এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • মর্যাদার সাথে উন্নয়ন- অমিত ভাদুড়ি

    r
    বইপত্তর | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | ৫০৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৪৬406409
  • অনেকেই মনে হচ্ছে বইটি পড়েছেন। তাঁরা আলোচনা শুরু করুন।
  • r | 121.245.66.201 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৩৩406520
  • অমিত ভাদুড়ির বইটি অধুনা প্রতাপশালী বাজারপন্থী অর্থনৈতিক মডেলের বিপ্রতীপে বিকল্প একটি অর্থনৈতিক মডেলের উপস্থাপনা, তবে সর্বসাধারণের জন্য সহজ সরল করে লেখা। মডেলটি খুব অচেনা নয়, অন্তত: অর্থনীতির ছাত্রদের কাছে। কেইন্সিয় বনাম নব্যধ্রুপদী ম্যাক্রোইকোনমিক মডেলের বিবাদ বিসংবাদ যে কোনো অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তকেই সুলভ্য। কেইন্স-কালেস্কিয় ঘরানার মূল প্রতিপাদ্য অনুসরণ করে অমিত ভাদুড়ি ও স্টিফেন মার্গলিন কেম্ব্রিজ জার্নাল অফ ইকোনমিক্সে যে তাঙ্কিÄক প্রবন্ধটি লেখেন, এই চটিবইতে তারই প্রায়োগিক রূপটাকে ধরা হয়েছে। মোটের উপর যে কথাগুলো বলা হয়েছে, তা সত্তর কি আশির দশকেও খুব একটা চমকপ্রদ বলে মনে হত না, বরং কোনো বামপন্থী হয় তো অমিতবাবুকে সংশোধনবাদের অভিযোগেই অভিযুক্ত করতেন। কিন্তু সূর্য এখন এতটাই দক্ষিণে ঢলেছে, কেইন্সও প্রবলভাবে বৈপ্লবিক।
  • r | 121.245.66.201 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ০০:২২406540
  • ২০০৬ সালে অশোক মিত্র মহাশয় যখন এই বইটির পর্যালোচনা করেন, তখন একদম প্রথমেই লিখেছিলেন - "Evangelists and idealists, however, still walk the earth, determined to overwhelm humanity with love, goodwill and economic well-being." এইধরনের জেহাদী আদর্শবাদ অমিতবাবু পাঠ্যপুস্তক লেখার সময়ও ত্যাগ করেন নি। যাঁদের "ম্যাক্রোইকোনমিক্স" বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তাঁরা মনে করতে পারবেন যে ফ্রিডম্যানের প্রতি মূহুর্মূহু আক্রমণ বইটিতে নীরস তঙ্কেÄর কচকচির বাইরে একটা গা-গরম হওয়া লোভনীয়তা এনে দিয়েছিল। অমিতবাবুর লেখার সেই সাবলীল লেখনীতে এখনও ধার কমে নি। বইয়ের সারবস্তু নিয়ে যতই তর্কবিতর্ক থাক, সর্বসাধারণের জন্য এত ঝর্‌ঝরে ভাষায় এই সুস্বাদ পরিবেশনের জন্য লেখকের ধন্যবাদ প্রাপ্য।
  • Ishan | 121.245.105.1 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ১২:০২406551
  • কি গম্ভীর ছিরিয়াছ আলোচনা। :)
  • r | 125.18.104.1 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:১৮406562
  • লে পাগলা। :-)
  • r | 125.18.104.1 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:৩৫406573
  • অমিতবাবুর বইটি লিখেছেন "প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা" ঢঙে। প্রশ্নগুলো সত্যি সহজ- স্বাধীনতার ষাট বছর পরেও ভারতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যাঁরা নিরন্ন নির্বস্ত্র ও নিরক্ষর। দারিদ্যসীমার নীচে থাকা মানুষের হার শতকরা হিসেবে যদিও বা কমে থাকে, মোট সংখ্যার হিসেবে এত বিপুলসংখ্যক হতদরিদ্র পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। যে উন্নয়ন এই দারিদ্র্য উচ্ছেদ করতে পারে না, সেই উন্নয়ন কোনো উন্নয়নই নয়, জাতীয় আয়ের প্রভূত বাড়বাড়ন্ত ও সেনসেক্সের নিরন্তর ধামাকা সঙ্কেÄও। আপাতত: ভারতের শাসকশ্রেনী ও প্রশাসকমহল উন্নয়নের যে মডেল শিরোধার্য করে দেশ চালাচ্ছেন, সেই মডেলে জাতীয় আয়ের ক্রমাগত বৃদ্ধি হলেও সেই বৃদ্ধির সুফল দরিদ্রের কাছে পৌঁছায় না, বরং ধনী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কুক্ষিগত হয়ে অর্থনীতিতে আপেক্ষিক অসাম্য আরও বাড়িয়ে তোলে। অতএব, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক দর্শন ও নীতির খোলনলচে পালটে একতি বিকল্প ধারণার প্রয়োজন। এই হল বইটির প্রবলেম স্টেটমেন্ট।
  • aja | 71.106.244.161 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৪৯406584
  • এই বইটার কি কোন ইংরাজী ভার্সন আছে? মানে যেটা আমাজন বা ঐ রকম কোন জায়গা থেকে পাওয়া যেতে পারে।
  • Ishan | 121.245.101.253 | ১৮ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:২০406595
  • ধুর। আমাজনে শুধু পাইথন পাওয়া যায়। বই বা ছাগল কোনোটাই পাওয়া যায়না। :)
  • ranjan roy | 122.168.214.156 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৩৫406606
  • অজবাবু,
    বইটা আসলে ইংরিজিতে লেখা। বাংলা-হিন্দি অনুবাদ বেরিয়েছে। সাউথ দিল্লির অরবিন্দ মার্গে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টে খোঁজ করলেই ইংরিজি হার্ডকভারটা পাওয়া যাবে। ওরা ওদের "" পপুলার সোশ্যাল সায়েন্স সিরিজ'' এ এর সস্তা এডিশনগুলো বের করেছে।
  • ranjan roy | 122.168.214.156 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৪১406410
  • আমি রঙ্গনকে ডিস্‌টার্ব করতে চাইনে।
    যোগ্য লোক, সুন্দর গুছিয়ে লিখছে।
    খালি একটু ফোড়ন দিচ্ছি যে উনি শুরুতেই আজকের স্টেট বনাম মার্কেট বিতর্কটিকে দুই এক্স্‌ট্রিম মেরুতে দাঁড়িয়ে একটি অবাস্তব, অনাবশ্যক বিতর্ক প্রমাণ করে আসলে দুইয়েরই নির্দিষ্ট ডোমেন আছে, এবং দুটৈ উন্নয়নের জন্যে দরকারি এটা দেখিয়ে আমাদের চিন্তার কো- অর্ডিনেট ঠিক করার প্রয়াস করেছেন।

  • aja | 71.106.244.161 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৫৪406421
  • ইংরাজী নামটা দিতে পারেন? এনবিটিতে তো আর এখান থেকে যেতে পারব না। লাইব্রেরীর থ্রু দিয়ে দেখব।
  • ranjan roy | 122.168.7.216 | ১৯ অক্টোবর ২০০৮ ১২:৪১406432
  • অজকে,
    Development With Dignity: A Case For Full Employment.
  • r | 125.18.104.1 | ২০ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:২৬406443
  • ভারতের এই মৌলিক সমস্যা নিয়ে কারো কোনো সমস্যা থাকারই কথা নয়, অন্তত: আপাতদৃষ্টিতে। যদিও তার্কিক হলে কিছু প্রশ্ন তুলতেই পারেন। যেমন, উত্তর-একানব্বই পর্বে ভারতে দারিদ্র্যসীমার তলায় থাকা মানুষের সংখ্যা কি হারে কমেছে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা ঘনঘোর টেকনিকাল তর্ক চলছে। মূল বিবেচ্য বিষয়- উত্তর-একানব্বই পর্বে দারিদ্র্যসীমার তলায় থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে কিনা, যদি কমে তাহলে তার পিছনে আর্থিক উদারনীতির প্রভাব কতটা, যদি আর্থিক উদারনীতির প্রভব থাকে তাহলে সেই সংখ্যা হ্রাসের হার কি এবং সেই হার পূর্ব-একানব্বই পর্বের হারের থেকে কম না বেশি ইত্যাদি। অমিতবাবু এই তর্ককে আদৌ ছুঁয়ে যান নি যার দুটি কারণ হতে পারে, এক, অমিতবাবু মনে হয়েছে তর্কটা সাধারণ পাঠকসমাজের পক্ষে টেকনিকাল কচ্‌কচি অথবা দুই, অমিতবাবু এই তর্কের এক পক্ষ ঠিক এইটা ধরেই নিয়েছেন। পুরোটাই লেখকের ব্যক্তিগত অভিরুচি, কিন্তু এই বিতর্কের একটু স্বাদ সাধারন পাঠককে দেওয়া গেলে মন্দ হত না। আর একটি প্রশ্ন ওঠে অমিতবাবু জাতীয় আয়বৃদ্ধি ও অসাম্যের সম্পর্ক যেভাবে বুঝিয়েছেন তা নিয়ে।
  • h | 203.99.212.224 | ২৩ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:১০406454
  • আরো লিখবা না?
  • r | 59.161.67.74 | ২৬ অক্টোবর ২০০৮ ০০:৪৪406465
  • অমিতবাবুর প্রতিপাদ্য ছিল জাতীয় আয়বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন সমার্থক নয়। উদাহরণ হিসেবে নিয়েছেন এমন একটি দেশ যেখানে মাথাপিছু গড় আয় ধরা যাক তেইশ হাজার টাকা। তাদের মধ্যে নিরানব্বই জন পায় মাথাপিছু একশ টাকা আর তাদের মালিক পায় (২৩০০০x১০০)-(৯৯x১০০) টাকা অর্থাৎ, ২২,৯০, ১০০ টাকা। এবার ধরা যাক জাতীয় আয় শতকরা ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেল। এখনও নিরানব্বই জন সেই ১০০ টাকাই পায়, কিন্তু মালিক পাবে ২৫,২০,১০০ টাকা। অর্থাৎ স্রেফ জাতীয় আয় বৃদ্ধি হলেই চলবে না, জাতীয় আয়ের সুষ্ঠু বন্টনও প্রয়োজন। প্রায় দুই পৃষ্ঠা ধরে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এইধরনের উদাহরণের মধ্যে একটা অবাঞ্ছিত সারল্য রয়েছে। অর্থনীতির তঙ্কেÄ অদীক্ষিত কিন্তু মনোযোগী পাঠক কিন্তু অমিতবাবুর মত প্রজ্ঞাবান মানুষের থেকে আর একটু বেশি গভীরতা দাবী করে। বরং এই একই উদাহরণ নিয়ে যদি বলা যায়, ধরা যাক ২৩০০০ টাকা মাথাপিছু আয়, ষাট শতাংশ লোক পায় মাথাপিছু ১০,০০০ টাকা আর বাকি চল্লিশ শতাংশ পায় মাথাপিছু ৪২,৫০০ টাকা। এইবার জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি হল শতকরা দশ শতাংশ। এই বৃদ্ধির বন্টন বিভিন্নভাবে হওয়া সম্ভব। হতে পারে, ষাট শতাংশ লোকের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াল ১৫,০০০ টাকা এবং বাকি চল্লিশ শতাংশ লোকের আয় কমে গিয়ে দাঁড়াল ৪০, ৭৫০ টাকা। অন্য একটি পরিস্থিতিতে, ষাট শতাংশ মানুষের আয় বেড়ে হল মাথাপিছু ১২,০০ টাকা এবং বাকি চল্লিশ শতাংশ মানুষের আয় বেড়ে হল মাথাপিছু ৪৫,২৫০ টাকা। এই দুই পৃথক পরিস্থিতির তুলনা কিন্তু সাদামাটা অর্থনীতির অঙ্কে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। জাতীয় আয়বৃদ্ধি ও অসাম্যের আঁক কষার সময় অমিতবাবুর কাছে এইজাতীয় জটিল অথচ সম্ভবপর পরিস্থিতি আলোচনার প্রত্যাশা ছিল।
  • r | 59.161.67.74 | ২৬ অক্টোবর ২০০৮ ০১:০১406476
  • তবে জাতীয় কিছু কূটতর্ক বাদ দিলে মূল সমস্যা নিয়ে খুব একটা বিতর্ক থাকার কথা নয়। বইটির সিংহভাগ যেহেতু এই সমস্যার একটি সম্ভাব্য সমাধান, অতএব সরাসরি সমাধানের প্রসঙ্গে চলে আসাই শ্রেয়।
  • shyamal | 24.119.209.40 | ২৬ অক্টোবর ২০০৮ ০৬:০৯406487
  • সঠিকভাবে উন্নয়ন হতে গেলে প্রথমে চাই তথ্য যাতে বোঝা যায় উন্নয়ন ঠিক পথে চলছে না পথ বদলাতে হবে। দু:খের বিষয়, ভারত সরকার প্রয়োজনীয় তথ্য মাপেনা । আমেরিকার সেন্সাস ওয়েব সাইটে গেলে আপনি প্রতি বছর দেশের পাঁচটি পঞ্চমাংশ(কুইন্টাইল) ও সব চেয়ে ওপরের ৫% এর বার্ষিক আয় পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, সেই আয় দেওয়া হয় সে সময়ের ডলারে আর বর্তমান ডলারে, যাতে তুলনা করতে সুবিধা হয়।
    ভারতে সেই তথ্য পাওয়া অসম্ভব। কুইন্টাইল ডেটা মাপা হলে জানা যেত বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের আয় কিভাবে বদলাচ্ছে। যে তথ্য পাওয়া যায় তাও ভুলে ভরা ।

    এক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি দু ক্ষেত্রেই দক্ষতার বিশেষ অভাব। আমি MAX-NCAER এর রিপোর্টটি পড়েছি। এটি বেসরকারি। এদের তথ্য অনুযায়ী ২০০৪-০৫এ ভারতের সব বাড়ির মোট আয় হল ১৩ ট্রিলিয়ন টাকার অল্প বেশি। অথচ সে বছর জিডিপি ছিল ৩১ ট্রিলিয়ন টাকা। রাজেশ শুক্লাকে, যিনি এই রিপোর্টের একজন রচয়িতা, প্রশ্ন করেছিলাম কেন এই অসংগতি। তিনি উপযুক্ত উত্তর দিতে পারেননি।

    আমি দেশে কারা মধ্যবিত্ত -- এই টইয়ে দেখিয়েছি যে আর্থিক অবস্থা মাপার ভাল মাপকাঠি হল পরিবারের কি কি অ্যাসেট আছে সেটা দেখা। যেমন যেসব পরিবারের টিভি আছে তাদের নিশ্চয় গরিব বলা যায়না। ২০০৮এ ভারতে ১১৯ মিলিয়ন পরিবারের, অর্থাৎ ৫৩% পরিবারের টিভি আছে।
    অথচ বলা হয় ভারতে প্রায় সবাই গরিব।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১৯:৫৪406498
  • অমিত বাবুর এই বইতে অভ্যন্তরীন অর্থনীতির উন্নয়নের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে। খুব সহজ সরল ভাষায় বোঝানো হয়েছে দেশীয় অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে উন্মুক্ত হয়ে গেলে কি কি সমস্যা দেখা দেয়। উনি বলেছেন আন্তর্জাতিক বাজারের প্রবল প্রতিদ্বন্দিতায় জায়গা করে নেবার একমাত্র উপায় হল অন্যান্য দেশের সাথে নিজ দেশে উৎপন্ন দ্রব্যের মূল্যের প্রতিদ্বন্দিতা। অর্থাৎ নিজেদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যাতে প্রতিটি দ্রব্যের উৎপাদন মূল্য খুব কম হয়। এর দুটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, এক, শ্রমিকের শোষণ যা অনৈতিক, দুই, দেশীয় বাজার ছোট হয়ে যাওয়া। উৎপাদনশীলতা বাড়ার মানে হল আগে যে কাজ করতে ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হত এখন সেই একই কাজ করতে ৫ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অতএব আগে যে বাজারে ১০ জনের ক্রয়ক্ষমতা ছিল এখন সেখানেই ৫ জনের ক্রয়ক্ষমতা আছে। অতএব অভ্যন্তরীন বাজার ছোট হতে থাকছে।

    এখানে কতগুলি প্রশ্ন আছে, ঠিক মতন বুঝতে পারছি না।

    ১। যদি উৎপাদনশীলতা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে বাড়ে তাতে শ্রমিকের শোষণ হয় না। তাহলে কি ধরে নেওয়া হচ্ছে যে প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, শ্রমিককে বেশি খাটানোই উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একমাত্র উপায়।

    ২। উৎপাদনশীলতা বাড়লে একই কাজ করতে কম শ্রমিক লাগবে ঠিক কথা। কিন্তু অন্যদিকে মুনাফাও বাড়বে এবং সেই মুনাফার কিয়দংশ ফিরে আসবে বাজারে অতএব বাড়বে শ্রম চাহিদা। সেই চাহিদায় বাকী ৫ জনই নিযুক্ত হবে কিনা, বা তার থেকেও বেশি শ্রমিক দরকার, সে তো কঠিন অংকের প্রশ্ন। কিন্তু উৎপাদনশীলতা বাড়লেই বাজার ছোট হবে এই প্রতিপাদ্যটা যতটা সরলরৈখিক ভাবে দেখানো হয়েছে, সেটা কি ততটাই সরলরৈখিক?

    ৩। সর্বোপরি এই সমস্যা গুলো কিন্তু অভ্যন্তরীন বাজারেও হতে পারে। মূল সমস্যা উৎপাদনশীলতা বাড়লে বাজারে আকার কিরকম হবে তাই নিয়ে। নাকি উনি বলতে চেয়েছেন উন্মুক্ত বাজারে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর যে চাপ থাকে অভ্যন্তরীন বাজারে তা থাকে না। মানে কি উনি বলতে চেয়েছেন যেহেতু দেশীয় অর্থনীতি তাই কম্পিউটার ব্যবহার করব না, টাইপরাইটারে ফিরে যাব। কারণ কমপিউটার উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।

    নিশ্চ্যই কিছু ভুল বুঝছি, যারা পড়েছেন একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হয়।
  • Arpan | 65.194.243.232 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ২০:০৬406509
  • আমারো প্রশ্ন পাচ্ছে।

    উৎপাদনশীলতা বাড়লে শুরুতে আভ্যন্তরীণ বাজার সংকুচিত হল মানা গেল। কিন্তু উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি লক্ষ্যমাত্রা হল আন্তার্জাতিক বাজারে উৎপাদিত পণ্যের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিঁকে থাকা এবং ভবিষ্যতে সেই পথ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশলাভ। অর্থাৎ দেশীয় বাজারের সাময়িক সংকোচনের সম্ভাবনার পরেই আসছে আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যপ্তি, তার জন্য আরো বেশি বিনিয়োগ ও শ্রমশক্তির বৃদ্ধি, ফলস্বরূপ দেশীয় বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি।

    ভুল বুঝলাম কী?
  • Arpan | 65.194.243.232 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ২০:১৪406521
  • উৎপাদনশীলতা বলতে শুধু প্রোডাক্টিভিটি নয়, কোয়ালিটির কথাও বলা হচ্ছে ধরে নিচ্ছি।
  • r | 125.18.104.1 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ২০:৩১406531
  • এসব জেনে কোনো লাভ নেই।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ২১:১০406532
  • লাভ নেই কেনে?
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ২২:১০406533
  • আর্য্যকে:

    ১। অমিতবাবুর অ্যানালিসিসে ধরে নেওয়া হচ্ছে টেকনোলজি পুরো ইকনমির জন্য গিভেন। অর্থাৎ টেকনোলজি উন্নত হলে সবাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে অ্যাডপ্ট করে নেবে নতুন টেকনোলজি। যেহেতু প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন উদ্দেশ্য, সেহেতু অ্যাট এ গিভেন টেকনোলজি, যে ফার্ম শ্রমিককে বেশী শোষন করতে পারবে, সেই তুলনায় ভাল করবে।

    এখন টেকনোলজি যদি অ্যাডাপ্ট করা সহজ না হয় তবে সাময়িকভাবে গল্পটা বদলে যেতে পারে। যেমন কিছু কিছু টেকনোলজি কোম্পানীর টেকনোলজি অ্যাডাপ্ট করাটা অন্য কোম্পানীর পক্ষে কঠিন / সময়সাধ্য। উদাহরন হিসেবে গুগল মনে আসছে। সেক্ষেত্রে সেই সব কোম্পানীতে শ্রমিক একটা সাময়িক রেসপাইট পাবে। তবে এরকম উদাহরণ ফিউ অ্যান্ড ফার বিটউইন। সাধারন ভাবে অমিতবাবু যা বলেছেন তেমনটিই হবে।

    ২। মুনাফা বাজারে ফিরে এসে শ্রমিকের চাহিদা তৈরী করবে, অন্তত: কিছুটা, তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। প্রশ্ন হল কতটা চাহিদা তৈরী করবে। এবং এই প্রশ্নের উত্তরের ওপরেই নির্ভর করছে বাজার ছোট হবে কিনা। সাপ্লাই সাইডারেরা বলে বাজার ছোট হবে না। ডিম্যান্ড সাইডারেরা বলে হবে (যদি না সময়ে সময়ে সরকারী ব্যয় বাড়িয়ে চাহিদা সৃষ্টি করা যায়)। এম্পিরিক্যাল ডাটা মোটের ওপর এখন পর্য্যন্ত ডিম্যান্ড সাইডারদের পক্ষে। বর্তমান সঙ্কট-ই তেমন একটা ডাটা পয়েন্ট।

    ৩। হ্যাঁ, এই সমস্যাগুলো আভ্যন্তরীন বাজারেও হতে পারে। তবে আভ্যন্তরীন বাজারে মজুরীর ওপর নির্বাচিত সরকারের বেটার ক®¾ট্রাল থাকে। গ্লোবালাইজড জগতে সরকারকে একটা ক্যাচ-২২ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। মজুরী বাড়ে এমন ব্যবস্থা নিলে চাকরি চলে যাবে সুতরাং বাজার ছোট হবে। মজুরী কমলেও তাই হবে। সুতরাং গ্লোবালাইজড দুনিয়াতে ক্যাপিটালিজমের সেলফ-ডেস্ট্রাকশনের ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ক্যাপিটালিজম আত্মহত্যা করলে তাতে সাধারণ মানুষের এমনিতে তেমন ক্ষতি নেই। কিন্তু তার ফলে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা কোল্যাটারাল ড্যামেজ হিসেবে মারা যায়। সুতরাং সরকারকে (পড়ুন ট্যাক্স-পেয়ারকে) পয়সা দিয়ে বেইল-আউট করতে হয়। কাজেই সাধারন মানুষের পক্ষে গ্লোবালাইজেশন মোটের ওপর ক্ষতি করে।

    অর্পণকে:
    তুমি যে কথাটা বলেছ সেটা নন-গ্লোবালাইজড দুনিয়ার কথা। গ্লোবালাইজড দুনিয়াতে উৎপাদন হবে সবচেয়ে কম মজুরী যে দেশে, সেই দেশে। অর্থাৎ তুমি অন্য দেশে বিক্রি করছ মানেই সে বাজার তোমার কেনা নয়। যদি সেই দেশ তুলনায় কম মজুরীতে শ্রমিকের জোগান দিতে পারে তো উৎপাদন সেই দেশেই সরে যাবে। শেষ পর্য্যন্ত গোটা দুনিয়াতেই স্যামুয়েলসন কথিত (ইকনমি ক্রাইসিস থ্রেডে রেফারেন্স দিয়েছি) ওয়েজের ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল সৃষ্টি হবে। সুতরাং ডিম্যান্ড ডেস্ট্রাকশনও গ্লোবালাইজড হবে। এই সঙ্কটেই এই ব্যাপারটা কিছুটা দেখা যাচ্ছে। সারা পৃথিবীতেই চাহিদা কমেছে। কে কার মাল কিনে কাকে রক্ষা করবে? আধা গ্লোবালাইজশনেই যদি সঙ্কট এত তীব্র হয় তো পুরো গ্লোবালাইজেশনে কি হবে?
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০১:৪৯406534
  • টেকনলজি পুরো ইকনমির জন্য গিভেন এটা খুব বড় অ্যাসাম্পশন। বইটিতে উল্লেখ করা উচিত ছিল। আধুনিক কোম্পানীগুলোর আয়ের একটা বড় অংশ যায় রিসার্চ এবং ডেভলপমেন্টে, কি করে প্রোডাকটিভিটি বাড়ানো যায়, উৎপাদন মূল্য কমানো যায়। এই বড় অ্যাসামপশনটা অমিত বাবু করে থাকলে টু থিওরিটিকাল। বাস্তবের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্ক নেই। তাই প্রোডাকটিভিটি বাড়লেই শ্রমিক শোষন এটাও ঠিক মানা গেল না। যেমন জিএম চেষ্টা করেও টয়োটার মতন প্রোডাক্টিভ নয়। তার মানে কি টয়োটায় শ্রমিক শোষন হচ্ছে?

    আর বাজার ছোট হবে কিনা তা বললামই তো ডিপেন্ড করে কঠিন অংকের ওপর। কিন্তু বইটিতে এমন ভাবে লেখা হয়েছে যেন ইহাই নিয়ম। মানে গ্লোবালাইজেশন => হাই প্রোডাক্টিভিটি => ছোট বাজার। এর মধ্যে সাপ্লাই সাইডও নাই ডিমান্ড সাইডও নাই। ইকনমিকসের এম্পিরিকাল স্টাডিগুলো একদুটো বছরের ওপর হয় না। আর সর্বোপরি উনি কোনো এম্পিরিকাল স্টাডির কথা তো বলেন নি।

    মজুরী বাড়লে চাকরী চলে যাবে কেন? আবার মজুরী কমলেই বা যাবে কেন। সাধারণত প্রোডক্টিভিটি বাড়লে মজুরী বাড়ে। এর বহুবিধ কারণ আছে। বাজার যদি শুধুমাত্র মানি অ্যাভেইলেবল ইন মার্কেট এই দিয়ে মাপা হয়। তাহলে প্রোডাক্টিভিটি বাড়লে যেহেতু কর্মীদের মাইনে বাড়বে তাই খুব সম্ভবনা টোটাল অ্যাভেইলেবল মানি একই থাকবে।

    তবে এইসব অ্যাসাম্পশন গুলো বুঝতে বড্ড অসুবিধা হচ্ছে। যদি না এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা থাকে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০২:৩৯406535
  • টেকনোলজি পুরো ইকনমির জন্য গিভেন - এটা খুব বড় অ্যাজাম্পশন নয়। মোদ্দা কথা হল টেকনোলজি অ্যাডাপ্ট করতে না পারলে ভোগে যেতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে টেকনোলজি অ্যাডাপ্ট করা সহজ নয় কথাটা আমি বলেছি। তবে সেরকম ক্ষেত্র ফিউ অ্যান্ড ফার বিটুইন।

    জিএম টয়োটার ঘটনা টেকনোলজির ডিফারেন্সের ব্যাপার নয়। আমি জীবনের একটা সময় ডেট্রয়েট কাটিয়েছি। এখানে যা লিখছি সেটা বিভিন্ন সূত্রে শোনা, কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য। ডেট্রয়েট ও জাপানী কোম্পানিদের মধ্যে টেকনোলজিকাল প্রোয়েসের তফাৎ বেশী নয়। কিন্তু দুটি গ্রুপ ভিন্ন গ্রোথ পাথ বেছে নিয়েছিল। জাপানী অটোমেকারেরা জোর দিয়েছিল লং টার্ম কাস্টমার ভ্যালু সৃষ্টির ওপরে। সুতরাং তারা রিলায়েবলিটি ও ফুয়েল এফিসিয়েন্সির ওপর জোর দেয় (যদিও অনেকদিন পর্য্যন্ত দে মেড বোরিং কারস)। ডেট্রয়েট জোর দিয়েছিল মাচো ইমেজ বেসড মার্কেটিঙের ওপর। সুতরাং ফুয়েল এফিসিয়েন্সি নিয়ে তারা বদার করে নি। আর ইমেজ বেসড মার্কেটিং করতে হলে ডিলার নেটওয়ার্ককে সন্তুষ্ট রাখা দরকার। তা করতে হলে রিলায়েবল গাড়ী ক্ষতিকর - কেন না ডিলার ইনকামের একটা বড় অংশ সার্ভিসিং থেকে আসে।

    বাজার ছোট হবার ব্যাপারটা অমিতবাবু ঠিক করে লেখেন নি - হয়তো। আমি যেহেতু ওনার টেক রাইটিং ক্লাসের প্রফেসর ছিলাম না, সেহেতু নম্বর কাটতে পারছি না - সরি। আর এম্পিরিকাল ডাটা Stiglitz-এর বই দেখলেই পাওয়া যাবে। বর্তমান ক্রাইসিস-ও গ্লোবালাইজেশন => ডিম্যান্ড ডেস্ট্রাকশন - এর একটা উদাহরণ।

    মজুরী বাড়লে চাকরী কেন চলে যাবে সেটা ব্যাখ্যা করা খুব সহজ (গ্লোবালাইজড দুনিয়াতে)। প্রোডাকশন সব চেয়ে সস্তা শ্রমিককে দিয়ে করালে লাভ বেশী হয়। আর প্রোডাকটিভিটি বাড়লেই মজুরী বাড়ে না। অন্তত: আম্রিকাতে সেটা হয় নি। http://data.bls.gov/cgi-bin/surveymost?pr তে গেলে দেখবেন ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ পর্য্যন্ত আম্রিকাতে গড় উৎপাদন বৃদ্ধি (প্রতি ঘন্টায়) মজুরী বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশী বেড়েছে।

    তোমার অ্যাজাম্পশনগুলো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে দু:খিত। কিন্তু তাতে এগুলোর অর্থনৈতিক সারবত্তা নষ্ট হয় না।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০২:৪৪406536
  • বোঝো! অর্থনীতির সারবত্তা বুঝতে এই টই খুলব কেন? এটা তো বইয়ের টই। বইটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। মানে অমিতবাবুর লজিক গুলো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০২:৪৯406537
  • বইটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে আমি দু:খিত। কিন্তু তাই বলে বইটা জাংক নয়।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০২:৫৯406538
  • এই দেকো সিবুদা আজকাল বড্ড তাড়াতাড়ি রেগে যাচ্ছে। আমি তো বলি নাই বইটি জাংক। কিন্তু আমার প্রশ্নগুলো ভ্যালিড। আমি পড়ছি এবং পড়ে প্রশ্ন পাচ্ছে।

    যেমন টেকনলজি অ্যাডাপ্ট করতে না পারলে কি হবে তা এই বইয়ের প্রতিপাদ্য নয়। এই বইয়ে বলা হয়েছে গ্লোবালাইজেশন => হাই প্রোডাক্টিভিটি => ছোট বাজার। সেটা বইটা থেকে ক্লিয়ার হচ্ছে না। এই অবধি। অমি একটা কাউন্টার এক্সাম্পল দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:০৩406539
  • চলো মশালা খাই, রাগ করে কাজ নাই :))।

    টেকনোলজি অ্যাডাপ্ট করতে না পারলে কি হবে সেটা কমন নলেজ, মানে ভাদুড়ী মশায়ের কাছে। ইকনমিস্ট মানুষ, লে-ম্যানের দু:খু বুঝতে পারেন নি :)।

    তোমার উদাহরণ যে খাটে না সে তো আমি দেখালুম। এখন কি করবে? অন্য উদাহরণ আনবে?
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৩406541
  • এই দ্যাকো লে-ম্যান বলেই না ঐ বইটা পড়ছি নইলে তো স্যামুয়েলসন, স্টিগলিজ আরও কি কি আছে সেসব পড়তাম। নাকি লে-ম্যানদের জন্য লেখা এই বইটি পড়তে হলে আগে ঐ বইগুলো পড়ে আসতে হবে। কি গেঁড়োরে বাবা।

    আবার ফিরে যাই জিএম এবং টয়োটায়। দুই গাড়ি কম্পিটিং প্রোডাক্ট। টোয়োটার দাম কম মানে প্রোডাক্টিভিটি বেশি। এবারে জিএম যদি সেই প্রোডাকটিভিটি ছুঁতে চায় তাহলে একমাত্র উপায় শ্রমিক শোষণ? নাকি টয়োটার এখনকার এই হাই প্রোডাক্টিভিটির একমাত্র কারণ শ্রমিক শোষণ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন