ন তুলিলেন সীতা কাহার পিশেমশাই! দেখা যাচ্ছে নানা মুনির নানা মত।
  • aja | 207.47.98.129 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:২৮397355
  • ঠিক এই কথাটাই তো আমি বলার চেষ্টা করছি, যে নানা মুনির নানা মত। সেটাই স্বাভাবিক। অরাজনীতি হল এই নানা মতকে মেরে ফেলার চেষ্টা।
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৩৬397356
  • প্রথমত: 'অরাজনীতি'কে আরেকটা মত হিসেবে দেখা হবে না কেন?

    দ্বিতীয়ত: রাজনীতি-অরাজনীতির সংজ্ঞা দিয়ে 'পাত্রাধার কি তৈল' কেস হয়ে যাবে।

    তৃতীয়ত: মূল সংগঠনের বাইরে ছাত্র সংগঠনের আলাদা অস্তিত্বের কারণ কি?

    চতুর্থত: ক্রমশ: প্রকাশ্য।
  • Probir | 171.159.192.10 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৪০397357
  • সত্যি ই দেখছি আলোচনা টা BEC থেকে বেরিয়ে রাণাঘাট - Diamond Harbour - কাকদ্বীপ হয়ে একেবারে তিব্বতে চলে গেছে।

    আরিজিত দা কে question : তোমার কি মনে হয় না যদি CPM, Cong, Trinamul এর local কমিটি গুলো decide করে যে college এর গোলমাল এ তারা বাইরে থেকে পেশীশক্তি college এর মধ্যে ঢোকাবে না / College gate এর বাইরে opponent মত এর student দের ধরে পেটাবে না, তাহলে BEC র গোলমাল এর intensity টা কমার chance আছে ?

    আমি শুধু এই যোগাযোগ টুকু কমানোর কথা বলতে চেয়েছিলাম। বাইরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে না বলিনি ( ফরাসী / কিউবা / নন্দীগ্রাম / ...... ) ।

    তোমার তো CPM এর Howrah জেলা কমিটি র সাথে যোগাযোগ ছিল / আছে (তুমি আগে mention করেছিলে)। একবার চেস্টা করে দেখো না যদি আমাদের college এর গোলমাল কিছুটা কমে।
  • aja | 207.47.98.129 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৪৬397358
  • অরাজনীতি বস্তুটি কি?

    এখানে দুটো কথা বলে নি।

    ১। কোন ছাত্রের অরাজনীতির কথা বলার অধিকার আছে। এমনকি সে যদি অরাজনীতির ডেফিনিশন দিতে অস্বীকার করে, তাহলেও। কিন্তু অরাজনীতি বা তার ভার্সনের অরাজনীতিই ক্যাম্পাসের একমাত্র স্বীকৃত রাজনীতি হবে, এমন কথায় আমার আপত্তি আছে।

    ২। মূল সংগঠনের বাইরে ছাত্র সংগঠন কেন, এই প্রশ্ন ইরেলেভ্যান্ট (অন্য সুতোতে আলোচনা চলতে পারে)।
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৮ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৫০397359
  • অরাজনীতি বস্তুটি কি সে তুমি জানবে। আমি তো তোমার দেখে দেখে লিখলাম।

    মূল সংগঠনের বাইরে ছাত্র সংগঠনের প্রয়োজন কি, আমার মনে সেই আলোচনাটা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা না পরিস্কার হলে ক্যাম্পাসের রাজনীতির কী ও কেন আলোচনা নিরাবলম্ব হয়ে পড়বে।
  • aja | 207.47.98.129 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০০:০৩397360
  • অরাজনীতি বস্তুটি ভারী গোলমেলে ব্যাপার। উটি নিয়ে আলোচনা তো চলছিলই। তাই ভাবলুম তোমাদের মাথায় কিছু একটা আছে :)।

    তোমার কি মত যে আমরা ছাত্র সংগঠন দরকার মনে করলে তবেই পার্টিগুলোর ছাত্র সংগঠন থাকতে পারবে, নইলে নয়?
  • r | 198.96.180.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৪৭397361
  • বাইরের রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতির যোগাযোগটা একটু প্র্যাকটিকাল রাজনীতির অভিজ্ঞতা থাকলেই বোঝা সম্ভব। কিউবা-ভিয়েতনাম নয়, ধরা যাক একটা লাইব্রেরি দরকার। "অরাজনৈতিক" দলের মতে, কখগ কলেজের লাইব্রেরির সমস্যা শুধু কখগ কলেজেরই ছাত্রদের সমস্যা, অতএব, কখগ কলেজের সব ছাত্র মিলে আন্দোলন করে সেই লাইব্রেরি আদায় করা যায়। কিন্তু বাস্তবে ৯৯% ক্ষেত্রে এই লাইব্রেরির টাকা আসে সরকারের থেকে। এই খাতে খরচ করার টাকা নির্দিষ্ট এবং অনেক ক্ষেত্রে সীমিত। অথচ এই ফান্ডের ভাগীদার অনেক। অতএব, অনেকগুলো জরুরী প্রশ্নের উত্তর ভাবতে হয়- এক, এই টাকার বন্টন কিভাবে হওয়া উচিত, দুই, এই খাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ কি রকম হওয়া উচিত, তিন, এইজাতীয় অর্থের জন্য শুধু সরকারের উপর নির্ভর করা উচিত কি উচিত নয়, চার, এইজাতীয় অর্থের জন্য বেসরকারী ফান্ডের কাছে গেলে তার মোডাস অপারেন্ডি কি হওয়া উচিত এবং আরও অনেক প্রশ্ন যেগুলোর প্রত্যেকটি বৃহত্তর রাজনীতি, শিক্ষানীতি ও প্রশাসনের সাথে জড়িত। যদি ছাত্রসমাজকে একটা হোমোজিনিয়াস এনটিটি হিসেবে ধরতে হয়, তাহলে তার বিভাজন যদি এস এফ আই- সি পি- ডি এস ও- এইভাবে হত পারে, "অরাজনৈতিক" হিসেবেও প্রেসিডেন্সি-সুরেন্দ্রনাথ-মৌলানা-বঙ্গবাসী আরেক রকম বিভাজন। অতএব, দুইরকম পথ সম্ভব- এক, আমরা কখগ কলেজের ছাত্র, পফব কলেজের কথা ভেবে আমাদের কি লাভ, অতএব অত সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে আমাদের কি হবে- এইটা মোটামুটি প্রামাণ্য অরাজনৈতিক মত, আর দুই- যেহেতু আমরা ছাত্র সংগঠন, অতএব আমাদের ছাত্রসমাজের কথা ভাবতে হবে, অতএব আমাদের বৃহত্তর প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি হতেই হবে। যে কোনো বৃহত্তর ছাত্র সংগঠনকে এই প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি হতেই হয়, এমন কি একটি কলেজের লাইব্রেরি কি খেলার মাঠের মত দৈনন্দিন ইস্যুতেও। যেহেতু প্রশ্নগুলোর উৎস মূলত রাজনৈতিক, অতএব প্রত্যেক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন তাদের রাজনৈতিক অবস্থান অনুযায়ী উত্তরগুলো খোঁজার চেষ্টা করে। ন্যাড়াস্যার যেরকম "নিরালম্ব বায়ুভোজী" ছাত্র সংগঠনের কথা বলছেন, তারা ছাত্রস্বার্থের কথা বলতেই পারে, কিন্তু সেই ইস্যুগুলোর সুষ্ঠু দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে বের করতে পারে না। অতএব, এমন একটা সময় আসে যখন আই সি-কে তাদের ঘোষিত অরাজনৈতিক অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে সক্রিয়ভাবে বৃহত্তর রাজনীতিতে যোগ দিতে হয়। নইলে ছাত্রস্বার্থে বড়জোর পরের ফেস্টে শিলাজিতের বদলে সোনু নিগমকে আনা যায়- ঐটুকুই।
  • r | 198.96.180.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৫০397363
  • আজ সূর্য উঠেছে বলে লিখে ফেললাম। :-)
  • aja | 207.47.98.129 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৫৪397364
  • লাইব্রেরি-র মত আপাত অরাজনৈতিক ইস্যুরও একটা শ্রেনীভিত্তিক ডাইমেনশন আছে। লাইব্রেরি-আন্দোলনে যে ছেলের বই কেনার টাকা আছে তার উৎসাহ হয়তো একটু কম থাকবে। চাই কি সে ঐ আন্দোলনকে সময় নষ্ট বলে ধরে নিতে পারে। তার হয়তো ব্যাট-বল কেনার আন্দোলনে বেশি ঝোঁক। আর শ্রেনী ব্যাপারটা যেহেতু রাজনৈতিক, সেহেতু এই সব আপাত অরাজনৈতিক দাবি-দাওয়ারও একটা রাজনৈতিক ভিত্তি থাকে।
  • r | 198.96.180.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:০৯397365
  • তবে এইধরনের অরাজনীতির কিছু প্র্যাকটিকাল সুবিধে থাকে। কলেজের তিনবছর হাতে প্রচুর সময়, একটু প্রতিবাদ টতিবাদ করলে বিবেকও স্বচ্ছ থাকে, টাইমও শর্ট পড়ে না। তারপরে শাইনিং ইন্ডিয়া/বিদেশ এবং ঘরসংসার বৌ বাচ্চা ইত্যাদি ইত্যাদির চাপ। যে সমস্ত কলেজে এই অরাজনৈতিক ব্যাপারটি প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেইসব কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেকেই শাইনিং ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ স্তম্ভস্বরূপ। অর্থাৎ যাদের বস্ত্র নোংরা রাজনীতির ধুলোতে মলিন না হলেও দিন যাবে এবে পান খেয়ে। পেটে লাথি খাওয়ার বিরুদ্ধে রাজনীতি ও সেই রাজনীতিতে বৃহত্তর সংগঠনের ভূমিকা- এই ব্যাপারটাই এই সেকশনের কাছে অধরা অছোঁয়া (আমাকে নিয়ে)। বিবেকের টানে বা হুল্লোড়ের টানে রাজনীতির মেয়াদ মেরেকেটে তিন বছর। পেটে লাথি মারার বিরুদ্ধে রাজনীতি আজীবন চলে- তার জন্যই দল, তার জন্যই ভোট- সেটা সত্যিই "এখনকার আমাদের" গল্প নয়।
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:১০397366
  • লাইব্রেরির উদাহরণটা ভাল। মানে লাইব্রেরির টাকা সরকার থেকে আসে বলে উৎসের রাজনীতি বুঝতে হবে। ভাল কথা। এখন সরকার (মানে ধরে নিচ্ছি রাজ্য সরকার) এই টাকাটা পায় কেন্দ্র থেকে। চালাও পানসী উৎস সন্ধানে। তারপরে?

    ব্যাপারটা মডুলার হাওয়া উচিত। একটা প্রোগ্রাম যখন লিখছেন তখন যেমন দেখা দরকার একটা অবজেক্ট যেন সব কিছু করতে না চায়, তেমনই এখানেও তাই। দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দিন। আমার কলেজের লাইব্রেরির জন্যে আমি লড়ব। ঘুটিয়ারি শরিফ কলেজ লাইব্রেরির জন্যে সেই কলেজের ছাত্রছাত্রীরা লড়ুক। এখন যদি আমি দেখতে যাই যে ঘুটিয়ারি শরিফের কলেজের লাইব্রেরি আছে কি না, তাহলে তালেগোলে হরিবোল। ঘুটিয়ারি শরিফ কলেজেরও লাইব্রেরি হল না, আমার কলেজের লাইব্রেরি হল না। আমি চুল্লুর ঠেকে মান্থলি সাবস্ক্রিপশন নিয়ে নিলাম। সেই একই ব্যাপার 'থিংক গ্লোবালি, বাট অ্যাক্ট লোকালি'।
  • r | 198.96.180.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:১৫397367
  • শিক্ষা রাজ্যতালিকায় পড়ে- অতএব কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা থাকে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, কিছু সুনির্দিষ্ট প্রকল্প ছাড়া।

    কিন্তু লাইব্রেরিখাতে বরাদ্দ অর্থ বাড়ানোর জন্য কে লড়বে? স্ট্যান্ডিং কমিটিতে এই নিয়ে প্রশ্নটা কে করবে? ঘুটিয়ারী শরীফ কলেজের জি সেক? :-)
  • Arijit | 77.103.111.51 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:১৬397368
  • এর একটা উত্তর হয় সেই জর্মন ভদ্রলোকের কথা - কিন্তু সেটা তাত্বিক উত্তর। থাকুক। আর ভদ্রলোককে এই সামান্য ইস্যুতে ফের কোট করলে উনি বেজায় লজ্জা পাবেন।

    অবজেক্ট ওরিয়েন্টেশনের ভাষাতেই বলি - ফ্রেন্ড ক্লাসেরও দরকার পড়ে। বা জাভা প্যাকেজ বা জাভা ইমপোর্টের।
  • aja | 207.47.98.129 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:১৭397369
  • ন্যাড়ার এই মডুলারাইজেশনের যুক্তিটি বেশ। আমার কলেজের ছেলে-মেয়েদের বাবার পয়সা আছে, অতএব হু কেয়ারস অ্যাবাউট লাইব্রেরি। পানিহাটির লাইব্রেরি নেই, বাবার পয়সাও নেই, লেট দেম লুক আফটার দেমসেল্ফ। আমি খেতে পাই, পাড়ার মনুদা পায়না, সো হোয়াট! সে তো অন্য মডিউল। শ্রেনী রাজনীতি যে কেমন ভাবে মানুষ ইন্টার্নালাইজ করে ...
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:৩৩397370
  • এক এক করে।

    ঘুটিয়ারি শরিফ যদি ঠিকমতন শোর মচাতে পারে, স্টান্ডিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী নিজে হাত তুলে এ বিষয়ে বলতে উঠবেন। কিন্তু প্রশ্ন তারও আগে। কটা কলেজের ধামাধরা ছাত্র সংগঠন লাইব্রেরি-টাইব্রেরি ধরণের খুচরো জিনিস নিয়ে আন্দোলন করে? করে, যদি লাইব্রেরি ইস্যুকে লেভারেজ করে অন্য কোন দাঁও মারা যায়।

    অজদা এখনও মন বেশ সবুজ রেখেছে। অজদা মনে করে যে কলেজে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে পার্টির আউটপোস্ট আছে বলেই আজও সূর্য ওঠে, অস্ত যায় এবং প্রেসিডেন্সির পয়সাওলা বাপ-মায়ের ছেলেপুলেরা ঘুটিয়ারি শরিফ কলেজের লাইব্রেরির অভাবে কলেজ স্ট্রীট বন্ধ করে চাক্কা জ্যাম করে দেয়।
  • r | 198.96.180.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:৩৭397371
  • ন্যাড়াস্যারের মনটা সবুজতর- ঘুটিয়ারীর শরিফ কলেজের শোর মচানোয় তাদের লাইব্রেরি নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে প্রশ্ন উঠবে!!!! :-))
  • aja | 207.47.98.129 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০২:৫৬397372
  • প্রেসির ছেলে যদি ঘুটিয়ারী শরিফের দু:খু বোঝে আর তাই নিয়ে চাক্কা জ্যাম করে, সে পার্টির আউটপোস্ট কলেজে আছে বলেই। তবে সে তাদের করার ইচ্ছে নেই বলেই তারা অরাজনীতির কথা বলে। আর আবাপতে মাইলেজ পাওয়ার ইচ্ছে আছে বলেই সুশীলদের সাথে শোর মাচায়।

    সূর্য্য, সৌভাগ্যক্রমে, শ্রেনী রাজনীতির ধার ধারেনা। কিন্তু তাই বা বলছি কেন? পলিউশনের কস্ট যেভাবে ক্যাপিটালিজমে এক্সটার্নালাইজ করা হয়, তাতে সুর্য্যের তাতে বরফ গলে শিগগিরই অনেক গরীব দেশের মানুষের অনেক ভোগান্তি ঘটাবে।
  • r | 198.96.180.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০৩:১৪397374
  • এতসব করেও প্রেসির অরাজনৈতিক নেতারা কলেজের জন্য বিশাল কিছু আদায় করতে পারে নি, ক্যালাকেলিও থামাতে পারে নি, বরং কলেজ ক্রমাগত অবনমনের দিকে ধাবমান। যখন প্রেসিতে ধামাধরা ছাত্র সংগঠনদের প্রতাপ ছিল,তখন কিন্তু প্রেসি অদ্ভুতভাবে দেশের এক নম্বর কলেজ হিসেবে মান্যতা পেত। :-)
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০৩:৫৬397376
  • মিসটেক মিসটেক..... ইগনোর।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০৩:৫৬397375
  • যেকোনো ফর্ম অফ আর্ট কে যাস্ট একটা দিক থেকে বিচার করাটাই বেশ একমাত্রিক চয়েস। দর্শক বা শ্রোতা হিসেবে আমার ভালো লাগে বিভিন্ন ঘরানার আর্ট। লা স্ত্রাদা দেখে মন খারাপ হয় আবার আওয়ারা পাগল দিবানা দেখেও হাসি পায়। দুটো কে কখনো তুল্যমুল্য বিচার করি না। ওদিকে দ্রির হামিংবার্ডের ছবি বা তানিয়া র জলপ্রপাতের ছবি ভালো লাগে অন্য দিকে সৌমিত্র বাবুর পোস্ট প্রসেসিং। প্রতিটা ভালো লাগা অন্য ধরণের অন্যটার থেকে আলাদা। তবে এটা অনেকটা আপরুচি খানার মতন।

    আমার যেমন পাঁঠা ভালো লাগে অজদার কাঁচা মাংস :-)। আর এদিকে দেখছি ক্যাম্পিং শেষে জনগণ গ্র্যাক্যা যাচ্ছে। ভালো ভালো। র বলেছিল পচ্চিমের লোকে নাকি সন্ধ্যে দেবার আগে প্ল্যানিং করে। অতীব সইত্য।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০৭:২৫397377
  • আমার দু চার পয়সা।

    আমি অরাজনীতির পক্ষে নই একেবারেই। কিন্তু জিনিসটাকে একটুও খুঁটিয়ে না একেবারে দেখে উড়িয়ে দেবারও পক্ষে নই। এখানে ন্যাড়াদা বা অজদা "অরাজনীতি' শব্দটা ব্যবহার করেছে। সেটা তর্কের খাতিরে। আসলে ডিবেটটা অনেক পুরোনো। ""ছাত্রদের নিজেদের লড়াই নিজেরা লড়বে, তারপরে দরকার হলে বাইরের শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করবে'' বনাম ""বাইরের সংগঠন এসে ছাত্রদের সংগঠিত করবে, ছাত্ররা বাইরের সংগ্রামের সঙ্গে একীভূত হবে''। এই ডিবেটটা পুরোনো। সেই মার্ক্সের আমলের। মনে আছে, লেনিনের "কি করিতে হইবে' থেকে কোট করে ডিএসসির কাতিলদা এই ডিবেটে আমাকে প্রায় কাত করে দিয়েছিল, যে, ছাত্ররা/শ্রমিকরা আগে নিজেদের লড়াই/দাবীদাওয়া নিয়ে নিজেরা লড়ুক, সেখান থেকেই রাজনৈতিক চেতনা আসবে, বাইরে থেকে জোর করে রাজনৈতিক চেতনা সঞ্চারিত করা যায়না। বড়োজোর বইপত্তর যোগান দেওয়া যায়। মতাদর্শটা দরকারের সময় সাপ্লাই দেওয়া যায়। কিন্তু সংগঠন/বিপ্লব এক্সপোর্ট করা যায়না।

    এবং আন্দোলনের এই ধারাটা কিন্তু সেই মার্কসের আমল থেকেই রীতিমতো প্যারালালি চলে আসছে। কমিউনিস্ট লিঙ্গোতে এদেরকে "নিচুতলাবাদী' বলা হত (আমরাও বলতাম) :)। নকশালবাড়ি আমলেও এমসিসি মোটামুটি এই একইরকম একটা কথা বলে আলাদা থেকে গিয়েছিল। তারা কিন্তু উঠে যায়নি (এখন অবশ্য কোন বেসিসে সিপিআই মাওবাদী তৈরি হল, সেটা জানা নাই)। একদম হাল আমলে এই ধরণের মুভমেন্টের একটা উদাহরণ হল কানোরিয়া। যেখানে বাংলা বক্তব্য হল, সংগঠিত ট্রেড ইউনিয়ান আছে তো আছে। সে মালগুলো সব দালাল। আমরা শ্রমিকরা নিজেদের ফাইট নিজেরা বুঝে নেব, আপনারা প্লিজ নাক গলাতে আসবেন না। দরকার হলে আমরা বাইরের ট্রেড ইউনিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করব। আরও হাল আমলে হিন্দমোটর্সে প্রায় একই জিনিস হল। প্রায় বলছি, কারণ এক, ডিটেলটা আমার জানা নেই, দুই, সেখানে একটা সচেতন প্রয়াস ছিল বাইরের ট্রেড ইউনিয়ন মুভমেন্টের সঙ্গে জিনিসটাকে যোগ করার, যে কারণে গুরুদাস দাশগুপ্তকে ঐ ইউনিয়নটির সভাপতি করা হয়েছিল।

    তো, যাই হোক, গল্পটা পুরোনো। এটাকে বামপন্থী অ্যাঙ্গল থেকে দেখলে দুভাবে দেখা যেতে পারে। এক। যাঁরা মনে করেন, যে, দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তাঁরা ভাববেন, এই ধরণের আন্দোলন/সংগঠন বৃহত্তর শ্রমিক/ছাত্র আন্দোলনের পরিপন্থী। দুই। যাঁরা মনে করেন, সব ব্যাটা দালাল, তাঁরা ভাববেন, সমস্ত দালালদের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে অন্তত: এক দুটো জায়গায় তো বিচ্ছিন্নভাবে জনতা নিজের লড়াই নিজেরা লড়ছে।

    এই দুটো সিদ্ধান্তই সম্ভব। মানে এই দুটো হল দুটো এক্সট্রিম। সাদা এবং কালো। যার মাঝখানে অনেক শেড থাকতে পারে। কিন্তু প্রান্ত এই দুটোই।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ০৮:০৬397378
  • একটা খুব ইন্টারেস্টিং জিনিস হল, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মহলে এই ধরণের সংগঠনগুলির পপুলারিটি। অন্যগুলো জানিনা, কিন্তু কানোরিয়ার জন্য টাকা তুলতে গিয়ে দেখেছি, লোকে এগিয়ে এসে টাকা দিচ্ছে। একটা এক ঘন্টার স্ট্রিট কর্নারে হাজার খানেক টাকা উঠে যেত অনায়াসে। কিউবা থেকে বন্যাত্রাণ, কোথাও এ জিনিস দেখিনি। কখনও।

    তো, এই বিপুল পপুলারিটি, এটা মিডিয়া তৈরি করে দিতে পারেনা। এর একটা অবজেক্টিভ ভিত্তি থাকেই। কি সেই ভিত্তি, তার অনেক রকম ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আপাতত: খুব সংক্ষেপে লিখতে গেলে, আমার যেটা মনে হয়, এটা মাটির থেকে, রিয়েলিটি থেকে সংগঠিত রাজনীতির বিচ্ছিন্নতার এক রকম সূচক। সংগঠিত রাজনীতি শুধু না, গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রেরই বিচ্ছিন্নতার সূচক। রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে সরকার, প্রশাসন এবং জুডিসিয়ারি, সব কটাই ইনক্লুডেড। এবং এই বিচ্ছিন্নতার রিয়্যাকশন হিসাবে আমরা অনেক কিছু দেখি। খুব ছোটো স্কেলে দেখি গণপিটুনি। ভদ্রসমাজে দেখি "রাজনীতি নোংরা' এই স্লোগান। কোর্ট রাজনীতিবিদদের উত্তমমাধ্যম দিলে জনমানসে দেখি আনন্দের হিল্লোল। "কেমন দিল ব্যাটাকে'। এবং বড়ো স্কেলে দেখলে ক্রমশ: উত্থান হয় মায়াবতীদের। বা মাওবাদীদের।

    এই সব কটাই এক সূত্রে বাঁধা। ভারতবর্ষের সর্বত্রই আমরা দাদা দেখি। রাষ্ট্রস্বীকৃত দাদা। পাড়ায় দাদা করে দেন ঝগড়ার মীমাংসা। কলেজের দাদা করেন ভর্তিত ব্যবস্থা। ইউনিয়নের দাদা বদলির ব্যাপারটা দেখেন। যেখানে ইউনিয়নের জোর নেই, সেখানে এটা দেখেন লোকাল দাদা বা মালিকের চামুন্ডারা। সংগঠিত রাজনীতি এবং সংগঠিত দাদাগিরি প্রায় এক জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। পুরোটাই চলে রাষ্ট্রের নাকের ডগায় এবং মৌন বা সরব সম্মতিতে। এখানে বৃহত্তর রাজনৈতিক মেসেজটি হারিয়ে যায় লোকাল রিয়েলিটিতে।

    এটাকে আমি রাষ্ট্রের ফেলিওর বলব। গভর্নমেন্টালিটির সমস্যা বলব। সমস্যা না বলে গভর্নমেন্টালিটির ধরণ বললেও চলত। ধরণ বা একটি বিশেষ প্যাটার্ন। কিন্তু এটা সমস্যাই, কারণ, রাষ্ট্রসম্মত দাদাগিরি অবধারিতভাবেই জন্ম দেয় পাল্টা দাদাগিরির। স্থানীয় স্তরে। সেগুলো সবকটা ঠিক বিদ্রোহ নয়। অন্য দাদার বদলে নিজেকে দাদা বানানোর প্রয়াস। উদা: মায়াবতী। আর কতগুলো সত্যিই বিদ্রোহ। যেমন মাওবাদ। আর কতকগুলো হচ্ছে মেলানো-মেশানো। তার মধ্যে একটা হল লোকাল স্তরে রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান, কিন্তু গ্লোবাল স্তরে মেনে নেওয়া।

    আমাদের সংগঠিত পলিটিক্সকে এই নিয়ে ভাবতে হবে বৈকি। একদা আমাদের রাজনীতির প্রোজেক্ট ছিল "মানুষ গঠন'। গান্ধীবাদী বা বাম রাজনীতি, উভয়েরই। এমনকি আর এস এস এরও এমনই দাবী ছিল। আন্দোলনই নতুন যুগের নতুন মানুষ তৈরি করবে এরকম একটা দাবী ছিল। সে দাবী আর নেই। ওদিকে পশ্চিমের মত রাজনীতি এখনও কর্পোরেট হয়ে ওঠেনি। মাঝামাঝি কোনো একটা জায়গায়, মানুষ তৈরির বদলে দাদা তৈরির প্রজেক্টে আমরা আটকে গেছি। সংগঠিত রাজনীতিকে এই প্রবলেমটিকে অ্যাড্রেস করতে হবে। উড়িয়ে দিলে চলবে না।
  • hanu | 125.18.104.1 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ১১:১৭397379
  • যেহেতু বিতর্কটা এখন অনেক বড় হয়েই গ্যাছে, আবার নতুন কইরা যোগ দিলাম।

    চটজলদি তঙ্কেÄর সমস্যা হল তারা উদা বেছে নিতে থাকে এবং কনটেক্সট হারায়ে যায়।

    প্রথমত: রাজনীতির ভাল খারাপের লড়াই তে কানোরিয়া/মাওবাদ বনাম মায়াবতী/বড় ট্রেড ইউনিয়ন এই বাইনারি ক¾ট্রাস্টিং আমার মনে হয় অতি সরলীকরণ মাত্র। জনকল্যানে ব্যর্থ রাষ্ট্রের ও ব্যর্থ রাষ্ট্রীয় তথা স্বীকৃত ফোরামের ব্যবস্থা সম্পর্কে একটা হতাশার অবজেকটিভ ভিত্তি রয়েছে সেটা অস্বীকার করা মুর্খামি। করিও না। অথচ অসংখ্য কিন্তু থেকে যায়। এতই অসংখ্য যে ইশানের চটজলদি সংগৃহীত উদা থেকে নির্মিত তঙ্কÄ খুব বেশি দাঁড়াচ্ছে না। মাইরী ইশান তুমি দুর্দান্ত লেখ, তোমার লেখার ফ্যান হওয়া সঙ্কেÄও বলছি, তুমি তিনটে বড় ইনকসিস্টেন্সি কে জায়্‌গা করে দিচ্ছো। কানোরিয়া এবং এলিট বেসু দিগের ইন্ডি প্রয়াস কে এক প্ল্যাটফর্মে আনছো। এটা হয় না, মানে হলে শ্রেণী রাজনীতি বলে কিছু থাকে না, তাই যদি না থাকে কানোরিয়ার প্রফুল্ল চক্রবোর্তি থাকেন না। এই গুলোনো টা বাজার বাড়ানোয় আগ্রহী ও জাতিসঙ্কÄ¡ নির্মাণে আগ্রহী আবাপ করে তুমি করবে কেন? দ্বিতীয়ত: তথাকথিত 'ইন্ডিপেন্ডেন্স' কখনো-ই প্রশ্নাতীত নয়। মতাদর্শের দিক থেকেও নয়, রিয়েল্পলিটিকের দিকেও নয়। এমনকি এই 'ইন্ডিপেন্ডেন্স' আসলে পশচিমে জাতি রাষ্ট্র ব্যবস্থা কে শক্ত করেছে মাত্র। টি উ সির অনেক পার্টনারের প্রবল আপত্তি সঙ্কেÄও , টোনি বেন, গ্যালওয়ে , ফ্র্যাংক ডবসন প্রমুখ দের প্রবল আপত্তি সঙ্কেÄও লেবারের মূল কনস্টিউএন্সি তে এরা থাকা সঙ্কেÄও লেবার সরকার ইরাকে যুদ্ধ করেছে, সিভিল রাইট্‌স রেকর্ড করেছে, সর্বোপরি একটা রাইট উইং ট্রেন্ড কে সমর্থন করেছে। গোটা টাই জাতীয় স্বার্থের ব্যানারে। ট্রেড ইউনিয়ন যদি ইন্ডি না থেকে রাজনীতিতে আরো সম্পৃক্ত হত আরো বড় লিডারশিপ চ্যালেঞ্জ হত এবম নিউ লেবারের ধাষ্টামো আরো ঝামেলায় পড়তো। এবং এর একটি করোলারি আছে। তা হল, এই যে ধর 'ইন্ডি' এন জি ও মুভমেন্ট। আমার মতে বেশ কিছু গুরুঙ্কÄপূর্ণ ক্ষেত্রে অধিকারের বদলে উপকার কে লেজিটিমাইজ করে, শুধু তাই নয়, ধরো তাই নয় উন্নয়নশীল দেশের ইলেকটোরাল প্রোসেস কে ডিস এন্‌ফ্‌র্‌য়াঞ্চাইজ করে। এরা অতিরিক্ত পাওয়ারফুল হলে আর যাই হোক গণতন্ত্রের উপকার হয় কিনা সদেহ আছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের দিকে তাকাতে পারো।
    তৃতীয় একটি দিক আছে: সেটা হল সংগঠিত রাজনীতি , বিশেষত গণ আন্দোলন ভিত্তিক রাজনীতিতে ডিবেট থাকাটা বাঞ্ছনীয়, সেটা এলাকা দখলের রাজনীতির স্বাভাবিক পরিপন্থী। তার দায়িঙ্কÄ কোন গণ আন্দোলন ই এড়াতে পারে না। সেকটারিয়ানিজম কিস্যু দেয় না, কাউকে , ছাত্র দের, শ্রমিকদের বা সমাজকে। বড় দলের সেকটারিয়ানিজম কে চ্যালেঞ্জ করার উপায় হল আরো এঞে্‌গজে্‌মন্ট, মুক্ত আবদ্ধ প্রাঙ্গন নির্মাণ নয়। মুক্তাঞ্চলের রাজনীতি বড় দেশের দীর্ঘদিন ধরেই ব্যর্থ।

    বড় কইরা প্যাঁচাল আরো পরে। কাজ আছে। দুইটা গপ্প বলে যাই। ট্রেড ইউনিয়ন এর ইন্ডিপেন্ডেন্স কখনৈ প্রশ্নাতীত নয়। 'দালালি'(সমস্ত অর্থ সহ) ইন্ডিপেন্ডেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন যদি না করতো ভরতে বর্ষ কেন বিশ্বের ট্রেড ইউনিয়ন ইতিহাস অন্যরকম হত। এই ধরুন ভকস ওয়াগনের ইন্ডি ইউনিয়ন নেতা কদিন আগেই উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে জেলে যাবেন যাবেন অবস্থা। বম্বের ইতিহাস যদি দেখো, এই 'ইন্দি' মুভমেন্ট এর তাড়নায় শ্রমিক ঐক্যে যে ভ্যাকুয়াম তৈরী হয় ৮২-৮৩ তে, তার ঘায়ে এখন মোটামুটি বামপন্থী রাজনৈতিক উপস্থিতি প্রায় লুপ্ত হয়ে গ্যাসে গিয়া।

    বাকি কথা পরে হবে।

  • hanu | 125.18.104.1 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:৩৫397380
  • র দ্যাখলাম ইন্ডি রাজনীতির ইকোনোমিক পজিশন টা নিয়ে প্রশ্ন আগেই করে দিয়েছে।
  • hanu | 125.18.104.1 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:৪০397381
  • অন্য প্রশ্নে যাওয়ার অগে বলে নি ই মাওবাদ কে আদৌ বিদ্রোহ বলতে আমার ব্যাপক আপত্তি আছে। কারণ একটা বিদ্রোহের মেন এক্সপ্রেসন হল সিপিএমের স্থানীয় সদস্যদের খুন করা। খুনের রাজনীতিকে গ্ল্যামরাইজ করার প্রশ্ন ই ওঠে না। যে মরাল পজিশন থেকে সিপিএমের গুন্ডা ও পুলিশের হত্যালীলার বিরোধিতা করবো সেই পজিশন থেকেই মাওবাদ বলতে এখন যেটা চলে সেটাকে 'বিদ্রোহ' বলে স্বীকৃতি দিতে পারব না।
  • Arijit | 128.240.229.68 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:৪৫397382
  • বিদ্রোহ বলা যেতেই পারে। তুমি বোধহয় "বিপ্লব' বলছ। প্রথমটা রেবেলিয়ন, দ্বিতীয়টা রেভলিউশন।
  • hanu | 125.18.104.1 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:৪৬397383
  • একটা 'বিদ্রোহের' =এই 'বিদ্রোহের'
  • Arijit | 128.240.229.68 | ০৯ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:৫৭397385
  • বিদ্রোহ না বিপ্লব - সেটা হয়তো আপেক্ষিক। পশ্চিমী মিডিয়া এখনও বলশেভিক "বিদ্রোহ' বলে, বা কিউবার ক্ষেত্রেও তাই - আমরা বলশেভিক "বিপ্লব' বলি। রেভলিউশন কথাটা শুধু নিজেদের শিল্প বিপ্লবের জন্যে রিজার্ভড:-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন