এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইকনমি ক্রাইসিস ডোমেস্টিক মার্কিন গ্লোবাল

    lcm
    অন্যান্য | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ | ৩৪৬২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 122.160.41.29 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:২৩403073
  • রিয়েল এস্টেট আসলে ডিম্যান্ড সাপ্লাইয়ের খেলা। দিল্লি এনসিআরের গল্পটা জানি। এখানে গাজিয়াবাদ ফরিদাবাদ গুরগাঁও ছাড়িয়ে মানেসারে দিবারাত্র প্রচুর প্রচুর নতুন নতুন হাউসিং হয়ে চলেছে। সাপ্লাই এখানে বেশি, ফলে ডিম্যান্ড এই বাজারে ডাউন খেয়ে গেছে। তাতে করে কি ফ্ল্যাটের দাম কমেছে? না, কমে নি। বাড়ি ভাড়া একটু কমেছে। কিন্তু রিয়েল এস্টেট এখনও অটুট। হ্যাঁ, গত এক বছরে এখনও এস্ক্যালেশন হয় নি। আবার হয়েছেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে। দিল্লি মেট্রোর পিলার পোঁতা হলেই সেই এলাকায় দাম বেড়ে যায়, আর মেট্রো চললে তো আকাশ ছুঁয়ে যায়। যেন মেট্রোই সমস্ত উন্নতির ধারক ও বাহক।

    তো, এখনও পর্যন্ত মেট্রো যা চলছে, সমস্তটাই দিল্লির পরিসরের মধ্যে। কাজ চলছে, পিলার খাম্বা গাড়া হয়েছে, লাইন পাতা হচ্ছে, তবু এখনও নয়ডা গাজিয়াবাদ গুরগাঁও কোথাও মেট্রো চালু হয় নি। হতে হতে ২০১০ সালের জানুয়ারি। হলে পরেই দাম আরও আরও বাড়বে।

    আমি তো এখন পাক্কা দিল্লিওয়ালা। একটা বাড়ি হয়ে যাবার পর, রাতে খাবার হজম না হলেই জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি, আ হা, আরেকটা প্রপার্টি কিনে ফেলতে পারলে কী ভালোই না হত। ভেবেই চোঁয়াঢেকুর তুলি। তো, আমার মত লাখ লাখ লোক দিল্লি এনসিআরের বিভিন্ন বেডরুমে চোঁয়াঢেকুর তোলে। ডিম্যান্ড কমার প্রধান কারণ, সঙ্গতির অভাব। লোকের হাতে এখন অত পয়সা নেই, থাকলেও রিসেশনের মার্কেটে লোকে টিপে টিপে খরচা করছে, লোন নিচ্ছে না। কারণ কেউ জানে না দুমাস পরে চাকরি থাকবে কিনা। ফলে ঝাড় খাচ্ছে রিয়েল এস্টেট, ঝাড় খাচ্ছে ব্যাঙ্ক। অলরেডি ডিপোজিটে সুদ কমে গেছে। আর এফডি-তে সাড়ে দশ পার্সেন্টে সুদ পাওয়া যায় না। তো, লোককে আবার ডিম্যান্ডমুখী করতে সরকার হোম লোনের সুদ কমিয়ে দিল, কিন্তু রিয়েল এস্টেটের দাম রিসেট হল না।

    ডিডিএ-র রিসেন্ট ফ্ল্যাটের ড্র-তে বিশাল বড় ঘাপলাবাজির গল্প তো সবাই পড়েছো। এই সব কারণেই ঘাপলা হয়। ডিডিএ যে ফ্ল্যাট আঠেরো লাখে বিক্রি করল, লাকি ড্র তে যার নাম উঠল, সে পজেশন নেবার আগেই সেই ফ্ল্যাট বত্রিশ লাখে বিক্রি করে দেবে। কেনার লোকের কমতি নেই। কে চায় না দিল্লিতে নিজের নামে একটা ঘর হোক! ডিডিএ যে দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করছে, মার্কেটের দামের কাছাকাছি সেই দাম হলে এই ঘাপলাটা হত না। হিসেব মত ল্যান্ড রেট ডিডিএ ফিক্স করে, কিন্তু আসলে বাজারই সব, সে-ই ঠিক করে রেট কী হবে। ডিডিএ-র হাতে ক্ষমতা ঘেঁচু।
  • siki | 122.160.41.29 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৬:২৮403074
  • বউয়ের আপিসের এক ভদ্রলোক, আমাদের ভালো অ্যাডভাইস দিয়েছিলেন বাড়ি কেনার আগে। "কিনে ফ্যালো, টাকার জোগাড় ঠিক হয়ে যাবে। আজ ভাবছো দু-লাখ টাকার ডেফিসিট, দু বছর পরে কিনবে টাকা জমিয়ে, দু বছর পরে দেখবে সেই ফারাক বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশ লাখ। কোনওদিন সেই গ্যাপ পূর্ণ করতে পারবে না। বরং আজ দু লাখ টাকা কম পড়ছে, কারুর কাছ থেকে নিয়ে নাও। বন্ধুকে রিকোয়েস্ট করো, বাবাকে বলো, বলো তো আমি এক লাখ দিচ্ছি।'
  • shyamal | 72.24.214.129 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৮:০৩403075
  • এখানে বলছে দিল্লিতে দাম পড়ছে।
    http://tinyurl.com/cr3o3v

    সে জায়গায় কলকাতায় http://tinyurl.com/b7dtgo
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৯:৪৯403076
  • প্যানাসনিক - ১৫,০০০
  • anaamik | 59.164.101.150 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:০৯403077
  • আজ্জোদা:
    আমি যুদ্ধটা একটা এক্সট্রিম সম্ভাবনা বলেছি, মোস্ট প্রোব্যাব্ল্‌ বলি নি।

    দ্রি:
    প্রচুর খেটেখুটে এবং প্রচুর ঘেঁটেঘুঁটে সব তথ্য তুলে আনছেন, কিন্তু সেগুলো থেকে যে সব সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছেন সেগুলোর সঙ্গে অনেক সময়েই একমত হওয়া হয়ে উঠছে না।

    ১। চীন বা জাপান-এর রপ্তানি কমার কারণ সাপ্লাই পুশ-এর অভাব না হয়ে আমেরিকার ডিম্যান্ড পুল-এর অভাব-ও কিন্তু হতেই পারে। আর এর সঙ্গে পরিবারগুলোর ব্যালান্স শীটের সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। আর্থিক বা ইউটিলিটি পরিষেবা যেমন বছরের পর বছর এক-ই কাস্টমারকে বেচা যায়, বা প্রতিটি পরিবারকেই যেমন নিয়মিত: FMCG সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কিছু কিনতেই হয়, ক্যাপিটাল গুড্‌স বা অন্যান্য অনতিপ্রয়োজনীয় জিনিষ বেচার জন্যে কিন্তু নতুন নতুন বাজার ক্রমান্বয়ে খুঁজে যেতে হয়। এবার নতুন বাজার আর না পাওয়া গেলে একটা সময়ে স্যাচুরেশন আসবে, ফলে y-o-y হিসেবে বিক্কিরী / রপ্তানি অনেক কমবে।
    কাউকে সস্তায় দিলে তিনি দুই-এর পরে হয় তো তিন নম্বর গাড়ী-টা কিনেই ফেলবেন, বিনে পয়সায় দিলে চার নম্বর-টাও হয় তো রেখে দেবেন, কিন্তু তারপর আবার পাঁচ নম্বরটা এনে হাজির করলে খুব তিতিবিরক্ত তিতিক্ষার সঙ্গে কি বলে বসবেন না - "না হে, আমার আর গাড়ীর দরকার নেই!'
    এবার একটা সময়ের পরে গাড়ী কেনার নতুন লোক যদি না জোটে, আর পুরোনো লোক যদি আর না কেনে, তার মানে সবসময় বোধ হয় এই নয় যে আগে যারা কিনেছিলো, তাদের সবার ক্রেডিট রেটিং খারাপ। ডিফল্ট-এর সমস্যা-টাকে আমি বিন্দুমাত্র লঘু করার চেষ্টা করছি না, কিন্তু সেটাই বোধ হয়, চীন-জাপানের রপ্তানি স্কেলব্যাকের একমাত্র কারণ নয়।

    ২। বিশ্বের আর্থিক লেনদেন ঠিক পোয়েটিক জাস্টিস মেনে চলে না। 'পার্টি মাস্ট কাম টু অ্যান এন্ড' - এটা সবাই বুঝছে মানে এই নয় যে কালকেই সমস্ত আমেরিকান কন্স্যুমার-রা রাতারাতি সুধীন দত্ত আউড়ে কৃচ্ছসাধন শুরু করবে -

    "আমি জানি এই ধ্বংসের দায়ভাগে
    আমরা দুজনে সমান অংশীদার
    অপরে পাওনা আদায় করেছে আগে
    আমাদের পরে দেনা শোধবার ভার'

    বিশেষ করে যেখানে বছরের পর বছর ধরে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যবিহীন জীবনযাপন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় মাথাব্যাথা কিন্তু সল্‌ভেন্সী নয়, লিক্যুইডিটি, একবার সিস্টেমে প্রচুর টাকা ফিরে এলে, এবং অফ-ব্যালান্সশীট কারিকুরি করে লিভারেজ কম দেখানো গেলে, আবার বুদ্বুদ তৈরীর খেলা শুরু হবে।
    যেহেতু এখান্‌কার টাকাপয়সার একটা বিশাল বড় অংশ ইলেকট্রনিক্যালি ধরা থাকে, এবং গত কয়েক বছর ধরে সারা বিশ্বেই মোটামুটিভাবে রিটার্ণ ভালো এসেছে, বিনিয়োগ-এ লাভের হিসেব দেখাতে পারলে পুঁজির অভাব এক্‌খুনি হবে না।

    ৩। ডলার-এর কি হবে? আমার মনে হয়, যতক্ষণ না বিশ্বের অধিকাংশ সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক ডলার ধরে রাখতে অনীহা দেখাচ্ছে, ততক্ষণ ডলার বিশাল কিছু পড়বে না। আর ততক্ষণ বিশ্বের কোনো সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক ডলার ধরে রাখতে রাজী থাকবে, যতক্ষণ না অন্য কোনো মুদ্রা ডলার-এর 'গ্লোবাল রিজার্ভ কারেন্সী'র স্থান নিচ্ছে। এখন সমস্যা হলো, সবাই জানে বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধা উচিৎ এবং দরকার, কিন্তু যেই প্রথমে বাঁধতে যাবে, বেড়াল তো তাকেই খাবে।

    অতএব, আপনার কাছ থেকে ধার নিয়ে আপনার সঙ্গে যে বাজিতা ধরতে চাই, সেটা হলো - ;-)
    আরো কয়েক কোয়ার্টার / বছর একটু চুপচাপ থাকার পরে আবার ধার দেয়া শুরু হবে, সব্বাই সঙ্গতিবিহীন খরচ করবে, কোয়ালিট্য অফ লাইফ এমন কিছু কমবে না, ঠিক সময়ে ঠিক জায়্‌গায় ঠিক দামে ঠিক জিনিশ কিনে বেচে কিছু লোক ফুলে-ফেঁপে উঠবে, অর্থনীতি আরেকটু মাল্টিপোলার হলেও ডলার যতটা ভোগে যাওয়া উচিৎ তার থেকে খুব কম-ই যাবে, আর পৃতিবীর অধিকাংশ দেশ যথারীতি ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করতে থাকবে, করতেই থাকবে .....

    চাই শুধু ধার দেওয়ার সাহস আর নেওয়ার দু:সাহস। এবার জব সিক্যিওরিটি বা ইকোনমিক আউট্‌লুক যেহেতু অনেকটাই পার্সেপ্টিভ, এবং সিগ্ন্যালিং এফেক্ট যে হেতু এখানে অসীম গুরুত্বপূর্ণ, অতএব দেশপ্রেমী, সুবক্তা দেশনায়ক তাঁর কথার যাদুতেই আস্তে আস্তে অনেক বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবেন। আর ল্যাগ থাকলেও কিছুটা মেরামতি তো এতো টাকা / ট্যাক্স ব্রেক থেকে আসবেই রে বাবা।যতক্ষণ পয়সা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ ভাবতে কার দায় পড়েছে? আর যখন পয়সা পাওয়া যাবেই না, তখন ভেবে টেবে বিশেষ লাভ হবে কি? :-((

  • anaamik | 59.164.101.150 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:১২403078
  • *এখনকার
    **বাজিটা
    *** কোয়ালিটি
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৩:০০403079
  • অনামিকের প্রেডিকশন হয়তো সত্যি হবে। ডিক চেনি একবার বলেছিল না - রেগান প্রমান করেছেন বাজেট (নাকি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, নাকি ট্রেড) ডেফিসিট কোন ব্যাপার নয়।
  • dri | 75.3.201.181 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৪৬403080
  • সিস্কো, টাইম ওয়ার্নার, লেনোভো তিনজনেই হেভি লস পোস্ট করেছে।

    এবারের ক্রাইসিসের চরিত্রটা ২০০১ এর থেকে অনেকটা আলাদা। অ্যাফেক্টেড এরিয়ার স্পেকট্রামটা খুব বড়।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৫১403081
  • সিস্কোর তো সেকেন্ড কোয়ার্টারে প্রফিট হয়েছে। শুধু হয়েছে যে তাই নয়, ২ সেন্ট বেটার দ্যান এক্সপেক্টেড। তবে খুব গ্লুমি আউটলুক প্রেডিক্ট করেছে বলে স্টক ডাউন।
  • dri | 75.3.201.181 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:৪২403083
  • অনামিক,

    পুরোনো যারা গাড়ি কিনেছিল তাদের সবার ক্রেডিট রেটিং খারাপ একথা আমি ঠিক বলতে চাইনি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উত্তরোত্তর বেশী লোক পার্সোনাল ব্যাঙ্ক্রাপ্সি ফাইল করছে, প্রমাণ ২০০৮ এর অক্টোবরের একটা আর্টিক্‌ল, http://money.cnn.com/2008/10/24/pf/bankruptcy_filings/index.htm। এর অর্থ কি?

    আসলে গত কুড়ি বছরে ব্যাপক ক্রেডিট এক্সপ্যানশান হয়েছিল। সব্বার কাছে আটটা দশটা করে ক্রেডিট কার্ডের অফার পৌঁছে যেত। সহজ শর্তে লোন সুলভ ছিল। এবং এর জন্য ইন্ডিরেক্টলি দায়ী ফেড, ইন্টারেস্ট রেট দীর্ঘদিন কমিয়ে রেখে মানি সাপ্লাই বাড়ানোর জন্য। আমরা ভারতীয়রা যারা ক্রেডিট কার্ড শুধু সুবিধের জন্য ব্যবহার করি কিন্তু ব্যাঙ্ককে কোনদিন সুদ দিই না তারা আমেরিকায় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ঠিক বুঝবে না। আমরা একটা কাপলকে চিনি, তারা দুজনেই পি এইচ ডি করছে। দুটো পি এইচ ডি স্কলারশিপের টাকায় তারা দুটো বাচ্চা করে ফেলেছে। তারা কোন জিনিষ অ্যাফোর্ড করতে পারবে কিনা সেটা এইভাবে হিসেব করে। তাদের ব্যাঙ্কে যত আছে, প্লাস ওদের ছটা ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট লিমিট যোগ করে যত হয়, দাম যদি ততর মধ্যে হয় তাহলে সেটা কেনা যেতে পারে। মাসে মাসে পেমেন্ট করে কখনো মিনিমাম অ্যামাউন্ট, কখনো তার চেয়ে একটু বেশী দিয়ে। এরা ইন্টারেস্ট, কত পার্সেন্ট, কি তার হিসেব এসব কিচ্ছু বোঝে না। মিনিমাম ডিউটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকলেই এরা খুশী। এরা সারা জীবনে আসলের থেকে অনেক বেশী সুদ দেয়। দীর্ঘদিন ধরে ক্রেডিট এক্সপ্যানশন করিয়ে করিয়ে এরা পপুলেশানের একটা বিরাট পার্সেন্টেজকে ঋণে জর্জরিত করে ফেলেছে। সাধে কি আর ন্যাশানাল সেভিংস নেগেটিভ? এ অবস্থায় আর খুব বেশী গাড়ি বিক্রি হওয়া কি সম্ভব? কে আর যেচে ব্যাড লোন দিতে চাইবে? ব্যাঙ্ক, না গাড়ীর কোম্পানী? এই সহজ ব্যাপারটা জাপানী গাড়ির কোম্পানী বুঝবে না?

    ইন ফ্যাক্ট এখন কিন্তু ব্যাঙ্করা এফেক্টিভলি মানি সাপ্লাই কনট্র্যাক্ট করছে। ক্রেডিট কার্ড সহজে ইস্যু করছে না, ক্রেডিট লিমিট কমিয়ে দিচ্ছে, গাড়ীর লোন বাড়ীর লোন সহজে দিচ্ছে না এটসেট্রা। এখানেই আসে আপনার দ্বিতীয় পয়েন্টটা। না, সুধীন দত্তের কবিতা পড়ে লোকে কৃচ্ছসাধন করবে না। ফেড মানি সাপ্লাই টাইট করে দিলে আপনিই করবে, করতে বাধ্য হবে। তো এবার আপনি বলতে পারেন, হ্যাঁ ফেড এখন কিছুদিন মানি সাপ্লাই টাইট করছে, ছমাস বাদে আবার ঢিলে করে দেবে। তখন আবার বুম হবে। এটা একটা থিওরিটিকাল পসিবিলিটি, ঠিক কথা। কিন্তু এখানেই আসে কনস্পিরেসি থিওরি। ফেড কি চায়, সে সম্বন্ধে স্পেকুলেশান ইত্যাদি। এই নিয়ে আমি বেশী কপচাব না। শুধু একটা ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট নোট করতে বলব, ফাস্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার এবং সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার দুটোর আগেই কিন্তু ফেড মানি সাপ্লাই টাইটেন করে একটা মিনি ডিপ্রেশান এবং একটা গ্রেট ডিপ্রেশান ইঞ্জিনিয়ার করিয়েছিল।

    আর ডলারের ব্যপারে, শুধু এই বলার যে ডলারের ফান্ডামেন্টাল যদিও খুব উইক, কিন্তু ওয়ার্ল্ড রিজার্ভ কারেন্সি হওয়ার জন্য এর একটা রেজিলিয়েন্স থাকবে। কিন্তু লোকজন অলরেডি ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করেছে। গত অক্টোবরে, একটা চীনে কাগজে লিখেছিল, 'দা ইউনাইটেড স্টেটস হ্যাজ প্লান্ডার্ড গ্লোবাল ওয়েল্‌থ বাই এক্সপ্লয়টিং দা ডলার্স ডমিনেন্স, অ্যান্ড দা ওয়ার্ল্ড আর্জেন্টলি নীডস আদার কারেন্সিজ টু টেক ইট্‌স প্লেস'। পুরো রিপোর্টটা, http://www.reuters.com/article/email/idUSTRE49N1XX20081024। দাভোসে পুতিন বলেছে, 'দা ওয়ান রিজার্ভ কারেন্সি হ্যাজ বিকাম আ ডেঞ্জার টু দা ওয়ার্ল্ড ইকনমি, দ্যাট ইজ নাও অবভিয়াস টু এভ্রিবডি'। টেলিগ্রাফের রিপোর্ট, http://tinyurl.com/alynb2। অর্থাৎ, লোকে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। একটু সময় লাগবে।

    আর বাজির ব্যাপারে। আমি কখনোই বলছি না যে এটাই হবে পৃথিবীর শেষ বাবল। কখনো না কখনো আরেকটা বাবল আবার হবে। কিন্তু আমি বলছি এবার ঐ ২০০১ এর মত একটা মিনি রিসেশন হয়ে আবার বাবল শুরু হবে না। প্রথমে একটা বড়সড় ডিফ্লেশান হবে। পুরো সিস্টেমে 'ফানি মানি' বড্ড বেড়ে গেছে। ডেরিভেটিভ মার্কেটের টোটাল ভ্যালুয়েশান আমি একটা জায়গায় পড়ছিলাম নাকি ফিউ কোয়াড্রিলিয়ান ডলার! যেটা সারা পৃথিবীর জিডিপির কয়েকগুণ। প্রথমে ফিগারগুলো ডিফ্লেট করে একটু সেন ভ্যালুতে আসবে। তাপ্পর আবার বাবল হবে।

    তো আমি যে বাজিটা নিতে রাজী আছি, ২০০৯ এ কোন বুম হবে না। রাজী?
  • dri | 75.3.201.181 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:৪৫403084
  • ওহো, নেড়ুদা, ঠিক বলেছেন। সিস্কোর প্রফিটই হয়েছে। কিন্তু প্রফিট ডাউন বায় ২৭%। স্ট্রীট এক্সপেক্টেশানের থেকে বেটার হলেও প্রফিট ভালো ডিক্লাইন করেছে। কিন্তু লস কোনমতেই নয়। সরি।
  • siki | 122.160.41.29 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:৩২403085
  • দ্রি কিন্তু অপূর্ব লিখছেন। এখনও পর্যন্ত একটা লাইনও দুর্বোধ্য লাগে নি। বাকিরাও দুর্দান্ত লিখছেন এই সুতোয়। কালেকটিভ আইটেম হয়ে থাকবে এই থ্রেডটা।
  • lcm | 128.48.7.222 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৫৫403086
  • এই অন্ধকার ইকনমি-তে অন্য, এবার একটু অন্য খবর...
    ১) IBM-এর প্রফিট ১২% বেড়েছে। এস্টিমেট ছিল $3.03 শেয়ার প্রতি, কিন্তু IBM-এর আয় হয়েছে $3.28/শেয়ার, এস্টিমেটের থেকে ২৫ সেন্ট/শেয়ার বেশী আয়।
    ২) McDonalds-এর প্রফিট বেড়েছে। এস্টিমেটের থেকে ১২ সেন্ট/শেয়ার বেশী আয় হয়েছে।
    ৩) Clorox-এর প্রফিট বেড়েছে, বিটস্‌ এস্টিমেট বাই ৫ সেন্ট/শেয়ার।
    ....
    গুগল, আমাজন, রিম... প্রফিট পোস্ট করেছে।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:৫৬403087
  • http://money.cnn.com/2009/02/05/news/companies/ibm_jobs/
    আই বি এম বলছে আমেরিকা, ক্যানাডায় যাদের ছাড়াচ্ছে, তারা ইচ্ছে করলে ভারত, চীন, ব্রেজিল, রাশিয়া, নাইজিরিয়া ইত্যাদি দেশে আই বি এম এ কাজ করতে পারে। তবে "লোক্যাল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস" মেনে।
    খুব সম্ভবত: তার মানে হল লোক্যাল মাইনে। ইহা কি রিভার্স H1-B ?
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৮:৫২403088
  • টয়োটা লস করেছে। নতুন প্রোজেক্টেড লস হল $.৮৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৫০ বিলিয়ন ইয়েন। বাকিটা রিপোর্ট থেকে সরাসরি।

    Both revenues and profits declined severely during this period. The negative results are largely due to lower vehicle-sales volume under difficult market conditions mainly in the U.S. and Europe, and the rapid appreciation of the yen against the U.S. dollar and the euro," said Mitsuo Kinoshita, a Toyota executive vice president.

    লক্ষ্য করুন ইয়েন অ্যাপ্রিশিয়েট করায় লস কিন্তু বেড়েছে। টয়োটারই যদি এই হাল হয় অন্যান্য জাপানী কোম্পানীর কি অবস্থা।

  • . | 198.96.180.245 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৯:২২403089

  • sibu | 207.47.98.129 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৪:২৮403090
  • প্যানাসোনিক ১৫,০০০।
  • anaamik | 59.164.100.164 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৪২403091
  • রি,
    বুঝেও জাপানী গাড়ী কোম্পানী এবং ব্যাঙ্ক না বুঝে থাকতে বাধ্য হবে। কারণটা আমার মত করে বলি -
    প্রথমে গাড়ীর কোম্পানী: জাপানী গাড়ীর যে ফিরিওয়ালা তার কথা একবার ভাবুন। বিক্রী না করার ফল হচ্ছে তার চাকরীটি খোয়া যাওয়া এবং তার সেলিং ভরসা করে দেশে যে সব কায়িক শ্রমিক গাড়ীগুলো তৈরী করছে, তাদের না খেয়ে পড়ে থাকা। ফলে ডিসকাউন্ট দিয়েই হোক, বা অন্য যে ভাবে ইন্সেন্টিভাইজ করেই হোক, বেচতে তাকে হবেই। তো সে কি করবে? ডিসকাউন্ট বেশী দেবে, কিন্তু চেষ্টা করবে যে কটা বেচছে সেগুলোর ডিফল্টের ঝুঁকি যেন তার কোম্পানীর ঘাড়ে কম পড়ে। ধরুন আগে যে জিনিষটা সে ২০০ ডলারে বেচতো, সেটা সে দাম কমাতে কমাতে ১০০ ডলারে বেচবে, কিন্তু আগে সে ১০০ ডলার আপফ্রন্ট নিতো, এখনো সে ১০০ ডলার আপফ্রন্ট নিয়ে নেবে, ফলে তার গাড়ীর কোম্পানীর মার্জিন হয়তো খুব কমে যাবে, কিন্তু রিস্ক হবে প্রায় শূণ্য।

    এবার, ব্যাঙ্ক: ধার না দিয়ে সে কতদিন টিঁকবে? এত এত পুঁজি যে তাকে দেওয়া হচ্ছে, তা তো তাকে খাটাতে হবে কোথাও না কোথাও। তো সে ঝুঁকি কমাতে কি করবে? এক: আগে ওই ২০০ ডলার দামের গাড়ীর জন্যে সে ধার দিতে রাজী ছিলো ধরুন পুরো ২০০ ডলার, এখন ২০০ ডলার-এর গাড়ী সে ডিভ্যালু করে রিপ্লেসমেন্ট ভ্যালু বার করবে, ধরা যাক,১৫০ ডলার, এবার যেহেতু তার ক্রেডিট চেকিং আরো শক্ত হয়েছে, সে এই গাড়ীর জন্যে ১৫০ ডলার-এর মধ্যে ১০০ ডলার ধার দেবে। বিক্রী হবার পরে সে কি করবে তাতে একটু পরে আসছি, তার আগে দেখা যাক, বিক্রী 'হবে কেন'?

    ধরুন, বুম হওয়ার আগে, অনেক দিন আগে গাড়ীটার দাম ছিলো ১৫০ ডলার (বেশী হলেও এই উদাহরণে কোনো অসুবিধে নেই), তো তখন থেকে এই গাড়ীটার ওপর ক-বাবুর ঝোঁক। তিনি হিসেব কষে দেখেছেন,১০০ ডলার পর্য্যন্ত ধার নিলে তার ইএমাই তিনি দিতে পারবেন। তো দাম যখন কমতে শুরু করলো, তাঁর লোভও একটু একটু করে বাড়তে শুরু করলো, যখন ১৫০ ডলারে গাড়ীটা পাওয়া যাবে তিনি বিজ্ঞাপণ দেখলেন, তিনি একটু একটু করে জমাতে শুরু করলেন, তারপর যখন শুনলেন যে গাড়ীটা ১২০-১২৫-এ পাওয়া যাবে, তিনি তদ্দিনে জমানো ৩০ ডলার হাতে দোকানে হাজির হলেন। তারপর কথা বলে, দরদস্তুর করে সেই ১০০-তে কিনলেন।

    এবার গাড়ীর সেল্‌সম্যান ১০০ ডলার নিয়ে ভেগে পড়ল। বাকী নাটকের জন্যে রইলো ব্যাঙ্ক আর ক-বাবু। তো এখানে দুটো কেস হতে পারে। এক: ক-বাবু ৩০ ডলার পকেট থেকে দিলেন, ব্যাঙ্ক থেকে বাকী ৭০ ডলার ধার নিলেন, বা ৩০ ডলার জামিন রেখে ১০০ ডলার ধার নিলেন। দ্বিতীয়টা আপাতভাবে বোকামি মনে হতে পারে, কিন্তু আগেও বলেছি, লিক্যুইডিটি সল্‌ভেন্সীর আগে আসে। আর ব্যাঙ্ক ৩০ ডলার জমা নিয়ে ৩০ ডলার বেশী ধার দিলে এনাইএম ধনাত্মক হলে সবসময় সেটা লাভজনক। তো ধরুন ক-বাবুকে ১০০ ডলার ধার দিয়ে ব্যাঙ্ক আগামী ১০ বছর ধরে ১৫ ডলারের ক্যাশফ্লো কিনলো।

    তো এই ৭০ ডলারের নেট এক্সপোজার নিয়ে ব্যাঙ্ক কি করবে? সে কি এই ধার-টা নিজের ব্যালান্সশীটে রেখে দেবে? না, সেখানেই আসবে সিক্যিউরিটাইজেশনের গপ্পো। এরকম ১০-টা লোন নিয়ে সে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় ব্যাঙ্ক, সুইস প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, ভারতীয় বেসরকারী ব্যাঙ্ক, হাওয়াইএর হেজ ফান্ড - এদের বেচার চেষ্টা করবে। তো এই সব ব্যাঙ্ক নিশ্চয়ই গাম্বাট নয় যে, তারা আবার এসব কিনে হাত পোড়াক। তো তখন আবার সেই মার্জিন স্কুইজ-এর গপ্পো। এরা বলবে, না বাপু, গত বারে তুমি বলেছিলে ১০ জনে ১ জন ডিফল্ট করে, আসলে আড়াই জন করে। তো এরপরে দুপক্ষে চাপানউতোর হবে, ব্যাঙ্ক বলবে আমরা চেকিং ভালো করেছি, তো শেষমেশ রফা হবে ১০ জনে ২ জন ডিফল্ট করে - এরকম একটা কিছুতে। তো তাহলে ১০-টা এরকম লোন থেকে যে ক্যাশফ্লো প্রত্যাশিত সেটা হবে ১৫ * ৮ = ১২০ ডলার। (ধরে নিচ্ছি, ২ ডিফল্টার একটাও কিস্তি দেবে না), তো এগুলো সব গাড়ীর এগেনস্টে সিক্যিওর্ড। তো ব্যাঙ্ক সিডিও বানিয়ে এই ১২০০ ডলারের লোন ধরুন, ১০৫০ ডলারে বেচে দেবে। এতে সিডিও যারা কিনছে, তাদের খরচ ১০৫০, এক্সপেক্টেড রিস্ক-ওয়েটেড ক্যাশফ্লো ১২০০ ডলার। ব্যাঙ্ক মোট ধার দিয়েছিলো ১০০০ * ১০ = ১০০০ ডলার, তো তার ইমিডিয়েট গ্রস প্রফিট ৫০ ডলার (সুদিনে হয়তো এই ডিলে তার ঘরে ১৫০ ডলার আসতো), যেটা সে আবার ইনভেস্ট করবে।
    (সিডিও যারা কিনছে, তাদের জন্যে পিভি বার করলুম না, কিন্তু কোন একটা লো ডিসকাউন্ট রেটে এটা পসিটিভ প্রমাণ করা খুব শক্ত নয়, মনে রাখুন সিস্টেমিক সুদের হার 'প্রায় শূণ্য')

    তো এতক্ষণ বোর করে যেটা বলতে চাইছি, যে দাম কমতে কমতে একটা স্তরে এসে সব কিছুই আবার আকর্ষণীয় হবে - ক-বাবুর কাছে গাড়ী, ব্যাঙ্কের কাছে ক-বাবু, সিডিও-ক্রেতাদের কাছে ব্যাঙ্ক। ফলে ডেরিভেটিভ এক্সপোজার বাড়তেই থাকবে এবং রাতারাতি মার্কেট দারুণ ক্র্যাশ করার সম্ভাবনা খুব কম।

  • anaamik | 59.164.100.164 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৫৬403092
  • এবার আসা যাক সিস্টেমের ডেরিভেটিভ এক্সপোজারের কথায়। যেহেতু সুদের হার, এক্সচেঞ্জ রেট, কমোডিটি ফিউচার্স, ভোলাটাইলিটি - এ সব নিয়ে সব সময়েই একাধিক মতামত এবং পরস্পরবিরোধী পোজিশন থাকবেই, তাই সমস্ত মার্কেট প্লেয়ারের গ্রস পোজিশনগুলো নিয়ে যোগ করে দিলে যে সংখ্যাটা পাওয়া যাবে, সেটা আমার মনে হয় সিস্টেমিক রিস্কটাকে অনেক বেশী বাড়িয়ে দেখাবে। এবার এই যুক্তিটাকে অনেক এক্সট্রীম পোজিশন নেওয়ার দোহাই হিসেবে অনেকে অনেক সময়ে ব্যবহার করে থাকেন। নাইমেক্সে লং ক্রুড পোজিশনের পুরো ঝুঁকিটাকে কস্পিতে হ্যুন্ডাই-এর ওপর ব্যারিয়ার অপশন নিয়ে কাটানো যায় কিনা কে নিশ্চিত করে বলতে পারে? তাছাড়া হেজ রেশিও বার করার জন্যে দুটো অ্যাসেট ক্লাসের বিটা কি ধরা হয়েছে, কতদিনের ডেটা এর জন্যে ব্যবহার করা উচিৎ, সবচেয়ে বড় কথা শান্ত সময়ের কোরিলেশন ( বা এমনকি ক্যাপেম বা অন্যান্য মডেলগুলোই) অস্থির সময়ে ব্যবহার করা যায় কিনা, সে নিয়ে অনেক তাঙ্কিÄক কচকচি আছে। তো মোদ্দা বক্তব্য হলো - আমার মনে হয়, পুরো সিস্টেম-এর মোট ডেরিভেটিভ জনিত ঝুঁকি কত, সেটা রিয়ালটাইমে জানা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।(#১)

    ডলারের ডমিন্যান্স যাওয়া উচিৎ, এটা সবাই মানে ঠিক, চেষ্টাও যে কিছু কিছু হচ্ছে না, তা নয়, কিন্তু এক্ষুণি ডলার পড়ার মারাত্মক কারণ আমি এখনো দেখছি না, কারণ বিকল্প এক দিনে আসে না। যেটা বড় জোর হতে পারে, বিভিন্ন রিজিওনাল ব্লকের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের জায়গায় কোনো রিজিওনাল ওভারলেইং কারেন্সীর ব্যবহার বাড়তে পারে।

    তো বাকী থাকে ২০০৯-এ কি হবে তাই নিয়ে বাজী। আমি একবারও বলি নি বুম হবে, এত বকবকে আমার প্রতিপাদ্য ছিলো,২০০৮এ যে রকম নাটকীয়ভাবে বিভিন্ন অ্যাসেট ক্লাসের দাম পড়েছে, সেটা *খুব সম্ভব* ২০০৯এ হবে না। শুধু ২০০৯ কেন, আমার তো মনে হয় - ২০১০এও বাজার থাকবে নীচের দিকে মুখ করে। আজ যদি কারো পোর্টফোলিও জলের ২৫-৩০% তলায় থাকে, তো এই ১-২ বছর ধরে সেটাকে বাজার একটা ভোঁতা ছুরি দিয়ে ধীরে ধীরে (#২) একটু একটু করে কেটে ৩৫-৪০-৪৫-৫০%-এ নিয়ে যাবে, রাতারাতি সেটা ৮০-৯০% উড়ে যাবে না। (দুটো ইম্‌প্লিসিট অনুমান: পোর্টফোলিওটা ডাইভার্সিফায়েড আর কোনো রাজনৈতিক বা প্রাকৃতিক ক্যাটাস্ট্রফ ঘটবে না)। এই বাজারেও অনেকে গত কয়েক বছরের প্রচুর লাভে বসে আছে, এবং অনেক ব্যবসারই বিজনেস মডেল, ব্যালান্স শীট, প্রোমোটার নিয়ে খুব বেশী প্রশ্ন নেই, তাই বাজার পড়লেই সেগুলোতে কিছু নিবেশ এসে, সেগুলোকে একটা ফ্লোর প্রাইস দেবে। আমার এই বিশ্বাসের অর্থ এই নয় যে এই ব্যবসা-গুলোর ভ্যালুয়েশন রাতারাতি বিশাল ফেঁপে উঠবে।

    #১ - যাঁরা বেড়ালের অসীমবিস্তৃত জোড়া লেজ ইত্যাদিতে ভয় পান না, এবং ফাইন্যানি্‌শয়াল ডেরিভেটিভ নিয়ে উৎসুক, তাঁরা 'হাল' ধরতে পারেন।
    http://tinyurl.com/FinDer-Hull

    #২ - উপমাটি অশালীন লাগলে দু:খিত, তবে এমনিতেও ফিন ইঞ্জিনিয়ারিঙের জগৎটা ঠিক ভদ্দরলোকেদের জন্যে নয়, বিশ্বাস না হয়, মাইকেল ল্যুইস-এর লায়ার্স পোকার আবার উল্টে দেখুন।
  • anaamik | 59.164.100.164 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:০০403094
  • NIM - নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন
    CDO - Collateralized Debt Obligation
    CAPM - Capital Asset Pricing Model
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:১১403095
  • যে ভাটটি চলছিল তাই নিয়ে আরো দু একটি কথা বলার ছিল। একটু ফিরে যাই প্রথম দিকে। মূলত বিষয় বস্তু ছিল যে আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দা এবং টাকা ছাপানোর প্রভাব ডলারের উপর কেমন ভাবে পড়বে। বাইনারীদা, ঈশান এবং দ্রির মতে অর্থনৈতিক মন্দা => টাকা ছাপানো => ইনফ্লেশন => ডলারের ডিভ্যালুয়েশন। একটা সরল রৈখিক সম্পর্ক। আসলে কি তাই।

    সনটা ১৯৮৫, আমেরিকা তখন মধ্য গগনে। নিউ ইয়র্ক সিটির প্লাজা হোটেলে বিশ্বের তাবৎ শক্তিদের (জি৫) মধ্যে বৈঠক হল। আমেরিকা নিজেদের ট্রেড ডেফিসিট কমাতে জোর করে কমিয়ে দিলে জাপানী ইয়েন এবং জার্মানীর মার্কের দাম। এই গাজোয়ারীর নাম হল প্লাজা এগ্রিমেন্ট। ফলে ১৯৯০ সালে জাপান ঢুকল ডিফ্লেশন স্পাইরালে। ঠিক এটাই যে একমাত্র কারণ তা নয় কিন্তু একটা প্রধান কারণ তো বটেই। সেই মন্দা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগল ঠিক এক যুগ। জাপান কি এটা বুঝতে পারে নি? পেরেছিল, কিন্তু বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার গা জোয়ারির মোকাবিলা করার মতন যথেষ্ট ক্ষমতা তার তখন ছিল না।

    তাই আজকের যুগে দাঁড়িয়েও শুধুমাত্র ঐ সরল রৈখিক ওয়ান টু ওয়ান কোরিলেশন টানতে চাইলে বা শুধুমাত্র ম্যাক্রো ইকনমিক থিওরী দিয়ে ব্যাপারটাকে দাঁড় করাতে গেলে একটু মুশকিল হবে। এক্সচেঞ্জ রেটের সাথে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। এর পরেও ডলার ডিভ্যালুয়েট করতেই পারে। নাও পারে। বলতে গেলে নস্ত্রাদামুস বা নিদেন পক্ষে অমৃতলাল হতে হবে। কিন্তু আর যাই হোক আভ্যন্তরীন অর্থনৈতিক মন্দা, টাকা ছাপানো এবং ডলার ডিভ্যালুয়েশন এমন সরল রৈখিক সমীকরণ টানা ওভার সিম্পলিফায়েড।

    অনামিককে প্রশ্ন ছিল যে অর্থনীতি যদি ডিফ্লেশন স্পাইরালে ঢোকে। তাহলে এই ইনভেস্ট এবং রিইনভেস্ট কেমন ভাবে কাজ করে?
  • anaamik | 59.164.100.164 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:০৭403096
  • বাবারে,
    আমার ম্যাক্রো ফান্ডা অত্যন্ত কাঁচা। (প্রশ্নটা আমার বাচালতা নিয়ে খিল্লি হলো কিনা, তাও শ্যিয়োর নই :()
    এখানে দুটো জিনিষ আমি নোট করবো -
    ক। বাজার সবসময়ে এক্সট্রীম দুটো সেন্টিমেন্ট-এর মধ্যে অসিলেট করে - লোভ আর ভয়। তো রাতারাতি একটা থেকে আরেকটায় যায় না, পুরো ব্যাপারটা ঘটে গ্র্যাজুয়ালি। তো যখন বাজার ক্রমাগত ওঠে বা পড়ে, তখন সাধারণত: উল্টোদিকের ইকোনমিক ডেটাসেটগুলোকে ইগ্নোর করে, কিন্তু একটা সময় আসে যখন ভ্যালুয়েশন আর ইওনমিক ডেটার মধ্যে ফারাকটা বিশাল হয়ে ওঠে, তখন আবার অ্যাসেট-এর দাম উল্টোদিকে চলতে শুরু করে। এবার বুল আর বিয়ার মার্কেটের ক্ষেত্রে এখানে একটু আলাদা জিনিষ ঘটে, বুল মার্কেটে যেহেতু লিভারেজ বেশী, সে জন্যে টপটা খুব আনস্টেব্ল, কিন্তু বিয়ার মার্কেটে যেহেতু ভয়টা ডমিনেট করে, আর ছোটখাট খেলোয়াড়রা বিশেষ পড়ে থাকে না, তাই এটাতে দুটো স্তর কল্পনা করা যেতে পারে।
    ১। প্রথম স্তর যখন দাম খুব তাড়াতাড়ি পড়ে,
    ২। একটা দীর্ঘতর সময়, যখন অ্যাসেট ক্লাসগুলো একটা কম দামের চৌহদ্দিতে ঘোরাফেরা করে (এবং পজিটিভ কিউ ইগ্নোর করে।
    তো এটা থেকে বেরোনোটা টিপিক্যালি প্রচুর ধৈর্য আর সময়সাপেক্ষ। নাজুক সেন্টিমেন্ট-কে একটু একটু করে হাত ধরে সাহস জুগিয়ে এগোতে হয়। তাও সবসময়ে আগের টপে ফেরা হয় তো যায় না, উদা: নিক্কেই।

    খ। ডিফ্লেশন স্পাইর‌্যাল হলে, মোটামুটি সমস্ত উৎপন্ন জিনিশে্‌জর চাহিদা তাদের যোগানের থেকে কম হবে, ফলে দাম আর উৎপাদন কমতেই থাকবে, তাতে আরো কাজ, আয়, চাহিদা কমবে, এভাবে চলবে। কিন্তু এগুলো কি কমতে কমতে একদিন শুন্যে গিয়ে দাঁড়াবে? রিয়্যাল অ্যাসেট-এর ক্ষেত্রে সেটা হওয়া উচিৎ নয়, কারণ ব্যবহারিক উপযোগিতাবশত: সেগুলোর কিছু ইনট্রিন্সিক মূল্য আছে। এবার সেগুলোর দাম আর চাহিদা সেই মিনিমাম লেভেল থেকে বাড়বে কিনা বলা খুব মুশকীল। তবে গভ: স্পেন্ডিং দিয়ে একটা স্তরের পর আরো প্রাইস ইরোশন আটকানো বোধ হয় সম্ভব, তবে তার জন্যে হাইপার ইনফ্লেশন-এর ঝুঁকি খুব বেড়ে যেতেই পারে।
  • anaamik | 59.164.100.164 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:১০403097
  • আমার বকবক আবার ব্রেক কে বাদ। কতক্ষণের/দিনের ব্রেক সেটা এক্ষুণি বলা যাচ্ছে না :(
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৩৮403098
  • অনামিকের কথাটি ঠিক বুঝলাম কিনা সন্দ রইল। একবার মনে হল উনি বললেন জিনিষ সস্তা হলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ফেরত আসবে। তখুন আবার বাবল তৈরীর কাজ শুরু হবে। সিডিও ইত্যাদি সবই আবার ফেরত আসবে। আবার তিরিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ বছরে আর একটি মহা-মন্দা ঘটবে।

    আবার মনে হল উনি বললেন আম্রিকা গায়ের জোর খাটিয়ে যাবতীয় রিস্ক বিদেশীদের ঘাড়ে ফেলে দেবে আর আম্রিকান কুম্পানীরা লাভ করবে। দই খাবেন ওয়াল স্ট্রীট আর বিকারের বেলায় জাপু, অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়া ইত্যাদিরা।

    আবার একবার মনে হল উনি এই রিস্কের ব্যাপারটিতে অ্যাগনস্টিক। ঝুঁকি কত জানতে পারলে যখন কিছু করা যেত তখন ঝুঁকি কত কিছুতেই জানা যাবে না। সুতরাং রিয়েল টাইমে ঝুঁকির পরিমান যেমন খুশি কমিয়ে দেখায় কোন অসুবিধা নেই।

    মনে হচ্চে ক্লাস ওয়ারফেয়ারের তঙ্কেÄ কিছু সত্যি আছে।
  • shyamal | 72.24.214.129 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৭:৩০403099
  • ব্যাঙ্গালোরে আই টির লোকেরা গাড়ি অতি সস্তায় বিক্রি করে দিচ্ছে।
    http://tinyurl.com/abhar9
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৩৩403100
  • (অনামিক বিনয়ের ঝাড়গাছ বড় হয়ে কোঙার হবেক)
    (ডি: ম:)
  • anaamik | 59.164.104.193 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:০১403101
  • আমি ঠিক এই 'ফেরৎ' আসবে - এই জিনিষটা বলতে চাইছি না। চড়চড়ে উত্থান আর পড়পড়ে পতনের মাঝেও একটা কিছু হয় তো হয়। কমতে কমতে একটা জায়গায় গিয়ে আরো পড়াটা আটকে থাকে, এবং সেই রেঞ্জে সেটা অনেক অনেক দিন ধরে বসে থাকে, একটা থ্রেশোল্ডের ওপরে ওঠেও না, কারণ লোকে ভবিষ্যৎ বৃদ্ধি নিয়ে নিশ্চিত হতে পারে না, আবার একটা স্তরের নীচে পড়েও না, কারণ অতীত আর বর্তমান মিলিয়ে লোকে বিশ্বাস করে যে ঐটুকু মূল্য তার প্রাপ্য - এটা বিভিন্ন অ্যাসেট ক্লাসের দামের ক্ষেত্রে mean reversion নামে পরিচিত, এবং এখন অনেকে অন্য অনেক জায়গাতেও এই সূত্র প্রয়োগ করছেন - যেমন একটা ইকোনমি-র ইন্টারেস্ট রেট।

    তো যেটা বলার, আমার ধারণা, ক্রয়ক্ষমতা *আর খুব বেশী* কমবে না, তার ফলে চাহিদা, উৎপাদনও *আর খুব বেশী* হয়তো ঝাড় খাবে না। আর CDO বা অন্যান্য জিনিশের ব্যবহার এই কম মুনাফার বাজারে আরো বাড়বে। শুধু ফিন ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে বড় বুদ্বুদ তৈরী করা বা ইকোনমিকে শর্ট টার্মে রাস্তায় আনা কি সম্ভব? কোন নিশ্চিত উত্তর আমার জানা নেই, তবে আবার আন্দাজ করতে বললে - 'হ্যাঁ'। হলে সেটা কবে হবে, জানি না।

  • anaamik | 59.164.104.193 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:১৫403103
  • 'জোর খাটিয়ে ...' টা যদি ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট নিয়ে হয়, তো অবশ্যই - অনেক non-economic factor সেটাকে influence করে। মিলিটারি তার অন্যতম। এইডের রাজনীতি আরেকটা।
    আর যদি বলতে চান যে শুধু আমেরিকান কোম্পানীরাই CDO ইত্যাদি ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করবে ঝুঁকি অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্যে, তাহলে আপত্তি আছে। বলতে চেয়েছিলাম - এর পরে যারা আর্থিক পরিষেবা দেবে - অর্থাৎ ধার দেওয়া, ডিপোজিট নেওয়া ইত্যাদি-র অপারেশনাল জিনিষগুলো করবে, আর যারা সেই অপারেশন-এর ঝুঁকিটা বইবে (অন্তত: আংশিকভাবে হলেও) তারা আলাদা এন্টিটি হবে। এটা এখনি যথেষ্ট চালু, আরো বাড়বে।

    "ঝুঁকির ব্যাপার জানতে পারলে কিছু করা যেত" - এ বিশয়ে আমার ঘোর সন্দেহ আছে, বিশেষত: সদিচ্ছা নিয়ে, তাঅছাড়া আপনি এই বিশ্বব্যাপী যোগসূত্রের কাকে ছাড় দেবেন আর কাকে আটকাবেন? আটকাতে চাইলেও কি যাকে আটকাতে চাইছেন সে আপনার আইনের আওতায় আসে? সুতরাং মোট কতটা ঝুঁকি অরক্ষিত রইলো তা নিয়ে চিন্তা করে খুব লাভ নেই।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:১৫403102
  • সেন্সেক্স আবার কবে বারোহাজার হবে? শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি।
  • dri | 75.3.201.181 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৪১403105
  • সত্যিকারের মার্কেট এভাবে কাজ করে না। যে গাড়ীর দাম ২০০ টাকা সেটা খদ্দের না পেয়ে কমতে কমতে ১৫০ টাকা হয়ে গেল, এসব ফ্রি মার্কেট ইকনমিক্সের বইতে হয়। মনে করুন ২০০০০ ডলারের গাড়ী বিক্রি হচ্ছে না। সেটা কমে ১৮০০০ হতে পারে, ১৭৫০০ হতে পারে। কিন্তু গাড়ীর কোম্পানী কখনোই অ্যালাও করবে না সেট গড়ে গড়ে লোক ১৫০০০ এ নিয়ে যাক। তার আগে গাড়ীর প্রোডাকশান বন্ধ করে দেবে। ডিসকাউন্টেরও একটা সীমা আছে। কোন ক্যাপিত্যালিস্টই চায় না মানুষকে খুব অল্প দামে অভ্যস্ত করিয়ে দিতে।

    জাপানের রিসেশানের সাথে আমেরিকার তুলনায় আমার অসুবিধা আছে। জাপান যখন রিসেশানে যেতে শুরু করে, তখন জাপান ছিল ধনী দেশ। ওদের সেভিংস রেট ছিল জিডিপির ২০%। অন্য দিকে আমেরিকা এখন ব্রোক। না আছে নেট সেভিংস, না আছে ট্রেড সারপ্লাস। অপেক্ষাকৃত বেশী দুর্বল মাটিতে দাঁড়িয়ে রিসেশনে ঢুকছে আমেরিকা।

    আর পোর্টফোলিওর ২৫%, ৩৫%, ৪৫% এর গল্পে আমার বক্তব্য হল দীর্ঘদিন ধরে একটা পোর্টফোলিও ৪৫% ডাউন থাকা ব্যাড এনফ। নিক্কেইয়ের কথা বাদই দিলাম। আরো ক্লোজার টু হোম ন্যাসড্যাক। ৫০০০ এর হাইয়ের তুলনায় এখন ১৫০০ থেকে ২০০০ এ ঘোরে ফেরে। সাত বছরের বেশী হয়ে গেল। তবে এবারে স্টক মার্কেটের চেয়েও বেশী ওয়ারিং হল জব লস, সেভিংস লস, জব রিকাভারি রেট ইত্যাদি।

    সি ডি ও এবং ডেরিভেটিভ সম্বন্ধে আমার শর্ট ওপিনিয়ান হল এই কোল্যাপ্সের পর এইসব ফাইনান্সিয়াল ইনস্ট্রুমেন্টস খুব ডিসক্রেডিটেড হবে এবং এসবের ওপর অনেক নিয়ন্ত্রণ বসানো হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন